ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল আশ্ শায়বানী আল-মারুযী (রহ:)-এর জন্ম ১৬৪ হিজরী মোতাবেক ৭৮০ সালে বাগদাদ নগরীতে এবং বেসালও সেখানেই ২৪১ হিজরী/৮৫৫ সালে। তিনি হাদীস ও ফেকাহ উভয় শাস্ত্রেই ইমাম ছিলেন। সুন্নাহ’র সূক্ষ্ম ও অন্তর্নিহিত বিষয়গুলোতেও তিনি ছিলেন পারদর্শী। যুহদ ও ওয়ারায় তাঁর প্রসিদ্ধি ছিল। হাদীস সংগ্রহের উপলক্ষে তিনি কুফা, বসরা, মক্কা মোয়াযযমা, মদীনা মোনাওয়ারা, ইয়েমেন, দামেশক ও মেসোপটেমিয়ায় ভ্রমণ করেন। ইমাম সাহেব ফেকাহ-শাস্ত্র ইমাম শাফেঈ (রহ:)-এর কাছে শিক্ষা করেন, যিনি পাল্টা তাঁর কাছ থেকে হাদীস-শাস্ত্র শিক্ষা করেন। ইবরাহীম আল-হারবী বলেন,
আমি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ:)-কে দেখেছি। আল্লাহতা’লা তাঁকে ইসলামী জ্ঞানের সকল শাখায় সমৃদ্ধ করেছিলেন।
কুতায়বা ইবনে সাঈদ বলেন,
যদি ইমাম আহমদ (রহ:) সর্ব-হযরত (সুফিয়ান) সাওরী (রহ:), আল-আওযাঈ (রহ:), ইমাম মালেক (রহ:) ও লায়েস্ ইবনে সাআদ (রহ:) প্রমুখের যুগে জীবিত হতেন, তবে তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে যেতেন।
তিনি দশ লক্ষ হাদীস মুখস্থ করেছিলেন। ইমাম শাফেঈ (রহ:) একবার তাঁকে মিসর থেকে একখানি পত্র পেরণ করেন। এই চিঠি পড়ার সময় তিনি কাঁদতে থাকেন। তাঁকে কাঁদবার কারণ জিজ্ঞেস করার পরে তিনি জবাব দেন,
ইমাম শাফেঈ (রহ:) স্বপ্নে দেখেন রাসূলুল্লাহ (দ:)-কে, যিনি তাঁকে আদেশ করেছেন এই বলে, ‘আবূ আব্দিল্লাহ আহমদ ইবনে হাম্বলকে আমার সালাম-সহ একটি পত্র লেখো। কুরআন মজীদ সৃষ্টি কি-না সে সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হবে। তাকে বলবে ওই প্রশ্নের উত্তর না দিতে’।
আট লক্ষ পুরুষ ও ৬০,০০০ মহিলা ইমাম সাহেব (রহ:)-এর জানাযায় শরীক হন। যেদিন তিনি বেসালপ্রাপ্ত হন, সেই দিন ২০,০০০ ইহুদী, খৃষ্টান ও প্রাচীন পারসিক পুরোহিত ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।