কিতাবঃ উচ্চস্বরে জিকির করার শরয়ী বিধান-৩
লেখকঃ ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (রহঃ)
অনুবাদঃ হাফেজ ইকরাম উদ্দিন
এপ্স ডেভেলপারঃ আব্দুল বাতেন মিয়াজি
____________
মসজিদের ভিতরে উচ্চ-স্বরে জিকির করা প্রসঙ্গ- হাদিসসমুহঃ নং ১১, ১৫
হাদিস নং- ১১
ইমাম বায়হাকী হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন তিনি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন-
قال يقول الرب تعالى يوم القيامة- سيعلم اهل الجمع اليوم من اهل الكرم فقيل ومن اهل الكرم يا رسول الله؟ قال مجالس الذكر فى المساجد-
অর্থ: নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- কিয়ামতের দিন আল্লাহতায়ালা বলবেন- আজ হাশরবাসীগণ শীঘ্রই ‘আহলে করম’ সম্বন্ধে অবগত হবে। তখন প্রশ্ন করা হল ইয়া রাসূলাল্লাহ ‘আহলে করম’ কারা? তিনি বললেন- আহলে করম হল মসজিদসমূহে জিকিরের মাহফিলসমূহ।
হাদিস নং- ১৫
ইমাম বায়হাকি হযরত যায়দ বিন আসলাম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন- ইবনুল আদরা বলেছেন-
انطلقت مع النبى صلى الله عليه وسلم ليلة- فمر برجل فى المسجد يرفع صوته- قلت يا رسول الله عسى ان يكون هذا مرائيا ؟ قال لا ولكنه أواه-
অর্থ: আমি একদা রাত্রিবেলা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বের হলাম। তখন তিনি মসজিদের মধ্যে এমন এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে গমন করলেন যিনি উচ্চস্বরে জিকির করছিলেন। তখন আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল সম্ভবত এ লোকটি ‘রিয়া’ তথা লোকদেখানো ইবাদতকারী। তখন নবীজী বললেন ‘না’ বরং সে হচ্ছে ‘আওয়াহ’। (আওয়াহ হচ্ছে সে ব্যক্তি যে আল্লাহর জিকির করে)
যেমন ইমাম বায়হাকি হযরত উকবাহ বিন আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে অনুরূপ একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন-
ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لرجل يقال له ذو البجادين انه اواه- وذلك انه كان يذكر الله-
অর্থ: রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুল বাজাদাইন নামক ব্যক্তিকে বললেন নিশ্চয় সে ‘আওয়াহ’ আর ইহা এজন্য যে সে আল্লাহর জিকির করত।
এমনিভাবে আরো একটি হাদিস ইমাম বায়হাকি হযরত জারির বিন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন-
ان رجلا كان يرفع صوته بالذكر فقال رجل : لو ان هذا خفض من صوته فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم دعه فانه أواه-
অর্থ: জনৈক ব্যক্তি জিকির করার সময় উচ্চস্বরে আওয়াজ করতেন। তখন অন্য ব্যক্তি বললেন যদি সে তার আওয়াজকে নিম্নস্তরে রাখত। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- তাকে ছেড়ে দাও। কারণ সে হচ্ছে ‘আওয়াহ’।