শবে মিলাদ শবে কদর থেকে উত্তম

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">শবে মিলাদ শবে কদর হতে উত্তম<br />================<br />উস্তাযুল মুহাদ্দিসিন আল্লামা শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রাঃ) তদীয় ‘মাসাবাতা মিনাসসুন্নাহ’ নামক কিতাবের ৭৭/৭৮ পৃষ্ঠায় লিখেন-<br />اذا قلنا انه ولد ليلا فتلك الليلة افضل من ليلة القدر بلاشبهة لان ليلة المولودة ليلة ظهوره صلى الله عليه وسلم وليلة القدر معطاةله০<br />অর্থাৎ মিলাদ শরীফের রাত্রি শবে কদর হতে যে উত্তম তাতে সন্দেহের অবকাশ মাত্র নেই। কেননা মিলাদ শরীফের রাত আল্লাহর হাবিবের<br />দুনিয়াতে আবির্ভূত হওয়ার রাত্রি এবং শবে কদর হুজুর সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তা’য়ালা দান করেছেন।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhOKJvVYz5ox8exAiMT65iF44bbAauzdoS0zeynnwHuEatkAoet_lL3Hoif4YMC2PvtlgXJ62qjjx5-mrKwt7VEXGb3OystX97kIgdr8wQeK5dr8yFADO4FKTvCGaXfVQuAvMsDpzfGME5P/s1600/FB_IMG_15446366356392822.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="658" data-original-width="1080" height="194" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhOKJvVYz5ox8exAiMT65iF44bbAauzdoS0zeynnwHuEatkAoet_lL3Hoif4YMC2PvtlgXJ62qjjx5-mrKwt7VEXGb3OystX97kIgdr8wQeK5dr8yFADO4FKTvCGaXfVQuAvMsDpzfGME5P/s320-rw/FB_IMG_15446366356392822.jpg" width="320" /></a></div><br />ইমাম কাস্তালানী ‘মাওয়াহিবে লাদুনিয়া’ নামক কিতাবের ১ম জিলদের ২৬/২৭ পৃষ্ঠায় শবে কদর হতে শবে মিলাদ যে উত্তম এর তিনটি দলিল পেশ করেছেন-<br />احدها ان ليلة  المولود ليلة ظهو ره صلى الله عليه وسلم وليلة القدر معطاة له وما شرف بظهور ذات المشرف من اجله اشرف مما شرف بسبب ما اعطيه ولا نزاع فى ذلك فكانت ليلة المولودبهذا الاعتبار افضل০<br />الثانى ان ليلة القدر شرفت بنزول الملائكة فيها وليلة المولود شرفت بظهوره صلى الله عليه وسلم فيها  ومن شرفت به ليلة المولود افضل ممن شرفت بهم ليلة القدر  على الاصح المرتضى فتكون ليلة المولود افضل০<br />الثالث ان ليلة القدر وقع التفضل فيها على امة محمد صلى الله عليه وسلم وليلة المولود الشريف وقع التفضل فيها على سائر الموجودات فهو الذى بعثه الله عز وجل رحمة للعالمين فعمت به النعمة على جميع الخلائق০<br />অর্থাৎ ১ম দলিল- মিলাদুন্নবীর রাতে আল্লাহর হাবিব এই পৃথিবীতে শুভাগমন করেছেন এবং কদরের রাত তাঁকে দান করা হয়েছে। আর ঐ বিষয়ে কোন বিতর্ক নেই, যে রাত তাঁকে দান করার কারণে সম্মানিত হয়েছে, সে রাত হতে ঐ রাত উত্তম যে রাতে স্বয়ং তিনি আগমন করার<br /><br />কারণে সম্মানিত হয়েছে। সুতরাং এই দৃষ্টিকোণ থেকে শবে মিলাদ শবে কদর হতে উত্তম।<br />২য় দলিল- নিশ্চয় কদরের রাত সম্মানিত হয়েছে, ফেরেশতাগণ এই রাতে জমিনে অবতীর্ণ হওয়ার কারণে এবং মিলাদুন্নবীর রাত সম্মানিত হয়েছে, এ রাতে স্বয়ং হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীতে আগমন করার কারণে। যে রাত আল্লাহর হাবিবের আগমনের কারণে সম্মানিত হয়েছে, তা উত্তম ঐ রাত হতে, যে রাতে সম্মানিত হয়েছে ফেরেশতাগণ জমিনে অবতীর্ণ হওয়ার কারণে। এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত যে মিলাদুন্নবীর রাত উত্তম।<br />৩য় দলিল- নিশ্চয় শবে কদরের ফজিলত শুধুমাত্র উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য খাস পান্তরে শবে মিলাদের ফজিলত সমস্ত মাখলুকাতের জন্য আম বা ব্যাপক। কেননা মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তা’য়ালা রাহমাতুল্লিল আলামিন করে প্রেরণ করছেন।<br /><br />সবিস্তার আলোচনা<br />(ক) সরকারে কায়েনাত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রাতে হযরত আব্দুল্লাহ এবং হযরত আমিনা রাদিয়াল্লাহু আনহুমার উসিলায় দুনিয়াতে তাশরিফ আনয়ন করেছিলেন সে রাতের নামই হলো ‘শবে মিলাদ’ বা মিলাদ শরীফের রাত এবং শবে মিলাদ আল্লাহর হাবিবের দুনিয়াতে তাশরিফ আনয়ন করার বদৌলতে সম্মানিত হয়েছে। পান্তারে ‘শবে কদর’ বা মহামূল্যবান রাত আল্লাহ পাক সরকারে কায়েনাত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দান করেছেন। প্রকাশ থাকে যে, ‘দানকৃত বস্তু’ যাকে দান করা হয়েছে, সে ব্যক্তি হতে উত্তম হতে পারে না বরং যাকে দান করা হয়েছে সে ব্যক্তিই ‘দানকৃত বস্তু’ হতে উত্তম হয়ে থাকেন। যেহেতু ‘শবে কদর’ আল্লাহর হাবিবকে দান করা হয়েছে, সেহেতু শবে কদর হল ‘দানকৃত’ এবং দানকৃত বস্তু (শবে কদর) হতে যাকে দান করা হয়েছে। (হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিনি যে উত্তম তাতে সন্দেহের অবকাশ থাকতে পারে না।<br />উত্তম জিনিসের প্রকাশ যেখানে হয় সে জায়গাই প্রকাশিত জিনিসের মর্যাদা অনুযায়ী সম্মান লাভ করে থাকে। যেমন পরশমণি। পরশমণি যেখানে ষ্পর্শ করে সেখানেই তো স্বর্ণরূপে পরিগণিত হয়ে যায়। সুতরাং ‘শবে মিলাদ’(যে রাত্রিতে স্বয়ং নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়াতে আবির্ভূত হয়েছেন) শবে কদর (যে রাত্রিতে হুজুরকে দান করা হয়েছে) হতে উত্তম বলে প্রমাণিত হল।<br />(খ) অসংখ্য ফেরেশতা জমিনে অবতীর্ণ হওয়ার দরুণ ‘শবে কদর’ সম্মান লাভ করেছে। পান্তরে সরকারে কায়েনাত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়াতে আবির্ভূত হওয়ার তোফায়েলে ‘মিলাদ শরীফের’ রাত সম্মানিত হয়েছে।<br />দেখুন, জমিনে নূরনবীর আবির্ভাব ও ফেরেশতাগণের অবতরণ উভয়ের মধ্যে কত ব্যবধান!<br />আল্লাহর হাবিব স্বশরীরে জীবিতাবস্থায় মদীনা তৈয়্যবাতে রওজা পাকে শায়িত আছেন, স্বশরীরে বিশ্বের সর্বত্র পরিভ্রমণ করে থাকেন, তাঁর শরীর মোবারকের সঙ্গে যে মাটি লাগান আছে সে মাটির মর্তবা (সম্মান) আল্লাহ পাকের আরশ হতেও অনেক গুণে বেশি। সুতরাং নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রাতে আবির্ভূত হয়েছেন সে রাতের ফজিলত যে বেশি হবে, এতে কি সন্দেহের অবকাশ থাকতে পারে? কখনই না।<br />(গ) আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ‘কদরের রাত’ দান করেছেন, শুধুমাত্র উম্মতে মুহাম্মদীর উপর এহসান করার মানসে, সকল সৃষ্ট জীবের উপর নয়। পান্তরে মিলাদ শরীফের রাত্রিতে শুধু উম্মতে মুহাম্মদীর উপরই নয় বরং সমস্ত সৃষ্ট জীবের উপর এহসান করেছেন, কেননা হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিফত বা গুণ ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ অর্থাৎ আল্লাহর হাবিব সমস্ত সৃষ্টির জন্য রহমত, এ কারণেই আল্লাহর নিয়ামত আসমান ও জমিনের সমস্ত সৃষ্টির উপর আম (একরূপ) হয়ে গিয়েছে। সুতরাং মিলাদ শরীফেল রাতে আল্লাহ পাক আম রহমত করেছেন, সেহেতু শবে মিলাদ শবে কদর হতে উত্তম বলে বিবেচিত হয়েছে।</div>

শবে মিলাদ শবে কদর থেকে উত্তম

শবে মিলাদ শবে কদর হতে উত্তম ================ উস্তাযুল মুহাদ্দিসিন আল্লামা শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রাঃ) তদীয় ‘মাসাবাতা মিনাসসুন্নাহ’...

Read more »

শবে মিলাদ শবে কদর থেকে উত্তম

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> শবে মিলাদ শবে কদর হতে উত্তম<br /> ================<br /> উস্তাযুল মুহাদ্দিসিন আল্লামা শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রাঃ) তদীয় ‘মাসাবাতা মিনাসসুন্নাহ’ নামক কিতাবের ৭৭/৭৮ পৃষ্ঠায় লিখেন-<br /> اذا قلنا انه ولد ليلا فتلك الليلة افضل من ليلة القدر بلاشبهة لان ليلة المولودة ليلة ظهوره صلى الله عليه وسلم وليلة القدر معطاةله০<br /> অর্থাৎ মিলাদ শরীফের রাত্রি শবে কদর হতে যে উত্তম তাতে সন্দেহের অবকাশ মাত্র নেই। কেননা মিলাদ শরীফের রাত আল্লাহর হাবিবের<br /> দুনিয়াতে আবির্ভূত হওয়ার রাত্রি এবং শবে কদর হুজুর সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তা’য়ালা দান করেছেন।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh7OjSj05pb6nVC0WuRvjScfn3K7HkhYjH0RTf2StQASxO8pVbL3u0zjksUX23DqmqSAac2HQnMTIdDhXGVaR0HZPYUxuvO9OIRNGV_fzwpp2paf2AH9sQwUAa03yOBXB1ac1Qi1SonQdjt/s1600/FB_IMG_15446366356392822.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="658" data-original-width="1080" height="194" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh7OjSj05pb6nVC0WuRvjScfn3K7HkhYjH0RTf2StQASxO8pVbL3u0zjksUX23DqmqSAac2HQnMTIdDhXGVaR0HZPYUxuvO9OIRNGV_fzwpp2paf2AH9sQwUAa03yOBXB1ac1Qi1SonQdjt/s320-rw/FB_IMG_15446366356392822.jpg" width="320" /></a></div> <br /> ইমাম কাস্তালানী ‘মাওয়াহিবে লাদুনিয়া’ নামক কিতাবের ১ম জিলদের ২৬/২৭ পৃষ্ঠায় শবে কদর হতে শবে মিলাদ যে উত্তম এর তিনটি দলিল পেশ করেছেন-<br /> احدها ان ليلة  المولود ليلة ظهو ره صلى الله عليه وسلم وليلة القدر معطاة له وما شرف بظهور ذات المشرف من اجله اشرف مما شرف بسبب ما اعطيه ولا نزاع فى ذلك فكانت ليلة المولودبهذا الاعتبار افضل০<br /> الثانى ان ليلة القدر شرفت بنزول الملائكة فيها وليلة المولود شرفت بظهوره صلى الله عليه وسلم فيها  ومن شرفت به ليلة المولود افضل ممن شرفت بهم ليلة القدر  على الاصح المرتضى فتكون ليلة المولود افضل০<br /> الثالث ان ليلة القدر وقع التفضل فيها على امة محمد صلى الله عليه وسلم وليلة المولود الشريف وقع التفضل فيها على سائر الموجودات فهو الذى بعثه الله عز وجل رحمة للعالمين فعمت به النعمة على جميع الخلائق০<br /> অর্থাৎ ১ম দলিল- মিলাদুন্নবীর রাতে আল্লাহর হাবিব এই পৃথিবীতে শুভাগমন করেছেন এবং কদরের রাত তাঁকে দান করা হয়েছে। আর ঐ বিষয়ে কোন বিতর্ক নেই, যে রাত তাঁকে দান করার কারণে সম্মানিত হয়েছে, সে রাত হতে ঐ রাত উত্তম যে রাতে স্বয়ং তিনি আগমন করার<br /> <br /> কারণে সম্মানিত হয়েছে। সুতরাং এই দৃষ্টিকোণ থেকে শবে মিলাদ শবে কদর হতে উত্তম।<br /> ২য় দলিল- নিশ্চয় কদরের রাত সম্মানিত হয়েছে, ফেরেশতাগণ এই রাতে জমিনে অবতীর্ণ হওয়ার কারণে এবং মিলাদুন্নবীর রাত সম্মানিত হয়েছে, এ রাতে স্বয়ং হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীতে আগমন করার কারণে। যে রাত আল্লাহর হাবিবের আগমনের কারণে সম্মানিত হয়েছে, তা উত্তম ঐ রাত হতে, যে রাতে সম্মানিত হয়েছে ফেরেশতাগণ জমিনে অবতীর্ণ হওয়ার কারণে। এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত যে মিলাদুন্নবীর রাত উত্তম।<br /> ৩য় দলিল- নিশ্চয় শবে কদরের ফজিলত শুধুমাত্র উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য খাস পান্তরে শবে মিলাদের ফজিলত সমস্ত মাখলুকাতের জন্য আম বা ব্যাপক। কেননা মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তা’য়ালা রাহমাতুল্লিল আলামিন করে প্রেরণ করছেন।<br /> <br /> সবিস্তার আলোচনা<br /> (ক) সরকারে কায়েনাত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রাতে হযরত আব্দুল্লাহ এবং হযরত আমিনা রাদিয়াল্লাহু আনহুমার উসিলায় দুনিয়াতে তাশরিফ আনয়ন করেছিলেন সে রাতের নামই হলো ‘শবে মিলাদ’ বা মিলাদ শরীফের রাত এবং শবে মিলাদ আল্লাহর হাবিবের দুনিয়াতে তাশরিফ আনয়ন করার বদৌলতে সম্মানিত হয়েছে। পান্তারে ‘শবে কদর’ বা মহামূল্যবান রাত আল্লাহ পাক সরকারে কায়েনাত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দান করেছেন। প্রকাশ থাকে যে, ‘দানকৃত বস্তু’ যাকে দান করা হয়েছে, সে ব্যক্তি হতে উত্তম হতে পারে না বরং যাকে দান করা হয়েছে সে ব্যক্তিই ‘দানকৃত বস্তু’ হতে উত্তম হয়ে থাকেন। যেহেতু ‘শবে কদর’ আল্লাহর হাবিবকে দান করা হয়েছে, সেহেতু শবে কদর হল ‘দানকৃত’ এবং দানকৃত বস্তু (শবে কদর) হতে যাকে দান করা হয়েছে। (হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিনি যে উত্তম তাতে সন্দেহের অবকাশ থাকতে পারে না।<br /> উত্তম জিনিসের প্রকাশ যেখানে হয় সে জায়গাই প্রকাশিত জিনিসের মর্যাদা অনুযায়ী সম্মান লাভ করে থাকে। যেমন পরশমণি। পরশমণি যেখানে ষ্পর্শ করে সেখানেই তো স্বর্ণরূপে পরিগণিত হয়ে যায়। সুতরাং ‘শবে মিলাদ’(যে রাত্রিতে স্বয়ং নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়াতে আবির্ভূত হয়েছেন) শবে কদর (যে রাত্রিতে হুজুরকে দান করা হয়েছে) হতে উত্তম বলে প্রমাণিত হল।<br /> (খ) অসংখ্য ফেরেশতা জমিনে অবতীর্ণ হওয়ার দরুণ ‘শবে কদর’ সম্মান লাভ করেছে। পান্তরে সরকারে কায়েনাত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়াতে আবির্ভূত হওয়ার তোফায়েলে ‘মিলাদ শরীফের’ রাত সম্মানিত হয়েছে।<br /> দেখুন, জমিনে নূরনবীর আবির্ভাব ও ফেরেশতাগণের অবতরণ উভয়ের মধ্যে কত ব্যবধান!<br /> আল্লাহর হাবিব স্বশরীরে জীবিতাবস্থায় মদীনা তৈয়্যবাতে রওজা পাকে শায়িত আছেন, স্বশরীরে বিশ্বের সর্বত্র পরিভ্রমণ করে থাকেন, তাঁর শরীর মোবারকের সঙ্গে যে মাটি লাগান আছে সে মাটির মর্তবা (সম্মান) আল্লাহ পাকের আরশ হতেও অনেক গুণে বেশি। সুতরাং নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রাতে আবির্ভূত হয়েছেন সে রাতের ফজিলত যে বেশি হবে, এতে কি সন্দেহের অবকাশ থাকতে পারে? কখনই না।<br /> (গ) আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ‘কদরের রাত’ দান করেছেন, শুধুমাত্র উম্মতে মুহাম্মদীর উপর এহসান করার মানসে, সকল সৃষ্ট জীবের উপর নয়। পান্তরে মিলাদ শরীফের রাত্রিতে শুধু উম্মতে মুহাম্মদীর উপরই নয় বরং সমস্ত সৃষ্ট জীবের উপর এহসান করেছেন, কেননা হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিফত বা গুণ ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ অর্থাৎ আল্লাহর হাবিব সমস্ত সৃষ্টির জন্য রহমত, এ কারণেই আল্লাহর নিয়ামত আসমান ও জমিনের সমস্ত সৃষ্টির উপর আম (একরূপ) হয়ে গিয়েছে। সুতরাং মিলাদ শরীফেল রাতে আল্লাহ পাক আম রহমত করেছেন, সেহেতু শবে মিলাদ শবে কদর হতে উত্তম বলে বিবেচিত হয়েছে।</div>

শবে মিলাদ শবে কদর থেকে উত্তম

শবে মিলাদ শবে কদর হতে উত্তম ================ উস্তাযুল মুহাদ্দিসিন আল্লামা শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রাঃ) তদীয় ‘মাসাবাতা মিনাসসুন্ন...

Read more »

শবে মিলাদ শবে কদর থেকে উত্তম

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />শবে মিলাদ শবে কদর হতে উত্তম<br /><br />================<br /><br />উস্তাযুল মুহাদ্দিসিন আল্লামা শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রাঃ) তদীয় ‘মাসাবাতা মিনাসসুন্নাহ’ নামক কিতাবের ৭৭/৭৮ পৃষ্ঠায় লিখেন-<br /><br />اذا قلنا انه ولد ليلا فتلك الليلة افضل من ليلة القدر بلاشبهة لان ليلة المولودة ليلة ظهوره صلى الله عليه وسلم وليلة القدر معطاةله০<br /><br />অর্থাৎ মিলাদ শরীফের রাত্রি শবে কদর হতে যে উত্তম তাতে সন্দেহের অবকাশ মাত্র নেই। কেননা মিলাদ শরীফের রাত আল্লাহর হাবিবের<br /><br />দুনিয়াতে আবির্ভূত হওয়ার রাত্রি এবং শবে কদর হুজুর সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তা’য়ালা দান করেছেন।<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEitGi0SS4dsT9iz3GivdB6wDNtSJHe3GAvFujeZSGcgrH6ZwGp-ktnnYk1vdoS89yKVWWEz1RtkIlptBnuswKzYeHUAvD13vpbG8GmMwZ1V6zFgHgrYa8s59eS89n_wfFBu4witbu-jpEWg/s1600/FB_IMG_15446366356392822.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="658" data-original-width="1080" height="194" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEitGi0SS4dsT9iz3GivdB6wDNtSJHe3GAvFujeZSGcgrH6ZwGp-ktnnYk1vdoS89yKVWWEz1RtkIlptBnuswKzYeHUAvD13vpbG8GmMwZ1V6zFgHgrYa8s59eS89n_wfFBu4witbu-jpEWg/s320-rw/FB_IMG_15446366356392822.jpg" width="320" /></a></div><br /><br /><br />ইমাম কাস্তালানী ‘মাওয়াহিবে লাদুনিয়া’ নামক কিতাবের ১ম জিলদের ২৬/২৭ পৃষ্ঠায় শবে কদর হতে শবে মিলাদ যে উত্তম এর তিনটি দলিল পেশ করেছেন-<br /><br />احدها ان ليلة  المولود ليلة ظهو ره صلى الله عليه وسلم وليلة القدر معطاة له وما شرف بظهور ذات المشرف من اجله اشرف مما شرف بسبب ما اعطيه ولا نزاع فى ذلك فكانت ليلة المولودبهذا الاعتبار افضل০<br /><br />الثانى ان ليلة القدر شرفت بنزول الملائكة فيها وليلة المولود شرفت بظهوره صلى الله عليه وسلم فيها  ومن شرفت به ليلة المولود افضل ممن شرفت بهم ليلة القدر  على الاصح المرتضى فتكون ليلة المولود افضل০<br /><br />الثالث ان ليلة القدر وقع التفضل فيها على امة محمد صلى الله عليه وسلم وليلة المولود الشريف وقع التفضل فيها على سائر الموجودات فهو الذى بعثه الله عز وجل رحمة للعالمين فعمت به النعمة على جميع الخلائق০<br /><br />অর্থাৎ ১ম দলিল- মিলাদুন্নবীর রাতে আল্লাহর হাবিব এই পৃথিবীতে শুভাগমন করেছেন এবং কদরের রাত তাঁকে দান করা হয়েছে। আর ঐ বিষয়ে কোন বিতর্ক নেই, যে রাত তাঁকে দান করার কারণে সম্মানিত হয়েছে, সে রাত হতে ঐ রাত উত্তম যে রাতে স্বয়ং তিনি আগমন করার<br /><br /><br /><br />কারণে সম্মানিত হয়েছে। সুতরাং এই দৃষ্টিকোণ থেকে শবে মিলাদ শবে কদর হতে উত্তম।<br /><br />২য় দলিল- নিশ্চয় কদরের রাত সম্মানিত হয়েছে, ফেরেশতাগণ এই রাতে জমিনে অবতীর্ণ হওয়ার কারণে এবং মিলাদুন্নবীর রাত সম্মানিত হয়েছে, এ রাতে স্বয়ং হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীতে আগমন করার কারণে। যে রাত আল্লাহর হাবিবের আগমনের কারণে সম্মানিত হয়েছে, তা উত্তম ঐ রাত হতে, যে রাতে সম্মানিত হয়েছে ফেরেশতাগণ জমিনে অবতীর্ণ হওয়ার কারণে। এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত যে মিলাদুন্নবীর রাত উত্তম।<br /><br />৩য় দলিল- নিশ্চয় শবে কদরের ফজিলত শুধুমাত্র উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য খাস পান্তরে শবে মিলাদের ফজিলত সমস্ত মাখলুকাতের জন্য আম বা ব্যাপক। কেননা মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তা’য়ালা রাহমাতুল্লিল আলামিন করে প্রেরণ করছেন।<br /><br /><br /><br />সবিস্তার আলোচনা<br /><br />(ক) সরকারে কায়েনাত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রাতে হযরত আব্দুল্লাহ এবং হযরত আমিনা রাদিয়াল্লাহু আনহুমার উসিলায় দুনিয়াতে তাশরিফ আনয়ন করেছিলেন সে রাতের নামই হলো ‘শবে মিলাদ’ বা মিলাদ শরীফের রাত এবং শবে মিলাদ আল্লাহর হাবিবের দুনিয়াতে তাশরিফ আনয়ন করার বদৌলতে সম্মানিত হয়েছে। পান্তারে ‘শবে কদর’ বা মহামূল্যবান রাত আল্লাহ পাক সরকারে কায়েনাত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দান করেছেন। প্রকাশ থাকে যে, ‘দানকৃত বস্তু’ যাকে দান করা হয়েছে, সে ব্যক্তি হতে উত্তম হতে পারে না বরং যাকে দান করা হয়েছে সে ব্যক্তিই ‘দানকৃত বস্তু’ হতে উত্তম হয়ে থাকেন। যেহেতু ‘শবে কদর’ আল্লাহর হাবিবকে দান করা হয়েছে, সেহেতু শবে কদর হল ‘দানকৃত’ এবং দানকৃত বস্তু (শবে কদর) হতে যাকে দান করা হয়েছে। (হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিনি যে উত্তম তাতে সন্দেহের অবকাশ থাকতে পারে না।<br /><br />উত্তম জিনিসের প্রকাশ যেখানে হয় সে জায়গাই প্রকাশিত জিনিসের মর্যাদা অনুযায়ী সম্মান লাভ করে থাকে। যেমন পরশমণি। পরশমণি যেখানে ষ্পর্শ করে সেখানেই তো স্বর্ণরূপে পরিগণিত হয়ে যায়। সুতরাং ‘শবে মিলাদ’(যে রাত্রিতে স্বয়ং নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়াতে আবির্ভূত হয়েছেন) শবে কদর (যে রাত্রিতে হুজুরকে দান করা হয়েছে) হতে উত্তম বলে প্রমাণিত হল।<br /><br />(খ) অসংখ্য ফেরেশতা জমিনে অবতীর্ণ হওয়ার দরুণ ‘শবে কদর’ সম্মান লাভ করেছে। পান্তরে সরকারে কায়েনাত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়াতে আবির্ভূত হওয়ার তোফায়েলে ‘মিলাদ শরীফের’ রাত সম্মানিত হয়েছে।<br /><br />দেখুন, জমিনে নূরনবীর আবির্ভাব ও ফেরেশতাগণের অবতরণ উভয়ের মধ্যে কত ব্যবধান!<br /><br />আল্লাহর হাবিব স্বশরীরে জীবিতাবস্থায় মদীনা তৈয়্যবাতে রওজা পাকে শায়িত আছেন, স্বশরীরে বিশ্বের সর্বত্র পরিভ্রমণ করে থাকেন, তাঁর শরীর মোবারকের সঙ্গে যে মাটি লাগান আছে সে মাটির মর্তবা (সম্মান) আল্লাহ পাকের আরশ হতেও অনেক গুণে বেশি। সুতরাং নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রাতে আবির্ভূত হয়েছেন সে রাতের ফজিলত যে বেশি হবে, এতে কি সন্দেহের অবকাশ থাকতে পারে? কখনই না।<br /><br />(গ) আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ‘কদরের রাত’ দান করেছেন, শুধুমাত্র উম্মতে মুহাম্মদীর উপর এহসান করার মানসে, সকল সৃষ্ট জীবের উপর নয়। পান্তরে মিলাদ শরীফের রাত্রিতে শুধু উম্মতে মুহাম্মদীর উপরই নয় বরং সমস্ত সৃষ্ট জীবের উপর এহসান করেছেন, কেননা হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিফত বা গুণ ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ অর্থাৎ আল্লাহর হাবিব সমস্ত সৃষ্টির জন্য রহমত, এ কারণেই আল্লাহর নিয়ামত আসমান ও জমিনের সমস্ত সৃষ্টির উপর আম (একরূপ) হয়ে গিয়েছে। সুতরাং মিলাদ শরীফেল রাতে আল্লাহ পাক আম রহমত করেছেন, সেহেতু শবে মিলাদ শবে কদর হতে উত্তম বলে বিবেচিত হয়েছে।</div><br />

শবে মিলাদ শবে কদর থেকে উত্তম

শবে মিলাদ শবে কদর হতে উত্তম ================ উস্তাযুল মুহাদ্দিসিন আল্লামা শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রাঃ) তদীয় ‘মাসাবাতা মিনাসসুন্নাহ’...

Read more »

শবে মিলাদ শবে কদর থেকে উত্তম

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">শবে মিলাদ শবে কদর হতে উত্তম<br />================<br />উস্তাযুল মুহাদ্দিসিন আল্লামা শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রাঃ) তদীয় ‘মাসাবাতা মিনাসসুন্নাহ’ নামক কিতাবের ৭৭/৭৮ পৃষ্ঠায় লিখেন-<br />اذا قلنا انه ولد ليلا فتلك الليلة افضل من ليلة القدر بلاشبهة لان ليلة المولودة ليلة ظهوره صلى الله عليه وسلم وليلة القدر معطاةله০<br />অর্থাৎ মিলাদ শরীফের রাত্রি শবে কদর হতে যে উত্তম তাতে সন্দেহের অবকাশ মাত্র নেই। কেননা মিলাদ শরীফের রাত আল্লাহর হাবিবের<br />দুনিয়াতে আবির্ভূত হওয়ার রাত্রি এবং শবে কদর হুজুর সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তা’য়ালা দান করেছেন।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEitGi0SS4dsT9iz3GivdB6wDNtSJHe3GAvFujeZSGcgrH6ZwGp-ktnnYk1vdoS89yKVWWEz1RtkIlptBnuswKzYeHUAvD13vpbG8GmMwZ1V6zFgHgrYa8s59eS89n_wfFBu4witbu-jpEWg/s1600/FB_IMG_15446366356392822.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="658" data-original-width="1080" height="194" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEitGi0SS4dsT9iz3GivdB6wDNtSJHe3GAvFujeZSGcgrH6ZwGp-ktnnYk1vdoS89yKVWWEz1RtkIlptBnuswKzYeHUAvD13vpbG8GmMwZ1V6zFgHgrYa8s59eS89n_wfFBu4witbu-jpEWg/s320-rw/FB_IMG_15446366356392822.jpg" width="320" /></a></div><br />ইমাম কাস্তালানী ‘মাওয়াহিবে লাদুনিয়া’ নামক কিতাবের ১ম জিলদের ২৬/২৭ পৃষ্ঠায় শবে কদর হতে শবে মিলাদ যে উত্তম এর তিনটি দলিল পেশ করেছেন-<br />احدها ان ليلة  المولود ليلة ظهو ره صلى الله عليه وسلم وليلة القدر معطاة له وما شرف بظهور ذات المشرف من اجله اشرف مما شرف بسبب ما اعطيه ولا نزاع فى ذلك فكانت ليلة المولودبهذا الاعتبار افضل০<br />الثانى ان ليلة القدر شرفت بنزول الملائكة فيها وليلة المولود شرفت بظهوره صلى الله عليه وسلم فيها  ومن شرفت به ليلة المولود افضل ممن شرفت بهم ليلة القدر  على الاصح المرتضى فتكون ليلة المولود افضل০<br />الثالث ان ليلة القدر وقع التفضل فيها على امة محمد صلى الله عليه وسلم وليلة المولود الشريف وقع التفضل فيها على سائر الموجودات فهو الذى بعثه الله عز وجل رحمة للعالمين فعمت به النعمة على جميع الخلائق০<br />অর্থাৎ ১ম দলিল- মিলাদুন্নবীর রাতে আল্লাহর হাবিব এই পৃথিবীতে শুভাগমন করেছেন এবং কদরের রাত তাঁকে দান করা হয়েছে। আর ঐ বিষয়ে কোন বিতর্ক নেই, যে রাত তাঁকে দান করার কারণে সম্মানিত হয়েছে, সে রাত হতে ঐ রাত উত্তম যে রাতে স্বয়ং তিনি আগমন করার<br /><br />কারণে সম্মানিত হয়েছে। সুতরাং এই দৃষ্টিকোণ থেকে শবে মিলাদ শবে কদর হতে উত্তম।<br />২য় দলিল- নিশ্চয় কদরের রাত সম্মানিত হয়েছে, ফেরেশতাগণ এই রাতে জমিনে অবতীর্ণ হওয়ার কারণে এবং মিলাদুন্নবীর রাত সম্মানিত হয়েছে, এ রাতে স্বয়ং হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীতে আগমন করার কারণে। যে রাত আল্লাহর হাবিবের আগমনের কারণে সম্মানিত হয়েছে, তা উত্তম ঐ রাত হতে, যে রাতে সম্মানিত হয়েছে ফেরেশতাগণ জমিনে অবতীর্ণ হওয়ার কারণে। এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত যে মিলাদুন্নবীর রাত উত্তম।<br />৩য় দলিল- নিশ্চয় শবে কদরের ফজিলত শুধুমাত্র উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য খাস পান্তরে শবে মিলাদের ফজিলত সমস্ত মাখলুকাতের জন্য আম বা ব্যাপক। কেননা মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তা’য়ালা রাহমাতুল্লিল আলামিন করে প্রেরণ করছেন।<br /><br />সবিস্তার আলোচনা<br />(ক) সরকারে কায়েনাত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রাতে হযরত আব্দুল্লাহ এবং হযরত আমিনা রাদিয়াল্লাহু আনহুমার উসিলায় দুনিয়াতে তাশরিফ আনয়ন করেছিলেন সে রাতের নামই হলো ‘শবে মিলাদ’ বা মিলাদ শরীফের রাত এবং শবে মিলাদ আল্লাহর হাবিবের দুনিয়াতে তাশরিফ আনয়ন করার বদৌলতে সম্মানিত হয়েছে। পান্তারে ‘শবে কদর’ বা মহামূল্যবান রাত আল্লাহ পাক সরকারে কায়েনাত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দান করেছেন। প্রকাশ থাকে যে, ‘দানকৃত বস্তু’ যাকে দান করা হয়েছে, সে ব্যক্তি হতে উত্তম হতে পারে না বরং যাকে দান করা হয়েছে সে ব্যক্তিই ‘দানকৃত বস্তু’ হতে উত্তম হয়ে থাকেন। যেহেতু ‘শবে কদর’ আল্লাহর হাবিবকে দান করা হয়েছে, সেহেতু শবে কদর হল ‘দানকৃত’ এবং দানকৃত বস্তু (শবে কদর) হতে যাকে দান করা হয়েছে। (হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিনি যে উত্তম তাতে সন্দেহের অবকাশ থাকতে পারে না।<br />উত্তম জিনিসের প্রকাশ যেখানে হয় সে জায়গাই প্রকাশিত জিনিসের মর্যাদা অনুযায়ী সম্মান লাভ করে থাকে। যেমন পরশমণি। পরশমণি যেখানে ষ্পর্শ করে সেখানেই তো স্বর্ণরূপে পরিগণিত হয়ে যায়। সুতরাং ‘শবে মিলাদ’(যে রাত্রিতে স্বয়ং নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়াতে আবির্ভূত হয়েছেন) শবে কদর (যে রাত্রিতে হুজুরকে দান করা হয়েছে) হতে উত্তম বলে প্রমাণিত হল।<br />(খ) অসংখ্য ফেরেশতা জমিনে অবতীর্ণ হওয়ার দরুণ ‘শবে কদর’ সম্মান লাভ করেছে। পান্তরে সরকারে কায়েনাত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়াতে আবির্ভূত হওয়ার তোফায়েলে ‘মিলাদ শরীফের’ রাত সম্মানিত হয়েছে।<br />দেখুন, জমিনে নূরনবীর আবির্ভাব ও ফেরেশতাগণের অবতরণ উভয়ের মধ্যে কত ব্যবধান!<br />আল্লাহর হাবিব স্বশরীরে জীবিতাবস্থায় মদীনা তৈয়্যবাতে রওজা পাকে শায়িত আছেন, স্বশরীরে বিশ্বের সর্বত্র পরিভ্রমণ করে থাকেন, তাঁর শরীর মোবারকের সঙ্গে যে মাটি লাগান আছে সে মাটির মর্তবা (সম্মান) আল্লাহ পাকের আরশ হতেও অনেক গুণে বেশি। সুতরাং নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রাতে আবির্ভূত হয়েছেন সে রাতের ফজিলত যে বেশি হবে, এতে কি সন্দেহের অবকাশ থাকতে পারে? কখনই না।<br />(গ) আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ‘কদরের রাত’ দান করেছেন, শুধুমাত্র উম্মতে মুহাম্মদীর উপর এহসান করার মানসে, সকল সৃষ্ট জীবের উপর নয়। পান্তরে মিলাদ শরীফের রাত্রিতে শুধু উম্মতে মুহাম্মদীর উপরই নয় বরং সমস্ত সৃষ্ট জীবের উপর এহসান করেছেন, কেননা হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিফত বা গুণ ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ অর্থাৎ আল্লাহর হাবিব সমস্ত সৃষ্টির জন্য রহমত, এ কারণেই আল্লাহর নিয়ামত আসমান ও জমিনের সমস্ত সৃষ্টির উপর আম (একরূপ) হয়ে গিয়েছে। সুতরাং মিলাদ শরীফেল রাতে আল্লাহ পাক আম রহমত করেছেন, সেহেতু শবে মিলাদ শবে কদর হতে উত্তম বলে বিবেচিত হয়েছে।</div>

শবে মিলাদ শবে কদর থেকে উত্তম

শবে মিলাদ শবে কদর হতে উত্তম ================ উস্তাযুল মুহাদ্দিসিন আল্লামা শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রাঃ) তদীয় ‘মাসাবাতা মিনাসসুন্নাহ’...

Read more »

রাসূল (ﷺ) এর ঘাম মোবারক সাহাবারা আতর রুপে ব্যবহার করতেন

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr">রাসূল ﷺ এর ঘাম মোবারক সাহাবারা আতর রুপে ব্যবহার করতেন</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">হযরত উম্মে সুলাইমান (রাঃ) বলেন, হুযুরে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসল্লাম দ্বিপ্রহরে আমাদের ঘরে তশরীফ এনে বিশ্রাম নিতেন । বিশ্রামকালে তাঁর দেহ মোবারক থেকে ঘাম মুবারক নির্গত হয়ে বিছানা ভিজে যেত।আর আমি সে ঘাম মুবারক একত্রিত করতাম, একদা নবীজী আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন-</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">হে উম্মে সুলাইমান তুমি কি করছো ? আমি বললাম-ইয়া রাসূলাল্লাহ! আঁপনার পবিত্র ঘাম মুবারক হতে আমাদের চেহারা বরকত হাসিল করবে।আমাদের কাছে যত সুগন্ধি রয়েছে তন্মধ্যে অধিক সুগন্ধি হচ্ছে আঁপনার ঘাম মুবারক।একথা শুনে নবীজী জবাব দিলেন,হে উম্মে সুলাইমান তুমি সত্যিই বলেছ।</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">রেফারেন্সঃ</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">*(ক.) মুসলিম শরীফ: ২য় খন্ড,২৫৭ পৃঃ *(খ.) মাসাবীহুস সুন্নাহ ৪র্থ খন্ড,৪৮ পৃঃ *(গ.) মিশকাত শরীফ: ২১৭ পৃঃ</div><div dir="ltr">*(ঘ.) মাওয়াহেবে লাদুনিয়া: ২য় খন্ড,৩১৪ পৃঃ</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">রাসূল (ﷺ) এঁর ঘাম মাটিতে পড়ার আগেই সাহাবায়ে কেরাম স্বীয় হাতে নিয়ে নিতেন।হাতে নিয়ে তা স্বীয় চেহারায় এবং শরীরে মেখে ফেলতেন।</div><div dir="ltr">[তথ্য সূত্রঃ বুখারী-১/১০০]</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">এবং তাঁর ঘাম মোবারক ছিল মেশকে আম্বরের চেয়েও অধিক সুগন্ধিময়।</div><div dir="ltr">[আবু নাঈম,যুরকানী ও খাসায়েসুল কুবরা]</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি বিশ্বকুল সরদার হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এঁর খেদমতে আরয করল- ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে নিজ কন্যা বিবাহ দিতে হবে। অথচ আমার কাছে কোন সুগন্ধি নেই। আঁপনি কিছু সুগন্ধি দান করুন। তিঁনি ফরমালেন- আগামীকাল খোলা মুখ বিশিষ্ট একটি শিশি নিয়ে আসবে। দ্বিতীয় দিন লোকটি একটি শিশি নিয়ে এল। হুযুরে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উভয় বাহু থেকে শিশিতে ঘাম ঢালতে লাগলেন। এমনকি তা ভরে যায়। অতঃপর ইরশাদ করলেন,এটা নিয়ে যাও। আর তোমার কন্যাকে বলবে যেন এ থেকে সুগন্ধি ব্যবহার করে।</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">فكانت إذا تطيبت به يشم اهل المدينة رائحة ذٰلك الطيب فسموا بيت المطيبين</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">অর্থাৎ- “যখন উক্ত মহিলা নবীজীর ঘাম মুবারক সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করতেন, তখন সমস্ত মদীনা বাসীর কাছে তার সুগন্ধি পৌঁছে যেত।এমনকি তাঁরা ঐ ঘরকে “বায়তুল মুতায়্যেবীন” (সুবাসিতদের ঘর) নামে আখ্যায়িত করল।”</div><div dir="ltr">[আবু ইয়ালা,তাবরানী,যুরকানী, খাসায়েসুল কুবরা]</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">নবী করিমের ঘাম মোবারককে সাহাবীরা আতর রূপে ব্যবহার করতেন :</div><div dir="ltr">মিশকাত শরীফ ৫১৭ পৃঃ হযরত উম্মে সুলাইম (রাঃ) বুখারী ও মুসলিম শরীফ), ৫১২ পৃঃ (মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড ২৫৬ পৃষ্ঠায়)- হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে নাসায়ী শরীফ ২য় খন্ড ২৫৭পৃঃ</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">রাসূল (ﷺ) এঁর পবিত্র ঘাম মুবারক মেশক-আম্বরের চেয়েও সুগন্ধিযুক্ত!</div><div dir="ltr">“হযরত আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল (ﷺ) আমাদের ঘরে প্রবেশ করলেন। অতঃপর তিঁনি বললেন, আঁমার দেহ থেকে ঘাম বের হচ্ছে। তখন উম্মে সুলাইম একটি পাত্র নিয়ে এসে ঘাম সংগ্রহ করে পাত্রে ভরতে লাগলেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে উম্মে সুলাইম, তুমি কী করছ? উম্মে সুলাইম বললেন, এটা আঁপনার দেহের ঘাম। আমরা এটা সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করব। আর এটাই সবচেয়ে উত্তম সুগন্ধি।”</div><div dir="ltr">এ মর্মে অনেক সহীহ হাদীস রয়েছে।</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">রেফারেন্সঃ</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">*(ক.) সহীহ বুখারী,ইস্তিযানঃ৫৮০৯</div><div dir="ltr">*(খ.) মুসলিম,ইস্তিযানঃ৪৩০০</div><div dir="ltr">*(গ.) সহীহ মুসলিমঃ৪৩০১,৪৩০২</div><div dir="ltr">*(ঘ.) মুসনাদে আহমাদ,মুসনাদে আনাসঃ১১৫৬২, ১১৯৪৭, ১২৮৩২,১২৯৪২,২৫৮৬৮</div><div dir="ltr">*(ঙ.) ফাতহুল বারী,১১ তম খন্ড,পৃ: ৯৫</div><div dir="ltr">*(চ.)দালাইলুন নুবুওওয়াহ,বায়হাকী, পৃ:৫৯</div><div dir="ltr">*(ছ.) আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ,৬তম খন্ড,পৃ: ২৯</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">রাসূলে পাক (ﷺ) এঁর হাত মোবারকের সুগন্ধি: </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বর্ণ ছিল উজ্জ্বল,উঁনার ঘাম মুবারক ছিল মুক্তার ন্যায়। তিঁনি সামনের দিকে ঝুকে হাঁটতেন। উঁনার হাতের চেয়ে অধিক কোমল কোন রেশম আমি স্পর্শ করিনি। তাঁর সুঘ্রাণের চেয়ে অধিক সুগন্ধি কোন মেশক-আম্বরেও আমি পাইনি।</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">১.সহীহ মুসলিম-২৩৩০,</div><div dir="ltr">২.মুসনাদে আহমাদ- ১৩৪৩৯]</div><div dir="ltr">৩.বুখারী শরীফ- ৪র্থ খন্ড,কিতাব ৫৬, হাদিস ৭৬১, এবং অন্যান্য হাদিস গ্রন্থেও হাদিসটি সংকলিত হয়েছে ]</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">হযরত জাবের ইবনে সামুরা (রাঃ) বলেন,আমি রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এঁর সাথে ফজরের নামায আদায় করলাম, অতঃপর নিঁজের হুজরা মুবারকের দিকে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে যত বাচ্চা দেখলেন সকলের মুখের উপর হাত বুলিয়ে দিলেন, এক পর্যায়ে আমার মুখের উপরও। আমি এমন কোমলতা ও সুগন্ধি অনুভব করলাম মনে হচ্ছিল যেন আতরের বক্সের ভেতর থেকে তিনি এই মাত্র হাত মুবারক বের করে এনেছেন ।</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">[মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড,২৫৬ পৃঃ, মিশকাতুল মাসাবীহ, ৫১৭পৃঃ]</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত,নবী করীম (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: আল্লাহ পাক ‘লাল গোলাপ’ কে তাঁর সকল নবীগণ (আঃ)-এঁর সুগন্ধী ছড়াবার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। হুযুর নবী করিম (ﷺ) ইরশাদ করেছেন:- যে ব্যক্তি আঁমি নবীর সুগন্ধী পেতে চায়, সে যেন লাল গোলাপ ফুলের সুগন্ধী গ্রহণ করে।</div><div dir="ltr">[নুযহাতুল মাজালিস,২য় খন্ড]</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">হযরত উরওয়া বিন মাসউদ (রাঃ) হতে বর্নিত, তিনি বলেন-“যখনই প্রিয় নবী (ﷺ) থুথু মোবারক ফেলতেন,সাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে কেউ না কেউ তা হাতের মধ্যে নিয়ে নিতেন এবং থুথু মোবারক মুখে ও শরীরে মালিশ করে নিতেন।”</div><div dir="ltr">[বুখারী শরীফ,১ম খন্ড,অযু অধ্যায়, ১৬৮ পরিচ্ছেদ]</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">নবী করিম ﷺ এর ঘাম মোবারককে সাহাবীরা আতররূপে ব্যবহার করতেন :</div><div dir="ltr">মিশকাত শরীফ ৫১৭ পৃঃ হযরত উম্মে সুলাইম (রাঃ) বুখারী ও মুসলিম শরীফ), ৫১২ পৃঃ (মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড ২৫৬ পৃষ্ঠায়)- হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে নাসায়ী শরীফ ২য় খন্ড ২৫৭পৃঃ</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr"><br /></div></div>

রাসূল (ﷺ) এর ঘাম মোবারক সাহাবারা আতর রুপে ব্যবহার করতেন

রাসূল ﷺ এর ঘাম মোবারক সাহাবারা আতর রুপে ব্যবহার করতেন হযরত উম্মে সুলাইমান (রাঃ) বলেন, হুযুরে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসল্লাম দ্বিপ্রহরে...

Read more »

রাসূল (ﷺ) এর রক্ত পান করে যারা জান্নাতি হলেন

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr">নবিজী (ﷺ) এর রক্ত পান করে যারা জান্নাতি হলেন</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">এ ঘটনা সম্বলিত হাদিস বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত। যারা যারা রক্ত মুবারক পান করেছেন।</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">১.আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের (রাঃ) এর ঘটনা। [হযরত আসমা বিনতে আবী বকর (রাঃ) এবং হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণিত]</div><div dir="ltr">২.হযরত মালিক বিন সিনান (রাঃ) এর ঘটনা।</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">♦সাহাবীর রক্ত পান সম্পর্কিত ঘটনা: প্রবাহিত রক্ত পান করা হারাম-সূরা-আনআম-১৪৫) রক্ত অপবিত্র (মুসলিম শরীফ)।কিন্তু আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের (রাঃ) কর্তৃক রাসূল (ﷺ)-রক্ত পান করার ঘটনা। অতঃপর রাসূল (ﷺ) তাকে বেহেশতের সু-সংবাদ দিয়েছেন।</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">রেফারেন্সঃ</div><div dir="ltr">১. ইমাম হাকিমঃ মুস্তাদরাকে হাকেম-৩/৫৫৩</div><div dir="ltr">২. ইমাম বায়হাকীঃ সুনানুল কুবরা ৭/৬৭</div><div dir="ltr">৩. ইমাম যাহাবীঃ সিয়ারু আলামিন নুবালা-৩/৩৬৬ ৪.মাযমাউজ যাওয়াদ-৮/২৭০</div><div dir="ltr">৫. ইমাম হিন্দীঃ কানযুল উম্মাল-১৩/৪৬৯</div><div dir="ltr">৬. ইমাম সুয়ূতীঃ আল খাসায়েলুল কুবরা -২/২৫২</div><div dir="ltr">৭. আল-ইসাবাহ-২/৩১০</div><div dir="ltr">৮. ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানীঃ হিলয়াতুল আওলিয়া-১/৩৩০</div><div dir="ltr">৯. ফাযায়েলে আমালের উর্দু এডিশনের ১৮৮ নং পৃ:</div><div dir="ltr">[হযরত আব্দুল্লাহ বিন জুবাইর (রা) এবং হযরত মালেক বিন সিনান (রা) এর ঘটনা]</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">মুহাদ্দিসীনদের মন্তব্যঃ</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">১. হাফেজ নূরুদ্দীন হায়সামী (রহ) এ ঘটনাকে রাসূল (ﷺ) এঁর বৈশিষ্টের অধ্যায়ে বর্ণনা করে বলেনঃ এটি তাবারানী ও বাজ্জারের বর্ণনা। আর মুসনাদে বাজ্জারের সমস্ত বর্ণনাকারী সহীহ এর রাবী। হুনাইদ বিন কাসেম (রহঃ) ছাড়া, তবে সেও সেকা তথা গ্রহণযোগ্য রাবী।</div><div dir="ltr">[মাযমাউজ জাওয়েদ-৮/২৭০]</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">২. ইমাম বায়হাকী (রহঃ) বলেনঃ হযরত আব্দুল্লাহ বিন জুবাইর (রাঃ) কর্তৃক রাসূল (ﷺ) এঁর রক্ত পান করার ঘটনাটি হযরত আসমা বিনতে আবী বকর (রাঃ) এবং হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) থেকেও একাধিক সনদে বর্ণিত।</div><div dir="ltr">[সুনানুল কুবরালিল বায়হাকী-৭/৬৭]</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৩. হাফেজ শামসুদ্দীন জাহাবী (রহঃ) বলেনঃ এ বর্ণনাটিকে ইমাম আবী ইয়ালা স্বীয় মুসনাদে বর্ণনা করেছেন, এবং লিখেছেন যে, হুনাইদ (রহঃ) বর্ণনাকারীর উপর কেউ জরাহ করেছেন বলে আমার জানা নেই। [সিয়ারু আলামিন নুবালা-২/৩৬৬]</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৪. আল্লামা আলী মুত্তাকী হানাফী (রহঃ) এ ঘটনা বর্ণনা করে বলেনঃ এ বর্ণনার সকল রাবী সেকা তথা গ্রহণযোগ্য।</div><div dir="ltr">[কানযুল উম্মাল-১৩/৪৬৯]</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">হযরত মালিক বিন সিনান (রাঃ) কর্তৃক রাসূল (ﷺ) এঁর রক্ত পানের ঘটনা নিম্নবর্ণিত কিতাবে বর্নিত।</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">১. হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী শাফেয়ী (রহঃ) এ ঘটনাটি ইবনে আবী আসেম, বাগবী, সহীহ ইবনুস সুকুন এবং সুনানে সাঈদ বিন মানসুরের হাওয়ালায় নকল করেন।</div><div dir="ltr">[আল ইসাবাহ-৩/৩২৫, মিশর থেকে প্রকাশিত]</div><div dir="ltr"><br /></div></div>

রাসূল (ﷺ) এর রক্ত পান করে যারা জান্নাতি হলেন

নবিজী (ﷺ) এর রক্ত পান করে যারা জান্নাতি হলেন এ ঘটনা সম্বলিত হাদিস বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত। যারা যারা রক্ত মুবারক পান করেছেন। ১.আব্দুল্লাহ বিন ...

Read more »

নাপাক বস্তু পবিত্র করার পদ্ধতি

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr"> যে সমস্ত বস্ত্ত নাপাক হওয়ার ব্যাপারে শারঈ দলীল বর্ণিত হয়েছে, তা থেকে পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি</div> <div dir="ltr"> ═══════════</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> যে সমস্ত বস্ত্ত নাপাক হওয়ার ব্যাপারে শারঈ দলীল বর্ণিত হয়েছে, তা থেকে পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি</div> <div dir="ltr"> (১) হায়েযেব রক্ত থেকে কাপড় পাক করার উপায়:</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> এমতবস্থায় তা রগ্ড়িয়ে বা উঠিয়ে ফেলতে হবে। অতঃপর আঙ্গুলের কিনারা দিয়ে তা ঘর্ষণ করতে হবে, যাতে তা বিলীন হয়ে যায় এবং নাপাক দূর হয়ে যায়। এরপর তা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবে।</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> عَنْ أَسْمَاءَ قَالَتْ: جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ ﷺ ، فَقَالَتْ: إِحْدَانَا يُصِيبُ ثَوْبَهَا مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ، كَيْفَ تَصْنَعُ بِهِ، قَالَ: تَحُتُّهُ، ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْمَاءِ، ثُمَّ تَنْضَحُهُ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> আসমা বিনতে আবূ বকর (রা.) বলেন: একদিন একজন মহিলা নাবী (ﷺ) এর কাছে এসে বললো, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ), আমাদের কারও কাপড়ে যদি হায়েযের রক্ত লেগে যায় তখন সে কি করবে? তিনি বললেন: রক্তের জায়গাটি ভালোভাবে রগ্ড়াবে, তারপর পানি দিয়ে কচলিয়ে উত্তমরূপে ধুয়ে ফেলবে। অতঃপর ঐ কাপড় পরে  সালাত আদায় করতে পারবে।[1]</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَتْ إِحْدَانَا تَحِيضُ، ثُمَّ تَقْتَرِصُ الدَّمَ مِنْ ثَوْبِهَا عِنْدَ طُهْرِهَا، فَتَغْسِلُهُ وَتَنْضَحُ عَلَى سَائِرِهِ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> ‘আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমাদের কারও হায়েয হলে, পাক হওয়ার পর রক্ত রগড়িয়ে কাপড় পানি দিয়ে ধুয়ে সেই কাপড়ে তিনি সালাত আদায় করতেন।[2]</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> কোন  মহিলা যদি হায়েযের রক্ত দূর করার জন্য খড়ি বা এ জাতীয় কিছু ব্যবহার করে অথবা পানি,  সাবান কিংবা পরিষ্কারক কোন বস্ত্ত  দ্বারা তা ধুয়ে ফেলে তবে তা উত্তম হবে।</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> عن أُمَّ قَيْسٍ بِنْتَ مِحْصَنٍ قالتُ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ ﷺ عَنْ دَمِ الْحَيْضِ يَكُونُ فِي الثَّوْبِ قَالَ: حُكِّيهِ بِضِلْعٍ، وَاغْسِلِيهِ بِمَاءٍ وَسِدْرٍ</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> উম্মে কায়েস বিনতে মিহসান (রা.) বলেন: আমি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কে হায়েযের রক্ত কাপড়ে লাগলে কি করতে হবে তা জিজ্ঞেস করি। তিনি (ﷺ) বলেন: প্রথমে এক খণ্ড কাঠ দিয়ে তা খুঁচবে অতঃপর কুলপাতা মিশ্রিত পানি দিয়ে ধৌত করবে।[3]</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> (২) কাপড়ে দুগ্ধপায়ী শিশুর পেশাব লাগলে পবিত্র  করার উপায়:</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> মহানাবী (ﷺ) বলেন:</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> «يُغْسَلُ مِنْ بَوْلِ الْجَارِيَةِ، وَيُرَشُّ مِنْ بَوْلِ الْغُلَامِ»</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> মেয়ে শিশুদের পেশাব ধৌত করতে হবে এবং ছেলে শিশুদের পেশাবে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।[4]</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> (৩) মযি থেকে কাপড় পবিত্র করার উপায়:</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> যখন মযি অত্যধিক নির্গত হবে এবং রোগ হওয়ার কারণে ব্যাপকতা দেখা দিবে, তখন ইসলামী শরীয়াতে তা পবিত্র করার ব্যাপারে শিথিলতা প্রদান করেছে। সুতরাং মযি লাগার স্থানে কাপড়ে পানি ছিটিয়ে দিলেই তা যথেষ্ট হয়ে যাবে। যেমন সাহ্ল ইব্ন হুনাইফ (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, তার অত্যধিক মযি নির্গত হতো। অতঃপর তিনি এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞেস করেন:</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> «كَيْفَ بِمَا يُصِيبُ ثَوْبِي مِنْهُ، قَالَ: يَكْفِيكَ أَنْ تَأْخُذَ  كَفًّا مِنْ مَاءٍ فَتَنْضَحَ بِهِ ثَوْبَكَ حَيْثُ تَرَى أَنَّهُ أَصَابَ مِنْهُ»</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> আমার কাপড়ে মযি লাগল কি করব? তিনি বলেন: কাপড়ের যে স্থানে মযির নিদর্শন দেখবে, এক আজলা পানি নিয়ে উক্ত স্থানে হালকাভাবে ছিটিয়ে দিবে, যাতে তা দূরীভুত হয়।[5]</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> (৪) মহিলাদের কাপড়ের নীচের (ঝুলে থাকা) অংশ পবিত্র করার পদ্ধতি:</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> যখন মহিলাদের কাপড়ের নীচের অংশ নাপাক হবে তখন পবিত্র জমিনে স্পর্শ করার ফলে তা পবিত্র হয়ে যাবে। একদা এক মহিলা রাসূল (ﷺ) এর স্ত্রী উম্মে সালামা (রা.)-কে জিজ্ঞেস করেন-</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> إِنِّي امْرَأَةٌ أُطِيلُ ذَيْلِي، وَأَمْشِي فِي الْمَكَانِ الْقَذِرِ فَقَالَتْ: أُمُّ سَلَمَةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ يُطَهِّرُهُ مَا بَعْدَهُ</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> আমি এমন এক মহিলা যে কাপড়ের নীচের অংশ ঝুলিয়ে রাখি। তিনি আরও বলেন, আমি নাপাক স্থানেও চলাফেরা করি। উম্মে সালামা (রা.) বলেন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: পরবর্তী (পবিত্র) স্থান তা পবিত্র করে দেয়।[6]</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> (৫) জুতা সেন্ডেলের তলদেশ পবিত্র করার পদ্ধতি:</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> عن أبي سعيد الخدري أن النَّبِيِّ ﷺ قال:  إذا جاء أحدكم المسجد فليقلب نعليه فلينظر فيهما فإن رأى فيهما خبثًا فليمسحه بالأرض ثم ليصل فيهما</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন: যখন তোমাদের কেউ মাসজিদে প্রবেশ করবে, তখন তার জুতা খুলে তা ভালভাবে দেখে নিবে। যদি তাতে কোন অপবিত্র কিছু দেখে, তাহলে তা জমিনে মুছে নিবে, অতঃপর তা নিয়ে সালাত আদায় করবে।[7]</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> (৬) কুকুর পাত্রে জিভ দিয়ে চাটলে তা পবিত্র করার উপায়:</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ: طُهُورُ إِنَاءِ أَحَدِكُمْ إِذَا وَلَغَ فِيهِ الْكَلْبُ، أَنْ يُغْسَلَ سَبْعَ مِرَارٍ، أُولَاهُنَّ بِتُرَابٍ</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নাবী কারীম (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি ইরশাদ করেছেন: কুকুর যদি তোমাদের পাত্রে লেহন করে (খায় বা পান করে) তবে তা পাক করার নিয়ম এই যে, তা সাতবার পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে, প্রথম বার মাটি দ্বারা ঘর্ষণ করতে হবে।[8]</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> (৭) দাবাগাত বা পরিশোধনের মাধ্যমে মৃত জন্তুর চামড়া পবিত্র করণ:</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> মহানাবী (ﷺ) বলেন: إذا دبغ الإهاب فقد طهر তথা, কাঁচা চামড়াকে পাকা করা হলে তা পবিত্র হয়ে যায়।[9]</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> (৮) পেশাব বা এ জাতীয় কিছু থেকে জমিন পবিত্র করার পদ্ধতি:</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> এমতবস্থায় জমিনে পানি ঢেলে দিলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে। যেমন মহানাবী (ﷺ) জনৈক বেদুঈন এর মাসজিদে পেশাব করার ফলে তাতে পানি ঢালার নির্দেশ দিয়েছিলেন।[10] আর মহানাবী (ﷺ) এটা আদেশ দিয়েছিলেন তাড়াতাড়ি তা পরিষ্কার করার জন্য। তবে যদি  পানি না ঢালা হয় তাহলে শুকানোর পর নাপাকের চিহ্ন বা অস্তিত্ব দূর হলে তা পবিত্র হয়ে যাবে।</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> (৯) কুপে অথবা ঘি এর মধ্যে নাপাকী পতিত হলে তা পবিত্র করার পদ্ধতি:</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> এমতবস্থায় নাপাক বস্ত্ত ও তার আশপাশের জিনিস তুলে ফেলতে হবে। আর এর বাকি অংশ পবিত্র থাকবে।</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ: سُئِلَ عَنْ فَأْرَةٍ سَقَطَتْ فِي سَمْنٍ، فَقَالَ: أَلْقُوهَا وَمَا حَوْلَهَا فَاطْرَحُوهُ، وَكُلُوا سَمْنَكُمْ</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদা রাসূল (ﷺ) কে ঘি এর মধ্যে পতিত ইঁদূর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জবাব দেন যে, ইঁদুরটি এবং তার আশেপাশের অংশ উঠিয়ে ফেলে দাও। তার পর তোমাদের ঘি খাও।[11]</div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> ═══════════</div> <div dir="ltr"> [1] বুখারী; মুসলিম হা/ ২৯১ </div> <div dir="ltr"> [2] বুখারী হা/ ৩০৮ ; ইবনে মাজাহ হা/ ৬৩০ </div> <div dir="ltr"> [3] আবূ দাউদ হা/ ৩৬৩; নাসাঈ ১/১৯৫; ইবনে মাজাহ হা/ ৬২৮ </div> <div dir="ltr"> [4] সহীহ লিগায়রিহী, আবূ দাউদ হা/ ৩৭৬, নাসাঈ ১/১৫৮; ইবনে মাজাহ হা/ ৫২৬ , এর শাহেদ রয়েছে। </div> <div dir="ltr"> [5] হাসান, আবূ দাউদ হা/ ২১০, তিরমিযী; ইবনে মাজাহ হা/ ৫০৬ </div> <div dir="ltr"> [6] সহীহ; আবূ দাউদ হা/ ৩৮৩, তিরমিযী (১৪৩), ইবনে মাজাহ হা/ ৫৩১। </div> <div dir="ltr"> [7] আবুদাউদ (৬৪৬) </div> <div dir="ltr"> [8] মুসলিম হা/ ২৭৯; আবূ দাউদ হা/ ৭১ </div> <div dir="ltr"> [9] মুসলিম, প্রভৃতি </div> <div dir="ltr"> [10] বুখারী ২১৯; মুসলিম হা/ ২৮৪ </div> <div dir="ltr"> [11] বুখারী (যবেহ করা অধ্যায়-৩৪)</div> <div dir="ltr"> <br /></div> </div>

নাপাক বস্তু পবিত্র করার পদ্ধতি

যে সমস্ত বস্ত্ত নাপাক হওয়ার ব্যাপারে শারঈ দলীল বর্ণিত হয়েছে, তা থেকে পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি ═══════════ যে সমস্ত বস্ত্ত নাপাক হওয়ার...

Read more »

এক বেদুইনের রওজা মুবারকে হাজিরা, রাসূলের উসীলায় ক্ষমা প্রার্থনা ও রওজা শরীফ থেকে আওয়াজ (উসীলা ও হায়াতুন্নবী)

<p dir="ltr">এক বেদুইনের রওজা মুবারকে হাজিরা ও রওজা শরীফ থেকে আওয়াজঃ</p> <p dir="ltr">ইমাম কুরতুবী রাহিমাহুল্লাহ তাঁর তাফসীরে বলেন, আবু সাদিক, হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুল ﷺ কে দাফন করার তিন দিন পর জনৈক বেদুইন এসে কবর শরীফে পরে মাথায় কবর শরীফের মাটি রেখে রাসুল ﷺ কে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি বলেছেন, আমরা শুনেছি,আল্লাহ আপনার উপর নাযিল করেছেন,</p> <p dir="ltr">ﻭَﻟَﻮْ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﺇِﺫْ ﻇَّﻠَﻤُﻮﺍ ﺃَﻧْﻔُﺴَﻬُﻢْ ﺟَﺎﺀُﻭﻙَ ﻓَﺎﺳْﺘَﻐْﻔَﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَﺍﺳْﺘَﻐْﻔَﺮَ ﻟَﻬُﻢُ ﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝُ ﻟَﻮَﺟَﺪُﻭﺍ ﺍﻟﻠﻪَ ﺗَﻮَّﺍﺑًﺎ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ .<br> ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ : 64<br> অর্থাৎ, ওরা যখন তাদের নফসের উপর যুলুম করে তখন যদি তারা আপনার দরবারে আসে, অতঃপর (আপনার ওয়াসীলা নিয়ে) আল্লাহর নিকট ক্ষমা ভিক্ষা চায় এবং রাসুলও যদি তাদের জন্য সুপারিশ করেন, তবে অবশ্যই তারা আল্লাহকে ক্ষমাকারী, মেহেরবান রূপে পাবে। (সুরা নিসাঃ৬৪)<br> ইয়া রাসুলাল্লাহ ﷺ! আমি আমার নিজের উপর যুলুম করেছি, আপনার দরবারে এসেছি আমার জন্য সুপারিশ করবেন।হযরত আলী রাদিয়াল্লাহ আনহু বলেন ,তখন রাওযা শরীফ<br> থেকে আওয়াজ আসল, “তোমাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে”। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, মুহাম্মাদ বিন উবায়দুল্লাহ<br> (যিনি উতবী বলে পরিচিত ছিলেন।) বলেন,এ সময় বেদুইন ব্যক্তি নিম্নের কবিতাটি পাঠ করেন,<br> :<br> 1 ﻳﺎ ﺧﻴﺮ ﻣﻦ ﺩﻓﻨﺖ ﻓﻲ ﺍﻟﺘﺮﺏ ﺃﻋﻈﻤـﻪ *** ﻓﻄﺎﺏ ﻣﻦ ﻃﻴﺒﻬـﻦ ﺍﻟﻘـﺎﻉ ﻭﺍﻻﻛﻢ<br> 2 ﻧﻔﺴﻲ ﺍﻟﻔـﺪﺍﺀ ﻟﻘﺒـﺮ ﺃﻧـﺖ ﺳﺎﻛﻨـﻪ *** ﻓﻴﻪ ﺍﻟﻌﻔﺎﻑ ﻭﻓﻴـﻪ ﺍﻟﺠـﻮﺩ ﻭﺍﻟﻜـﺮﻡ<br> 3 ﺃﻧﺖ ﺍﻟﺤﺒﻴﺐ ﺍﻟﺬﻱ ﺗﺮﺟـﻰ ﺷﻔﺎﻋﺘـﻪ *** ﻋﻨﺪ ﺍﻟﺼﺮﺍﻁ ﺇﺫﺍ ﻣـﺎ ﺯﻟـﺖ ﺍﻟﻘـﺪﻡ<br> 4 ﻟﻮﻻﻙ ﻣﺎ ﺧﻠﻘـﺖ ﺷﻤـﺲ ﻭﻻ ﻗﻤـﺮ *** ﻭﻻ ﺳﻤـﺎﺀ ﻭﻻ ﻟــﻮﺡ ﻭﻻ ﻗـﻠـﻢ</p> <p dir="rtl">“হে ঐসবের শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তি, কবরে শায়িত যার অস্থিঞ্জলী যার সুবাসে সুরভিত আজ নিখিল ভুমি। আপনি যার বাসিন্দা, সে কবরের তরে অধম কুরবান, পবিত্রতা, দানশীলতা আর মহত্ত্ব যেথায় রয়েছে বর্তমান”।<br> কবিতাটি পাঠ করে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে উনি ফিরে চলে যান। ঊবায়দুল্লাহ বলেন, আমি তখন তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ি এবং স্বপ্নে দেখি, রাসুল ﷺ আমাকে বলছেন, ‘হে উতবী, যাও, লোকটিকে জানিয়ে দাও,আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন’।</p> <p dir="ltr">রেফারেন্সঃ</p> <p dir="ltr">১. তাফসীরে ইবনে কাসীর। সুরা নিসা এর ৬৪ নাম্বার আয়াতের তাফসির।<br> ২. আল কাওলুল বাদীঃ ১৫৬<br> ৩. আল মুগনীঃ৫/৪৬৬<br> ৪. আল আযকারঃ ২৬৪<br> ৫. আল মাজমু’ ৮/২০২<br> ৬. তাফসীরে কুরতুবীঃ৫/১৭২<br> ৭. ওয়াফাউল ওয়াফাঃ৪/১৩৬১<br> ৮. জাযবুল কুলুবঃ ২১১<br> এছাড়া ও আরো অনেক।</p> <p dir="ltr">_________________________________<br> আমাদের আকীদাঃ<br> আমার রাসুল ﷺ রাওযা শরীফে জীবিত আছেন।জীবিত আছেন,<br> জীবিত আছেন।<br> আসসালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ।</p> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-BX2Xq82bqDQ/XBAiGyfcbDI/AAAAAAAAIm4/s1600/FB_IMG_1544559816958.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-BX2Xq82bqDQ/XBAiGyfcbDI/AAAAAAAAIm4/s640/rw/FB_IMG_1544559816958.jpg"> </a> </div>

এক বেদুইনের রওজা মুবারকে হাজিরা, রাসূলের উসীলায় ক্ষমা প্রার্থনা ও রওজা শরীফ থেকে আওয়াজ (উসীলা ও হায়াতুন্নবী)

এক বেদুইনের রওজা মুবারকে হাজিরা ও রওজা শরীফ থেকে আওয়াজঃ ইমাম কুরতুবী রাহিমাহুল্লাহ তাঁর তাফসীরে বলেন, আবু সাদিক, হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু...

Read more »

রসুলে পাক (ﷺ) এর ইলমে গায়েবঃ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr"> <span style="color: #b45f06;">রসুলে পাক (ﷺ) এর ইলমে গায়েবঃ</span></div> <div dir="ltr"> <span style="color: #b45f06;"><br /></span></div> <div dir="ltr"> <span style="color: #b45f06;">বুখারী শরীফের بَدْءِ الْخَلْقِ শীর্ষক আলোচনায় ও মিশকাত শরীফের দ্বিতীয় খণ্ডের بَدْءِ الْخَلْقِ وَذِكْرُ الْاَنْبِيَاءِ শীর্ষক অধ্যায়ে হযরত উমর [رضي الله عنه] থেকে বর্নিতঃ</span></div> <div dir="ltr"> <span style="color: #b45f06;"><br /></span></div> <div dir="ltr"> <span style="color: #b45f06;">قَامَ فِيْنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَقَامًا فَاَخْبَرَنَا عَنْ بَدْءِ لْخَلْقِ حَتَّى دَخَلَ اَهْلُ الْجَنَّةِ مَنَازِ لَهُمْ وَ اَهْلُ النَّارِ مَنَازِ لَهُمْ حَفِظَ ذلِكَ مَنْ حَفِظَهُ وَنَسِيَهُ مَنْ نَسِيَهُ</span></div> <div dir="ltr"> <span style="color: #b45f06;"><br /></span></div> <div dir="ltr"> <span style="color: #b45f06;">অর্থাৎঃ </span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> <b><span style="color: red;">"হুযুর [ﷺ] এক জায়গায় আমাদের সাথে অবস্থান করেছিলেন সেখানে তিনি [ﷺ] আমাদেরকে আদি সৃষ্টির সংবাদ দিচ্ছিলেন এমন কি বেহেশতবাসী ও দোযখবাসীগণ নিজ নিজ মনযিলে বা ঠিকানায় পোঁছে যাওয়া অবধি পরিব্যাপ্ত যাবতীয় অবস্থা ও ঘটনাবলীর বর্ণনা প্রদান করেন। যিনি ওসব স্মরন রাখতে পেরেছেন তিনি তো স্মরন রেখেছেন, আর যিনি স্মরণ রাখতে পারেননি তিনি ভুলে গেছেন।" #সুবহানআল্লাহ্! </span></b></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> <span style="color: #38761d;"><b>(ক) ইমাম বুখারীঃ আস্ সহীহ্; ৬/২৮৬পৃ. হাদীসঃ ৩১৯২.</b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="color: #38761d;"><b>(খ) খতীব তিবরিযীঃ মিশকাতুল মাসাবীহ্; ৪/৫০৬পৃ. হাদীসঃ ৫৬৯৯.</b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="color: #38761d;"><b>(গ) ইমাম আবূ দাঊদঃ আস্ সুনান; ৪/৪৪১পৃ. হাদীসঃ ৪২৪০.</b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="color: #38761d;"><b>(ঘ) ইমাম তিরমিযীঃ আস্ সুনান; ৪/৪১৯পৃ. হাদীসঃ ২১৯১.</b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="color: #38761d;"><b>(ঙ) ইমাম আহমদঃ আল-মুসনাদ; ৫/৩৮৫পৃ. </b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="color: #38761d;"><b>(চ) ইমাম বুখারীঃ আস্ সহীহ্; ১১/৪৯৪পৃ. হাদীসঃ ৬৬০৪.</b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="color: #38761d;"><b>(ছ) ইমাম মুসলিমঃ আস্ সহীহ্; ৫/২২১৭পৃ. হাদীসঃ ২৮৯১ এবং ২৩.</b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="color: #38761d;"><b>(জ) ইমাম ইবনে মাযাহঃ আস্ সুনান; ২/১৩৪৬পৃ. হাদীসঃ ৪০৫৩.</b></span></div> <div dir="ltr"> <span style="color: #38761d;"><b>(ঝ) খতীব তিবরিযীঃ মিশকাতুল মাসাবীহ্; কিতাবুল ফিতান, ৪/২৭৮পৃ. হাদীসঃ ৫৩৭৯</b></span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> এখানে হুযুর [ﷺ] দু’ধরনের ঘটনাবলীর খবর দিয়েছেনঃ</div> <div dir="ltr"> ১) বিশ্ব সৃষ্টির সূচনা কিভাবে হলো। এবং </div> <div dir="ltr"> ২) এর সমাপ্তি কিভাবে হবে।</div> <div dir="ltr"> অর্থাৎ রোযে আযল (সৃষ্টির ঊষালগ্ন) থেকে কিয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেক অণু-পরমাণুর পুঙ্খাণুপুঙ্খরূপে বর্ননা দিয়েছেন।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhppDhP744XdGgT1Ad8mRUHWRW53mmZJbDD0m1sf_u7zo_SWojxMznX_bMQBI-yZequn3NXsdfFywrPi0wIq74dI54Pss_cFpej_FW23pZXY72Bctlug6_sYcniR9GvMITu2SReZflx-0M/s1600/FB_IMG_1544559847551.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhppDhP744XdGgT1Ad8mRUHWRW53mmZJbDD0m1sf_u7zo_SWojxMznX_bMQBI-yZequn3NXsdfFywrPi0wIq74dI54Pss_cFpej_FW23pZXY72Bctlug6_sYcniR9GvMITu2SReZflx-0M/s640-rw/FB_IMG_1544559847551.jpg" /> </a> </div> </div>

রসুলে পাক (ﷺ) এর ইলমে গায়েবঃ

রসুলে পাক (ﷺ) এর ইলমে গায়েবঃ বুখারী শরীফের بَدْءِ الْخَلْقِ শীর্ষক আলোচনায় ও মিশকাত শরীফের দ্বিতীয় খণ্ডের بَدْءِ الْخَلْقِ وَذِكْرُ ال...

Read more »

নবী করীম (ﷺ) এর নাম শুনে বৃদ্ধা আঙ্গুলে চুম্বন করে চোখে লাগানো সুন্নত।

<p dir="ltr">নবী করীম (ﷺ) এর নাম শুনে বৃদ্ধা আঙ্গুলে চুম্বন করে চোখে লাগানো সুন্নত।<br> ______________________________</p> <p dir="ltr">回 হাদীস নং-১</p> <p dir="ltr">‘‘হযরত ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বাহ (রাঃ) বলেন, বনী ইসরাঈলের মধ্যে এক ব্যক্তি ছিল অত্যন্ত পাপী, যে ২০০ বছর পর্যন্ত আল্লাহর নাফরমানী করেছে। যখন সে মৃত্যুবরণ করে মানুষেরা তাকে এমন স্থানে নিক্ষেপ করল, যেখানে আবর্জনা ফেলা হতো। তখন হযরত মুসা (আঃ) এর প্রতি ওহী এলো যে, লোকটিকে ওখান থেকে তুলে যেন তার ভালভাবে জানাযার নামায পড়ে তাঁকে দাফন করা হয়। হযরত মুসা (আঃ) আরজ করলেন, হে আল্লাহ! বনী ইসরাঈল সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, লোকটি ২০০ বছর পর্যন্ত তোমার নাফরমানী করেছিল। ইরশাদ হলো, হ্যাঁ, তবে তার একটি ভাল অভ্যাস ছিল। যখন সে তাওরাত শরীফ তেলাওয়াত করতো, যতবার আমার হাবীব হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) এর নাম মোবারক দেখত তখন সেটা ততবার চুম্বন করে চোখের উপর রাখত এবং তার প্রতি দুরূদ পাঠ করত। এজন্য আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি এবং সত্তর জন হুর স্ত্রী স্বরূপ তাকে দান করেছি।’’<br> উক্ত হাদীসের ব্যাপারে কোনো মুহাদ্দিস মন্তব্য করেননি। তাদের নীরবতা পালন দ্বারা বুঝা গেল হাদিসটি সহীহ বা বিশুদ্ধ কারণ তার ব্যাপারে কোন মুহাদ্দিসের বিরোধীতা পাওয়া যায়নি।</p> <p dir="ltr">রেফারেন্সঃ</p> <p dir="ltr">ক. ইমাম আবু নঈম : হুলিয়াতুল আউলিয়া : ৩/১৪২ পৃ.<br> খ. আল্লামা বুরহানুদ্দীন হালভী : সিরাতে হালবিয়্যাহ ১ম খন্ড পৃষ্ঠা-৮৩<br> গ. আল্লামা শফী উকাড়ভী : জিকরে জামীল : ৩৫৪ পৃষ্ঠা<br> ঘ. জালালুদ্দীন সুয়ূতি : খাসায়েসুল কোবরা :১/৩০,হাদিস : ৬৮, মাকতুত-তাওফিকহিয়্যাহ, বয়রুত।<br> ঙ. আল্লামা আবদুর রহমান ছাফূরী : নুযহাতুল মাযালিস : ২/১৪২ পৃ.<br> চ. আল্লামা দিয়ার বকরী : আল খামীস ফি আহওয়ালে আনফাসে নাফীস : ১/২৮২ পৃ.</p> <p dir="ltr">回 হাদীস নং ২ :</p> <p dir="ltr">এ ব্যাপারে হযরত আদম (আঃ) এর আমল ঃ বিখ্যাত মুফাস্সির আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী (রহঃ) তাঁর উল্লেখযোগ্য তাফসীর তাফসীরে ‘রুহুল বায়ানে’ লিখেন,-‘‘কাসাসুল আম্বিয়া কিতাবে বর্ণিত আছে যে, হযরত আদম (আ) জান্নাতে অবস্থানকালে নূরনবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) এর সাথে সাক্ষাতের জন্যে আগ্রহ প্রকাশ করেন। অতঃপর আল্লাহ তা‘য়ালা তাঁর নিকট ওহী প্রেরণ করেন যে, হে আদম! তিনি তোমার পৃষ্ঠ হতে শেষ যামানায় প্রকাশ হবেন। তা শুনার পর তিনি জান্নাতে অবস্থানকালে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানালেন। বিনিময়ে আল্লাহ তা’য়ালা ওহী প্রেরণ করলেন, যে নূরে মুহাম্মদী (ﷺ) তোমার ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুলীর মধ্যে স্থানান্তরিত করেছি, তখন সে অঙ্গ হতে তাসবীহ পাঠ আরম্ভ হলো। এজন্যই এই আঙ্গুলকে তাসবীহ পাঠকারী আঙ্গুল বলা হয়। যেমন ‘রওযাতুল ফায়েক’ কিতাবেও বর্ণিত আছে, অথবা আরেক বর্ণনায় রয়েছে, আল্লাহ তা’য়ালা আপন হাবীব (ﷺ) এর সৌন্দর্য প্রকাশ করলেন দুই বৃদ্ধাঙ্গুলীর উপর যেভাবে আয়নাতে দেখা যায়। তখন আদম (আঃ) দুই বৃদ্ধাঙ্গুলে চুম্বুন করে স্বীয় চোখের উপর মালিশ করলেন। এটি দলীল হিসেবে প্রমাণিত হলো যে, তাঁর সন্তানাদীর জন্য। অতঃপর জিবরাঈল (আ) এই ঘটনা হুযুর (ﷺ) কে জানালেন। হুযুর (ﷺ) বললেন, যেই ব্যক্তি আযানের মধ্যে আমার নাম মোবারক শুনে দুই বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন করবে আর চোখে মালিশ করবে, সে কখনো অন্ধ হবে না।’’</p> <p dir="ltr">রেফারেন্সঃ</p> <p dir="ltr">ক.আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী : তাফসীরে রুহুল বয়ান : ৭/২২৯ : সূরা মায়েদা আয়াত : ৫৭ নং এর ব্যাখ্যা<br> খ.আবদুর রহমান ছাফুরী, নুযাহাতুল মাযালিস,২/৭৪পৃ.</p> <p dir="ltr">回 হাদীস নং-৩</p> <p dir="ltr">হযরত খিযির (আ) কর্তৃক রাসূল (ﷺ) এর নাম শুনে চুমু খাওয়ার আমল বর্ণিত ইমাম আবু আব্বাস আহমদ বিন আবি বকর ইয়ামানী (রহ) তাঁর লিখিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ موجبات الرحمة و عزائم المغفرة এর মধ্যে হযরত খিযির (আ) থেকে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি মুয়াজ্জিনের কণ্ঠে ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মদার রাসূলূল্লাহ’ শোনে বলবে مرحبا بحبيبى و قرة عينى محمد بن عبد الله صلى الله عليه وسلم ) মারহাবা বি হাবিবি ওয়া কুররাতো আইনী মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ (ﷺ) অতঃপর স্বীয় বৃদ্ধাঙ্গুলীদ্বয় চুম্বন করে চোখে লাগাবে, তাহলে তার চোখে কখনও ব্যথা হবে না এবং সে কোন দিন অন্ধ হবে না।’’</p> <p dir="ltr">রেফারেন্সঃ</p> <p dir="ltr">ক. আল্লামা ইমাম সাখাভী : মাকাসিদুল হাসানা : ১/৩৮৩ : হাদিস : ১০২১<br> খ. আল্লামা আযলূনী : কাশফুল খাফা : ২/২৭০ : হাদিস : ২২৯৬<br> গ. আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী : মওদ্বুআতুল কবীর : ১০৮ পৃ<br> ঘ. আল্লামা মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী : জাআল হক : ২/২৪৬ পৃ</p> <p dir="ltr">回 হাদীস নং-৪</p> <p dir="ltr">হযরত আবু বকর (রা) এর আমল এবং সনদ তাত্ত্বিক বিশ্লেষন<br> হযরত আবু বকর (রা) হতে বর্ণিত, তিনি মুয়ায্যিনকে ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার’ রাসূলূল্লাহ বলতে শোনলেন, তখন তিনিও তা বললেন এবং বৃদ্ধাঙ্গুলীদ্বয়ে চুমু খেয়ে তা চোখে বুলিয়ে নিলেন। তা দেখে রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন : যে ব্যক্তি আমার বন্ধুর ন্যায় আমল করবে, তার জন্য আমার সুপারিশ বৈধ হয়ে গেল।’’<br> উক্ত হাদিসটি সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য মুহাদ্দিসগণের মতামত আমি তুলে ধরব, যাঁরা হাদিসটি সম্পর্কে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।</p> <p dir="ltr">১. ইমাম সাখাভীর অভিমতঃ আল্লামা ইমাম সাখাভী (রহঃ) হযরত আবু বকর (রা) এর বর্ণিত হাদিসটি সংকলন করে বলেন, لا يصح ‘হাদিসটি সহীহ নয়।’ হাদিসটি সহীহ নয় বললে, “হাসান” হাদিস বুঝায়। এমনকি মোল্লা আলী ক্বারী (রহ) বলেন, لا يصح لا ينافى الحسن-<br> -‘‘কোন মুহাদ্দিসের বক্তব্য হাদিসটি সহীহ নয়-তা দ্বারা হাদিসটি “হাসান” হওয়াতে কোন অসুবিধা বা নিষেধ করে না।’’ ইতিপূর্বে আমি ইমাম সাখাভীর বক্তব্যও পেশ করেছি। বুঝা গেল, হাদিসটি কমপক্ষে “হাসান” হাদিস যা দলীল হিসেবে দাড় করানোর গ্রহণযোগ্যতা রাখে।</p> <p dir="ltr">২. আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (রহ.) এর অভিমত : আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (রহ.) তাঁর গ্রন্থে ইমাম সাখাভী (রহ.)‘র রায় পেশ করে সমাধানের কথা বলেন যে- ‘‘আমার কথা হলো হাদিসটির সনদ যেহেতু হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা) পর্যন্ত প্রসারিত (মারফূ হিসেবে প্রমাণিত), সেহেতু আমলের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। কেননা হুযুর (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমরা আমার পর আমার সুন্নাত ও আমার খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে আকড়ে ধরো।’’</p> <p dir="ltr">রেফারেন্সঃ</p> <p dir="ltr">ক. আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (রহ.) বলেছেন যে, এতটুকুই যথেষ্ট যেহেতু হযরত আবু বকর (রা:) আমলটি করেছেন এবং তিনি পর্যন্ত সনদটি প্রসারিত।<br> খ. ইমাম আবদুর রহমান সাখাভী : মাকাসিদুল হাসানা : ৩৮৩ : হাদিস : ১০২১<br> গ. আল্লামা ইমাম আযলূনী : কাশফুল খাফা : ২/২৫৯ : হাদিস : ২২৯৬<br> ঘ. আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী : আসরারুল মারফূ : ৩১২ পৃষ্ঠা : হাদিস : ৪৫৩<br> ঙ. আল্লামা ইমাম তাহতাভী : মারাকিল ফালাহ : ১৬৫ পৃ. : কিতাবুল আযান<br> চ. আল্লামা শাওকানী : ফাওয়াহিদুল মওদ্বুআত : ১/৩৯ পৃ.<br> ছ. আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী : তাফসীরে রুহুল বায়ান : ৭/২২৯ পৃ<br> জ. আল্লামা তাহের পাটনী : তাযকিরাতুল মওদ্বুআত : ৩৪ পৃ<br> ঝ. আল্লামা জালালুদ্দীন সূয়তী : লাআলীল মাসনূ আ : ১৬৮-১৭০ পৃ</p> <p dir="ltr">回 দলীল নং ৫</p> <p dir="ltr">আল্লামা তাহের পাটনী ও শাওকানীর অভিমতঃ- আহলে হাদিস মাওলানা কাযী শাওকানী তার প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ফাওয়াহিদুল মওদ্বুআত ১/১৯ পৃষ্ঠায় হযরত আবু বকর (রা) বর্ণিত হাদিসটি বর্ণনার পর লিখেন,<br> رواه الديلمى فى مسند الفردوس عن ابى بكر مرفوعا قال ابن طاهر فى التذكرة: لا يصح<br> -‘‘উক্ত হাদিসটি ইমাম দায়লামী (রহ.) ‘মুসনাদিল ফিরদাউস’ গ্রন্থে বর্ণনা করেন মারফূ হিসেবে (যার সনদ রাসূল (ﷺ) পর্যন্ত পৌঁছেছে উক্ত হাদিস সম্পর্কে আল্লামা তাহের পাটনী (রহ.) তার “তাযকিরাতুল মওদ্বুআত’’ গ্রন্থে বলেন হাদিসটি সহীহ পর্যায়ের নয়(তবে হাসান)।’’<br> আর আল্লামা তাহের পাটনীর মুল বক্তব্যটি হচ্ছে তার তাযকিরাতুল মওদ্বুআত গ্রন্থের : ১/৩৪ পৃষ্ঠায়। হাদিসটি সহীহ নয় বলতে “হাসান” হাদিস বুঝায় যা আমি কিতাবের শুরুতে অসংখ্য মুহাদ্দিসের মতামত দিয়ে আলোচনা করে এসেছি। শুধু তাই নয় আল্লামা তাহের পাটনী আরও বলেন, উক্ত হাদিসটিও কয়েক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।<br> তাই তার মত অনুসারে হাদিসটি “হাসান” হিসেবে প্রমাণ পাওয়া গেল তা ছাড়া ইমাম সাখাভী মাকাসিদুল হাসানার ৩৯১ পৃষ্ঠায় উক্ত হাদিসটির অনেকগুলো সূত্র ও আমল বর্ণনা করেছেন যেমনটি উল্লেখ করেছেন আল্লামা আযলূনী তার কাশফুল খাফা : ২/১৮৫পৃ.হাদিস : ২২৯৪-এ।</p> <p dir="ltr">回 ওহাবী ও আহলে হাদীস কে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেখুনঃ</p> <p dir="ltr">回 যখন আজানে হুজুর (ﷺ) এর পবিত্র নাম মোবারক শুনবে তখন দরূদ শরীফ পড়বে অতঃপর বুড়ো আঙ্গুলে চুমা দিয়ে চোখে লাগাবে তাহলে চোখ কখনও অন্ধ হবে না এবং চোখও উঠবে না ।</p> <p dir="ltr">(১) শাফেয়ী মাজহাবের বিখ্যাত কিতাবঃ- “ইয়ানাতুত ত্বলিবিন আলা হাল্লিল আলফাজি ফাতাহিল মুজিনে, এর ২৪৭ পৃষ্ঠা ।</p> <p dir="ltr">(২) মালিকী মাজহাবের বিখ্যাত কিতাবঃ- ” কিফায়াতুত ত্বলিবের রব্বানী লি রিসালাত ইবনে জায়িদ আলকাইর ওয়ানী, এর ১৬৯ পৃষ্ঠা ।</p> <p dir="ltr">回 আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের সবাইকে সহীহ আক্বিদা বুঝার এবং বাতিল আক্বিদাকে প্রত্যাখান করার তাওফিক দিন এই দোয়া হুজুর পাক (ﷺ) এর ওসিলা করে কবুল করুন।</p> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg-rTk5Npej6qHTs3Dff2FP-68pVhMSjb5lUhwaZ381Ib9auAiykudXa3JnX0ywXsP3s28KFqbcULoL7pD_KTPaBOKlkTZ3kCXarNudqdJcydR9o-X_1b3TUyYkcxOS7K4vIE8ZQJqSmh4/s1600/FB_IMG_1544559803199.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg-rTk5Npej6qHTs3Dff2FP-68pVhMSjb5lUhwaZ381Ib9auAiykudXa3JnX0ywXsP3s28KFqbcULoL7pD_KTPaBOKlkTZ3kCXarNudqdJcydR9o-X_1b3TUyYkcxOS7K4vIE8ZQJqSmh4/s640-rw/FB_IMG_1544559803199.jpg"> </a> </div>

নবী করীম (ﷺ) এর নাম শুনে বৃদ্ধা আঙ্গুলে চুম্বন করে চোখে লাগানো সুন্নত।

নবী করীম (ﷺ) এর নাম শুনে বৃদ্ধা আঙ্গুলে চুম্বন করে চোখে লাগানো সুন্নত। ______________________________ 回 হাদীস নং-১ ‘‘হযরত ওয়াহাব ইবনে মু...

Read more »