দ্বঈফ বা দুর্বল সনদের হাদিসকে অবহেলা করার পরিণতি

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />নবীর হাদিসকে দ্বঈফ হাদিস বললে ঈমান থাকবে না, হ্যাঁ, তবে রাবির কারণে সনদ সহিহ,হাসান,দ্বঈফ হতে পারে।তাই বলতে হবে সনদ দ্বঈফ ;হাদিস নয়।বর্তমানে আহলে হাদিসগন দ্বঈফ সনদের হাদিসকে হাদিস হিসেবে মানতেই চাইনা অথচ দ্বঈফও রাসুল ﷺ এর হাদিস।তবে রাবি শক্তিশালী, দুর্বল হওয়া নিয়ে মতানৈক্য থাকতে পারে।তাই দ্বঈফ সনদকে হাদিস নয় বলা যাবেনা।আর আমি নিম্নে সনদকে অবহেলার শাস্তির কিছু ঘটনা উল্লেখ করা হল।<br /><br />এক হাদিসে বর্নিত- আছে,<br />“যে ব্যক্তি বুধবার কিংবা শনিবার নিজ শরীরে শিঙ্গা প্রয়োগ করে দুষিত রক্ত অপসারণ করবে, তার শরীরে কুষ্ট রোগ হবে।আর সে তখন নিজেকে দোষারোপ করবে।”<br /><br />ইমাম ইবনে আসাকির রহঃ বর্ননা করেন,<br />“ইমাম ইবনে আসাকির রহঃ হাফিজ রাযী আলী ইবনে মিহরান ইবনে হারুন থেকে স্বীয় ‘তারিখে দামেস্ক ‘এ বর্ননা করেছেন।তিনি বলেন,আমি হযরত আবু মুঈন হুসাইন ইবনে হাসান তাবরীকে বলতে শুনেছি,তিনি বলেন-আমি একবার শনিবার শিঙ্গা লাগাতে মনস্থ করেছি।সুতারাং আমি আমার ক্রিতদাসকে হাজ্জাম(ক্ষৌরকার) কে শিঙ্গা লাগানোর জন্য ডাকতে নির্দশ দিলাম।ক্রিতদাস তাকে ডাকতে চলে যাবার এবং বুধবার আমার মনে পড়ল নবী করীমﷺ ওই হাদিস যাতে শনিবার শিঙ্গা লাগালে শ্বেত রোগ হবে বলে বর্নিত আছে।তারপর কিছু চিন্তা ভাবনা করলাম করে বললাম,এ হাদিসের সনদের মধ্যে তো কিছু দুর্বলতা আছে।শেষ পর্যন্ত আমি শিঙ্গা প্রয়োগ করলাম।ফলে আমার শ্বেত রোগ হয়ে গেল।অতঃপর স্বপ্নযোগে নবী করীম ﷺ এর সাথে সাক্ষাত হল।তখন আমি স্বীয় অবস্থা সম্পর্কে হুযুর( দঃ)এর মহান দরবারে ফরিয়াদ করলাম।রসুলে পাকﷺ   ইরশাদ করেন, সাবধান! আমার হাদিসকে তুচ্ছ জ্ঞান করবেনা।অতঃপর আমি আল্লাহর ওয়াস্তে মান্নত করলাম,আল্লাহ পাক যদি আমার শ্বেত রোগ থেকে মুক্তি দেন, তবে আমি আর কখনো নবী করীমﷺ এর হাদিসকে তুচ্ছ জ্ঞান করব না,ওই হাদিস অনুযায়ী সহিহ হোক, কিংবা দ্বঈফ হোক। সুতারাং আল্লাহ পাক আমার শ্বেত রোগ থেকে মুক্তি দান করলেন।[ইমাম ইবনে আসাকিরঃ তারিখে দামেস্ক, ১/৭৫পৃঃ ]<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjPAkOnnsl8TRn3_4rbxbClpc1lQGPiGYyEZG6zlMz_4g54ES27SJBwuOAYp9nPHn5hBLLC3tvzEmPtAPUnMYGPEBF9qDtPuhV_9b7YDJJgcTczPB9V7bwIKpwVjse9qf4r9NaoRe0Zh8ed/s1600/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="266" data-original-width="590" height="144" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjPAkOnnsl8TRn3_4rbxbClpc1lQGPiGYyEZG6zlMz_4g54ES27SJBwuOAYp9nPHn5hBLLC3tvzEmPtAPUnMYGPEBF9qDtPuhV_9b7YDJJgcTczPB9V7bwIKpwVjse9qf4r9NaoRe0Zh8ed/s320-rw/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" width="320" /></a></div><br /></div>

দ্বঈফ বা দুর্বল সনদের হাদিসকে অবহেলা করার পরিণতি

নবীর হাদিসকে দ্বঈফ হাদিস বললে ঈমান থাকবে না, হ্যাঁ, তবে রাবির কারণে সনদ সহিহ,হাসান,দ্বঈফ হতে পারে।তাই বলতে হবে সনদ দ্বঈফ ;হাদিস নয়।বর্তমানে ...

Read more »

দ্বঈফ বা দুর্বল সনদের হাদিসকে অবহেলা করার পরিণতি

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> নবীর হাদিসকে দ্বঈফ হাদিস বললে ঈমান থাকবে না, হ্যাঁ, তবে রাবির কারণে সনদ সহিহ,হাসান,দ্বঈফ হতে পারে।তাই বলতে হবে সনদ দ্বঈফ ;হাদিস নয়।বর্তমানে আহলে হাদিসগন দ্বঈফ সনদের হাদিসকে হাদিস হিসেবে মানতেই চাইনা অথচ দ্বঈফও রাসুল ﷺ এর হাদিস।তবে রাবি শক্তিশালী, দুর্বল হওয়া নিয়ে মতানৈক্য থাকতে পারে।তাই দ্বঈফ সনদকে হাদিস নয় বলা যাবেনা।আর আমি নিম্নে সনদকে অবহেলার শাস্তির কিছু ঘটনা উল্লেখ করা হল।<br /> <br /> এক হাদিসে বর্নিত- আছে,<br /> “যে ব্যক্তি বুধবার কিংবা শনিবার নিজ শরীরে শিঙ্গা প্রয়োগ করে দুষিত রক্ত অপসারণ করবে, তার শরীরে কুষ্ট রোগ হবে।আর সে তখন নিজেকে দোষারোপ করবে।”<br /> <br /> ইমাম ইবনে আসাকির রহঃ বর্ননা করেন,<br /> “ইমাম ইবনে আসাকির রহঃ হাফিজ রাযী আলী ইবনে মিহরান ইবনে হারুন থেকে স্বীয় ‘তারিখে দামেস্ক ‘এ বর্ননা করেছেন।তিনি বলেন,আমি হযরত আবু মুঈন হুসাইন ইবনে হাসান তাবরীকে বলতে শুনেছি,তিনি বলেন-আমি একবার শনিবার শিঙ্গা লাগাতে মনস্থ করেছি।সুতারাং আমি আমার ক্রিতদাসকে হাজ্জাম(ক্ষৌরকার) কে শিঙ্গা লাগানোর জন্য ডাকতে নির্দশ দিলাম।ক্রিতদাস তাকে ডাকতে চলে যাবার এবং বুধবার আমার মনে পড়ল নবী করীমﷺ ওই হাদিস যাতে শনিবার শিঙ্গা লাগালে শ্বেত রোগ হবে বলে বর্নিত আছে।তারপর কিছু চিন্তা ভাবনা করলাম করে বললাম,এ হাদিসের সনদের মধ্যে তো কিছু দুর্বলতা আছে।শেষ পর্যন্ত আমি শিঙ্গা প্রয়োগ করলাম।ফলে আমার শ্বেত রোগ হয়ে গেল।অতঃপর স্বপ্নযোগে নবী করীম ﷺ এর সাথে সাক্ষাত হল।তখন আমি স্বীয় অবস্থা সম্পর্কে হুযুর( দঃ)এর মহান দরবারে ফরিয়াদ করলাম।রসুলে পাকﷺ   ইরশাদ করেন, সাবধান! আমার হাদিসকে তুচ্ছ জ্ঞান করবেনা।অতঃপর আমি আল্লাহর ওয়াস্তে মান্নত করলাম,আল্লাহ পাক যদি আমার শ্বেত রোগ থেকে মুক্তি দেন, তবে আমি আর কখনো নবী করীমﷺ এর হাদিসকে তুচ্ছ জ্ঞান করব না,ওই হাদিস অনুযায়ী সহিহ হোক, কিংবা দ্বঈফ হোক। সুতারাং আল্লাহ পাক আমার শ্বেত রোগ থেকে মুক্তি দান করলেন।[ইমাম ইবনে আসাকিরঃ তারিখে দামেস্ক, ১/৭৫পৃঃ ]<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEisjAdFaUT-3jCnkqg-9p1tJ91GX3KxaE_pghH2L7v2pQ_1WTf0w4TEtWzmJJxuMnGjNliEWbUl2IUiG9hTfcHo-CGSRMcXU1ZIWGVhtJ64MuWQauvjAdrPU1ykJn1ae8YCWkrdqE-MxKMC/s1600/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="266" data-original-width="590" height="144" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEisjAdFaUT-3jCnkqg-9p1tJ91GX3KxaE_pghH2L7v2pQ_1WTf0w4TEtWzmJJxuMnGjNliEWbUl2IUiG9hTfcHo-CGSRMcXU1ZIWGVhtJ64MuWQauvjAdrPU1ykJn1ae8YCWkrdqE-MxKMC/s320-rw/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" width="320" /></a></div> <br /></div>

দ্বঈফ বা দুর্বল সনদের হাদিসকে অবহেলা করার পরিণতি

নবীর হাদিসকে দ্বঈফ হাদিস বললে ঈমান থাকবে না, হ্যাঁ, তবে রাবির কারণে সনদ সহিহ,হাসান,দ্বঈফ হতে পারে।তাই বলতে হবে সনদ দ্বঈফ ;হাদিস নয়।বর্তমান...

Read more »

দ্বঈফ বা দুর্বল সনদের হাদিসকে অবহেলা করার পরিণতি

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br /><br /><br />নবীর হাদিসকে দ্বঈফ হাদিস বললে ঈমান থাকবে না, হ্যাঁ, তবে রাবির কারণে সনদ সহিহ,হাসান,দ্বঈফ হতে পারে।তাই বলতে হবে সনদ দ্বঈফ ;হাদিস নয়।বর্তমানে আহলে হাদিসগন দ্বঈফ সনদের হাদিসকে হাদিস হিসেবে মানতেই চাইনা অথচ দ্বঈফও রাসুল ﷺ এর হাদিস।তবে রাবি শক্তিশালী, দুর্বল হওয়া নিয়ে মতানৈক্য থাকতে পারে।তাই দ্বঈফ সনদকে হাদিস নয় বলা যাবেনা।আর আমি নিম্নে সনদকে অবহেলার শাস্তির কিছু ঘটনা উল্লেখ করা হল।<br /><br /><br /><br />এক হাদিসে বর্নিত- আছে,<br /><br />“যে ব্যক্তি বুধবার কিংবা শনিবার নিজ শরীরে শিঙ্গা প্রয়োগ করে দুষিত রক্ত অপসারণ করবে, তার শরীরে কুষ্ট রোগ হবে।আর সে তখন নিজেকে দোষারোপ করবে।”<br /><br /><br /><br />ইমাম ইবনে আসাকির রহঃ বর্ননা করেন,<br /><br />“ইমাম ইবনে আসাকির রহঃ হাফিজ রাযী আলী ইবনে মিহরান ইবনে হারুন থেকে স্বীয় ‘তারিখে দামেস্ক ‘এ বর্ননা করেছেন।তিনি বলেন,আমি হযরত আবু মুঈন হুসাইন ইবনে হাসান তাবরীকে বলতে শুনেছি,তিনি বলেন-আমি একবার শনিবার শিঙ্গা লাগাতে মনস্থ করেছি।সুতারাং আমি আমার ক্রিতদাসকে হাজ্জাম(ক্ষৌরকার) কে শিঙ্গা লাগানোর জন্য ডাকতে নির্দশ দিলাম।ক্রিতদাস তাকে ডাকতে চলে যাবার এবং বুধবার আমার মনে পড়ল নবী করীমﷺ ওই হাদিস যাতে শনিবার শিঙ্গা লাগালে শ্বেত রোগ হবে বলে বর্নিত আছে।তারপর কিছু চিন্তা ভাবনা করলাম করে বললাম,এ হাদিসের সনদের মধ্যে তো কিছু দুর্বলতা আছে।শেষ পর্যন্ত আমি শিঙ্গা প্রয়োগ করলাম।ফলে আমার শ্বেত রোগ হয়ে গেল।অতঃপর স্বপ্নযোগে নবী করীম ﷺ এর সাথে সাক্ষাত হল।তখন আমি স্বীয় অবস্থা সম্পর্কে হুযুর( দঃ)এর মহান দরবারে ফরিয়াদ করলাম।রসুলে পাকﷺ   ইরশাদ করেন, সাবধান! আমার হাদিসকে তুচ্ছ জ্ঞান করবেনা।অতঃপর আমি আল্লাহর ওয়াস্তে মান্নত করলাম,আল্লাহ পাক যদি আমার শ্বেত রোগ থেকে মুক্তি দেন, তবে আমি আর কখনো নবী করীমﷺ এর হাদিসকে তুচ্ছ জ্ঞান করব না,ওই হাদিস অনুযায়ী সহিহ হোক, কিংবা দ্বঈফ হোক। সুতারাং আল্লাহ পাক আমার শ্বেত রোগ থেকে মুক্তি দান করলেন।[ইমাম ইবনে আসাকিরঃ তারিখে দামেস্ক, ১/৭৫পৃঃ ]<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiW371MpZH5LVhn20tvo_DNY9L6OS6uBbYpjT7eZ4umExUQTpNEXSX1-tJesTEchiTYC9tYd3KfiqW2FkdIrudkvJDrnmnBUQHMJ0CkD-a0Zl8rd8wfTMOxXshnirJPzOzKJ3bjNP08vCFW/s1600/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="266" data-original-width="590" height="144" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiW371MpZH5LVhn20tvo_DNY9L6OS6uBbYpjT7eZ4umExUQTpNEXSX1-tJesTEchiTYC9tYd3KfiqW2FkdIrudkvJDrnmnBUQHMJ0CkD-a0Zl8rd8wfTMOxXshnirJPzOzKJ3bjNP08vCFW/s320-rw/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" width="320" /></a></div><br /><br /></div><br />

দ্বঈফ বা দুর্বল সনদের হাদিসকে অবহেলা করার পরিণতি

নবীর হাদিসকে দ্বঈফ হাদিস বললে ঈমান থাকবে না, হ্যাঁ, তবে রাবির কারণে সনদ সহিহ,হাসান,দ্বঈফ হতে পারে।তাই বলতে হবে সনদ দ্বঈফ ;হাদিস নয়।বর্তমানে ...

Read more »

দ্বঈফ বা দুর্বল সনদের হাদিসকে অবহেলা করার পরিণতি

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />নবীর হাদিসকে দ্বঈফ হাদিস বললে ঈমান থাকবে না, হ্যাঁ, তবে রাবির কারণে সনদ সহিহ,হাসান,দ্বঈফ হতে পারে।তাই বলতে হবে সনদ দ্বঈফ ;হাদিস নয়।বর্তমানে আহলে হাদিসগন দ্বঈফ সনদের হাদিসকে হাদিস হিসেবে মানতেই চাইনা অথচ দ্বঈফও রাসুল ﷺ এর হাদিস।তবে রাবি শক্তিশালী, দুর্বল হওয়া নিয়ে মতানৈক্য থাকতে পারে।তাই দ্বঈফ সনদকে হাদিস নয় বলা যাবেনা।আর আমি নিম্নে সনদকে অবহেলার শাস্তির কিছু ঘটনা উল্লেখ করা হল।<br /><br />এক হাদিসে বর্নিত- আছে,<br />“যে ব্যক্তি বুধবার কিংবা শনিবার নিজ শরীরে শিঙ্গা প্রয়োগ করে দুষিত রক্ত অপসারণ করবে, তার শরীরে কুষ্ট রোগ হবে।আর সে তখন নিজেকে দোষারোপ করবে।”<br /><br />ইমাম ইবনে আসাকির রহঃ বর্ননা করেন,<br />“ইমাম ইবনে আসাকির রহঃ হাফিজ রাযী আলী ইবনে মিহরান ইবনে হারুন থেকে স্বীয় ‘তারিখে দামেস্ক ‘এ বর্ননা করেছেন।তিনি বলেন,আমি হযরত আবু মুঈন হুসাইন ইবনে হাসান তাবরীকে বলতে শুনেছি,তিনি বলেন-আমি একবার শনিবার শিঙ্গা লাগাতে মনস্থ করেছি।সুতারাং আমি আমার ক্রিতদাসকে হাজ্জাম(ক্ষৌরকার) কে শিঙ্গা লাগানোর জন্য ডাকতে নির্দশ দিলাম।ক্রিতদাস তাকে ডাকতে চলে যাবার এবং বুধবার আমার মনে পড়ল নবী করীমﷺ ওই হাদিস যাতে শনিবার শিঙ্গা লাগালে শ্বেত রোগ হবে বলে বর্নিত আছে।তারপর কিছু চিন্তা ভাবনা করলাম করে বললাম,এ হাদিসের সনদের মধ্যে তো কিছু দুর্বলতা আছে।শেষ পর্যন্ত আমি শিঙ্গা প্রয়োগ করলাম।ফলে আমার শ্বেত রোগ হয়ে গেল।অতঃপর স্বপ্নযোগে নবী করীম ﷺ এর সাথে সাক্ষাত হল।তখন আমি স্বীয় অবস্থা সম্পর্কে হুযুর( দঃ)এর মহান দরবারে ফরিয়াদ করলাম।রসুলে পাকﷺ   ইরশাদ করেন, সাবধান! আমার হাদিসকে তুচ্ছ জ্ঞান করবেনা।অতঃপর আমি আল্লাহর ওয়াস্তে মান্নত করলাম,আল্লাহ পাক যদি আমার শ্বেত রোগ থেকে মুক্তি দেন, তবে আমি আর কখনো নবী করীমﷺ এর হাদিসকে তুচ্ছ জ্ঞান করব না,ওই হাদিস অনুযায়ী সহিহ হোক, কিংবা দ্বঈফ হোক। সুতারাং আল্লাহ পাক আমার শ্বেত রোগ থেকে মুক্তি দান করলেন।[ইমাম ইবনে আসাকিরঃ তারিখে দামেস্ক, ১/৭৫পৃঃ ]<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiW371MpZH5LVhn20tvo_DNY9L6OS6uBbYpjT7eZ4umExUQTpNEXSX1-tJesTEchiTYC9tYd3KfiqW2FkdIrudkvJDrnmnBUQHMJ0CkD-a0Zl8rd8wfTMOxXshnirJPzOzKJ3bjNP08vCFW/s1600/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="266" data-original-width="590" height="144" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiW371MpZH5LVhn20tvo_DNY9L6OS6uBbYpjT7eZ4umExUQTpNEXSX1-tJesTEchiTYC9tYd3KfiqW2FkdIrudkvJDrnmnBUQHMJ0CkD-a0Zl8rd8wfTMOxXshnirJPzOzKJ3bjNP08vCFW/s320-rw/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" width="320" /></a></div><br /></div>

দ্বঈফ বা দুর্বল সনদের হাদিসকে অবহেলা করার পরিণতি

নবীর হাদিসকে দ্বঈফ হাদিস বললে ঈমান থাকবে না, হ্যাঁ, তবে রাবির কারণে সনদ সহিহ,হাসান,দ্বঈফ হতে পারে।তাই বলতে হবে সনদ দ্বঈফ ;হাদিস নয়।বর্তমানে ...

Read more »

রওজা মোবারক ও মিম্বর শরীফের ফযীলত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> ♥রওজা মুবারক এবং মিম্বর শরীফের ফযীলত<br /> <br /> ⚛ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যায়দ আল-মাযিনী(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্নিত,রসুলে পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান,”আমার ঘর এবং আমার মিম্বরের মাঝখানে বেহেশতের বাগানসমুহের মধ্যে থেকে একটি বাগান আছে” ( বুখারী শরীফ, খঃ২;পৃঃ ৬১;হাদিস নং:১১৯৫।<br /> মুসলিম শরীফ, খঃ২,পৃঃ ১০১০;হাদিস নংঃ৫০০,১৩৯০)<br /> <br /> ⚛ কোন কোন রেওয়ায়েতে বর্নিত আছে,<br /> হযরত আবু সাঈদ খুদরী(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্নিত,রসুলে পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,”আমার কবর এবং আমার মিম্বরের মাঝখানে বেহেশতের বাগানসমুহের মধ্যে থেকে একটি বাগান আছে। ( মুসনাদে আহমদ, খঃ১৮;পৃঃ ১৫৪;হাদিসঃ ১১৬১০)<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiQY07OPBf5GWlnZhz4dWpTK8Xzci0oubb3Mo9LEGJB-tN-3CgkPgwl3SMVGG5X3x8zc4Wlka8YVEpWMBOvcfIB-yyktjj16a1BpCdMXhjr9WhyphenhyphenmYyAmsp6ronsKE4_7iGC_m0zgDAJ9EKh/s1600/FB_IMG_14519838134680677-720x350.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="351" data-original-width="720" height="155" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiQY07OPBf5GWlnZhz4dWpTK8Xzci0oubb3Mo9LEGJB-tN-3CgkPgwl3SMVGG5X3x8zc4Wlka8YVEpWMBOvcfIB-yyktjj16a1BpCdMXhjr9WhyphenhyphenmYyAmsp6ronsKE4_7iGC_m0zgDAJ9EKh/s320-rw/FB_IMG_14519838134680677-720x350.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <br /> ⚛ বুখারির রেওয়ায়েতে আরো বর্নিত আছে যে,<br /> আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত,রসুলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,”আমার মিম্বর আমার হাওযের ওপর” (বুখারী, খঃ২;পৃঃ৬১;হাদিসঃ১১৯৬)<br /> <br /> ⚛ কোন কোন রেওয়ায়েতে বর্নিত আছে যে,<br /> হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্নিত,রসুলে পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,” আমার মিম্বর বেহেশতের দরজায় অথবা বেহেশতের উচ্চ বাগানে অবস্থিত” (মুসনাদে আহমদ,খঃ২৩; পৃঃ ৩৬৭;হাদিসঃ১৫১৮৭)<br /> <br /> মিম্বরের নিকটে মিথ্যা কসম করার ওপর বিশেষভাবে ধমক দেওয়া হয়েছে।<br /> <br /> ⚛ হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)হতে বর্নিত,রসুলে পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,”যে ব্যক্তি মুসলমানদের হক ধ্বংস করার জন্য আমার মিম্বরের নিকটে মিথ্যা শপথ গ্রহণ করবে, সে নিজের অবস্থান দোযখে তৈরী করবে।” (সুনানে আবূ দাউদ, খঃ৩,পৃঃ২২২;হাদিসঃ৩২৪৬)<br /> <br /> অপর হাদিসে বলা হয়েছেঃঃ<br /> <br /> ⚛ হযরত উমামা ইবনে সা’লাবা(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্নিত,রসুলে পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,”যে ব্যক্তি মুসলমানদের হক ধ্বংস করার জন্য আমার মিম্বরেরর নিকটে মিথ্যা শপথ গ্রহণ করবে, তার ওপর আল্লাহর,ফেরেশতাদের এবং লোকদের অভিশাপ” (সুনানে নাসাঈ, খঃ৫; পৃঃ৪৩৭;হাদিসঃ৫৯৭৪)<br /> <br /> ⚛ বাস্তব ক্ষেত্রে যখন মিম্বরের স্থানটি বেহেশতের অংশবিশেষ, তখন কোরআন মাজীদেরর আয়াতঃ”তোমরা বেহেশতের মধ্যে বাজে ও মিথ্যা কথা শুনতে পাবে না” ( সূরা নাবা- ৭৮:৩৫)<br /> <div style="text-align: justify;"> এই আয়াত অনুসারে বেহেশতে যেমন মিথ্যার অস্তিত্ব বিলুপ্ত, সে স্থানে মিথ্যা থাকতে পারে না।সুতারাং মিম্বরের নিকটে মিথ্যা বলা হারাম হবে।</div> </div>

রওজা মোবারক ও মিম্বর শরীফের ফযীলত

♥রওজা মুবারক এবং মিম্বর শরীফের ফযীলত ⚛ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যায়দ আল-মাযিনী(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্নিত,রসুলে পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া...

Read more »

শেষ জমানায় উম্মতে মোহাম্মদী ﷺ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">♦১) হযরত আবূ হুরাইরা (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু)<br />বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহুতা’<br />লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান: আমার উম্মতের ভেতরে আমাকে সেসব লোকই বেশি ভালোবাসবে – যারা আমার (ওফাতের) পরে আসবে! তাঁদের কেউ এমন ইচ্ছেও পোষণ করবে যে, যদি সে আমাকে দেখতো – তাহলে, আমার জন্যে সে তার পরিবার-পরিজন ও ধন- সম্পদও কুরবান করে দিতো<br />★(মিশকাত: ৬০২৪ ও মুসলিম শরীফাঈন)।<br /><br />♦(২) হযরত আমর ইবনে শুয়াইব (রাদ্বিআল্লাহু ’আনহু) তাঁর বাবা থেকে এবং তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন, একদিন আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাহাবায়ে কেরামকে) জিজ্ঞেস করলেন: ঈমানের দিক থেকে কোন সৃষ্টি তোমাদের কাছে বিস্ময়কর?<br />তাঁরা বললেন: ফেরেশতারা। তিনি ফরমালেন: তারা কি আর ঈমান না এনে পারে? তারা যে তাদের<br />পালনকর্তার কাছেই রয়েছে? তাঁরা বললেন: তাহলে, নবীগণ। তিনি ফরমালেন: তাঁরা কি আর ঈমান না এনে পারেন? তাঁদের প্রতি যে ওহী নাযিল হয়? তাঁরা বললেন: তাহলে, আমরা। তিনি ফরমালেন: আমি যেহেতু তোমাদের মাঝে প্রকাশিত রয়েছি – সেহেতু, তোমরাও কি আর ঈমান না এনে পারো? বর্ণনাকারী বলেন, এরপরে আল্লাহর রাসূল<br />(সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমালেন: আমার কাছে ঈমানের দিক দিয়ে ঐ<br />সৃষ্টি বেশি বিস্ময়কর – যে জাতি আমার (ইন্তেকালের) পরে আসবে এবং তারা আসমানী কিতাব (আল-কুরআন) পেয়ে – তাতে বর্ণিত বিধিবিধানের প্রতি ঈমান আনবে<br />★★ (মিশকাত: ৬০২৮ ও ইমাম বায়হাকীর দালায়িলুন নবুয়ত)।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjkNM8Q16muMobQW6_-U_6IBCGX5bKNyf-3aY5VfglHTNiZZI1cPTWGrGpiqOgWZfLLd4NaiirCJh8ShqUtvlyaZal9RkGRn45IzVbwnuVydxgxUieGk6Tk6VMNu6JCvMJYARRKhk5SWpcU/s1600/islamic-calligraphy-holy-koran-written-on-gazelle-leather-articles-stock-photography_csp4276.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="194" data-original-width="271" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjkNM8Q16muMobQW6_-U_6IBCGX5bKNyf-3aY5VfglHTNiZZI1cPTWGrGpiqOgWZfLLd4NaiirCJh8ShqUtvlyaZal9RkGRn45IzVbwnuVydxgxUieGk6Tk6VMNu6JCvMJYARRKhk5SWpcU/s1600-rw/islamic-calligraphy-holy-koran-written-on-gazelle-leather-articles-stock-photography_csp4276.jpg" /></a></div><br /><br />♦(৩) হযরত আব্দুর রহমান ইবনে ’আলা হাদ্বরামী (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বলেন, জনৈক ব্যক্তি আমাকে জানিয়েছেন, তিনি নবীজীকে (সল্লাল্লাহুতা’ লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতে শুনেছেন: এ উম্মতের শেষ পর্যায়ে এমন এক সম্প্রদায় আসবে – যাদের নেক- আমলের সওয়াব তাদের প্রথম যুগের লোকদের (সাহাবায়ে কেরামের) সমতুল্য হবে, তারা মানুষজনকে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ করতে নিষেধ করবে এবং ফেতনাবাজদের সঙ্গে লড়াই<br />করবে<br />★★ (মিশকাত: ৬০২৯ ও ইমাম বায়হাকীর দালায়িলুন নবুয়ত)।<br /><br />♦(৪) হযরত আবূ উমামা (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহুতা’<br />লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান:<br />দ যারা আমাকে দেখেছে – তাদের জন্যে (একবার) সুখবর। আর যারা আমাকে না দেখে আমার প্রতি ঈমান এনেছে – তাদের জন্যে সাতটি সুখবর ★(মিশকাত: ৬০৩০ ও মুসনাদে আহমাদ)!<br /><br />♦(৫) হযরত ইবনে মুহাইরিঝ (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বলেন, একদিন আমি অন্যতম সাহাবী আবূ<br />জুমুয়াকে (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বললাম:<br />আপনি আল্লাহর রাসূলের (সল্লাল্লাহুতা’<br />লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছ থেকে শুনেছেন – এমন একটি হাদীছ শরীফ আমাকে বলুন? তিনি বললেন: হাঁ; আমি তোমাকে চমৎকার একটি হাদীছ শরীফ বলবো! একদিন আমি আল্লাহর রাসূলের (সল্লাল্লাহুতা’ লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঙ্গে খাওয়া- দাওয়া করছিলাম। আবূ উবাইদা ইবনুল জাররাহও (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন: ওগো আল্লাহর রাসূল! আমাদের চেয়েও উত্তম কেউ আছে কি? কেননা, আমরা আপনার প্রতি ঈমান এনেছি এবং আপনার সঙ্গে থেকে জিহাদই করেছি। তিনি ফরমালেন: হাঁ; তোমাদের পরে এমনি এক সম্প্রদায় আসবে – যারা আমার প্রতি ঈমান আনবে; অথচ তারা আমাকে দেখি নি<br />★★ (মিশকাত: ৬০৩১, মুসনাদে আহমাদ ও সুনানে দারিমী)!<br /><br /><br /></div>

শেষ জমানায় উম্মতে মোহাম্মদী ﷺ

♦১) হযরত আবূ হুরাইরা (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহুতা’ লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান: আমার উম্মতের ভেতরে...

Read more »

শেষ জমানায় উম্মতে মোহাম্মদী ﷺ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> ♦১) হযরত আবূ হুরাইরা (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু)<br /> বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহুতা’<br /> লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান: আমার উম্মতের ভেতরে আমাকে সেসব লোকই বেশি ভালোবাসবে – যারা আমার (ওফাতের) পরে আসবে! তাঁদের কেউ এমন ইচ্ছেও পোষণ করবে যে, যদি সে আমাকে দেখতো – তাহলে, আমার জন্যে সে তার পরিবার-পরিজন ও ধন- সম্পদও কুরবান করে দিতো<br /> ★(মিশকাত: ৬০২৪ ও মুসলিম শরীফাঈন)।<br /> <br /> ♦(২) হযরত আমর ইবনে শুয়াইব (রাদ্বিআল্লাহু ’আনহু) তাঁর বাবা থেকে এবং তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন, একদিন আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাহাবায়ে কেরামকে) জিজ্ঞেস করলেন: ঈমানের দিক থেকে কোন সৃষ্টি তোমাদের কাছে বিস্ময়কর?<br /> তাঁরা বললেন: ফেরেশতারা। তিনি ফরমালেন: তারা কি আর ঈমান না এনে পারে? তারা যে তাদের<br /> পালনকর্তার কাছেই রয়েছে? তাঁরা বললেন: তাহলে, নবীগণ। তিনি ফরমালেন: তাঁরা কি আর ঈমান না এনে পারেন? তাঁদের প্রতি যে ওহী নাযিল হয়? তাঁরা বললেন: তাহলে, আমরা। তিনি ফরমালেন: আমি যেহেতু তোমাদের মাঝে প্রকাশিত রয়েছি – সেহেতু, তোমরাও কি আর ঈমান না এনে পারো? বর্ণনাকারী বলেন, এরপরে আল্লাহর রাসূল<br /> (সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমালেন: আমার কাছে ঈমানের দিক দিয়ে ঐ<br /> সৃষ্টি বেশি বিস্ময়কর – যে জাতি আমার (ইন্তেকালের) পরে আসবে এবং তারা আসমানী কিতাব (আল-কুরআন) পেয়ে – তাতে বর্ণিত বিধিবিধানের প্রতি ঈমান আনবে<br /> ★★ (মিশকাত: ৬০২৮ ও ইমাম বায়হাকীর দালায়িলুন নবুয়ত)।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgMu9Xu-ENFUD5jIXvq-ZOuNb9Fkk9PIHqR6GkI3fWj-T7EaPDUskdUUjmQKIS9XuKyz6dk8X4ezd3B1sfp64KMoUH2xzzN1A0Lt5InyHIwRbrWXuVpCna9IHVU_Dv_jz-q_ls6Yp7itGiX/s1600/islamic-calligraphy-holy-koran-written-on-gazelle-leather-articles-stock-photography_csp4276.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="194" data-original-width="271" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgMu9Xu-ENFUD5jIXvq-ZOuNb9Fkk9PIHqR6GkI3fWj-T7EaPDUskdUUjmQKIS9XuKyz6dk8X4ezd3B1sfp64KMoUH2xzzN1A0Lt5InyHIwRbrWXuVpCna9IHVU_Dv_jz-q_ls6Yp7itGiX/s1600-rw/islamic-calligraphy-holy-koran-written-on-gazelle-leather-articles-stock-photography_csp4276.jpg" /></a></div> <br /> <br /> ♦(৩) হযরত আব্দুর রহমান ইবনে ’আলা হাদ্বরামী (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বলেন, জনৈক ব্যক্তি আমাকে জানিয়েছেন, তিনি নবীজীকে (সল্লাল্লাহুতা’ লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতে শুনেছেন: এ উম্মতের শেষ পর্যায়ে এমন এক সম্প্রদায় আসবে – যাদের নেক- আমলের সওয়াব তাদের প্রথম যুগের লোকদের (সাহাবায়ে কেরামের) সমতুল্য হবে, তারা মানুষজনকে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ করতে নিষেধ করবে এবং ফেতনাবাজদের সঙ্গে লড়াই<br /> করবে<br /> ★★ (মিশকাত: ৬০২৯ ও ইমাম বায়হাকীর দালায়িলুন নবুয়ত)।<br /> <br /> ♦(৪) হযরত আবূ উমামা (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহুতা’<br /> লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান:<br /> দ যারা আমাকে দেখেছে – তাদের জন্যে (একবার) সুখবর। আর যারা আমাকে না দেখে আমার প্রতি ঈমান এনেছে – তাদের জন্যে সাতটি সুখবর ★(মিশকাত: ৬০৩০ ও মুসনাদে আহমাদ)!<br /> <br /> ♦(৫) হযরত ইবনে মুহাইরিঝ (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বলেন, একদিন আমি অন্যতম সাহাবী আবূ<br /> জুমুয়াকে (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বললাম:<br /> আপনি আল্লাহর রাসূলের (সল্লাল্লাহুতা’<br /> লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছ থেকে শুনেছেন – এমন একটি হাদীছ শরীফ আমাকে বলুন? তিনি বললেন: হাঁ; আমি তোমাকে চমৎকার একটি হাদীছ শরীফ বলবো! একদিন আমি আল্লাহর রাসূলের (সল্লাল্লাহুতা’ লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঙ্গে খাওয়া- দাওয়া করছিলাম। আবূ উবাইদা ইবনুল জাররাহও (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন: ওগো আল্লাহর রাসূল! আমাদের চেয়েও উত্তম কেউ আছে কি? কেননা, আমরা আপনার প্রতি ঈমান এনেছি এবং আপনার সঙ্গে থেকে জিহাদই করেছি। তিনি ফরমালেন: হাঁ; তোমাদের পরে এমনি এক সম্প্রদায় আসবে – যারা আমার প্রতি ঈমান আনবে; অথচ তারা আমাকে দেখি নি<br /> ★★ (মিশকাত: ৬০৩১, মুসনাদে আহমাদ ও সুনানে দারিমী)!<br /> <br /> <br /></div>

শেষ জমানায় উম্মতে মোহাম্মদী ﷺ

♦১) হযরত আবূ হুরাইরা (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহুতা’ লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান: আমার উম্মতের ভে...

Read more »

শেষ জমানায় উম্মতে মোহাম্মদী ﷺ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />♦১) হযরত আবূ হুরাইরা (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু)<br /><br />বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহুতা’<br /><br />লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান: আমার উম্মতের ভেতরে আমাকে সেসব লোকই বেশি ভালোবাসবে – যারা আমার (ওফাতের) পরে আসবে! তাঁদের কেউ এমন ইচ্ছেও পোষণ করবে যে, যদি সে আমাকে দেখতো – তাহলে, আমার জন্যে সে তার পরিবার-পরিজন ও ধন- সম্পদও কুরবান করে দিতো<br /><br />★(মিশকাত: ৬০২৪ ও মুসলিম শরীফাঈন)।<br /><br /><br /><br />♦(২) হযরত আমর ইবনে শুয়াইব (রাদ্বিআল্লাহু ’আনহু) তাঁর বাবা থেকে এবং তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন, একদিন আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাহাবায়ে কেরামকে) জিজ্ঞেস করলেন: ঈমানের দিক থেকে কোন সৃষ্টি তোমাদের কাছে বিস্ময়কর?<br /><br />তাঁরা বললেন: ফেরেশতারা। তিনি ফরমালেন: তারা কি আর ঈমান না এনে পারে? তারা যে তাদের<br /><br />পালনকর্তার কাছেই রয়েছে? তাঁরা বললেন: তাহলে, নবীগণ। তিনি ফরমালেন: তাঁরা কি আর ঈমান না এনে পারেন? তাঁদের প্রতি যে ওহী নাযিল হয়? তাঁরা বললেন: তাহলে, আমরা। তিনি ফরমালেন: আমি যেহেতু তোমাদের মাঝে প্রকাশিত রয়েছি – সেহেতু, তোমরাও কি আর ঈমান না এনে পারো? বর্ণনাকারী বলেন, এরপরে আল্লাহর রাসূল<br /><br />(সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমালেন: আমার কাছে ঈমানের দিক দিয়ে ঐ<br /><br />সৃষ্টি বেশি বিস্ময়কর – যে জাতি আমার (ইন্তেকালের) পরে আসবে এবং তারা আসমানী কিতাব (আল-কুরআন) পেয়ে – তাতে বর্ণিত বিধিবিধানের প্রতি ঈমান আনবে<br /><br />★★ (মিশকাত: ৬০২৮ ও ইমাম বায়হাকীর দালায়িলুন নবুয়ত)।<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhQzCD9e58X50zqQGqhvd65EwaklbU29WjcuUWjbD5oxF3BTR6S8r0jWbVrY5BDXqi5nZ_C7Qym9VAFEegXV-HWC9Qd0z3-gKLTPKFBA8eXbzIu6I82achrvhWspTkCQFNU9_Md0bNqrRdx/s1600/islamic-calligraphy-holy-koran-written-on-gazelle-leather-articles-stock-photography_csp4276.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="194" data-original-width="271" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhQzCD9e58X50zqQGqhvd65EwaklbU29WjcuUWjbD5oxF3BTR6S8r0jWbVrY5BDXqi5nZ_C7Qym9VAFEegXV-HWC9Qd0z3-gKLTPKFBA8eXbzIu6I82achrvhWspTkCQFNU9_Md0bNqrRdx/s1600-rw/islamic-calligraphy-holy-koran-written-on-gazelle-leather-articles-stock-photography_csp4276.jpg" /></a></div><br /><br /><br /><br /><br />♦(৩) হযরত আব্দুর রহমান ইবনে ’আলা হাদ্বরামী (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বলেন, জনৈক ব্যক্তি আমাকে জানিয়েছেন, তিনি নবীজীকে (সল্লাল্লাহুতা’ লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতে শুনেছেন: এ উম্মতের শেষ পর্যায়ে এমন এক সম্প্রদায় আসবে – যাদের নেক- আমলের সওয়াব তাদের প্রথম যুগের লোকদের (সাহাবায়ে কেরামের) সমতুল্য হবে, তারা মানুষজনকে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ করতে নিষেধ করবে এবং ফেতনাবাজদের সঙ্গে লড়াই<br /><br />করবে<br /><br />★★ (মিশকাত: ৬০২৯ ও ইমাম বায়হাকীর দালায়িলুন নবুয়ত)।<br /><br /><br /><br />♦(৪) হযরত আবূ উমামা (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহুতা’<br /><br />লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান:<br /><br />দ যারা আমাকে দেখেছে – তাদের জন্যে (একবার) সুখবর। আর যারা আমাকে না দেখে আমার প্রতি ঈমান এনেছে – তাদের জন্যে সাতটি সুখবর ★(মিশকাত: ৬০৩০ ও মুসনাদে আহমাদ)!<br /><br /><br /><br />♦(৫) হযরত ইবনে মুহাইরিঝ (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বলেন, একদিন আমি অন্যতম সাহাবী আবূ<br /><br />জুমুয়াকে (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বললাম:<br /><br />আপনি আল্লাহর রাসূলের (সল্লাল্লাহুতা’<br /><br />লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছ থেকে শুনেছেন – এমন একটি হাদীছ শরীফ আমাকে বলুন? তিনি বললেন: হাঁ; আমি তোমাকে চমৎকার একটি হাদীছ শরীফ বলবো! একদিন আমি আল্লাহর রাসূলের (সল্লাল্লাহুতা’ লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঙ্গে খাওয়া- দাওয়া করছিলাম। আবূ উবাইদা ইবনুল জাররাহও (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন: ওগো আল্লাহর রাসূল! আমাদের চেয়েও উত্তম কেউ আছে কি? কেননা, আমরা আপনার প্রতি ঈমান এনেছি এবং আপনার সঙ্গে থেকে জিহাদই করেছি। তিনি ফরমালেন: হাঁ; তোমাদের পরে এমনি এক সম্প্রদায় আসবে – যারা আমার প্রতি ঈমান আনবে; অথচ তারা আমাকে দেখি নি<br /><br />★★ (মিশকাত: ৬০৩১, মুসনাদে আহমাদ ও সুনানে দারিমী)!<br /><br /><br /><br /><br /></div><br />

শেষ জমানায় উম্মতে মোহাম্মদী ﷺ

♦১) হযরত আবূ হুরাইরা (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহুতা’ লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান: আমার উম্মতের ভেতরে...

Read more »

শেষ জমানায় উম্মতে মোহাম্মদী ﷺ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> ১) হযরত আবূ হুরাইরা (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু)<br /> বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান: আমার উম্মতের ভেতরে আমাকে সেসব লোকই বেশি ভালোবাসবে – যারা আমার (ওফাতের) পরে আসবে! তাঁদের কেউ এমন ইচ্ছেও পোষণ করবে যে, যদি সে আমাকে দেখতো – তাহলে, আমার জন্যে সে তার পরিবার-পরিজন ও ধন- সম্পদও কুরবান করে দিতো<br /> ▪ (মিশকাত: ৬০২৪ ও মুসলিম শরীফাঈন)।<br /> <br /> (২) হযরত আমর ইবনে শুয়াইব (রাদ্বিআল্লাহু ’আনহু) তাঁর বাবা থেকে এবং তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন, একদিন আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাহাবায়ে কেরামকে) জিজ্ঞেস করলেন: ঈমানের দিক থেকে কোন সৃষ্টি তোমাদের কাছে বিস্ময়কর?তাঁরা বললেন: ফেরেশতারা। তিনি ফরমালেন: তারা কি আর ঈমান না এনে পারে? তারা যে তাদের<br /> পালনকর্তার কাছেই রয়েছে? তাঁরা বললেন: তাহলে, নবীগণ। তিনি ফরমালেন: তাঁরা কি আর ঈমান না এনে পারেন? তাঁদের প্রতি যে ওহী নাযিল হয়? তাঁরা বললেন: তাহলে, আমরা। তিনি ফরমালেন: আমি যেহেতু তোমাদের মাঝে প্রকাশিত রয়েছি – সেহেতু, তোমরাও কি আর ঈমান না এনে পারো? বর্ণনাকারী বলেন, এরপরে আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমালেন: আমার কাছে ঈমানের দিক দিয়ে ঐ<br /> সৃষ্টি বেশি বিস্ময়কর – যে জাতি আমার (ইন্তেকালের) পরে আসবে এবং তারা আসমানী কিতাব (আল-কুরআন) পেয়ে – তাতে বর্ণিত বিধিবিধানের প্রতি ঈমান আনবে<br /> ▪ (মিশকাত: ৬০২৮ ও ইমাম বায়হাকীর দালায়িলুন নবুয়ত)।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> (৩) হযরত আব্দুর রহমান ইবনে ’আলা হাদ্বরামী (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বলেন, জনৈক ব্যক্তি আমাকে জানিয়েছেন, তিনি নবীজীকে (সল্লাল্লাহুতা’ লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতে শুনেছেন: এ উম্মতের শেষ পর্যায়ে এমন এক সম্প্রদায় আসবে – যাদের নেক- আমলের সওয়াব তাদের প্রথম যুগের লোকদের (সাহাবায়ে কেরামের) সমতুল্য হবে, তারা মানুষজনকে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ করতে নিষেধ করবে এবং ফেতনাবাজদের সঙ্গে লড়াই<br /> করবে<br /> ▪ (মিশকাত: ৬০২৯ ও ইমাম বায়হাকীর দালায়িলুন নবুয়ত)।<br /> <br /> (৪) হযরত আবূ উমামা (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহুতা’<br /> লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান:<br /> দ যারা আমাকে দেখেছে – তাদের জন্যে (একবার) সুখবর। আর যারা আমাকে না দেখে আমার প্রতি ঈমান এনেছে – তাদের জন্যে সাতটি সুখবর ।<br /> ▪ (মিশকাত: ৬০৩০ ও মুসনাদে আহমাদ)!<br /> <br /> (৫) হযরত ইবনে মুহাইরিঝ (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বলেন, একদিন আমি অন্যতম সাহাবী আবূ<br /> জুমুয়াকে (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বললাম:<br /> আপনি আল্লাহর রাসূলের (সল্লাল্লাহুতা’<br /> লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছ থেকে শুনেছেন – এমন একটি হাদীছ শরীফ আমাকে বলুন? তিনি বললেন: হাঁ; আমি তোমাকে চমৎকার একটি হাদীছ শরীফ বলবো! একদিন আমি আল্লাহর রাসূলের (সল্লাল্লাহুতা’ লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঙ্গে খাওয়া- দাওয়া করছিলাম। আবূ উবাইদা ইবনুল জাররাহও (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন: ওগো আল্লাহর রাসূল! আমাদের চেয়েও উত্তম কেউ আছে কি? কেননা, আমরা আপনার প্রতি ঈমান এনেছি এবং আপনার সঙ্গে থেকে জিহাদই করেছি। তিনি ফরমালেন: হাঁ; তোমাদের পরে এমনি এক সম্প্রদায় আসবে – যারা আমার প্রতি ঈমান আনবে; অথচ তারা আমাকে দেখি নি<br /> ▪ (মিশকাত: ৬০৩১, মুসনাদে আহমাদ ও সুনানে দারিমী)!<br /> <br /> <br /></div>

শেষ জমানায় উম্মতে মোহাম্মদী ﷺ

১) হযরত আবূ হুরাইরা (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান: আমার উম্মতের ভেতরে...

Read more »

কবর ভাঙা নিয়ে দাঁত ভাঙা জবাব

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">ওহাবী বিদয়াতিরা নিম্নবর্নিত হাদীসটির বিকৃত অর্থ,<br />ভুল তাফসির এবং মিথ্যাচার করে সরলপ্রান মুসলিমগনকে ধোঁকা দিচ্ছে । হাদীসটি হল :<br />♦হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে<br />, তিনি হযরত আবুল হাইয়্যাজ আসাদী (রাঃ) এর উদ্দেশ্যে বলেন, আমি কি আপনাকে এমন কাজের প্রতি উৎসাহিত করব না , যা করার জন্য আমাকে রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উৎসাহিত করেছেন ? আর তা হল ফটো না<br />মিটিয়ে তা হাত ছাড়া করবে না, এবং উঁচু কবরকে সমতল না করে ছাড়বে না । [ সহীহ মুসলিম শরীফঃ তিরমিযী শরীফঃ নং -১০৮৯, আবু দাঊদ শরীফঃ হাদিস নং -৩২১।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgr7MvkO7l89320iDvy7mX455NGKRiaqyOQ9MsFcDLK0-1cYRPmjIMiII6UhJP2_7bkH_APOutrIC-FOzAsUpQTTMZMO2U_cc4n7azcU9FVMPmGuSSqEStmyETLSWUBou1OYNvXlCKIaDS7/s1600/orca-image-1515668624754.jpg_1515668624857-750x350.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="350" data-original-width="750" height="149" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgr7MvkO7l89320iDvy7mX455NGKRiaqyOQ9MsFcDLK0-1cYRPmjIMiII6UhJP2_7bkH_APOutrIC-FOzAsUpQTTMZMO2U_cc4n7azcU9FVMPmGuSSqEStmyETLSWUBou1OYNvXlCKIaDS7/s320-rw/orca-image-1515668624754.jpg_1515668624857-750x350.jpeg" width="320" /></a></div><br /><br />এই হাদিসের উপর ভিত্তি করে নজদী সন্ত্রাসবাদীরা সাহাবায়ে কেরাম এবং আহলে বায়েত এর<br />অসংখ্য মাজার ধুলিস্যাত করেছে ও করছে । কিন্তু যেসব কবরকে ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো সেগুলো মুসলিমগনের কবর ছিল না, ছিল কাফিরদের কবর । রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে হযরত আলী (রাদিঃ) যে কবরগুলো ধ্বংস করেছিলেন তা কখনো সাহাবায়ে কেরামের কবরহতে পারেনা । কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামের দাফন কার্জে নিজে অংশ গ্রহণ করতেন । অধিকন্তু সাহাবা কেরাম ও হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরামর্শ ছাড়া কোনো কাজ করতেন না । মুসলমানের যে কবর ছিলো তা সব রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুমতি সাপেক্ষে হয়েছে তাহলে ওগুলো আবার কোন সাহাবার কবর যা অবৈধ ছিলো<br />আর হযরত আলী (রাদিঃ) তা ভেঙ্গে ফেললেন? কোন সাহাবার কবরে ফটো রাখা হয়েছিল ? আসলে, সে গুলো ছিল কাফির-মুশরিকদের কবর<br /><br />♦♦সহিহ বুখারীর ভাষ্যকার হযরত ইবনে হাজার<br />আস্কালানি র ভাষ্য : সহিহ বুখারীর ভাষ্যকার হযরত ইবনে হাজার আস্কালানি রহ, তার ভাষ্যে লিখেছেন “ … “নবীগন ও ওদের অনুসারীদের কবর সমূহ বাদ দিয়ে মুশরিকদের কবর গুলো ধ্বংস করা হয়েছিলো । কেননা ওগুলো উপড়ে ফেলার কারণ ছিল তারা নবী ﷺ নিয়ে মানহানী করত.”<br />♥♥ [ তথ্যসূত্র : ফতহুল বারি – ২খন্ড – ২৬ পৃষ্ঠা ]<br />প্রিয় ইসলামি ভাইয়েরা ! দেখলেণ তো  বিদয়াতী<br />সন্ত্রাসবাদীরা  কিভাবে কুরআণ হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করে ফিতনা ছড়ায় ? আল্লাহ আমাদেরকে এই বিদয়াতী সন্ত্রাসবাদী ওহাবী ফিতনা থেকে রক্ষা করুণ !</div>

কবর ভাঙা নিয়ে দাঁত ভাঙা জবাব

ওহাবী বিদয়াতিরা নিম্নবর্নিত হাদীসটির বিকৃত অর্থ, ভুল তাফসির এবং মিথ্যাচার করে সরলপ্রান মুসলিমগনকে ধোঁকা দিচ্ছে । হাদীসটি হল : ♦হযরত আলী (রা...

Read more »

হাদিয়া নেওয়া জায়েজ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">ইবাদতের বিনিময়সংক্রান্ত শরিয়তের নীতিমালা :<br />ইবাদতের বিনিময় গ্রহণসংক্রান্ত শরিয়তের<br />নীতিমালা হলো নিরেট ইবাদত তথা ইবাদতে মকসুদা যেমন- নামাজ, রোজা, ইতিকাফ<br />ইত্যাদির ক্ষেত্রে বিনিময় গ্রহণ করা সম্পূর্ণ হারাম।<br />ইসলামের শুরু থেকে যত দিন ইসলামী খেলাফত<br />অবশিষ্ট ছিল, তত দিন এই নীতি বহাল ছিল। ইমামগণ ইমামতি করে বিনিময় গ্রহণ করতেন না। কোরআন শিক্ষা দিয়ে বিনিময় নিতেন না।<br />রাষ্ট্রীয়ভাবে এসবের ব্যবস্থা করা হতো। ইসলামী খেলাফত বিলুপ্তির পর রাষ্ট্রীয়ভাবে শরিয়তের বাধ্যতামূলক ইবাদতগুলোর ব্যবস্থাপনা না থাকায় পরবর্তী ফুকাহাগণ শরিয়তের প্রয়োজনে ইমাম, মুয়াজজিন, কোরআন শিক্ষার মুয়াল্লিমদের বিনিময় গ্রহণে ছাড় দেন। অর্থাৎ এগুলোর ক্ষেত্রে ডক্ট্রিন অব নেসেসিটির ভিত্তিতে বৈধতা প্রদান করেন।এবার আসা যাক তারাবির বিষয়ে। শরিয়ত মতে, তারাবির নামাজ বাধ্যতামূলক হলেও<br />তারাবিতে খতমে কোরআন বাধ্যতামূলক নয় বিধায় তারাবিতে খতমে কোরআনের বিনিময় এই বৈধতার আওতায় পড়ে না।<br /><br />♦তারাবিতে কোরআন খতমের বিনিময়ে হাদিয়া দান ও গ্রহণের হুকুম :<br />ওই নীতিমালার ভিত্তিতে খতম তারাবিতে হাফেজদের বিনিময় বা হাদিয়া দেওয়া-<br />নেওয়া মুসলিম উম্মাহর ফকিহ, মুহাদ্দিসগণ ঐকমত্যের ভিত্তিতে নাজায়েজ বলেছেন।<br />এতে না কোনো মাজহাবের মতবিরোধ আছে,<br />না পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ফকিহগণের মাঝে কোনো মতভেদ আছে। ইমামতির জন্য বেতন ঠিক<br />করা এবং তা আদায় করা যদিও পরবর্তী ফকিহগণের দৃষ্টিতে জায়েজ; কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো ফকিহ খতমে তারাবির বিনিময় বা হাদিয়া নেওয়া-দেওয়ার অনুমতি দেননি।<br />সুতরাং খতমে তারাবির বিনিময় দেওয়া-নেওয়া উভয়ই নাজায়েজ ও হারাম। হাদিয়া হিসেবে দিলেও<br />জায়েজ হবে না। এক মাসের জন্য নিয়োগ দিয়ে কয়েক ওয়াক্ত নামাজ পড়িয়ে বেতন হিসেবে দিলেও জায়েজ নয়। এটা যেভাবেই দেওয়া হোক, তা কোরআন খতমের বিনিময় হিসেবেই স্বীকৃত হবে। এতে কোনো প্রকার হিলা বা কৌশল করার অবকাশ নেই।<br />★(ফতোয়ায়ে শামী ৬/৫৭,<br />★আল-বাহরুর রায়েক ৮/২৩,<br />★মাজমাউল আনহুর ৩/৫৩৩,<br />★ফতওয়ায়ে হামিদিয়া ২/১৩৭-১৩৮,<br />★শিফাউল আলীল<br />★ওয়া বাল্লুল গালিল ১/১৫৪-১৫৫,<br />★আল ইখতিয়ার লিতালীল মুখতার ২/৬২)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiW371MpZH5LVhn20tvo_DNY9L6OS6uBbYpjT7eZ4umExUQTpNEXSX1-tJesTEchiTYC9tYd3KfiqW2FkdIrudkvJDrnmnBUQHMJ0CkD-a0Zl8rd8wfTMOxXshnirJPzOzKJ3bjNP08vCFW/s1600/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="266" data-original-width="590" height="144" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiW371MpZH5LVhn20tvo_DNY9L6OS6uBbYpjT7eZ4umExUQTpNEXSX1-tJesTEchiTYC9tYd3KfiqW2FkdIrudkvJDrnmnBUQHMJ0CkD-a0Zl8rd8wfTMOxXshnirJPzOzKJ3bjNP08vCFW/s320-rw/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />♦পবিত্র কোরআন-সুন্নাহর আলোকে ফকিহদের মতামত :<br />এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর স্পষ্ট<br />বিধানাবলি এবং এর ভিত্তিতে ফকিহগণ কী মত<br />পোষণ করেন, তার প্রতিও সামান্য আলোকপাত<br />করা হলো-<br />* আবদুর রহমান ইবনে শিবল (রা.) থেকে বর্ণিত,<br />তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ -কে বলতে শুনেছি, তোমরা কোরআন পড়ো। তবে তাতে বাড়াবাড়ি করো না। এর প্রতি বিরূপ হয়ো না। কোরআনের বিনিময় ভক্ষণ করো না এবং এর<br />দ্বারা সম্পদ কামনা করো না।<br />★★(মুসনাদে আহমদ ৩/৪২৮,<br />হাদিস : ১৫৫২৯;<br />★★মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৫/২৪০)<br /><br />♦ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি, তোমরা কোরআন পড়ো এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করো। তোমাদের পরে এমন জাতি আসবে, যারা কোরআন পড়ে মানুষের কাছে প্রার্থনা করবে। -★★(মুসনাদে আহমদ ৪/৪৩৭, হাদিস : ১৯৯১৭)<br /><br />♦ আবদুল্লাহ ইবনে মা’কাল (রা.) থেকে বর্ণিত,<br />তিনি এক রমজানে লোকদের নিয়ে তারাবি পড়ালেন। এরপর ঈদের দিন উবাইদুল্লাহ ইবনে জিয়াদ (রা.) তাঁর কাছে একজোড়া কাপড় এবং ৫০০ দিরহাম পাঠালেন। তখন তিনি কাপড় জোড়া এবং দিরহামগুলো এই বলে ফেরত দিলেন, আমরা কোরআনের বিনিময় গ্রহণ করি না।<br />★★(মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৫/২৩৭, হাদিস : ৭৮২১)<br /><br />এরূপ আরো বহু হাদিস ও দলিল প্রমাণের<br />আলোকে উম্মতের ফকিহগণ তারাবিতে পবিত্র<br />কোরআন খতমের বিনিময়ে বা হাদিয়া দেওয়া-<br />নেওয়া সম্পূর্ণরূপে হারাম বলেছেন।<br />==========<br />তারাবি নামাজ পড়িয়ে, দ্বীনি ইলম শিক্ষা দিয়ে,<br />ইমামতি করে, আজান দিয়ে, ফতোয়া দিয়ে, ওয়াজ<br />মাহফিল করে, কোরআন খতম করে পারিশ্রমিক গ্রহণনকরা জায়েজ। এ ব্যাপারে অসংখ্য কিতাবের<br />নির্ভরযোগ্য দলিল রয়েছে। এর মধ্যে এখানে কিছু দলিল উপস্থাপন করা হলো।<br /><br />♦ওলামায়ে মুতায়াখখেরিনের মতে_ আজান, একামত, ওয়াজ, শিক্ষকতা, হজ, জিহাদ, কোরআন ও ফিকহ শিক্ষা দিয়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ করা বৈধ।<br />(★★তাফসিরে হাক্কি, ৯ম খ-, ২৫৭ পৃষ্ঠা,<br />★★তাফসিরে রুহুল বায়ান, ৬ষ্ঠ খ-, ১৭০ পৃষ্ঠা)। ★★বাহরুর রায়েক, ১৩তম খ-, ৩৪৮ পৃষ্ঠা;<br />★★ রদ্দুল মুখতার, ১৫তম খ-, ৪৮৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে, ওলামায়ে মুতায়াখখেরিন ফতোয়া দিয়েছেন, আজান, ইমামতি, শিক্ষাদানের বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়েজ। হাশিয়াতু রদ্দিল মুখতার আলাদ দুররিল মুখতার ৪র্থ খন্ডে ২২১ পৃষ্ঠায় ফতোয়া এসেছে, ইবাদতের কাজের বিনিময় পারিশ্রমিক গ্রহণ করা বৈধ। ইমাম,মুফতি, ওয়ায়েজের জন্য হাদিয়া গ্রহণ করা বৈধ।<br />★★(রদ্দুল মুখতার, ২১তম খ-, ৩২১ পৃষ্ঠা)।<br /><br /></div>

হাদিয়া নেওয়া জায়েজ

ইবাদতের বিনিময়সংক্রান্ত শরিয়তের নীতিমালা : ইবাদতের বিনিময় গ্রহণসংক্রান্ত শরিয়তের নীতিমালা হলো নিরেট ইবাদত তথা ইবাদতে মকসুদা যেমন- নামাজ, রোজ...

Read more »

শাহাদাতে ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">শাহাদাতে ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু<br />***********************************************<br />মুহাররম, ১৪৩৯ হিজরি. অক্টোবর-২০১৭.<br /><br />সৈয়দ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আল আযহারী<br />সহকারী অধ্যাপক, সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ. খতীব, মুসাফির খানা জামে মসজিদ, নন্দন কানন, চট্টগ্রাম।<br /><br />بسم الله الرحمن الرحيم. الحمد لله رب العالمين والصلاة والسلام على سيد المرسلين وعلى آله وصحبه أجمعين, أما بعد!<br />১০ মুহররম নবী দৌহিত্র ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু ও তাঁর পরিবার-পরিজন ও সাথীদের ৭২ জন সদস্যের মহান শাহাদাত দিবস। ৬১ হিজরির এই দিনে ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু ৫৭ বছর বয়সে তাঁর নানাজান মহানবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতিষ্ঠিত প্রকৃত ইসলামকে রক্ষা করতে কারবালা প্রান্তরে শাহাদাত বরণ করেন।<br /><br />হযরত ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর পরিচিতি:<br />———————————————————<br />সাইয়েদুশ-শুহাদা হযরত ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু ৬২৫ খৃস্টাব্দে চতুর্থ হিজরির শাবান মাসের ৫ তারিখে মহানবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কন্যা ফাতেমা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহার (৬০৫-৬৩৩) গর্ভে মদীনায় জন্মগ্রহণ করেন। চতুর্থ খলীফা হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু ছিলেন তাঁর পিতা। জন্মের পর সরকারে মদিনা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর কানে আযান দিয়ে দ’ুআ করেছিলেন, এর আগে আরবের জাহিলিয়াত যুগে এ দু’নামের প্রচলন ছিল না। মাতামহ প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমাম হোসাইনকে অপরিসীম স্নেহ করতেন। আপন সন্তান থেকেও তিনি তাঁদেরকে অধিক ভালবাসতেন, তাঁদেরকে উপাধি দেওয়া হয়েছিল ‘রায়হানাতা রাসূলিল্লাহ’ বা ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দুই ফুল’। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা যে বিশেষ বিশেষ মুআ’মালা করেছেন এবং তাঁকে দুনিয়ার সর্বোত্তম যে সব নেয়ামত দান করেছেন, তার মধ্যে এই দুটি ফুলেরও অন্তর্ভুক্তি রয়েছে। আধ্যাত্মিক শিক্ষায় সমৃদ্ধ সুমহান চরিত্রের অধিকারী, জ্ঞান গভীর, অভিজ্ঞ ও খোদাপ্রেমিক সুশিক্ষিত হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু তাঁর নয়নমনি হযরত ইমাম হাসান-হোসাইনকে নিজে শিক্ষা-প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।<br /><br />হযরত ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর শাহাদাতের সুসংবাদ:<br />———————————————————-<br />হযরত ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর জন্মের সাথে সাথে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বদৌলতে তাঁর শাহাদাতের কথা সবার কাছে জানাজানি হয়ে যায়। হযরত আলী, হযরত ফাতিমাতুয যাহরাসহ অন্যান্য ছাহাবায়ে কিরাম ও আহলে বাইতের সংশ্লিষ্ট সকলেই হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর শৈশবাবস্থায় জানতে পেরেছিলেন যে, এ ছেলেকে একান্ত নির্মমভাবে শহীদ করা হবে এবং কারবালার ময়দান তাঁর রক্তে রঞ্জিত হবে। এ ব্যাপারে অনেক হাদীছ শরীফ বর্ণিত আছে । বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায় যে, ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর শাহাদাত সম্পর্কে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেকবার ভবিষ্যদ্বানী করেছেন । ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর শৈশবকালেই এটা সবার জানাজানি হয়ে গিয়েছিল। হযরত উম্মুল ফদল বিনতে হারেস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা বলেন, “আমি একদিন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার খিদমতে উপস্থিত হয়ে হযরত ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুকে কোলে দিলাম। এরপর আমি দেখলাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামর চোখ মুবারক থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে। আমি আরয করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক, এর কারণ কী? ইরশাদ করলেন, আমার কাছে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম এসে এ খবর দিয়ে গেলেন ‘নিশ্চয়ই আমার উম্মত আমার এ শিশুকে শহীদ করবে।’ হযরত উম্মুল ফদল রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা বলেন, আমি আরয করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! এ শিশুকে শহীদ করবে? হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,‘হ্যাঁ। হযরত জিব্রীল আলাইহিস সালাম শাহাদাত স্থলের লাল মাটিও এনেছেন। “আমার ছেলে (দৌহিত্র) হযরত ইমাম হুসাইনকে ফোরাত নদীর তীরে যে জায়গায় শহীদ করা হবে, সে জায়গার নাম কারবালা।”(হাকেম, ৩/১১৬-১১৭)<br />নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রানপ্রিয় দৌহিত্রের শাহাদত হওয়ার খবর পেয়ে অশ্রু বিসর্জন দিয়েছেন বটে কিন্তু রক্ষা করার জন্য খোদার দরবারে দুয়া করেননি বরং হযরত হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু যেন এ মহা পরীক্ষায় ধৈর্য ও সবরের সাথে কামিয়াব হয়ে আল্লাহ্র দরবারে উচ্চস্থান লাভ করেন এ দোয়া করেছেন।<br />ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে কারবালার তৃষ্ণার্ত রক্তাক্ত প্রান্তরে এজিদের হুকুমে ইবনে জিয়াদের নির্দেশে আনাস ইবনে নাখই ওরফে সীমর শহীদ করেছে । কেবল কি ইমামে আকবর? না, অনেক আপন জনও শহীদ হয়েছেন । তার মধ্যে ইমামে আকবরের বড় ছেলে ইমাম আলী আকবর, ছয় মাসের দুধের শিশু ইমাম আলী আসগর, ইমাম হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ছেলে ইমাম কাসেম এবং ইমামে আকবের ভাই ইমাম আব্বাস এবং ইমাম আউন ও আরো অনেকে ।<br /><br />কারবালার পটভ’মি:<br />———————-<br />ইয়াজিদ ২৫-২৬ হিজরির দিকে জন্মগ্রহণ করে প্রায় ৩৫ বছর বয়সে ক্ষমতাসীন হয়্। ইয়াজিদের চরিত্র ইসলামসম্মত ছিলনা। তার চরিত্রে মদ্যপান, নামায তরক করা, নাচ-গান এবং নারী কেলেঙ্কারিতে লিপ্ত হওয়ার কলঙ্ক লেগে আছে। কোনো রাজা বাদশাহর ছেলের চরিত্রে যদি এত সব অনৈতিকতা থাকে তাহলে তার স্বভাবে ক্ষমতার লোভ থাকা এবং ক্ষমতার জন্য চক্রান্তে লিপ্ত হওয়া স্বাভাবিক। ইতিহাস থেকে সে প্রমাণই পাওয়া যায়। ইয়াজিদের অবস্থাও তাই ।<br />৬০ হিজরীতে হযরত মোয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ইন্তিকাল কনেন, ইন্তিকালের পর এজিদ শাসন ক্ষমতা হাতে নেয় এবং ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই ইয়াযিদ ইসলামের সনাতন সংস্কৃতিকে বদলে দিয়ে বাদশাহী কায়দায় সব ধরনের অন্যায় ও অপকর্ম চালিয়ে যেতে থাকে। এ অবস্থায়ই সে নিজেকে মুসলমানদের খলিফা ঘোষণা করে ও ঈমানদারদের বাইআত দাবি করে। ইয়াযিদ তার পথকে নিষ্কণ্টক করার জন্য লোভ ও হুমকি প্রদান করে একে একে মক্কা ও মদীনার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের পদানত করে সর্বশেষে ইমাম হোসাইনের দিকে হাত বাড়ায় কিন্তু ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর মতো একজন ব্যক্তি কোন অবস্থাতেই ইয়াযিদের মতো একজন মানুষের কর্তৃত্ব স্বীকার করতে পারেননা। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুযোগ্য উত্তরাধিকার হোসাইন তাঁর ইমামতের প্রজ্ঞায় সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট এক কালজয়ী পথ রচনা করেন। একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, ন্যায়ের প্রতিভূ ইমাম হোসাইন ও অন্যায়ের প্রতিভূ ইয়াযিদ,এ দু’য়ের কারও পথ ও কর্মকৌশলে লক্ষ্যহীন ও অপরিকল্পিত ছিল না। জান্নাতের যুবকদের সর্দার ইমাম হোসাইনের প্রতিপক্ষ ইয়াযিদ শুধু শক্তিবলেই বলশালী ছিল না; বরং উত্তরাধীকার সূত্রে তার পক্ষে ছিল উমাইয়াদের কূটকৌশল, বুদ্ধিমত্তা ও সমগ্র অপকৌশলের এক সমন্বিত অস্ত্রমালা। তার সেসকল অস্ত্রের কোনটিই সে প্রয়োগ করতে বাদ রাখনি।<br />এজিদের ঔদ্ধত্য ইমাম হোসাইনকে স্থির থাকতে দিল না। মুসলিম জনগণও ইয়াজিদের শাসন ক্ষমতা প্রাপ্তিতে বিচলিত হয়ে উঠলো। এই সংকটময় মুহূর্তে এজিদের নেতৃত্ব মেনে নিয়ে নিজের নিরাপত্তা চাইলে ইসলামের আদর্শকে বিসর্জন দিতে হয়। আর ইসলামের কল্যাণ চাইলে এজিদের শাসনকে অস্বীকার করতে হয়। ইমাম হোসাইন এই উভয় সংকটে পড়ে শেষোক্ত ত্যাগের পথই বেছে নিলেন। আর এরই শেষ পরিণতি হিসেবে (৬১ হিঃ ১০ই মুহাররম-মোতাবেক ৬৮০ খৃঃ) কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনা সংঘটিত হয়। অন্যথায় শুধু ইসলামই আপন সত্তা হারাতো না, নবী বংশসহ দুনিয়ার সকল মুসলমান কলঙ্কিত হতো এবং শাহাদাতে কারবালার প্রেরণা নিয়ে যুগে যুগে যেসব ইসলামী আন্দোলনের সৃষ্টি হয়েছে, তাও হতো কি না সন্দেহ।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh3RI843RCd04Q1Aqa26qdCjq5KJgUt9IZBPagcuDCJ_Z_qAo7kIQ2_GR607SggAK0SPfw1FjNjYIiM3rObQ3v0le9jqVRaFx8OALcC-g0jMz4ZRDdnd8Z7o9gaGbAVIyuDmPEVBP_KB3we/s1600/karbala1-750x350.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="350" data-original-width="750" height="149" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh3RI843RCd04Q1Aqa26qdCjq5KJgUt9IZBPagcuDCJ_Z_qAo7kIQ2_GR607SggAK0SPfw1FjNjYIiM3rObQ3v0le9jqVRaFx8OALcC-g0jMz4ZRDdnd8Z7o9gaGbAVIyuDmPEVBP_KB3we/s320-rw/karbala1-750x350.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর শাহাদাত :<br />———————————————————–<br />প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের পর সাহাবা কেরাম মতামতের ভিত্তিতে হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু খলিফা নির্বাচিত হন। কারণ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাউকে মনোনীত করে যাননি। এরপর হযরত আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু সাহাবাদের পরামর্শ নিয়ে হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুকে পরবর্তী খলিফা মনোনীত করেন। যিনি তার বংশের কেউ ছিলেন না। হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু পরবর্তী খলিফা মনোনয়নের জন্য ছয় সদস্যবিশিষ্ট পরিষদ গঠন করে দিয়েছিলেন। যেখানে তাঁর কোনো আত্মীয় ছিল না। মদিনার মুসলমানদের মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হযরত ওসমানের পর খলিফার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন, যা ছিল মুসলিম রাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন হওয়ার এবং খলিফা নির্বাচনের ইসলামী নিয়ম।<br />হযরত মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু যিনি সিরিয়ায় হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর প্রতিনিধি ও আমীর ছিলেন, তিনি পরবর্তী পর্যায়ে ৬০ হিজরী পর্যন্ত দীর্ঘ বিশ বছর আমীর মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু ইসলামী জাহান শাসন করেন। পিতার ইন্তিকালের পর ৬০ হিজরিতে এজিদ দামেস্ক কেন্দ্রিক ইসলামী রাষ্ট্রের খলিফার পদে বসে। চরিত্রগতভাবে ইয়াজিদ দুষ্ট চরিত্রের হওয়ায় নবী পরিবার ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু এবং মদিনার মুসলমানেরা ইয়াজিদকে খলিফা মেনে নিতে রাজি হননি। এই কারণেই এবং আগামীতে বেনামাজি, নাচ-গানকারী চরিত্রহীন লোকদেরকে মুসলামনেরা যেন নেতা ও রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে গ্রহণ না করে, প্রিয়নবী এবং খোলাফায়ে রাশেদিনের সুন্নত রক্ষা করার শিক্ষা পায়, তাই ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু সপরিবারে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শাহাদতবরণ করেন; কিন্তু অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতে রাজি হননি ।<br />ইয়াযীদ রাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন হওয়ার পরই মদীনার গভর্ণরের কাছে পত্র লিখে, যাতে তার পক্ষে হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর বাইয়াত আদায় করা হয়। উদ্দেশ্য ইমামকে ইয়াযিদের কাছে বাইআত হতে বাধ্য করা। আর তার পরই গোটা উম্মাহর মাঝে প্রচার করা হবে যে, মহানবীর দৌহিত্র হোসাইনও ইয়াযিদকে খলিফা হিসেবে মেনে নিয়েছেন। রাসূলে খোদার নাতি হয়ে হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু একজন অপদার্থ ও ইসলামী শরীয়তের রীতিনীতির প্রতি প্রকাশ্যে বিরুদ্ধাচরণকারীর হাতে বায়আত বা আনুগত্যের শপথ নিতে পারেন না। তাই রাতের অন্ধকারে তিনি মদীনা থেকে সপরিবারে মক্কায় চলে আসেন হিজরি ৬০ সালের রজব মাসে। এজিদের প্রতি বিদ্রোহী ছিল কুফার জনগণের মন। কুফা বর্তমান ইরাকের পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত। চতুর্থ খলিফা হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু যখন মদীনায় খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার্থে সপরিবারে কুফায় চলে যান। কারণ, কুফার লোকেরা ছিল হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর সমর্থক ও অনুরক্ত। ইমাম হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু খেলাফতের দাবি ত্যাগ ও পরে বিষপ্রয়োগে শাহাদত বরণ করলে ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু আহলে বায়তের সদস্যদের নিয়ে মদীনায় চলে আসেন। কাজেই কুফার লোকেরা ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর পূর্ব পরিচিত ছিল এবং কুফাবাসীও হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুকে ভালোভাবে চিনত। এজিদ দামেস্কে খেলাফতের মসনদে বসার পর হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু মক্কায় চলে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে কুফার গণ্যমান্য লোকেরা একের পর এক চিঠি পাঠাতে থাকে হোসাইনের কাছে। সবার বক্তব্য ছিল, আমরা কিছুতেই এজিদের মতো অপদার্থের হাতে বায়আত নেব না। আপনি আমাদের মাঝে চলে আসুন আমরা আপনার হাতে বায়আত গ্রহণ করে প্রয়োজনে এজিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব। রজব, শাবান, রমযান, শাওয়াল, জিলকদ এই পাঁচ মাস হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বিষয়টি নিয়ে চিন্তা, ভাবনা করেন, সবার সাথে পরামর্শ করেন। অধিকাংশ লোকের পরামর্শ ছিল কুফার লোকেরা বিশ^াসঘাতক, কাজেই আপনি যাবেন না। তিনি দেখেন যে, এজিদ নাছোড়বান্দা। প্রয়োজনে মক্কা আক্রমণ করবে। তখন কাবাঘর ও মক্কা নগরীর পবিত্রতা লুণ্ঠিত হবে। ‘আমার কারণে মক্কার অমর্যাদা হোক’ তা হোসাইন সহ্য করতে পারেন না। তাই সুচিন্তিতভাবে সিদ্ধান্ত নিলেন কুফায় যাবেন। তিনি মাহে রমযান ও হজের মওসুমে মানুষকে ইসলামী খেলাফত বিপথগামী হওয়ার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেন। ওদিকে সর্বশেষ পরিস্থিতি যাচাই করার জন্য চাচাত ভাই মুসলিম ইবনে আকীলকে কুফায় প্রেরণ করেন। মুসলিম ইবনে আকীল রিপোর্ট দেন, এ পর্যন্ত কুফার ১৮ হাজার মানুষ আপনার পক্ষে আমার হাতে বায়আত গ্রহণ করেছে। কাজেই আপনি নিশ্চিন্তে চলে আসতে পারেন। ইসলামী খেলাফতের মর্যাদা ও গুরুত্ব বোঝানোর জন্য কুফার উদ্দেশ্যে যাত্রার যে দিনটি নির্ধারণ করেন তা ছিল ৮ই যিলহজ¦, যেদিন হাজীরা ইহরাম পরে মক্কা থেকে মিনা ও আরাফাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ঐদিনই তিনি মক্কা থেকে রওয়ানা হয়ে পথিমধ্যে জানতে পারেন কুফাবাসী বিশ^াসঘাতকতা করেছে। নতুন গভর্নর ইবনে যিয়াদের ষড়যন্ত্রের শরীক হয়ে মুসলিম ইবনে আকীলকে হত্যা করেছে।<br />ইমাম অগ্রসর হতে লাগলেন, কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পরই হুর ইবনে এজিদের নেতৃত্বে কুফার গভর্ণরের প্রেরিত বাহিনী অন্য কোথাও যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেয় এবং কারবালা প্রান্তরে উপনীত হতে বাধ্য করে। ইতিহাসের বিম্ময়কর তথ্য হল, পথিমধ্যে নামাযের সময় হলে পথরোধকারীরাও ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর ইমামতিতে নামায পড়ে। নামায শেষ হলে আবার তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করে। এভাবে কুফার সামরিক অধিনায়ক হুর ইবনে এজিদ হিজরি নববর্ষ ৬১ সালের মহররম মাসে ইমাম ও তার পরিবারকে কারবালায় গিয়ে শিবির স্থাপনে বাধ্য করে। কুফার গভর্নর দামেস্ক অধিপতি এজিদের নির্দেশে ইমাম হোসাইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য ২২ হাজার বা ৩০ হাজার সৈন্যের এক বিশাল বাহিনী গঠন করে। সে বাহিনীর অধিনায়ক নিযুক্ত করে মুহাম্মদ ইবনে সাদকে। তিনি ছিলেন কাদেসিয়া বিজয়ী হযরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাসের ছেলে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তাকে সেই অঞ্চলের শাসকের পদ প্রদানের লোভ দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাঠায়। দুনিয়ার সামান্য স্বর্থের লোভে তিনি এতবড় ঝুঁকি মাথায় নেন। শেষ পর্যন্ত কারবালা প্রান্তরে শান্তি স্থাপনের জন্য যাবতীয় প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ইমাম শিবিরের জন্য ফোরাত নদীর পানি বন্ধ করে দেয়া হয়। চরম মুহূর্তে সেনাপতি হুর ইবনে এজিদ ইমামের শিবিরে পালিয়ে আসে এবং পরে ইমামের পক্ষ নিয়ে বীর-বিক্রমে লড়াই করে শাহাদতের পেয়ালা পান করেন। যা প্রমাণ করে ইমাম ছিলেন সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত আর এজিদ ও ইবনে যিয়াদের বাহিনী যুদ্ধ করেছিল মিথ্যার পক্ষে।<br />পথিমধ্যে শত্রুবাহিনীর সাথে বহুবার বৈঠক ও মতবিনিময় করে শান্তি স্থাপন ও যুদ্ধ এড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। আশুরার আগের রাতে সঙ্গীদের ডেকে অন্ধকারের ঢাল ব্যবহার করে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অথচ শাহাদাত আসন্ন জেনেও ইমামকে ছেড়ে যেতে তারা কেউ রাজি হয়নি। আশুরার দিন তিনি সেনাপতির ন্যায় শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধের ব্যুহ রচনা করেন। আক্রান্ত হলে একে একে সাথী যোদ্ধাদের রণাঙ্গনে পাঠানোর পর নিজে যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হন। এর মধ্যে এমন কোনো পদক্ষেপ নেননি বা তার এমন কোনো আচরণ প্রকাশ পায়নি, যা রাসূলে পাকের অদর্শের বাইরে বলে প্রতীয়মান হতে পারে। কাজেই চিন্তা করলে বুঝা যাবে, ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে নানাজানের দীন রক্ষার জন্য শাহাদতের পথ বেছে নিয়েছিলেন।<br /><br />ইয়াযিদ সম্পর্কে আমাদের অভিমত:<br />————————————-<br />বিদ্বেষী শ্রেণীটি ইবনে যিয়াদের উপর দোষ চাপিয়ে এজিদকে ভারমুক্ত করার জন্যও এক ধরনের প্রচারণা চালায়। অথচ ইতিহাস সম্পর্কে যাদের সামান্য লেখাপড়া আছে তারাও জানে যে, এজিদ ক্ষমতায় আরোহণের পর প্রথম বছর কারবালার বিয়োগান্ত ঘটনা ঘটায়। দ্বিতীয় বছর মদীনা আক্রমণ করে তিনদিন পর্যন্ত মসজিদে নববীকে যোদ্ধাদের ঘোড়ার আস্তাবলে পরিণত করে। আর তৃতীয় বছর যখন কাবা ঘরে আশ্রিত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুকে হত্যার জন্য সিরীয় সৈন্যরা কাবাঘর লক্ষ করে অগ্নিগোলা নিক্ষেপ করছিল তখনই দামেস্ক থেকে এজিদের মৃত্যুর সংবাদ আসে এবং তারা ফিরে যায়। কাজেই এমন পাপাচারীর পক্ষ নেয়ার সুযোগ কোনো সুস্থ বিবেকসম্পন্ন মানুষের নেই। ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু কারবালা প্রান্তরে অসহায়ভাবে শহীদ হয়েছিলেন আর দৃশ্যত এজিদ বিজয়ী হয়েছিল। কিন্তু চূড়ান্ত বিচারে ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু সেদিন বিজয়ী হয়েছিলেন। যার কারণে বিশে^র ঘরে ঘরে আজ হাসান ও হোসাইন নামের এত আদর ও কদর। পক্ষান্তরে কোনো মানুষই নিজের সন্তানের নাম এজিদ রাখতে রাজি নয়। ইতিহাস বলে, কুফাবাসী তাদের বিশ^াসঘাতকতার চরম প্রায়শ্চিত্ব ভোগ করেছিল পরবর্তী মুখতারের আন্দোলনে। কারাবালায় অংশগ্রহণকারীদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছিল। রাসূলের নাতি হয়েও ইসলামের জন্য এতবড় আত্মত্যাগ প্রমাণ করে ইসলাম মানে বিলাসিতা ও আরামদায়ক জীবনে সন্তুষ্ট থাকা নয়। ইসলাম মানে ত্যাগের পরাকাষ্ঠা।<br /><br />কারবালার শিক্ষা:<br />——————–<br />যুগে যুগে সত্যাশ্রয়ী ও নীতিনিষ্ঠদের ভূমিকা একই ছিল। তারা যে মত ও পথকে সত্য জ্ঞান করেছেন, শত প্রতিকূলতার মধ্যেও সেই নীতি, মত ও পথের উপর অবিচল থেকেছেন। নীতির প্রশ্নে তারা যেমন কারও সঙ্গে আপোষ করতেন না, তেমনি কে বা কারা এবং কত সংখ্যক লোক তাদের সঙ্গে রয়েছে, সে দিকেও ভ্রূক্ষেপ করতেন না। আর এমনিভাবে একদিন দেখা যায়, কোনো সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় যেখানে মুষ্টিমেয় লোক কাজ করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠিত সমাজের শত বাধা উপেক্ষার সম্মুখীন হয়েছিল, পরবর্তী পর্যায়ে সেখানে গোটা সমাজ তাদের আদর্শের পতাকা হাতে এগিয়ে এসেছে। শহীদে কারবালা ইমাম হোসাইনের সংগ্রামী জীবনেও আমরা এ সত্যের অভিব্যক্তি দেখতে পাই। তিনিই প্রথম ত্যাগী পুরুষ, যিনি মানুষের জন্যে নির্ধারিত ইসলামের হৃত অধিকার পুনরুদ্ধারের এবং অবিকৃত রাখার উদ্দেশ্যে নির্ভীকভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। সত্যের ঝান্ডাকে উঁচু করে রাখার সংগ্রামে শত্রুশক্তির বিপুলসংখ্যাধিক্য, হামলার প্রচন্ডতা ও নির্মমতা তাঁকে এতটুকু নত করতে পারেনি। নিজের এবং প্রাণপ্রিয় মাসুম সন্তানদের বুকের রক্ত দিয়ে তিনি একথা প্রমাণ করে গেছেন যে, আল্লাহ প্রদত্ত বিধানকে তার যথাযথ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত রাখার প্রশ্নে ত্যাগের চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে কোনো মুসলমানের পক্ষে নিজের ও প্রাণপ্রিয় সন্তানদের জীবনাহুতির বিষয়টি অতি তুচ্ছ। কারণ, এরি মাধ্যমে প্রমাণিত হয় খোদাপ্রীতির প্রকৃত স্বরূপ।<br />স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে সত্যের পতাকা নিয়ে রুখে না দাঁড়ালে, মানুষ মুলত অনাগত দিনগুলোতে অত্যাচারীর সামনে হক কথা বলার সাহসী কোনো আদর্শ ব্যক্তিত্ব খুঁজে পাবে না। মুলত একটি প্রতিষ্ঠিত রাজশক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্রবল ও জনবল শূন্য অবস্থায় কথা বলার পরিণতি কি হতে পারে, সংগ্রামী ইমাম তা ভাল করেই অনুধাবন করেছিলেন। এজন্যেই শুধু একটি বাক্য- ‘ইয়াজীদের আনুগত্য করি’ এই বলে কাপুরুষতা দেখাননি, দেখিয়েছেন ঈমানের প্রদীপ্ত শিখা। এছাড়া হোসাইন পরিবারের উন্নত নৈতিক চরিত্র সম্পর্কে ওয়াকিফহাল এমন কোনো মহল একথা বলতে পারবে না যে, ব্যক্তিগত স্বার্থ বা কর্তৃত্ব হাসিলের জন্য তিনি এ পথে পা বাড়িয়েছিলেন।<br /><br />হযরত হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুও শতভাগ সঠিক পদক্ষেপ নিলেন। কারণ, সেটিই ছিল তাঁর করণীয়া। তিনি তা না করলে কেয়ামত পর্যন্ত বিচ্যুত শাসকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কোনো দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে থাকতো না। এজন্যই হযরত হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর এই দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে যে, না, সবাই চোখবন্ধ আনুগত্য করবে না। বরং কিছু লোকের এমনও হওয়া উচিত যে, এ দুঃসহ পরিস্থিতি মোকাবেলায় পরোয়াহীনভাবে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়বে। বিভিন্ন যুগে, বিভিন্ন দেশে যেসব সংস্কারবাদী আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে, যেসব বৈপ্লবিক প্রয়াস উচ্চকিত হয়েছে, সেসব ক’টিরই পেছনে হযরত হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর স্থাপিত দৃষ্টান্ত ভূমিকা রেখেছে। তারা ওই দৃষ্টান্ত থেকে অনুধাবন করেছেন, এ জাতীয় প্রতিরোধ শিশুসুলভ কোনো চাঞ্চল্য নয়, নয় কোনো উত্তেজক ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী অস্থিরতা। বরং এটি হচ্ছে হোসাইনী সুন্নত। হযরত হোসাইনের আদর্শ-নীতি।</div>

শাহাদাতে ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু

শাহাদাতে ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু *********************************************** মুহাররম, ১৪৩৯ হিজরি. অক্টোবর-২০১৭. সৈয়দ মোহা...

Read more »

পবিত্র আশুরা তাৎপর্য ও শিক্ষা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">জুমার খুতবা<br />*************<br />২য় জুমা’ মুহাররম, ১৪৩৯হি, ২৯ সপ্টেম্বের- ২০১৭<br /><br />পবিত্র আশূরা: তাৎপর্য ও শিক্ষা:<br />========================<br />সৈয়দ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আল আযহারী<br />(বিএ. অনার্স, আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়, কায়রো, মিশর। এম.এ. এম.ফিল. কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়, মিশর। পিএইচ.ডি গবেষক,চ.বি.)<br />সহকারী অধ্যাপক, সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ. খতীব, মুসাফির খানা জামে মসজিদ, নন্দন কানন, চট্টগ্রাম।<br />بسم الله الرحمن الرحيم. الحمد لله رب العالمين والصلاة والسلام على سيد المرسلين وعلى آله وصحبه أجمعين, أما بعد!<br />আরবী বছরের প্রথম মাস মুহররম। আরবী বারটি মাসের মধ্যে যে চারটি মাসকে ‘আশহুরুল হুরুম’ তথা হারাম বা পরম সম্মানিত বলে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ ঘোষণা করা হয়েছে, মুহররম মাস এ চতুষ্টয়ের অন্যতম। আশহুরে হুরুম সম্বদ্ধে আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন :<br />إِنَّ عِدَّةَ الشُّهورِ عِندَ اللَّـهِ اثنا عَشَرَ شَهرًا في كِتابِ اللَّـهِ يَومَ خَلَقَ السَّماواتِ وَالأَرضَ مِنها أَربَعَةٌ حُرُمٌ ذلِكَ الدّينُ القَيِّمُ فَلا تَظلِموا فيهِنَّ أَنفُسَكُم وَقاتِلُوا المُشرِكينَ كافَّةً كَما يُقاتِلونَكُم كافَّةً وَاعلَموا أَنَّ اللَّـهَ مَعَ المُتَّقينَ ﴿التوبة-৩৬﴾<br />“নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গননায় মাস বারটি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না। আর মুশরিকদের সাথে তোমরা যুদ্ধ কর সমবেতভাবে, যেমন তারাও তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে সমবেতভাবে। আর মনে রেখো, আল্লাহ মুত্তাকীনদের সাথে রয়েছেন। (সূরা আল-তাওবাহঃ ৩৬)<br /><br />সাহাবি হযরত আবু বাকরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, নবীজী এরশাদ করেন,<br />عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ , عَنْ أَبِيهِ , رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” أَلَا إِنَّ الزَّمَانَ قَدِ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ خَلَقَ اللَّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ , السَّنَةَ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا , مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ , ثَلاثٌ مُتَوَالِيَاتٌ ؛ ذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ ، وَرَجَبٌ شَهْرُ مُضَرَ بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ( ) ”<br />“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, বারো মাসে বছর, তার মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। তিনটি ধারাবাহিক: যিলক্বদ, যিলহজ্ব, মুহররম আর চতুর্থটি হল রজব, যা জুমাদাল উখরা ও শাবান মাসের মধ্যবর্তী মাস। ( – বোখারি: ২/৬৭২, হা- ২৯৫৮,৩১৭৯, মুসলিম:১৬৭৯ )<br /><br />আসমান-যমীন সৃষ্টিকাল হতেই এ মাসটি বিশেষভাবে সম্মানিত হয়ে আসছে। এ মাসের ফযিলত বর্ণনা করতে গিয়ে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন: سيد الأشهر المحرم “মুহররমমাস হচ্ছে সমস্ত মাসের সরদার।” ( – দাইলামী শরীফ,মাসাবাতা বিস্ সুন্নাহ, কাশফুল খিফা-১/৪৫৯ )<br /><br />এ মাসেরই দশ তারিখ অর্থাৎ ১০ই মুহররম ‘আশূরা’র দিন, মুহররম মাসের শ্রেষ্ঠতম দিন। দিনটি বিশ্বব্যাপী এক আলোচিত দিন। যেটি আরবী “আশারুন” শব্দ হতে উদগত, অর্থাৎ দশ, মুহররম মাসের দশম দিনটি আশূরা হিসেবে পরিচিত।<br /><br />আশূরার নামকরণ:<br />============<br />আশূরার নামকরণের ব্যাপারে উলামায়ে কিরামগণ বিভিন্ন মত পোষণ করেন। তবে অধিকাংশ উলামায়ে কিরাম বলেন, এ দিনটি মুহররম মাসের ১০ তারিখ বলেই এটার নাম ‘আশূরা’ হয়েছে।<br />قال النووي رحمه الله : عَاشُورَاءُ وَتَاسُوعَاءُ اسْمَانِ مَمْدُودَانِ , هَذَا هُوَ الْمَشْهُورُ فِي كُتُبِ اللُّغَةِ قَالَ أَصْحَابُنَا: عَاشُورَاءُ هُوَ الْيَوْمُ الْعَاشِرُ مِنْ الْمُحَرَّمِ, وَتَاسُوعَاءُ هُوَ التَّاسِعُ مِنْهُ هَذَا مَذْهَبُنَا, وَبِهِ قَالَ جُمْهُورُ الْعُلَمَاءِ، .. وَهُوَ ظَاهِرُ الْأَحَادِيثِ وَمُقْتَضَى إطْلَاقِ اللَّفْظِ, وَهُوَ الْمَعْرُوفُ عِنْدَ أَهْلِ اللُّغَةِ . )المجموع (وهو اسم إسلامي لا يُعرف في الجاهلية ( )<br />“আ’শুরা ও তাসূয়া’ দুটি প্রশিদ্ধ নাম, আ’শুরা হলো মুর্হারমের দশম তারিখ আর তাসূয়া’ হলো- নবম তারিখ” (কাশ্শাফুল ক্বান্না ২/১৮ )<br />قال الزين بن المنير: الأكثر على أن عاشوراء هو اليوم العاشر من شهر الله المحرم وهو مقتضى الاشتقاق والتسمية ( )<br />কোন কোন আলিম বলেন, আল্লাহ পাক উম্মতকে যে দশটি বুযূর্গ দিন উপহার দিয়েছেন, তন্মধ্যে আশূরার দিনটি ১০ম স্থানীয়। এ কারণেই এটার নাম ‘আশূরা’ রাখা হয়েছে।<br /><br />আবার কারো মতে, এই দিনটিতে যেহেতু আল্লাহ পাক স্বীয় দশজন নবীকে ১০টি ভিন্ন ভিন্ন রহমত দান করেছিলেন তাই এটার নাম আশূরা হয়েছে।<br /><br />১০ই মুহররমবা আশূরার দিনের বরকতময় ঘটনাসমূহঃ<br />———————————————————-<br />সৃষ্টির সূচনা হয় এই দিনে এবং সৃষ্টির সমাপ্তিও ঘটবে এ দিনেই। বিশেষ বিশেষ সৃষ্টি এ দিনেই করা হয় এবং বিশেষ বিশেষ ঘটনা এ দিনেই সংঘটিত হয়।<br /><br />প্রথম নবী হযরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে আখিরী রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পযর্ন্ত প্রায় সকল নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামের উল্লেখযোগ্য কোনো না কোনো ঘটনা এ দিনে সংঘটিত হয়েছে। সঙ্গত কারণেই এ দিনটি সবার জন্য এক মহান আনুষ্ঠানিকতার দিন, সাথে সাথে রহমত, বরকত ও মাগফিরাত হাছিল করার দিনও।<br /><br />এই আশূরার দিনে অসংখ্য ঘটনা সংঘটিত হয়েছে- যা সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করা হলো:<br />————————————————————————————-<br /> মহান আল্লাহ পাক এই মুহররমের ১০ তারিখে সৃষ্টির সূচনা করেন।<br /><br /> আশূরার দিন শুক্রবার ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে।<br /><br /> এ দিনই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র ওজুদ (সৃষ্টি) মুবারক হয় এবং ইছমত, সম্মান ও খুছূছিয়ত এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়।<br /><br /> এই দিনে হযরত আদম আলাইহিস্ সালামের দোয়া কবুল করা হয়।<br /><br /> এই দিনে হযরত ইদ্রিস আলাইহিস্ সালামকে সম্মানিতস্থানে তথা আকাশে তুলে নেয়া হয়।<br /><br /> এই দিনে হযরত নূহ আলাইহিস্ সালাম এবং তাঁর সঙ্গী সাথীদের আল্লাহ পাক মহাপ্লাবন থেকে মুক্তি দেন।<br /><br /> আল্লাহ পাক এদিনে হযরত মূসা আলাইহিস্ সালামের সাথে কথা বলেন এবং তাঁর উপর তাওরাত শরীফ নাযিল করেন।<br /><br /> এদিনে বণী ইস্রাঈল সম্প্রদায়ের জন্য আল্লাহ পাক সাগরের উপর দিয়ে রাস্তা করে দেন। যার উপর দিয়ে হযরত মূসা আলাইহিস্ সালাম এবং তাঁর সম্প্রদায় পার হয়ে যান। আর ফেরাউন দলবল ও সৈন্যসামন্তসহ পানিতে ডুবে মারা যায়।<br /><br /> আল্লাহ পাক এদিনে হযরত ইউনূস আলাইহিস্ সালামকে মাছের পেট থেকে মুক্তি দেন।<br /><br /> হযরত আইয়ুব আলাইহিস্ সালামকে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর সুস্থতা দান করেন।<br /><br /> এদিনে দীর্ঘ দিন বিচ্ছেদের পর হযরত ইউসূফ আলাইহিস্ সালামকে তাঁর পিতা হযরত ইয়াকুব আলাইহিস্ সালামের কাছে ফিরিয়ে দেন।<br /><br /> আল্লাহ পাক এদিনে হযরত সোলায়মান আলাইহিস্ সালামকে তাঁর রাজত্ব বা কর্তৃত্ব দেয়ার ঘোষণা দেন।<br /><br /> আল্লাহ পাক এ দিনে হযরত ঈসা আলাইহিস্ সালামকে আসমানে তুলে নেন।<br /><br /> এদিনে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামের বিলাদত শরীফ, খলীল উপাধি লাভ এবং নমরূদের অগ্নিকু- থেকে মুক্তিলাভ করেছিলেন।<br /><br /> এ দিনে হযরত দাঊদ আলাইহিস সালামের দুয়া কবুল এবং তাঁর পুত্র হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালামের বিশ্বব্যাপী কর্তৃত্ব প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।<br /><br /> এ দিনেই মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম যমীনে বৃষ্টি নাযিল করেন।<br /><br />এই ১০ই মুহররম আল্লাহ পাকের হাবীব, নবীদের নবী, রসূলদের রসূল হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয়তম দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কারবালার প্রান্তরে মর্মান্তিকভাবে শাহাদাত বরণ করেন, যে ঘটনা বিশ্ববাসীকে ব্যথিত ও মর্মাহত করে, তবে মুসলিম উম্মাহকে শিক্ষা দেয় ত্যাগের ও সত্যের।<br /><br />সুতরাং এই পবিত্র মুহররম মাসটি সকলের জন্যই রহমত, বরকত, সাকীনা ও মাগফিরাত হাছিল করার মাস। সে জন্যই অতীতের সকল ইমাম-মুজতাহিদ ও ওলীআল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহিম এই পবিত্র মুহররম মাসকে সম্মান করেছেন।<br /><br />আশূরার আমল:<br />————————<br />রোযা: আশূরার একটি অন্যতম আমল হচ্ছে আশূরার রোযা, তথা ১০ই মুহররম উপলক্ষে দুটি রোযা রাখা। অর্থাৎ ৯, ১০ অথবা ১০, ১১ তারিখ। শুধু ১০ তারিখ রোযা রাখা মাকরূহ। কারণ এদিন ইহুদীরাও রোযা রাখে। এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে,<br />عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رضي الله عنه قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :صُومُوا يَوْمَ عَاشُورَاءَ، وَخَالِفُوا فِيهِ الْيَهُودَ ، صُومُوا قَبْلَهُ يَوْمًا أَوْ بَعْدَهُ يَوْمًا ( )<br />“তোমরা আশূরা উপলক্ষে রোযা রাখো এবং ইহুদীদের খিলাফ করো। তোমরা আশূরার দিন এবং এর পূর্বে অথবা পরে আরেকটি রোযা রাখো।” অর্থাৎ ৯, ১০ অথবা ১০, ১১ তারিখ রোযা রাখো। (আহমদ-১/২৪১, ইবনু খোযাইমা-২০৯৫, বায়হাক্বী-৪/২৮৭)<br /><br />এ প্রসঙ্গে বুখারী ও মুসলিম এ বর্ণিত হয়েছে:<br />ففي صحيح مسلم عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رضي الله عنهما: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ، فَوَجَدَ الْيَهُودَ صِيَامًا يَوْمَ عَاشُورَاءَ، فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: “مَا هَذَا الْيَوْمُ الَّذِي تَصُومُونَهُ؟” فَقَالُوا: هَذَا يَوْمٌ عَظِيمٌ، أَنْجَىَ اللهُ فِيهِ مُوسَىَ وَقَوْمَهُ، وَغَرَّقَ فِرْعَوْنَ وَقَوْمَهُ، فَصَامَهُ مُوسَىَ شُكْرًا، فَنَحْنُ نَصُومُهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: “فَنَحْنُ أَحَقُّ وَأَوْلَىَ بِمُوسَىَ مِنْكُمْ”. فَصَامَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ.اهـ ولفظ البخاري في صحيحه: عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ فَرَأَى الْيَهُودَ تَصُومُ يَوْمَ عَاشُورَاءَ فَقَالَ: مَا هَذَا، قَالُوا: هَذَا يَوْمٌ صَالِحٌ هَذَا يَوْمٌ نَجَّى اللَّهُ بَنِي إِسْرَائِيلَ مِنْ عَدُوِّهِمْ فَصَامَهُ مُوسَى، قَالَ: فَأَنَا أَحَقُّ بِمُوسَى مِنْكُمْ، فَصَامَهُ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ. ( )<br />“হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় তাশরীফ নিয়ে এলেন তখন তিনি লক্ষ্য করলেন ইহুদীরা আশূরা’র দিনে রোযা পালন করছে। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের জিজ্ঞেস করলেনঃ এই দিনে রোযা রাখার তাৎপর্য কি? তারা বললোঃ এই দিনটির অনেক বড় তাৎপর্য রয়েছে, আল্লাহ মূসা আলাইহিস্ সাল্লাম ও তাঁর অনুসারীদের মুক্তি দিয়ে ছিলেন এবং ফেরাউন ও তার অনুসারীদের ডুবিয়ে মেরে ছিলেন। হযরত মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই ঘটনার কৃতজ্ঞতা স্বরূপ রোযা রাখতেন আর তাই আমরাও রাখি। এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের চেয়ে আমরা মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লামের আরো বেশি হক্বদার ও নিকটবর্তী, সুতরাং তোমাদের চেয়ে আমাদের রোযা রাখার অধিকার বেশি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশূরা’র রোযা রাখতেন এবং অন্যদেরকে এই রোযা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন” (মুসলিম:৬/২৫২০. বুখারী:৫/৫৮:হাদিস-২৭৯ # বুখারী:৬/৬০:হাদিস২০২, বুখারী:হাদিস-১৮৬৫ )<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhZz4Bnjx2Wn1yNoXuQOlSo27-9ZABF2DddwGz6naAtosJsn0OUnvOld8UbgO8Yg0aIQTUBED1WtufeL4T9vacJSlY0PGgY7KwJOusUzdboC698NoHlZFi2LAUEOiTm-fVFl45HJcArOQIg/s1600/images.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="225" data-original-width="225" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhZz4Bnjx2Wn1yNoXuQOlSo27-9ZABF2DddwGz6naAtosJsn0OUnvOld8UbgO8Yg0aIQTUBED1WtufeL4T9vacJSlY0PGgY7KwJOusUzdboC698NoHlZFi2LAUEOiTm-fVFl45HJcArOQIg/s1600-rw/images.jpg" /></a></div><br /><br />হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:<br />فقد خرّج مسلم من حديث أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: ” أَفْضَلُ الصَّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللهِ الْمُحَرَّمُ، وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ، بَعْدَ الْفَرِيضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ”. ( )<br />“রমাদ্বান শরীফ-এর পর সবচেয়ে ফযীলতপূর্ণ রোযা হচ্ছে- মুহররম তথা আশূরার রোযা এবং ফরয নামাযের পর সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ নামায হলো রাতের নামায বা তাহাজ্জুদ নামায (মুসলিম শরীফ-১১৬২ )<br /><br />হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আশূরার রোযার ফযীলত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ইরশাদ করেন,<br />” صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ وَصِيَامُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ ” (মুসলিম শরীফ-১১৬২ )<br />“আরাফাহ দিনের রোযা বিগত এক বছর ও আগামী এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেয় আর আশুরার রোযা বিগত এক বৎসরের গুনাহর মাফ করে দেয়।” ( )<br /><br />পবিত্র আশূরার দিন পরিবারবর্গকে ভাল খাওয়ানো:<br />——————————————————<br />পবিত্র আশূরার দিন পরিবারবর্গকে ভাল খাওয়ানো সম্পর্কে হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, সাইয়িদুল মুরসালীন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,<br />عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ , أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , قَالَ : مَنْ وَسَّعَ عَلَى عِيَالِهِ يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَسَّعَ اللَّهُ عَلَيْهِ سَائِرَ سَنَتِهِ ” .<br />“যে ব্যক্তি আশূরার দিন তার পরিবারবর্গকে ভালো খাদ্য খাওয়াবে ও ভালো পোষাক পরাবে আল্লাহ পাক সারা বছর তাকে সচ্ছলতা দান করবেন।” (তাবারানী শরীফ, শুয়াবুল ঈমান লিল বাইহাক্বী, মাসাবা বিস্ সুন্নাহ, মু’মিনকে মাহ ওয়াসাল ও আ’মালী’ ) তাই পবিত্র আশূরার দিন ভালো খাদ্য খাওয়া, খাওয়ানো, পরিধান করা ও পরিধান করানো মুস্তাহাব।<br /><br />পবিত্র আহলে বাইতদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন:<br />————————————————<br />মুসলমানদের ইতিহাসে যতগুলো হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হৃদয় বিদারক ঘটনা হলো ৬১ হিজরী সনের ১০ই মুহররমে ঘটে যাওয়া ইতিহাসের নৃশংসতম ঘটনা, সাইয়িদুশ্ শুহাদা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালামের মুবারক শাহাদাতবরণ। এই হৃদয় বিদারক ঘটনার মধ্যে রয়েছে মুসলমানদের জন্য ইবরত ও নছীহত। মাতম করে এই ঘটনার বদলা শোধ করা যাবে না। এ ঘটনা আমাদের শিক্ষা দেয়- মুসলমান কোনো বাতিল শক্তির কাছে হার মেনে বশ্যতা শিকার করতে পারে না। মহিলা ও শিশুসহ মাত্র ৭২ জন সঙ্গী নিয়ে কূফার পথে আক্রান্ত হন এক বিশাল বাহিনী দ্বারা। বীর বিক্রমে জিহাদ করে শাহাদাত বরণ করে শাহাদাতের মাক্বামকে সম্মানিত করেছেন। কিন্তু না হক্বকে স্বীকার করে নেননি।<br /><br />তাই পবিত্র আশূরার একটি বিশেষ আমল হলো পবিত্র আহলে বাইতদের ছানা-ছিফত আলোচনা এবং তাঁদের খিদমত করা, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:<br />ذَلِكَ الَّذِي يُبَشِّرُ اللَّـهُ عِبَادَهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ قُل لَّا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبَى وَمَن يَقْتَرِفْ حَسَنَةً نَّزِدْ لَهُ فِيهَا حُسْنًا إِنَّ اللَّـهَ غَفُورٌ شَكُورٌ ﴿ الشورى-২৩﴾<br />“এরই সুসংবাদ দেন আল্লাহ তার সেসব বান্দাকে, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে। হে আমার হাবীব! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোনো প্রতিদান চাই না। তবে আমার নিকটজন তথা পবিত্র আহলে বাইতদের প্রতি তোমরা সদাচরণ করবে। যে কেউ উত্তম কাজ করে, আমি তার জন্যে তাতে পুণ্য বাড়িয়ে দেই। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকারী, উত্তম প্রতিদান দাতা।” (সূরা শূরা, আয়াত- ২৩)<br /><br />হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র আহলে বাইতদের উদ্দেশ্যে দোয়া করেছেন,<br />أَخْبَرَنِي أَبِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ ، قَالَ : طَرَقْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ فِي بَعْضِ الْحَاجَةِ ، فَخَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُشْتَمِلٌ عَلَى شَيْءٍ لَا أَدْرِي مَا هُوَ ، فَلَمَّا فَرَغْتُ مِنْ حَاجَتِي ، قُلْتُ : مَا هَذَا الَّذِي أَنْتَ مُشْتَمِلٌ عَلَيْهِ ؟ قَالَ : فَكَشَفَهُ فَإِذَا حَسَنٌ , وَحُسَيْنٌ عَلَى وَرِكَيْهِ , فَقَالَ : ” هَذَانِ ابْنَايَ وَابْنَا ابْنَتِيَ ، اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُمَا ، فَأَحِبَّهُمَا ، وَأَحِبَّ مَنْ يُحِبُّهُمَا “.<br />“হে মহান আল্লাহ! আমি হাসান, হুসাইন এবং তাদের আওলাদগণকে ভালোবাসি। আপনিও তাঁদেরকে ভালোবাসুন এবং যে ব্যক্তি তাঁদেরকে ভালোবাসবে তাকেও আপনি ভালোবাসুন।” ( তিরমিযী শরীফ৩/২২, হা-৩৭৩১,৩৮৫৮)<br /><br />যাঁরা তাঁদের আলোচনা, ছানা-ছিফত বর্ণনা করবে, খিদমত করবে তাদের জন্য রয়েছে মহান আল্লাহ পাক ও হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামর খালিছ সন্তুষ্টি ও রেযামন্দি।<br />وصلى الله على سيدنا محمد وعلى آله وصحبه أجمعين. والحمد لله رب العالمين.</div>

পবিত্র আশুরা তাৎপর্য ও শিক্ষা

জুমার খুতবা ************* ২য় জুমা’ মুহাররম, ১৪৩৯হি, ২৯ সপ্টেম্বের- ২০১৭ পবিত্র আশূরা: তাৎপর্য ও শিক্ষা: ======================== সৈয়দ মোহাম্...

Read more »

রসুলে পাকﷺ ইলমে গায়েব জানতেন না মর্মে আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">ইলমে গায়েব জানতেন না মর্মে আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা<br />==============<br />ডঃ আব্দুল বাতেন মিয়াজী<br />————–<br />ফেসবুকে সম্প্রতি বেশ কিছু ফেসবুক মুফতির আগমণ ঘটেছে। এরা হয় জামাত-শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত, নয় তো আহলে হাদিস আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত। এদের কাজই হল প্রতিষ্ঠিত আক্বীদার বিপক্ষে কথা বলা। এমন সব আয়াত এরা উল্লেখ করবে যেগুলো অবতীর্ণ হয়েছিল আরবের কাফের আর মুশরিকদের উদ্দেশ্য করে। ফলে সাধারণ মুসলমান ওইসব আয়াত শুনেই ঘাবড়ে যায়। এই দলের লোকগুলো এধরণের বেশ কিছু আয়াত নিজেদের কাছে জমা করে রাখে। আবার কিছু আয়াতের ফটো বানিয়ে অহরহ যেখানে সেখানে পোস্ট করছে। আপনি যে ব্যাপারেই পোস্ট করেন না কেন, এরা কপি পেস্ট করে ডজন খানেক আয়াত দেবে যেগুলোর বেশির ভাগই আপনার পোস্টের সাথে খাপ খায়না। উপরন্ত, ওইসব আয়াতগুলো মুশরিক-কাফেরদের উদ্দেশ্যে নাজিল হয়েছে।<br /><br />ইলমে গায়েব কেবল আমাদের নবী ﷺ কেই দেয়া হয়নি। এ জ্ঞান আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয় বান্দা হযরত খিজির আঃ কেও দিয়েছিলেন (সুরা কাহফ ৬৫)। তিনি অন্যান্য রাসুল যেমন হযরত নুহ আঃ, হযরত ইয়াকুব আঃ, হযরত ইউসুফ আঃ, হযরত ঈসা আঃ সহ অনেক নবী-রাসুল (আঃ) কেই দিয়েছেন। আমি সেদিকে আলোচনা নিতে চাই না। অন্য পোস্টে ইনশা আল্লাহ তা ব্যক্ত করা হবে।<br /><br />নিচে, আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে ইলমে গায়েব নিয়ে এমনই কিছু আয়াতের বিশ্লেষণ করছি যেগুলো এরা সচরাচর উল্লেখ করে সাধারণ মুসলমানকে বিভ্রান্ত করে থাকে। এগুলো আপনাদের কাছে জমা করে রাখুন। যাতে কোন গোমরাহ ব্যক্তি কপি পেস্ট করে আপনার ঈমান আর আক্বীদাকে দুর্বল করতে আসলেই আপনি এগুলো তার দিকে ছুড়ে মারতে পারেন। শয়তান যেমন আজান শুনলে পালিয়ে যায়, এরাও দেখবেন, জবাব দিতে অক্ষম হয়ে পালিয়ে যাবে কিংবা প্রসংগ পালটিয়ে আপনাকে অন্য বিষয়ে ওয়াসওাসা দেবে। তাদের বহু উল্লেখিত আয়াতসমূহ হলো নিম্নরূপঃ<br /><br />১। [“তাঁর কাছেই অদৃশ্য জগতের চাবি রয়েছে। এ গুলো তিনি ব্যতীত কেউ জানে না। স্থলে ও জলে যা আছে , তিনিই জানেন। কোন পাতা ঝরে না ; কিন্তূ তিনি তা জানেন। কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র ও শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না ; কিন্তূ তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে”। (আনআম , ৬: ৫৯)]<br /><br />উপরোক্ত আয়াতটি সুরা আনাম থেকে নেয়া। আর এই সুরাটি মাক্কী সুরা এবং মি’রাজের পূর্বে অবতীর্ণ হয়েছে। ফলে এখানে যে অদৃশ্যের চাবির কথা বলা হয়েছে, সে অদৃশ্য চাবি আল্লাহ পাক নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দিয়েছেন। এর প্রমাণ নিচের আয়াতগুলো সহ ৯০ টিরও বেশি সহীহ হাদিস।<br /><br />“তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী। পরন্ত তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না। তাঁর মনোনীত রসূল ব্যতীত।” (সুরা জিন ২৬ ও ২৭) অর্থাৎ তিনি গায়েবের জ্ঞান তাঁর মনোনীত রাসুলদের নিকট প্রকাশ করেন। আর মহানবী (দঃ) অবশ্যই তাঁর মনোনীত রাসুল।<br /><br />“তখন আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি যা প্রত্যাদেশ করবার, তা প্রত্যাদেশ করলেন।” (সুরা নাজমের ১০) এটি মি’রাজের রাতের ঘটনা। আল্লাহ পাক তাঁর রাসুল (দঃ) কে যা জ্ঞান দেবার তা দিলেন। কিন্তু কি দিলেন তা এখানে বলা হয়নি।<br /><br />“তিনি অদৃশ্য বিষয় বলতে কৃপনতা করেন না।” (সুরা তাকভিরের ২৪)<br />আমি এ আয়াতগুলোর তাফসীরের দিকে গেলাম না। কেননা তাহলে এই পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাবে। যার যার প্রয়োজন, আয়াতগুলোর তাফসীর দেখে নিন। তাহলে আর গোমরাহ হতে হবে না।<br /><br />আর অদৃশ্য জগতের চাবির বিষয়ে দেখুন হাদিস কী বলেঃ<br />“হযরত ওক্ববাহ রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু বলেছেন, হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন— নিশ্চয় আমাকে পৃথিবীর সমস্ত ধন-ভান্ডারের চাবিগুচ্ছ দেওয়া হয়েছে।” {বোখারী শরীফ ৮ খণ্ড, ৭৬ অধ্যায়, ৪৩৪ নং হাদিস)<br /><br />২। [“তিনিই সঠিকভাবে নভোমন্ডল সৃষ্টি করেছেন। যেদিন তিনি বলবেন: হয়ে যা, অত:পর হয়ে যাবে। তাঁর কথা সত্য। যেদিন শিঙ্গায় ফুৎকার করা হবে , সেদিন তাঁরই আধিপত্য হবে। তিনি অদৃশ্য বিষয়ে এবং প্রত্যক্ষ বিষয়ে জ্ঞাত। তিনিই প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ”। (আনআম , ৬: ৭৩)]<br /><br />উক্ত আয়াত নবীজী ﷺ এর ইলমে গায়েবের বিরুদ্ধে যায় না। ফলে এর জবাব দেবারও কিছু নেই।<br /><br />৩। [“আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই , কিন্তূ যা আল্লাহ চান। আর আমি যদি গায়েবের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম , ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য” । (আরাফ , ৭: ১৮৮)]<br /><br />এই সুরাটি অর্থাৎ সুরা আ’রাফও মক্কী সুরা। ফলে উপরোক্ত আয়াতে রাসুল (দঃ) গায়েবের কথা জানেন না বলে যে ঘোষণা এসেছে তা কেবলই মি’রাজের পূর্বের কথা। আমি যে তিনটি সুরা উল্লেখ করেছি, সে সুরার উল্লেখিত আয়াতসমূহের মাধ্যমে এই আয়াতের কার্যকারিতা রহিত হয়ে গেছে। কেননা তাঁকে গায়েবের জ্ঞান দেয়া হয়েছিল। ফলে কিয়ামত পর্যন্ত কি কি ঘটবে তিনি সব বলে দিয়েছেন। নিচে দেখুন এ সংক্রান্ত সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমসহ অন্যান্য সহীহ হাদিস গ্রন্থের হাদিস।<br /><br />আর তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানে পরিপূর্ণতা লাভ করে নিজের কল্যাণ তো করে নিয়েছেনই, উপরন্তু উম্মতের কল্যাণে সদা সর্বদা ব্যস্ত ছিলেন। এমন কি এখনো মদীনা মনোয়ারায় উম্মতের কল্যাণ করে যাচ্ছেন। তাঁর অতীতের চেয়ে ভবিষ্যৎ যে আরো কল্যাণকর হবে সে কথা আল্লাহ পাক সুরা দ্বোহার ৪ নং আয়াতে ব্যক্ত করেছেনঃ “আপনার ভবিষ্যৎ ভূতের চেয়ে অধিক শ্রেয়!”<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh5XXa4tXv9gbFzU8wEDmz8S309k15h_1TaF21BMqR2bxcubPU3OnE3LimAQO0sL7MiUrNCyCktNr9cc2f7q2_WxqTLz5X70dLGl5QA5bCuSJiqsqjZ6piHHwHrdK4wjrZjFF-TDk0IEzLY/s1600/wpid-11700641_846316622088228_6259671263372795329_o.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="371" data-original-width="1028" height="115" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh5XXa4tXv9gbFzU8wEDmz8S309k15h_1TaF21BMqR2bxcubPU3OnE3LimAQO0sL7MiUrNCyCktNr9cc2f7q2_WxqTLz5X70dLGl5QA5bCuSJiqsqjZ6piHHwHrdK4wjrZjFF-TDk0IEzLY/s320-rw/wpid-11700641_846316622088228_6259671263372795329_o.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />৪। [“তারপর তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে সেই গোপন ও আগোপন বিষয়ে অবগত সত্তার নিকট। তিনিই তোমাদের বাতলে দেবেন যা তোমরা করছিলে”। (তাওবা , ৯: ৯৪)]<br /><br />নবীজী ﷺ এর ইলমে গায়েবের বিরুদ্ধে যায় না। ফলে এর জবাব দেবারও কিছু নেই।<br /><br />৫। [“আর তুমি (হে নবী) বলে দাও, তোমরা আমল করে যাও, তার পরবর্তীতে আল্লাহ দেখবেন তোমাদের কাজ এবং দেখবেন রসূল ও মুসলমানগণ। তাছাড়া তোমরা শীঘ্রই প্রত্যাবর্তিত হবে তাঁর সান্নিধ্যে যিনি গোপন ও প্রকাশ্য বিষয়ে অবগত। তারপর তিনি জানিয়ে দেবেন তোমাদেরকে যা করতে”। (তাওবা , ৯: ১০৫)]<br /><br />এ আয়াতটিতে মূলত রাসুল (দঃ) এবং মুমিন বান্দাগণ অর্থাৎ আল্লাহর ওলীগণ মানুষের আমল দেখবেন সে ব্যাপার ব্যক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ রাসুল (দঃ) যে হাজির ও নাযির এ আয়াতটি তার প্রমাণ। যারা গোমরাহ হয়েছে তারা এ আয়াত পড়বে কিন্তু এর মর্ম বুঝবে না। এখানে স্থান-কাল বিবেচনায় নেয়া হয়নি। অর্থাৎ কিয়ামত পর্যন্ত বান্দাগণ যত আমল করবে, তা সব রাসুল ﷺ এবং নেকবান্দাগণ দেখতে থাকবেন। সোবহানআল্লাহ!<br /><br />৬। [“তারা বলে, তাঁর কাছে তাঁর পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশ এল না কেন ? বলে দাও গায়েবের কথা আল্লাহই জানেন। আমি ও তোমাদের সাথে অপেক্ষায় রইলাম”। (ইউনুছ , ১০: ২০)]<br /><br />সুরা ইউনুসও মক্কী সুরা। উপরন্ত আল্লাহ ব্যতিত আর কেউ গায়েবের সংবাদ জানেন না এমন কোন ইঙ্গিত নেই। “গায়েবের কথা আল্লাহই জানেন” তো অবশ্যই। কিন্তু সুরা জিনে যেমনটি বলা হয়েছে, তিনি (আল্লাহ) চাইলে তাঁর মনোনীত রাসুলদের গায়েবের জ্ঞান দান করেন। সুতরাং, এই আয়াতটিও আলোচ্য বক্তব্যের বিপক্ষে যায়না।<br /><br />৭। [“আর আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে এবং একথাও বলি না যে, আমি গায়বী খবরও জানি; একথাও বলি না যে, আমি একজন ফেরেশতা ; আর তোমাদের দৃষ্টিতে যারা লাঞ্চিত আল্লাহ্ তাদের কোন কল্যাণ দান করবেন না। তাদের মনের কথা আল্লাহ্ ভাল করেই জানেন। সুতরাং এমন কথা বললে আমি অন্যায় কারী হব”। (হুদ , ১১: ৩১)]<br /><br />সুরা হুদও মক্কী সুরা এবং তিনি (দঃ) যে গায়েব জানেন না বলেছেন, তা মি’রাজের পূর্বের ঘটনা। ফলে সুরা জিন সহ আমার উল্লেখিত ৩ সুরার মাধ্যমে এসবগুলো আয়াতের না-সূচক বক্তব্য রহিত হয়ে গিয়েছে। আর দেখুন সহীহ হাদিস কী বলেঃ<br /><br />হযরত আমর ইবনে আখতাব (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) হতে বর্নিত , তিনি বলেন , আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা) একদিন আমাদেরকে নিয়ে ফজরের নামাজ পড়লেন । অতঃপর মিম্বরে আরোহন করলেন এবং আমাদের উদ্দেশে দীর্ঘ বক্তব্য প্রদান করলেন; এমন কি যোহরের নামায পড়ালেন। অতঃপর আবারো আরোহন করলেন মিম্বরে, আর বক্তব্য দেওয়া শুরু করলেন, এমন কি আসরের নামাযের সময় উপস্থিত হল। অতঃপর মিম্বরে হতে নেমে আসরও পড়লেন। পুনরায় মিম্বরে আরোহন করে বক্তব্য দিতে দিতে এ সূর্য অস্তমিত হয়ে গেল। সে দিন নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা) অতীতে যা কিছু এবং ভবিষ্যতে যা কিছু হবে সকল বিষয়ে আমাদেরকে সংবাদ দিয়েছেন। আমাদের মধ্যে যাঁদের স্মরণশক্তি অধিক তাঁরা সেসব (অদৃশ্য) সংবাদ বেশী মনে রাখতে পেরেছেন ।<br />(সুত্র : বুখারী শরীফ হাদিস নম্বর ৬২৩০ কিতাবুল কদর , মুসলিম শরিফ হাদিস নম্বর ২৮৯১ কিতাবুল ফিতান , তিরমিযী শরীফ হাদিস নম্বর ২১৯১ কিতাবুল ফিতান , আবু দাউদ শরীফ হাদিস নম্বর ৪২৮ কিতাবুল ফিতান , মিসকাতুল মাসাবিহ : কিটাবুল ফিতান ৪৬১ পৃষ্ঠা )<br /><br />বিঃ দ্রঃ – রাসুলে করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ইলমে গায়েব আছে মর্মে আমার কাছে ৯০টির মতো হাদিস রয়েছে। আর সবগুলো হাদিসই আলহামদুলিল্লাহ্‌ সহীহ। কাজেই স্পষ্ট আয়াত এবং সহীহ হাদিস থাকার পরও যারা নবীজী (দঃ) এর ইলমে গায়েবকে অস্বীকার করে তারা নিতান্তই অভাগা এবং রাসুল (দঃ) এর নবুয়ত অস্বীকারকারী। আল্লাহ আমাদেরকে তাদের ওয়াসওয়াসা থেকে রক্ষা করুণ! আমীন<br /><br /><br /></div>

রসুলে পাকﷺ ইলমে গায়েব জানতেন না মর্মে আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা

ইলমে গায়েব জানতেন না মর্মে আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা ============== ডঃ আব্দুল বাতেন মিয়াজী ————– ফেসবুকে সম্প্রতি বেশ কিছু ফেসবুক মুফতির আগমণ ঘটেছে...

Read more »

মুসলিম ধ্বংস করার ৩টি অস্ত্র

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">বর্তমানে মুসলমান থেকে তিনটা বিষয় চলে গেলে মুসলমানদের ধ্বংস করতে কোন অস্ত্র লাগবেনা।<br /><br />লেখক:-হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী।<br /><br />এক.নবিজী সাল্লাল্লাহ আলাইহী ওয়াসাল্লাম এর ভালোবাসা অন্তর থেকে চলে গেলে।এর কারন হলো ভালোবাসা যখন দুর হয়ে যায়,তখন তার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করতেও দ্বিধাবোধ হবেনা।তাইতো গোস্তাখে রাসুলরা নবিজী ভুল করেছেন বলে মন্তব্য করে থাকে,নাউজুবিল্লাহ।<br /><br />দুই.মাজহাব থেকে মানুষকে দুরে সরিয়ে দিলে।<br />চার মাজহাবের লোকেরা আজকের এই পর্যন্ত একে অপরের বিরুদ্ধাচারন না করে গোটা বিশ্বে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ধরে রেখেছে,কিন্তু বর্তমানে মাজহাব বিরুধী লোক বের হয়ে এই ঐক্য বিনষ্ট করে দিয়ে মুসলমানদের একতাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।<br /><br />তিন.পীর মাশায়েখ, আউলিয়ায়ে কিরামের উপর মানুষের আস্হা নষ্ট করে দিলে।কারন যাদের মাধ্যমে ইসলাম বিভিন্ন দেশে প্রচার প্রসার লাভ করেছে, তাদের উপর আস্হাহীনতা সৃষ্টি করতে পারলেই মুসলমানদের ঈমান ও আমল ধরে রাখার শেষ সম্বলটুকুও হারিয়ে যাবে।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhq6J_olyyWNxyMfKQsCrsb4HLOwtLxWXfjnXDv6kopVZdPGzm6mqFVVXjp0pXot7IV_v5IrbbxZyy12O0N4LRFQMpQb7wNx7SUcweykp6cdiCD_ckt-iQfnlhdeIR-oKtV__eEW0kgqxvq/s1600/saudi-isil-cartoon1-750x350.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="350" data-original-width="750" height="149" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhq6J_olyyWNxyMfKQsCrsb4HLOwtLxWXfjnXDv6kopVZdPGzm6mqFVVXjp0pXot7IV_v5IrbbxZyy12O0N4LRFQMpQb7wNx7SUcweykp6cdiCD_ckt-iQfnlhdeIR-oKtV__eEW0kgqxvq/s320-rw/saudi-isil-cartoon1-750x350.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />লক্ষনীয়:-<br />প্রথমটি চলে গেলে ঈমান চলে যাবে।<br />দ্ধিতীয়টি চলে গেলে ঐক্য চলে যাবে।<br />তৃতীয়টি চলে প্রথম দুটিকে ফিরে পাওয়ার শেষ সম্বলটুকুও হারিয়ে যাবে।<br /><br />এরপর মুসলমানদেরকে আর অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে হবেনা,মুসলমান আপনাতেই দিনদিন ধ্বংস হয়ে যাবে।তাই বর্তমানে ইহুদী নাসারারা এই তিনটি বিষয় আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে,যাতে মুসলমানদেরকে অস্তিত্বহীন করা যায়।<br /><br />দ্র:হে মুসলমানগন, মুরব্বীদের একটা কথা মনে রাখবেন “গিয়েছে দিন ভালো, আসতেছে দিন খারাপ”।এজন্য আল্লাহ তাআলা সুরা ফাতেহায় আমাদেরকে নেয়ামত প্রাপ্ত বান্দাদের পথে চলার জন্য বলেছেন,যাতে করে আমরা আমাদের ঈমান আমল ও ঐক্যকে রক্ষা করতে পারি।</div>

মুসলিম ধ্বংস করার ৩টি অস্ত্র

বর্তমানে মুসলমান থেকে তিনটা বিষয় চলে গেলে মুসলমানদের ধ্বংস করতে কোন অস্ত্র লাগবেনা। লেখক:-হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী। এক.নবিজী সাল্লাল্লাহ আলাইহী...

Read more »

নফসের বিরুদ্ধে জিহাদই বড় জিহাদ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">নফসের সাথে জিহাদই বড় জিহাদ<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhQzCD9e58X50zqQGqhvd65EwaklbU29WjcuUWjbD5oxF3BTR6S8r0jWbVrY5BDXqi5nZ_C7Qym9VAFEegXV-HWC9Qd0z3-gKLTPKFBA8eXbzIu6I82achrvhWspTkCQFNU9_Md0bNqrRdx/s1600/islamic-calligraphy-holy-koran-written-on-gazelle-leather-articles-stock-photography_csp4276.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="194" data-original-width="271" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhQzCD9e58X50zqQGqhvd65EwaklbU29WjcuUWjbD5oxF3BTR6S8r0jWbVrY5BDXqi5nZ_C7Qym9VAFEegXV-HWC9Qd0z3-gKLTPKFBA8eXbzIu6I82achrvhWspTkCQFNU9_Md0bNqrRdx/s1600-rw/islamic-calligraphy-holy-koran-written-on-gazelle-leather-articles-stock-photography_csp4276.jpg" /></a></div><br /><br />হযরত ফাদ্বালা ইবনে উবায়দ রাঃ বলেন,আমি নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি-<br />المُجاهد مَن جاهد نفسه<br />প্রকৃত মুজাহিদ হলো হলো সেই ব্যক্তি, যে নিজের নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ করে।<br /><br />ইমাম তিরমিযি হাদীসটি সম্পর্কে বলেন,হাদীসটি হাসান ও সহীহ।<br />এমনকি লামাজহাবীদের গুরু আলবানী সহীহ তিরমিযির ১৬২১ এর টিকায় সনদটিকে সহীহ বলেছে।<br /><br />সুত্র:-সুনান তিরমিযি ৩/২১৭, হাদীস নং ১৬২১;<br /><br />হযরত জাবের রাঃ বলেন,নবিজী একদা এক জিহাদ থেকে ফিরে এসে বললেন-<br />قدِمتُم خيرَ مَقدمٍ من الجهاد الاصغرِ الى الجهادِ الاكبرِ<br />قالوا وما الجهادُ الأكبرُ ؟ قال مُجاهدةُ العبدِ هواهُ<br />আমরা ছোট জিহাদ থেকে বড জিহাদের দিকে প্রত্যাবর্তন করেছি।সাহাবীগন বলেন নবিগো বড জিহাদ কোনটি? নবিজী বললেন বান্দা তার কুপ্রবৃত্তির সাথে জিহাদ হলো বড জিহাদ।<br /><br />সুত্র:-বায়হাকী-যুহুদুল কাবীর ১/১৬৫,হাদীস ৩৭৩;<br />খতিবে বাগদাদী-তারিখে বাগদাদ ১৫/৬৮৫, ক্রমিক নং ৭২৯৭</div>

নফসের বিরুদ্ধে জিহাদই বড় জিহাদ

নফসের সাথে জিহাদই বড় জিহাদ হযরত ফাদ্বালা ইবনে উবায়দ রাঃ বলেন,আমি নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি- المُجاهد مَن جاهد نفسه প্...

Read more »

শবে বরাতের হাদিস রাবীসহ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> পবিত্র শবে বরাত প্রসঙ্গে অসংখ্য সহীহ হাদীস শরীফ বর্ণিত আছে। এত ব্যাপক সংখ্যক বর্ণনার ফলে লা’মাযহাবীদের গুরুরাও হাদীস শরীফ গুলোকে সহীহ বলতে বাধ্য হয়েছে। তারপরও কিছু কুয়োর ব্যাঙ সালাফী, হাদীস শরীফ সর্ম্পেকে অজ্ঞ হওয়ার করনে সহীহ হাদীস সমূহের বিরোধিতা করে। আসুন তাদের একটা বিরোধিতার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া যাক-</div> <div style="text-align: justify;"> হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে,</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> عن حضرت ابى موسى الاشعرى رضى الله تعالى عنه عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ان الله تعالى ليطلع فى ليلة النصف من شعبان فيغفر لجميع خلقه الا لمشرك او مشاحن رواه ابن ماجه ورواه احمد. عن عبد الله بن عمرو بن العاص رضى الله تعالى عنه وفى رواية الا اثنين مشاحن وقاتل نفس.</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থ: “হযরত আবু মুসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে। তিনি হাবীবুল্লাহ হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেছেন, অর্ধ শা’বানের রাত্রি তথা শবে বরাতে মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং নাযিল হন এবং উনার সকল সৃষ্টিকে ক্ষমা করে দেন তবে মুশরিক এবং বিদ্বেষভাবাপন্ন ব্যক্তিদেরকে ক্ষমা করেন না। কিন্তু হযরত ইমাম আহমদ রহমতুল্লাহি আলাইহি এটাকে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আছ রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন। আর উনার অপর এক রেওওয়ায়েত রয়েছে, দু’ব্যক্তি ব্যতীত। যথা- বিদ্বেষভাবাপন্ন ব্যক্তি এবং মানুষ হত্যাকারী ব্যতীত সকলকেই ক্ষমা করা হয়।” (ইবনে মাজাহ পৃষ্ঠা ১০১: হাদীস ১৩৯০, বায়হাকী শুয়াইবুল ঈমান ৩/৩৮২: হাদীস ৩৮৩৫, মিসবাহুল জুজাহ ১/৪৪২: হাদীস ৪৮৭, মিশকাতুল মাছাবীহ ১১৫ পৃষ্ঠা: হাদীস ১৩০৬, আত তাগরীব ওয়াত তারহীব ৪/২৪০, কানযুল উম্মাল ১২/৩১৫: হাদীস ৩৫১৮২, মাযমাউয যাওয়াইদ ৮/৬৫: হাদীস ১২৯৬০, জামেউস সগীর : হাদীস ২৭০০, ফাযায়েলে ওয়াক্ত লি বায়হাকী ১/১৩২: হাদীস ২৯, জামিউল মাসানিদ ওয়াল সুনান লি ইবনে কাছীর : হাদীস ১৩০৭৬)</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjVEvuV5ytiIfOW4vFtZSr2MP8NThtKsu-0JyF3X3wWVl8th8xbnn8ZUOD1vVSLLN-BEdLckn_dLhh3VZ7GqzW-mGE4itLaqjrhdiOsE0bP20Ra-2665mS9YXLXGAHH6ZY0a8SoFtaAwqNt/s1600/Shab-e-Barat-Merits-Dos-and-Donts.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="335" data-original-width="570" height="188" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjVEvuV5ytiIfOW4vFtZSr2MP8NThtKsu-0JyF3X3wWVl8th8xbnn8ZUOD1vVSLLN-BEdLckn_dLhh3VZ7GqzW-mGE4itLaqjrhdiOsE0bP20Ra-2665mS9YXLXGAHH6ZY0a8SoFtaAwqNt/s320-rw/Shab-e-Barat-Merits-Dos-and-Donts.jpg" width="320" /></a></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> উক্ত হাদীস শরীফের সনদ নিম্নরূপঃ</div> <div style="text-align: justify;"> ১)হযরত আবু মুসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু- তিনি ছিলেন বিখ্যাত ফক্বীহ সাহাবী।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ২)হযরত দ্বাহাক বিন আব্দুর রহমান ইবনে আয়যব রহমতুল্লাহি আলাইহি- ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি বলেন, তিনি ছিলেন তৃতীয় তবকার ছেকাহ রাবী। এছাড়া তিনি একজন তাবেয়ীও ছিলেন। (তাহযীবুত তাহযীব ৪/৩৯২, মিযানুল ইতিদাল ২/৩২৪)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ৩)হযরত দ্বাহাক বিন আয়মন রহমতুল্লাহি আলাইহি- ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি বলেন, তিনি অপরিচিত। (তাহযীবুত তাহযীব ৪/৪৮৯)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ৪)হযরত ওলীদ বিন মসলিম আল কুরাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি- হযরত ইবনে সাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সর্ম্পেকে বলেন, তিনি হচ্ছেন নির্ভরযোগ্য এবং অধিক হাদীস শরীফ বর্ণনাকারী। (তাহযীবুত তাহযীব ১১/১৩৪)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ৫)হযরত রাশেদ ইবনু সায়ীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি- উনার সর্ম্পেকে ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি বলেন, তিনি ছিলেন দশম তবকার ছিকাহ রাবী।” (তাহযীবুত তাহযীব ৩/১৯৬)</div> <div style="text-align: justify;"> সালাফীরা উক্ত সনদের তৃতীয় বর্ণনাকারী হযরত দ্বাহাক বিন আয়মান রহমতুল্লাহি আলইহি উনার কারনে হাদীস শরীফকে অস্বীকার করতে চায়। এখানে ফিকিরের বিষয় হচ্ছে উক্ত রাবী ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি উনার কাছে অপরিচিত হলেও সিয়া সিত্তার ইমাম হযরত ইবনে মাজাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে অপরিচিত ছিলেন না। ইবনে মাজাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিলাদত ২০৯ হিজরীতে আর রাবী ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি উনার বিলাদত ৮৫২ হিজরীতে। সূতরাং (৮৫২-২০৯)= ৬৪৩ বছর আগের ইমাম হযরত ইবনে মাজাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে উক্ত রাবীর খবর ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি থেকে ভালো জানার কথা। সূতরাং উক্ত রাবীকে ঢালাও ভাবে মাজহুল বা অপরিচিত বলা মোটেও ঠিক হবে না।</div> <div style="text-align: justify;"> উক্ত হাদীস শরীফ সর্ম্পেকে লা’মাযহাবীদের ইমাম মোবারকপুরী উল্লেখ করেছে,</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> رواه لبن ماجه من حديث ابي موسي الاشعري باسناد لا بأس به</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> “ইমাম মুনযির রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, উক্ত হাদীস শরীফ খানা ইমাম হযরত ইবনে মাজাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত আবু মুসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণনা করেন। উক্ত হাদীস শরীফের সনদটির মধ্যে কোন অসুবিধা নেই।” (তুহফাতুল আহওয়াজী ৩/৪৪১)</div> <div style="text-align: justify;"> তাছাড়া উক্ত হাদীস শরীফ কমপক্ষে ১০ টা সনদে বর্ণিত হয়েছে। যা হাদীস শরীফকে শাহেদ হাদীস হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।</div> <div style="text-align: justify;"> আহলে হাদীস লা’মাযহাবীদের অন্যতম পুজনীয় নাসির উদ্দীন আলবানী উক্ত হাদীস শরীফ সর্ম্পেকে বলেছে,</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ورواه ابن ماجه بلفظه من حديث أبي مويي الاشعري : صحيح لغيره</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> হযরত ইবনে মাজাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক বর্ণিত হযরত আবু মুসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সূত্রে বর্ণিত হাদীস শরীফ খানা সহীহ লি গাইরিহী। (দলীলঃ সহীহ আত তারগীব ওয়াত তারহীব ৩ খন্ড: হাদীস ২৭৬৮)</div> <div style="text-align: justify;"> এবার আসুন সহীহ লিগাইরিহী কাকে বলে জেনে নিই,-</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ছহীহ লিগাইরিহীঃ এটা হাসান লিযাতিহী হাদীছ শরীফরে অনুরূপ। ছহীহ হাদীছ শরীফ-এর কোন রাবীর মধ্যে স্বরণ শক্তি কছিুটা কম থাকে। তবে সইে অভাব বা ত্রুটিটুকু অন্যান্য উপায়ে এবং অধকি রওিয়ায়তে দ্বারা পুরণ হয়ে যায়। মোট কথা, উহার সমর্থনে বহু রিওয়ায়েত বর্ণিত থাকায় তাহার ত্রুটি ক্ষতপিুরণ হয়ে গেছে। এরূপ হাদীছ শরীফকে ছহীহ লিগাইরিহী। (তাদরীবুর রাবী, মিজানুল আখবার)</div> <div style="text-align: justify;"> লা’মাযহাবীদের গুরুরাই উক্ত হাদীস শরীফকে সহীহ বলে উল্লেখ করেছে এবং বলেছে সনদে কোন অসুবিধা নেই তাহলে এখন কুয়ার ব্যং লা’মাযহাবীরা কোন সাহসে এই হাদীস শরীফের বিরোধিতা করে ?</div> </div>

শবে বরাতের হাদিস রাবীসহ

পবিত্র শবে বরাত প্রসঙ্গে অসংখ্য সহীহ হাদীস শরীফ বর্ণিত আছে। এত ব্যাপক সংখ্যক বর্ণনার ফলে লা’মাযহাবীদের গুরুরাও হাদীস শরীফ গুলোকে সহীহ বল...

Read more »

আলবানীর দৃষ্টিতে পবিত্র শবে বরাত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> সালাফী লা’মাযহাবীদের অন্যতম গুরু নাছির উদ্দীন আলবানী তার “সিলসিলাতু আহাদীসি আস সহীহা” কিতাবে পবিত্র শবে বরাতের হাদীস শরীফকে সহীহ বলে উল্লেখ করে লিখেছে,</div> <div style="text-align: justify;"> “ হাদীসটি সহীহ। কেননা একদল সাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু</div> <div style="text-align: justify;"> আনহু থেকে বিভিন্ন সূত্রে নিসফে শাবানের মর্যদা ওপর একাধিক হাদীস শরীফ বর্ণিত আছে। বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হওয়ার কারনে হাদীস শরীফটি মজবুতি লাভ করেছে। যে সকল সাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে হাদীস শরীফ বর্ণিত আছে উনারা হলেন, হযরত মু’আয ইবনে জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু আনহু , হযরত আবু সালাবা রদ্বিয়াল্লাহু আনহ, হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত আবু মূসা আল আশ’আরী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু , হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত আউফ বিন মালেক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা। এছাড়াও অনেক আকাবীর সাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুগন হাদীস শরীফ বর্ণনা করেন। (দলীল: সিলসিলাতু আহাদীসি আস সহীহা</div> <div style="text-align: justify;"> ৩য় খন্ড ১৩৫ পৃষ্ঠা: হাদীস নম্বর ১১৪৪ , মূল কিতাবের স্ক্যন কপি দেয়া হলো)</div> <div style="text-align: justify;"> এবার সালাফী লা’মাযহাবীদের কাছে প্রশ্ন তারা</div> <div style="text-align: justify;"> তাদের গুরু নাছির উদ্দীন আলবানীর শবে বরাতের পক্ষে ফতোয়াকে মেনে নিবে কিনা?</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjsX__VyBaVfuRYH6vCr2ojMtrnvVzgBoWBIAzvlgmWqiUTtBovHAyrP-2ZOvmp3PCdXfGV1Kf2rTtHX4Kw6HqnEWy9_68wZMTr-_4Tc-zf3QcckTW52bE5E9AsWruDPb6_ZBJ8LthJIwHB/s1600/13265834_1800064610212580_432733663432474033_n.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="403" data-original-width="473" height="272" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjsX__VyBaVfuRYH6vCr2ojMtrnvVzgBoWBIAzvlgmWqiUTtBovHAyrP-2ZOvmp3PCdXfGV1Kf2rTtHX4Kw6HqnEWy9_68wZMTr-_4Tc-zf3QcckTW52bE5E9AsWruDPb6_ZBJ8LthJIwHB/s320-rw/13265834_1800064610212580_432733663432474033_n.jpg" width="320" /></a></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> শবে বরাত অস্বীকারকারী লা’মাযহাবীদের জন্য অরেকটা চমক।</div> <div style="text-align: justify;"> =================================================</div> <div style="text-align: justify;"> সালাফীদের গুরু নাছিরউদ্দীন আলবানী তার একটা কিতাব “সহীহ আত তারগীব ওয়াত তারহীব” কিতাবের ৩য় খন্ড ৫৩ ও ৫৪ পৃষ্ঠায় শবে বরাত শরীফ সর্ম্পকে ৫ টা হাদীস শরীফ বর্ণনা করেছে। উক্ত কিতাবের ২৭৬৭ নম্বর হাদীস শরীফে</div> <div style="text-align: justify;"> হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত হাদীস শরীফকে “হাসান সহীহ” বলেছে।</div> <div style="text-align: justify;"> ২৭৬৮ নম্বর হাদীস শরীফ হযরত আবু আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হাদীস শরীফকে “সহীহ লি গাইরিহী” বলেছে। ২৭৬৯ নম্বর হাদীস শরীফ হযরত আবু বকর সিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু অ।নহু হতে বর্ণিত হাদীস শরীফকে “সহীহ লি গাইরিহী” বলেছে। এবং মন্তব্য হিসাবে বলেছে “এই সনদে</div> <div style="text-align: justify;"> কোন সমস্য নেই। এরপর ২৭৭০ নম্বর হাদীস শরীফে হযরত কাছীর ইবনে মুররা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীস শরীফকে “সহীহ লি গাইরিহী” বলেছে। হযরত মাকহুল রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত ২৭৭১ নম্বর হাদীস শরীফকে “সহীহ লি গাইরিহী” বলেছে। এবার জনতার আদালতে প্রশ্ন, সালাফী গুরু আলবানী যেখানে শবে বরাতের হাদীস শরীফকে সহীহ হিসাবে আখ্যায়িত করেছে সেখানে তার তথাকথিত অনুসারী কুয়ার ব্যাং সালাফীরা কেন আজ শবে বরাতের বিরোধীতায়</div> <div style="text-align: justify;"> মশগুল?</div> <div style="text-align: justify;"> এখন কথা হচ্ছে সালাফীরা যদি শবে বরাতের বিরোধীতা করে তবে সবার আগে আলবানীরি বিরোধীতা করে আসতে হবে …..তা কি তারা করতে পারবে ?????</div> <div style="text-align: justify;"> (রিয়াদ থেকে প্রকাশিত আলবানীর কিতাবের স্ক্যান কপি দেয়া হলো। হাদীস নম্বর এবং তার মন্তব্য লাল বক্স দ্বারা চিহ্নত করা হলো))</div> </div>

আলবানীর দৃষ্টিতে পবিত্র শবে বরাত

সালাফী লা’মাযহাবীদের অন্যতম গুরু নাছির উদ্দীন আলবানী তার “সিলসিলাতু আহাদীসি আস সহীহা” কিতাবে পবিত্র শবে বরাতের হাদীস শরীফকে সহীহ বলে উল্লে...

Read more »

কোরআনের আলোকে শবে বরাত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">শবে বরাত ফার্সী ভাষা, ফার্সী শব অর্থ রাত্রি<br />এবংবরাত অর্থ ভাগ্য বা মুক্তি। সুতরাং শবে বরাত মানে<br />হল ভাগ্য রজনী বা মুক্তির রাত।কোরআনে শবে কদর<br />নাই,লাইলাতুল কদর আছে,শবে বরাত নাই,লাইলাতুল<br />মোবারাকা আছে।কুরআন শরীফে শবে বরাতকে লাইলাতুম<br />মুবারাকাহ বা বরকতময় রাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।<br />আর হাদীস শরীফে শবে বরাতকে লাইলাতুন নিছফি মিন<br />শা’বান বা শা’বান মাসের মধ্য রাত হিসেবে উল্লেখ করা<br />হয়েছে।<br /><br />এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে ইরশাদ করেন,<br />ﻭَﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏِ ﺍﻟْﻤُﺒِﻴﻦِ<br />ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُّﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨﺬِﺭِﻳﻦَ<br />ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ<br />ﺃَﻣْﺮًﺍ ﻣِّﻦْ ﻋِﻨﺪِﻧَﺎ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﺮْﺳِﻠِﻴﻦَ<br />অর্থঃ<br />” শপথ প্রকাশ্য কিতাবের! নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রজনীতে<br />কুরআন নাযিল করেছি। নিশ্চয়ই আমিই সতর্ককারী। আমারই<br />নির্দেশক্রমে উক্ত রাত্রিতে প্রতিটি প্রজ্ঞাময় বিষয়গুলো<br />ফায়সালা হয়। আর নিশ্চয়ই আমিই প্রেরণকারী।”<br />(সূরা দু’খানঃ ২-৫)<br />কেউ কেউ বলে থাকে যে, “সূরা দু’খানের উল্লেখিত আয়াত<br />শরীফ দ্বারা শবে ক্বদর-কে বুঝানো হয়েছে। কেননা উক্ত<br />আয়াত শরীফে সুস্পষ্টই উল্লেখ আছে যে, নিশ্চয়ই আমি<br />বরকতময় রজনীতে কুরআন নাযিল করেছি……..। আর কুরআন<br />শরীফ যে ক্বদরের রাতে নাযিল করা হয়েছে তা সূরা<br />ক্বদরেও উল্লেখ আছে ।”<br />এ প্রসঙ্গে মুফাসসির কুল শিরোমণি রঈসুল মুফাসসিরীন<br />বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস<br />রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ” উক্ত আয়াতের দুটি ব্যাখ্য<br />দিয়েছেন ১ লাইলাতুল কদর ২, লাইলাতুল বারায়াত।<br />প্রখ্যাত মুফাসসির হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (), হযরত<br />আবু হুরায়রা () এবং হযরত ইকরামা () সহ বহু সংখ্যক সাহাবী<br />তাবেয়ীনদের মতে উক্ত আয়াতে লাইলাতুল মুবারাকা<br />দ্বারা চৌদ্দ-ই শাবান দিবাগত রাত বা শবে বারাআত<br />বুঝানো হয়েছে।<br />যেমন কয়েকজন মুফাসসিরদের মতামত দেয়া হল-<br />(১) ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﺣﻢ ﻳﻌﻨﻰ ﻗﻀﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﺎ ﻫﻮ ﻛﺎﺋﻦ ﺍﻟﻰ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ<br />ﻭﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﺍﻟﻤﺒﻴﻦ ﻳﻌﻨﻰ ﺍﻟﻘﺮﺍﻥ ﻓﻰ ﻟﻴﻠﺔ ﻣﺒﺎﺭﻛﺔ ﻫﻰ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ ﻭﻫﻰ ﻟﻴﻠﺔ<br />ﺍﻟﺒﺮﺃﺓ –‘‘হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস () বলেন, হা-মীম<br />অর্থাৎ- আল্লাহ তায়ালা নির্ধারণ করেছেন কিয়ামত<br />পর্যন্ত যা ঘটবে, সুস্পষ্ট কিতাবের শপথ অর্থাৎ- আল কুরআন,<br />লাইলাতুল মুবারাকা অর্থাৎ শাবান মাসের চৌদ্দ তারিখ<br />দিবাগত রাত তা হল লাইলাতুল বারাআত।’’<br /># ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি : তাফসীরে দুররে মানসুর :<br />৭/৪০১পৃ<br />(২), ﻋﻦ ﻋﻜﺮﻣﺔ ﺍﻟﻠﻴﻠﺔ ﺍﻟﻤﺒﺎﺭﻛﺔ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ ﺍﻧﺰﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺟﺒﺮﺍﺋﻴﻞ ﺍﻟﻰ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻓﻰ ﺗﻠﻚ<br />ﺍﻟﻠﻴﻠﺔ ﺣﺘﻰ ﺍﻣﻠﻰ ﺍﻟﻘﺮﺍﻥ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻜﺘﺒﺔ ﻭﺳﻤﺎﻫﺎ ﻣﺒﺎﺭﻛﺔ ﻻﻧﻬﺎ ﻛﺜﻴﺮﺓ ﺍﻟﺨﻴﺮ ﻭﺍﻟﺒﺮﻛﺔ ﻟﻤﺎ ﻳﻨﺰﻝ ﻓﻴﻬﺎ ﻣﻦ<br />ﺍﻟﺮﺣﻤﺔ ﻭﻳﺠﺎﺏ ﻓﻴﻬﺎ ﻣﻦ ﺍﻟﺪﻋﻮﺓ –<br />-‘‘হযরত ইকরামা () বলেন, “লাইলাতুল মুবারাকা” দ্বারা<br />শাবান মাসের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতকে বুঝানো<br />হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা হযরত জিবরাঈল () কে ঐ রাতে<br />প্রথম আবৃত্তি করতে পারেন। এই রাতকে মুবারক নাম রাখার<br />কারণ হলো এতে কল্যাণ, বরকত ও আল্লাহর রহমত নাযিল হয়<br />এবং রাতে দোয়া কবুল হয়।’’<br /># তাফসীরে কাশফুল আসরার, ৯/৯৮.পৃ.<br />৩,মুবারাকা বা বরকতময় বলার কারণ কি এ প্রসঙ্গে<br />আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী () বলেছেন,<br />ﺍﻟﻠﻴﻠﺔ ﺍﻟﻤﺒﺎﺭﻛﺔ ﻛﺜﻴﺮﺓ ﺧﻴﺮﻫﺎ ﻭﺑﺮﻛﺘﻬﺎ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻌﺎﻟﻤﻴﻦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺨﻴﺮ ﻭﺍﻥ ﻛﺎﻥ ﺑﺮﻛﺎﺕ ﺟﻤﺎﻟﺔ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺗﺼﻞ ﺍﻟﻰ<br />ﻛﻞ ﺫﺭﺓ ﻣﻦ ﺍﻟﻌﺮﺵ ﺍﻟﻰ ﺍﻟﺜﺮﻯ ﻛﻤﺎ ﻓﻰ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ –<br />-‘‘লাইলাতুল মুবারাকা বলা হয় এ রাতে অনেক খায়ের ও<br />বরকত নাযিল হয়। সৃষ্টির প্রতি আল্লাহর সৌন্দর্যের বরকত<br />আরশের প্রতি কণা থেকে ভূতলের গভীরে পৌঁছে যেমনটি<br />শবে কদরের মধ্যে হয়ে থাকে।’’<br /># আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী : তাফসীরে রুহুল বায়ান : ৮/১০১<br />পৃ.<br />(৪) আল্লামা ইমাম সুয়ূতি (রহ.) আরও বলছেন,<br />ﻋﻦ ﺍﺑﻰ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻪ ﺍﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﺍﻗﻄﻊ<br />ﺍﻻﺟﺎﻝ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ ﺍﻟﻰ ﺷﻌﺒﺎﻥ ﺣﺘﻰ ﺍﻥ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻟﻴﻨﻜﺢ ﻭﻳﻮﻟﺪ ﻟﻪ ﻭﻗﺪ ﺧﺮﺝ ﺍﺳﻤﻪ ﻓﻰ ﺍﻟﻤﻮﺗﻰ –<br />-‘‘হযরত আবু হুরায়রা () হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ () ইরশাদ<br />করেছেন, এক শাবান থেকে অপর শাবান পর্যন্ত মানুষের<br />হায়াত চূড়ান্ত করা হয়। এমনকি একজন মানুষ বিবাহ করে<br />এবং তার সন্তান হয় অথচ তার নাম মৃতের তালিকায় উঠে<br />যায়।’’<br /># আল্লামা ইমাম জালালুদ্দীন সূয়তী : তাফসীরে দুররে<br />মানসুর : ৭/৪০১ পৃ<br />(৫) আল্লামা ইমাম কুরতুবী () তাফসীরে কুরতুবীতে এই<br />আয়াতের তাফসীরে লিখেছেন-<br />ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ ﻭﻟﻬﺎ ﺍﺭﺑﻌﺔ ﺍﺳﻤﺎﺀ ﺍﻟﻠﻴﻠﺔ ﺍﻟﻤﺒﺎﺭﻛﺔ ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺒﺮﺃﺓ ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺼﻚ ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ ﻭﻭﺻﻔﻬﺎ<br />ﺑﺎﻟﺒﺮﻛﺔ ﻟﻤﺎ ﻳﻨﺰﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻴﻬﺎ ﻋﻠﻰ ﻋﺒﺎﺩﻩ ﻣﻦ ﺍﻟﺒﺮﻛﺎﺕ ﻭﺍﻟﺨﻴﺮﺍﺕ ﻭﺍﻟﺜﻮﺍﺏ –<br />-‘‘লাইলাতুল মুবারাকা দ্বারা অর্ধ শাবান (শবে বরাত) এর<br />রাতকে বুঝানো হয়েছে। এই ১৫ই শাবানের রাত তথা শবে<br />বরাতের চারটি নাম রয়েছে, যেমন. ১. লাইলাতুল মুবারাকা<br />বা বরকত পূর্ণ রাত, ২. লাইলাতুল বারায়াত তথা মুক্তি বা<br />ভাগ্যের রাত. ৩। লাইলাতুল ছক্কি বা ক্ষমা স্বীকৃতি<br />দানের রাত ৪. লাইলাতুল ক্বদর বা ভাগ্য রজনী।’’<br />আর শবে বরাতকে বরকতের সঙ্গে এই জন্য সম্বন্ধ করা হয়েছে<br />যেহেতু আল্লাহ পাক এই শবে বরাতে বান্দাদের প্রতি<br />বরকত, কল্যাণ এবং পূণ্য দানের জন্য দুনিয়ায় কুদরতীভাবে<br />নেমে আসেন অর্থাৎ- খাস রহমত নাযিল করেন।<br />(৬) ইমাম কুরতবী () আরও বলেন,<br />ﻭﻗﺎﻝ ﻋﻜﺮﻣﺔ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻪ ﺍﻟﻠﻴﻠﺔ ﺍﻟﻤﺒﺎﺭﻛﺔ ﻫﻬﻨﺎ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ –<br />-‘‘বিখ্যাত সাহাবী হযরত ইকরামা () তিনি বলেন,<br />লাইলাতুল মুবারাকা দ্বারা এখানে অর্ধ শাবান (শবে<br />বরাতকে) এর রাতকেই বুঝানো হয়েছে।’’<br />প্রখ্যাত মুফাসসির হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (), হযরত<br />আবু হুরায়রা () এবং হযরত ইকরামা () সহ বহু সংখ্যক সাহাবী<br />তাবেয়ীনদের মতে উক্ত আয়াতে লাইলাতুল মুবারাকা<br />দ্বারা চৌদ্দ-ই শাবান দিবাগত রাত বা শবে বারাআত<br />বুঝানো হয়েছে।<br /># ইমাম কুরতুবী : তাফসীরে কুরতবী : ৮/১২৬ পৃ.<br />৭) ইমাম কুরতুবী () আরও বলেন, ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻬﻤﺎ<br />ﺍﻳﻀﺎ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻳﻘﻀﻰ ﺍﻻﻗﻀﻴﺔ ﻓﻰ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ ﻭﻳﺴﻠﻤﻬﺎ ﺍﻟﻰ ﺍﺭﺑﺎ ﺑﻬﺎ ﻓﻰ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ –<br />-‘‘প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস () থেকে<br />বর্ণিত আছে যে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা অর্ধ<br />শাবান (শবে বরাতে) এর রাত্রিতে যাবতীয় বিষয়ের ভাগ্য<br />তালিকা প্রস্তুত করেন। আর কদরের রাত্রিতে ঐ ভাগ্য<br />তালিকা বাস্তবায়নকারী ফেরেশতাদের হাতে পেশ<br />করেন।’’<br />#ইমাম কুরতুবী: তাফসীরে কুরতুবী : ৯/১৩০ : পৃ:<br />(৮) আল্লামা সৈয়দ মাহমুদ আলূসী () “তাফসীরে রুহুল<br />মায়ানীতে’’ সূরা দুখানের উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেন,<br />ﻭﻭﺻﻒ ﺍﻟﻠﻴﻠﺔ ﺑﺎﻟﺒﺮﻛﺔ ﻟﻤﺎ ﺍﻥ ﺍﻧﺰﺍﻝ ﺍﻟﻘﺮﺍﻥ ﻣﺴﺘﺘﺒﻊ ﻟﻠﻤﻨﺎﻓﻊ ﺍﻟﺪﻳﻨﻴﺔ ﻭﺍﻟﺪﻧﻮﻳﺔ ﺑﺄﺟﻤﻌﻬﺎ ﺍﻭ ﻟﻤﺎ ﻓﻴﻬﺎ ﻣﻦ<br />ﻧﻨﺰﻝ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ ﻭﺍﻟﺮﺣﻤﺔ ﻭﺍﺟﺎﺑﺔ ﺍﻟﺪﻋﻮﺓ ﻭﻓﻀﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺒﺎﺩﺓ ﺍﻭ ﻟﻤﺎ ﻓﻴﻬﺎ ﻣﻦ ﺫﻟﻚ ﻭﺗﻘﺪﻳﺮ ﺍﻻﺭﺯﺍﻕ ﻭﻓﻀﻞ<br />ﺍﻻﻗﻀﻴﺔ ﻻﺟﺎﻝ ﻭﻏﻴﺮﻫﺎ ﻭﺍﻋﻄﺎﺀ ﺗﻤﺎﻡ ﺍﻟﺸﻔﺎﻋﺔ ﻟﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﻫﺬﺍ ﺑﻨﺎﺀ ﻋﻠﻰ ﺍﻧﻬﺎ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺒﺮﺃﺓ ﻓﻘﺪ<br />ﺭﻭﻯ ﺍﻧﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺳﺄﻝ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺜﺎﻟﺚ ﻋﺸﺮ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ ﻓﻰ ﺃﻣﺘﻪ ﻓﺄﻋﻄﻰ ﺍﻟﺜﻠﺚ ﻣﻨﻬﺎ ﺛﻢ<br />ﺳﺄﻝ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺮﺍﺑﻊ ﻋﺸﺮ ﻓﺄﻋﻄﻰ ﺍﻟﺜﻠﺜﻴﻦ ﺛﻢ ﺳﺄﻝ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺨﺎﻣﺲ ﻋﺸﺮ ﻓﺄﻋﻄﻰ ﺍﻟﺠﻤﻴﻊ ﺍﻻ ﻣﻦ ﺷﺮﺩ ﻋﻠﻰ<br />ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺷﺮﺍﺩ ﺍﻟﺒﻌﻴﺮ –<br />-‘‘লাইলাতুল মুবারাকা বরকতের রাত হিসেবে এবং<br />দুনিয়াবী বহুবিদ কল্যাণের জন্য নাযিলের সিদ্ধান্ত দেয়া<br />হয়েছে। ঐ রাতে সমস্ত ফেরেশতারা অবতরণ করেন এবং<br />রহমত নাযিল হয়, বান্দাদের দোয়াকবুল করা হয়। বান্দাদের<br />রিযিক বন্টন করা হয় এবং সমস্ত কিছুর ভাগ্য সমূহ পৃথক করা<br />হয়। যেমন মৃত্যু এবং অন্যান্য সব বিষয়ের। এবং রাসূল () এর<br />সমস্ত বিষয়ের সুপারিশ কবুল করা হয়। আর এই বরকতের<br />রাতকে বরাতের রাত হিসেবেও নাম করণ করা হয়। যেহেতু<br />এ সম্পর্কে হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে যে, আখিরী রাসূল<br />() তিনি শাবান মাসের ১৩ তারিখ রাতে স্বীয় উম্মতের<br />ক্ষমার জন্য আল্লাহ পাকের কাছে প্রার্থনা করেন। অতঃপর<br />অনুরূপভাবে ১৪ই শাবান তথা শবে বরাতেও মহান আল্লাহ<br />পাকের কাছে হুযুর পাক () স্বীয় উম্মতের জন্য ক্ষমা<br />প্রার্থনা করেন, তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি শবে<br />বরাতে তার উম্মতের দুই তৃতীয়াংশ উম্মতকে ক্ষমা করেন।<br />অতঃপর অনুরূপভাবে ১৫ই শাবান তথা শবে বরাতেও মহান<br />আল্লাহ পাকের কাছে হুযুর পাক () স্বীয় উম্মতের জন্য ক্ষমা<br />প্রার্থনা করেন, তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি সেই শবে<br />বরাতে তার সমস্ত উম্মতগণকে ক্ষমা করে দেন। তবে ওই<br />সমস্ত উম্মত ব্যতীত যারা মহান আল্লাহ পাক এর ব্যাপারে<br />চরম বিভ্রান্তিতে পতিত হয়েছে।’’<br />#আল্লামা আলুসী বাগদাদী: তাফসীরে রুহুল মায়ানী :<br />১৩/১১২ পৃ:<br />(৯) ইমাম খাযেন () রচিত তাফসীরে লুবাবুত তাভীল” এ উক্ত<br />আয়াতের তাফসীরে উল্লেখ আছে-<br />( ﻓﻴﻬﺎ ‏) ﺍﻯ ﻓﻰ ﺍﻟﻠﻴﻠﺔ ﺍﻟﻤﺒﺎﺭﻛﺔ ‏(ﻳﻔﺮﻕ ‏) ﻳﻔﺼﻞ ‏( ﻛﻞ ﺍﻣﺮ ﺣﻜﻴﻢ ‏) —— ﻭﻗﺎﻝ ﻋﻜﺮﻣﺔ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ<br />ﻋﻨﻪ ﻫﻰ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ ﻳﻘﻮﻡ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻣﺮ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭﺗﻨﺴﺦ ﺍﻻﺣﻴﺎﺀ ﻣﻦ ﺍﻻﻣﻮﺍﺕ ﻓﻼ ﻳﺰﺍﺩ ﻓﻴﻬﻢ ﻭﻻ<br />ﻳﻨﻘﺺ ﻣﻨﻬﻢ ﺍﺣﺪ ﻗﺎﻝ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﺗﻘﻄﻊ ﺍﻻﺟﺎﻝ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ ﺍﻟﻰ ﺷﻌﺒﺎﻥ ﺣﺘﻰ ﺍﻥ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻟﻴﻨﻜﺢ<br />ﻭﻳﻮﻟﺪ ﻟﻪ ﻭﻟﻘﺪ ﺍﺧﺮﺝ ﺍﺳﻤﻪ ﻓﻰ ﺍﻟﻤﻮﺗﻰ ﻭﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﻘﻀﻰ<br />ﺍﻻﻗﻀﻴﺔ ﻓﻰ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ ﻭﻳﺴﻠﻤﻬﺎ ﺍﻟﻰ ﺍﺭﺑﺎﺑﻬﺎ ﻓﻰ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ –<br />-‘‘ওই মুবারক তথা বরকত পূর্ণ রাত্রিতে অর্থাৎ- শবে বরাতের<br />প্রত্যেক হিকমত পূর্ণ যাবতীয় বিষয় সমূহের ফায়সালা করা<br />হয়। বিখ্যাত তাবেয়ী হযরত ইকরামা () তিনি বলেন,<br />লাইলাতুল মুবারাকা দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্ধ শাবান<br />তথা (শবে বরাত) এর রাত। এই শবে বরাতে আগামী এক<br />বৎসরের যাবতীয় বিষয়ের ভাগ্য তালিকা প্রস্তুত করা হয়<br />এবং তালিকা প্রস্তুত করা হয় মৃত ও জীবীতদের। ওই<br />তালিকা থেকে কোন কম বেশি করা হয় না অর্থাৎ-<br />পরিবর্তন হয় না।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhCBudY7G0Htj7lr7sUhOrfnRM0SeAWnws5tn2UC5lMuNu90NPBhqcbsDZ19b9MWBS8TaejmTQHUQUOrWDZ5OO0TjWBRZT0fsBh6K5DQemiNIY_a8m_Qb6fmsfyo6PPkZQnEkJ0xrYSOI2V/s1600/wpid-11248875_10153202363105999_4894281171671202647_n.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="360" data-original-width="480" height="240" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhCBudY7G0Htj7lr7sUhOrfnRM0SeAWnws5tn2UC5lMuNu90NPBhqcbsDZ19b9MWBS8TaejmTQHUQUOrWDZ5OO0TjWBRZT0fsBh6K5DQemiNIY_a8m_Qb6fmsfyo6PPkZQnEkJ0xrYSOI2V/s320-rw/wpid-11248875_10153202363105999_4894281171671202647_n.jpg" width="320" /></a></div><br />#ইমাম খাজেন: তাফসীরে লুবাবুত তাভীল : ১৭/৩১০-৩১১পৃ<br />১০, মালেকী মাযহাবের আল্লামা শেখ আহমদ ছাভী বলেন,<br />( ﻗﻮﻟﻪ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ ‏) ﻫﻮ ﻗﻮﻝ ﻋﻜﺮﻣﺔ ﻭﻃﺎﺋﻔﺔ ﻭﻭﺟﻪ ﺑﺎﻣﻮﺭ ﻣﻨﻬﺎ ﺍﻥ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ<br />ﻟﻬﺎ ﺍﺭﺑﻌﺔ ﺍﺳﻤﺎﺀ ﺍﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻤﺒﺎﺭﻛﺔ ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺒﺮﺃﺓ ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺮﺣﻤﺔ ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺼﻚ ﻭﻣﻨﻬﺎ ﻓﻀﻞ ﺍﻟﻌﺒﺎﺩﺓ ﻓﻴﻬﺎ –<br />অর্থঃ ঐ বরকতময় রজনী হচ্ছে অর্ধ শাবানের রাত্রি<br />(মোফাসসিরীনে কেরামের অন্যতম মোফাসসির) বিশিষ্ট<br />তাবেয়ী হযরত ইকরামা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)ও অন্যান্য<br />তাফসীরকারকদের একদলের অভিমত। তারা এর কয়েকটি<br />কারণও উল্লেখ করেছেন। শাবানের চৌদ্দ তারিখের<br />দিবাগত রাত্রির চারটি নামে নামকরণ করেছেন। যেমন- ১।<br />লাইলাতুম মুবারাকাহ- বরকতময় রজনী। ২। লাইলাতুল<br />বারাআত- মুক্তি বা নাজাতের রাত্রি। ৩। লাইলাতুর<br />রহমাহ- রহমতের রাত্রি। ৪। লাইলাতুছ ছাক- সনদপ্রাপ্তির<br />রাত্রি ইত্যাদি।<br />#(তাফসীরে ছাভী, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা-৪০)<br />১১, তাফসীরে বাগভী শরীফে বর্ণিত আছে,…<br />ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﺃﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﻘﻀﻰ ﺍﻷﻗﻀﻴﺔ ﻓﻰ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ, ﻭﻳﺴﻠﻤﻬﺎ ﺇﻟﻰ<br />ﺃﺭﺑﺎﺑﻬﺎ ﻓﻰ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ –<br />অর্থঃ নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ শবে বরাতের রাতে সকল<br />বিষয়ের চূড়ান্ত ফয়সালা করেন এবং শবে ক্বদরের রাতে তা<br />সংশ্লিষ্ট দায়িত্ববান ফেরেশতাদের কাছে ন্যস্ত করেন ।<br /># (তাফসীরে বাগভী, খণ্ড-৭, পৃষ্ঠা ২২৮)<br />= অনেকেই বলে থাকে পবিত্র কুরআন শরীফ অবতীর্ণ<br />হয়েছে রমাদ্বান শরীফ-এর মাসে লাইলাতুল ক্বদরে। এ<br />প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা বাক্বারায় উল্লেখ<br />করেন-<br />(১২৯) ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺍﻟﺬﻯ ﺍﻧﺰﻝ ﻓﻴﻪ ﺍﻟﻘﺮﺍﻥ<br />পবিত্র কুরআন শরীফ রমাদ্বান মাসে অবতীর্ণ করা হয়েছে।<br />আর সূরা আদ দুখানেও আল্লাহ পাক তিনি বলেন-<br />(১৩০)<br />ﺍﻧﺎ ﺍﻧﺰﻟﻨﺎﻩ ﻓﻰ ﻟﻴﻠﺔ ﻣﺒﺎﺭﻛﺔ<br />নিশ্চয়ই আমি উহা তথা কুরআন শরীফ অবতীর্ণ করেছি<br />মুবারকময় রজনীতে। এখানে লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা<br />যদি শবে বরাতের রাতকে গণনা করা হয় তাহলে উভয়<br />রাতের সমাধান কি?<br />উল্লেখ্য যে, এ ব্যাপারে অসংখ্য তাফসীর ও হাদীছ শরীফ-<br />এর উদ্ধৃতির মাধ্যমে সমাধান দেয়া হয়েছে যে, লাইলাতুম<br />মুবারাকা দ্বারা অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে বরাতকেই<br />বুঝানো হয়েছে। আর এই রাতে কুরআন শরীফ অবতীর্ণের<br />কথা যে বলা হয়েছে তা হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক তিনি<br />প্রথম যখন পবিত্র কুরআন শরীফ লওহে মাহফূযে অবতীর্ণ<br />করেন সেই রাতটি ছিলো লাইলাতুম মুবারাকা তথা অর্ধ<br />শাবানের রাত্রি অর্থাৎ শবে বরাতের রাত্রি। আর লওহে<br />মাহফূয থেকে দুনিয়ার আকাশে একই সঙ্গে অবতীর্ণ করা<br />হয়। সেখান থেকে হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম উনার<br />মাধ্যমে সুদীর্ঘ তেইশ বৎসরে বিভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে<br />খ- খ-ভাবে তা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া<br />সাল্লাম-উনার উপর নাযিল করা হয়।<br />===> বিশ্ব বিখ্যাত তাফসীর তাফসীরে খাযিন-এর ৪র্থ খ-ে<br />র (সূরা ক্বদরের তাফসীরে) ২৯৫ পৃৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-<br />(১৩১-১৩৫)<br />ﺍﻧﺎ ﺍﻧﺰﻟﻨﺎﻩ ﻳﻌﻨﻰ ﺍﻟﻘﺮﺍﻥ ‏(ﻓﻰ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ ﻭﺫﻟﻚ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺍﻧﺰﻝ ﺍﻟﻘﺮﺍﻥ ﺍﻟﻌﻈﻴﻢ ﺟﻤﻠﺔ ﻭﺍﺣﺪﺓ ﻣﻦ<br />ﺍﻟﻠﻮﺡ ﺍﻟﻤﺤﻔﻮﻅ ﺍﻟﻰ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻘﺪﺭ ﻓﻮﺿﻌﻪ ﻓﻰ ﺑﻴﺖ ﺍﻟﻌﺰﺓ ﺛﻢ ﻧﺰﻝ ﺑﻪ ﺟﺒﺮﻳﻞ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ<br />ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻧﺠﻮﻣﺎ ﻣﺘﻔﺮﻗﺔ ﻓﻰ ﻣﺪﺓ ﺛﻼﺙ ﻭﻋﺸﺮﻳﻦ ﺳﻨﺔ ﻓﻜﺎﻥ ﻳﻨﺰﻝ ﺑﺤﺴﺐ<br />ﺍﻟﻮﻓﺎﺋﻊ ﻭﺍﻟﺤﺎﺟﺔ ﺍﻟﻴﻪ .<br />অর্থ: নিশ্চয়ই আমি উহা তথা পবিত্র কুরআন শরীফ ক্বদরের<br />রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি। এই বাণী মুবারক-এর দ্বারা<br />ইহা বুঝানো হয়েছে যে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা<br />পবিত্র কুরআনুল কারীম একই সঙ্গে লাওহে মাহফূয থেকে<br />দুনিয়ার আকাশে অবতীর্ণ করেন লাইলাতুল ক্বদরে। অতঃপর<br />ওই পবিত্র কুরআন শরীফ বাইতুল ইযযতে রাখা হয়। সেখান<br />থেকে হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে<br />আস্তে আস্তে সুদীর্ঘ তেইশ বছরে বিভিন্ন অবস্থার<br />প্রেক্ষিতে এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে খ- খ-ভাবে হুযূর পাক<br />ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার উপর অবতীর্ণ<br />করেন।<br />(সূরা আদ দুখান এর তাফসীরে তাফসীরে খাযিন ৪র্থ খন্ড<br />১১২ পৃষ্ঠা, তাফসীরে বাগবী ৪র্থ/১১২ পৃষ্ঠা, তাফসীরে রহুল<br />মায়ানী, তাফসীরে রুহুল বয়ান, দুররুল মানছুর, ইত্যাদি<br />তাফসীরে সমূহ)<br />তাছাড়াও সমাধানে আরো উল্লেখ আছে যে, লাইলাতুম<br />মুবারাকা দ্বারা অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে বরাতকে<br />আর নির্ধারিত ভাগ্যসমূহ চালুকরণের রাতকে লাইলাতুল<br />ক্বদর তথা শবে ক্বদরের রাতকে বুঝানো হয়েছে।<br />যেমন এ প্রসঙ্গে বিশ্ব বিখ্যাত তাফসীর তাফসীরে রুহুল<br />মায়ানী ১৫তম খ-ের ২২১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-<br />(১৩৬) ﻭﺍﻟﺜﺎﻧﻰ ﺍﻇﻬﺎﺭ ﺗﻠﻚ ﺍﻟﻤﻘﺎﺩﻳﺮ ﻟﻠﻤﻼﺋﻜﺔ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﺗﻜﺘﺐ ﻓﻰ ﺍﻟﻠﻮﺡ ﺍﻟﻤﺤﻔﻮﻅ ﻭﺫﻟﻚ ﻓﻰ ﻟﻴﻠﺔ<br />ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻨﺸﻌﺒﺎﻥ ﻭﺍﻟﺜﺎﻟﺚ ﺍﺛﺒﺎﺕ ﺗﻠﻚ ﺍﻟﻤﻘﺎﺩﻳﺮ ﻓﻰ ﻧﺴﺦ ﻭﺗﺴﻠﻴﻤﻬﺎ ﺍﻟﻰ ﺍﺭﺑﺎﺑﻬﺎ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺪﺑﺮﺍﺕ<br />অর্থ: লাইলাতুল ক্বদরের অনেক অর্থ রয়েছে তন্মধ্যে<br />দ্বিতীয় একটি অর্থ হচ্ছে অর্ধ শা’বানের রাতে তথা শবে<br />বরাতে যেসব বিষয়ের তালিকা লাওহে মাহফূযে লিপিবদ্ধ<br />করা হয়েছে সেসব ভাগ্য তালিকা ফেরেশ্তা আলাইহিমুস<br />সালামগণ উনাদের মাধ্যমে যে রাত্রিতে প্রকাশ তথা চালু<br />করা হয় সেই রাতকেই লাইলাতুল ক্বদর তথা ভাগ্য<br />নির্ধারণের রাত বা মহান মর্যাদাবান রাতও বলে।<br />তৃতীয়ত: অপর একটি অর্থ হচ্ছে নির্ধারিত ভাগ্যসমূহ যা<br />তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তা চালু করার জন্য কার্যকারী<br />ফেরেশতাদের হাতে যে রাতে পেশ করা হয় সেই রাতকে<br />লাইলাতুল ক্বদর বা শবে ক্বদর বলে।<br />==মাওলানা মাহিউদ্দীন খান তার মাসিক মদীনায়<br />জুলাই/২০১১ এর ৪১পৃষ্ঠায় “আল-কুরআনে শব-ই-বরাত: একটি<br />বিশ্লেষন” শিরোনামে লিখেছে-<br />সুরা দুখানের লাইলাতুম মুবারকা শব্দের সংখ্যাতাত্ত্বিক<br />বিশ্লেষন করলে দেখা যায় যে, সুরা দুখান কুরআনের ১ম<br />থেকে ৪৪নং সুরা। ৪৪ এর অঙ্কদ্বয়ের সমষ্টি ৪+৪=৮; ৮দ্বারা<br />বুঝায় ৮ম মাস অর্থাৎ শাবান মাসে লাইলাতুম মুবারকা<br />অবস্থিত। আবার কুরআনের শেষ থেকেও সুরা দুখান ৭১ নং<br />সুরা। ৭১ অঙ্কদ্বয়ের সমষ্টি ৭+১=৮, পুনরায় ৮ম মাসের দিকেই<br />ইঙ্গিত করে। আবার এ সুরার প্রথম থেকে ১৪টি হরফ শেষ<br />করে ১৫তম হরফ থেকে লাইলাতুম মুবারকায় কুরআন নাযিল<br />সংক্রান্ত আয়াত শুরু হয়েছে। এটা ইঙ্গিত করে যে, ঐ ৮ম<br />মাসের ১৪ তারিখ শেষ হয়ে ১৫তারিখ রাতেই লাইলাতুম<br />মুবারকা। এই সংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষন প্রমান করে, সুরা<br />দুখানে বর্নিত লাইলাতুম মুবারকা ১৪ই শাবান দিবাগত ১৫ই<br />শাবানের রাত। অর্থাৎ লাইলাতুল বারাআত বা শব-ই-<br />বারাআত। এছাড়া মুফাসিসরীনদের বিশাল এক জামাত<br />দাবী করেছেন, সুরা দুখানে বর্নিত যে রাতকে লাইলাতুম<br />মুবারকা বলা হয়েছে তা অবশ্যই শব-ই-বরাত। (ইমাম কুরতবী,<br />মোল্লা আলী কারী (রহ), বুখারী শরীফের সর্বশ্রেষ্ঠ<br />ভাষ্যকার হাফিজুল হাদীস আল্লামা ইবনে হাজার<br />আসকালানী রহ; এবং হাম্বলী মাজহাবের অন্যতম ইমাম<br />বড়পীর আব্দুল কাদির জিলানী রহমাতুল্লাহি সহ আরো<br />অনেকে এ বিষয়ে একমত)<br />কুরআন শরীফ নাযিল করেছি।” এর ব্যাখ্যামূলক অর্থ হলো,<br />“আমি ক্বদরের রাত্রিতে কুরআন শরীফ নাযিল শুরু করি।”<br />অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক “লাইলাতুম মুবারকাহ বা শবে<br />বরাতে” কুরআন শরীফ নাযিলের সিদ্ধান্ত নেন আর শবে<br />ক্বদরে তা নাযিল করা শুরু করেন। এজন্যে মুফাসসিরীনে<br />কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা শবে বরাতকে ﻟﻴﻠﺔ<br />ﺍﻟﺘﺠﻮﻳﺰ অর্থাৎ ‘ফায়সালার রাত।’ আর শবে ক্বদরকে ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺘﻨﻔﻴﺬ<br />অর্থাৎ ‘জারী করার রাত’ বলে উল্লেখ করেছেন। কেননা<br />শবে বরাতে যে সকল বিষয়ের ফায়সালা করা হয় তা ‘সূরা<br />দুখান-এর’ উক্ত আয়াত শরীফেই উল্লেখ আছে। যেমন ইরশাদ<br />হয়েছে-<br />ﻓﻴﻬﺎ ﻳﻔﺮﻕ ﻛﻞ ﺍﻣﺮ ﺣﻜﻴﻢ<br />অর্থাৎ- “উক্ত রজনীতে প্রজ্ঞাসম্পন্ন সকল বিষয়ের<br />ফায়সালা করা হয়।”<br />হাদীছ শরীফেও উক্ত আয়াতাংশের সমর্থন পাওয়া যায়।<br />যেমন ইরশাদ হয়েছে-<br />ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻥ ﻳﻜﺘﺐ ﻛﻞ ﻣﻮﻟﻮﺩ ﻣﻦ ﺑﻨﻰ ﺍﺩﻡ ﻓﻰ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭﻓﻴﻬﺎ ﺍﻥ ﻳﻜﺘﺐ ﻛﻞ ﻫﺎﻟﻚ ﻣﻦ ﺑﻨﻰ ﺍﺩﻡ ﻓﻰ ﻫﺬﻩ<br />ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭﻓﻴﻬﺎ ﺗﺮﻓﻊ ﺍﻋﻤﺎﻟﻬﻢ ﻭﻓﻴﻬﺎ ﺗﻨﺰﻝ ﺍﺭﺯﺍﻗﻬﻢ<br />অর্থাৎ- “বরাতের রাত্রিতে ফায়সালা করা হয় কতজন<br />সন্তান আগামী এক বৎসর জন্ম গ্রহণ করবে এবং কতজন সন্তান<br />মৃত্যু বরণ করবে। এ রাত্রিতে বান্দাদের আমলগুলো উপরে<br />উঠানো হয় অর্থাৎ আল্লাহ পাক-উনার দরবারে পেশ করা হয়<br />এবং এ রাত্রিতে বান্দাদের রিযিকের ফায়সালা করা<br />হয়।” (বায়হাক্বী, মিশকাত)<br />===> লাইলাতুম মুবারাকাহ দ্বারা শবে বরাতকে বুঝানো<br />হয়েছে তার যথার্থ প্রমাণ সূরা দু’খানের ৪ নম্বর আয়াত<br />শরীফ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ । এই আয়াত শরীফের ﻳُﻔْﺮَﻕُ শব্দের অর্থ<br />ফায়সালা করা।প্রায় সমস্ত তাফসীরে সকল মুফাসসিরীনে<br />কিরামগণ ﻳُﻔْﺮَﻕُ (ইয়ুফরাকু) শব্দের তাফসীর করেছেন ইয়ুকতাবু<br />অর্থাৎলেখা হয়, ইয়ুফাছছিলু অর্থাৎ ফায়সালা করা হয়,<br />ইয়ুতাজাও ওয়াযূ অর্থাৎ বন্টন বা নির্ধারণ করা হয়,<br />ইয়ুবাররেমু অর্থাৎ বাজেট করা হয়, ইয়ুকদ্বিয়ু অর্থাৎ<br />নির্দেশনা দেওয়া হয়<br />কাজেই ইয়ুফরাকু -র অর্থ ও তার ব্যাখার মাধ্যমে আরো<br />স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, লাইলাতুম মুবারাকাহদ্বারা শবে<br />বরাত বা ভাগ্য রজনীকে বুঝানো হয়েছে। যেই রাত্রিতে<br />সমস্ত মাখলুকাতের ভাগ্যগুলো সামনের এক বছরের জন্য<br />লিপিবদ্ধ করা হয়, আর সেই ভাগ্যলিপি অনুসারে রমাদ্বান<br />মাসের লাইলাতুল ক্বদর বা শবে ক্বদরে তা চালু হয়। এজন্য<br />শবে বরাতকে লাইলাতুত্ তাজবীজ অর্থাৎ ফায়সালার<br />রাত্র এবং শবে ক্বদরকেলাইলাতুল তানফীয অর্থাৎ<br />নির্ধারিত ফায়সালার কার্যকরী করার রাত্র বলা হয়।<br />(তাফসীরে মাযহারী,তাফসীরে খাযীন,তাফসীরে ইবনে<br />কাছীর,বাগবী, কুরতুবী,রুহুল বয়ান,লুবাব)<br />==যে বিষয় টি লক্ষ্যনীয়- শবে কদর হাজার বছরের চেয়ে<br />শ্রেষ্টরাত এবং সেইদিন হল বন্ঠনের রাত কিন্তু শবে বরাত<br />হল ফয়সালার রাত,সেহেতু সুরা দুখুানে এসছে—“ আমারই<br />নির্দেশক্রমে উক্ত রাত্রিতে প্রতিটি প্রজ্ঞাময় বিষয়গুলো<br />ফায়সালা হয়। আর নিশ্চয়ই আমিই প্রেরণকারী।” (সুরা<br />দুখান-৫)এবং হাদিসেও ১৫ই শাবান কে ফয়সালার রাত<br />হিসেবে উল্লেখ অাছে যেটি শবে কদর সর্ম্পকে নাই।<br /><br /></div>

কোরআনের আলোকে শবে বরাত

শবে বরাত ফার্সী ভাষা, ফার্সী শব অর্থ রাত্রি এবংবরাত অর্থ ভাগ্য বা মুক্তি। সুতরাং শবে বরাত মানে হল ভাগ্য রজনী বা মুক্তির রাত।কোরআনে শবে কদর ন...

Read more »