ইমাম মুসলিমের ছেলেদের শাহাদাত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">"কারবালার করুণ কাহিনী-৭"<br /><br />--মজলুমের ছেলেদ্বয়ের শাহাদাত--<br /><br />হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহ আনহু) কূফা যাবার সময় তাঁর আদরের শিশু সন্তান হযরত ইব্রাহিম ও হযরত মুহাম্মদ (রাদি আল্লাহ আনহু) কেও সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন। ইবনে যিয়াদ ইমাম মুসলিমকে কতলের পর জানতে পারলো যে ইমাম মুসলিমের দু’ছেলে এই শহরে রয়েছে। ইবনে যিয়াদ সঙ্গে সঙ্গে ফরমান জারী করলো যে, যে মুসলিম ছেলেদ্বয়কে ঘরে স্থান দিবে ওকে কতল করা হবে। এ সময় ছেলেদ্বয় কাজী শরীহের ঘরে ছিল। কাজী সাহেব ছেলেদ্বয়কে সামনে ডাকলেন এবং অঝোরে কাঁদতে লাগলেন। ছেলেদ্বয় জিজ্ঞেস করলেন, জনাব আপনি কাঁদছেন কেন? আমরা কি এতিম হয়ে গেছি? কাজী সাহেব কান্না সংবরণ করে বল্লেন, আল্লাহ্ তোমাদের ধৈর্য দান করুক, বাস্তবিকই তোমরা এতিম হয়ে গেছ। এ খবর শুনে শিশুদ্বয় চিৎকার করে কেঁদে উঠলো। কাজী সাহেব ওদেরকে সান্তনা দিয়ে বললেন,বাবারা নিশ্চুপ থেকো,ইবনে যিয়াদের লোকেরা তোমাদের তালাশে আছে, আমি আমার ও তোমাদের নিরাপত্তার ভয় করছি। আমি তোমাদেরকে কারো সাথে মদিনা মনোয়ারা পাঠিয়ে দিতে মনস্থ করছি । ছেলেদ্বয় একথা শুনে ইবনে যিয়াদের ভয়েচুপ হয়ে গেল।<br />কাজী সাহেবের তাঁর ছেলে আসাদকে ডেকে বললেন,আজ একটি কাফেলা ইরাকী গেইট দিয়ে মদীনা যাচ্ছে। তুমি ছেলেদ্বয়কে নিয়ে কাফেলার কোন একজন ভালো মানুষের হাতে দিয়ে এসো যেন ওদেরকে মদিনা পৌছে দেয়। আসাদ যখন ছেলেদ্বয়কে নিয়ে ইরাকী গেটে গেল, তখন কাফেলা ইরাকী গেইট অতিক্রম করে চলে গিয়েছিল। অবশ্য কাফেলার মশাল দেখা যাচ্ছিল। আসাদ ছেলেদ্বয়কে বললো, ঐ কাফেলা দেখা যাচ্ছে, তোমরা দৌঁড়ে গিয়ে ওদের সাথে মিলিত হও। অসহায় ছেলেদ্বয় কাফেলার দিকে দৌঁড় দিলেন কিন্তু কাফেলা অনেক দূরে চলে গিয়েছিল। ফলে ছেলেদ্বয় কাফেলার নাগাল পেল না, রাত্রির অন্ধকারে রাস্তা হারিয়ে ফেলেছিল। সারা রাত এদিক ওদিক ঘুরতে রইল। ভোর হয়ে আসলে একটি ঝর্ণা তাদের নজরে পড়ে। তারা ক্লান্ত হয়ে ঝর্ণার পাশে বসে পড়লো। ঘটনাক্রমে এক বাঁদী সেই ঝর্ণা থেকে পানি নিতে এসে তাদের দেখে ফেললো এবং যখন জানতে পারলো যে এরা ইমাম মুসলিমের অসহায় এয়াতীমের ছেলেদ্বয়, তখন সে ওদের প্রতি বড় সহানুভূতিশীল হলো এবং বললো আমার সাথে চলো। আমার গৃহকর্তী আহলে বায়াতের ভক্ত,তোমাদেরকে পেয়ে দারুন খুশী হবেন। কোন ভয় কর না, আমার সাথে চলো। অনিদ্রা ও অনাহারে কাতর ছেলেদ্বয় ওর সাথে গেল। যখন ঘরে পৌঁছলো এবং গৃহকর্তী জানতে পারলো যে এরা মুসলিমের এতিম সন্তান তখন দৌঁড়ে এসে ওদেরকে বুকে জড়িয়ে ধরে ওদের এই দুর্দশার জন্য কেঁদে দিল। অতঃপর ওদেরকে পানাহার করায়ে একটি কামরায় শোয়ায়ে দিল।<br />খোদার কি লীলা! মহিলাটা ছিল খোদাভীরু ও আহলে বায়েতের প্রতি অনুরক্ত কিন্তু হারেছ নামে ওর স্বামীটা ছিল খোদাদ্রোহী ও আহলে বায়তের দুশমন। ইবনে যিয়াদ থেকে পুরস্কারের লালসায় সে সারা দিন ছেলে দুইটির সন্ধানে ছিল। কী অদ্ভুত ব্যাপার! যে ছেলেদ্বয় সন্ধানে সে সারা দিন ব্যস্ত ছিল সে ছেলেদ্বয় ওর ঘরে আরাম করছে। রাতে যখন এ জালিম ঘরে এলো ওর স্ত্রী তারাহুরা করে খাবার দিল, যাতে সাহসা শুয়ে পড়ে এবং ছেলেদ্বয়ের ব্যাপারে কোন কিছু টের না পায়। সারাদিনের ক্লান্তিতে বিছানায় শোয়া মাত্র সে ঘুমিঢে পড়লো।<br />কিছু রাত পাড় হওয়ার পর বড় ভাই ছোট ভাইকে জাগিয়ে বললো,ভাই আমি এখন স্বপ্ন দেখলাম যে আমাদের আব্বাজান বেহেস্তে হুজুর নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে ঘুরা ফেরা করছেন এবং হুজুর নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওনাকে বলছেন, হে মুসলিম তুমি নিজে চলে এলে কিন্তু ছেলেদ্বয়কে জালিমের মধ্যে ছেড়ে আসলে? আব্বাজান আরজ কররেন ইয়া রাসূলাল্লাহ্! ওরাও আসতেছে সকাল হবার আগেই এসে পৌঁছাবে।<br />ছোট ভাই বললো, ভাইজান আমিও একই স্বপ্ন দেখেছি। তখন উভয়ে আত্মহারা হয়ে কেঁদে উঠলো। ওদের কান্নায় হারেছের ঘুম ভেঙ্গে গেল। ওই জালিম জেগে স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলো,কান্নার আওয়াজ কোথা থেকে আসছে? ঘরে কী কেউ লুকিয়ে আছে? স্ত্রী হতভম্ব হয়ে গেল এবং ঘাবড়িয়ে গেল আল্লাহই জানে এখন সে কি করে? হারেছ উঠলো এবং বাতি জ্বালিয়ে ভিতরের কামরায় গেল এবং ইয়াতীম ছেলেদ্বয়কে ক্রন্দনরত অবস্হায় দেখে জিজ্ঞেস করলো,তোমরা কে? ছেলেদ্বয় পরিস্কার বলে দিল। আমরা ইমাম মুসলিমের সন্তান। হারেছতো আশ্চর্য ও আনন্দে আত্মহারা। কারণ যাদের সন্ধানে সে সারা দিন ব্যস্ত, তারা আরামে তার ঘরে শায়িত। এ জালিম আর দেরী করেনি, ওদেরকে টেনে ঘর থেকে বের কররলো। ওর স্ত্রী বেচারী ওর হাত পা ধরে আপ্রাণ চেষ্টা করলো ছেলেদ্বয়কে রক্ষা করতে কিন্তু জালিম কোন কথাথা শুনলো না। সে জালিম ওদেরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ফোরাদ নদীর দিকে নিয়ে গেল। ছেলেদ্বয় যখন বুঝতে পারলো যে এ জালিম ওদেরকে হত্যা করবে, তখন তারা বললো, আমরা প্রবাসী এয়াতীম, আমরা কি আপরাধ করেছি আমাদেরকে হত্যা করছছ? এ জালিম কোন কথা শুনলো না। একে একে উভয়কে শহীদ করে দিল। (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলািহে রাজেউন)<br />---(তাজকিরা-৪৮পৃঃ)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj9LerXlcNzt1JY8gTobo4SN6b8ulVbTi_S0RsSHcOpgP3o0HlSZvJNe68XnvbB4ECQXQM1v4DKoZCgvBbSbB-ZvuWXPHhs8iVZUA1logDvfTTsOEJcu5TPrSz58GmY2WmM2NEmg5EOdDeM/s1600/FB_IMG_1537466023412.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="720" data-original-width="1206" height="191" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj9LerXlcNzt1JY8gTobo4SN6b8ulVbTi_S0RsSHcOpgP3o0HlSZvJNe68XnvbB4ECQXQM1v4DKoZCgvBbSbB-ZvuWXPHhs8iVZUA1logDvfTTsOEJcu5TPrSz58GmY2WmM2NEmg5EOdDeM/s320-rw/FB_IMG_1537466023412.jpg" width="320" /></a></div><br /></div>

ইমাম মুসলিমের ছেলেদের শাহাদাত

"কারবালার করুণ কাহিনী-৭" --মজলুমের ছেলেদ্বয়ের শাহাদাত-- হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহ আনহু) কূফা যাবার সময় তাঁর আদরের শিশু সন্তান ...

Read more »

ইমাম মুসলিমের ছেলেদের শাহাদাত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> "কারবালার করুণ কাহিনী-৭"<br /> <br /> --মজলুমের ছেলেদ্বয়ের শাহাদাত--<br /> <br /> হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহ আনহু) কূফা যাবার সময় তাঁর আদরের শিশু সন্তান হযরত ইব্রাহিম ও হযরত মুহাম্মদ (রাদি আল্লাহ আনহু) কেও সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন। ইবনে যিয়াদ ইমাম মুসলিমকে কতলের পর জানতে পারলো যে ইমাম মুসলিমের দু’ছেলে এই শহরে রয়েছে। ইবনে যিয়াদ সঙ্গে সঙ্গে ফরমান জারী করলো যে, যে মুসলিম ছেলেদ্বয়কে ঘরে স্থান দিবে ওকে কতল করা হবে। এ সময় ছেলেদ্বয় কাজী শরীহের ঘরে ছিল। কাজী সাহেব ছেলেদ্বয়কে সামনে ডাকলেন এবং অঝোরে কাঁদতে লাগলেন। ছেলেদ্বয় জিজ্ঞেস করলেন, জনাব আপনি কাঁদছেন কেন? আমরা কি এতিম হয়ে গেছি? কাজী সাহেব কান্না সংবরণ করে বল্লেন, আল্লাহ্ তোমাদের ধৈর্য দান করুক, বাস্তবিকই তোমরা এতিম হয়ে গেছ। এ খবর শুনে শিশুদ্বয় চিৎকার করে কেঁদে উঠলো। কাজী সাহেব ওদেরকে সান্তনা দিয়ে বললেন,বাবারা নিশ্চুপ থেকো,ইবনে যিয়াদের লোকেরা তোমাদের তালাশে আছে, আমি আমার ও তোমাদের নিরাপত্তার ভয় করছি। আমি তোমাদেরকে কারো সাথে মদিনা মনোয়ারা পাঠিয়ে দিতে মনস্থ করছি । ছেলেদ্বয় একথা শুনে ইবনে যিয়াদের ভয়েচুপ হয়ে গেল।<br /> কাজী সাহেবের তাঁর ছেলে আসাদকে ডেকে বললেন,আজ একটি কাফেলা ইরাকী গেইট দিয়ে মদীনা যাচ্ছে। তুমি ছেলেদ্বয়কে নিয়ে কাফেলার কোন একজন ভালো মানুষের হাতে দিয়ে এসো যেন ওদেরকে মদিনা পৌছে দেয়। আসাদ যখন ছেলেদ্বয়কে নিয়ে ইরাকী গেটে গেল, তখন কাফেলা ইরাকী গেইট অতিক্রম করে চলে গিয়েছিল। অবশ্য কাফেলার মশাল দেখা যাচ্ছিল। আসাদ ছেলেদ্বয়কে বললো, ঐ কাফেলা দেখা যাচ্ছে, তোমরা দৌঁড়ে গিয়ে ওদের সাথে মিলিত হও। অসহায় ছেলেদ্বয় কাফেলার দিকে দৌঁড় দিলেন কিন্তু কাফেলা অনেক দূরে চলে গিয়েছিল। ফলে ছেলেদ্বয় কাফেলার নাগাল পেল না, রাত্রির অন্ধকারে রাস্তা হারিয়ে ফেলেছিল। সারা রাত এদিক ওদিক ঘুরতে রইল। ভোর হয়ে আসলে একটি ঝর্ণা তাদের নজরে পড়ে। তারা ক্লান্ত হয়ে ঝর্ণার পাশে বসে পড়লো। ঘটনাক্রমে এক বাঁদী সেই ঝর্ণা থেকে পানি নিতে এসে তাদের দেখে ফেললো এবং যখন জানতে পারলো যে এরা ইমাম মুসলিমের অসহায় এয়াতীমের ছেলেদ্বয়, তখন সে ওদের প্রতি বড় সহানুভূতিশীল হলো এবং বললো আমার সাথে চলো। আমার গৃহকর্তী আহলে বায়াতের ভক্ত,তোমাদেরকে পেয়ে দারুন খুশী হবেন। কোন ভয় কর না, আমার সাথে চলো। অনিদ্রা ও অনাহারে কাতর ছেলেদ্বয় ওর সাথে গেল। যখন ঘরে পৌঁছলো এবং গৃহকর্তী জানতে পারলো যে এরা মুসলিমের এতিম সন্তান তখন দৌঁড়ে এসে ওদেরকে বুকে জড়িয়ে ধরে ওদের এই দুর্দশার জন্য কেঁদে দিল। অতঃপর ওদেরকে পানাহার করায়ে একটি কামরায় শোয়ায়ে দিল।<br /> খোদার কি লীলা! মহিলাটা ছিল খোদাভীরু ও আহলে বায়েতের প্রতি অনুরক্ত কিন্তু হারেছ নামে ওর স্বামীটা ছিল খোদাদ্রোহী ও আহলে বায়তের দুশমন। ইবনে যিয়াদ থেকে পুরস্কারের লালসায় সে সারা দিন ছেলে দুইটির সন্ধানে ছিল। কী অদ্ভুত ব্যাপার! যে ছেলেদ্বয় সন্ধানে সে সারা দিন ব্যস্ত ছিল সে ছেলেদ্বয় ওর ঘরে আরাম করছে। রাতে যখন এ জালিম ঘরে এলো ওর স্ত্রী তারাহুরা করে খাবার দিল, যাতে সাহসা শুয়ে পড়ে এবং ছেলেদ্বয়ের ব্যাপারে কোন কিছু টের না পায়। সারাদিনের ক্লান্তিতে বিছানায় শোয়া মাত্র সে ঘুমিঢে পড়লো।<br /> কিছু রাত পাড় হওয়ার পর বড় ভাই ছোট ভাইকে জাগিয়ে বললো,ভাই আমি এখন স্বপ্ন দেখলাম যে আমাদের আব্বাজান বেহেস্তে হুজুর নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে ঘুরা ফেরা করছেন এবং হুজুর নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওনাকে বলছেন, হে মুসলিম তুমি নিজে চলে এলে কিন্তু ছেলেদ্বয়কে জালিমের মধ্যে ছেড়ে আসলে? আব্বাজান আরজ কররেন ইয়া রাসূলাল্লাহ্! ওরাও আসতেছে সকাল হবার আগেই এসে পৌঁছাবে।<br /> ছোট ভাই বললো, ভাইজান আমিও একই স্বপ্ন দেখেছি। তখন উভয়ে আত্মহারা হয়ে কেঁদে উঠলো। ওদের কান্নায় হারেছের ঘুম ভেঙ্গে গেল। ওই জালিম জেগে স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলো,কান্নার আওয়াজ কোথা থেকে আসছে? ঘরে কী কেউ লুকিয়ে আছে? স্ত্রী হতভম্ব হয়ে গেল এবং ঘাবড়িয়ে গেল আল্লাহই জানে এখন সে কি করে? হারেছ উঠলো এবং বাতি জ্বালিয়ে ভিতরের কামরায় গেল এবং ইয়াতীম ছেলেদ্বয়কে ক্রন্দনরত অবস্হায় দেখে জিজ্ঞেস করলো,তোমরা কে? ছেলেদ্বয় পরিস্কার বলে দিল। আমরা ইমাম মুসলিমের সন্তান। হারেছতো আশ্চর্য ও আনন্দে আত্মহারা। কারণ যাদের সন্ধানে সে সারা দিন ব্যস্ত, তারা আরামে তার ঘরে শায়িত। এ জালিম আর দেরী করেনি, ওদেরকে টেনে ঘর থেকে বের কররলো। ওর স্ত্রী বেচারী ওর হাত পা ধরে আপ্রাণ চেষ্টা করলো ছেলেদ্বয়কে রক্ষা করতে কিন্তু জালিম কোন কথাথা শুনলো না। সে জালিম ওদেরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ফোরাদ নদীর দিকে নিয়ে গেল। ছেলেদ্বয় যখন বুঝতে পারলো যে এ জালিম ওদেরকে হত্যা করবে, তখন তারা বললো, আমরা প্রবাসী এয়াতীম, আমরা কি আপরাধ করেছি আমাদেরকে হত্যা করছছ? এ জালিম কোন কথা শুনলো না। একে একে উভয়কে শহীদ করে দিল। (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলািহে রাজেউন)<br /> ---(তাজকিরা-৪৮পৃঃ)<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjgegd3f-5D3gXUCQr6REERgi5Py-prEgA0nSJngTNS-WMh1jg_Lwi5auc45bS2PgoPoJWjnoAwS83TMZVU8mqjdK692NEUnF7jjCB1t1yAXXyuA6Rsk1DqYTPctjQZxoNIrxHwjzBmcTh0/s1600/FB_IMG_1537466023412.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="720" data-original-width="1206" height="191" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjgegd3f-5D3gXUCQr6REERgi5Py-prEgA0nSJngTNS-WMh1jg_Lwi5auc45bS2PgoPoJWjnoAwS83TMZVU8mqjdK692NEUnF7jjCB1t1yAXXyuA6Rsk1DqYTPctjQZxoNIrxHwjzBmcTh0/s320-rw/FB_IMG_1537466023412.jpg" width="320" /></a></div> <br /></div>

ইমাম মুসলিমের ছেলেদের শাহাদাত

"কারবালার করুণ কাহিনী-৭" --মজলুমের ছেলেদ্বয়ের শাহাদাত-- হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহ আনহু) কূফা যাবার সময় তাঁর আদরের শিশু সন...

Read more »

ইমাম মুসলিমের ছেলেদের শাহাদাত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />"কারবালার করুণ কাহিনী-৭"<br /><br /><br /><br />--মজলুমের ছেলেদ্বয়ের শাহাদাত--<br /><br /><br /><br />হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহ আনহু) কূফা যাবার সময় তাঁর আদরের শিশু সন্তান হযরত ইব্রাহিম ও হযরত মুহাম্মদ (রাদি আল্লাহ আনহু) কেও সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন। ইবনে যিয়াদ ইমাম মুসলিমকে কতলের পর জানতে পারলো যে ইমাম মুসলিমের দু’ছেলে এই শহরে রয়েছে। ইবনে যিয়াদ সঙ্গে সঙ্গে ফরমান জারী করলো যে, যে মুসলিম ছেলেদ্বয়কে ঘরে স্থান দিবে ওকে কতল করা হবে। এ সময় ছেলেদ্বয় কাজী শরীহের ঘরে ছিল। কাজী সাহেব ছেলেদ্বয়কে সামনে ডাকলেন এবং অঝোরে কাঁদতে লাগলেন। ছেলেদ্বয় জিজ্ঞেস করলেন, জনাব আপনি কাঁদছেন কেন? আমরা কি এতিম হয়ে গেছি? কাজী সাহেব কান্না সংবরণ করে বল্লেন, আল্লাহ্ তোমাদের ধৈর্য দান করুক, বাস্তবিকই তোমরা এতিম হয়ে গেছ। এ খবর শুনে শিশুদ্বয় চিৎকার করে কেঁদে উঠলো। কাজী সাহেব ওদেরকে সান্তনা দিয়ে বললেন,বাবারা নিশ্চুপ থেকো,ইবনে যিয়াদের লোকেরা তোমাদের তালাশে আছে, আমি আমার ও তোমাদের নিরাপত্তার ভয় করছি। আমি তোমাদেরকে কারো সাথে মদিনা মনোয়ারা পাঠিয়ে দিতে মনস্থ করছি । ছেলেদ্বয় একথা শুনে ইবনে যিয়াদের ভয়েচুপ হয়ে গেল।<br /><br />কাজী সাহেবের তাঁর ছেলে আসাদকে ডেকে বললেন,আজ একটি কাফেলা ইরাকী গেইট দিয়ে মদীনা যাচ্ছে। তুমি ছেলেদ্বয়কে নিয়ে কাফেলার কোন একজন ভালো মানুষের হাতে দিয়ে এসো যেন ওদেরকে মদিনা পৌছে দেয়। আসাদ যখন ছেলেদ্বয়কে নিয়ে ইরাকী গেটে গেল, তখন কাফেলা ইরাকী গেইট অতিক্রম করে চলে গিয়েছিল। অবশ্য কাফেলার মশাল দেখা যাচ্ছিল। আসাদ ছেলেদ্বয়কে বললো, ঐ কাফেলা দেখা যাচ্ছে, তোমরা দৌঁড়ে গিয়ে ওদের সাথে মিলিত হও। অসহায় ছেলেদ্বয় কাফেলার দিকে দৌঁড় দিলেন কিন্তু কাফেলা অনেক দূরে চলে গিয়েছিল। ফলে ছেলেদ্বয় কাফেলার নাগাল পেল না, রাত্রির অন্ধকারে রাস্তা হারিয়ে ফেলেছিল। সারা রাত এদিক ওদিক ঘুরতে রইল। ভোর হয়ে আসলে একটি ঝর্ণা তাদের নজরে পড়ে। তারা ক্লান্ত হয়ে ঝর্ণার পাশে বসে পড়লো। ঘটনাক্রমে এক বাঁদী সেই ঝর্ণা থেকে পানি নিতে এসে তাদের দেখে ফেললো এবং যখন জানতে পারলো যে এরা ইমাম মুসলিমের অসহায় এয়াতীমের ছেলেদ্বয়, তখন সে ওদের প্রতি বড় সহানুভূতিশীল হলো এবং বললো আমার সাথে চলো। আমার গৃহকর্তী আহলে বায়াতের ভক্ত,তোমাদেরকে পেয়ে দারুন খুশী হবেন। কোন ভয় কর না, আমার সাথে চলো। অনিদ্রা ও অনাহারে কাতর ছেলেদ্বয় ওর সাথে গেল। যখন ঘরে পৌঁছলো এবং গৃহকর্তী জানতে পারলো যে এরা মুসলিমের এতিম সন্তান তখন দৌঁড়ে এসে ওদেরকে বুকে জড়িয়ে ধরে ওদের এই দুর্দশার জন্য কেঁদে দিল। অতঃপর ওদেরকে পানাহার করায়ে একটি কামরায় শোয়ায়ে দিল।<br /><br />খোদার কি লীলা! মহিলাটা ছিল খোদাভীরু ও আহলে বায়েতের প্রতি অনুরক্ত কিন্তু হারেছ নামে ওর স্বামীটা ছিল খোদাদ্রোহী ও আহলে বায়তের দুশমন। ইবনে যিয়াদ থেকে পুরস্কারের লালসায় সে সারা দিন ছেলে দুইটির সন্ধানে ছিল। কী অদ্ভুত ব্যাপার! যে ছেলেদ্বয় সন্ধানে সে সারা দিন ব্যস্ত ছিল সে ছেলেদ্বয় ওর ঘরে আরাম করছে। রাতে যখন এ জালিম ঘরে এলো ওর স্ত্রী তারাহুরা করে খাবার দিল, যাতে সাহসা শুয়ে পড়ে এবং ছেলেদ্বয়ের ব্যাপারে কোন কিছু টের না পায়। সারাদিনের ক্লান্তিতে বিছানায় শোয়া মাত্র সে ঘুমিঢে পড়লো।<br /><br />কিছু রাত পাড় হওয়ার পর বড় ভাই ছোট ভাইকে জাগিয়ে বললো,ভাই আমি এখন স্বপ্ন দেখলাম যে আমাদের আব্বাজান বেহেস্তে হুজুর নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে ঘুরা ফেরা করছেন এবং হুজুর নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওনাকে বলছেন, হে মুসলিম তুমি নিজে চলে এলে কিন্তু ছেলেদ্বয়কে জালিমের মধ্যে ছেড়ে আসলে? আব্বাজান আরজ কররেন ইয়া রাসূলাল্লাহ্! ওরাও আসতেছে সকাল হবার আগেই এসে পৌঁছাবে।<br /><br />ছোট ভাই বললো, ভাইজান আমিও একই স্বপ্ন দেখেছি। তখন উভয়ে আত্মহারা হয়ে কেঁদে উঠলো। ওদের কান্নায় হারেছের ঘুম ভেঙ্গে গেল। ওই জালিম জেগে স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলো,কান্নার আওয়াজ কোথা থেকে আসছে? ঘরে কী কেউ লুকিয়ে আছে? স্ত্রী হতভম্ব হয়ে গেল এবং ঘাবড়িয়ে গেল আল্লাহই জানে এখন সে কি করে? হারেছ উঠলো এবং বাতি জ্বালিয়ে ভিতরের কামরায় গেল এবং ইয়াতীম ছেলেদ্বয়কে ক্রন্দনরত অবস্হায় দেখে জিজ্ঞেস করলো,তোমরা কে? ছেলেদ্বয় পরিস্কার বলে দিল। আমরা ইমাম মুসলিমের সন্তান। হারেছতো আশ্চর্য ও আনন্দে আত্মহারা। কারণ যাদের সন্ধানে সে সারা দিন ব্যস্ত, তারা আরামে তার ঘরে শায়িত। এ জালিম আর দেরী করেনি, ওদেরকে টেনে ঘর থেকে বের কররলো। ওর স্ত্রী বেচারী ওর হাত পা ধরে আপ্রাণ চেষ্টা করলো ছেলেদ্বয়কে রক্ষা করতে কিন্তু জালিম কোন কথাথা শুনলো না। সে জালিম ওদেরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ফোরাদ নদীর দিকে নিয়ে গেল। ছেলেদ্বয় যখন বুঝতে পারলো যে এ জালিম ওদেরকে হত্যা করবে, তখন তারা বললো, আমরা প্রবাসী এয়াতীম, আমরা কি আপরাধ করেছি আমাদেরকে হত্যা করছছ? এ জালিম কোন কথা শুনলো না। একে একে উভয়কে শহীদ করে দিল। (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলািহে রাজেউন)<br /><br />---(তাজকিরা-৪৮পৃঃ)<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhay1yxusvDKFDAO_h97yyZGxwdV6RLT8jdVI6YW63sRI-9vuWK_9SkSuyItIUnc7tdq1iGE3_7RkYfd0SLe-2EolUkfQxdLZ9UaBIKYR-ejkz1G956wUWE0nYBzmKJl5vVB48QJ1QVtb0j/s1600/FB_IMG_1537466023412.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="720" data-original-width="1206" height="191" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhay1yxusvDKFDAO_h97yyZGxwdV6RLT8jdVI6YW63sRI-9vuWK_9SkSuyItIUnc7tdq1iGE3_7RkYfd0SLe-2EolUkfQxdLZ9UaBIKYR-ejkz1G956wUWE0nYBzmKJl5vVB48QJ1QVtb0j/s320-rw/FB_IMG_1537466023412.jpg" width="320" /></a></div><br /><br /></div><br />

ইমাম মুসলিমের ছেলেদের শাহাদাত

"কারবালার করুণ কাহিনী-৭" --মজলুমের ছেলেদ্বয়ের শাহাদাত-- হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহ আনহু) কূফা যাবার সময় তাঁর আদরের শিশু সন্তান ...

Read more »

ইমাম মুসলিমের ছেলেদের শাহাদাত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">"কারবালার করুণ কাহিনী-৭"<br /><br />--মজলুমের ছেলেদ্বয়ের শাহাদাত--<br /><br />হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহ আনহু) কূফা যাবার সময় তাঁর আদরের শিশু সন্তান হযরত ইব্রাহিম ও হযরত মুহাম্মদ (রাদি আল্লাহ আনহু) কেও সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন। ইবনে যিয়াদ ইমাম মুসলিমকে কতলের পর জানতে পারলো যে ইমাম মুসলিমের দু’ছেলে এই শহরে রয়েছে। ইবনে যিয়াদ সঙ্গে সঙ্গে ফরমান জারী করলো যে, যে মুসলিম ছেলেদ্বয়কে ঘরে স্থান দিবে ওকে কতল করা হবে। এ সময় ছেলেদ্বয় কাজী শরীহের ঘরে ছিল। কাজী সাহেব ছেলেদ্বয়কে সামনে ডাকলেন এবং অঝোরে কাঁদতে লাগলেন। ছেলেদ্বয় জিজ্ঞেস করলেন, জনাব আপনি কাঁদছেন কেন? আমরা কি এতিম হয়ে গেছি? কাজী সাহেব কান্না সংবরণ করে বল্লেন, আল্লাহ্ তোমাদের ধৈর্য দান করুক, বাস্তবিকই তোমরা এতিম হয়ে গেছ। এ খবর শুনে শিশুদ্বয় চিৎকার করে কেঁদে উঠলো। কাজী সাহেব ওদেরকে সান্তনা দিয়ে বললেন,বাবারা নিশ্চুপ থেকো,ইবনে যিয়াদের লোকেরা তোমাদের তালাশে আছে, আমি আমার ও তোমাদের নিরাপত্তার ভয় করছি। আমি তোমাদেরকে কারো সাথে মদিনা মনোয়ারা পাঠিয়ে দিতে মনস্থ করছি । ছেলেদ্বয় একথা শুনে ইবনে যিয়াদের ভয়েচুপ হয়ে গেল।<br />কাজী সাহেবের তাঁর ছেলে আসাদকে ডেকে বললেন,আজ একটি কাফেলা ইরাকী গেইট দিয়ে মদীনা যাচ্ছে। তুমি ছেলেদ্বয়কে নিয়ে কাফেলার কোন একজন ভালো মানুষের হাতে দিয়ে এসো যেন ওদেরকে মদিনা পৌছে দেয়। আসাদ যখন ছেলেদ্বয়কে নিয়ে ইরাকী গেটে গেল, তখন কাফেলা ইরাকী গেইট অতিক্রম করে চলে গিয়েছিল। অবশ্য কাফেলার মশাল দেখা যাচ্ছিল। আসাদ ছেলেদ্বয়কে বললো, ঐ কাফেলা দেখা যাচ্ছে, তোমরা দৌঁড়ে গিয়ে ওদের সাথে মিলিত হও। অসহায় ছেলেদ্বয় কাফেলার দিকে দৌঁড় দিলেন কিন্তু কাফেলা অনেক দূরে চলে গিয়েছিল। ফলে ছেলেদ্বয় কাফেলার নাগাল পেল না, রাত্রির অন্ধকারে রাস্তা হারিয়ে ফেলেছিল। সারা রাত এদিক ওদিক ঘুরতে রইল। ভোর হয়ে আসলে একটি ঝর্ণা তাদের নজরে পড়ে। তারা ক্লান্ত হয়ে ঝর্ণার পাশে বসে পড়লো। ঘটনাক্রমে এক বাঁদী সেই ঝর্ণা থেকে পানি নিতে এসে তাদের দেখে ফেললো এবং যখন জানতে পারলো যে এরা ইমাম মুসলিমের অসহায় এয়াতীমের ছেলেদ্বয়, তখন সে ওদের প্রতি বড় সহানুভূতিশীল হলো এবং বললো আমার সাথে চলো। আমার গৃহকর্তী আহলে বায়াতের ভক্ত,তোমাদেরকে পেয়ে দারুন খুশী হবেন। কোন ভয় কর না, আমার সাথে চলো। অনিদ্রা ও অনাহারে কাতর ছেলেদ্বয় ওর সাথে গেল। যখন ঘরে পৌঁছলো এবং গৃহকর্তী জানতে পারলো যে এরা মুসলিমের এতিম সন্তান তখন দৌঁড়ে এসে ওদেরকে বুকে জড়িয়ে ধরে ওদের এই দুর্দশার জন্য কেঁদে দিল। অতঃপর ওদেরকে পানাহার করায়ে একটি কামরায় শোয়ায়ে দিল।<br />খোদার কি লীলা! মহিলাটা ছিল খোদাভীরু ও আহলে বায়েতের প্রতি অনুরক্ত কিন্তু হারেছ নামে ওর স্বামীটা ছিল খোদাদ্রোহী ও আহলে বায়তের দুশমন। ইবনে যিয়াদ থেকে পুরস্কারের লালসায় সে সারা দিন ছেলে দুইটির সন্ধানে ছিল। কী অদ্ভুত ব্যাপার! যে ছেলেদ্বয় সন্ধানে সে সারা দিন ব্যস্ত ছিল সে ছেলেদ্বয় ওর ঘরে আরাম করছে। রাতে যখন এ জালিম ঘরে এলো ওর স্ত্রী তারাহুরা করে খাবার দিল, যাতে সাহসা শুয়ে পড়ে এবং ছেলেদ্বয়ের ব্যাপারে কোন কিছু টের না পায়। সারাদিনের ক্লান্তিতে বিছানায় শোয়া মাত্র সে ঘুমিঢে পড়লো।<br />কিছু রাত পাড় হওয়ার পর বড় ভাই ছোট ভাইকে জাগিয়ে বললো,ভাই আমি এখন স্বপ্ন দেখলাম যে আমাদের আব্বাজান বেহেস্তে হুজুর নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে ঘুরা ফেরা করছেন এবং হুজুর নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওনাকে বলছেন, হে মুসলিম তুমি নিজে চলে এলে কিন্তু ছেলেদ্বয়কে জালিমের মধ্যে ছেড়ে আসলে? আব্বাজান আরজ কররেন ইয়া রাসূলাল্লাহ্! ওরাও আসতেছে সকাল হবার আগেই এসে পৌঁছাবে।<br />ছোট ভাই বললো, ভাইজান আমিও একই স্বপ্ন দেখেছি। তখন উভয়ে আত্মহারা হয়ে কেঁদে উঠলো। ওদের কান্নায় হারেছের ঘুম ভেঙ্গে গেল। ওই জালিম জেগে স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলো,কান্নার আওয়াজ কোথা থেকে আসছে? ঘরে কী কেউ লুকিয়ে আছে? স্ত্রী হতভম্ব হয়ে গেল এবং ঘাবড়িয়ে গেল আল্লাহই জানে এখন সে কি করে? হারেছ উঠলো এবং বাতি জ্বালিয়ে ভিতরের কামরায় গেল এবং ইয়াতীম ছেলেদ্বয়কে ক্রন্দনরত অবস্হায় দেখে জিজ্ঞেস করলো,তোমরা কে? ছেলেদ্বয় পরিস্কার বলে দিল। আমরা ইমাম মুসলিমের সন্তান। হারেছতো আশ্চর্য ও আনন্দে আত্মহারা। কারণ যাদের সন্ধানে সে সারা দিন ব্যস্ত, তারা আরামে তার ঘরে শায়িত। এ জালিম আর দেরী করেনি, ওদেরকে টেনে ঘর থেকে বের কররলো। ওর স্ত্রী বেচারী ওর হাত পা ধরে আপ্রাণ চেষ্টা করলো ছেলেদ্বয়কে রক্ষা করতে কিন্তু জালিম কোন কথাথা শুনলো না। সে জালিম ওদেরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ফোরাদ নদীর দিকে নিয়ে গেল। ছেলেদ্বয় যখন বুঝতে পারলো যে এ জালিম ওদেরকে হত্যা করবে, তখন তারা বললো, আমরা প্রবাসী এয়াতীম, আমরা কি আপরাধ করেছি আমাদেরকে হত্যা করছছ? এ জালিম কোন কথা শুনলো না। একে একে উভয়কে শহীদ করে দিল। (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলািহে রাজেউন)<br />---(তাজকিরা-৪৮পৃঃ)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhay1yxusvDKFDAO_h97yyZGxwdV6RLT8jdVI6YW63sRI-9vuWK_9SkSuyItIUnc7tdq1iGE3_7RkYfd0SLe-2EolUkfQxdLZ9UaBIKYR-ejkz1G956wUWE0nYBzmKJl5vVB48QJ1QVtb0j/s1600/FB_IMG_1537466023412.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="720" data-original-width="1206" height="191" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhay1yxusvDKFDAO_h97yyZGxwdV6RLT8jdVI6YW63sRI-9vuWK_9SkSuyItIUnc7tdq1iGE3_7RkYfd0SLe-2EolUkfQxdLZ9UaBIKYR-ejkz1G956wUWE0nYBzmKJl5vVB48QJ1QVtb0j/s320-rw/FB_IMG_1537466023412.jpg" width="320" /></a></div><br /></div>

ইমাম মুসলিমের ছেলেদের শাহাদাত

"কারবালার করুণ কাহিনী-৭" --মজলুমের ছেলেদ্বয়ের শাহাদাত-- হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহ আনহু) কূফা যাবার সময় তাঁর আদরের শিশু সন্তান ...

Read more »

ইমাম মুসলিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদাত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">"কারবালার করুণ কাহিনী-৬"<br /><br />--ইমাম মুসলিম (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) এর শাহাদত--<br /><br />হযরত ইমাম মুসলিম (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) যখন কূফায় পৌঁছেন, তখন বেওফা কূফাবাসীরা তাঁর হাতে বায়াত করে। পরবর্তীতে তাঁরথেকে মুখ ফিরায়ে নেয়,তাঁর সঙ্গ ত্যাগ করে। তিনি একাকী হয়ে যান। সময়টা ছিল রাত্রি বেলা,ইবনে যিয়াত তাকে গ্রেফতার করার জন্য শহরের চারদিকে কড়া পহারার ব্যবস্তা করলো। হযরত ইমাম মুসলিম (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) ক্ষুধা-তৃষ্ণার্ত অবস্তায় একটি মসজিদে অনেক্ষন বসে থাকার পর রাত্রির অন্ধকারে বের হলেন। পথ ঘাট সম্পর্ককে তিনি মোটেই অবগত ছিলেন না। মনে মনে বলছিলেন্ আফসোস, হোসাইন থেকে আলাদা হয়ে শত্রূ মধ্যে এসে পড়লাম। মনের কথা শোনার মত কোন দরদী ব্যক্তি নেই। এমন কোন বার্তাবাহকও নেই যিনি আমার দুর্দশার খবর ইমাম হোসাইনকে পৌঁছাবে।<br />এভাবে হয়রান পেরেসান হয়ে মহল্লার অলিগলিতে ঘুরছিলেন। ওখানে ‘তুয়া’ নামে এক বৃদ্ধাকে দেখে ওর কাছে পানি চাইলে,বৃদ্ধা পানি পান করালো এবং পরিচয় পাওয়ার পর ওনাকে ঘরে আশ্রয় দিলেন। এ বৃদ্ধার ছেলে ইবনে যিয়াদের দালাল ছিল। সে এ খবর এখবর ইবনে যিয়াদের কানে পৌঁছালে ইবনে যিয়াদ সঙ্গে সঙ্গে সৈন্য পাঠিয়ে দিল। সৈন্যরা এ বৃদ্ধার ঘর চারদিক থেকে ঘিরে ফেললো এবং ইমাম মুসলিমকে গ্রেপ্তার করার প্রস্তুতি নিল। ইমাম মুসলিম যখন টের পেলেন তখন তিনি খোলা তরবারি নিয়ে ইবনে যিয়াদের সৈন্যদের উপর আক্রমান করলেন। ছাগল পালের মধ্যে বাঘের আক্রমনের মত তিনি ঝাঁপিয়ে পড়লেন,সৈন্যরা হুঁশ জ্ঞান হারিয়ে এদিক সেদিক পালিয়ে গেল,অনেকেই মারা গেল এবং অনেকে আহত হলো। এ কাপুরুষরা সম্মুখে আক্রমনে দাঁড়াতে না পেরে দূর থেকে দেয়ালে উঠে পাথর নিক্ষেপ করতে লাগলো। সেই সময় তিনি মক্কার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলেন-<br />“হে হোসাইন,আপনার ভাই আঘাতে আঘাতে জর্জরিত এবং কূফাবসী কি ধরনের আচরন শুরু করেছে এ খবরতো আপনি এখনো পাননি। আফসোস, এ মর্মাতিক খবর আপনাকে কে পৌঁছাবে এবং আপনাকে এখানে আসা থেকে কে বাঁধা দেবে।”<br />এ ফাঁকে আরেকটি পাথর এসে তাঁর ঠোঁট ও দাঁতের উপর পড়লো।এতে ওনার মুখ থেকে রক্ত বের হতে লগলো। দাড়ি মুবারক রক্তে লাল হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত তিনি দুর্বল হয়ে একটি দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে গেলেন।এ সুযোগে এক কাপুরুষ ঘরের ভিতর দিয়ে এসে ওনার মাথায় তলোয়ার দিয়ে আঘাত করলো।এতে ওনার উপরের ঠোঁট কেটে গেল। এ অবস্তায় তিনি ওকে এক আঘাতে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিলেন।তিনি সেখানে বসে রইল এবং আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করতে লাগলেন, হে আল্লাহ্ আমি বড় তৃষ্ণার্থ। তাঁর এ ফরিয়াদ শুনে সেই বিদ্ধা ঘর থেকে এক গ্লাস পানি এনে দিল। তিনি গ্লাসে মুখ দিলে পানি রক্ত মিশ্রিত হয়ে লাল হয়েগেল। তিনি সেই পানি ফেলে দিলে বুড়ি পুনরায় আরেক গ্লাস এনে দেয়। সেটাও রক্ত মিশ্রিত হয়ে গেল। তৃতীয় বার এনে দিলে সেটাতে মুখ দিতেই তাঁর দাঁত ঝড়ে পড়লো। শেষ পর্যন্ত ‘আল্লাহর ইচ্ছা নেই’-এ বলে পানির গ্লাস হাত থেকে রেখে দিলেন। এরই মধ্যে পিছন থেকে কোন একজন তীর নিক্ষেপ করলো,সেটা তার পিঠে বিদ্ধ হলো। এতে তিনি কাবু হয়ে গেলেন। জালিমেরা এ সুযোগে দৌঁড়ে এসে তাঁকে ধরে ফেললো এবং ইবনে যিয়াদের কাছে নিয়ে গেল। নরাধম ইবনে যিয়াদ নির্দেশ দিল যে তাঁকে ছাদে নিয়ে যেন হত্যা করা হয়। ইবনে কবির নামে এক জালিম তার হাত ধরে ছাদে নিয়ে গেল।যাবার পথে তিনি দরূদ শরীফ পাঠ করছিলেন এবং বলছিলেন “আল্লাহুম্মাহ্-কূম বাইনানা ওয়া-বাইনা ক্বাউনা বিল হাক্কি”<br />ছাদে দিয়ে দেখলেন যে নীচে কূফাবাসীর সমবেত হয়ে এ দৃশ্য দেখতেছে। তিনি ওদেরকে লক্ষ্য করে বললেন,হে কূফাবাসী ,যখন আমার মস্তক শরীর থেকে আলাদা করে ফেলবে, তখন আমার দেহটা দাফন করিও এবং আমার শরীরের রক্তার্ত কাপড়টা খুলে মক্কাগামী কোন কাফেলাকে দিও যেন ইমাম হোসাইনকে পৌঁছায় এবং আমার ছেলেদ্বয়ের প্রতি একটু দয়া করিও। তারপর মক্কার দিকে তাকিয়ে বললেন “আস্সালামু-আলাইকা-ইয়াবনি রসুলআল্লাহ্” ভাই, আপনাকেতো আমার এখবর পৌঁছাতে পারলাম না। আপনি এদিকে আসার সিদ্ধান্ত কক্ষনো নিবেন না। ইত্যবসরে জাল্লাদ দেহ থেকে ওনার মাথা আলাদা করে ফেললো। (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)<br />সবক:- আল্লাহ্ ওয়ালাগণ শত জুলুম অত্যাচার পরও স্বীয় বিশ্বাসে অটল থাকেন। কোন কিছু তাদেরকে টলাতে পারে না। কাপুরুষরা কখনো স্বীয় সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারে না। কুফার সে কাপুরুষেরা প্রথমে আহলে বায়তের মহব্বতে গদ গদ করে উঠে। পরে ইবনে যিয়াদের হুমকিতে আহলে বায়তের জানের দুশমন হয়ে যায়।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjoBgy8DN8d08SM5JBMPxU7cg0ZKvZueFbFdtfBqsU8qiwZHo_rHp6ssP6e2h-Kfk9aLEDdhkL_ZCsk9L2Ix-WXh2Q6tLZArDXLGpfhXHNFyqfGqxl9RHTbIm1jUsTCv1K1X1IrmQqQgnz4/s1600/FB_IMG_1537465950697.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="640" data-original-width="1141" height="179" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjoBgy8DN8d08SM5JBMPxU7cg0ZKvZueFbFdtfBqsU8qiwZHo_rHp6ssP6e2h-Kfk9aLEDdhkL_ZCsk9L2Ix-WXh2Q6tLZArDXLGpfhXHNFyqfGqxl9RHTbIm1jUsTCv1K1X1IrmQqQgnz4/s320-rw/FB_IMG_1537465950697.jpg" width="320" /></a></div><br /></div>

ইমাম মুসলিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদাত

"কারবালার করুণ কাহিনী-৬" --ইমাম মুসলিম (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) এর শাহাদত-- হযরত ইমাম মুসলিম (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) যখন কূফায় পৌঁছেন, ...

Read more »

ইমাম মুসলিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদাত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> "কারবালার করুণ কাহিনী-৬"<br /> <br /> --ইমাম মুসলিম (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) এর শাহাদত--<br /> <br /> হযরত ইমাম মুসলিম (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) যখন কূফায় পৌঁছেন, তখন বেওফা কূফাবাসীরা তাঁর হাতে বায়াত করে। পরবর্তীতে তাঁরথেকে মুখ ফিরায়ে নেয়,তাঁর সঙ্গ ত্যাগ করে। তিনি একাকী হয়ে যান। সময়টা ছিল রাত্রি বেলা,ইবনে যিয়াত তাকে গ্রেফতার করার জন্য শহরের চারদিকে কড়া পহারার ব্যবস্তা করলো। হযরত ইমাম মুসলিম (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) ক্ষুধা-তৃষ্ণার্ত অবস্তায় একটি মসজিদে অনেক্ষন বসে থাকার পর রাত্রির অন্ধকারে বের হলেন। পথ ঘাট সম্পর্ককে তিনি মোটেই অবগত ছিলেন না। মনে মনে বলছিলেন্ আফসোস, হোসাইন থেকে আলাদা হয়ে শত্রূ মধ্যে এসে পড়লাম। মনের কথা শোনার মত কোন দরদী ব্যক্তি নেই। এমন কোন বার্তাবাহকও নেই যিনি আমার দুর্দশার খবর ইমাম হোসাইনকে পৌঁছাবে।<br /> এভাবে হয়রান পেরেসান হয়ে মহল্লার অলিগলিতে ঘুরছিলেন। ওখানে ‘তুয়া’ নামে এক বৃদ্ধাকে দেখে ওর কাছে পানি চাইলে,বৃদ্ধা পানি পান করালো এবং পরিচয় পাওয়ার পর ওনাকে ঘরে আশ্রয় দিলেন। এ বৃদ্ধার ছেলে ইবনে যিয়াদের দালাল ছিল। সে এ খবর এখবর ইবনে যিয়াদের কানে পৌঁছালে ইবনে যিয়াদ সঙ্গে সঙ্গে সৈন্য পাঠিয়ে দিল। সৈন্যরা এ বৃদ্ধার ঘর চারদিক থেকে ঘিরে ফেললো এবং ইমাম মুসলিমকে গ্রেপ্তার করার প্রস্তুতি নিল। ইমাম মুসলিম যখন টের পেলেন তখন তিনি খোলা তরবারি নিয়ে ইবনে যিয়াদের সৈন্যদের উপর আক্রমান করলেন। ছাগল পালের মধ্যে বাঘের আক্রমনের মত তিনি ঝাঁপিয়ে পড়লেন,সৈন্যরা হুঁশ জ্ঞান হারিয়ে এদিক সেদিক পালিয়ে গেল,অনেকেই মারা গেল এবং অনেকে আহত হলো। এ কাপুরুষরা সম্মুখে আক্রমনে দাঁড়াতে না পেরে দূর থেকে দেয়ালে উঠে পাথর নিক্ষেপ করতে লাগলো। সেই সময় তিনি মক্কার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলেন-<br /> “হে হোসাইন,আপনার ভাই আঘাতে আঘাতে জর্জরিত এবং কূফাবসী কি ধরনের আচরন শুরু করেছে এ খবরতো আপনি এখনো পাননি। আফসোস, এ মর্মাতিক খবর আপনাকে কে পৌঁছাবে এবং আপনাকে এখানে আসা থেকে কে বাঁধা দেবে।”<br /> এ ফাঁকে আরেকটি পাথর এসে তাঁর ঠোঁট ও দাঁতের উপর পড়লো।এতে ওনার মুখ থেকে রক্ত বের হতে লগলো। দাড়ি মুবারক রক্তে লাল হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত তিনি দুর্বল হয়ে একটি দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে গেলেন।এ সুযোগে এক কাপুরুষ ঘরের ভিতর দিয়ে এসে ওনার মাথায় তলোয়ার দিয়ে আঘাত করলো।এতে ওনার উপরের ঠোঁট কেটে গেল। এ অবস্তায় তিনি ওকে এক আঘাতে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিলেন।তিনি সেখানে বসে রইল এবং আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করতে লাগলেন, হে আল্লাহ্ আমি বড় তৃষ্ণার্থ। তাঁর এ ফরিয়াদ শুনে সেই বিদ্ধা ঘর থেকে এক গ্লাস পানি এনে দিল। তিনি গ্লাসে মুখ দিলে পানি রক্ত মিশ্রিত হয়ে লাল হয়েগেল। তিনি সেই পানি ফেলে দিলে বুড়ি পুনরায় আরেক গ্লাস এনে দেয়। সেটাও রক্ত মিশ্রিত হয়ে গেল। তৃতীয় বার এনে দিলে সেটাতে মুখ দিতেই তাঁর দাঁত ঝড়ে পড়লো। শেষ পর্যন্ত ‘আল্লাহর ইচ্ছা নেই’-এ বলে পানির গ্লাস হাত থেকে রেখে দিলেন। এরই মধ্যে পিছন থেকে কোন একজন তীর নিক্ষেপ করলো,সেটা তার পিঠে বিদ্ধ হলো। এতে তিনি কাবু হয়ে গেলেন। জালিমেরা এ সুযোগে দৌঁড়ে এসে তাঁকে ধরে ফেললো এবং ইবনে যিয়াদের কাছে নিয়ে গেল। নরাধম ইবনে যিয়াদ নির্দেশ দিল যে তাঁকে ছাদে নিয়ে যেন হত্যা করা হয়। ইবনে কবির নামে এক জালিম তার হাত ধরে ছাদে নিয়ে গেল।যাবার পথে তিনি দরূদ শরীফ পাঠ করছিলেন এবং বলছিলেন “আল্লাহুম্মাহ্-কূম বাইনানা ওয়া-বাইনা ক্বাউনা বিল হাক্কি”<br /> ছাদে দিয়ে দেখলেন যে নীচে কূফাবাসীর সমবেত হয়ে এ দৃশ্য দেখতেছে। তিনি ওদেরকে লক্ষ্য করে বললেন,হে কূফাবাসী ,যখন আমার মস্তক শরীর থেকে আলাদা করে ফেলবে, তখন আমার দেহটা দাফন করিও এবং আমার শরীরের রক্তার্ত কাপড়টা খুলে মক্কাগামী কোন কাফেলাকে দিও যেন ইমাম হোসাইনকে পৌঁছায় এবং আমার ছেলেদ্বয়ের প্রতি একটু দয়া করিও। তারপর মক্কার দিকে তাকিয়ে বললেন “আস্সালামু-আলাইকা-ইয়াবনি রসুলআল্লাহ্” ভাই, আপনাকেতো আমার এখবর পৌঁছাতে পারলাম না। আপনি এদিকে আসার সিদ্ধান্ত কক্ষনো নিবেন না। ইত্যবসরে জাল্লাদ দেহ থেকে ওনার মাথা আলাদা করে ফেললো। (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)<br /> সবক:- আল্লাহ্ ওয়ালাগণ শত জুলুম অত্যাচার পরও স্বীয় বিশ্বাসে অটল থাকেন। কোন কিছু তাদেরকে টলাতে পারে না। কাপুরুষরা কখনো স্বীয় সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারে না। কুফার সে কাপুরুষেরা প্রথমে আহলে বায়তের মহব্বতে গদ গদ করে উঠে। পরে ইবনে যিয়াদের হুমকিতে আহলে বায়তের জানের দুশমন হয়ে যায়।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEisuVdRn4NceIZ_UrDGmfgcHu3Vu0tu-BPwfRtpjErEc-F37CtdCwISMi5x9qqrpyPrLO1C2AlxuvqTeLWTtOPz4-RXzbq03Iv2H96cSSJyzI3cgUB6xbqN5M74lLTMosbStL6lxSpvn35Z/s1600/FB_IMG_1537465950697.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="640" data-original-width="1141" height="179" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEisuVdRn4NceIZ_UrDGmfgcHu3Vu0tu-BPwfRtpjErEc-F37CtdCwISMi5x9qqrpyPrLO1C2AlxuvqTeLWTtOPz4-RXzbq03Iv2H96cSSJyzI3cgUB6xbqN5M74lLTMosbStL6lxSpvn35Z/s320-rw/FB_IMG_1537465950697.jpg" width="320" /></a></div> <br /></div>

ইমাম মুসলিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদাত

"কারবালার করুণ কাহিনী-৬" --ইমাম মুসলিম (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) এর শাহাদত-- হযরত ইমাম মুসলিম (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) যখন কূফায় পৌঁ...

Read more »

ইমাম মুসলিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদাত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />"কারবালার করুণ কাহিনী-৬"<br /><br /><br /><br />--ইমাম মুসলিম (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) এর শাহাদত--<br /><br /><br /><br />হযরত ইমাম মুসলিম (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) যখন কূফায় পৌঁছেন, তখন বেওফা কূফাবাসীরা তাঁর হাতে বায়াত করে। পরবর্তীতে তাঁরথেকে মুখ ফিরায়ে নেয়,তাঁর সঙ্গ ত্যাগ করে। তিনি একাকী হয়ে যান। সময়টা ছিল রাত্রি বেলা,ইবনে যিয়াত তাকে গ্রেফতার করার জন্য শহরের চারদিকে কড়া পহারার ব্যবস্তা করলো। হযরত ইমাম মুসলিম (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) ক্ষুধা-তৃষ্ণার্ত অবস্তায় একটি মসজিদে অনেক্ষন বসে থাকার পর রাত্রির অন্ধকারে বের হলেন। পথ ঘাট সম্পর্ককে তিনি মোটেই অবগত ছিলেন না। মনে মনে বলছিলেন্ আফসোস, হোসাইন থেকে আলাদা হয়ে শত্রূ মধ্যে এসে পড়লাম। মনের কথা শোনার মত কোন দরদী ব্যক্তি নেই। এমন কোন বার্তাবাহকও নেই যিনি আমার দুর্দশার খবর ইমাম হোসাইনকে পৌঁছাবে।<br /><br />এভাবে হয়রান পেরেসান হয়ে মহল্লার অলিগলিতে ঘুরছিলেন। ওখানে ‘তুয়া’ নামে এক বৃদ্ধাকে দেখে ওর কাছে পানি চাইলে,বৃদ্ধা পানি পান করালো এবং পরিচয় পাওয়ার পর ওনাকে ঘরে আশ্রয় দিলেন। এ বৃদ্ধার ছেলে ইবনে যিয়াদের দালাল ছিল। সে এ খবর এখবর ইবনে যিয়াদের কানে পৌঁছালে ইবনে যিয়াদ সঙ্গে সঙ্গে সৈন্য পাঠিয়ে দিল। সৈন্যরা এ বৃদ্ধার ঘর চারদিক থেকে ঘিরে ফেললো এবং ইমাম মুসলিমকে গ্রেপ্তার করার প্রস্তুতি নিল। ইমাম মুসলিম যখন টের পেলেন তখন তিনি খোলা তরবারি নিয়ে ইবনে যিয়াদের সৈন্যদের উপর আক্রমান করলেন। ছাগল পালের মধ্যে বাঘের আক্রমনের মত তিনি ঝাঁপিয়ে পড়লেন,সৈন্যরা হুঁশ জ্ঞান হারিয়ে এদিক সেদিক পালিয়ে গেল,অনেকেই মারা গেল এবং অনেকে আহত হলো। এ কাপুরুষরা সম্মুখে আক্রমনে দাঁড়াতে না পেরে দূর থেকে দেয়ালে উঠে পাথর নিক্ষেপ করতে লাগলো। সেই সময় তিনি মক্কার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলেন-<br /><br />“হে হোসাইন,আপনার ভাই আঘাতে আঘাতে জর্জরিত এবং কূফাবসী কি ধরনের আচরন শুরু করেছে এ খবরতো আপনি এখনো পাননি। আফসোস, এ মর্মাতিক খবর আপনাকে কে পৌঁছাবে এবং আপনাকে এখানে আসা থেকে কে বাঁধা দেবে।”<br /><br />এ ফাঁকে আরেকটি পাথর এসে তাঁর ঠোঁট ও দাঁতের উপর পড়লো।এতে ওনার মুখ থেকে রক্ত বের হতে লগলো। দাড়ি মুবারক রক্তে লাল হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত তিনি দুর্বল হয়ে একটি দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে গেলেন।এ সুযোগে এক কাপুরুষ ঘরের ভিতর দিয়ে এসে ওনার মাথায় তলোয়ার দিয়ে আঘাত করলো।এতে ওনার উপরের ঠোঁট কেটে গেল। এ অবস্তায় তিনি ওকে এক আঘাতে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিলেন।তিনি সেখানে বসে রইল এবং আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করতে লাগলেন, হে আল্লাহ্ আমি বড় তৃষ্ণার্থ। তাঁর এ ফরিয়াদ শুনে সেই বিদ্ধা ঘর থেকে এক গ্লাস পানি এনে দিল। তিনি গ্লাসে মুখ দিলে পানি রক্ত মিশ্রিত হয়ে লাল হয়েগেল। তিনি সেই পানি ফেলে দিলে বুড়ি পুনরায় আরেক গ্লাস এনে দেয়। সেটাও রক্ত মিশ্রিত হয়ে গেল। তৃতীয় বার এনে দিলে সেটাতে মুখ দিতেই তাঁর দাঁত ঝড়ে পড়লো। শেষ পর্যন্ত ‘আল্লাহর ইচ্ছা নেই’-এ বলে পানির গ্লাস হাত থেকে রেখে দিলেন। এরই মধ্যে পিছন থেকে কোন একজন তীর নিক্ষেপ করলো,সেটা তার পিঠে বিদ্ধ হলো। এতে তিনি কাবু হয়ে গেলেন। জালিমেরা এ সুযোগে দৌঁড়ে এসে তাঁকে ধরে ফেললো এবং ইবনে যিয়াদের কাছে নিয়ে গেল। নরাধম ইবনে যিয়াদ নির্দেশ দিল যে তাঁকে ছাদে নিয়ে যেন হত্যা করা হয়। ইবনে কবির নামে এক জালিম তার হাত ধরে ছাদে নিয়ে গেল।যাবার পথে তিনি দরূদ শরীফ পাঠ করছিলেন এবং বলছিলেন “আল্লাহুম্মাহ্-কূম বাইনানা ওয়া-বাইনা ক্বাউনা বিল হাক্কি”<br /><br />ছাদে দিয়ে দেখলেন যে নীচে কূফাবাসীর সমবেত হয়ে এ দৃশ্য দেখতেছে। তিনি ওদেরকে লক্ষ্য করে বললেন,হে কূফাবাসী ,যখন আমার মস্তক শরীর থেকে আলাদা করে ফেলবে, তখন আমার দেহটা দাফন করিও এবং আমার শরীরের রক্তার্ত কাপড়টা খুলে মক্কাগামী কোন কাফেলাকে দিও যেন ইমাম হোসাইনকে পৌঁছায় এবং আমার ছেলেদ্বয়ের প্রতি একটু দয়া করিও। তারপর মক্কার দিকে তাকিয়ে বললেন “আস্সালামু-আলাইকা-ইয়াবনি রসুলআল্লাহ্” ভাই, আপনাকেতো আমার এখবর পৌঁছাতে পারলাম না। আপনি এদিকে আসার সিদ্ধান্ত কক্ষনো নিবেন না। ইত্যবসরে জাল্লাদ দেহ থেকে ওনার মাথা আলাদা করে ফেললো। (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)<br /><br />সবক:- আল্লাহ্ ওয়ালাগণ শত জুলুম অত্যাচার পরও স্বীয় বিশ্বাসে অটল থাকেন। কোন কিছু তাদেরকে টলাতে পারে না। কাপুরুষরা কখনো স্বীয় সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারে না। কুফার সে কাপুরুষেরা প্রথমে আহলে বায়তের মহব্বতে গদ গদ করে উঠে। পরে ইবনে যিয়াদের হুমকিতে আহলে বায়তের জানের দুশমন হয়ে যায়।<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjThCs20RDn7NxWZEy6Nd2k7SGp26bU-SmMKIgu3jjrhP1gHs-MkXkPWh6Ff1PYV3ye5AwLJA3ElESNY3K78U-cGVjuo9NXkG_q0sFth8S4H6TcjCsyTXwlQDZUG-gPWZ5pePx4dOShXRcU/s1600/FB_IMG_1537465950697.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="640" data-original-width="1141" height="179" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjThCs20RDn7NxWZEy6Nd2k7SGp26bU-SmMKIgu3jjrhP1gHs-MkXkPWh6Ff1PYV3ye5AwLJA3ElESNY3K78U-cGVjuo9NXkG_q0sFth8S4H6TcjCsyTXwlQDZUG-gPWZ5pePx4dOShXRcU/s320-rw/FB_IMG_1537465950697.jpg" width="320" /></a></div><br /><br /></div><br />

ইমাম মুসলিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদাত

"কারবালার করুণ কাহিনী-৬" --ইমাম মুসলিম (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) এর শাহাদত-- হযরত ইমাম মুসলিম (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) যখন কূফায় পৌঁছেন, ...

Read more »

ইমাম মুসলিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদাত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">"কারবালার করুণ কাহিনী-৬"<br /><br />--ইমাম মুসলিম (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) এর শাহাদত--<br /><br />হযরত ইমাম মুসলিম (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) যখন কূফায় পৌঁছেন, তখন বেওফা কূফাবাসীরা তাঁর হাতে বায়াত করে। পরবর্তীতে তাঁরথেকে মুখ ফিরায়ে নেয়,তাঁর সঙ্গ ত্যাগ করে। তিনি একাকী হয়ে যান। সময়টা ছিল রাত্রি বেলা,ইবনে যিয়াত তাকে গ্রেফতার করার জন্য শহরের চারদিকে কড়া পহারার ব্যবস্তা করলো। হযরত ইমাম মুসলিম (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) ক্ষুধা-তৃষ্ণার্ত অবস্তায় একটি মসজিদে অনেক্ষন বসে থাকার পর রাত্রির অন্ধকারে বের হলেন। পথ ঘাট সম্পর্ককে তিনি মোটেই অবগত ছিলেন না। মনে মনে বলছিলেন্ আফসোস, হোসাইন থেকে আলাদা হয়ে শত্রূ মধ্যে এসে পড়লাম। মনের কথা শোনার মত কোন দরদী ব্যক্তি নেই। এমন কোন বার্তাবাহকও নেই যিনি আমার দুর্দশার খবর ইমাম হোসাইনকে পৌঁছাবে।<br />এভাবে হয়রান পেরেসান হয়ে মহল্লার অলিগলিতে ঘুরছিলেন। ওখানে ‘তুয়া’ নামে এক বৃদ্ধাকে দেখে ওর কাছে পানি চাইলে,বৃদ্ধা পানি পান করালো এবং পরিচয় পাওয়ার পর ওনাকে ঘরে আশ্রয় দিলেন। এ বৃদ্ধার ছেলে ইবনে যিয়াদের দালাল ছিল। সে এ খবর এখবর ইবনে যিয়াদের কানে পৌঁছালে ইবনে যিয়াদ সঙ্গে সঙ্গে সৈন্য পাঠিয়ে দিল। সৈন্যরা এ বৃদ্ধার ঘর চারদিক থেকে ঘিরে ফেললো এবং ইমাম মুসলিমকে গ্রেপ্তার করার প্রস্তুতি নিল। ইমাম মুসলিম যখন টের পেলেন তখন তিনি খোলা তরবারি নিয়ে ইবনে যিয়াদের সৈন্যদের উপর আক্রমান করলেন। ছাগল পালের মধ্যে বাঘের আক্রমনের মত তিনি ঝাঁপিয়ে পড়লেন,সৈন্যরা হুঁশ জ্ঞান হারিয়ে এদিক সেদিক পালিয়ে গেল,অনেকেই মারা গেল এবং অনেকে আহত হলো। এ কাপুরুষরা সম্মুখে আক্রমনে দাঁড়াতে না পেরে দূর থেকে দেয়ালে উঠে পাথর নিক্ষেপ করতে লাগলো। সেই সময় তিনি মক্কার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলেন-<br />“হে হোসাইন,আপনার ভাই আঘাতে আঘাতে জর্জরিত এবং কূফাবসী কি ধরনের আচরন শুরু করেছে এ খবরতো আপনি এখনো পাননি। আফসোস, এ মর্মাতিক খবর আপনাকে কে পৌঁছাবে এবং আপনাকে এখানে আসা থেকে কে বাঁধা দেবে।”<br />এ ফাঁকে আরেকটি পাথর এসে তাঁর ঠোঁট ও দাঁতের উপর পড়লো।এতে ওনার মুখ থেকে রক্ত বের হতে লগলো। দাড়ি মুবারক রক্তে লাল হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত তিনি দুর্বল হয়ে একটি দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে গেলেন।এ সুযোগে এক কাপুরুষ ঘরের ভিতর দিয়ে এসে ওনার মাথায় তলোয়ার দিয়ে আঘাত করলো।এতে ওনার উপরের ঠোঁট কেটে গেল। এ অবস্তায় তিনি ওকে এক আঘাতে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিলেন।তিনি সেখানে বসে রইল এবং আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করতে লাগলেন, হে আল্লাহ্ আমি বড় তৃষ্ণার্থ। তাঁর এ ফরিয়াদ শুনে সেই বিদ্ধা ঘর থেকে এক গ্লাস পানি এনে দিল। তিনি গ্লাসে মুখ দিলে পানি রক্ত মিশ্রিত হয়ে লাল হয়েগেল। তিনি সেই পানি ফেলে দিলে বুড়ি পুনরায় আরেক গ্লাস এনে দেয়। সেটাও রক্ত মিশ্রিত হয়ে গেল। তৃতীয় বার এনে দিলে সেটাতে মুখ দিতেই তাঁর দাঁত ঝড়ে পড়লো। শেষ পর্যন্ত ‘আল্লাহর ইচ্ছা নেই’-এ বলে পানির গ্লাস হাত থেকে রেখে দিলেন। এরই মধ্যে পিছন থেকে কোন একজন তীর নিক্ষেপ করলো,সেটা তার পিঠে বিদ্ধ হলো। এতে তিনি কাবু হয়ে গেলেন। জালিমেরা এ সুযোগে দৌঁড়ে এসে তাঁকে ধরে ফেললো এবং ইবনে যিয়াদের কাছে নিয়ে গেল। নরাধম ইবনে যিয়াদ নির্দেশ দিল যে তাঁকে ছাদে নিয়ে যেন হত্যা করা হয়। ইবনে কবির নামে এক জালিম তার হাত ধরে ছাদে নিয়ে গেল।যাবার পথে তিনি দরূদ শরীফ পাঠ করছিলেন এবং বলছিলেন “আল্লাহুম্মাহ্-কূম বাইনানা ওয়া-বাইনা ক্বাউনা বিল হাক্কি”<br />ছাদে দিয়ে দেখলেন যে নীচে কূফাবাসীর সমবেত হয়ে এ দৃশ্য দেখতেছে। তিনি ওদেরকে লক্ষ্য করে বললেন,হে কূফাবাসী ,যখন আমার মস্তক শরীর থেকে আলাদা করে ফেলবে, তখন আমার দেহটা দাফন করিও এবং আমার শরীরের রক্তার্ত কাপড়টা খুলে মক্কাগামী কোন কাফেলাকে দিও যেন ইমাম হোসাইনকে পৌঁছায় এবং আমার ছেলেদ্বয়ের প্রতি একটু দয়া করিও। তারপর মক্কার দিকে তাকিয়ে বললেন “আস্সালামু-আলাইকা-ইয়াবনি রসুলআল্লাহ্” ভাই, আপনাকেতো আমার এখবর পৌঁছাতে পারলাম না। আপনি এদিকে আসার সিদ্ধান্ত কক্ষনো নিবেন না। ইত্যবসরে জাল্লাদ দেহ থেকে ওনার মাথা আলাদা করে ফেললো। (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)<br />সবক:- আল্লাহ্ ওয়ালাগণ শত জুলুম অত্যাচার পরও স্বীয় বিশ্বাসে অটল থাকেন। কোন কিছু তাদেরকে টলাতে পারে না। কাপুরুষরা কখনো স্বীয় সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারে না। কুফার সে কাপুরুষেরা প্রথমে আহলে বায়তের মহব্বতে গদ গদ করে উঠে। পরে ইবনে যিয়াদের হুমকিতে আহলে বায়তের জানের দুশমন হয়ে যায়।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjThCs20RDn7NxWZEy6Nd2k7SGp26bU-SmMKIgu3jjrhP1gHs-MkXkPWh6Ff1PYV3ye5AwLJA3ElESNY3K78U-cGVjuo9NXkG_q0sFth8S4H6TcjCsyTXwlQDZUG-gPWZ5pePx4dOShXRcU/s1600/FB_IMG_1537465950697.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="640" data-original-width="1141" height="179" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjThCs20RDn7NxWZEy6Nd2k7SGp26bU-SmMKIgu3jjrhP1gHs-MkXkPWh6Ff1PYV3ye5AwLJA3ElESNY3K78U-cGVjuo9NXkG_q0sFth8S4H6TcjCsyTXwlQDZUG-gPWZ5pePx4dOShXRcU/s320-rw/FB_IMG_1537465950697.jpg" width="320" /></a></div><br /></div>

ইমাম মুসলিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর শাহাদাত

"কারবালার করুণ কাহিনী-৬" --ইমাম মুসলিম (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) এর শাহাদত-- হযরত ইমাম মুসলিম (রাদ্বি আল্লাহু আনহু) যখন কূফায় পৌঁছেন, ...

Read more »

জল্লাদ ইবনে যিয়াদ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">"কারবালার করুণ কাহিনী-৫"<br /><br />----জাল্লাদ ইবনে যিয়াদ---<br /><br />হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহু আনহু) যখন কূফায় পৌঁছলেন, তখন সাথে সাথে বার হাজারের অধিক কূফাবাসী তাঁর হাতে হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহু আনহু) এর নামে বায়াত গ্রহন করে। এ অবস্থা দেখে তিনি হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) কে সাহসা চলে আসার জন্য চিঠি লিখেন। এ দিকে ইয়াযিদ যখন এ অবস্থার কথা জানতে পারলো, তখন বসরার গভর্ণর ওবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদের কাছে ফরমান পাঠালো যেন কালবিলম্ব না করে কূফায় এসে লোকদেরকে হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর বায়াত গ্রহণ থেকে বাঁধা দেয় এবং যারা ইতোমধ্যে বায়াত গ্রহন করেছে, তাদেরকে ধমকি ও হুমকির মাধ্যমে ফিরায়ে আনে। ইবনে যিয়াদ বড় ধোঁকাবাজ ওখুনী ছিল। এ জালিম কূফায় এসে নানা ভয় ভতীরি মাধ্যমে কূফাবাসীকে ইয়াজিদের বিরোধীতা থেকে বিরত থাকতে বললো এবং নানালোভ দেখায়ে ওদেরকে হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) সহয়তা করা থেকে বাধা দিল। এতে সে সফল হলো এবং সকলের মনে প্রভাব ও ভীতি সৃষ্টি করতে সক্ষম হলো।<br /><br />হযরত ইমাম মুসলিম এ অবস্তা দেখে রাত্রে রাতে হানী বিন আরওয়ার ঘরে গেলেন এবং বললেন,হানী, আমি গরিব মুসাফির। তুমিতো কূফাবাসী সম্পর্কে ভালমতে অবহিত। আমি তোমার আশ্রয়ে তোমার ঘরে থাকতে চাই। হানী ওনাকে সানন্দে গ্রহন করলেন এবং একটি কামরা খালি করে দিলেন।<br /><br />ইবনে যিয়াদ যকন জানতে পারলো যে ইমাম মুসলিমকে হানী আশ্রয় দিয়েছে,তখন সে সৈন্য পাঠিয়ে হানীকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসলো। অনুরূপভাবে কূফায় অনান্য সরদার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরও কিল্লায় নজরবন্দি করলো। হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহু আনহু) এ খবর জানতে পেরে ভীষন উত্তেজিত হয়ে উঠলেন,তার শীরা উপশীরায় হাশেমী রক্ত উৎলিয়ে উঠলো। তিনি তাঁর ছেলেদ্বয়কে কাজী শরীহের ঘরে পাঠিয়ে দিলেন এবং আহলে বায়তের ভক্ত অনুরক্তদের আহবান করলেন। তাঁর এ আহবানে দলে দলে লোক আসতে লাগলেন। অল্প সময়ের মধ্য চল্লিশ হাজারের মত লোক জমায়েত হয়ে গেল। এদেরকে নিয়ে তিনি রাজ প্রসাদ ঘেরাও করলেন। ইবনে যিয়াদ ও তার সহচররা গ্রেপ্তার হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছৈ গিয়েছিল। কালবিলম্ব না করে ধুরন্ধর ইবনে যিয়াদ একটি চালবাজি করলো। সে কিল্লায় নজরবন্দীকৃত কূফার সরদারদেরকে বাধ্য করলো যে ওরা যেন ছাদে উঠে কূফাবাসীদেরকে বুঝায়, ভয় দেখায় যাতে ইমাম মুসলিম ত্যাগ করে চলে যায়। এ লোকেরা মনে করলো যে তারা একেমঃ ইবনে যিয়াদ হাতে বন্দী, তাছাড়া ইবনে যিয়াদের পরাজয় হলেও কেল্লা দখল করার আগে তাদেরকে খতম করে দিবে। এ ভয়ে তারা তাড়াতাড়ি ছাদে উঠে তাদের আত্বীয় স্বজনকে ডাকদিয়ে বললো,ইমাম মুসলিমের সহায়তা করা তোমাদের জন্য বিপজ্জনক হবে। সরকার তোমাদের উপর ক্ষেপে যাবে,ইয়জিদ তোমাদের সন্তান-সন্ততিদের মেরে ফেলবে। তোমাদের ঘর-বাড়ি লুন্ঠন করবে,জায়গা জমি বাজেয়াপ্ত করবে,আমাদেরকে কেল্লার অভ্যন্তরে খতম করে দেবে। তাই তোমাদের ও আমাদের ভয়াবহ পরিনতির কথা স্বরণ করে ঘরে চলে যাও। ইবনে জিয়াদের এ চালবাজি কাজে আসলো। হযরত ইমাম মুসলিমের বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল। সবাই এদিক সেদিক হয়ে চলে গেল। সন্ধ্যার মধ্য দেখা গেল যে চল্লিশ হাজারের মধ্য পাঁচশজন আছে। সূর্য ডুবার পর একটু অন্ধকার হয়ে আসলে এ পাঁচশজনও চলে গেল।<br />---(সিররুশ শাহাদাতাইন-১৬পৃষ্টা)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj3Dc2IAHPLTK2lVMkVS1qYJeFuvB7jWYbfeKtu7NSu-RGNdOmvsgpyIkxsa5xow_AmiW0auVXrdYHn_BOdv8jB2CujlnFhTTHCHIqb5bnY9QrIsVPeRZMYMmJcj_PLEu9pFM7DKiE44aBe/s1600/FB_IMG_1537465833854.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="640" data-original-width="1137" height="180" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj3Dc2IAHPLTK2lVMkVS1qYJeFuvB7jWYbfeKtu7NSu-RGNdOmvsgpyIkxsa5xow_AmiW0auVXrdYHn_BOdv8jB2CujlnFhTTHCHIqb5bnY9QrIsVPeRZMYMmJcj_PLEu9pFM7DKiE44aBe/s320-rw/FB_IMG_1537465833854.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />সবকঃ হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) ও আহলে বায়তের প্রতি মহব্বত ও ওফারদারীর দাবীদার কূফাবাসীদের সমস্ত ওয়াদা প্রতিজ্ঞা মিথ্যা ছিল। তারা যথাসময়ে বেওফা হিসেবে প্রমাণিত হলো। আহলে বায়তের প্রতি মহব্বতের দাবীদার সবাই সত্যবাদী নয়।</div>

জল্লাদ ইবনে যিয়াদ

"কারবালার করুণ কাহিনী-৫" ----জাল্লাদ ইবনে যিয়াদ--- হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহু আনহু) যখন কূফায় পৌঁছলেন, তখন সাথে সাথে বার হাজার...

Read more »

জল্লাদ ইবনে যিয়াদ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> "কারবালার করুণ কাহিনী-৫"<br /> <br /> ----জাল্লাদ ইবনে যিয়াদ---<br /> <br /> হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহু আনহু) যখন কূফায় পৌঁছলেন, তখন সাথে সাথে বার হাজারের অধিক কূফাবাসী তাঁর হাতে হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহু আনহু) এর নামে বায়াত গ্রহন করে। এ অবস্থা দেখে তিনি হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) কে সাহসা চলে আসার জন্য চিঠি লিখেন। এ দিকে ইয়াযিদ যখন এ অবস্থার কথা জানতে পারলো, তখন বসরার গভর্ণর ওবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদের কাছে ফরমান পাঠালো যেন কালবিলম্ব না করে কূফায় এসে লোকদেরকে হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর বায়াত গ্রহণ থেকে বাঁধা দেয় এবং যারা ইতোমধ্যে বায়াত গ্রহন করেছে, তাদেরকে ধমকি ও হুমকির মাধ্যমে ফিরায়ে আনে। ইবনে যিয়াদ বড় ধোঁকাবাজ ওখুনী ছিল। এ জালিম কূফায় এসে নানা ভয় ভতীরি মাধ্যমে কূফাবাসীকে ইয়াজিদের বিরোধীতা থেকে বিরত থাকতে বললো এবং নানালোভ দেখায়ে ওদেরকে হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) সহয়তা করা থেকে বাধা দিল। এতে সে সফল হলো এবং সকলের মনে প্রভাব ও ভীতি সৃষ্টি করতে সক্ষম হলো।<br /> <br /> হযরত ইমাম মুসলিম এ অবস্তা দেখে রাত্রে রাতে হানী বিন আরওয়ার ঘরে গেলেন এবং বললেন,হানী, আমি গরিব মুসাফির। তুমিতো কূফাবাসী সম্পর্কে ভালমতে অবহিত। আমি তোমার আশ্রয়ে তোমার ঘরে থাকতে চাই। হানী ওনাকে সানন্দে গ্রহন করলেন এবং একটি কামরা খালি করে দিলেন।<br /> <br /> ইবনে যিয়াদ যকন জানতে পারলো যে ইমাম মুসলিমকে হানী আশ্রয় দিয়েছে,তখন সে সৈন্য পাঠিয়ে হানীকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসলো। অনুরূপভাবে কূফায় অনান্য সরদার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরও কিল্লায় নজরবন্দি করলো। হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহু আনহু) এ খবর জানতে পেরে ভীষন উত্তেজিত হয়ে উঠলেন,তার শীরা উপশীরায় হাশেমী রক্ত উৎলিয়ে উঠলো। তিনি তাঁর ছেলেদ্বয়কে কাজী শরীহের ঘরে পাঠিয়ে দিলেন এবং আহলে বায়তের ভক্ত অনুরক্তদের আহবান করলেন। তাঁর এ আহবানে দলে দলে লোক আসতে লাগলেন। অল্প সময়ের মধ্য চল্লিশ হাজারের মত লোক জমায়েত হয়ে গেল। এদেরকে নিয়ে তিনি রাজ প্রসাদ ঘেরাও করলেন। ইবনে যিয়াদ ও তার সহচররা গ্রেপ্তার হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছৈ গিয়েছিল। কালবিলম্ব না করে ধুরন্ধর ইবনে যিয়াদ একটি চালবাজি করলো। সে কিল্লায় নজরবন্দীকৃত কূফার সরদারদেরকে বাধ্য করলো যে ওরা যেন ছাদে উঠে কূফাবাসীদেরকে বুঝায়, ভয় দেখায় যাতে ইমাম মুসলিম ত্যাগ করে চলে যায়। এ লোকেরা মনে করলো যে তারা একেমঃ ইবনে যিয়াদ হাতে বন্দী, তাছাড়া ইবনে যিয়াদের পরাজয় হলেও কেল্লা দখল করার আগে তাদেরকে খতম করে দিবে। এ ভয়ে তারা তাড়াতাড়ি ছাদে উঠে তাদের আত্বীয় স্বজনকে ডাকদিয়ে বললো,ইমাম মুসলিমের সহায়তা করা তোমাদের জন্য বিপজ্জনক হবে। সরকার তোমাদের উপর ক্ষেপে যাবে,ইয়জিদ তোমাদের সন্তান-সন্ততিদের মেরে ফেলবে। তোমাদের ঘর-বাড়ি লুন্ঠন করবে,জায়গা জমি বাজেয়াপ্ত করবে,আমাদেরকে কেল্লার অভ্যন্তরে খতম করে দেবে। তাই তোমাদের ও আমাদের ভয়াবহ পরিনতির কথা স্বরণ করে ঘরে চলে যাও। ইবনে জিয়াদের এ চালবাজি কাজে আসলো। হযরত ইমাম মুসলিমের বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল। সবাই এদিক সেদিক হয়ে চলে গেল। সন্ধ্যার মধ্য দেখা গেল যে চল্লিশ হাজারের মধ্য পাঁচশজন আছে। সূর্য ডুবার পর একটু অন্ধকার হয়ে আসলে এ পাঁচশজনও চলে গেল।<br /> ---(সিররুশ শাহাদাতাইন-১৬পৃষ্টা)<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjj7R_kJTdZdwbeHeRH1k0VHdcneZonR5VworPqh13e-52dElz_vD54VozoeU-0J6_7gL8v1kyYjCRh7wdSvf5cHQBd6mxNjRlInLcSLhNCFLmB5Crl1OKIq8YYaJmFrWGUTFgwMHqF178M/s1600/FB_IMG_1537465833854.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="640" data-original-width="1137" height="180" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjj7R_kJTdZdwbeHeRH1k0VHdcneZonR5VworPqh13e-52dElz_vD54VozoeU-0J6_7gL8v1kyYjCRh7wdSvf5cHQBd6mxNjRlInLcSLhNCFLmB5Crl1OKIq8YYaJmFrWGUTFgwMHqF178M/s320-rw/FB_IMG_1537465833854.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <br /> সবকঃ হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) ও আহলে বায়তের প্রতি মহব্বত ও ওফারদারীর দাবীদার কূফাবাসীদের সমস্ত ওয়াদা প্রতিজ্ঞা মিথ্যা ছিল। তারা যথাসময়ে বেওফা হিসেবে প্রমাণিত হলো। আহলে বায়তের প্রতি মহব্বতের দাবীদার সবাই সত্যবাদী নয়।</div>

জল্লাদ ইবনে যিয়াদ

"কারবালার করুণ কাহিনী-৫" ----জাল্লাদ ইবনে যিয়াদ--- হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহু আনহু) যখন কূফায় পৌঁছলেন, তখন সাথে সাথে বার ...

Read more »

জল্লাদ ইবনে যিয়াদ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />"কারবালার করুণ কাহিনী-৫"<br /><br /><br /><br />----জাল্লাদ ইবনে যিয়াদ---<br /><br /><br /><br />হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহু আনহু) যখন কূফায় পৌঁছলেন, তখন সাথে সাথে বার হাজারের অধিক কূফাবাসী তাঁর হাতে হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহু আনহু) এর নামে বায়াত গ্রহন করে। এ অবস্থা দেখে তিনি হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) কে সাহসা চলে আসার জন্য চিঠি লিখেন। এ দিকে ইয়াযিদ যখন এ অবস্থার কথা জানতে পারলো, তখন বসরার গভর্ণর ওবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদের কাছে ফরমান পাঠালো যেন কালবিলম্ব না করে কূফায় এসে লোকদেরকে হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর বায়াত গ্রহণ থেকে বাঁধা দেয় এবং যারা ইতোমধ্যে বায়াত গ্রহন করেছে, তাদেরকে ধমকি ও হুমকির মাধ্যমে ফিরায়ে আনে। ইবনে যিয়াদ বড় ধোঁকাবাজ ওখুনী ছিল। এ জালিম কূফায় এসে নানা ভয় ভতীরি মাধ্যমে কূফাবাসীকে ইয়াজিদের বিরোধীতা থেকে বিরত থাকতে বললো এবং নানালোভ দেখায়ে ওদেরকে হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) সহয়তা করা থেকে বাধা দিল। এতে সে সফল হলো এবং সকলের মনে প্রভাব ও ভীতি সৃষ্টি করতে সক্ষম হলো।<br /><br /><br /><br />হযরত ইমাম মুসলিম এ অবস্তা দেখে রাত্রে রাতে হানী বিন আরওয়ার ঘরে গেলেন এবং বললেন,হানী, আমি গরিব মুসাফির। তুমিতো কূফাবাসী সম্পর্কে ভালমতে অবহিত। আমি তোমার আশ্রয়ে তোমার ঘরে থাকতে চাই। হানী ওনাকে সানন্দে গ্রহন করলেন এবং একটি কামরা খালি করে দিলেন।<br /><br /><br /><br />ইবনে যিয়াদ যকন জানতে পারলো যে ইমাম মুসলিমকে হানী আশ্রয় দিয়েছে,তখন সে সৈন্য পাঠিয়ে হানীকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসলো। অনুরূপভাবে কূফায় অনান্য সরদার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরও কিল্লায় নজরবন্দি করলো। হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহু আনহু) এ খবর জানতে পেরে ভীষন উত্তেজিত হয়ে উঠলেন,তার শীরা উপশীরায় হাশেমী রক্ত উৎলিয়ে উঠলো। তিনি তাঁর ছেলেদ্বয়কে কাজী শরীহের ঘরে পাঠিয়ে দিলেন এবং আহলে বায়তের ভক্ত অনুরক্তদের আহবান করলেন। তাঁর এ আহবানে দলে দলে লোক আসতে লাগলেন। অল্প সময়ের মধ্য চল্লিশ হাজারের মত লোক জমায়েত হয়ে গেল। এদেরকে নিয়ে তিনি রাজ প্রসাদ ঘেরাও করলেন। ইবনে যিয়াদ ও তার সহচররা গ্রেপ্তার হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছৈ গিয়েছিল। কালবিলম্ব না করে ধুরন্ধর ইবনে যিয়াদ একটি চালবাজি করলো। সে কিল্লায় নজরবন্দীকৃত কূফার সরদারদেরকে বাধ্য করলো যে ওরা যেন ছাদে উঠে কূফাবাসীদেরকে বুঝায়, ভয় দেখায় যাতে ইমাম মুসলিম ত্যাগ করে চলে যায়। এ লোকেরা মনে করলো যে তারা একেমঃ ইবনে যিয়াদ হাতে বন্দী, তাছাড়া ইবনে যিয়াদের পরাজয় হলেও কেল্লা দখল করার আগে তাদেরকে খতম করে দিবে। এ ভয়ে তারা তাড়াতাড়ি ছাদে উঠে তাদের আত্বীয় স্বজনকে ডাকদিয়ে বললো,ইমাম মুসলিমের সহায়তা করা তোমাদের জন্য বিপজ্জনক হবে। সরকার তোমাদের উপর ক্ষেপে যাবে,ইয়জিদ তোমাদের সন্তান-সন্ততিদের মেরে ফেলবে। তোমাদের ঘর-বাড়ি লুন্ঠন করবে,জায়গা জমি বাজেয়াপ্ত করবে,আমাদেরকে কেল্লার অভ্যন্তরে খতম করে দেবে। তাই তোমাদের ও আমাদের ভয়াবহ পরিনতির কথা স্বরণ করে ঘরে চলে যাও। ইবনে জিয়াদের এ চালবাজি কাজে আসলো। হযরত ইমাম মুসলিমের বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল। সবাই এদিক সেদিক হয়ে চলে গেল। সন্ধ্যার মধ্য দেখা গেল যে চল্লিশ হাজারের মধ্য পাঁচশজন আছে। সূর্য ডুবার পর একটু অন্ধকার হয়ে আসলে এ পাঁচশজনও চলে গেল।<br /><br />---(সিররুশ শাহাদাতাইন-১৬পৃষ্টা)<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi9pYvu5wWgOdgqjJXBsq9ldzygtZZcbBfpXxOulf12d1xDP9v3syw5sv1vfnPrGzEhamzb3cwSV6o-BLONBJXbGFhoNl4dyCn9ba7L0Ut1xTGwY24zN3ybChZnxy7ht74yKEPexXpCOLSH/s1600/FB_IMG_1537465833854.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="640" data-original-width="1137" height="180" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi9pYvu5wWgOdgqjJXBsq9ldzygtZZcbBfpXxOulf12d1xDP9v3syw5sv1vfnPrGzEhamzb3cwSV6o-BLONBJXbGFhoNl4dyCn9ba7L0Ut1xTGwY24zN3ybChZnxy7ht74yKEPexXpCOLSH/s320-rw/FB_IMG_1537465833854.jpg" width="320" /></a></div><br /><br /><br /><br /><br />সবকঃ হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) ও আহলে বায়তের প্রতি মহব্বত ও ওফারদারীর দাবীদার কূফাবাসীদের সমস্ত ওয়াদা প্রতিজ্ঞা মিথ্যা ছিল। তারা যথাসময়ে বেওফা হিসেবে প্রমাণিত হলো। আহলে বায়তের প্রতি মহব্বতের দাবীদার সবাই সত্যবাদী নয়।</div><br />

জল্লাদ ইবনে যিয়াদ

"কারবালার করুণ কাহিনী-৫" ----জাল্লাদ ইবনে যিয়াদ--- হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহু আনহু) যখন কূফায় পৌঁছলেন, তখন সাথে সাথে বার হাজার...

Read more »

জল্লাদ ইবনে যিয়াদ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">"কারবালার করুণ কাহিনী-৫"<br /><br />----জাল্লাদ ইবনে যিয়াদ---<br /><br />হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহু আনহু) যখন কূফায় পৌঁছলেন, তখন সাথে সাথে বার হাজারের অধিক কূফাবাসী তাঁর হাতে হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহু আনহু) এর নামে বায়াত গ্রহন করে। এ অবস্থা দেখে তিনি হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) কে সাহসা চলে আসার জন্য চিঠি লিখেন। এ দিকে ইয়াযিদ যখন এ অবস্থার কথা জানতে পারলো, তখন বসরার গভর্ণর ওবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদের কাছে ফরমান পাঠালো যেন কালবিলম্ব না করে কূফায় এসে লোকদেরকে হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর বায়াত গ্রহণ থেকে বাঁধা দেয় এবং যারা ইতোমধ্যে বায়াত গ্রহন করেছে, তাদেরকে ধমকি ও হুমকির মাধ্যমে ফিরায়ে আনে। ইবনে যিয়াদ বড় ধোঁকাবাজ ওখুনী ছিল। এ জালিম কূফায় এসে নানা ভয় ভতীরি মাধ্যমে কূফাবাসীকে ইয়াজিদের বিরোধীতা থেকে বিরত থাকতে বললো এবং নানালোভ দেখায়ে ওদেরকে হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) সহয়তা করা থেকে বাধা দিল। এতে সে সফল হলো এবং সকলের মনে প্রভাব ও ভীতি সৃষ্টি করতে সক্ষম হলো।<br /><br />হযরত ইমাম মুসলিম এ অবস্তা দেখে রাত্রে রাতে হানী বিন আরওয়ার ঘরে গেলেন এবং বললেন,হানী, আমি গরিব মুসাফির। তুমিতো কূফাবাসী সম্পর্কে ভালমতে অবহিত। আমি তোমার আশ্রয়ে তোমার ঘরে থাকতে চাই। হানী ওনাকে সানন্দে গ্রহন করলেন এবং একটি কামরা খালি করে দিলেন।<br /><br />ইবনে যিয়াদ যকন জানতে পারলো যে ইমাম মুসলিমকে হানী আশ্রয় দিয়েছে,তখন সে সৈন্য পাঠিয়ে হানীকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসলো। অনুরূপভাবে কূফায় অনান্য সরদার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরও কিল্লায় নজরবন্দি করলো। হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহু আনহু) এ খবর জানতে পেরে ভীষন উত্তেজিত হয়ে উঠলেন,তার শীরা উপশীরায় হাশেমী রক্ত উৎলিয়ে উঠলো। তিনি তাঁর ছেলেদ্বয়কে কাজী শরীহের ঘরে পাঠিয়ে দিলেন এবং আহলে বায়তের ভক্ত অনুরক্তদের আহবান করলেন। তাঁর এ আহবানে দলে দলে লোক আসতে লাগলেন। অল্প সময়ের মধ্য চল্লিশ হাজারের মত লোক জমায়েত হয়ে গেল। এদেরকে নিয়ে তিনি রাজ প্রসাদ ঘেরাও করলেন। ইবনে যিয়াদ ও তার সহচররা গ্রেপ্তার হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছৈ গিয়েছিল। কালবিলম্ব না করে ধুরন্ধর ইবনে যিয়াদ একটি চালবাজি করলো। সে কিল্লায় নজরবন্দীকৃত কূফার সরদারদেরকে বাধ্য করলো যে ওরা যেন ছাদে উঠে কূফাবাসীদেরকে বুঝায়, ভয় দেখায় যাতে ইমাম মুসলিম ত্যাগ করে চলে যায়। এ লোকেরা মনে করলো যে তারা একেমঃ ইবনে যিয়াদ হাতে বন্দী, তাছাড়া ইবনে যিয়াদের পরাজয় হলেও কেল্লা দখল করার আগে তাদেরকে খতম করে দিবে। এ ভয়ে তারা তাড়াতাড়ি ছাদে উঠে তাদের আত্বীয় স্বজনকে ডাকদিয়ে বললো,ইমাম মুসলিমের সহায়তা করা তোমাদের জন্য বিপজ্জনক হবে। সরকার তোমাদের উপর ক্ষেপে যাবে,ইয়জিদ তোমাদের সন্তান-সন্ততিদের মেরে ফেলবে। তোমাদের ঘর-বাড়ি লুন্ঠন করবে,জায়গা জমি বাজেয়াপ্ত করবে,আমাদেরকে কেল্লার অভ্যন্তরে খতম করে দেবে। তাই তোমাদের ও আমাদের ভয়াবহ পরিনতির কথা স্বরণ করে ঘরে চলে যাও। ইবনে জিয়াদের এ চালবাজি কাজে আসলো। হযরত ইমাম মুসলিমের বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল। সবাই এদিক সেদিক হয়ে চলে গেল। সন্ধ্যার মধ্য দেখা গেল যে চল্লিশ হাজারের মধ্য পাঁচশজন আছে। সূর্য ডুবার পর একটু অন্ধকার হয়ে আসলে এ পাঁচশজনও চলে গেল।<br />---(সিররুশ শাহাদাতাইন-১৬পৃষ্টা)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi9pYvu5wWgOdgqjJXBsq9ldzygtZZcbBfpXxOulf12d1xDP9v3syw5sv1vfnPrGzEhamzb3cwSV6o-BLONBJXbGFhoNl4dyCn9ba7L0Ut1xTGwY24zN3ybChZnxy7ht74yKEPexXpCOLSH/s1600/FB_IMG_1537465833854.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="640" data-original-width="1137" height="180" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi9pYvu5wWgOdgqjJXBsq9ldzygtZZcbBfpXxOulf12d1xDP9v3syw5sv1vfnPrGzEhamzb3cwSV6o-BLONBJXbGFhoNl4dyCn9ba7L0Ut1xTGwY24zN3ybChZnxy7ht74yKEPexXpCOLSH/s320-rw/FB_IMG_1537465833854.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />সবকঃ হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) ও আহলে বায়তের প্রতি মহব্বত ও ওফারদারীর দাবীদার কূফাবাসীদের সমস্ত ওয়াদা প্রতিজ্ঞা মিথ্যা ছিল। তারা যথাসময়ে বেওফা হিসেবে প্রমাণিত হলো। আহলে বায়তের প্রতি মহব্বতের দাবীদার সবাই সত্যবাদী নয়।</div>

জল্লাদ ইবনে যিয়াদ

"কারবালার করুণ কাহিনী-৫" ----জাল্লাদ ইবনে যিয়াদ--- হযরত ইমাম মুসলিম (রাদি আল্লাহু আনহু) যখন কূফায় পৌঁছলেন, তখন সাথে সাথে বার হাজার...

Read more »

কূফাবাসীর চিঠি

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">"কারবালার করুণ কাহিনী-৪"<br /><br />---কূফাবাসীর চিঠি ঔ বার হাজার---<br /><br />হযরত আমীরে মুয়াবিয়া (রাদি আল্লাহু আনহু) এর ওফাতের পর ইয়াজিদ সিংহাসনে বসলো। ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) ওর বায়াত করলেন না। কূফাবাসীরা যখন জানতে পারলো যে ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) ইয়াজিদের বায়াত করেন নি এবং মক্কা মুয়াজ্জমায় চলে গেছেন, তখন কূফাবাসীরা একমত হয়ে ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর কাছে এ অভিমত ব্যক্ত করে চিঠি লিখলো যে আমরা আপনার জন্য জান-মাল কোরবানী দিতে প্রস্তুত। আপনি কূফায় তশরীফ আনুন। আমরা আপনার বায়াত করে আপনার নির্দেশে জালিমদের মোকাবেলা করবো এবং যে কোন অবস্তায় আপনার সাথে থাকবো। এ ধরনের চিঠি অনবরত আসতে লাগলো। প্রায দেড়শো মত চিঠি এসে পৌঁছলো। এ ধরনের লাগাতার চিঠি আসতে থাকায় তিনি নিশ্চুপ থাকতে পারলেন না। শেষ পর্যন্ত তিনি উত্তর দিলেন যে তোমরা প্রেরিত প্রায় দেড়শো চিঠি পেয়েছি। তোমাদের সত্যিকার মনোবাভ জানার জন্য আমার চাচাতো ভাই মুসলিম বিন আকিলকে তোমাদের কাছে পাঠাচ্ছি। তোমরা যদি সত্যি আমার সমর্থক হও,তাহলে আমার প্রতিনিধি মুসলিমের হাতে বায়াত কর। যখন সে তোমাদের মনোভাব ও আন্তরিকতার কথা আমাকে জানাবে, তখন আমিও ইনশাআল্লাহ্ তোমাদের কাছে পৌঁছে যাবে।<br />কূফাবাসীদের অনবরত আহবানে হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) কূফা যাবার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে নিলেন। কিন্তু বাস্তব অবস্থা জানার জন্য তাঁর চাচতো ভাই মুসলিম বিন আকিলকে সেখানে পাঠালেন এবং ওনাকে বল্লেন,তুমি ওখানে গিয়ে কূফাবাসীদেরকে আমার নামে বায়াত করতে বলিও।তারা বায়াত করলে আমাকে অবহিত করিও। এ খবর পাওয়ার পর আমিও তথায় গমন করবো। সে মতে হযরত মুসলিম বিন আকিল তাঁর অল্প বয়স্ক দুই শিশুকে নিয়ে কূফার উদ্দেশে রওয়ানা হলেন। তাঁর ছেলেদ্বয়ের নাম ছিল মুহাম্মদ ও ইব্রাহিম। তাঁরা তাদের বাপকে খুবই ভালবাসতেন। এজন্য তাঁরাও বাপের সফর সঙ্গী হলেন। হযরত মুসলিম কূফা পৌঁছে মুখতার বিন ওবাইদের ঘরে অবস্তান নিলেন। তাঁর আগমনের খবর পেয়ে দলে দলে লোক আসতে লাগলো এবং বার হাজারের অধিক লোক তাঁর হাতে ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর নামে বায়াত গ্রহন করলো। হযরত মুসলিম কূফাবাসীর একান্ত আগ্রহ ও দৃঢ় আস্থা দেখে সেখানকার অবস্থার কথা অবহিত করে ইমাম হোসাইনের কাছে এ মর্মে চিঠি লিখলেন যে যত তারাতারি সম্ভব চলে আসুন, এখানকার অবস্থা খুবই সন্তোষজনক। জনসাধারন ইয়াজিদের কু-শাসন থেকে মুক্ত হবার জন্য এবং সঠিক ধর্মের উপর অটল থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।<br />---(সিররুশ শাহাদাতাইন-১৪পৃষ্টা)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiyJ2EBlHFL_bc2Q7oFB7unN5CaeNFqO4A2rH1ctjDabBs3M-nU0QBk6Hy6jGLcwqSPJWLxzaVIpqYnzGKxCRfj1PEc03sL7pesbACumeiWj81SqWzTJ8x6UJ8cvWcOZjoYPNwrlyanRch9/s1600/FB_IMG_1537465737470.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="720" data-original-width="1152" height="200" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiyJ2EBlHFL_bc2Q7oFB7unN5CaeNFqO4A2rH1ctjDabBs3M-nU0QBk6Hy6jGLcwqSPJWLxzaVIpqYnzGKxCRfj1PEc03sL7pesbACumeiWj81SqWzTJ8x6UJ8cvWcOZjoYPNwrlyanRch9/s320-rw/FB_IMG_1537465737470.jpg" width="320" /></a></div><br />সবকঃ- কূফাবাসীদের বেওফায়ীর কথা প্রসিদ্ধ হওয়া সত্বে ও হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) তাদের চিঠি গুলোকে গুরুত্ব এ জন্য দিলেন যে যেন কিয়ামতের দিন ওরা এরকম বলতে না পারে- আমরা জালিমদের মোকাবেলা ও তাদের থেকে বাঁচার জন্য আগ্রহী ছিলাম। কিন্তু হযরত আলীর ছেলে হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) আমাদের আবেদনে সাড়া দেননি। ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) দলীল স্থাপন করার জন্য স্বীয় চাচাতো ভাই কে পা্ঠালেন এবং স্বীয় দায়ীত্ব পালনের জন্য তৈরী হয়ে গেলেন।আহলে বায়াতের একমাত্র উদ্দেশ্য এটাই ছিল যে আল্লাহর বান্দাগন যেন শরীয়ত বিরোধী আইন কানুন থেকে রক্ষা পায় এবং সত্য ধর্মের উপর অটল থাকতে পারে। হকপন্থীগন সব সময় এ আদর্শের উপর অটল ছিলেন।</div>

কূফাবাসীর চিঠি

"কারবালার করুণ কাহিনী-৪" ---কূফাবাসীর চিঠি ঔ বার হাজার--- হযরত আমীরে মুয়াবিয়া (রাদি আল্লাহু আনহু) এর ওফাতের পর ইয়াজিদ সিংহাসনে বসল...

Read more »

কূফাবাসীর চিঠি

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> "কারবালার করুণ কাহিনী-৪"<br /> <br /> ---কূফাবাসীর চিঠি ঔ বার হাজার---<br /> <br /> হযরত আমীরে মুয়াবিয়া (রাদি আল্লাহু আনহু) এর ওফাতের পর ইয়াজিদ সিংহাসনে বসলো। ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) ওর বায়াত করলেন না। কূফাবাসীরা যখন জানতে পারলো যে ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) ইয়াজিদের বায়াত করেন নি এবং মক্কা মুয়াজ্জমায় চলে গেছেন, তখন কূফাবাসীরা একমত হয়ে ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর কাছে এ অভিমত ব্যক্ত করে চিঠি লিখলো যে আমরা আপনার জন্য জান-মাল কোরবানী দিতে প্রস্তুত। আপনি কূফায় তশরীফ আনুন। আমরা আপনার বায়াত করে আপনার নির্দেশে জালিমদের মোকাবেলা করবো এবং যে কোন অবস্তায় আপনার সাথে থাকবো। এ ধরনের চিঠি অনবরত আসতে লাগলো। প্রায দেড়শো মত চিঠি এসে পৌঁছলো। এ ধরনের লাগাতার চিঠি আসতে থাকায় তিনি নিশ্চুপ থাকতে পারলেন না। শেষ পর্যন্ত তিনি উত্তর দিলেন যে তোমরা প্রেরিত প্রায় দেড়শো চিঠি পেয়েছি। তোমাদের সত্যিকার মনোবাভ জানার জন্য আমার চাচাতো ভাই মুসলিম বিন আকিলকে তোমাদের কাছে পাঠাচ্ছি। তোমরা যদি সত্যি আমার সমর্থক হও,তাহলে আমার প্রতিনিধি মুসলিমের হাতে বায়াত কর। যখন সে তোমাদের মনোভাব ও আন্তরিকতার কথা আমাকে জানাবে, তখন আমিও ইনশাআল্লাহ্ তোমাদের কাছে পৌঁছে যাবে।<br /> কূফাবাসীদের অনবরত আহবানে হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) কূফা যাবার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে নিলেন। কিন্তু বাস্তব অবস্থা জানার জন্য তাঁর চাচতো ভাই মুসলিম বিন আকিলকে সেখানে পাঠালেন এবং ওনাকে বল্লেন,তুমি ওখানে গিয়ে কূফাবাসীদেরকে আমার নামে বায়াত করতে বলিও।তারা বায়াত করলে আমাকে অবহিত করিও। এ খবর পাওয়ার পর আমিও তথায় গমন করবো। সে মতে হযরত মুসলিম বিন আকিল তাঁর অল্প বয়স্ক দুই শিশুকে নিয়ে কূফার উদ্দেশে রওয়ানা হলেন। তাঁর ছেলেদ্বয়ের নাম ছিল মুহাম্মদ ও ইব্রাহিম। তাঁরা তাদের বাপকে খুবই ভালবাসতেন। এজন্য তাঁরাও বাপের সফর সঙ্গী হলেন। হযরত মুসলিম কূফা পৌঁছে মুখতার বিন ওবাইদের ঘরে অবস্তান নিলেন। তাঁর আগমনের খবর পেয়ে দলে দলে লোক আসতে লাগলো এবং বার হাজারের অধিক লোক তাঁর হাতে ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর নামে বায়াত গ্রহন করলো। হযরত মুসলিম কূফাবাসীর একান্ত আগ্রহ ও দৃঢ় আস্থা দেখে সেখানকার অবস্থার কথা অবহিত করে ইমাম হোসাইনের কাছে এ মর্মে চিঠি লিখলেন যে যত তারাতারি সম্ভব চলে আসুন, এখানকার অবস্থা খুবই সন্তোষজনক। জনসাধারন ইয়াজিদের কু-শাসন থেকে মুক্ত হবার জন্য এবং সঠিক ধর্মের উপর অটল থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।<br /> ---(সিররুশ শাহাদাতাইন-১৪পৃষ্টা)<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiLtEbCsVEezCpbP9QOvgEt2Z8CwPa7RICkm7IojjRVmTYMiPKZGnN7ROj2W3eHV1_liK6zLUumQrqOkWucAGtS-BSStU4qgAnSgvyRU2hwNR0oQqr2VM77oOndeOWK2CWF3T-l-RFEhMnR/s1600/FB_IMG_1537465737470.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="720" data-original-width="1152" height="200" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiLtEbCsVEezCpbP9QOvgEt2Z8CwPa7RICkm7IojjRVmTYMiPKZGnN7ROj2W3eHV1_liK6zLUumQrqOkWucAGtS-BSStU4qgAnSgvyRU2hwNR0oQqr2VM77oOndeOWK2CWF3T-l-RFEhMnR/s320-rw/FB_IMG_1537465737470.jpg" width="320" /></a></div> <br /> সবকঃ- কূফাবাসীদের বেওফায়ীর কথা প্রসিদ্ধ হওয়া সত্বে ও হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) তাদের চিঠি গুলোকে গুরুত্ব এ জন্য দিলেন যে যেন কিয়ামতের দিন ওরা এরকম বলতে না পারে- আমরা জালিমদের মোকাবেলা ও তাদের থেকে বাঁচার জন্য আগ্রহী ছিলাম। কিন্তু হযরত আলীর ছেলে হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) আমাদের আবেদনে সাড়া দেননি। ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) দলীল স্থাপন করার জন্য স্বীয় চাচাতো ভাই কে পা্ঠালেন এবং স্বীয় দায়ীত্ব পালনের জন্য তৈরী হয়ে গেলেন।আহলে বায়াতের একমাত্র উদ্দেশ্য এটাই ছিল যে আল্লাহর বান্দাগন যেন শরীয়ত বিরোধী আইন কানুন থেকে রক্ষা পায় এবং সত্য ধর্মের উপর অটল থাকতে পারে। হকপন্থীগন সব সময় এ আদর্শের উপর অটল ছিলেন।</div>

কূফাবাসীর চিঠি

"কারবালার করুণ কাহিনী-৪" ---কূফাবাসীর চিঠি ঔ বার হাজার--- হযরত আমীরে মুয়াবিয়া (রাদি আল্লাহু আনহু) এর ওফাতের পর ইয়াজিদ সিংহাসন...

Read more »

কূফাবাসীর চিঠি

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />"কারবালার করুণ কাহিনী-৪"<br /><br /><br /><br />---কূফাবাসীর চিঠি ঔ বার হাজার---<br /><br /><br /><br />হযরত আমীরে মুয়াবিয়া (রাদি আল্লাহু আনহু) এর ওফাতের পর ইয়াজিদ সিংহাসনে বসলো। ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) ওর বায়াত করলেন না। কূফাবাসীরা যখন জানতে পারলো যে ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) ইয়াজিদের বায়াত করেন নি এবং মক্কা মুয়াজ্জমায় চলে গেছেন, তখন কূফাবাসীরা একমত হয়ে ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর কাছে এ অভিমত ব্যক্ত করে চিঠি লিখলো যে আমরা আপনার জন্য জান-মাল কোরবানী দিতে প্রস্তুত। আপনি কূফায় তশরীফ আনুন। আমরা আপনার বায়াত করে আপনার নির্দেশে জালিমদের মোকাবেলা করবো এবং যে কোন অবস্তায় আপনার সাথে থাকবো। এ ধরনের চিঠি অনবরত আসতে লাগলো। প্রায দেড়শো মত চিঠি এসে পৌঁছলো। এ ধরনের লাগাতার চিঠি আসতে থাকায় তিনি নিশ্চুপ থাকতে পারলেন না। শেষ পর্যন্ত তিনি উত্তর দিলেন যে তোমরা প্রেরিত প্রায় দেড়শো চিঠি পেয়েছি। তোমাদের সত্যিকার মনোবাভ জানার জন্য আমার চাচাতো ভাই মুসলিম বিন আকিলকে তোমাদের কাছে পাঠাচ্ছি। তোমরা যদি সত্যি আমার সমর্থক হও,তাহলে আমার প্রতিনিধি মুসলিমের হাতে বায়াত কর। যখন সে তোমাদের মনোভাব ও আন্তরিকতার কথা আমাকে জানাবে, তখন আমিও ইনশাআল্লাহ্ তোমাদের কাছে পৌঁছে যাবে।<br /><br />কূফাবাসীদের অনবরত আহবানে হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) কূফা যাবার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে নিলেন। কিন্তু বাস্তব অবস্থা জানার জন্য তাঁর চাচতো ভাই মুসলিম বিন আকিলকে সেখানে পাঠালেন এবং ওনাকে বল্লেন,তুমি ওখানে গিয়ে কূফাবাসীদেরকে আমার নামে বায়াত করতে বলিও।তারা বায়াত করলে আমাকে অবহিত করিও। এ খবর পাওয়ার পর আমিও তথায় গমন করবো। সে মতে হযরত মুসলিম বিন আকিল তাঁর অল্প বয়স্ক দুই শিশুকে নিয়ে কূফার উদ্দেশে রওয়ানা হলেন। তাঁর ছেলেদ্বয়ের নাম ছিল মুহাম্মদ ও ইব্রাহিম। তাঁরা তাদের বাপকে খুবই ভালবাসতেন। এজন্য তাঁরাও বাপের সফর সঙ্গী হলেন। হযরত মুসলিম কূফা পৌঁছে মুখতার বিন ওবাইদের ঘরে অবস্তান নিলেন। তাঁর আগমনের খবর পেয়ে দলে দলে লোক আসতে লাগলো এবং বার হাজারের অধিক লোক তাঁর হাতে ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর নামে বায়াত গ্রহন করলো। হযরত মুসলিম কূফাবাসীর একান্ত আগ্রহ ও দৃঢ় আস্থা দেখে সেখানকার অবস্থার কথা অবহিত করে ইমাম হোসাইনের কাছে এ মর্মে চিঠি লিখলেন যে যত তারাতারি সম্ভব চলে আসুন, এখানকার অবস্থা খুবই সন্তোষজনক। জনসাধারন ইয়াজিদের কু-শাসন থেকে মুক্ত হবার জন্য এবং সঠিক ধর্মের উপর অটল থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।<br /><br />---(সিররুশ শাহাদাতাইন-১৪পৃষ্টা)<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi-LRrp_DS-rps8L0nL17Y1ANl_Nzqw9wRU53dqAtBOft-C0WqL2KZRcVx8cCj20DTEAC5BnK6bmavrIKkuzz2HDqGnvRAMijliT9sS1lVDbFMrjzudx6bsvOJ-ugCS8zoPSEimno46PCEf/s1600/FB_IMG_1537465737470.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="720" data-original-width="1152" height="200" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi-LRrp_DS-rps8L0nL17Y1ANl_Nzqw9wRU53dqAtBOft-C0WqL2KZRcVx8cCj20DTEAC5BnK6bmavrIKkuzz2HDqGnvRAMijliT9sS1lVDbFMrjzudx6bsvOJ-ugCS8zoPSEimno46PCEf/s320-rw/FB_IMG_1537465737470.jpg" width="320" /></a></div><br /><br /><br />সবকঃ- কূফাবাসীদের বেওফায়ীর কথা প্রসিদ্ধ হওয়া সত্বে ও হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) তাদের চিঠি গুলোকে গুরুত্ব এ জন্য দিলেন যে যেন কিয়ামতের দিন ওরা এরকম বলতে না পারে- আমরা জালিমদের মোকাবেলা ও তাদের থেকে বাঁচার জন্য আগ্রহী ছিলাম। কিন্তু হযরত আলীর ছেলে হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) আমাদের আবেদনে সাড়া দেননি। ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) দলীল স্থাপন করার জন্য স্বীয় চাচাতো ভাই কে পা্ঠালেন এবং স্বীয় দায়ীত্ব পালনের জন্য তৈরী হয়ে গেলেন।আহলে বায়াতের একমাত্র উদ্দেশ্য এটাই ছিল যে আল্লাহর বান্দাগন যেন শরীয়ত বিরোধী আইন কানুন থেকে রক্ষা পায় এবং সত্য ধর্মের উপর অটল থাকতে পারে। হকপন্থীগন সব সময় এ আদর্শের উপর অটল ছিলেন।</div><br />

কূফাবাসীর চিঠি

"কারবালার করুণ কাহিনী-৪" ---কূফাবাসীর চিঠি ঔ বার হাজার--- হযরত আমীরে মুয়াবিয়া (রাদি আল্লাহু আনহু) এর ওফাতের পর ইয়াজিদ সিংহাসনে বসল...

Read more »

কূফাবাসীর চিঠি

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">"কারবালার করুণ কাহিনী-৪"<br /><br />---কূফাবাসীর চিঠি ঔ বার হাজার---<br /><br />হযরত আমীরে মুয়াবিয়া (রাদি আল্লাহু আনহু) এর ওফাতের পর ইয়াজিদ সিংহাসনে বসলো। ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) ওর বায়াত করলেন না। কূফাবাসীরা যখন জানতে পারলো যে ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) ইয়াজিদের বায়াত করেন নি এবং মক্কা মুয়াজ্জমায় চলে গেছেন, তখন কূফাবাসীরা একমত হয়ে ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর কাছে এ অভিমত ব্যক্ত করে চিঠি লিখলো যে আমরা আপনার জন্য জান-মাল কোরবানী দিতে প্রস্তুত। আপনি কূফায় তশরীফ আনুন। আমরা আপনার বায়াত করে আপনার নির্দেশে জালিমদের মোকাবেলা করবো এবং যে কোন অবস্তায় আপনার সাথে থাকবো। এ ধরনের চিঠি অনবরত আসতে লাগলো। প্রায দেড়শো মত চিঠি এসে পৌঁছলো। এ ধরনের লাগাতার চিঠি আসতে থাকায় তিনি নিশ্চুপ থাকতে পারলেন না। শেষ পর্যন্ত তিনি উত্তর দিলেন যে তোমরা প্রেরিত প্রায় দেড়শো চিঠি পেয়েছি। তোমাদের সত্যিকার মনোবাভ জানার জন্য আমার চাচাতো ভাই মুসলিম বিন আকিলকে তোমাদের কাছে পাঠাচ্ছি। তোমরা যদি সত্যি আমার সমর্থক হও,তাহলে আমার প্রতিনিধি মুসলিমের হাতে বায়াত কর। যখন সে তোমাদের মনোভাব ও আন্তরিকতার কথা আমাকে জানাবে, তখন আমিও ইনশাআল্লাহ্ তোমাদের কাছে পৌঁছে যাবে।<br />কূফাবাসীদের অনবরত আহবানে হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) কূফা যাবার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে নিলেন। কিন্তু বাস্তব অবস্থা জানার জন্য তাঁর চাচতো ভাই মুসলিম বিন আকিলকে সেখানে পাঠালেন এবং ওনাকে বল্লেন,তুমি ওখানে গিয়ে কূফাবাসীদেরকে আমার নামে বায়াত করতে বলিও।তারা বায়াত করলে আমাকে অবহিত করিও। এ খবর পাওয়ার পর আমিও তথায় গমন করবো। সে মতে হযরত মুসলিম বিন আকিল তাঁর অল্প বয়স্ক দুই শিশুকে নিয়ে কূফার উদ্দেশে রওয়ানা হলেন। তাঁর ছেলেদ্বয়ের নাম ছিল মুহাম্মদ ও ইব্রাহিম। তাঁরা তাদের বাপকে খুবই ভালবাসতেন। এজন্য তাঁরাও বাপের সফর সঙ্গী হলেন। হযরত মুসলিম কূফা পৌঁছে মুখতার বিন ওবাইদের ঘরে অবস্তান নিলেন। তাঁর আগমনের খবর পেয়ে দলে দলে লোক আসতে লাগলো এবং বার হাজারের অধিক লোক তাঁর হাতে ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর নামে বায়াত গ্রহন করলো। হযরত মুসলিম কূফাবাসীর একান্ত আগ্রহ ও দৃঢ় আস্থা দেখে সেখানকার অবস্থার কথা অবহিত করে ইমাম হোসাইনের কাছে এ মর্মে চিঠি লিখলেন যে যত তারাতারি সম্ভব চলে আসুন, এখানকার অবস্থা খুবই সন্তোষজনক। জনসাধারন ইয়াজিদের কু-শাসন থেকে মুক্ত হবার জন্য এবং সঠিক ধর্মের উপর অটল থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।<br />---(সিররুশ শাহাদাতাইন-১৪পৃষ্টা)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi-LRrp_DS-rps8L0nL17Y1ANl_Nzqw9wRU53dqAtBOft-C0WqL2KZRcVx8cCj20DTEAC5BnK6bmavrIKkuzz2HDqGnvRAMijliT9sS1lVDbFMrjzudx6bsvOJ-ugCS8zoPSEimno46PCEf/s1600/FB_IMG_1537465737470.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="720" data-original-width="1152" height="200" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi-LRrp_DS-rps8L0nL17Y1ANl_Nzqw9wRU53dqAtBOft-C0WqL2KZRcVx8cCj20DTEAC5BnK6bmavrIKkuzz2HDqGnvRAMijliT9sS1lVDbFMrjzudx6bsvOJ-ugCS8zoPSEimno46PCEf/s320-rw/FB_IMG_1537465737470.jpg" width="320" /></a></div><br />সবকঃ- কূফাবাসীদের বেওফায়ীর কথা প্রসিদ্ধ হওয়া সত্বে ও হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) তাদের চিঠি গুলোকে গুরুত্ব এ জন্য দিলেন যে যেন কিয়ামতের দিন ওরা এরকম বলতে না পারে- আমরা জালিমদের মোকাবেলা ও তাদের থেকে বাঁচার জন্য আগ্রহী ছিলাম। কিন্তু হযরত আলীর ছেলে হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) আমাদের আবেদনে সাড়া দেননি। ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) দলীল স্থাপন করার জন্য স্বীয় চাচাতো ভাই কে পা্ঠালেন এবং স্বীয় দায়ীত্ব পালনের জন্য তৈরী হয়ে গেলেন।আহলে বায়াতের একমাত্র উদ্দেশ্য এটাই ছিল যে আল্লাহর বান্দাগন যেন শরীয়ত বিরোধী আইন কানুন থেকে রক্ষা পায় এবং সত্য ধর্মের উপর অটল থাকতে পারে। হকপন্থীগন সব সময় এ আদর্শের উপর অটল ছিলেন।</div>

কূফাবাসীর চিঠি

"কারবালার করুণ কাহিনী-৪" ---কূফাবাসীর চিঠি ঔ বার হাজার--- হযরত আমীরে মুয়াবিয়া (রাদি আল্লাহু আনহু) এর ওফাতের পর ইয়াজিদ সিংহাসনে বসল...

Read more »

রওজা পাকে হাজেরী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">"কারবালার করুণ কাহিনী-৩"<br /><br />---রাওজা পাকে হাজেরী---<br />ইয়াজিদ যখন এ কথা জানতে পারলেন যে ইমাম হোসাইন ওর বায়াত করেন নি, তখন সে খুবই রাগান্বিত হয়ে মদীনার প্রশাসককে কড়া নির্দেশ দিল যে ইমাম হোসাইনকে ওর বায়াত করার জন্য যেন চাপ সৃষ্টি করে। বায়াত না করলে ওনার মাথা কেটে ওর কাছে যেন পাটিয়ে দেয়া হয়। হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) ইয়াজিদের এ নির্দেশের কথা জানতে পেরে মদীনা মনোয়ারা ত্যাগ করে মক্কা মোয়াজ্জমা চলে যাওয়ার মনস্থ করলেন। মদীনা ত্যাগের পূর্বে রাত্রে তাঁর নানাজান হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর রোঝা পাকে হাজির হলেন এবং রাওজা পাক জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে ইয়াজিদের আচরনের বর্ণনা দিতে লাগলেন। এ অবস্থায় হঠাৎ তাঁর চোখ লেগে আসলে তিনি স্বপ্নে দেখেন যে নানাজান তশরীফ এনেছেন,তাঁকে চুমু দিলিন এবং বুকে জড়িয়ে ধরলেন। অতঃপর বললেন, প্রিয় হোসাইন শীঘ্রই জালিমেরা তোমাকে কারবালার ময়দানে ভূখা ও তৃষ্ণার্থ অবস্থায় শহীদ করবে। তোমার মা-বাবা ও ভাই তোমার অপক্ষায় আছে। তোমার জন্য বেহেস্ত নতুন ভাবে সজ্জিত করা হচ্ছে। তথায় এমন সম্মানিত উচ্চ স্থান রয়েছে যেটা শহীদ হোয়া ছাড়া তুমি পেতে পার না। যাও তুমি যাও ,সবর ও ধৈর্য সহকারে শাহাদাত বরণ করে আমার কাছে এসে যাও। হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) জাগ্রত হোয়ার পর ঘরে আসলেন এবং আহলে বায়তের সবাইকে একত্রিত করে এ স্বপ্ন শুনালেন এবং মদীনা ত্যাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন। অতঃপর ভাইয়ের মাজারে গিয়ে বিদায় নিলেন।এরপর মায়ের কবরের পাশে গিয়ে আরয করলেন-আম্মাজান আজ তোমার হোসাইন তোমার থেকে বিদায় নিতে এসেছে এবং আখেরী সালাম পেশ করছে। পবিত্র কবর থেকে আওয়াজ আসলো,ওয়া আলাইকুমুর সালাম ওহে আমার মজলুম বৎস। তিনি ওখানে দাড়িঁয়ে অনেক্ষন কাঁদলেন। অতঃপর ওখান ফিরে এসে মক্কা মুয়াজ্জমার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেলেন।<br />---(তাজকিরায়ে হোসাইন-২৭ পৃষ্ঠা)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjP0R7VJtYQzjSfEh9Ful_QU9nUCVqziaygWNDtL31KiGDmA0owcs1bZSt-gkQxQ8sDUc3KeQAh9nJsQBiU4CUTcV3Nn9S5jBpzpvap3rlwsyNAbZYbNzvZGOigc608-4ot8NzOTi1EvjUq/s1600/FB_IMG_1537465701728.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="330" data-original-width="510" height="207" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjP0R7VJtYQzjSfEh9Ful_QU9nUCVqziaygWNDtL31KiGDmA0owcs1bZSt-gkQxQ8sDUc3KeQAh9nJsQBiU4CUTcV3Nn9S5jBpzpvap3rlwsyNAbZYbNzvZGOigc608-4ot8NzOTi1EvjUq/s320-rw/FB_IMG_1537465701728.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />সবকঃ- হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) নিজেও তাঁর শাহাদাতের কথা জানতেন। তা সত্বেও তাঁর মনোভাবের মধ্যে কোন পরিবর্তন আসে নি এবং শাহাদাতের উৎসাহে কোন কমতি দেখা যায়নি। বরং উৎসাহ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।</div>

রওজা পাকে হাজেরী

"কারবালার করুণ কাহিনী-৩" ---রাওজা পাকে হাজেরী--- ইয়াজিদ যখন এ কথা জানতে পারলেন যে ইমাম হোসাইন ওর বায়াত করেন নি, তখন সে খুবই রাগান্...

Read more »

রওজা পাকে হাজেরী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> "কারবালার করুণ কাহিনী-৩"<br /> <br /> ---রাওজা পাকে হাজেরী---<br /> ইয়াজিদ যখন এ কথা জানতে পারলেন যে ইমাম হোসাইন ওর বায়াত করেন নি, তখন সে খুবই রাগান্বিত হয়ে মদীনার প্রশাসককে কড়া নির্দেশ দিল যে ইমাম হোসাইনকে ওর বায়াত করার জন্য যেন চাপ সৃষ্টি করে। বায়াত না করলে ওনার মাথা কেটে ওর কাছে যেন পাটিয়ে দেয়া হয়। হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) ইয়াজিদের এ নির্দেশের কথা জানতে পেরে মদীনা মনোয়ারা ত্যাগ করে মক্কা মোয়াজ্জমা চলে যাওয়ার মনস্থ করলেন। মদীনা ত্যাগের পূর্বে রাত্রে তাঁর নানাজান হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর রোঝা পাকে হাজির হলেন এবং রাওজা পাক জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে ইয়াজিদের আচরনের বর্ণনা দিতে লাগলেন। এ অবস্থায় হঠাৎ তাঁর চোখ লেগে আসলে তিনি স্বপ্নে দেখেন যে নানাজান তশরীফ এনেছেন,তাঁকে চুমু দিলিন এবং বুকে জড়িয়ে ধরলেন। অতঃপর বললেন, প্রিয় হোসাইন শীঘ্রই জালিমেরা তোমাকে কারবালার ময়দানে ভূখা ও তৃষ্ণার্থ অবস্থায় শহীদ করবে। তোমার মা-বাবা ও ভাই তোমার অপক্ষায় আছে। তোমার জন্য বেহেস্ত নতুন ভাবে সজ্জিত করা হচ্ছে। তথায় এমন সম্মানিত উচ্চ স্থান রয়েছে যেটা শহীদ হোয়া ছাড়া তুমি পেতে পার না। যাও তুমি যাও ,সবর ও ধৈর্য সহকারে শাহাদাত বরণ করে আমার কাছে এসে যাও। হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) জাগ্রত হোয়ার পর ঘরে আসলেন এবং আহলে বায়তের সবাইকে একত্রিত করে এ স্বপ্ন শুনালেন এবং মদীনা ত্যাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন। অতঃপর ভাইয়ের মাজারে গিয়ে বিদায় নিলেন।এরপর মায়ের কবরের পাশে গিয়ে আরয করলেন-আম্মাজান আজ তোমার হোসাইন তোমার থেকে বিদায় নিতে এসেছে এবং আখেরী সালাম পেশ করছে। পবিত্র কবর থেকে আওয়াজ আসলো,ওয়া আলাইকুমুর সালাম ওহে আমার মজলুম বৎস। তিনি ওখানে দাড়িঁয়ে অনেক্ষন কাঁদলেন। অতঃপর ওখান ফিরে এসে মক্কা মুয়াজ্জমার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেলেন।<br /> ---(তাজকিরায়ে হোসাইন-২৭ পৃষ্ঠা)<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj0cLMnBEoFCSzoiZD01wfRUGl-FnYDk1KxwIV6Y_GRBDLf6ErzjtQAehYgKmJ_bocWDv1RxWNBP37n1-FVCc_UfzmT9ORIJ9XFTJhbkDOGNxWVJkYFFOtYm7dYlYB5XtlZ2OnIPDXoXQ_U/s1600/FB_IMG_1537465701728.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="330" data-original-width="510" height="207" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj0cLMnBEoFCSzoiZD01wfRUGl-FnYDk1KxwIV6Y_GRBDLf6ErzjtQAehYgKmJ_bocWDv1RxWNBP37n1-FVCc_UfzmT9ORIJ9XFTJhbkDOGNxWVJkYFFOtYm7dYlYB5XtlZ2OnIPDXoXQ_U/s320-rw/FB_IMG_1537465701728.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <br /> সবকঃ- হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) নিজেও তাঁর শাহাদাতের কথা জানতেন। তা সত্বেও তাঁর মনোভাবের মধ্যে কোন পরিবর্তন আসে নি এবং শাহাদাতের উৎসাহে কোন কমতি দেখা যায়নি। বরং উৎসাহ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।</div>

রওজা পাকে হাজেরী

"কারবালার করুণ কাহিনী-৩" ---রাওজা পাকে হাজেরী--- ইয়াজিদ যখন এ কথা জানতে পারলেন যে ইমাম হোসাইন ওর বায়াত করেন নি, তখন সে খুবই রা...

Read more »

রওজা পাকে হাজেরী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />"কারবালার করুণ কাহিনী-৩"<br /><br /><br /><br />---রাওজা পাকে হাজেরী---<br /><br />ইয়াজিদ যখন এ কথা জানতে পারলেন যে ইমাম হোসাইন ওর বায়াত করেন নি, তখন সে খুবই রাগান্বিত হয়ে মদীনার প্রশাসককে কড়া নির্দেশ দিল যে ইমাম হোসাইনকে ওর বায়াত করার জন্য যেন চাপ সৃষ্টি করে। বায়াত না করলে ওনার মাথা কেটে ওর কাছে যেন পাটিয়ে দেয়া হয়। হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) ইয়াজিদের এ নির্দেশের কথা জানতে পেরে মদীনা মনোয়ারা ত্যাগ করে মক্কা মোয়াজ্জমা চলে যাওয়ার মনস্থ করলেন। মদীনা ত্যাগের পূর্বে রাত্রে তাঁর নানাজান হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর রোঝা পাকে হাজির হলেন এবং রাওজা পাক জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে ইয়াজিদের আচরনের বর্ণনা দিতে লাগলেন। এ অবস্থায় হঠাৎ তাঁর চোখ লেগে আসলে তিনি স্বপ্নে দেখেন যে নানাজান তশরীফ এনেছেন,তাঁকে চুমু দিলিন এবং বুকে জড়িয়ে ধরলেন। অতঃপর বললেন, প্রিয় হোসাইন শীঘ্রই জালিমেরা তোমাকে কারবালার ময়দানে ভূখা ও তৃষ্ণার্থ অবস্থায় শহীদ করবে। তোমার মা-বাবা ও ভাই তোমার অপক্ষায় আছে। তোমার জন্য বেহেস্ত নতুন ভাবে সজ্জিত করা হচ্ছে। তথায় এমন সম্মানিত উচ্চ স্থান রয়েছে যেটা শহীদ হোয়া ছাড়া তুমি পেতে পার না। যাও তুমি যাও ,সবর ও ধৈর্য সহকারে শাহাদাত বরণ করে আমার কাছে এসে যাও। হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) জাগ্রত হোয়ার পর ঘরে আসলেন এবং আহলে বায়তের সবাইকে একত্রিত করে এ স্বপ্ন শুনালেন এবং মদীনা ত্যাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন। অতঃপর ভাইয়ের মাজারে গিয়ে বিদায় নিলেন।এরপর মায়ের কবরের পাশে গিয়ে আরয করলেন-আম্মাজান আজ তোমার হোসাইন তোমার থেকে বিদায় নিতে এসেছে এবং আখেরী সালাম পেশ করছে। পবিত্র কবর থেকে আওয়াজ আসলো,ওয়া আলাইকুমুর সালাম ওহে আমার মজলুম বৎস। তিনি ওখানে দাড়িঁয়ে অনেক্ষন কাঁদলেন। অতঃপর ওখান ফিরে এসে মক্কা মুয়াজ্জমার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেলেন।<br /><br />---(তাজকিরায়ে হোসাইন-২৭ পৃষ্ঠা)<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgsMHTFspmVAa-0-XYE7_rkhtR4TYCxGlA9RiUD_kqSzZ9iHhvSbSvkasxkjYSdJLjhyX9NmcpwBw5wzoJy1HMECsp8Zm1qZaoC2IniL8KCJVZDWFzunRj-n_RZL_1XSBt0u2FuD7_W4qzE/s1600/FB_IMG_1537465701728.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="330" data-original-width="510" height="207" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgsMHTFspmVAa-0-XYE7_rkhtR4TYCxGlA9RiUD_kqSzZ9iHhvSbSvkasxkjYSdJLjhyX9NmcpwBw5wzoJy1HMECsp8Zm1qZaoC2IniL8KCJVZDWFzunRj-n_RZL_1XSBt0u2FuD7_W4qzE/s320-rw/FB_IMG_1537465701728.jpg" width="320" /></a></div><br /><br /><br /><br /><br />সবকঃ- হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) নিজেও তাঁর শাহাদাতের কথা জানতেন। তা সত্বেও তাঁর মনোভাবের মধ্যে কোন পরিবর্তন আসে নি এবং শাহাদাতের উৎসাহে কোন কমতি দেখা যায়নি। বরং উৎসাহ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।</div><br />

রওজা পাকে হাজেরী

"কারবালার করুণ কাহিনী-৩" ---রাওজা পাকে হাজেরী--- ইয়াজিদ যখন এ কথা জানতে পারলেন যে ইমাম হোসাইন ওর বায়াত করেন নি, তখন সে খুবই রাগান্...

Read more »

রওজা পাকে হাজেরী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">"কারবালার করুণ কাহিনী-৩"<br /><br />---রাওজা পাকে হাজেরী---<br />ইয়াজিদ যখন এ কথা জানতে পারলেন যে ইমাম হোসাইন ওর বায়াত করেন নি, তখন সে খুবই রাগান্বিত হয়ে মদীনার প্রশাসককে কড়া নির্দেশ দিল যে ইমাম হোসাইনকে ওর বায়াত করার জন্য যেন চাপ সৃষ্টি করে। বায়াত না করলে ওনার মাথা কেটে ওর কাছে যেন পাটিয়ে দেয়া হয়। হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) ইয়াজিদের এ নির্দেশের কথা জানতে পেরে মদীনা মনোয়ারা ত্যাগ করে মক্কা মোয়াজ্জমা চলে যাওয়ার মনস্থ করলেন। মদীনা ত্যাগের পূর্বে রাত্রে তাঁর নানাজান হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর রোঝা পাকে হাজির হলেন এবং রাওজা পাক জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে ইয়াজিদের আচরনের বর্ণনা দিতে লাগলেন। এ অবস্থায় হঠাৎ তাঁর চোখ লেগে আসলে তিনি স্বপ্নে দেখেন যে নানাজান তশরীফ এনেছেন,তাঁকে চুমু দিলিন এবং বুকে জড়িয়ে ধরলেন। অতঃপর বললেন, প্রিয় হোসাইন শীঘ্রই জালিমেরা তোমাকে কারবালার ময়দানে ভূখা ও তৃষ্ণার্থ অবস্থায় শহীদ করবে। তোমার মা-বাবা ও ভাই তোমার অপক্ষায় আছে। তোমার জন্য বেহেস্ত নতুন ভাবে সজ্জিত করা হচ্ছে। তথায় এমন সম্মানিত উচ্চ স্থান রয়েছে যেটা শহীদ হোয়া ছাড়া তুমি পেতে পার না। যাও তুমি যাও ,সবর ও ধৈর্য সহকারে শাহাদাত বরণ করে আমার কাছে এসে যাও। হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) জাগ্রত হোয়ার পর ঘরে আসলেন এবং আহলে বায়তের সবাইকে একত্রিত করে এ স্বপ্ন শুনালেন এবং মদীনা ত্যাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন। অতঃপর ভাইয়ের মাজারে গিয়ে বিদায় নিলেন।এরপর মায়ের কবরের পাশে গিয়ে আরয করলেন-আম্মাজান আজ তোমার হোসাইন তোমার থেকে বিদায় নিতে এসেছে এবং আখেরী সালাম পেশ করছে। পবিত্র কবর থেকে আওয়াজ আসলো,ওয়া আলাইকুমুর সালাম ওহে আমার মজলুম বৎস। তিনি ওখানে দাড়িঁয়ে অনেক্ষন কাঁদলেন। অতঃপর ওখান ফিরে এসে মক্কা মুয়াজ্জমার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেলেন।<br />---(তাজকিরায়ে হোসাইন-২৭ পৃষ্ঠা)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgsMHTFspmVAa-0-XYE7_rkhtR4TYCxGlA9RiUD_kqSzZ9iHhvSbSvkasxkjYSdJLjhyX9NmcpwBw5wzoJy1HMECsp8Zm1qZaoC2IniL8KCJVZDWFzunRj-n_RZL_1XSBt0u2FuD7_W4qzE/s1600/FB_IMG_1537465701728.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="330" data-original-width="510" height="207" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgsMHTFspmVAa-0-XYE7_rkhtR4TYCxGlA9RiUD_kqSzZ9iHhvSbSvkasxkjYSdJLjhyX9NmcpwBw5wzoJy1HMECsp8Zm1qZaoC2IniL8KCJVZDWFzunRj-n_RZL_1XSBt0u2FuD7_W4qzE/s320-rw/FB_IMG_1537465701728.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />সবকঃ- হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) নিজেও তাঁর শাহাদাতের কথা জানতেন। তা সত্বেও তাঁর মনোভাবের মধ্যে কোন পরিবর্তন আসে নি এবং শাহাদাতের উৎসাহে কোন কমতি দেখা যায়নি। বরং উৎসাহ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।</div>

রওজা পাকে হাজেরী

"কারবালার করুণ কাহিনী-৩" ---রাওজা পাকে হাজেরী--- ইয়াজিদ যখন এ কথা জানতে পারলেন যে ইমাম হোসাইন ওর বায়াত করেন নি, তখন সে খুবই রাগান্...

Read more »

ইয়াজিদের প্রতি বীরত্বপূর্ণ জবাব

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">"কারবালার সম্পূর্ণ করুণ কাহিনী-২"<br /><br />---বীরত্বপূর্ণ জবাব---<br /><br />হযরত আমীরে মুয়াবীয়া (রাদি আল্লাহু আনহু) এর ইন্তেকালের পর যখন ইয়াজিদ সিংহাসনে বসলো, তখন সে তার আনুগত্যের জন্য চারদিকে বিভিন্ন জায়গায় চিঠি পাঠালো এবং মদীনা মনোয়ারার প্রসাসককেও চিঠি লিখলো যেন ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) কে ইয়াজিদের আনুগত্য স্বীকার করতে বলে। যখন মদীনার প্রশাসক ইমাম হোসাইনের খেতমতে হাজির হয়ে ইয়াজিদের বায়াতের কথা বলে,তখন ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) ইয়াজিতকে তার দুস্কর্মের জন্য খিলাফেতর আনুগত্য স্বীকার করবেন না বলে প্রশাসককে জানিয়ে দিলেন। প্রশাসক এই জবাব শুনে চলে গেল। ইয়াজিদের কানে এ খবর পৌছলে সে ভীষন ক্ষেপে যায়।<br />---(সিররুশ শাহাদাতাইন-১৩ পৃষ্টা)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhhY_BftmHOlj8RW8DrJ6IuAVdlyOgeJ3yedXpaSMYKhP1hU_x6o2f7ganpeNyjUbUQoGHi04-tTGs6TVRN8CovG87uQ_BjpTyXuxev3n-Xyg-hYlmTUtcfnD5_HrRGL3FyMZhkxHD7ASIZ/s1600/FB_IMG_1537465522756.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="540" data-original-width="1083" height="159" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhhY_BftmHOlj8RW8DrJ6IuAVdlyOgeJ3yedXpaSMYKhP1hU_x6o2f7ganpeNyjUbUQoGHi04-tTGs6TVRN8CovG87uQ_BjpTyXuxev3n-Xyg-hYlmTUtcfnD5_HrRGL3FyMZhkxHD7ASIZ/s320-rw/FB_IMG_1537465522756.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />সবকঃ- ইয়াজিদ বড় ফাসিক ও ফাজির ছিল। তার এ চরিত্রের কারণে হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) তার বায়াত করতে অস্বীকার করেন। হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) বাহাদুরের ছেলে বাহাদুর ছিলেন। তিনি এটা জানতেন তাঁর অস্বীকৃতিতে ইয়াজিদ তেলেবেগুনে জ্বলে উঠবে এবং নির্মমভাবে প্রতিশোধ নিতে তৎপর হবে। তবুও হক কথা বলতে দ্বিধাবোধ করেননি এবং জান রক্ষার জন্য বাস্তবকে গোপন করেন নি।</div>

ইয়াজিদের প্রতি বীরত্বপূর্ণ জবাব

"কারবালার সম্পূর্ণ করুণ কাহিনী-২" ---বীরত্বপূর্ণ জবাব--- হযরত আমীরে মুয়াবীয়া (রাদি আল্লাহু আনহু) এর ইন্তেকালের পর যখন ইয়াজিদ সিংহা...

Read more »

ইয়াজিদের প্রতি বীরত্বপূর্ণ জবাব

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> "কারবালার সম্পূর্ণ করুণ কাহিনী-২"<br /> <br /> ---বীরত্বপূর্ণ জবাব---<br /> <br /> হযরত আমীরে মুয়াবীয়া (রাদি আল্লাহু আনহু) এর ইন্তেকালের পর যখন ইয়াজিদ সিংহাসনে বসলো, তখন সে তার আনুগত্যের জন্য চারদিকে বিভিন্ন জায়গায় চিঠি পাঠালো এবং মদীনা মনোয়ারার প্রসাসককেও চিঠি লিখলো যেন ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) কে ইয়াজিদের আনুগত্য স্বীকার করতে বলে। যখন মদীনার প্রশাসক ইমাম হোসাইনের খেতমতে হাজির হয়ে ইয়াজিদের বায়াতের কথা বলে,তখন ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) ইয়াজিতকে তার দুস্কর্মের জন্য খিলাফেতর আনুগত্য স্বীকার করবেন না বলে প্রশাসককে জানিয়ে দিলেন। প্রশাসক এই জবাব শুনে চলে গেল। ইয়াজিদের কানে এ খবর পৌছলে সে ভীষন ক্ষেপে যায়।<br /> ---(সিররুশ শাহাদাতাইন-১৩ পৃষ্টা)<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiTBSpBJl4iCB1N5n3PR7Jr5JE8EjRTuL9TG172Y3TqOeu3k90Ua8qXsRkHSEbzVH34oo0T3LIb1xEL3Ky0ALSGLbGyQL6WSvb8bxgGORIlodFHnVy3k4RNnGWqNys24SFYYdtt-l7IxkAz/s1600/FB_IMG_1537465522756.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="540" data-original-width="1083" height="159" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiTBSpBJl4iCB1N5n3PR7Jr5JE8EjRTuL9TG172Y3TqOeu3k90Ua8qXsRkHSEbzVH34oo0T3LIb1xEL3Ky0ALSGLbGyQL6WSvb8bxgGORIlodFHnVy3k4RNnGWqNys24SFYYdtt-l7IxkAz/s320-rw/FB_IMG_1537465522756.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <br /> সবকঃ- ইয়াজিদ বড় ফাসিক ও ফাজির ছিল। তার এ চরিত্রের কারণে হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) তার বায়াত করতে অস্বীকার করেন। হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) বাহাদুরের ছেলে বাহাদুর ছিলেন। তিনি এটা জানতেন তাঁর অস্বীকৃতিতে ইয়াজিদ তেলেবেগুনে জ্বলে উঠবে এবং নির্মমভাবে প্রতিশোধ নিতে তৎপর হবে। তবুও হক কথা বলতে দ্বিধাবোধ করেননি এবং জান রক্ষার জন্য বাস্তবকে গোপন করেন নি।</div>

ইয়াজিদের প্রতি বীরত্বপূর্ণ জবাব

"কারবালার সম্পূর্ণ করুণ কাহিনী-২" ---বীরত্বপূর্ণ জবাব--- হযরত আমীরে মুয়াবীয়া (রাদি আল্লাহু আনহু) এর ইন্তেকালের পর যখন ইয়াজিদ ...

Read more »

ইয়াজিদের প্রতি বীরত্বপূর্ণ জবাব

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />"কারবালার সম্পূর্ণ করুণ কাহিনী-২"<br /><br /><br /><br />---বীরত্বপূর্ণ জবাব---<br /><br /><br /><br />হযরত আমীরে মুয়াবীয়া (রাদি আল্লাহু আনহু) এর ইন্তেকালের পর যখন ইয়াজিদ সিংহাসনে বসলো, তখন সে তার আনুগত্যের জন্য চারদিকে বিভিন্ন জায়গায় চিঠি পাঠালো এবং মদীনা মনোয়ারার প্রসাসককেও চিঠি লিখলো যেন ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) কে ইয়াজিদের আনুগত্য স্বীকার করতে বলে। যখন মদীনার প্রশাসক ইমাম হোসাইনের খেতমতে হাজির হয়ে ইয়াজিদের বায়াতের কথা বলে,তখন ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) ইয়াজিতকে তার দুস্কর্মের জন্য খিলাফেতর আনুগত্য স্বীকার করবেন না বলে প্রশাসককে জানিয়ে দিলেন। প্রশাসক এই জবাব শুনে চলে গেল। ইয়াজিদের কানে এ খবর পৌছলে সে ভীষন ক্ষেপে যায়।<br /><br />---(সিররুশ শাহাদাতাইন-১৩ পৃষ্টা)<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg9I1dcbpYMlHCYPUC8fmj4Y1br3caflammL4P_cfFGMkAbTHtqHedLamlcMhfo_7GQRWNyy8ku5Qf60LnxVciib11KYBI-ofEgkHszJSWcaYnSaqI0KPpFi6v7mMRSZRmM5C2r3DP4yiU9/s1600/FB_IMG_1537465522756.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="540" data-original-width="1083" height="159" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg9I1dcbpYMlHCYPUC8fmj4Y1br3caflammL4P_cfFGMkAbTHtqHedLamlcMhfo_7GQRWNyy8ku5Qf60LnxVciib11KYBI-ofEgkHszJSWcaYnSaqI0KPpFi6v7mMRSZRmM5C2r3DP4yiU9/s320-rw/FB_IMG_1537465522756.jpg" width="320" /></a></div><br /><br /><br /><br /><br />সবকঃ- ইয়াজিদ বড় ফাসিক ও ফাজির ছিল। তার এ চরিত্রের কারণে হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) তার বায়াত করতে অস্বীকার করেন। হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) বাহাদুরের ছেলে বাহাদুর ছিলেন। তিনি এটা জানতেন তাঁর অস্বীকৃতিতে ইয়াজিদ তেলেবেগুনে জ্বলে উঠবে এবং নির্মমভাবে প্রতিশোধ নিতে তৎপর হবে। তবুও হক কথা বলতে দ্বিধাবোধ করেননি এবং জান রক্ষার জন্য বাস্তবকে গোপন করেন নি।</div><br />

ইয়াজিদের প্রতি বীরত্বপূর্ণ জবাব

"কারবালার সম্পূর্ণ করুণ কাহিনী-২" ---বীরত্বপূর্ণ জবাব--- হযরত আমীরে মুয়াবীয়া (রাদি আল্লাহু আনহু) এর ইন্তেকালের পর যখন ইয়াজিদ সিংহা...

Read more »

ইয়াজিদের প্রতি বীরত্বপূর্ণ জবাব

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">"কারবালার সম্পূর্ণ করুণ কাহিনী-২"<br /><br />---বীরত্বপূর্ণ জবাব---<br /><br />হযরত আমীরে মুয়াবীয়া (রাদি আল্লাহু আনহু) এর ইন্তেকালের পর যখন ইয়াজিদ সিংহাসনে বসলো, তখন সে তার আনুগত্যের জন্য চারদিকে বিভিন্ন জায়গায় চিঠি পাঠালো এবং মদীনা মনোয়ারার প্রসাসককেও চিঠি লিখলো যেন ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) কে ইয়াজিদের আনুগত্য স্বীকার করতে বলে। যখন মদীনার প্রশাসক ইমাম হোসাইনের খেতমতে হাজির হয়ে ইয়াজিদের বায়াতের কথা বলে,তখন ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) ইয়াজিতকে তার দুস্কর্মের জন্য খিলাফেতর আনুগত্য স্বীকার করবেন না বলে প্রশাসককে জানিয়ে দিলেন। প্রশাসক এই জবাব শুনে চলে গেল। ইয়াজিদের কানে এ খবর পৌছলে সে ভীষন ক্ষেপে যায়।<br />---(সিররুশ শাহাদাতাইন-১৩ পৃষ্টা)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg9I1dcbpYMlHCYPUC8fmj4Y1br3caflammL4P_cfFGMkAbTHtqHedLamlcMhfo_7GQRWNyy8ku5Qf60LnxVciib11KYBI-ofEgkHszJSWcaYnSaqI0KPpFi6v7mMRSZRmM5C2r3DP4yiU9/s1600/FB_IMG_1537465522756.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="540" data-original-width="1083" height="159" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg9I1dcbpYMlHCYPUC8fmj4Y1br3caflammL4P_cfFGMkAbTHtqHedLamlcMhfo_7GQRWNyy8ku5Qf60LnxVciib11KYBI-ofEgkHszJSWcaYnSaqI0KPpFi6v7mMRSZRmM5C2r3DP4yiU9/s320-rw/FB_IMG_1537465522756.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />সবকঃ- ইয়াজিদ বড় ফাসিক ও ফাজির ছিল। তার এ চরিত্রের কারণে হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) তার বায়াত করতে অস্বীকার করেন। হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) বাহাদুরের ছেলে বাহাদুর ছিলেন। তিনি এটা জানতেন তাঁর অস্বীকৃতিতে ইয়াজিদ তেলেবেগুনে জ্বলে উঠবে এবং নির্মমভাবে প্রতিশোধ নিতে তৎপর হবে। তবুও হক কথা বলতে দ্বিধাবোধ করেননি এবং জান রক্ষার জন্য বাস্তবকে গোপন করেন নি।</div>

ইয়াজিদের প্রতি বীরত্বপূর্ণ জবাব

"কারবালার সম্পূর্ণ করুণ কাহিনী-২" ---বীরত্বপূর্ণ জবাব--- হযরত আমীরে মুয়াবীয়া (রাদি আল্লাহু আনহু) এর ইন্তেকালের পর যখন ইয়াজিদ সিংহা...

Read more »

কারবালার সম্মুখে ইমাম হোসাইন রাঃ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">"কারবালার সম্পূর্ণ করুণ কাহিনী-১"<br /><br />----কারবালার সম্মুখে----<br /><br />একদিন হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর কোলে ছিলেন। হযরত উম্মুল ফজল হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর দিকে তাকালে দেখতে পান যে তার চক্ষুদ্বয় থেকে অঝোরে প্রবাহিত হচ্ছে। উম্মুল ফজল আরজ করলেন,ইয়া রসূলাল্লাহ্! হঠাৎ চোখে পানি কেন? হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ফরমালেন, এ মাত্র জিব্রাইল এসে আমাকে খবর দিয়েছে যে আমার এ শিশুক আমার উম্মত হত্যা করে ফেলবে। জিব্রাইল আমাকে সেই জমীনের মাটি এনে দিয়েছেন যেখানে আমার এ শিশু শহীদ হবে।<br />হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) সেই মাটি শুঁকে দেখলেন এবং বললেন,এ মাটি থেকে আমি কারবালার সুঘ্রান পাচ্ছি। অতঃপর সেই মাটি উম্মুল মুমেনীন হযরত উম্মে সালমা (রাদি আল্লাহু আনহু) কে দিলেন এবং বললেন, হে উম্মে সালমা, এ মাটি তোর কাছে রেখো। যখন এ মাটি রক্ত হয়ে যাবে তখন বুঝিও যে আমার এ নানু শহীদ হয়ে গেছে। হযরত উম্মে সালমা (রাদি আল্লাহু আনহু) এ মাটি একটি শিশিতে ভরে যত্ন সহকারে রেখে ছিলেন। যে দিন হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) কারবালা ময়দানে শহীদ হন, সেই দিন এ মাটি মুখবন্ধ শিশিতে রক্তে রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছিল।<br />---(মিশকাত শরীফঃ- ৫৬৪ পৃষ্টা)।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjjZLUEBJnm-u-K9_LSfr9NH9DZtVvgB0up4wtzClgfbizkeQXA4vwoKLlbXGGOHhr_hxgnBt-J9Bk8ufP9eTFML1-ewcpzYfb-p4z5TZXiOr01hAoy2miZknBDWIF2-6y9TZ5Ccc6umJb0/s1600/FB_IMG_1537465345011.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="480" data-original-width="852" height="180" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjjZLUEBJnm-u-K9_LSfr9NH9DZtVvgB0up4wtzClgfbizkeQXA4vwoKLlbXGGOHhr_hxgnBt-J9Bk8ufP9eTFML1-ewcpzYfb-p4z5TZXiOr01hAoy2miZknBDWIF2-6y9TZ5Ccc6umJb0/s320-rw/FB_IMG_1537465345011.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />সবকঃ- হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর কাছে উনার কলিজার টুকরা হয়রত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর শাহাদাতের কথা জানা ছিল।শাহাদাতের স্থানের কথাও জানা ছিল। মোট কথা তাঁর কাছে কোন কিছু অজানা ছিলনা। হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর এটাও জানা ছিল যে হযরত উম্মে সালমা হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর শাহাদাতের পরও জীবিত থাকবেন। সে জন্যই সেই মাটি ওনার হেফাজতে দিয়েছিলেন। এ কিছুর পরও কেউ যদি হুজুরের অদৃশ্য জ্ঞানের ব্যাপারে সন্দেহ করে, ওর থেকে বড় জাহিল আর কে হতে পারে?</div>

কারবালার সম্মুখে ইমাম হোসাইন রাঃ

"কারবালার সম্পূর্ণ করুণ কাহিনী-১" ----কারবালার সম্মুখে---- একদিন হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ও...

Read more »

কারবালার সম্মুখে ইমাম হোসাইন রাঃ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> "কারবালার সম্পূর্ণ করুণ কাহিনী-১"<br /> <br /> ----কারবালার সম্মুখে----<br /> <br /> একদিন হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর কোলে ছিলেন। হযরত উম্মুল ফজল হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর দিকে তাকালে দেখতে পান যে তার চক্ষুদ্বয় থেকে অঝোরে প্রবাহিত হচ্ছে। উম্মুল ফজল আরজ করলেন,ইয়া রসূলাল্লাহ্! হঠাৎ চোখে পানি কেন? হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ফরমালেন, এ মাত্র জিব্রাইল এসে আমাকে খবর দিয়েছে যে আমার এ শিশুক আমার উম্মত হত্যা করে ফেলবে। জিব্রাইল আমাকে সেই জমীনের মাটি এনে দিয়েছেন যেখানে আমার এ শিশু শহীদ হবে।<br /> হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) সেই মাটি শুঁকে দেখলেন এবং বললেন,এ মাটি থেকে আমি কারবালার সুঘ্রান পাচ্ছি। অতঃপর সেই মাটি উম্মুল মুমেনীন হযরত উম্মে সালমা (রাদি আল্লাহু আনহু) কে দিলেন এবং বললেন, হে উম্মে সালমা, এ মাটি তোর কাছে রেখো। যখন এ মাটি রক্ত হয়ে যাবে তখন বুঝিও যে আমার এ নানু শহীদ হয়ে গেছে। হযরত উম্মে সালমা (রাদি আল্লাহু আনহু) এ মাটি একটি শিশিতে ভরে যত্ন সহকারে রেখে ছিলেন। যে দিন হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) কারবালা ময়দানে শহীদ হন, সেই দিন এ মাটি মুখবন্ধ শিশিতে রক্তে রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছিল।<br /> ---(মিশকাত শরীফঃ- ৫৬৪ পৃষ্টা)।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhiEU57ze6cip-rfb1ex7GCGBvvFZYOxuWVlEwUDy59ySqeb8Fmpj5E0kuCYS3GE4iU7jpM5lC9roBt20pI4UNReat64xxDkYiGo11PXNrNe6a_J-R0kfhyphenhyphenTk_frNJtQQ0MimbHcG8o3GqB/s1600/FB_IMG_1537465345011.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="480" data-original-width="852" height="180" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhiEU57ze6cip-rfb1ex7GCGBvvFZYOxuWVlEwUDy59ySqeb8Fmpj5E0kuCYS3GE4iU7jpM5lC9roBt20pI4UNReat64xxDkYiGo11PXNrNe6a_J-R0kfhyphenhyphenTk_frNJtQQ0MimbHcG8o3GqB/s320-rw/FB_IMG_1537465345011.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <br /> সবকঃ- হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর কাছে উনার কলিজার টুকরা হয়রত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর শাহাদাতের কথা জানা ছিল।শাহাদাতের স্থানের কথাও জানা ছিল। মোট কথা তাঁর কাছে কোন কিছু অজানা ছিলনা। হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর এটাও জানা ছিল যে হযরত উম্মে সালমা হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর শাহাদাতের পরও জীবিত থাকবেন। সে জন্যই সেই মাটি ওনার হেফাজতে দিয়েছিলেন। এ কিছুর পরও কেউ যদি হুজুরের অদৃশ্য জ্ঞানের ব্যাপারে সন্দেহ করে, ওর থেকে বড় জাহিল আর কে হতে পারে?</div>

কারবালার সম্মুখে ইমাম হোসাইন রাঃ

"কারবালার সম্পূর্ণ করুণ কাহিনী-১" ----কারবালার সম্মুখে---- একদিন হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলা...

Read more »

কারবালার সম্মুখে ইমাম হোসাইন রাঃ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />"কারবালার সম্পূর্ণ করুণ কাহিনী-১"<br /><br /><br /><br />----কারবালার সম্মুখে----<br /><br /><br /><br />একদিন হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর কোলে ছিলেন। হযরত উম্মুল ফজল হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর দিকে তাকালে দেখতে পান যে তার চক্ষুদ্বয় থেকে অঝোরে প্রবাহিত হচ্ছে। উম্মুল ফজল আরজ করলেন,ইয়া রসূলাল্লাহ্! হঠাৎ চোখে পানি কেন? হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ফরমালেন, এ মাত্র জিব্রাইল এসে আমাকে খবর দিয়েছে যে আমার এ শিশুক আমার উম্মত হত্যা করে ফেলবে। জিব্রাইল আমাকে সেই জমীনের মাটি এনে দিয়েছেন যেখানে আমার এ শিশু শহীদ হবে।<br /><br />হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) সেই মাটি শুঁকে দেখলেন এবং বললেন,এ মাটি থেকে আমি কারবালার সুঘ্রান পাচ্ছি। অতঃপর সেই মাটি উম্মুল মুমেনীন হযরত উম্মে সালমা (রাদি আল্লাহু আনহু) কে দিলেন এবং বললেন, হে উম্মে সালমা, এ মাটি তোর কাছে রেখো। যখন এ মাটি রক্ত হয়ে যাবে তখন বুঝিও যে আমার এ নানু শহীদ হয়ে গেছে। হযরত উম্মে সালমা (রাদি আল্লাহু আনহু) এ মাটি একটি শিশিতে ভরে যত্ন সহকারে রেখে ছিলেন। যে দিন হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) কারবালা ময়দানে শহীদ হন, সেই দিন এ মাটি মুখবন্ধ শিশিতে রক্তে রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছিল।<br /><br />---(মিশকাত শরীফঃ- ৫৬৪ পৃষ্টা)।<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiGInaOWyWDySFljZoSIAyKlipOTU-K1exT2eglSBM53cbthesRe8nVhW1pjVI7E5CXxxOu23jAGo_9-VOuTOp8pqMFhSHCX0KY6zxJ7dZFFzvsPwTIUpHaLrKw-MNCVugkRuclYQSi0aPp/s1600/FB_IMG_1537465345011.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="480" data-original-width="852" height="180" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiGInaOWyWDySFljZoSIAyKlipOTU-K1exT2eglSBM53cbthesRe8nVhW1pjVI7E5CXxxOu23jAGo_9-VOuTOp8pqMFhSHCX0KY6zxJ7dZFFzvsPwTIUpHaLrKw-MNCVugkRuclYQSi0aPp/s320-rw/FB_IMG_1537465345011.jpg" width="320" /></a></div><br /><br /><br /><br /><br />সবকঃ- হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর কাছে উনার কলিজার টুকরা হয়রত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর শাহাদাতের কথা জানা ছিল।শাহাদাতের স্থানের কথাও জানা ছিল। মোট কথা তাঁর কাছে কোন কিছু অজানা ছিলনা। হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর এটাও জানা ছিল যে হযরত উম্মে সালমা হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর শাহাদাতের পরও জীবিত থাকবেন। সে জন্যই সেই মাটি ওনার হেফাজতে দিয়েছিলেন। এ কিছুর পরও কেউ যদি হুজুরের অদৃশ্য জ্ঞানের ব্যাপারে সন্দেহ করে, ওর থেকে বড় জাহিল আর কে হতে পারে?</div><br />

কারবালার সম্মুখে ইমাম হোসাইন রাঃ

"কারবালার সম্পূর্ণ করুণ কাহিনী-১" ----কারবালার সম্মুখে---- একদিন হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ও...

Read more »

কারবালার সম্মুখে ইমাম হোসাইন রাঃ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">"কারবালার সম্পূর্ণ করুণ কাহিনী-১"<br /><br />----কারবালার সম্মুখে----<br /><br />একদিন হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর কোলে ছিলেন। হযরত উম্মুল ফজল হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর দিকে তাকালে দেখতে পান যে তার চক্ষুদ্বয় থেকে অঝোরে প্রবাহিত হচ্ছে। উম্মুল ফজল আরজ করলেন,ইয়া রসূলাল্লাহ্! হঠাৎ চোখে পানি কেন? হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ফরমালেন, এ মাত্র জিব্রাইল এসে আমাকে খবর দিয়েছে যে আমার এ শিশুক আমার উম্মত হত্যা করে ফেলবে। জিব্রাইল আমাকে সেই জমীনের মাটি এনে দিয়েছেন যেখানে আমার এ শিশু শহীদ হবে।<br />হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) সেই মাটি শুঁকে দেখলেন এবং বললেন,এ মাটি থেকে আমি কারবালার সুঘ্রান পাচ্ছি। অতঃপর সেই মাটি উম্মুল মুমেনীন হযরত উম্মে সালমা (রাদি আল্লাহু আনহু) কে দিলেন এবং বললেন, হে উম্মে সালমা, এ মাটি তোর কাছে রেখো। যখন এ মাটি রক্ত হয়ে যাবে তখন বুঝিও যে আমার এ নানু শহীদ হয়ে গেছে। হযরত উম্মে সালমা (রাদি আল্লাহু আনহু) এ মাটি একটি শিশিতে ভরে যত্ন সহকারে রেখে ছিলেন। যে দিন হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) কারবালা ময়দানে শহীদ হন, সেই দিন এ মাটি মুখবন্ধ শিশিতে রক্তে রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছিল।<br />---(মিশকাত শরীফঃ- ৫৬৪ পৃষ্টা)।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiGInaOWyWDySFljZoSIAyKlipOTU-K1exT2eglSBM53cbthesRe8nVhW1pjVI7E5CXxxOu23jAGo_9-VOuTOp8pqMFhSHCX0KY6zxJ7dZFFzvsPwTIUpHaLrKw-MNCVugkRuclYQSi0aPp/s1600/FB_IMG_1537465345011.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="480" data-original-width="852" height="180" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiGInaOWyWDySFljZoSIAyKlipOTU-K1exT2eglSBM53cbthesRe8nVhW1pjVI7E5CXxxOu23jAGo_9-VOuTOp8pqMFhSHCX0KY6zxJ7dZFFzvsPwTIUpHaLrKw-MNCVugkRuclYQSi0aPp/s320-rw/FB_IMG_1537465345011.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />সবকঃ- হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর কাছে উনার কলিজার টুকরা হয়রত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর শাহাদাতের কথা জানা ছিল।শাহাদাতের স্থানের কথাও জানা ছিল। মোট কথা তাঁর কাছে কোন কিছু অজানা ছিলনা। হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর এটাও জানা ছিল যে হযরত উম্মে সালমা হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর শাহাদাতের পরও জীবিত থাকবেন। সে জন্যই সেই মাটি ওনার হেফাজতে দিয়েছিলেন। এ কিছুর পরও কেউ যদি হুজুরের অদৃশ্য জ্ঞানের ব্যাপারে সন্দেহ করে, ওর থেকে বড় জাহিল আর কে হতে পারে?</div>

কারবালার সম্মুখে ইমাম হোসাইন রাঃ

"কারবালার সম্পূর্ণ করুণ কাহিনী-১" ----কারবালার সম্মুখে---- একদিন হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ও...

Read more »