কিতাবঃ উচ্চস্বরে জিকির করার শরয়ী বিধান-১
লেখকঃ ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (রহঃ)
অনুবাদঃ হাফেজ ইকরাম উদ্দিন
এপ্স ডেভেলপারঃ আব্দুল বাতেন মিয়াজি
লেখকঃ ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (রহঃ)
অনুবাদঃ হাফেজ ইকরাম উদ্দিন
এপ্স ডেভেলপারঃ আব্দুল বাতেন মিয়াজি
نتيجة الفكر فى الجهر فى الذكر
بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله وكفى وسلام على عباده الذين اصطفى
بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله وكفى وسلام على عباده الذين اصطفى
উচ্চস্বরে জিকির করা মুস্তাহাব
প্রশ্ন: আল্লাহ আপনাকে সম্মান দান করুক। আপনার কাছে আমার প্রশ্ন শীর্ষস্থানীয় সুফিয়ায়ে কেরাম কর্তৃক মসজিদসমূহে হালকায়ে জিকির তথা জিকিরের মাহফিল আয়োজন করা এতে উচ্চস্বরে তাহলিল পাঠ করা মাকরুহ কি না?
জবাব: উল্লেখিত বিষয়টি কোনক্রমেই মাকরুহ হতে পারে না। এ ব্যাপারে অনেকগুলো হাদিস বর্ণিত হয়েছে যা প্রমাণ করে যে উচ্চস্বরে জিকির করা মুস্তাহাব। আবার এমন অনেক হাদিস রয়েছে যা দাবি করে যে নিুস্বরে জিকির করা মুস্তাহাব।
উভয় প্রকার হাদিসের সমন্বয় হলো যে, উল্লেখিত ইখতিলাফ বা মতানৈক্যটি শুধুমাত্র স্থান, কাল ও পাত্রের বিভিন্নতার কারণে হয়েছে। যেমন ইমাম নবভী রা. কুরআনশরীফ তিলাওয়াত সংক্রান্ত এ ধরণের হাদিসের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেছেন। অর্থাৎ এ রকম অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে যা প্রমাণ করে যে কুরআনশরীফ উচ্চস্বরে তিলাওয়াত করা মুস্তাহাব। আবার অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে যে, কুরআনশরীফ নিুস্বরে পাঠ করা মুস্তাহাব। আমি এখানে বিষয়টিকে পৃথক পৃথক অধ্যায়ে বর্ণনা করব।
উচ্চ-স্বরে জিকির করা মুস্তাহাব - হাদিস নং ১, ৬, ৭, ১৩, ১৪, ১৫, ১৯, ২২, ২৪
হাদিস নং- ১.
ইমাম বুখারী হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন-
ইমাম বুখারী হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন-
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم )يقول الله( انا عند ظن عبدى بى وانا معه اذا ذكرنى فان ذكرنى فى نفسه ذكرته فى نفسى وان ذكرنى فى ملا ذكرته فى ملا خير منه-
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহতায়ালা বলেন- আমার বান্দা আমাকে যেরূপ মনে করে আমি তদ্রূপই। যখন সে আমাকে স্মরণ করে তখন আমি তার সঙ্গে থাকি। যদি সে একাকী তার অন্তরে আমাকে স্মরণ করে, তাহলে আমিও তাকে একাকী স্মরণ করি। আর যদি সে জামাতবদ্ধ হয়ে আমার জিকির করে তাহলে আমিও তাদের জামাত থেকে উত্তম জামাতে তাকে স্মরণ করি।
এ হাদিস বর্ণনার পর ইমাম সুয়ুতি বলেন- জামাতবদ্ধ হয়ে জিকির করা উচ্চ-স্বর ব্যতিত সম্ভব নয়।
এ হাদিস বর্ণনার পর ইমাম সুয়ুতি বলেন- জামাতবদ্ধ হয়ে জিকির করা উচ্চ-স্বর ব্যতিত সম্ভব নয়।
হাদিস নং- ৬
ইমাম হাকিম ও ইমাম বায়হাকি ‘শুয়াবুল ঈমান’ গ্রন্থে হযরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন, (ইমাম হাকিম ইহাকে সহিহ বলেছেন)
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اكثروا ذكر الله حتى يقولوا مجنون-
ইমাম হাকিম ও ইমাম বায়হাকি ‘শুয়াবুল ঈমান’ গ্রন্থে হযরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন, (ইমাম হাকিম ইহাকে সহিহ বলেছেন)
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اكثروا ذكر الله حتى يقولوا مجنون-
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- তোমরা অধিক পরিমাণে আল্লাহর জিকির কর যেন লোকজন তোমাদেরকে পাগল বলে।
হাদিস নং-৭
ইমাম বায়হাকি ‘শুয়াবুল ঈমান’ গ্রন্থে হযরত আবুল জাওযা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন-
ইমাম বায়হাকি ‘শুয়াবুল ঈমান’ গ্রন্থে হযরত আবুল জাওযা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন-
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اكثروا ذكر الله حتى يقول المنافقون انكم مراؤون- مرسل ووجه الدلالة من هذا والذى قبله ان ذلك انما يقال عند الجهردون الاسرار-
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- তোমরা এতো অধিক পরিমাণে আল্লাহর জিকির কর যাতে মুনাফিকগণ বলে তোমরা রিয়াকারী বা লোকদেখানো ইবাদতকারী। (এ হাদিসটি মুরসাল সূত্রে বর্ণিত) অতঃপর ইমাম সুয়ুতি বলেন উক্ত হাদিসও পূর্বে বর্ণিত হাদিসগুলি দ্বারা ইহাই প্রমাণিত হয় যে, মুনাফিকগণ কর্তৃক এ রকম মন্তব্য শুধুমাত্র উচ্চস্বরে জিকিরকারীদের বেলাতেই সম্ভব। চুপে চুপে জিকিরকারীদের বেলায় এ রকম মন্তব্যের সুযোগ নেই।
হাদিস নং- ১৩
ইমাম ইবনে জারির স্বীয় তাফসিরগ্রন্থে নিম্নের আয়াতের ব্যাখ্যায় হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন- আল্লাহর বাণী فما بكت عليهم السماء والارضআয়াতের অর্থ: তাদের জন্য আসমান ও জমিন ক্রন্দন করেনি।
ইমাম ইবনে জারির স্বীয় তাফসিরগ্রন্থে নিম্নের আয়াতের ব্যাখ্যায় হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন- আল্লাহর বাণী فما بكت عليهم السماء والارضআয়াতের অর্থ: তাদের জন্য আসমান ও জমিন ক্রন্দন করেনি।
قال ان المؤمن اذا مات بكى عليه من الارض الموضع الذى كان يصلى فيه ويذكر الله فيه-
অর্থ: ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- নিশ্চয় একজন মু’মিন ব্যক্তি যখন মৃত্যুবরণ করে তখন পৃথিবীর যে স্থানে সে নামাজ পড়ত এবং আল্লাহর জিকির করত সে স্থান তার জন্য কাঁদতে থাকে।
এমনিভাবে ইবনে আবি দুনিয়া হযরত আবু উবাইদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন-
قال ان المؤمن اذا مات نادت بقاع الارض- عبد الله المؤمن مات فتبكى عليه الارض والسماء فيقول الرحمن- ما يبكيكما على عبدى؟ فيقول ربنا لم يمش فى ناحية منا قط الا وهو يذكرك-
অর্থ: আবু উবাইদ বলেন- যখন একজন মু’মিন ব্যক্তির ইন্তেকাল করে তখন পৃথিবীর যে স্থানে সে ইবাদত করত সে স্থান ডেকে বলে আল্লাহর অমুক বান্দাহ মৃত্যুবরণ করেছে। তখন আসমান ও জমিন তার জন্য কাঁদতে থাকে। তখন দয়ালু আল্লাহ বলেন তোমরা আমার বান্দার জন্য কাঁদছ কেন? তারা উত্তরে বলে হে আমাদের প্রভু ঐ ব্যক্তি যখনই আমাদের পাশ দিয়ে গমন করত তখন আপনার জিকির করত। অতঃপর ইমাম সুয়ুতি বলেন-
وجه الدلالة من ذالك ان سماع الجبال والارض للذكر لا يكون الا عن الجهر به-
অর্থ: এর দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হল যে উচ্চস্বরে জিকির ব্যতিত পাহাড় ও পৃথিবীর পে শ্রবণ করা সম্ভব নয়।
وجه الدلالة من ذالك ان سماع الجبال والارض للذكر لا يكون الا عن الجهر به-
অর্থ: এর দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হল যে উচ্চস্বরে জিকির ব্যতিত পাহাড় ও পৃথিবীর পে শ্রবণ করা সম্ভব নয়।
হাদিস নং- ১৪
ইমাম বাযযার ও ইমাম বায়হাকি সহিহ সূত্রে হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন-
ইমাম বাযযার ও ইমাম বায়হাকি সহিহ সূত্রে হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন-
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الله تعالى: عبدى اذا ذكرتنى خاليا ذكرتك خاليا- وان ذكرتنى فى ملاء ذكرتك فى ملاء خير منهم واكثر-
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- আল্লাহতায়ালা বলেন- হে আমার বান্দাহ যখন তুমি একাকী আমার জিকির কর তখন আমি একাকী তোমার স্মরণ করি। আর যদি তুমি কোন জামাতের সাথে আমার জিকির কর তবে আমি এর চেয়ে অধিক ও উত্তম জামাতে তোমার স্মরণ করি।
হাদিস নং- ১৫
ইমাম বায়হাকি হযরত যায়দ বিন আসলাম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন- ইবনুল আদরা বলেছেন-
ইমাম বায়হাকি হযরত যায়দ বিন আসলাম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন- ইবনুল আদরা বলেছেন-
انطلقت مع النبى صلى الله عليه وسلم ليلة- فمر برجل فى المسجد يرفع صوته- قلت يا رسول الله عسى ان يكون هذا مرائيا ؟ قال لا ولكنه أواه-
অর্থ: আমি একদা রাত্রিবেলা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বের হলাম। তখন তিনি মসজিদের মধ্যে এমন এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে গমন করলেন যিনি উচ্চস্বরে জিকির করছিলেন। তখন আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল সম্ভবত এ লোকটি ‘রিয়া’ তথা লোকদেখানো ইবাদতকারী। তখন নবীজী বললেন ‘না’ বরং সে হচ্ছে ‘আওয়াহ’। (আওয়াহ হচ্ছে সে ব্যক্তি যে আল্লাহর জিকির করে)
যেমন ইমাম বায়হাকি হযরত উকবাহ বিন আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে অনুরূপ একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন-
যেমন ইমাম বায়হাকি হযরত উকবাহ বিন আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে অনুরূপ একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন-
ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لرجل يقال له ذو البجادين انه اواه- وذلك انه كان يذكر الله-
অর্থ: রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুল বাজাদাইন নামক ব্যক্তিকে বললেন নিশ্চয় সে ‘আওয়াহ’ আর ইহা এজন্য যে সে আল্লাহর জিকির করত।
এমনিভাবে আরো একটি হাদিস ইমাম বায়হাকি হযরত জারির বিন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন-
ان رجلا كان يرفع صوته بالذكر فقال رجل : لو ان هذا خفض من صوته فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم دعه فانه أواه-
এমনিভাবে আরো একটি হাদিস ইমাম বায়হাকি হযরত জারির বিন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন-
ان رجلا كان يرفع صوته بالذكر فقال رجل : لو ان هذا خفض من صوته فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم دعه فانه أواه-
অর্থ: জনৈক ব্যক্তি জিকির করার সময় উচ্চস্বরে আওয়াজ করতেন। তখন অন্য ব্যক্তি বললেন যদি সে তার আওয়াজকে নিম্নস্তরে রাখত। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- তাকে ছেড়ে দাও। কারণ সে হচ্ছে ‘আওয়াহ’।
হাদিস নং- ১৯
ইমাম আহমদ রাদিয়াল্লাহু আনহু ‘যাহদ’ গ্রন্থে হযরত ছাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন-
ইমাম আহমদ রাদিয়াল্লাহু আনহু ‘যাহদ’ গ্রন্থে হযরত ছাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন-
قال كان سلمان فى عصابة يذكرون الله فمر النبى صلى الله عليه وسلم- فكفوا- فقال ما كنتم تقولون؟ قلنا نذكر الله قال انى رأيت الرحمة تنزل عليكم فاحببت ان اشارككم فيها ثم قال الحمد لله الذى جعل فى امتى من امرت ان اصبر نفسى معهم-
অর্থ: ছাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- একবার সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু এমন একটি জামাতের সাথে ছিলেন যারা আল্লাহর জিকির করছিল। এমতাবস্তায় নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে উপস্থি হলেন। তখন তারা নিশ্চুপ হয়ে গেল। তখন নবীজী জিজ্ঞাসা করলেন তোমরা কি বলতেছিলে? তারা বলল- আমরা আল্লাহর জিকির করতেছিলাম। নবীজী বললেন- আমি দেখেছি আল্লাহর রহমত তোমাদের উপর বর্ষিত হচ্ছে। তাই আমি তোমাদের সাথে এই মাহফিলে শরিক হতে পছন্দ করেছি। অতঃপর নবীয়ে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন- সমস্ত প্রশংসা আল্লাহতা’য়ালার, যিনি আমার উম্মতের মধ্যে এমন লোক তৈরি করেছেন যাদের সাথে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে আমাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
হাদিস নং- ২২
ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণনা করেছেন-
ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণনা করেছেন-
قال: ان رفع الصوت بالذكر حين ينصرف الناس من المكتوبة كان على عهد النبى صلى الله عليه وسلم قال ابن عباس: كنت اعلم اذا انصرفوا بذلك اذا سمعته-
অর্থ: ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যামানায় ফরয নামাজের পর যখন লোকজন প্রত্যবর্তন করতেন তখন তারা উচ্চস্বরে জিকির করতেন। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- তাদের আওয়াজ শুনে আমি বুঝতে পারতাম যে, তারা নামায থেকে ফিরছেন।
হাদিস নং- ২৪
ইমাম আহমদ, ইমাম আবু দাউদ, ইমাম তিরমিজি, ইমাম নাসায়ী এবং ইবনে মাজাহ প্রত্যেকে হযরত সাইব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন। (তিরমিজি ইহাকে সহীহ বলেছেন)
ইমাম আহমদ, ইমাম আবু দাউদ, ইমাম তিরমিজি, ইমাম নাসায়ী এবং ইবনে মাজাহ প্রত্যেকে হযরত সাইব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন। (তিরমিজি ইহাকে সহীহ বলেছেন)
ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال جاءنى جبريل فقال مر اصحابك يرفعوا اصواتهم بالتكبير-
অর্থ: নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- আমার নিকট জিব্রাইল আলাইহিস সালাম এসে বললেন- আপনার সাহাবাদেরকে নির্দেশ করুন তারা যেন উচ্চস্বরে তাকবির প্রদান করে।