নবীজী নূরের তৈরী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">নবী করিম (সঃ) যে নুরের তৈরি তার দলিল<br />কোরআন শরিফ,তাফসির ও হাদিসের আলোকেঃ<br /><br />আল্লাহ তায়া’লা ইরশাদ করেন-<br />قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين-<br />অর্থঃ নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা নূর এবং স্পষ্ট কিতাব এসেছে।। (সূরা মায়িদা আয়াত- ১৫)<br />আলোচ্য আয়াতে নূর দ্বারা নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বুঝানো হয়েছে। নিম্নে আরো কয়েকটি প্রসিন্ধ তাফসীরের আলোকে দলিল উপস্থাপন করা হলঃ-<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhfdILTiYPCXdZDCHU7E15y8lY4kTzM8EeFAmJUvehU001IFnJUpNjptRgra9IqWMzScbvRtIfqdGoM4VyaxILCnts_dyCE-Zrm8Vsw-KUFhyDsBWreC45A7d6zNnGqJfjfYMgKHgpAd04W/s1600/FB_IMG_1544550988839.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="720" data-original-width="1080" height="213" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhfdILTiYPCXdZDCHU7E15y8lY4kTzM8EeFAmJUvehU001IFnJUpNjptRgra9IqWMzScbvRtIfqdGoM4VyaxILCnts_dyCE-Zrm8Vsw-KUFhyDsBWreC45A7d6zNnGqJfjfYMgKHgpAd04W/s320-rw/FB_IMG_1544550988839.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />দলিল নং ১<br />বিশ্ব বিখ্যাত মুফাসসিরে কোরআন হযরত ইবনে আববাস (রাঃ) এর বিশ্ব বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ ইবনে আববাস এর মধ্যে আছে-<br /><br />قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين يعني محمدا صلي الله عليه ؤسلم-<br />অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের  কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন। (তাফসীরে ইবনে আববাস পৃষ্ঠা ৭২)।<br /><br />দলিল নং ২<br />ইমাম আবু জাফর মুহাম্মদ ইবনে জারীর আত্-তবারী (রা) তাঁর বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ ইবনে জারীর এর মধ্যে বলেন-<br /><br />قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين يعني باالنؤر محمدا صلي الله عليه ؤسلم الذي انار الله به الحق واظهربه الاسلام ومحق به الشرك-<br />অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের  কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন, যে নূর দ্বারা আল্লাহ সত্যকে উজ্জ্বল ও ইসলামকে প্রকাশ করেছেন এবং শিরিককে নিশ্চিহ্ন করেছেন। ( তাফসীরে ইবনে জারীর ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৮৬, সূরা মায়িদা আয়াত ১৫)।<br /><br />দলিল নং ৩<br />মুহীউস্সুন্নাহ আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহাম্মদ (রাঃ) (যিনি ‘খাজিন’ নামে পরিচিত) তাফসীরে খাজেনের মধ্যে বলেন-<br /><br />قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين يعنى باالنؤر محمدا صلي الله عليه وسلم انما سماه الله نور الانه يهداى بالنور في الظلام-<br />অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের  কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন। আল্লাহ তায়া’লা তাঁর নামকরণ করেছেন নূর, কারণ তাঁর নূরেতে হেদায়ত লাভ করা যায়। যেভাবে অন্ধকারে নূর দ্বারা পথ পাওয়া যায়। (তাফসীরে খাজিন ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৭)।<br /><br />দলিল নং ৪<br />ইমাম হাফেজ উদ্দীন আবুল বারাকাত আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ আন- নাসাফী (রা) এই আয়াত শরীফ  ( قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين) প্রসঙ্গে বলেন-<br /><br />والنور محمد عليه والسلام لانه يهتداي به كما سمي سراجا منيرا-<br />আর নূর হলেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কেননা তাঁর নূরেতে হেদায়ত লাভ করা যায়, যেমন তাঁকে উজ্জ্বল প্রদীপ বলা হয়েছে। (তাফসীরে মাদারিক ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৭)।<br /><br />দলিল নং ৫<br />ইমামুল মুতাকাল্লেমীন আল্লামা ফখরুদ্দীন রাযী (রা) এই আয়াত শরীফ  ( قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين) প্রসঙ্গে বলেন-<br /><br />ان المراد بالنور محمد صلي الله عليه و سلم وبالكتاب القران-<br />অর্থঃ নিশ্চয়ই নূর দ্বারা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং কিতাব দ্বারা আল কোরআন মজীদকে বুঝানো হয়েছে। (তাফসীরে কবীর ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯৫, সূরা মায়িদা আয়াত ১৫)।<br />আর যারা বলে যে ‘নূর ও কিতাবে মুবীন’ দ্বারা কুরআন মজীদকেই বুঝানো হয়েছে, ইমাম রাযী (রা) সে সম্পর্কে বলেন-<br /><br />هذا ضعيف لان العطف يوجب المغايرة بين المعطوف والمعطوف عليه-<br />এই অভিমত দুর্বল, কারণ আতফ (ব্যাকরণগত সংযোজিত) মা‘তুফ (সংযোজিত) ও মা‘তুফ আলাইহি (যা তার সাথে সংযোজন কারা হয়েছে ) এর মধ্যে ভিন্নতা  প্রমাণ করে। (তাফসীরে কবীর ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯৫)।<br /><br />দলিল নং ৬<br />ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (রা) বলেনঃ<br /><br />قد جاءكم من الله نور هو نور النبى صلي الله عليه وسلم-<br />অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর এসেছে, তা হল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নূর মোবারক।<br /> (তাফসীরে জালালাইন শরীফ পৃষ্ঠা ৯৭)<br /><br />দলিল নং ৭<br />আল্লামা মাহমূদ আলূসী বাগদাদী (রা) বলেন-<br /><br />  قد جاءكم من الله نور هو نورعظيم هو نور الانوارالنبى المختار صلى الله عليه وسلم الى ذهب قتادة والزجاج-<br />অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে মহান নূর এসেছে । আর তিনি হলেন নূরুল আনোয়ার নবী মোখতার সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এটাই হযরত কাতাদাহ ও যুজাজের অভিমত। (তাফসীরে রুহুল মাআনী ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৭)।<br /><br />দলিল নং ৮<br />আল্লামা ইসমাঈল হক্কী (রা) বলেন-<br />قيل المراد باالاول هو الرسول صلى الله عليه وسلم وبالثانى القران-<br />অর্থঃ বলা হয়েছে যে, প্রথমটা অর্থাৎ নূর দ্বারা রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বুঝানো হয়েছে এবং দ্বিতীয়টা অর্থাৎ কিতাবে মুবীন দ্বারা কুরআন কে বুঝানো হয়েছে। (তাফসীরে রুহুল বয়ান ২খন্ড, পৃষ্ঠা ২৬৯)<br />আর অগ্রসর হয়ে বলেন-<br /><br />سمى الرسول نورا لان اول شيئ اظهره الحق بنور قدرته من ظلمة العدم كان نور محمد صلي الله عليه و سلم كما قال اول ما خلق الله نورى-<br />অর্থ: আল্লাহ তায়া‘লা রসূল আকরাম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম রেখেছেন নূর। কেননা আল্লাহ তায়া‘লা তাঁর কুদরতের নূর থেকে সর্বপ্রথম যা প্রকাশ করেছেন তা তো মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নূর মোবারক। যেমন তিনি ফরমায়েছেন- আল্লাহ তায়া‘লা সর্বপ্রথম আমার নূর মোবারক কে সৃষ্টি করেছেন। (তাফসীরে রুহুল বয়ান ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৬৯)।<br /><br />দলিল নং ৯<br />ইমাম মুহীউস সুন্নাহ আবু মু‏হাম্মদ আল- হোসাইন আল-ফাররা আল-বাগাভী (রা) বলেন-<br /><br />قد جاءكم من الله نور يعنى باالنؤر محمدا صلي الله عليه وسلم-<br />অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের  কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন। (তাফসীরে মাআলিমুত তান্যীল, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ২৩, তাফসীরে খাযিনের পাদ টীকা)<br /><br />এ ছাড়া আরো অনেক তাফসীর গ্রন্থর মধ্যে আছে যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নূরঃ-<br />সুরা মায়েদা পারা ৬, ১৫ নং আয়াতে  নূরের ব্যাখ্যাঃ-<br />১। তাফসীরে মারেফুল কোরআন পৃষ্ঠা ৫৪।<br /><br />২। তাফসীরে আবি সউদ ২য় খন্ড, পৃ- ২৫১,<br />৩। তাফসীরে রুহুল বয়ান ২য় খন্ড, পৃ- ৩৬৯,<br />৪। তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১ম খন্ড, পৃ- ৩৬০, ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৭,<br />৫। তাফসীরে ইবনে জারীর ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃ- ৮৬,<br />৬। তাফসীরে কবীর ১১তম খন্ড, পৃ- ১৬৩,<br />৭। তাফসীরে কুরতুবী ৬ষ্ঠ খন্ড পৃ- ১১৮,<br />৯। তাফসীরে বায়জাভী ১ম খন্ড, পৃ- ৬৪,<br />১০। তাফসীরে মাজহারী ৩য় খন্ড, পৃ- ৬৮,<br />১১। তাফসীরে কবীর ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃ- ৪৬২,<br />১২। ছফওয়াতুত তাফাসীর ২য় খন্ড, পৃ- ১৪০,<br />১৩। তাফসীরে দুররে মানসুর ২য় খন্ড, পৃ- ১৮৭, তাফসীরে নূরুল কোরআন ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ১৬১, তাফসীরে নঈমী ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ২৯৫।<br />সূরা তাওবা পারা ১০, ৩২ নং আয়াতে নূরের ব্যাখ্যাঃ-<br />১। তাফসীরে দুররে মানসুর  ৩ খন্ড, পৃ- ২০১,<br />২। তাফসীরে কবীর ১৬ম খন্ড, পৃ- ৩৪,<br />৩। তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১৪ম খন্ড, পৃ- ৪৮।<br />সুরা নূর পারা ১৮, আয়াত নং ৩৫ঃ-<br />১। তাফসীরে ইবনে আববাস ৪র্থ খন্ড, পৃ- ২৪,<br />২। তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১০ম খন্ড, পৃ- ১৬৬।<br />সুরা আহযাব আয়াত নং ৪৬ঃ-<br />১। তাফসীরে আহকামুল কোরআন লিল ইবনুল আরাবী ৩য় খন্ড, পৃ- ১৫৪৬,<br />২। তাফসীরে মাওয়ারদী ৪র্থ খন্ড, পৃ- ৪১১।<br />হাদীস শরীফের আলোকেঃ<br /><br />দলিল নং ১০<br /><br />عن جابر بن عبد الله رضى الله عنه قال : قلت يا رسول الله بابى انت وامى اخبرنى عن اول شئ خلق الله تعالى قبل الاشياء ؟ قال يا جابر ان الله تعالى قد خلق قبل الاشياء نورنبيك من نوره فجعل ذالك النور يدور بالقدرة حيث شاء الله تعالى ولم يكن في ذالك الوقت لوح ولا قلم ولا جنة ولا ملك ولا سماء ولا ارض ولا شمس ولا قمر ولا جن ولا انس – فلما اراد الله تعالى ان يخلق الخلق قسم ذالك النور اربعة اجزاء فخلق من الجزء الاول القلم و من الثاني اللوح ومن الثالث العرش ثم قسم الجزء الربع اربعة اجزاء فخلق من الاول حملة العرش ومن الثانى الكرسى ومن الثالث باقى الملائكة ثم قسم الربع اربع اجزاء فخلق من الاول السماوات ومن الثانى الارضين ومن الثالث الجنة والنار—————————————– الخ-<br />অর্থঃ হযরত জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবেদন করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার মা-বাবা আপনার কদম মোবারকে উৎসর্গিত, আপনি দয়া করে বলুন, সকল বস্ত্তর পূর্বে সর্বপ্রথম আল্লাহ তায়া’লা কোন বস্ত্তটি সৃষ্টি করেছিলেন? নবীজী  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়’লা সমস্ত কিছুর পূর্বে তোমার নবীর (তোমার) নূর মোবারক তাঁরই নূর মোবারক হতে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর ওই নূর আল্লাহ তায়’লারই মর্জি মুতাবেক তাঁরই কুদরতি শক্তিতে পরিভ্রমণ করতে লাগল। ওই সময় না ছিল বেহেশ্ত-দোযখ, আর ছিলনা আসমান-যমীন, চন্দ্র-সূর্য, মানব ও দানব। এক পর্যায়ে মহান আল্লাহ যখন সৃষ্টিজগত পয়দা করার মনস্থ করেছিলেন, প্রথমেই ওই নূর মোবারককে চারভাগে বিভক্ত করে প্রথম অংশ দিয়ে কলম, দ্বিতীয় অংশ দিয়ে লওহ, তৃতীয় অংশ দিয়ে আরশ, সৃষ্টি করে চুতুর্থাংশকে পুণরায় চারভাগে বিভক্ত করে প্রথমাংশ দিয়ে আরশবহনকারী ফেরেশতাদের দ্বিতীয় অংশ দ্বারা কুরসী, তৃতীয় অংশ দ্বারা অন্যান্য ফেরেশতাদের সৃষ্টি করে চুতুর্থাংশকে আবারও  চারভাগে বিভক্ত করে প্রথম ভাগ দিয়ে সপ্ত আসমান, দ্বিতীয় ভাগ দিয়ে সপ্ত যমীন, তৃতীয় ভাগ দিয়ে বেহেশত-দোযখ এবং পরবর্তী ভাগ দিয়ে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সকল বস্ত্ত সৃষ্টি করে। (আল মাওয়াহিবুল লাদুনিয়া ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৭১)।<br /><br />দলিল নং ১১<br />عن كعب الخبار رضى الله عنه قال : لما الله ان يخلق المخلوقات بسط الارض وقع السماء وقبض قبصة من نوره و قال لها كونى محمدا فصارت عمودا من نوره فعلا حتى انتهى الى حجب العظمة فسجد و قال فى سجوده الحمد لله فقال الله سبحانه و تعالى لهذا خلقتك و سميتك محمد صلى الله عليه و سلم منك ابدا الخلق و بك اختم الرسل-<br />অর্থঃ হযরত কাব আহবার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ পাক রাববুল আলামিন যখন সৃষ্টি জগত সৃজন করার ইচ্ছা করলেন তখন মাটিকে সস্প্রসারিত করলেন, আকাশকে উঁচু করলেন এবং আপন নূও হতে এক মুষ্ঠি নূর গ্রহন করলেন। তারপর উক্ত নূরকে নির্দেশ দিলেন‘ তুমি মুহাম্ম্দ হয়ে যাও।’ অতএব সে নূও স্তম্ভের ন্যায় উপরের দিকে উঠতে থাকল এবং মহত্বের পর্দা পর্যন্ত পৈাছে সিজদায় পরে বলল,‘আলহামদুলিল্লাহ্’ তখন আল্লাহ্ পাকের পক্ষ থেকে ইরশাদ হল,এজন্যই তোমাকে সৃষ্টি করেছি আর তোমার নাম মুহাম্ম্দ রেখেছি। তোমার হতেই সৃষ্টি কাজ শুরু করব এবং তোমাতেই রিসালাতের ধারা সমাপ্ত করব ।  (সিরাতুল হালাভিয়া ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৫০)।<br /><br />দলিল নং ১২<br /><br />عن عائشة رضي الله عنها قالة : كنة في الشجر ثوبا لرسول الله صلي عليه و سلم فانطفا المصباح و سقطة الابرة من يدي فدخل علي رسول الله صلي الله عليه و سلم فاضاء من نور و جهه فجدة الابرة-<br />অর্থঃ ‘‘হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, আমি রাত্রে বাতির আলোতে বসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাপড় মোবারক সেলাই করেছিলাম। এমন সময় প্রদীপটি (কোন কারণে) নিভে গেল এবং আমি সুচটি হারিয়ে ফেললাম। এরপরই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্ধকার ঘরে প্রবেশ করলেন। তাঁর চেহারা মোবারকের নূরের জ্যোতিতে আমার অন্ধকার ঘর আলোময় হয়ে গেল এবং আমি (ঐ আলোতেই) আমার হারানো সুচটি খুজে পেলাম’’। (ইমাম ইবনে হায়তামী (রাঃ) এর  আন-নে’মাতুল কোবরা আলার আলম গ্রন্থে ৪১ পৃষ্ঠা)।<br />দলিল নং ১৩<br /><br />اخرج ابن ابي عمر العدني فى مسنده عن ابن عباس ان قريشا كانت نورا بين يدي الله تعالى قبل ان يخلق ادم بالفى عام يسبح ذالك النور و تسبح الملائكة بتسيحه فلما خلق الله ادم القي ذالك النور فى صلب قال رسول الله صل اله عليه و سلم فاهبطنى الله الى الارض فى صلب ادم (عليه السلام) و جعلنى فى صلب نوح عليه السلام و ق           ف بى فى صلب ابرهيم عليه السلام ثم لم يزل الله ينقلبى من الصلاب الكريمة و الارحام الطاهؤة حتى اخرجنى من بين ابوى لم يلتقيا على سفاح قط-<br />অর্থঃ  হযরত ইবনে আলী ওমর আল-আদানী স্বীয় মুসনাদে হযরত ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, হযরত  আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করলেন, তখন তাঁকে তাঁর সন্তানদের পরস্পরের মধ্যে মর্যাদার তারতম্যটুকুও দেখাতে লাগলেন। তিনি ( আদম আলাইহিস সালাম ) তাদের মধ্যে শেষপ্রান্তে একটা উজ্জ্বল নূর দেখাতে পেলেন। তখন তিনি বললেন,‘‘ হে রব! ইনি কে? ( যাকে সবার মধ্যে প্রজ্জ্বলিত নূর হিসাবে দেখতে পাচ্ছি?) উত্তরে মহান রববুল আলামীন ইরশাদ করলেন,‘‘ ইনি হলেন তোমার পুত্র-সন্তান হযরত আহমদ মুজ্তবা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি প্রথম, তিনি শেষ, তিনি হবেন আমার দরবারে প্রথম সুপারিশকারী (ক্বিয়ামতের দিনে)। ( আল-খাসাইসুল কুবরা ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯)<br /><br />দলিল নং ১৪<br />ইমাম হাফেজ  আবুল ফযল ক্বাযী আয়ায (রা) বলেন-<br /><br />و قد سماه الله تعالى فى و سراجا منيرا فقال تعالي قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين و قال تعالى انا ارسلناك شاهدا و مبشيرا و نذيرا و داعيا الى الله باذنه و سراجا منيرا و قال فى غير هذا الموضع انه كان لاظل لشخصه في شمس و لا قمر لانه كان نورا الذباب كان لا يقع على جسده و لا ثيابه-<br />অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়া‘লা কোরআন করীমে তাঁর নাম রেখেছেন নূর ও সিরাজুম্ মুনীর। যেমন তিনি ফরমায়েছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর ও স্পষ্ট কিতাব এসেছে। আরো ফরমায়াছেন, আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি হাজের ও নাজেররূপে, আল্লাহর অনুমক্রিমে তাঁর দিকে আহবানকারীরূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপ (সিরাজুম মুনীর ) রূপে। নিশ্চয়ই তাঁর ছায়া ছিল না. না সূর্য়ালোকে না চন্দ্রালোকে কারণ তিনি ছিলেন নূর। তাঁর শরীল ও পোশাক মোবারকে মাছি বসত না। (শিফা শরীফ ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ২৪২)।<br /><br />দলিল নং ১৫<br />وعن ابلى هريرة رضى الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه و سلم سائل جبريل عليه السلام فقال يا جبريل كم عمرك من السنين فقال يا رسول الله مست اعلم غير ان فى الحجاب الرابع نجما يطلع في سبعين الف سنة مرة رايته اثنين و سبعين الف مرة فقال يا جبريل و عزة ربى جل جلا له انا ذالك الكوب–<br />অর্থঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন , রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদা জিবা্রঈল আলায়হিস সালামকে জিজ্ঞেসা করলেন , ওহে জিব্রাঈল! তোমার বয়স কত? উত্তরে জিব্রাঈল বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তো সঠিক জানি না। তবে এতটুকু বলতে পারি ( সৃষ্টি জগত সৃষ্টির পূর্বে) আল্লাহ তায়‘লা নূরানী আযমতের পর্দা সমূহের চতুর্খ পর্দায় একটি নূরানী তারকা সত্তর হাজার বছর পরপর উদিত হত। আমি আমার জীবনে সেই নূরানী তারকা বাহাত্তর হাজার বার উদিত হতে দেখেছি। অতঃপর নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম ইরশাদ  করলেন মহান রাববুল আলামীনের ইজ্জতের কসম করে বলছি, সেই অত্যুজ্জ্বল নূরানী তারকা আমিই ছিলাম। (সীরাতে হালাভীয়া পৃষ্ঠা ৪৯, তাফসীরে রুহুল বয়ান পৃষ্ঠা ৫৪৩)।<br /><br />দলিল নং ১৬<br />لم يكن له صلى الله عليه و سلم ظل في شمس و لا قمر لانه كان نورا-<br />অর্থঃ ‘‘সূর্য চন্দ্রের আলোতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেহ মোবারকের ছায়া পড়তোনা। কেননা, তিনি ছিলেন আপদমস্তক নূর’’।                                                                                          (যুরকানী শরীফ ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা ২২০)।<br />এ ছাড়া আরো অনেক হাদীস শরীফ গ্রন্থ এর মধ্যে আছে যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নূর তা নিম্নরূপঃ-<br />১। মিশকাত শরীফ পৃষ্ঠা ৫১৩, ২৪ এর ১০নং হাশিয়া, ৫১১ এর ৬নং হাশিয়া,   তিরমিজি শরীফ ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৭, মাওয়াহিবে লাদুনিয়া পৃষ্ঠা ৪৫,শরহে সুন্নাহ ১০ম খন্ড, পৃষ্ঠা ২০৭, মিরকাত ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১৪৬,১৬৬,১৯৪। তিরমিজি শরীফ ২য় খন্ড, প- ৩৭, মাজমুওয়ায়ে ফাতাওয়ার ২য় খন্ড, পৃ- ২৮৬, ১৮। নশরুততীব পৃ- ৫, কৃতঃ আশরাফ আলী থানবী, ১৯। এমদাদুছ ছুলূক পৃষ্ঠা  কৃতঃ রশিদ আহমেদ গাংগুহী । ২০। শুকরে নিয়ামত কৃতঃ কাসেম নানুতুবী, গাওহারে সিরাজী পৃষ্ঠা ৬৯, কৃতঃ সিরাজুল ইসলাম।</div>

নবীজী নূরের তৈরী

নবী করিম (সঃ) যে নুরের তৈরি তার দলিল কোরআন শরিফ,তাফসির ও হাদিসের আলোকেঃ আল্লাহ তায়া’লা ইরশাদ করেন- قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين- অর্থঃ ন...

Read more »

নবীজী নূরের তৈরী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> নবী করিম (সঃ) যে নুরের তৈরি তার দলিল<br /> কোরআন শরিফ,তাফসির ও হাদিসের আলোকেঃ<br /> <br /> আল্লাহ তায়া’লা ইরশাদ করেন-<br /> قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين-<br /> অর্থঃ নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা নূর এবং স্পষ্ট কিতাব এসেছে।। (সূরা মায়িদা আয়াত- ১৫)<br /> আলোচ্য আয়াতে নূর দ্বারা নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বুঝানো হয়েছে। নিম্নে আরো কয়েকটি প্রসিন্ধ তাফসীরের আলোকে দলিল উপস্থাপন করা হলঃ-<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJGWCJFloG9o5fRxP5612MtbqThVJqBgA2cIv-P2YY7dfY7DvfsJhguOlsuCdQpLwcpIahbWvGpoeRiQ3oW77g9bdIOnTsWzfyjc36tPiiNLeY2ozdBaHuN4a6grxWfkiIgVG6EYD4QXPk/s1600/FB_IMG_1544550988839.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="720" data-original-width="1080" height="213" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiJGWCJFloG9o5fRxP5612MtbqThVJqBgA2cIv-P2YY7dfY7DvfsJhguOlsuCdQpLwcpIahbWvGpoeRiQ3oW77g9bdIOnTsWzfyjc36tPiiNLeY2ozdBaHuN4a6grxWfkiIgVG6EYD4QXPk/s320-rw/FB_IMG_1544550988839.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <br /> দলিল নং ১<br /> বিশ্ব বিখ্যাত মুফাসসিরে কোরআন হযরত ইবনে আববাস (রাঃ) এর বিশ্ব বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ ইবনে আববাস এর মধ্যে আছে-<br /> <br /> قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين يعني محمدا صلي الله عليه ؤسلم-<br /> অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের  কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন। (তাফসীরে ইবনে আববাস পৃষ্ঠা ৭২)।<br /> <br /> দলিল নং ২<br /> ইমাম আবু জাফর মুহাম্মদ ইবনে জারীর আত্-তবারী (রা) তাঁর বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ ইবনে জারীর এর মধ্যে বলেন-<br /> <br /> قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين يعني باالنؤر محمدا صلي الله عليه ؤسلم الذي انار الله به الحق واظهربه الاسلام ومحق به الشرك-<br /> অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের  কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন, যে নূর দ্বারা আল্লাহ সত্যকে উজ্জ্বল ও ইসলামকে প্রকাশ করেছেন এবং শিরিককে নিশ্চিহ্ন করেছেন। ( তাফসীরে ইবনে জারীর ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৮৬, সূরা মায়িদা আয়াত ১৫)।<br /> <br /> দলিল নং ৩<br /> মুহীউস্সুন্নাহ আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহাম্মদ (রাঃ) (যিনি ‘খাজিন’ নামে পরিচিত) তাফসীরে খাজেনের মধ্যে বলেন-<br /> <br /> قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين يعنى باالنؤر محمدا صلي الله عليه وسلم انما سماه الله نور الانه يهداى بالنور في الظلام-<br /> অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের  কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন। আল্লাহ তায়া’লা তাঁর নামকরণ করেছেন নূর, কারণ তাঁর নূরেতে হেদায়ত লাভ করা যায়। যেভাবে অন্ধকারে নূর দ্বারা পথ পাওয়া যায়। (তাফসীরে খাজিন ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৭)।<br /> <br /> দলিল নং ৪<br /> ইমাম হাফেজ উদ্দীন আবুল বারাকাত আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ আন- নাসাফী (রা) এই আয়াত শরীফ  ( قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين) প্রসঙ্গে বলেন-<br /> <br /> والنور محمد عليه والسلام لانه يهتداي به كما سمي سراجا منيرا-<br /> আর নূর হলেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কেননা তাঁর নূরেতে হেদায়ত লাভ করা যায়, যেমন তাঁকে উজ্জ্বল প্রদীপ বলা হয়েছে। (তাফসীরে মাদারিক ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৭)।<br /> <br /> দলিল নং ৫<br /> ইমামুল মুতাকাল্লেমীন আল্লামা ফখরুদ্দীন রাযী (রা) এই আয়াত শরীফ  ( قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين) প্রসঙ্গে বলেন-<br /> <br /> ان المراد بالنور محمد صلي الله عليه و سلم وبالكتاب القران-<br /> অর্থঃ নিশ্চয়ই নূর দ্বারা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং কিতাব দ্বারা আল কোরআন মজীদকে বুঝানো হয়েছে। (তাফসীরে কবীর ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯৫, সূরা মায়িদা আয়াত ১৫)।<br /> আর যারা বলে যে ‘নূর ও কিতাবে মুবীন’ দ্বারা কুরআন মজীদকেই বুঝানো হয়েছে, ইমাম রাযী (রা) সে সম্পর্কে বলেন-<br /> <br /> هذا ضعيف لان العطف يوجب المغايرة بين المعطوف والمعطوف عليه-<br /> এই অভিমত দুর্বল, কারণ আতফ (ব্যাকরণগত সংযোজিত) মা‘তুফ (সংযোজিত) ও মা‘তুফ আলাইহি (যা তার সাথে সংযোজন কারা হয়েছে ) এর মধ্যে ভিন্নতা  প্রমাণ করে। (তাফসীরে কবীর ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯৫)।<br /> <br /> দলিল নং ৬<br /> ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (রা) বলেনঃ<br /> <br /> قد جاءكم من الله نور هو نور النبى صلي الله عليه وسلم-<br /> অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর এসেছে, তা হল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নূর মোবারক।<br />  (তাফসীরে জালালাইন শরীফ পৃষ্ঠা ৯৭)<br /> <br /> দলিল নং ৭<br /> আল্লামা মাহমূদ আলূসী বাগদাদী (রা) বলেন-<br /> <br />   قد جاءكم من الله نور هو نورعظيم هو نور الانوارالنبى المختار صلى الله عليه وسلم الى ذهب قتادة والزجاج-<br /> অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে মহান নূর এসেছে । আর তিনি হলেন নূরুল আনোয়ার নবী মোখতার সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এটাই হযরত কাতাদাহ ও যুজাজের অভিমত। (তাফসীরে রুহুল মাআনী ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৭)।<br /> <br /> দলিল নং ৮<br /> আল্লামা ইসমাঈল হক্কী (রা) বলেন-<br /> قيل المراد باالاول هو الرسول صلى الله عليه وسلم وبالثانى القران-<br /> অর্থঃ বলা হয়েছে যে, প্রথমটা অর্থাৎ নূর দ্বারা রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বুঝানো হয়েছে এবং দ্বিতীয়টা অর্থাৎ কিতাবে মুবীন দ্বারা কুরআন কে বুঝানো হয়েছে। (তাফসীরে রুহুল বয়ান ২খন্ড, পৃষ্ঠা ২৬৯)<br /> আর অগ্রসর হয়ে বলেন-<br /> <br /> سمى الرسول نورا لان اول شيئ اظهره الحق بنور قدرته من ظلمة العدم كان نور محمد صلي الله عليه و سلم كما قال اول ما خلق الله نورى-<br /> অর্থ: আল্লাহ তায়া‘লা রসূল আকরাম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম রেখেছেন নূর। কেননা আল্লাহ তায়া‘লা তাঁর কুদরতের নূর থেকে সর্বপ্রথম যা প্রকাশ করেছেন তা তো মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নূর মোবারক। যেমন তিনি ফরমায়েছেন- আল্লাহ তায়া‘লা সর্বপ্রথম আমার নূর মোবারক কে সৃষ্টি করেছেন। (তাফসীরে রুহুল বয়ান ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৬৯)।<br /> <br /> দলিল নং ৯<br /> ইমাম মুহীউস সুন্নাহ আবু মু‏হাম্মদ আল- হোসাইন আল-ফাররা আল-বাগাভী (রা) বলেন-<br /> <br /> قد جاءكم من الله نور يعنى باالنؤر محمدا صلي الله عليه وسلم-<br /> অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের  কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন। (তাফসীরে মাআলিমুত তান্যীল, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ২৩, তাফসীরে খাযিনের পাদ টীকা)<br /> <br /> এ ছাড়া আরো অনেক তাফসীর গ্রন্থর মধ্যে আছে যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নূরঃ-<br /> সুরা মায়েদা পারা ৬, ১৫ নং আয়াতে  নূরের ব্যাখ্যাঃ-<br /> ১। তাফসীরে মারেফুল কোরআন পৃষ্ঠা ৫৪।<br /> <br /> ২। তাফসীরে আবি সউদ ২য় খন্ড, পৃ- ২৫১,<br /> ৩। তাফসীরে রুহুল বয়ান ২য় খন্ড, পৃ- ৩৬৯,<br /> ৪। তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১ম খন্ড, পৃ- ৩৬০, ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৭,<br /> ৫। তাফসীরে ইবনে জারীর ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃ- ৮৬,<br /> ৬। তাফসীরে কবীর ১১তম খন্ড, পৃ- ১৬৩,<br /> ৭। তাফসীরে কুরতুবী ৬ষ্ঠ খন্ড পৃ- ১১৮,<br /> ৯। তাফসীরে বায়জাভী ১ম খন্ড, পৃ- ৬৪,<br /> ১০। তাফসীরে মাজহারী ৩য় খন্ড, পৃ- ৬৮,<br /> ১১। তাফসীরে কবীর ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃ- ৪৬২,<br /> ১২। ছফওয়াতুত তাফাসীর ২য় খন্ড, পৃ- ১৪০,<br /> ১৩। তাফসীরে দুররে মানসুর ২য় খন্ড, পৃ- ১৮৭, তাফসীরে নূরুল কোরআন ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ১৬১, তাফসীরে নঈমী ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ২৯৫।<br /> সূরা তাওবা পারা ১০, ৩২ নং আয়াতে নূরের ব্যাখ্যাঃ-<br /> ১। তাফসীরে দুররে মানসুর  ৩ খন্ড, পৃ- ২০১,<br /> ২। তাফসীরে কবীর ১৬ম খন্ড, পৃ- ৩৪,<br /> ৩। তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১৪ম খন্ড, পৃ- ৪৮।<br /> সুরা নূর পারা ১৮, আয়াত নং ৩৫ঃ-<br /> ১। তাফসীরে ইবনে আববাস ৪র্থ খন্ড, পৃ- ২৪,<br /> ২। তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১০ম খন্ড, পৃ- ১৬৬।<br /> সুরা আহযাব আয়াত নং ৪৬ঃ-<br /> ১। তাফসীরে আহকামুল কোরআন লিল ইবনুল আরাবী ৩য় খন্ড, পৃ- ১৫৪৬,<br /> ২। তাফসীরে মাওয়ারদী ৪র্থ খন্ড, পৃ- ৪১১।<br /> হাদীস শরীফের আলোকেঃ<br /> <br /> দলিল নং ১০<br /> <br /> عن جابر بن عبد الله رضى الله عنه قال : قلت يا رسول الله بابى انت وامى اخبرنى عن اول شئ خلق الله تعالى قبل الاشياء ؟ قال يا جابر ان الله تعالى قد خلق قبل الاشياء نورنبيك من نوره فجعل ذالك النور يدور بالقدرة حيث شاء الله تعالى ولم يكن في ذالك الوقت لوح ولا قلم ولا جنة ولا ملك ولا سماء ولا ارض ولا شمس ولا قمر ولا جن ولا انس – فلما اراد الله تعالى ان يخلق الخلق قسم ذالك النور اربعة اجزاء فخلق من الجزء الاول القلم و من الثاني اللوح ومن الثالث العرش ثم قسم الجزء الربع اربعة اجزاء فخلق من الاول حملة العرش ومن الثانى الكرسى ومن الثالث باقى الملائكة ثم قسم الربع اربع اجزاء فخلق من الاول السماوات ومن الثانى الارضين ومن الثالث الجنة والنار—————————————– الخ-<br /> অর্থঃ হযরত জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবেদন করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার মা-বাবা আপনার কদম মোবারকে উৎসর্গিত, আপনি দয়া করে বলুন, সকল বস্ত্তর পূর্বে সর্বপ্রথম আল্লাহ তায়া’লা কোন বস্ত্তটি সৃষ্টি করেছিলেন? নবীজী  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়’লা সমস্ত কিছুর পূর্বে তোমার নবীর (তোমার) নূর মোবারক তাঁরই নূর মোবারক হতে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর ওই নূর আল্লাহ তায়’লারই মর্জি মুতাবেক তাঁরই কুদরতি শক্তিতে পরিভ্রমণ করতে লাগল। ওই সময় না ছিল বেহেশ্ত-দোযখ, আর ছিলনা আসমান-যমীন, চন্দ্র-সূর্য, মানব ও দানব। এক পর্যায়ে মহান আল্লাহ যখন সৃষ্টিজগত পয়দা করার মনস্থ করেছিলেন, প্রথমেই ওই নূর মোবারককে চারভাগে বিভক্ত করে প্রথম অংশ দিয়ে কলম, দ্বিতীয় অংশ দিয়ে লওহ, তৃতীয় অংশ দিয়ে আরশ, সৃষ্টি করে চুতুর্থাংশকে পুণরায় চারভাগে বিভক্ত করে প্রথমাংশ দিয়ে আরশবহনকারী ফেরেশতাদের দ্বিতীয় অংশ দ্বারা কুরসী, তৃতীয় অংশ দ্বারা অন্যান্য ফেরেশতাদের সৃষ্টি করে চুতুর্থাংশকে আবারও  চারভাগে বিভক্ত করে প্রথম ভাগ দিয়ে সপ্ত আসমান, দ্বিতীয় ভাগ দিয়ে সপ্ত যমীন, তৃতীয় ভাগ দিয়ে বেহেশত-দোযখ এবং পরবর্তী ভাগ দিয়ে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সকল বস্ত্ত সৃষ্টি করে। (আল মাওয়াহিবুল লাদুনিয়া ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৭১)।<br /> <br /> দলিল নং ১১<br /> عن كعب الخبار رضى الله عنه قال : لما الله ان يخلق المخلوقات بسط الارض وقع السماء وقبض قبصة من نوره و قال لها كونى محمدا فصارت عمودا من نوره فعلا حتى انتهى الى حجب العظمة فسجد و قال فى سجوده الحمد لله فقال الله سبحانه و تعالى لهذا خلقتك و سميتك محمد صلى الله عليه و سلم منك ابدا الخلق و بك اختم الرسل-<br /> অর্থঃ হযরত কাব আহবার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ পাক রাববুল আলামিন যখন সৃষ্টি জগত সৃজন করার ইচ্ছা করলেন তখন মাটিকে সস্প্রসারিত করলেন, আকাশকে উঁচু করলেন এবং আপন নূও হতে এক মুষ্ঠি নূর গ্রহন করলেন। তারপর উক্ত নূরকে নির্দেশ দিলেন‘ তুমি মুহাম্ম্দ হয়ে যাও।’ অতএব সে নূও স্তম্ভের ন্যায় উপরের দিকে উঠতে থাকল এবং মহত্বের পর্দা পর্যন্ত পৈাছে সিজদায় পরে বলল,‘আলহামদুলিল্লাহ্’ তখন আল্লাহ্ পাকের পক্ষ থেকে ইরশাদ হল,এজন্যই তোমাকে সৃষ্টি করেছি আর তোমার নাম মুহাম্ম্দ রেখেছি। তোমার হতেই সৃষ্টি কাজ শুরু করব এবং তোমাতেই রিসালাতের ধারা সমাপ্ত করব ।  (সিরাতুল হালাভিয়া ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৫০)।<br /> <br /> দলিল নং ১২<br /> <br /> عن عائشة رضي الله عنها قالة : كنة في الشجر ثوبا لرسول الله صلي عليه و سلم فانطفا المصباح و سقطة الابرة من يدي فدخل علي رسول الله صلي الله عليه و سلم فاضاء من نور و جهه فجدة الابرة-<br /> অর্থঃ ‘‘হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, আমি রাত্রে বাতির আলোতে বসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাপড় মোবারক সেলাই করেছিলাম। এমন সময় প্রদীপটি (কোন কারণে) নিভে গেল এবং আমি সুচটি হারিয়ে ফেললাম। এরপরই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্ধকার ঘরে প্রবেশ করলেন। তাঁর চেহারা মোবারকের নূরের জ্যোতিতে আমার অন্ধকার ঘর আলোময় হয়ে গেল এবং আমি (ঐ আলোতেই) আমার হারানো সুচটি খুজে পেলাম’’। (ইমাম ইবনে হায়তামী (রাঃ) এর  আন-নে’মাতুল কোবরা আলার আলম গ্রন্থে ৪১ পৃষ্ঠা)।<br /> দলিল নং ১৩<br /> <br /> اخرج ابن ابي عمر العدني فى مسنده عن ابن عباس ان قريشا كانت نورا بين يدي الله تعالى قبل ان يخلق ادم بالفى عام يسبح ذالك النور و تسبح الملائكة بتسيحه فلما خلق الله ادم القي ذالك النور فى صلب قال رسول الله صل اله عليه و سلم فاهبطنى الله الى الارض فى صلب ادم (عليه السلام) و جعلنى فى صلب نوح عليه السلام و ق           ف بى فى صلب ابرهيم عليه السلام ثم لم يزل الله ينقلبى من الصلاب الكريمة و الارحام الطاهؤة حتى اخرجنى من بين ابوى لم يلتقيا على سفاح قط-<br /> অর্থঃ  হযরত ইবনে আলী ওমর আল-আদানী স্বীয় মুসনাদে হযরত ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, হযরত  আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করলেন, তখন তাঁকে তাঁর সন্তানদের পরস্পরের মধ্যে মর্যাদার তারতম্যটুকুও দেখাতে লাগলেন। তিনি ( আদম আলাইহিস সালাম ) তাদের মধ্যে শেষপ্রান্তে একটা উজ্জ্বল নূর দেখাতে পেলেন। তখন তিনি বললেন,‘‘ হে রব! ইনি কে? ( যাকে সবার মধ্যে প্রজ্জ্বলিত নূর হিসাবে দেখতে পাচ্ছি?) উত্তরে মহান রববুল আলামীন ইরশাদ করলেন,‘‘ ইনি হলেন তোমার পুত্র-সন্তান হযরত আহমদ মুজ্তবা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি প্রথম, তিনি শেষ, তিনি হবেন আমার দরবারে প্রথম সুপারিশকারী (ক্বিয়ামতের দিনে)। ( আল-খাসাইসুল কুবরা ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯)<br /> <br /> দলিল নং ১৪<br /> ইমাম হাফেজ  আবুল ফযল ক্বাযী আয়ায (রা) বলেন-<br /> <br /> و قد سماه الله تعالى فى و سراجا منيرا فقال تعالي قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين و قال تعالى انا ارسلناك شاهدا و مبشيرا و نذيرا و داعيا الى الله باذنه و سراجا منيرا و قال فى غير هذا الموضع انه كان لاظل لشخصه في شمس و لا قمر لانه كان نورا الذباب كان لا يقع على جسده و لا ثيابه-<br /> অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়া‘লা কোরআন করীমে তাঁর নাম রেখেছেন নূর ও সিরাজুম্ মুনীর। যেমন তিনি ফরমায়েছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর ও স্পষ্ট কিতাব এসেছে। আরো ফরমায়াছেন, আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি হাজের ও নাজেররূপে, আল্লাহর অনুমক্রিমে তাঁর দিকে আহবানকারীরূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপ (সিরাজুম মুনীর ) রূপে। নিশ্চয়ই তাঁর ছায়া ছিল না. না সূর্য়ালোকে না চন্দ্রালোকে কারণ তিনি ছিলেন নূর। তাঁর শরীল ও পোশাক মোবারকে মাছি বসত না। (শিফা শরীফ ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ২৪২)।<br /> <br /> দলিল নং ১৫<br /> وعن ابلى هريرة رضى الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه و سلم سائل جبريل عليه السلام فقال يا جبريل كم عمرك من السنين فقال يا رسول الله مست اعلم غير ان فى الحجاب الرابع نجما يطلع في سبعين الف سنة مرة رايته اثنين و سبعين الف مرة فقال يا جبريل و عزة ربى جل جلا له انا ذالك الكوب–<br /> অর্থঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন , রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদা জিবা্রঈল আলায়হিস সালামকে জিজ্ঞেসা করলেন , ওহে জিব্রাঈল! তোমার বয়স কত? উত্তরে জিব্রাঈল বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তো সঠিক জানি না। তবে এতটুকু বলতে পারি ( সৃষ্টি জগত সৃষ্টির পূর্বে) আল্লাহ তায়‘লা নূরানী আযমতের পর্দা সমূহের চতুর্খ পর্দায় একটি নূরানী তারকা সত্তর হাজার বছর পরপর উদিত হত। আমি আমার জীবনে সেই নূরানী তারকা বাহাত্তর হাজার বার উদিত হতে দেখেছি। অতঃপর নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম ইরশাদ  করলেন মহান রাববুল আলামীনের ইজ্জতের কসম করে বলছি, সেই অত্যুজ্জ্বল নূরানী তারকা আমিই ছিলাম। (সীরাতে হালাভীয়া পৃষ্ঠা ৪৯, তাফসীরে রুহুল বয়ান পৃষ্ঠা ৫৪৩)।<br /> <br /> দলিল নং ১৬<br /> لم يكن له صلى الله عليه و سلم ظل في شمس و لا قمر لانه كان نورا-<br /> অর্থঃ ‘‘সূর্য চন্দ্রের আলোতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেহ মোবারকের ছায়া পড়তোনা। কেননা, তিনি ছিলেন আপদমস্তক নূর’’।                                                                                          (যুরকানী শরীফ ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা ২২০)।<br /> এ ছাড়া আরো অনেক হাদীস শরীফ গ্রন্থ এর মধ্যে আছে যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নূর তা নিম্নরূপঃ-<br /> ১। মিশকাত শরীফ পৃষ্ঠা ৫১৩, ২৪ এর ১০নং হাশিয়া, ৫১১ এর ৬নং হাশিয়া,   তিরমিজি শরীফ ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৭, মাওয়াহিবে লাদুনিয়া পৃষ্ঠা ৪৫,শরহে সুন্নাহ ১০ম খন্ড, পৃষ্ঠা ২০৭, মিরকাত ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১৪৬,১৬৬,১৯৪। তিরমিজি শরীফ ২য় খন্ড, প- ৩৭, মাজমুওয়ায়ে ফাতাওয়ার ২য় খন্ড, পৃ- ২৮৬, ১৮। নশরুততীব পৃ- ৫, কৃতঃ আশরাফ আলী থানবী, ১৯। এমদাদুছ ছুলূক পৃষ্ঠা  কৃতঃ রশিদ আহমেদ গাংগুহী । ২০। শুকরে নিয়ামত কৃতঃ কাসেম নানুতুবী, গাওহারে সিরাজী পৃষ্ঠা ৬৯, কৃতঃ সিরাজুল ইসলাম।</div>

নবীজী নূরের তৈরী

নবী করিম (সঃ) যে নুরের তৈরি তার দলিল কোরআন শরিফ,তাফসির ও হাদিসের আলোকেঃ আল্লাহ তায়া’লা ইরশাদ করেন- قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين- অ...

Read more »

নবীজী নূরের তৈরী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />নবী করিম (সঃ) যে নুরের তৈরি তার দলিল<br /><br />কোরআন শরিফ,তাফসির ও হাদিসের আলোকেঃ<br /><br /><br /><br />আল্লাহ তায়া’লা ইরশাদ করেন-<br /><br />قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين-<br /><br />অর্থঃ নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা নূর এবং স্পষ্ট কিতাব এসেছে।। (সূরা মায়িদা আয়াত- ১৫)<br /><br />আলোচ্য আয়াতে নূর দ্বারা নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বুঝানো হয়েছে। নিম্নে আরো কয়েকটি প্রসিন্ধ তাফসীরের আলোকে দলিল উপস্থাপন করা হলঃ-<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhMHOiI0NIvLr5a47OPn9IJiQ0_eAxk9QK1s3x_xJ9BLvg6H08h0EEJfRbZvI87AlDbjf1t24nZ956qqfAr_pfO_IDnSt1E6PvR-kfjbC3eWCQMqBzcyq0AlG8MT8NGat_wmiS_d-RlWvUv/s1600/FB_IMG_1544550988839.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="720" data-original-width="1080" height="213" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhMHOiI0NIvLr5a47OPn9IJiQ0_eAxk9QK1s3x_xJ9BLvg6H08h0EEJfRbZvI87AlDbjf1t24nZ956qqfAr_pfO_IDnSt1E6PvR-kfjbC3eWCQMqBzcyq0AlG8MT8NGat_wmiS_d-RlWvUv/s320-rw/FB_IMG_1544550988839.jpg" width="320" /></a></div><br /><br /><br /><br /><br />দলিল নং ১<br /><br />বিশ্ব বিখ্যাত মুফাসসিরে কোরআন হযরত ইবনে আববাস (রাঃ) এর বিশ্ব বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ ইবনে আববাস এর মধ্যে আছে-<br /><br /><br /><br />قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين يعني محمدا صلي الله عليه ؤسلم-<br /><br />অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের  কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন। (তাফসীরে ইবনে আববাস পৃষ্ঠা ৭২)।<br /><br /><br /><br />দলিল নং ২<br /><br />ইমাম আবু জাফর মুহাম্মদ ইবনে জারীর আত্-তবারী (রা) তাঁর বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ ইবনে জারীর এর মধ্যে বলেন-<br /><br /><br /><br />قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين يعني باالنؤر محمدا صلي الله عليه ؤسلم الذي انار الله به الحق واظهربه الاسلام ومحق به الشرك-<br /><br />অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের  কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন, যে নূর দ্বারা আল্লাহ সত্যকে উজ্জ্বল ও ইসলামকে প্রকাশ করেছেন এবং শিরিককে নিশ্চিহ্ন করেছেন। ( তাফসীরে ইবনে জারীর ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৮৬, সূরা মায়িদা আয়াত ১৫)।<br /><br /><br /><br />দলিল নং ৩<br /><br />মুহীউস্সুন্নাহ আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহাম্মদ (রাঃ) (যিনি ‘খাজিন’ নামে পরিচিত) তাফসীরে খাজেনের মধ্যে বলেন-<br /><br /><br /><br />قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين يعنى باالنؤر محمدا صلي الله عليه وسلم انما سماه الله نور الانه يهداى بالنور في الظلام-<br /><br />অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের  কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন। আল্লাহ তায়া’লা তাঁর নামকরণ করেছেন নূর, কারণ তাঁর নূরেতে হেদায়ত লাভ করা যায়। যেভাবে অন্ধকারে নূর দ্বারা পথ পাওয়া যায়। (তাফসীরে খাজিন ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৭)।<br /><br /><br /><br />দলিল নং ৪<br /><br />ইমাম হাফেজ উদ্দীন আবুল বারাকাত আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ আন- নাসাফী (রা) এই আয়াত শরীফ  ( قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين) প্রসঙ্গে বলেন-<br /><br /><br /><br />والنور محمد عليه والسلام لانه يهتداي به كما سمي سراجا منيرا-<br /><br />আর নূর হলেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কেননা তাঁর নূরেতে হেদায়ত লাভ করা যায়, যেমন তাঁকে উজ্জ্বল প্রদীপ বলা হয়েছে। (তাফসীরে মাদারিক ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৭)।<br /><br /><br /><br />দলিল নং ৫<br /><br />ইমামুল মুতাকাল্লেমীন আল্লামা ফখরুদ্দীন রাযী (রা) এই আয়াত শরীফ  ( قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين) প্রসঙ্গে বলেন-<br /><br /><br /><br />ان المراد بالنور محمد صلي الله عليه و سلم وبالكتاب القران-<br /><br />অর্থঃ নিশ্চয়ই নূর দ্বারা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং কিতাব দ্বারা আল কোরআন মজীদকে বুঝানো হয়েছে। (তাফসীরে কবীর ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯৫, সূরা মায়িদা আয়াত ১৫)।<br /><br />আর যারা বলে যে ‘নূর ও কিতাবে মুবীন’ দ্বারা কুরআন মজীদকেই বুঝানো হয়েছে, ইমাম রাযী (রা) সে সম্পর্কে বলেন-<br /><br /><br /><br />هذا ضعيف لان العطف يوجب المغايرة بين المعطوف والمعطوف عليه-<br /><br />এই অভিমত দুর্বল, কারণ আতফ (ব্যাকরণগত সংযোজিত) মা‘তুফ (সংযোজিত) ও মা‘তুফ আলাইহি (যা তার সাথে সংযোজন কারা হয়েছে ) এর মধ্যে ভিন্নতা  প্রমাণ করে। (তাফসীরে কবীর ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯৫)।<br /><br /><br /><br />দলিল নং ৬<br /><br />ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (রা) বলেনঃ<br /><br /><br /><br />قد جاءكم من الله نور هو نور النبى صلي الله عليه وسلم-<br /><br />অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর এসেছে, তা হল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নূর মোবারক।<br /><br /> (তাফসীরে জালালাইন শরীফ পৃষ্ঠা ৯৭)<br /><br /><br /><br />দলিল নং ৭<br /><br />আল্লামা মাহমূদ আলূসী বাগদাদী (রা) বলেন-<br /><br /><br /><br />  قد جاءكم من الله نور هو نورعظيم هو نور الانوارالنبى المختار صلى الله عليه وسلم الى ذهب قتادة والزجاج-<br /><br />অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে মহান নূর এসেছে । আর তিনি হলেন নূরুল আনোয়ার নবী মোখতার সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এটাই হযরত কাতাদাহ ও যুজাজের অভিমত। (তাফসীরে রুহুল মাআনী ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৭)।<br /><br /><br /><br />দলিল নং ৮<br /><br />আল্লামা ইসমাঈল হক্কী (রা) বলেন-<br /><br />قيل المراد باالاول هو الرسول صلى الله عليه وسلم وبالثانى القران-<br /><br />অর্থঃ বলা হয়েছে যে, প্রথমটা অর্থাৎ নূর দ্বারা রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বুঝানো হয়েছে এবং দ্বিতীয়টা অর্থাৎ কিতাবে মুবীন দ্বারা কুরআন কে বুঝানো হয়েছে। (তাফসীরে রুহুল বয়ান ২খন্ড, পৃষ্ঠা ২৬৯)<br /><br />আর অগ্রসর হয়ে বলেন-<br /><br /><br /><br />سمى الرسول نورا لان اول شيئ اظهره الحق بنور قدرته من ظلمة العدم كان نور محمد صلي الله عليه و سلم كما قال اول ما خلق الله نورى-<br /><br />অর্থ: আল্লাহ তায়া‘লা রসূল আকরাম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম রেখেছেন নূর। কেননা আল্লাহ তায়া‘লা তাঁর কুদরতের নূর থেকে সর্বপ্রথম যা প্রকাশ করেছেন তা তো মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নূর মোবারক। যেমন তিনি ফরমায়েছেন- আল্লাহ তায়া‘লা সর্বপ্রথম আমার নূর মোবারক কে সৃষ্টি করেছেন। (তাফসীরে রুহুল বয়ান ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৬৯)।<br /><br /><br /><br />দলিল নং ৯<br /><br />ইমাম মুহীউস সুন্নাহ আবু মু‏হাম্মদ আল- হোসাইন আল-ফাররা আল-বাগাভী (রা) বলেন-<br /><br /><br /><br />قد جاءكم من الله نور يعنى باالنؤر محمدا صلي الله عليه وسلم-<br /><br />অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের  কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন। (তাফসীরে মাআলিমুত তান্যীল, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ২৩, তাফসীরে খাযিনের পাদ টীকা)<br /><br /><br /><br />এ ছাড়া আরো অনেক তাফসীর গ্রন্থর মধ্যে আছে যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নূরঃ-<br /><br />সুরা মায়েদা পারা ৬, ১৫ নং আয়াতে  নূরের ব্যাখ্যাঃ-<br /><br />১। তাফসীরে মারেফুল কোরআন পৃষ্ঠা ৫৪।<br /><br /><br /><br />২। তাফসীরে আবি সউদ ২য় খন্ড, পৃ- ২৫১,<br /><br />৩। তাফসীরে রুহুল বয়ান ২য় খন্ড, পৃ- ৩৬৯,<br /><br />৪। তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১ম খন্ড, পৃ- ৩৬০, ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৭,<br /><br />৫। তাফসীরে ইবনে জারীর ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃ- ৮৬,<br /><br />৬। তাফসীরে কবীর ১১তম খন্ড, পৃ- ১৬৩,<br /><br />৭। তাফসীরে কুরতুবী ৬ষ্ঠ খন্ড পৃ- ১১৮,<br /><br />৯। তাফসীরে বায়জাভী ১ম খন্ড, পৃ- ৬৪,<br /><br />১০। তাফসীরে মাজহারী ৩য় খন্ড, পৃ- ৬৮,<br /><br />১১। তাফসীরে কবীর ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃ- ৪৬২,<br /><br />১২। ছফওয়াতুত তাফাসীর ২য় খন্ড, পৃ- ১৪০,<br /><br />১৩। তাফসীরে দুররে মানসুর ২য় খন্ড, পৃ- ১৮৭, তাফসীরে নূরুল কোরআন ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ১৬১, তাফসীরে নঈমী ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ২৯৫।<br /><br />সূরা তাওবা পারা ১০, ৩২ নং আয়াতে নূরের ব্যাখ্যাঃ-<br /><br />১। তাফসীরে দুররে মানসুর  ৩ খন্ড, পৃ- ২০১,<br /><br />২। তাফসীরে কবীর ১৬ম খন্ড, পৃ- ৩৪,<br /><br />৩। তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১৪ম খন্ড, পৃ- ৪৮।<br /><br />সুরা নূর পারা ১৮, আয়াত নং ৩৫ঃ-<br /><br />১। তাফসীরে ইবনে আববাস ৪র্থ খন্ড, পৃ- ২৪,<br /><br />২। তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১০ম খন্ড, পৃ- ১৬৬।<br /><br />সুরা আহযাব আয়াত নং ৪৬ঃ-<br /><br />১। তাফসীরে আহকামুল কোরআন লিল ইবনুল আরাবী ৩য় খন্ড, পৃ- ১৫৪৬,<br /><br />২। তাফসীরে মাওয়ারদী ৪র্থ খন্ড, পৃ- ৪১১।<br /><br />হাদীস শরীফের আলোকেঃ<br /><br /><br /><br />দলিল নং ১০<br /><br /><br /><br />عن جابر بن عبد الله رضى الله عنه قال : قلت يا رسول الله بابى انت وامى اخبرنى عن اول شئ خلق الله تعالى قبل الاشياء ؟ قال يا جابر ان الله تعالى قد خلق قبل الاشياء نورنبيك من نوره فجعل ذالك النور يدور بالقدرة حيث شاء الله تعالى ولم يكن في ذالك الوقت لوح ولا قلم ولا جنة ولا ملك ولا سماء ولا ارض ولا شمس ولا قمر ولا جن ولا انس – فلما اراد الله تعالى ان يخلق الخلق قسم ذالك النور اربعة اجزاء فخلق من الجزء الاول القلم و من الثاني اللوح ومن الثالث العرش ثم قسم الجزء الربع اربعة اجزاء فخلق من الاول حملة العرش ومن الثانى الكرسى ومن الثالث باقى الملائكة ثم قسم الربع اربع اجزاء فخلق من الاول السماوات ومن الثانى الارضين ومن الثالث الجنة والنار—————————————– الخ-<br /><br />অর্থঃ হযরত জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবেদন করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার মা-বাবা আপনার কদম মোবারকে উৎসর্গিত, আপনি দয়া করে বলুন, সকল বস্ত্তর পূর্বে সর্বপ্রথম আল্লাহ তায়া’লা কোন বস্ত্তটি সৃষ্টি করেছিলেন? নবীজী  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়’লা সমস্ত কিছুর পূর্বে তোমার নবীর (তোমার) নূর মোবারক তাঁরই নূর মোবারক হতে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর ওই নূর আল্লাহ তায়’লারই মর্জি মুতাবেক তাঁরই কুদরতি শক্তিতে পরিভ্রমণ করতে লাগল। ওই সময় না ছিল বেহেশ্ত-দোযখ, আর ছিলনা আসমান-যমীন, চন্দ্র-সূর্য, মানব ও দানব। এক পর্যায়ে মহান আল্লাহ যখন সৃষ্টিজগত পয়দা করার মনস্থ করেছিলেন, প্রথমেই ওই নূর মোবারককে চারভাগে বিভক্ত করে প্রথম অংশ দিয়ে কলম, দ্বিতীয় অংশ দিয়ে লওহ, তৃতীয় অংশ দিয়ে আরশ, সৃষ্টি করে চুতুর্থাংশকে পুণরায় চারভাগে বিভক্ত করে প্রথমাংশ দিয়ে আরশবহনকারী ফেরেশতাদের দ্বিতীয় অংশ দ্বারা কুরসী, তৃতীয় অংশ দ্বারা অন্যান্য ফেরেশতাদের সৃষ্টি করে চুতুর্থাংশকে আবারও  চারভাগে বিভক্ত করে প্রথম ভাগ দিয়ে সপ্ত আসমান, দ্বিতীয় ভাগ দিয়ে সপ্ত যমীন, তৃতীয় ভাগ দিয়ে বেহেশত-দোযখ এবং পরবর্তী ভাগ দিয়ে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সকল বস্ত্ত সৃষ্টি করে। (আল মাওয়াহিবুল লাদুনিয়া ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৭১)।<br /><br /><br /><br />দলিল নং ১১<br /><br />عن كعب الخبار رضى الله عنه قال : لما الله ان يخلق المخلوقات بسط الارض وقع السماء وقبض قبصة من نوره و قال لها كونى محمدا فصارت عمودا من نوره فعلا حتى انتهى الى حجب العظمة فسجد و قال فى سجوده الحمد لله فقال الله سبحانه و تعالى لهذا خلقتك و سميتك محمد صلى الله عليه و سلم منك ابدا الخلق و بك اختم الرسل-<br /><br />অর্থঃ হযরত কাব আহবার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ পাক রাববুল আলামিন যখন সৃষ্টি জগত সৃজন করার ইচ্ছা করলেন তখন মাটিকে সস্প্রসারিত করলেন, আকাশকে উঁচু করলেন এবং আপন নূও হতে এক মুষ্ঠি নূর গ্রহন করলেন। তারপর উক্ত নূরকে নির্দেশ দিলেন‘ তুমি মুহাম্ম্দ হয়ে যাও।’ অতএব সে নূও স্তম্ভের ন্যায় উপরের দিকে উঠতে থাকল এবং মহত্বের পর্দা পর্যন্ত পৈাছে সিজদায় পরে বলল,‘আলহামদুলিল্লাহ্’ তখন আল্লাহ্ পাকের পক্ষ থেকে ইরশাদ হল,এজন্যই তোমাকে সৃষ্টি করেছি আর তোমার নাম মুহাম্ম্দ রেখেছি। তোমার হতেই সৃষ্টি কাজ শুরু করব এবং তোমাতেই রিসালাতের ধারা সমাপ্ত করব ।  (সিরাতুল হালাভিয়া ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৫০)।<br /><br /><br /><br />দলিল নং ১২<br /><br /><br /><br />عن عائشة رضي الله عنها قالة : كنة في الشجر ثوبا لرسول الله صلي عليه و سلم فانطفا المصباح و سقطة الابرة من يدي فدخل علي رسول الله صلي الله عليه و سلم فاضاء من نور و جهه فجدة الابرة-<br /><br />অর্থঃ ‘‘হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, আমি রাত্রে বাতির আলোতে বসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাপড় মোবারক সেলাই করেছিলাম। এমন সময় প্রদীপটি (কোন কারণে) নিভে গেল এবং আমি সুচটি হারিয়ে ফেললাম। এরপরই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্ধকার ঘরে প্রবেশ করলেন। তাঁর চেহারা মোবারকের নূরের জ্যোতিতে আমার অন্ধকার ঘর আলোময় হয়ে গেল এবং আমি (ঐ আলোতেই) আমার হারানো সুচটি খুজে পেলাম’’। (ইমাম ইবনে হায়তামী (রাঃ) এর  আন-নে’মাতুল কোবরা আলার আলম গ্রন্থে ৪১ পৃষ্ঠা)।<br /><br />দলিল নং ১৩<br /><br /><br /><br />اخرج ابن ابي عمر العدني فى مسنده عن ابن عباس ان قريشا كانت نورا بين يدي الله تعالى قبل ان يخلق ادم بالفى عام يسبح ذالك النور و تسبح الملائكة بتسيحه فلما خلق الله ادم القي ذالك النور فى صلب قال رسول الله صل اله عليه و سلم فاهبطنى الله الى الارض فى صلب ادم (عليه السلام) و جعلنى فى صلب نوح عليه السلام و ق           ف بى فى صلب ابرهيم عليه السلام ثم لم يزل الله ينقلبى من الصلاب الكريمة و الارحام الطاهؤة حتى اخرجنى من بين ابوى لم يلتقيا على سفاح قط-<br /><br />অর্থঃ  হযরত ইবনে আলী ওমর আল-আদানী স্বীয় মুসনাদে হযরত ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, হযরত  আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করলেন, তখন তাঁকে তাঁর সন্তানদের পরস্পরের মধ্যে মর্যাদার তারতম্যটুকুও দেখাতে লাগলেন। তিনি ( আদম আলাইহিস সালাম ) তাদের মধ্যে শেষপ্রান্তে একটা উজ্জ্বল নূর দেখাতে পেলেন। তখন তিনি বললেন,‘‘ হে রব! ইনি কে? ( যাকে সবার মধ্যে প্রজ্জ্বলিত নূর হিসাবে দেখতে পাচ্ছি?) উত্তরে মহান রববুল আলামীন ইরশাদ করলেন,‘‘ ইনি হলেন তোমার পুত্র-সন্তান হযরত আহমদ মুজ্তবা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি প্রথম, তিনি শেষ, তিনি হবেন আমার দরবারে প্রথম সুপারিশকারী (ক্বিয়ামতের দিনে)। ( আল-খাসাইসুল কুবরা ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯)<br /><br /><br /><br />দলিল নং ১৪<br /><br />ইমাম হাফেজ  আবুল ফযল ক্বাযী আয়ায (রা) বলেন-<br /><br /><br /><br />و قد سماه الله تعالى فى و سراجا منيرا فقال تعالي قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين و قال تعالى انا ارسلناك شاهدا و مبشيرا و نذيرا و داعيا الى الله باذنه و سراجا منيرا و قال فى غير هذا الموضع انه كان لاظل لشخصه في شمس و لا قمر لانه كان نورا الذباب كان لا يقع على جسده و لا ثيابه-<br /><br />অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়া‘লা কোরআন করীমে তাঁর নাম রেখেছেন নূর ও সিরাজুম্ মুনীর। যেমন তিনি ফরমায়েছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর ও স্পষ্ট কিতাব এসেছে। আরো ফরমায়াছেন, আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি হাজের ও নাজেররূপে, আল্লাহর অনুমক্রিমে তাঁর দিকে আহবানকারীরূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপ (সিরাজুম মুনীর ) রূপে। নিশ্চয়ই তাঁর ছায়া ছিল না. না সূর্য়ালোকে না চন্দ্রালোকে কারণ তিনি ছিলেন নূর। তাঁর শরীল ও পোশাক মোবারকে মাছি বসত না। (শিফা শরীফ ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ২৪২)।<br /><br /><br /><br />দলিল নং ১৫<br /><br />وعن ابلى هريرة رضى الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه و سلم سائل جبريل عليه السلام فقال يا جبريل كم عمرك من السنين فقال يا رسول الله مست اعلم غير ان فى الحجاب الرابع نجما يطلع في سبعين الف سنة مرة رايته اثنين و سبعين الف مرة فقال يا جبريل و عزة ربى جل جلا له انا ذالك الكوب–<br /><br />অর্থঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন , রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদা জিবা্রঈল আলায়হিস সালামকে জিজ্ঞেসা করলেন , ওহে জিব্রাঈল! তোমার বয়স কত? উত্তরে জিব্রাঈল বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তো সঠিক জানি না। তবে এতটুকু বলতে পারি ( সৃষ্টি জগত সৃষ্টির পূর্বে) আল্লাহ তায়‘লা নূরানী আযমতের পর্দা সমূহের চতুর্খ পর্দায় একটি নূরানী তারকা সত্তর হাজার বছর পরপর উদিত হত। আমি আমার জীবনে সেই নূরানী তারকা বাহাত্তর হাজার বার উদিত হতে দেখেছি। অতঃপর নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম ইরশাদ  করলেন মহান রাববুল আলামীনের ইজ্জতের কসম করে বলছি, সেই অত্যুজ্জ্বল নূরানী তারকা আমিই ছিলাম। (সীরাতে হালাভীয়া পৃষ্ঠা ৪৯, তাফসীরে রুহুল বয়ান পৃষ্ঠা ৫৪৩)।<br /><br /><br /><br />দলিল নং ১৬<br /><br />لم يكن له صلى الله عليه و سلم ظل في شمس و لا قمر لانه كان نورا-<br /><br />অর্থঃ ‘‘সূর্য চন্দ্রের আলোতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেহ মোবারকের ছায়া পড়তোনা। কেননা, তিনি ছিলেন আপদমস্তক নূর’’।                                                                                          (যুরকানী শরীফ ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা ২২০)।<br /><br />এ ছাড়া আরো অনেক হাদীস শরীফ গ্রন্থ এর মধ্যে আছে যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নূর তা নিম্নরূপঃ-<br /><br />১। মিশকাত শরীফ পৃষ্ঠা ৫১৩, ২৪ এর ১০নং হাশিয়া, ৫১১ এর ৬নং হাশিয়া,   তিরমিজি শরীফ ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৭, মাওয়াহিবে লাদুনিয়া পৃষ্ঠা ৪৫,শরহে সুন্নাহ ১০ম খন্ড, পৃষ্ঠা ২০৭, মিরকাত ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১৪৬,১৬৬,১৯৪। তিরমিজি শরীফ ২য় খন্ড, প- ৩৭, মাজমুওয়ায়ে ফাতাওয়ার ২য় খন্ড, পৃ- ২৮৬, ১৮। নশরুততীব পৃ- ৫, কৃতঃ আশরাফ আলী থানবী, ১৯। এমদাদুছ ছুলূক পৃষ্ঠা  কৃতঃ রশিদ আহমেদ গাংগুহী । ২০। শুকরে নিয়ামত কৃতঃ কাসেম নানুতুবী, গাওহারে সিরাজী পৃষ্ঠা ৬৯, কৃতঃ সিরাজুল ইসলাম।</div><br />

নবীজী নূরের তৈরী

নবী করিম (সঃ) যে নুরের তৈরি তার দলিল কোরআন শরিফ,তাফসির ও হাদিসের আলোকেঃ আল্লাহ তায়া’লা ইরশাদ করেন- قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين- অর্থঃ ন...

Read more »

নবীজী নূরের তৈরী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">নবী করিম (সঃ) যে নুরের তৈরি তার দলিল<br />কোরআন শরিফ,তাফসির ও হাদিসের আলোকেঃ<br /><br />আল্লাহ তায়া’লা ইরশাদ করেন-<br />قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين-<br />অর্থঃ নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা নূর এবং স্পষ্ট কিতাব এসেছে।। (সূরা মায়িদা আয়াত- ১৫)<br />আলোচ্য আয়াতে নূর দ্বারা নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বুঝানো হয়েছে। নিম্নে আরো কয়েকটি প্রসিন্ধ তাফসীরের আলোকে দলিল উপস্থাপন করা হলঃ-<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhMHOiI0NIvLr5a47OPn9IJiQ0_eAxk9QK1s3x_xJ9BLvg6H08h0EEJfRbZvI87AlDbjf1t24nZ956qqfAr_pfO_IDnSt1E6PvR-kfjbC3eWCQMqBzcyq0AlG8MT8NGat_wmiS_d-RlWvUv/s1600/FB_IMG_1544550988839.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="720" data-original-width="1080" height="213" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhMHOiI0NIvLr5a47OPn9IJiQ0_eAxk9QK1s3x_xJ9BLvg6H08h0EEJfRbZvI87AlDbjf1t24nZ956qqfAr_pfO_IDnSt1E6PvR-kfjbC3eWCQMqBzcyq0AlG8MT8NGat_wmiS_d-RlWvUv/s320-rw/FB_IMG_1544550988839.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />দলিল নং ১<br />বিশ্ব বিখ্যাত মুফাসসিরে কোরআন হযরত ইবনে আববাস (রাঃ) এর বিশ্ব বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ ইবনে আববাস এর মধ্যে আছে-<br /><br />قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين يعني محمدا صلي الله عليه ؤسلم-<br />অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের  কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন। (তাফসীরে ইবনে আববাস পৃষ্ঠা ৭২)।<br /><br />দলিল নং ২<br />ইমাম আবু জাফর মুহাম্মদ ইবনে জারীর আত্-তবারী (রা) তাঁর বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ ইবনে জারীর এর মধ্যে বলেন-<br /><br />قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين يعني باالنؤر محمدا صلي الله عليه ؤسلم الذي انار الله به الحق واظهربه الاسلام ومحق به الشرك-<br />অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের  কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন, যে নূর দ্বারা আল্লাহ সত্যকে উজ্জ্বল ও ইসলামকে প্রকাশ করেছেন এবং শিরিককে নিশ্চিহ্ন করেছেন। ( তাফসীরে ইবনে জারীর ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৮৬, সূরা মায়িদা আয়াত ১৫)।<br /><br />দলিল নং ৩<br />মুহীউস্সুন্নাহ আল্লামা আলাউদ্দীন আলী ইবনে মুহাম্মদ (রাঃ) (যিনি ‘খাজিন’ নামে পরিচিত) তাফসীরে খাজেনের মধ্যে বলেন-<br /><br />قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين يعنى باالنؤر محمدا صلي الله عليه وسلم انما سماه الله نور الانه يهداى بالنور في الظلام-<br />অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের  কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন। আল্লাহ তায়া’লা তাঁর নামকরণ করেছেন নূর, কারণ তাঁর নূরেতে হেদায়ত লাভ করা যায়। যেভাবে অন্ধকারে নূর দ্বারা পথ পাওয়া যায়। (তাফসীরে খাজিন ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৭)।<br /><br />দলিল নং ৪<br />ইমাম হাফেজ উদ্দীন আবুল বারাকাত আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ আন- নাসাফী (রা) এই আয়াত শরীফ  ( قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين) প্রসঙ্গে বলেন-<br /><br />والنور محمد عليه والسلام لانه يهتداي به كما سمي سراجا منيرا-<br />আর নূর হলেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কেননা তাঁর নূরেতে হেদায়ত লাভ করা যায়, যেমন তাঁকে উজ্জ্বল প্রদীপ বলা হয়েছে। (তাফসীরে মাদারিক ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৭)।<br /><br />দলিল নং ৫<br />ইমামুল মুতাকাল্লেমীন আল্লামা ফখরুদ্দীন রাযী (রা) এই আয়াত শরীফ  ( قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين) প্রসঙ্গে বলেন-<br /><br />ان المراد بالنور محمد صلي الله عليه و سلم وبالكتاب القران-<br />অর্থঃ নিশ্চয়ই নূর দ্বারা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং কিতাব দ্বারা আল কোরআন মজীদকে বুঝানো হয়েছে। (তাফসীরে কবীর ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯৫, সূরা মায়িদা আয়াত ১৫)।<br />আর যারা বলে যে ‘নূর ও কিতাবে মুবীন’ দ্বারা কুরআন মজীদকেই বুঝানো হয়েছে, ইমাম রাযী (রা) সে সম্পর্কে বলেন-<br /><br />هذا ضعيف لان العطف يوجب المغايرة بين المعطوف والمعطوف عليه-<br />এই অভিমত দুর্বল, কারণ আতফ (ব্যাকরণগত সংযোজিত) মা‘তুফ (সংযোজিত) ও মা‘তুফ আলাইহি (যা তার সাথে সংযোজন কারা হয়েছে ) এর মধ্যে ভিন্নতা  প্রমাণ করে। (তাফসীরে কবীর ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯৫)।<br /><br />দলিল নং ৬<br />ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (রা) বলেনঃ<br /><br />قد جاءكم من الله نور هو نور النبى صلي الله عليه وسلم-<br />অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর এসেছে, তা হল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নূর মোবারক।<br /> (তাফসীরে জালালাইন শরীফ পৃষ্ঠা ৯৭)<br /><br />দলিল নং ৭<br />আল্লামা মাহমূদ আলূসী বাগদাদী (রা) বলেন-<br /><br />  قد جاءكم من الله نور هو نورعظيم هو نور الانوارالنبى المختار صلى الله عليه وسلم الى ذهب قتادة والزجاج-<br />অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে মহান নূর এসেছে । আর তিনি হলেন নূরুল আনোয়ার নবী মোখতার সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এটাই হযরত কাতাদাহ ও যুজাজের অভিমত। (তাফসীরে রুহুল মাআনী ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৭)।<br /><br />দলিল নং ৮<br />আল্লামা ইসমাঈল হক্কী (রা) বলেন-<br />قيل المراد باالاول هو الرسول صلى الله عليه وسلم وبالثانى القران-<br />অর্থঃ বলা হয়েছে যে, প্রথমটা অর্থাৎ নূর দ্বারা রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বুঝানো হয়েছে এবং দ্বিতীয়টা অর্থাৎ কিতাবে মুবীন দ্বারা কুরআন কে বুঝানো হয়েছে। (তাফসীরে রুহুল বয়ান ২খন্ড, পৃষ্ঠা ২৬৯)<br />আর অগ্রসর হয়ে বলেন-<br /><br />سمى الرسول نورا لان اول شيئ اظهره الحق بنور قدرته من ظلمة العدم كان نور محمد صلي الله عليه و سلم كما قال اول ما خلق الله نورى-<br />অর্থ: আল্লাহ তায়া‘লা রসূল আকরাম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম রেখেছেন নূর। কেননা আল্লাহ তায়া‘লা তাঁর কুদরতের নূর থেকে সর্বপ্রথম যা প্রকাশ করেছেন তা তো মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নূর মোবারক। যেমন তিনি ফরমায়েছেন- আল্লাহ তায়া‘লা সর্বপ্রথম আমার নূর মোবারক কে সৃষ্টি করেছেন। (তাফসীরে রুহুল বয়ান ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৬৯)।<br /><br />দলিল নং ৯<br />ইমাম মুহীউস সুন্নাহ আবু মু‏হাম্মদ আল- হোসাইন আল-ফাররা আল-বাগাভী (রা) বলেন-<br /><br />قد جاءكم من الله نور يعنى باالنؤر محمدا صلي الله عليه وسلم-<br />অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের  কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন। (তাফসীরে মাআলিমুত তান্যীল, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ২৩, তাফসীরে খাযিনের পাদ টীকা)<br /><br />এ ছাড়া আরো অনেক তাফসীর গ্রন্থর মধ্যে আছে যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নূরঃ-<br />সুরা মায়েদা পারা ৬, ১৫ নং আয়াতে  নূরের ব্যাখ্যাঃ-<br />১। তাফসীরে মারেফুল কোরআন পৃষ্ঠা ৫৪।<br /><br />২। তাফসীরে আবি সউদ ২য় খন্ড, পৃ- ২৫১,<br />৩। তাফসীরে রুহুল বয়ান ২য় খন্ড, পৃ- ৩৬৯,<br />৪। তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১ম খন্ড, পৃ- ৩৬০, ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৭,<br />৫। তাফসীরে ইবনে জারীর ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃ- ৮৬,<br />৬। তাফসীরে কবীর ১১তম খন্ড, পৃ- ১৬৩,<br />৭। তাফসীরে কুরতুবী ৬ষ্ঠ খন্ড পৃ- ১১৮,<br />৯। তাফসীরে বায়জাভী ১ম খন্ড, পৃ- ৬৪,<br />১০। তাফসীরে মাজহারী ৩য় খন্ড, পৃ- ৬৮,<br />১১। তাফসীরে কবীর ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃ- ৪৬২,<br />১২। ছফওয়াতুত তাফাসীর ২য় খন্ড, পৃ- ১৪০,<br />১৩। তাফসীরে দুররে মানসুর ২য় খন্ড, পৃ- ১৮৭, তাফসীরে নূরুল কোরআন ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ১৬১, তাফসীরে নঈমী ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ২৯৫।<br />সূরা তাওবা পারা ১০, ৩২ নং আয়াতে নূরের ব্যাখ্যাঃ-<br />১। তাফসীরে দুররে মানসুর  ৩ খন্ড, পৃ- ২০১,<br />২। তাফসীরে কবীর ১৬ম খন্ড, পৃ- ৩৪,<br />৩। তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১৪ম খন্ড, পৃ- ৪৮।<br />সুরা নূর পারা ১৮, আয়াত নং ৩৫ঃ-<br />১। তাফসীরে ইবনে আববাস ৪র্থ খন্ড, পৃ- ২৪,<br />২। তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১০ম খন্ড, পৃ- ১৬৬।<br />সুরা আহযাব আয়াত নং ৪৬ঃ-<br />১। তাফসীরে আহকামুল কোরআন লিল ইবনুল আরাবী ৩য় খন্ড, পৃ- ১৫৪৬,<br />২। তাফসীরে মাওয়ারদী ৪র্থ খন্ড, পৃ- ৪১১।<br />হাদীস শরীফের আলোকেঃ<br /><br />দলিল নং ১০<br /><br />عن جابر بن عبد الله رضى الله عنه قال : قلت يا رسول الله بابى انت وامى اخبرنى عن اول شئ خلق الله تعالى قبل الاشياء ؟ قال يا جابر ان الله تعالى قد خلق قبل الاشياء نورنبيك من نوره فجعل ذالك النور يدور بالقدرة حيث شاء الله تعالى ولم يكن في ذالك الوقت لوح ولا قلم ولا جنة ولا ملك ولا سماء ولا ارض ولا شمس ولا قمر ولا جن ولا انس – فلما اراد الله تعالى ان يخلق الخلق قسم ذالك النور اربعة اجزاء فخلق من الجزء الاول القلم و من الثاني اللوح ومن الثالث العرش ثم قسم الجزء الربع اربعة اجزاء فخلق من الاول حملة العرش ومن الثانى الكرسى ومن الثالث باقى الملائكة ثم قسم الربع اربع اجزاء فخلق من الاول السماوات ومن الثانى الارضين ومن الثالث الجنة والنار—————————————– الخ-<br />অর্থঃ হযরত জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবেদন করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার মা-বাবা আপনার কদম মোবারকে উৎসর্গিত, আপনি দয়া করে বলুন, সকল বস্ত্তর পূর্বে সর্বপ্রথম আল্লাহ তায়া’লা কোন বস্ত্তটি সৃষ্টি করেছিলেন? নবীজী  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়’লা সমস্ত কিছুর পূর্বে তোমার নবীর (তোমার) নূর মোবারক তাঁরই নূর মোবারক হতে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর ওই নূর আল্লাহ তায়’লারই মর্জি মুতাবেক তাঁরই কুদরতি শক্তিতে পরিভ্রমণ করতে লাগল। ওই সময় না ছিল বেহেশ্ত-দোযখ, আর ছিলনা আসমান-যমীন, চন্দ্র-সূর্য, মানব ও দানব। এক পর্যায়ে মহান আল্লাহ যখন সৃষ্টিজগত পয়দা করার মনস্থ করেছিলেন, প্রথমেই ওই নূর মোবারককে চারভাগে বিভক্ত করে প্রথম অংশ দিয়ে কলম, দ্বিতীয় অংশ দিয়ে লওহ, তৃতীয় অংশ দিয়ে আরশ, সৃষ্টি করে চুতুর্থাংশকে পুণরায় চারভাগে বিভক্ত করে প্রথমাংশ দিয়ে আরশবহনকারী ফেরেশতাদের দ্বিতীয় অংশ দ্বারা কুরসী, তৃতীয় অংশ দ্বারা অন্যান্য ফেরেশতাদের সৃষ্টি করে চুতুর্থাংশকে আবারও  চারভাগে বিভক্ত করে প্রথম ভাগ দিয়ে সপ্ত আসমান, দ্বিতীয় ভাগ দিয়ে সপ্ত যমীন, তৃতীয় ভাগ দিয়ে বেহেশত-দোযখ এবং পরবর্তী ভাগ দিয়ে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সকল বস্ত্ত সৃষ্টি করে। (আল মাওয়াহিবুল লাদুনিয়া ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৭১)।<br /><br />দলিল নং ১১<br />عن كعب الخبار رضى الله عنه قال : لما الله ان يخلق المخلوقات بسط الارض وقع السماء وقبض قبصة من نوره و قال لها كونى محمدا فصارت عمودا من نوره فعلا حتى انتهى الى حجب العظمة فسجد و قال فى سجوده الحمد لله فقال الله سبحانه و تعالى لهذا خلقتك و سميتك محمد صلى الله عليه و سلم منك ابدا الخلق و بك اختم الرسل-<br />অর্থঃ হযরত কাব আহবার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ পাক রাববুল আলামিন যখন সৃষ্টি জগত সৃজন করার ইচ্ছা করলেন তখন মাটিকে সস্প্রসারিত করলেন, আকাশকে উঁচু করলেন এবং আপন নূও হতে এক মুষ্ঠি নূর গ্রহন করলেন। তারপর উক্ত নূরকে নির্দেশ দিলেন‘ তুমি মুহাম্ম্দ হয়ে যাও।’ অতএব সে নূও স্তম্ভের ন্যায় উপরের দিকে উঠতে থাকল এবং মহত্বের পর্দা পর্যন্ত পৈাছে সিজদায় পরে বলল,‘আলহামদুলিল্লাহ্’ তখন আল্লাহ্ পাকের পক্ষ থেকে ইরশাদ হল,এজন্যই তোমাকে সৃষ্টি করেছি আর তোমার নাম মুহাম্ম্দ রেখেছি। তোমার হতেই সৃষ্টি কাজ শুরু করব এবং তোমাতেই রিসালাতের ধারা সমাপ্ত করব ।  (সিরাতুল হালাভিয়া ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৫০)।<br /><br />দলিল নং ১২<br /><br />عن عائشة رضي الله عنها قالة : كنة في الشجر ثوبا لرسول الله صلي عليه و سلم فانطفا المصباح و سقطة الابرة من يدي فدخل علي رسول الله صلي الله عليه و سلم فاضاء من نور و جهه فجدة الابرة-<br />অর্থঃ ‘‘হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, আমি রাত্রে বাতির আলোতে বসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাপড় মোবারক সেলাই করেছিলাম। এমন সময় প্রদীপটি (কোন কারণে) নিভে গেল এবং আমি সুচটি হারিয়ে ফেললাম। এরপরই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্ধকার ঘরে প্রবেশ করলেন। তাঁর চেহারা মোবারকের নূরের জ্যোতিতে আমার অন্ধকার ঘর আলোময় হয়ে গেল এবং আমি (ঐ আলোতেই) আমার হারানো সুচটি খুজে পেলাম’’। (ইমাম ইবনে হায়তামী (রাঃ) এর  আন-নে’মাতুল কোবরা আলার আলম গ্রন্থে ৪১ পৃষ্ঠা)।<br />দলিল নং ১৩<br /><br />اخرج ابن ابي عمر العدني فى مسنده عن ابن عباس ان قريشا كانت نورا بين يدي الله تعالى قبل ان يخلق ادم بالفى عام يسبح ذالك النور و تسبح الملائكة بتسيحه فلما خلق الله ادم القي ذالك النور فى صلب قال رسول الله صل اله عليه و سلم فاهبطنى الله الى الارض فى صلب ادم (عليه السلام) و جعلنى فى صلب نوح عليه السلام و ق           ف بى فى صلب ابرهيم عليه السلام ثم لم يزل الله ينقلبى من الصلاب الكريمة و الارحام الطاهؤة حتى اخرجنى من بين ابوى لم يلتقيا على سفاح قط-<br />অর্থঃ  হযরত ইবনে আলী ওমর আল-আদানী স্বীয় মুসনাদে হযরত ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, হযরত  আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করলেন, তখন তাঁকে তাঁর সন্তানদের পরস্পরের মধ্যে মর্যাদার তারতম্যটুকুও দেখাতে লাগলেন। তিনি ( আদম আলাইহিস সালাম ) তাদের মধ্যে শেষপ্রান্তে একটা উজ্জ্বল নূর দেখাতে পেলেন। তখন তিনি বললেন,‘‘ হে রব! ইনি কে? ( যাকে সবার মধ্যে প্রজ্জ্বলিত নূর হিসাবে দেখতে পাচ্ছি?) উত্তরে মহান রববুল আলামীন ইরশাদ করলেন,‘‘ ইনি হলেন তোমার পুত্র-সন্তান হযরত আহমদ মুজ্তবা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি প্রথম, তিনি শেষ, তিনি হবেন আমার দরবারে প্রথম সুপারিশকারী (ক্বিয়ামতের দিনে)। ( আল-খাসাইসুল কুবরা ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯)<br /><br />দলিল নং ১৪<br />ইমাম হাফেজ  আবুল ফযল ক্বাযী আয়ায (রা) বলেন-<br /><br />و قد سماه الله تعالى فى و سراجا منيرا فقال تعالي قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين و قال تعالى انا ارسلناك شاهدا و مبشيرا و نذيرا و داعيا الى الله باذنه و سراجا منيرا و قال فى غير هذا الموضع انه كان لاظل لشخصه في شمس و لا قمر لانه كان نورا الذباب كان لا يقع على جسده و لا ثيابه-<br />অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়া‘লা কোরআন করীমে তাঁর নাম রেখেছেন নূর ও সিরাজুম্ মুনীর। যেমন তিনি ফরমায়েছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর ও স্পষ্ট কিতাব এসেছে। আরো ফরমায়াছেন, আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি হাজের ও নাজেররূপে, আল্লাহর অনুমক্রিমে তাঁর দিকে আহবানকারীরূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপ (সিরাজুম মুনীর ) রূপে। নিশ্চয়ই তাঁর ছায়া ছিল না. না সূর্য়ালোকে না চন্দ্রালোকে কারণ তিনি ছিলেন নূর। তাঁর শরীল ও পোশাক মোবারকে মাছি বসত না। (শিফা শরীফ ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ২৪২)।<br /><br />দলিল নং ১৫<br />وعن ابلى هريرة رضى الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه و سلم سائل جبريل عليه السلام فقال يا جبريل كم عمرك من السنين فقال يا رسول الله مست اعلم غير ان فى الحجاب الرابع نجما يطلع في سبعين الف سنة مرة رايته اثنين و سبعين الف مرة فقال يا جبريل و عزة ربى جل جلا له انا ذالك الكوب–<br />অর্থঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন , রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদা জিবা্রঈল আলায়হিস সালামকে জিজ্ঞেসা করলেন , ওহে জিব্রাঈল! তোমার বয়স কত? উত্তরে জিব্রাঈল বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তো সঠিক জানি না। তবে এতটুকু বলতে পারি ( সৃষ্টি জগত সৃষ্টির পূর্বে) আল্লাহ তায়‘লা নূরানী আযমতের পর্দা সমূহের চতুর্খ পর্দায় একটি নূরানী তারকা সত্তর হাজার বছর পরপর উদিত হত। আমি আমার জীবনে সেই নূরানী তারকা বাহাত্তর হাজার বার উদিত হতে দেখেছি। অতঃপর নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম ইরশাদ  করলেন মহান রাববুল আলামীনের ইজ্জতের কসম করে বলছি, সেই অত্যুজ্জ্বল নূরানী তারকা আমিই ছিলাম। (সীরাতে হালাভীয়া পৃষ্ঠা ৪৯, তাফসীরে রুহুল বয়ান পৃষ্ঠা ৫৪৩)।<br /><br />দলিল নং ১৬<br />لم يكن له صلى الله عليه و سلم ظل في شمس و لا قمر لانه كان نورا-<br />অর্থঃ ‘‘সূর্য চন্দ্রের আলোতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেহ মোবারকের ছায়া পড়তোনা। কেননা, তিনি ছিলেন আপদমস্তক নূর’’।                                                                                          (যুরকানী শরীফ ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা ২২০)।<br />এ ছাড়া আরো অনেক হাদীস শরীফ গ্রন্থ এর মধ্যে আছে যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নূর তা নিম্নরূপঃ-<br />১। মিশকাত শরীফ পৃষ্ঠা ৫১৩, ২৪ এর ১০নং হাশিয়া, ৫১১ এর ৬নং হাশিয়া,   তিরমিজি শরীফ ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৭, মাওয়াহিবে লাদুনিয়া পৃষ্ঠা ৪৫,শরহে সুন্নাহ ১০ম খন্ড, পৃষ্ঠা ২০৭, মিরকাত ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১৪৬,১৬৬,১৯৪। তিরমিজি শরীফ ২য় খন্ড, প- ৩৭, মাজমুওয়ায়ে ফাতাওয়ার ২য় খন্ড, পৃ- ২৮৬, ১৮। নশরুততীব পৃ- ৫, কৃতঃ আশরাফ আলী থানবী, ১৯। এমদাদুছ ছুলূক পৃষ্ঠা  কৃতঃ রশিদ আহমেদ গাংগুহী । ২০। শুকরে নিয়ামত কৃতঃ কাসেম নানুতুবী, গাওহারে সিরাজী পৃষ্ঠা ৬৯, কৃতঃ সিরাজুল ইসলাম।</div>

নবীজী নূরের তৈরী

নবী করিম (সঃ) যে নুরের তৈরি তার দলিল কোরআন শরিফ,তাফসির ও হাদিসের আলোকেঃ আল্লাহ তায়া’লা ইরশাদ করেন- قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين- অর্থঃ ন...

Read more »

মিলাদুন্নবী [ﷺ] সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি প্রবন্ধ ও ৯টি প্রশ্ন-উত্তরঃ

<p dir="ltr">�� মিলাদুন্নবী [ﷺ] সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি প্রবন্ধ ও ৯টি প্রশ্ন-উত্তরঃ </p> <p dir="ltr">□ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1962532990482481&id=667744529961340">মীলাদ-ই পাক উদ্যাপন সম্পর্কিত প্রশ্ন ও তার জবাবঃ (শায়খ তাজ উদ্দীন ওমর ইবনে আলী লাখমী সিকান্দরী ওরফে ‘ফা-কিহানী’র আপত্তির খন্ডন) </a><br> কৃত- ইমাম জালাল উদ্দীন সুয়ূতী (রহঃ) </p> <p dir="ltr">□ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1519024588166659&id=667744529961340">১২-ই রবিউল আউয়াল কি মিলাদুন্নবী, না ওফাতুন্নবী�</a><br> কৃত- মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান<br> মহা-পরিচালকঃ আন্জুমান রিসার্চ সেন্টার, চট্টগ্রাম।</p> <p dir="ltr">□ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1962054883863625&id=667744529961340">মীলাদুন্নবী [ﷺ] কি ও কেন�</a><br> কৃত- মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান<br> মহা-পরিচালকঃ আন্জুমান রিসার্চ সেন্টার, চট্টগ্রাম।<br> <br> □ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1960367780699002&id=667744529961340">যুগে যুগে মিলাদুন্নবী [ﷺ]: </a><br> কৃত- মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান (মাঃ জিঃ আঃ)<br> মহা-পরিচালকঃ আন্জুমান রিসার্চ সেন্টার, চট্টগ্রাম।<br> <br> □ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1958147487587698&id=667744529961340">মিলাদুন্নবী [ﷺ] সম্পর্কে বিশ্বনন্দিত আল্লামাগণের অভিমত।</a><br>      কৃত- সৈয়দ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আল আযহারী<br> <br> □ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1957677947634652&id=667744529961340">বিদ’আত, মীলাদ ও শরীয়ত প্রসঙ্গঃ</a> <br> কৃত- হাফেজ মুহাম্মদ আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী<br> মুহাদ্দিসঃ জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া, চট্টগ্রাম।<br> </p> <p dir="ltr">□ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1966021796800267&id=667744529961340">মিলাদুন্নবী [ﷺ]'র উপর লিখিত সর্ব প্রথম স্বতন্ত্র কিতাবঃ </a><br> কৃত- মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান<br> মহা-পরিচালকঃ আন্জুমান রিসার্চ সেন্টার, চট্টগ্রাম।<br> </p> <p dir="ltr">□ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1532606193475165&id=667744529961340">মীলাদ শরীফ-এ ক্বিয়ামের দলীলঃ</a><br> কৃত- মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান<br> মহা-পরিচালকঃ আন্জুমান রিসার্চ সেন্টার, চট্টগ্রাম।<br> </p> <p dir="ltr">□ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1968084759927304&id=667744529961340">ক্বিয়ামের প্রকারভেদ ও সেগুলোর পরিচয়ঃ</a><br> কৃত- মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান<br> মহা-পরিচালকঃ আন্জুমান রিসার্চ সেন্টার, চট্টগ্রাম।<br> </p> <p dir="ltr">□ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1527183620684089&id=667744529961340">ক্বিয়াম বিরোধীদের উপস্থাপিত দলীল ও তার খণ্ডনঃ</a><br> কৃত- মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান<br> মহা-পরিচালকঃ আন্জুমান রিসার্চ সেন্টার, চট্টগ্রাম।<br> </p> <p dir="ltr">□ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1967746909961089&id=667744529961340">ঈদ-এ মিলাদুন্নবী [ﷺ] উদযাপন : একটি পর্যালোচনাঃ</a><br> কৃত- মুহাম্মদ রবিউল আলম<br> </p> <p dir="ltr">□ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1971539329581847&id=667744529961340">মীলাদে পাক-এ ক্বিয়ামঃ</a><br> কৃত- মাওলানা মুফতি কাজী মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদ<br> </p> <p dir="ltr">□ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1969157099820070&id=667744529961340">পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী [ﷺ] উদযাপনঃ</a><br> কৃত- মাওলানা মুফতি কাজী মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদ<br> </p> <p dir="ltr">□ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1976164569119323&id=667744529961340">জশনে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী [ﷺ]:</a><br> কৃত- অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ জালালুদ্দীন আলক্বাদেরী<br> সাবেক অধ্যক্ষ, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া, চট্টগ্রাম।<br> </p> <p dir="ltr">□ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1974974462571667&id=667744529961340">কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী উদ্যাপনঃ</a><br>      কৃত- মাওলানা মুহাম্মদ সোলাইমান আনসারী<br> </p> <p dir="ltr">□ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1972202236182223&id=667744529961340">ফয়সালায়ে হাফ্তে মাসআলাঃ (فيصله هفت مسئله)</a><br> মূলঃ হযরত হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী (রহঃ)<br> </p> <p dir="ltr">□ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1970676376334809&id=667744529961340">মিলাদ-কিয়ামের এক্সে (এক্স-রে) রিপোর্ট-এর পোস্ট মর্টেমঃ</a><br> কৃত- হাফেজ মুহাম্মদ আশরাফুজ্জামান আল-কাদেরী<br> </p> <p dir="ltr">○ Monthly Tarjuman: মাসিক তরজুমান (প্রশ্ন-উত্তর)</p> <p dir="ltr">❏ প্রশ্নঃ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1523265411075910&id=667744529961340">পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী [ﷺ]'র উৎস ও উৎপত্তি কখন থেকে; সর্বপ্রথম মিলাদুন্নবী তথা প্রিয় নবীর শুভাগমনের বর্ণনা কে করেছেন�</a><br> </p> <p dir="ltr">❏ প্রশ্নঃ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1520603861342065&id=667744529961340">১২ই রবিউল আউয়ালে মিলাদুন্নবী [ﷺ] উপলক্ষ্যে ঈদ পালন করবো� না প্রিয় নবীজীর ওফাতুন্নবীর নামে শােক প্রকাশ করবাে�</a><br> </p> <p dir="ltr">❏ প্রশ্নঃ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1528775663858218&id=667744529961340">ঈদে মিলাদুন্নবী [ﷺ] উদযাপন করা শরীয়ত সম্মত কিনা�</a><br><br></p> <p dir="ltr">❏ প্রশ্নঃ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1513236138745504&id=667744529961340">ঈদে মিলাদুন্নবী [ﷺ]'র নামে যা কিছু করা হয়; তা সম্পূর্ণ মনগড়া এবং পবিত্র কোরআন শরীফে এর কোন ভিত্তি নেই�</a><br> </p> <p dir="ltr">❏ প্রশ্নঃ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1530429067026211&id=667744529961340">মিলাদুন্নবীকে গুরুত্ব না দিয়ে সীরাতুন্নবী করে অনেকে; মিলাদুন্নবী [ﷺ] নাকি সীরাতুন্নবী উদযাপন করা কোনটি যুক্তিযুক্ত�</a><br> </p> <p dir="ltr">❏ প্রশ্নঃ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1533853163350468&id=667744529961340">কেউ কেউ বলেন, ইসলামে মাত্র দুটি ঈদ- ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা ছাড়া অন্য কোন ঈদের অস্তিত্ব নেই�</a><br> </p> <p dir="ltr">❏ প্রশ্নঃ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1967174170018363&id=667744529961340">এক শ্রেণীর মৌলভী বলে থাকে, ইসলামে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা ছাড়া ৩য় কোন ঈদের অস্তিত্ব নেই। তাই ঈদে মিলাদুন্নবী [ﷺ] পালন করার মধ্য দিয়ে ৩য় ঈদের অনুপ্রবেশ ঘটানো ইসলাম বিরোধী। কটাক্ষ করে বলে- এটা কোন ঈদ� এ ব্যাপারে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জানালে ধন্য হব।</a><br> </p> <p dir="ltr">❏ প্রশ্নঃ <a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1536888789713572&id=667744529961340">কিছু বাতিল ফেরকার সাথে মিলাদ নিয়ে প্রায় ঝগড়া হয়; তারা বলে মিলাদুন্নবী [ﷺ] করার প্রয়ােজন নেই সিরাতুন্নবী করলে হয়। আসল সমস্যাটা কী�</a><br> </p> <p dir="ltr"> ❏ প্রশ্নঃ '<a href="https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1539115862824198&id=667744529961340">মিলাদুন্নবী' [ﷺ] ও 'সিরাতুন্নবী'র মধ্যে পার্থক্য কি�</a><br> </p> <p dir="ltr">বিস্তারিত জানতে লগ ইন করুনঃ <br> <a href="www.anjumantrust.org">www.anjumantrust.org</a></p> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiHPRstVecA5nZfWp8FcSnfyVYj_eWGI6B2mSe79wN-o0S6C-gkE_rE8Wykf2XwAXKXFehEisuUU0tdU759cypX1pn351rwldZ7Y-HHyqSlAaWQv28T1VqUvcl-CeuYT56D45KXyCnRHKc/s1600/FB_IMG_1544548355931.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiHPRstVecA5nZfWp8FcSnfyVYj_eWGI6B2mSe79wN-o0S6C-gkE_rE8Wykf2XwAXKXFehEisuUU0tdU759cypX1pn351rwldZ7Y-HHyqSlAaWQv28T1VqUvcl-CeuYT56D45KXyCnRHKc/s640-rw/FB_IMG_1544548355931.jpg"> </a> </div>

মিলাদুন্নবী [ﷺ] সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি প্রবন্ধ ও ৯টি প্রশ্ন-উত্তরঃ

📖 মিলাদুন্নবী [ﷺ] সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি প্রবন্ধ ও ৯টি প্রশ্ন-উত্তরঃ □ মীলাদ-ই পাক উদ্যাপন সম্পর্কিত প্রশ্ন ও তার জবাবঃ (শায়খ তাজ উদ্দ...

Read more »

রিসালত-অবমাননার মূলে বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসা। আর বেয়াদব মুরতাদদের শাস্তি

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <div style="border: 0px; box-sizing: border-box; color: #1d1d1d; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; list-style: none; margin-bottom: 20px; padding: 0px; text-align: justify;"> <span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;">রিসালত-অবমাননার মূলে বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসা</span><span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;"></span></div> <div style="border: 0px; box-sizing: border-box; color: #1d1d1d; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; list-style: none; margin-bottom: 20px; padding: 0px; text-align: justify;"> <span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;">হযরত মাওলানা সলীমুল্লাহ খান</span><span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;"></span></div> <div style="border: 0px; box-sizing: border-box; color: #1d1d1d; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; list-style: none; margin-bottom: 20px; padding: 0px; text-align: justify;"> <span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;">নবীর মহাববত মুমিনের দ্বীন ও ঈমানের অংশ এবং তিনি ঈমানদারের জীবন ও কর্মের আদর্শ।</span><span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;"></span></div> <div style="border: 0px; box-sizing: border-box; color: #1d1d1d; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; list-style: none; margin-bottom: 20px; padding: 0px; text-align: justify;"> <span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;">নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মহববত ও ভালবাসা কেবল আবেগের বিষয় নয়, দ্বীন ও ঈমানের বিষয়।</span><span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;"></span></div> <div style="border: 0px; box-sizing: border-box; color: #1d1d1d; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; list-style: none; margin-bottom: 20px; padding: 0px; text-align: justify;"> <span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;">কুরআন মজীদের বিভিন্ন জায়গায় এ<span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;">  </span>কথা বলা হয়েছে। এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (তরজমা) বলুন, তোমাদের পিতা, তোমাদের পুত্র, তোমাদের ভাই, তোমাদের স্ত্রী, তোমাদের আত্মীয়-স্বজন এবং ওই সম্পদ, যা তোমরা উপার্জন কর এবং ব্যবসা-বাণিজ্য যার ক্ষতির আশঙ্কা তোমরা কর এবং ঐ ঘর-বাড়ি, যাতে তোমরা বসবাস কর, যদি তোমাদের কাছে আল্লাহর চেয়ে, তাঁর রাসূলের চেয়ে এবং তাঁর রাস্তায় জিহাদের চেয়ে অধিক প্রিয় হয়ে থাকে তাহলে অপেক্ষা কর আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত। আল্লাহ সত্যত্যাগী সম্প্রদায়কে সৎপথ প্রদর্শন করেন না। (সূরা তাওবা : ২৪)</span><span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;"></span></div> <div style="border: 0px; box-sizing: border-box; color: #1d1d1d; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; list-style: none; margin-bottom: 20px; padding: 0px; text-align: justify;"> <span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;">অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, (তরজমা) রাসূল তোমাদেরকে যা দেন তা গ্রহণ কর আর যা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক। আল্লাহকে ভয় কর, নিশ্চয়ই আল্লাহর শাস্তি অত্যন্ত কঠিন। (সূরা হাশর : ৭)</span><span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;"></span></div> <div style="border: 0px; box-sizing: border-box; color: #1d1d1d; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; list-style: none; margin-bottom: 20px; padding: 0px; text-align: justify;"> <span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;">আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আদেশ সমর্পিত চিত্তে মেনে নেওয়াই ঈমানের আলামত।</span><span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;"></span></div> <div style="border: 0px; box-sizing: border-box; color: #1d1d1d; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; list-style: none; margin-bottom: 20px; padding: 0px; text-align: justify;"> <span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;">ইরশাদ হয়েছে, (তরজমা) মুমিনদের উক্তি তো এই-যখন তাদের মধ্যে ফয়সালা করার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে আহবান করা হয় তখন তারা বলে, আমরা শ্রবণ করলাম এবং আনুগত্য করলাম। আর ওরাই তো সফলকাম। (সূরা নূর : ৫১)</span><span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;"></span></div> <div style="border: 0px; box-sizing: border-box; color: #1d1d1d; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; list-style: none; margin-bottom: 20px; padding: 0px; text-align: justify;"> <span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;">হাদীস শরীফে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (তরজমা) তোমরা কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার কাছে তার পিতা থেকে, পুত্র থেকে এবং সকল মানুষ থেকে অধিক প্রিয় না হই। (হযরত আনাস রা.-এর সূত্রে, বুখারী, কিতাবুল ঈমান, হাদীস : ১৫; মুসলিম, কিতাবুল ঈমান,<span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;">       </span>হাদীস : ১৭৭)</span></div> <div style="border: 0px; box-sizing: border-box; color: #1d1d1d; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; list-style: none; margin-bottom: 20px; padding: 0px; text-align: justify;"> <span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;"><br /></span></div> <div style="border: 0px; box-sizing: border-box; color: #1d1d1d; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; list-style: none; margin-bottom: 20px; padding: 0px; text-align: justify;"> <span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;">ইহুদি-নেতা কাব ইবনে আশরাফ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শানে গোসতাখি করত এবং নিন্দা ও উপহাসমূলক কবিতা পাঠ করত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশে মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা রা. তাকে খতম করেছেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস : ৪০৩৭)</span><span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;"></span></div> <div style="border: 0px; box-sizing: border-box; color: #1d1d1d; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; list-style: none; margin-bottom: 20px; padding: 0px; text-align: justify;"> <span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;">মদীনা মুনাওয়ারায় আবু ইফক নামক এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিন্দা করে কবিতা রচনা করেছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশে সালিম ইবনে উমাইর রা. তাকে হত্যা করেছেন। (সীরাতে ইবনে হিশাম ৪/২৮২)</span><span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;"></span></div> <div style="border: 0px; box-sizing: border-box; color: #1d1d1d; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; list-style: none; margin-bottom: 20px; padding: 0px; text-align: justify;"> <span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;"></span></div> <div style="border: 0px; box-sizing: border-box; color: #1d1d1d; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; list-style: none; margin-bottom: 20px; padding: 0px; text-align: justify;"> <span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;">ফতহে মক্কার সাধারণ ক্ষমার সময়ও ইবনে খাতালকে ক্ষমা করা হয়নি। সে আত্মরক্ষার জন্য কাবা ঘরের গিলাফ ধরে রেখেছিল। ঐ অবস্থায় তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশে হত্যা করা হয়। তার দুই দাসীকেও মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল, যারা ইবনে খাতাল রচিত কবিতা লোকদের আবৃত্তি করে শোনাত। (সহীহ বুখারী, হাদীস : ৪০৩৫; আলকামিল ইবনুল আছীর ২/১৬৯)</span></div> <div style="border: 0px; box-sizing: border-box; color: #1d1d1d; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; list-style: none; margin-bottom: 20px; padding: 0px; text-align: justify;"> <span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;"><br /></span></div> <div style="border: 0px; box-sizing: border-box; color: #1d1d1d; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; list-style: none; margin-bottom: 20px; padding: 0px; text-align: justify;"> <span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;">নবী-যুগের এইসব ঘটনা প্রমাণ করে যে, তাওহীনে রিসালাত বা রাসূল-অবমাননা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একটি চরম অপরাধ, যার শাস্তি মৃত্যুদন্ড। উম্মাহর চার ইমাম এ বিষয়ে একমত। আল্লামা শামী রাহ. বলেন, </span><span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;">‘</span><span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;">রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে কটুক্তিকারী ঈমান থেকে খারিজ ও হত্যার উপযুক্ত। চার ইমাম এ বিষয়ে একমত।</span><span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;">’</span><span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;"></span><span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;"></span></div> <div style="border: 0px; box-sizing: border-box; color: #1d1d1d; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; list-style: none; margin-bottom: 20px; padding: 0px; text-align: justify;"> <span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;"></span></div> <div style="border: 0px; box-sizing: border-box; color: #1d1d1d; font-family: SolaimanLipi, Arial, Vrinda, Helvetica, sans-serif; font-size: 18px; line-height: 30px; list-style: none; margin-bottom: 20px; padding: 0px; text-align: justify;"> <span style="border: 0px; box-sizing: border-box; list-style: none; margin: 0px; padding: 0px;">ইসলামের বিজয়ের যুগে যখন মুসলমানদের আইন-আদালত অমুসলিমদের প্রভাব-প্রতিপত্তি থেকে মুক্ত ছিল তখন এ ধরনের অপরাধী মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হত। এমনকি ইতিহাসে আছে যে, নবম শতকের মাঝামাঝিতে আন্দালুসে এক খ্রিস্টানের নেতৃত্বে কিছু লোক দলবদ্ধভাবে রাসূলের অবমাননায় লিপ্ত হয়েছিল। মুসলিম বিচারকরা সে সময় বিন্দুমাত্র ছাড় দেননি। এদের মৃত্যুদন্ড দেওয়ার কারণে স্পেন থেকে এই ফিতনা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। (দেখুন : তারীখে হিসপানিয়া ১/২০০)</span></div> </div>

রিসালত-অবমাননার মূলে বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসা। আর বেয়াদব মুরতাদদের শাস্তি

রিসালত-অবমাননার মূলে বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসা হযরত মাওলানা সলীমুল্লাহ খান নবীর মহাববত মুমিনের দ্বীন ও ঈমানের অংশ এবং তিনি ঈমানদারের জীবন ...

Read more »

নবুয়াত ও রিসালাতের সম্পর্কে

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <h2 style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #7786bf; font-family: -apple-system, BlinkMacSystemFont, 'Segoe UI', Roboto, Oxygen, Ubuntu, Cantarell, 'Fira Sans', 'Droid Sans', 'Helvetica Neue', Arial, sans-serif; font-size: 18px; letter-spacing: 0.06rem; line-height: 20px; margin: 0px; orphans: 1; padding: 0px; page-break-after: auto; page-break-before: auto; widows: 1;"> নবুয়াত ও রিসালাতের সম্পর্কে</h2> <h3 id="1" style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #4a4a4a; font-family: -apple-system, BlinkMacSystemFont, 'Segoe UI', Roboto, Oxygen, Ubuntu, Cantarell, 'Fira Sans', 'Droid Sans', 'Helvetica Neue', Arial, sans-serif; font-size: 18px; letter-spacing: 0.06rem; line-height: 20px; margin: 0px; padding: 0px;"> <br /></h3> <h3 id="1" style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #4a4a4a; font-family: -apple-system, BlinkMacSystemFont, 'Segoe UI', Roboto, Oxygen, Ubuntu, Cantarell, 'Fira Sans', 'Droid Sans', 'Helvetica Neue', Arial, sans-serif; font-size: 18px; letter-spacing: 0.06rem; line-height: 20px; margin: 0px; padding: 0px;">  </h3> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #282829; font-family: -apple-system, BlinkMacSystemFont, 'Segoe UI', Roboto, Oxygen, Ubuntu, Cantarell, 'Fira Sans', 'Droid Sans', 'Helvetica Neue', Arial, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 20px; orphans: 1; padding: 10px; page-break-after: auto; page-break-before: auto; text-align: justify; text-indent: -2px; widows: 1;"> আল্লাহ তায়া’লার বিশেষ নেয়ামতের মধ্যে অন্যতম নেয়ামত হলো তিনি নবী রাসুলগণকে মানুষের মধ্য থেকেই পাঠিয়েছেন। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ <span style="box-sizing: border-box; color: #01abcf; font-size: 16px; font-weight: bolder;">আপনার পূর্বেও আমি প্রত্যাদেশসহ মানবকেই তাদের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম। </span><small style="box-sizing: border-box; color: #d69774; font-size: 14px; text-align: start; text-indent: 9px;">(নাহলঃ ৪৩)</small></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #282829; font-family: -apple-system, BlinkMacSystemFont, 'Segoe UI', Roboto, Oxygen, Ubuntu, Cantarell, 'Fira Sans', 'Droid Sans', 'Helvetica Neue', Arial, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 20px; orphans: 1; padding: 10px; page-break-after: auto; page-break-before: auto; text-align: justify; text-indent: -2px; widows: 1;"> তারা স্বজাতির ভাষায় কথা বলেছেন, যাতে তাদের ভাষা স্বীয় সম্প্রদায়ের বোধগাম্য হয়, তাদের কথার অর্থ বুঝতে পারেন। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ <span style="box-sizing: border-box; color: #01abcf; font-size: 16px; font-weight: bolder;">আমি সব পয়গম্বরকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি, যাতে তাদেরকে পরিষ্কার বোঝাতে পারে। অতঃপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা, পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎপথ প্রদর্শন করেন। তিনি পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়।</span><small style="box-sizing: border-box; color: #d69774; font-size: 14px; text-align: start; text-indent: 9px;"> (ইবারাহীমঃ ৪)</small></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #282829; font-family: -apple-system, BlinkMacSystemFont, 'Segoe UI', Roboto, Oxygen, Ubuntu, Cantarell, 'Fira Sans', 'Droid Sans', 'Helvetica Neue', Arial, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 20px; orphans: 1; padding: 10px; page-break-after: auto; page-break-before: auto; text-align: justify; text-indent: -2px; widows: 1;"> <small style="box-sizing: border-box; color: #d69774; font-size: 14px; text-align: start; text-indent: 9px;"><br /></small></div> <h3 id="2" style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #4a4a4a; font-family: -apple-system, BlinkMacSystemFont, 'Segoe UI', Roboto, Oxygen, Ubuntu, Cantarell, 'Fira Sans', 'Droid Sans', 'Helvetica Neue', Arial, sans-serif; font-size: 18px; letter-spacing: 0.06rem; line-height: 20px; margin: 0px; padding: 0px;"> নবী রাসূলদের পবিত্রতা ও পূর্ণতা</h3> <div> <br /></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #282829; font-family: -apple-system, BlinkMacSystemFont, 'Segoe UI', Roboto, Oxygen, Ubuntu, Cantarell, 'Fira Sans', 'Droid Sans', 'Helvetica Neue', Arial, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 20px; orphans: 1; padding: 10px; page-break-after: auto; page-break-before: auto; text-align: justify; text-indent: -2px; widows: 1;"> আম্বিয়া ও রাসুলগণ পূর্ণ জ্ঞান ও সুস্থ স্বভাব, সত্যবাদিতা, আমানতদারীতা ও মানবিক সব ধরণের ভ্রুটি থেকে মুক্ত ইত্যাদি গুনে গুণান্বিত ছিলেন। সে সব শারীরিক দোষত্রুটি থেকে মুক্ত ছিলেন যা মানুষের চোখে পড়ে ও সুরুচির পরিপন্থী। আল্লাহ তায়া’লা নিজেই তাদেরকে পবিত্র ও শ্রেষ্ট চরিত্রবান করেছেন। চারিত্রিক দিক থেকে তারা সবচেয়ে পরিপূর্ণ, অন্তরের দিকে সবচেয়ে পবিত্র ও সবচেয়ে সম্মানিত। আল্লাহ তায়া’লা তাদের মধ্যে উত্তম চরিত্রের সব গুন দান করেছেন। উত্তম গুনের যা কিছু আছে সবই দিয়েছেন, তিনি তাদের মাঝে দান করেছেন ধৈর্য্, জ্ঞান, উদারতা, সম্মান, দানশীলতা, বীরত্ব ও ন্যায়পরায়ণতা। যাতে এসব আখলাকের কারণে তারা নিজ জাতির কাছে আলাদা বৈশিষ্ট্যে পরিচিত হন। রাসুলগণ হলেন আল্লাহ তায়া’লার সর্বোত্তম সৃষ্টি, তিনি তাদেরকে নির্বাচিত করেছেন তার রিসালাত ও আমানত মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য। আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ<span style="box-sizing: border-box; color: #01abcf; font-size: 16px; font-weight: bolder;"> আল্লাহ এ বিষয়ে সুপারিজ্ঞাত যে, কোথায় স্বীয় পয়গাম প্রেরণ করতে হবে।</span><small style="box-sizing: border-box; color: #d69774; font-size: 14px; text-align: start; text-indent: 9px;"> (আন’আমঃ ১২৪)</small></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #282829; font-family: -apple-system, BlinkMacSystemFont, 'Segoe UI', Roboto, Oxygen, Ubuntu, Cantarell, 'Fira Sans', 'Droid Sans', 'Helvetica Neue', Arial, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 20px; orphans: 1; padding: 10px; page-break-after: auto; page-break-before: auto; text-align: justify; text-indent: -2px; widows: 1;"> আল্লাহ তায়া’লা বলেনঃ <span style="box-sizing: border-box; color: #01abcf; font-size: 16px; font-weight: bolder;">নিঃসন্দেহে আল্লাহ আদম (আঃ) নূহ (আঃ)¬ ও ইব্রাহীম (আঃ) এর বংশধর এবং ইমরানের বংশকে নির্বাচিত করেছেন।</span><small style="box-sizing: border-box; color: #d69774; font-size: 14px; text-align: start; text-indent: 9px;">(আলে ইমরানঃ ৩৩)</small></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #282829; font-family: -apple-system, BlinkMacSystemFont, 'Segoe UI', Roboto, Oxygen, Ubuntu, Cantarell, 'Fira Sans', 'Droid Sans', 'Helvetica Neue', Arial, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 20px; orphans: 1; padding: 10px; page-break-after: auto; page-break-before: auto; text-align: justify; text-indent: -2px; widows: 1;"> আল্লাহ তায়া’লা ঈসা (আঃ) সম্পর্কে বলেনঃ<span style="box-sizing: border-box; color: #01abcf; font-size: 16px; font-weight: bolder;"> যখন ফেরেশতাগণ বললো, হে মারইয়াম আল্লাহ তোমাকে তাঁর এক বানীর সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার নাম হলো মসীহ-মারইয়াম-তনয় ঈসা, দুনিয়া ও আখেরাতে তিনি মহাসম্মানের অধিকারী এবং আল্লাহর ঘনিষ্ঠদের অন্তর্ভূক্ত। যখন তিনি মায়ের কোলে থাকবেন এবং পূর্ণ বয়স্ক হবেন তখন তিনি মানুষের সাথে কথা বলবেন। আর তিনি সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।</span><small style="box-sizing: border-box; color: #d69774; font-size: 14px; text-align: start; text-indent: 9px;"> (আলে ইমরানঃ ৪৫-৪৬)</small></div> <div style="background-color: white; box-sizing: border-box; color: #282829; font-family: -apple-system, BlinkMacSystemFont, 'Segoe UI', Roboto, Oxygen, Ubuntu, Cantarell, 'Fira Sans', 'Droid Sans', 'Helvetica Neue', Arial, sans-serif; font-size: 15px; line-height: 20px; orphans: 1; padding: 10px; page-break-after: auto; page-break-before: auto; text-align: justify; text-indent: -2px; widows: 1;"> মুহাম্মদ (ﷺ) নবুয়্যাত প্রাপ্তির আগে নিজ জাতির নিকট “আল আমিন” উপাধিতে পরিচিত ছিলেন, আল্লাহ তায়া’লা তার গুন বর্ণনা করে বলেনঃ <span style="box-sizing: border-box; color: #01abcf; font-size: 16px; font-weight: bolder;">আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী। </span><small style="box-sizing: border-box; color: #d69774; font-size: 14px; text-align: start; text-indent: 9px;">(কালমঃ ৪)</small></div> </div>

নবুয়াত ও রিসালাতের সম্পর্কে

নবুয়াত ও রিসালাতের সম্পর্কে   আল্লাহ তায়া’লার বিশেষ নেয়ামতের মধ্যে অন্যতম নেয়ামত হলো তিনি নবী রাসুলগণকে মানুষের মধ্য থেকেই পাঠিয়েছেন...

Read more »