জালিমদের ধ্বংস নিশ্চিত

<p dir="ltr">রঙের খেলা রঙের দুনিয়া,<br>রক্তে রঞ্জিত প্রাণপাখির কায়া !<br>যেদিন সুতোয় টান পড়বে,<br>দেখবে সেদিন কবরই ছিল একমাত্র ঠিকানা !<br>তাই আজ যা লাফানোর লাফিয়ে নাও,<br>আগামীকাল সে সুযোগ নাও পেতে পার;<br>কে জানে ঐদিন আজ্রাইল,<br>কোন রূপ নিয়ে তোমার মেহমান হবে ! <br>→ (মাসুম বিল্লাহ সানি)<br></p>

জালিমদের ধ্বংস নিশ্চিত

রঙের খেলা রঙের দুনিয়া, রক্তে রঞ্জিত প্রাণপাখির কায়া ! যেদিন সুতোয় টান পড়বে, দেখবে সেদিন কবরই ছিল একমাত্র ঠিকানা ! তাই আজ যা লাফানোর লাফিয়ে ন...

Read more »

আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম নবী পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নুর মোবরক সৃষ্টি করেছেন

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম নবী পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নুর মোবরক সৃষ্টি করেছেন<br /><br />আমাদের প্রিয় নবীজী হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু<br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূর এ মুজাস্সাম। সর্ব<br />প্রথম আল্লাহ পাক উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন। এ<br />প্রসঙ্গে সহীহ হাদীস শরীফে বর্নিত আছে। হাদীস<br />শরীফখানা বর্ননা করেন ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের উস্তাদের উস্তাদ।<br />ইমাম আহমদ বিন হাম্মল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার<br />উস্তাদ,ইমামে আযম আবু<br />হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ছাত্র, বিখ্যাত<br />মুহাদ্দিস , তাবে তাবেয়ী, হাফিজে হাদীস,<br />আল্লামা আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার<br />বিখ্যাত হাদীস শরীফ গ্রন্থ “মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক”<br />১ম খন্ড ৯৯ পৃষ্ঠায় ১৮ নং হাদীস শরীফে।<br />ইমাম হযরত আব্দুর রাজ্জাক<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস শরীফ বর্ননা করেন<br />হযরত মা’মার বিন রশীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে,<br />তিনি বর্ননা করেন মুহম্মদ বিন মুনকদার<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি বর্ণনা করেন<br />বিখ্যাত ছাহাবী জাবির বিন আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু<br />আনহু থেকে। হাদীস শরীফ – ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮ ﺭﺻﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻗﻠﺖ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ<br />ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺑﺎﺑﻲ ﺍﻧﺖ ﻭ ﺍﻣﻲ ﺍﺧﺒﺮﻧﻲ ﻋﻦ ﺍﻭﻝ ﺷﻴﻲﺀ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ<br />ﻗﺎﻝ ﻳﺎ ﺟﺎﺑﺮ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻗﺪ ﺧﻠﻖ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻧﻮﺭ ﻧﺒﻴﻚ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻩ ﻓﺠﻌﻞ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻨﻮﺭ ﻳﺪﻭﺭ<br />ﺑﺎﻟﻘﺪﺭﺓ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻭﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻓﻲ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻮﻗﺖ ﻟﻮﺡ ﻭﻻ ﻗﻠﻢ ﻭﻻ ﺟﺘﺔ ﻭﻻ ﻧﺎﺭ ﻭﻻ ﻣﻠﻚ<br />ﻭﻻ ﺳﻤﺎﺀ ﻭﻻ ﺍﺭﺽ ﻭﻻ ﺷﻤﺲ ﻭﻻ ﻗﻤﺮ ﻭﻻ ﺟﻨﻲ ﻭﻻ ﺍﻧﺴﻲ .… ﺍﻟﻲ ﺍﺧﺮ<br />অর্থ: হযরত জাবের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত,<br />তিনি বলেন, আমি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু<br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ<br />ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার<br />পিতা মাতা আপনার জন্য কুরবানি হোক,<br />আপনি আমাকে জানিয়ে দিন যে, আল্লাহ পাক সর্ব<br />প্রথম কোন জিনিস সৃষ্টি করেছেন? তিনি বলেন,<br />হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক<br />সর্ব প্রথম সব কিছুর পূর্বে আপনার নবীর নূর মুবারক<br />সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর সেই নূর মুবারক আল্লাহ পাক<br />উনার ইচ্ছা অনুযায়ী কুদরতের মাঝে ঘুরছিলো।আর<br />সে সময় লওহো, ক্বলম, জান্নাত, জাহান্নাম, ফেরেশতা,<br />আসমান, জমিন, চন্দ্র, সূর্য, মানুষ ও জ্বিন কিছুই<br />ছিলো না। “<br />দলীল সমুহ —<br />(১) মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক ১/৯৯, হাদীস ১৮<br />(২) দালায়েলুন নবুওয়াত ১৩/৬৩<br />(৩) মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া ১/৯<br />(৪) মাদারেজুন নবুওয়াত ২/২<br />(৫) যুরকানী ১/৪৬<br />(৬) রুহুল মায়ানী ১৭/১০৫<br />(৭) সিরাতে হলবীয়া ১/৩০<br />(৮) মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃ<br />(৯) ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া ১৮৯ পৃ<br />(১০) নি’ মাতুল কুবরা ২ পৃ<br />(১১) হাদ্বীকায়ে নদীয়া ২/৩৭৫<br />(১২) দাইলামী শরীফ ২/১৯১<br />(১৩) মকতুবাত শরীফ ৩ খন্ড ১০০ নং মকতুব<br />(১৪) মওজুয়াতুল কবীর ৮৩ পৃ<br />(১৫) ইনছানুল উয়ুন ১/২৯<br />(১৬) নূরে মুহম্মদী ৪৭ পৃ<br />(১৭) আল আনোয়ার ফি মাওলিদিন নবী ৫ পৃ<br />(১৮) আফদ্বালুল ক্বোরা<br />(১৯) তারীখুল খমীস ১/২০<br />(২০) নুজহাতুল মাজালিস ১ খন্ড<br />(২১) দুররুল মুনাজ্জাম ৩২ পৃ<br />(২২) কাশফুল খফা ১/৩১১<br />(২৩) তারিখ আননূর ১/৮<br />(২৪) আনোয়ারে মুহম্মদীয়া ১/৭৮<br />(২৫) আল মাওয়ারিদে রাবী ফী মাওলীদিন নবী ৪০<br />পৃষ্ঠা ।<br />(২৬) তাওয়ারীখে মুহম্মদ<br />(২৭) আনফাসে রহীমিয়া<br />(২৮) মা’ য়ারিফে মুহম্মদী<br />(২৯) মজমুয়ায়ে ফতোয়া ২/২৬০<br />(৩০) নশরুতত্বীব ৫ পৃ<br />(৩১) আপকা মাসায়েল আওর উনকা হাল ৩/৮৩<br />(৩২) শিহাবুছ ছাকিব ৫০<br />(৩৩) মুনছিবে ইছমত ১৬ পৃ<br />(৩৪) রেসালায়ে নূর ২ পৃ<br />(৩৫) হাদীয়াতুল মাহদী ৫৬পৃ<br />(৩৬) দেওবন্দী আজিজুল হক অনুবাদ কৃত বুখারী শরীফ ৫/৩<br />আমাদের সমাজের অনেক দেওবন্দী/ খারেজী/ওহাবী/<br />লা মাযহাবী/ তাবলীগি ইত্যাদি বাতিল ফির্কা এই<br />হাদীস শরীফকে নিজেদের সার্থ চরিতার্থ করার জন্য<br />জাল/দুর্বল বলে থাক। আসুন আমরা সত্যতার<br />মাপকাঠিতে হাদীস শরীফটির সনদ যাচাই করে দেখি।<br />যিনি এ হাদীস শরীফ বর্ননা করেছেন তিনি হচ্ছেন<br />হাফিজে হাদীস,ইমাম আব্দুর রাজ্জাক<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ইমাম আব্দুর রাজ্জাক<br />রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হলেন মুসলিম উম্মাহের<br />সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দীস ইমাম<br />বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর দাদা উস্তাদ।<br />যদি বিতর্কের খাতিরে ধরেই নেই আব্দুর রাজ্জাক<br />রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর কিতাবে দুর্বল হাদীস<br />উল্লেখ করেছেন তাহলে বলতে হয় বুখারী শারীফেও<br />দুর্বল হাদীস আছে যেহেতু ইমাম<br />বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হাদীস শাস্ত্রের<br />জ্ঞান লাভ করেছেন আব্দুর রাজ্জাক<br />রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর কাছ থেকে। কিন্তু<br />বুখারী শারীফে দুর্বল হাদীস আছে সেটা কেউই বলেন<br />না। তাই “হাদীসটি দুর্বল/জাল” কথাটি ভুল প্রমাণীত<br />হল।<br />হাদীসের সনদটি নিম্নরূপ :<br />হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম<br />↓<br />জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু<br />↓<br />মুহাম্মাদ বিন মুঙ্কদার রাহমাতুল্লাহি আলাইহি<br />↓<br />মা’মার বিন রাশীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি<br />↓<br />আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি।<br />সুবহানাল্লাহ্ !!!<br />এবার দেখা যাক বর্নিত হাদীস শরীফ উনার রাবীদের<br />সম্পর্কে মুহাদ্দীসগণের মন্তব্য : হাফিজে হাদীস,<br />তাবে তাবেয়ীন ইমাম আব্দুর রাজ্জাক<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি : আহমাদ ইবন সালীহ<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “আমি একবার আহমাদ<br />বিন হাম্বল<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনকে জিজ্ঞাসা করলাম,<br />আপনি হাদীস শাস্ত্রে আব্দুর রাজ্জাক<br />রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে নির্ভরযোগ্য আর<br />কাউকে পেয়েছেন? আহমাদ বিন হাম্বল<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, না”।<br />দলীল-<br />√ তাহজিবুত তাহজিব লি হাফিয ইবনে হাজর<br />আসক্বলানী ২/৩৩১<br />হাদীস শরীফ উনার অপর রাবী মা’মার বিন রাশীদ<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি :<br />উনার সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল<br />রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি বাসরার সকল হাদীস<br />শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞের থেকে মুসান্নাফ আব্দুর<br />রাজ্জাকে মা’মার বিন রাশীদ এর<br />সূত্রে পাওয়া হাদীসগুলো পছন্দ করি। ইবন হাজর<br />আসকলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে প্রখর<br />স্বরনশক্তি সম্পন্ন এবং নির্ভরযোগ্য বলেন।<br />দলীল-<br />√ তাহজিবুত তাহজিব ১/৫০৫<br />√ আসমাউর রেজাল।<br />উক্ত মা’মার বিন রাশীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার<br />সূত্রে বর্ণিত বুখারী শারীফের হাদীস সংখ্যা প্রায়<br />২২৫ এবং মুসলিম শারীফে বর্ণিত হাদীস সংখ্যা প্রায়<br />৩০০ টি।<br />সুবহানাল্লাহ্ !<br />হাদীসটির আরেক রাবী হলেন মুহাম্মাদ বিন মুকদার<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি : ইমাম<br />হুমায়দি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, মুকদার<br />রহমতুল্লাহি আলাইহি একজন হাফিজ,ইমাম জারাহ<br />তাদীলের ইমাম ইবন মা’ঈন<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, উনি নির্ভরযোগ্য।<br />দলীল-<br />√ তাহজিবুত তাহজিব ০৯/১১০৪৮<br />√ আসমাউর রেজাল ।<br />হযরত মুনকদার রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত<br />হাদীসের সংখ্যা বুখারী শারীফে ৩০টি এবং মুসলিম<br />শারীফে ২২টি। সুবহানাল্লাহ্ !! আর মূল<br />বর্ননাকারী হলেন হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু<br />একজন সুপ্রসিদ্ধ সাহাবী। বুখারী ও মুসলিম শারীফের<br />উনার থেকে বর্ণিত অনেক হাদীস আছে।<br />সুতরাং বুঝা গেল। হাদীসটির সকল রাবীই নির্ভরযোগ্য<br />এবং উনাদের সূত্রে বুখারী ও মুসলিম শারীফেও হাদীস<br />বর্ণিত আছে। সুতরাং বলা যায়, ইমাম বুখারী ও মুসলিম<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উভয়ের হাদীস<br />শর্তানুসারে হাদীসটি সহীহ। সুবহানাল্লাহ্ !!<br /><br />আলহামদুলিল্লাহ ! আমরা পরিস্কার<br />এবং বিশুদ্ধ সনদের মাধ্যমে হাদীস শরীফটির<br />গ্রহনযোগ্যতা জানতে পারলাম। এবার আসুন<br />আমরা দেখি উক্ত হাদীস শরীফ সম্পর্কে মুহাদ্দিস<br />এবং হাদীস শরীফ বিশারদগন কি বলেছেন।<br />উক্ত বিশুদ্ধ হাদীস শরীফ খানা নিজ কিতাবে সহীহ<br />বলে উল্লেখ করেছেন বিখ্যাত মুহাদ্দিস<br />আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ইমাম<br />বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে বলা হয় – ”<br />ইমাম বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন স্বীয়<br />যুগের হাদীস শরীফ এবং ফিক্বাহ শাস্ত্রের<br />অপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্যক্তিত্ব। উম্মত যাদের মাধ্যমে খুব<br />উপকৃত হয়েছে এবং হাফিজে হাদীস এমন সাত<br />ব্যক্তি ছিলেন তাদের যাদের গ্রন্থ সবচাইতে উৎকৃষ্ট<br />বলে স্বীকৃত। সেই সাত জনের একজন হলেন, ইমাম<br />বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ।”<br />দলীল-<br />√ আসমাউর রেজাল-বাবু আইম্মাতুল হাদীস।<br />এই জগৎবিখ্যত মুহাদ্দিস ইমাম,<br />আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার<br />কিতাবে বর্ননা করেন–<br />ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺧﻠﻖ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻧﻮﺭ ﻧﺒﻴﻚ<br />“….. নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম উনার<br />নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার “নূর”<br />মুবারক সৃষ্টি করেন।”<br />দলীল-<br />√ দালায়েলুন নবুওয়াত লিল বায়হাক্বী ১৩ তম খন্ড ৬৩<br />পৃষ্ঠা।<br />বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস, যিনি এই উপমহাদেশে হাদীস<br />শরীফের ব্যাপক প্রচার প্রসার করেছেন, সু দীর্ঘ সময়<br />মদীনা শরীফে যিনি ইলিম চর্চা করেছেন।<br />যিনি প্রতিদিন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু<br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাক্ষাত লাভ করতেন,<br />ইমামুল মুহাদ্দিসীন শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস<br />দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি উক্ত<br />হাদীসে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বা নূর সংক্রান্ত<br />হাদীস শরীফকে সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন।<br />তিনি উনার কিতাবে লিখেন – ﺩﺭﺣﺪﻳﺚ ﺻﺤﻴﺢ ﻭﺍﺭﺩ ﺷﺪ ﻛﻪ ﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ<br />ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭﻱ<br />অর্থ: “সহীহ হাদীস শরীফে” বর্নিত হয়েছে যে, হুজুর<br />পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,<br />মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম আমার নূর মুবারক<br />সৃষ্টি করেন!”<br />দলীল-<br />√ মাদারেজুন নবুওয়াত ২য় খন্ড ২ পৃষ্ঠা।<br />বিখ্যাত মুহাদ্দিস, আরেফ বিল্লাহ,<br />সাইয়্যিদিনা আব্দুল<br />গনী নাবেলসী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস<br />শরীফকে সরাসরি সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন।<br />তিনি বলেন – ﻗﺪ ﺧﻠﻖ ﻛﻞ ﺷﻴﻲ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻩ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻛﻤﺎ ﻭﺭﺩ ﺑﻪ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ<br />ﺍﻟﺼﺤﻴﺢ<br />অর্থ: নিশ্চয়ই প্রত্যেক জনিস হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু<br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক<br />থেকে সৃষ্টি হয়েছে, যেমন এ ব্যাপারে ‘সহীহ’ হাদীস<br />শরীফ বর্নিত রয়েছে।”<br />দলীল-<br />√ হাদীক্বায়ে নদীয়া- দ্বিতীয় অধ্যায়-৬০ তম<br />অনুচ্ছেদ-২য় খন্ড ৩৭৫ পৃষ্ঠা।<br />ইমামুল মুফাসরিরীন, মুফতীয়ে বাগদাদ, হযরত<br />আলূসী বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস<br />শরীফকে নির্ভরযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন।<br />তিনি উনার কিতাবে লিখেন – ﻭﻟﺬﺍ ﻛﺎﻥ ﻧﻮﺭﻩ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ<br />ﺍﻭﻝ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﺎﺕ ﻓﻔﻲ ﺍﻟﺨﺒﺮ ﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻧﻮﺭ ﻧﺒﻴﻚ ﻳﺎﺟﺎﺑﺮ<br />অর্থ : সকল মাখলুকাতের মধ্যে সর্বপ্রথম সৃষ্টি হলো,<br />নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যেমন-<br />হাদীস শরীফে বর্নিত আছে, হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু<br />আনহু! আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আপনার নবী ছল্লাল্লাহু<br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন।”<br />দলীল-<br />√ রুহুল মায়ানী ১৭ তম খন্ড ১০৫ পৃষ্ঠা।<br />বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন,আল্লামা ইমাম মুহম্মদ মাহদ<br />ইবনে আহমদ ফার্সী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত<br />হাদীস শরীফকে সহীহ বলে নিজের কিতাব<br />মুবারকে উল্লেখ করেছেন। তিনি বর্ননা করেন – ﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ<br />ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭﻩ ﻭﻣﻦ ﻧﻮﺭﻱ ﺧﻠﻖ ﻛﻞ ﺵﺀﻱ<br />অর্থ : মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আমার নূর মুবারক<br />সৃষ্টি করেন এবং আমার নূর মুবারক থেকে সবকিছু<br />সৃষ্টি করেন।”<br />দলীল-<br />√ মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃষ্ঠা ।<br />উক্ত হাদীস শরীফের সমর্থনে বিখ্যাত মুহাদ্দিস,<br />ছহীবে মেরকাত, ইমামুল মুহাদ্দিসীন<br />মুল্লা আলী কারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন –<br />ﻭﺍﻣﺎﻧﻮﺭﻩ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻓﻬﻮ ﻓﻲ ﻏﺎﻳﺎﺓ ﻣﻦ ﺍﻟﻈﻬﻮﺭ ﺷﺮﻗﺎ ﻭ ﻏﺮﺑﺎ ﻭﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ<br />ﻧﻮﺭﻩ ﻭﺳﻤﺎﻩ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺑﻪ ﻧﻮﺭﺍ<br />অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম<br />উনার নূর মুবারক পূর্ব ও পশ্চিমে পূর্নরুপে প্রকাশ<br />পেয়েছে। আর মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম উনার নূর<br />মুবারক সৃষ্টি করেন। তাই নিজ কিতাব কালামুল্লাহ<br />শরীফে উনার নাম মুবারক রাখেন ‘নূর’।”<br />দলীল-<br />√ আল মওযুআতুল কবীর ৮৩ পৃষ্ঠা।<br />বিখ্যাত মুহাদ্দিস, আল্লামা আবুল হাসান বিন<br />আব্দিল্লাহ আল বিকরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন<br />— ﻗﺎﻝ ﻋﻠﻲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻻ ﺷﻲﺀ ﻣﻌﻪ ﻓﺎﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﻧﻮﺭ ﺣﺒﻴﺒﻪ ﻗﺒﻞ ﺍﻥ ﻳﺨﻠﻖ<br />ﺍﻟﻤﺎﺀ ﻭﺍﻟﻌﺮﺵ ﻭﺍﻟﻜﺮﺳﻲ ﻭﺍﻟﻠﻮﺡ ﻭﺍﻟﻘﻠﻢ ﻭﺍﻟﺠﻨﺔ ﻭﺍﻧﺎﺭ ﻭﺍﻟﺤﺠﺎﺏ<br />অর্থ: হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া আলাইহিস<br />সালাম বলেন, শুধুমাত্র আল্লাহ পাক ছিলেন, তখন অন্য<br />কোন অস্তিত্ব ছিলো না। অতঃপর<br />তিনি পানি,আরশ,কুরসী, লওহো,ক্বলম,জান্নাত,<br />জাহান্নাম ও পর্দা সমূহ ইত্যাদি সৃষ্টি করার<br />পূর্বে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম<br />উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন।”<br />দলীল-<br />√ আল আনওয়ার ফী মাওলিদিন নাবিয়্যিল মুহম্মদ<br />ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৫ পৃষ্ঠা।<br />বিখ্যাত তাফসির কারক,ইমামুল মুফাসসিরীন,<br />আল্লামা ইসমাঈল<br />হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-<br />ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺧﻠﻖ ﺟﻤﻴﻊ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻣﻦ ﻧﻮﺭ ﻣﺤﻤﺪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻭﻟﻢ ﻳﻨﻘﺺ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻩ<br />ﺳﻲﺀ<br />অর্থ: এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, নিশ্চয়ই মহান<br />আল্লাহ পাক সকল মাখলুকাত “নূরে মুহম্মদী” ছল্লাল্লাহু<br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সৃষ্টি করেছেন। অথচ<br />“নূরে মুহম্মদী” ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম<br />হতে কিঞ্চিত পরিমানও কমে নাই।”<br />দলীল-<br />√ তাফসীরে রুহুল বয়ান ৭ম খন্ড ১৯৭-১৯৮ পৃষ্ঠা।<br />হযরত জাবির বিন আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু<br />হতে বর্নিত হাদীস শরীফ খানা অত্যন্ত সহীহ। আর<br />সহীহ বলেই সকল জগৎ বিখ্যাত মুহাদ্দিসগন উনাদের<br />কিতাবে উক্ত হাদীস শরীফ খানা বলিষ্ঠ<br />ভাবে বর্ননা করেছেন। আমরা উপরে কিছু ইমামদের<br />মতামত উল্লেখ করেছি। এছাড়াও আরো যারা উক্ত<br />হাদীস শরীফকে বিশুদ্ধ বলে নিজেদের<br />কিতাবে উল্লেখ করেছেন তাদের কথা উল্লেখ<br />করা হলো–<br />→ বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকারক, হাফিজে হাদীস<br />আল্লামা কুস্তালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার<br />“মাওয়াহেবুল লাদুন্নিয়া” কিতাবের ১ম খন্ড ৯ পৃষ্ঠা।<br />→ হাফিজে হাদীস,আল্লামা যুরকানী রহমাতুল্লাহি<br />আলাইহি উনার “যুরকানী আলা শরহে মাওয়াহেব”<br />কিতাবের ১ম খন্ড ৪৬ পৃষ্ঠা।<br />→ বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইবনে হাজর<br />হায়তামী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার<br />“ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া” কিতাবে ১৮৯ পৃষ্ঠা ।<br />→ মুহাদ্দিস আলী ইবনে ইব্রাহীম<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “সিরাতুল হলবীয়”<br />কিতাবে ১ম খন্ড ৩০ পৃষ্ঠা।<br />→ হাফিজে হাদীস, হযরত ইবনে হাজার<br />মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “আফদ্বালুল কোরা”<br />কিতাবে।<br />→ বিশিষ্ট আলেম, শায়খুল আল্লামা, হযরত দিয়ার<br />বাকরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “তারীখুল<br />খামীস” কিতাব সহ শতশত কিতাবে উক্ত হাদীস শরীফ<br />খানা বর্ননা করা হয়েছে ।<br />প্রত্যকেই উক্ত হাদীস শরীফ এর উপর আস্থা স্থাপন<br />করেছেন বিনা দ্বিধায়। সুবহানাল্লাহ্ !! যেটা উছুলের<br />কিতাবে বলা হয়েছে – ﻓﺎﻥ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻳﺘﻘﻮﻱ ﺑﺘﻠﻘﻲ ﺍﻻﺀﻣﺔ ﺑﺎﻟﻘﺒﻮﻝ ﻛﻤﺎ ﺍﺷﺮ ﺍﻟﻴﻪ<br />ﺍﻻﻣﺎﻡ ﺍﻟﺘﺮ ﻣﺬﻱ ﻓﻲ ﺟﺎﻣﻌﻪ ﻭﺻﺮﺡ ﺑﻪ ﻋﻠﻤﺎﺀﻧﺎ ﻓﻲ ﺍﻻﺻﻮﻝ<br />অর্থ: কোন হাদীস শরীফকে ইমামগন নিঃসংকোচে কবুল<br />করে নেয়াই উক্ত হাদীস শরীফ<br />খানা শক্তিশালী বা সহীহ হওয়ার প্রমান। ইমাম<br />তিরমিযী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “জামে”<br />তে এদিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন আর আলেমগন তা উছুলের<br />কিতাবে সুস্পষ্ট ভাবে বর্ননা করেছেন।”<br />সূতরাং এরপরও যারা বলবে, উক্ত হাদীস শরীফ<br />খানা সহীহ নয়, তারা হাদীস শরীফের উছুল<br />সম্পর্কে নেহায়েত অজ্ঞ। উক্ত হাদীস শরীফ<br />খানা হাফিজে হাদীস ইমাম আব্দুর রাজ্জাক<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাব “মুসনাদে আব্দুর<br />রাজ্জাক” কিতাবে সহীহ সনদে বর্ননা করেছেন<br />এবং পৃথিবীর সকল ইমাম,মুহাদ্দিস গন উক্ত হাদীস<br />শরীফের প্রতি আস্থা স্থাপন করে স্ব স্ব<br />কিতাবে উল্লেখ করেছেন। সূতরাং প্রমান হলো উক্ত<br />হাদীস শরীফ খানা সর্বোচ্চ মানের সহীহ একটি হাদীস<br />শরীফ।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg3ORU-XlWVgHMEJ_d3JNf7g7LlfERXarJ9B7C5NuArowai-cJr80Xnu74PJEw1iXDKlTf984l-nxWtyKvBJ8CR44nOjoSpW_L8S1h9SPR9d9v0Vl41yOJOW_0jI2sqbQi824rYhVcSKwV8/s1600/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="144" data-original-width="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg3ORU-XlWVgHMEJ_d3JNf7g7LlfERXarJ9B7C5NuArowai-cJr80Xnu74PJEw1iXDKlTf984l-nxWtyKvBJ8CR44nOjoSpW_L8S1h9SPR9d9v0Vl41yOJOW_0jI2sqbQi824rYhVcSKwV8/s1600-rw/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" /></a></div><br />এখন মজার ব্যাপার দেখুন, যেসকল<br />ওহাবী দেওবন্দীরা উক্ত হাদীস শরীফ<br />নিয়ে আপত্তি করে তাদের অন্যতম গুরু আশরাফ<br />আলী থানবী নিজেই উক্ত হাদীস শরীফকে তার কিতাব<br />“নশরুত তীব” উল্লেখ করেছে। এবার দেখুন থানবী তার এই<br />কিতাবে কি লিখেছে — থানবী এই কিতাবে প্রথম<br />যে অধ্যায় রচনা করেছে তার নাম দিয়েছে ”<br />নূরে মুহম্মদীর বিবরন”।<br />যাইহোক, এখানে প্রথমেই যা লিখেছে তা হলো- ” আব্দুর<br />রাজ্জাক তাঁর সনদসহ হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ<br />থেকে বর্ননা করেছেন যে, আমি আরজ করলাম :<br />ইয়া রসূল্লাল্লাহ আমার পিতা মাতা আপনার জন্য<br />কোরবান হউক, আমাকে এই খবর দিন যে, আল্লাহ পাক<br />সর্ব প্রথম কোন বস্তুটি সৃষ্টি করেছেন?<br />প্রিয়নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ<br />করলেন, হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! আল্লাহ পাক<br />সবকিছুর পূর্বে আপনার নবীর নূর সৃষ্টি করেছেন অর্থাৎ<br />হাদীসে জাবির বর্ণনা করেছে দেওবন্দী আশরাফ<br />আলী থানবী নিজ কিতাবে। মজার<br />কথা হলো থানবী মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাকে হাদীসের<br />সনদ খুজে পেল আর বর্তমানে তারই<br />অনুসারী ওহাবী দেওবন্দীরা সনদ খুজে পায় না। কত<br />হাস্যকর লজ্জাজনক বিষয় নিজেরাই চিন্তা করুন। শুধু<br />তাই নয়, আশরাফ আলী থানবী উক্ত “নশরুত্বীব”<br />কিতাবের প্রথম অধ্যায়ে “নূরে মুহম্মদীর বিবরন” শীর্ষক<br />বর্ননায় আরো একটি হাদীস শরীফ উল্লেখ করেছে –<br />ইমাম জয়নুল আবেদীন আলাইহিস সালাম উনার<br />পিতা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম<br />থেকে এবং তিনি হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু<br />থেকে বর্ননা করেন যে, হুজুর ছল্লাল্লাহু<br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমি আদম<br />আলাইহিস সালাম উনার জন্মের ১৪ হাজার বছর<br />পূর্বে আমার পরওয়ারদিগারের দরবারে একটি “নূর”<br />ছিলাম।” সুবহানাল্লাহ্ !!!<br />দেওবন্দী/কাওমীরা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু<br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বপ্রথম নূর হিসাবে সৃষ্টি এই<br />হাদীস অস্বীকার করলে কি হবে এদের একমাত্র<br />অবিভাবক ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ আবার এই হাদীস<br />স্বীকার করে ফতোয়া দেয়। সবাই দেখুন ভারতের<br />দেওবন্দীরা আশরাফ আলি থানভি সাহেবের কিতাব<br />থেকেই তাদের ওয়েবসাইটে ফতোয়া বিভাগে দলীল<br />দিচ্ছে–> Question: 3126 >Is the Prophet peace be upon him’s<br />nur the first thing to be created? Also, was it created before<br />Adam alayhis salam’s? Answer: 3126 Jan 29,2008 (Fatwa:<br />903/876=D)<br />Hazrat Hakimul Ummah, Maulana Ashraf Ali Thanwi has<br />mentioned a Hadith in his book ﻧﺸﺮ ﺍﻟﻄﯿﺐ ﻓﯽ ﺫﮐﺮ ﺍﻟﻨﺒﯽ ﺍﻟﺤﺒﯿﺐ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ<br />ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ with reference of Ahkam bin Al- Qattan that Hazrat Ali<br />bin Al- Hussain (Zainul Abdeen) narrated from his father Hazrat<br />Hussain ( ﺭﺿﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻨﮧ ) and he narrated from his father (Hazrat<br />Ali ﺭﺿﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻨﮧ ) that the Prophet ( ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ) said: ?I was a<br />noor (light) in front of my Lord some forty thousand years<br />before the birth of Hazrat Adam ( ﻋﻠﯿﮧ ﺍﻟﺴﻼﻡ )?. There are some<br />more traditions which prove that the noor of the Prophet ( ﺻﻠﯽ<br />ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ) was created in the earliest time, some traditions<br />say that his noor was created before the Tablet, the Pen, earth,<br />sky and even before all creatures. Allah (Subhana Wa Ta’ala)<br />knows Best Darul Ifta, Darul Uloom Deoband. ভারতের দারুল<br />উলুম দেওবন্দের ফতোয়ার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক – ->>><br />http://darulifta-deoband.org/showuserview.do? function=answerView&all=en&id=3126<br /><br />আবার উক্ত হাদীসে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু<br />দেওবন্দীদের আরেক মৌলবী দেওবন্দীদের মৃত শায়খুল<br />হদস আজিজুল হক তার বুখারী শরীফের অনুবাদে ৫ম খন্ড<br />৩ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছে।<br />অর্থাৎ বিরোধিতা কারীদের কিতাবেও উক্ত হাদীস<br />শরীফ খানা নির্ভরযোগ্য<br />হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন<br />হচ্ছে বর্তমানে দুই পয়সার<br />বাজাইরা ওহাবী মৌলবীরা উক্ত হাদীস শরীফের<br />বিরোধিতা করে কেন ?????<br />যাইহোক, উপরোক্ত আলোচনা থেকে দিবালোকের মত<br />প্রমান হলো, আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম হুজুর পাক<br />ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক<br />সৃষ্টি করেছেন। এবং সেই নূর মুবারক থেকে সবকিছু<br />সৃষ্টি করেন। এটাই হলো আহলে সুন্নত ওয়াল<br />জামায়াতের আক্বীদা, এবং এর বিপরীত<br />আক্বীদা পোষন করা কুফরী। আল্লাহ পাক আমাদের সত্য<br />বোঝার তৌফিক দান করুন। আমীন !!<br /><br /><br /></div>

আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম নবী পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নুর মোবরক সৃষ্টি করেছেন

আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম নবী পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নুর মোবরক সৃষ্টি করেছেন আমাদের প্রিয় নবীজী হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া...

Read more »

আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম নবী পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নুর মোবরক সৃষ্টি করেছেন

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম নবী পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নুর মোবরক সৃষ্টি করেছেন<br /> <br /> আমাদের প্রিয় নবীজী হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু<br /> আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূর এ মুজাস্সাম। সর্ব<br /> প্রথম আল্লাহ পাক উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন। এ<br /> প্রসঙ্গে সহীহ হাদীস শরীফে বর্নিত আছে। হাদীস<br /> শরীফখানা বর্ননা করেন ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম<br /> রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের উস্তাদের উস্তাদ।<br /> ইমাম আহমদ বিন হাম্মল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার<br /> উস্তাদ,ইমামে আযম আবু<br /> হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ছাত্র, বিখ্যাত<br /> মুহাদ্দিস , তাবে তাবেয়ী, হাফিজে হাদীস,<br /> আল্লামা আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার<br /> বিখ্যাত হাদীস শরীফ গ্রন্থ “মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক”<br /> ১ম খন্ড ৯৯ পৃষ্ঠায় ১৮ নং হাদীস শরীফে।<br /> ইমাম হযরত আব্দুর রাজ্জাক<br /> রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস শরীফ বর্ননা করেন<br /> হযরত মা’মার বিন রশীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে,<br /> তিনি বর্ননা করেন মুহম্মদ বিন মুনকদার<br /> রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি বর্ণনা করেন<br /> বিখ্যাত ছাহাবী জাবির বিন আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু<br /> আনহু থেকে। হাদীস শরীফ – ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮ ﺭﺻﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻗﻠﺖ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ<br /> ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺑﺎﺑﻲ ﺍﻧﺖ ﻭ ﺍﻣﻲ ﺍﺧﺒﺮﻧﻲ ﻋﻦ ﺍﻭﻝ ﺷﻴﻲﺀ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ<br /> ﻗﺎﻝ ﻳﺎ ﺟﺎﺑﺮ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻗﺪ ﺧﻠﻖ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻧﻮﺭ ﻧﺒﻴﻚ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻩ ﻓﺠﻌﻞ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻨﻮﺭ ﻳﺪﻭﺭ<br /> ﺑﺎﻟﻘﺪﺭﺓ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻭﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻓﻲ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻮﻗﺖ ﻟﻮﺡ ﻭﻻ ﻗﻠﻢ ﻭﻻ ﺟﺘﺔ ﻭﻻ ﻧﺎﺭ ﻭﻻ ﻣﻠﻚ<br /> ﻭﻻ ﺳﻤﺎﺀ ﻭﻻ ﺍﺭﺽ ﻭﻻ ﺷﻤﺲ ﻭﻻ ﻗﻤﺮ ﻭﻻ ﺟﻨﻲ ﻭﻻ ﺍﻧﺴﻲ .… ﺍﻟﻲ ﺍﺧﺮ<br /> অর্থ: হযরত জাবের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত,<br /> তিনি বলেন, আমি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু<br /> আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ<br /> ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার<br /> পিতা মাতা আপনার জন্য কুরবানি হোক,<br /> আপনি আমাকে জানিয়ে দিন যে, আল্লাহ পাক সর্ব<br /> প্রথম কোন জিনিস সৃষ্টি করেছেন? তিনি বলেন,<br /> হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক<br /> সর্ব প্রথম সব কিছুর পূর্বে আপনার নবীর নূর মুবারক<br /> সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর সেই নূর মুবারক আল্লাহ পাক<br /> উনার ইচ্ছা অনুযায়ী কুদরতের মাঝে ঘুরছিলো।আর<br /> সে সময় লওহো, ক্বলম, জান্নাত, জাহান্নাম, ফেরেশতা,<br /> আসমান, জমিন, চন্দ্র, সূর্য, মানুষ ও জ্বিন কিছুই<br /> ছিলো না। “<br /> দলীল সমুহ —<br /> (১) মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক ১/৯৯, হাদীস ১৮<br /> (২) দালায়েলুন নবুওয়াত ১৩/৬৩<br /> (৩) মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া ১/৯<br /> (৪) মাদারেজুন নবুওয়াত ২/২<br /> (৫) যুরকানী ১/৪৬<br /> (৬) রুহুল মায়ানী ১৭/১০৫<br /> (৭) সিরাতে হলবীয়া ১/৩০<br /> (৮) মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃ<br /> (৯) ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া ১৮৯ পৃ<br /> (১০) নি’ মাতুল কুবরা ২ পৃ<br /> (১১) হাদ্বীকায়ে নদীয়া ২/৩৭৫<br /> (১২) দাইলামী শরীফ ২/১৯১<br /> (১৩) মকতুবাত শরীফ ৩ খন্ড ১০০ নং মকতুব<br /> (১৪) মওজুয়াতুল কবীর ৮৩ পৃ<br /> (১৫) ইনছানুল উয়ুন ১/২৯<br /> (১৬) নূরে মুহম্মদী ৪৭ পৃ<br /> (১৭) আল আনোয়ার ফি মাওলিদিন নবী ৫ পৃ<br /> (১৮) আফদ্বালুল ক্বোরা<br /> (১৯) তারীখুল খমীস ১/২০<br /> (২০) নুজহাতুল মাজালিস ১ খন্ড<br /> (২১) দুররুল মুনাজ্জাম ৩২ পৃ<br /> (২২) কাশফুল খফা ১/৩১১<br /> (২৩) তারিখ আননূর ১/৮<br /> (২৪) আনোয়ারে মুহম্মদীয়া ১/৭৮<br /> (২৫) আল মাওয়ারিদে রাবী ফী মাওলীদিন নবী ৪০<br /> পৃষ্ঠা ।<br /> (২৬) তাওয়ারীখে মুহম্মদ<br /> (২৭) আনফাসে রহীমিয়া<br /> (২৮) মা’ য়ারিফে মুহম্মদী<br /> (২৯) মজমুয়ায়ে ফতোয়া ২/২৬০<br /> (৩০) নশরুতত্বীব ৫ পৃ<br /> (৩১) আপকা মাসায়েল আওর উনকা হাল ৩/৮৩<br /> (৩২) শিহাবুছ ছাকিব ৫০<br /> (৩৩) মুনছিবে ইছমত ১৬ পৃ<br /> (৩৪) রেসালায়ে নূর ২ পৃ<br /> (৩৫) হাদীয়াতুল মাহদী ৫৬পৃ<br /> (৩৬) দেওবন্দী আজিজুল হক অনুবাদ কৃত বুখারী শরীফ ৫/৩<br /> আমাদের সমাজের অনেক দেওবন্দী/ খারেজী/ওহাবী/<br /> লা মাযহাবী/ তাবলীগি ইত্যাদি বাতিল ফির্কা এই<br /> হাদীস শরীফকে নিজেদের সার্থ চরিতার্থ করার জন্য<br /> জাল/দুর্বল বলে থাক। আসুন আমরা সত্যতার<br /> মাপকাঠিতে হাদীস শরীফটির সনদ যাচাই করে দেখি।<br /> যিনি এ হাদীস শরীফ বর্ননা করেছেন তিনি হচ্ছেন<br /> হাফিজে হাদীস,ইমাম আব্দুর রাজ্জাক<br /> রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ইমাম আব্দুর রাজ্জাক<br /> রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হলেন মুসলিম উম্মাহের<br /> সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দীস ইমাম<br /> বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর দাদা উস্তাদ।<br /> যদি বিতর্কের খাতিরে ধরেই নেই আব্দুর রাজ্জাক<br /> রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর কিতাবে দুর্বল হাদীস<br /> উল্লেখ করেছেন তাহলে বলতে হয় বুখারী শারীফেও<br /> দুর্বল হাদীস আছে যেহেতু ইমাম<br /> বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হাদীস শাস্ত্রের<br /> জ্ঞান লাভ করেছেন আব্দুর রাজ্জাক<br /> রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর কাছ থেকে। কিন্তু<br /> বুখারী শারীফে দুর্বল হাদীস আছে সেটা কেউই বলেন<br /> না। তাই “হাদীসটি দুর্বল/জাল” কথাটি ভুল প্রমাণীত<br /> হল।<br /> হাদীসের সনদটি নিম্নরূপ :<br /> হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম<br /> ↓<br /> জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু<br /> ↓<br /> মুহাম্মাদ বিন মুঙ্কদার রাহমাতুল্লাহি আলাইহি<br /> ↓<br /> মা’মার বিন রাশীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি<br /> ↓<br /> আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি।<br /> সুবহানাল্লাহ্ !!!<br /> এবার দেখা যাক বর্নিত হাদীস শরীফ উনার রাবীদের<br /> সম্পর্কে মুহাদ্দীসগণের মন্তব্য : হাফিজে হাদীস,<br /> তাবে তাবেয়ীন ইমাম আব্দুর রাজ্জাক<br /> রহমাতুল্লাহি আলাইহি : আহমাদ ইবন সালীহ<br /> রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “আমি একবার আহমাদ<br /> বিন হাম্বল<br /> রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনকে জিজ্ঞাসা করলাম,<br /> আপনি হাদীস শাস্ত্রে আব্দুর রাজ্জাক<br /> রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে নির্ভরযোগ্য আর<br /> কাউকে পেয়েছেন? আহমাদ বিন হাম্বল<br /> রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, না”।<br /> দলীল-<br /> √ তাহজিবুত তাহজিব লি হাফিয ইবনে হাজর<br /> আসক্বলানী ২/৩৩১<br /> হাদীস শরীফ উনার অপর রাবী মা’মার বিন রাশীদ<br /> রহমাতুল্লাহি আলাইহি :<br /> উনার সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল<br /> রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি বাসরার সকল হাদীস<br /> শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞের থেকে মুসান্নাফ আব্দুর<br /> রাজ্জাকে মা’মার বিন রাশীদ এর<br /> সূত্রে পাওয়া হাদীসগুলো পছন্দ করি। ইবন হাজর<br /> আসকলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে প্রখর<br /> স্বরনশক্তি সম্পন্ন এবং নির্ভরযোগ্য বলেন।<br /> দলীল-<br /> √ তাহজিবুত তাহজিব ১/৫০৫<br /> √ আসমাউর রেজাল।<br /> উক্ত মা’মার বিন রাশীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার<br /> সূত্রে বর্ণিত বুখারী শারীফের হাদীস সংখ্যা প্রায়<br /> ২২৫ এবং মুসলিম শারীফে বর্ণিত হাদীস সংখ্যা প্রায়<br /> ৩০০ টি।<br /> সুবহানাল্লাহ্ !<br /> হাদীসটির আরেক রাবী হলেন মুহাম্মাদ বিন মুকদার<br /> রহমাতুল্লাহি আলাইহি : ইমাম<br /> হুমায়দি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, মুকদার<br /> রহমতুল্লাহি আলাইহি একজন হাফিজ,ইমাম জারাহ<br /> তাদীলের ইমাম ইবন মা’ঈন<br /> রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, উনি নির্ভরযোগ্য।<br /> দলীল-<br /> √ তাহজিবুত তাহজিব ০৯/১১০৪৮<br /> √ আসমাউর রেজাল ।<br /> হযরত মুনকদার রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত<br /> হাদীসের সংখ্যা বুখারী শারীফে ৩০টি এবং মুসলিম<br /> শারীফে ২২টি। সুবহানাল্লাহ্ !! আর মূল<br /> বর্ননাকারী হলেন হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু<br /> একজন সুপ্রসিদ্ধ সাহাবী। বুখারী ও মুসলিম শারীফের<br /> উনার থেকে বর্ণিত অনেক হাদীস আছে।<br /> সুতরাং বুঝা গেল। হাদীসটির সকল রাবীই নির্ভরযোগ্য<br /> এবং উনাদের সূত্রে বুখারী ও মুসলিম শারীফেও হাদীস<br /> বর্ণিত আছে। সুতরাং বলা যায়, ইমাম বুখারী ও মুসলিম<br /> রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উভয়ের হাদীস<br /> শর্তানুসারে হাদীসটি সহীহ। সুবহানাল্লাহ্ !!<br /> <br /> আলহামদুলিল্লাহ ! আমরা পরিস্কার<br /> এবং বিশুদ্ধ সনদের মাধ্যমে হাদীস শরীফটির<br /> গ্রহনযোগ্যতা জানতে পারলাম। এবার আসুন<br /> আমরা দেখি উক্ত হাদীস শরীফ সম্পর্কে মুহাদ্দিস<br /> এবং হাদীস শরীফ বিশারদগন কি বলেছেন।<br /> উক্ত বিশুদ্ধ হাদীস শরীফ খানা নিজ কিতাবে সহীহ<br /> বলে উল্লেখ করেছেন বিখ্যাত মুহাদ্দিস<br /> আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ইমাম<br /> বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে বলা হয় – ”<br /> ইমাম বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন স্বীয়<br /> যুগের হাদীস শরীফ এবং ফিক্বাহ শাস্ত্রের<br /> অপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্যক্তিত্ব। উম্মত যাদের মাধ্যমে খুব<br /> উপকৃত হয়েছে এবং হাফিজে হাদীস এমন সাত<br /> ব্যক্তি ছিলেন তাদের যাদের গ্রন্থ সবচাইতে উৎকৃষ্ট<br /> বলে স্বীকৃত। সেই সাত জনের একজন হলেন, ইমাম<br /> বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ।”<br /> দলীল-<br /> √ আসমাউর রেজাল-বাবু আইম্মাতুল হাদীস।<br /> এই জগৎবিখ্যত মুহাদ্দিস ইমাম,<br /> আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার<br /> কিতাবে বর্ননা করেন–<br /> ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺧﻠﻖ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻧﻮﺭ ﻧﺒﻴﻚ<br /> “….. নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম উনার<br /> নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার “নূর”<br /> মুবারক সৃষ্টি করেন।”<br /> দলীল-<br /> √ দালায়েলুন নবুওয়াত লিল বায়হাক্বী ১৩ তম খন্ড ৬৩<br /> পৃষ্ঠা।<br /> বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস, যিনি এই উপমহাদেশে হাদীস<br /> শরীফের ব্যাপক প্রচার প্রসার করেছেন, সু দীর্ঘ সময়<br /> মদীনা শরীফে যিনি ইলিম চর্চা করেছেন।<br /> যিনি প্রতিদিন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু<br /> আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাক্ষাত লাভ করতেন,<br /> ইমামুল মুহাদ্দিসীন শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস<br /> দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি উক্ত<br /> হাদীসে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বা নূর সংক্রান্ত<br /> হাদীস শরীফকে সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন।<br /> তিনি উনার কিতাবে লিখেন – ﺩﺭﺣﺪﻳﺚ ﺻﺤﻴﺢ ﻭﺍﺭﺩ ﺷﺪ ﻛﻪ ﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ<br /> ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭﻱ<br /> অর্থ: “সহীহ হাদীস শরীফে” বর্নিত হয়েছে যে, হুজুর<br /> পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,<br /> মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম আমার নূর মুবারক<br /> সৃষ্টি করেন!”<br /> দলীল-<br /> √ মাদারেজুন নবুওয়াত ২য় খন্ড ২ পৃষ্ঠা।<br /> বিখ্যাত মুহাদ্দিস, আরেফ বিল্লাহ,<br /> সাইয়্যিদিনা আব্দুল<br /> গনী নাবেলসী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস<br /> শরীফকে সরাসরি সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন।<br /> তিনি বলেন – ﻗﺪ ﺧﻠﻖ ﻛﻞ ﺷﻴﻲ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻩ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻛﻤﺎ ﻭﺭﺩ ﺑﻪ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ<br /> ﺍﻟﺼﺤﻴﺢ<br /> অর্থ: নিশ্চয়ই প্রত্যেক জনিস হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু<br /> আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক<br /> থেকে সৃষ্টি হয়েছে, যেমন এ ব্যাপারে ‘সহীহ’ হাদীস<br /> শরীফ বর্নিত রয়েছে।”<br /> দলীল-<br /> √ হাদীক্বায়ে নদীয়া- দ্বিতীয় অধ্যায়-৬০ তম<br /> অনুচ্ছেদ-২য় খন্ড ৩৭৫ পৃষ্ঠা।<br /> ইমামুল মুফাসরিরীন, মুফতীয়ে বাগদাদ, হযরত<br /> আলূসী বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস<br /> শরীফকে নির্ভরযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন।<br /> তিনি উনার কিতাবে লিখেন – ﻭﻟﺬﺍ ﻛﺎﻥ ﻧﻮﺭﻩ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ<br /> ﺍﻭﻝ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﺎﺕ ﻓﻔﻲ ﺍﻟﺨﺒﺮ ﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻧﻮﺭ ﻧﺒﻴﻚ ﻳﺎﺟﺎﺑﺮ<br /> অর্থ : সকল মাখলুকাতের মধ্যে সর্বপ্রথম সৃষ্টি হলো,<br /> নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যেমন-<br /> হাদীস শরীফে বর্নিত আছে, হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু<br /> আনহু! আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আপনার নবী ছল্লাল্লাহু<br /> আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন।”<br /> দলীল-<br /> √ রুহুল মায়ানী ১৭ তম খন্ড ১০৫ পৃষ্ঠা।<br /> বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন,আল্লামা ইমাম মুহম্মদ মাহদ<br /> ইবনে আহমদ ফার্সী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত<br /> হাদীস শরীফকে সহীহ বলে নিজের কিতাব<br /> মুবারকে উল্লেখ করেছেন। তিনি বর্ননা করেন – ﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ<br /> ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭﻩ ﻭﻣﻦ ﻧﻮﺭﻱ ﺧﻠﻖ ﻛﻞ ﺵﺀﻱ<br /> অর্থ : মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আমার নূর মুবারক<br /> সৃষ্টি করেন এবং আমার নূর মুবারক থেকে সবকিছু<br /> সৃষ্টি করেন।”<br /> দলীল-<br /> √ মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃষ্ঠা ।<br /> উক্ত হাদীস শরীফের সমর্থনে বিখ্যাত মুহাদ্দিস,<br /> ছহীবে মেরকাত, ইমামুল মুহাদ্দিসীন<br /> মুল্লা আলী কারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন –<br /> ﻭﺍﻣﺎﻧﻮﺭﻩ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻓﻬﻮ ﻓﻲ ﻏﺎﻳﺎﺓ ﻣﻦ ﺍﻟﻈﻬﻮﺭ ﺷﺮﻗﺎ ﻭ ﻏﺮﺑﺎ ﻭﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ<br /> ﻧﻮﺭﻩ ﻭﺳﻤﺎﻩ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺑﻪ ﻧﻮﺭﺍ<br /> অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম<br /> উনার নূর মুবারক পূর্ব ও পশ্চিমে পূর্নরুপে প্রকাশ<br /> পেয়েছে। আর মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম উনার নূর<br /> মুবারক সৃষ্টি করেন। তাই নিজ কিতাব কালামুল্লাহ<br /> শরীফে উনার নাম মুবারক রাখেন ‘নূর’।”<br /> দলীল-<br /> √ আল মওযুআতুল কবীর ৮৩ পৃষ্ঠা।<br /> বিখ্যাত মুহাদ্দিস, আল্লামা আবুল হাসান বিন<br /> আব্দিল্লাহ আল বিকরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন<br /> — ﻗﺎﻝ ﻋﻠﻲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻻ ﺷﻲﺀ ﻣﻌﻪ ﻓﺎﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﻧﻮﺭ ﺣﺒﻴﺒﻪ ﻗﺒﻞ ﺍﻥ ﻳﺨﻠﻖ<br /> ﺍﻟﻤﺎﺀ ﻭﺍﻟﻌﺮﺵ ﻭﺍﻟﻜﺮﺳﻲ ﻭﺍﻟﻠﻮﺡ ﻭﺍﻟﻘﻠﻢ ﻭﺍﻟﺠﻨﺔ ﻭﺍﻧﺎﺭ ﻭﺍﻟﺤﺠﺎﺏ<br /> অর্থ: হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া আলাইহিস<br /> সালাম বলেন, শুধুমাত্র আল্লাহ পাক ছিলেন, তখন অন্য<br /> কোন অস্তিত্ব ছিলো না। অতঃপর<br /> তিনি পানি,আরশ,কুরসী, লওহো,ক্বলম,জান্নাত,<br /> জাহান্নাম ও পর্দা সমূহ ইত্যাদি সৃষ্টি করার<br /> পূর্বে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম<br /> উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন।”<br /> দলীল-<br /> √ আল আনওয়ার ফী মাওলিদিন নাবিয়্যিল মুহম্মদ<br /> ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৫ পৃষ্ঠা।<br /> বিখ্যাত তাফসির কারক,ইমামুল মুফাসসিরীন,<br /> আল্লামা ইসমাঈল<br /> হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-<br /> ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺧﻠﻖ ﺟﻤﻴﻊ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻣﻦ ﻧﻮﺭ ﻣﺤﻤﺪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻭﻟﻢ ﻳﻨﻘﺺ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻩ<br /> ﺳﻲﺀ<br /> অর্থ: এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, নিশ্চয়ই মহান<br /> আল্লাহ পাক সকল মাখলুকাত “নূরে মুহম্মদী” ছল্লাল্লাহু<br /> আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সৃষ্টি করেছেন। অথচ<br /> “নূরে মুহম্মদী” ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম<br /> হতে কিঞ্চিত পরিমানও কমে নাই।”<br /> দলীল-<br /> √ তাফসীরে রুহুল বয়ান ৭ম খন্ড ১৯৭-১৯৮ পৃষ্ঠা।<br /> হযরত জাবির বিন আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু<br /> হতে বর্নিত হাদীস শরীফ খানা অত্যন্ত সহীহ। আর<br /> সহীহ বলেই সকল জগৎ বিখ্যাত মুহাদ্দিসগন উনাদের<br /> কিতাবে উক্ত হাদীস শরীফ খানা বলিষ্ঠ<br /> ভাবে বর্ননা করেছেন। আমরা উপরে কিছু ইমামদের<br /> মতামত উল্লেখ করেছি। এছাড়াও আরো যারা উক্ত<br /> হাদীস শরীফকে বিশুদ্ধ বলে নিজেদের<br /> কিতাবে উল্লেখ করেছেন তাদের কথা উল্লেখ<br /> করা হলো–<br /> → বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকারক, হাফিজে হাদীস<br /> আল্লামা কুস্তালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার<br /> “মাওয়াহেবুল লাদুন্নিয়া” কিতাবের ১ম খন্ড ৯ পৃষ্ঠা।<br /> → হাফিজে হাদীস,আল্লামা যুরকানী রহমাতুল্লাহি<br /> আলাইহি উনার “যুরকানী আলা শরহে মাওয়াহেব”<br /> কিতাবের ১ম খন্ড ৪৬ পৃষ্ঠা।<br /> → বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইবনে হাজর<br /> হায়তামী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার<br /> “ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া” কিতাবে ১৮৯ পৃষ্ঠা ।<br /> → মুহাদ্দিস আলী ইবনে ইব্রাহীম<br /> রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “সিরাতুল হলবীয়”<br /> কিতাবে ১ম খন্ড ৩০ পৃষ্ঠা।<br /> → হাফিজে হাদীস, হযরত ইবনে হাজার<br /> মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “আফদ্বালুল কোরা”<br /> কিতাবে।<br /> → বিশিষ্ট আলেম, শায়খুল আল্লামা, হযরত দিয়ার<br /> বাকরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “তারীখুল<br /> খামীস” কিতাব সহ শতশত কিতাবে উক্ত হাদীস শরীফ<br /> খানা বর্ননা করা হয়েছে ।<br /> প্রত্যকেই উক্ত হাদীস শরীফ এর উপর আস্থা স্থাপন<br /> করেছেন বিনা দ্বিধায়। সুবহানাল্লাহ্ !! যেটা উছুলের<br /> কিতাবে বলা হয়েছে – ﻓﺎﻥ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻳﺘﻘﻮﻱ ﺑﺘﻠﻘﻲ ﺍﻻﺀﻣﺔ ﺑﺎﻟﻘﺒﻮﻝ ﻛﻤﺎ ﺍﺷﺮ ﺍﻟﻴﻪ<br /> ﺍﻻﻣﺎﻡ ﺍﻟﺘﺮ ﻣﺬﻱ ﻓﻲ ﺟﺎﻣﻌﻪ ﻭﺻﺮﺡ ﺑﻪ ﻋﻠﻤﺎﺀﻧﺎ ﻓﻲ ﺍﻻﺻﻮﻝ<br /> অর্থ: কোন হাদীস শরীফকে ইমামগন নিঃসংকোচে কবুল<br /> করে নেয়াই উক্ত হাদীস শরীফ<br /> খানা শক্তিশালী বা সহীহ হওয়ার প্রমান। ইমাম<br /> তিরমিযী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “জামে”<br /> তে এদিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন আর আলেমগন তা উছুলের<br /> কিতাবে সুস্পষ্ট ভাবে বর্ননা করেছেন।”<br /> সূতরাং এরপরও যারা বলবে, উক্ত হাদীস শরীফ<br /> খানা সহীহ নয়, তারা হাদীস শরীফের উছুল<br /> সম্পর্কে নেহায়েত অজ্ঞ। উক্ত হাদীস শরীফ<br /> খানা হাফিজে হাদীস ইমাম আব্দুর রাজ্জাক<br /> রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাব “মুসনাদে আব্দুর<br /> রাজ্জাক” কিতাবে সহীহ সনদে বর্ননা করেছেন<br /> এবং পৃথিবীর সকল ইমাম,মুহাদ্দিস গন উক্ত হাদীস<br /> শরীফের প্রতি আস্থা স্থাপন করে স্ব স্ব<br /> কিতাবে উল্লেখ করেছেন। সূতরাং প্রমান হলো উক্ত<br /> হাদীস শরীফ খানা সর্বোচ্চ মানের সহীহ একটি হাদীস<br /> শরীফ।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjtnIPU4qQoHFyIe4qP1qq1rD6oUfwQ8HJWwvjxm8z1FSQmnjIt0p31IQOJGiG6OWTzbjsWoShCdxop9gpMmwyVuH6kpZ3D8-DipUKLk3cODc6orym-yvO3GljJBO37pub7iLNdX71oMsEe/s1600/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="144" data-original-width="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjtnIPU4qQoHFyIe4qP1qq1rD6oUfwQ8HJWwvjxm8z1FSQmnjIt0p31IQOJGiG6OWTzbjsWoShCdxop9gpMmwyVuH6kpZ3D8-DipUKLk3cODc6orym-yvO3GljJBO37pub7iLNdX71oMsEe/s1600-rw/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" /></a></div> <br /> এখন মজার ব্যাপার দেখুন, যেসকল<br /> ওহাবী দেওবন্দীরা উক্ত হাদীস শরীফ<br /> নিয়ে আপত্তি করে তাদের অন্যতম গুরু আশরাফ<br /> আলী থানবী নিজেই উক্ত হাদীস শরীফকে তার কিতাব<br /> “নশরুত তীব” উল্লেখ করেছে। এবার দেখুন থানবী তার এই<br /> কিতাবে কি লিখেছে — থানবী এই কিতাবে প্রথম<br /> যে অধ্যায় রচনা করেছে তার নাম দিয়েছে ”<br /> নূরে মুহম্মদীর বিবরন”।<br /> যাইহোক, এখানে প্রথমেই যা লিখেছে তা হলো- ” আব্দুর<br /> রাজ্জাক তাঁর সনদসহ হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ<br /> থেকে বর্ননা করেছেন যে, আমি আরজ করলাম :<br /> ইয়া রসূল্লাল্লাহ আমার পিতা মাতা আপনার জন্য<br /> কোরবান হউক, আমাকে এই খবর দিন যে, আল্লাহ পাক<br /> সর্ব প্রথম কোন বস্তুটি সৃষ্টি করেছেন?<br /> প্রিয়নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ<br /> করলেন, হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! আল্লাহ পাক<br /> সবকিছুর পূর্বে আপনার নবীর নূর সৃষ্টি করেছেন অর্থাৎ<br /> হাদীসে জাবির বর্ণনা করেছে দেওবন্দী আশরাফ<br /> আলী থানবী নিজ কিতাবে। মজার<br /> কথা হলো থানবী মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাকে হাদীসের<br /> সনদ খুজে পেল আর বর্তমানে তারই<br /> অনুসারী ওহাবী দেওবন্দীরা সনদ খুজে পায় না। কত<br /> হাস্যকর লজ্জাজনক বিষয় নিজেরাই চিন্তা করুন। শুধু<br /> তাই নয়, আশরাফ আলী থানবী উক্ত “নশরুত্বীব”<br /> কিতাবের প্রথম অধ্যায়ে “নূরে মুহম্মদীর বিবরন” শীর্ষক<br /> বর্ননায় আরো একটি হাদীস শরীফ উল্লেখ করেছে –<br /> ইমাম জয়নুল আবেদীন আলাইহিস সালাম উনার<br /> পিতা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম<br /> থেকে এবং তিনি হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু<br /> থেকে বর্ননা করেন যে, হুজুর ছল্লাল্লাহু<br /> আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমি আদম<br /> আলাইহিস সালাম উনার জন্মের ১৪ হাজার বছর<br /> পূর্বে আমার পরওয়ারদিগারের দরবারে একটি “নূর”<br /> ছিলাম।” সুবহানাল্লাহ্ !!!<br /> দেওবন্দী/কাওমীরা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু<br /> আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বপ্রথম নূর হিসাবে সৃষ্টি এই<br /> হাদীস অস্বীকার করলে কি হবে এদের একমাত্র<br /> অবিভাবক ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ আবার এই হাদীস<br /> স্বীকার করে ফতোয়া দেয়। সবাই দেখুন ভারতের<br /> দেওবন্দীরা আশরাফ আলি থানভি সাহেবের কিতাব<br /> থেকেই তাদের ওয়েবসাইটে ফতোয়া বিভাগে দলীল<br /> দিচ্ছে–> Question: 3126 >Is the Prophet peace be upon him’s<br /> nur the first thing to be created? Also, was it created before<br /> Adam alayhis salam’s? Answer: 3126 Jan 29,2008 (Fatwa:<br /> 903/876=D)<br /> Hazrat Hakimul Ummah, Maulana Ashraf Ali Thanwi has<br /> mentioned a Hadith in his book ﻧﺸﺮ ﺍﻟﻄﯿﺐ ﻓﯽ ﺫﮐﺮ ﺍﻟﻨﺒﯽ ﺍﻟﺤﺒﯿﺐ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ<br /> ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ with reference of Ahkam bin Al- Qattan that Hazrat Ali<br /> bin Al- Hussain (Zainul Abdeen) narrated from his father Hazrat<br /> Hussain ( ﺭﺿﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻨﮧ ) and he narrated from his father (Hazrat<br /> Ali ﺭﺿﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻨﮧ ) that the Prophet ( ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ) said: ?I was a<br /> noor (light) in front of my Lord some forty thousand years<br /> before the birth of Hazrat Adam ( ﻋﻠﯿﮧ ﺍﻟﺴﻼﻡ )?. There are some<br /> more traditions which prove that the noor of the Prophet ( ﺻﻠﯽ<br /> ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ) was created in the earliest time, some traditions<br /> say that his noor was created before the Tablet, the Pen, earth,<br /> sky and even before all creatures. Allah (Subhana Wa Ta’ala)<br /> knows Best Darul Ifta, Darul Uloom Deoband. ভারতের দারুল<br /> উলুম দেওবন্দের ফতোয়ার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক – ->>><br /> http://darulifta-deoband.org/showuserview.do? function=answerView&all=en&id=3126<br /> <br /> আবার উক্ত হাদীসে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু<br /> দেওবন্দীদের আরেক মৌলবী দেওবন্দীদের মৃত শায়খুল<br /> হদস আজিজুল হক তার বুখারী শরীফের অনুবাদে ৫ম খন্ড<br /> ৩ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছে।<br /> অর্থাৎ বিরোধিতা কারীদের কিতাবেও উক্ত হাদীস<br /> শরীফ খানা নির্ভরযোগ্য<br /> হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন<br /> হচ্ছে বর্তমানে দুই পয়সার<br /> বাজাইরা ওহাবী মৌলবীরা উক্ত হাদীস শরীফের<br /> বিরোধিতা করে কেন ?????<br /> যাইহোক, উপরোক্ত আলোচনা থেকে দিবালোকের মত<br /> প্রমান হলো, আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম হুজুর পাক<br /> ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক<br /> সৃষ্টি করেছেন। এবং সেই নূর মুবারক থেকে সবকিছু<br /> সৃষ্টি করেন। এটাই হলো আহলে সুন্নত ওয়াল<br /> জামায়াতের আক্বীদা, এবং এর বিপরীত<br /> আক্বীদা পোষন করা কুফরী। আল্লাহ পাক আমাদের সত্য<br /> বোঝার তৌফিক দান করুন। আমীন !!<br /> <br /> <br /></div>

আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম নবী পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নুর মোবরক সৃষ্টি করেছেন

আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম নবী পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নুর মোবরক সৃষ্টি করেছেন আমাদের প্রিয় নবীজী হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ...

Read more »

আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম নবী পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নুর মোবরক সৃষ্টি করেছেন

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম নবী পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নুর মোবরক সৃষ্টি করেছেন<br /><br /><br /><br />আমাদের প্রিয় নবীজী হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু<br /><br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূর এ মুজাস্সাম। সর্ব<br /><br />প্রথম আল্লাহ পাক উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন। এ<br /><br />প্রসঙ্গে সহীহ হাদীস শরীফে বর্নিত আছে। হাদীস<br /><br />শরীফখানা বর্ননা করেন ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম<br /><br />রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের উস্তাদের উস্তাদ।<br /><br />ইমাম আহমদ বিন হাম্মল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার<br /><br />উস্তাদ,ইমামে আযম আবু<br /><br />হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ছাত্র, বিখ্যাত<br /><br />মুহাদ্দিস , তাবে তাবেয়ী, হাফিজে হাদীস,<br /><br />আল্লামা আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার<br /><br />বিখ্যাত হাদীস শরীফ গ্রন্থ “মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক”<br /><br />১ম খন্ড ৯৯ পৃষ্ঠায় ১৮ নং হাদীস শরীফে।<br /><br />ইমাম হযরত আব্দুর রাজ্জাক<br /><br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস শরীফ বর্ননা করেন<br /><br />হযরত মা’মার বিন রশীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে,<br /><br />তিনি বর্ননা করেন মুহম্মদ বিন মুনকদার<br /><br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি বর্ণনা করেন<br /><br />বিখ্যাত ছাহাবী জাবির বিন আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু<br /><br />আনহু থেকে। হাদীস শরীফ – ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮ ﺭﺻﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻗﻠﺖ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ<br /><br />ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺑﺎﺑﻲ ﺍﻧﺖ ﻭ ﺍﻣﻲ ﺍﺧﺒﺮﻧﻲ ﻋﻦ ﺍﻭﻝ ﺷﻴﻲﺀ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ<br /><br />ﻗﺎﻝ ﻳﺎ ﺟﺎﺑﺮ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻗﺪ ﺧﻠﻖ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻧﻮﺭ ﻧﺒﻴﻚ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻩ ﻓﺠﻌﻞ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻨﻮﺭ ﻳﺪﻭﺭ<br /><br />ﺑﺎﻟﻘﺪﺭﺓ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻭﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻓﻲ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻮﻗﺖ ﻟﻮﺡ ﻭﻻ ﻗﻠﻢ ﻭﻻ ﺟﺘﺔ ﻭﻻ ﻧﺎﺭ ﻭﻻ ﻣﻠﻚ<br /><br />ﻭﻻ ﺳﻤﺎﺀ ﻭﻻ ﺍﺭﺽ ﻭﻻ ﺷﻤﺲ ﻭﻻ ﻗﻤﺮ ﻭﻻ ﺟﻨﻲ ﻭﻻ ﺍﻧﺴﻲ .… ﺍﻟﻲ ﺍﺧﺮ<br /><br />অর্থ: হযরত জাবের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত,<br /><br />তিনি বলেন, আমি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু<br /><br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ<br /><br />ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার<br /><br />পিতা মাতা আপনার জন্য কুরবানি হোক,<br /><br />আপনি আমাকে জানিয়ে দিন যে, আল্লাহ পাক সর্ব<br /><br />প্রথম কোন জিনিস সৃষ্টি করেছেন? তিনি বলেন,<br /><br />হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক<br /><br />সর্ব প্রথম সব কিছুর পূর্বে আপনার নবীর নূর মুবারক<br /><br />সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর সেই নূর মুবারক আল্লাহ পাক<br /><br />উনার ইচ্ছা অনুযায়ী কুদরতের মাঝে ঘুরছিলো।আর<br /><br />সে সময় লওহো, ক্বলম, জান্নাত, জাহান্নাম, ফেরেশতা,<br /><br />আসমান, জমিন, চন্দ্র, সূর্য, মানুষ ও জ্বিন কিছুই<br /><br />ছিলো না। “<br /><br />দলীল সমুহ —<br /><br />(১) মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক ১/৯৯, হাদীস ১৮<br /><br />(২) দালায়েলুন নবুওয়াত ১৩/৬৩<br /><br />(৩) মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া ১/৯<br /><br />(৪) মাদারেজুন নবুওয়াত ২/২<br /><br />(৫) যুরকানী ১/৪৬<br /><br />(৬) রুহুল মায়ানী ১৭/১০৫<br /><br />(৭) সিরাতে হলবীয়া ১/৩০<br /><br />(৮) মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃ<br /><br />(৯) ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া ১৮৯ পৃ<br /><br />(১০) নি’ মাতুল কুবরা ২ পৃ<br /><br />(১১) হাদ্বীকায়ে নদীয়া ২/৩৭৫<br /><br />(১২) দাইলামী শরীফ ২/১৯১<br /><br />(১৩) মকতুবাত শরীফ ৩ খন্ড ১০০ নং মকতুব<br /><br />(১৪) মওজুয়াতুল কবীর ৮৩ পৃ<br /><br />(১৫) ইনছানুল উয়ুন ১/২৯<br /><br />(১৬) নূরে মুহম্মদী ৪৭ পৃ<br /><br />(১৭) আল আনোয়ার ফি মাওলিদিন নবী ৫ পৃ<br /><br />(১৮) আফদ্বালুল ক্বোরা<br /><br />(১৯) তারীখুল খমীস ১/২০<br /><br />(২০) নুজহাতুল মাজালিস ১ খন্ড<br /><br />(২১) দুররুল মুনাজ্জাম ৩২ পৃ<br /><br />(২২) কাশফুল খফা ১/৩১১<br /><br />(২৩) তারিখ আননূর ১/৮<br /><br />(২৪) আনোয়ারে মুহম্মদীয়া ১/৭৮<br /><br />(২৫) আল মাওয়ারিদে রাবী ফী মাওলীদিন নবী ৪০<br /><br />পৃষ্ঠা ।<br /><br />(২৬) তাওয়ারীখে মুহম্মদ<br /><br />(২৭) আনফাসে রহীমিয়া<br /><br />(২৮) মা’ য়ারিফে মুহম্মদী<br /><br />(২৯) মজমুয়ায়ে ফতোয়া ২/২৬০<br /><br />(৩০) নশরুতত্বীব ৫ পৃ<br /><br />(৩১) আপকা মাসায়েল আওর উনকা হাল ৩/৮৩<br /><br />(৩২) শিহাবুছ ছাকিব ৫০<br /><br />(৩৩) মুনছিবে ইছমত ১৬ পৃ<br /><br />(৩৪) রেসালায়ে নূর ২ পৃ<br /><br />(৩৫) হাদীয়াতুল মাহদী ৫৬পৃ<br /><br />(৩৬) দেওবন্দী আজিজুল হক অনুবাদ কৃত বুখারী শরীফ ৫/৩<br /><br />আমাদের সমাজের অনেক দেওবন্দী/ খারেজী/ওহাবী/<br /><br />লা মাযহাবী/ তাবলীগি ইত্যাদি বাতিল ফির্কা এই<br /><br />হাদীস শরীফকে নিজেদের সার্থ চরিতার্থ করার জন্য<br /><br />জাল/দুর্বল বলে থাক। আসুন আমরা সত্যতার<br /><br />মাপকাঠিতে হাদীস শরীফটির সনদ যাচাই করে দেখি।<br /><br />যিনি এ হাদীস শরীফ বর্ননা করেছেন তিনি হচ্ছেন<br /><br />হাফিজে হাদীস,ইমাম আব্দুর রাজ্জাক<br /><br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ইমাম আব্দুর রাজ্জাক<br /><br />রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হলেন মুসলিম উম্মাহের<br /><br />সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দীস ইমাম<br /><br />বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর দাদা উস্তাদ।<br /><br />যদি বিতর্কের খাতিরে ধরেই নেই আব্দুর রাজ্জাক<br /><br />রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর কিতাবে দুর্বল হাদীস<br /><br />উল্লেখ করেছেন তাহলে বলতে হয় বুখারী শারীফেও<br /><br />দুর্বল হাদীস আছে যেহেতু ইমাম<br /><br />বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হাদীস শাস্ত্রের<br /><br />জ্ঞান লাভ করেছেন আব্দুর রাজ্জাক<br /><br />রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর কাছ থেকে। কিন্তু<br /><br />বুখারী শারীফে দুর্বল হাদীস আছে সেটা কেউই বলেন<br /><br />না। তাই “হাদীসটি দুর্বল/জাল” কথাটি ভুল প্রমাণীত<br /><br />হল।<br /><br />হাদীসের সনদটি নিম্নরূপ :<br /><br />হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম<br /><br />↓<br /><br />জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু<br /><br />↓<br /><br />মুহাম্মাদ বিন মুঙ্কদার রাহমাতুল্লাহি আলাইহি<br /><br />↓<br /><br />মা’মার বিন রাশীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি<br /><br />↓<br /><br />আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি।<br /><br />সুবহানাল্লাহ্ !!!<br /><br />এবার দেখা যাক বর্নিত হাদীস শরীফ উনার রাবীদের<br /><br />সম্পর্কে মুহাদ্দীসগণের মন্তব্য : হাফিজে হাদীস,<br /><br />তাবে তাবেয়ীন ইমাম আব্দুর রাজ্জাক<br /><br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি : আহমাদ ইবন সালীহ<br /><br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “আমি একবার আহমাদ<br /><br />বিন হাম্বল<br /><br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনকে জিজ্ঞাসা করলাম,<br /><br />আপনি হাদীস শাস্ত্রে আব্দুর রাজ্জাক<br /><br />রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে নির্ভরযোগ্য আর<br /><br />কাউকে পেয়েছেন? আহমাদ বিন হাম্বল<br /><br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, না”।<br /><br />দলীল-<br /><br />√ তাহজিবুত তাহজিব লি হাফিয ইবনে হাজর<br /><br />আসক্বলানী ২/৩৩১<br /><br />হাদীস শরীফ উনার অপর রাবী মা’মার বিন রাশীদ<br /><br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি :<br /><br />উনার সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল<br /><br />রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি বাসরার সকল হাদীস<br /><br />শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞের থেকে মুসান্নাফ আব্দুর<br /><br />রাজ্জাকে মা’মার বিন রাশীদ এর<br /><br />সূত্রে পাওয়া হাদীসগুলো পছন্দ করি। ইবন হাজর<br /><br />আসকলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে প্রখর<br /><br />স্বরনশক্তি সম্পন্ন এবং নির্ভরযোগ্য বলেন।<br /><br />দলীল-<br /><br />√ তাহজিবুত তাহজিব ১/৫০৫<br /><br />√ আসমাউর রেজাল।<br /><br />উক্ত মা’মার বিন রাশীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার<br /><br />সূত্রে বর্ণিত বুখারী শারীফের হাদীস সংখ্যা প্রায়<br /><br />২২৫ এবং মুসলিম শারীফে বর্ণিত হাদীস সংখ্যা প্রায়<br /><br />৩০০ টি।<br /><br />সুবহানাল্লাহ্ !<br /><br />হাদীসটির আরেক রাবী হলেন মুহাম্মাদ বিন মুকদার<br /><br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি : ইমাম<br /><br />হুমায়দি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, মুকদার<br /><br />রহমতুল্লাহি আলাইহি একজন হাফিজ,ইমাম জারাহ<br /><br />তাদীলের ইমাম ইবন মা’ঈন<br /><br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, উনি নির্ভরযোগ্য।<br /><br />দলীল-<br /><br />√ তাহজিবুত তাহজিব ০৯/১১০৪৮<br /><br />√ আসমাউর রেজাল ।<br /><br />হযরত মুনকদার রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত<br /><br />হাদীসের সংখ্যা বুখারী শারীফে ৩০টি এবং মুসলিম<br /><br />শারীফে ২২টি। সুবহানাল্লাহ্ !! আর মূল<br /><br />বর্ননাকারী হলেন হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু<br /><br />একজন সুপ্রসিদ্ধ সাহাবী। বুখারী ও মুসলিম শারীফের<br /><br />উনার থেকে বর্ণিত অনেক হাদীস আছে।<br /><br />সুতরাং বুঝা গেল। হাদীসটির সকল রাবীই নির্ভরযোগ্য<br /><br />এবং উনাদের সূত্রে বুখারী ও মুসলিম শারীফেও হাদীস<br /><br />বর্ণিত আছে। সুতরাং বলা যায়, ইমাম বুখারী ও মুসলিম<br /><br />রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উভয়ের হাদীস<br /><br />শর্তানুসারে হাদীসটি সহীহ। সুবহানাল্লাহ্ !!<br /><br /><br /><br />আলহামদুলিল্লাহ ! আমরা পরিস্কার<br /><br />এবং বিশুদ্ধ সনদের মাধ্যমে হাদীস শরীফটির<br /><br />গ্রহনযোগ্যতা জানতে পারলাম। এবার আসুন<br /><br />আমরা দেখি উক্ত হাদীস শরীফ সম্পর্কে মুহাদ্দিস<br /><br />এবং হাদীস শরীফ বিশারদগন কি বলেছেন।<br /><br />উক্ত বিশুদ্ধ হাদীস শরীফ খানা নিজ কিতাবে সহীহ<br /><br />বলে উল্লেখ করেছেন বিখ্যাত মুহাদ্দিস<br /><br />আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ইমাম<br /><br />বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে বলা হয় – ”<br /><br />ইমাম বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন স্বীয়<br /><br />যুগের হাদীস শরীফ এবং ফিক্বাহ শাস্ত্রের<br /><br />অপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্যক্তিত্ব। উম্মত যাদের মাধ্যমে খুব<br /><br />উপকৃত হয়েছে এবং হাফিজে হাদীস এমন সাত<br /><br />ব্যক্তি ছিলেন তাদের যাদের গ্রন্থ সবচাইতে উৎকৃষ্ট<br /><br />বলে স্বীকৃত। সেই সাত জনের একজন হলেন, ইমাম<br /><br />বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ।”<br /><br />দলীল-<br /><br />√ আসমাউর রেজাল-বাবু আইম্মাতুল হাদীস।<br /><br />এই জগৎবিখ্যত মুহাদ্দিস ইমাম,<br /><br />আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার<br /><br />কিতাবে বর্ননা করেন–<br /><br />ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺧﻠﻖ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻧﻮﺭ ﻧﺒﻴﻚ<br /><br />“….. নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম উনার<br /><br />নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার “নূর”<br /><br />মুবারক সৃষ্টি করেন।”<br /><br />দলীল-<br /><br />√ দালায়েলুন নবুওয়াত লিল বায়হাক্বী ১৩ তম খন্ড ৬৩<br /><br />পৃষ্ঠা।<br /><br />বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস, যিনি এই উপমহাদেশে হাদীস<br /><br />শরীফের ব্যাপক প্রচার প্রসার করেছেন, সু দীর্ঘ সময়<br /><br />মদীনা শরীফে যিনি ইলিম চর্চা করেছেন।<br /><br />যিনি প্রতিদিন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু<br /><br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাক্ষাত লাভ করতেন,<br /><br />ইমামুল মুহাদ্দিসীন শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস<br /><br />দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি উক্ত<br /><br />হাদীসে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বা নূর সংক্রান্ত<br /><br />হাদীস শরীফকে সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন।<br /><br />তিনি উনার কিতাবে লিখেন – ﺩﺭﺣﺪﻳﺚ ﺻﺤﻴﺢ ﻭﺍﺭﺩ ﺷﺪ ﻛﻪ ﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ<br /><br />ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭﻱ<br /><br />অর্থ: “সহীহ হাদীস শরীফে” বর্নিত হয়েছে যে, হুজুর<br /><br />পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,<br /><br />মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম আমার নূর মুবারক<br /><br />সৃষ্টি করেন!”<br /><br />দলীল-<br /><br />√ মাদারেজুন নবুওয়াত ২য় খন্ড ২ পৃষ্ঠা।<br /><br />বিখ্যাত মুহাদ্দিস, আরেফ বিল্লাহ,<br /><br />সাইয়্যিদিনা আব্দুল<br /><br />গনী নাবেলসী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস<br /><br />শরীফকে সরাসরি সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন।<br /><br />তিনি বলেন – ﻗﺪ ﺧﻠﻖ ﻛﻞ ﺷﻴﻲ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻩ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻛﻤﺎ ﻭﺭﺩ ﺑﻪ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ<br /><br />ﺍﻟﺼﺤﻴﺢ<br /><br />অর্থ: নিশ্চয়ই প্রত্যেক জনিস হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু<br /><br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক<br /><br />থেকে সৃষ্টি হয়েছে, যেমন এ ব্যাপারে ‘সহীহ’ হাদীস<br /><br />শরীফ বর্নিত রয়েছে।”<br /><br />দলীল-<br /><br />√ হাদীক্বায়ে নদীয়া- দ্বিতীয় অধ্যায়-৬০ তম<br /><br />অনুচ্ছেদ-২য় খন্ড ৩৭৫ পৃষ্ঠা।<br /><br />ইমামুল মুফাসরিরীন, মুফতীয়ে বাগদাদ, হযরত<br /><br />আলূসী বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস<br /><br />শরীফকে নির্ভরযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন।<br /><br />তিনি উনার কিতাবে লিখেন – ﻭﻟﺬﺍ ﻛﺎﻥ ﻧﻮﺭﻩ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ<br /><br />ﺍﻭﻝ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﺎﺕ ﻓﻔﻲ ﺍﻟﺨﺒﺮ ﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻧﻮﺭ ﻧﺒﻴﻚ ﻳﺎﺟﺎﺑﺮ<br /><br />অর্থ : সকল মাখলুকাতের মধ্যে সর্বপ্রথম সৃষ্টি হলো,<br /><br />নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যেমন-<br /><br />হাদীস শরীফে বর্নিত আছে, হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু<br /><br />আনহু! আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আপনার নবী ছল্লাল্লাহু<br /><br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন।”<br /><br />দলীল-<br /><br />√ রুহুল মায়ানী ১৭ তম খন্ড ১০৫ পৃষ্ঠা।<br /><br />বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন,আল্লামা ইমাম মুহম্মদ মাহদ<br /><br />ইবনে আহমদ ফার্সী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত<br /><br />হাদীস শরীফকে সহীহ বলে নিজের কিতাব<br /><br />মুবারকে উল্লেখ করেছেন। তিনি বর্ননা করেন – ﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ<br /><br />ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭﻩ ﻭﻣﻦ ﻧﻮﺭﻱ ﺧﻠﻖ ﻛﻞ ﺵﺀﻱ<br /><br />অর্থ : মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আমার নূর মুবারক<br /><br />সৃষ্টি করেন এবং আমার নূর মুবারক থেকে সবকিছু<br /><br />সৃষ্টি করেন।”<br /><br />দলীল-<br /><br />√ মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃষ্ঠা ।<br /><br />উক্ত হাদীস শরীফের সমর্থনে বিখ্যাত মুহাদ্দিস,<br /><br />ছহীবে মেরকাত, ইমামুল মুহাদ্দিসীন<br /><br />মুল্লা আলী কারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন –<br /><br />ﻭﺍﻣﺎﻧﻮﺭﻩ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻓﻬﻮ ﻓﻲ ﻏﺎﻳﺎﺓ ﻣﻦ ﺍﻟﻈﻬﻮﺭ ﺷﺮﻗﺎ ﻭ ﻏﺮﺑﺎ ﻭﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ<br /><br />ﻧﻮﺭﻩ ﻭﺳﻤﺎﻩ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺑﻪ ﻧﻮﺭﺍ<br /><br />অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম<br /><br />উনার নূর মুবারক পূর্ব ও পশ্চিমে পূর্নরুপে প্রকাশ<br /><br />পেয়েছে। আর মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম উনার নূর<br /><br />মুবারক সৃষ্টি করেন। তাই নিজ কিতাব কালামুল্লাহ<br /><br />শরীফে উনার নাম মুবারক রাখেন ‘নূর’।”<br /><br />দলীল-<br /><br />√ আল মওযুআতুল কবীর ৮৩ পৃষ্ঠা।<br /><br />বিখ্যাত মুহাদ্দিস, আল্লামা আবুল হাসান বিন<br /><br />আব্দিল্লাহ আল বিকরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন<br /><br />— ﻗﺎﻝ ﻋﻠﻲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻻ ﺷﻲﺀ ﻣﻌﻪ ﻓﺎﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﻧﻮﺭ ﺣﺒﻴﺒﻪ ﻗﺒﻞ ﺍﻥ ﻳﺨﻠﻖ<br /><br />ﺍﻟﻤﺎﺀ ﻭﺍﻟﻌﺮﺵ ﻭﺍﻟﻜﺮﺳﻲ ﻭﺍﻟﻠﻮﺡ ﻭﺍﻟﻘﻠﻢ ﻭﺍﻟﺠﻨﺔ ﻭﺍﻧﺎﺭ ﻭﺍﻟﺤﺠﺎﺏ<br /><br />অর্থ: হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া আলাইহিস<br /><br />সালাম বলেন, শুধুমাত্র আল্লাহ পাক ছিলেন, তখন অন্য<br /><br />কোন অস্তিত্ব ছিলো না। অতঃপর<br /><br />তিনি পানি,আরশ,কুরসী, লওহো,ক্বলম,জান্নাত,<br /><br />জাহান্নাম ও পর্দা সমূহ ইত্যাদি সৃষ্টি করার<br /><br />পূর্বে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম<br /><br />উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন।”<br /><br />দলীল-<br /><br />√ আল আনওয়ার ফী মাওলিদিন নাবিয়্যিল মুহম্মদ<br /><br />ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৫ পৃষ্ঠা।<br /><br />বিখ্যাত তাফসির কারক,ইমামুল মুফাসসিরীন,<br /><br />আল্লামা ইসমাঈল<br /><br />হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-<br /><br />ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺧﻠﻖ ﺟﻤﻴﻊ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻣﻦ ﻧﻮﺭ ﻣﺤﻤﺪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻭﻟﻢ ﻳﻨﻘﺺ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻩ<br /><br />ﺳﻲﺀ<br /><br />অর্থ: এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, নিশ্চয়ই মহান<br /><br />আল্লাহ পাক সকল মাখলুকাত “নূরে মুহম্মদী” ছল্লাল্লাহু<br /><br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সৃষ্টি করেছেন। অথচ<br /><br />“নূরে মুহম্মদী” ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম<br /><br />হতে কিঞ্চিত পরিমানও কমে নাই।”<br /><br />দলীল-<br /><br />√ তাফসীরে রুহুল বয়ান ৭ম খন্ড ১৯৭-১৯৮ পৃষ্ঠা।<br /><br />হযরত জাবির বিন আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু<br /><br />হতে বর্নিত হাদীস শরীফ খানা অত্যন্ত সহীহ। আর<br /><br />সহীহ বলেই সকল জগৎ বিখ্যাত মুহাদ্দিসগন উনাদের<br /><br />কিতাবে উক্ত হাদীস শরীফ খানা বলিষ্ঠ<br /><br />ভাবে বর্ননা করেছেন। আমরা উপরে কিছু ইমামদের<br /><br />মতামত উল্লেখ করেছি। এছাড়াও আরো যারা উক্ত<br /><br />হাদীস শরীফকে বিশুদ্ধ বলে নিজেদের<br /><br />কিতাবে উল্লেখ করেছেন তাদের কথা উল্লেখ<br /><br />করা হলো–<br /><br />→ বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকারক, হাফিজে হাদীস<br /><br />আল্লামা কুস্তালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার<br /><br />“মাওয়াহেবুল লাদুন্নিয়া” কিতাবের ১ম খন্ড ৯ পৃষ্ঠা।<br /><br />→ হাফিজে হাদীস,আল্লামা যুরকানী রহমাতুল্লাহি<br /><br />আলাইহি উনার “যুরকানী আলা শরহে মাওয়াহেব”<br /><br />কিতাবের ১ম খন্ড ৪৬ পৃষ্ঠা।<br /><br />→ বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইবনে হাজর<br /><br />হায়তামী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার<br /><br />“ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া” কিতাবে ১৮৯ পৃষ্ঠা ।<br /><br />→ মুহাদ্দিস আলী ইবনে ইব্রাহীম<br /><br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “সিরাতুল হলবীয়”<br /><br />কিতাবে ১ম খন্ড ৩০ পৃষ্ঠা।<br /><br />→ হাফিজে হাদীস, হযরত ইবনে হাজার<br /><br />মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “আফদ্বালুল কোরা”<br /><br />কিতাবে।<br /><br />→ বিশিষ্ট আলেম, শায়খুল আল্লামা, হযরত দিয়ার<br /><br />বাকরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “তারীখুল<br /><br />খামীস” কিতাব সহ শতশত কিতাবে উক্ত হাদীস শরীফ<br /><br />খানা বর্ননা করা হয়েছে ।<br /><br />প্রত্যকেই উক্ত হাদীস শরীফ এর উপর আস্থা স্থাপন<br /><br />করেছেন বিনা দ্বিধায়। সুবহানাল্লাহ্ !! যেটা উছুলের<br /><br />কিতাবে বলা হয়েছে – ﻓﺎﻥ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻳﺘﻘﻮﻱ ﺑﺘﻠﻘﻲ ﺍﻻﺀﻣﺔ ﺑﺎﻟﻘﺒﻮﻝ ﻛﻤﺎ ﺍﺷﺮ ﺍﻟﻴﻪ<br /><br />ﺍﻻﻣﺎﻡ ﺍﻟﺘﺮ ﻣﺬﻱ ﻓﻲ ﺟﺎﻣﻌﻪ ﻭﺻﺮﺡ ﺑﻪ ﻋﻠﻤﺎﺀﻧﺎ ﻓﻲ ﺍﻻﺻﻮﻝ<br /><br />অর্থ: কোন হাদীস শরীফকে ইমামগন নিঃসংকোচে কবুল<br /><br />করে নেয়াই উক্ত হাদীস শরীফ<br /><br />খানা শক্তিশালী বা সহীহ হওয়ার প্রমান। ইমাম<br /><br />তিরমিযী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “জামে”<br /><br />তে এদিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন আর আলেমগন তা উছুলের<br /><br />কিতাবে সুস্পষ্ট ভাবে বর্ননা করেছেন।”<br /><br />সূতরাং এরপরও যারা বলবে, উক্ত হাদীস শরীফ<br /><br />খানা সহীহ নয়, তারা হাদীস শরীফের উছুল<br /><br />সম্পর্কে নেহায়েত অজ্ঞ। উক্ত হাদীস শরীফ<br /><br />খানা হাফিজে হাদীস ইমাম আব্দুর রাজ্জাক<br /><br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাব “মুসনাদে আব্দুর<br /><br />রাজ্জাক” কিতাবে সহীহ সনদে বর্ননা করেছেন<br /><br />এবং পৃথিবীর সকল ইমাম,মুহাদ্দিস গন উক্ত হাদীস<br /><br />শরীফের প্রতি আস্থা স্থাপন করে স্ব স্ব<br /><br />কিতাবে উল্লেখ করেছেন। সূতরাং প্রমান হলো উক্ত<br /><br />হাদীস শরীফ খানা সর্বোচ্চ মানের সহীহ একটি হাদীস<br /><br />শরীফ।<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgqiZPwSIU5wD0AFlifWegZfgmWaI0ftKGUqpGl6BreJbLraK-E-bJZ_CCowHUThSP6Uxbp7U8JQhoUD_9D4rmF4_yomp_vWQm2Q3tOOfEIV2jSDrUmflO10LQcrytK64iQWKgCGMaa5QQZ/s1600/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="144" data-original-width="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgqiZPwSIU5wD0AFlifWegZfgmWaI0ftKGUqpGl6BreJbLraK-E-bJZ_CCowHUThSP6Uxbp7U8JQhoUD_9D4rmF4_yomp_vWQm2Q3tOOfEIV2jSDrUmflO10LQcrytK64iQWKgCGMaa5QQZ/s1600-rw/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" /></a></div><br /><br /><br />এখন মজার ব্যাপার দেখুন, যেসকল<br /><br />ওহাবী দেওবন্দীরা উক্ত হাদীস শরীফ<br /><br />নিয়ে আপত্তি করে তাদের অন্যতম গুরু আশরাফ<br /><br />আলী থানবী নিজেই উক্ত হাদীস শরীফকে তার কিতাব<br /><br />“নশরুত তীব” উল্লেখ করেছে। এবার দেখুন থানবী তার এই<br /><br />কিতাবে কি লিখেছে — থানবী এই কিতাবে প্রথম<br /><br />যে অধ্যায় রচনা করেছে তার নাম দিয়েছে ”<br /><br />নূরে মুহম্মদীর বিবরন”।<br /><br />যাইহোক, এখানে প্রথমেই যা লিখেছে তা হলো- ” আব্দুর<br /><br />রাজ্জাক তাঁর সনদসহ হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ<br /><br />থেকে বর্ননা করেছেন যে, আমি আরজ করলাম :<br /><br />ইয়া রসূল্লাল্লাহ আমার পিতা মাতা আপনার জন্য<br /><br />কোরবান হউক, আমাকে এই খবর দিন যে, আল্লাহ পাক<br /><br />সর্ব প্রথম কোন বস্তুটি সৃষ্টি করেছেন?<br /><br />প্রিয়নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ<br /><br />করলেন, হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! আল্লাহ পাক<br /><br />সবকিছুর পূর্বে আপনার নবীর নূর সৃষ্টি করেছেন অর্থাৎ<br /><br />হাদীসে জাবির বর্ণনা করেছে দেওবন্দী আশরাফ<br /><br />আলী থানবী নিজ কিতাবে। মজার<br /><br />কথা হলো থানবী মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাকে হাদীসের<br /><br />সনদ খুজে পেল আর বর্তমানে তারই<br /><br />অনুসারী ওহাবী দেওবন্দীরা সনদ খুজে পায় না। কত<br /><br />হাস্যকর লজ্জাজনক বিষয় নিজেরাই চিন্তা করুন। শুধু<br /><br />তাই নয়, আশরাফ আলী থানবী উক্ত “নশরুত্বীব”<br /><br />কিতাবের প্রথম অধ্যায়ে “নূরে মুহম্মদীর বিবরন” শীর্ষক<br /><br />বর্ননায় আরো একটি হাদীস শরীফ উল্লেখ করেছে –<br /><br />ইমাম জয়নুল আবেদীন আলাইহিস সালাম উনার<br /><br />পিতা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম<br /><br />থেকে এবং তিনি হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু<br /><br />থেকে বর্ননা করেন যে, হুজুর ছল্লাল্লাহু<br /><br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমি আদম<br /><br />আলাইহিস সালাম উনার জন্মের ১৪ হাজার বছর<br /><br />পূর্বে আমার পরওয়ারদিগারের দরবারে একটি “নূর”<br /><br />ছিলাম।” সুবহানাল্লাহ্ !!!<br /><br />দেওবন্দী/কাওমীরা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু<br /><br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বপ্রথম নূর হিসাবে সৃষ্টি এই<br /><br />হাদীস অস্বীকার করলে কি হবে এদের একমাত্র<br /><br />অবিভাবক ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ আবার এই হাদীস<br /><br />স্বীকার করে ফতোয়া দেয়। সবাই দেখুন ভারতের<br /><br />দেওবন্দীরা আশরাফ আলি থানভি সাহেবের কিতাব<br /><br />থেকেই তাদের ওয়েবসাইটে ফতোয়া বিভাগে দলীল<br /><br />দিচ্ছে–> Question: 3126 >Is the Prophet peace be upon him’s<br /><br />nur the first thing to be created? Also, was it created before<br /><br />Adam alayhis salam’s? Answer: 3126 Jan 29,2008 (Fatwa:<br /><br />903/876=D)<br /><br />Hazrat Hakimul Ummah, Maulana Ashraf Ali Thanwi has<br /><br />mentioned a Hadith in his book ﻧﺸﺮ ﺍﻟﻄﯿﺐ ﻓﯽ ﺫﮐﺮ ﺍﻟﻨﺒﯽ ﺍﻟﺤﺒﯿﺐ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ<br /><br />ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ with reference of Ahkam bin Al- Qattan that Hazrat Ali<br /><br />bin Al- Hussain (Zainul Abdeen) narrated from his father Hazrat<br /><br />Hussain ( ﺭﺿﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻨﮧ ) and he narrated from his father (Hazrat<br /><br />Ali ﺭﺿﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻨﮧ ) that the Prophet ( ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ) said: ?I was a<br /><br />noor (light) in front of my Lord some forty thousand years<br /><br />before the birth of Hazrat Adam ( ﻋﻠﯿﮧ ﺍﻟﺴﻼﻡ )?. There are some<br /><br />more traditions which prove that the noor of the Prophet ( ﺻﻠﯽ<br /><br />ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ) was created in the earliest time, some traditions<br /><br />say that his noor was created before the Tablet, the Pen, earth,<br /><br />sky and even before all creatures. Allah (Subhana Wa Ta’ala)<br /><br />knows Best Darul Ifta, Darul Uloom Deoband. ভারতের দারুল<br /><br />উলুম দেওবন্দের ফতোয়ার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক – ->>><br /><br />http://darulifta-deoband.org/showuserview.do? function=answerView&all=en&id=3126<br /><br /><br /><br />আবার উক্ত হাদীসে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু<br /><br />দেওবন্দীদের আরেক মৌলবী দেওবন্দীদের মৃত শায়খুল<br /><br />হদস আজিজুল হক তার বুখারী শরীফের অনুবাদে ৫ম খন্ড<br /><br />৩ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছে।<br /><br />অর্থাৎ বিরোধিতা কারীদের কিতাবেও উক্ত হাদীস<br /><br />শরীফ খানা নির্ভরযোগ্য<br /><br />হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন<br /><br />হচ্ছে বর্তমানে দুই পয়সার<br /><br />বাজাইরা ওহাবী মৌলবীরা উক্ত হাদীস শরীফের<br /><br />বিরোধিতা করে কেন ?????<br /><br />যাইহোক, উপরোক্ত আলোচনা থেকে দিবালোকের মত<br /><br />প্রমান হলো, আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম হুজুর পাক<br /><br />ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক<br /><br />সৃষ্টি করেছেন। এবং সেই নূর মুবারক থেকে সবকিছু<br /><br />সৃষ্টি করেন। এটাই হলো আহলে সুন্নত ওয়াল<br /><br />জামায়াতের আক্বীদা, এবং এর বিপরীত<br /><br />আক্বীদা পোষন করা কুফরী। আল্লাহ পাক আমাদের সত্য<br /><br />বোঝার তৌফিক দান করুন। আমীন !!<br /><br /><br /><br /><br /></div><br />

আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম নবী পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নুর মোবরক সৃষ্টি করেছেন

আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম নবী পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নুর মোবরক সৃষ্টি করেছেন আমাদের প্রিয় নবীজী হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া...

Read more »

আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম নবী পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নুর মোবরক সৃষ্টি করেছেন

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম নবী পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নুর মোবরক সৃষ্টি করেছেন<br /><br />আমাদের প্রিয় নবীজী হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু<br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূর এ মুজাস্সাম। সর্ব<br />প্রথম আল্লাহ পাক উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন। এ<br />প্রসঙ্গে সহীহ হাদীস শরীফে বর্নিত আছে। হাদীস<br />শরীফখানা বর্ননা করেন ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের উস্তাদের উস্তাদ।<br />ইমাম আহমদ বিন হাম্মল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার<br />উস্তাদ,ইমামে আযম আবু<br />হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ছাত্র, বিখ্যাত<br />মুহাদ্দিস , তাবে তাবেয়ী, হাফিজে হাদীস,<br />আল্লামা আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার<br />বিখ্যাত হাদীস শরীফ গ্রন্থ “মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক”<br />১ম খন্ড ৯৯ পৃষ্ঠায় ১৮ নং হাদীস শরীফে।<br />ইমাম হযরত আব্দুর রাজ্জাক<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস শরীফ বর্ননা করেন<br />হযরত মা’মার বিন রশীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে,<br />তিনি বর্ননা করেন মুহম্মদ বিন মুনকদার<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি বর্ণনা করেন<br />বিখ্যাত ছাহাবী জাবির বিন আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু<br />আনহু থেকে। হাদীস শরীফ – ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮ ﺭﺻﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻗﻠﺖ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ<br />ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺑﺎﺑﻲ ﺍﻧﺖ ﻭ ﺍﻣﻲ ﺍﺧﺒﺮﻧﻲ ﻋﻦ ﺍﻭﻝ ﺷﻴﻲﺀ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ<br />ﻗﺎﻝ ﻳﺎ ﺟﺎﺑﺮ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻗﺪ ﺧﻠﻖ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻧﻮﺭ ﻧﺒﻴﻚ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻩ ﻓﺠﻌﻞ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻨﻮﺭ ﻳﺪﻭﺭ<br />ﺑﺎﻟﻘﺪﺭﺓ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻭﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻓﻲ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻮﻗﺖ ﻟﻮﺡ ﻭﻻ ﻗﻠﻢ ﻭﻻ ﺟﺘﺔ ﻭﻻ ﻧﺎﺭ ﻭﻻ ﻣﻠﻚ<br />ﻭﻻ ﺳﻤﺎﺀ ﻭﻻ ﺍﺭﺽ ﻭﻻ ﺷﻤﺲ ﻭﻻ ﻗﻤﺮ ﻭﻻ ﺟﻨﻲ ﻭﻻ ﺍﻧﺴﻲ .… ﺍﻟﻲ ﺍﺧﺮ<br />অর্থ: হযরত জাবের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত,<br />তিনি বলেন, আমি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু<br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ<br />ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার<br />পিতা মাতা আপনার জন্য কুরবানি হোক,<br />আপনি আমাকে জানিয়ে দিন যে, আল্লাহ পাক সর্ব<br />প্রথম কোন জিনিস সৃষ্টি করেছেন? তিনি বলেন,<br />হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক<br />সর্ব প্রথম সব কিছুর পূর্বে আপনার নবীর নূর মুবারক<br />সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর সেই নূর মুবারক আল্লাহ পাক<br />উনার ইচ্ছা অনুযায়ী কুদরতের মাঝে ঘুরছিলো।আর<br />সে সময় লওহো, ক্বলম, জান্নাত, জাহান্নাম, ফেরেশতা,<br />আসমান, জমিন, চন্দ্র, সূর্য, মানুষ ও জ্বিন কিছুই<br />ছিলো না। “<br />দলীল সমুহ —<br />(১) মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক ১/৯৯, হাদীস ১৮<br />(২) দালায়েলুন নবুওয়াত ১৩/৬৩<br />(৩) মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া ১/৯<br />(৪) মাদারেজুন নবুওয়াত ২/২<br />(৫) যুরকানী ১/৪৬<br />(৬) রুহুল মায়ানী ১৭/১০৫<br />(৭) সিরাতে হলবীয়া ১/৩০<br />(৮) মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃ<br />(৯) ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া ১৮৯ পৃ<br />(১০) নি’ মাতুল কুবরা ২ পৃ<br />(১১) হাদ্বীকায়ে নদীয়া ২/৩৭৫<br />(১২) দাইলামী শরীফ ২/১৯১<br />(১৩) মকতুবাত শরীফ ৩ খন্ড ১০০ নং মকতুব<br />(১৪) মওজুয়াতুল কবীর ৮৩ পৃ<br />(১৫) ইনছানুল উয়ুন ১/২৯<br />(১৬) নূরে মুহম্মদী ৪৭ পৃ<br />(১৭) আল আনোয়ার ফি মাওলিদিন নবী ৫ পৃ<br />(১৮) আফদ্বালুল ক্বোরা<br />(১৯) তারীখুল খমীস ১/২০<br />(২০) নুজহাতুল মাজালিস ১ খন্ড<br />(২১) দুররুল মুনাজ্জাম ৩২ পৃ<br />(২২) কাশফুল খফা ১/৩১১<br />(২৩) তারিখ আননূর ১/৮<br />(২৪) আনোয়ারে মুহম্মদীয়া ১/৭৮<br />(২৫) আল মাওয়ারিদে রাবী ফী মাওলীদিন নবী ৪০<br />পৃষ্ঠা ।<br />(২৬) তাওয়ারীখে মুহম্মদ<br />(২৭) আনফাসে রহীমিয়া<br />(২৮) মা’ য়ারিফে মুহম্মদী<br />(২৯) মজমুয়ায়ে ফতোয়া ২/২৬০<br />(৩০) নশরুতত্বীব ৫ পৃ<br />(৩১) আপকা মাসায়েল আওর উনকা হাল ৩/৮৩<br />(৩২) শিহাবুছ ছাকিব ৫০<br />(৩৩) মুনছিবে ইছমত ১৬ পৃ<br />(৩৪) রেসালায়ে নূর ২ পৃ<br />(৩৫) হাদীয়াতুল মাহদী ৫৬পৃ<br />(৩৬) দেওবন্দী আজিজুল হক অনুবাদ কৃত বুখারী শরীফ ৫/৩<br />আমাদের সমাজের অনেক দেওবন্দী/ খারেজী/ওহাবী/<br />লা মাযহাবী/ তাবলীগি ইত্যাদি বাতিল ফির্কা এই<br />হাদীস শরীফকে নিজেদের সার্থ চরিতার্থ করার জন্য<br />জাল/দুর্বল বলে থাক। আসুন আমরা সত্যতার<br />মাপকাঠিতে হাদীস শরীফটির সনদ যাচাই করে দেখি।<br />যিনি এ হাদীস শরীফ বর্ননা করেছেন তিনি হচ্ছেন<br />হাফিজে হাদীস,ইমাম আব্দুর রাজ্জাক<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ইমাম আব্দুর রাজ্জাক<br />রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হলেন মুসলিম উম্মাহের<br />সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দীস ইমাম<br />বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর দাদা উস্তাদ।<br />যদি বিতর্কের খাতিরে ধরেই নেই আব্দুর রাজ্জাক<br />রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর কিতাবে দুর্বল হাদীস<br />উল্লেখ করেছেন তাহলে বলতে হয় বুখারী শারীফেও<br />দুর্বল হাদীস আছে যেহেতু ইমাম<br />বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হাদীস শাস্ত্রের<br />জ্ঞান লাভ করেছেন আব্দুর রাজ্জাক<br />রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর কাছ থেকে। কিন্তু<br />বুখারী শারীফে দুর্বল হাদীস আছে সেটা কেউই বলেন<br />না। তাই “হাদীসটি দুর্বল/জাল” কথাটি ভুল প্রমাণীত<br />হল।<br />হাদীসের সনদটি নিম্নরূপ :<br />হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম<br />↓<br />জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু<br />↓<br />মুহাম্মাদ বিন মুঙ্কদার রাহমাতুল্লাহি আলাইহি<br />↓<br />মা’মার বিন রাশীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি<br />↓<br />আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি।<br />সুবহানাল্লাহ্ !!!<br />এবার দেখা যাক বর্নিত হাদীস শরীফ উনার রাবীদের<br />সম্পর্কে মুহাদ্দীসগণের মন্তব্য : হাফিজে হাদীস,<br />তাবে তাবেয়ীন ইমাম আব্দুর রাজ্জাক<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি : আহমাদ ইবন সালীহ<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “আমি একবার আহমাদ<br />বিন হাম্বল<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনকে জিজ্ঞাসা করলাম,<br />আপনি হাদীস শাস্ত্রে আব্দুর রাজ্জাক<br />রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে নির্ভরযোগ্য আর<br />কাউকে পেয়েছেন? আহমাদ বিন হাম্বল<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, না”।<br />দলীল-<br />√ তাহজিবুত তাহজিব লি হাফিয ইবনে হাজর<br />আসক্বলানী ২/৩৩১<br />হাদীস শরীফ উনার অপর রাবী মা’মার বিন রাশীদ<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি :<br />উনার সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল<br />রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি বাসরার সকল হাদীস<br />শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞের থেকে মুসান্নাফ আব্দুর<br />রাজ্জাকে মা’মার বিন রাশীদ এর<br />সূত্রে পাওয়া হাদীসগুলো পছন্দ করি। ইবন হাজর<br />আসকলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে প্রখর<br />স্বরনশক্তি সম্পন্ন এবং নির্ভরযোগ্য বলেন।<br />দলীল-<br />√ তাহজিবুত তাহজিব ১/৫০৫<br />√ আসমাউর রেজাল।<br />উক্ত মা’মার বিন রাশীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার<br />সূত্রে বর্ণিত বুখারী শারীফের হাদীস সংখ্যা প্রায়<br />২২৫ এবং মুসলিম শারীফে বর্ণিত হাদীস সংখ্যা প্রায়<br />৩০০ টি।<br />সুবহানাল্লাহ্ !<br />হাদীসটির আরেক রাবী হলেন মুহাম্মাদ বিন মুকদার<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি : ইমাম<br />হুমায়দি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, মুকদার<br />রহমতুল্লাহি আলাইহি একজন হাফিজ,ইমাম জারাহ<br />তাদীলের ইমাম ইবন মা’ঈন<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, উনি নির্ভরযোগ্য।<br />দলীল-<br />√ তাহজিবুত তাহজিব ০৯/১১০৪৮<br />√ আসমাউর রেজাল ।<br />হযরত মুনকদার রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত<br />হাদীসের সংখ্যা বুখারী শারীফে ৩০টি এবং মুসলিম<br />শারীফে ২২টি। সুবহানাল্লাহ্ !! আর মূল<br />বর্ননাকারী হলেন হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু<br />একজন সুপ্রসিদ্ধ সাহাবী। বুখারী ও মুসলিম শারীফের<br />উনার থেকে বর্ণিত অনেক হাদীস আছে।<br />সুতরাং বুঝা গেল। হাদীসটির সকল রাবীই নির্ভরযোগ্য<br />এবং উনাদের সূত্রে বুখারী ও মুসলিম শারীফেও হাদীস<br />বর্ণিত আছে। সুতরাং বলা যায়, ইমাম বুখারী ও মুসলিম<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উভয়ের হাদীস<br />শর্তানুসারে হাদীসটি সহীহ। সুবহানাল্লাহ্ !!<br /><br />আলহামদুলিল্লাহ ! আমরা পরিস্কার<br />এবং বিশুদ্ধ সনদের মাধ্যমে হাদীস শরীফটির<br />গ্রহনযোগ্যতা জানতে পারলাম। এবার আসুন<br />আমরা দেখি উক্ত হাদীস শরীফ সম্পর্কে মুহাদ্দিস<br />এবং হাদীস শরীফ বিশারদগন কি বলেছেন।<br />উক্ত বিশুদ্ধ হাদীস শরীফ খানা নিজ কিতাবে সহীহ<br />বলে উল্লেখ করেছেন বিখ্যাত মুহাদ্দিস<br />আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ইমাম<br />বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে বলা হয় – ”<br />ইমাম বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন স্বীয়<br />যুগের হাদীস শরীফ এবং ফিক্বাহ শাস্ত্রের<br />অপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্যক্তিত্ব। উম্মত যাদের মাধ্যমে খুব<br />উপকৃত হয়েছে এবং হাফিজে হাদীস এমন সাত<br />ব্যক্তি ছিলেন তাদের যাদের গ্রন্থ সবচাইতে উৎকৃষ্ট<br />বলে স্বীকৃত। সেই সাত জনের একজন হলেন, ইমাম<br />বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ।”<br />দলীল-<br />√ আসমাউর রেজাল-বাবু আইম্মাতুল হাদীস।<br />এই জগৎবিখ্যত মুহাদ্দিস ইমাম,<br />আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার<br />কিতাবে বর্ননা করেন–<br />ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺧﻠﻖ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻧﻮﺭ ﻧﺒﻴﻚ<br />“….. নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম উনার<br />নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার “নূর”<br />মুবারক সৃষ্টি করেন।”<br />দলীল-<br />√ দালায়েলুন নবুওয়াত লিল বায়হাক্বী ১৩ তম খন্ড ৬৩<br />পৃষ্ঠা।<br />বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস, যিনি এই উপমহাদেশে হাদীস<br />শরীফের ব্যাপক প্রচার প্রসার করেছেন, সু দীর্ঘ সময়<br />মদীনা শরীফে যিনি ইলিম চর্চা করেছেন।<br />যিনি প্রতিদিন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু<br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাক্ষাত লাভ করতেন,<br />ইমামুল মুহাদ্দিসীন শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস<br />দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি উক্ত<br />হাদীসে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বা নূর সংক্রান্ত<br />হাদীস শরীফকে সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন।<br />তিনি উনার কিতাবে লিখেন – ﺩﺭﺣﺪﻳﺚ ﺻﺤﻴﺢ ﻭﺍﺭﺩ ﺷﺪ ﻛﻪ ﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ<br />ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭﻱ<br />অর্থ: “সহীহ হাদীস শরীফে” বর্নিত হয়েছে যে, হুজুর<br />পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,<br />মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম আমার নূর মুবারক<br />সৃষ্টি করেন!”<br />দলীল-<br />√ মাদারেজুন নবুওয়াত ২য় খন্ড ২ পৃষ্ঠা।<br />বিখ্যাত মুহাদ্দিস, আরেফ বিল্লাহ,<br />সাইয়্যিদিনা আব্দুল<br />গনী নাবেলসী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস<br />শরীফকে সরাসরি সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন।<br />তিনি বলেন – ﻗﺪ ﺧﻠﻖ ﻛﻞ ﺷﻴﻲ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻩ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻛﻤﺎ ﻭﺭﺩ ﺑﻪ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ<br />ﺍﻟﺼﺤﻴﺢ<br />অর্থ: নিশ্চয়ই প্রত্যেক জনিস হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু<br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক<br />থেকে সৃষ্টি হয়েছে, যেমন এ ব্যাপারে ‘সহীহ’ হাদীস<br />শরীফ বর্নিত রয়েছে।”<br />দলীল-<br />√ হাদীক্বায়ে নদীয়া- দ্বিতীয় অধ্যায়-৬০ তম<br />অনুচ্ছেদ-২য় খন্ড ৩৭৫ পৃষ্ঠা।<br />ইমামুল মুফাসরিরীন, মুফতীয়ে বাগদাদ, হযরত<br />আলূসী বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস<br />শরীফকে নির্ভরযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন।<br />তিনি উনার কিতাবে লিখেন – ﻭﻟﺬﺍ ﻛﺎﻥ ﻧﻮﺭﻩ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ<br />ﺍﻭﻝ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﺎﺕ ﻓﻔﻲ ﺍﻟﺨﺒﺮ ﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻧﻮﺭ ﻧﺒﻴﻚ ﻳﺎﺟﺎﺑﺮ<br />অর্থ : সকল মাখলুকাতের মধ্যে সর্বপ্রথম সৃষ্টি হলো,<br />নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যেমন-<br />হাদীস শরীফে বর্নিত আছে, হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু<br />আনহু! আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আপনার নবী ছল্লাল্লাহু<br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন।”<br />দলীল-<br />√ রুহুল মায়ানী ১৭ তম খন্ড ১০৫ পৃষ্ঠা।<br />বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন,আল্লামা ইমাম মুহম্মদ মাহদ<br />ইবনে আহমদ ফার্সী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত<br />হাদীস শরীফকে সহীহ বলে নিজের কিতাব<br />মুবারকে উল্লেখ করেছেন। তিনি বর্ননা করেন – ﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ<br />ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭﻩ ﻭﻣﻦ ﻧﻮﺭﻱ ﺧﻠﻖ ﻛﻞ ﺵﺀﻱ<br />অর্থ : মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আমার নূর মুবারক<br />সৃষ্টি করেন এবং আমার নূর মুবারক থেকে সবকিছু<br />সৃষ্টি করেন।”<br />দলীল-<br />√ মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃষ্ঠা ।<br />উক্ত হাদীস শরীফের সমর্থনে বিখ্যাত মুহাদ্দিস,<br />ছহীবে মেরকাত, ইমামুল মুহাদ্দিসীন<br />মুল্লা আলী কারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন –<br />ﻭﺍﻣﺎﻧﻮﺭﻩ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻓﻬﻮ ﻓﻲ ﻏﺎﻳﺎﺓ ﻣﻦ ﺍﻟﻈﻬﻮﺭ ﺷﺮﻗﺎ ﻭ ﻏﺮﺑﺎ ﻭﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ<br />ﻧﻮﺭﻩ ﻭﺳﻤﺎﻩ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺑﻪ ﻧﻮﺭﺍ<br />অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম<br />উনার নূর মুবারক পূর্ব ও পশ্চিমে পূর্নরুপে প্রকাশ<br />পেয়েছে। আর মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম উনার নূর<br />মুবারক সৃষ্টি করেন। তাই নিজ কিতাব কালামুল্লাহ<br />শরীফে উনার নাম মুবারক রাখেন ‘নূর’।”<br />দলীল-<br />√ আল মওযুআতুল কবীর ৮৩ পৃষ্ঠা।<br />বিখ্যাত মুহাদ্দিস, আল্লামা আবুল হাসান বিন<br />আব্দিল্লাহ আল বিকরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন<br />— ﻗﺎﻝ ﻋﻠﻲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻻ ﺷﻲﺀ ﻣﻌﻪ ﻓﺎﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﻧﻮﺭ ﺣﺒﻴﺒﻪ ﻗﺒﻞ ﺍﻥ ﻳﺨﻠﻖ<br />ﺍﻟﻤﺎﺀ ﻭﺍﻟﻌﺮﺵ ﻭﺍﻟﻜﺮﺳﻲ ﻭﺍﻟﻠﻮﺡ ﻭﺍﻟﻘﻠﻢ ﻭﺍﻟﺠﻨﺔ ﻭﺍﻧﺎﺭ ﻭﺍﻟﺤﺠﺎﺏ<br />অর্থ: হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া আলাইহিস<br />সালাম বলেন, শুধুমাত্র আল্লাহ পাক ছিলেন, তখন অন্য<br />কোন অস্তিত্ব ছিলো না। অতঃপর<br />তিনি পানি,আরশ,কুরসী, লওহো,ক্বলম,জান্নাত,<br />জাহান্নাম ও পর্দা সমূহ ইত্যাদি সৃষ্টি করার<br />পূর্বে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম<br />উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন।”<br />দলীল-<br />√ আল আনওয়ার ফী মাওলিদিন নাবিয়্যিল মুহম্মদ<br />ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৫ পৃষ্ঠা।<br />বিখ্যাত তাফসির কারক,ইমামুল মুফাসসিরীন,<br />আল্লামা ইসমাঈল<br />হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-<br />ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺧﻠﻖ ﺟﻤﻴﻊ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻣﻦ ﻧﻮﺭ ﻣﺤﻤﺪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻭﻟﻢ ﻳﻨﻘﺺ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻩ<br />ﺳﻲﺀ<br />অর্থ: এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, নিশ্চয়ই মহান<br />আল্লাহ পাক সকল মাখলুকাত “নূরে মুহম্মদী” ছল্লাল্লাহু<br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সৃষ্টি করেছেন। অথচ<br />“নূরে মুহম্মদী” ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম<br />হতে কিঞ্চিত পরিমানও কমে নাই।”<br />দলীল-<br />√ তাফসীরে রুহুল বয়ান ৭ম খন্ড ১৯৭-১৯৮ পৃষ্ঠা।<br />হযরত জাবির বিন আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু<br />হতে বর্নিত হাদীস শরীফ খানা অত্যন্ত সহীহ। আর<br />সহীহ বলেই সকল জগৎ বিখ্যাত মুহাদ্দিসগন উনাদের<br />কিতাবে উক্ত হাদীস শরীফ খানা বলিষ্ঠ<br />ভাবে বর্ননা করেছেন। আমরা উপরে কিছু ইমামদের<br />মতামত উল্লেখ করেছি। এছাড়াও আরো যারা উক্ত<br />হাদীস শরীফকে বিশুদ্ধ বলে নিজেদের<br />কিতাবে উল্লেখ করেছেন তাদের কথা উল্লেখ<br />করা হলো–<br />→ বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকারক, হাফিজে হাদীস<br />আল্লামা কুস্তালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার<br />“মাওয়াহেবুল লাদুন্নিয়া” কিতাবের ১ম খন্ড ৯ পৃষ্ঠা।<br />→ হাফিজে হাদীস,আল্লামা যুরকানী রহমাতুল্লাহি<br />আলাইহি উনার “যুরকানী আলা শরহে মাওয়াহেব”<br />কিতাবের ১ম খন্ড ৪৬ পৃষ্ঠা।<br />→ বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইবনে হাজর<br />হায়তামী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার<br />“ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া” কিতাবে ১৮৯ পৃষ্ঠা ।<br />→ মুহাদ্দিস আলী ইবনে ইব্রাহীম<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “সিরাতুল হলবীয়”<br />কিতাবে ১ম খন্ড ৩০ পৃষ্ঠা।<br />→ হাফিজে হাদীস, হযরত ইবনে হাজার<br />মক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “আফদ্বালুল কোরা”<br />কিতাবে।<br />→ বিশিষ্ট আলেম, শায়খুল আল্লামা, হযরত দিয়ার<br />বাকরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “তারীখুল<br />খামীস” কিতাব সহ শতশত কিতাবে উক্ত হাদীস শরীফ<br />খানা বর্ননা করা হয়েছে ।<br />প্রত্যকেই উক্ত হাদীস শরীফ এর উপর আস্থা স্থাপন<br />করেছেন বিনা দ্বিধায়। সুবহানাল্লাহ্ !! যেটা উছুলের<br />কিতাবে বলা হয়েছে – ﻓﺎﻥ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻳﺘﻘﻮﻱ ﺑﺘﻠﻘﻲ ﺍﻻﺀﻣﺔ ﺑﺎﻟﻘﺒﻮﻝ ﻛﻤﺎ ﺍﺷﺮ ﺍﻟﻴﻪ<br />ﺍﻻﻣﺎﻡ ﺍﻟﺘﺮ ﻣﺬﻱ ﻓﻲ ﺟﺎﻣﻌﻪ ﻭﺻﺮﺡ ﺑﻪ ﻋﻠﻤﺎﺀﻧﺎ ﻓﻲ ﺍﻻﺻﻮﻝ<br />অর্থ: কোন হাদীস শরীফকে ইমামগন নিঃসংকোচে কবুল<br />করে নেয়াই উক্ত হাদীস শরীফ<br />খানা শক্তিশালী বা সহীহ হওয়ার প্রমান। ইমাম<br />তিরমিযী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “জামে”<br />তে এদিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন আর আলেমগন তা উছুলের<br />কিতাবে সুস্পষ্ট ভাবে বর্ননা করেছেন।”<br />সূতরাং এরপরও যারা বলবে, উক্ত হাদীস শরীফ<br />খানা সহীহ নয়, তারা হাদীস শরীফের উছুল<br />সম্পর্কে নেহায়েত অজ্ঞ। উক্ত হাদীস শরীফ<br />খানা হাফিজে হাদীস ইমাম আব্দুর রাজ্জাক<br />রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাব “মুসনাদে আব্দুর<br />রাজ্জাক” কিতাবে সহীহ সনদে বর্ননা করেছেন<br />এবং পৃথিবীর সকল ইমাম,মুহাদ্দিস গন উক্ত হাদীস<br />শরীফের প্রতি আস্থা স্থাপন করে স্ব স্ব<br />কিতাবে উল্লেখ করেছেন। সূতরাং প্রমান হলো উক্ত<br />হাদীস শরীফ খানা সর্বোচ্চ মানের সহীহ একটি হাদীস<br />শরীফ।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgqiZPwSIU5wD0AFlifWegZfgmWaI0ftKGUqpGl6BreJbLraK-E-bJZ_CCowHUThSP6Uxbp7U8JQhoUD_9D4rmF4_yomp_vWQm2Q3tOOfEIV2jSDrUmflO10LQcrytK64iQWKgCGMaa5QQZ/s1600/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="144" data-original-width="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgqiZPwSIU5wD0AFlifWegZfgmWaI0ftKGUqpGl6BreJbLraK-E-bJZ_CCowHUThSP6Uxbp7U8JQhoUD_9D4rmF4_yomp_vWQm2Q3tOOfEIV2jSDrUmflO10LQcrytK64iQWKgCGMaa5QQZ/s1600-rw/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" /></a></div><br />এখন মজার ব্যাপার দেখুন, যেসকল<br />ওহাবী দেওবন্দীরা উক্ত হাদীস শরীফ<br />নিয়ে আপত্তি করে তাদের অন্যতম গুরু আশরাফ<br />আলী থানবী নিজেই উক্ত হাদীস শরীফকে তার কিতাব<br />“নশরুত তীব” উল্লেখ করেছে। এবার দেখুন থানবী তার এই<br />কিতাবে কি লিখেছে — থানবী এই কিতাবে প্রথম<br />যে অধ্যায় রচনা করেছে তার নাম দিয়েছে ”<br />নূরে মুহম্মদীর বিবরন”।<br />যাইহোক, এখানে প্রথমেই যা লিখেছে তা হলো- ” আব্দুর<br />রাজ্জাক তাঁর সনদসহ হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ<br />থেকে বর্ননা করেছেন যে, আমি আরজ করলাম :<br />ইয়া রসূল্লাল্লাহ আমার পিতা মাতা আপনার জন্য<br />কোরবান হউক, আমাকে এই খবর দিন যে, আল্লাহ পাক<br />সর্ব প্রথম কোন বস্তুটি সৃষ্টি করেছেন?<br />প্রিয়নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ<br />করলেন, হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! আল্লাহ পাক<br />সবকিছুর পূর্বে আপনার নবীর নূর সৃষ্টি করেছেন অর্থাৎ<br />হাদীসে জাবির বর্ণনা করেছে দেওবন্দী আশরাফ<br />আলী থানবী নিজ কিতাবে। মজার<br />কথা হলো থানবী মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাকে হাদীসের<br />সনদ খুজে পেল আর বর্তমানে তারই<br />অনুসারী ওহাবী দেওবন্দীরা সনদ খুজে পায় না। কত<br />হাস্যকর লজ্জাজনক বিষয় নিজেরাই চিন্তা করুন। শুধু<br />তাই নয়, আশরাফ আলী থানবী উক্ত “নশরুত্বীব”<br />কিতাবের প্রথম অধ্যায়ে “নূরে মুহম্মদীর বিবরন” শীর্ষক<br />বর্ননায় আরো একটি হাদীস শরীফ উল্লেখ করেছে –<br />ইমাম জয়নুল আবেদীন আলাইহিস সালাম উনার<br />পিতা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম<br />থেকে এবং তিনি হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু<br />থেকে বর্ননা করেন যে, হুজুর ছল্লাল্লাহু<br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমি আদম<br />আলাইহিস সালাম উনার জন্মের ১৪ হাজার বছর<br />পূর্বে আমার পরওয়ারদিগারের দরবারে একটি “নূর”<br />ছিলাম।” সুবহানাল্লাহ্ !!!<br />দেওবন্দী/কাওমীরা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু<br />আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বপ্রথম নূর হিসাবে সৃষ্টি এই<br />হাদীস অস্বীকার করলে কি হবে এদের একমাত্র<br />অবিভাবক ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ আবার এই হাদীস<br />স্বীকার করে ফতোয়া দেয়। সবাই দেখুন ভারতের<br />দেওবন্দীরা আশরাফ আলি থানভি সাহেবের কিতাব<br />থেকেই তাদের ওয়েবসাইটে ফতোয়া বিভাগে দলীল<br />দিচ্ছে–> Question: 3126 >Is the Prophet peace be upon him’s<br />nur the first thing to be created? Also, was it created before<br />Adam alayhis salam’s? Answer: 3126 Jan 29,2008 (Fatwa:<br />903/876=D)<br />Hazrat Hakimul Ummah, Maulana Ashraf Ali Thanwi has<br />mentioned a Hadith in his book ﻧﺸﺮ ﺍﻟﻄﯿﺐ ﻓﯽ ﺫﮐﺮ ﺍﻟﻨﺒﯽ ﺍﻟﺤﺒﯿﺐ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ<br />ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ with reference of Ahkam bin Al- Qattan that Hazrat Ali<br />bin Al- Hussain (Zainul Abdeen) narrated from his father Hazrat<br />Hussain ( ﺭﺿﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻨﮧ ) and he narrated from his father (Hazrat<br />Ali ﺭﺿﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻨﮧ ) that the Prophet ( ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ) said: ?I was a<br />noor (light) in front of my Lord some forty thousand years<br />before the birth of Hazrat Adam ( ﻋﻠﯿﮧ ﺍﻟﺴﻼﻡ )?. There are some<br />more traditions which prove that the noor of the Prophet ( ﺻﻠﯽ<br />ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ) was created in the earliest time, some traditions<br />say that his noor was created before the Tablet, the Pen, earth,<br />sky and even before all creatures. Allah (Subhana Wa Ta’ala)<br />knows Best Darul Ifta, Darul Uloom Deoband. ভারতের দারুল<br />উলুম দেওবন্দের ফতোয়ার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক – ->>><br />http://darulifta-deoband.org/showuserview.do? function=answerView&all=en&id=3126<br /><br />আবার উক্ত হাদীসে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু<br />দেওবন্দীদের আরেক মৌলবী দেওবন্দীদের মৃত শায়খুল<br />হদস আজিজুল হক তার বুখারী শরীফের অনুবাদে ৫ম খন্ড<br />৩ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছে।<br />অর্থাৎ বিরোধিতা কারীদের কিতাবেও উক্ত হাদীস<br />শরীফ খানা নির্ভরযোগ্য<br />হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন<br />হচ্ছে বর্তমানে দুই পয়সার<br />বাজাইরা ওহাবী মৌলবীরা উক্ত হাদীস শরীফের<br />বিরোধিতা করে কেন ?????<br />যাইহোক, উপরোক্ত আলোচনা থেকে দিবালোকের মত<br />প্রমান হলো, আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম হুজুর পাক<br />ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক<br />সৃষ্টি করেছেন। এবং সেই নূর মুবারক থেকে সবকিছু<br />সৃষ্টি করেন। এটাই হলো আহলে সুন্নত ওয়াল<br />জামায়াতের আক্বীদা, এবং এর বিপরীত<br />আক্বীদা পোষন করা কুফরী। আল্লাহ পাক আমাদের সত্য<br />বোঝার তৌফিক দান করুন। আমীন !!<br /><br /><br /></div>

আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম নবী পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নুর মোবরক সৃষ্টি করেছেন

আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম নবী পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নুর মোবরক সৃষ্টি করেছেন আমাদের প্রিয় নবীজী হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া...

Read more »

নামাজের পর দরুদ পড়া ও হাত তোলে মুনাজাত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">নামাজের পর আল্লাহর প্রশংসা ও রাসুল (দঃ) এর উপর দরুদ<br />পড়ে হাত তুলে দোয়া করা সম্পূর্ণ জায়েয । বরং রাসূল<br />দঃ তা করার জন্য আদেশ করেছেন । আলহামদু লিল্লাহ<br />আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের যত মসজিদ রয়েছে সব<br />মসজিদে জামাতের পর উচ্চস্বরে আল্লাহর প্রসংসা ও দরুদ<br />শরীফ পাঠ করা হয়। কিন্তু দুঃখের কথা কোন<br />ওয়াহাবি মসজিদে তা করা হয়না। উল্ঠো দেওবন্দি ও<br />লা মাজহাবিরা বিষয়টা কে অস্বীকার করে আর বিদাত<br />বলে ফতোয়া দেয়। আসুন দেখি এ ব্যাপারে রাসুল (দঃ)<br />আমাদের কি শিক্ষা দিয়েছেন….. ====================<br />==================== দলীল ১ ﻋﻦ ﻓﻀﺎﻟﺔ ﺑﻦ ﻋﺒﻴﺪ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻋﺪ ﺍﺫ ﺩﺧﻞ<br />ﺯﺟﻞ ﻓﺼﻠﻲ ﻓﻘﺎﻝ ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺍﻏﻔﺮﻟﻲ ﻭﺍﺭﺣﻤﻨﻲ ﻓﻘﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻋﺠﻠﺖ ﺍﻳﻬﺎ ﺍﻟﻤﺼﻠﻲ ﺍﺫﺍ<br />ﺻﻠﻴﺖ ﻓﻘﻌﺪﺕ ﻓﺎﺣﻤﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻤﺎ ﻫﻮ ﺍﻫﻠﻪ ﻭﺻﻞ ﻋﻠﻲ ﺛﻢ ﺍﺩﻋﻪ ﻗﺎﻝ ﺛﻢ ﺻﻠﻲ ﺭﺟﻞ ﺍﺧﺮ ﺑﻌﺪ ﺫﺍﻟﻚ<br />ﻓﺤﻤﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺻﻠﻲ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻌﻢ ﻓﻘﺎﻝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻌﻢ ﺍﻳﻬﺎ ﺍﻟﻤﺼﻠﻲ ﺍﺩﻉ ﺗﺠﺐ হযরত<br />ফুদ্বালা ইবনে উবাইদ (র) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন আমাদের<br />মাঝে রাসুল (দঃ)বসা ছিলেন, এমতাবস্থায় এক লোক প্রবেশ<br />করে সালাত আদায় করল এবং দোয়ায় বলল, হে আল্লাহ !<br />আমাকে ক্ষমা করো , আমাকে রহম করো, তখন রাসুলুল্লাহ<br />(দঃ)বললেন ওহে মুসল্লি তুমি বড্ড<br />তাড়াহুড়ো করে ফেলেছ। যখন সালাত আদায় করবে অতঃপর<br />বসবে ও আল্লাহর প্রশংসা করবে এবং আমার উপর দরুদ পাঠ<br />করবে, তারপর আল্লাহর দরবারে দুআ করবে।<br />বর্ণনাকারী বলেন অতঃপর লোকটি সালাত আদায় করল<br />এবং শেষে আল্লাহর প্রশংসা করল ও নবীজির উপর দরুদ<br />পড়লো। তারপর আল্লাহর নবী (দঃ)তাকে বললেন<br />ওহে মুসল্লি এখন দুআ কর, তোমার দুআ কবুল হবে।.<br />[ তিরমিযি শরীফ, হাদিস নং ৩৩৯৮[. ====================<br />==================== দলীল ২ ﺍﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﺤﻴﺢ ﻋﻦ ﺳﻤﻊ<br />ﺍﻧﺴﺎ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻌﻢ ﺍﻧﻪ ﺭﻓﻊ ﻳﺪﻳﻪ ﺣﺘﻲ ﺭﺍﻳﺖ ﺑﻴﺎﺽ ﺍﺑﻄﻴﻪ আল্লাহর নবী (সঃ)<br />উভয়হাত তুলে দোআ করেছেন এমনকি বগলের<br />শুণ্দ্রতা পর্যন্ত দেখা গেল। [সহীহ বুখারী, বাবু রফয়িন<br />নাসি আয়দিয়হিম মাআল ইমামি ফিল ইসতিসকায়ি । ৪/১৩৪]<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjlhraZZ_CIrH7B_lWjk2UKc_K3IewrDDWRbiHZwazweC94lDprJCIJG-5Tg8s8dZCMPrRUaDsOTWxP263YuVPf-eUikIxRfTeB_YlpN4sWhWflKX-Wf_GgRxNFaFLJOle59EuMmUdPsirb/s1600/22310205_2049614555257583_6199689139750854563_n.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="270" data-original-width="600" height="144" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjlhraZZ_CIrH7B_lWjk2UKc_K3IewrDDWRbiHZwazweC94lDprJCIJG-5Tg8s8dZCMPrRUaDsOTWxP263YuVPf-eUikIxRfTeB_YlpN4sWhWflKX-Wf_GgRxNFaFLJOle59EuMmUdPsirb/s320-rw/22310205_2049614555257583_6199689139750854563_n.jpg" width="320" /></a></div><br />==================== ==================== দলীল ৩<br />ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ﻓﻲ ﺍﺳﻨﻦ ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺑﻦ ﻣﺎﻟﻚ ﻗﺎﻝ ﺭﺍﻳﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻳﺪﻋﻮ ﻫﻜﺬﺍ ﺑﺒﺎﻃﻦ<br />ﻛﻔﻴﻪ ﻭﻇﺎﻫﺮ ﻫﻤﺎ _ হযরত আনাস রঃ হতে বণিত, তিনি বলেন আমি রাসূল<br />সঃ কে তার হাতের পেট দ্বারা দুআ করতে দেখেছি ।<br />[ সুনানে আবু দাউদ, ৪/২৮৬ হাদিস ১২৭২] ==================<br />== ==================== দলীল ৪ ﻋﻦ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﻗﺎﻝ ﻛﺎﻥ<br />ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﺍﺫﺍ ﺭﻓﻊ ﻳﺪﻳﻪ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ ﻟﻢ ﻳﺤﻄﻬﻤﺎ ﺣﺘﻲ ﻳﻤﺴﺢ ﺑﻬﻤﺎ ﻭﺟﻬﻪ হযরত<br />ওমর ফারুখ রঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সঃ যখন দোআ<br />করতেন তখন হাত তুলেই দোআ করতেন, আর মুখ<br />মোবারক না মুছে উভয় হাত নামাতেন না । ===============<br />===== ==================== দলীল ৫ ﻓﻮﻗﻒ ﻓﻲ ﺍﺩﻧﻲ ﺍﻟﺒﻘﻴﻊ ﺛﻢ<br />ﺭﻓﻊ ﻳﺪﻳﻪ ﺛﻢ ﺍﻧﺼﺮﻑ ﻓﻠﻤﺎ ﺍﺻﺒﺤﺖ ﺳﺎﻟﺘﻪ ﻓﻘﻠﺖ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻳﻦ ﺧﺮﺟﺖ ﺍﻟﻠﻴﻠﺔ ؟ ﻗﺎﻝ ﺑﻌﺜﺖ<br />ﺍﻟﻲ ﺍﻟﺒﻘﻴﻊ ﻻﺻﻠﻲ ﻋﻠﻴﻬﻢ হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রঃ হতে বর্ণিত,<br />কোন এক রাতের অন্ধকারে আল্লাহর রাসূল সঃ জান্নাতুল বাকির<br />কবরস্হানে গিয়ে কবর যিয়ারত করলেন এবং হাত উঠিয়ে তাদের<br />জন্য দোআ করলেন। সকালে রাসূল দঃ কে জিঞ্জাসা করলাম<br />হে রাসূল দঃ আপনা কোথায় গিয়েছিলেন? তানা বললেন<br />আমি জান্নাতুল বাকীতে গিয়েছিলাম তাদের জন্য<br />দোয়া করতে। [সহিহ বুখারী, ১/৬৪ হাদিস ৮৮]<br />==================== ====================<br />উপরোক্ত আলোচনা থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান<br />হয় যে নামাযের পর আল্লাহর প্রশংসা, দরুদ শরীফ, হাত<br />তুলে মোনাজাত ও কবর জিয়ারতের সময় হাত<br />তুলে দোয়া করা মূলত রাসূল দঃ এর সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত ।<br /><br /><br /></div>

নামাজের পর দরুদ পড়া ও হাত তোলে মুনাজাত

নামাজের পর আল্লাহর প্রশংসা ও রাসুল (দঃ) এর উপর দরুদ পড়ে হাত তুলে দোয়া করা সম্পূর্ণ জায়েয । বরং রাসূল দঃ তা করার জন্য আদেশ করেছেন । আলহামদ...

Read more »

আরশে লেখা কালেমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br /><br />بسم الله الرحمن الرحيم. الحمد لله رب العالمين والصلاة والسلام على سيد المرسلين وعلى آله وصحبه أجمعين. أما بعد]<br /><br />মুসলমানের ঈমানী কলেমা শরীফ নিয়ে আজ ইয়াজিদ ও মুনাফেকের দল নতুন ফতোয়াবাজীতে লিপ্ত হয়েছে। তাই মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ও শেয়ার করুন।<br /><br />হাদিছ শরীফগুলো পড়ুন:<br /><br />★হাদীস নং- ১<br /><br />روى سيدنا عبد الله بن عمر رضي الله عنهما قال: قال رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم (لما اقترف آدم الخطيئة قال: يا رب أسألك بحق محمد إلا غفرت لي فقال الله تعالى يا آدم كيف عرفت محمدا ولم أخلقه؟ قال: يا رب إنك لما خلقتني رفعت رأسي فرأيت علي قوائم العرش مكتوبا لا إله إلا الله محمد رسول الله فعلمت أنك لم تضف إلى اسمك إلا أحب الخلق إليك فقال الله تعالى صدقت يا آدم إنه لأحب الخلق إلى وإذ سألتني بحقه فقد غفرت لك ولو لا محمد ما خلقتك<br /><br />অনুবাদ: হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল [ﷺ] বলেছেন, যখন আদম আলাইহিস সালামের কাছে তাঁর নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল ভক্ষণের বিষয়টি ধরা পড়ল, তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ, আমি মুহাম্মাদের [ﷺ] ওয়াসীলা নিয়ে তোমার দরবারে ফরিয়াদ করছি, আমাকে ক্ষমা করে দাও।<br />অতঃপর আল্লাহ বললেন, হে আদম, তুমি মুহাম্মাদকে কীভাবে চিনলে, এখনো যাকে সৃষ্টি করি নাই?<br />আদম (আ:) বললেন, হে আল্লাহ, তুমি যখন আমাকে সৃষ্টি করেছিলে, আমি তখন আমার মাথা উঠিয়েছিলাম। তখন দেখতে পেয়েছিলাম, আরশের খুটিগুলোর উপর লেখা, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। তখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম, সমগ্র সৃষ্টির মধ্য সবচেয়ে প্রিয় না হলে তুমি তাঁর নাম তোমার নামের সাথে মিলাতে না।<br />অতঃপর আল্লাহ বললেন, হে আদম তুমি ঠিকই বলেছ। নিশ্চয়ই সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে সে আমার সবচেয়ে প্রিয়, আর যেহেতু তুমি তাঁর ওয়াসীলা নিয়ে আমার কাছে দোয়া করেছ, তাই তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম। আর (জেনে রাখ), মুহাম্মাদকে সৃষ্টি না করলে আমি তোমাকে সৃষ্টি করতাম না।<br /><br />রেফারেন্স:<br /><br />দালাইলুন নুবুওওয়াহ লিল বাইহাকী ৫/৪৮৯<br />আল মুস্তাদরাক লিল হাকিম-২/৬১৫ আল মু’জামুল আওসাত লিত তাবারানী- ৬৪৯৮<br /><br />যে সকল মুহাদ্দিসীন এ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন:<br /><br />১-ইমাম হাকিম বলেছেন হাদিসটি সহীহ। আল মুস্তাদরাক-২/৬১৫<br />২- ইমাম তকি উদ্দীন সুবকী বলেন, হাদিসটি হাসান। শিফাউস সিকাম, পেইজ-১২০<br />৩- ইমাম তকী উদ্দীন দামেশকী বলেন, হাদীসটি বিশুদ্ধ। দাফউ শুবহাহ: ১/৭২<br />৪-ইমাম কস্তল্লানী বলেন, হাদিসটি বিশুদ্ধ। মাওয়াহিবুল লাদুনিয়াহ: ১/১৬<br />৫- ইমাম সামহুদী বলেন, হাদিসটি সহীহ। ওয়াফাউল ওয়াফা: ২/৪১৯<br />৬- ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী বলেন, বিভিন্ন সনদে বর্ণিত এ হাদিসটি বিশুদ্ধ। আল খাসাইস: ১/৮<br />৭- ইবনু তাইমিয়্যাহ এ হাদীসটি দলীল হিসাবে তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেছেন। মাজমাউল ফাতাওয়া: ২/১৫৯<br /><br />সুতরাং প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিসগণের এসব মন্তব্যের পর আর কোনো সন্দেহ থাকল না; নিঃসন্দেহে বলা যায় হাদিসটি সহীহ।<br /><br />★ হাদীস নং- ২<br /><br />আর এই পবিত্র কালিমা শরীফ সহীহ সনদে হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে। আসুন, আমরা সনদ-সহ হাদীস শরীফখানা লক্ষ্য করি:<br /><br />حدثنا علي بن حمشاد العدل املاء هرون بن العباس الهاشمي ثنا جندل بن والق ثنا عمرو بن أوس الانصاري<br />حدثنا سعيد بن ابي عروبة عن قتادة عن سعيد بن المسيب عن ابن عباس رضي الله عنه قال اوحي الله الي عيسي عليه السلام يا عيسي امن بمحمد صلي الله عليه و سلم وامر من ادركه من امتك ان يؤمنوا به فلو لا محمد صلي الله عليه و سلم ما خلقت ادم عليه السلام ولولا محمد صلي الله عليه و سلم ما خلقت الجنة و النار ولقد خلقت العرش علي الماء فضطرب فكتبت عليه “لا اله الا الله محمد رسول الله صلي الله عليه و سلم فسكن. هذا حديث صحيح الاسناد<br /><br />অর্থ: হযরত ইমাম হাকিম নিশাপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমাদের কাছে (এই) হাদীস শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত আলী বিন হামশাদ আদল ইমলা রহমাতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীস শরীফ বর্ণনা করেছেন হারূন বিন আব্বাস হাশেমী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীস শরীফ বর্ণনা করেছেন জানদাল বিল ওয়াকিল রহমাতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীস শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত আমর বিন আউস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু।<br /><br />সনদ পরিবর্তন/ দ্বিতীয় সনদ: হযরত ইমাম হাকিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমাদের কাছে হাদীস শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত সাঈদ বিন আবু উরূবাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি; তিনি হযরত ক্বাতাদাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে; তিনি সাঈদ বিন মুসাঈয়িব রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে; তিনি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে:<br /><br />হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) বলেন, ” মহান আল্লাহ পাক তার রসূল হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে ওহী প্রেরণ করলেন: হে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম ! আপনি মুহাম্মাদ [ﷺ]-এর প্রতি ঈমান আনুন এবং আপনার উম্মতের মধ্যে ওনাকে যারা পেতে চায় তাদের নির্দেশ করুন, তারা যেন ওনার প্রতি ঈমান আনে। যদি মুহম্মদ [ﷺ] না হতেন তবে আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করতাম না, যদি মুহম্মদ [ﷺ] সৃষ্টি না হতেন তবে জান্নাত এবং জাহান্নাম সৃষ্টি করতাম না। আর যখন আমি পানির ওপর আরশ সৃষ্টি করলাম তখন তা টলমল করছিলো, যখনই আরশের মধ্যে لا اله الا الله محمد رسول الله ﷺ লিখে দেই, তৎক্ষণাৎ আরশ স্থির হয়ে যায়।” এই হাদীস শরীফের সনদ সহীহ।”<br /><br />দলীল – আল মুসতাদরাক আলাছ ছহীহাঈন লিল হাকীম নিসাবূরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, – কিতাবু তাওয়ারীখিল মুতাক্বাদ্দিমীন- যিকরু আখবারী সাইয়্যিদুল মুরসালীন ওয়া খাতামুন নাব্যিয়িন মুহম্মদ বিন আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্তালিব মুছতাফা ছলাওয়াতুল্লাহি আলাইহি ওয়া আলিহীত ত্বহীরিন, ৪র্থ খণ্ড, ১৫৮৩ পৃষ্ঠা। মুখতাছারুল মুসতাদরাক, ২য় খণ্ড, ১০৬৭ পৃষ্ঠা।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh9o0CX3wV6oUX7L6tj4EVrcHQdeCeV_B8UVk0DDOFH0Pix-yNQvQQ9XXZb_vr0qH7c2O_diX-vC5Uv-DLd1gZeyU7HF7UseSFD8iXJj5qlclyp0EAKRgoKcB2b8DO0ia71YY2Ypr7FBCHI/s1600/346520b6a238b2d56d21f561dbe4d203.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="341" data-original-width="640" height="170" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh9o0CX3wV6oUX7L6tj4EVrcHQdeCeV_B8UVk0DDOFH0Pix-yNQvQQ9XXZb_vr0qH7c2O_diX-vC5Uv-DLd1gZeyU7HF7UseSFD8iXJj5qlclyp0EAKRgoKcB2b8DO0ia71YY2Ypr7FBCHI/s320-rw/346520b6a238b2d56d21f561dbe4d203.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />★ হাদীস নং-৩<br /><br />বিখ্যাত ইমাম হাফিজে হাদীস আল্লামা জালালুদ্দীন সূয়ুতি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেন –<br /><br />عن ابن عباس رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلي الله عليه و سلم ما في الجنة شجرة عليها ورقة الا مكتوب عليها لا اله الا الله محمد رسول الله صلي الله عليه و سلم<br /><br />অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে হুজুর পাক [ﷺ] ইরশাদ করেন, জান্নাতের এমন কোনো গাছ নেই যার পাতার মধ্যে [لا اله الا الله محمد رسول الله ﷺ] এই বরকতময় কালিমা শরীফ লিখিত নেই।”<br /><br />দলীল – খাছায়েছুল কুবরা, ১ম খণ্ড, ১৩ পৃষ্ঠা। আল হিলইয়া লি আবু নুয়াইম রহমাতুল্লাহি আলাইহি।<br /><br />★ হাদীস নং- ৪<br /><br />হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ুতি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি আরো বর্ননা করেন –<br /><br />عن حضرت جابر رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلي الله عليه و سلم مكتوب علي باب الجنة لا اله الا الله محمد رسول الله صلي الله عليه و سلم<br /><br />অর্থ: হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে হুজুর পাক [ﷺ] ইরশাদ মুবারক করেন, জান্নাতের দরজাসমূহে লিখা রয়েছে – لا اله الا الله محمد رسول الله ﷺ<br /><br />দলীল- খাছায়িছুল কুবরা, ১ম খণ্ড<br /><br />★ হাদীস নং- ৫<br /><br />কিতাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বর্ণনা রয়েছে –<br /><br />عن حضرت ابي الحسن علي بن عبد الله الهاشمي الرقي رحمة الله عليه قال : دخلت بلاد الهند، فرايت في بعض قرأها شجرة ورد اسود ينفتح عن وردة كبيرة طيبة الراءحة سوداء عليها مكتوب بخط ابيض لا اله الا الله محمد رسول الله صلي الله عليه و سلم ابو بكرن الصديق عليه السلام عمر الفاروق رضي الله عنه فشككت في ذاك وقلت انه معمول فعمدت الي حبة لم تفتح ففتحتها فرايت فيها كما رايت في ساءر الورد في البلد منه شيء كثير<br /><br />অর্থ: হযরত ইবনে আসাকির রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত ইবনে নাজ্জার রহমাতুল্লাহি আলাইহি দু’জন স্বীয় ইতিহাসগ্রন্থে হযরত আবুল হাসান আলী ইবনে আব্দুল্লাহ আল হাশীমি আররক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেন; তিনি বলেন, “আমি ভারতবর্ষের কোনো এক এলাকায় পৌঁছে একটি কালো রঙ্গের গোলাপ গাছ দেখলাম। এর একটি ফুল অনেক বড়, যার রঙ কালো, সুগন্ধিময় নয় তবে অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর ছিলো। ওই ফুলটির গায়ে সাদা হরফে লিখা ছিলো –<br /><br />لا اله الا الله محمد رسول الله صلي الله عليه و سلم ابو بكرة صديق رضي الله غنه عمر الفاروق رضي الله عنه<br /><br />আমি মনে মনে চিন্তা করলাম এবং আমার বিশ্বাস হলো, নিশ্চয়ই এটা কারো কাজ হবে। তাই আমি অন্য একটি বন্ধ (অ-ফোটা) কলি খুলে দেখলাম। আশ্চর্যের বিষয়, তাতেও এ রকমই লিখা ছিলো। এ ধরনের গোলাপ গাছ সেখানে প্রচুর পরিমাণ ছিলো।” সুবহানাল্লাহ্ !!<br /><br />দলীল – ইবনে আসাকির ইবনে নাজ্জার।<br /><br />উপরোক্ত নির্ভরযোগ্য দলীল থেকে প্রমাণিত হলো যে কালিমা শরীফ হচ্ছে ” লা’ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসূলাল্লাহ” [ﷺ]।<br />অথচ সালাফী-ওহাবীপন্থী মুরতাদরা বলছে,  এ ধরনের কোনো কালিমা শরীফ নাকি ইসলামে নাই। নাউযুবিল্লাহ !! শুধু তাই নয় মওদূদীবাদী জামাতের জালেম মৌ: তারেখ মনোয়ার বলেছে কালিমা শরীফে ” লা’ইলাহা ইল্লাল্লাহু ” এই বাক্যের পাশাপাশি “মুহম্মদুর রসূলাল্লাহ [ﷺ] লিখা না-কি শিরক। নাউযুবিল্লাহ !! অথচ উপরোক্ত হাদীস শরীফ দেখুন, স্পষ্টভাবেই দুইটা কালাম একসাথেই আছে। এবং হাদীস শরীফের ইমামবৃন্দ-ও পাশাপাশিভাবে নিজেদের কিতাবে তা উল্লেখ করেছেন। এতো সহীহ দলীল থাকার পরও কীভাবে এরা বিরোধিতা করে? হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে; মহানবী (দ:) এরশাদ ফরমান – “আখেরী জামানায় কিছু মিথ্যাবাদী দাজ্জালের চেলা বের হবে। এরা এমন সব কথা বলবে যা তোমরা শোনোনি, তোমাদের বাপ দাদারাও শোনেনি।” [দলীল – মুসলিম শরীফ]। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এসব কুলাঙ্গার থেকে হেফাজত করুন, আমীন।<br /><br /><br /></div>

আরশে লেখা কালেমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ

بسم الله الرحمن الرحيم. الحمد لله رب العالمين والصلاة والسلام على سيد المرسلين وعلى آله وصحبه أجمعين. أما بعد] মুসলমানের ঈমানী কলেমা শরীফ নি...

Read more »

কোরবানীর সুন্নাত পদ্ধতি,নিয়ত ও দোআ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div style="font-family: "Noto Serif", serif; height: auto !important; line-height: 1.6em; margin-bottom: 24px; max-width: 100%; width: auto !important; word-wrap: break-word;">পবিত্র কুরবানী করার সুন্নতী পদ্মতি, নিয়াত ও দোয়াঃ============================<br />পবিত্র হাদীছ শরীফের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-</div><div style="font-family: "Noto Serif", serif; height: auto !important; line-height: 1.6em; margin-bottom: 24px; margin-top: 24px; max-width: 100%; width: auto !important; word-wrap: break-word;">عَنْ حَضْرَتْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالٰى كَتَبَ الْاَحْسَانَ عَلٰى كُلِّ شِيٍّء فَاِذَا قَتَلْتُمْ فَاحْسِنُوْا الْقَتْلَةَ وَاِذَا ذَبَـحْتُمْ فَاحْسِنُوْا الذَّبْحَ وَلِيُحِدَّ اَحَدُكُمْ شَفَرْتَهُ وَلِيُرِحَّ ذَبِيْحَتَهُ.</div><div style="font-family: "Noto Serif", serif; height: auto !important; line-height: 1.6em; margin-bottom: 24px; margin-top: 24px; max-width: 100%; width: auto !important; word-wrap: break-word;">অর্থ : “হযরত শাদ্দাদ ইবনে আওছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি সমস্ত কিছুর উপর অনুগ্রহকে অপরিহার্য করেছেন। অতএব যখন আপনারা কতল করবেন তখন উত্তম পদ্ধতিতে কতল করবেন, যখন যবেহ করবেন তখন উত্তম পদ্ধতিতে যবেহ করবেন। প্রত্যেকে ছুরিতে শান দিবেন এবং পশুকে শান্তি দিবেন।” (মুসলিম শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ, নাসায়ী শরীফ, তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ)<br />পবিত্র কুরবানী উনার পশুর মাথা দক্ষিণ দিকে এবং পা পশ্চিম দিকে রেখে অর্থাৎ ক্বিবলামুখী করে শোয়ায়ে পূর্ব দিক থেকে চেপে ধরতে হবে, তারপর পবিত্র কুরবানী করতে হবে। আর পবিত্র কুরবানী করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, সীনার উপরিভাগ এবং কণ্ঠনালীর মাঝামাঝি স্থানে যেন যবেহ করা হয়।</div><div style="font-family: "Noto Serif", serif; height: auto !important; line-height: 1.6em; margin-bottom: 24px; margin-top: 24px; max-width: 100%; width: auto !important; word-wrap: break-word;">আরো উল্লেখ্য যে, গলাতে চারটি রগ রয়েছে, তন্মধ্যে গলার সম্মুখভাগে দুটি- খাদ্যনালী ও শ্বাসনালী এবং দু’পার্শ্বে দুটি রক্তনালী। এ চারটির মধ্যে খাদ্যনালী, শ্বাসনালী এবং দুটি রক্তনালীর মধ্যে একটি অবশ্যই কাটতে হবে। অর্থাৎ চারটি রগ বা নালীর মধ্যে তিনটি অবশ্যই কাটতে হবে, অন্যথায় কুরবানী হবে না। যদি সম্ভব হয়, তবে ছুরি চালানোর সময় বিজোড় সংখ্যার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।</div><div style="font-family: "Noto Serif", serif; height: auto !important; line-height: 1.6em; margin-bottom: 24px; margin-top: 24px; max-width: 100%; width: auto !important; word-wrap: break-word;">যবেহ করার পর তাড়াতাড়ি জান বের হয়ে যাওয়ার জন্য পশুর সিনাতে খোঁচা মারা কিংবা পায়ের রগ কেটে দেয়া কুরবানী মাকরূহ হওয়ার কারণ। এছাড়াও যারা কুরবানীর পশু যবেহকালীন সময় ছবি তোলে বা ভিডিও করে তাদের কুরবানী মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কবুল হয়না। তাই কুরবানী করার সময় এ বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।<br />পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-</div><div style="font-family: "Noto Serif", serif; height: auto !important; line-height: 1.6em; margin-bottom: 24px; margin-top: 24px; max-width: 100%; width: auto !important; word-wrap: break-word;">عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ ذَبَحَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الذَّبْحِ كَبْشَيْنِ اَقْرَنَيْـنِ اَمْلَحَيْنِ مَوْجِوَئَيْنِ فَلَمَّا وَجَّهَهُمَا قَالَ اِنِّى وَجَّهْتُ وَ جْهِىَ لِلَّذِىْ فَطَرَ السَّمَوٰتِ وَ الْاَرْضَ عَلٰى مِلَّةِ اَبْرَاهِيْمَ حَنِيْفًا وَّ مَا اَنَا مِنَ الْـمُشْرِكِيْنَ اِنَّ صَلٰوتِىْ وَ نُسُكِىْ وَ مَـحْيَاىَ وَ مَـمَاتِىْ لِلّٰهِ رَبّ الْعَالَـمِيْنَ لَاشَرِيْكَ لَهُ وَ بِذَلِكَ اُمِرْتُ وَ اَنَا مِنَ الْـمُسْلِمِيْنَ اَللّٰهُمَ مِنْكَ وَ لَكَ عَنْ سَيّدِنَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَ اُمَّتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسْمِ اللهِ وَ اللهُ اَكْبَرُ ثُـمَّ ذَبَحَ.</div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj7SsTEJ7qsFO1Onll9ds_sG_TeM48l29Y21fa__Ntx_ttxXSDiiSW7NnQtzAzQIvr6fF793C2GOk4UC-4twHM6oq6xC7UWAorj-Z47RIXp4O2JLMEpqG403rG_SaPODvuJFNfuKLE9D_9v/s1600/Korbani-4jpeg.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="215" data-original-width="270" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj7SsTEJ7qsFO1Onll9ds_sG_TeM48l29Y21fa__Ntx_ttxXSDiiSW7NnQtzAzQIvr6fF793C2GOk4UC-4twHM6oq6xC7UWAorj-Z47RIXp4O2JLMEpqG403rG_SaPODvuJFNfuKLE9D_9v/s1600-rw/Korbani-4jpeg.jpeg" /></a></div><div style="font-family: "Noto Serif", serif; height: auto !important; line-height: 1.6em; margin-bottom: 24px; margin-top: 24px; max-width: 100%; width: auto !important; word-wrap: break-word;"><br /></div><div style="font-family: "Noto Serif", serif; height: auto !important; line-height: 1.6em; margin-bottom: 24px; margin-top: 24px; max-width: 100%; width: auto !important; word-wrap: break-word;">অর্থ : “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র কুরবানী উনার দিন দু’টি সাদা-কালো, বড় শিং বিশিষ্ট, খাসিকৃত দুম্বা যবেহ করলেন। যখন তিনি দুম্বা দুটি ক্বিবলামুখী করলেন, তখন (উম্মত কিভাবে কুরবানী করবে তা তা’লীম দেয়ার জন্য) বললেন, মিল্লাতে ইবরাহীম অর্থাৎ দ্বীনে হানীফ অনুযায়ী আমি আমার পবিত্রতম চেহারা মুবারক ঐ পবিত্রতম সত্ত্বা উনার দিকে ফিরালাম যিনি আসমান ও যমীনসমূহকে সৃষ্টি করেছেন, আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই অর্থাৎ আমি পবিত্র থেকে পবিত্রতম তাদের থেকে, যারা দেব-দেবীদের নামে যবাই করে থাকে। উপরন্তু আমার পবিত্র নামায, আমার পবিত্র কুরবানী, আমার পবিত্রতম হায়াত মুবারক ও আমার পবিত্রতম বিছাল শরীফ মুবারক সবই খালিক, মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্যে যিনি সমস্ত আলমের রব তা’য়ালা। ঐ পবিত্রতম ইলাহ উনার কোন শরীক নেই। আমি এ জন্যই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি আত্মসমর্পনকারী উনাদের অন্তর্ভুক্ত। </div><div style="font-family: "Noto Serif", serif; height: auto !important; line-height: 1.6em; margin-bottom: 24px; margin-top: 24px; max-width: 100%; width: auto !important; word-wrap: break-word;">আয় আল্লাহ পাক! আপনার পবিত্রতম পক্ষ হতেই প্রাপ্ত এবং আপনারই জন্য এই পবিত্রতম কুরবানী, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম পক্ষ হতে এবং উনার উম্মতগণের পক্ষ হতে। অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার’ বলে যবাই মুবারক করলেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ)<br />কুরবানী উনার নিয়ত (যবেহ করার পূর্বে) :<br />اِنّـىْ وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلّذِى فَطَرَ السَّمَوَتِ وَالاَرْضَ حَنِيْفَا وَّمَا اَنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْن اِنَّ صَلاتِىْ وَنُسُكِىْ وَمَـحْيَاىَ وَمَـمَاتِىْ للهِ رَبّ الْعَالَمِيْن لَا شَرِيْكَ لَهُ وَبِذَلِكَ اُمِرْتُ وَاَنَا مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ. اَللّهُمَّ مِنْكَ وَلَكَ.</div><div style="font-family: "Noto Serif", serif; height: auto !important; line-height: 1.6em; margin-bottom: 24px; margin-top: 24px; max-width: 100%; width: auto !important; word-wrap: break-word;">উচ্চারণ : ইন্নী ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাজি ফাত্বারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না ছলাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহ্ইয়া ইয়া ওয়া মামাতী লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। লা শারীকালাহু ওয়া বি যালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমীন। আল্লাহুম্মা মিনকা ও লাকা।<br />অর্থ : “আমি আমার পবিত্রতম চেহারা মুবারক একনিষ্ঠভাবে রুজু করলাম ঐ পবিত্রতম সত্ত্বা উনার দিকে যিনি আসমান ও যমীনসমূহকে সৃষ্টি করেছেন, আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই অর্থাৎ আমি পবিত্র থেকে পবিত্রতম তাদের থেকে, যারা দেব-দেবীদের নামে যবাই করে থাকে। উপরন্তু আমার পবিত্র নামায, আমার পবিত্র কুরবানী, আমার পবিত্রতম হায়াত মুবারক ও আমার পবিত্রতম বিছাল শরীফ মুবারক সবই খালিক, মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্যে যিনি সমস্ত আলমের রব তা’য়ালা। তিনি পবিত্রতম উনার কোন শরীক নেই। আমি এ জন্যই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি আত্মসমর্পনকারী উনাদের অন্তর্ভুক্ত। আয় আল্লাহ পাক! আপনার পবিত্রতম পক্ষ হতেই প্রাপ্ত এবং আপনারই জন্য এই পবিত্রতম কুরবানী।”<br />এ দোয়া পড়ে بِسْمِ اللهِ اللهُ اَكْبَرْ ‘বিস্মিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে যবেহ করতে হবে।<br />যবেহ করার পর পঠিতব্য দোয়া-<br />اَللّٰهُمَّ تَقَبَّلْهُ مِنّى كَمَا تَقَبَّلْتَ مِنْ حَبِيْبِكَ سَيّدِنَا حَبِيْبِنَا نَبِيّنَا شٰفِعِنَا رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخَلِيْلِكَ سَيّدِنَا حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَ ذَبِيْحُكَ سَيّدِنَا حَضْرَتْ اِسْـمَاعِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ. </div><div style="font-family: "Noto Serif", serif; height: auto !important; line-height: 1.6em; margin-bottom: 24px; margin-top: 24px; max-width: 100%; width: auto !important; word-wrap: break-word;">উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা তাক্বাব্বালহু মিন্নী কামা তাক্বাব্বালতা মিন হাবীবিকা সাইয়্যিদিনা হাবীবীনা নাবিয়্যিনা শাফিয়ি’না রাসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও খালীলিকা সাইয়্যিদিনা হযরত ইবরাহীমা আলাইহিস সালাম ও যাবিহিকা সাইয়্যিদিনা হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম।</div><div style="font-family: "Noto Serif", serif; height: auto !important; line-height: 1.6em; margin-bottom: 24px; margin-top: 24px; max-width: 100%; width: auto !important; word-wrap: break-word;">অর্থ : আয় আল্লাহ পাক! এই পবিত্রতম কুরবানী আপনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে এবং ‘আপনার খলীল’ সাইয়িদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও ‘আপনার যবীহ’ সাইয়িদুনা হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনাদের পক্ষ থেকে যেমনিভাবে কবুল করেছেন তেমনিভাবে আমার পক্ষ থেকেও কবুল করুন।<br />যদি নিজের কুরবানী হয় তবে مِنِّىِ (মিন্নী) বলতে হবে। আর যদি অন্যের কুরবানী হয় তবে مِنِّىِ (মিন্নী) শব্দের পরিবর্তে مِنْ (মিন) বলে যার বা যাদের কুরবানী, তার বা তাদের নাম উল্লেখ করতে হবে। আর যদি যবেহকারী অন্যের সাথে শরীক হয় তাহলে مِنِّىِ (মিন্নী)ও বলবে, অতঃপর وَمِنْ (ওয়া মিন) বলে অন্যদের নাম বলতে হবে। কেউ যদি উপরোক্ত নিয়ত না জানে, তাহলে যবেহ করার সময় শুধু بِسْمِ اللهِ اللهُ اَكْبَرْ ‘বিস্মিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে কুরবানী করলেও শুদ্ধ হয়ে যাবে। কারণ নিয়ত অন্তরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তবে অবশ্যই প্রত্যেক যবেহকারীর উচিত উপরোক্ত নিয়ত শিক্ষা করা। কেননা উপরোক্ত নিয়ত পাঠ করে পবিত্র কুরবানী করা সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত। (মুসনাদে আহমদ শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ, তিরমীযী শরীফ, দারিমী শরীফ, ইবনে মাযাহ শরীফ, বজলূল মযহুদ, মিশকাত, মিরকাত, মুযাহেরে হক্ব, লুমায়াত, ত্বীবী, তালিকুছ ছবীহ, আশয়াতুল লুমায়াত, আলমগীরী, শামী, দুররুল মুখতার, আইনুল হিদায়া ও বাহর)</div></div>

কোরবানীর সুন্নাত পদ্ধতি,নিয়ত ও দোআ

পবিত্র কুরবানী করার সুন্নতী পদ্মতি, নিয়াত ও দোয়াঃ============================ পবিত্র হাদীছ শরীফের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- عَنْ حَضْرَتْ شَدَّادِ...

Read more »