সিলেট কাজির বাজার মাদ্রাসার শিক মুফতি শফিকুর রহমান সাহেব ‘নির্বাচিত ফাতাওয়া-মাসাইল’ নামক একটি বই রচনা করেছেন। সেখানে তিনি ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন প্রসঙ্গে এক পৃষ্ঠার একটি ফতোয়া প্রদান করেছেন। উক্ত ফতোয়ায় তিনি নিজের মনগড়া রায় অনুযায়ী ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইসলামবিরোধী কাজ, বিদআত ও সম্পূর্ণ নাজায়েজ বলে মিথ্যাচার করেছেন-
তাই আলোচনার সুবিধার্তে তার বক্তব্যটি প্রথমে তুলে ধরা হলো-
তিনি লিখেছেন-
‘আমাদের দেশে মহানবী এর জন্মদিবস পালনের লক্ষে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) নামে বিভিন্ন প্রোগ্রাম, বর্ণাঢ্য মিছিল ইত্যাদি করা হয় এটা ইসলামবিরোধী কাজ। ’
অতঃপর তিনি কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন- যেমন
এক। শরিয়তে এর কোন হাদীস নেই। বিশেষত সাহাবী তাবেয়ীন, তবয়ে তাবেয়ীন, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন তথা ইসলামের প্রথম ছয় শতাব্দী পর্যন্ত এর কোন অস্তিত্বই ছিল না। পরে এ প্রথা ৬০৪ হিজরিতে সুলতান আবু সাঈদ মুজাফফর ও আবুল খাত্তাব ইবনে ইয়াহয়া (দাহইয়া হবে) যাদেরকে ঐতিহাসিকগণ ফাসিক কাজ্জাব, মিথ্যাশ্রয়ী বলে অভিহিত করেছেন। কাজেই তাদের উদ্ভাবিত এ প্রথা শরীয়ত সমর্থিত কাজ হতে পারে না। বরং তা শরিআত মতে বিদআত ও নাজায়েজ। ’
দুই। ‘ইসলাম ধর্ম মুসলমানদের জন্য বছরে দুটি ঈদ নির্ধারিত করেছে। ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর। এছাড়া শরীয়তের কোথাও তিন নম্বর কোন ঈদের উল্লেখ নাই। তাহলে এখন শেষ যুগে এসে ঈদে মিলাদুন্নবী নামে আরো একটি মনগড়া ঈদের সংযোজন বিদআত নয়তো কি?
তিন। ‘মহানবী (সা)’র জন্মের মাস সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের অনেক মতানৈক্য রয়েছে। অনেকের মতে তিনি সফর মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন। আবার কেউ বলেন রজব, কেউ বলেন রবিউস সানী, আবার কেউ রমযান মাসকেও মহানবী (সা)’র জন্ম গ্রহণের মাস বলেছেন। কিন্তু মহানবী (সা) রবিউল আউয়ালে ইন্তেকাল করেছিলেন এ ব্যাপারে সবাই নিশ্চিত। কারো কোন দ্বিমত নেই। সেইহেতু এ মাস উৎসব বা আনন্দের হতে পারে না। বরং ভীষণ শোকের মাস হওয়াই যুক্তিযুক্ত। তা সত্বেও শোক প্রকাশের বিপরীতে ইন্তেকালের মাসে ঈদ বা আনন্দ করা নিশ্চয় বেআদবী ও ধৃষ্টতা প্রদর্শন বৈ কিছুই নয়। ’
সর্বশেষে লিখেছেন-
‘মোদ্দাকথা হচ্ছে উলামায়ে কিরামের ঐক্যমতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) উদযাপন-এর জন্য বর্ণাঢ্য মিছিল ইত্যাদি সম্পূর্ণ নাজায়েয, বিদআত। ’
সম্মানিত পাঠকগণ- আপনারা এতণ পর্যন্ত মুফতি শফিক সাহেবের বক্তব্য শুনলেন। তার বক্তব্যের অধিকাংশ জবাব ইতোপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। এখানেও ধারাবাহিকভাবে কিছু আলোচনা করব ইনশায়াল্লাহ।
মুফতি সাহেব মিলাদুন্নবীকে নাজায়েয বলতে গিয়ে প্রথমেই যে প্রতারণা করেছেন তা হল তিনি সুলতান আবু সাঈদ মুজাফফর ও আবুল খাত্তাব ইবনে দাহইয়াকে ফাসিক, কাজ্জাব ও মিথ্যাশ্রয়ী বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এ ব্যাপারে তিনি কোন দলিল বা উদ্ধৃতি পেশ করতে সম হননি।
এবার দেখুন জগৎবিখ্যাত ইমাম নবম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ আল্লামা জালাল উদ্দিন সুয়ূতি রাদিয়াল্লাহু আনহু সুলতান মুজাফফর সম্বন্ধে ‘হুসনুল মাকসাদ ফি আমালিল মাওলিদ’ নামক কিতাবে কি লিখেছেন-
واول من احدث فعل ذالك صاحب اربل الملك المظفر ابو سعيد كوكبرى بن زين الدين على بن بكتكين احد الملوك الامجاد والكبراء الاجواد- وكان له اثار حسنة- وهوالذى عمر الجامع المظفرى- (الحاوى للفتاوى
অর্থ: প্রচলিত মিলাদ মাহফিলের প্রথম সূত্রপাত করেন আরবলের বাদশাহ মুজাফফর আবু সাঈদ কাউকাবরী বিন যাইন উদ্দিন আলী বিন বাকতাকাইন। তিনি একজন সম্মানী বাদশাহ এবং বড় দানশীল ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর অনেক উত্তম নিদর্শন রয়েছে। তিনি ‘জামেয়া মুজাফফরী’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। (আল হাবী লিল ফাতাওয়া)
অতঃপর ইমাম সুয়ুতি রাদিয়াল্লাহু আনহু বিশ্ববিখ্যাত মুফাসসির আল্লামা ইবনে কাছির রাদিয়াল্লাহু আনহু এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন-
قال ابن كثير فى تاريخه- كان يعمل المولد الشريف فى ربيع الاول- ويحتفل به احتفالا هائلا وكان شهما شجاعا بطلا عاقلا عالما عادلا رحمه الله واكرم مثواه- (الحاوى للفتاوى)
অর্থ: ইবনে কাছির রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর তারিখ গ্রন্থে বলেন- বাদশাহ মুজাফফর রবিউল আউয়াল মাসে জাঁকজমক সহকারে মিলাদুন্নবীর মাহফিল আয়োজন করতেন। তিনি ছিলেন একাধারে বীর বাহাদুর, সাহসী, জ্ঞানী, আলেম ও ন্যায়পরায়ণ। আল্লাহ তাঁর প্রতি রহম করুন এবং তাঁর কবরজগৎকে সম্মানিত করুন। (আল হাবী লিল ফতোয়া)
অনুরূপভাবে আল্লামা ইমাম সুয়ুতি রাদিয়াল্লাহু আনহু স্বীয় কিতাবে শেখ আবুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু এর প্রশংসা করে লিখেছেন-
وقد صنف له الشيخ ابو الخطاب بن دحية مجلدا فى المولد النبوى سماه التنوير فى مولد البشير النذير- فاجازه على ذالك بالف دينار- (الحاوى للفتاوى)
অর্থ: শায়খ আবুল খাত্তাব বিন দাহইয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু বাদশাহ মুজাফফর এর জন্য মিলাদুন্নবীর উপর একটি কিতাব রচনা করেন এবং নামকরণ করেন ‘আত তানভীর ফি মাওলিদিল বাশিরিন নাজির’। এজন্য বাদশাহ তাঁকে খুশি হয়ে এক হাজার দিনার পুরস্কার প্রদান করেন। (আল হাবী লিল ফতোয়া)
অতঃপর ইমাম সুয়ুতি রাদিয়াল্লাহু আনহু ইবনে খাল্লিকান এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন-
قال ابن خلكان فى ترجمة الحافظ ابى الخطاب بن دحية- كان من اعيان العلماء ومشاهير الفضلاء- (الحاوى للفتاوى)
অর্থ: ইবনে খাল্লিকান হাফিজ আবুল খাত্তাব বিন দাহইয়া এর জীবনীতে লিখেছেন- ‘তিনি ছিলেন সে যুগের বিখ্যাত উলামা ও সুপ্রসিদ্ধ ফুদালা তথা বুজুর্গদের মধ্যে অন্যতম। (আল হাবী লিল ফতোয়া)
উপরোল্লেখিত দলিলভিত্তিক আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, বাদশাহ মুজাফফর রাদিয়াল্লাহু আনহু ও শেখ হাফিজ আবুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু ন্যায় পরায়ণ, আলিম ও বুজুর্গ ব্যক্তি ছিলেন। অথচ মুফতি শফিকুর রহমান সাহেব তাদেরকে ফাসিক, কাজ্জাব ও মিথ্যাশ্রয়ী বলে নিজেই মিথ্যাচার করেছেন।
অতঃপর শফিকুর রহমান সাহেব দ্বিতীয় যে প্রতারণা করেছেন তা হলো তিনি লিখিছেন- ‘ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা ছাড়া শরিয়তের কোথাও তিন নম্বর কোন ঈদ নেই। অথচ হাদিস শরীফে এ দুদিন ব্যতীত আরো অন্যান্য ঈদের দিনের প্রমাণ রয়েছে।
যেমন মিশকাত শরীফের ১২১ পৃষ্ঠায় বর্ণিত একটি হাদিস-
عن ابن عباس انه قرء- (اليوم اكملت لكم دينكم الاية) وعنده يهودى فقال لو نزلت هذه الاية علينا لاتخذنا ها عيدا فقال ابن عباس فانها نزلت فى يوم عيدين فى يوم جمعة ويوم عرفة- (رواه الترمذى)
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত- তিনি একদা اليوم اكملت لكم دينكم আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন (যার অর্থ হলো আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম) এমতাবস্থায় সেখানে একজন ইহুদি লোক ছিল। সে বলল, যদি আয়াতটি আমাদের ধর্মে নাজিল হতো তাহলে আমরা এ দিনটিকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করতাম। তখন ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন এ আয়াতটি যে দিন নাজিল হয়েছিল সেদিন দুটি ঈদের সমাহার ছিল। একটি জুমার দিনের ঈﷺ অন্যটি আরাফা দিবসের ঈﷺ (তিরমিজি)
উক্ত হাদিসে জুমার দিন ও আরাফাতের দিনকে ঈদের দিন বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আল্লামা ইসমাইল হাক্বী রাদিয়াল্লাহু আনহু তাফসিরে রুহুল বয়ান কিতাবে উল্লেখ করেছেন-
العيد امة محمد عليه السلام وهو ثلاثة- عيد يتكرر كل اسبوع وعيدان يأتينان فى كل عام مرة من غير تكرر فى السنة- فاما العيد المتكرر فهو يوم الجمعة وهو عيد الاسبوع-
অর্থ: উম্মতে মুহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঈদ হলো তিনটি। তন্মধ্যে একটি ঈদ প্রতি সপ্তাহে বারবার আসে। আর অপর দুটি ঈদ প্রতি বৎসর একবার আসে। বারবার আগমনকারী ঈদ হলো জুমার দিন। ইহা সাপ্তাহিক ঈﷺ (আহলে সুন্নাত বনাম আহলে বিদআত)
সম্মানিত পাঠকগণ! উল্লেখিত হাদিস ও তাফসির দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা ছাড়াও আরো ঈদের দিন আছে। যেমন শুক্রবারদিন সাপ্তাহিক ঈদ আর জিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখ আরাফার দিন বার্ষিক ঈﷺ অথচ শফিকুর রহমান সাহেব বললেন শরিয়তের কোথাও তিন নম্বর কোন ঈদ নাই। ইহা তার মিথ্যাচার নয় কি?
অবশেষে মুফতি সাহেব তৃতীয় যে প্রতারণা করলেন তা হলো, তিনিও হামিদী সাহেবের সূরে সুর মিলিয়ে বললেন- ১২ই রবিউল আউয়াল নবীজীর ইন্তেকালের দিন। আর ইন্তেকালের দিন আনন্দ প্রকাশ করা বেআদবী ও ধৃষ্টতা প্রদর্শন বৈ কিছুই নয়।
এ প্রশ্নের জবাব ইতোপূর্বে ইমাম জালাল উদ্দিন সুয়ূতি রাদিয়াল্লাহু আনহু এর ‘আল হাবী লিল ফতোয়া’ কিতাব থেকে প্রদান করেছি।
এখানে শুধু এতটুকু বলব ‘বাংলা ভাষায় একটি প্রবাদ আছে- ‘সব শিয়ালের এক রাও’ শফিকুর রহমান এর বক্তব্যে সে কথারই প্রমান বহন করে।
হামিদী সাহেব কিন্তু রবিউল আউয়াল মাসকে স্বীকার করেছেন। শুধুমাত্র ১২ তারিখকে অস্বীকার করেছেন। কিন্তু এই মুফতি রবিউল আউয়াল মাসকেই অস্বীকার করেছেন। তিনি রবিউল আউয়াল মাসের নাম পর্যন্ত উল্লেখ করেননি। তার মতে নবীজীর বেলাদত হয়েছিল সফর মাসে, অথবা রজব মাসে, অথবা রবিউস সানী মাসে অথবা রমজান মাসে। আসলে ইহা তাদের প্রতারণা। কারণ নবীজীর জন্মতারিখ নিয়ে যেভাবে মতনৈক্য রয়েছে ঠিক তেমনিভাবে ওফাতের তারিখ নিয়েও মতানৈক্য আছে। কিন্তু মিলাদুন্নবী উদযাপন বিদ্বেষীরা ওফাতুন্নবীর মতানৈক্যকে উল্লেখ করে না তাদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য।
আল্লামা ইবনে কাছির ‘আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া’ গ্রন্থের ৫ম খণ্ডের ২৫৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন যে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে নবীজীর ওফাত হয়েছে রবিউল আউয়াল মাসের ১০ তারিখ এবং হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত আছে- নবীজীর ওফাত হয়েছে রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ।
তাছাড়া কেউ বলেছেন রবিউল আউয়াল মাসের ১ অথবা ২ অথবা ৮ অথবা ১৫ তারিখ আবার কেউ বলেছেন ১১ রমজান। (আল ওফাউল ওফা) গং।
সুতরাং আমাদের দেখতে হবে প্রসিদ্ধ মত কোনটি। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিশ্ববিখ্যাত সীরাত গ্রন্থ السيرة النبوية তে বর্ণিত হয়েছে-
قال ابن اسحاق ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم الاثنين لاثنتى عشرة ليلة خلت من شهر ربيع الاول عام الفيل-
অর্থ: ইবনে ইসহাক বলেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হস্তিবর্ষে রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ সোমবার দিনে জন্মগ্রহণ করেছেন। (সীরাতে ইবনে হিশাম)
অতঃপর উক্ত কিতাবে পার্শ্বটীকায় বর্ণিত হয়েছে এভাবে-
اختلف فى مولده صلى الله عليه وسلم -فذكر انه كان فى ربيع الاول وهو المعروف-
অর্থ: নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বেলাদত সম্পর্কে মতানৈক্য রয়েছে তবে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ অভিমত হলো রবিউল আউয়াল মাস।
আল্লামা ইবনে কাছির স্বীয় ‘বেদায়া ওয়ান নেহায়া’ গ্রন্থে বলেছেন-
عن عفان عن سعيد بن مينا عن جابر وابن عباس انهما قالا ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم عام الفيل يوم الاثنين الثانى عشر من شهر ربيع الاول وفيه بعث وفيه هاجر وفيه مات وهذا هو المشهور-
অর্থ: হযরত আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু হযরত সাঈদ বিন মিনা থেকে, তিনি হযরত জাবের ও হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন, তাঁরা উভয়ে বলেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হস্তিবর্ষে সোমবার দিনে ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন। এই দিনেই তিনি নবুয়তের দায়িত্ব পেয়েছেন, এই দিনেই তিনি হিজরত করেছেন এবং এই দিনেই তিনি ওফাত পেয়েছেন। ইবনে কাছির বলেন- ইহাই সবচেয়ে প্রসিদ্ধ অভিমত। (নূর নবী)
অতএব প্রমাণিত হলো- ঐতিহাসিকদের প্রসিদ্ধ অভিমত অনুযায়ী নবীজী রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ সোমবার দিনে সোবহে সাদিকের সময় এই পৃথিবীতে আগমন করেছেন।
Home
»
কিতাবঃ বিভ্রান্তির অবসান
» ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ সম্বন্ধে শফিকুর রহমানের মিথ্যাচার [কিতাবঃ বিভ্রান্তির অবসান (ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ প্রসঙ্গে) 🖋হাফেজ ইকরাম উদ্দীন]