প্রশ্নঃ গাউসুল আজম ডাকা কি শিরিক? এর অর্থ কি? আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সাহায্যকারী বিশেষণ ব্যবহার করা যাবে কি?

<p dir="ltr">প্রশ্নঃ গাউসুল আযম, হাজত রওয়া, মুশকিল কুশা এ শব্দগুলোর অর্থ কি� আল্লাহ ব্যতীত এই বিশেষণগুলো আর কারো জন্য বলা কি অপরাধ হবে� আবদুল কাদের জিলানীকে কখন কেন গাউসুল আযম উপাধি দেয়া হয়</p><p dir="ltr">আরিফুল হক (প্রশ্নকারী)<br></p><p dir="ltr"> পটিয়া সরকারী কলেজ।</p> <p dir="ltr">✍উত্তরঃ ‘গাউসুল আযম’ অর্থ বড় সাহায্যকারী, ‘মুশকিল কুশা’ অর্থ বিপদ-আপদ দূরীভূতকারী, ‘হাজত রওয়া’ অর্থ অভাব বা প্রয়োজন পূরণকারী। আল্লাহ্‌ তা’আলার দানকৃত বিশেষ ক্ষমতাবলে আল্লাহর প্রিয় বান্দা তথা প্রকৃত আউলিয়ায়ে কেরাম স্বীয় জাহেরী জীবদ্দশায় বা ইন্তিকালের পরেও তাঁদের কাছে সাহায্য প্রার্থীদেরকে সাহায্য করতে, অভাব অভিযোগ পূরণ করতে এবং বিপদ-আপদ দূরীভূত করতে সক্ষম বিধায় তাঁদেরকে এ সব উপাধি বা বিশেষণ দ্বারা বিশেষিত করা হয়।</p> <p dir="ltr">[<i><b>সহজ ব্যাখ্যাঃ</b></i> by<i><b> (মাসুম বিল্লাহ সানি)</b></i><br> <i>আহলুস সুন্নাহর আকিদা এই যে আল্লাহই একমাত্র দাতা আর সকল সৃষ্টি সাহায্য করার জন্য উসীলামাত্র, যেমনঃ আপনার পিতা-মাতা আপনার ভরন-পোষন, খাওয়া-দাওয়া, লালন-পালন করেন। এটা আপনিও স্বীকার করেন কিন্তু তারা তো উসীলা মাত্র </i>-</p> <p dir="ltr"><i>[হাকিকত তো এই যে →"আল্লাহই একমাত্র সকলকিছুর দাতা আর রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এগুলোর বন্টনকারী।" -সহিহ হাদিস] </i></p> <p dir="ltr"><i>যার ভাগ্যে যতটুকু আছে উসীলার (কোন মাধ্যমের) দ্বারা সে তা পেয়ে থাকে, ভোগ করে থাকে। দেহের মালিক, মনের মালিক, জমির মালিক, টাকার মালিক, ধন সম্পত্তির মালিক ইত্যাদি অনেক কিছুর মালিক অমুক তমুক বলা হয়ে থাকে (কিন্তু আল্লাহই একমাত্র মালিক এরা (বান্দাগণ) এগুলোর ক্ষণস্থায়ী ব্যবহারকারী মাধ্যম/উসীলা/মালিক। এগুলো রূপক অর্থে প্রকৃতপক্ষে মালিক এক আল্লাহই তেমনি অলীগণ সহ যেকোন সৃষ্টির নিকট সাহায্য প্রার্থনা যদি এই আকিদায় হয়ে থাকে তবে ঠিক আছে নতুবা যেকেউ এই ধারণা পোষণ করে যে, আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত কেউ নিজে নিজে স্বয়ংসম্পূর্ণ বা সাহায্য করতে পারে এভাবে মানা শিরিক হবে।]</i></p> <p dir="ltr">আউলিয়ায়ে কেরামের জীবন এ ধরনের ঘটনায় পরিপূর্ণ। যাদের হৃদয়ে কপটতা এবং ঈমানের দূর্বলতা রয়েছে তারা ব্যতীত আউলিয়ায়ে কেরামের ওই সব কামালাত তথা কারামাতসমূহ কেউ অস্বীকার করে না। কারণ, আল্লাহ তা’আলার দানকৃত ক্ষমতা বলে মানুষের বিপদ আপদে সাহায্য করা, অভাব-অভিযোগ দূর করা, প্রয়োজন পূর্ণ করার ঘটনা আল্লাহর অলীগণের পবিত্র জীবনে বা ওফাতোত্তরকালে এমন অধিকসংখ্যক হারে সংগঠিত হয়েছে এবং এ সব ঘটনা এমন সব লোকেরা বর্ণনা করেছেন, যাঁদের বর্ণনায় বিশ্বাস স্থাপন করা একজন ঈমানদার লোকের জন্য অপরিহার্য। সুতরাং আল্লাহ ছাড়া তাঁর ক্ষমতা ও দয়াপ্রাপ্ত আল্লাহর অলীগণের বেলায় এসব বিশেষণ বলা তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নামান্তর। তা অপরাধ বা অবৈধ হওয়ার কোন কারণ নেই।</p> <p dir="ltr">আর ‘গাউসুল আযম’ শব্দের অর্থ যদিও ‘বড় সাহায্যকারী’ কিন্তু এটা বেলায়তের সর্বোচ্চস্তরের নাম। এটাকে ‘গাউসিয়তে কুবরা’ও বলা হয়। প্রত্যেক যুগে ‘গাউসুল আযম’ পদে একজন অধিষ্ঠিত থাকেন। প্রত্যেক যুগে একজন গাউসুল আযমের দু’জন অধঃস্তন থাকেন। একজনের অবস্থান ডানে অন্যজনের বামে। এ ক্ষেত্রে বামে অবস্থানকারী ডানের চেয়ে উত্তম হয়ে থাকেন। কারণ, মানুষের ‘ক্বল্‌ব’র স্থান হলো বাম দিকে।</p> <p dir="ltr">হযরত সিদ্দীক-ই-আকবর হুজূর পাক [ﷺ]’র বামে অবস্থানকারী ছিলেন আর ফারূক্ব-ই-আযম [رضي الله عنه] ছিলেন ডানে। হাবীবে কিবরিয়া [ﷺ]’র উসিলায় উম্মতের মধ্যে সর্বপ্রথম ‘গাউসুল আযম’র পদ মর্যাদায় হযরত আবূ বকর সিদ্দীক [رضي الله عنه] লাভ করেন। হযরত ফারূক-ই-আযম ও হযরত উসমান গণী যুন্নূরাঈন [رضى الله عنهما] তাঁর দু’জন অধঃস্তন নিযুক্ত হন। তাঁর ইন্তিকালের পর হযরত ফারূক-ই-আযম গাউসুল আযম’র মহান পদ লাভে ধন্য হন আর হযরত উসমান গণী ও হযরত মাওলা আলী [رضى الله عنهما] তাঁর অধঃস্তন নিযুক্ত হন। তার পর হযরত উসমান গণী [رضي الله عنه] গাউসিয়তের মার্যাদায় অভিষিক্ত হন। হযরত মাওলা আলী ও হযরত ইমাম হাসান [رضى الله عنهما] তাঁর দু’জন অধঃস্তন নিযুক্ত হন। তারপর হযরত মাওলা আলী (কার্‌রমাল্লাহু ওয়াজহাহূ) গাউসুল আযম পদ লাভ করেন। হযরত ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন [رضى الله عنهما] তাঁর অধঃস্তন নিযুক্ত হন। অতঃপর ইমাম হাসান [رضي الله عنه] থেকে হযরত ইমাম হাসান আসকারী [رضي الله عنه] পর্যন্ত পর পর সকলেই আল্লাহ্‌ প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতাবলে ‘গাউসুল আযম’ পদ লাভে ধন্য হন। ইমাম আসকারী [رضي الله عنه] হতে হযরত পীরানে পীর আবদুল কাদের জিলানী [رضي الله عنه] পর্যন্ত যত জন এসেছেন তাঁরা সবাই ইমাম আসকারী [رضي الله عنه]’র নায়েব ছিলেন। তারপর হযরত পীরানে পীর শায়খ সায়্যিদ সুলতান আবদুল কাদের জিলানী [رضي الله عنه] স্বতন্ত্র ‘গাউসিয়ত-ই-কুবরা’ এর মহান পদে অধিষ্ঠিত হন। তাই তিনি ‘গাউসুল আযম’।</p> <p dir="ltr">হযরত গাউসুল আযম আবদুল কাদের জিলানী [رضي الله عنه]র বেসালের পর ইমাম মাহ্‌দী [رضي الله عنه] এর আগমন পর্যন্ত পৃথিবীতে যত ‘গাউস’ বা ‘কুতুব’ জন্ম গ্রহণ করেছেন ও করবেন তাঁরা সবাই হুজূর গাউসুল আযম আবদুল কাদের জিলানী [رضي الله عنه]’র নায়েব বা প্রতিনিধি হবেন। সর্বশেষ ইমাম মাহ্‌দী [رضي الله عنه]'কে ‘গাউসিয়ত-ই-কুবরা তথা গাউসুল আযম’ এর মহা মর্যাদা দান করা হবে।</p> <p dir="ltr">[মালফূযাতে আ’লা হযরত, ১ম খণ্ড, ১০৩ পৃষ্ঠা এবং হযরত কাজী সানা উল্লাহ্‌ পানিপথী [رحمه الله عليه] কৃত: আস্‌সায়দুল মাসলুল, পৃষ্ঠা ৫২৭-৫২৮।]</p> <p dir="ltr">সুতরাং, উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝা গেল যে, গাউসুল আযম এটা বেলায়তের সর্বোচ্চ পদ। এটাকে গাউসিয়তে কুবরা বা গাউসিয়তে উজমাও বলা হয়। এটা আল্লাহ্‌ তায়ালার পক্ষ থেকে প্রাপ্ত উপাধি। আল্লাহ্‌ যাকে ইচ্ছে করেন তাঁকে এ মহা বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত করেন। নেক আমলের দ্বারা এ মর্যাদা অর্জন করা যায় না। তাই প্রত্যেক যুগের সমস্ত গাউস, কুতুব, আবদাল বেলায়তের এ সব স্তরে পৌঁছতে গাউসুল আযম [رضي الله عنه]’র ফুয়ূজাত ও বারাকাতের দিকে মুখাপেক্ষী।</p> <p dir="ltr">যেমন আল্লামা আবদুল কাদির আরবুলী [رحمه الله عليه] কৃত ‘তাফরীহুল খাতির’ (تفريح الخاطر) কিতাবে উল্লেখ আছে যে-</p> <p dir="ltr">سيدنا عبد القادر الشيخ السيد عبد الاعظم لانه كلما ذكر الغوث فالمراد به هو رضى الله عنه لانه مخاطب من الحق به كذا ذكر فى الغوثية </p> <p dir="rtl">অর্থাৎ হযরত শায়খ সায়্যিদ আবদুল কাদির [رضي الله عنه] আল্লাহর মহানবান্দা। কারণ, যখন ‘আল্‌ গাউস’ বলে স্মরণ করা হয় তখন তা দ্বারা শুধু তাঁকেই বুঝানো হয়। কারণ, তিনি এ উপাধি আল্লাহ্‌ তা’আলার পক্ষ থেকে প্রাপ্ত হন।</p> <p dir="ltr">উক্ত গ্রন্থে আরো উল্লেখ আছে যে, যখন আল্লাহ্‌ তা’আলা তাঁর কোন বান্দাকে ‘বেলায়ত’ বা অলী করতে চান তখন  এ বলে নির্দেশ দেয়া হয় যে, ان ياخذوه بحضور المصفطى صلى الله عليه وسلم  অর্থাৎ তাঁকে হুজূর পুরনূর [ﷺ] এর দরবারে পেশ করা হোক। যখন তাঁকে নবী করীম [ﷺ] এর দরবারে পেশ করা হয় তখন হুজূর আন্‌ওয়ার [ﷺ] এরশাদ করেনঃ</p> <p dir="ltr">خذوه الى ولدى لسيد عبد القادر يرى لياقته واستحقاقه بمنصب الولاية <br> অর্থাৎ তাঁকে আমার প্রিয় আওলাদ আস্‌সায়্যিদ আবদুল কাদির এর কাছে নিয়ে যাও, তিনি তাঁর যোগ্যতা দেখেন এবং এও দেখেন যে, সে এ পদের উপযুক্ত কি না। হুকুম মত তাঁকে হযরত গাউসুল আযম [رضي الله عنه]’র খিদমতে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি ওই ব্যক্তিকে বেলায়তের উপযুক্ত দেখলে তাঁর নাম অলীদের দফতরে লিখে সীল মেরে দেন। তারপর তাঁকে হুজূর পাক [ﷺ] এর দরবারে উপস্থিত করা হয় আর হুজূর গাউসে পাক [رضي الله عنه] এর লিখা মুতাবিক নবী করীম [ﷺ]’র নির্দেশ মত তাঁকে বেলায়তের পোশাক পরিধান করানো হয়, যা হুজূর গাউসে পাক [رضي الله عنه]'র পবিত্র হাত দিয়ে দান করা হয়। সে ওই পোশাক পরে নেন এবং অদৃশ্য ও দৃশ্য সকল জগতে তিনি আল্লাহর অলী হিসেবে মান্যবর ও গ্রহণীয় হয়ে যান।</p> <p dir="ltr">فهذه العهدة متعلقة بحضرة الغوث الى يوم القيامة وليس لاحد من الاولياء الكرام مماثلة ومشاركة مع الغوث فى هذا المقام ففى كل عصر وزمان تستفيض من حضرته الاقطاب والغوث وجميع الاولياء  </p> <p dir="rtl">অর্থাৎ সুতরাং, এ মর্যাদায় কিয়ামত পর্যন্ত হযরত গাউসে পাক [رضي الله عنه] অধিষ্ঠিত থাকবেন। এ মর্যাদায় কোন অলী তাঁর সমকক্ষ ও অংশীদার নেই। প্রত্যেক যুগের গাউসগণ, কুতুবগণ ও সমস্ত অলীআল্লাহ্‌ তাঁর থেকে কল্যাণ ও বরকত লাভ করতে থাকবেন।</p> <p dir="ltr">[ইমাম আবদুল কাদির আরবুলী [رحمه الله عليه] কৃত ‘তাফরীহুল খাতির’ পৃষ্ঠা ৩৮-৩৯ মিসর থেকে মুদ্রিত]</p> <p dir="ltr">এদিকে ইঙ্গিত করে হযরত গাউসে পাক [رضي الله عنه] তাঁর স্বীয় এক কসীদায় এরশাদ করেছেন-</p> <p dir="ltr">افلت شموس الاولين وشمسنا ابدًا على افق العلى لا تغرب</p> <p dir="rtl">অর্থাৎ আমার পূর্ববর্তী সকল অলীগণের সূর্য অস্তমিত হয়ে গেছে, কিন্তু বেলায়তের আকাশে আমি আবদুল কাদির জিলানীর সূর্য কখনো অস্তমিত হবে না। অর্থাৎ আমার গাউসিয়তের ফুয়ূজাত কিয়ামত পর্যন্ত সর্বদা জারী থাকবে।</p> <p dir="ltr">[মাযহারে জামালে মোস্তফায়ী কৃত. সৈয়দ নাসিরুদ্দিন হাশেমী]</p> <p dir="ltr">উল্লেখ্য যে, সাহায্যকারী, মুশকিল আসানকারী, বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণদানকারী অভাব মোচনকারী ও প্রয়োজন পূরণকারী হাকীকত বা প্রকৃত অর্থে সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌ জাল্লা জালালুহূর বিশেষ গুণ- এ কথা চির সত্য। প্রত্যেক প্রকৃত ঈমানদারের আক্বীদা-বিশ্বাসও এরকমই। তবে আল্লাহর প্রিয় অলী ও বন্ধুগণ আল্লাহ্‌ প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতা বলে আল্লাহর খাস দয়ায় আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হয়ে আল্লাহর বান্দাদের প্রতি তাঁরা ইন্তিকালের আগে ও পরে বিভিন্ন প্রকারের সাহায্য করে থাকেন, বালা-মুসিবত থেকে পরিত্রাণ দিয়ে থাকেন। প্রয়োজন পূরণ করে থাকেন। এটা (مجاز /মাজায ) বা রূপক অর্থে ব্যবহৃত। যা কোরআন-সুন্নাহ ও শরীয়ত সমর্থিত। যেমনঃ বর্তমানেও আরব বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যার জিম্মায় প্রবাসীরা কাজ-কর্ম ও চাকুরি ইত্যাদি করে থাকেন, তাকে কাফীল (كفيل) বলা হয় এটাও মাজায বা রূপক অর্থে। </p> <p dir="ltr">তদুপরি সহীহ বুখারী শরীফে হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরায়রা [رضي الله عنه] কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে কুদসীতে মহান রব্বুল আলামীন এরশাদ করেন যে, আমার প্রিয় বান্দাগণ বেশি বেশি নফল এবাদতসমূহের মাধ্যমে যখন আমার প্রিয় পাত্র হয়ে যান- তখন আমি তাঁর হাত হয়ে যাই, যে হাত দিয়ে সে ধরে, আমি তার পা হয়ে যাই, যে পা দিয়ে সে চলাফেরা করে, আমি তাঁর কান হয়ে যাই, যা দ্বারা সে শুনে এবং আমি তার চক্ষু হয়ে যাই, যা দ্বারা সে দেখে। [মিশকাত ও সহীহ্ বোখারী, ২য় খন্ড.পৃ. ৯৬৩]</p> <p dir="ltr">সুতরাং, উপরোক্ত বিশেষণসমূহ আল্লাহর প্রিয় বন্ধু তথা হক্কানী অলী, গাউস, কুতুব, আবদালের জন্য ব্যবহার করা শির্‌ক বা অবৈধ হওয়ার প্রশ্নই আসেনা। বরং এর উপর আপত্তি করাটা নিছক মুর্খতার নামান্তর। তবে এ জাতীয় বিশেষণ দ্বারা আউলিয়ায়ে কেরামকে ভূষিত করা হক্কানী আউলিয়া কেরামের মাধ্যমে আল্লাহর বিশেষ কুদরাত বা ক্ষমতা ও দয়া প্রকাশই উদ্দেশ্য। যেহেতু আল্লাহর খাস বান্দাগণ আল্লাহর কুদরত ও মহিমার প্রকাশস্থল। তথা তাঁরা হলেন মাযহারে জামালে ইলাহী। সুতরাং এ জাতীয় বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করে কোরআন হাদীস, তাফসীর, ফিক্ব্‌হ্‌-ফতোয়ার নির্ভরযোগ্য গ্রন্থসমূহ পর্যালোচনা করার নিবেদন রইল। পরম করুণাময় সবাইকে প্রকৃত আউলিয়ায়ে কেরামের শান-মান বুঝার তাওফীক দান করুন।</p> <p dir="ltr">[মসনবী শরীফ, কৃত: ইমাম জালালুদ্দীন রূমী ও মালফূজাতে আ’লা হযরত [رحمه الله عليه] ইত্যাদি।]</p> <p dir="ltr">উল্লেখ্য যে, যাকে তাকে গাউসূল আযম বলা আর কেউ না বললে তাকে গুন্ডাবাহিনী দ্বারা রক্তাক্ত করে দেয়া সম্পূর্ণ ভণ্ডামী এবং শরিয়ত তরিকতের নামে এক মহাকলঙ্ক। তাদের খপ্পর ও ষড়যন্ত্র হতে দুরে থাকার পরামর্শ রইল।</p> <p dir="ltr">[সূত্র. যুগ-জিজ্ঞাসা, পৃ.২৩-২৭]<br> ।।।<br> মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান আলকাদেরী<br> প্রধান ফকিহ্-জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া, চট্টগ্রাম।<br> যুগ জিজ্ঞাসা (প্রশ্ন-উত্তর)<br> প্রচারেঃ <a href="http://www.facebook.com/SunniAqidah">www.facebook.com/SunniAqidah</a><br> প্রকাশনায় : আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট<br> ৩২১ দিদার মার্কেট, দেওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম।<br> <a href="www.anjumantrust.org">www.anjumantrust.org</a></p> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEizvqEsWTgcRhfksfMbPW0nzAGyLyGDpoaWLNBAFpDdZslgnNKTR69cjVn49qI0DmezaFw86jRPF7HUvQN8ELVTecqxRPvr6yWvdXnVITQovFE6c8Q08vx9t7EZRcYWmGcbvNUfyUXgyO0/s1600/FB_IMG_1516458745192.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEizvqEsWTgcRhfksfMbPW0nzAGyLyGDpoaWLNBAFpDdZslgnNKTR69cjVn49qI0DmezaFw86jRPF7HUvQN8ELVTecqxRPvr6yWvdXnVITQovFE6c8Q08vx9t7EZRcYWmGcbvNUfyUXgyO0/s640-rw/FB_IMG_1516458745192.jpg"> </a> </div>

প্রশ্নঃ গাউসুল আজম ডাকা কি শিরিক? এর অর্থ কি? আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সাহায্যকারী বিশেষণ ব্যবহার করা যাবে কি?

প্রশ্নঃ গাউসুল আযম, হাজত রওয়া, মুশকিল কুশা এ শব্দগুলোর অর্থ কি� আল্লাহ ব্যতীত এই বিশেষণগুলো আর কারো জন্য বলা কি অপরাধ হবে� আবদুল কাদের জিলান...

Read more »

কুরআন হাদিসের আলোকে রাসূলুল্লাহ ﷺ হাজির-নাজির (কিতাব: ফতোয়ায়ে আহলে সুন্নত-পর্ব ২)

<p dir="ltr"><i><b>কিতাবঃ ফতোওয়ায়ে আহলে সুন্নাহ ২৫,২৬,২৭,২৮</b></i><br> <i><b>লেখকঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বাহাদুর</b></i><br> <i><b>Edited by (Masum Billah Sunny)</b></i></p> <p dir="ltr"><b>আল-কুরআনের আলোকে রাসূলুল্লাহ ﷺ হাজির নাজিরঃ</b></p> <p dir="ltr">“আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি ।" (আল-আম্বিয়া ১০৭)</p> <p dir="ltr">অন্যত্র বলা হয়েছে,<br> “আমার রহমত প্রত্যেক কিছুকেই পরিবেষ্টন করে আছে।" (সূরা আ'রাফ, আয়াত ১৫৬)</p> <p dir="ltr">বোঝা গেল যে, রাসূল (ﷺ) বিশ্ব চরাচরের জন্য রহমত<br> স্বরপ এবং রহমত সমগ্ৰ বিশ্বকে পরিবেষ্টন করে রয়েছে।</p> <p dir="ltr">“হে মাহবুব এটা আল্লাহর অভিপ্রেত (কাম্য) নয় যে আপনি তাদের মধ্যে অবস্থান কালে আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন ।<br> (সূরা আনফাল, আয়াত ৩৩)</p> <p dir="ltr">অর্থাৎ খোদার কঠিন শাস্তি তারা পাচ্ছে না এজন্য যে, আপনি তাদের মধ্যে রয়েছেন ।<br> আর, সাধারণ ও সর্বব্যাপী আযাব তো কিয়ামত পর্যন্ত কোন জায়গায় হবে না।<br> '<br> <i><b>হাযির-নাযির বিষয়ক হাদিস সমূহের বর্ণনা</b></i></p> <p dir="ltr">(হাদিস ১)</p> <p dir="ltr">♥ সুবিখ্যাত হাদিস গ্রন্থ মিশকাত শরীফের ‘ইছবাতু আযাবিল কবর' শীর্ষক অধ্যায়ে হযরত আনাস বিন মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছেঃ</p> <p dir="ltr">"মুনকার-নকীর ফিরিশতাদ্বয় কবরে শায়িত মৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করবেন, ওনার<br> (মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ ﷺ) সম্পর্কে তুমি কি ধারণা পোষন করতে? </p> <p dir="ltr">Reference:<br> ★ খতিব তিবরিযী । মেশকাত ১/৪৫ পৃ. হাদিসঃ ১২৬, <br> ★ মুসলিমঃ আসসহীহ : ৪/২২০০ হাদিসঃ<br> ১৮৭০, <br> ★ বুখারী ও আস-সহীহঃ ৩/২০৫, হাদিসঃ  ১৩৩৮, <br> ★ মুসলিমঃ আস-সহীহঃ ১/৪৪২ হাদিস : ৭০,<br> ★ নাসায়ীঃ সুনানে কোবরাঃ ৪/৯৭ পৃ. হাদিসঃ ২০৫১, <br> ★ আবু দাউদঃ আফু-সুনান ৫৫/১১৪ পৃ- হাদিস ৪৭৫২</p> <p dir="ltr">♦ এ হাদিস প্রসঙ্গে ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (রহঃ) লিখেনঃ</p> <p dir="ltr">“মুসলিম শরিফের ব্যাখ্যাকার ইমাম নববী (রহ) বলেন, মৃত ব্যক্তির দৃষ্টি থেকে আবরণ উঠিয়ে নেয়া হয়, যার ফলে সে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখতে পায়। এটা তার জন্য বড়ই শুভ সংবাদ । যদি সে সঠিক পথে থাকে। <br> Reference :<br> ★ ইমাম সুয়ূতি, শরহে সুনানে ইবনে মাযাহ, ১/৩১৬পৃ. হাশীয়ায়ে মেশকাত ২৪ পৃ. নূর মুহাম্মদ কুতুবখানা, করাচী, পাকিস্তান।</p> <p dir="ltr">তাই রাসূল (ﷺ) সর্ব অবস্থায়ই হাযির-নাযির আছেন। আমরা আমাদের পাপ রাশির কারণে দেখিনি। </p> <p dir="ltr">ইমাম কুস্তালানী (রহ.) এ হাদিসের ব্যাখ্যায় লিখেনঃ</p> <p dir="ltr">-"এও বলা হয়েছে যে, তখন মৃত ব্যক্তির দৃষ্টির আবরণ অপসারণ করা হয়, যার দরুণ সে নবী আলাইহিস সালামকে দেখতে পায় । <br> এটি মুসলমানদের জন্য বড় সুখের বিষয়,<br> যদি সে সঠিক পথে থাকে ।”<br> Reference :<br> ★ ইমাম কুস্তালানীঃ ইরশাদুস-সারীঃ ২/৪৬৪পৃ.</p> <p dir="ltr">আহলে হাদিসদের ইমাম আযিমাবাদী এবং<br> মোবারকপুরীও অনুরূপ তাদের হাদিসের ব্যাখ্যা গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন ।<br> Reference :<br> ★ আযিমাবাদী, আবুল মা'বুদ, ১৩৬২পৃ.<br> ★ মোবারকপুরীঃ তুহফাতুল আহওয়াজী৪/১৫৫পৃ.</p> <p dir="ltr">(হাদিস ২) </p> <p dir="ltr">♥ মিশকাত শরীফে হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ</p> <p dir="ltr">-“হযরত যায়েদ, জাফর ও ইবন রাওয়াহা (রিদওয়ানুল্লাহে আলাইহিম আজমায়ীন) প্রমুখ।<br> সাহাবীগণের শাহাদত বরণের সংবাদ যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আসার আগেই হযুর ﷺ মদীনার লোকদেরকে উক্ত সাহাবীগণের শহীদ হওয়ার কথা জানিয়ে দেন। তিনি বলেনঃ পতাকা এখন হযরত যায়দের (রাঃ) হাতে, তিনি শহীদ হয়ে গেলেন। শেষ পর্যন্ত ‘আল্লাহর তলোয়ার' উপাধিতে ভূষিত সাহাবী হযরত খালেদ বিন ওয়ালীদ (রাঃ) ঝাণ্ডা হাতে নিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা তাঁকে জয় যুক্ত করলেন।”<br> Reference :<br> ★ খতিব তিবরিযী, মিশকাত । ৪/৩৮৪ পৃ. হাদিস : ৫৮৮৯,<br> ★ বুখারীঃ আস-সহীহঃ ৭৫১২ পৃ: হাদিস : ৪২৬২</p> <p dir="ltr">এতে বোঝা গেল, মদীনা থেকে অনেক দূরে অবস্থিত যুদ্ধ ক্ষেত্র (বেরে মউনায়) যা কিছু হচ্ছিল, হুযুর ﷺ তা' সুদূর মদীনা থেকে অবলোকন করছিলেন।</p> <p dir="ltr">(হাদিস ৩)</p> <p dir="ltr">♥ মিশকাত শরীফের ২য় খণ্ডে হযরত উকবা বিন আমের (রাঃ) হতে উল্লেখিত আছেঃ</p> <p dir="ltr">“তোমাদের সঙ্গে আমার পুনরায় সাক্ষাতকারের জায়গা হল ‘হাউজে কাউছার’ যা আমি এখান থেকেই দেখতে পাচ্ছি ।"<br> Reference :<br> ★ খতিব তিবরিযী ও মিশকাত ৪/৪০২ পৃ. হাদিস : ৫৯৫৮, <br> ★ বুখারীঃ আস-সহীহঃ ৭/৩৪৮ হাদিসঃ<br> ৪০৪২, <br> ★ মুসলিমঃ আসসহীহঃ ৪/১৭৭৫ হাদিসঃ ২২৯৬, <br> ★ নাসায়ীঃ সুনানে কোবরাঃ ৪/৫১ পৃ. হাদিসঃ<br> ১৯৫৪, <br> ★ আহমদ ইবনে হাম্বলঃ আল মুসনাদঃ ৪/১৪৮পৃ., <br> ★ মুসলিম : আস-সহীহ ঃ প্রথম খণ্ড, হাদিস : ৩০<br> কোথায় হাওজে কাউছার কোথায় নবীজি! অথচ সেটি নবীজির সামনেই অর্থাৎ হাযির-নাযির ছিল ।</p> <p dir="ltr">(হাদিস ৪)</p> <p dir="ltr">♥ মিশকাত শরীফে আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত<br> আছেঃ</p> <p dir="ltr">-“নামাযে তোমাদের কাতার সোজা রাখ’ জেনে রাখ, আমি তোমাদেরকে পেছনের দিক<br> থেকেও দেখতে পাই।"<br> Reference :<br> ★ খতিব তিবরিযী । মিশকাত ১/২১৭ পৃ. হাদিস :১০৮৬, <br> ★ বুখারী । আস-সহীহ : কিতাবু-সালাত ৷<br> ২/২০৮ হাদিস : ৭১৯, <br> ★ আবু নঈম ও দালায়েলুল নবুয়ত : পৃ. ৭১, হাদিস : ৫৬, <br> ★ আবু আওয়ানাহ ও আল<br> মুসনাদ : ১/৪৬২, হাদিস ১৭১৭<br> ★ মুসলিম : আস-সহীহ /৩৪ পৃ. হাদিস : ৪৩৪, <br> ★ নাসায়ী ৷ আস সুনানুল কোবরা । ২৯২ পৃ. হাদিস : ৮১৪</p> <p dir="ltr">(হাদিস ৫)</p> <p dir="ltr">♥ সুপ্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থ তিরমিযী শরীফ’ ২য় খণ্ডের ‘বাবুল ইলম’ অধ্যায়ে হযরত আবু দারদা (রা.) হতে বর্ণিত আছে।</p> <p dir="ltr">-“একদা আমরা হযুর ﷺ এর সাথেই ছিলাম । তিনি আসমানের দিকে দৃষ্টি<br> করে বললেনঃ ইহা সে সময়, যখন জনগণ থেকে জ্ঞান ছিনিয়ে নেয়া হবে। শেষ পর্যন্ত তারা এ জ্ঞানের কিছুই ধারণ করতে পারবে না । "<br> Reference :<br> ★ ইমাম তিরমিজী: কিতাবুল ইলম ৫৫/৩১ হাদিসঃ ২৬৫৩</p> <p dir="ltr">এ হাদীসের ব্যাখ্যায় হাদীসের সুবিখ্যাত ভাষ্যকার মোল্লা আলী কারী (রাঃ) তাঁর রচিত মিরকাত" এর কিতাবুল ইলম' এ বলেছেনঃ</p> <p dir="ltr">→ ইমাম তিব্বী (রহ.) বলেন, হুযুর ﷺ যখন আসমানের দিকে তাকালেন তখন তাঁর নিকট প্রকাশ পায় যে তাঁর পরলোক গমনের সময় ঘনিয়ে আসছে। তখনই<br> তিনি সে সংবাদ দিয়েছিলেন ।"<br> Reference :<br> ★ ইমাম মোল্লা আলী কারী ! মেরকাত ৫১/৩২০পৃ. হাদিস : ২৪৫</p> <p dir="ltr">(হাদিস ৬)</p> <p dir="ltr">♥ মিশকাত শরীফের ২য় খণ্ডে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছেঃ </p> <p dir="ltr">হযরত উমর (রাঃ) হযরত সারিয়া (রাঃ) কে এক সেনা বাহিনীর অধিনায়ক নিযুক্ত করে ‘নেহাওয়ানন্দ' নামক স্থানে পাঠিয়েছিলেন। এরপর একদিন উমর ফারুক (রাঃ) মদীনা মুনাওয়ারায় খুতবা পাঠের সময় চিৎকার করে <br> উঠলেন। হাদীছের শব্দগুলো হলঃ</p> <p dir="ltr">-"হযরত উমর (রাঃ) মদীনা মুনাওয়ারায় খুতবা পড়ার সময় চিৎকার করে বলে উঠলেন<br> ওহে সারিয়া ! পাহাড়ের দিকে পিঠ দাও । বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর উক্ত সেনাবাহিনী থেকে বার্তা বাহক এসে জানানঃ আমাদিগকে শত্রুরা প্রায় পরাস্ত করে ফেলেছিল। এমন সময় কোন এক আহবানকারীর ডাক শুনতে পেলাম। উক্ত অদৃশ্য আবানকারী বলেছিলেনঃ ওহে সারিয়া ! পাহাড়ের শরণাপন্ন হও । তখন আমরা পাহাড়কে পিঠের পেছনে রেখে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলাম । এরপর আল্লাহ আমাদের প্রতি সহায় হলেন, ওদেরকে পরাস্ত করে দিলেন।"<br> Reference :<br> ★ খতিৰ তিবরিযী ! মেশকাত ও ৪/৪৪৬ পৃ. হাদিস : ৫৯৫৪,<br> ★ ইমাম বায়হাকী : দালায়েলুল নবুয়ত : ৬/৩৭০ পৃ.<br> ★ ইমাম ইউসূফ নাবহানী : হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামীন ? ৬১২-৬১৩ পৃ,<br> ★ ইমাম আবু নঈম ইম্পহানী : দালায়েলুল নবুয়ত : পৃ. ৫১৮-৫১৯,<br> ★ মুত্তাকী হিন্দী : কানযুল উম্মাল ৫৭১ পৃ. হাদিস : ৩৫৭৮৮,<br> ★ বায়হাকী ৷ কিতাবুল ইতিকাদ : ২০৩ পৃ.</p> <p dir="ltr">(হাদিস ৭)</p> <p dir="ltr">♥ হযরত হারিছ ইবনে নুমান (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, একবার আমি (হারিছ) হযুর<br> আলাইহিস সালামের খিদমতে উপস্থিত হই। সরকারে দু'জাহান আমাকে জিজ্ঞাস করলেন, হে হারিছ, তুমি কোন অবস্থায় আজকের এ দিনটিকে পেয়েছ?" আরয করলামঃ<br> খাঁটি মুমিন। পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেনঃ <br> তোমার ঈমানের স্বরূপ কি? আরয করলামঃ</p> <p dir="ltr">-“আমি যেন খোদার আরশকে প্রকাশ্যে দেখছিলাম । জান্নাতবাসীদেরকে পরস্পরের সঙ্গে সাক্ষাত করতে এবং দোযখবাসীদেরকে অসহনীয় যন্ত্রণায় হট্টগোল করতে দেখতে পাচ্ছিলাম।"</p> <p dir="ltr">Reference :<br> ★ ইমাম আবি শায়বাহ, আল-মুসান্নাফ, ৬/১৭০ পৃ. হাদিস : ৩o৪২৩-২৫, মাকতাবাড়ুর রাশাদ, রিয়াদ, সৌদিআরব।<br> ★ ইমাম আব্দুর রাযাক, জামেউ মামার বিন রশীদ, ১১/১২৯. হাদিস : ২০১১৪<br> ★ ইমাম ইবনে মোবারক : আজ যুহুদ-ওয়াল রিকাক, ১/১০৬পৃ. হাদিস : ৩১৪,<br> ★ ইমাম মহিউদ্দীন ইবনুল আরাবী, মু'জাম, ১/১৩০পৃ. হাদিস ২০৬<br> ★ ইমাম তাবরানী : মুয'মাউল কবীর : ৩/২৬৬ হাদিস : ৩৩৬৭<br> ★ ইমাম বায়হাকী, শুয়াবুল ঈমান, ১৩/১৫৯প. হাদিস : ১০১০৭ ও ১০১০৮, <br> → ইমাম বায়হাকী (রহ) এ হাদিসটির আকেটি সূত্র সাহাবি হযরত আনাস বিন মালেক (রা) হতে সংকলন করেন ( শুয়াকুল ঈমান, ১৩১৫৮ ”<br> হাদিস : ১০১০৬) </p>

কুরআন হাদিসের আলোকে রাসূলুল্লাহ ﷺ হাজির-নাজির (কিতাব: ফতোয়ায়ে আহলে সুন্নত-পর্ব ২)

কিতাবঃ ফতোওয়ায়ে আহলে সুন্নাহ ২৫,২৬,২৭,২৮ লেখকঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বাহাদুর Edited by (Masum Billah Sunny) আল-কুরআনের আলোকে রাসূলুল্লাহ ...

Read more »