নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি বছর শহীদদের কবরের পাশে যেতেন এবং দোয়া করতেন। এই আমল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রাণপ্রিয় সাহাবীদের মধ্যেও ছিল। মুসান্নেফে আব্দুর রাজ্জাকের মধ্যে একটি বর্ণনা আছে-
عن محمد بن ابراهيم التيمى قال كان النبى صلى الله عليه وسلم يأتى قبور الشهداء عند رأس الحول فيقول السلام عليكم بما صبرتم فنعم عقبى الدار قال وكان ابو بكر وعمر وعثمان يفعلون ذلك-
অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ বিন ইবরাহীম তাইমী বর্ণনা করেন যে, হুজুর নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আমল ছিল যে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি বছরের শুরুতে শহীদদের কবরের পাশে তাশরীফ আনতেন। অতঃপর বলতেন, তোমাদের উপর শান্তি নাজিল হোক। ঐ জিনিসের বিনিময়ে, যে জিনিসের উপর তোমরা ধৈর্যধারণ করেছ। অতএব তোমাদের জন্য পরকালে উত্তম ঠিকানা আছে রাবী বর্ণনা করেছেন যে, হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু, হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু এর এই আমলই ছিল।
ফতোয়ায়ে শামী- কবর জিয়ারত অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে-
روى عن ابن ابى شيبة ان النبى صلى الله عليه وسلم كان يأتى قبور الشهداء باحد على رأس كل حول
অর্থ: হযরত ইবনে আবি শায়বা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি বৎসর ওহুদ যুদ্ধে শাহাদতপ্রাপ্ত সাহাবীদের কবরে তাশরীফ নিতেন। (জাআল হক্ব)
এ ব্যাপারে তাফসিরে কবির ও তাফসিরে দুররে মনসুর কিতাবদ্বয়ে বর্ণিত হয়েছে-
عن رسول الله عليه السلام انه كان يأتى قبور الشهداء على رأس كل حول فيقول سلام عليكم بماصبرتم فنعم عقبى الدار
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত তিনি প্রতি বৎসর শহীদানদের কবরে তাশরিফ নিতেন এবং বলতেন- ‘তোমাদের সবরের কারণে তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আর তোমাদের এ পরিণাম গৃহ কতই না চমৎকার। (জা-আল হক্ব)।
উপরোক্ত হাদিসশরীফ দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, মৃত ব্যক্তির ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে প্রতি বছর দোয়া দরূদ কোরআন তিলাওয়াত, কবর জিয়ারত ইত্যাদির মাধ্যমে মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা নবীজী ও সাহাবায়ে কেরামের অনুসৃত আমল।
Home
»
কিতাবঃ বিভ্রান্তির অবসান
» মৃত্যুবার্ষিকী পালন ও তারিখ নির্ধারণনবুয়ত প্রাপ্তির সময়কালঃ [কিতাবঃ বিভ্রান্তির অবসান (ইসলে সওয়াব প্রসঙ্গ) 🖋হাফেজ ইকরাম উদ্দীন]