ইমাম বোখারী রহঃ কত রাকাত তারাবী পড়েছেন?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কত রাকা’আত তারাবীহর নামায পড়েছেন?<br />———————————————————————————-<br /><br />লা’মাযহাবীদের দাবি বুখারী শরীফে তারাবীর নামায ৮ রাকা’আত আছে। তখন স্বাভাবিক ভাবেই জানতে ইচ্ছা করে হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কত রাকা’আত তারাবীহর নামায পড়েছেন।<br /><br />এ প্রসঙ্গে সহীহ সনদ সহকারে ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনীতে উল্লেখ আছে,<br />كَانَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْبُخَارِيُّ: إِذَا كَانَ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ يَجْتَمِعَ إِلَيْهِ أَصْحَابُهُ فَيُصَلِّي بِهِمْ، فَيَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ عِشْرِينَ آيَةً، وَكَذَلِكَ إِلَى أَنْ يَخْتِمَ الْقُرْآنَ<br />অর্থ: “হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি রমাদ্বান মাসে রাতের প্রথম ভাগে উনার সঙ্গীদের জমা করতেন এবং তাদের নিয়ে (তারাবীহর) নামায পড়তেন। সে নামাযে প্রতি রাকা’আতে ২০ আয়াত পাঠ করতেন। আর এভাবে পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করতেন।” (দলীল: হাদীউস সারী মুকাদ্দিমায়ে ফতহুল বারী ৫০৫ পৃষ্ঠা, শুয়াবুল ঈমান বায়হাক্বী ৩ খন্ড ৫২৪ পৃষ্ঠা: হাদীছ ২০৫৮, ফতহুল বারী ১/৪৮১, তাগলীক্ব আত তালীক আলা সহীহুল বুখারী ৫/৩৯৯, তাহযীবুল কামাল ২৪/৪৪৬, তারীখে বাগদাদ ২/১২, তবাকাতুস শাফিয়াতুল কুবরা ২/২২৪)<br /><br />এবার এই বর্ণনা অনুযায়ী একটা অংক করা যাক। আমরা দেখতে পেলাম,<br />১) ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রতি রাকাতে ২০ আয়াত পড়তেন।<br />২) আর এভাবে তিনি কুরআন শরীফ খতম করতেন।<br /><br />মাস যদি ৩০ দিনে হয় আর তিনি যদি ৮ রাকা’আত পড়েন তাহলে দাঁড়ায়-<br />তিনি প্রতিদিন পড়েন, (৮x২০) = ১৬০ আয়াত।<br />৩০ দিনে পড়েন, (৩০x১৬০) = ৪৮০০ আয়াত শরীফ।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhRvQdx9gVYEnqO_UTJldBtSthASNpXnZedb2u5RB3B2uGsKoY6dKeiRmoYAiZVUbjLP89bCmVYRzYGGB9nEzeTD-e_taVlhjTbIbe4P5SDTvG6dfAzsSAHARZ1KqR7h4RLFnLtC-skbbnY/s1600/FB_IMG_1527945903942-750x350.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="350" data-original-width="750" height="149" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhRvQdx9gVYEnqO_UTJldBtSthASNpXnZedb2u5RB3B2uGsKoY6dKeiRmoYAiZVUbjLP89bCmVYRzYGGB9nEzeTD-e_taVlhjTbIbe4P5SDTvG6dfAzsSAHARZ1KqR7h4RLFnLtC-skbbnY/s320-rw/FB_IMG_1527945903942-750x350.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />আমরা জানি, কুরআন শরীফে আয়াত শরীফ আছে ৬৬৬৬ টি। তাহলে ৮ রাকা’আত করে তারাবীহ পড়লে ৪৮০০ আয়াত পড়া সম্ভব। বাকি ১৮৬৬ টি আয়াত না পড়েই কি তিনি কুরআন শরীফ খতম দিতেন? আমরা দেখলাম তিনি প্রতি রাকা’আতে ২০ আয়াত করে পাঠ করে কুরআন শরীফ খতম করতেন। অথচ ৮ রাকা’আত নামায পড়ে কষ্মিনকালেও কুরআন শরীফ খতম করা সম্ভব নয়। সূতরাং প্রমাণ হলো স্বয়ং ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি নিজেও ৮ রাকা’আত তারাবীহ পড়তেন না।<br />অতএব লা’মাযহাবীদের বুখারী শরীফের নাম বেঁচে খাওয়া এখানই বন্ধ করা উচিত। নইলে মানুষ তাদের মূর্খতার জন্য থুথু দিবে……….</div>

ইমাম বোখারী রহঃ কত রাকাত তারাবী পড়েছেন?

ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কত রাকা’আত তারাবীহর নামায পড়েছেন? ———————————————————————————- লা’মাযহাবীদের দাবি বুখারী শরীফে তারাবীর ন...

Read more »

ইমাম বোখারী রহঃ কত রাকাত তারাবী পড়েছেন?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কত রাকা’আত তারাবীহর নামায পড়েছেন?<br /> ———————————————————————————-<br /> <br /> লা’মাযহাবীদের দাবি বুখারী শরীফে তারাবীর নামায ৮ রাকা’আত আছে। তখন স্বাভাবিক ভাবেই জানতে ইচ্ছা করে হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কত রাকা’আত তারাবীহর নামায পড়েছেন।<br /> <br /> এ প্রসঙ্গে সহীহ সনদ সহকারে ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনীতে উল্লেখ আছে,<br /> كَانَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْبُخَارِيُّ: إِذَا كَانَ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ يَجْتَمِعَ إِلَيْهِ أَصْحَابُهُ فَيُصَلِّي بِهِمْ، فَيَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ عِشْرِينَ آيَةً، وَكَذَلِكَ إِلَى أَنْ يَخْتِمَ الْقُرْآنَ<br /> অর্থ: “হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি রমাদ্বান মাসে রাতের প্রথম ভাগে উনার সঙ্গীদের জমা করতেন এবং তাদের নিয়ে (তারাবীহর) নামায পড়তেন। সে নামাযে প্রতি রাকা’আতে ২০ আয়াত পাঠ করতেন। আর এভাবে পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করতেন।” (দলীল: হাদীউস সারী মুকাদ্দিমায়ে ফতহুল বারী ৫০৫ পৃষ্ঠা, শুয়াবুল ঈমান বায়হাক্বী ৩ খন্ড ৫২৪ পৃষ্ঠা: হাদীছ ২০৫৮, ফতহুল বারী ১/৪৮১, তাগলীক্ব আত তালীক আলা সহীহুল বুখারী ৫/৩৯৯, তাহযীবুল কামাল ২৪/৪৪৬, তারীখে বাগদাদ ২/১২, তবাকাতুস শাফিয়াতুল কুবরা ২/২২৪)<br /> <br /> এবার এই বর্ণনা অনুযায়ী একটা অংক করা যাক। আমরা দেখতে পেলাম,<br /> ১) ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রতি রাকাতে ২০ আয়াত পড়তেন।<br /> ২) আর এভাবে তিনি কুরআন শরীফ খতম করতেন।<br /> <br /> মাস যদি ৩০ দিনে হয় আর তিনি যদি ৮ রাকা’আত পড়েন তাহলে দাঁড়ায়-<br /> তিনি প্রতিদিন পড়েন, (৮x২০) = ১৬০ আয়াত।<br /> ৩০ দিনে পড়েন, (৩০x১৬০) = ৪৮০০ আয়াত শরীফ।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhDObzZvCJIVsecHg31eLZVF1FNaJCmGi5xYZM-l3hfL88vn_VWvi8b4i5ugzP5rBil4UKbd_r10eotJ0W6pCtJAgT2NyXLaMaZ7rkpQasw11dTXzM3uENoXY8TxtHXIZne5NlC3eOLCfgk/s1600/FB_IMG_1527945903942-750x350.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="350" data-original-width="750" height="149" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhDObzZvCJIVsecHg31eLZVF1FNaJCmGi5xYZM-l3hfL88vn_VWvi8b4i5ugzP5rBil4UKbd_r10eotJ0W6pCtJAgT2NyXLaMaZ7rkpQasw11dTXzM3uENoXY8TxtHXIZne5NlC3eOLCfgk/s320-rw/FB_IMG_1527945903942-750x350.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <br /> আমরা জানি, কুরআন শরীফে আয়াত শরীফ আছে ৬৬৬৬ টি। তাহলে ৮ রাকা’আত করে তারাবীহ পড়লে ৪৮০০ আয়াত পড়া সম্ভব। বাকি ১৮৬৬ টি আয়াত না পড়েই কি তিনি কুরআন শরীফ খতম দিতেন? আমরা দেখলাম তিনি প্রতি রাকা’আতে ২০ আয়াত করে পাঠ করে কুরআন শরীফ খতম করতেন। অথচ ৮ রাকা’আত নামায পড়ে কষ্মিনকালেও কুরআন শরীফ খতম করা সম্ভব নয়। সূতরাং প্রমাণ হলো স্বয়ং ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি নিজেও ৮ রাকা’আত তারাবীহ পড়তেন না।<br /> অতএব লা’মাযহাবীদের বুখারী শরীফের নাম বেঁচে খাওয়া এখানই বন্ধ করা উচিত। নইলে মানুষ তাদের মূর্খতার জন্য থুথু দিবে……….</div>

ইমাম বোখারী রহঃ কত রাকাত তারাবী পড়েছেন?

ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কত রাকা’আত তারাবীহর নামায পড়েছেন? ———————————————————————————- লা’মাযহাবীদের দাবি বুখারী শরীফে তারাব...

Read more »

ইমাম বোখারী রহঃ কত রাকাত তারাবী পড়েছেন?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কত রাকা’আত তারাবীহর নামায পড়েছেন?<br /><br />———————————————————————————-<br /><br /><br /><br />লা’মাযহাবীদের দাবি বুখারী শরীফে তারাবীর নামায ৮ রাকা’আত আছে। তখন স্বাভাবিক ভাবেই জানতে ইচ্ছা করে হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কত রাকা’আত তারাবীহর নামায পড়েছেন।<br /><br /><br /><br />এ প্রসঙ্গে সহীহ সনদ সহকারে ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনীতে উল্লেখ আছে,<br /><br />كَانَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْبُخَارِيُّ: إِذَا كَانَ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ يَجْتَمِعَ إِلَيْهِ أَصْحَابُهُ فَيُصَلِّي بِهِمْ، فَيَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ عِشْرِينَ آيَةً، وَكَذَلِكَ إِلَى أَنْ يَخْتِمَ الْقُرْآنَ<br /><br />অর্থ: “হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি রমাদ্বান মাসে রাতের প্রথম ভাগে উনার সঙ্গীদের জমা করতেন এবং তাদের নিয়ে (তারাবীহর) নামায পড়তেন। সে নামাযে প্রতি রাকা’আতে ২০ আয়াত পাঠ করতেন। আর এভাবে পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করতেন।” (দলীল: হাদীউস সারী মুকাদ্দিমায়ে ফতহুল বারী ৫০৫ পৃষ্ঠা, শুয়াবুল ঈমান বায়হাক্বী ৩ খন্ড ৫২৪ পৃষ্ঠা: হাদীছ ২০৫৮, ফতহুল বারী ১/৪৮১, তাগলীক্ব আত তালীক আলা সহীহুল বুখারী ৫/৩৯৯, তাহযীবুল কামাল ২৪/৪৪৬, তারীখে বাগদাদ ২/১২, তবাকাতুস শাফিয়াতুল কুবরা ২/২২৪)<br /><br /><br /><br />এবার এই বর্ণনা অনুযায়ী একটা অংক করা যাক। আমরা দেখতে পেলাম,<br /><br />১) ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রতি রাকাতে ২০ আয়াত পড়তেন।<br /><br />২) আর এভাবে তিনি কুরআন শরীফ খতম করতেন।<br /><br /><br /><br />মাস যদি ৩০ দিনে হয় আর তিনি যদি ৮ রাকা’আত পড়েন তাহলে দাঁড়ায়-<br /><br />তিনি প্রতিদিন পড়েন, (৮x২০) = ১৬০ আয়াত।<br /><br />৩০ দিনে পড়েন, (৩০x১৬০) = ৪৮০০ আয়াত শরীফ।<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhWeIHS1g_M9gsI6djdQWMz9XH5S_KTXq4_1SsK5m7ublpGng7c5ab5VmUwP1vZwCPNrKyOkIvWlSN5v4Dh7bZ7dY6ti7R08_Y8kDOO0JzXUATJsfyoMMCsZIbEQF0w5QQjgil-VhDb4XZs/s1600/FB_IMG_1527945903942-750x350.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="350" data-original-width="750" height="149" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhWeIHS1g_M9gsI6djdQWMz9XH5S_KTXq4_1SsK5m7ublpGng7c5ab5VmUwP1vZwCPNrKyOkIvWlSN5v4Dh7bZ7dY6ti7R08_Y8kDOO0JzXUATJsfyoMMCsZIbEQF0w5QQjgil-VhDb4XZs/s320-rw/FB_IMG_1527945903942-750x350.jpg" width="320" /></a></div><br /><br /><br /><br /><br />আমরা জানি, কুরআন শরীফে আয়াত শরীফ আছে ৬৬৬৬ টি। তাহলে ৮ রাকা’আত করে তারাবীহ পড়লে ৪৮০০ আয়াত পড়া সম্ভব। বাকি ১৮৬৬ টি আয়াত না পড়েই কি তিনি কুরআন শরীফ খতম দিতেন? আমরা দেখলাম তিনি প্রতি রাকা’আতে ২০ আয়াত করে পাঠ করে কুরআন শরীফ খতম করতেন। অথচ ৮ রাকা’আত নামায পড়ে কষ্মিনকালেও কুরআন শরীফ খতম করা সম্ভব নয়। সূতরাং প্রমাণ হলো স্বয়ং ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি নিজেও ৮ রাকা’আত তারাবীহ পড়তেন না।<br /><br />অতএব লা’মাযহাবীদের বুখারী শরীফের নাম বেঁচে খাওয়া এখানই বন্ধ করা উচিত। নইলে মানুষ তাদের মূর্খতার জন্য থুথু দিবে……….</div><br />

ইমাম বোখারী রহঃ কত রাকাত তারাবী পড়েছেন?

ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কত রাকা’আত তারাবীহর নামায পড়েছেন? ———————————————————————————- লা’মাযহাবীদের দাবি বুখারী শরীফে তারাবীর ন...

Read more »

ইমাম বোখারী রহঃ কত রাকাত তারাবী পড়েছেন?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কত রাকা’আত তারাবীহর নামায পড়েছেন?<br />———————————————————————————-<br /><br />লা’মাযহাবীদের দাবি বুখারী শরীফে তারাবীর নামায ৮ রাকা’আত আছে। তখন স্বাভাবিক ভাবেই জানতে ইচ্ছা করে হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কত রাকা’আত তারাবীহর নামায পড়েছেন।<br /><br />এ প্রসঙ্গে সহীহ সনদ সহকারে ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনীতে উল্লেখ আছে,<br />كَانَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْبُخَارِيُّ: إِذَا كَانَ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ يَجْتَمِعَ إِلَيْهِ أَصْحَابُهُ فَيُصَلِّي بِهِمْ، فَيَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ عِشْرِينَ آيَةً، وَكَذَلِكَ إِلَى أَنْ يَخْتِمَ الْقُرْآنَ<br />অর্থ: “হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি রমাদ্বান মাসে রাতের প্রথম ভাগে উনার সঙ্গীদের জমা করতেন এবং তাদের নিয়ে (তারাবীহর) নামায পড়তেন। সে নামাযে প্রতি রাকা’আতে ২০ আয়াত পাঠ করতেন। আর এভাবে পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করতেন।” (দলীল: হাদীউস সারী মুকাদ্দিমায়ে ফতহুল বারী ৫০৫ পৃষ্ঠা, শুয়াবুল ঈমান বায়হাক্বী ৩ খন্ড ৫২৪ পৃষ্ঠা: হাদীছ ২০৫৮, ফতহুল বারী ১/৪৮১, তাগলীক্ব আত তালীক আলা সহীহুল বুখারী ৫/৩৯৯, তাহযীবুল কামাল ২৪/৪৪৬, তারীখে বাগদাদ ২/১২, তবাকাতুস শাফিয়াতুল কুবরা ২/২২৪)<br /><br />এবার এই বর্ণনা অনুযায়ী একটা অংক করা যাক। আমরা দেখতে পেলাম,<br />১) ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রতি রাকাতে ২০ আয়াত পড়তেন।<br />২) আর এভাবে তিনি কুরআন শরীফ খতম করতেন।<br /><br />মাস যদি ৩০ দিনে হয় আর তিনি যদি ৮ রাকা’আত পড়েন তাহলে দাঁড়ায়-<br />তিনি প্রতিদিন পড়েন, (৮x২০) = ১৬০ আয়াত।<br />৩০ দিনে পড়েন, (৩০x১৬০) = ৪৮০০ আয়াত শরীফ।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhWeIHS1g_M9gsI6djdQWMz9XH5S_KTXq4_1SsK5m7ublpGng7c5ab5VmUwP1vZwCPNrKyOkIvWlSN5v4Dh7bZ7dY6ti7R08_Y8kDOO0JzXUATJsfyoMMCsZIbEQF0w5QQjgil-VhDb4XZs/s1600/FB_IMG_1527945903942-750x350.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="350" data-original-width="750" height="149" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhWeIHS1g_M9gsI6djdQWMz9XH5S_KTXq4_1SsK5m7ublpGng7c5ab5VmUwP1vZwCPNrKyOkIvWlSN5v4Dh7bZ7dY6ti7R08_Y8kDOO0JzXUATJsfyoMMCsZIbEQF0w5QQjgil-VhDb4XZs/s320-rw/FB_IMG_1527945903942-750x350.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />আমরা জানি, কুরআন শরীফে আয়াত শরীফ আছে ৬৬৬৬ টি। তাহলে ৮ রাকা’আত করে তারাবীহ পড়লে ৪৮০০ আয়াত পড়া সম্ভব। বাকি ১৮৬৬ টি আয়াত না পড়েই কি তিনি কুরআন শরীফ খতম দিতেন? আমরা দেখলাম তিনি প্রতি রাকা’আতে ২০ আয়াত করে পাঠ করে কুরআন শরীফ খতম করতেন। অথচ ৮ রাকা’আত নামায পড়ে কষ্মিনকালেও কুরআন শরীফ খতম করা সম্ভব নয়। সূতরাং প্রমাণ হলো স্বয়ং ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি নিজেও ৮ রাকা’আত তারাবীহ পড়তেন না।<br />অতএব লা’মাযহাবীদের বুখারী শরীফের নাম বেঁচে খাওয়া এখানই বন্ধ করা উচিত। নইলে মানুষ তাদের মূর্খতার জন্য থুথু দিবে……….</div>

ইমাম বোখারী রহঃ কত রাকাত তারাবী পড়েছেন?

ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কত রাকা’আত তারাবীহর নামায পড়েছেন? ———————————————————————————- লা’মাযহাবীদের দাবি বুখারী শরীফে তারাবীর ন...

Read more »

ইমাম না থাকলে ইমাম আহমদের ফায়সালা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">প্রশ্নঃ-জনাব,ইমাম আহমদ বিন হাম্বল নাকি মাসআলা অনুসরনে ইমাম না থাকলে, সে মাসআলা থেকে নাকি বিরত থাকার জন্য বলেছেন,এটা কতটুকু সত্য?<br /><br />জাওয়াবদাতাঃ-হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী।<br /><br />জাওয়াবঃ-জি,এই কথাটা প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ হাদীসের হাফিজ ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহমাতুল্লাহি আলাইহী) বলেছেন,কারন ইমামকে অনুসরনের গুরুত্ব অপরিসীম ।এমনকি আল্লাহ  তাআলা কোরআন শরীফের মধ্যে বলেছেন-يَوْمَ نَدْعُو كُلَّ أُنَاسٍ بِإِمَامِهِمْ অর্থাৎ আমি (আল্লাহ) হাশরের ময়দানে প্রত্যেক মানুষকে তাদের ইমামের নামে ডাক দিবো।তাই ইমাম আহমদ বিন হাম্বল এই গুরুত্বেের অপরিহার্যতা বুঝে এই কথাটি বলেছেন।<br /><br />হযরত মাইমুনী রহঃ বর্ণনা করেছেন, ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহঃ বলেছেন-<br />     يا اَبَا الْحَسَنْ إِيَّاكَ أَنْ تَتَكَلَّمَ فِي مَسْأَلَةٍ لَيْسَ لَكَ فِيْهَا إِمَامٌ<br />হে আবুল হাসান!যে মাসআলায় তোমার কোন ইমাম নেই,সে মাসআলা সম্পর্কে কিছু বলা থেকে বিরত থাকো।<br /><br />সুত্রঃ-যাহাবী-সিয়ারুল আলামিন নুবালা ১১/২৯৬পৃ. ক্রমিক নং ৭৮;<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjkNM8Q16muMobQW6_-U_6IBCGX5bKNyf-3aY5VfglHTNiZZI1cPTWGrGpiqOgWZfLLd4NaiirCJh8ShqUtvlyaZal9RkGRn45IzVbwnuVydxgxUieGk6Tk6VMNu6JCvMJYARRKhk5SWpcU/s1600/islamic-calligraphy-holy-koran-written-on-gazelle-leather-articles-stock-photography_csp4276.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="194" data-original-width="271" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjkNM8Q16muMobQW6_-U_6IBCGX5bKNyf-3aY5VfglHTNiZZI1cPTWGrGpiqOgWZfLLd4NaiirCJh8ShqUtvlyaZal9RkGRn45IzVbwnuVydxgxUieGk6Tk6VMNu6JCvMJYARRKhk5SWpcU/s1600-rw/islamic-calligraphy-holy-koran-written-on-gazelle-leather-articles-stock-photography_csp4276.jpg" /></a></div><br /><br />ইমাম আহমদ বিন হাম্বল অন্য বর্ণনায় বলেছেন-<br />যে ব্যক্তি এমন কোন বিষয়ে কথা বললো,যে বিষয়ে তার কোন ইমাম,তবে আমি তার ভুল করার ব্যপারে ভয় করছি,অর্থাৎ সে ভুলের মধ্যে নিপতিত হবে।<br /><br />সুত্রঃ-ইবনে মুফলিহ-আল ফুরু ৬/৩৮০পৃষ্ঠা।<br /><br />বুঝার বিষয়ঃ-যেখানে একটি মাসআলা বর্ণনায় কোন ইমামের অনুসরণ যদি না পাওয়া গেলে,মাসআলা বর্ণনা করতে ইমাম আহমদ নিষেধ করে দিয়েছে। সেখানে নামদারী আহলে হাদীসের লোকেরা সহীহ হাদীসের লেভেল লাগিয়ে, ইমাম বিহীন কিভাবে ফতোওয়াবাজি করে বেড়ায় আমাদের বুঝে আসেনা!যেখানে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল সাড়ে সাত লক্ষ হাদীসের হাফিজ হয়েও এই কথাটা বলছেন,সেখানে যারা মাজহাবের ইমামদের অনুসরণ অস্বীকার করতে চায়,তারা কয়টি হাদীসের হাফিজ! আল্লাহ তাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন,আমিন।</div>

ইমাম না থাকলে ইমাম আহমদের ফায়সালা

প্রশ্নঃ-জনাব,ইমাম আহমদ বিন হাম্বল নাকি মাসআলা অনুসরনে ইমাম না থাকলে, সে মাসআলা থেকে নাকি বিরত থাকার জন্য বলেছেন,এটা কতটুকু সত্য? জাওয়াবদাতাঃ...

Read more »

ইমাম না থাকলে ইমাম আহমদের ফায়সালা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> প্রশ্নঃ-জনাব,ইমাম আহমদ বিন হাম্বল নাকি মাসআলা অনুসরনে ইমাম না থাকলে, সে মাসআলা থেকে নাকি বিরত থাকার জন্য বলেছেন,এটা কতটুকু সত্য?<br /> <br /> জাওয়াবদাতাঃ-হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী।<br /> <br /> জাওয়াবঃ-জি,এই কথাটা প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ হাদীসের হাফিজ ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহমাতুল্লাহি আলাইহী) বলেছেন,কারন ইমামকে অনুসরনের গুরুত্ব অপরিসীম ।এমনকি আল্লাহ  তাআলা কোরআন শরীফের মধ্যে বলেছেন-يَوْمَ نَدْعُو كُلَّ أُنَاسٍ بِإِمَامِهِمْ অর্থাৎ আমি (আল্লাহ) হাশরের ময়দানে প্রত্যেক মানুষকে তাদের ইমামের নামে ডাক দিবো।তাই ইমাম আহমদ বিন হাম্বল এই গুরুত্বেের অপরিহার্যতা বুঝে এই কথাটি বলেছেন।<br /> <br /> হযরত মাইমুনী রহঃ বর্ণনা করেছেন, ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহঃ বলেছেন-<br />      يا اَبَا الْحَسَنْ إِيَّاكَ أَنْ تَتَكَلَّمَ فِي مَسْأَلَةٍ لَيْسَ لَكَ فِيْهَا إِمَامٌ<br /> হে আবুল হাসান!যে মাসআলায় তোমার কোন ইমাম নেই,সে মাসআলা সম্পর্কে কিছু বলা থেকে বিরত থাকো।<br /> <br /> সুত্রঃ-যাহাবী-সিয়ারুল আলামিন নুবালা ১১/২৯৬পৃ. ক্রমিক নং ৭৮;<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgMu9Xu-ENFUD5jIXvq-ZOuNb9Fkk9PIHqR6GkI3fWj-T7EaPDUskdUUjmQKIS9XuKyz6dk8X4ezd3B1sfp64KMoUH2xzzN1A0Lt5InyHIwRbrWXuVpCna9IHVU_Dv_jz-q_ls6Yp7itGiX/s1600/islamic-calligraphy-holy-koran-written-on-gazelle-leather-articles-stock-photography_csp4276.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="194" data-original-width="271" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgMu9Xu-ENFUD5jIXvq-ZOuNb9Fkk9PIHqR6GkI3fWj-T7EaPDUskdUUjmQKIS9XuKyz6dk8X4ezd3B1sfp64KMoUH2xzzN1A0Lt5InyHIwRbrWXuVpCna9IHVU_Dv_jz-q_ls6Yp7itGiX/s1600-rw/islamic-calligraphy-holy-koran-written-on-gazelle-leather-articles-stock-photography_csp4276.jpg" /></a></div> <br /> <br /> ইমাম আহমদ বিন হাম্বল অন্য বর্ণনায় বলেছেন-<br /> যে ব্যক্তি এমন কোন বিষয়ে কথা বললো,যে বিষয়ে তার কোন ইমাম,তবে আমি তার ভুল করার ব্যপারে ভয় করছি,অর্থাৎ সে ভুলের মধ্যে নিপতিত হবে।<br /> <br /> সুত্রঃ-ইবনে মুফলিহ-আল ফুরু ৬/৩৮০পৃষ্ঠা।<br /> <br /> বুঝার বিষয়ঃ-যেখানে একটি মাসআলা বর্ণনায় কোন ইমামের অনুসরণ যদি না পাওয়া গেলে,মাসআলা বর্ণনা করতে ইমাম আহমদ নিষেধ করে দিয়েছে। সেখানে নামদারী আহলে হাদীসের লোকেরা সহীহ হাদীসের লেভেল লাগিয়ে, ইমাম বিহীন কিভাবে ফতোওয়াবাজি করে বেড়ায় আমাদের বুঝে আসেনা!যেখানে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল সাড়ে সাত লক্ষ হাদীসের হাফিজ হয়েও এই কথাটা বলছেন,সেখানে যারা মাজহাবের ইমামদের অনুসরণ অস্বীকার করতে চায়,তারা কয়টি হাদীসের হাফিজ! আল্লাহ তাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন,আমিন।</div>

ইমাম না থাকলে ইমাম আহমদের ফায়সালা

প্রশ্নঃ-জনাব,ইমাম আহমদ বিন হাম্বল নাকি মাসআলা অনুসরনে ইমাম না থাকলে, সে মাসআলা থেকে নাকি বিরত থাকার জন্য বলেছেন,এটা কতটুকু সত্য? জাওয়াবদা...

Read more »

ইমাম না থাকলে ইমাম আহমদের ফায়সালা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />প্রশ্নঃ-জনাব,ইমাম আহমদ বিন হাম্বল নাকি মাসআলা অনুসরনে ইমাম না থাকলে, সে মাসআলা থেকে নাকি বিরত থাকার জন্য বলেছেন,এটা কতটুকু সত্য?<br /><br /><br /><br />জাওয়াবদাতাঃ-হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী।<br /><br /><br /><br />জাওয়াবঃ-জি,এই কথাটা প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ হাদীসের হাফিজ ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহমাতুল্লাহি আলাইহী) বলেছেন,কারন ইমামকে অনুসরনের গুরুত্ব অপরিসীম ।এমনকি আল্লাহ  তাআলা কোরআন শরীফের মধ্যে বলেছেন-يَوْمَ نَدْعُو كُلَّ أُنَاسٍ بِإِمَامِهِمْ অর্থাৎ আমি (আল্লাহ) হাশরের ময়দানে প্রত্যেক মানুষকে তাদের ইমামের নামে ডাক দিবো।তাই ইমাম আহমদ বিন হাম্বল এই গুরুত্বেের অপরিহার্যতা বুঝে এই কথাটি বলেছেন।<br /><br /><br /><br />হযরত মাইমুনী রহঃ বর্ণনা করেছেন, ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহঃ বলেছেন-<br /><br />     يا اَبَا الْحَسَنْ إِيَّاكَ أَنْ تَتَكَلَّمَ فِي مَسْأَلَةٍ لَيْسَ لَكَ فِيْهَا إِمَامٌ<br /><br />হে আবুল হাসান!যে মাসআলায় তোমার কোন ইমাম নেই,সে মাসআলা সম্পর্কে কিছু বলা থেকে বিরত থাকো।<br /><br /><br /><br />সুত্রঃ-যাহাবী-সিয়ারুল আলামিন নুবালা ১১/২৯৬পৃ. ক্রমিক নং ৭৮;<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhQzCD9e58X50zqQGqhvd65EwaklbU29WjcuUWjbD5oxF3BTR6S8r0jWbVrY5BDXqi5nZ_C7Qym9VAFEegXV-HWC9Qd0z3-gKLTPKFBA8eXbzIu6I82achrvhWspTkCQFNU9_Md0bNqrRdx/s1600/islamic-calligraphy-holy-koran-written-on-gazelle-leather-articles-stock-photography_csp4276.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="194" data-original-width="271" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhQzCD9e58X50zqQGqhvd65EwaklbU29WjcuUWjbD5oxF3BTR6S8r0jWbVrY5BDXqi5nZ_C7Qym9VAFEegXV-HWC9Qd0z3-gKLTPKFBA8eXbzIu6I82achrvhWspTkCQFNU9_Md0bNqrRdx/s1600-rw/islamic-calligraphy-holy-koran-written-on-gazelle-leather-articles-stock-photography_csp4276.jpg" /></a></div><br /><br /><br /><br /><br />ইমাম আহমদ বিন হাম্বল অন্য বর্ণনায় বলেছেন-<br /><br />যে ব্যক্তি এমন কোন বিষয়ে কথা বললো,যে বিষয়ে তার কোন ইমাম,তবে আমি তার ভুল করার ব্যপারে ভয় করছি,অর্থাৎ সে ভুলের মধ্যে নিপতিত হবে।<br /><br /><br /><br />সুত্রঃ-ইবনে মুফলিহ-আল ফুরু ৬/৩৮০পৃষ্ঠা।<br /><br /><br /><br />বুঝার বিষয়ঃ-যেখানে একটি মাসআলা বর্ণনায় কোন ইমামের অনুসরণ যদি না পাওয়া গেলে,মাসআলা বর্ণনা করতে ইমাম আহমদ নিষেধ করে দিয়েছে। সেখানে নামদারী আহলে হাদীসের লোকেরা সহীহ হাদীসের লেভেল লাগিয়ে, ইমাম বিহীন কিভাবে ফতোওয়াবাজি করে বেড়ায় আমাদের বুঝে আসেনা!যেখানে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল সাড়ে সাত লক্ষ হাদীসের হাফিজ হয়েও এই কথাটা বলছেন,সেখানে যারা মাজহাবের ইমামদের অনুসরণ অস্বীকার করতে চায়,তারা কয়টি হাদীসের হাফিজ! আল্লাহ তাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন,আমিন।</div><br />

ইমাম না থাকলে ইমাম আহমদের ফায়সালা

প্রশ্নঃ-জনাব,ইমাম আহমদ বিন হাম্বল নাকি মাসআলা অনুসরনে ইমাম না থাকলে, সে মাসআলা থেকে নাকি বিরত থাকার জন্য বলেছেন,এটা কতটুকু সত্য? জাওয়াবদাতাঃ...

Read more »

ইমাম না থাকলে ইমাম আহমদের ফায়সালা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">প্রশ্নঃ-জনাব,ইমাম আহমদ বিন হাম্বল নাকি মাসআলা অনুসরনে ইমাম না থাকলে, সে মাসআলা থেকে নাকি বিরত থাকার জন্য বলেছেন,এটা কতটুকু সত্য?<br /><br />জাওয়াবদাতাঃ-হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী।<br /><br />জাওয়াবঃ-জি,এই কথাটা প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ হাদীসের হাফিজ ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহমাতুল্লাহি আলাইহী) বলেছেন,কারন ইমামকে অনুসরনের গুরুত্ব অপরিসীম ।এমনকি আল্লাহ  তাআলা কোরআন শরীফের মধ্যে বলেছেন-يَوْمَ نَدْعُو كُلَّ أُنَاسٍ بِإِمَامِهِمْ অর্থাৎ আমি (আল্লাহ) হাশরের ময়দানে প্রত্যেক মানুষকে তাদের ইমামের নামে ডাক দিবো।তাই ইমাম আহমদ বিন হাম্বল এই গুরুত্বেের অপরিহার্যতা বুঝে এই কথাটি বলেছেন।<br /><br />হযরত মাইমুনী রহঃ বর্ণনা করেছেন, ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহঃ বলেছেন-<br />     يا اَبَا الْحَسَنْ إِيَّاكَ أَنْ تَتَكَلَّمَ فِي مَسْأَلَةٍ لَيْسَ لَكَ فِيْهَا إِمَامٌ<br />হে আবুল হাসান!যে মাসআলায় তোমার কোন ইমাম নেই,সে মাসআলা সম্পর্কে কিছু বলা থেকে বিরত থাকো।<br /><br />সুত্রঃ-যাহাবী-সিয়ারুল আলামিন নুবালা ১১/২৯৬পৃ. ক্রমিক নং ৭৮;<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhQzCD9e58X50zqQGqhvd65EwaklbU29WjcuUWjbD5oxF3BTR6S8r0jWbVrY5BDXqi5nZ_C7Qym9VAFEegXV-HWC9Qd0z3-gKLTPKFBA8eXbzIu6I82achrvhWspTkCQFNU9_Md0bNqrRdx/s1600/islamic-calligraphy-holy-koran-written-on-gazelle-leather-articles-stock-photography_csp4276.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="194" data-original-width="271" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhQzCD9e58X50zqQGqhvd65EwaklbU29WjcuUWjbD5oxF3BTR6S8r0jWbVrY5BDXqi5nZ_C7Qym9VAFEegXV-HWC9Qd0z3-gKLTPKFBA8eXbzIu6I82achrvhWspTkCQFNU9_Md0bNqrRdx/s1600-rw/islamic-calligraphy-holy-koran-written-on-gazelle-leather-articles-stock-photography_csp4276.jpg" /></a></div><br /><br />ইমাম আহমদ বিন হাম্বল অন্য বর্ণনায় বলেছেন-<br />যে ব্যক্তি এমন কোন বিষয়ে কথা বললো,যে বিষয়ে তার কোন ইমাম,তবে আমি তার ভুল করার ব্যপারে ভয় করছি,অর্থাৎ সে ভুলের মধ্যে নিপতিত হবে।<br /><br />সুত্রঃ-ইবনে মুফলিহ-আল ফুরু ৬/৩৮০পৃষ্ঠা।<br /><br />বুঝার বিষয়ঃ-যেখানে একটি মাসআলা বর্ণনায় কোন ইমামের অনুসরণ যদি না পাওয়া গেলে,মাসআলা বর্ণনা করতে ইমাম আহমদ নিষেধ করে দিয়েছে। সেখানে নামদারী আহলে হাদীসের লোকেরা সহীহ হাদীসের লেভেল লাগিয়ে, ইমাম বিহীন কিভাবে ফতোওয়াবাজি করে বেড়ায় আমাদের বুঝে আসেনা!যেখানে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল সাড়ে সাত লক্ষ হাদীসের হাফিজ হয়েও এই কথাটা বলছেন,সেখানে যারা মাজহাবের ইমামদের অনুসরণ অস্বীকার করতে চায়,তারা কয়টি হাদীসের হাফিজ! আল্লাহ তাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন,আমিন।</div>

ইমাম না থাকলে ইমাম আহমদের ফায়সালা

প্রশ্নঃ-জনাব,ইমাম আহমদ বিন হাম্বল নাকি মাসআলা অনুসরনে ইমাম না থাকলে, সে মাসআলা থেকে নাকি বিরত থাকার জন্য বলেছেন,এটা কতটুকু সত্য? জাওয়াবদাতাঃ...

Read more »

ইমামে আজমের মাধ্যমে এক শিয়ার তওবা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">ইমামে আজমের মাধ্যমে এক শিয়ার তাওবাঃ-<br /><br />      ★হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী★<br /><br />ইমাম আজমের এলাকায় এক শিয়া লোক বসবাস করত।শিয়াটি হযরত ওসমান রাঃ কে ইহুদী বলে গালিগালাজ করত।একদিন সে তার বিবাহযোগ্য কন্যার যখন পাত্র খুজছিলো।তখন ইমাম আবু হানিফা রহঃ তার কাছে গিয়ে বললেন,একটি ভালো ছেলে পাওয়া গেছে,ছেলেটি যেমন শরীফ, খান্দানী,তেমনি সম্পদশালী, এমনকি সে পরহেযগার, হাফেজে কোরআন।শিয়া লোকটি বললো,তাহলে এই ছেলেটি ঠিক করে দিন,কারন এমন সৎপাত্র পাওয়া দুস্কর। ইমাম আজম রহঃ বললেন তবে ছেলেলেটি ইহুদী।একথা শুনে শিয়াটি রাগান্বিত হয়ে বললো,কি আশ্চর্য! এতবড় একজন ইমাম হয়ে একজন ইহুদীর সাথে আমার মেয়ের বিবাহ দিতে বলছেন? ইমাম আজম বললেন, তাতে অসুবিধা কি আল্লাহর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই তো তোমার কথামতে একজন ইহুদীর সাথে তার কন্যাকে বিবাহ দিয়েছেন, তাও আবার একজন নয়,একে একে দুজন।তিনি যদি তা করতে পারেন তবে তোমার আপত্তি কিসের?<br />আল্লাহর শুকরিয়া এতটুক কথায় শিয়া লোকটির চেতনা ফিরে আসলো এবং সে তাওবা করে শিয়া মতবাদ থেকে ফিরে আসলো।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhU2p1H_7OdQ1TF3Ih9Fa9tgpAvPy_kiOn4hEHhITX2lSC8L1OE88G-xRVIqSgt7t7_DnsEk1fWVLthgozpQ_5wnsXksHUlPqHWrWDs08si94g6tP06W2QQCpCjg89zUu8UrmDtxQZa7MdS/s1600/optimized-abu-hanifa-710x434-710x350.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="350" data-original-width="710" height="157" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhU2p1H_7OdQ1TF3Ih9Fa9tgpAvPy_kiOn4hEHhITX2lSC8L1OE88G-xRVIqSgt7t7_DnsEk1fWVLthgozpQ_5wnsXksHUlPqHWrWDs08si94g6tP06W2QQCpCjg89zUu8UrmDtxQZa7MdS/s320-rw/optimized-abu-hanifa-710x434-710x350.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />কি শিখলামঃ-<br />এজন্য রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,যখন তোমরা সেই লোকদের দেখবে, যারা আমার সাহাবায়ে কিরামকে মন্দ বলছে,তখন তোমরা তাদেরকে বল,তোমাদের মন্দ কথার দরুন তোমাদের উপর আল্লাহর লানত হোক।অন্য বর্ণনায় এসেছে তাদের লানত করিও।<br /><br />সুত্র:-তিরমিযি-কিতাবুল মানাকিব,হাদীস নং ৩৮৬৬;<br />আহমদ বিন হান্বল-ফাদায়েলুস সাহাবা, হাদীস নং ৬০৬;<br />তাবরানী -মুজামুল আওসাত ৮/১৯০-১৯১,হাদীস নং ৮৩৬৬;</div>

ইমামে আজমের মাধ্যমে এক শিয়ার তওবা

ইমামে আজমের মাধ্যমে এক শিয়ার তাওবাঃ-       ★হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী★ ইমাম আজমের এলাকায় এক শিয়া লোক বসবাস করত।শিয়াটি হযরত ওসমান রাঃ কে ইহুদী বল...

Read more »

ইমামে আজমের মাধ্যমে এক শিয়ার তওবা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> ইমামে আজমের মাধ্যমে এক শিয়ার তাওবাঃ-<br /> <br />       ★হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী★<br /> <br /> ইমাম আজমের এলাকায় এক শিয়া লোক বসবাস করত।শিয়াটি হযরত ওসমান রাঃ কে ইহুদী বলে গালিগালাজ করত।একদিন সে তার বিবাহযোগ্য কন্যার যখন পাত্র খুজছিলো।তখন ইমাম আবু হানিফা রহঃ তার কাছে গিয়ে বললেন,একটি ভালো ছেলে পাওয়া গেছে,ছেলেটি যেমন শরীফ, খান্দানী,তেমনি সম্পদশালী, এমনকি সে পরহেযগার, হাফেজে কোরআন।শিয়া লোকটি বললো,তাহলে এই ছেলেটি ঠিক করে দিন,কারন এমন সৎপাত্র পাওয়া দুস্কর। ইমাম আজম রহঃ বললেন তবে ছেলেলেটি ইহুদী।একথা শুনে শিয়াটি রাগান্বিত হয়ে বললো,কি আশ্চর্য! এতবড় একজন ইমাম হয়ে একজন ইহুদীর সাথে আমার মেয়ের বিবাহ দিতে বলছেন? ইমাম আজম বললেন, তাতে অসুবিধা কি আল্লাহর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই তো তোমার কথামতে একজন ইহুদীর সাথে তার কন্যাকে বিবাহ দিয়েছেন, তাও আবার একজন নয়,একে একে দুজন।তিনি যদি তা করতে পারেন তবে তোমার আপত্তি কিসের?<br /> আল্লাহর শুকরিয়া এতটুক কথায় শিয়া লোকটির চেতনা ফিরে আসলো এবং সে তাওবা করে শিয়া মতবাদ থেকে ফিরে আসলো।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgZ-yVFO8HRK8BACP_D7rxoa5LHikSWKnDJMYXBYyOHpw6Ix3IDa7UTLCeGr_l6xBMGZNNwt81vnD_LydRRGjrNxsHDlhfTzyDstU19nNd5RT9Te0l5pVrR9VaioF-4xG-utji_Wy8aKkVL/s1600/optimized-abu-hanifa-710x434-710x350.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="350" data-original-width="710" height="157" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgZ-yVFO8HRK8BACP_D7rxoa5LHikSWKnDJMYXBYyOHpw6Ix3IDa7UTLCeGr_l6xBMGZNNwt81vnD_LydRRGjrNxsHDlhfTzyDstU19nNd5RT9Te0l5pVrR9VaioF-4xG-utji_Wy8aKkVL/s320-rw/optimized-abu-hanifa-710x434-710x350.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <br /> কি শিখলামঃ-<br /> এজন্য রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,যখন তোমরা সেই লোকদের দেখবে, যারা আমার সাহাবায়ে কিরামকে মন্দ বলছে,তখন তোমরা তাদেরকে বল,তোমাদের মন্দ কথার দরুন তোমাদের উপর আল্লাহর লানত হোক।অন্য বর্ণনায় এসেছে তাদের লানত করিও।<br /> <br /> সুত্র:-তিরমিযি-কিতাবুল মানাকিব,হাদীস নং ৩৮৬৬;<br /> আহমদ বিন হান্বল-ফাদায়েলুস সাহাবা, হাদীস নং ৬০৬;<br /> তাবরানী -মুজামুল আওসাত ৮/১৯০-১৯১,হাদীস নং ৮৩৬৬;</div>

ইমামে আজমের মাধ্যমে এক শিয়ার তওবা

ইমামে আজমের মাধ্যমে এক শিয়ার তাওবাঃ-       ★হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী★ ইমাম আজমের এলাকায় এক শিয়া লোক বসবাস করত।শিয়াটি হযরত ওসমান রাঃ কে ইহু...

Read more »

ইমামে আজমের মাধ্যমে এক শিয়ার তওবা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />ইমামে আজমের মাধ্যমে এক শিয়ার তাওবাঃ-<br /><br /><br /><br />      ★হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী★<br /><br /><br /><br />ইমাম আজমের এলাকায় এক শিয়া লোক বসবাস করত।শিয়াটি হযরত ওসমান রাঃ কে ইহুদী বলে গালিগালাজ করত।একদিন সে তার বিবাহযোগ্য কন্যার যখন পাত্র খুজছিলো।তখন ইমাম আবু হানিফা রহঃ তার কাছে গিয়ে বললেন,একটি ভালো ছেলে পাওয়া গেছে,ছেলেটি যেমন শরীফ, খান্দানী,তেমনি সম্পদশালী, এমনকি সে পরহেযগার, হাফেজে কোরআন।শিয়া লোকটি বললো,তাহলে এই ছেলেটি ঠিক করে দিন,কারন এমন সৎপাত্র পাওয়া দুস্কর। ইমাম আজম রহঃ বললেন তবে ছেলেলেটি ইহুদী।একথা শুনে শিয়াটি রাগান্বিত হয়ে বললো,কি আশ্চর্য! এতবড় একজন ইমাম হয়ে একজন ইহুদীর সাথে আমার মেয়ের বিবাহ দিতে বলছেন? ইমাম আজম বললেন, তাতে অসুবিধা কি আল্লাহর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই তো তোমার কথামতে একজন ইহুদীর সাথে তার কন্যাকে বিবাহ দিয়েছেন, তাও আবার একজন নয়,একে একে দুজন।তিনি যদি তা করতে পারেন তবে তোমার আপত্তি কিসের?<br /><br />আল্লাহর শুকরিয়া এতটুক কথায় শিয়া লোকটির চেতনা ফিরে আসলো এবং সে তাওবা করে শিয়া মতবাদ থেকে ফিরে আসলো।<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjb_T-aU6i9aWb2iXTFjJm23rvPXoCyqbf7HrteN5Z_Q5vzIKPG4ayDpVXGABzbZ7R2zNxsFda5YO29HagkJVFD226YaYi74Sl2V8nikIt2Os5w7HYbCrFwBS6GsC_rNw87nsSXDuB9VRyP/s1600/optimized-abu-hanifa-710x434-710x350.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="350" data-original-width="710" height="157" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjb_T-aU6i9aWb2iXTFjJm23rvPXoCyqbf7HrteN5Z_Q5vzIKPG4ayDpVXGABzbZ7R2zNxsFda5YO29HagkJVFD226YaYi74Sl2V8nikIt2Os5w7HYbCrFwBS6GsC_rNw87nsSXDuB9VRyP/s320-rw/optimized-abu-hanifa-710x434-710x350.jpg" width="320" /></a></div><br /><br /><br /><br /><br />কি শিখলামঃ-<br /><br />এজন্য রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,যখন তোমরা সেই লোকদের দেখবে, যারা আমার সাহাবায়ে কিরামকে মন্দ বলছে,তখন তোমরা তাদেরকে বল,তোমাদের মন্দ কথার দরুন তোমাদের উপর আল্লাহর লানত হোক।অন্য বর্ণনায় এসেছে তাদের লানত করিও।<br /><br /><br /><br />সুত্র:-তিরমিযি-কিতাবুল মানাকিব,হাদীস নং ৩৮৬৬;<br /><br />আহমদ বিন হান্বল-ফাদায়েলুস সাহাবা, হাদীস নং ৬০৬;<br /><br />তাবরানী -মুজামুল আওসাত ৮/১৯০-১৯১,হাদীস নং ৮৩৬৬;</div><br />

ইমামে আজমের মাধ্যমে এক শিয়ার তওবা

ইমামে আজমের মাধ্যমে এক শিয়ার তাওবাঃ-       ★হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী★ ইমাম আজমের এলাকায় এক শিয়া লোক বসবাস করত।শিয়াটি হযরত ওসমান রাঃ কে ইহুদী বল...

Read more »

ইমামে আজমের মাধ্যমে এক শিয়ার তওবা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">ইমামে আজমের মাধ্যমে এক শিয়ার তাওবাঃ-<br /><br />      ★হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী★<br /><br />ইমাম আজমের এলাকায় এক শিয়া লোক বসবাস করত।শিয়াটি হযরত ওসমান রাঃ কে ইহুদী বলে গালিগালাজ করত।একদিন সে তার বিবাহযোগ্য কন্যার যখন পাত্র খুজছিলো।তখন ইমাম আবু হানিফা রহঃ তার কাছে গিয়ে বললেন,একটি ভালো ছেলে পাওয়া গেছে,ছেলেটি যেমন শরীফ, খান্দানী,তেমনি সম্পদশালী, এমনকি সে পরহেযগার, হাফেজে কোরআন।শিয়া লোকটি বললো,তাহলে এই ছেলেটি ঠিক করে দিন,কারন এমন সৎপাত্র পাওয়া দুস্কর। ইমাম আজম রহঃ বললেন তবে ছেলেলেটি ইহুদী।একথা শুনে শিয়াটি রাগান্বিত হয়ে বললো,কি আশ্চর্য! এতবড় একজন ইমাম হয়ে একজন ইহুদীর সাথে আমার মেয়ের বিবাহ দিতে বলছেন? ইমাম আজম বললেন, তাতে অসুবিধা কি আল্লাহর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই তো তোমার কথামতে একজন ইহুদীর সাথে তার কন্যাকে বিবাহ দিয়েছেন, তাও আবার একজন নয়,একে একে দুজন।তিনি যদি তা করতে পারেন তবে তোমার আপত্তি কিসের?<br />আল্লাহর শুকরিয়া এতটুক কথায় শিয়া লোকটির চেতনা ফিরে আসলো এবং সে তাওবা করে শিয়া মতবাদ থেকে ফিরে আসলো।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjb_T-aU6i9aWb2iXTFjJm23rvPXoCyqbf7HrteN5Z_Q5vzIKPG4ayDpVXGABzbZ7R2zNxsFda5YO29HagkJVFD226YaYi74Sl2V8nikIt2Os5w7HYbCrFwBS6GsC_rNw87nsSXDuB9VRyP/s1600/optimized-abu-hanifa-710x434-710x350.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="350" data-original-width="710" height="157" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjb_T-aU6i9aWb2iXTFjJm23rvPXoCyqbf7HrteN5Z_Q5vzIKPG4ayDpVXGABzbZ7R2zNxsFda5YO29HagkJVFD226YaYi74Sl2V8nikIt2Os5w7HYbCrFwBS6GsC_rNw87nsSXDuB9VRyP/s320-rw/optimized-abu-hanifa-710x434-710x350.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />কি শিখলামঃ-<br />এজন্য রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,যখন তোমরা সেই লোকদের দেখবে, যারা আমার সাহাবায়ে কিরামকে মন্দ বলছে,তখন তোমরা তাদেরকে বল,তোমাদের মন্দ কথার দরুন তোমাদের উপর আল্লাহর লানত হোক।অন্য বর্ণনায় এসেছে তাদের লানত করিও।<br /><br />সুত্র:-তিরমিযি-কিতাবুল মানাকিব,হাদীস নং ৩৮৬৬;<br />আহমদ বিন হান্বল-ফাদায়েলুস সাহাবা, হাদীস নং ৬০৬;<br />তাবরানী -মুজামুল আওসাত ৮/১৯০-১৯১,হাদীস নং ৮৩৬৬;</div>

ইমামে আজমের মাধ্যমে এক শিয়ার তওবা

ইমামে আজমের মাধ্যমে এক শিয়ার তাওবাঃ-       ★হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী★ ইমাম আজমের এলাকায় এক শিয়া লোক বসবাস করত।শিয়াটি হযরত ওসমান রাঃ কে ইহুদী বল...

Read more »

লা মাযহাবীদের কিতাবে কলেমা!

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">নামদারী আহলে হাদীসদের কিতাবে কালেমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” রয়েছে।<br /><br />★হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী★<br /><br />• নাসীরুদ্দীন আলবানীর কিতাবে উল্লেখ আছে-<br />إثبات الايمان لمن يشهد أن لا اله الا اللّٰه محمّد رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه وسلم<br />ঈমান আছে প্রমাণিত হবে যে এই বলে সাক্ষ্য দিবে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ”।<br /><br />সুত্র:-আলবানী -মওসুআতুল আলবানী ৪/৩৯৯পৃ;<br /><br />উক্ত কিতাবের ৪/৪০৯ পৃষ্টায় সে আরো লিখেছে<br />هذا المشرك لا يشهد لا اله الا اللّٰه محمد رسول اللّٰه<br />আর সেই লোক মুশরিক হবে যে, সাক্ষ্য দিবেনা<br />“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ”।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhIVAIKzs7UQBx9-jxCSMSN6fS4fG-u42TCUSzx_LsHR0wZTwPSIgZtVGQ3K_GGm8uYc6F7tVsVdgZp381f5bCxVZ6ScDllCDOpad9iv_agW2YxBzQ3GjYpI1FO2S2ohKsDl675Fpsjny-_/s1600/36840273_1043710185785418_1340504166899908608_n.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="390" data-original-width="750" height="166" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhIVAIKzs7UQBx9-jxCSMSN6fS4fG-u42TCUSzx_LsHR0wZTwPSIgZtVGQ3K_GGm8uYc6F7tVsVdgZp381f5bCxVZ6ScDllCDOpad9iv_agW2YxBzQ3GjYpI1FO2S2ohKsDl675Fpsjny-_/s320-rw/36840273_1043710185785418_1340504166899908608_n.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />• আহলে হাদীস তথা খবিসদের বিখ্যাত মুহাদ্দীস আব্দুর রহমান মোবারকপুরী লিখেছে-<br />كلمة التوحيد وهى لا اله الا اللّٰه محمد رسول اللّٰه للإجماع<br />উম্মতের ইজমায় কালেমায়ে তাওহীদ হলো “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ”।<br /><br />সুত্র:মোবারকপুর-তুহফাতুল আহওয়াজী ৭/২৮৩;<br /><br />• তাদের অন্যতম ইমাম শওকানী লিখেছে-<br />كان مكتوبًا على رايَةِ النبيِّ صلى اللّٰه عليه وسلم “لا اله الا اللّٰه محمد رسول اللّٰه”<br /><br />সুত্র:-শওকানী-নায়লুল আওতার ৭/২৭৯;<br /><br />দ্র:- আহলে হাদীস দাবীদার খবিসদের কাছে আমাদের আহবান, এবার জাওয়াব দাও তোমরা তোমাদের এই ইমামদেরকে মুশরিক ফতোওয়া দিতে পারবে কিনা</div>

লা মাযহাবীদের কিতাবে কলেমা!

নামদারী আহলে হাদীসদের কিতাবে কালেমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” রয়েছে। ★হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী★ • নাসীরুদ্দীন আলবানীর কিতা...

Read more »

লা মাযহাবীদের কিতাবে কলেমা!

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> নামদারী আহলে হাদীসদের কিতাবে কালেমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” রয়েছে।<br /> <br /> ★হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী★<br /> <br /> • নাসীরুদ্দীন আলবানীর কিতাবে উল্লেখ আছে-<br /> إثبات الايمان لمن يشهد أن لا اله الا اللّٰه محمّد رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه وسلم<br /> ঈমান আছে প্রমাণিত হবে যে এই বলে সাক্ষ্য দিবে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ”।<br /> <br /> সুত্র:-আলবানী -মওসুআতুল আলবানী ৪/৩৯৯পৃ;<br /> <br /> উক্ত কিতাবের ৪/৪০৯ পৃষ্টায় সে আরো লিখেছে<br /> هذا المشرك لا يشهد لا اله الا اللّٰه محمد رسول اللّٰه<br /> আর সেই লোক মুশরিক হবে যে, সাক্ষ্য দিবেনা<br /> “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ”।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjlKdmsfx-b_SmxZkDZYfw3tHxWMjVJ7iJTWjLWbIOu4Q_qDiRMQhN9AskZMdejnj0Gpjn2dYbr4Z2ZXEtkx4ZhdSZgTjM0UXrjNrtn6OqjTVKl7xhBfkv2EWQLHoXdHZmLTLW_ke_efPBq/s1600/36840273_1043710185785418_1340504166899908608_n.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="390" data-original-width="750" height="166" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjlKdmsfx-b_SmxZkDZYfw3tHxWMjVJ7iJTWjLWbIOu4Q_qDiRMQhN9AskZMdejnj0Gpjn2dYbr4Z2ZXEtkx4ZhdSZgTjM0UXrjNrtn6OqjTVKl7xhBfkv2EWQLHoXdHZmLTLW_ke_efPBq/s320-rw/36840273_1043710185785418_1340504166899908608_n.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <br /> • আহলে হাদীস তথা খবিসদের বিখ্যাত মুহাদ্দীস আব্দুর রহমান মোবারকপুরী লিখেছে-<br /> كلمة التوحيد وهى لا اله الا اللّٰه محمد رسول اللّٰه للإجماع<br /> উম্মতের ইজমায় কালেমায়ে তাওহীদ হলো “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ”।<br /> <br /> সুত্র:মোবারকপুর-তুহফাতুল আহওয়াজী ৭/২৮৩;<br /> <br /> • তাদের অন্যতম ইমাম শওকানী লিখেছে-<br /> كان مكتوبًا على رايَةِ النبيِّ صلى اللّٰه عليه وسلم “لا اله الا اللّٰه محمد رسول اللّٰه”<br /> <br /> সুত্র:-শওকানী-নায়লুল আওতার ৭/২৭৯;<br /> <br /> দ্র:- আহলে হাদীস দাবীদার খবিসদের কাছে আমাদের আহবান, এবার জাওয়াব দাও তোমরা তোমাদের এই ইমামদেরকে মুশরিক ফতোওয়া দিতে পারবে কিনা</div>

লা মাযহাবীদের কিতাবে কলেমা!

নামদারী আহলে হাদীসদের কিতাবে কালেমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” রয়েছে। ★হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী★ • নাসীরুদ্দীন আলবানীর...

Read more »

লা মাযহাবীদের কিতাবে কলেমা!

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />নামদারী আহলে হাদীসদের কিতাবে কালেমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” রয়েছে।<br /><br /><br /><br />★হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী★<br /><br /><br /><br />• নাসীরুদ্দীন আলবানীর কিতাবে উল্লেখ আছে-<br /><br />إثبات الايمان لمن يشهد أن لا اله الا اللّٰه محمّد رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه وسلم<br /><br />ঈমান আছে প্রমাণিত হবে যে এই বলে সাক্ষ্য দিবে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ”।<br /><br /><br /><br />সুত্র:-আলবানী -মওসুআতুল আলবানী ৪/৩৯৯পৃ;<br /><br /><br /><br />উক্ত কিতাবের ৪/৪০৯ পৃষ্টায় সে আরো লিখেছে<br /><br />هذا المشرك لا يشهد لا اله الا اللّٰه محمد رسول اللّٰه<br /><br />আর সেই লোক মুশরিক হবে যে, সাক্ষ্য দিবেনা<br /><br />“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ”।<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgPJr5KGHnhe-jQoNzufly-09pTuUCILGcmPLslQI0NRm3bWDVYZOC4Bwd8TqdGuZI3xiwm9TkVVUf5vLSLUUKubFSCqdy8YNiQ9CRkFQ5vaQKPzww76V91rohXbOOBZfrbNmBrjNKRn5Mz/s1600/36840273_1043710185785418_1340504166899908608_n.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="390" data-original-width="750" height="166" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgPJr5KGHnhe-jQoNzufly-09pTuUCILGcmPLslQI0NRm3bWDVYZOC4Bwd8TqdGuZI3xiwm9TkVVUf5vLSLUUKubFSCqdy8YNiQ9CRkFQ5vaQKPzww76V91rohXbOOBZfrbNmBrjNKRn5Mz/s320-rw/36840273_1043710185785418_1340504166899908608_n.jpg" width="320" /></a></div><br /><br /><br /><br /><br />• আহলে হাদীস তথা খবিসদের বিখ্যাত মুহাদ্দীস আব্দুর রহমান মোবারকপুরী লিখেছে-<br /><br />كلمة التوحيد وهى لا اله الا اللّٰه محمد رسول اللّٰه للإجماع<br /><br />উম্মতের ইজমায় কালেমায়ে তাওহীদ হলো “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ”।<br /><br /><br /><br />সুত্র:মোবারকপুর-তুহফাতুল আহওয়াজী ৭/২৮৩;<br /><br /><br /><br />• তাদের অন্যতম ইমাম শওকানী লিখেছে-<br /><br />كان مكتوبًا على رايَةِ النبيِّ صلى اللّٰه عليه وسلم “لا اله الا اللّٰه محمد رسول اللّٰه”<br /><br /><br /><br />সুত্র:-শওকানী-নায়লুল আওতার ৭/২৭৯;<br /><br /><br /><br />দ্র:- আহলে হাদীস দাবীদার খবিসদের কাছে আমাদের আহবান, এবার জাওয়াব দাও তোমরা তোমাদের এই ইমামদেরকে মুশরিক ফতোওয়া দিতে পারবে কিনা</div><br />

লা মাযহাবীদের কিতাবে কলেমা!

নামদারী আহলে হাদীসদের কিতাবে কালেমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” রয়েছে। ★হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী★ • নাসীরুদ্দীন আলবানীর কিতা...

Read more »

লা মাযহাবীদের কিতাবে কলেমা!

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">নামদারী আহলে হাদীসদের কিতাবে কালেমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” রয়েছে।<br /><br />★হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী★<br /><br />• নাসীরুদ্দীন আলবানীর কিতাবে উল্লেখ আছে-<br />إثبات الايمان لمن يشهد أن لا اله الا اللّٰه محمّد رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه وسلم<br />ঈমান আছে প্রমাণিত হবে যে এই বলে সাক্ষ্য দিবে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ”।<br /><br />সুত্র:-আলবানী -মওসুআতুল আলবানী ৪/৩৯৯পৃ;<br /><br />উক্ত কিতাবের ৪/৪০৯ পৃষ্টায় সে আরো লিখেছে<br />هذا المشرك لا يشهد لا اله الا اللّٰه محمد رسول اللّٰه<br />আর সেই লোক মুশরিক হবে যে, সাক্ষ্য দিবেনা<br />“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ”।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgPJr5KGHnhe-jQoNzufly-09pTuUCILGcmPLslQI0NRm3bWDVYZOC4Bwd8TqdGuZI3xiwm9TkVVUf5vLSLUUKubFSCqdy8YNiQ9CRkFQ5vaQKPzww76V91rohXbOOBZfrbNmBrjNKRn5Mz/s1600/36840273_1043710185785418_1340504166899908608_n.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="390" data-original-width="750" height="166" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgPJr5KGHnhe-jQoNzufly-09pTuUCILGcmPLslQI0NRm3bWDVYZOC4Bwd8TqdGuZI3xiwm9TkVVUf5vLSLUUKubFSCqdy8YNiQ9CRkFQ5vaQKPzww76V91rohXbOOBZfrbNmBrjNKRn5Mz/s320-rw/36840273_1043710185785418_1340504166899908608_n.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />• আহলে হাদীস তথা খবিসদের বিখ্যাত মুহাদ্দীস আব্দুর রহমান মোবারকপুরী লিখেছে-<br />كلمة التوحيد وهى لا اله الا اللّٰه محمد رسول اللّٰه للإجماع<br />উম্মতের ইজমায় কালেমায়ে তাওহীদ হলো “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ”।<br /><br />সুত্র:মোবারকপুর-তুহফাতুল আহওয়াজী ৭/২৮৩;<br /><br />• তাদের অন্যতম ইমাম শওকানী লিখেছে-<br />كان مكتوبًا على رايَةِ النبيِّ صلى اللّٰه عليه وسلم “لا اله الا اللّٰه محمد رسول اللّٰه”<br /><br />সুত্র:-শওকানী-নায়লুল আওতার ৭/২৭৯;<br /><br />দ্র:- আহলে হাদীস দাবীদার খবিসদের কাছে আমাদের আহবান, এবার জাওয়াব দাও তোমরা তোমাদের এই ইমামদেরকে মুশরিক ফতোওয়া দিতে পারবে কিনা</div>

লা মাযহাবীদের কিতাবে কলেমা!

নামদারী আহলে হাদীসদের কিতাবে কালেমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” রয়েছে। ★হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী★ • নাসীরুদ্দীন আলবানীর কিতা...

Read more »

নামাজের পর নবীজিﷺ এর উপর দরুদ ও হাত তুলে মোনাজাত করা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br /><div dir="ltr">নামাজের পর আল্লাহর প্রশংসা ও রাসুল  ﷺ এর উপর দরুদ পড়ে হাত তুলে দোয়া করা সম্পূর্ণ জায়েয । বরং রাসূলﷺ   তা করার জন্য আদেশ করেছেন ।কিন্তু দুঃখের কথা কোন কোন<br />মসজিদে তা করা হয়না। উল্ঠো বিষয়টা কে অস্বীকার করে আর বিদাআত  বলে ফতোয়া দেয়। আসুন দেখি এ ব্যাপারে রাসুল ﷺ  আমাদের কি শিক্ষা দিয়েছেন…..</div><div dir="ltr"></div><div dir="ltr">★দলীল ১ ﻋﻦ ﻓﻀﺎﻟﺔ ﺑﻦ ﻋﺒﻴﺪ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻋﺪ ﺍﺫ ﺩﺧﻞ<br />ﺯﺟﻞ ﻓﺼﻠﻲ ﻓﻘﺎﻝ ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺍﻏﻔﺮﻟﻲ ﻭﺍﺭﺣﻤﻨﻲ ﻓﻘﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻋﺠﻠﺖ ﺍﻳﻬﺎ ﺍﻟﻤﺼﻠﻲ ﺍﺫﺍ<br />ﺻﻠﻴﺖ ﻓﻘﻌﺪﺕ ﻓﺎﺣﻤﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻤﺎ ﻫﻮ ﺍﻫﻠﻪ ﻭﺻﻞ ﻋﻠﻲ ﺛﻢ ﺍﺩﻋﻪ ﻗﺎﻝ ﺛﻢ ﺻﻠﻲ ﺭﺟﻞ ﺍﺧﺮ ﺑﻌﺪ ﺫﺍﻟﻚ<br />ﻓﺤﻤﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺻﻠﻲ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻌﻢ ﻓﻘﺎﻝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻌﻢ ﺍﻳﻬﺎ ﺍﻟﻤﺼﻠﻲ ﺍﺩﻉ ﺗﺠﺐ হযরত<br />ফুদ্বালা ইবনে উবাইদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন আমাদের মাঝে রাসুল ﷺ   বসা ছিলেন, এমতাবস্থায় এক লোক প্রবেশ করে সালাত আদায় করল এবং দোয়ায় বলল, হে আল্লাহ ! আমাকে ক্ষমা করো , আমাকে রহম করো, তখন রাসুলুল্লাহ ﷺ   বললেন ওহে মুসল্লি তুমি বড্ড<br />তাড়াহুড়ো করে ফেলেছ। যখন সালাত আদায় করবে অতঃপর বসবে ও আল্লাহর প্রশংসা করবে এবং আমার উপর দরুদ পাঠ করবে, তারপর আল্লাহর দরবারে দুআ করবে।<br />বর্ণনাকারী বলেন অতঃপর লোকটি সালাত আদায় করল এবং শেষে আল্লাহর প্রশংসা করল ও নবীজির উপর দরুদ পড়লো। তারপর আল্লাহর নবী         ﷺ তাকে বললেন ওহে মুসল্লি এখন দুআ কর, তোমার দুআ কবুল হবে।.<br />[ তিরমিযি শরীফ, হাদিস নং <a href="tel:3398">৩৩৯৮</a>]</div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjY2buIAYpM05cf-RRoxzMuiFDvrPbEHmrwHhK02mxZDOZbgopyH-ad43rDJDgJXvwAL8zCo3z8zR31H6ZzLHEXgH9UMdZh9SWC59DnioePZuiC7r1Fxy9bFzoIUf-UoMLVZmiCTs37ue70/s1600/wpid-img_8030889505436+%25281%2529.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="633" data-original-width="768" height="263" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjY2buIAYpM05cf-RRoxzMuiFDvrPbEHmrwHhK02mxZDOZbgopyH-ad43rDJDgJXvwAL8zCo3z8zR31H6ZzLHEXgH9UMdZh9SWC59DnioePZuiC7r1Fxy9bFzoIUf-UoMLVZmiCTs37ue70/s320-rw/wpid-img_8030889505436+%25281%2529.jpeg" width="320" /></a></div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">★দলীল ২ ﺍﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﺤﻴﺢ ﻋﻦ ﺳﻤﻊ<br />ﺍﻧﺴﺎ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻌﻢ ﺍﻧﻪ ﺭﻓﻊ ﻳﺪﻳﻪ ﺣﺘﻲ ﺭﺍﻳﺖ ﺑﻴﺎﺽ ﺍﺑﻄﻴﻪ<br />আল্লাহর নবী ﷺ  উভয়হাত তুলে দোআ করেছেন এমনকি বগলের শুণ্দ্রতা পর্যন্ত দেখা গেল। [সহীহ বুখারী, বাবু রফয়িন নাসি আয়দিয়হিম মাআল ইমামি ফিল ইসতিসকায়ি । <a href="tel:4134">৪/১৩৪</a>]</div><div dir="ltr">★ দলীল ৩<br />ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ﻓﻲ ﺍﺳﻨﻦ ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺑﻦ ﻣﺎﻟﻚ ﻗﺎﻝ ﺭﺍﻳﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻳﺪﻋﻮ ﻫﻜﺬﺍ ﺑﺒﺎﻃﻦ<br />ﻛﻔﻴﻪ ﻭﻇﺎﻫﺮ ﻫﻤﺎ _<br />হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বণিত, তিনি বলেন আমি রাসূল ﷺ   কে তার হাতের পেট দ্বারা দুআ করতে দেখেছি ।<br />[ সুনানে আবু দাউদ, <a href="tel:4286">৪/২৮৬</a> হাদিস <a href="tel:1272">১২৭২</a>]</div><div dir="ltr">★দলীল ৪ ﻋﻦ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﻗﺎﻝ ﻛﺎﻥ<br />ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﺍﺫﺍ ﺭﻓﻊ ﻳﺪﻳﻪ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ ﻟﻢ ﻳﺤﻄﻬﻤﺎ ﺣﺘﻲ ﻳﻤﺴﺢ ﺑﻬﻤﺎ ﻭﺟﻬﻪ<br />হযরত ওমর ফারুখ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সঃ যখন দোআ করতেন তখন হাত তুলেই দোআ করতেন, আর মুখ মোবারক না মুছে উভয় হাত নামাতেন না ।</div><div dir="ltr">★ দলীল ৫ ﻓﻮﻗﻒ ﻓﻲ ﺍﺩﻧﻲ ﺍﻟﺒﻘﻴﻊ ﺛﻢ<br />ﺭﻓﻊ ﻳﺪﻳﻪ ﺛﻢ ﺍﻧﺼﺮﻑ ﻓﻠﻤﺎ ﺍﺻﺒﺤﺖ ﺳﺎﻟﺘﻪ ﻓﻘﻠﺖ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻳﻦ ﺧﺮﺟﺖ ﺍﻟﻠﻴﻠﺔ ؟ ﻗﺎﻝ ﺑﻌﺜﺖ<br />ﺍﻟﻲ ﺍﻟﺒﻘﻴﻊ ﻻﺻﻠﻲ ﻋﻠﻴﻬﻢ<br />হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, কোন এক রাতের অন্ধকারে আল্লাহর রাসূল ﷺ জান্নাতুল বাকির কবরস্হানে গিয়ে কবর যিয়ারত করলেন এবং হাত উঠিয়ে তাদের জন্য দোআ করলেন। সকালে রাসূল ﷺ  কে জিঞ্জাসা করলাম হে রাসূল ﷺ  আপনা কোথায় গিয়েছিলেন? তানা বললেন আমি জান্নাতুল বাকীতে গিয়েছিলাম তাদের জন্য দোয়া করতে। [সহিহ বুখারী, ১/৬৪ হাদিস ৮৮]</div><div dir="ltr">উপরোক্ত আলোচনা থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান<br />হয় যে নামাযের পর আল্লাহর প্রশংসা, দরুদ শরীফ, হাত তুলে মোনাজাত ও কবর জিয়ারতের সময় হাত তুুুুলে দোআ করা মূলত রাসুলে পাক ﷺ এর সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত ।</div><br /></div>

নামাজের পর নবীজিﷺ এর উপর দরুদ ও হাত তুলে মোনাজাত করা

নামাজের পর আল্লাহর প্রশংসা ও রাসুল  ﷺ এর উপর দরুদ পড়ে হাত তুলে দোয়া করা সম্পূর্ণ জায়েয । বরং রাসূলﷺ   তা করার জন্য আদেশ করেছেন ।কিন্তু দু...

Read more »

মুসাফিরের নামাজ(পুরুষ)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">আল্লাহ তাআলা সূরা নিসার  ১০১   নং আয়াতে ইরশাদ করেন:<br />وَ اِذَا ضَرَبۡتُمۡ فِی الۡاَرۡضِ فَلَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَقۡصُرُوۡا مِنَ الصَّلٰوۃِ ٭ۖ اِنۡ خِفۡتُمۡ اَنۡ یَّفۡتِنَکُمُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ اِنَّ الۡکٰفِرِیۡنَ کَانُوۡا لَکُمۡ عَدُوًّا مُّبِیۡنًا ﴿۱۰۱﴾<br />কানযুল   ঈমান   থেকে   অনুবাদ:    এবং   যখন     তোমরা যমীনে   সফর করো তখন  তোমাদের এতে গুনাহ  নেই যে,    কোন    কোন    নামায    ‘কসর’    করে    পড়বে;যদি  তোমাদের   আশংকা   হয়    যে,  কাফিররা  তোমাদেরকে কষ্ট দেবে। নিশ্চয় কাফিরগণ তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (পারা-৫, সূরা-নিসা, আয়াত- ১০১)<br /><br />সদরুল   আফাযিল   হযরত   আল্লামা   মাওলানা   সায়্যিদ  মুহাম্মদ   নঈমুদ্দীন   মুরাদাবাদী   رَحْمَۃُ   اللّٰہِ   تَعَالٰی  عَلَیْہِ বলেন: কাফিরদের ভয় কসরের জন্য শর্ত  নয়,  হযরত সায়্যিদুনা    ইয়ালা   ইবনে     উমাইয়া   হযরত   সায়্যিদুনা ওমর   ফারুকে   আযম   رَضِیَ   اللّٰہُ   تَعَالٰی   عَنْہُএর   নিকট  আরয করলেন: “আমরাতো নিরাপত্তার   মধ্যে   রয়েছি,  তারপরেও কেন আমরা কসর করবো?”বললেন: “এতে আমারও   আশ্চর্যবোধ   হয়েছিল    তখন    আমি   রহমতে  আলম, নূরে মুজাস্সাম, হুযুর  صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم    এর   নিকট   বিষয়টি   জিজ্ঞাসা   করলাম।   হুযুরে  আকরাম,  নূরে  মুজাস্সাম,  শাহে  বনী  আদম,  রাসূলে  মুহতাশাম      صَلَّی   اللّٰہُ   تَعَالٰی   عَلَیْہِ   وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم   ইরশাদ  করলেন:   “তোমাদের  জন্য  এটা  (কসর   করা)  আল্লাহ্ তাআলার    পক্ষ   থেকে    সদকা    স্বরূপ,    তোমরা   তাঁর   সদকা  কবুল   করে  নাও।”  (সহীহ  মুসলিম,   ১ম  খন্ড, ২৩১ পৃষ্ঠা)<br />উম্মল  মু’মিনীন  হযরত  সায়্যিদাতুনা   আয়িশা   সিদ্দীকা رَضِیَ اللہُ  تَعَالٰی  عَنۡہَا বর্ণনা    করেন, নামায দুই রাকাত  ফরয করা হয়েছিল অতঃপর নবী করীম, রউফুর রহীম صَلَّی  اللّٰہُ  تَعَالٰی   عَلَیْہِ   وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم  যখন  মদীনায়  হিযরত করলেন     তখন    চার  রাকাত  ফরয  করা  হয়েছে  এবং  সফরের   নামায   আগের   ফরযের  উপরই   বহাল  রাখা  হলো। (সহীহ বুখারী, ১ম খন্ড, ৫৬০ পৃষ্ঠা)<br />হযরত সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে ওমরرَضِیَ  اللہُ  تَعَالٰی عَنۡہُمَا       থেকে        বর্ণিত,       রাসূলে        আকরাম,         নূরে মুজাস্সামصَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সফরের নামায দুই রাকাত নির্ধারণ করেছেন এবং এটা  পরিপূর্ণ, স্বল্প নয়। অর্থাৎ যদিও   বাহ্যিকভাবে  দুই রাকাত  কম  হয়ে গেলো      কিন্তু      সাওয়াবের     ক্ষেত্রে     দুই     রাকাত     চার রাকাতের সমান। (সুনানে ইবনে মাজাহ্, ২য় খন্ড, ৫৯ পৃষ্ঠা, হাদীস-১১৯৪)<br /><br />♦শরীয়াতের দৃষ্টিতে সফরের দূরত্ব ♦<br />যে  ব্যক্তি   সাড়ে  ৫৭  মাইল  (প্রায়    ৯২  কিলোমিটার) দূরত্বে   যাওয়ার   ইচ্ছায়   আপন   স্থায়ী   বাসস্থান   যেমন  শহর   বা      গ্রাম    থেকে   রাওয়ানা   হয়ে    পড়ে,   তাকে  শরীয়াতের         দৃষ্টিতে        মুসাফির       বলা       হয়।       (সার সংক্ষেপ-ফতোওয়ায়ে  রযবীয়া,   ৮ম খন্ড, ২৭০  পৃষ্ঠা)<br />♠মুসাফির কখন হবে? ♠<br />শুধু  সফরের  নিয়্যত  করলেই  মুসাফির  হবে  না।  বরং  মুসাফিরের   হুকুম  তখন  থেকেই  প্রযোজ্য   হবে,   যখন আপন    বাসস্থানের  জনবসতি এলাকা থেকে  বের  হয়ে পড়বে। শহরে থাকলে শহরের জনবসতি এলাকা আর গ্রামে    থাকলে    গ্রামের    জনবসতি    এলাকা    অতিক্রম  করতে হবে।   শহরবাসীদের জন্য এটাও আবশ্যক যে, শহরের  আশে   পাশের  যেসব   বসতি   এলাকা  শহরের সাথে   সংযুক্ত   তাও      অতিক্রম     করতে   হবে।   (দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার, ২য় খন্ড, ৫৯৯ পৃষ্ঠা)<br />♣জনবসতি এলাকা শেষ হওয়ার মর্মার্থ ♣<br />জনবসতি      এলাকা      অতিক্রম     করার      মর্মার্থ     হলো, যেদিকে যাচ্ছে  সেদিকের  জনবসতি  এলাকা শেষ হয়ে যাওয়া,    যদিও      এর     সোজাসুজি      অপরাপর    প্রান্তের জনবসতি এলাকা  শেষ  না হয়। (গুনিয়াতুল   মুস্তামলা,  ৫৩৬ পৃষ্ঠা)<br />♥শহরতলীর এলাকা ♥<br />শহরতলী   সংলগ্ন  যে    গ্রামগুলো  আছে,  শহরবাসীদের জন্য ঐ গ্রামগুলো অতিক্রম করে যাওয়া আবশ্যক নয়। অনুরূপ শহর সংলগ্ন বাগান থাকলে যদিও বাগানে এর পরিচর্যাকারী এবং  রক্ষণাবেক্ষণ   কারীরা বসবাস  করে থাকে,   তা    সত্ত্বেও    শহরবাসীদের   জন্য     উক্ত   বাগান অতিক্রম  করে   যাওয়া আবশ্যক নয়।  (রদ্দুল  মুখতার, ২য় খন্ড, ৫৯৯ পৃষ্ঠা)<br />শহরতলীর বাহিরে যে স্থান শহরের  কাজে ব্যবহৃত হয় যেমন      কবরস্থান,     ঘোড়াদৌড়ের     মাঠ,        আবর্জনা ফেলার   স্থান,    যদি   তা   শহর    সংলগ্ন   হয়   তাহলে   তা অতিক্রম করে যাওয়া আবশ্যক। আর যদি তা শহর ও শহরতলী  থেকে দূরে  অবস্থিত   হয়, তবে তা  অতিক্রম করে যাওয়া আবশ্যক নয়। (প্রাগুক্ত, ৬০০ পৃষ্ঠা)<br />♠মুসাফির হওয়ার জন্য শর্ত ♠<br />সফরের জন্য এটাও আবশ্যক, যে স্থান হতে  যাত্রা শুরু করলো সেখান থেকে তিনদিনের রাস্তা (অর্থাৎ-প্রায় ৯২ কিলোমিটার) সফরের উদ্দেশ্য থাকতে হবে। আর যদি দুই দিনের রাস্তা  (৯২ কিলোমিটার হতে  কম) সফরের উদ্দেশ্যে    বের   হয়,     অতঃপর     সেখানে   পৌঁছে    অন্য স্থানের    উদ্দেশ্যে    রাওয়ানা    হয়ে    পড়ে,    তাও    তিন  দিনের   রাস্তা   (তথা  ৯২ কিলোমিটার এর)  চেয়ে  কম। এভাবে সারা দুনিয়া ভ্রমণ করে  আসলেও সে মুসাফির হবে না। (গুনিয়া, দুররে মুখতার, ২য় খন্ড, ২০৯ পৃষ্ঠা)<br />এটাও    শর্ত  যে,   একাধারে  তিনদিনের   রাস্তা  সফরের উদ্দেশ্যে বের হতে হবে। যদি এভাবে ইচ্ছা করে যেমন দুই   দিনের  রাস্তায়  পৌঁছে   কিছু  কাজ   করব,  তা  শেষ করেই   পুনরায়    একদিনের    রাস্তা   সফর   করব।    এটা একাধারে তিনদিনের রাস্তা সফরের উদ্দেশ্য না হওয়ায় সে   মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে  না।  (বাহারে শরীয়াত, ৪র্থ অংশ, ৭৭ পৃষ্ঠা)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhEDv4IB5mr6lWZxQh_g1SfviHanth8r6kw_66XzCKRZcYi4Mg7O5jXm_ZjDe4a3AyWTMSskeByulJlMfDnHlWx3ZfjS1CwLPTBmJJFfvCSGf1ioXAnshUjAtXhiFPSPWuRxLAo4uHUPer1/s1600/1513004120774407199713-01.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="313" data-original-width="470" height="213" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhEDv4IB5mr6lWZxQh_g1SfviHanth8r6kw_66XzCKRZcYi4Mg7O5jXm_ZjDe4a3AyWTMSskeByulJlMfDnHlWx3ZfjS1CwLPTBmJJFfvCSGf1ioXAnshUjAtXhiFPSPWuRxLAo4uHUPer1/s320-rw/1513004120774407199713-01.jpeg" width="320" /></a></div><br />♦বাসস্থানের প্রকারভেদ ♦<br />বাসস্থান দুই   প্রকার  (১) স্থায়ী বাসস্থান: অর্থাৎ ঐ স্থান  যেখানে    সে    জন্মগ্রহণ    করেছে    বা    তার    পরিবারের  লোকজন সেখানে বাস করে কিংবা সেখানে তারা স্থায়ী হয়ে  গেলো    এবং   সেখান  থেকে  স্থানান্তর  করার  ইচ্ছা পোষণ  না  করে। (২)  অবস্থানগত  বাসস্থান: অর্থাৎ   ঐ স্থান  যেখানে  মুসাফির  পনের  কিংবা  তার  চেয়ে  বেশি  দিন  অবস্থানের  ইচ্ছা  পোষণ  করে।  (আলমগিরী,  ১ম  খন্ড, ১৪৫ পৃষ্ঠা)<br />♠অবস্থানগত বাসস্থান বাতিল হয়ে যাওয়ার ধরণ<br /><br />এক অবস্থানগত বাসস্থান অপর অবস্থানগত বাসস্থানকে বাতিল    করে  দেয়  অর্থাৎ  কোন   এক   স্থানে     ১৫  দিন থাকার     উদ্দেশ্যে     অবস্থান    করলো    অতঃপর     অপর  জায়গায় সে ততদিন থাকার উদ্দেশ্যে অবস্থান করলো। তাহলে প্রথম স্থানটি আর বাসস্থান রইলো না। উভয়ের মাঝখানে     সফরের     দূরত্ব      থাকুক     বা     না      থাকুক। অনুরূপভাবে   অবস্থানগত      বাসস্থান,    স্থায়ী   বাসস্থানও সফর দ্বারাও বাতিল হয়ে যায়।  (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১৪৫ পৃষ্ঠা)<br />♣সফরের দু’টি রাস্তা ♣<br />কোন    জায়গায়   যাওয়ার    দু’টি   রাস্তা    আছে,   তন্মধ্যে  একটি   রাস্তা সফরের  দূরত্বের সমপরিমাণ অপরটি তা  থেকে কম।  এমতাবস্থায় সে  যে রাস্তা   দিয়ে যাবে তাই ধরা  হবে।  নিকটবর্তী  রাস্তা  দিয়ে  গেলে মুসাফির হবে  না আর দূরবর্তী রাস্তা দিয়ে গেলে মুসাফির হবে। যদিও রাস্তা  নির্বাচন  করার ক্ষেত্রে  তার কোন  সঠিক, উদ্দেশ্য থাকে।   (আলমগিরী,    ১ম   খন্ড,   ১৩৮    পৃষ্ঠা।   দুররে    মুখতার  সম্বলিত রদ্দুল মুহতার, ২য় খন্ড,  ৬০৩   পৃষ্ঠা)<br />♦মুসাফির কতক্ষণ পর্যন্ত মুসাফির থাকবে? ♦<br />মুসাফির   ততক্ষণ পর্যন্ত মুসাফির থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত সে  আপন  এলাকায়   পৌঁছে   না  যায়   কিংবা  সফরকৃত স্থানে  পূর্ণ পনের দিন অবস্থানের নিয়্যত না করে। আর এটা তখন প্রযোজ্য হবে যখন সে পূর্ণ তিন দিনের রাস্তা (অর্থাৎ-প্রায়  ৯২   কিলোমিটার)  অতিক্রম করে থাকে।  আর     তিন    মানযিল   তথা    ৯২    কিলোমিটার   পৌঁছার  পূর্বেই   যদি  সে  ফিরে  আসার  ইচ্ছা  করে,  তাহলে   সে মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে না যদিও সে জঙ্গলে থাকুক না কেন। (দুররে    মুখতার   সম্বলিত রদ্দুল মুহতার, ২য়  খন্ড, ৬০৪ পৃষ্ঠা)<br />♠অবৈধ উদ্দেশ্যে সফর করলে তখন? ♠<br />জায়িয কাজের জন্য সফর করে থাকুক কিংবা নাজায়িয কাজের   জন্য।    সর্বাবস্থায়   মুসাফিরের   আহকাম    তার উপর   প্রযোজ্য   হবে।    (আলমগিরী,   ১ম    খন্ড,   ১৩৯  পৃষ্ঠা)<br />♥মালিক ও চাকরের এক সাথে সফর ♥<br />মাসিক  বা বাৎসরিক   (বেতনে) নিয়োজিত  চাকর যদি  তার মালিকের   সাথে  সফর করে, তবে   সে  মালিকের  অনুসরণ     করবে।      পিতার      অনুগত     সন্তান      পিতার  অনুসরণ করবে এবং যে ছাত্র তার উস্তাদের কাছ থেকে খাবার পায় সে   ওস্তাদের  অনুসরণ  করবে। অর্থাৎ- যে নিয়্যত    মাতবু     তথা    অনুসরণীয়    ব্যক্তি     করবে,    সে নিয়্যতই  তার  তথা  অনুসারী    ব্যক্তির  নিয়্যত   হিসাবে  গন্য     হবে।     আর       অনুসারী     ব্যক্তির      কর্তব্য     হবে, অনুসরণীয়     ব্যক্তিকে     জিজ্ঞাসা       করে     তার     নিয়্যত সম্পর্কে  অবগত   হওয়া,  সে   যাই  বলবে   সে   অনুযায়ী তাকে আমল করতে হবে। আর যদি সে কোন উত্তর না দেয়, তাহলে  (অনুসরণীয় ব্যক্তি) মুকিম    না মুসাফির। সে যদি মুকীম   হয়, তবে নিজেকে মুকীম  মনে করবে, আর   মুসাফির  হলে    নিজেকে  মুসাফির   মনে  করবে।   আর    এটাও    জানা   না   গেলে    তবে   তিনদিনের   রাস্তা (অর্থাৎ-প্রায় ৯২  কিলোমিটার) সফর করার   পর কসর করবে এর  পূর্বে    পরিপূর্ণ   নামায  আদায় করবে। আর যদি  জিজ্ঞাসা করে  অনুসরণীয় ব্যক্তির নিয়্যত সম্পর্কে অবগত না  হয়,  তাহলে জিজ্ঞাসা    করার পর  উত্তর   না পাওয়া    অবস্থায়   যে   হুকুম    সে   হুকুমই   হবে।   (রদ্দুল  মুহতার হতে সংগৃহিত, ২য় খন্ড, ৬১৬, ৬১৭ পৃষ্ঠা)<br />♣কাজ সমাপ্ত হয়ে গেলে চলে যাবো! ♣<br />মুসাফির  কোন  কাজের  জন্য   বা   কোন  বন্ধু    বান্ধবের অপেক্ষায় দু’চার দিন কিংবা তের চৌদ্দ দিনের নিয়্যতে কোন স্থানে অবস্থান  করলো অথবা  এটা  ইচ্ছা  করলো  যে, কাজ  হয়ে গেলে  চলে যাবো,  উভয়  অবস্থায়   যদি   আজ চলে যাবো, কাল চলে যাব করতে করতে বছরের পর    বছর  উক্ত   স্থানে   কাটিয়ে   ফেলে  তবুও  মুসাফির  থাকবে এবং কসর নামায আদায় করবে। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১৩৯ পৃষ্ঠা)</div>

মুসাফিরের নামাজ(পুরুষ)

আল্লাহ তাআলা সূরা নিসার  ১০১   নং আয়াতে ইরশাদ করেন: وَ اِذَا ضَرَبۡتُمۡ فِی الۡاَرۡضِ فَلَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَقۡصُرُوۡا مِنَ الصّ...

Read more »

মুসাফিরের নামাজ(পুরুষ)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> আল্লাহ তাআলা সূরা নিসার  ১০১   নং আয়াতে ইরশাদ করেন:<br /> وَ اِذَا ضَرَبۡتُمۡ فِی الۡاَرۡضِ فَلَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَقۡصُرُوۡا مِنَ الصَّلٰوۃِ ٭ۖ اِنۡ خِفۡتُمۡ اَنۡ یَّفۡتِنَکُمُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ اِنَّ الۡکٰفِرِیۡنَ کَانُوۡا لَکُمۡ عَدُوًّا مُّبِیۡنًا ﴿۱۰۱﴾<br /> কানযুল   ঈমান   থেকে   অনুবাদ:    এবং   যখন     তোমরা যমীনে   সফর করো তখন  তোমাদের এতে গুনাহ  নেই যে,    কোন    কোন    নামায    ‘কসর’    করে    পড়বে;যদি  তোমাদের   আশংকা   হয়    যে,  কাফিররা  তোমাদেরকে কষ্ট দেবে। নিশ্চয় কাফিরগণ তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (পারা-৫, সূরা-নিসা, আয়াত- ১০১)<br /> <br /> সদরুল   আফাযিল   হযরত   আল্লামা   মাওলানা   সায়্যিদ  মুহাম্মদ   নঈমুদ্দীন   মুরাদাবাদী   رَحْمَۃُ   اللّٰہِ   تَعَالٰی  عَلَیْہِ বলেন: কাফিরদের ভয় কসরের জন্য শর্ত  নয়,  হযরত সায়্যিদুনা    ইয়ালা   ইবনে     উমাইয়া   হযরত   সায়্যিদুনা ওমর   ফারুকে   আযম   رَضِیَ   اللّٰہُ   تَعَالٰی   عَنْہُএর   নিকট  আরয করলেন: “আমরাতো নিরাপত্তার   মধ্যে   রয়েছি,  তারপরেও কেন আমরা কসর করবো?”বললেন: “এতে আমারও   আশ্চর্যবোধ   হয়েছিল    তখন    আমি   রহমতে  আলম, নূরে মুজাস্সাম, হুযুর  صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم    এর   নিকট   বিষয়টি   জিজ্ঞাসা   করলাম।   হুযুরে  আকরাম,  নূরে  মুজাস্সাম,  শাহে  বনী  আদম,  রাসূলে  মুহতাশাম      صَلَّی   اللّٰہُ   تَعَالٰی   عَلَیْہِ   وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم   ইরশাদ  করলেন:   “তোমাদের  জন্য  এটা  (কসর   করা)  আল্লাহ্ তাআলার    পক্ষ   থেকে    সদকা    স্বরূপ,    তোমরা   তাঁর   সদকা  কবুল   করে  নাও।”  (সহীহ  মুসলিম,   ১ম  খন্ড, ২৩১ পৃষ্ঠা)<br /> উম্মল  মু’মিনীন  হযরত  সায়্যিদাতুনা   আয়িশা   সিদ্দীকা رَضِیَ اللہُ  تَعَالٰی  عَنۡہَا বর্ণনা    করেন, নামায দুই রাকাত  ফরয করা হয়েছিল অতঃপর নবী করীম, রউফুর রহীম صَلَّی  اللّٰہُ  تَعَالٰی   عَلَیْہِ   وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم  যখন  মদীনায়  হিযরত করলেন     তখন    চার  রাকাত  ফরয  করা  হয়েছে  এবং  সফরের   নামায   আগের   ফরযের  উপরই   বহাল  রাখা  হলো। (সহীহ বুখারী, ১ম খন্ড, ৫৬০ পৃষ্ঠা)<br /> হযরত সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে ওমরرَضِیَ  اللہُ  تَعَالٰی عَنۡہُمَا       থেকে        বর্ণিত,       রাসূলে        আকরাম,         নূরে মুজাস্সামصَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সফরের নামায দুই রাকাত নির্ধারণ করেছেন এবং এটা  পরিপূর্ণ, স্বল্প নয়। অর্থাৎ যদিও   বাহ্যিকভাবে  দুই রাকাত  কম  হয়ে গেলো      কিন্তু      সাওয়াবের     ক্ষেত্রে     দুই     রাকাত     চার রাকাতের সমান। (সুনানে ইবনে মাজাহ্, ২য় খন্ড, ৫৯ পৃষ্ঠা, হাদীস-১১৯৪)<br /> <br /> ♦শরীয়াতের দৃষ্টিতে সফরের দূরত্ব ♦<br /> যে  ব্যক্তি   সাড়ে  ৫৭  মাইল  (প্রায়    ৯২  কিলোমিটার) দূরত্বে   যাওয়ার   ইচ্ছায়   আপন   স্থায়ী   বাসস্থান   যেমন  শহর   বা      গ্রাম    থেকে   রাওয়ানা   হয়ে    পড়ে,   তাকে  শরীয়াতের         দৃষ্টিতে        মুসাফির       বলা       হয়।       (সার সংক্ষেপ-ফতোওয়ায়ে  রযবীয়া,   ৮ম খন্ড, ২৭০  পৃষ্ঠা)<br /> ♠মুসাফির কখন হবে? ♠<br /> শুধু  সফরের  নিয়্যত  করলেই  মুসাফির  হবে  না।  বরং  মুসাফিরের   হুকুম  তখন  থেকেই  প্রযোজ্য   হবে,   যখন আপন    বাসস্থানের  জনবসতি এলাকা থেকে  বের  হয়ে পড়বে। শহরে থাকলে শহরের জনবসতি এলাকা আর গ্রামে    থাকলে    গ্রামের    জনবসতি    এলাকা    অতিক্রম  করতে হবে।   শহরবাসীদের জন্য এটাও আবশ্যক যে, শহরের  আশে   পাশের  যেসব   বসতি   এলাকা  শহরের সাথে   সংযুক্ত   তাও      অতিক্রম     করতে   হবে।   (দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার, ২য় খন্ড, ৫৯৯ পৃষ্ঠা)<br /> ♣জনবসতি এলাকা শেষ হওয়ার মর্মার্থ ♣<br /> জনবসতি      এলাকা      অতিক্রম     করার      মর্মার্থ     হলো, যেদিকে যাচ্ছে  সেদিকের  জনবসতি  এলাকা শেষ হয়ে যাওয়া,    যদিও      এর     সোজাসুজি      অপরাপর    প্রান্তের জনবসতি এলাকা  শেষ  না হয়। (গুনিয়াতুল   মুস্তামলা,  ৫৩৬ পৃষ্ঠা)<br /> ♥শহরতলীর এলাকা ♥<br /> শহরতলী   সংলগ্ন  যে    গ্রামগুলো  আছে,  শহরবাসীদের জন্য ঐ গ্রামগুলো অতিক্রম করে যাওয়া আবশ্যক নয়। অনুরূপ শহর সংলগ্ন বাগান থাকলে যদিও বাগানে এর পরিচর্যাকারী এবং  রক্ষণাবেক্ষণ   কারীরা বসবাস  করে থাকে,   তা    সত্ত্বেও    শহরবাসীদের   জন্য     উক্ত   বাগান অতিক্রম  করে   যাওয়া আবশ্যক নয়।  (রদ্দুল  মুখতার, ২য় খন্ড, ৫৯৯ পৃষ্ঠা)<br /> শহরতলীর বাহিরে যে স্থান শহরের  কাজে ব্যবহৃত হয় যেমন      কবরস্থান,     ঘোড়াদৌড়ের     মাঠ,        আবর্জনা ফেলার   স্থান,    যদি   তা   শহর    সংলগ্ন   হয়   তাহলে   তা অতিক্রম করে যাওয়া আবশ্যক। আর যদি তা শহর ও শহরতলী  থেকে দূরে  অবস্থিত   হয়, তবে তা  অতিক্রম করে যাওয়া আবশ্যক নয়। (প্রাগুক্ত, ৬০০ পৃষ্ঠা)<br /> ♠মুসাফির হওয়ার জন্য শর্ত ♠<br /> সফরের জন্য এটাও আবশ্যক, যে স্থান হতে  যাত্রা শুরু করলো সেখান থেকে তিনদিনের রাস্তা (অর্থাৎ-প্রায় ৯২ কিলোমিটার) সফরের উদ্দেশ্য থাকতে হবে। আর যদি দুই দিনের রাস্তা  (৯২ কিলোমিটার হতে  কম) সফরের উদ্দেশ্যে    বের   হয়,     অতঃপর     সেখানে   পৌঁছে    অন্য স্থানের    উদ্দেশ্যে    রাওয়ানা    হয়ে    পড়ে,    তাও    তিন  দিনের   রাস্তা   (তথা  ৯২ কিলোমিটার এর)  চেয়ে  কম। এভাবে সারা দুনিয়া ভ্রমণ করে  আসলেও সে মুসাফির হবে না। (গুনিয়া, দুররে মুখতার, ২য় খন্ড, ২০৯ পৃষ্ঠা)<br /> এটাও    শর্ত  যে,   একাধারে  তিনদিনের   রাস্তা  সফরের উদ্দেশ্যে বের হতে হবে। যদি এভাবে ইচ্ছা করে যেমন দুই   দিনের  রাস্তায়  পৌঁছে   কিছু  কাজ   করব,  তা  শেষ করেই   পুনরায়    একদিনের    রাস্তা   সফর   করব।    এটা একাধারে তিনদিনের রাস্তা সফরের উদ্দেশ্য না হওয়ায় সে   মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে  না।  (বাহারে শরীয়াত, ৪র্থ অংশ, ৭৭ পৃষ্ঠা)<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhbeonhyY9bISwqmGfa0UaEW6yt6KGJM3Ew0n2P5NwZfhmaQFtRF5j8aTD5tqYd9OMI40_AN-OZZeYndyQCQwcthbliPBPb3_-lApAuDbunWrDGT7wQuZyp1bBLMtbCWz5y7GBEqj24vFvS/s1600/1513004120774407199713-01.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="313" data-original-width="470" height="213" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhbeonhyY9bISwqmGfa0UaEW6yt6KGJM3Ew0n2P5NwZfhmaQFtRF5j8aTD5tqYd9OMI40_AN-OZZeYndyQCQwcthbliPBPb3_-lApAuDbunWrDGT7wQuZyp1bBLMtbCWz5y7GBEqj24vFvS/s320-rw/1513004120774407199713-01.jpeg" width="320" /></a></div> <br /> ♦বাসস্থানের প্রকারভেদ ♦<br /> বাসস্থান দুই   প্রকার  (১) স্থায়ী বাসস্থান: অর্থাৎ ঐ স্থান  যেখানে    সে    জন্মগ্রহণ    করেছে    বা    তার    পরিবারের  লোকজন সেখানে বাস করে কিংবা সেখানে তারা স্থায়ী হয়ে  গেলো    এবং   সেখান  থেকে  স্থানান্তর  করার  ইচ্ছা পোষণ  না  করে। (২)  অবস্থানগত  বাসস্থান: অর্থাৎ   ঐ স্থান  যেখানে  মুসাফির  পনের  কিংবা  তার  চেয়ে  বেশি  দিন  অবস্থানের  ইচ্ছা  পোষণ  করে।  (আলমগিরী,  ১ম  খন্ড, ১৪৫ পৃষ্ঠা)<br /> ♠অবস্থানগত বাসস্থান বাতিল হয়ে যাওয়ার ধরণ<br /> <br /> এক অবস্থানগত বাসস্থান অপর অবস্থানগত বাসস্থানকে বাতিল    করে  দেয়  অর্থাৎ  কোন   এক   স্থানে     ১৫  দিন থাকার     উদ্দেশ্যে     অবস্থান    করলো    অতঃপর     অপর  জায়গায় সে ততদিন থাকার উদ্দেশ্যে অবস্থান করলো। তাহলে প্রথম স্থানটি আর বাসস্থান রইলো না। উভয়ের মাঝখানে     সফরের     দূরত্ব      থাকুক     বা     না      থাকুক। অনুরূপভাবে   অবস্থানগত      বাসস্থান,    স্থায়ী   বাসস্থানও সফর দ্বারাও বাতিল হয়ে যায়।  (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১৪৫ পৃষ্ঠা)<br /> ♣সফরের দু’টি রাস্তা ♣<br /> কোন    জায়গায়   যাওয়ার    দু’টি   রাস্তা    আছে,   তন্মধ্যে  একটি   রাস্তা সফরের  দূরত্বের সমপরিমাণ অপরটি তা  থেকে কম।  এমতাবস্থায় সে  যে রাস্তা   দিয়ে যাবে তাই ধরা  হবে।  নিকটবর্তী  রাস্তা  দিয়ে  গেলে মুসাফির হবে  না আর দূরবর্তী রাস্তা দিয়ে গেলে মুসাফির হবে। যদিও রাস্তা  নির্বাচন  করার ক্ষেত্রে  তার কোন  সঠিক, উদ্দেশ্য থাকে।   (আলমগিরী,    ১ম   খন্ড,   ১৩৮    পৃষ্ঠা।   দুররে    মুখতার  সম্বলিত রদ্দুল মুহতার, ২য় খন্ড,  ৬০৩   পৃষ্ঠা)<br /> ♦মুসাফির কতক্ষণ পর্যন্ত মুসাফির থাকবে? ♦<br /> মুসাফির   ততক্ষণ পর্যন্ত মুসাফির থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত সে  আপন  এলাকায়   পৌঁছে   না  যায়   কিংবা  সফরকৃত স্থানে  পূর্ণ পনের দিন অবস্থানের নিয়্যত না করে। আর এটা তখন প্রযোজ্য হবে যখন সে পূর্ণ তিন দিনের রাস্তা (অর্থাৎ-প্রায়  ৯২   কিলোমিটার)  অতিক্রম করে থাকে।  আর     তিন    মানযিল   তথা    ৯২    কিলোমিটার   পৌঁছার  পূর্বেই   যদি  সে  ফিরে  আসার  ইচ্ছা  করে,  তাহলে   সে মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে না যদিও সে জঙ্গলে থাকুক না কেন। (দুররে    মুখতার   সম্বলিত রদ্দুল মুহতার, ২য়  খন্ড, ৬০৪ পৃষ্ঠা)<br /> ♠অবৈধ উদ্দেশ্যে সফর করলে তখন? ♠<br /> জায়িয কাজের জন্য সফর করে থাকুক কিংবা নাজায়িয কাজের   জন্য।    সর্বাবস্থায়   মুসাফিরের   আহকাম    তার উপর   প্রযোজ্য   হবে।    (আলমগিরী,   ১ম    খন্ড,   ১৩৯  পৃষ্ঠা)<br /> ♥মালিক ও চাকরের এক সাথে সফর ♥<br /> মাসিক  বা বাৎসরিক   (বেতনে) নিয়োজিত  চাকর যদি  তার মালিকের   সাথে  সফর করে, তবে   সে  মালিকের  অনুসরণ     করবে।      পিতার      অনুগত     সন্তান      পিতার  অনুসরণ করবে এবং যে ছাত্র তার উস্তাদের কাছ থেকে খাবার পায় সে   ওস্তাদের  অনুসরণ  করবে। অর্থাৎ- যে নিয়্যত    মাতবু     তথা    অনুসরণীয়    ব্যক্তি     করবে,    সে নিয়্যতই  তার  তথা  অনুসারী    ব্যক্তির  নিয়্যত   হিসাবে  গন্য     হবে।     আর       অনুসারী     ব্যক্তির      কর্তব্য     হবে, অনুসরণীয়     ব্যক্তিকে     জিজ্ঞাসা       করে     তার     নিয়্যত সম্পর্কে  অবগত   হওয়া,  সে   যাই  বলবে   সে   অনুযায়ী তাকে আমল করতে হবে। আর যদি সে কোন উত্তর না দেয়, তাহলে  (অনুসরণীয় ব্যক্তি) মুকিম    না মুসাফির। সে যদি মুকীম   হয়, তবে নিজেকে মুকীম  মনে করবে, আর   মুসাফির  হলে    নিজেকে  মুসাফির   মনে  করবে।   আর    এটাও    জানা   না   গেলে    তবে   তিনদিনের   রাস্তা (অর্থাৎ-প্রায় ৯২  কিলোমিটার) সফর করার   পর কসর করবে এর  পূর্বে    পরিপূর্ণ   নামায  আদায় করবে। আর যদি  জিজ্ঞাসা করে  অনুসরণীয় ব্যক্তির নিয়্যত সম্পর্কে অবগত না  হয়,  তাহলে জিজ্ঞাসা    করার পর  উত্তর   না পাওয়া    অবস্থায়   যে   হুকুম    সে   হুকুমই   হবে।   (রদ্দুল  মুহতার হতে সংগৃহিত, ২য় খন্ড, ৬১৬, ৬১৭ পৃষ্ঠা)<br /> ♣কাজ সমাপ্ত হয়ে গেলে চলে যাবো! ♣<br /> মুসাফির  কোন  কাজের  জন্য   বা   কোন  বন্ধু    বান্ধবের অপেক্ষায় দু’চার দিন কিংবা তের চৌদ্দ দিনের নিয়্যতে কোন স্থানে অবস্থান  করলো অথবা  এটা  ইচ্ছা  করলো  যে, কাজ  হয়ে গেলে  চলে যাবো,  উভয়  অবস্থায়   যদি   আজ চলে যাবো, কাল চলে যাব করতে করতে বছরের পর    বছর  উক্ত   স্থানে   কাটিয়ে   ফেলে  তবুও  মুসাফির  থাকবে এবং কসর নামায আদায় করবে। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১৩৯ পৃষ্ঠা)</div>

মুসাফিরের নামাজ(পুরুষ)

আল্লাহ তাআলা সূরা নিসার  ১০১   নং আয়াতে ইরশাদ করেন: وَ اِذَا ضَرَبۡتُمۡ فِی الۡاَرۡضِ فَلَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَقۡصُرُوۡا مِنَ ال...

Read more »

মুসাফিরের নামাজ(পুরুষ)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />আল্লাহ তাআলা সূরা নিসার  ১০১   নং আয়াতে ইরশাদ করেন:<br /><br />وَ اِذَا ضَرَبۡتُمۡ فِی الۡاَرۡضِ فَلَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَقۡصُرُوۡا مِنَ الصَّلٰوۃِ ٭ۖ اِنۡ خِفۡتُمۡ اَنۡ یَّفۡتِنَکُمُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ اِنَّ الۡکٰفِرِیۡنَ کَانُوۡا لَکُمۡ عَدُوًّا مُّبِیۡنًا ﴿۱۰۱﴾<br /><br />কানযুল   ঈমান   থেকে   অনুবাদ:    এবং   যখন     তোমরা যমীনে   সফর করো তখন  তোমাদের এতে গুনাহ  নেই যে,    কোন    কোন    নামায    ‘কসর’    করে    পড়বে;যদি  তোমাদের   আশংকা   হয়    যে,  কাফিররা  তোমাদেরকে কষ্ট দেবে। নিশ্চয় কাফিরগণ তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (পারা-৫, সূরা-নিসা, আয়াত- ১০১)<br /><br /><br /><br />সদরুল   আফাযিল   হযরত   আল্লামা   মাওলানা   সায়্যিদ  মুহাম্মদ   নঈমুদ্দীন   মুরাদাবাদী   رَحْمَۃُ   اللّٰہِ   تَعَالٰی  عَلَیْہِ বলেন: কাফিরদের ভয় কসরের জন্য শর্ত  নয়,  হযরত সায়্যিদুনা    ইয়ালা   ইবনে     উমাইয়া   হযরত   সায়্যিদুনা ওমর   ফারুকে   আযম   رَضِیَ   اللّٰہُ   تَعَالٰی   عَنْہُএর   নিকট  আরয করলেন: “আমরাতো নিরাপত্তার   মধ্যে   রয়েছি,  তারপরেও কেন আমরা কসর করবো?”বললেন: “এতে আমারও   আশ্চর্যবোধ   হয়েছিল    তখন    আমি   রহমতে  আলম, নূরে মুজাস্সাম, হুযুর  صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم    এর   নিকট   বিষয়টি   জিজ্ঞাসা   করলাম।   হুযুরে  আকরাম,  নূরে  মুজাস্সাম,  শাহে  বনী  আদম,  রাসূলে  মুহতাশাম      صَلَّی   اللّٰہُ   تَعَالٰی   عَلَیْہِ   وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم   ইরশাদ  করলেন:   “তোমাদের  জন্য  এটা  (কসর   করা)  আল্লাহ্ তাআলার    পক্ষ   থেকে    সদকা    স্বরূপ,    তোমরা   তাঁর   সদকা  কবুল   করে  নাও।”  (সহীহ  মুসলিম,   ১ম  খন্ড, ২৩১ পৃষ্ঠা)<br /><br />উম্মল  মু’মিনীন  হযরত  সায়্যিদাতুনা   আয়িশা   সিদ্দীকা رَضِیَ اللہُ  تَعَالٰی  عَنۡہَا বর্ণনা    করেন, নামায দুই রাকাত  ফরয করা হয়েছিল অতঃপর নবী করীম, রউফুর রহীম صَلَّی  اللّٰہُ  تَعَالٰی   عَلَیْہِ   وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم  যখন  মদীনায়  হিযরত করলেন     তখন    চার  রাকাত  ফরয  করা  হয়েছে  এবং  সফরের   নামায   আগের   ফরযের  উপরই   বহাল  রাখা  হলো। (সহীহ বুখারী, ১ম খন্ড, ৫৬০ পৃষ্ঠা)<br /><br />হযরত সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে ওমরرَضِیَ  اللہُ  تَعَالٰی عَنۡہُمَا       থেকে        বর্ণিত,       রাসূলে        আকরাম,         নূরে মুজাস্সামصَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সফরের নামায দুই রাকাত নির্ধারণ করেছেন এবং এটা  পরিপূর্ণ, স্বল্প নয়। অর্থাৎ যদিও   বাহ্যিকভাবে  দুই রাকাত  কম  হয়ে গেলো      কিন্তু      সাওয়াবের     ক্ষেত্রে     দুই     রাকাত     চার রাকাতের সমান। (সুনানে ইবনে মাজাহ্, ২য় খন্ড, ৫৯ পৃষ্ঠা, হাদীস-১১৯৪)<br /><br /><br /><br />♦শরীয়াতের দৃষ্টিতে সফরের দূরত্ব ♦<br /><br />যে  ব্যক্তি   সাড়ে  ৫৭  মাইল  (প্রায়    ৯২  কিলোমিটার) দূরত্বে   যাওয়ার   ইচ্ছায়   আপন   স্থায়ী   বাসস্থান   যেমন  শহর   বা      গ্রাম    থেকে   রাওয়ানা   হয়ে    পড়ে,   তাকে  শরীয়াতের         দৃষ্টিতে        মুসাফির       বলা       হয়।       (সার সংক্ষেপ-ফতোওয়ায়ে  রযবীয়া,   ৮ম খন্ড, ২৭০  পৃষ্ঠা)<br /><br />♠মুসাফির কখন হবে? ♠<br /><br />শুধু  সফরের  নিয়্যত  করলেই  মুসাফির  হবে  না।  বরং  মুসাফিরের   হুকুম  তখন  থেকেই  প্রযোজ্য   হবে,   যখন আপন    বাসস্থানের  জনবসতি এলাকা থেকে  বের  হয়ে পড়বে। শহরে থাকলে শহরের জনবসতি এলাকা আর গ্রামে    থাকলে    গ্রামের    জনবসতি    এলাকা    অতিক্রম  করতে হবে।   শহরবাসীদের জন্য এটাও আবশ্যক যে, শহরের  আশে   পাশের  যেসব   বসতি   এলাকা  শহরের সাথে   সংযুক্ত   তাও      অতিক্রম     করতে   হবে।   (দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার, ২য় খন্ড, ৫৯৯ পৃষ্ঠা)<br /><br />♣জনবসতি এলাকা শেষ হওয়ার মর্মার্থ ♣<br /><br />জনবসতি      এলাকা      অতিক্রম     করার      মর্মার্থ     হলো, যেদিকে যাচ্ছে  সেদিকের  জনবসতি  এলাকা শেষ হয়ে যাওয়া,    যদিও      এর     সোজাসুজি      অপরাপর    প্রান্তের জনবসতি এলাকা  শেষ  না হয়। (গুনিয়াতুল   মুস্তামলা,  ৫৩৬ পৃষ্ঠা)<br /><br />♥শহরতলীর এলাকা ♥<br /><br />শহরতলী   সংলগ্ন  যে    গ্রামগুলো  আছে,  শহরবাসীদের জন্য ঐ গ্রামগুলো অতিক্রম করে যাওয়া আবশ্যক নয়। অনুরূপ শহর সংলগ্ন বাগান থাকলে যদিও বাগানে এর পরিচর্যাকারী এবং  রক্ষণাবেক্ষণ   কারীরা বসবাস  করে থাকে,   তা    সত্ত্বেও    শহরবাসীদের   জন্য     উক্ত   বাগান অতিক্রম  করে   যাওয়া আবশ্যক নয়।  (রদ্দুল  মুখতার, ২য় খন্ড, ৫৯৯ পৃষ্ঠা)<br /><br />শহরতলীর বাহিরে যে স্থান শহরের  কাজে ব্যবহৃত হয় যেমন      কবরস্থান,     ঘোড়াদৌড়ের     মাঠ,        আবর্জনা ফেলার   স্থান,    যদি   তা   শহর    সংলগ্ন   হয়   তাহলে   তা অতিক্রম করে যাওয়া আবশ্যক। আর যদি তা শহর ও শহরতলী  থেকে দূরে  অবস্থিত   হয়, তবে তা  অতিক্রম করে যাওয়া আবশ্যক নয়। (প্রাগুক্ত, ৬০০ পৃষ্ঠা)<br /><br />♠মুসাফির হওয়ার জন্য শর্ত ♠<br /><br />সফরের জন্য এটাও আবশ্যক, যে স্থান হতে  যাত্রা শুরু করলো সেখান থেকে তিনদিনের রাস্তা (অর্থাৎ-প্রায় ৯২ কিলোমিটার) সফরের উদ্দেশ্য থাকতে হবে। আর যদি দুই দিনের রাস্তা  (৯২ কিলোমিটার হতে  কম) সফরের উদ্দেশ্যে    বের   হয়,     অতঃপর     সেখানে   পৌঁছে    অন্য স্থানের    উদ্দেশ্যে    রাওয়ানা    হয়ে    পড়ে,    তাও    তিন  দিনের   রাস্তা   (তথা  ৯২ কিলোমিটার এর)  চেয়ে  কম। এভাবে সারা দুনিয়া ভ্রমণ করে  আসলেও সে মুসাফির হবে না। (গুনিয়া, দুররে মুখতার, ২য় খন্ড, ২০৯ পৃষ্ঠা)<br /><br />এটাও    শর্ত  যে,   একাধারে  তিনদিনের   রাস্তা  সফরের উদ্দেশ্যে বের হতে হবে। যদি এভাবে ইচ্ছা করে যেমন দুই   দিনের  রাস্তায়  পৌঁছে   কিছু  কাজ   করব,  তা  শেষ করেই   পুনরায়    একদিনের    রাস্তা   সফর   করব।    এটা একাধারে তিনদিনের রাস্তা সফরের উদ্দেশ্য না হওয়ায় সে   মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে  না।  (বাহারে শরীয়াত, ৪র্থ অংশ, ৭৭ পৃষ্ঠা)<br /><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEggNoELHzChkqyR6Hg-n6yVfqZtlQi78Pl5Mk3vyGkH3ZHueXB6FvI0EBXq6P8CSdTDyjs-hfpmkLX-3yYm3i90vvI69wPCe7RZQ2WUAApUM4YLaTIAzuUdHaHeHnq6DE1nSG2pWogd0H7-/s1600/1513004120774407199713-01.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="313" data-original-width="470" height="213" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEggNoELHzChkqyR6Hg-n6yVfqZtlQi78Pl5Mk3vyGkH3ZHueXB6FvI0EBXq6P8CSdTDyjs-hfpmkLX-3yYm3i90vvI69wPCe7RZQ2WUAApUM4YLaTIAzuUdHaHeHnq6DE1nSG2pWogd0H7-/s320-rw/1513004120774407199713-01.jpeg" width="320" /></a></div><br /><br /><br />♦বাসস্থানের প্রকারভেদ ♦<br /><br />বাসস্থান দুই   প্রকার  (১) স্থায়ী বাসস্থান: অর্থাৎ ঐ স্থান  যেখানে    সে    জন্মগ্রহণ    করেছে    বা    তার    পরিবারের  লোকজন সেখানে বাস করে কিংবা সেখানে তারা স্থায়ী হয়ে  গেলো    এবং   সেখান  থেকে  স্থানান্তর  করার  ইচ্ছা পোষণ  না  করে। (২)  অবস্থানগত  বাসস্থান: অর্থাৎ   ঐ স্থান  যেখানে  মুসাফির  পনের  কিংবা  তার  চেয়ে  বেশি  দিন  অবস্থানের  ইচ্ছা  পোষণ  করে।  (আলমগিরী,  ১ম  খন্ড, ১৪৫ পৃষ্ঠা)<br /><br />♠অবস্থানগত বাসস্থান বাতিল হয়ে যাওয়ার ধরণ<br /><br /><br /><br />এক অবস্থানগত বাসস্থান অপর অবস্থানগত বাসস্থানকে বাতিল    করে  দেয়  অর্থাৎ  কোন   এক   স্থানে     ১৫  দিন থাকার     উদ্দেশ্যে     অবস্থান    করলো    অতঃপর     অপর  জায়গায় সে ততদিন থাকার উদ্দেশ্যে অবস্থান করলো। তাহলে প্রথম স্থানটি আর বাসস্থান রইলো না। উভয়ের মাঝখানে     সফরের     দূরত্ব      থাকুক     বা     না      থাকুক। অনুরূপভাবে   অবস্থানগত      বাসস্থান,    স্থায়ী   বাসস্থানও সফর দ্বারাও বাতিল হয়ে যায়।  (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১৪৫ পৃষ্ঠা)<br /><br />♣সফরের দু’টি রাস্তা ♣<br /><br />কোন    জায়গায়   যাওয়ার    দু’টি   রাস্তা    আছে,   তন্মধ্যে  একটি   রাস্তা সফরের  দূরত্বের সমপরিমাণ অপরটি তা  থেকে কম।  এমতাবস্থায় সে  যে রাস্তা   দিয়ে যাবে তাই ধরা  হবে।  নিকটবর্তী  রাস্তা  দিয়ে  গেলে মুসাফির হবে  না আর দূরবর্তী রাস্তা দিয়ে গেলে মুসাফির হবে। যদিও রাস্তা  নির্বাচন  করার ক্ষেত্রে  তার কোন  সঠিক, উদ্দেশ্য থাকে।   (আলমগিরী,    ১ম   খন্ড,   ১৩৮    পৃষ্ঠা।   দুররে    মুখতার  সম্বলিত রদ্দুল মুহতার, ২য় খন্ড,  ৬০৩   পৃষ্ঠা)<br /><br />♦মুসাফির কতক্ষণ পর্যন্ত মুসাফির থাকবে? ♦<br /><br />মুসাফির   ততক্ষণ পর্যন্ত মুসাফির থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত সে  আপন  এলাকায়   পৌঁছে   না  যায়   কিংবা  সফরকৃত স্থানে  পূর্ণ পনের দিন অবস্থানের নিয়্যত না করে। আর এটা তখন প্রযোজ্য হবে যখন সে পূর্ণ তিন দিনের রাস্তা (অর্থাৎ-প্রায়  ৯২   কিলোমিটার)  অতিক্রম করে থাকে।  আর     তিন    মানযিল   তথা    ৯২    কিলোমিটার   পৌঁছার  পূর্বেই   যদি  সে  ফিরে  আসার  ইচ্ছা  করে,  তাহলে   সে মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে না যদিও সে জঙ্গলে থাকুক না কেন। (দুররে    মুখতার   সম্বলিত রদ্দুল মুহতার, ২য়  খন্ড, ৬০৪ পৃষ্ঠা)<br /><br />♠অবৈধ উদ্দেশ্যে সফর করলে তখন? ♠<br /><br />জায়িয কাজের জন্য সফর করে থাকুক কিংবা নাজায়িয কাজের   জন্য।    সর্বাবস্থায়   মুসাফিরের   আহকাম    তার উপর   প্রযোজ্য   হবে।    (আলমগিরী,   ১ম    খন্ড,   ১৩৯  পৃষ্ঠা)<br /><br />♥মালিক ও চাকরের এক সাথে সফর ♥<br /><br />মাসিক  বা বাৎসরিক   (বেতনে) নিয়োজিত  চাকর যদি  তার মালিকের   সাথে  সফর করে, তবে   সে  মালিকের  অনুসরণ     করবে।      পিতার      অনুগত     সন্তান      পিতার  অনুসরণ করবে এবং যে ছাত্র তার উস্তাদের কাছ থেকে খাবার পায় সে   ওস্তাদের  অনুসরণ  করবে। অর্থাৎ- যে নিয়্যত    মাতবু     তথা    অনুসরণীয়    ব্যক্তি     করবে,    সে নিয়্যতই  তার  তথা  অনুসারী    ব্যক্তির  নিয়্যত   হিসাবে  গন্য     হবে।     আর       অনুসারী     ব্যক্তির      কর্তব্য     হবে, অনুসরণীয়     ব্যক্তিকে     জিজ্ঞাসা       করে     তার     নিয়্যত সম্পর্কে  অবগত   হওয়া,  সে   যাই  বলবে   সে   অনুযায়ী তাকে আমল করতে হবে। আর যদি সে কোন উত্তর না দেয়, তাহলে  (অনুসরণীয় ব্যক্তি) মুকিম    না মুসাফির। সে যদি মুকীম   হয়, তবে নিজেকে মুকীম  মনে করবে, আর   মুসাফির  হলে    নিজেকে  মুসাফির   মনে  করবে।   আর    এটাও    জানা   না   গেলে    তবে   তিনদিনের   রাস্তা (অর্থাৎ-প্রায় ৯২  কিলোমিটার) সফর করার   পর কসর করবে এর  পূর্বে    পরিপূর্ণ   নামায  আদায় করবে। আর যদি  জিজ্ঞাসা করে  অনুসরণীয় ব্যক্তির নিয়্যত সম্পর্কে অবগত না  হয়,  তাহলে জিজ্ঞাসা    করার পর  উত্তর   না পাওয়া    অবস্থায়   যে   হুকুম    সে   হুকুমই   হবে।   (রদ্দুল  মুহতার হতে সংগৃহিত, ২য় খন্ড, ৬১৬, ৬১৭ পৃষ্ঠা)<br /><br />♣কাজ সমাপ্ত হয়ে গেলে চলে যাবো! ♣<br /><br />মুসাফির  কোন  কাজের  জন্য   বা   কোন  বন্ধু    বান্ধবের অপেক্ষায় দু’চার দিন কিংবা তের চৌদ্দ দিনের নিয়্যতে কোন স্থানে অবস্থান  করলো অথবা  এটা  ইচ্ছা  করলো  যে, কাজ  হয়ে গেলে  চলে যাবো,  উভয়  অবস্থায়   যদি   আজ চলে যাবো, কাল চলে যাব করতে করতে বছরের পর    বছর  উক্ত   স্থানে   কাটিয়ে   ফেলে  তবুও  মুসাফির  থাকবে এবং কসর নামায আদায় করবে। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১৩৯ পৃষ্ঠা)</div><br />

মুসাফিরের নামাজ(পুরুষ)

আল্লাহ তাআলা সূরা নিসার  ১০১   নং আয়াতে ইরশাদ করেন: وَ اِذَا ضَرَبۡتُمۡ فِی الۡاَرۡضِ فَلَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَقۡصُرُوۡا مِنَ الصّ...

Read more »

মুসাফিরের নামাজ(পুরুষ)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">আল্লাহ তাআলা সূরা নিসার  ১০১   নং আয়াতে ইরশাদ করেন:<br />وَ اِذَا ضَرَبۡتُمۡ فِی الۡاَرۡضِ فَلَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَقۡصُرُوۡا مِنَ الصَّلٰوۃِ ٭ۖ اِنۡ خِفۡتُمۡ اَنۡ یَّفۡتِنَکُمُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ اِنَّ الۡکٰفِرِیۡنَ کَانُوۡا لَکُمۡ عَدُوًّا مُّبِیۡنًا ﴿۱۰۱﴾<br />কানযুল   ঈমান   থেকে   অনুবাদ:    এবং   যখন     তোমরা যমীনে   সফর করো তখন  তোমাদের এতে গুনাহ  নেই যে,    কোন    কোন    নামায    ‘কসর’    করে    পড়বে;যদি  তোমাদের   আশংকা   হয়    যে,  কাফিররা  তোমাদেরকে কষ্ট দেবে। নিশ্চয় কাফিরগণ তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (পারা-৫, সূরা-নিসা, আয়াত- ১০১)<br /><br />সদরুল   আফাযিল   হযরত   আল্লামা   মাওলানা   সায়্যিদ  মুহাম্মদ   নঈমুদ্দীন   মুরাদাবাদী   رَحْمَۃُ   اللّٰہِ   تَعَالٰی  عَلَیْہِ বলেন: কাফিরদের ভয় কসরের জন্য শর্ত  নয়,  হযরত সায়্যিদুনা    ইয়ালা   ইবনে     উমাইয়া   হযরত   সায়্যিদুনা ওমর   ফারুকে   আযম   رَضِیَ   اللّٰہُ   تَعَالٰی   عَنْہُএর   নিকট  আরয করলেন: “আমরাতো নিরাপত্তার   মধ্যে   রয়েছি,  তারপরেও কেন আমরা কসর করবো?”বললেন: “এতে আমারও   আশ্চর্যবোধ   হয়েছিল    তখন    আমি   রহমতে  আলম, নূরে মুজাস্সাম, হুযুর  صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ  وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم    এর   নিকট   বিষয়টি   জিজ্ঞাসা   করলাম।   হুযুরে  আকরাম,  নূরে  মুজাস্সাম,  শাহে  বনী  আদম,  রাসূলে  মুহতাশাম      صَلَّی   اللّٰہُ   تَعَالٰی   عَلَیْہِ   وَاٰلِہٖ   وَسَلَّم   ইরশাদ  করলেন:   “তোমাদের  জন্য  এটা  (কসর   করা)  আল্লাহ্ তাআলার    পক্ষ   থেকে    সদকা    স্বরূপ,    তোমরা   তাঁর   সদকা  কবুল   করে  নাও।”  (সহীহ  মুসলিম,   ১ম  খন্ড, ২৩১ পৃষ্ঠা)<br />উম্মল  মু’মিনীন  হযরত  সায়্যিদাতুনা   আয়িশা   সিদ্দীকা رَضِیَ اللہُ  تَعَالٰی  عَنۡہَا বর্ণনা    করেন, নামায দুই রাকাত  ফরয করা হয়েছিল অতঃপর নবী করীম, রউফুর রহীম صَلَّی  اللّٰہُ  تَعَالٰی   عَلَیْہِ   وَاٰلِہٖ  وَسَلَّم  যখন  মদীনায়  হিযরত করলেন     তখন    চার  রাকাত  ফরয  করা  হয়েছে  এবং  সফরের   নামায   আগের   ফরযের  উপরই   বহাল  রাখা  হলো। (সহীহ বুখারী, ১ম খন্ড, ৫৬০ পৃষ্ঠা)<br />হযরত সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে ওমরرَضِیَ  اللہُ  تَعَالٰی عَنۡہُمَا       থেকে        বর্ণিত,       রাসূলে        আকরাম,         নূরে মুজাস্সামصَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সফরের নামায দুই রাকাত নির্ধারণ করেছেন এবং এটা  পরিপূর্ণ, স্বল্প নয়। অর্থাৎ যদিও   বাহ্যিকভাবে  দুই রাকাত  কম  হয়ে গেলো      কিন্তু      সাওয়াবের     ক্ষেত্রে     দুই     রাকাত     চার রাকাতের সমান। (সুনানে ইবনে মাজাহ্, ২য় খন্ড, ৫৯ পৃষ্ঠা, হাদীস-১১৯৪)<br /><br />♦শরীয়াতের দৃষ্টিতে সফরের দূরত্ব ♦<br />যে  ব্যক্তি   সাড়ে  ৫৭  মাইল  (প্রায়    ৯২  কিলোমিটার) দূরত্বে   যাওয়ার   ইচ্ছায়   আপন   স্থায়ী   বাসস্থান   যেমন  শহর   বা      গ্রাম    থেকে   রাওয়ানা   হয়ে    পড়ে,   তাকে  শরীয়াতের         দৃষ্টিতে        মুসাফির       বলা       হয়।       (সার সংক্ষেপ-ফতোওয়ায়ে  রযবীয়া,   ৮ম খন্ড, ২৭০  পৃষ্ঠা)<br />♠মুসাফির কখন হবে? ♠<br />শুধু  সফরের  নিয়্যত  করলেই  মুসাফির  হবে  না।  বরং  মুসাফিরের   হুকুম  তখন  থেকেই  প্রযোজ্য   হবে,   যখন আপন    বাসস্থানের  জনবসতি এলাকা থেকে  বের  হয়ে পড়বে। শহরে থাকলে শহরের জনবসতি এলাকা আর গ্রামে    থাকলে    গ্রামের    জনবসতি    এলাকা    অতিক্রম  করতে হবে।   শহরবাসীদের জন্য এটাও আবশ্যক যে, শহরের  আশে   পাশের  যেসব   বসতি   এলাকা  শহরের সাথে   সংযুক্ত   তাও      অতিক্রম     করতে   হবে।   (দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার, ২য় খন্ড, ৫৯৯ পৃষ্ঠা)<br />♣জনবসতি এলাকা শেষ হওয়ার মর্মার্থ ♣<br />জনবসতি      এলাকা      অতিক্রম     করার      মর্মার্থ     হলো, যেদিকে যাচ্ছে  সেদিকের  জনবসতি  এলাকা শেষ হয়ে যাওয়া,    যদিও      এর     সোজাসুজি      অপরাপর    প্রান্তের জনবসতি এলাকা  শেষ  না হয়। (গুনিয়াতুল   মুস্তামলা,  ৫৩৬ পৃষ্ঠা)<br />♥শহরতলীর এলাকা ♥<br />শহরতলী   সংলগ্ন  যে    গ্রামগুলো  আছে,  শহরবাসীদের জন্য ঐ গ্রামগুলো অতিক্রম করে যাওয়া আবশ্যক নয়। অনুরূপ শহর সংলগ্ন বাগান থাকলে যদিও বাগানে এর পরিচর্যাকারী এবং  রক্ষণাবেক্ষণ   কারীরা বসবাস  করে থাকে,   তা    সত্ত্বেও    শহরবাসীদের   জন্য     উক্ত   বাগান অতিক্রম  করে   যাওয়া আবশ্যক নয়।  (রদ্দুল  মুখতার, ২য় খন্ড, ৫৯৯ পৃষ্ঠা)<br />শহরতলীর বাহিরে যে স্থান শহরের  কাজে ব্যবহৃত হয় যেমন      কবরস্থান,     ঘোড়াদৌড়ের     মাঠ,        আবর্জনা ফেলার   স্থান,    যদি   তা   শহর    সংলগ্ন   হয়   তাহলে   তা অতিক্রম করে যাওয়া আবশ্যক। আর যদি তা শহর ও শহরতলী  থেকে দূরে  অবস্থিত   হয়, তবে তা  অতিক্রম করে যাওয়া আবশ্যক নয়। (প্রাগুক্ত, ৬০০ পৃষ্ঠা)<br />♠মুসাফির হওয়ার জন্য শর্ত ♠<br />সফরের জন্য এটাও আবশ্যক, যে স্থান হতে  যাত্রা শুরু করলো সেখান থেকে তিনদিনের রাস্তা (অর্থাৎ-প্রায় ৯২ কিলোমিটার) সফরের উদ্দেশ্য থাকতে হবে। আর যদি দুই দিনের রাস্তা  (৯২ কিলোমিটার হতে  কম) সফরের উদ্দেশ্যে    বের   হয়,     অতঃপর     সেখানে   পৌঁছে    অন্য স্থানের    উদ্দেশ্যে    রাওয়ানা    হয়ে    পড়ে,    তাও    তিন  দিনের   রাস্তা   (তথা  ৯২ কিলোমিটার এর)  চেয়ে  কম। এভাবে সারা দুনিয়া ভ্রমণ করে  আসলেও সে মুসাফির হবে না। (গুনিয়া, দুররে মুখতার, ২য় খন্ড, ২০৯ পৃষ্ঠা)<br />এটাও    শর্ত  যে,   একাধারে  তিনদিনের   রাস্তা  সফরের উদ্দেশ্যে বের হতে হবে। যদি এভাবে ইচ্ছা করে যেমন দুই   দিনের  রাস্তায়  পৌঁছে   কিছু  কাজ   করব,  তা  শেষ করেই   পুনরায়    একদিনের    রাস্তা   সফর   করব।    এটা একাধারে তিনদিনের রাস্তা সফরের উদ্দেশ্য না হওয়ায় সে   মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে  না।  (বাহারে শরীয়াত, ৪র্থ অংশ, ৭৭ পৃষ্ঠা)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEggNoELHzChkqyR6Hg-n6yVfqZtlQi78Pl5Mk3vyGkH3ZHueXB6FvI0EBXq6P8CSdTDyjs-hfpmkLX-3yYm3i90vvI69wPCe7RZQ2WUAApUM4YLaTIAzuUdHaHeHnq6DE1nSG2pWogd0H7-/s1600/1513004120774407199713-01.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="313" data-original-width="470" height="213" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEggNoELHzChkqyR6Hg-n6yVfqZtlQi78Pl5Mk3vyGkH3ZHueXB6FvI0EBXq6P8CSdTDyjs-hfpmkLX-3yYm3i90vvI69wPCe7RZQ2WUAApUM4YLaTIAzuUdHaHeHnq6DE1nSG2pWogd0H7-/s320-rw/1513004120774407199713-01.jpeg" width="320" /></a></div><br />♦বাসস্থানের প্রকারভেদ ♦<br />বাসস্থান দুই   প্রকার  (১) স্থায়ী বাসস্থান: অর্থাৎ ঐ স্থান  যেখানে    সে    জন্মগ্রহণ    করেছে    বা    তার    পরিবারের  লোকজন সেখানে বাস করে কিংবা সেখানে তারা স্থায়ী হয়ে  গেলো    এবং   সেখান  থেকে  স্থানান্তর  করার  ইচ্ছা পোষণ  না  করে। (২)  অবস্থানগত  বাসস্থান: অর্থাৎ   ঐ স্থান  যেখানে  মুসাফির  পনের  কিংবা  তার  চেয়ে  বেশি  দিন  অবস্থানের  ইচ্ছা  পোষণ  করে।  (আলমগিরী,  ১ম  খন্ড, ১৪৫ পৃষ্ঠা)<br />♠অবস্থানগত বাসস্থান বাতিল হয়ে যাওয়ার ধরণ<br /><br />এক অবস্থানগত বাসস্থান অপর অবস্থানগত বাসস্থানকে বাতিল    করে  দেয়  অর্থাৎ  কোন   এক   স্থানে     ১৫  দিন থাকার     উদ্দেশ্যে     অবস্থান    করলো    অতঃপর     অপর  জায়গায় সে ততদিন থাকার উদ্দেশ্যে অবস্থান করলো। তাহলে প্রথম স্থানটি আর বাসস্থান রইলো না। উভয়ের মাঝখানে     সফরের     দূরত্ব      থাকুক     বা     না      থাকুক। অনুরূপভাবে   অবস্থানগত      বাসস্থান,    স্থায়ী   বাসস্থানও সফর দ্বারাও বাতিল হয়ে যায়।  (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১৪৫ পৃষ্ঠা)<br />♣সফরের দু’টি রাস্তা ♣<br />কোন    জায়গায়   যাওয়ার    দু’টি   রাস্তা    আছে,   তন্মধ্যে  একটি   রাস্তা সফরের  দূরত্বের সমপরিমাণ অপরটি তা  থেকে কম।  এমতাবস্থায় সে  যে রাস্তা   দিয়ে যাবে তাই ধরা  হবে।  নিকটবর্তী  রাস্তা  দিয়ে  গেলে মুসাফির হবে  না আর দূরবর্তী রাস্তা দিয়ে গেলে মুসাফির হবে। যদিও রাস্তা  নির্বাচন  করার ক্ষেত্রে  তার কোন  সঠিক, উদ্দেশ্য থাকে।   (আলমগিরী,    ১ম   খন্ড,   ১৩৮    পৃষ্ঠা।   দুররে    মুখতার  সম্বলিত রদ্দুল মুহতার, ২য় খন্ড,  ৬০৩   পৃষ্ঠা)<br />♦মুসাফির কতক্ষণ পর্যন্ত মুসাফির থাকবে? ♦<br />মুসাফির   ততক্ষণ পর্যন্ত মুসাফির থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত সে  আপন  এলাকায়   পৌঁছে   না  যায়   কিংবা  সফরকৃত স্থানে  পূর্ণ পনের দিন অবস্থানের নিয়্যত না করে। আর এটা তখন প্রযোজ্য হবে যখন সে পূর্ণ তিন দিনের রাস্তা (অর্থাৎ-প্রায়  ৯২   কিলোমিটার)  অতিক্রম করে থাকে।  আর     তিন    মানযিল   তথা    ৯২    কিলোমিটার   পৌঁছার  পূর্বেই   যদি  সে  ফিরে  আসার  ইচ্ছা  করে,  তাহলে   সে মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে না যদিও সে জঙ্গলে থাকুক না কেন। (দুররে    মুখতার   সম্বলিত রদ্দুল মুহতার, ২য়  খন্ড, ৬০৪ পৃষ্ঠা)<br />♠অবৈধ উদ্দেশ্যে সফর করলে তখন? ♠<br />জায়িয কাজের জন্য সফর করে থাকুক কিংবা নাজায়িয কাজের   জন্য।    সর্বাবস্থায়   মুসাফিরের   আহকাম    তার উপর   প্রযোজ্য   হবে।    (আলমগিরী,   ১ম    খন্ড,   ১৩৯  পৃষ্ঠা)<br />♥মালিক ও চাকরের এক সাথে সফর ♥<br />মাসিক  বা বাৎসরিক   (বেতনে) নিয়োজিত  চাকর যদি  তার মালিকের   সাথে  সফর করে, তবে   সে  মালিকের  অনুসরণ     করবে।      পিতার      অনুগত     সন্তান      পিতার  অনুসরণ করবে এবং যে ছাত্র তার উস্তাদের কাছ থেকে খাবার পায় সে   ওস্তাদের  অনুসরণ  করবে। অর্থাৎ- যে নিয়্যত    মাতবু     তথা    অনুসরণীয়    ব্যক্তি     করবে,    সে নিয়্যতই  তার  তথা  অনুসারী    ব্যক্তির  নিয়্যত   হিসাবে  গন্য     হবে।     আর       অনুসারী     ব্যক্তির      কর্তব্য     হবে, অনুসরণীয়     ব্যক্তিকে     জিজ্ঞাসা       করে     তার     নিয়্যত সম্পর্কে  অবগত   হওয়া,  সে   যাই  বলবে   সে   অনুযায়ী তাকে আমল করতে হবে। আর যদি সে কোন উত্তর না দেয়, তাহলে  (অনুসরণীয় ব্যক্তি) মুকিম    না মুসাফির। সে যদি মুকীম   হয়, তবে নিজেকে মুকীম  মনে করবে, আর   মুসাফির  হলে    নিজেকে  মুসাফির   মনে  করবে।   আর    এটাও    জানা   না   গেলে    তবে   তিনদিনের   রাস্তা (অর্থাৎ-প্রায় ৯২  কিলোমিটার) সফর করার   পর কসর করবে এর  পূর্বে    পরিপূর্ণ   নামায  আদায় করবে। আর যদি  জিজ্ঞাসা করে  অনুসরণীয় ব্যক্তির নিয়্যত সম্পর্কে অবগত না  হয়,  তাহলে জিজ্ঞাসা    করার পর  উত্তর   না পাওয়া    অবস্থায়   যে   হুকুম    সে   হুকুমই   হবে।   (রদ্দুল  মুহতার হতে সংগৃহিত, ২য় খন্ড, ৬১৬, ৬১৭ পৃষ্ঠা)<br />♣কাজ সমাপ্ত হয়ে গেলে চলে যাবো! ♣<br />মুসাফির  কোন  কাজের  জন্য   বা   কোন  বন্ধু    বান্ধবের অপেক্ষায় দু’চার দিন কিংবা তের চৌদ্দ দিনের নিয়্যতে কোন স্থানে অবস্থান  করলো অথবা  এটা  ইচ্ছা  করলো  যে, কাজ  হয়ে গেলে  চলে যাবো,  উভয়  অবস্থায়   যদি   আজ চলে যাবো, কাল চলে যাব করতে করতে বছরের পর    বছর  উক্ত   স্থানে   কাটিয়ে   ফেলে  তবুও  মুসাফির  থাকবে এবং কসর নামায আদায় করবে। (আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১৩৯ পৃষ্ঠা)</div>

মুসাফিরের নামাজ(পুরুষ)

আল্লাহ তাআলা সূরা নিসার  ১০১   নং আয়াতে ইরশাদ করেন: وَ اِذَا ضَرَبۡتُمۡ فِی الۡاَرۡضِ فَلَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَقۡصُرُوۡا مِنَ الصّ...

Read more »

ফরজ গোসলের পদ্ধতি

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br /><div dir="ltr">♣অনুপম শাস্তি ♣<br />হযরত   সায়্যিদুনা   জুনাইদ    বাগদাদী   رَحْمَۃُ  اللّٰہِ   تَعَالٰی عَلَیْہِ  বলেন:     ইবনুল  কুরাইবী  رَحْمَۃُ    اللّٰہِ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ  বর্ণনা  করেন;    একবার  আমার   স্বপ্নদোষ   হলো,  আমি তখন   গোসল   করার     ইচ্ছা     পোষণ   করলাম।   প্রচন্ড শীতের    রাত     ছিলো।      তাই    আমার    নফস    আমাকে পরামর্শ    দিলো:     “এখনও     রাতের    অনেকাংশ    বাকী আছে,  এত তাড়াতাড়ি করার কী প্রয়োজন?  সকালে প্রশান্ত মনে গোসল করে নিতে পারবে।”<br />আমি    তাড়াতাড়ি    আমার   নফসকে   একটি   অনুপম  শাস্তি  দেয়ার   শপথ   করলাম।   তা   হলো:  আমি  প্রচন্ড শীতের মধ্যেই কাপড় সহ গোসল করব  এবং গোসল করার    পর   কাপড়   না   নিংড়িয়ে     ভিজা    কাপড়েই  থাকব এবং শরীরেই  সে ভিজা কাপড় শুকাব,  বাস্তবে  আমি  তাই  করলাম।  যে  দুষ্ট  নফস    আল্লাহ্  তাআলার কাজে অলসতা করার জন্য  প্ররোচনা দিয়ে  থাকে তার এরূপ শাস্তিই হয়ে  থাকে।  (কিমিআয়ে  সাআদাত,  ২য় খন্ড, ৮৯২ পৃষ্ঠা)<br />আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর  বর্ষিত  হোক এবং  তাঁর সদকায় আমাদের ক্ষমা   হোক।   اٰمِين  بِجا  هِ النَّبِىِّ الْاَمين   صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم اٰمِين   بِجا هِ النَّبِىِّ الْاَمين  صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم<br />প্রিয়      ইসলামী    ভাইয়েরা!    আপনারা    দেখলেন    তো! আমাদের          পূর্ববর্তী          বুযুর্গরা          তাঁদের          নফসের  ধোঁকাবাজীকে  দমন   করার  জন্য  কত  বড়   বড়  কষ্ট সহ্য     করেছিলেন।     বর্ণিত    ঘটনা     থেকে      সে    সকল ইসলামী ভাইদের শিক্ষা  গ্রহণ করা  উচিত, যারা  রাতে স্বপ্নদোষ   হওয়ার    পর    পরকালের    ভয়ানক    লজ্জাকে ভুলে  গিয়ে  শুধুমাত্র  পরিবারের  সদস্যদের  লজ্জায়  বা  অলসতার  কারণে গোসল থেকে  বিরত থেকে  ফযরের নামাযের     জামাআত    নষ্ট       করে।    এমনকি    আল্লাহর  পানাহ!  নামায পর্যন্তও কাযা  করে  ফেলে। যখন  কোন কারণে     গোসল   ফরয  হবে  তখনই  আমাদের  গোসল করে       নেয়া    উচিত।    হাদীস    শরীফে     বর্ণিত     আছে: “ফিরিশতারা  সে  ঘরে  প্রবেশ  করে  না,  যে  ঘরে  ছবি,  কুকুর   ও  জুনুবী   ব্যক্তি (অর্থাৎ এমন ব্যক্তি  যার উপর স্ত্রী    সহবাস     বা    স্বপ্নদোষ      বা     যৌন    উত্তেজনাবশত বীর্যপাত হওয়ার কারণে গোসল ফরয হয়েছে) রয়েছে। (সুনানে       আবু       দাউদ,        ১ম       খন্ড,        ১০৯       পৃষ্ঠা, হাদীস-২২৭)</div><div dir="ltr">♦গোসলের পদ্ধতি ♦<br />মুখে উচ্চারণ না করে প্রথমে মনে মনে এভাবে নিয়্যত করুন,   আমি   পবিত্রতা  অর্জনের  জন্য   গোসল  করছি।  তারপর উভয়   হাত কব্জি পর্যন্ত তিনবার    ধৌত   করুন। তারপর  ইস্তিন্জার   স্থান   যদিও  নাপাকী    থাকুক  বা  না  থাকুক, তারপর শরীরের  কোথাও  নাপাকী থাকলে  তা দূরীভূত    করুন।    অতঃপর   নামাযের    অযুর   মত    অযু  করুন।     কিন্তু    পা    ধৌত     করবেন     না।      তবে    চৌকি ইত্যাদির     উপর     গোসল     করলে     পাও     ধুয়ে     নিন।  অতঃপর    শরীরে   তৈলের     ন্যায়   পানি     মালিশ   করুন বিশেষ  করে  শীতকালে।  (এই  সময়  শরীরে  সাবানও  মালিশ করতে  পারবেন) অতঃপর তিনবার ডান কাঁধে, তিনবার বাম কাঁধে এবং তিনবার মাথা ও সমস্ত শরীরে পানি   প্রবাহিত  করুন।   তারপর   গোসলের  স্থান   থেকে সরে দাঁড়ান। অযু করার সময় যদি পা ধুয়ে না থাকেন তাহলে    এখন   পা    ধুয়ে    নিন।      গোসল   করার    সময় কিবলামুখী হবেন না। হাত দ্বারা সমস্ত শরীর ভালভাবে মেজে নিন। এমন জায়গায় গোসল করা উচিত যেখানে কারো দৃষ্টি  না   পড়ে। যদি তা  সম্ভব  না  হয় পুরুষেরা  নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত একটি মোটা কাপড় দ্বারা সতর ঢেকে   নেবে।   আর   মোটা   কাপড়   পাওয়া   না   গেলে  প্রয়োজনানুসারে  দুইটি  বা  তিনটি  কাপড়  দ্বারা  সতর  ঢেকে    নেবে।    কেননা,    গোসল    করার    সময়    পরনে  পাতলা কাপড়  থাকলে  পানি  পড়ার সাথে  সাথে   তা শরীরের   সাথে  লেগে  যায়  এবং  আল্লাহ্র  পানাহ!   হাঁটু, উরু  ইত্যাদির    আকৃতি   প্রকাশ  পায়।  মহিলাদের  জন্য তো সতর ঢাকার ক্ষেত্রে আরো বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা     প্রয়োজন।    গোসল     করার    সময়    কোন     রকম কথাবার্তা বলবেন না এবং কোন দোয়াও পড়বেন না। গোসলের  পর    তোয়ালে,   গামছা  ইত্যাদি  দ্বারা   শরীর মুছতে         কোন        অসুবিধা        নেই।         গোসলের        পর তাড়াতাড়ি কাপড়  পরিধান  করে নিন  এবং মাকরূহ সময়    না  হলে  গোসলের  পর   দু’রাকাত  নফল  নামায আদায়   করা    মুস্তাহাব।   (আলমগিরী,     ১ম     খন্ড,   ১৪ পৃষ্ঠা। বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৩১৯ পৃষ্ঠা)<br />♠গোসলের ফরয তিনটি ♠<br />(১) কুলি করা, (২) নাকে পানি দেয়া, (৩) সমস্ত শরীরে পানি    প্রবাহিত   করা।   (ফতোওয়ায়ে   আলমগিরী,  ১ম খন্ড, ১৩ পৃষ্ঠা)<br />★ কুলি করা<br />মুখে সামান্য পানি নিয়ে সামান্য নড়াচড়া করে ফেলে দেয়ার   নাম   কুলি  নয়।   বরং  মুখের  ভিতরের    প্রতিটি  অংশে,   প্রান্তে  ও    ঠোঁট  হতে  কণ্ঠনালীর   গোঁড়া  পর্যন্ত প্রতিটি স্থানে পানি পৌঁছাতে হবে। একিভাবে চোয়ালের পিছনে,  গালের   ভিতরস্থ   চামড়াতে,   দাঁতের   ছিদ্র  ও  গোঁড়াতে, জিহ্বার প্রত্যেক পিঠে এবং গলার  গভীরেও পানি     পৌঁছাতে     হবে।     রোযা     অবস্থায়     না    থাকলে  গড়গড়া করাও সুন্নাত। দাঁতের ফাঁকে সুপারির দানা, বিচির  খোসা  ইত্যাদি   আটকে  থাকলে    তা   বের   করে ফেলা আবশ্যক।  তবে   বের করে  নেয়াতে যদি ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে, তাহলে মাফ।  গোসলের পূর্বে    দাঁতের ছিদ্রে  খোসা   ইত্যাদি     অনুভূত  না  হওয়ার  কারণে  তা  নিয়েই নামায আদায় করা হলো কিন্তু  নামায আদায়ের পর তা অনুভূত  হলো, তাহলে  তা  বের  করে  সেখানে   পানি   পৌঁছানো   ফরয।   তবে   ঐগুলো   দাঁতের   ফাঁকে  থাকা অবস্থায় পূর্বে যে  নামায আদায় করা হয়েছিল তা শুদ্ধ  হয়ে  যাবে।  যে   পরা   দাঁত   বিভিন্ন  উপাদান  দ্বারা  জমানো হয়েছিল  বা  তার  দ্বারা বাঁধানো হয়েছিল   কুলি করার   সময়   ঐ   উপাদান   বা   তারের   নিচে    পানি    না পৌঁছলেও    মাফ।   (ফতোওয়ায়ে   রযবীয়া,    ১ম    খন্ড, <a href="tel:439440">৪৩৯-৪৪০</a>   পৃষ্ঠা।  বাহারে  শরীয়াত,   ১ম  খন্ড,  ৩১৬  পৃষ্ঠা)   গোসলে    যে   ভাবে   একবার   কুলি    করা   ফরয, অযুতে সে ভাবে তিনবার কুলি করা সুন্নাত।<br />★ নাকে পানি দেওয়া<br />তাড়াতাড়ি নাকের মাথায় সামান্য পানি লাগিয়ে নিলে নাকে   পানি   দেয়া   বলা   যায়   না   বরং   নাকের   ভিতর  যতটুকু  নরম  জায়গা  আছে  তাতে  এবং  শক্ত  হাঁড়ের  শুরু      পর্যন্ত    পানি    পৌঁছানো     আবশ্যক।     আর    সেটা  এইভাবে   হতে    পারে  যে,  নাকে   পানি   নিয়ে   নিঃশ্বাস টেনে      উপরে     নিয়েই     নাকের     সম্পূর্ণ      স্থানে       পানি পৌঁছানো।   এটা     স্মরণ   রাখবেন!   নাকের   ভিতর   চুল পরিমাণ স্থানও  যাতে অধৌত থেকে না যায়। অন্যথায় গোসল   আদায়   হবে   না।   নাকের   ভিতর   যদি   শ্লেষ্মা  শুকিয়ে যায়, তাহলে তা বের করে নেয়া ফরয। নাকের ভিতরের     লোমগুলোও     ধৌত    করা    ফরয।    (বাহারে শরীয়াত, <a href="tel:442443">৪৪২-৪৪৩</a> পৃষ্ঠা)<br />★ সমস্ত শরীরে পানি প্রবাহিত করা<br />মাথার     চুল  থেকে   পায়ের   তালু  পর্যন্ত    সম্পূর্ণ  শরীরে প্রতিটি অংশে এবং  প্রতিটি  লোমে  পানি  প্রবাহিত করা আবশ্যক।  শরীরে কিছু স্থান এমনও আছে যেগুলোতে   সতর্কতার সাথে পানি পৌঁছানো না হলে তা শুষ্ক থেকে যায়  ফলে  গোসল  আদায়  হয়  না।  (বাহারে  শরীয়াত,  ১ম খন্ড, ৩১৭ পৃষ্ঠা)</div><div dir="ltr">♠গোসলের  ক্ষেত্রে  পুরুষ  ও মহিলা  উভয়ের জন্য    ২১টি সতর্কতা ♠<br />❃পুরুষের মাথার চুল যদি বেনী   বাঁধা   হয়,  তাহলে  তা খুলে চুলের  গোঁড়া  থেকে  আগা পর্যন্ত পানি   পৌঁছানো ফরয।    ❃   মহিলাদের   জন্য   শুধুমাত্র    চুলের     গোঁড়া  ভিজিয়ে নেয়া আবশ্যক। চুলের খোঁপা বা বেনী খোলার প্রয়োজন নেই। তবে খোঁপা যদি এমন  শক্তভাবে বাধা  হয়   যে,   তা  খোলা  ব্যতীত  চুলের  গোঁড়া  পর্যন্ত  পানি পৌঁছানো  অসম্ভব,   তাহলে  খোঁপা    খুলে   নিতে   হবে।  ❃যদি কানের দুল এবং নাকের ফুলের ছিদ্র থাকে এবং সেটা যদি বন্ধ না থাকে, তাহলে তাতে পানি  পৌছানো ফরয। অযুতে শুধু  নাকের  ফুলের ছিদ্রে এবং   গোসলে নাক  ও  কান  উভয়ের  ছিদ্রে  পানি  প্রবাহিত  করুন।  ❃  ভ্রু,  গোঁফ  ও  দাঁড়ির  প্রত্যেক  লোমের  গোঁড়া  থেকে  আগা   পর্যন্ত  এবং ঐগুলোর  নিচের  চামড়া ধৌত করা  আবশ্যক। ❃কানের প্রত্যেক অংশ এবং কানের ছিদ্রের মুখ ধৌত করতে হবে,  ❃কানের পিছনের  চুল  থাকলে তা   সরিয়ে  সেখানে  পানি  পৌঁছাতে  হবে।  ❃চিবুক  ও  গলার    সংযোগস্থলে    চেহারা    উত্তোলন    করেই    ধৌত  করতে হবে, ❃  উভয় হাত  ভালভাবে  উত্তোলন  করেই বগল ধৌত  করতে হবে, ❃ বাহুর প্রত্যেক পার্শ্ব   ধৌত  করতে হবে, ❃ পিঠের প্রতিটি অংশ ধৌত করতে হবে, ❃  পেটের  ভাঁজ  উঠিয়েই  পেট  ধৌত  করতে  হবে,  ❃  নাভীতেও   পানি   পৌঁছাতে   হবে,   যদি   নাভিতে    পানি  পৌঁছার ক্ষেত্রে সন্দেহ সৃষ্টি হয় তাহলে নাভিতে  আঙ্গুল ঢুকিয়েই  নাভি ধৌত করতে   হবে,  ❃   শরীরের প্রতিটি লোম গোঁড়া থেকে আগা   পর্যন্ত ধৌত  করতে হবে, ❃ উরু  ও  তল পেটের সংযোগস্থল ধৌত    করতে  হবে, ❃ বসে   গোসল   করলে   উরু   ও  গোড়ালীর  সংযোগ  স্থল ধৌত করার প্রতি  লক্ষ্য  রাখতে    হবে, ❃  বিশেষ করে  দাঁড়িয়ে        গোসল       করার       সময়        উভয়       নিতম্বের সংযোগস্থলে পানি  পৌঁছানোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে, ❃  উরুর মাংসল গোলাকার অংশে এবং  ❃ গোড়ালীর গোলাকার      অংশে     পানি    প্রবাহিত    করতে    হবে,    ❃ পুরুষাঙ্গ     ও     অন্ডকোষের     নিম্নাংশ     পর্যন্ত     এবং     ❃  অন্ডকোষের   নিচের    স্থান   সমূহ   গোড়া    পর্যন্ত   ধৌত করতে হবে। ❃ যার খতনা করা  হয়নি তার পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগের  চামড়া   যদি   উপর   দিকে    উত্তোলন   করা যায়,    তাহলে   চামড়া    উপর   দিকে   উত্তোলন    করেই পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ ধৌত করতে  হবে এবং  পুরুষাঙ্গের চামড়ার  ভিতরও  পানি   পৌঁছাতে   হবে।  (সংক্ষেপিত  বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, <a href="tel:317318">৩১৭-৩১৮</a> পৃষ্ঠা)<br />♦(পর্দানশীন) মহিলাদের জন্য ৬টি সতর্কতা ♦<br />(১)   ঝুলন্ত   স্তনদ্বয়কে    উত্তোলন   করেই  সেখানে   পানি প্রবাহিত করতে হবে, (২) স্তন ও পেটের সংযোগ রেখা ধৌত করতে হবে, (৩)  যোনির বাইরের  প্রতিটি  অংশ, প্রতিটি পার্শ্বের  উপর  থেকে নিচ পর্যন্ত ভালভাবে ধৌত করতে  হবে,   (৪)  যোনির  ভিতরে   আঙ্গুল    ঢুকিয়ে   তা ধৌত  করা  ফরয  নয়  বরং   মুস্তাহাব।  (৫)   হায়েজ    ও  নিফাসের   রক্ত   বন্ধ হওয়ার  পর গোসল করলে একটি পুরাতন কাপড় দ্বারা যোনি পথের ভিতর থেকে রক্তের চিহ্ন পরিস্কার করে  নেয়া  মুস্তাহাব। (বাহারে  শরীয়াত,  ১ম খন্ড, ৩১৮ পৃষ্ঠা)<br />নখের  সাথে  লেগে থাকে তা নখ থেকে ছাড়িয়ে  নেয়া ফরয নতুবা গোসল আদায় হবে না। তবে মেহেদীর রং থাকলে তাতে কোন অসুবিধা নেই।<br />♣ক্ষতস্থানের ব্যান্ডেজ ♣<br />ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ, পট্টি ইত্যাদি বাঁধা থাকলে এবং তা খুলতে    গেলে   ক্ষতি     বা   অসুবিধার   সম্ভাবনা   থাকলে গোসল করার সময় পট্টি বা ব্যান্ডেজের উপরই মাসেহ করলে  যথেষ্ট  হবে। অনুরূপ  শরীরে  কোন  স্থানে  রোগ বা ব্যথার কারণে পানি প্রবাহিত করা ক্ষতিকর হলে সে স্থানের   সম্পূর্ণ   অঙ্গেই    মাসেহ   করে    নিবে।   পট্টি     বা ব্যান্ডেজ   প্রয়োজনের অতিরিক্ত স্থান বেষ্টন   করে বাঁধা উচিত  নয়। কেননা,  তাতে মাসেহ শুদ্ধ   হবে  না।  যদি  প্রয়োজনের অতিরিক্ত স্থান বেষ্টন করে পট্টি বাঁধা ছাড়া উপায় না থাকে,  যেমন বাহুতে আঘাত প্রাপ্ত হলো কিন্তু গোলাকার করেই বাহুতে  পট্টি  বাঁধা হলো,  ফলে বাহুর অক্ষত  অংশও   পট্টির    আওতায়  চলে  এল    এবং   পট্টি দ্বারা  আবৃত হয়ে   পড়ল, এমতাবস্থায় পট্টি খোলা যদি সম্ভবপর হয় তাহলে পট্টি খোলেই সে অক্ষতস্থান ধৌত করা ফরয। আর যদি পট্টি খোলা অসম্ভব হয় বা সম্ভব হলেও পুনরায়  সে   রকম করে  বাঁধা  অসম্ভব  হয় এবং তাতে ক্ষতস্থানের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে তাহলে সম্পূর্ণ পট্টির     উপরই   মাসেহ    করলে    চলবে।    শরীরের    সে অক্ষত  অংশও   আর  ধৌত  করতে  হবে  না।   (প্রাগুক্ত,  ৩১৮ পৃষ্ঠা)<br />♦গোসল ফরয হওয়ার পাঁচটি কারণ ♦<br />(১) যৌন উত্তেজনার ফলে বীর্য স্বস্থান থেকে পুরুষাঙ্গ বা যোনিপথ  দিয়ে বের  হলে।   (২)  স্বপ্নদোষ  হলে  অর্থাৎ ঘুমন্ত  অবস্থায়  বীর্যপাত   হলে।  (৩)   মহিলার  যৌনাঙ্গে  পুরুষাঙ্গের  অগ্রভাগ তথা কর্তিত অংশ প্রবেশ  করালে। কামোত্তেজনা    বশত হোক বা  না হোক  এবং  বীর্যপাত হোক   বা    না  হোক  সর্বাবস্থায়   উভয়ের   উপর  গোসল  ফরয। (৪) হায়েজ তথা ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পর, (৫) নিফাস তথা সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর যে রক্ত বের হয় তা   বন্ধ   হওয়ার    পর।   (বাহারে   শরীয়াত,   ১ম    খন্ড, <a href="tel:321324">৩২১-৩২৪</a> পৃষ্ঠা)</div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEho3Ply_vt2yNPbG3ZaM54IPzzvX95NZ0lf4Jn0DcerjwmcbDCyhadyVsEK-5AvMeGaSikyzJLzmvcM4UVg7ACEre_I7NH1Y5KhS9blbtqns5wRwn4DIh_ZcB4he9vVwhY3Hq4JYquL6V5e/s1600/images_1513003490551-01.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="173" data-original-width="291" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEho3Ply_vt2yNPbG3ZaM54IPzzvX95NZ0lf4Jn0DcerjwmcbDCyhadyVsEK-5AvMeGaSikyzJLzmvcM4UVg7ACEre_I7NH1Y5KhS9blbtqns5wRwn4DIh_ZcB4he9vVwhY3Hq4JYquL6V5e/s1600-rw/images_1513003490551-01.jpeg" /></a></div><div dir="ltr"><br />♣নিফাসের প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা ♠<br />অধিকাংশ   মহিলাদের   মধ্যে   এটা   প্রসিদ্ধ   যে,   সন্তান  ভূমিষ্ঠ     হওয়ার       পর      মহিলারা      চল্লিশ       দিন     পর্যন্ত আবশ্যিকভাবে    অপবিত্র    থাকে।    এটা     সম্পূর্ণ     ভুল,  বিস্তারিত  ব্যাখ্যা লক্ষ্য  করুন: সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মহিলাদের    যে  রক্ত বের হয়  তাকে  নিফাস বলে। এর সর্বোচ্চ  সময়সীমা   চল্লিশ  দিন।  সন্তান  ভূমিষ্ঠ  হওয়ার  চল্লিশ  দিন  পরও  যদি   ঐ  রক্ত  দেখা  যায়   তাহলে  তা রোগ  হিসেবে  বিবেচিত  হবে।  সুতরাং  চল্লিশ দিন  পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথেই মহিলাদেরকে গোসল করে   পাক পবিত্র   হতে   হবে।  আর   যদি  চল্লিশ  দিন  পূর্ণ   হওয়ার আগেই  ঐ  রক্তস্রাব  বন্ধ  হয়ে  যায়,  চাই  সন্তান  ভূমিষ্ঠ  হওয়ার  এক    মিনিট   পরেই    বন্ধ  হোক   না  কেন,  বন্ধ হওয়ার   সাথে   সাথেই   গোসল  করে   নিতে   হবে  এবং নামায রোযা  যথারীতি   পালন করতে    হবে। আর যদি  চল্লিশ  দিনের  ভিতরে  রক্ত  একবার  বন্ধ  হয়ে  পুনরায়  আবার  দেখা   যায়,  তাহলে  সন্তান   ভূমিষ্ঠ  হওয়ার   পর থেকে শেষ রক্ত  বন্ধ হওয়ার সময় পর্যন্ত সম্পূর্ণ সময়ই নিফাসের  সময়সীমাতে গণ্য হবে। যেমন সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার   পর    দুই   মিনিট   পর্যন্ত   রক্ত    দেখা    গিয়েছিল তারপর বন্ধ হয়ে গেলো এবং সন্তানের মা গোসল করে পবিত্র     হয়ে    নামায-রোযা    ইত্যাদি    যথারীতি     পালন করতে   লাগলো।    চল্লিশ   দিন   পূর্ণ   হওয়ার     মাত্র   দুই মিনিট  বাকী ছিলো   পুনরায়  আবার   রক্ত দেখা গেলো, তাহলে পূর্ণ  চল্লিশ দিনই নিফাসের  সময়সীমাতে   গণ্য  হবে   এবং  চল্লিশ    দিন   যাবৎ  যে  নামায  রোযা  পালন করা হয়েছিল তা   সবই  বৃথা  যাবে।  সে   সময়ের মধ্যে উক্ত  মহিলা   কোন  ফরয  বা ওয়াজীব নামায  বা রোযা কাযা   দিয়ে   থাকলে   তা   পুনরায়   আদায়   করে   দিতে  হবে। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া হতে সংকলিত, ৪র্থ খন্ড, <a href="tel:354356">৩৫৪-৩৫৬</a> পৃষ্ঠা)<br />♥পাঁচটি প্রয়োজনীয় মাসয়ালা ♥<br />(১)   যৌন   উত্তেজনার  কারণে  বীর্য  স্বস্থান    ত্যাগ  করে বের   হয়নি  বরং  ভারী   বোঝা  উঠানোর কারণে বা উঁচু  স্থান  থেকে  নামার  কারণে  বা  মলত্যাগের  জন্য  জোর  দেয়ার   কারণে   বীর্য   বের হলো,  গোসল ফরয হবে না কিন্তু অযু ভেঙ্গে যাবে। (২) যদি যৌন উত্তেজনা ব্যতীত এমনিতেই বীর্যের ফোঁটা পড়ে যায় এবং  প্রস্রার সময় বা  যে  কোন  সময়  উত্তেজনা  ব্যতীত  এমনিতেই  তার  বীর্যের  ফোঁটা   বের  হয়ে  থাকে,  তাহলে  গোসল   ফরয হবে  না  কিন্তু   অযু  ভেঙ্গে   যাবে।  (৩)  যদি  স্বপ্ন  দোষ    হওয়ার  কথা মনে  আছে কিন্তু  এর  কোন  চিহ্ন কাপড়  ইত্যাদিতে দেখা গেলো না, গোসল ফরয হবে না। (৪) নামাযের   মধ্যে   যৌন    উত্তেজনার   কারণে   বীর্য  স্বস্থান ত্যাগ  করতে  অনুভব   হলো  কিন্তু   বের  হওয়ার   পূর্বেই নামায শেষ করে ফেলল,  নামায  শেষ করার   পর  বীর্য বের হলো। নামায   হয়ে যাবে  কিন্তু তার উপর   গোসল ফরয  হবে।  (বাহারে  শরীয়াত,  ১ম   খন্ড,  <a href="tel:321322">৩২১-৩২২</a>  পৃষ্ঠা)    (৫)    হস্ত    মৈথুনের    মাধ্যমে    বীর্যপাত    ঘটালে  গোসল    ফরয   হয়।    হস্তমৈথুন     করা    একটি   গুনাহের কাজ।    হাদীস    শরীফে    হস্ত    মৈথুনকারীকে    মালাঊন  (অভিশপ্ত)  আখ্যায়িত   করা   হয়েছে।    (আমালী   ইবনে বুশরান,  ২য়  খন্ড, ৫  পৃষ্ঠা, নম্বর- ৪৭৭।    হাশিয়াতুত  তাহতাবী     আলা   মারাকিউল   ফালাহ,   ৯৬    পৃষ্ঠা)   হস্ত মৈথুনের   দ্বারা  পুরুষত্ব   দূর্বল  হয়ে  পড়ে,  ফলে  মানুষ বিবাহের  যোগ্যতা  হারিয়ে  ফেলে   এবং   বিবাহ  করতে ভয় পায়।<br />♣হস্ত মৈথুনের শাস্তি♣<br />আ’লা   হযরত,  ইমামে  আহলে   সুন্নাত,  মাওলানা  শাহ আহমদ রযা    খাঁন رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی   عَلَیْہِ  এর খেদমতে আরয করা  হলো: এক ব্যক্তি হস্ত মৈথুন করে,  সে এই খারাপ   অভ্যাস   থেকে    বিরত  থাকে  না।  প্রত্যেকবার  তাকে বুঝানো হয়েছে, এখন  আপনি বলুন, তার হাশর কিরূপ হবে এবং তাকে সে অভ্যাস থেকে মুক্তি লাভের জন্য কি দোয়া পড়তে হবে?<br />আ’লা হযরতের জবাব: সে গুনাহগার ও অপরাধী।  সে কাজ    বারবার  করার  কারণে  কবীরা   গুনাহকারী  এবং ফাসিক        সাব্যস্ত        হবে।        হাশরের        ময়দানে        হস্ত  মৈথুনকারীরা   গর্ভিত  হাত  নিয়ে   উঠবে।  ফলে  বিশাল জনসম্মুখে  তাদের    অপদস্ত  হতে  হবে।  যদি   তারা   এ কাজ   থেকে   তাওবা   না   করে,   আর   আল্লাহ   তাআলা  যাকে   ইচ্ছা   শাস্তিও   দিতে   পারেন   এবং     যাকে   ইচ্ছা ক্ষমাও    করে   দিতে   পারেন।   এ  অভ্যাস  থেকে  মুক্তি  লাভের    জন্য  হস্ত  মৈথুনকারী ব্যক্তিদের সর্বদা لَا حَوْل শরীফ   পাঠ    করা   উচিত।   যখন   শয়তান     তাদের    এ খারাপ    কাজের    প্রতি   প্ররোচিত   করবে,   তখন   সাথে সাথে আল্লাহ  তাআলার প্রতি ধ্যানমগ্ন হয়ে অধিকহারে لَا    حَوْل    শরীফ    পাঠ    করবে।     সর্বদা     পাঁচ      ওয়াক্ত  নামাযের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে। ফযরের নামাযের পর   নিয়মিত  সূরায়ে  ইখলাস পাঠ করবে।  وَ اللهُ  تَعَالٰی اَعْلَمُ  (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ২২তম খন্ড, ২৪৪ পৃষ্ঠা)<br />শাজরায়ে  আত্তারীয়্যার  ২১  পৃষ্ঠাতে  উল্লেখ  আছে:  যে  ব্যক্তি প্রতিদিন  ফযরের  নামাযের     পর এগারবার সূরা ইখলাস  পাঠ  করবে,  শয়তান  তার  সৈন্য  সামন্ত   দ্বারা  গুনাহ  করানোর  শত  চেষ্টা    করলেও  তার   দ্বারা   গুনাহ করাতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে নিজ ইচ্ছায় গুনাহ না করে।<br />♣প্রবাহিত পানিতে গোসল করার পদ্ধতি ♣<br />যদি প্রবাহিত  পানি যেমন    সমুদ্রের পানি,   নদীর পানি  ইত্যাদিতে   গোসল করলে  কিছুক্ষণ  পানিতে  ডুব দিয়ে থাকলে তিনবার ধৌত  করা,  ধারাবাহিক, অযু  ইত্যাদি সুন্নাত     আদায়     হয়ে     যাবে,     তিনবার     ধৌত     করার  প্রয়োজন  নেই। আর যদি পুকুর ইত্যাদির বদ্ধ পানিতে গোসল করা হয় তাহলে তিনবার ডুব দিলে বা তিনবার স্থান   পরিবর্তন   করলে   তিনবার   ধৌত    করার    সুন্নাত  আদায় হয়ে যাবে।<br />রাসুলুল্লাহ    صَلَّی     اللّٰہُ    تَعَالٰی    عَلَیْہِ    وَاٰلِہٖ    وَسَلَّم   ইরশাদ করেছেন:     “যে  ব্যক্তির নিকট  আমার আলোচনা হলো আর  সে  আমার  উপর   দরূদ   শরীফ  পাঠ  করলো   না, তবে সে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে কৃপণ  ব্যক্তি।” (আত্  তারগীব ওয়াত্ তারহীব)<br />বৃষ্টির   পানিতে   (নল    বা     ফোয়ারার   নিচে   দাঁড়ানো) প্রবাহিত    পানির    মধ্যে    দাঁড়ানোর    হুকুমের    মতো।  প্রবাহিত  পানিতে   অযু  করলে   কিছুক্ষণ   অঙ্গ    পানিতে ডুবিয়ে  রাখলে  তিনবার  ধৌত   করা   হয়ে  যাবে।   আর স্থির   পানিতে   অযু    করলে     অঙ্গকে    তিনবার   পানিতে ডুবালে তিনবার ধৌত করার (সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে) ।  (বাহারে শরীয়াত,  ১ম  খন্ড,   ৩২০ পৃষ্ঠা)  যেখানেই  অযু  বা  গোসল   করে  থাকুক  না  কেন   তাকে  অবশ্যই কুলি করতে হবে এবং নাকে পানি দিতে হবে।<br />♣ফোয়ারা (প্রস্রবন) প্রবাহিত পানির হুকুমের অন্তর্ভূক্ত ♣<br />ফতোওয়ায়ে     আহলে    সুন্নাতে    (অপ্রকাশিত)    উল্লেখ   আছে:     ফোয়ারার     (প্রস্রবনের)     নিচে      গোসল      করা প্রবাহিত পানিতে  গোসল করার মতো। সুতরাং  অযু ও গোসল  করতে  যতটুকু  সময়ের  প্রয়োজন  হয়  ততটুকু  সময়  পর্যন্ত  ঝর্ণা ধারার  নিচে   অবস্থান করলে তিনবার ধৌত করার সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে। অতঃপর “দুররে মুখতার”এ উল্লেখ  আছে:  যদি  কেউ  প্রবাহিত পানিতে  বা    বড়  হাউজে  বা  ঝর্ণাধারার   নিচে   অযু  ও   গোসল করার সময় পর্যন্ত অবস্থান করে তাহলে  সে  পূর্ণ সুন্নাত আদায় করল।  (দুররে   মুখতার, ১ম  খন্ড, ৩২০  পৃষ্ঠা)</div><div dir="ltr">♦♦♦<br />স্মরণ রাখবেন! গোসল এবং অযুতে কুলি করা ও নাকে পানি দেয়া আবশ্যক।<br />ফোয়ারাতে গোসল করার সময় সতর্কতা অবলম্বন<br />যদি       আপনার       ঘরের       গোসল       খানায়         ফোয়ারা  (SHOWER)  থাকে, তাহলে ফোয়ারামুখী হয়ে উলঙ্গ অবস্থায় গোসল করার সময় ভালভাবে লক্ষ্য   রাখবেন, যেন  আপনার  মুখ  বা  পিঠ  কিবলার  দিকে  না  থাকে।  ইস্তিঞ্জাখানাতেও অনুরূপ সতর্কতা   অবলম্বন   করবেন। কিবলার দিকে মুখ বা পিঠ থাকার অর্থ হলো ফোয়ারার ৪৫০    ডিগ্রী    কোণের   ভিতরে     গোসল   করা,   সুতরাং সতর্কতা   অবলম্বন  করতে  হবে   যেন  ফোয়ারার  ৪৫০ ডিগ্রী   কোণের    বাইরে   থেকে   গোসল    করা    না    হয়। অনেক লোক এ মাসয়ালা সম্পর্কে অজ্ঞ।<br />W.C  কমোট  (ওয়াটার  ক্লজেট)  এর   দিক  ঠিক  করে  নিন<br />দয়া করে নিজ ঘরের W.C কমোট  ও ফোয়ারার  দিক যদি   তা  ভুল  স্থাপিত  হয়,   তাহলে  তা  সংশোধন  করে নিন।  সর্বাধিক সতর্কতা অবলম্বনের পন্থা হলো, W.C  কমোট এর মুখ কিবলার  দিক হতে ৯০০ ডিগ্রী কোনে স্থাপন করা অর্থাৎ যেদিকে নামাযে সালাম ফিরানো হয় সেদিকে স্থাপন করা। রাজ মিস্ত্রিরা সাধারণত  নির্মাণের সহজতা ও মানান সইয়ের জন্য কিবলার আদবের প্রতি তোয়াক্কা  করে  না।  মুসলমানদের  ঘর  নির্মানের  সময়  ঘরের    অনাবশ্যক     চাকচিক্যের    পরিবর্তে   পরকালের প্রকৃত   সৌন্দর্যের  প্রতি   লক্ষ্য  রেখে    ঘর     নির্মাণ  করা উচিত</div><br /></div>

ফরজ গোসলের পদ্ধতি

♣অনুপম শাস্তি ♣ হযরত   সায়্যিদুনা   জুনাইদ    বাগদাদী   رَحْمَۃُ  اللّٰہِ   تَعَالٰی عَلَیْہِ  বলেন:     ইবনুল  কুরাইবী  رَحْمَۃُ    اللّٰہِ...

Read more »

ফরজ গোসলের পদ্ধতি

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <div dir="ltr"> ♣অনুপম শাস্তি ♣<br /> হযরত   সায়্যিদুনা   জুনাইদ    বাগদাদী   رَحْمَۃُ  اللّٰہِ   تَعَالٰی عَلَیْہِ  বলেন:     ইবনুল  কুরাইবী  رَحْمَۃُ    اللّٰہِ  تَعَالٰی  عَلَیْہِ  বর্ণনা  করেন;    একবার  আমার   স্বপ্নদোষ   হলো,  আমি তখন   গোসল   করার     ইচ্ছা     পোষণ   করলাম।   প্রচন্ড শীতের    রাত     ছিলো।      তাই    আমার    নফস    আমাকে পরামর্শ    দিলো:     “এখনও     রাতের    অনেকাংশ    বাকী আছে,  এত তাড়াতাড়ি করার কী প্রয়োজন?  সকালে প্রশান্ত মনে গোসল করে নিতে পারবে।”<br /> আমি    তাড়াতাড়ি    আমার   নফসকে   একটি   অনুপম  শাস্তি  দেয়ার   শপথ   করলাম।   তা   হলো:  আমি  প্রচন্ড শীতের মধ্যেই কাপড় সহ গোসল করব  এবং গোসল করার    পর   কাপড়   না   নিংড়িয়ে     ভিজা    কাপড়েই  থাকব এবং শরীরেই  সে ভিজা কাপড় শুকাব,  বাস্তবে  আমি  তাই  করলাম।  যে  দুষ্ট  নফস    আল্লাহ্  তাআলার কাজে অলসতা করার জন্য  প্ররোচনা দিয়ে  থাকে তার এরূপ শাস্তিই হয়ে  থাকে।  (কিমিআয়ে  সাআদাত,  ২য় খন্ড, ৮৯২ পৃষ্ঠা)<br /> আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর  বর্ষিত  হোক এবং  তাঁর সদকায় আমাদের ক্ষমা   হোক।   اٰمِين  بِجا  هِ النَّبِىِّ الْاَمين   صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم اٰمِين   بِجا هِ النَّبِىِّ الْاَمين  صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم<br /> প্রিয়      ইসলামী    ভাইয়েরা!    আপনারা    দেখলেন    তো! আমাদের          পূর্ববর্তী          বুযুর্গরা          তাঁদের          নফসের  ধোঁকাবাজীকে  দমন   করার  জন্য  কত  বড়   বড়  কষ্ট সহ্য     করেছিলেন।     বর্ণিত    ঘটনা     থেকে      সে    সকল ইসলামী ভাইদের শিক্ষা  গ্রহণ করা  উচিত, যারা  রাতে স্বপ্নদোষ   হওয়ার    পর    পরকালের    ভয়ানক    লজ্জাকে ভুলে  গিয়ে  শুধুমাত্র  পরিবারের  সদস্যদের  লজ্জায়  বা  অলসতার  কারণে গোসল থেকে  বিরত থেকে  ফযরের নামাযের     জামাআত    নষ্ট       করে।    এমনকি    আল্লাহর  পানাহ!  নামায পর্যন্তও কাযা  করে  ফেলে। যখন  কোন কারণে     গোসল   ফরয  হবে  তখনই  আমাদের  গোসল করে       নেয়া    উচিত।    হাদীস    শরীফে     বর্ণিত     আছে: “ফিরিশতারা  সে  ঘরে  প্রবেশ  করে  না,  যে  ঘরে  ছবি,  কুকুর   ও  জুনুবী   ব্যক্তি (অর্থাৎ এমন ব্যক্তি  যার উপর স্ত্রী    সহবাস     বা    স্বপ্নদোষ      বা     যৌন    উত্তেজনাবশত বীর্যপাত হওয়ার কারণে গোসল ফরয হয়েছে) রয়েছে। (সুনানে       আবু       দাউদ,        ১ম       খন্ড,        ১০৯       পৃষ্ঠা, হাদীস-২২৭)</div> <div dir="ltr"> ♦গোসলের পদ্ধতি ♦<br /> মুখে উচ্চারণ না করে প্রথমে মনে মনে এভাবে নিয়্যত করুন,   আমি   পবিত্রতা  অর্জনের  জন্য   গোসল  করছি।  তারপর উভয়   হাত কব্জি পর্যন্ত তিনবার    ধৌত   করুন। তারপর  ইস্তিন্জার   স্থান   যদিও  নাপাকী    থাকুক  বা  না  থাকুক, তারপর শরীরের  কোথাও  নাপাকী থাকলে  তা দূরীভূত    করুন।    অতঃপর   নামাযের    অযুর   মত    অযু  করুন।     কিন্তু    পা    ধৌত     করবেন     না।      তবে    চৌকি ইত্যাদির     উপর     গোসল     করলে     পাও     ধুয়ে     নিন।  অতঃপর    শরীরে   তৈলের     ন্যায়   পানি     মালিশ   করুন বিশেষ  করে  শীতকালে।  (এই  সময়  শরীরে  সাবানও  মালিশ করতে  পারবেন) অতঃপর তিনবার ডান কাঁধে, তিনবার বাম কাঁধে এবং তিনবার মাথা ও সমস্ত শরীরে পানি   প্রবাহিত  করুন।   তারপর   গোসলের  স্থান   থেকে সরে দাঁড়ান। অযু করার সময় যদি পা ধুয়ে না থাকেন তাহলে    এখন   পা    ধুয়ে    নিন।      গোসল   করার    সময় কিবলামুখী হবেন না। হাত দ্বারা সমস্ত শরীর ভালভাবে মেজে নিন। এমন জায়গায় গোসল করা উচিত যেখানে কারো দৃষ্টি  না   পড়ে। যদি তা  সম্ভব  না  হয় পুরুষেরা  নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত একটি মোটা কাপড় দ্বারা সতর ঢেকে   নেবে।   আর   মোটা   কাপড়   পাওয়া   না   গেলে  প্রয়োজনানুসারে  দুইটি  বা  তিনটি  কাপড়  দ্বারা  সতর  ঢেকে    নেবে।    কেননা,    গোসল    করার    সময়    পরনে  পাতলা কাপড়  থাকলে  পানি  পড়ার সাথে  সাথে   তা শরীরের   সাথে  লেগে  যায়  এবং  আল্লাহ্র  পানাহ!   হাঁটু, উরু  ইত্যাদির    আকৃতি   প্রকাশ  পায়।  মহিলাদের  জন্য তো সতর ঢাকার ক্ষেত্রে আরো বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা     প্রয়োজন।    গোসল     করার    সময়    কোন     রকম কথাবার্তা বলবেন না এবং কোন দোয়াও পড়বেন না। গোসলের  পর    তোয়ালে,   গামছা  ইত্যাদি  দ্বারা   শরীর মুছতে         কোন        অসুবিধা        নেই।         গোসলের        পর তাড়াতাড়ি কাপড়  পরিধান  করে নিন  এবং মাকরূহ সময়    না  হলে  গোসলের  পর   দু’রাকাত  নফল  নামায আদায়   করা    মুস্তাহাব।   (আলমগিরী,     ১ম     খন্ড,   ১৪ পৃষ্ঠা। বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৩১৯ পৃষ্ঠা)<br /> ♠গোসলের ফরয তিনটি ♠<br /> (১) কুলি করা, (২) নাকে পানি দেয়া, (৩) সমস্ত শরীরে পানি    প্রবাহিত   করা।   (ফতোওয়ায়ে   আলমগিরী,  ১ম খন্ড, ১৩ পৃষ্ঠা)<br /> ★ কুলি করা<br /> মুখে সামান্য পানি নিয়ে সামান্য নড়াচড়া করে ফেলে দেয়ার   নাম   কুলি  নয়।   বরং  মুখের  ভিতরের    প্রতিটি  অংশে,   প্রান্তে  ও    ঠোঁট  হতে  কণ্ঠনালীর   গোঁড়া  পর্যন্ত প্রতিটি স্থানে পানি পৌঁছাতে হবে। একিভাবে চোয়ালের পিছনে,  গালের   ভিতরস্থ   চামড়াতে,   দাঁতের   ছিদ্র  ও  গোঁড়াতে, জিহ্বার প্রত্যেক পিঠে এবং গলার  গভীরেও পানি     পৌঁছাতে     হবে।     রোযা     অবস্থায়     না    থাকলে  গড়গড়া করাও সুন্নাত। দাঁতের ফাঁকে সুপারির দানা, বিচির  খোসা  ইত্যাদি   আটকে  থাকলে    তা   বের   করে ফেলা আবশ্যক।  তবে   বের করে  নেয়াতে যদি ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে, তাহলে মাফ।  গোসলের পূর্বে    দাঁতের ছিদ্রে  খোসা   ইত্যাদি     অনুভূত  না  হওয়ার  কারণে  তা  নিয়েই নামায আদায় করা হলো কিন্তু  নামায আদায়ের পর তা অনুভূত  হলো, তাহলে  তা  বের  করে  সেখানে   পানি   পৌঁছানো   ফরয।   তবে   ঐগুলো   দাঁতের   ফাঁকে  থাকা অবস্থায় পূর্বে যে  নামায আদায় করা হয়েছিল তা শুদ্ধ  হয়ে  যাবে।  যে   পরা   দাঁত   বিভিন্ন  উপাদান  দ্বারা  জমানো হয়েছিল  বা  তার  দ্বারা বাঁধানো হয়েছিল   কুলি করার   সময়   ঐ   উপাদান   বা   তারের   নিচে    পানি    না পৌঁছলেও    মাফ।   (ফতোওয়ায়ে   রযবীয়া,    ১ম    খন্ড, <a href="tel:439440">৪৩৯-৪৪০</a>   পৃষ্ঠা।  বাহারে  শরীয়াত,   ১ম  খন্ড,  ৩১৬  পৃষ্ঠা)   গোসলে    যে   ভাবে   একবার   কুলি    করা   ফরয, অযুতে সে ভাবে তিনবার কুলি করা সুন্নাত।<br /> ★ নাকে পানি দেওয়া<br /> তাড়াতাড়ি নাকের মাথায় সামান্য পানি লাগিয়ে নিলে নাকে   পানি   দেয়া   বলা   যায়   না   বরং   নাকের   ভিতর  যতটুকু  নরম  জায়গা  আছে  তাতে  এবং  শক্ত  হাঁড়ের  শুরু      পর্যন্ত    পানি    পৌঁছানো     আবশ্যক।     আর    সেটা  এইভাবে   হতে    পারে  যে,  নাকে   পানি   নিয়ে   নিঃশ্বাস টেনে      উপরে     নিয়েই     নাকের     সম্পূর্ণ      স্থানে       পানি পৌঁছানো।   এটা     স্মরণ   রাখবেন!   নাকের   ভিতর   চুল পরিমাণ স্থানও  যাতে অধৌত থেকে না যায়। অন্যথায় গোসল   আদায়   হবে   না।   নাকের   ভিতর   যদি   শ্লেষ্মা  শুকিয়ে যায়, তাহলে তা বের করে নেয়া ফরয। নাকের ভিতরের     লোমগুলোও     ধৌত    করা    ফরয।    (বাহারে শরীয়াত, <a href="tel:442443">৪৪২-৪৪৩</a> পৃষ্ঠা)<br /> ★ সমস্ত শরীরে পানি প্রবাহিত করা<br /> মাথার     চুল  থেকে   পায়ের   তালু  পর্যন্ত    সম্পূর্ণ  শরীরে প্রতিটি অংশে এবং  প্রতিটি  লোমে  পানি  প্রবাহিত করা আবশ্যক।  শরীরে কিছু স্থান এমনও আছে যেগুলোতে   সতর্কতার সাথে পানি পৌঁছানো না হলে তা শুষ্ক থেকে যায়  ফলে  গোসল  আদায়  হয়  না।  (বাহারে  শরীয়াত,  ১ম খন্ড, ৩১৭ পৃষ্ঠা)</div> <div dir="ltr"> ♠গোসলের  ক্ষেত্রে  পুরুষ  ও মহিলা  উভয়ের জন্য    ২১টি সতর্কতা ♠<br /> ❃পুরুষের মাথার চুল যদি বেনী   বাঁধা   হয়,  তাহলে  তা খুলে চুলের  গোঁড়া  থেকে  আগা পর্যন্ত পানি   পৌঁছানো ফরয।    ❃   মহিলাদের   জন্য   শুধুমাত্র    চুলের     গোঁড়া  ভিজিয়ে নেয়া আবশ্যক। চুলের খোঁপা বা বেনী খোলার প্রয়োজন নেই। তবে খোঁপা যদি এমন  শক্তভাবে বাধা  হয়   যে,   তা  খোলা  ব্যতীত  চুলের  গোঁড়া  পর্যন্ত  পানি পৌঁছানো  অসম্ভব,   তাহলে  খোঁপা    খুলে   নিতে   হবে।  ❃যদি কানের দুল এবং নাকের ফুলের ছিদ্র থাকে এবং সেটা যদি বন্ধ না থাকে, তাহলে তাতে পানি  পৌছানো ফরয। অযুতে শুধু  নাকের  ফুলের ছিদ্রে এবং   গোসলে নাক  ও  কান  উভয়ের  ছিদ্রে  পানি  প্রবাহিত  করুন।  ❃  ভ্রু,  গোঁফ  ও  দাঁড়ির  প্রত্যেক  লোমের  গোঁড়া  থেকে  আগা   পর্যন্ত  এবং ঐগুলোর  নিচের  চামড়া ধৌত করা  আবশ্যক। ❃কানের প্রত্যেক অংশ এবং কানের ছিদ্রের মুখ ধৌত করতে হবে,  ❃কানের পিছনের  চুল  থাকলে তা   সরিয়ে  সেখানে  পানি  পৌঁছাতে  হবে।  ❃চিবুক  ও  গলার    সংযোগস্থলে    চেহারা    উত্তোলন    করেই    ধৌত  করতে হবে, ❃  উভয় হাত  ভালভাবে  উত্তোলন  করেই বগল ধৌত  করতে হবে, ❃ বাহুর প্রত্যেক পার্শ্ব   ধৌত  করতে হবে, ❃ পিঠের প্রতিটি অংশ ধৌত করতে হবে, ❃  পেটের  ভাঁজ  উঠিয়েই  পেট  ধৌত  করতে  হবে,  ❃  নাভীতেও   পানি   পৌঁছাতে   হবে,   যদি   নাভিতে    পানি  পৌঁছার ক্ষেত্রে সন্দেহ সৃষ্টি হয় তাহলে নাভিতে  আঙ্গুল ঢুকিয়েই  নাভি ধৌত করতে   হবে,  ❃   শরীরের প্রতিটি লোম গোঁড়া থেকে আগা   পর্যন্ত ধৌত  করতে হবে, ❃ উরু  ও  তল পেটের সংযোগস্থল ধৌত    করতে  হবে, ❃ বসে   গোসল   করলে   উরু   ও  গোড়ালীর  সংযোগ  স্থল ধৌত করার প্রতি  লক্ষ্য  রাখতে    হবে, ❃  বিশেষ করে  দাঁড়িয়ে        গোসল       করার       সময়        উভয়       নিতম্বের সংযোগস্থলে পানি  পৌঁছানোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে, ❃  উরুর মাংসল গোলাকার অংশে এবং  ❃ গোড়ালীর গোলাকার      অংশে     পানি    প্রবাহিত    করতে    হবে,    ❃ পুরুষাঙ্গ     ও     অন্ডকোষের     নিম্নাংশ     পর্যন্ত     এবং     ❃  অন্ডকোষের   নিচের    স্থান   সমূহ   গোড়া    পর্যন্ত   ধৌত করতে হবে। ❃ যার খতনা করা  হয়নি তার পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগের  চামড়া   যদি   উপর   দিকে    উত্তোলন   করা যায়,    তাহলে   চামড়া    উপর   দিকে   উত্তোলন    করেই পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ ধৌত করতে  হবে এবং  পুরুষাঙ্গের চামড়ার  ভিতরও  পানি   পৌঁছাতে   হবে।  (সংক্ষেপিত  বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, <a href="tel:317318">৩১৭-৩১৮</a> পৃষ্ঠা)<br /> ♦(পর্দানশীন) মহিলাদের জন্য ৬টি সতর্কতা ♦<br /> (১)   ঝুলন্ত   স্তনদ্বয়কে    উত্তোলন   করেই  সেখানে   পানি প্রবাহিত করতে হবে, (২) স্তন ও পেটের সংযোগ রেখা ধৌত করতে হবে, (৩)  যোনির বাইরের  প্রতিটি  অংশ, প্রতিটি পার্শ্বের  উপর  থেকে নিচ পর্যন্ত ভালভাবে ধৌত করতে  হবে,   (৪)  যোনির  ভিতরে   আঙ্গুল    ঢুকিয়ে   তা ধৌত  করা  ফরয  নয়  বরং   মুস্তাহাব।  (৫)   হায়েজ    ও  নিফাসের   রক্ত   বন্ধ হওয়ার  পর গোসল করলে একটি পুরাতন কাপড় দ্বারা যোনি পথের ভিতর থেকে রক্তের চিহ্ন পরিস্কার করে  নেয়া  মুস্তাহাব। (বাহারে  শরীয়াত,  ১ম খন্ড, ৩১৮ পৃষ্ঠা)<br /> নখের  সাথে  লেগে থাকে তা নখ থেকে ছাড়িয়ে  নেয়া ফরয নতুবা গোসল আদায় হবে না। তবে মেহেদীর রং থাকলে তাতে কোন অসুবিধা নেই।<br /> ♣ক্ষতস্থানের ব্যান্ডেজ ♣<br /> ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ, পট্টি ইত্যাদি বাঁধা থাকলে এবং তা খুলতে    গেলে   ক্ষতি     বা   অসুবিধার   সম্ভাবনা   থাকলে গোসল করার সময় পট্টি বা ব্যান্ডেজের উপরই মাসেহ করলে  যথেষ্ট  হবে। অনুরূপ  শরীরে  কোন  স্থানে  রোগ বা ব্যথার কারণে পানি প্রবাহিত করা ক্ষতিকর হলে সে স্থানের   সম্পূর্ণ   অঙ্গেই    মাসেহ   করে    নিবে।   পট্টি     বা ব্যান্ডেজ   প্রয়োজনের অতিরিক্ত স্থান বেষ্টন   করে বাঁধা উচিত  নয়। কেননা,  তাতে মাসেহ শুদ্ধ   হবে  না।  যদি  প্রয়োজনের অতিরিক্ত স্থান বেষ্টন করে পট্টি বাঁধা ছাড়া উপায় না থাকে,  যেমন বাহুতে আঘাত প্রাপ্ত হলো কিন্তু গোলাকার করেই বাহুতে  পট্টি  বাঁধা হলো,  ফলে বাহুর অক্ষত  অংশও   পট্টির    আওতায়  চলে  এল    এবং   পট্টি দ্বারা  আবৃত হয়ে   পড়ল, এমতাবস্থায় পট্টি খোলা যদি সম্ভবপর হয় তাহলে পট্টি খোলেই সে অক্ষতস্থান ধৌত করা ফরয। আর যদি পট্টি খোলা অসম্ভব হয় বা সম্ভব হলেও পুনরায়  সে   রকম করে  বাঁধা  অসম্ভব  হয় এবং তাতে ক্ষতস্থানের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে তাহলে সম্পূর্ণ পট্টির     উপরই   মাসেহ    করলে    চলবে।    শরীরের    সে অক্ষত  অংশও   আর  ধৌত  করতে  হবে  না।   (প্রাগুক্ত,  ৩১৮ পৃষ্ঠা)<br /> ♦গোসল ফরয হওয়ার পাঁচটি কারণ ♦<br /> (১) যৌন উত্তেজনার ফলে বীর্য স্বস্থান থেকে পুরুষাঙ্গ বা যোনিপথ  দিয়ে বের  হলে।   (২)  স্বপ্নদোষ  হলে  অর্থাৎ ঘুমন্ত  অবস্থায়  বীর্যপাত   হলে।  (৩)   মহিলার  যৌনাঙ্গে  পুরুষাঙ্গের  অগ্রভাগ তথা কর্তিত অংশ প্রবেশ  করালে। কামোত্তেজনা    বশত হোক বা  না হোক  এবং  বীর্যপাত হোক   বা    না  হোক  সর্বাবস্থায়   উভয়ের   উপর  গোসল  ফরয। (৪) হায়েজ তথা ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পর, (৫) নিফাস তথা সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর যে রক্ত বের হয় তা   বন্ধ   হওয়ার    পর।   (বাহারে   শরীয়াত,   ১ম    খন্ড, <a href="tel:321324">৩২১-৩২৪</a> পৃষ্ঠা)</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgp_mWCI2SK4XvPTXCh-SQ7yjW-kdJJVZ60opXiogJCtE82tzXQRzqF2VioYvMCuMTmjtldpg3v3SLJbm2oJMWbT0mIchxHNHQN6nDEymFyJbBBwfBl1feDsSTIDGt_vkogQnVUWXf81JWI/s1600/images_1513003490551-01.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="173" data-original-width="291" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgp_mWCI2SK4XvPTXCh-SQ7yjW-kdJJVZ60opXiogJCtE82tzXQRzqF2VioYvMCuMTmjtldpg3v3SLJbm2oJMWbT0mIchxHNHQN6nDEymFyJbBBwfBl1feDsSTIDGt_vkogQnVUWXf81JWI/s1600-rw/images_1513003490551-01.jpeg" /></a></div> <div dir="ltr"> <br /> ♣নিফাসের প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা ♠<br /> অধিকাংশ   মহিলাদের   মধ্যে   এটা   প্রসিদ্ধ   যে,   সন্তান  ভূমিষ্ঠ     হওয়ার       পর      মহিলারা      চল্লিশ       দিন     পর্যন্ত আবশ্যিকভাবে    অপবিত্র    থাকে।    এটা     সম্পূর্ণ     ভুল,  বিস্তারিত  ব্যাখ্যা লক্ষ্য  করুন: সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মহিলাদের    যে  রক্ত বের হয়  তাকে  নিফাস বলে। এর সর্বোচ্চ  সময়সীমা   চল্লিশ  দিন।  সন্তান  ভূমিষ্ঠ  হওয়ার  চল্লিশ  দিন  পরও  যদি   ঐ  রক্ত  দেখা  যায়   তাহলে  তা রোগ  হিসেবে  বিবেচিত  হবে।  সুতরাং  চল্লিশ দিন  পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথেই মহিলাদেরকে গোসল করে   পাক পবিত্র   হতে   হবে।  আর   যদি  চল্লিশ  দিন  পূর্ণ   হওয়ার আগেই  ঐ  রক্তস্রাব  বন্ধ  হয়ে  যায়,  চাই  সন্তান  ভূমিষ্ঠ  হওয়ার  এক    মিনিট   পরেই    বন্ধ  হোক   না  কেন,  বন্ধ হওয়ার   সাথে   সাথেই   গোসল  করে   নিতে   হবে  এবং নামায রোযা  যথারীতি   পালন করতে    হবে। আর যদি  চল্লিশ  দিনের  ভিতরে  রক্ত  একবার  বন্ধ  হয়ে  পুনরায়  আবার  দেখা   যায়,  তাহলে  সন্তান   ভূমিষ্ঠ  হওয়ার   পর থেকে শেষ রক্ত  বন্ধ হওয়ার সময় পর্যন্ত সম্পূর্ণ সময়ই নিফাসের  সময়সীমাতে গণ্য হবে। যেমন সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার   পর    দুই   মিনিট   পর্যন্ত   রক্ত    দেখা    গিয়েছিল তারপর বন্ধ হয়ে গেলো এবং সন্তানের মা গোসল করে পবিত্র     হয়ে    নামায-রোযা    ইত্যাদি    যথারীতি     পালন করতে   লাগলো।    চল্লিশ   দিন   পূর্ণ   হওয়ার     মাত্র   দুই মিনিট  বাকী ছিলো   পুনরায়  আবার   রক্ত দেখা গেলো, তাহলে পূর্ণ  চল্লিশ দিনই নিফাসের  সময়সীমাতে   গণ্য  হবে   এবং  চল্লিশ    দিন   যাবৎ  যে  নামায  রোযা  পালন করা হয়েছিল তা   সবই  বৃথা  যাবে।  সে   সময়ের মধ্যে উক্ত  মহিলা   কোন  ফরয  বা ওয়াজীব নামায  বা রোযা কাযা   দিয়ে   থাকলে   তা   পুনরায়   আদায়   করে   দিতে  হবে। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া হতে সংকলিত, ৪র্থ খন্ড, <a href="tel:354356">৩৫৪-৩৫৬</a> পৃষ্ঠা)<br /> ♥পাঁচটি প্রয়োজনীয় মাসয়ালা ♥<br /> (১)   যৌন   উত্তেজনার  কারণে  বীর্য  স্বস্থান    ত্যাগ  করে বের   হয়নি  বরং  ভারী   বোঝা  উঠানোর কারণে বা উঁচু  স্থান  থেকে  নামার  কারণে  বা  মলত্যাগের  জন্য  জোর  দেয়ার   কারণে   বীর্য   বের হলো,  গোসল ফরয হবে না কিন্তু অযু ভেঙ্গে যাবে। (২) যদি যৌন উত্তেজনা ব্যতীত এমনিতেই বীর্যের ফোঁটা পড়ে যায় এবং  প্রস্রার সময় বা  যে  কোন  সময়  উত্তেজনা  ব্যতীত  এমনিতেই  তার  বীর্যের  ফোঁটা   বের  হয়ে  থাকে,  তাহলে  গোসল   ফরয হবে  না  কিন্তু   অযু  ভেঙ্গে   যাবে।  (৩)  যদি  স্বপ্ন  দোষ    হওয়ার  কথা মনে  আছে কিন্তু  এর  কোন  চিহ্ন কাপড়  ইত্যাদিতে দেখা গেলো না, গোসল ফরয হবে না। (৪) নামাযের   মধ্যে   যৌন    উত্তেজনার   কারণে   বীর্য  স্বস্থান ত্যাগ  করতে  অনুভব   হলো  কিন্তু   বের  হওয়ার   পূর্বেই নামায শেষ করে ফেলল,  নামায  শেষ করার   পর  বীর্য বের হলো। নামায   হয়ে যাবে  কিন্তু তার উপর   গোসল ফরয  হবে।  (বাহারে  শরীয়াত,  ১ম   খন্ড,  <a href="tel:321322">৩২১-৩২২</a>  পৃষ্ঠা)    (৫)    হস্ত    মৈথুনের    মাধ্যমে    বীর্যপাত    ঘটালে  গোসল    ফরয   হয়।    হস্তমৈথুন     করা    একটি   গুনাহের কাজ।    হাদীস    শরীফে    হস্ত    মৈথুনকারীকে    মালাঊন  (অভিশপ্ত)  আখ্যায়িত   করা   হয়েছে।    (আমালী   ইবনে বুশরান,  ২য়  খন্ড, ৫  পৃষ্ঠা, নম্বর- ৪৭৭।    হাশিয়াতুত  তাহতাবী     আলা   মারাকিউল   ফালাহ,   ৯৬    পৃষ্ঠা)   হস্ত মৈথুনের   দ্বারা  পুরুষত্ব   দূর্বল  হয়ে  পড়ে,  ফলে  মানুষ বিবাহের  যোগ্যতা  হারিয়ে  ফেলে   এবং   বিবাহ  করতে ভয় পায়।<br /> ♣হস্ত মৈথুনের শাস্তি♣<br /> আ’লা   হযরত,  ইমামে  আহলে   সুন্নাত,  মাওলানা  শাহ আহমদ রযা    খাঁন رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی   عَلَیْہِ  এর খেদমতে আরয করা  হলো: এক ব্যক্তি হস্ত মৈথুন করে,  সে এই খারাপ   অভ্যাস   থেকে    বিরত  থাকে  না।  প্রত্যেকবার  তাকে বুঝানো হয়েছে, এখন  আপনি বলুন, তার হাশর কিরূপ হবে এবং তাকে সে অভ্যাস থেকে মুক্তি লাভের জন্য কি দোয়া পড়তে হবে?<br /> আ’লা হযরতের জবাব: সে গুনাহগার ও অপরাধী।  সে কাজ    বারবার  করার  কারণে  কবীরা   গুনাহকারী  এবং ফাসিক        সাব্যস্ত        হবে।        হাশরের        ময়দানে        হস্ত  মৈথুনকারীরা   গর্ভিত  হাত  নিয়ে   উঠবে।  ফলে  বিশাল জনসম্মুখে  তাদের    অপদস্ত  হতে  হবে।  যদি   তারা   এ কাজ   থেকে   তাওবা   না   করে,   আর   আল্লাহ   তাআলা  যাকে   ইচ্ছা   শাস্তিও   দিতে   পারেন   এবং     যাকে   ইচ্ছা ক্ষমাও    করে   দিতে   পারেন।   এ  অভ্যাস  থেকে  মুক্তি  লাভের    জন্য  হস্ত  মৈথুনকারী ব্যক্তিদের সর্বদা لَا حَوْل শরীফ   পাঠ    করা   উচিত।   যখন   শয়তান     তাদের    এ খারাপ    কাজের    প্রতি   প্ররোচিত   করবে,   তখন   সাথে সাথে আল্লাহ  তাআলার প্রতি ধ্যানমগ্ন হয়ে অধিকহারে لَا    حَوْل    শরীফ    পাঠ    করবে।     সর্বদা     পাঁচ      ওয়াক্ত  নামাযের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে। ফযরের নামাযের পর   নিয়মিত  সূরায়ে  ইখলাস পাঠ করবে।  وَ اللهُ  تَعَالٰی اَعْلَمُ  (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ২২তম খন্ড, ২৪৪ পৃষ্ঠা)<br /> শাজরায়ে  আত্তারীয়্যার  ২১  পৃষ্ঠাতে  উল্লেখ  আছে:  যে  ব্যক্তি প্রতিদিন  ফযরের  নামাযের     পর এগারবার সূরা ইখলাস  পাঠ  করবে,  শয়তান  তার  সৈন্য  সামন্ত   দ্বারা  গুনাহ  করানোর  শত  চেষ্টা    করলেও  তার   দ্বারা   গুনাহ করাতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে নিজ ইচ্ছায় গুনাহ না করে।<br /> ♣প্রবাহিত পানিতে গোসল করার পদ্ধতি ♣<br /> যদি প্রবাহিত  পানি যেমন    সমুদ্রের পানি,   নদীর পানি  ইত্যাদিতে   গোসল করলে  কিছুক্ষণ  পানিতে  ডুব দিয়ে থাকলে তিনবার ধৌত  করা,  ধারাবাহিক, অযু  ইত্যাদি সুন্নাত     আদায়     হয়ে     যাবে,     তিনবার     ধৌত     করার  প্রয়োজন  নেই। আর যদি পুকুর ইত্যাদির বদ্ধ পানিতে গোসল করা হয় তাহলে তিনবার ডুব দিলে বা তিনবার স্থান   পরিবর্তন   করলে   তিনবার   ধৌত    করার    সুন্নাত  আদায় হয়ে যাবে।<br /> রাসুলুল্লাহ    صَلَّی     اللّٰہُ    تَعَالٰی    عَلَیْہِ    وَاٰلِہٖ    وَسَلَّم   ইরশাদ করেছেন:     “যে  ব্যক্তির নিকট  আমার আলোচনা হলো আর  সে  আমার  উপর   দরূদ   শরীফ  পাঠ  করলো   না, তবে সে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে কৃপণ  ব্যক্তি।” (আত্  তারগীব ওয়াত্ তারহীব)<br /> বৃষ্টির   পানিতে   (নল    বা     ফোয়ারার   নিচে   দাঁড়ানো) প্রবাহিত    পানির    মধ্যে    দাঁড়ানোর    হুকুমের    মতো।  প্রবাহিত  পানিতে   অযু  করলে   কিছুক্ষণ   অঙ্গ    পানিতে ডুবিয়ে  রাখলে  তিনবার  ধৌত   করা   হয়ে  যাবে।   আর স্থির   পানিতে   অযু    করলে     অঙ্গকে    তিনবার   পানিতে ডুবালে তিনবার ধৌত করার (সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে) ।  (বাহারে শরীয়াত,  ১ম  খন্ড,   ৩২০ পৃষ্ঠা)  যেখানেই  অযু  বা  গোসল   করে  থাকুক  না  কেন   তাকে  অবশ্যই কুলি করতে হবে এবং নাকে পানি দিতে হবে।<br /> ♣ফোয়ারা (প্রস্রবন) প্রবাহিত পানির হুকুমের অন্তর্ভূক্ত ♣<br /> ফতোওয়ায়ে     আহলে    সুন্নাতে    (অপ্রকাশিত)    উল্লেখ   আছে:     ফোয়ারার     (প্রস্রবনের)     নিচে      গোসল      করা প্রবাহিত পানিতে  গোসল করার মতো। সুতরাং  অযু ও গোসল  করতে  যতটুকু  সময়ের  প্রয়োজন  হয়  ততটুকু  সময়  পর্যন্ত  ঝর্ণা ধারার  নিচে   অবস্থান করলে তিনবার ধৌত করার সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে। অতঃপর “দুররে মুখতার”এ উল্লেখ  আছে:  যদি  কেউ  প্রবাহিত পানিতে  বা    বড়  হাউজে  বা  ঝর্ণাধারার   নিচে   অযু  ও   গোসল করার সময় পর্যন্ত অবস্থান করে তাহলে  সে  পূর্ণ সুন্নাত আদায় করল।  (দুররে   মুখতার, ১ম  খন্ড, ৩২০  পৃষ্ঠা)</div> <div dir="ltr"> ♦♦♦<br /> স্মরণ রাখবেন! গোসল এবং অযুতে কুলি করা ও নাকে পানি দেয়া আবশ্যক।<br /> ফোয়ারাতে গোসল করার সময় সতর্কতা অবলম্বন<br /> যদি       আপনার       ঘরের       গোসল       খানায়         ফোয়ারা  (SHOWER)  থাকে, তাহলে ফোয়ারামুখী হয়ে উলঙ্গ অবস্থায় গোসল করার সময় ভালভাবে লক্ষ্য   রাখবেন, যেন  আপনার  মুখ  বা  পিঠ  কিবলার  দিকে  না  থাকে।  ইস্তিঞ্জাখানাতেও অনুরূপ সতর্কতা   অবলম্বন   করবেন। কিবলার দিকে মুখ বা পিঠ থাকার অর্থ হলো ফোয়ারার ৪৫০    ডিগ্রী    কোণের   ভিতরে     গোসল   করা,   সুতরাং সতর্কতা   অবলম্বন  করতে  হবে   যেন  ফোয়ারার  ৪৫০ ডিগ্রী   কোণের    বাইরে   থেকে   গোসল    করা    না    হয়। অনেক লোক এ মাসয়ালা সম্পর্কে অজ্ঞ।<br /> W.C  কমোট  (ওয়াটার  ক্লজেট)  এর   দিক  ঠিক  করে  নিন<br /> দয়া করে নিজ ঘরের W.C কমোট  ও ফোয়ারার  দিক যদি   তা  ভুল  স্থাপিত  হয়,   তাহলে  তা  সংশোধন  করে নিন।  সর্বাধিক সতর্কতা অবলম্বনের পন্থা হলো, W.C  কমোট এর মুখ কিবলার  দিক হতে ৯০০ ডিগ্রী কোনে স্থাপন করা অর্থাৎ যেদিকে নামাযে সালাম ফিরানো হয় সেদিকে স্থাপন করা। রাজ মিস্ত্রিরা সাধারণত  নির্মাণের সহজতা ও মানান সইয়ের জন্য কিবলার আদবের প্রতি তোয়াক্কা  করে  না।  মুসলমানদের  ঘর  নির্মানের  সময়  ঘরের    অনাবশ্যক     চাকচিক্যের    পরিবর্তে   পরকালের প্রকৃত   সৌন্দর্যের  প্রতি   লক্ষ্য  রেখে    ঘর     নির্মাণ  করা উচিত</div> <br /></div>

ফরজ গোসলের পদ্ধতি

♣অনুপম শাস্তি ♣ হযরত   সায়্যিদুনা   জুনাইদ    বাগদাদী   رَحْمَۃُ  اللّٰہِ   تَعَالٰی عَلَیْہِ  বলেন:     ইবনুল  কুরাইবী  رَحْمَۃُ    الل...

Read more »