এ প্রসঙ্গে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল হামিদী সাহেব তার লিখিত প্রবন্ধে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কখনো হিন্দু ব্রাহ্মণের মন্ত্র পড়ার সাদৃশ্য, কখনো বিদআত, আবার কখনো শরিয়তসম্মত নয় বলে অশালীন মন্তব্য করেছেন। অথচ উক্ত প্রবন্ধের শেষ দিকে এসে নিজেই স্বীকার করেছেন যে, তিনি সবসময় মিলাদুন্নবীর মাহফিলে যোগদান করেন। যেমন তিনি লিখেছেন-
‘কাউকে উদ্দেশ্য করে আমার এই লিখা নয়। আমি নিজেও সব সময় মিলাদুন্নবীর মজলিসে অংশ নেই। ’
মারহাবা! মৌলভী সাহেব! সত্যটাকে আর গোপন রাখতে পারলেন না। এ যেন আত্মঘাতি স্ববিরোধী বক্তব্য। নিজেও যদি সব সময় মিলাদুন্নবীর মাহফিলে যোগদান করেন তাহলে উক্ত প্রবন্ধে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন সম্বন্ধে এ রকম অশালীন মন্তব্য ও মিথ্যাচার করলেন কেন?
এ প্রশ্নের জবাব তার লিখিত প্রবন্ধেই বিদ্যমান-
তিনি লিখেছেন-
‘বর্তমানে শুধু মিলাদুন্নবী পালন করতে এক শ্রেণির মুসলমান পাগল কিন্তু সিরাতুন্নবীতে তারা অত্যন্ত নারাজ ইহার কারণ কি? কারণ একটিই- মিলাদুন্নবী পালন করলে, কোন কিছুর উপর আমল করতে হয় না। বরং ইহাতে নিজের পকেট গরম হয়। ’
এবার সম্মানিত পাঠকগণের নিকট বিষয়টি আর অস্পষ্ট থাকার কথা নয় যে, হামিদী সাহেব যেই মিলাদুন্নবীকে হিন্দুদের পূজার সাথে তুলনা করলেন, সেই মিলাদুন্নবীর মাহফিলে সদা-সর্বদা কেন যোগদান করেন? উত্তর একটাই এতে কোন কিছুর উপর আমল করতে হয় না বরং নিজের পকেট গরম হয়। (তার ভাষায়)
Home
»
কিতাবঃ বিভ্রান্তির অবসান
» হামিদী সাহেবের ভণ্ডামী নবুয়ত প্রাপ্তির সময়কালঃ [কিতাবঃ বিভ্রান্তির অবসান (পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ উদযাপনে বিদ্বেষীদের সীমালঙ্ঘন) 🖋হাফেজ ইকরাম উদ্দীন]