জুমার দিনের ৫ টি বিশেষ আমল

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">জুমার দিনের ৫টি বিশেষ আমল<br /><br />হযরত সায়্যিদুনা আবু সাঈদرَضِیَ اللہُ تَعَالٰی عَنۡہُ থেকে বর্ণিত;  মদীনার    তাজেদার,    রাসূলদের  সর্দার,  হুযুরে  আনওয়ার   صَلَّی       اللّٰہُ   تَعَالٰی    عَلَیْہِ   وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم    ইরশাদ করেন:   “যে  ব্যক্তি  এক  দিনে  পাঁচটি   কাজ     সম্পাদন  করবে,  আল্লাহ  তাআলা  তাকে  জান্নাতী  হিসাবে  লিখে  দিবেন:  (১)   যে    ব্যক্তি    রোগীকে  দেখতে  যাবে,   (২)  জানাযার নামাযে উপস্থিত হবে (৩) রোযা  রাখবে, (৪) জুমার  নামাযে যাবে   এবং (৫)   গোলাম আযাদ  (মুক্ত) করবে।”     (আল     ইহসান      বিতরতিবে     সহীহ      ইবনে হিব্বান, ৪র্থ খন্ড, ১৯১ পৃষ্ঠা, হাদীস-২৭৬০)<br /><br />জান্নাত ওয়াজীব হয়ে গেলো<br /><br />হযরত সায়্যিদুনা আবু উমামাرَضِیَ اللہُ تَعَالٰی عَنۡہُ থেকে বর্ণিত; প্রিয় আক্বা, উভয় জগতের দাতা, মাদানী মুস্তফা صَلَّی   اللّٰہُ   تَعَالٰی     عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم   ইরশাদ  করেন:  “যে  ব্যক্তি  জুমার  নামায আদায় করে, ঐ দিন রোযা রাখে, কোন   অসুস্থ   ব্যক্তির   সমবেদনা   জ্ঞাপন   করে,   কোন  জানাযায় উপস্থিত হয়, কারো বিয়েতে অংশগ্রহণ করে, তবে ঐ  ব্যক্তির    জন্য  জান্নাত   ওয়াজীব হয়ে গেলো।” (আল       মুজামুল       কবীর,       ৮ম        খন্ড,        ৯৭       পৃষ্ঠা, হাদীস-৭৪৮৪)<br /><br />শুধু জুমার দিন রোযা রাখবেন না<br /><br />শুধুমাত্র জুমাবার কিংবা শনিবার রোযা  রাখা   মাকরূহে তানযিহী। তবে নির্দিষ্ট কোন তারিখের রোযা যেমন ১৫ ই   শাবান   শবে    বরাতের    রোযা,    ২৭শে   রজব   শবে মেরাজের  রোযা ইত্যাদি যদি  জুমাবার কিংবা  শনিবার এসে  যায়,  তাহলে  ঐ  দিন  রোযা  রাখা  মাকরূহ  নয়।  রাসূলুল্লাহ     صَلَّی   اللّٰہُ   تَعَالٰی     عَلَیْہِ   وَاٰلِہٖ      وَسَلَّم   ইরশাদ করেন:   “জুমার    দিন   তোমাদের    জন্য    ঈদের     দিন। সুতরাং  তোমরা  ঐ  দিন  রোযা   রেখো  না।  তবে  তার   আগের   দিন   বা     পরের    দিনে   রোযা   রাখো।”   (আত তারগীব ওয়াত তারহীব,  ২য় খন্ড, ৮১   পৃষ্ঠা,  হাদীস- ১১)<br /><br />দশ হাজার বছরের রোযার সাওয়াব<br /><br />আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রযা খাঁন رَحْمَۃُ  اللّٰہِ   تَعَالٰی  عَلَیْہِ বলেন:“বর্ণিত আছে যে, জুমাবারের রোযার সাথে বৃহস্পতিবার   অথবা   শনিবারের  রোযা মিলিয়ে রাখলে দশ   হাজার   বছরের   রোযার   সমান   সাওয়াব   পাওয়া  যাবে।” (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া,  নতুন সংস্করণ, ১০তম খন্ড, ৬৫৩ পৃষ্ঠা)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiTpsdJLEUZ6YGDhFjUQrm3BoPpVtvli-Q1ZhgXJr71WHbHoGHNrw9XsIjmqnTNvGkfSJDjaOtvRw1NjhwfANdWCL17pusBFzHuO1d8_anfM8vCzx9CY9idCO_OHTa6ZVkHZUaoLvpzfW87/s1600/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="266" data-original-width="590" height="144" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiTpsdJLEUZ6YGDhFjUQrm3BoPpVtvli-Q1ZhgXJr71WHbHoGHNrw9XsIjmqnTNvGkfSJDjaOtvRw1NjhwfANdWCL17pusBFzHuO1d8_anfM8vCzx9CY9idCO_OHTa6ZVkHZUaoLvpzfW87/s320-rw/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />জুমার রোযা কখন মাকরূহ<br /><br />জুমার    রোযা   প্রত্যেক     ক্ষেত্রে   মাকরূহ   নয়,   মাকরূহ শুধুমাত্র এই ক্ষেত্রে  হবে, যখন কোন বিশেষত্ত্বের সাথে জুমার  রোযা  রাখা  হয়।    অতঃপর  জুমার  রোযা  কখন মাকরূহ     এই     প্রসঙ্গে     ফতোওয়ায়ে     রযবীয়া     নতুন  সংস্করন   ১০ম  খন্ড,  ৫৫৯  পৃষ্ঠার   প্রশ্নের  উত্তর   লক্ষ্য করুন: প্রশ্ন: ওলামায়ে  কিরাম এই মাসয়ালা প্রসঙ্গে কি বলেন যে, জুমার নফল রোযা রাখা কেমন? এক ব্যক্তি জুমার   দিন   রোযা   রাখলো,   অন্যজন   তাকে   বললো:  জুমা  মু’মিনদের  ঈদ।    এই  দিন   রোযা  রাখা   মাকরূহ এবং  বাগবিতন্ডার    পর   দুপুরেই   তার  রোযা  ভাঙ্গিয়ে দিলো।  উত্তর:  জুমার  দিনের  রোযা  বিশেষ  করে  এই  নিয়্যতে যে, আজ জুমা, এর  নির্দিষ্ট রোযা রাখা উচিত, তখন   মাকরূহ।    কিন্তু   সেই    মাকরূহ   হওয়ার    কারণে ভেঙ্গে  ফেলাটা  আবশ্যক   নয়   এবং  যদি   বিশেষ  করে নির্দিষ্ট       ভাবে       কোন       নিয়্যত       ছিলো       না,       তখন  মৌলিকভাবে   কোন  মাকরূহ   নয়।   ঐ   দ্বিতীয়  ব্যক্তির  মাকরূহ   এর    ব্যাপারে   অবগত  ছিলো   না,  তবে   তার ব্যাপারে  অভিযোগ  করা  শুরু    থেকেই    বোকামী  হলো এবং     রোযা     ভেঙ্গে      ফেলাটা      শরয়ীভাবে     মারাত্মক দুঃসাহসীকতা।     আর     যদি     অবগতও     হয়,     তাহলে  মাসয়ালা     জানিয়ে     দেওয়াটা     যথেষ্ট       ছিলো     রোযা  ভাঙ্গানো  নয়। আর তাও  দুপুরের পর যেটার  অধিকার নফল রোযার ক্ষেত্রে মা-বাবা আর কারো নয়। ভঙ্গকারী ও       যে       রোযা       ভাঙ্গিয়ে       দেয়       উভয়ে       গুনাহগার  হলো।ভঙ্গকারীর উপর কাযা আবশ্যক  হলো। মৌলিক কাফ্ফারা নয়। وَ اللهُ تَعَالٰی اَعْلَمُ<br /><br />জুমার  দিন   (শুক্রবার) পিতা-মাতার কবরে   উপস্থিতির সাওয়াব<br /><br />প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী, মক্কী মাদানী হাশেমী صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “যে ব্যক্তি আপন  পিতা-মাতা  উভয়ের   কিংবা একজনের কবরে প্রত্যেক জুমার    দিন    যিয়ারতের    জন্য    উপস্থিত    হয়,    আল্লাহ্  তাআলা তার গুনাহ ক্ষমা  করে দেন এবং পিতা-মাতার সাথে    উত্তম   আচরণকারী   হিসেবে   লিখা  হয়।”  (আল মু’জামুল   আউসাত  লিত   তাবারানী,   ৪র্থ     খন্ড,  ৩২১ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৬১১৪)<br /><br />মাতা-পিতার       কবরে       “সূরা       ইয়াসিন”পাঠ        করার  ফযীলত<br /><br />হুযুরে আকরাম, নূরে মুজাস্সাম, শাহে বনী আদম صَلَّی اللّٰہُ   تَعَالٰی  عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم  ইরশাদ  করেন:  “যে  ব্যক্তি জুমার দিন তার পিতা-মাতা উভয়ের কিংবা একজনের কবর যিয়ারত করবে এবং কবরের পাশে সূরা ইয়াসীন পাঠ   করবে,   তাকে     ক্ষমা     করে   দেয়া   হবে।”   (আল কামিল ফি দুয়াফায়ির রিজাল, ৬ষ্ঠ খন্ড, ২৬০ পৃষ্ঠা)<br /><br />তিন হাজার মাগফিরাত<br /><br />আল্লাহ্র  প্রিয়  হাবীব,  হুযুর  পুরনূর  صَلَّی  اللّٰہُ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم  ইরশাদ    করেন:“যে   ব্যক্তি  প্রত্যেক  জুমার  দিন তার  মাতা-পিতা  উভয়ের  কিংবা একজনের কবর যিয়ারত    করে    সেখানে    সূরা    ইয়াসীন    পাঠ    করবে,  আল্লাহ্   তাআলা   তাকে     সূরা   ইয়াসিন   শরীফে   যতটি অক্ষর     আছে   তত   সংখ্যক   ক্ষমা   প্রদর্শন    করবেন।”  (ইত্তেহাফুস সাদাত, ১৪তম খন্ড, ২৭২ পৃষ্ঠা)<br /><br />প্রিয়   ইসলামী  ভাইয়েরা!  জুমার  দিন    মৃত   পিতামাতা উভয়ের কিংবা একজনের কবরে উপস্থিত হয়ে সেখানে সূরা  ইয়াসীন পাঠ করার   কারণে   পাঠকারীর  তরী তো পার    হয়েই  গেলো।   اَلْحَمْدُ   لِلّٰہِ   عَزَّوَجَلَّ   সূরা   ইয়াসীন শরীফে   ৫টি   রুকু,   ৮৩   টি    আয়াত,    ৭২৯টি   শব্দ   ও ৩০০০টি অক্ষর আছে। যদি   বাস্তবে   আল্লাহ্ তাআলার নিকট  এ  গণনা সঠিক হয় তাহলে اِنْ   شَآءَ اللّٰہ عَزَّوَجَلَّ  সূরা           ইয়াসীন          তিলাওয়াতকারী          তিন          হাজার  মাগফিরাতের সাওয়াবের অধিকারী হবেন।<br /><br />জুমার দিন সূরা ইয়াসীন শরীফ পাঠকারীর মাগফীরাত হবে<br /><br />রহমতে আলম, নূরে মুজাস্সাম,  রাসূলে আকরাম صَلَّی اللّٰہُ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم  ইরশাদ  করেন:  “যে   ব্যক্তি জুমার  রাত (অর্থাৎ বৃহস্পতিবার   ও শুক্রবার মধ্যবর্তী   রাত)     সূরা   ইয়াসীন  শরীফ   পড়বে  তার  মাগফীরাত (ক্ষমা)  হয়ে  যাবে।”      (আত-তারগীব  ওয়াত-তারহীব, ১ম খন্ড, ২৯৮ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪)<br /><br />রূহ সমূহ একত্রিত হয়<br /><br />জুমার  দিন রূহ সমূহ একত্রিত হয়, তাই সে দিন  কবর যিয়ারত  করা    উচিত।  জুমার  দিন   জাহান্নামের  আগুন প্রজ্বলিত করা হয় না। (দুররে  মুখতার,  ৩য়  খন্ড,   ৪৯ পৃষ্ঠা)  আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রযা খাঁন  رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِتَعَالٰی  عَلَیہِ   বলেন:  “কবর  যিয়ারতের    সর্বোত্তম  সময় হলো,         জুমার        দিন        ফযরের        নামাযের          পর।” (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ৯ম খন্ড, ৫২৩ পৃষ্ঠা)<br /><br />সূরা কাহাফের ফযীলত<br /><br />হযরত সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে ওমর رَضِیَ اللہُ تَعَالٰی عَنۡہُمَا   থেকে   বর্ণিত;নবীয়ে   রহমত,   শফীয়ে   উম্মত,  তাজদারে   রিসালাত   صَلَّی   اللّٰہُ    تَعَالٰی   عَلَیْہِ   وَاٰلِہٖ    وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “যে ব্যক্তি জুমার দিন ‘সুরা কাহাফ’পাঠ করবে,   তার    কদম   থেকে    আসমান   পর্যন্ত    নূর   দ্বারা আলোকিত   হবে   এবং  কিয়ামতের  দিন   ঐ   নূর     তার সামনে উদ্ভাসিত  হবে। আর দুই জুমার   মধ্যবর্তী   দিন  সমূহে   তার   থেকে   সংগঠিত   গুনাহ   সমূহ্   ক্ষমা   করে  দেয়া হবে। (আত্ তারগীব   ওয়াত তারহীব,  ১ম  খন্ড, ২৯৮ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২)</div>

জুমার দিনের ৫ টি বিশেষ আমল

জুমার দিনের ৫টি বিশেষ আমল হযরত সায়্যিদুনা আবু সাঈদرَضِیَ اللہُ تَعَالٰی عَنۡہُ থেকে বর্ণিত;  মদীনার    তাজেদার,    রাসূলদের  সর্দার,  হুযুরে...

Read more »

জুমা ফরজ হওয়ার শর্ত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">জুমা আদায় করা ফরয হওয়ার জন্য ১১টি শর্ত<br /><br />❁ শহরে  মুকীম হওয়া। ❁  সুস্থ হওয়া, অসুস্থের  উপর জুমা   ফরয   নয়।  অসুস্থ দ্বারা এটাই উদ্দেশ্য   যে, জুমা  মসজিদ   পর্যন্ত   যেতে    অক্ষম   অথবা   মসজিদে    গেলে রোগ    বৃদ্ধির    কিংবা    দেরীতে    সুস্থ    হওয়ার    সম্ভাবনা  রয়েছে।   অতিশয়   বৃদ্ধ    ব্যক্তি  অসুস্থ   ব্যক্তির  হুকুমের  অন্তুর্ভূক্ত।<br /><br />রাসুলুল্লাহ্    ﷺইরশাদ   করেছেন:     “যে   ব্যক্তি   আমার উপর   সারাদিনে   ৫০বার   দরূদ   শরীফ   পড়ে,   আমি  কিয়ামতের দিন তার  সাথে   মুসাফাহা  করবো।” (আল কওলুল  বদী)  ❁স্বাধীন  হওয়া,  গোলামের উপর জুমা   ফরয   নয়।   তার   মুনিব   তাকে   (জুমা   আদায়ে)   বাধা  দিতে  পারবে।  ❁পুরুষ   হওয়া,  ❁  প্রাপ্ত   বয়স্ক  হওয়া, ❁বিবেকবান হওয়া,  এই দু’টি  শর্ত জুমার জন্য নির্দিষ্ট নয়      বরং      প্রত্যেক      ইবাদত      ফরয      হওয়ার      জন্য  বিবেকবান     ও   প্রাপ্ত   বয়স্ক   হওয়া    শর্ত।❁দৃষ্টি   শক্তি  সম্পন্ন  হওয়া,   ❁  হাটতে  সক্ষম  হওয়া,  ❁   বন্দী     না  হওয়া,    ❁     বাদশা     (শাসক)     অথবা     চোর,    ডাকাত ইত্যাদি  কোন    প্রকারের   জালিমের ভয়ের আশংকা না থাকা।❁ঝড়,   তুফান,   শিলাবৃষ্টি   ও   ঠান্ডা   ইত্যাদির  ক্ষতির  সম্ভাবনা   হতে   মুক্ত  হওয়া   অর্থাৎ  তা  এতটুকু পরিমাণ   হওয়া  যাতে   ক্ষতি    হওয়ার  সত্যিই  সম্ভাবনা রয়েছে। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৭৭০-৭৭২ পৃষ্ঠা) যার   উপর    নামায    ফরয   কিন্তু   কোন   শরয়ী   ওযরের  কারণে   জুমার     নামায   ফরয     হয়নি,   তাকে   অবশ্যই  জুমার দিন  যোহরের  নামায আদায়  করে  দিতে  হবে।  কেননা,  জুমার  দিন   জুমার   নামায  আদায়   করতে  না  পারলে, কিংবা  শর্ত পাওয়া না  যাওয়ার কারণে  জুমার  নামায ফরয না  হলে,    যোহরের  নামায  মাফ হবে না। তা অবশ্যই আদায় করতে হবে।<br /><br />জুমার সুন্নাত সমূহ<br /><br />জুমার নামাযের জন্য প্রথম ওয়াক্তে যাওয়া, মিসওয়াক করা, উত্তম (ভাল) ও সাদা কাপড় পরিধান করা, তৈল ও  সুগন্ধি  লাগানো  এবং  প্রথম  কাতারে  বসা  মুস্তাহাব  আর জুমার দিন গোসল  করা সুন্নাত। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১৪৯ পৃষ্ঠা। গুনিয়া, ৫৫৯ পৃষ্ঠা)<br /><br />জুমার দিন গোসল করার সময়<br /><br />প্রখ্যাত   মুফাস্সীর,     হাকীমূল    উম্মত,   হযরত   মুফতী আহমদ   ইয়ার    খাঁন    رَحْمَۃُ     اللّٰہِ    تَعَالٰی     عَلَیْہِ   বলেন: কতিপয় ওলামায়ে  কিরাম    বলেন; জুমার দিন  গোসল করা  জুমার  নামাযের জন্য সুন্নাত। জুমার দিনের জন্য নয়।     সুতরাং  যার  উপর  জুমা   ফরয    নয়,    তার  জন্য জুমার   দিন   গোসল    করাও     সুন্নাত    নয়।    কিছু   কিছু   ওলামায়ে  কিরাম  বলেন: জুমার দিনের  গোসল  জুমার নামাযের এতটুকু আগে করা  উচিত, যেন ঐ গোসলের ওযু দ্বারা  নামায আদায়   করা যায়। তবে সঠিক এটাই  যে, জুমার দিন গোসল করার সময় ফযর উদয় হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়। (মীরআত, ২য়  খন্ড, ৩৩৪ পৃষ্ঠা) জানা   গেলো,   নারী,   মুসাফির   ইত্যাদি    যাদের   উপর  জুমার    নামায   ফরয    নয়,   তাদের   জন্য    জুমার   দিন  গোসল করাও সুন্নাত নয়।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgc1l2NzAL-QMCNsoM7hav-yz22shbFxhpzcLm-2Xbdzk1b7PSrwWa_Y_fVJ9RbILFgMmVn-Utq0xOKZ6wx-xEO7i4uL0tl_MYXD9wqQwwx6Z5_D1B3BURF1NUVbjUP0eGTjjIpntbkhw3G/s1600/FB_IMG_1483640469439-02-480x350.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="350" data-original-width="480" height="233" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgc1l2NzAL-QMCNsoM7hav-yz22shbFxhpzcLm-2Xbdzk1b7PSrwWa_Y_fVJ9RbILFgMmVn-Utq0xOKZ6wx-xEO7i4uL0tl_MYXD9wqQwwx6Z5_D1B3BURF1NUVbjUP0eGTjjIpntbkhw3G/s320-rw/FB_IMG_1483640469439-02-480x350.jpeg" width="320" /></a></div><br /><br />জুমার গোসল সুন্নাতে যায়িদা<br /><br />হযরত আল্লামা  ইবনে আবেদীন শামী   رَحْمَۃُ  اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ বলেন: জুমার নামাযের জন্য গোসল করা সুন্নাতে যায়িদা। এটা ত্যাগ করলে কোন অসুবিধা নেই। (রদ্দুল মুহতার, ১ম খন্ড, ৩৩৯ পৃষ্ঠা)<br /><br />খোৎবার সময় কাছাকাছি থাকার ফযীলত<br /><br />হযরত  সায়্যিদুনা  সামুরা  ইবনে জুনদুব  رَضِیَ  اللہُ تَعَالٰی عَنۡہُ  থেকে    বর্ণিত;নবী  করীম,   রউফুর  রহীমصَلَّی   اللّٰہُ تَعَالٰی  عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “তোমরা  খোৎবা পাঠের সময় উপস্থিত থাকো   এবং ইমামের  কাছাকাছি থেকেই তা  শ্রবণ  করো। কেননা    খোৎবা পাঠের সময় যে  ইমাম  থেকে  যতটুকু  পরিমাণ    দূরত্বে  থাকবে,  সে জান্নাতেও ততটুকু  পরিমাণ  পিছনে  থাকবে।যদিও  সে (অর্থাৎ    মুসলমান)   নিশ্চিত   জান্নাতে    প্রবেশ   করবে।  (সুনানে       আবু       দাউদ,       ১ম       খন্ড,         ৪১০       পৃষ্ঠা, হাদীস-১১০৮)<br /><br />তখন জুমার নামাযের সাওয়াব পাওয়া যাবে না<br /><br />তাজেদারে  রিসালাত,   নবীয়ে   রহমত,  শফীয়ে  উম্মত  صَلَّی  اللّٰہُ   تَعَالٰی   عَلَیْہِ    وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم  ইরশাদ  করেন:    “যে  ব্যক্তি,   ইমাম জুমার খোৎবা  দেয়ার  সময়   কথা বলে,  তার উদাহরণ ঐ গাধার মতো, যে  কিতাব বহন  করে। আর  ঐ  সময় যে কেউ  তার  সাথীকে  এরূপ বলল  যে, “চুপ    থাক”    বলে    সে     জুমার    সাওয়াব    পাবে     না।” (মুসনাদে ইমাম  আহমদ বিন্  হাম্বল,    ১ম খন্ড,  ৪৯৪  পৃষ্ঠা, হাদীস-২০৩৩)<br /><br />নিরবে খোৎবা শুনা ফরয<br /><br />যে সমস্ত  কাজ  নামাযের  মধ্যে  হারাম  যেমন-পানাহার করা,  সালাম  ও   সালামের  জবাব  দেওয়া   ইত্যাদি  তা খোৎবার  সময়ও  হারাম।     এমনকি  নেকীর   দা’ওয়াত  দেয়াও   হারাম।   তবে   খতিব  সাহেব  নেকীর  দাওয়াত দিতে    পারবেন।    যখন   খোৎবা   পাঠ   করা   হয়   তখন খোৎবা       শুনা     এবং     নিরব      থাকা      উপস্থিত     সকল   মুসল্লীদের   উপর    ফরয।  আর   যে  সমস্ত  লোক  ইমাম থেকে দূরে এবং   খোৎবার  আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে না   তাদের উপরও নিরব   থাকা  ওয়াজীব।  খোৎবা পাঠের সময় কাউকে কোন  খারাপ কথা  বলতে দেখলে তাকে হাত বা মাথার ইশারা দ্বারা নিষেধ করতে পারবে। মুখ দ্বারা   নাজায়িয।   (বাহারে   শরীয়াত,   ১ম   খন্ড,   ৭৭৪  পৃষ্ঠা। দুররে মুখতার, ৩য় খন্ড, ৩৯ পৃষ্ঠা)<br /><br />খোৎবা শ্রবণকারী দরূদ শরীফ পড়তে পারবে না<br /><br />খতিব  সাহেব  খোৎবাতে  সুলতানে  মদীনা,   হুযুর   صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی  عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم এর নাম  মোবারক  উচ্চারণ  করার সময়   উপস্থিত  মুসল্লীরা মনে  মনে  দরূদ শরীফ পাঠ  করবে।  খোৎবা  পাঠের  সময়  মুখে  দরূদ  শরীফ  পড়ার অনুমতি নেই। অনুরূপ সাহাবায়ে  কিরামগণের عَلَیۡہِمُ  الرِّضۡوَان  নাম উচ্চারণ করার  সময়ও   মুখে  رَضِیَ  اللہُ تَعَالٰی عَنۡہُ বলার অনুমতি নেই। (বাহারে শরীয়াত, ১ম  খন্ড,  ৭৭৫  পৃষ্ঠা।  দুররে মুখতার, ৩য়  খন্ড,   ৪০  পৃষ্ঠা)</div>

জুমা ফরজ হওয়ার শর্ত

জুমা আদায় করা ফরয হওয়ার জন্য ১১টি শর্ত ❁ শহরে  মুকীম হওয়া। ❁  সুস্থ হওয়া, অসুস্থের  উপর জুমা   ফরয   নয়।  অসুস্থ দ্বারা এটাই উদ্দেশ্য   যে, ...

Read more »

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও ফযীলত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">☞ তাহাজ্জুদ নামাযঃতাহাজ্জুদের নামায অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও ফযিলতপূর্ণ ইবাদত। তাহাজ্জুদ নামায সুন্নাত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হরহামেশা এ নামায নিয়মিত পড়তেন এবং সাহাবায়ে কেরাম (রা:) কে তা নিয়মিত আদায় করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন।পবিত্র কুরআনে তাহাজ্জুদ নামাযের জন্য বিশেষভাবে তাকিদ করা হয়েছে। যেহেতু উম্মতকে নবীর অনুসরণ করার হুকুম করা হয়েছে সেজন্যে তাহাজ্জুদের এ তাকীদ পরোক্ষভাবে গোটা উম্মতের জন্য করা হয়েছে।আল্লাহপাক ইরশাদ করেন- “এবং রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদের নামায পড়তে থাক। এ নামায তোমার জন্যে আল্লাহর অতিরিক্ত ফযল ও করম। শীঘ্রই আল্লাহ তোমাকে উভয় জগতে বাঞ্ছিত মর্যাদায় ভূষিত করবেন [বণী ইসরাইল :৭৯]<br /><br />যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামায আদায় করে কুরআন শরীফে তাদেরকে মুহসেন ও মুত্তাকি নামে অভিহিত করে তাদেরকে আল্লাহর রহমত এবং আখেরাতে চিরন্তন সুখ সম্পদের অধিকারী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তিনি ইরশাদ করেন- “নিশ্চয়ই মুত্তাকি লোক বাগ-বাগিচায় এবং ঝর্ণার আনন্দ উপভোগ করতে থাকবে এবং যে যে নিয়ামত তাদের প্রভূ তাদেরকে দিতে থাকবেন সেগুলো তারা গ্রহণ করবে। কারণ, নিসন্দেহে তারা এর পূর্বে (দুনিয়ার জীবনে) মুহসেনীন (বড় নেক্কার) ছিল। তারা রাতের খুব অল্প অংশেই ঘুমাতোএবং শেষ রাতে ইস্তেগফার করতো। (কেঁদে কেঁদে আল্লাহর কাছে মাগফেরাত চাইতো)”। [সূরা যারিয়াত:১৫-১৮]<br /><br />প্রকৃতপক্ষে তাহাজ্জুদ নামায মন ও চরিত্রকে নির্মল ও পবিত্র করার এবং সত্য পথে অবিচল থাকার জন্যে অপরিহার্য ও কার্যকর পন্থা। আল্লাহপাক বলেন- “বস্তুতঃ রাতে ঘুম থেকে উঠা মনকে দমিত করার জন্যে খুব বেশি কার্যকর এবং সে সময়ের কুরআন পাঠ বা যিকির একেবারে যথার্থ”। [সূরা মুয্যাম্মিল-৬]<br /><br />এসব বান্দাদেরকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা তাঁর প্রিয় বান্দা বলেছেন এবং নেকি ও ঈমানদারির সাক্ষ্য দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন- আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারা যারা তাদের প্রতিপালকের দরবারে সিজদা করে এবং দাঁড়িয়ে থেকেই রাত কাটিয়ে দেয়।[সূরা ফুরকান:৬৩-৬৪]<br /><br />☞ তাহাজ্জুদের গুরুত্ব ও ফযীলতঃফরয নামাজের পর অন্যান্য সুন্নাত ও নফল সব নামাযের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ফযীলত সবচেয়ে বেশী (আহমাদ, মেশকাত ১১০ পৃঃ)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhzWVAueBfkRyCKSWhzbu4Oh_Bax2WtWwO125X3z5X4ZoiTGukfRWTlxJD3ihOWmvGkuajm_EoPljoqaxBtfaXkY2ZOJffNf-AXc6VBH8g6ehGk8V-Yt88_jRt0rFfktvyuLyPtLc4EE-k2/s1600/download-1.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="203" data-original-width="248" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhzWVAueBfkRyCKSWhzbu4Oh_Bax2WtWwO125X3z5X4ZoiTGukfRWTlxJD3ihOWmvGkuajm_EoPljoqaxBtfaXkY2ZOJffNf-AXc6VBH8g6ehGk8V-Yt88_jRt0rFfktvyuLyPtLc4EE-k2/s1600-rw/download-1.jpg" /></a></div><br /><br />রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমাদের প্রভু পরওয়ারদিগার তাবারাকা ওয়া তা’আলা প্রত্যেক রাত্রে দুনিয়ার আসমানে (যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়) নেমে আসেন যখন রাত্রের এক তৃতীয়াংশ বাকী থাকে । অতঃপর তিনি বলেন, তোমাদের কে আমাকে ডাকবে! আমি তার ডাকে সাড়া দেব । কে আমার কাছে কিছু চাইবে আমি তাকে তা দেব, কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেব (মুসলিম, মেশকাত ১০৯ পৃঃ)<br /><br />রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি রাত্রে ঘুম থেকে জেগে তাহাজ্জুদের নামায পড়ে এবংসে তার স্ত্রীকেও ঘুম থেকে জাগিয়ে নামায পড়ায় এমনকি সে যদি জেগে না উঠে, তবে তার মুখে খানিকটা পানি ছিটিয়ে দেয় তাহলে তার প্রতি আল্লাহ রহমত বর্ষণ করে থাকেন । অনুরুপ কোন মহিলা যদি রাত্রিকালে জাগ্রত হয়ে তাহাজ্জুদ নামায পড়ে এবং সে তার স্বামীকে নামাযের জন্য জাগায় এমনকি স্বামী না জাগলে স্ত্রী তার মুখে পানি ছিটিয়ে তার ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয় তাহলে তার প্রতিও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হতে থাকে (আবু দাউদ, নাসায়ী, মেশকাত ১০৯ পৃঃ)<br /><br />রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহর নিকট অতি প্রিয় নামায দাউদ (আঃ) এর নামায । তিনি অর্ধেক রাত ঘুমাতেন এবং রাতেন তৃতীয় ভাগে নামাযে দাঁড়াতেন আর ৬ষ্ঠ ভাগে আবার ঘুমাতেন (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ১০৯ পৃঃ)<br /><br />☞ তাহাজ্জুদ নামাযের আগে করণীয়ঃহুযাইফা (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাহাজ্জুদ পড়তে উঠতেন তখন মিসওয়াক করতেন এবং আমাদেরকেও মিসওয়াক করার হুকুম দেয়া হত, আমরা যখন তাহাজ্জুদ পড়তে উঠতাম, অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অযু করতেন (মুসলিম শরীফ) । তারপর নীচের দু’আ ও তাসবীহগুলি দশবার করে পড়তেন । তারপর নামায শুরু করতেন (আবু দাউদ, মেশকাত ১০৮ পৃঃ)<br />(১) দশবার “আল্লাহু আকবার (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ)<br />(২) দশবার আলহামদুলিল্লাহ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যই)<br />(৩) দশবার সুব্‌হানাল্লাহিওয়া বিহামদিহী (আমি আল্লাহ প্রশংসার সাথে তাঁর পবিত্রতা ঘোষনা করছি)<br />(৪) দশবার সুব্‌হানাল মালিকিল কদ্দুস (আমি মহা পবিত্র মালিকের গুণগান করছি)<br />(৫) দশবার আসতাগফিরুলাহ (আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করছি)<br />(৬) দশবার লা ইলাহ ইল্লাল্লাহু (আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য আর কেউ নেই)<br />(৭) দশবার আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিন দীক্বিদ্দুনিয়াওয়া দীক্বি ইয়াওমিল ক্বিয়ামাহ (হে আল্লাহ! আমি এই জগতের এবং পরকালের সঙ্কট থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি)<br /><br />☞ তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়মঃতাহাজ্জুদ নামায পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন সুরা নেই। যে কোন সুরা দিয়েই এই নামায আদায় করা যাবে। তবে যদি বড় সুরা বা আয়াত মুখুস্ত থাকে তবে, সেগুলো দিয়ে পড়াই উত্তম। কারন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব সময় বড় বড় সুরা দিয়ে তাহাজ্জুদ নামায আদায় করতেন। তাই আমাদেরও বড় সুরা মুখুস্ত করে, তা দিয়ে তাহাজ্জুত নামাদ আদায় করা উচিৎ।যাইহোক, বড় সুরা মুখুস্ত না থাকলে যে কোন সুরা দিয়েই নামায আদায় করা যাবে। নিয়ম হল ২রাকাত করে করে, এই নামায আদায় করা। প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়ার পর, অন্য যে কোন সুরা মিলানো। এভাবেই নামায আদায় করতে হবে।আল্লাহ, আমাদের সবাইকে তাহাজ্জুদের পরিপূর্ণ মর্যাদা লাভ করার তৌফিক দান করুন। আমিন..</div>

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও ফযীলত

☞ তাহাজ্জুদ নামাযঃতাহাজ্জুদের নামায অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও ফযিলতপূর্ণ ইবাদত। তাহাজ্জুদ নামায সুন্নাত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ...

Read more »

সালাতুল আওয়াবীন বা খোদাভীরুদের নামাজ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">সালাতুল আওয়াবীন বা খোদাভীরুদের নামাজঃ<br /><br />উলূমুল হাদীসের গলদ ব্যবহারের একটা দিক এই যে, কোনো রেওয়ায়েতের মান নির্ণয়ের জন্য সনদের তাহকীক করা হয়। প্রত্যেক ময়দানে যে কোনো বিষয়ের তাহকীকের ক্ষেত্রে বদহজম হতে পারে। তাহকীকের বদহজম হলেই ফেতনা হবে। তাহকীকের বদহজম হয় দুই জিনিসের অভাবে। যথাঃ ১. তাফাক্কুহের অভাব<br /><br />২. আকলে সালীমের অভাব।<br /><br />তাফাক্কুহ এবং আকলে সালীম না থাকার কারণে তাহকীককে তার নতীজার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে নতীজার বাইরে ব্যবহার করা হয়। এটাই হল তাহকীকের বদহজম। যখনই তাহকীকের বদহজম হবে তখনই ফেতনাহবে। আসুন, বাদ মাগরিবের নফল নামায প্রসঙ্গে। সাধারণ পরিভাষায় যা আওয়াবীনের নামায হিসেবে প্রসিদ্ধ। একবার কেউ রীতিমতো ঝগড়া বাঁধিয়ে দিয়েছিল। তার বক্তব্য, সহীহ মুসলিমের একটি বর্ণনা থেকে বোঝা যায় যে, সালাতুদ দুহা (চাশতের নামায) হল আওয়াবীনের নামায। সুতরাং মাগরিবের পরের নফল নামাযকে আওয়াবীনের নামায বলা ভুল। এবং এই নামাযের কোনো ভিত্তি নেই। সে বলেছিল, তিরমিযী শরীফে মাগরিবের পর ছয় রাকাত নফল পড়ার ফযীলত সম্বলিত যে রেওয়ায়েতটি আছে তাতে ইমাম তিরমিযী  রাহ. নিজেই একথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, এখানে ওমর ইবনে আবী খাছআম নামে একজন  আছেন, যার ব্যাপারে ইমাম বুখারী রাহ. বলেছেন, ‘মুনকারুল হাদীস’। তাছাড়া ইমাম যাহাবী রাহ. ‘মীযানুল ইতিদাল’ কিতাবে সরাসরি এই রেওয়ায়েতটিকেই ‘মুনকার’ বলেছেন। অতএব তার দাবী আওয়াবীন পড়া ছেড়ে দাও। এবং অন্যকেও তা থেকে বারণ কর। নাউযুবিল্লাহ। মনে রাখবেন, যে লোক বিষয়টিকে এভাবে নিবে নিঃসন্দেহে সে জাহেল। সে ইলমের এবং তাহকীকের কোনো আদবই শিখেনি। এখানে তো শুধু তাহকীকের গলদ ব্যবহার নয়; বরং এখানে তাহকীকই অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। আর তাহকীক না করার চেয়ে অসম্পূর্ণ তাহকীক করা বেশি খতরনাক, বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। দেখুন, চাশতকে আওয়াবীনের নামায বললেই কি একথা জরুরি যে, মাগরিবের পরের নফল নামাযও আওয়াবীনের নামায হবে না? বা সেটাকে আওয়াবীনের নামায বলা ঠিক হবে না? – এটা তো ফজর মাগরিবের মতোওয়াক্তের সাথে সম্পৃক্ত কোনো নাম নয় যে, এক নাম দুই নামাযের জন্য হতে পারবে না। ‘সালাতুল আওয়াবীন’ অর্থ কী? এর অর্থ হল, ‘আওয়াব’ বা যারা খুব বেশি আল্লাহমুখী হয় তাদের নামায। এবং বাস্তবতা হল, ভালো সনদের একটি মুরসাল-মারফূ হাদীসে এবং একাধিক ‘আছারে’ মাগরিবের পরের নফল নামাযকে আওয়াবীনের নামায বলা হয়েছে। তাছাড়া অনেক সাহাবী-তাবেয়ী থেকে সহীহ সনদে মাগরিব ও ইশার মধ্যবর্তী সময় নফল পড়ার বিষয়টি প্রমাণিত।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiTpsdJLEUZ6YGDhFjUQrm3BoPpVtvli-Q1ZhgXJr71WHbHoGHNrw9XsIjmqnTNvGkfSJDjaOtvRw1NjhwfANdWCL17pusBFzHuO1d8_anfM8vCzx9CY9idCO_OHTa6ZVkHZUaoLvpzfW87/s1600/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="266" data-original-width="590" height="144" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiTpsdJLEUZ6YGDhFjUQrm3BoPpVtvli-Q1ZhgXJr71WHbHoGHNrw9XsIjmqnTNvGkfSJDjaOtvRw1NjhwfANdWCL17pusBFzHuO1d8_anfM8vCzx9CY9idCO_OHTa6ZVkHZUaoLvpzfW87/s320-rw/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" width="320" /></a></div><br />প্রিয় নাবী কারিম (صلى الله عليه و آله و سلم) নিজে ও তাঁর সাহাবীগণ মাগরিব ও ইশার মধ্যবর্তী সময়ে বেশি বেশি নফল সালাত আদায় করতেন বলে সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। হযরত হুযাইফা (রা) বলেন, ‘‘আমি নবীজী (صلى الله عليه و آله و سلم) এঁর কাছে এসে তাঁর সাথে মাগরিবের সালাত আদায় করলাম। তিনি মাগরিবের পরে ইশা’র সালাত পর্যন্ত নফল সালাতে রত থাকলেন।’’ হাদীসটি সহীহ।<br /><br />★[সূত্রঃ ইবন আবী শাইবা, মুসান্নাফ ২/১৫;<br /><br />★নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা ১/৫১, ৫/৮০; ★আলবানী, সহীহুত তারগীব ১/৩১৩।]<br /><br />এ বিষয়ে দেখা যেতে পরে মুহাম্মাদ ইবনে নসর আল মারওয়াযী রাহ. কৃত ‘কিয়ামুল লাইল’। ইমাম ইবনুল মুবারক রাহ. কৃত ‘কিতাবুয যুহদ ওয়ার রাকাইক’ এবং মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ও মাআরিফুস সুনান। এখন যদিও ‘মাগরিবের পরের ছয় রাকাত নামায বারো বছরের ইবাদত বরাবর, বিষয়ক হাদীসটি যয়ীফ বা মুনকার হয়ে থাকে [অথচ ইমাম ইবনে খুযাইমা রাহ. তার ‘কিতাবে রেওয়ায়েতটি এনেছেন। সহীহ ইবনে খুযাইমা (১১৯৫)] তাতেই কি একথা বলা যাবে যে, আওয়াবীন নামাযের কোনো ভিত্তি নেই? এজন্যই যে ব্যক্তি অসম্পূর্ণ তাহকীকের ভিত্তিতে বা তাহকীকের গলদ ব্যবহারের মাধ্যমে আকাবির মাশায়েখের বরকতপূর্ণ আমল থেকে সরে গিয়ে ঐ সময়ের নফল থেকে নিজে বঞ্চিত হয় বা অন্যকে এ ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করে তার এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে ভুল পদক্ষেপ যা থেকে ফিরে আসা অত্যন্ত জরুরি। – দেখুন, যদি আওয়াবীনের নামায বিষয়ে কোনো হাদীস আছার নাও থাকতো তবুও তো ঐ সময়ে নফল নামায পড়া মুবাহ এবং সওয়াবের কাজ দুরস্ত আছে। কেননা মাকরূহ ওয়াক্ত ছাড়া বাকী যে কোনো সময় যে কেউ একাকী নফল নামায পড়তে পারে। হ্যাঁ, নির্দিষ্ট বা বিশেষ নফল বলতে হলে সেজন্য ভিন্ন দলীলের প্রয়োজন হবে। তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আর আওয়াবীননের জন্য সে রকম দলিল আছে। প্রসঙ্গত, এখানে আরেকটি বিষয় পরিষ্কার করে দেওয়া জরুরি। তা হল, কারো কারো ধারণা, আওয়াবীনের নামায নির্দিষ্টভাবে ছয় রাকাত। অতএব যদি কেউ আওয়াবীন পড়তে চায় তাহলে তাকে ছয় রাকাতই পড়তেহবে। অন্যথায় পড়বে না। এমন ধারণা অবশ্যই পরিহারযোগ্য। এখানে বরং বাদ মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নতের পর দুই রাকাত, চার রাকাত, ছয় রাকাত যত রাকাত ইচ্ছা কেউ পড়তে পারে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে এমন কোনো রাকাত সংখ্যা নেই যার খেলাফ করাটা গুনাহ বা মাকরূহ! এক হাদীসে তো এসেছে, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাগরিবের পর থেকে ইশা পর্যন্ত নামায পড়েছেন। [সূত্রঃ সহীহ ইবনে খুযাইমা,হাদীস : ১১৯৪।] তবে এ কথা স্বীকৃত যে, নফল নামায সর্বাবস্থায়ই নফল। শরীয়ত যাকে মানুষের ইখতিয়ারাধীন করেছে। সেজন্য তাতে বাধ্যবাধকতা চলে না। তবে, যদি কোনো শায়খ, মুসলিহ মুরববী বা মুরববী উস্তায অথবা মুরববী অভিভাবক তাঁর অধীনস্তদেরকে কোনো নফলে অভ্যস্ত করে তোলার জন্য কখনো কোনো কড়াকড়ি বা বাধ্যবাধকতা করেন তাহলে সেটা ইনতিযামী মাসআলা। তার হুকুম ভিন্ন। সে ইখতিয়ার তাঁর অধিনস্থদের প্রতি তাঁর রয়েছ। যাহোক, মাগরিবের নামাযের পর আওয়াবীন পড়বো। তা সালাফে সালেহীন তথা পূর্ববর্তী সাদিক্বীনরা পড়তেন। আমরা জেনেছি, সালাতুল আওয়াবীন সম্পর্কে দুই রেওয়ায়েত আছে অর্থাৎ ছয় রাকাত ও বিশ রাকাত। আর বিশ রাকাতের রেওয়ায়েতের সনদে দুর্বলতা তুলনামূলক কম আছে, সে কারণে ছয় রাকাতের সনদ একটু অধিক দুর্বল হলেও একাধিক দূর্বল সনদের অস্থিত্ব উভয় সনদকে শক্তিশালী করেছে। তাছাড়া মাগরিব ও এশার মাঝে নফল নামায একাধিক সহীহ আছার দ্বারা প্রমাণিত। আর একটি হাসান পর্যায়ের হাদীসে এই নামাযকে সালাতুল আওয়াবীন বলা হয়েছে, কাজেই সাদিক্বীনদের আমলের পরম্পরায় এ নামায পড়ায় কোন অসুবিধা থাকে না।<br /><br />জামে তিরমীযিতে রেওয়ায়েত হয়েছে সালাতুল আওয়াবীনের ছয় রাকাত নামাযের বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা বার বৎসর নফল ইবাদত করার সওয়াব দান করবেন।<br /><br />★[সূত্রঃ জামে তিরমিযী ১/৯৮।]<br /><br />ছয় রাকাআত তো পড়বেন, ব্যস্ততা কম থাকলে সময় সুযোগমত আরও বেশী বা বিশ রাকাআতও পড়ার অভ্যাস করা মন্দ নয়। মহান আল্লাহ্ পাক সকলকে অধিক নফল ইবাদাত করার তৌফীক নসীব করুন, আমীন।</div>

সালাতুল আওয়াবীন বা খোদাভীরুদের নামাজ

সালাতুল আওয়াবীন বা খোদাভীরুদের নামাজঃ উলূমুল হাদীসের গলদ ব্যবহারের একটা দিক এই যে, কোনো রেওয়ায়েতের মান নির্ণয়ের জন্য সনদের তাহকীক করা হয়...

Read more »

দোআ কবুলের ৫টি রাত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />▆ পাঁচ রাতের দুআ’র গুরুত্ববহ হাদিস📓<br />হযরত আবু উমামা রা. বর্ণিত সূত্র ছাড়াও অপর অনেক সূত্রে হাদিসটি বর্ণিত আছে।<br />যেমন<br />قال عبد الرزاق: وأخبرني من، سمع البيلماني يحدث عن أبيه، عن ابن عمر قال : “خمس ليال لا ترد فيهن الد عام: ليلة الجمعة، وأول ليلة من رجب ، وليلة النصف من شعبان ، وليلتي العيدين *<br />অর্থাৎ : “হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনূ উমর রা. থেকে বর্ণিত।<br />প্রিয় নাবী রাসূলুন কারিম (صلى الله عليه و آله و سلم) ইরশাদ করেন :<br />পাঁচ রজনীর দুআ’ আল্লাহ্ পাক ফেরৎ দেন না।<br />১. জুমুঅা’র রজনী,<br />২. রজব মাসের প্রথম রজনী,<br />৩. শা’বান মাসের ১৫ তারিখের রজনী,<br />৪. ও ৫. ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আদ্বহার রজনীর দুআ’।”<br />গ্রন্থ সূত্র :<br />*_* ইমাম আব্দুর রাজ্জাক রহ. : মুসান্নাফ; ৪/৩১৭, হাদিস ২৯২৭; মাক্তুবাতুল ইসলামী, বৈরুত।<br />*_* ইমাম বায়হাকী রহ. : শুয়াবুল ঈমান; ২/১৩।<br />*_* ইমাম বায়হাকী রহ. : ফাজায়েলে ওয়াক্ত; পৃষ্ঠা ৩১২, হাদিস ১৪৯।<br />*_* ইমাম বাজ্জার রহ. : আল মুসনাদ; হাদিস ৭৯২৭।<br />*_* ইমাম ইবনূ ‘আবিদিন শামী রহ. : ফাতাওয়ায়ে শামী; ৬/৫১-৫২ পৃষ্ঠা, ২/২৩৭ পৃষ্ঠা, অধ্যায় দাফন।<br />ইহা ছাড়াও<br />উক্ত হাদিসটি এই জগৎ বিখ্যাত ফাতাওয়ার কিতাবের যথাক্রমে<br />আযান অধ্যায়ের, ১/৩৮৯ পৃষ্ঠায়;<br />আহকামুল উমরাহ্ অধ্যায়ের, ২/৪৭৩ পৃষ্ঠায়;<br />কিতাবুল ওয়াক্বফ অধ্যায়ের, ৪/৩৬৪ পৃষ্ঠায়;<br />৫/১৬৭ পৃষ্ঠায়, ৫/১৭৬ পৃষ্ঠায়, ৫/৬৫৬ পৃষ্ঠায় উক্ত রজনীগুলোর গুরুত্ব আলোচনা করে উল্লেখ করেছেন, এই রেফারেন্স দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বৈরুত প্রকাশিত কিতাবে রয়েছে।<br />এই হাদিসটির সনদ সহিহ্।<br />তবে ইমাম আব্দুর রাজ্জাক রহ. তাদলীস করেছেন।<br />আর হাদিস অস্বিকারী সম্প্রদায়টি যে হাদিস সম্পর্কে মন্তব্য করছে তা হযরত আবু উমামা রা. বর্ণিত হাদিস পাক।<br />হাদিসটি হচ্ছে :<br />عن عن أبي أمامة رضى الله عنه قال رسول الله صلى الله عليه و سلم خمس ليال لا ترد فيهن الدعوة أول ليلة من رجب و ليلة النصف من يس عبان و ليلة الجمعة و ليلة الفطر و ليلة النحر*<br />অর্থাৎ : “প্রিয় নাবী রাসূলুন কারিম (صلى الله عليه و آله و سلم) ইরশাদ করেন :<br />পাঁচ রজনীর দুআ’ আল্লাহ্ পাক ফেরৎ দেন না।<br />১. রজবের প্রথম রাজনী,<br />২. মধ্য শা’বানের রজনী (লায়লাতুন নিসফ মিন শা’বান / শবে বারাআত),<br />৩. জুমুঅা’র রজনী,<br />৪. ও ৫. ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আদ্বহার রজনী।<br />গ্রন্থ সূত্র :<br />*_* ইবনূ আসাকীর রহ. : তারীখে দামিস্ক, ১০/৪০৮ পৃষ্ঠা, হাদিস ৯৬৮; দারুল ফিকর্ ইলমিয়্যাহ, বৈরুত লেবানান প্রকাশিত।<br />*_* ইমাম সুয়ূতি রহ. : জামিয়ুস সাগীর; ১/৬০৮ পৃষ্ঠা, হাদিস ৩৯৫২।<br />*_* ইমাম দায়লামী রহ. : আল মুসনাদুল ফিরদাউস; ২/১৯৬ পৃষ্ঠা, হাদিস ২৯৭৫।<br />*_* আল্লামা ইউসূফ নাবাহানী রহ. : ফাৎহুল কাবীর; ২/৮৭ পৃষ্ঠা, হাদিস ৬০৭৫।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhQzCD9e58X50zqQGqhvd65EwaklbU29WjcuUWjbD5oxF3BTR6S8r0jWbVrY5BDXqi5nZ_C7Qym9VAFEegXV-HWC9Qd0z3-gKLTPKFBA8eXbzIu6I82achrvhWspTkCQFNU9_Md0bNqrRdx/s1600/islamic-calligraphy-holy-koran-written-on-gazelle-leather-articles-stock-photography_csp4276.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="194" data-original-width="271" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhQzCD9e58X50zqQGqhvd65EwaklbU29WjcuUWjbD5oxF3BTR6S8r0jWbVrY5BDXqi5nZ_C7Qym9VAFEegXV-HWC9Qd0z3-gKLTPKFBA8eXbzIu6I82achrvhWspTkCQFNU9_Md0bNqrRdx/s1600-rw/islamic-calligraphy-holy-koran-written-on-gazelle-leather-articles-stock-photography_csp4276.jpg" /></a></div><br />উক্ত হাদিসটি ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি রহ. দ্বইফ বলেছেন; তিনি বা সকল মুহাদ্দিসিনে ক্বিরাম র. এঁর নিকট দ্বয়ীফ হাদিস ‘ফাজায়েলের ক্ষেত্রে আমলযোগ্য হাদিস।<br />তাঁদের নিকট অগ্রহনীয় হচ্ছে মঔদ্বু হাদিস। তাঁরা অগ্রহনীয় হাদিস হলে তাকে সরাসরি মাঔদ্বু রায় প্রদান করে থাকেন। অর্থাৎ বলেন, হাদিসটি মঔদ্বু বা জাল।<br />আর এ যুগের নাসিরুদ্দিন আলবানী স্ব-শিক্ষিত শেখ ইলমী ঘাটতির কারণে দ্বয়ীফ হাদিসকেও জাল অর্থাৎ মঔদ্বু বুঝে নিয়েছে।<br />তার নিকট দ্বয়ীফ ও মওদ্বু কোনো পার্থ্যক্য নেই।<br />তার এই বুঝ পূর্ববর্তী সকল মুহাদ্দিসিনে ক্বিরামের মতানুযায়ী হাদিস অস্বিকারের নামান্তর।<br />ইহা প্রিয় নাবী রাসূলুন কারিম (صلى الله عليه و آله و سلم) এঁর প্রতি মিথ্যারোপ।<br />কাজেই<br />হাদিসের বর্ণনাকারীর বা হাদিসের মান যাচাইয়ে কোনো হাদিসকে জাল বা মঔদ্বু বলা মুহাদ্দিসিনে ক্বিরামের জন্যে মৃত্যু তূল্য বা সর্বস্বান্ত হওয়া বা দেউলিয়াপনা।<br />আর<br />সে কারণে মুহাদ্দিসিনে ক্বিরামের নিকট দ্বয়ীফ মানের হাদিস কয়েকটি সূত্রের বর্ণনার কারণে হাসান (Fair) মান বিশিষ্ট হয়। আর হাসান (Fair) মান বিশিষ্ট হাদিস সহিহ্ (Sound) মানের নিকটবর্তী হাদিস।<br />সুপ্রিয় পাঠক, এই আলোচোনার প্রথমোক্ত সহিহ্ মান বিশিষ্ট হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনূ উমর রা. বর্ণিত সহিহ্ হাদিস পূর্বেই উল্লেখ করেছি।<br />আমলের জন্যে পূর্বে উল্লোখিত হাদিসই যথেষ্ট। কেননা, সেই হাদিসটির ব্যাপারে কোনো মুহাদ্দিস মন্তব্য করেন নি। কাজেই আহলুস সূন্নাহর বিপরীত মতাবলম্বী, বাতীলদের কথার কোনোরুপ গ্রহণযোগ্যতা নেই।</div>

দোআ কবুলের ৫টি রাত

▆ পাঁচ রাতের দুআ’র গুরুত্ববহ হাদিস📓 হযরত আবু উমামা রা. বর্ণিত সূত্র ছাড়াও অপর অনেক সূত্রে হাদিসটি বর্ণিত আছে। যেমন قال عبد الرزاق: وأخبرني ...

Read more »

যিকিরে জলী ও যিকিরে খফী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">যিকরে জলী ও যিকরে খফীর সহীহ হাদীস<br /><br />#হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী#<br /><br />আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লাম বলেছেন,আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন,আমার বান্দা আমার সম্পর্কে যে ধারনা পোষন করে, আমি তার সাথে অনুরুপ ব্যবহার করি।যখন সে আমার যিকির করে আমি তার সাথী হই। এমনকি—<br />فإن ذكَرَني في نفسهِ ذكرْتُهُ في نفسي ،وإنْ ذَكَرَنِي فى ملَإٍ ذَكَرْتُهُ فى ملإِ خيرٍ منهم<br />যদি সে অন্তরে আমাকে যিকর (যিকরে খফী) করে, আমি তাকে অন্তরে তাঁর যিকর (যিকরে খফী) করি,আর সে যখন দলবদ্ধভাবে আমার যিকির (যিকরে জলী) করে,আমিও তার যিকির,তার দল হতে উত্তম দল নিয়ে (যিকরে জলী) করি।<br />এমনকি সে যদি এক বিঘত আমার নিকটে আসে, তবে আমি একগজ পরিমান তার নিকটবর্তী হয়ে যাই।আর সে যদি একগজ আমার নিকটবর্তী হয়,আমি তার দিকে দু’গজ নিকটবর্তী হই।সে যদি আমার দিকে পায়ে হেটে আসে,আমি তার দিকে দৌঁডে যাই।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgPJr5KGHnhe-jQoNzufly-09pTuUCILGcmPLslQI0NRm3bWDVYZOC4Bwd8TqdGuZI3xiwm9TkVVUf5vLSLUUKubFSCqdy8YNiQ9CRkFQ5vaQKPzww76V91rohXbOOBZfrbNmBrjNKRn5Mz/s1600/36840273_1043710185785418_1340504166899908608_n.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="390" data-original-width="750" height="166" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgPJr5KGHnhe-jQoNzufly-09pTuUCILGcmPLslQI0NRm3bWDVYZOC4Bwd8TqdGuZI3xiwm9TkVVUf5vLSLUUKubFSCqdy8YNiQ9CRkFQ5vaQKPzww76V91rohXbOOBZfrbNmBrjNKRn5Mz/s320-rw/36840273_1043710185785418_1340504166899908608_n.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />সুত্র:-বুখারী-কিতাবুত তাওহীদ,বাবু কাওলিল্লাহি তা’আলা ইউহাযযিরুকুমুল্লাহু নাফসাহু, ৬:২৬৯৪,হাদীস নং ৬৯৭০;<br />মুসলিম-কিতাবুয যিকরি ওয়াদ দোয়া ওয়াত তাওবা ওয়াল ইসতিগফার,বাবুল হাসসি আলা যিকরিল্লাহি তা’আলা, ৪:২০৬১,হাদীস নং ২৬৭৫;<br /><br />عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ((قَالَ اللَّهُ تَعَالَى<br />أَنَا مَعَ عَبْدِي حَيْثُمَا ذَكَرَنِي وَتَحَرَّكَتْ بِي شَفَتَاهُ<br />নবিজী বলেছেন,আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন,আমি বান্দার সাথী হই, যখন বান্দা আমার যিকর করে এবং তার দু’ঠোট আমার যিকিরে জন্য নড়াচড়া করে।<br /><br />সুত্র:-বোখারী-কিতাবুত তাওহীহ – বাবু কওলিল্লাহি তা’আলা লা তুহাররিক বিহী লিসানাকা ৬:২৭৩৬,হাদীস নং ৭০৮৬;<br />ইবনে মাজাহ-কিতাবুল আদাব,বাবু ফাদ্বলিয যিকরে ২:১২৪৬,হাদীস নং ৩৭৯২;<br /><br />শিক্ষণীয়:- অপ্রকাশ্য তথা আওয়াজ বিহীন ও সম্মিলিত আওয়াজে, উভয় যিকির শরীয়ত সম্মত।</div>

যিকিরে জলী ও যিকিরে খফী

যিকরে জলী ও যিকরে খফীর সহীহ হাদীস #হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী# আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লাম বলেছেন,আল্লাহ তা’আলা এরশ...

Read more »

২৭ রজবই রসুলে পাকﷺ এর মি’রাজ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />নির্ভরযোগ্য মত হিসেবে ২৭ শে রযবই রাসূল (দ.)-এর মি’রাজ:<br /><br />কতিপয় আহলে হাদিস এবং বাতিপন্থী মৌলভীগণ রাসূল (দ.)-এর মি’রাজের তারিখ নিয়ে মতভেদের সুযোগে মি’রাজ পালন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ইসলামের অনেক গূরুত্বপূর্ণ বিষয়ের তারিখ নিয়েও মতভেদ করেছেন ঐতিহাসিকগণ। তারপরও আমরা গ্রহণ করি সবচেয়ে মশহুর এবং শক্তিশালী মত ঐতিহাসিক ইমামগণ কোনটিকে বলেছেন। কিন্তু মি’রাজের তারিখ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হবে কেন? ইমাম ইবনে কাসির রহ. লিখেন-<br />ان الإسراء كان ليلة السابع العشرين من رجب والله اعلم<br />অবশ্যই মি’রাজ সংগঠিত হয়েছে রজব মাসের ২৭ তারিখ। মহান রবই এ বিষয়ে ভাল জানেন।” (ইবনে কাসির, বেদায়া ওয়ান নিহায়া, ৩/১৩৫ পৃষ্ঠায়)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiQY07OPBf5GWlnZhz4dWpTK8Xzci0oubb3Mo9LEGJB-tN-3CgkPgwl3SMVGG5X3x8zc4Wlka8YVEpWMBOvcfIB-yyktjj16a1BpCdMXhjr9WhyphenhyphenmYyAmsp6ronsKE4_7iGC_m0zgDAJ9EKh/s1600/FB_IMG_14519838134680677-720x350.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="351" data-original-width="720" height="155" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiQY07OPBf5GWlnZhz4dWpTK8Xzci0oubb3Mo9LEGJB-tN-3CgkPgwl3SMVGG5X3x8zc4Wlka8YVEpWMBOvcfIB-yyktjj16a1BpCdMXhjr9WhyphenhyphenmYyAmsp6ronsKE4_7iGC_m0zgDAJ9EKh/s320-rw/FB_IMG_14519838134680677-720x350.jpg" width="320" /></a></div><br />বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকার ইমাম আইনী রহ. লিখেন-<br />كان الإسراء ليلة السابع والعشرين من رجب<br />রাসূল (দ.)-এর ইসরা ভ্রমন বা মি’রাজ হয়েছিল রযব মাসের ২৭ তারিখ। (উমদাতুল ক্বারী, ৪/৩৯ পৃ) এরপর তিনি আরও লিখেন-<br />واختاره الحافظ المقدسى<br />হাফেযুল হাদিস ইমাম যিয়া মুকাদ্দাসী রহ. এ মতটিকেই পছন্দকৃত বা অধিক গ্রহণযোগ্য বলেছেন। (উমদাতুল ক্বারী, ৪/৩৯ পৃষ্ঠায়)<br />ইমাম কাস্তাল্লানী রহ. লিখেন-<br />كان ليلة السابع والعشرين من رجب<br />নবীজীর মি’রাজের তারিখটি ছিল ২৭শে রযব। (কাস্তাল্লানী, মাওয়াহিবুল্লাদুনিয়া, ১/১৬২ পৃ.) এ গ্রন্থের ব্যাখ্যাকার আল্লামা জুরকানী রহ. লিখেন-<br />وهو الأقوى<br />ইতিহাসবিদগণ বলেছেন এ মতটিই সর্বাধিক শক্তিশালী। (জুরকানী, শারহুল মাওয়াহেব, ২/৭১ পৃ.)<br />এ তারিখের পক্ষে আমার কাছে আরও ১৫ জন ইমামের অভিমত রয়েছে, উল্লেখ করলাম না, দার্ঘ হওয়ার আশংকায়।<br />তাই আমরা সবচেয়ে শক্তিশালী এবং মশহুর মতের উপর আমল করছি, তারপরও কারও মাথা ব্যথা হলে তাকে ডাক্তারের কাছ থেকে সুপারামর্শ নেয়ার অনুরোধ রইল। আল্লাহ আমাদেরকে আমল করার তাওফিক দান করুণ। আমিন।</div>

২৭ রজবই রসুলে পাকﷺ এর মি’রাজ

নির্ভরযোগ্য মত হিসেবে ২৭ শে রযবই রাসূল (দ.)-এর মি’রাজ: কতিপয় আহলে হাদিস এবং বাতিপন্থী মৌলভীগণ রাসূল (দ.)-এর মি’রাজের তারিখ নিয়ে মতভেদের সুযো...

Read more »

শবে বরাতের সমর্থনে ২২ সহিহ হাদীস

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">শবে বরাতের সমর্থনে ২২ সহিহ হাদীস নিম্নে পেশ করছি। নিজে পড়ুন ও শেয়ার করুন।<br /><br />__________________________________<br /><br />(১)<br /><br />উম্মুল মুমীনিন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা<br /><br />রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ<br /><br />সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা<br /><br />করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম<br /><br />ইরশাদ করেন, তুমি কি এ রাত তথা শাবানের ১৫তম রজনী সম্পর্কে কিছু জান? তিনি আরজ করলেন এ রাতে কি রয়েছে? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, এ রাতে যে সকল বনী আদম জন্মগ্রহন করবে তাদের নাম চূড়ান্ত করা হবে আর যে সকল বনী আদম মৃত্যুবরন করবে তাদের নামও লিপিবদ্ধ করা হবে। এ রাতে তদের পুরো বছরের আমলসমূহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে পেশ করা হবে আর এ রাতে তাদের রিজিক/জিবিকা নির্ধারণ করা হবে। অতপর তিনি আরজ করলেন, নিশ্চই<br /><br />আল্লাহর অনুগ্রহ ব্যতীত কেও জান্নাতে প্রবেশ<br /><br />করতে পারবেনা, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি<br /><br />ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, নিশ্চই আল্লাহর অনুগ্রহ ব্যতীত কেও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা তিনি এ বাক্য তিনবার বলেন। অতপর তিনি আরজ করলেন, আপনিও হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম স্বীয় হাত মুবারক মাথা মুবারকের উপর রেখে ইরশাদ করেন, নিশ্চই আমি আল্লাহর রহমতের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ করব। এ বাক্য তিনি তিনবার ইরশাদ করেন।<br />বায়হাক্বী শরীফ-দাওয়াতে কবীর হাদীস নং-৫৩০;<br /><br />মিশকাত শরীফ-১১৫ পৃঃ হাদীস নং-১৩০৫<br />(২)<br /><br />উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা<br /><br />রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেনন,<br /><br />একরাতে আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি<br /><br />ওয়াসাল্লামকে ঘরে পেলামনা বা তাঁর খোঁজে বের<br /><br />হলাম। তখন দেখলাম তিনি জান্নাতুল বাক্বী<br /><br />কবরস্থানে আসমানেকে মাথা মুবারক উত্তোলন<br /><br />করে অবস্থান করছেন। আমাকে সেখানে দেখে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বললেন- হে আয়েশা! তুমি কি এ ভয় করছ যে, আল্লাহ তাঁর রসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম তোমার প্রতি অবিচার করবে? তিনি আরজ করলেন আপনি বলছেন, এমন কিছু আসলে আমার মনে নেই বরং; আমি<br /><br />ধারণা করেছি যে, আপনি আপনার কোন স্ত্রীর<br /><br />হুজরায় তাশরীফ নিয়েছেন। তখন নবী করীম<br /><br />সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করলেন- নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা শা’বানের পনেরতম রাতে প্রথম আসমানে তাশরীফ আনেন। অতঃপর বনী ক্বলব এর মেষগুলোর লোম এর সংখ্যার চেয়েও অধিক<br /><br />বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।<br />ইবনে মাজা শরীফ,হাদীস নং-১৩৮৯;<br /><br />জামে আত তিরমিযি-৭৩৯;<br /><br />মুসনাদে আ’ব্দ বিন হুমায়দ-১৫০৯;<br /><br />মুসান্নাফে আবী শায়বাহ-২৯৮৫৮;<br /><br />মুসনাদে আহমদ-২৬০১৮,২৬০৬০;<br /><br />বায়হাক্বী ফাজায়িলুল আওকাত-২৮;<br /><br />শো’আবুল ঈমান-৩৫৪৩,৩৫৪৪,৩৫৪৫;<br /><br />আন নুযুল দারে ক্বুতনী-৯০;<br /><br />বগভী শরহুস সুন্নাহ-৯৯২;<br /><br />সুয়ুতী তাফসীরে দুররে মানসুর, সুরদুখান-৭:৪০২;<br /><br />তাফসীরে রূহুল মা’আনী, সুরা দুখান ১৮:৪২৩/১৩:১১০;<br /><br />তাফসীরে কাশশাফ, সুরা দুখান, ৪:২৭০; তাফসীরে কবীর, সুরা দুখান ২৭:৬৫৩<br />(৩)<br /><br />হযরত আলী ইবনে আবী তালিব রাদ্বিল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি অয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,যখন শাবানের পনেরতম রাত হয়, তখন তোমরা রাতে নামাজ পড় এবং রোজা রাখ। কেননা ঐ দিন সূর্যাস্তের সময় আল্লাহ<br /><br />তা’আলা প্রথম আসমানে তাশরীফ এনে বান্দাদের উদ্দেশ্যে বলেন- ক্ষমা প্রার্থনাকারী কেও আছ, আমি তাকে ক্ষমা করব, রিজিক আন্বেষণকারী কেও আছ, আমি তাকে রিজিক দিব, আসুস্থ কেও আছ আমি তাকে সুস্থতা দান করব, এভাবে অন্যান্য<br /><br />বিষয়েও বলতে থাকেন ফজর পর্যন্ত।<br />ইবনে মাজাহ ,হাদীস নং-১৩৮৮;<br /><br />ফাকেহী আখবারে মক্কা-১৮৩৭,৩:৮৪;<br /><br />বায়হাক্বী ফাজায়িলুল আওকাত-২৪;<br /><br />শো’আবুল ঈমান-৩৫৪২;<br /><br />মিশকাত শরীফ-১১৫ পৃঃ, হাদীস নং-১৩০৮; কানযুল উম্মাল-৩৫১৭৭;<br /><br />তাফসীরে রূহুল মা’আনী, সুরা দুখান,<br /><br />১৮:৪২৪/১৩:১১০;<br /><br />তাফসীরে ক্বুরতুবী, সুরা দুখান ১৬:১২৭<br />(৪)<br /><br />হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি<br /><br />ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন- আল্লাহ তায়ালা<br /><br />শাবানের পনেরতম রাতে স্বীয় সৃষ্টির প্রতি<br /><br />রহমতের দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন এবং মুশরিক, হিংসুক ব্যতীরেকে সবাইকে ক্ষমা করেছেন।<br />তাবরানী মু’জামুল আউসাত হাদীস নং-৬৭৭৬;<br /><br />মু’জামুল কবীর-২০:১০৮,২১৫,<br /><br />মুসনাদে শামেয়ীন-২০৩,২০৫,৩৫৭০;<br /><br />ইবনে আসেম আস সুন্নাহ-৫১২;<br /><br />সহীহ ইবনে হিব্বান- ৫৬৬৫;<br /><br />বায়হাক্বী ফাজায়িলুল আওকাত-২২;<br /><br />শো’আবুল ঈমান হাদীস নং-৩৫৫২, ৬২০৪;<br /><br />দারে ক্বুতনী আন নুযুল-৭৭;<br /><br />হায়ছামী মাজমাউজ যাওয়ায়িদ-১২৯৬০;<br /><br />আলবানী সহীহ আত তারগীব ওয়াত<br /><br />তাহরিব-১০২৬,২৭৬৭;<br /><br />সুয়ুতী তাফসীরে দুররে মানসুর, সুরা দুখান-৭:৪০৩,<br /><br />কানযুল উম্মাল-৩৫১৮০<br />(৫)<br /><br />হযরত আবু মুসা আশয়ারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বরনিত, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন- নিশ্চই আল্লাহ তা’আলা শাবানের পনেরতম রাতে সৃষ্টির প্রতি কৃপা দৃষ্টি দেন এবং সকলকে ক্ষমা করেন, মুশরিক এবং বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীরেকে।<br />ইবনে মাজা শরীফ হাদীস নং-১৩৯০;<br /><br />ইবনে আসেম আস সুন্নাহ-৫১০;<br /><br />বায়হাক্বী ফাজায়িলুল আওকাত-২৯;<br /><br />দারে ক্বুতনী আন নুযুল-৯৪;<br /><br />কানযুল উম্মাল-৩৫১৭৫;<br /><br />আলবানী সহীহুল জামে-১৮১৯<br /><br />হাদীসটি হাসান/ সহীহ লিগাইরিহি<br />(৬)<br /><br />হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু<br /><br />আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,যখন পনেরই<br /><br />শাবানের রাত হয়, তখন আল্লাহ তায়ালা প্রথম<br /><br />আসমানে তশরীফ আনেন এবং সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেন, মুশরিক ও অপর ভাইয়ের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত।<br />মুসনাদে বাযযার ১:২০৬, হাদীস নং-৮০;<br /><br />ইবনে আসেম আস সুন্নাহ-৫০৯;<br /><br />দারে ক্বুতনী আন নুযুল-৭৫,৭৬;<br /><br />ইবনে খুযাইমাহ আত তাওহীদ-৪৮;<br /><br />আলী মুরুযী মুসনাদে আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ)-১০৪;<br /><br />আবু নুয়াইম তারিখে ইস্পাহান-২:২;<br /><br />হায়ছামী মাজমাউজ যাওয়ায়িদ-১২৯৫৭;<br /><br />সুয়ুতী তাফসীরে দুররে মানসুর, সুরা দুখান-৭:৪০৩<br />(৭)<br /><br />হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- আল্লাহ তায়ালা<br /><br />শ’বানের পনেরতম রাতে সিদ্ধান্তসমুহ চুড়ান্ত করেন এবং শবে ক্বদরে তা বাস্তবায়নকারী<br /><br />ফেরেশতাদের সোপর্দ করেন।<br />তাফসীরে খাজিন ৪র্থ খণ্ড,পৃষ্ঠাঃ১১২ /১১৬;<br /><br />তাফসীরে বগভী আল ইহিয়ায়ুত তুরাস, ৪:১৭৪, সুরা দুখান;<br /><br />তাফসীরে ক্বুরতুবী, ১৬:১২৭, সুরা দুখান;<br /><br />ইবনে আ’দিল আল লুবাব ফি উলুমিল কিতাব-১৭:৩১১<br />(৮)<br /><br />হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন এমন পাঁচটি রাত আছে যে রাতগুলোয় দু’আ ফেরত হয়না। ওইগুলো হল- জুমু’আর রাত, রজব মাসের প্রথম রাত, শ’বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত এবং দুই ঈদের রাত অর্থাৎ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার রাত।<br />মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, কিতাবুস সিয়াম<br /><br />হাদীস নং-৭৯২৭;<br /><br />বায়হাক্বী শো’আবুল ঈমান-৩৪৪০;<br /><br />ফাজায়িলুল আওকাত-১৪৯<br />(৯)<br /><br />হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু<br /><br />হতে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু<br /><br />আলায়হি অয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা শা’বানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে স্বীয় মাখলুকের প্রতি রহমতের দৃষ্টি<br /><br />নিক্ষেপ করেন। অতঃপর দু শ্রেণীর বান্দা ব্যতীত<br /><br />সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। তারা হল মুসলমান ভাইয়ের প্রতি হিংসা বিদ্বেষ পোষণকারী এবং অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যাকারী।<br />মুসনাদে আহমদ-৬৬৪২; আত তাগরীব;<br /><br />হায়ছামী মাজমাউজ যাওয়ায়িদ-১২৯৬১; তাফসীরে রূহুল মা’আনী, সুরা দুখান, ১৮:৪২৩/১৩:১১০<br />(১০)<br /><br />হযরত কাসীর বিন মুররাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি<br /><br />অয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- শাবানের মধ্য<br /><br />রাত্রিতে আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা মুশরিক ও<br /><br />কলহকারী ব্যতীত সকল দুনিয়াবাসীদের ক্ষমা করে দেন।<br />বায়হাক্বী শো’আবুল ঈমান হাদীস নং-৩৫৫০;<br /><br />আলবানী সহীহ আত তারগীব ওয়াত তাহরিব-২৭৭০<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh5hXcel4IMKSkEWw9uoMU6hRDx1A6YpUBpGdMIXNE-QviaudCLN5ejh13G8QOvjf-GTed_Nue-62pPYogf4TWYfzH1EbTJLMyFknwZk2PJ3BkmFKoOYsc7E8ZHm7YIPoS0Mqs_hqR84yp5/s1600/Shab-e-Barat-Merits-Dos-and-Donts.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="335" data-original-width="570" height="188" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh5hXcel4IMKSkEWw9uoMU6hRDx1A6YpUBpGdMIXNE-QviaudCLN5ejh13G8QOvjf-GTed_Nue-62pPYogf4TWYfzH1EbTJLMyFknwZk2PJ3BkmFKoOYsc7E8ZHm7YIPoS0Mqs_hqR84yp5/s320-rw/Shab-e-Barat-Merits-Dos-and-Donts.jpg" width="320" /></a></div><br />(১১)<br /><br />হযরত কাসীর বিন মুররাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি<br /><br />অয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- শাবানের মধ্য<br /><br />রাত্রিতে আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা আল্লাহ<br /><br />তায়ালা তাঁর সৃষ্টির প্রতি বিশেষ দৃষ্টি নিক্ষেপ<br /><br />করেন এবং মুশরিক ও কলহকারী ব্যতীত সকল<br /><br />ক্ষমাপ্রার্থী দুনিয়াবাসীদের ক্ষমা করে দেন।<br />মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, কিতাবুস সাওম-৭৯২৩;<br /><br />মুসান্নাফে আবী শায়বাহ-২৯৮৫৯; আন<br /><br />নুযুল দারে ক্বুতনী-৮২, ৮৩, ৮৪; বায়হাক্বী শো’আবুল ঈমান হাদীস নং ৩৫৫০, ৩৫৪৯<br />(১২)<br /><br />হযরত আবু সা’অলাবা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে<br /><br />বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি<br /><br />অয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- যখন পনেরই শাবানের রাত হয়,আল্লাহ তায়ালা তাঁর সৃষ্টির প্রতি বিশেষ দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন এবং মুমিনদের ক্ষমা করে দেন ও কাফিরদের অবকাশ দেন। আর হিংসা বিদ্বেষ পোষণকারীদের আহ্বান করেন অবকাশ দেন (তাওবার জন্য) যতক্ষণ তাদের হিংসার কারণে তারা তার নিকট তওবা না করে।<br />বায়হাক্বী শো’আবুল ঈমান হাদীস নং-৩৫৫১;<br /><br />ইবনে আসেম আস সুন্নাহ-৫১০;<br /><br />তাবরানী আল মু’জামুল কবীর ২২: ২২৩, ২২৪, হাদীস নং ৫৯০, ৫৯৩;<br /><br />বায়হাক্বী আস সুনানুস সগীর-১৪২৬; ফাজায়িলুল আওকাত-২৩; দার ক্বুতনী আন নুযুল-৭৮,৮১;<br /><br />হায়ছামী মাজমাউজ যাওয়ায়িদ ১২৯৬২; আলবানী সহীহ আত তারগীব ওয়াত তাহরিব ২৭৭১;সহীহুল জামে ৭৭১;<br /><br />সুয়ুতী তাফসীরে দুররে মানসুর, সুরা দুখান-৭:৪০৩,<br /><br />কানযুল উম্মাল-৩৫১৮৩<br />(১৩)<br /><br />হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যখন পনেরই শাবানের রাত হয়, তখন আল্লাহ তায়ালা সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেন, মুশরিক ও অপর ভাইয়ের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত।<br />মুসনাদে বাযযার ১৬:১৬১ হাঃনং-৯২৬৮;<br /><br />হায়ছামী মাজমাউজ যাওয়ায়িদ ১২৯৫৮; নুজহাতুল মাজালিস ওয়া মুনতাখাবুন নাফাইস, বাব,ফাদলু শ’বান ওয়া ফাদলু সালাতুত তাসবীহ, ১:১৪৬/১:১৬১<br />(১৪)<br /><br />হযরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত,<br /><br />তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি<br /><br />ওয়াসাল্লাম একদা রাতে সালাত আদায় করছিলেন। তিনি সিজদায় গিয়ে দীর্ঘ সময় সিজদায় থাকলেন। এমনকি আমার মনে হলো যে, তাঁর ওফাত হয়ে গেছে। আমি যখন এমনটি দেখলাম, তখন শোয়া থেকে উঠে তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম, ফলে তিনি নড়ে উঠলেন। তখন আমি (বিছানায়) ফিরে গেলাম। অতঃপর যখন তিনি সিজদা থেকে মস্তক উঠালেন এবং নামায শেষ করলেন তখন বললেন, হে আয়েশা, তুমি কি মনে করেছিলে যে নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম তোমার সাথে প্রতারণা করছেন? আমি বললাম, আল্লাহর শপথ, আমি<br /><br />এমনটি মনে করিনি। বরং আপনার দীর্ঘ সিজদার কারনে আমার মনে হয়েছে যে, আপনার ওফাত হয়ে গেছে। তখন তিনি বললেন, তুমি কি জান এটি কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম অবগত। তিনি বললেন এটি মধ্য শাবানের রাত। আল্লাহ তাআলা এ রাতে তার বান্দাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। যারা ক্ষমা প্রার্থনা করে তাদেরকে ক্ষমা করেন, যারা দয়া প্রার্থনা করে তাদেরকে দয়া করেন এবং যারা বিদ্বেষী তাদেরকে তাদের অবস্থাতেই রেখে দেন।<br />বায়হাক্বী শোয়া’বুল ঈমান-৩৬৭৫/৩৫৫৪;<br /><br />ফাযায়িলুল আওকাত-২৬;<br /><br />সুয়ুতী আদ দুররুল মান্সুর,সুরা দুখান,৭:৪০৩<br />(১৫)<br /><br />হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, চারটি রাত এমন রয়েছে যেগুলোর ফযীলত তাদের দিনের ন্যায় দিনের ফযীলত রাতের ন্যায়। যাতে আল্লাহ তা’আলা বান্দাহদের কৃত ওয়াদা পূর্ণ করেন, তাঁর বান্দাদের মুক্ত করেন এবং অফুরন্ত নি’আমত প্রদান করেন। তা হল- কদরের রাত ও তার পরবর্তী দিন, আরাফার রাত ও তার পরবর্তী দিন, শাবানের মধ্য রাত্রি (শবে বরাত) ও তার পরবর্তী দিন, জুম’আর রাত ও তার পরবর্তী দিন।<br />দায়লামি, কানযুল উম্মাল-৩৫২১৪;<br /><br />সুয়ুতী জামেউল আহাদীস-৩০৮০<br />(১৬)<br /><br />হযরত উসমান বিন আবীল আ’স রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,তিনি বলেন-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,যখন পনেরই শাবানের রাত হয়,তখন আহবানকারী আহবান করবে এই বলে, আছে কেউ মুক্তিকামী গুনাহ হতে ? তাকে<br /><br />ক্ষমা করা হবে। কেউ আছে যে কিছু চাইবে তাকে<br /><br />তা দান করা হবে। প্রত্যেক কামনাকারীকে প্রদান<br /><br />করা হবে শুধুমাত্র মুশরিক ও ব্যভিচারকারী মহিলা ব্যতীত।<br />বায়হাক্বী শো’আবুল ঈমান হাদীস নং-৩৫৫৫;<br /><br />ফাজায়েলু আওকাত-২৫;<br /><br />কানযুল উম্মাল-৩৫১৭৮;<br /><br />সুয়ুতী তাফসীরে দুররে মানসুর, সুরা দুখান-৭:৪০৩<br />(১৭)<br /><br />আতা বিন ইয়াসার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, শা’বানের মধ্য রজনীতে (শবে বরাতে) মানুষের হায়াত পূর্ণ করা হয়। অথচ লোকটি ভ্রমণকারী হিসেবে বের হয়েছে, এমতাবস্থায় তার হায়াত পূর্ণ করা হয়েছে এবং মৃত্যু তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং বিবাহ করেছে এমতাবস্থায় তার হায়াত শেষ করা হয়েছে ও মৃত্যু তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ জীবন, মৃত্যু ইত্যাদি এ রাতে নির্ধারিত হয়।<br />মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, কিতাবুস সাওম-৭৯২৫;<br /><br />সুয়ুতী তাফসীরে দুররে মানসুর, সুরা দুখান-৭:৪০৩<br />(১৮)<br /><br />হযরত ইকরামা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,<br /><br />তিনি সুরা দুখানের আয়াত (এ রাতে প্রত্যেক<br /><br />প্রজ্ঞাপূর্ণ কাজের ফয়সালা দেওয়া হয়।<br /><br />আয়াত-৪)এর তাফসীরে বলেন, শাবানের মধ্য<br /><br />রজনীতে আল্লাহ তায়ালা পরবর্তী বছরে যে সকল<br /><br />ঘটনা সংগঠিত হবে (বাজেট) তা লিপিবদ্ধ করবেন যারা মৃত্যু বরণ করবে তাদের মধ্য থেকে কারো কারো হায়াত বৃদ্ধি করা হবে এবং যারা আল্লাহর পবিত্র গৃহের তাওয়াফ করবে অর্থাৎ হজ্জ্ব আদায় করবে তাদের নাম লিপিবদ্ধ করা হবে। অতঃপর দের মধ্যে কোন কিছু বৃদ্ধি পাবে না এবং তাদের মধ্য হতে কমতিও হবে না।<br />সুয়ুতী আদ দুররুল মান্সুর,সুরা দুখান,৭:৪০১; শিহাব উদ্দীন আলুসী রুহুল মা’আনী, সুরা দুখান,১৩:১১২/ ১৮:৪২৭;<br /><br />ইবনে জারীর তাবারী তাফসীরে ত্ববারী<br /><br />জামেউল বয়ান, সুরা দুখান,২২:১০;<br /><br />তাফসীরে সা’লাবী ৮:৩৪৯;<br /><br />তাফসীরে বগভী, সুরা দুখান ৪:১৭৩;<br /><br />তাফসীরে মাযহারী ৮:৩৬৮<br />(১৯)<br /><br />উসমান বিন মুগীরাহ বিন আখফাশ রাদ্বিয়াল্লাহু<br /><br />আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ<br /><br />সাল্লাল্লাহু আলায়হি অয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,<br /><br />শবে বরাতে এক শা’বান হতে আর এক শা’বানের<br /><br />মধ্যকার হায়াত কর্তন করা হয়। অথচ মানুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় সন্তান সন্ততি জন্ম দেয়<br /><br />এমতাবস্থায় তার নাম মৃত্যুর তালিকায় নেয়া হয়।<br /><br />(হাদিসটি হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতেও বর্ণিত হয়েছে।)<br />বায়হাক্বী শো’আবুল ঈমান হাদীস নং-৩৫৫৮;<br /><br />শিহাব উদ্দীন আলুসী রুহুল মা’আনী, সুরা<br /><br />দুখান,১৩:১১২/১৮:৪২৭;<br /><br />ইবনে জারীর তাবারী তাফসীরে ত্ববারী জামেউল বয়ান, সুরা দুখান,২২:১০;<br /><br />কানযুল উম্মাল-৪২৭৮০;<br /><br />তাফসীরে সা’লাবী ৮:৩৪৯;<br /><br />তাফসীরে খাজিন ৪:১১২/১১৬;<br /><br />শওকানী ফাতহুল ক্বাদীর, সুরা দুখান,৪:৬৫৫; সুয়ুতী জামেউল আহাদীস-১০৯১৭;<br /><br />দায়লামী ২:৭৩-২৪১০;<br /><br />তাফসীরে বগভী সুরা দুখান ৪:১৭৪;<br /><br />তাফসীরে মাযহারী ৮:৩৬৮<br /><br />সুয়ুতী আদ দুররুল মান্সুর, সুরা দুখান,৭:৪০১;<br /><br />শওকানী ফাতহুল ক্বাদীর, সুরা দুখান ৪:৬৫৫; মুসনাদে দায়লামী-২৪১০<br />(২০)<br /><br />হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়ায়াল্লাহু<br /><br />আনহু হতে বর্ণিত, শা’বানের মধ্য রজনীতে যাবতীয় বিষয়ের ফয়সালা করা হয় এবং উহা রমযানের ২৭ তারিখ ক্বদরের রাতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের দায়িত্বশীলদের নিকট সোপর্দ করা হয়।<br />শিহাব উদ্দীন আলুসী রুহুল মা’আনী,সুরা<br /><br />দুখান,১৩:১১২/১৮:৪২৭<br />(২১)<br /><br />হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়ায়াল্লাহু<br /><br />আনহু হতে বর্ণিত, নিশ্চই আল্লাহ্ তা’আলা<br /><br />শা’বানের মধ্য রজনীতে যাবতীয় বিষয়ের ফয়সালা করেন এবং উহা ক্বদরের রাতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের দায়িত্বশীলদের নিকট সোপর্দ করেন।<br />তাফসীরে বগভী, সুরা দুখান ৪:১৭৪;<br /><br />তাফসীরে খাযিন, সুরা দুখান ৪:১১৬,<br /><br />আল লুবাব ফি উলুমিল কিতাব ১৭:৩১১; তাফসীরে মাযহারী ৮:৩৬৮<br />(২২)<br /><br />হযরত আবু উমামাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,তিনি বলেন এমন পাঁচটি রাত আছে যে রাতগুলোয় দু’আ ফেরত হয়না। ওইগুলো হল-জুমু’আর রাত,রজব মাসের প্রথম রাত,শ’বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত এবং দুই ঈদের রাত অর্থাৎ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার রাত।<br />সুয়ুতী জামেউল আহাদীস-১১৯৭৯; দায়লামী</div>

শবে বরাতের সমর্থনে ২২ সহিহ হাদীস

শবে বরাতের সমর্থনে ২২ সহিহ হাদীস নিম্নে পেশ করছি। নিজে পড়ুন ও শেয়ার করুন। __________________________________ (১) উম্মুল মুমীনিন হযরত আয়েশা ...

Read more »

হাদিসের আলোকে শবে বরাত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> শবে বরাত সম্পর্কীয় বহু বর্ণনা হাদীসের কিতাবে</div> <div style="text-align: justify;"> বিদ্যমান। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হাদীস নিম্নে</div> <div style="text-align: justify;"> পেশ করছি-</div> <div style="text-align: justify;"> *প্রথম হাদীস</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রা. রাসূল স. থেকে বর্ণনা করেন,</div> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহ তায়ালা শাবান মাসের পনের তারিখ রাতে</div> <div style="text-align: justify;"> সমস্ত সৃষ্টি কুলের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দান করে সকলকে</div> <div style="text-align: justify;"> ক্ষমা করে দেন। তবে মুশরিক এবং হিংসুক ছাড়া। (দেখুন:</div> <div style="text-align: justify;"> শুয়াবুল ঈমান-৫/২২৭ , আল-মু‘জামূল কাবীর-২০/১০৮)</div> <div style="text-align: justify;"> ░▒▓█►হাদীসটি সম্পর্কে মুহাদ্দিসদের অভিমত</div> <div style="text-align: justify;"> ক. হাফেজ ইবনে রজব হাম্বলী র. মুয়ায রা. এর হাদীসটি</div> <div style="text-align: justify;"> বর্ণনা করে বলেন, ইবনে হিবক্ষান হাদীসটিকে সহীহ</div> <div style="text-align: justify;"> বলেছেন। আর নির্ভরযোগ্যতার জন্য এটুকুই যথেষ্ট।</div> <div style="text-align: justify;"> *দ্বিতীয় হাদীস</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আয়েশা রা. বলেন, একরাতে আমি রাসূল স.কে</div> <div style="text-align: justify;"> বিছানায় পেলাম না। তাই (খোজার উদ্দেশ্যে) বের হলাম।</div> <div style="text-align: justify;"> তখন দেখতে পেলাম,তিনি জান্নাতুল বাকীতে আছেন।</div> <div style="text-align: justify;"> আমাকে দেখে তিনি বলে উঠলেন, তুমি কি এ আশঙ্কা</div> <div style="text-align: justify;"> করছো যে, আল্লাহ এবং তার রাসূল তোমার প্রতি অবিচার</div> <div style="text-align: justify;"> করবেন ? আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল ! আমি ধারণা</div> <div style="text-align: justify;"> করছিলাম, আপনি আপনার অন্য স্ত্রীর ঘরে তাশরীফ</div> <div style="text-align: justify;"> নিয়েছেন। রাসূল স. বলেন শাবানের পনের তারিখ রাতে</div> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন এবং ‘বনু</div> <div style="text-align: justify;"> কালব’ গোত্রের ভেড়ার পশমের চেয়েও অধিক সংখ্যক</div> <div style="text-align: justify;"> লোককে মাফ করে দেন। (তিরমিযী শরীফ: ১/১৫৬)</div> <div style="text-align: justify;"> ░▒▓█►হাদীসটির ব্যাপারে মুহাদ্দিসদের অভিমত</div> <div style="text-align: justify;"> ইবনে হিবক্ষান র. আয়েশা রা. এর হাদীসটিকে হাসান</div> <div style="text-align: justify;"> বলেছেন। (শরহুল মাওয়াহিবিল লাদুনিয়্যাহ: ৭/৪৪১</div> <div style="text-align: justify;"> *তৃতীয় হাদীস</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আবী সা’লাবা আল খুশানী রা. থেকে বর্ণিত হুজুর স.</div> <div style="text-align: justify;"> ইরশাদ করেন, আল্লাহ তা‘আলা শা’বান মাসের পনের</div> <div style="text-align: justify;"> তারিখ রাতে স্বীয় বান্দাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেন।</div> <div style="text-align: justify;"> অতঃপর মুমিনদেরকে ক্ষমা করেন এবং কাফেরদেকে সুযোগ</div> <div style="text-align: justify;"> দেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদেরকে বিদ্বেষ পরিত্যাগ</div> <div style="text-align: justify;"> করা পযর্ন্ত অবকাশ দেন। (শুয়াবুল ঈমান: ৩/৩৮১ , মু‘জামূল</div> <div style="text-align: justify;"> কাবীর: ২২/২২৩)</div> <div style="text-align: justify;"> *চতুথ হাদীস:-</div> <div style="text-align: justify;"> আবু মূসা আল আশ’আরী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত,</div> <div style="text-align: justify;"> তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া</div> <div style="text-align: justify;"> সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘আল্লাহ তা‘আলা শাবানের</div> <div style="text-align: justify;"> মধ্যরাত্রিতে আগমণ করে, মুশরিক ও ঝগড়ায় লিপ্ত</div> <div style="text-align: justify;"> ব্যক্তিদের ব্যতীত, তাঁর সমস্ত সৃষ্টিজগতকে ক্ষমা করে</div> <div style="text-align: justify;"> দেন। হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৫৫,</div> <div style="text-align: justify;"> হাদীস নং ১৩৯০),এবং তাবরানী তার মু’জামুল কাবীর</div> <div style="text-align: justify;"> (২০/১০৭,১০৮) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।</div> <div style="text-align: justify;"> ░▒▓█► আল্লামা বূছীরি বলেন: ইবনে মাজাহ বর্ণিত</div> <div style="text-align: justify;"> হাদীসটির সনদ দুর্বল। তাবরানী বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে</div> <div style="text-align: justify;"> আল্লামা হাইসামী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) মাজমা‘</div> <div style="text-align: justify;"> আয যাওয়ায়েদ (৮/৬৫) গ্রন্থে বলেনঃ ত্বাবরানী বর্ণিত</div> <div style="text-align: justify;"> হাদীসটির সনদের সমস্ত বর্ণনাকারী শক্তিশালী।</div> <div style="text-align: justify;"> হাদীসটি ইবনে হিব্বানও তার সহীহতে বর্ণনা করেছেন। এ</div> <div style="text-align: justify;"> ব্যাপারে দেখুন, মাওয়ারেদুজ জাম‘আন, হাদীস নং (১৯৮০),</div> <div style="text-align: justify;"> পৃঃ (৪৮৬)।</div> <div style="text-align: justify;"> *৫ম হাদীস:-</div> <div style="text-align: justify;"> আলী ইবনে আবী তালিব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে</div> <div style="text-align: justify;"> বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি</div> <div style="text-align: justify;"> ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “যখন শা‘বানের মধ্যরাত্রি আসবে</div> <div style="text-align: justify;"> তখন তোমরা সে রাতের কিয়াম তথা রাতভর নামায পড়বে,</div> <div style="text-align: justify;"> আর সে দিনের রোযা রাখবে; কেননা সে দিন সুর্যাস্তের</div> <div style="text-align: justify;"> সাথে সাথে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ</div> <div style="text-align: justify;"> করেন এবং বলেন: ক্ষমা চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি</div> <div style="text-align: justify;"> ক্ষমা করব। রিযিক চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি</div> <div style="text-align: justify;"> রিযিক দেব। সমস্যাগ্রস্ত কেউ কি আছে যে আমার কাছে</div> <div style="text-align: justify;"> পরিত্রাণ কামনা করবে আর আমি তাকে উদ্ধার করব। এমন</div> <div style="text-align: justify;"> এমন কেউ কি আছে? এমন এমন কেউ কি আছে? ফজর পর্যন্ত</div> <div style="text-align: justify;"> তিনি এভাবে বলতে থাকেন”।</div> <div style="text-align: justify;"> ░▒▓█►সনদ পর্যালোচনা ঃ</div> <div style="text-align: justify;"> হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস</div> <div style="text-align: justify;"> নং ১৩৮৮) বর্ণনা করেছেন। আল্লামা বূছীরি</div> <div style="text-align: justify;"> (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) তার যাওয়ায়েদে ইবনে মাজাহ</div> <div style="text-align: justify;"> (২/১০) গ্রন্থে বলেন, হাদীসটির বর্ণনাকারীদের মধ্যে ইবনে</div> <div style="text-align: justify;"> আবি সুবরাহ রয়েছেন।যদি তিনি দুর্বল রাবী হন তাহলে</div> <div style="text-align: justify;"> হাদীস টি হাসান।</div> <div style="text-align: justify;"> *৬ষ্ট হাদীস:-</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ</div> <div style="text-align: justify;"> (সা.) বলেছেন : ১৫ই শা’বানের রাত্রে আল্লাহ পাক তার</div> <div style="text-align: justify;"> বান্দাদের ক্ষমা করে দেন দুই ব্যক্তি ছাড়া। এক.</div> <div style="text-align: justify;"> পরশ্রীকাতর। দুই. অন্যায় ভাবে কাউকে হত্যাকারী।</div> <div style="text-align: justify;"> মুসনাদে আহমদ-৬/১৯৭, হাদীস-৬৬৪২, মাজমাউস</div> <div style="text-align: justify;"> জাওয়ায়েদ-৮/৬৫, হাদীস-১২৯৬১, আত তারগীব ওয়াত তারহীব</div> <div style="text-align: justify;"> লিল মুনজেরী-৩/৩০৮, হাদীস-৪৮৯২। ইত্যাদি অসংখ্য</div> <div style="text-align: justify;"> কিতাব..।</div> <div style="text-align: justify;"> ░▒▓█►সনদ পর্যালোচনা ঃ</div> <div style="text-align: justify;"> হাদীসটির মান : উক্ত হাদীসটি হাসান তথা প্রমাণযোগ্য।</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhFMQZv6yDPfkcq4y1hXIBwK_y0uPopsVmyJi1sLcpfyJi5rmNWmgMO5O2-L1eezfkRIByKzTlmo6l3w5sVczkHlutp5naiUMR_CdBa04AMt7DVqmhPpctOm3ziCy1D4CSGdBrqOUZOHH8K/s1600/wpid-11336898_10153205913025999_1054535394990118786_o.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="921" data-original-width="1228" height="240" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhFMQZv6yDPfkcq4y1hXIBwK_y0uPopsVmyJi1sLcpfyJi5rmNWmgMO5O2-L1eezfkRIByKzTlmo6l3w5sVczkHlutp5naiUMR_CdBa04AMt7DVqmhPpctOm3ziCy1D4CSGdBrqOUZOHH8K/s320-rw/wpid-11336898_10153205913025999_1054535394990118786_o.jpg" width="320" /></a></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> *৭ম হাদীস:-</div> <div style="text-align: justify;"> -‘‘হযরত আবু হুরায়রা () হতে বর্ণিত, আঁকা () ইরশাদ ফরমান,</div> <div style="text-align: justify;"> যখন শাবানের ১৫ই তারিখের রাত আগমন করে তখন আল্লাহ</div> <div style="text-align: justify;"> তা‘য়ালা ঈমানদার বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেন, শুধু</div> <div style="text-align: justify;"> মুশরিক (আল্লাহর সাথে শরীককারী) ও হিংসুক ব্যতীত।’</div> <div style="text-align: justify;"> ░▒▓█►সনদ পর্যালোচনা ঃ</div> <div style="text-align: justify;"> আল্লামা হাইসামী উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করে বলেন-</div> <div style="text-align: justify;"> ﺭَﻭَﺍﻩُ ﺍﻟْﺒَﺰَّﺍﺭُ، ﻭَﻓِﻴﻪِ ﻫِﺸَﺎﻡُ ﺑْﻦُ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ ﻭَﻟَﻢْ ﺃَﻋْﺮِﻓْﻪُ، ﻭَﺑَﻘِﻴَّﺔُ ﺭِﺟَﺎﻟِﻪِ ﺛِﻘَﺎﺕٌ .-</div> <div style="text-align: justify;"> -‘‘উক্ত হাদিসটি ইমাম বায্যার () ‘মুসনাদ’ গ্রন্থে বর্ণনা</div> <div style="text-align: justify;"> করেন, তার বর্ণনাকারীদের একজন “হিশাম ইবনে আব্দুর</div> <div style="text-align: justify;"> রহমান’’ তার সম্পর্কে আমি পরিচিত বা অবগত নই, বাকী সব</div> <div style="text-align: justify;"> রাবী মজবুত ও সিকাহ বা বিশ্বস্ত। অতএব একজনের জন্য</div> <div style="text-align: justify;"> হাদিস যঈফ হবে না; বরং “হাসান”।ইমাম বায্যার : আল</div> <div style="text-align: justify;"> মুসনাদ : ১৬/১৬১পৃ. : হাদিস :৯২৬৮ (২) ইবনে হাজার</div> <div style="text-align: justify;"> হায়সামী : মাযমাউয যাওয়াইদ,হাদিস, ৮/৬৫পৃ.</div> <div style="text-align: justify;"> হাদিস,১২৯৫৮ (৩) সুয়ূতি, জামিউল আহাদিস, ৩/৪৮৪পৃ.</div> <div style="text-align: justify;"> হাদিস,২৬২৩, (৪) খতিবে বাগদাদ, তারীখে বাগদাদ,</div> <div style="text-align: justify;"> ১৪/২৮৫পৃ. (৫) ইবনে যওজী, আল-ইল্ললুল মুতনাহিয়্যাহ, ২/৫৬০পৃ.</div> <div style="text-align: justify;"> হাদিস,৯২১ (৬) ইমাম তবারী, শরহে উসূলুল আকায়েদ, ৩/৪৯৫পৃ.</div> <div style="text-align: justify;"> হাদিস,৭৬৩, হাইসামী, কাশফুল আশতার, ২/৪৩৬পৃ.</div> <div style="text-align: justify;"> হাদিস,২০৪৬</div> <div style="text-align: justify;"> *৮নং হাদিস ঃ</div> <div style="text-align: justify;"> -‘‘হযরত আওফ বিন মালেক আশজারী () হতে বর্ণিত, রাসূলে</div> <div style="text-align: justify;"> খোদা () ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাবারাকা ও তায়ালা ১৫ই</div> <div style="text-align: justify;"> শাবানের রাত্রে (শবে বরাত) সকল ঈমানদার বান্দাদেরকে</div> <div style="text-align: justify;"> ক্ষমা করে দেন। তবে মুশরিক এবং হিংসুক ব্যতীত সবাইকে।</div> <div style="text-align: justify;"> ’░▒▓█►সনদ পর্যালোচনা ঃ</div> <div style="text-align: justify;"> আল্লামা হাইসামী উক্ত হাদিসটি সংকলন করে বলেন-</div> <div style="text-align: justify;"> -‘‘উক্ত হাদিসটি ইমাম বায্যার তার মুসনাদ গ্রন্থে বর্ণনা</div> <div style="text-align: justify;"> করেছেন, উক্ত সনদে “আব্দুর রহমান বিন যিয়াদ বিন আনআম”</div> <div style="text-align: justify;"> ইমাম আহমদ বিন সালেহ এর মত তিনি সিকাহ আবার কিছু</div> <div style="text-align: justify;"> মুহাদ্দিসের কাছে তিনি দুর্বল রাবী এবং ইবনে লাহিয়া</div> <div style="text-align: justify;"> হাদিস বর্ণনার ক্ষেত্রে নরম প্রকৃতির।’ একজন রাবী দ্বঈফ</div> <div style="text-align: justify;"> হওয়াতে হাদিসটির সম্পূর্ণ সনদটি দুর্বল হবে না বরং</div> <div style="text-align: justify;"> “হাসান”।</div> <div style="text-align: justify;"> ইমাম বায্যার : আল-মুসনাদ :৭/১৮৬পৃ.হাদিস,২৭৫৪ (২) ইবনে</div> <div style="text-align: justify;"> হাজার হায়সামী, মাযমাউয যাওয়াইদ, ৮/৬৫পৃ. (৩) খতিব</div> <div style="text-align: justify;"> তিবরিযী : মিশকাতুল মাসাবীহ : হাদিস : ১৩০৬ : কিয়ামে</div> <div style="text-align: justify;"> রামাদ্বান (৪) ইবনে কাসীর, জামিউল মাসানীদ ওয়াল</div> <div style="text-align: justify;"> সুনান, ৬/৬৯১পৃ. হাদিস,৮৫৩৯</div> <div style="text-align: justify;"> 🏡* ৯নংহাদীস:-</div> <div style="text-align: justify;"> -‘‘হযরত কাসীর ইবনে হাদ্বরামী () হতে বর্ণিত, রাসূল ()</div> <div style="text-align: justify;"> ইরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা শাবানের ১৫ই তারিখ</div> <div style="text-align: justify;"> রাতে ঈমানদার বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেন, তবে হ্যা দুই</div> <div style="text-align: justify;"> ধরনের ব্যক্তি ছাড়া, তারা হল মুশরিক ও হিংসুক।’’</div> <div style="text-align: justify;"> ░▒▓█►সনদ পর্যালোচনা ঃ</div> <div style="text-align: justify;"> উক্ত হাদীসের সনদ প্রসঙ্গে আহলে হাদীসের মুহাদ্দিস</div> <div style="text-align: justify;"> মোবারকপুরী এবং ইমাম মুনযির বলেন- ﻗﺎﻝ ﻣﻨﺬﺭﻯ : ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻲ ﻭ ﻗﺎﻝ</div> <div style="text-align: justify;"> ﻫﺬﺍ ﻣﺮﺳﻞ ﺟﻴﺪ</div> <div style="text-align: justify;"> -‘‘ইমাম মুনযির বলেন, উক্ত হাদিসটি ইমাম বায়হাকী</div> <div style="text-align: justify;"> বর্ণনা করেছেন। আর বলেছেন, উক্ত হাদিসটি মুরসাল, তবে</div> <div style="text-align: justify;"> সনদ শক্তিশালী।’’ এ হাদিসটির ইমাম আবদুর রাজ্জাকের</div> <div style="text-align: justify;"> সূত্রটি খুবই সংক্ষিপ্ত;অনেক শক্তিশালী।</div> <div style="text-align: justify;"> ইবনে আবী শায়বাহ : আল মুসান্নাফ : ৬/১০৮পৃ.হাদিস :২৯৮৫৯</div> <div style="text-align: justify;"> (২) ইমাম আব্দুর রাজ্জাক : আল মুসান্নাফ : ৪/৩১৭ : হাদিস :</div> <div style="text-align: justify;"> ৭৯২৩(৩) ইমাম বায়হাকী : শুয়াবুল ঈমান : ৫/৩৫৯পৃ.হাদিস :</div> <div style="text-align: justify;"> ৩৫৫০</div> <div style="text-align: justify;"> 🏡*১০ নং হাদীস:-</div> <div style="text-align: justify;"> -‘‘হযরত আতা ইবনে ইয়াসার () হতে বর্ণিত, রাসূল () ইরশাদ</div> <div style="text-align: justify;"> করেন, শাবানের মধ্য রজনীতে আয়ূ নির্ধারণ করা হয়। ফলে</div> <div style="text-align: justify;"> দেখা যায় কেউ সফরে বের হয়েছে অথচ তার নাম মৃতদের</div> <div style="text-align: justify;"> তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, আবার কেউ বিয়ে করছে</div> <div style="text-align: justify;"> অথচ তার নাম জীবিতের খাতা থেকে মৃত্যুর খাতায় লিখা</div> <div style="text-align: justify;"> হয়ে গেছে।’’</div> <div style="text-align: justify;"> ░▒▓█►সনদ পর্যালোচনা ঃ রাবী ‘‘ইবনে লাহিয়াহ’ সম্পর্কে</div> <div style="text-align: justify;"> মোটামুটি তিনি সিকাহ বা বিশ্বস্ত ছিলেন। তাছাড়া</div> <div style="text-align: justify;"> মোবারকপুরী বলেন,</div> <div style="text-align: justify;"> ﻗﺎﻝ ﻣﻨﺬﺭﻯ : ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺣﻤﺪ ﺑﺎﺳﻨﺎﺩ ﻟﻴﻦ- ﺗﺤﻔﺔ ﺍﻻﺣﻮﺫﻯ : ৪৪১/৩</div> <div style="text-align: justify;"> -‘‘ইমাম মুনযিরী () বলেন, ইমাম আহমদ উক্ত হাদিসটি বর্ণনা</div> <div style="text-align: justify;"> করেছেন এবং বলেন, উক্ত হাদীসের সনদটি ইবনে লাহিয়ার</div> <div style="text-align: justify;"> কারণে লীন বা নরম প্রকৃতির।’’</div> <div style="text-align: justify;"> ইমাম বায্যার : আল মুসনাদ :৩ পৃ- ১৫৮, হাদিস : ৭৯২৫(২)</div> <div style="text-align: justify;"> সুয়ূতি, জামিউল আহাদিস, ৪১/৬৯পৃ. হাদিস,৪৪৩১৪, (৩) ইবনে</div> <div style="text-align: justify;"> রাহবিয়্যাহ, মুসনাদ, ৩/৯৮১পৃ. হাদিস,১৭০২ (৪) তবারী, শরহে</div> <div style="text-align: justify;"> উসূলুল আকায়েদ, ৩/৪৯৯পৃ. হাদিস,৭৬৯</div> <div style="text-align: justify;"> 🏡*১১ নং হাদীস:-</div> <div style="text-align: justify;"> আয়শা (রা:) বলেন, “রাসূলুল্লাহ আমার ঘরে প্রবেশ করলেন</div> <div style="text-align: justify;"> এবং তাঁর পোশাকটি খুলে রাখলেন। কিন্তু তত্ক্ষণাত্</div> <div style="text-align: justify;"> আবার তা পরিধান করলেন। এতে আমার মনে কঠিন</div> <div style="text-align: justify;"> ক্রোধের উদ্রেক হয়। কারণ আমার মনে হলো যে, তিনি</div> <div style="text-align: justify;"> আমার কোন সতীনের নিকট গমন করেছেন। তখন আমি</div> <div style="text-align: justify;"> বেরিয়ে তাঁকে অনুসরণ করলাম এবং দেখতে পেলাম যে,</div> <div style="text-align: justify;"> তিনি বাক্বী গোরস্থানে মুমিন নরনারী ও শহীদদের পাপ</div> <div style="text-align: justify;"> মার্জনার জন্য দোয়া করছেন। আমি (মনে মনে) বললাম,</div> <div style="text-align: justify;"> আমার পিতা মাতা আপনার জন্য কুরবানী হউন, আমি আমার</div> <div style="text-align: justify;"> জাগতিক প্রয়োজন নিয়ে ব্যস্ত আর আপনি আপনার রবের</div> <div style="text-align: justify;"> কাছে ব্যস্ত। অত:পর আমি ফিরে গিয়ে আমার কক্ষে প্রবেশ</div> <div style="text-align: justify;"> করলাম, তখন আমি দীর্ঘশ্বাস নিয়ে হাঁপাচ্ছিলাম।</div> <div style="text-align: justify;"> এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (স.) আমার নিকট আগমন করে</div> <div style="text-align: justify;"> বললেন, আয়শা, তুমি এভাবে হাঁপাচ্ছ কেন? আয়শা বললেন,</div> <div style="text-align: justify;"> আমার পিতা মাতা আপনার জন্য কুরবানী হউন, আপনি</div> <div style="text-align: justify;"> আমার কাছে আসলেন এবং কাপড় খুলতে শুরু করে তা আবার</div> <div style="text-align: justify;"> পরিধান করলেন। ব্যাপারটি আমাকে খুব আহত করল। কারণ</div> <div style="text-align: justify;"> আমি ধারণা করেছিলাম যে, আপনি আমার কোন সতীনের</div> <div style="text-align: justify;"> সংস্পর্শে গিয়েছেন। পরে আপনাকে বাক্বী’তে দোয়া</div> <div style="text-align: justify;"> করতে দেখলাম। তিনি বললেন, হে আয়েশা, তুমি কি</div> <div style="text-align: justify;"> আশংকা করেছিলে যে, আল্লাহ ও তদীয় রাসুল তোমার</div> <div style="text-align: justify;"> উপর অবিচার করবেন? বরং আমার কাছে জিবরাঈল (আ.)</div> <div style="text-align: justify;"> আসলেন এবং বললেন, এ রাত্রটি মধ্য শাবানের রাত।</div> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহ তা’য়ালা এ রাতে ‘কালব’ সম্পদায়ের মেষপালের</div> <div style="text-align: justify;"> পশমের চাইতে অধিক সংখ্যককে ক্ষমা করেন। তবে তিনি</div> <div style="text-align: justify;"> শিরকে লিপ্ত, বিদ্বেষী, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী,</div> <div style="text-align: justify;"> কাপড় ঝুলিয়ে (টাখনু আবৃত করে) পরিধানকারী, পিতা</div> <div style="text-align: justify;"> মাতার অবাধ্য সন্তান ও মদ্যপায়ীদের প্রতি দৃষ্টি দেন না।</div> <div style="text-align: justify;"> অত:পর তিনি কাপড় খুললেন এবং আমাকে বললেন, হে</div> <div style="text-align: justify;"> আয়শা, আমাকে কি এ রাতে ইবাদত করার অনুমতি দিবে?</div> <div style="text-align: justify;"> আমি বললাম, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উত্সর্গিত</div> <div style="text-align: justify;"> হোন! অবশ্যই। অত:পর তিনি সালাত আদায় করতে লাগলেন</div> <div style="text-align: justify;"> এবং এমন দীর্ঘ সিজদা করলেন আমার মনে হলো যে, তিনি</div> <div style="text-align: justify;"> মৃত্যুবরণ করেছেন। অত:পর আমি (অন্ধকার ঘরে) তাকে</div> <div style="text-align: justify;"> খুঁজলাম এবং তাঁর পদদ্বয়ের তালুতে হাত রাখলাম। তখন</div> <div style="text-align: justify;"> তিনি নড়াচড়া করলেন। ফলে দুশ্চিন্তা-মুক্ত হলাম। আমি</div> <div style="text-align: justify;"> শুনলাম, তিনি সিজদারত অবস্থায় বলছেন: ‘আমি আপনার</div> <div style="text-align: justify;"> কাছে শাস্তির পরিবর্তে ক্ষমা চাই, অসন্তুষ্টির পরিবর্তে</div> <div style="text-align: justify;"> সন্তুষ্টি চাই। আপনার কাছে আপনার (আজাব ও গজব) থেকে</div> <div style="text-align: justify;"> আশ্রয় চাই। আপনি সুমহান। আপনার প্রশংসা করে আমি</div> <div style="text-align: justify;"> শেষ করতে পারি না। আপনি তেমনই যেমন আপনি আপনার</div> <div style="text-align: justify;"> প্রসংশা করেছেন। আয়শা (রা.) বলেন, সকালে আমি এ</div> <div style="text-align: justify;"> দোয়াটি তাঁর কাছে উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, হে</div> <div style="text-align: justify;"> আয়শা, তুমি কি এগুলো শিখেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন</div> <div style="text-align: justify;"> তিনি বললেন, হে আয়শা তুমি এগুলো ভাল করে শিখ এবং</div> <div style="text-align: justify;"> অন্যকে শিক্ষা দাও। জিবরাঈল (আ.) আমাকে এগুলো</div> <div style="text-align: justify;"> শিক্ষা দিয়েছেন এবং সিজদার ভিতরে বারবার বলতে</div> <div style="text-align: justify;"> বলেছেন।</div> <div style="text-align: justify;"> (বায়হাকীর শুয়াবুল ইমান ২/৩৮৩)।</div> <div style="text-align: justify;"> ░▒▓█► হাদীসটির মান :</div> <div style="text-align: justify;"> ইমাম বায়হাকী নিজেই উক্ত হাদীস উল্লেখ করে বলেন-</div> <div style="text-align: justify;"> ﻗُﻠْﺖُ : ﻫَﺬَﺍ ﻣُﺮْﺳَﻞٌ ﺟَﻴِّﺪٌ ﻭَﻳُﺤْﺘَﻤَﻞُ ﺃَﻥْ ﻳَﻜُﻮﻥَ ﺍﻟْﻌَﻠَﺎﺀ ﺑْﻦُ ﺍﻟْﺤَﺎﺭِﺙِ ﺃَﺧَﺬَﻩُ ﻣِﻦْ ﻣَﻜْﺤُﻮﻝٍ ﻭَﺍﻟﻠﻪُ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ،</div> <div style="text-align: justify;"> অর্থাৎ : উক্ত হাদীসটি (মুরসাল) সনদ অনেক উত্তম। অতএব</div> <div style="text-align: justify;"> হাদীসটি প্রমাণযোগ্য।</div> </div>

হাদিসের আলোকে শবে বরাত

শবে বরাত সম্পর্কীয় বহু বর্ণনা হাদীসের কিতাবে বিদ্যমান। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হাদীস নিম্নে পেশ করছি- *প্রথম হাদীস হযরত মুয়...

Read more »

ইমামগণের দৃষ্টিতে শবে বরাত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> মুহাদ্দিসীনে কেরাম ও ফকীহগণের দৃষ্টিতে শবে বরাত</div> <div style="text-align: justify;"> =============</div> <div style="text-align: justify;"> (১) আহলে হাদীসের অন্যতম আলেম মুবারকপুরী তিরমিযী</div> <div style="text-align: justify;"> শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ”তোহফাতুল আহওয়াযীতে” বলেন,</div> <div style="text-align: justify;"> ﺍﻋْﻠَﻢْ ﺃَﻧَّﻪُ ﻗَﺪْ ﻭَﺭَﺩَ ﻓِﻲ ﻓَﻀِﻴﻠَﺔِ ﻟَﻴْﻠَﺔِ ﺍﻟﻨِّﺼْﻒِ ﻣِﻦْ ﺷَﻌْﺒَﺎﻥَ ﻋِﺪَّﺓُ ﺃَﺣَﺎﺩِﻳﺚَ ﻣَﺠْﻤُﻮﻋُﻬَﺎ ﻳَﺪُﻝُّ ﻋَﻠَﻰ ﺃَﻥَّ ﻟَﻬَﺎ ﺃَﺻْﻠًﺎ</div> <div style="text-align: justify;"> ——– ﻓَﻬَﺬِﻩِ ﺍﻟْﺄَﺣَﺎﺩِﻳﺚُ ﺑِﻤَﺠْﻤُﻮﻋِﻬَﺎ ﺣُﺠَّﺔٌ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﻦْ ﺯَﻋَﻢَ ﺃَﻧَّﻪُ ﻟَﻢْ ﻳَﺜْﺒُﺖْ ﻓِﻲ ﻓَﻀِﻴﻠَﺔِ ﻟَﻴْﻠَﺔِ ﺍﻟﻨِّﺼْﻒِ ﻣِﻦْ ﺷَﻌْﺒَﺎﻥَ</div> <div style="text-align: justify;"> ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﺍَﻟﻠَّﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﺃَﻋْﻠَﻢُ – ‏( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻮﻡ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ, ﺑﺎﺏ : ﻣﺎ ﺟﺎﺀ ﻓﻲ ﻟﻴﻠﺔ</div> <div style="text-align: justify;"> ﻻﻧﺼﻒ ﻣﻦ ﺍﻟﺸﻌﺒﺎﻥ )</div> <div style="text-align: justify;"> -‘‘জেনে রাখুন, শাবানের মধ্যরাতের (শবে বরাতের) ফযীলত</div> <div style="text-align: justify;"> সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে, সব হাদিস একত্রিত</div> <div style="text-align: justify;"> করলে প্রমাণিত হয় যে, এ রাতের ফযীলতের ক্ষেত্রে</div> <div style="text-align: justify;"> নির্ভরযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। অনুরূপভাবে এ হাদিসগুলো</div> <div style="text-align: justify;"> সম্মিলিতভাবে তাদের বিপক্ষে প্রমাণ বহন করে যারা</div> <div style="text-align: justify;"> ধারণা করে যে, শবে বরাতের ফযীলতের ক্ষেত্রে কোন</div> <div style="text-align: justify;"> প্রমান মেলে না। আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন।’’</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhrsCT0ZOfPE81KWVwasaYMP86qyfl7TAcr4AkGUZjoxiw_TBxYsxjxDwxRDWQkZMRXqVkA1QVZUzRGNRVYujDMH35cyESrvnRZWKkyD6GxFITA2PDQmG7VmVCaJAKtzDSvfj1rk4UQ2pVM/s1600/wpid-11351249_10153212873420999_8888007758159521796_n_2-1.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="315" data-original-width="851" height="118" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhrsCT0ZOfPE81KWVwasaYMP86qyfl7TAcr4AkGUZjoxiw_TBxYsxjxDwxRDWQkZMRXqVkA1QVZUzRGNRVYujDMH35cyESrvnRZWKkyD6GxFITA2PDQmG7VmVCaJAKtzDSvfj1rk4UQ2pVM/s320-rw/wpid-11351249_10153212873420999_8888007758159521796_n_2-1.jpg" width="320" /></a></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> (২) আল্লামা ইমাম ইবনে ইসহাক বুরহান উদ্দিন ইবনে</div> <div style="text-align: justify;"> মুফলিহ ওফাত.৮৮৪হি.বলেন,</div> <div style="text-align: justify;"> ﻭَﻳُﺴْﺘَﺤَﺐُّ ﺇِﺣْﻴَﺎﺀُ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟْﻌِﺸَﺎﺀَﻳْﻦِ ﻟِﻠْﺨَﺒَﺮِ. ﻗَﺎﻝَ ﺟَﻤَﺎﻋَﺔٌ: ﻭَﻟَﻴْﻠَﺔِ ﻋَﺎﺷُﻮﺭَﺍﺀَ، ﻭَﻟَﻴْﻠَﺔِ ﺃَﻭَّﻝِ ﺭَﺟَﺐٍ، ﻭَﻟَﻴْﻠَﺔِ ﻧِﺼْﻒِ</div> <div style="text-align: justify;"> ﺷَﻌْﺒَﺎﻥَ، – ﺍﻟﻤﺒﺪﻉ ﺷﺮﺡ ﺍﻟﻤﻘﻨﻊ: ٢/ ٣٣ ﺑﺎﺏ : ﺻﻠﻮﺓ ﺍﻟﺘﻄﻮﻉ –</div> <div style="text-align: justify;"> -‘‘মুস্তাহাব হলো মাগরিব ও ইশার মাঝখানে এই সমস্ত</div> <div style="text-align: justify;"> রাত্রিগুলোতে জেগে ইবাদত করা। এক জামাত ইমামগণ</div> <div style="text-align: justify;"> বর্ণনা করেছেন, এই সমস্ত রাত্রি হল, আশুরার রাত্রি,</div> <div style="text-align: justify;"> রজবের প্রথম রাত্রি, এবং শাবানের ১৫ তারিখ (শবে বরাত)</div> <div style="text-align: justify;"> রাত্রি। এই সমস্ত রাত্রিতে জাগ্রত থাকা মুস্তাহাব।’’</div> <div style="text-align: justify;"> (৩) অন্যতম মুহাদ্দিস আল্লামা ইমাম যুরকানী ()</div> <div style="text-align: justify;"> ওফাত.১১২২হি. বলেন,</div> <div style="text-align: justify;"> ﺍﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ ﻓﻘﻮﻣﻮﺍ ﻟﻴﻠﻬﺎ ﻓﻘﻮﻣﻮﺍ ﻟﻴﻠﻬﺎ ” ﺃﻱ : ﺃﺣﻴﻮﻩ ﺑﺎﻟﻌﺒﺎﺩﺓ ﻭﺍﻧﺼﺒﻮﺍ ﺃﻗﺪﺍﻣﻜﻢ ﻟﻠﻪ</div> <div style="text-align: justify;"> ﻗﺎﻧﺘﻴﻦ، –</div> <div style="text-align: justify;"> -‘‘যখন ১৫ই শাবান আসবে তখন রাতে তোমরা ইবাদতের জন্য</div> <div style="text-align: justify;"> দন্ডায়মান হও। এবং এই ইবাদতের দ্বারা রাত্রকে জীবিত</div> <div style="text-align: justify;"> রাখ।’’</div> <div style="text-align: justify;"> (৪) আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী () এক হাদীসের</div> <div style="text-align: justify;"> ব্যাখ্যায় বলেন –</div> <div style="text-align: justify;"> ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﺑﺎﻟﺒﺎﺏ ﺍﻻﻳﺬﺍﻥ ﺑﺎﻥ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ ﻟﻤﺎ ﻭﺭﺩ ﻓﻰ ﺃﺣﻴﺎﺋﻬﺎ ﻣﻦ ﺍﻟﺜﻮﺍﺏ – ﺑﺎﺏ : ﻗﻴﺎﻡ</div> <div style="text-align: justify;"> ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ –</div> <div style="text-align: justify;"> -‘‘এই হাদীসে অধ্যায়ের দ্বারা সংবাদ বা খবর দিয়েছে যে</div> <div style="text-align: justify;"> শাবানের ১৫ই তারিখ রাতে (শবে বরাতে) জেগে ইবাদত</div> <div style="text-align: justify;"> করলে সাওয়াব রয়েছে যেমনটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।’’</div> <div style="text-align: justify;"> (৫) আল্লামা তাহতাভী হানাফী () বলেন, ﻭﻧﺪﺏ ﺃﺣﻴﺎﺀ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ</div> <div style="text-align: justify;"> ﺷﻌﺒﺎﻥ –</div> <div style="text-align: justify;"> -‘‘শবে বরাতে (১৫ই শাবান) রাতে জাগ্রত থেকে ইবাদত</div> <div style="text-align: justify;"> করা মুস্তাহাব।’’</div> <div style="text-align: justify;"> (৬) আল্লামা আলাউদ্দিন হাসকাফী () বলেন,</div> <div style="text-align: justify;"> ﻣﻦ ﺍﻟﻤﻨﺪﻭﺑﺎﺕ ﺭﻛﻌﺘﺎ ﺍﻟﺴﻔﺮ ﻭﺍﻟﻘﺪﻭﻡ ﻣﻨﻪ ﻭﺃﺣﻴﺎﺀ ﻟﻴﻠﺘﻰ ﺍﻟﻌﻴﺪﻳﻦ ﻭﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ ﻭ ﺍﻟﻌﺸﺮ ﺍﻻﺧﻴﺮ</div> <div style="text-align: justify;"> ﻣﻦ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻭﺍﻻﻭﻝ ﻣﻦ ﺫﻯ ﺍﻟﺤﺠﺔ –</div> <div style="text-align: justify;"> -‘মুস্তাহাব হলো এ সমস্ত রাত্রিগুলোতে ইবাদত করা</div> <div style="text-align: justify;"> কমপক্ষে দুরাকাত নামায হলেও পড়া যেমন ১. সফরের প্রথম</div> <div style="text-align: justify;"> রাত ২. দুই ঈদের রাত ৩. শবেই বরাত (১৫ই শাবানের রাত) ৩.</div> <div style="text-align: justify;"> রমযানের শেষ দশ দিনের রাত জিলহজ্ব এর ১ম তারিখ।’’</div> <div style="text-align: justify;"> (৭) আল্লামা ইবনে নুজাইজ হানাফী মিশরী () বলেন,</div> <div style="text-align: justify;"> ﻭﻣﻦ ﺍﻟﻤﻨﺪﻭﺑﺎﺕ ﺃﺣﻴﺎﺀ ﻟﻴﺎﻟﻰ ﺍﻟﻌﺸﺮ ﻣﻦ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻭﻟﻴﻠﺘﻰ ﺍﻟﻌﻴﺪﻳﻦ ﻟﻴﺎﻟﻰ ﻋﺸﺮ ﺫﻯ ﺍﻟﺤﺠﺔ ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ</div> <div style="text-align: justify;"> ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ ﻛﻤﺎ ﻭﺭﺩﺕ ﺍﻻﺛﺎﺭ –</div> <div style="text-align: justify;"> -‘‘মুস্তাহাব হলো রমযানের শেষ দশ দিনের রাতে ও দুই</div> <div style="text-align: justify;"> ঈদের রাতে ইবাদত করা। জিলহজ্ব মাসের দশ রজনী এবং</div> <div style="text-align: justify;"> শবে বরাতের রাতে ইবাদত করা যা হাদিস দ্বারা</div> <div style="text-align: justify;"> প্রমাণিত।’</div> <div style="text-align: justify;"> (৮) বিখ্যাত ফকীহ আল্লামা শায়খ মনসূর বিন ইউনূস বাহুতী</div> <div style="text-align: justify;"> (রহ.) বলেন,</div> <div style="text-align: justify;"> ﻭﻓﻰ ﺍﺳﺘﺤﺒﺎﺏ ﻗﻴﺎﻣﻬﺎ ﺃﻯ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ ﻣﺎ ﻓﻰ ﺃﺣﻴﺎﺀ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻌﻴﺪ – ‏(ﻛﺸﻒ ﺍﻟﻘﻨﺎﻉ : ١/ ٤٢٠ ،</div> <div style="text-align: justify;"> ﺑﺎﺏ : ﻗﺒﻴﻞ ﻓﺼﻞ ﺳﺠﺪﺓ ﺍﻟﺘﻼﻭﺓ ) -‘‘শবে বরাত (১৫ শাবান) এর রাতে, দুই</div> <div style="text-align: justify;"> ঈদের রাতে দাড়িয়ে অর্থাৎ নামাযে লিপ্ত হওয়া</div> <div style="text-align: justify;"> মুস্তাহাব।’’</div> <div style="text-align: justify;"> ৯,*ইমাম আহমাদ (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)।</div> <div style="text-align: justify;"> ১০,*ইমাম আওযায়ী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)।</div> <div style="text-align: justify;"> ১১,*ইবনে তাইমিয়া ।</div> <div style="text-align: justify;"> ১২,*ইমাম ইবনে রাজাব আল হাম্বলী (রাহমাতুল্লাহি</div> <div style="text-align: justify;"> আলাইহি)।</div> <div style="text-align: justify;"> ১৩,*নাসিরুদ্দিন আল-আলবানী ।</div> <div style="text-align: justify;"> সুত্র:==========</div> <div style="text-align: justify;"> ১,আল্লামা মুবারকপুরী: তোহফাতুল আহওয়াজী শরহে</div> <div style="text-align: justify;"> তিরমিযী : ৩/৪৪১ পৃ. হাদিস : ৭৩৬</div> <div style="text-align: justify;"> ২, মুফলিহ : মাবদাউ শরহে মাকানা: ২/৩৩পৃ.দারুল কুতুব</div> <div style="text-align: justify;"> ইলমিয়্যাহ,বয়রুত,লেবানন।</div> <div style="text-align: justify;"> ৩,আল্লামা ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহেবে লাদুন্নীয়া</div> <div style="text-align: justify;"> : ১০/৫৬১ পৃ.</div> <div style="text-align: justify;"> ৪,আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী মিরকাত : কিয়ামে</div> <div style="text-align: justify;"> রমযান: ৩/৩৪০ : হাদিস : ১৩০০</div> <div style="text-align: justify;"> ৫,আল্লামা ইমাম তাহতাভী : মারাকিল ফালাহ : পৃ-৩২৫</div> <div style="text-align: justify;"> ৬,আল্লামা আলাউদ্দিন হাস্কাফী দুররুল মুখতার : ২/২৪-২৫ পৃ</div> <div style="text-align: justify;"> কিতাবুল বিতর এবং নফল অধ্যায়</div> <div style="text-align: justify;"> ৭,আল্লামা ইবনে নুজাইম মিশরী : বাহরুর রায়েক : ২/৫২</div> <div style="text-align: justify;"> কিতাবুল বিতর ওয়ান নাওয়াফেল</div> <div style="text-align: justify;"> ৮,আল্লামা শায়খ মনসূর বিন ইউনূস বায়হাকী : কাশফুল</div> <div style="text-align: justify;"> কানাঈ : ১/৪২০ : সিজদা ও তেলাওয়াতের ফযীলত অধ্যায়।</div> <div style="text-align: justify;"> ৯, [ইবনে তাইমিয়া তার ইকতিদায়ে ছিরাতে মুস্তাকীমে</div> <div style="text-align: justify;"> (২/৬২৬) তা উল্লেখ করেছেন]</div> <div style="text-align: justify;"> ১০, [ইমাম ইবনে রাজাব তার ‘লাতায়েফুল মা‘আরিফ’ গ্রন্থে</div> <div style="text-align: justify;"> (পৃঃ১৪৪) তার থেকে তা বর্ণনা করেছেন]</div> <div style="text-align: justify;"> ১১, [ইকতিদায়ে ছিরাতে মুস্তাকীম ২/৬২৬,৬২৭, মাজমু‘</div> <div style="text-align: justify;"> ফাতাওয়া ২৩/১২৩, ১৩১,১৩৩,১৩৪]।</div> <div style="text-align: justify;"> ১২,[তার লাতায়েফুল মা‘আরিফ পৃঃ১৪৪ দ্রষ্টব্য]।</div> <div style="text-align: justify;"> ১৩ [ছিলছিলাতুল আহাদীস আস্সাহীহা ৩/১৩৫-১৩৯]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div>

ইমামগণের দৃষ্টিতে শবে বরাত

মুহাদ্দিসীনে কেরাম ও ফকীহগণের দৃষ্টিতে শবে বরাত ============= (১) আহলে হাদীসের অন্যতম আলেম মুবারকপুরী তিরমিযী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ...

Read more »

শবে বরাতের আমল,করণীয় ও বর্জনীয়

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> শবে বরাতে জাগরণ করলে জান্নাতের সু-সংবাদ:-</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত মু‘আয রা. বর্ণনা করেন,রাসূল স. ইরশাদ করেন- যে</div> <div style="text-align: justify;"> ব্যক্তি পাঁচ রাত ইবাদত বন্দেগীতে কাটাবে তার জন্য</div> <div style="text-align: justify;"> জান্নাত অবধারিত। ১. জিলহজ্জের আট তারিখের রাত। ২.</div> <div style="text-align: justify;"> আরাফার রাত। ৩. ঈদুল আযহার রাত। ৪. ঈদুল ফিতরের রাত।</div> <div style="text-align: justify;"> ৫. শাবানের মধ্য রাত অর্থাৎ শবে বরাত। (আত-তারগীব</div> <div style="text-align: justify;"> ওয়াত তারহীব: ২/১৫২)</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত ইবনে ওমর (রঃ) বলেনঃ পাঁচটি রজনীতে দুআ করা</div> <div style="text-align: justify;"> হলে তা কখনো ফেরত দেয়া হয় না (অবশ্যই ক্ববুল হয়) জুমআর</div> <div style="text-align: justify;"> রাত্র, রজবের প্রথম রাত, শাবানের পঞ্চদশ রাত এবং দুই</div> <div style="text-align: justify;"> ঈদের রাত।</div> <div style="text-align: justify;"> ( ইমাম বায়হাকী তাঁর শুয়াবুল ঈমানে; আব্দুর রাজ্জাক তাঁর</div> <div style="text-align: justify;"> মুসনাদে )</div> <div style="text-align: justify;"> ===== # রাতে ইবাদত করা</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আলা ইবনে হারিস ( রহমতুল্লাহি আলাইহি ) থেকে</div> <div style="text-align: justify;"> বর্ণিত, হযরত আয়িশা ( রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহা )</div> <div style="text-align: justify;"> বলেন, একবার রাসূল ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া</div> <div style="text-align: justify;"> সাল্লাম ) নামাযে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সিজদা করেন যে,</div> <div style="text-align: justify;"> আমার ধারণা হয় তিনি হয়ত মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন</div> <div style="text-align: justify;"> উঠে তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তখন তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি</div> <div style="text-align: justify;"> নড়ল। যখন তিনি সিজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ</div> <div style="text-align: justify;"> করলেন, তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়েশা বা ও</div> <div style="text-align: justify;"> হুমাইরা! তোমার কি এ আশংকা হয়েছে যে, আল্লাহ ও তাঁর</div> <div style="text-align: justify;"> রাসূল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি বললাম, তা নয়, ইয়া</div> <div style="text-align: justify;"> রাসূলাল্লাহ! আপনার দীর্ঘ সিজদা দেখে আমার আশংকা</div> <div style="text-align: justify;"> হয়েছিল, আপনি মৃত্যু বরণ করেছেন কিনা। নবীজী</div> <div style="text-align: justify;"> ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) জিজ্ঞেস করলেন,</div> <div style="text-align: justify;"> তুমি কি জান এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর</div> <div style="text-align: justify;"> রাসূল ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) ভাল</div> <div style="text-align: justify;"> জানেন। রাসূল ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম )</div> <div style="text-align: justify;"> বললেন, এটা হল অর্ধ শাবানের রাত। আল্লাহ তাআলা অর্ধ</div> <div style="text-align: justify;"> শাবানে তাঁর বান্দাদের প্রতি নজর দেন এবং</div> <div style="text-align: justify;"> ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন, অনুগ্রহপ্রার্থীদের</div> <div style="text-align: justify;"> প্রতি অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদেরকে ছেড়ে</div> <div style="text-align: justify;"> দেন তাদের অবস্থাতেই। ( বায়হাকী, ৩য় খন্ড-৩৮২পৃ )</div> <div style="text-align: justify;"> এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হল, এ রাতে দীর্ঘ নফল নামাজ</div> <div style="text-align: justify;"> পড়া উত্তম, যাতে সিজদাও দীর্ঘ হবে। এছাড়াও এ রাতে</div> <div style="text-align: justify;"> কুরআন তেলাওয়াত, যিকির আযকার ইত্যাদি আমল করা যায়।</div> <div style="text-align: justify;"> শবে বরাতের নামাজ বিষয়ে একটি অলোচনা পাবেন এই</div> <div style="text-align: justify;"> লিন্কে:-</div> <div style="text-align: justify;"> http://hifazat-e-islam.blogspot.com/2013/06/blog-post_23.html</div> <div style="text-align: justify;"> ==== # পরদিন রোযা রাখা</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আলী ( রাদীয়াল্লাহু তাআলা আনহু ) থেকে বর্ণিত,</div> <div style="text-align: justify;"> রাসূলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম )</div> <div style="text-align: justify;"> বলেছেন,পনেরো শাবানের (চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত)</div> <div style="text-align: justify;"> যখন আসে, তখন তোমরা রাতটি ইবাদত বন্দেগীতে কাটাও</div> <div style="text-align: justify;"> এবং দিনে রোযা রাখ। কেননা এ রাতে সূর্যাস্তের পর</div> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহ তাআলা পড়থম আসমানে আসেন এবং বলেন, কোন</div> <div style="text-align: justify;"> ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করবো।</div> <div style="text-align: justify;"> আছে কি কোন রিযিকপ্রার্থী? আমি তাকে রিযিক দিব।</div> <div style="text-align: justify;"> এভাবে সুবহে সাদিক পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা মানুষের</div> <div style="text-align: justify;"> প্রয়োজনের কথা বলে তাদেরকে ডাকতে থাকেন। ( সুনানে</div> <div style="text-align: justify;"> ইবনে মাজাহ, হাদীস-১৩৮৪, বাইহাকী-শুআবুল ঈমান,</div> <div style="text-align: justify;"> হাদীস-৩৮২৩ )</div> <div style="text-align: justify;"> ইমরান ইবনে হোসায়েন (রা.) বলেছেন যে, “রসূলে</div> <div style="text-align: justify;"> পাক (স.) তাকে অথবা অপর কাউকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি</div> <div style="text-align: justify;"> কি শাবান মাসের মধ্যভাগে (শব-ই- বরাতের) রোজা</div> <div style="text-align: justify;"> রেখেছিলে? তিনি বললেন, না। তখন রসূলে পাক (স.) বললেন,</div> <div style="text-align: justify;"> যখন তুমি রাখনি তখন দু’দিন (রোজার শেষে) রোজা</div> <div style="text-align: justify;"> রেখে দিও” (মুসলীম শরীফ,হাদীস নং-২৬২২,২৬২৩,২৬২৪,ই</div> <div style="text-align: justify;"> ফা)</div> <div style="text-align: justify;"> ======# কবর জিয়ারত:</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আয়েশা রা. বলেন, একরাতে আমি রাসূল স.কে</div> <div style="text-align: justify;"> বিছানায় পেলাম না। তাই (খোজার উদ্দেশ্যে) বের হলাম।</div> <div style="text-align: justify;"> তখন দেখতে পেলাম,তিনি জান্নাতুল বাকীতে আছেন।</div> <div style="text-align: justify;"> আমাকে দেখে তিনি বলে উঠলেন, তুমি কি এ আশঙ্কা</div> <div style="text-align: justify;"> করছো যে, আল্লাহ এবং তার রাসূল তোমার প্রতি অবিচার</div> <div style="text-align: justify;"> করবেন ? আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল ! আমি ধারণা</div> <div style="text-align: justify;"> করছিলাম, আপনি আপনার অন্য স্ত্রীর ঘরে তাশরীফ</div> <div style="text-align: justify;"> নিয়েছেন। রাসূল স. বলেন শাবানের পনের তারিখ রাতে</div> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন এবং ‘বনু</div> <div style="text-align: justify;"> কালব’ গোত্রের ভেড়ার পশমের চেয়েও অধিক সংখ্যক</div> <div style="text-align: justify;"> লোককে মাফ করে দেন। (তিরমিযী শরীফ: ১/১৫৬)</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEha1sULW7oP10qiGPQIURr2aH15ticUCeXcfugWlvI4B0qIocAY8CAshR430VotXytIh6grvDwesBOc6INCBQG0Ja4c-FrNQlQX2erjSeRZu0elLSQZBMFt260fSGwo4pMfDSKJkhxg2z6a/s1600/wpid-11194400_10153221045665999_308913317815947288_o-1.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="921" data-original-width="1228" height="240" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEha1sULW7oP10qiGPQIURr2aH15ticUCeXcfugWlvI4B0qIocAY8CAshR430VotXytIh6grvDwesBOc6INCBQG0Ja4c-FrNQlQX2erjSeRZu0elLSQZBMFt260fSGwo4pMfDSKJkhxg2z6a/s320-rw/wpid-11194400_10153221045665999_308913317815947288_o-1.jpg" width="320" /></a></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ░▒▓█►হাদীসটির ব্যাপারে মুহাদ্দিসদের অভিমত</div> <div style="text-align: justify;"> ইবনে হিবক্ষান র. আয়েশা রা. এর হাদীসটিকে হাসান</div> <div style="text-align: justify;"> বলেছেন। (শরহুল মাওয়াহিবিল লাদুনিয়্যাহ: ৭/৪৪১</div> <div style="text-align: justify;"> প্রশ্নঃ শাবানের মধ্যরাত্রি উদযাপন করা যাবে কিনা?</div> <div style="text-align: justify;"> উত্তরঃ শাবানের মধ্যরাত্রি পালন করার কি হুকুম এ নিয়ে</div> <div style="text-align: justify;"> আলেমদের মধ্যে ২টি মত রয়েছে:</div> <div style="text-align: justify;"> সম্মিলিত ইবাদত:</div> <div style="text-align: justify;"> এক. শা‘বানের মধ্য রাত্রিতে মাসজিদে জামাতের সাথে</div> <div style="text-align: justify;"> নামায ও অন্যান্য ইবাদত করা জায়েয । প্রসিদ্ধ তাবেয়ী</div> <div style="text-align: justify;"> খালেদ ইবনে মি‘দান, লুকমান ইবনে আমের সুন্দর পোশাক</div> <div style="text-align: justify;"> পরে, আতর খোশবু, শুরমা মেখে মাসজিদে গিয়ে মানুষদের</div> <div style="text-align: justify;"> নিয়ে এ রাত্রিতে নামায আদায় করতেন। এ মতটি ইমাম</div> <div style="text-align: justify;"> ইসহাক ইবনে রাহওয়ীয়াহ থেকেও বর্ণিত হয়েছে।</div> <div style="text-align: justify;"> (লাতায়েফুল মা‘আরেফ পৃঃ১৪৪)।</div> <div style="text-align: justify;"> একক ইবাদত:</div> <div style="text-align: justify;"> দুই. শা‘বানের মধ্যরাত্রিতে ব্যক্তিগতভাবে ইবাদত</div> <div style="text-align: justify;"> বন্দেগী করা জায়েয। ইমাম আওযা‘য়ী, ইবনে তাইমিয়া,</div> <div style="text-align: justify;"> এবং আল্লামা ইবনে রজব (রাহমাতুল্লাহি আলাইহিম) এ মত</div> <div style="text-align: justify;"> পোষণ করেন। তাদের মতের পক্ষে তারা যে সমস্ত হাদীস</div> <div style="text-align: justify;"> দ্বারা এ রাত্রির ফযীলত বর্ণিত হয়েছে সে সমস্ত সাধারণ</div> <div style="text-align: justify;"> হাদীসের উপর ভিত্তি করে ব্যক্তিগতভাবে ইবাদত করাকে</div> <div style="text-align: justify;"> জায়েয মনে করেন।</div> <div style="text-align: justify;"> শবে বরাতে তাবেয়ীগণের আমলঃ</div> <div style="text-align: justify;"> তাবেয়ী কারাঃ</div> <div style="text-align: justify;"> তাবেয়ী হচ্ছেন তারা যারা রাসূলে পাক (সাঃ) এর</div> <div style="text-align: justify;"> সাক্ষাৎ লাভ করতে পারেননি তবে সাহাবায়ে কেরামের</div> <div style="text-align: justify;"> সাক্ষাৎ লাভ করেছেন,তাদের নিকট থেকে তালীম গ্রহণ</div> <div style="text-align: justify;"> করেছেন এবং তাদের আদর্শ অনুসরণ করেছেন।</div> <div style="text-align: justify;"> তাবেয়ীগণ শবে বরাতে ইবাদাতে মশগুল থাকতেন।</div> <div style="text-align: justify;"> তারা এ রাত উপলক্ষে যা করতেনঃ</div> <div style="text-align: justify;"> ১। নতুন কাপড় পরিধান করতেন ২।</div> <div style="text-align: justify;"> চোখে সুরমা লাগাতেন</div> <div style="text-align: justify;"> ৩।সারা রাত মসজিদে অবস্থান করে ইবাদাতে কাটিয়ে</div> <div style="text-align: justify;"> দিতেন।</div> <div style="text-align: justify;"> হাম্বলী মাযহাবের বিশ্বখ্যাত ইমাম ইবনু রাজাব</div> <div style="text-align: justify;"> হাম্বলীর লিখিত লাতাইফুল মাআরিফ, পেইজ নং ২৬৩</div> <div style="text-align: justify;"> তাবেয়ীগণের যারা এমন আমল করতেন, তাদের কয়েকজনের</div> <div style="text-align: justify;"> নাম উল্লেখ করছি।– খালিদ বিন মা’দান (রাঃ)- তিনি</div> <div style="text-align: justify;"> শাম প্রদেশের ইমাম ছিলেন। তিনি সাহাবায়ে কেরামের</div> <div style="text-align: justify;"> মহান চ্রিত্রের বর্ণনা করতেন। যেসকল সাহাবায়ে কেরাম</div> <div style="text-align: justify;"> থেকে তিনি হাদীস বর্ণনা করেছেন তাঁরা হলেন- ছাওবান,</div> <div style="text-align: justify;"> আবু উমামাহ, মুয়াবিয়া, আবু হুরায়রা, মিকদাম,ইবনু</div> <div style="text-align: justify;"> উমার,উতবাহ,ইবনু আমর, জুবাইর বিন নুফাইর, হুজর বিন হুজর,</div> <div style="text-align: justify;"> রাবীয়াহ,খিয়ার বিন সালামাহ,ইবনু আবী হিলাল,আমর</div> <div style="text-align: justify;"> বিন আসওয়াদ,কাসীর বিন মুররাহ, আবু বাহরিইয়্যাহ প্রমুখ।</div> <div style="text-align: justify;"> সুত্রঃ সিয়ারু আলামীন নুবালা, আত তাবাকাতুছ ছানিয়াহ</div> <div style="text-align: justify;"> তিনি এমন নির্ভরযোগ্য ইমাম যে ইমাম বুখারী (রা) তাঁর</div> <div style="text-align: justify;"> থেকে বর্ণিত হাদীস সংকলন করেছেন। দেখুন- সহীহ</div> <div style="text-align: justify;"> বুখারী,কিতাবুল জিহাদি ওয়াস সিয়ারি-২৭৬৬</div> <div style="text-align: justify;"> মাকহুল(রা)- ইমাম মাকহুল(রা) সম্পর্কে ইমাম যুহরি</div> <div style="text-align: justify;"> বলেন,সারা দুনিয়ায় আলেম হলেন চারজন- মদিনা শরীফে</div> <div style="text-align: justify;"> সায়ীদ বিন মুসায়্যিব,কুফা নগরীতে শাবী, বসরা নগরীতে</div> <div style="text-align: justify;"> হাসান বসরী এবং শাম প্রদেশে মাকহুল(রা)। তিনি</div> <div style="text-align: justify;"> ছিলেন শামের সবচেয়ে বড় ফকীহ। সুত্রঃ সিয়ারু আলামীন</div> <div style="text-align: justify;"> নুবালা, আত তাবাকাতুছ ছানিয়াহ তাদের সাথে আরো</div> <div style="text-align: justify;"> অনেকে সারা রাত মসজিদে অবস্থান করে ইবাদাতে</div> <div style="text-align: justify;"> কাটিয়ে দিতেন। শবে বরাত উপলক্ষে মসজিদে যাওয়া,নফল</div> <div style="text-align: justify;"> ইবাদাত করা হচ্ছে সালফে সালেহীনের অনুসরণ করা।</div> <div style="text-align: justify;"> করণীয়:-</div> <div style="text-align: justify;"> *কুরআন তেলোয়াত করা</div> <div style="text-align: justify;"> *গোসল করা</div> <div style="text-align: justify;"> *মা-বাবা থেকে ক্ষমা চাওয়া</div> <div style="text-align: justify;"> *দান সদকা করা।(গরীব দু:খী কে,মাজারে নয় )</div> <div style="text-align: justify;"> *পরিবারের জন্য সতদার নিয়তে ভালো খাবারের ব্যবস্তা</div> <div style="text-align: justify;"> করা।</div> <div style="text-align: justify;"> *গরীব দু:খী মানুষকে খাওয়ানো</div> <div style="text-align: justify;"> ইত্যাদি…</div> <div style="text-align: justify;"> বর্জনীয়:</div> <div style="text-align: justify;"> এ রাতে একটি কুসংস্কার হল আতশবাজি। এটা এমন</div> <div style="text-align: justify;"> একটি বাজে কাজ, যাতে দুনিয়ার ফায়দাও নেই,</div> <div style="text-align: justify;"> আখিরাতেও ফায়দা নেই। আছে কেবল অপচয়,</div> <div style="text-align: justify;"> অপব্যয়, পাপ, আরও আছে বিধর্মী, অগ্নিপূজকদের</div> <div style="text-align: justify;"> অনুকরণ। এই বরকতময় রাতে আল্লাহ এবং তাঁর</div> <div style="text-align: justify;"> ফিরিশতাগণ দুনিয়াবাসীদের প্রতি রহমত বিতরণ</div> <div style="text-align: justify;"> করতে তশরীফ আনেন। বান্দাগণকে দান গ্রহণের জন্য</div> <div style="text-align: justify;"> অবিরত আহবান করতে থাকেন। আমাদের ছেলে-</div> <div style="text-align: justify;"> মেয়েরা আল্লাহ্র তাজাল্লী, নূর ও রহমতের অংশ</div> <div style="text-align: justify;"> নেওয়া, তাঁর দান গ্রহণ, তাঁর নূরে নূরানী হওয়ার</div> <div style="text-align: justify;"> পরিবর্তে আতশবাজীর দ্বারা তার প্রতি পরিহাস ও</div> <div style="text-align: justify;"> বিদ্রূপ প্রদর্শন করছে, এই অবস্থা কি সঙ্গত?</div> <div style="text-align: justify;"> এটা রোধ করার কোন দায়িত্ব কি অভিভাবকগণের</div> <div style="text-align: justify;"> স্কন্ধে নেই। একদিকে ইবাদত অন্যদিকে পরিহাস!</div> <div style="text-align: justify;"> দুটি এক সঙ্গে চলতে দেয়া কি উচিত?</div> <div style="text-align: justify;"> আরো একটি কুসংস্কার হল আলোকসজ্জা করা।</div> <div style="text-align: justify;"> প্রয়োজনাতিরিক্ত বাতি জ্বালানো শরীয়তের</div> <div style="text-align: justify;"> দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ। এটা অপচয়ও বটে। আল</div> <div style="text-align: justify;"> মুফতীতে বলা হয়েছে যে, এটা দূষণীয়।</div> </div>

শবে বরাতের আমল,করণীয় ও বর্জনীয়

শবে বরাতে জাগরণ করলে জান্নাতের সু-সংবাদ:- হযরত মু‘আয রা. বর্ণনা করেন,রাসূল স. ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি পাঁচ রাত ইবাদত বন্দেগীতে কাটাবে ত...

Read more »

মাহে শাবানের ফযীলত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> ইমাম গাযযালী (রহ:) তাঁর ‘এহইয়ায়ে উলূম আল-দ্বীন’</div> <div style="text-align: justify;"> গ্রন্থে লিখেছেন, “মধ্য-শা’বান (মাস)-এর রাতে (অর্থাৎ,</div> <div style="text-align: justify;"> শবে বরাতে) ১০০ রাকআত (নফল) নামায পড়বে,</div> <div style="text-align: justify;"> যা’তে প্রতি রাকআতে সূরা ফাতেহার পর ১০ বার সূরা এখলাস</div> <div style="text-align: justify;"> থাকবে; তাঁরা (সাহাবায়ে কেরাম ও সালাফবৃন্দ) এটি তরক (ত্যাগ)</div> <div style="text-align: justify;"> করেন নি, যেমনিভাবে আমরা সম্পৃক্ত হয়েছি অতিরিক্ত নফল</div> <div style="text-align: justify;"> নামায ও আ’রাফাত রজনীর সাথে।”</div> <div style="text-align: justify;"> শায়খ ইসমাঈল হাক্কী তাঁর কৃত ’তাফসীরে রুহুল বয়ান’-এ</div> <div style="text-align: justify;"> বলেন, “তাফসীরকার উলামাদের কয়েকজন বলেন</div> <div style="text-align: justify;"> যে কুরআন মজীদে সুরা দুখান-এর ৩ নং আয়াতে উল্লেখিত</div> <div style="text-align: justify;"> ‘লাইলাতুল মুবারক’ তথা ’বরকতময় রজনী’ বলতে মধ্য-</div> <div style="text-align: justify;"> শা’বানের রাতকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে; আর এই রাতের</div> <div style="text-align: justify;"> ৪টি নাম: প্রথমটি ‘বরকতময় রজনী’, যেহেতু অসংখ্য মানুষ এই</div> <div style="text-align: justify;"> রাতে নেক আমল পালন করেন; আর বাস্তবিকই</div> <div style="text-align: justify;"> এতে আল্লাহতা’লার সৌন্দর্যের নেয়ামত আরশ-</div> <div style="text-align: justify;"> কুরসি থেকে দুনিয়াপৃষ্ঠ পর্যন্ত বিরাজমান প্রতিটি অণুকণার</div> <div style="text-align: justify;"> কাছে পৌঁছে থাকে, যেমনিভাবে তা ঘটে ’লাইলাতুল কদর’</div> <div style="text-align: justify;"> রজনীতে, যা’তে ফেরেশতাকুল মহান আল্লাহতা’লার</div> <div style="text-align: justify;"> দরবারে হাজির হন।”</div> <div style="text-align: justify;"> সুরা দুখানের ৩-৪ নং আয়াতে এরশাদ হয়েছে, “নিশ্চয়</div> <div style="text-align: justify;"> আমি (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি বরকতময় রাতে; নিশ্চয়</div> <div style="text-align: justify;"> আমি সতর্ককারী। তাতে (ওই রাতে) বণ্টন করে দেয়া হয়</div> <div style="text-align: justify;"> প্রতিটি হেকমতময় কাজ।” এই আয়াতের ব্যাখ্যা নিয়ে প্রাথমিক</div> <div style="text-align: justify;"> জমানার তাফসীরবিদদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। হযরত</div> <div style="text-align: justify;"> আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:)-সহ বেশির ভাগ</div> <div style="text-align: justify;"> উলামা বলেছেন ওই রাত ‘শবে কদরের’; পক্ষান্তরে, হযরত</div> <div style="text-align: justify;"> একরিমাহ (রা:) ও তাঁর সাথে একমত পোষণকারী উলামাবৃন্দ</div> <div style="text-align: justify;"> বলেছেন যে সেটা ’শবে বরাত’।</div> <div style="text-align: justify;"> উপরোক্ত আয়াতটি (৪৪:৩-৪) প্রসঙ্গে মাহমূদ আলুসী নিজ</div> <div style="text-align: justify;"> তাফসীরগ্রন্থে বলেন যে সর্ব-হযরত ইবনে আব্বাস</div> <div style="text-align: justify;"> (রা:), কাতাদাহ (রা:), ইবনে জুবাইর (রা:), মুজাহিদ (রা:), ইবনে যায়দ</div> <div style="text-align: justify;"> (রা:) ও আল-হাসান (রা:)-এর মতানুযায়ী উল্লেখিত রাত</div> <div style="text-align: justify;"> হলো শবে কদর। আর এটি-ই অধিকাংশ মোফাসসেরীন</div> <div style="text-align: justify;"> তথা তাফসীরকার উলেমার অভিমত। পক্ষান্তরে, হযরত</div> <div style="text-align: justify;"> একরিমাহ (রা:) ও তাঁর দল বলেন, “এটি মধ্য শা’বানের রাত।”</div> <div style="text-align: justify;"> আন্ নিসাপুরী তাঁর প্রণীত তাফসীরগ্রন্থে এই পবিত্র</div> <div style="text-align: justify;"> আয়াত প্রসঙ্গে বলেন, “বেশির ভাগ তাফসীরকার এই</div> <div style="text-align: justify;"> রাতকে লাইলাতুল কদর বলে চিহ্নিত করেছেন; কেননা, মহান</div> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহতা’লা এরশাদ ফরমান, ‘নিশ্চয় আমি তা (কুরআন) ক্বদরের</div> <div style="text-align: justify;"> রাতে অবতীর্ণ করেছি’ (৯৭:০১)। আর অধিকাংশ উলামার</div> <div style="text-align: justify;"> মতে কদরের রাত রমযান মাসে।”</div> <div style="text-align: justify;"> আমরা আত্ তাবারীর বক্তব্যের অংশ বিশেষও এখানে উদ্ধৃত</div> <div style="text-align: justify;"> করবো; তিনি বলেন, “হযরত একরিমাহ (রা:)-এর</div> <div style="text-align: justify;"> মতো (প্রাথমিক যুগের) কতিপয় মুফাসসির দাবি করেন যে এই</div> <div style="text-align: justify;"> আয়াতে মধ্য শা’বানের রাতকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে।”</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আনাস (রা:)-এর বর্ণিত একটি হাদীসে মহানবী (দ:)</div> <div style="text-align: justify;"> এরশাদ ফরমান যে ৪টি রাতে আল্লাহতা’লা তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ</div> <div style="text-align: justify;"> করেন এবং নেয়ামত দেন। এগুলো হলো –</div> <div style="text-align: justify;"> শবে কদরের রাত ও এর পরে আগত সকাল; আ’রাফাতের রাত</div> <div style="text-align: justify;"> ও তৎপরবর্তী সকাল; শবে বরাত ও তৎপরবর্তী সকাল</div> <div style="text-align: justify;"> এবং প্রতি জুমু’আর রাত ও তৎপরবর্তী সকাল।</div> <div style="text-align: justify;"> [দায়লামী শরীফ]</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আয়েশা (রা:)-কে রাসূলুল্লাহ (দ:) বলেন,</div> <div style="text-align: justify;"> ৪টি রাতে আল্লাহর সীমাহীন অনুগ্রহ ও দয়া বান্দাদের</div> <div style="text-align: justify;"> জন্যে অবারিত হয়: ১/ ঈদুল আযহার (আগের দিনগত) রাত; ২/</div> <div style="text-align: justify;"> ঈদুল ফিতরের রাত; ৩/ মধ্য-শা’বানের রাত (শবে বরাত),</div> <div style="text-align: justify;"> যা’তে আল্লাহ বান্দার হায়াত নির্ধারণ করেন এবং রিযিকও বন্টন</div> <div style="text-align: justify;"> করেন; আর কারা কারা হজ্জ্ব করবেন, তাও নির্ধারিত হয়। ৪/</div> <div style="text-align: justify;"> আ’রাফাত রজনী – আযান হওয়া অবধি।</div> <div style="text-align: justify;"> আল-কুরআনে বর্ণিত “ওই রাতে বণ্টন করে দেয়া হয়</div> <div style="text-align: justify;"> প্রতিটি হেকমতময় কাজ” (৪৪:৪) আয়াতটি প্রসঙ্গে হযরত</div> <div style="text-align: justify;"> একরিমাহ (রা:) বলেন, “এটি মধ্য-শা’বানের রাত, যখন আল্লাহ পাক</div> <div style="text-align: justify;"> (আগামী) সারা বছরের বিষয়গুলো (নিয়মবদ্ধভাবে) সাজান।</div> <div style="text-align: justify;"> তিনি জীবিতদের কাউকে কাউকে মৃতদের তালিকাভুক্ত</div> <div style="text-align: justify;"> করেন, আর যারা আল্লাহর ঘরে হজ্জ্ব করতে যাবেন,</div> <div style="text-align: justify;"> তাদের নামও লিপিবদ্ধ করেন; এতে তিনি বেশি মানুষের নাম</div> <div style="text-align: justify;"> যেমন অন্তর্ভুক্ত করেন না, তেমনি তিনি কাউকে বাদও দেন</div> <div style="text-align: justify;"> না।”</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আবূ হোরায়রা (রা:) বর্ণনা করেন হযরত</div> <div style="text-align: justify;"> রাসূলে করীম (দ:)-এর বাণী, যিনি এরশাদ ফরমান: “মানুষের</div> <div style="text-align: justify;"> হায়াত এক শা’বান থেকে আরেক শা’বান মাসে কর্তন করা হয়,</div> <div style="text-align: justify;"> যার দরুন কেউ হয়তো বিয়ে-শাদী করে সন্তানের জনকও</div> <div style="text-align: justify;"> হতে পারে, অথচ তার নাম জীবিতদের তালিকা থেকে বাদ</div> <div style="text-align: justify;"> দিয়ে ভাগ্যে মৃত্যু লেখা হয়ে গিয়েছে।”</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আতা ইবনে এয়াসার (রা:) বলেন, “মহানবী (দ:) শা’বান</div> <div style="text-align: justify;"> মাসে যেভাবে (নফল) রোযা রাখতেন, অন্য</div> <div style="text-align: justify;"> কোনো মাসে সেভাবে রাখতেন না। আর এটি এ</div> <div style="text-align: justify;"> কারণে যে, ওই বছর যারা মৃত্যুবরণ করবেন, তা তাতে লিপিবদ্ধ</div> <div style="text-align: justify;"> হতো।”</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আয়েশা (রা:) বলেন, “রাসূলুল্লাহ (দ:) অন্য</div> <div style="text-align: justify;"> কোনো মাসে এতো অধিক (নফল) রোযা রাখতেন</div> <div style="text-align: justify;"> না যেমনটি রাখতেন শা’বান মাসে; কারণ এতে জীবিত</div> <div style="text-align: justify;"> যারা মারা যাবেন তাদের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়, যে পর্যন্ত</div> <div style="text-align: justify;"> না কেউ বিয়ে করেন অথচ তার নাম মৃতদের তালিকায় লিপিবদ্ধ</div> <div style="text-align: justify;"> হয়ে গিয়েছে; আর কেউ হজ্জ্ব করেন, কিন্তু তার নাম</div> <div style="text-align: justify;"> মৃতদের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।”</div> <div style="text-align: justify;"> সাইয়্যেদুনা হযরত আলী (ক:) থেকে বর্ণিত</div> <div style="text-align: justify;"> যে মহানবী (দ:) এরশাদ ফরমান: “মধ্য-শা’বানের রাত</div> <div style="text-align: justify;"> তোমরা এবাদত-বন্দেগী করে অতিবাহিত করো এবং ওই দিন</div> <div style="text-align: justify;"> রোযা রেখো। কেননা, নিশ্চয় সূর্যাস্ত থেকে আরম্ভ</div> <div style="text-align: justify;"> করে এই রাতে আল্লাহতা’লা সর্বনিম্ন (নিকটতম)</div> <div style="text-align: justify;"> আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন, ‘কেউ</div> <div style="text-align: justify;"> কি আছো ক্ষমা চাইবার, যাকে আমি ক্ষমা করে দিতে পারি?</div> <div style="text-align: justify;"> কেউ কি আছো রিযক চাইবার, যাকে রিযক মঞ্জুর করতে পারি?</div> <div style="text-align: justify;"> কেউ কি আছো মসিবত/পরীক্ষায়, যাকে তা থেকে মুক্ত</div> <div style="text-align: justify;"> করে দিতে পারি?’ ইত্যাদি, ইত্যাদি, যতোক্ষণ না ফজরের সময়</div> <div style="text-align: justify;"> (সূর্যোদয়) হয়।” [হযরত আবদুর রাযযাক (রা:) ও ইবনে মাজাহ</div> <div style="text-align: justify;"> বর্ণিত]</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আয়েশা (রা:) বলেন, “এক রাতে আমি হুযূর পাক (দ:)-</div> <div style="text-align: justify;"> কে (ঘরে) না পেয়ে ’বাকী’ কবরস্থানে যাই</div> <div style="text-align: justify;"> (এবং সেখানে তাঁর দেখা পাই)। এই সময় তাঁর পবিত্র মস্তক</div> <div style="text-align: justify;"> মোবারক আসমানের দিকে ওঠানো ছিল। তিনি বলেন,</div> <div style="text-align: justify;"> ‘ওহে আয়েশা! তুমি কি আশংকা করো যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল</div> <div style="text-align: justify;"> (দ:) তোমার প্রতি অন্যায্য আচরণ করবেন?’ আমি বল্লাম,</div> <div style="text-align: justify;"> এয়া রাসূলাল্লাহ (দ:)! আমি মনে করেছিলাম</div> <div style="text-align: justify;"> আপনি হয়তো আপনার কোনো বিবি সাহেবার</div> <div style="text-align: justify;"> কাছে গিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মধ্য-শা’বানের রাতে মহান</div> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহতা’লা সর্বনিম্ন (নিকটতম) আসমানে অবতরণ করেন</div> <div style="text-align: justify;"> এবং বনূ কালব্ গোত্রের মালিকানাধীন সমস্ত ভেড়ার</div> <div style="text-align: justify;"> গায়ে যতো লোম আছে, ওই সংখ্যক</div> <div style="text-align: justify;"> মানুষকে ক্ষমা করে দেন’।” ইমাম আহমদ, ইবনে মাজাহ ও</div> <div style="text-align: justify;"> তিরমিযী বর্ণিত হাদীস; শেষোক্ত হাদীসবিদ বলেন</div> <div style="text-align: justify;"> যে তিনি শুনেছেন ইমাম বোখারী (রহ:) একে ’দুর্বল’</div> <div style="text-align: justify;"> শ্রেণীভুক্ত করেছেন, কেননা এর কতিপয়</div> <div style="text-align: justify;"> বর্ণনাকারী হাদীসটি একে অপরের কাছ</div> <div style="text-align: justify;"> থেকে সরাসরি বর্ণনা করেন নি।</div> <div style="text-align: justify;"> উম্মুল মো’মেনীন হযরত আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত,</div> <div style="text-align: justify;"> তিনি বলেন: “এক রাতে আমি রাসূলুল্লাহ (দ:)-কে বিছানায় পাই নি;</div> <div style="text-align: justify;"> (খুঁজে পেয়ে) আমার হাত তাঁর কদম মোবারকের মধ্যভাগ</div> <div style="text-align: justify;"> স্পর্শ করে, আর ওই সময় তিনি মসজিদে ছিলেন। তাঁর পবিত্র</div> <div style="text-align: justify;"> দুই পায়ের পাতা খাড়া ছিল (অর্থাৎ, সেজদায় ছিলেন)। এমতাবস্থায়</div> <div style="text-align: justify;"> তিনি বলেন, ‘আমি আপনার (আল্লাহর) শাস্তি হতে আপনারই</div> <div style="text-align: justify;"> ক্ষমার মাঝে আশ্রয় নিচ্ছি; আপনার না-রাজি হতে আপনারই</div> <div style="text-align: justify;"> রেযামন্দির আশ্রয় নিচ্ছি; আর আপনার (রুদ্ররোষ)</div> <div style="text-align: justify;"> হতে আপনারই মাঝে আশ্রয় নিচ্ছি। আপনার</div> <div style="text-align: justify;"> যেভাবে প্রশংসা প্রাপ্য, সেভাবে আমি আপনার</div> <div style="text-align: justify;"> প্রশংসা করতে অপারগ। আপনি তা-ই, যেভাবে আপনি আপনার</div> <div style="text-align: justify;"> পরিচয় দিয়েছেন’।” এই হাদীস বর্ণনা করেন ইমাম আহমদ,</div> <div style="text-align: justify;"> ইবনে মাজাহ, আবূ দাউদ, নাসাঈ ও তিরমিযী।</div> <div style="text-align: justify;"> অপর এক রওয়ায়াতে মহানবী (দ:) এরশাদ ফরমান: “মধ্য-</div> <div style="text-align: justify;"> শা’বানের রাতে জিবরীল আমীন (আ:) আবির্ভূত</div> <div style="text-align: justify;"> হয়ে আমাকে বলেন, ‘এয়া রাসূলাল্লাহ (দ:)! আপনার সে’র</div> <div style="text-align: justify;"> (মস্তক) মোবারক আসমানের দিকে উত্থিত করুন।’</div> <div style="text-align: justify;"> আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করি, এটি কোন্ রাত? তিনি জবাব দেন,</div> <div style="text-align: justify;"> ‘এটি সেই রাত যখন মহান আল্লাহতা’লা তাঁর রহমতের</div> <div style="text-align: justify;"> তিন’শটি দ্বার উম্মুক্ত করেন এবং সে সব ব্যক্তিকে মাফ</div> <div style="text-align: justify;"> করে দেন যারা তাঁর সাথে (কোনো উপাস্যকে) শরীক</div> <div style="text-align: justify;"> করে নি’।”</div> <div style="text-align: justify;"> হুযূর করীম (দ:) অন্যত্র এরশাদ ফরমান: “মধ্য-শা’বানের</div> <div style="text-align: justify;"> রাতে (শবে বরাতে) সপ্তম আসমানের</div> <div style="text-align: justify;"> দ্বারগুলো খুলে দেয়া হয়; আর</div> <div style="text-align: justify;"> প্রতিটি দ্বারে ফেরেশতারা দাঁড়িয়ে মুসলমানদের</div> <div style="text-align: justify;"> জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকেন যতোক্ষণ</div> <div style="text-align: justify;"> না প্রত্যেক মুসলমানকে মাফ করা হয়; এর ব্যতিক্রম শুধু</div> <div style="text-align: justify;"> কবীরা গুনাহ সংঘটনকারীরা।”</div> <div style="text-align: justify;"> উম্মুল মো’মেনীন হযরত আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত;</div> <div style="text-align: justify;"> তিনি বলেন: “রাসূলে পাক (দ:) এক রাতে আমার ঘরে ছিলেন;</div> <div style="text-align: justify;"> তিনি বিছানায় শুয়েছিলেন যতোক্ষণ</div> <div style="text-align: justify;"> না আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। অতঃপর তিনি শয্যা ত্যাগ করেন</div> <div style="text-align: justify;"> এবং আমি (জেগে উঠে) তাঁকে (বিছানায়) পাই নি।</div> <div style="text-align: justify;"> তাঁকে দেখতে পেলাম নামাযে; সংক্ষিপ্তভাবে দাঁড়িয়ে ও রুকু</div> <div style="text-align: justify;"> করে তিনি অত্যন্ত দীর্ঘ এক সেজদায় যান, যার</div> <div style="text-align: justify;"> ফলে অর্ধেক রাত তাতেই অতিবাহিত হয়। অতঃপর</div> <div style="text-align: justify;"> তিনি দ্বিতীয় রাকআতে উঠে দাঁড়ান এবং আবারও রুকু</div> <div style="text-align: justify;"> করে দীর্ঘ সেজদায় সময় অতিবাহিত করেন, যার দরুন প্রায়</div> <div style="text-align: justify;"> ফজরের ওয়াক্ত উপস্থিত হয়। আমার এমন আশংকা হয়</div> <div style="text-align: justify;"> যে তিনি বুঝি বেসাল (খোদার সাথে পরলোকে মিলিত)</div> <div style="text-align: justify;"> হয়েছেন। তাই আমি তাঁর মোবারক কদমে হাত রাখি, আর</div> <div style="text-align: justify;"> তিনি নড়ে ওঠেন এবং আল্লাহর প্রশংসা করেন।</div> <div style="text-align: justify;"> আমি তাঁকে বলতে শুনি, ‘এয়া আল্লাহ!</div> <div style="text-align: justify;"> আমি আপনাকে সেজদা করেছি (সারা) রাতের অন্ধকারে, আর</div> <div style="text-align: justify;"> (তাই) আমার অন্তর আপনার প্রতি পূর্ণ আস্থাশীল। অতএব,</div> <div style="text-align: justify;"> মহাপাপ (কবীরা গুনাহ) ক্ষমা করে দিন, কেননা তা মহাপ্রভু</div> <div style="text-align: justify;"> ছাড়া কেউই মাফ করতে পারে না। আমি আপনার রুদ্ররোষ</div> <div style="text-align: justify;"> থেকে আপনারই রেযামন্দির (সন্তুষ্টির) মাঝে আশ্রয় নিচ্ছি;</div> <div style="text-align: justify;"> আশ্রয় নিচ্ছি আপনার শাস্তি থেকে আপনারই ক্ষমার মাঝে;</div> <div style="text-align: justify;"> আর আপনার (রুদ্ররূপ) থেকে আপনারই মাঝে আশ্রয় নিচ্ছি।</div> <div style="text-align: justify;"> আপনি যেভাবে আপনার প্রশংসা করেছেন,</div> <div style="text-align: justify;"> আমি তা পুরোপুরিভাবে করতে অক্ষম।’ অতঃপর</div> <div style="text-align: justify;"> নামাযশেষে তিনি আমায় বলেন, ‘ওহে আয়েশা!</div> <div style="text-align: justify;"> তুমি কি জানো এটি কোন্ রাত?’ আমি বল্লাম, ‘না।’ তিনি বল্লেন,</div> <div style="text-align: justify;"> ‘মধ্য-শা’বানের রাত (শবে বরাত)। এই রাতে আল্লাহতা’লা তাঁর</div> <div style="text-align: justify;"> বান্দাদের দিকে নজর করেন এবং যারা এতে ক্ষমাপ্রার্থী হয়</div> <div style="text-align: justify;"> তাদেরকে মাফ করেন; আর যারা তাঁর করুণা প্রার্থনা করে,</div> <div style="text-align: justify;"> তাদের প্রতি তিনি নিজ করুণা বর্ষণ করেন। কিন্তু যাদের</div> <div style="text-align: justify;"> অন্তরে বিদ্বেষ আছে, তাদেরকে তিনি আগের</div> <div style="text-align: justify;"> সে অবস্থাতেই রেখে দেন’।”</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আবূ নাসর (রা:) থেকে সাইয়্যেদুনা গাউসুল আ’যম হযরত</div> <div style="text-align: justify;"> আবদুল কাদের জ্বিলানী (রহ:) তাঁর ‘গুনইয়াতুত্ তালেবীন’</div> <div style="text-align: justify;"> পুস্তকে হযরত আয়েশা (রা:)-এর কথা উদ্ধৃত করেন;</div> <div style="text-align: justify;"> তিনি বলেন: “মধ্য-শা’বানের রাতে একবার মহানবী (দ:) আমার</div> <div style="text-align: justify;"> একখানি বস্ত্র অপসারণ করেন। আল্লাহর কসম! আমার ওই</div> <div style="text-align: justify;"> বস্ত্র রেশমও ছিল না, মিহি রেশমও ছিল না; সেটি সুতোরও</div> <div style="text-align: justify;"> ছিল না, আবার সুতো ও তুলোর (মিশ্রণ)-ও ছিল না; (এমন কি)</div> <div style="text-align: justify;"> তুলোরও ছিল না।” বর্ণনাকারী (আবূ নাসর) বলেন,</div> <div style="text-align: justify;"> “আল্লাহরই প্রশংসা! তাহলে সেটি কিসের তৈরি ছিল?” হযরত</div> <div style="text-align: justify;"> আয়েশা (রা:) উত্তর দেন, “এর বনুন হয়েছিল চুল ও</div> <div style="text-align: justify;"> রেশমের সংমিশ্রণে। আমি ধারণা করেছিলাম</div> <div style="text-align: justify;"> যে তিনি হয়তো তাঁর অপর কোনো স্ত্রীর</div> <div style="text-align: justify;"> কাছে গিয়েছিলেন; তাই আমি উঠে (অন্ধকার) কক্ষে তাঁর</div> <div style="text-align: justify;"> খোঁজ করি। আমার হাত তাঁর কদম মোবারক স্পর্শ করে। ওই</div> <div style="text-align: justify;"> সময় তিনি নামাযে সেজদারত ছিলেন। আমার মনে পড়ে,</div> <div style="text-align: justify;"> তিনি দোয়া করছিলেন এই বলে: ‘(এয়া আল্লাহ), আপনার</div> <div style="text-align: justify;"> সামনে সেজদারত আমার দেহ (মোবারক) ও রূহ</div> <div style="text-align: justify;"> (মোবারক), আর আমার অন্তর রয়েছে আপনারই</div> <div style="text-align: justify;"> হেফাযতে। আমি আপনার রহমত-বরকতের শোকর-গুজার</div> <div style="text-align: justify;"> করি এবং আপনার কাছেই আমার কৃতকর্ম স্বীকার করি।</div> <div style="text-align: justify;"> আমি এস্তেগফার করি; অতএব, আমায় মাফ করে দিন!</div> <div style="text-align: justify;"> আমি আপনার শাস্তি হতে আপনারই ক্ষমার মাঝে আশ্রয় নিচ্ছি;</div> <div style="text-align: justify;"> আপনার রুদ্ররোষ হতে আপনারই করুণার মাঝে আশ্রয় নিচ্ছি।</div> <div style="text-align: justify;"> আপনার না-রাজি থেকে আপনারই রেযামন্দির মাঝে আশ্রয়</div> <div style="text-align: justify;"> নিচ্ছি। আমি আপনার (রুদ্ররূপ) হতে আপনারই মাঝে আশ্রয়</div> <div style="text-align: justify;"> নিচ্ছি। আমি আপনার প্রশংসা করতে পারি না, কেননা আপনি তা-ই,</div> <div style="text-align: justify;"> যেভাবে আপনি আপনার নিজের প্রশংসা করেছেন’।”</div> <div style="text-align: justify;"> অতঃপর মা আয়েশা (রা:) আরও বলেন, “মহানবী (দ:) নামায</div> <div style="text-align: justify;"> পড়া ক্ষান্ত দেন নি, কখনো দাঁড়িয়ে, আবার কখনো বসে,</div> <div style="text-align: justify;"> যতোক্ষণ না ভোর হয়। অতঃপর তিনি তাঁর কদম মোবারক</div> <div style="text-align: justify;"> ওপরে তোলেন এবং আমি তা টিপে দেই। আমি তাঁকে বলি,</div> <div style="text-align: justify;"> আমার বাবা ও মা আপনার জন্যে কোরবান হোন।</div> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহতা’লা কি নিশ্চয় আপনার পূর্ববর্তী ও</div> <div style="text-align: justify;"> পরবর্তী কৃতকর্ম মাফ করে দেন নি? তিনি কি আপনার</div> <div style="text-align: justify;"> ব্যাপারে দয়াশীল হন নি? তা নয় কি? তা নয় কি? এমতাবস্থায়</div> <div style="text-align: justify;"> রাসূলুল্লাহ (দ:) উত্তর দেন, ‘ওহে আয়েশা!</div> <div style="text-align: justify;"> আমি কি তাহলে কৃতজ্ঞ বান্দা হবো না? তুমি কি জানো এই</div> <div style="text-align: justify;"> রাতে কী হয়?’ আমি জিজ্ঞেস করলাম, কী হয়ে থাকে?</div> <div style="text-align: justify;"> তিনি বল্লেন, ‘এ রাতে সকল (শিশুর) জন্মের (দিন-ক্ষণ)</div> <div style="text-align: justify;"> লিখে রাখা হয়; আর সকল মৃত্যুরও। এই সন্ধিক্ষণে মনুষ্যজাতির</div> <div style="text-align: justify;"> রিযক-ও বরাদ্দ করা হয়, আর তাদের কৃতকর্মের হিসেব</div> <div style="text-align: justify;"> নেয়া হয়।’ আমি জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহর করুণা (রহমত)</div> <div style="text-align: justify;"> ছাড়া কি কেউই বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবেন না?</div> <div style="text-align: justify;"> তিনি আমায় বল্লেন, ‘কেউই আল্লাহর রহমত</div> <div style="text-align: justify;"> ছাড়া জান্নাতে যেতে পারবে না।’ অামি আবার জিজ্ঞেস</div> <div style="text-align: justify;"> করলাম, এমন কি আপনিও পারবেন না? বিশ্বনবী (দ:) উত্তর</div> <div style="text-align: justify;"> দিলেন, ‘না, এমন কি আমিও না, যতোক্ষণ না আল্লাহতা’লার</div> <div style="text-align: justify;"> রহমত আমাকে পরিবেষ্টন করছে।’ এরপর তিনি নিজ মস্তক ও</div> <div style="text-align: justify;"> চেহারা মোবারকে তাঁর হাত মোবারক বুলান।” [অনুবাদকের</div> <div style="text-align: justify;"> নোট: মহানবী (দ:)-এর উদ্ধৃত ‘কৃতকর্ম’</div> <div style="text-align: justify;"> শব্দটি দ্বারা তিনি আমাদেরকে আল্লাহর কাছে মাফ</div> <div style="text-align: justify;"> চাইতে শিক্ষা দিয়েছেন। কেননা, ইসলামী আকীদা-বিশ্বাস</div> <div style="text-align: justify;"> হলো, আম্বিয়া (আ:)-বৃন্দ বে-গুনাহ। বিশ্বনবী (দ:)-এর</div> <div style="text-align: justify;"> ‘এস্তেগফার’ করার মানে উম্মতের জন্যে সুপারিশ ছাড়া কিছু</div> <div style="text-align: justify;"> নয় (সূরা নিসা, ৬৪)।]</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আয়েশা (রা:) অন্যত্র বর্ণনা নবী করীম (দ:)-এর</div> <div style="text-align: justify;"> হাদীস, যিনি বলেন: “মধ্য-শা’বানের রাতে আল্লাহ তাঁর</div> <div style="text-align: justify;"> বান্দাদের প্রতি নজর করেন</div> <div style="text-align: justify;"> এবং ক্ষমাপ্রার্থীদেরকে ক্ষমা করেন; আর</div> <div style="text-align: justify;"> যারা অন্তরে বিদ্বেষভাব পোষণ করে, তাদেরকে সেই</div> <div style="text-align: justify;"> অবস্থাতেই ছেড়ে দেন।” [আত্ তাবারানী কৃত ‘কবীর’</div> <div style="text-align: justify;"> পুস্তক]</div> <div style="text-align: justify;"> হাদীস ব্যাখ্যাকারীগণ বলেন যে বনূ কালব্ ওই সময়</div> <div style="text-align: justify;"> সবচেয়ে বড় গোত্র ছিল এবং এর সদস্যদের বড় বড়</div> <div style="text-align: justify;"> ভেড়ার পাল ছিল। অতএব, এই হাদীসে শেষ</div> <div style="text-align: justify;"> বাক্যটি ইশারা করে যে মহান আল্লাহ পাক ওই রাতে অসংখ্য</div> <div style="text-align: justify;"> মানুষকে মাফ করে থাকেন।</div> <div style="text-align: justify;"> রাসূলে খোদা (দ:) এরশাদ ফরমান, “মধ্য-শা’বানের</div> <div style="text-align: justify;"> রাতে আল্লাহতা’লা তাঁর বান্দাদের দিকে তাকান এবং এবাদত-</div> <div style="text-align: justify;"> বন্দেগীতে রত বান্দাদেরকে ক্ষমা করেন; তবে দুই</div> <div style="text-align: justify;"> ধরনের লোককে তিনি ক্ষমা করেন না: ১/</div> <div style="text-align: justify;"> অন্তরে বিদ্বেষভাব পোষণকারী এবং ২/ খুনী।” [ইমাম</div> <div style="text-align: justify;"> আহমদ ইবনে হাম্বল প্রণীত ‘মুসনাদ’ ও আত্ তিরমিযী]</div> <div style="text-align: justify;"> শবে বরাতে আল্লাহতা’লা তাঁর বান্দাদের প্রতি কৃপাদৃষ্টি করেন</div> <div style="text-align: justify;"> ও মো’মেন তথা বিশ্বাসীদেরকে ক্ষমা করেন; আর</div> <div style="text-align: justify;"> অবিশ্বাসীদেরকে শাস্তি প্রদানে নিবৃত্তি দেন,</div> <div style="text-align: justify;"> এবং যারা বিদ্বেষভাব পোষণ করে তাদেরকে নিজ নিজ</div> <div style="text-align: justify;"> বিদ্বেষের আবর্তে ছেড়ে দেন, যতোক্ষণ না তারা তাঁর</div> <div style="text-align: justify;"> কাছে ক্ষমা চায়।</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আবূ বকর (রা:) বর্ণনা করেন, “মধ্য-শা’বানের</div> <div style="text-align: justify;"> রাতে আল্লাহ পাক পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন</div> <div style="text-align: justify;"> এবং প্রত্যেক মো’মেন (বিশ্বাসী)</div> <div style="text-align: justify;"> মুসলমানকে ক্ষমা করেন; এর ব্যতিক্রম শুধু পিতা-মাতার অবাধ্য</div> <div style="text-align: justify;"> সন্তান (আল-’আক্ক) ও যার অন্তরে বিদ্বেষভাব আছে</div> <div style="text-align: justify;"> ।” [বায়হাকী তাঁর কৃত ‘শুআব’, ইবনে খুযায়মা (রা:) ও</div> <div style="text-align: justify;"> ইবনে হিব্বান (রা:)]</div> <div style="text-align: justify;"> আল-কাসিম ইবনে মোহাম্মদ ইবনে আবি বকর সিদ্দিক (রহ:)</div> <div style="text-align: justify;"> তাঁর পিতা হতে, তিনি তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন যে তাঁর পিতামহ</div> <div style="text-align: justify;"> বলেন: “আল্লাহতা’লা মধ্য-শা’বানের রাতে তাঁর সকল সৃষ্টির</div> <div style="text-align: justify;"> প্রতি কৃপাদৃষ্টি করেন এবং সবাইকে ক্ষমা করে দেন; ব্যতিক্রম</div> <div style="text-align: justify;"> শুধু যারা আল্লাহর সাথে শরীক করে এবং যাদের</div> <div style="text-align: justify;"> অন্তরে বিদ্বেষভাব আছে।” [ইবনে যানজুউইয়ীয়্যা, আদ্</div> <div style="text-align: justify;"> দারু কুতনী কৃত ’সুনান’, ইবনে আদী প্রণীত ‘কামিল’</div> <div style="text-align: justify;"> এবং আল-বায়হাকী রচিত ‘শুয়াবুল ঈমান’ গ্রন্থে উদ্ধৃত]</div> <div style="text-align: justify;"> রাসূলে খোদা (দ:) এরশাদ ফরমান, “শবে বরাতের</div> <div style="text-align: justify;"> রাতে আমাদের প্রভু খোদাতা’লা পৃথিবীর</div> <div style="text-align: justify;"> আকাশে নেমে আসেন এবং দুনিয়াবাসীকে মাফ করেন;</div> <div style="text-align: justify;"> ব্যতিক্রম কেবল মূর্তি পূজারী ব্যক্তিবর্গ ও</div> <div style="text-align: justify;"> অন্তরে বিদ্বেষভাব</div> <div style="text-align: justify;"> লালনকারী লোকেরা।” [ইবনে মূসা হতে ইবনে</div> <div style="text-align: justify;"> যানজুউইয়ীয়্যা বর্ণিত]</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত মুয়ায (রা:) মহানবী (দ:)-এর কথা বর্ণনা করেন;</div> <div style="text-align: justify;"> তিনি বলেন: “আল্লাহ পাক শবে বরাতে তাঁর সৃষ্টিকুলের</div> <div style="text-align: justify;"> প্রতি রহমতের নযর বিস্তৃত করেন এবং সবাইকে মাফ করেন;</div> <div style="text-align: justify;"> মাফ করেন না শুধু মুশরিক (মূর্তি পূজারী) ও অন্তরে বিদ্বেষ</div> <div style="text-align: justify;"> পোষণকারী ব্যক্তিবর্গকে।” [ইবনে হিব্বান (১২:৪৮১</div> <div style="text-align: justify;"> #৫৬৬৫), আল-আরনাওত এই এসনাদকে সহীহ বলেছেন;</div> <div style="text-align: justify;"> আত্ তাবারানী, আল-হায়তামী যার সনদকে সহীহ</div> <div style="text-align: justify;"> বলেছেন; আল-বায়হাকী কৃত ‘শুয়াবুল ঈমান’</div> <div style="text-align: justify;"> এবং ইবনে আসাকিরও এই হাদীস বর্ণনা করেন]</div> <div style="text-align: justify;"> রাসূলে পাক (দ:) এরশাদ ফরমান: “নিশ্চয় আমাদের প্রভু</div> <div style="text-align: justify;"> শবে বরাতে উদিত হন এবং সৃষ্টিকুলকে ক্ষমা করেন;</div> <div style="text-align: justify;"> ব্যতিক্রম শুধু মূর্তি পূজারী ও অন্তরে বিদ্বেষ</div> <div style="text-align: justify;"> পোষণকারী ব্যক্তিবর্গ।” [ইবনে মাজাহ ও ইবনে মনসূর</div> <div style="text-align: justify;"> নিজ ‘সুনান’ পুস্তকে]</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh5hXcel4IMKSkEWw9uoMU6hRDx1A6YpUBpGdMIXNE-QviaudCLN5ejh13G8QOvjf-GTed_Nue-62pPYogf4TWYfzH1EbTJLMyFknwZk2PJ3BkmFKoOYsc7E8ZHm7YIPoS0Mqs_hqR84yp5/s1600/Shab-e-Barat-Merits-Dos-and-Donts.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="335" data-original-width="570" height="188" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh5hXcel4IMKSkEWw9uoMU6hRDx1A6YpUBpGdMIXNE-QviaudCLN5ejh13G8QOvjf-GTed_Nue-62pPYogf4TWYfzH1EbTJLMyFknwZk2PJ3BkmFKoOYsc7E8ZHm7YIPoS0Mqs_hqR84yp5/s320-rw/Shab-e-Barat-Merits-Dos-and-Donts.jpg" width="320" /></a></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> মহানবী (দ:) এরশাদ ফরমান: “মহান আল্লাহ পাক</div> <div style="text-align: justify;"> শবে বরাতে তাঁর সৃষ্টিকুলের প্রতি নজর করেন এবং সকল</div> <div style="text-align: justify;"> সৃষ্টিকে মাফ করেন; মাফ করেন না শুধু মূর্তি পূজারী ও</div> <div style="text-align: justify;"> অন্তরে বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যক্তিদের।” [আল-</div> <div style="text-align: justify;"> বায়হাকী কৃত ‘শুয়াবুল ঈমান’]</div> <div style="text-align: justify;"> শবে বরাতে আল্লাহতা’লা যমদূত আজরাঈলের কাছে ওই বছর</div> <div style="text-align: justify;"> যাদের জীবনাবসান চান, তাদের তালিকা প্রকাশ করেন।</div> <div style="text-align: justify;"> [রশীদ ইবনে সা’আদ হতে আদ্ দায়নূরী নিজ ‘আল-মাজালিসা’</div> <div style="text-align: justify;"> গ্রন্থে (মুরসালান)]</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত উসমান ইবনে আবি আল-’আস হতে ইমাম বায়হাকী তাঁর</div> <div style="text-align: justify;"> ‘শুয়াবুল ঈমান’ গ্রন্থে বর্ণনা করেন</div> <div style="text-align: justify;"> যে শবে বরাতে আল্লাহ পাক ডেকে বলেন:</div> <div style="text-align: justify;"> “ক্ষমাপ্রার্থী কেউ আছ কি, যাকে আমি মাফ করতে পারি?</div> <div style="text-align: justify;"> আমার কাছে কোনো কিছূ প্রার্থী কেউ আছ কি,</div> <div style="text-align: justify;"> যাকে আমি তা মঞ্জুর করতে পারি?” ফলে যার যা প্রার্থনা,</div> <div style="text-align: justify;"> তা তিনি মঞ্জুর করেন; কিন্তু এর ব্যতিক্রম</div> <div style="text-align: justify;"> হলো দুরাচারে লিপ্ত ব্যভিচারিনী এবং মূর্তি পূজারী।</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আয়েশা (রা:) বর্ণনা করেন মহানবী (দ:)-এর হাদীস;</div> <div style="text-align: justify;"> তিনি এরশাদ ফরমান: “মহান আল্লাহতা’লা মধ্য-শা’বানের</div> <div style="text-align: justify;"> রাতে পৃথিবীর আকাশে অবতীর্ণ হন এবং বনূ কালব্</div> <div style="text-align: justify;"> গোত্রের মালিকানাধীন ভেড়ার পালের সমস্ত ভেড়ার</div> <div style="text-align: justify;"> লোমের চেয়েও বেশি সংখ্যক</div> <div style="text-align: justify;"> মানুষকে ক্ষমা করেন।” [সাঈদ ইবনে মনসূর প্রণীত ‘সুনান’</div> <div style="text-align: justify;"> দ্রষ্টব্য]</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আয়েশা (রা:) বর্ণনা করেন রাসূলে খোদা (দ:)-এর</div> <div style="text-align: justify;"> বাণী: “শবে বরাতে আল্লাহতা’লা বণূ কালব্ গোত্রের</div> <div style="text-align: justify;"> সমস্ত ভেড়ার লোমের সমপরিমাণ গুনাহ মাফ</div> <div style="text-align: justify;"> করেন।” [বায়হাকী কৃত ‘শুয়াবুল ঈমান’]</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত আয়েশা হুযূর পূর নূর (দ:)-কে উদ্ধৃত করেন,</div> <div style="text-align: justify;"> যিনি বলেন: “ওহে আয়েশা! তুমি কি ভেবেছ আল্লাহ ও তাঁর</div> <div style="text-align: justify;"> রাসূল (দ:) তোমার প্রতি অন্যায্য আচরণ করবেন? বরঞ্চ</div> <div style="text-align: justify;"> জিবরীল আমীন আমার কাছে এসে বল্লেন, ‘এটি-ই মধ্য-</div> <div style="text-align: justify;"> শা’বানের রাত। আল্লাহতা’লা এ রাতে বনূ কালব্ গোত্রের</div> <div style="text-align: justify;"> সমস্ত ভেড়ার লোমের সমসংখ্যক মানুষকে জাহান্নামের</div> <div style="text-align: justify;"> আগুন থেকে মুক্ত করে দেন। কিন্তু তিনি মাফ করেন</div> <div style="text-align: justify;"> না মূর্তি পূজারীদের কিংবা অন্যদের</div> <div style="text-align: justify;"> প্রতি অন্তরে বিদ্বেষভাব পোষণকারীদের;</div> <div style="text-align: justify;"> অথবা আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারীদেরও; অথবা পায়ের</div> <div style="text-align: justify;"> গোড়ালির নিচে বস্ত্র পরিধানকারীদেরও (যারা অর্থ-</div> <div style="text-align: justify;"> বিত্তের দম্ভের প্রতীকস্বরূপ তা পরে); কিংবা পিতা-মাতার</div> <div style="text-align: justify;"> অবাধ্য সন্তানদেরও; অথবা মদ্যপায়ীদেরও।” [বায়হাকী রচিত</div> <div style="text-align: justify;"> ‘শুয়াবুল ঈমান’]</div> <div style="text-align: justify;"> এ যাবত যতো হাদীস ও রওয়ায়াত উদ্ধৃত হয়েছে,</div> <div style="text-align: justify;"> সেগুলো একত্র করলে স্পষ্ট</div> <div style="text-align: justify;"> হয়ে যাবে যে শবে বরাতের ফযীলত তথা ইহ ও পারলৌকিক</div> <div style="text-align: justify;"> উপকারিতার ভিত্তি সুদৃঢ়; আর এই পবিত্র রাত এবাদত-</div> <div style="text-align: justify;"> বন্দেগীতে কাটানোর সুস্পষ্ট ইঙ্গিতও বিদ্যমান। বস্তুতঃ এ</div> <div style="text-align: justify;"> সব হাদীদের কিছু কিছুকে বেশ কিছু হাদীসবিদ সহীহ</div> <div style="text-align: justify;"> (বিশুদ্ধ) হিসেবে বিবেচনা করেছেন, আর</div> <div style="text-align: justify;"> বাকিগুলোতে ছোটখাটো পরিভাষাগত</div> <div style="text-align: justify;"> ত্রুটি রয়েছে বলে তাঁরা মনে করেছেন; এই পরিভাষাগত</div> <div style="text-align: justify;"> ত্রুটি হাদীসশাস্ত্র অনুযায়ী বিভিন্ন বর্ণনার</div> <div style="text-align: justify;"> সমন্বয়ে সারানো যায়। এ কারণেই এই উম্মাহ’র</div> <div style="text-align: justify;"> বুযূর্গানে দ্বীনবৃন্দ শবে বরাতকে রহমত-বরকতময়</div> <div style="text-align: justify;"> রজনী হিসেবে এবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে পালন</div> <div style="text-align: justify;"> করেছেন যুগে যুগে।</div> <div style="text-align: justify;"> শবে বরাতের দোয়া</div> <div style="text-align: justify;"> মাহমূদ আলূসী নিজ তাফসীরগ্রন্থে ইবনে আবি শায়বা কৃত</div> <div style="text-align: justify;"> ‘মোসান্নাফ’ পুস্তক হতে হযরত ইবনে মাসউদ (রা:)-এর</div> <div style="text-align: justify;"> কথা উদ্ধৃত করেন, যিনি বলেন, “বান্দা আল্লাহর কাছে (নিচের)</div> <div style="text-align: justify;"> এই দোয়া করলে তিনি তার জীবন-জীবিকা বৃদ্ধি করে দেন:</div> <div style="text-align: justify;"> হে আল্লাহ! অফুরন্ত রহমত-বরকতের অধিকারী!</div> <div style="text-align: justify;"> হে সর্বোচ্চ শান-শওকত, সম্মান ও ক্ষমতার মালিক!</div> <div style="text-align: justify;"> আপনি ভিন্ন অন্য কোনো খোদা নেই। আপনি-ই</div> <div style="text-align: justify;"> আশ্রয়হীনদের আশ্রয় এবং নৈকট্য অন্বেষীদের</div> <div style="text-align: justify;"> প্রতিবেশী (নিকটবর্তী); মুত্তাকী (খোদাভীরু)-দের</div> <div style="text-align: justify;"> অভিভাবক। এয়া আল্লাহ! আপনি যদি আপনার মূল লিপিতে আমার</div> <div style="text-align: justify;"> দুর্দশা ভারাক্রান্ত হবার বিষয়টি নির্ধারণ করে থাকেন,</div> <div style="text-align: justify;"> তবে তা অপসারণ করুন এবং আমাকে সুখ-সমৃদ্ধি দান করুন।</div> <div style="text-align: justify;"> হে আমার প্রভু! আপনি যদি আপনার কেতাবে আমার</div> <div style="text-align: justify;"> জন্যে আপনার রহমত (আশীর্বাদ) বাদ দেয়ার</div> <div style="text-align: justify;"> কথা লিখে রাখেন, তবে তা মুছে দিন এবং আমার রিযক আমার</div> <div style="text-align: justify;"> জন্যে সহজ করে দিন; আপনার দরবারে আমাকে সুখী,</div> <div style="text-align: justify;"> সৎকর্মশীল ও সমৃদ্ধিশালী করে দিন। কেননা,</div> <div style="text-align: justify;"> আপনি আপনার পাক কালামে এরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ যা চান</div> <div style="text-align: justify;"> নিশ্চিহ্ন করেন এবং প্রতিষ্ঠিত করেন; এবং মূল লিপি তাঁরই</div> <div style="text-align: justify;"> কাছে রয়েছে’।” (আল-কুরআন, ১৩:৩৯, মুফতী আহমদ</div> <div style="text-align: justify;"> এয়ার খান সাহেব কৃত ’নূরুল এরফান’)</div> <div style="text-align: justify;"> আবদ ইবনে হুমাইদ এবং অন্যান্যরা বর্ণনা করেন যে হযরত</div> <div style="text-align: justify;"> উমর ফারুক (রা:) কাবা শরীফের তাওয়াফকালে দোয়া করেন:</div> <div style="text-align: justify;"> “এয়া আল্লাহ! যদি আপনি লিখে রাখেন</div> <div style="text-align: justify;"> আমি দুঃখী বা পাপী হবো, তবে তা (পরিণতি) মুছে দিন</div> <div style="text-align: justify;"> এবং আমার ভাগ্যে সুখ-সমৃদ্ধি ও গুনাহ মাফের বিষয়টি লিখুন।</div> <div style="text-align: justify;"> কেননা, আপনি যা চান নিশ্চিহ্ন করেন এবং প্রতিষ্ঠিত করেন, আর</div> <div style="text-align: justify;"> আপনার কাছেই রয়েছে মূল লিপি।”</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত সাঈদ ইবনে জুবাইর (রা:) ও হযরত মোজাহিদ (রা:)-এর</div> <div style="text-align: justify;"> তরীকা (পদ্ধতি) অনুসারে ইবনে জারির তাবারীর বর্ণনায়</div> <div style="text-align: justify;"> এবং অন্যান্য রওয়ায়াত ও আল-এয়াফী’ হতে ‘আল-এবদা’আ’</div> <div style="text-align: justify;"> পুস্তকের লেখকের বিবরণে জানা যায়,</div> <div style="text-align: justify;"> শবে বরাতে প্রথমে যে দোয়া করা হয় তা হলো –</div> <div style="text-align: justify;"> ‘এয়া আল্লাহ, অফুরন্ত রহমত-বরকতের মালিক!’</div> <div style="text-align: justify;"> সমাপ্ত</div> </div>

মাহে শাবানের ফযীলত

ইমাম গাযযালী (রহ:) তাঁর ‘এহইয়ায়ে উলূম আল-দ্বীন’ গ্রন্থে লিখেছেন, “মধ্য-শা’বান (মাস)-এর রাতে (অর্থাৎ, শবে বরাতে) ১০০ রাকআত (নফল) নামায ...

Read more »