‘ঈসালে   সওয়াব’   অর্থ    হলো   সওয়াব     পৌঁছানো।     অর্থাৎ মৃতব্যক্তির        রূহের         মাগফিরাতের       জন্য        দোয়া-দরূদ, কোরআনশরীফ      খতম,      দান-সদকাহ,      কবর      জিয়ারত,  মিলাদশরীফ,   শিরণী  বিতরণ   ইত্যাদি  ইবাদতের    মাধ্যমে  সওয়াব    পৌঁছে   দেয়ার    নাম  হলো  ঈসালে   সওয়াব।   ইহা জায়েজ ও মুর্দেগানদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

হানাফী  মাজহাব   ও  ফিকাহ   শাস্ত্রের  প্রসিদ্ধ   ইমাম  আল্লামা তাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন-

فلان  ان   يجعل  ثواب  عمله  لغيره  عند  اهل  السنة  والجماعة  صلوة  كان او صوما او حجا او صدقة او قراءة القران او الاذكار او  غير  ذالك  من    انواع  البر   ويصل   ذالك   الى  الميت   وينفعه (حاشية الطحاوى على مراقى الفلاح (۳۷۶

অর্থাৎ    কোন    মানুষ    অপর    কারো    জন্য    কোন    আমলের  সওয়াব পৌঁছাতে চাইলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের দৃষ্টিতে তা   জায়েয।   চাই সে আমল নামায  হোক বা রোজা বা  হজ্জ্ব  বা  সাদকাহ   খায়রাত  বা  কোরআনশরীফ   পাঠ  বা  যিকির  বা  এগুলো  ব্যতীত  নেক  আমলসমূহের  মধ্যে  অন্য  কোন আমল হোক না কেন এবং এ সকল আমলের সওয়াব মৃত    ব্যক্তিদের    নিকট     পৌঁছে    থাকে     এবং   এগুলো   দ্বারা তাদের   উপকারও   হয়ে    থাকে।    (মারাকিল   ফালাহ     হতে   তাহাবী শরীফের হাশিয়া, পৃষ্ঠা- ৩৭৬)

এ  প্রসঙ্গে   রাসূল  সাল্লাল্লাহু     আলাইহি  ওয়াসাল্লাম  এরশাদ করেন-

ما الميت فى قبره  الا  كالغريق المغوث ينتظر   دعوة تلحقه  من ابيه او اخيه اوصديق له।   فاذا   لحقته।    كانت احب اليه  من الدنيا    وما    فيها     -    وان      هدايا     الاحياء     للاموات     الدعاء  والاستغفار-

অর্থ: কবরে  মৃত ব্যক্তির  অবস্থা ডুবন্ত সাহায্যপ্রার্থীর ন্যায়।   সে   আপন   পিতা,   আপন ভাই অথবা   আপন  বন্ধুর প হতে দোয়ার  প্রতীক্ষায়  থাকে।  যখন  তাদের  দোয়া      তার  নিকট পৌঁছে- তখন উহা তার কাছে সমগ্র পৃথিবী ও তার যাবতীয় বস্তু  হতে বেশি  প্রিয় হয়। মৃতদের  জন্য জীবিতদের হাদিয়া হলো- দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করা। (তাযকিরাহ)।

সুতরাং বিপদগ্রস্থ  কবরবাসীর জন্য  সব সময় কিছু  না কিছু দান করা উচিত।

হযরত    আনাস    রাদিয়াল্লাহু    আনহু    বর্ণনা    করেন-    রাসূল  মকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন-

من دخل المقابر فقرأ سورة يس خفف الله عنهم- وكان له بعدد من فيها حسنات-

অর্থ:   যে  ব্যক্তি  গোরস্তানে  প্রবেশ   করে  সূরা   ইয়াসিন  পাঠ করে তার  সওয়াব  দান  করবে- আল্লাহপাক  কবরবাসীদের আযাব      হালকা      করে      দেবেন      এবং      জিয়ারতকারী      ঐ  গোরস্তানের     কবরবাসীদের     সমসংখ্যক       সওয়াব     পাবে। (তাযকিরাহ, হায়াত মউত কবর হাশর)।

Top