কারামতে আউলিয়া বা আউলিয়া কেরামের কারামত : (একজন বৃদ্ধ কৃষকের কারামত)

<p dir="ltr"><b><i>আউলিয়ায়ে কেরামের শান ও কারামতঃ </i></b><br> <b><i>এক বৃদ্ধ কৃষকের কারামত </i></b></p> <p dir="ltr">অতীত কালে একজন লোক রাস্তা দিয়ে চলছিল। হঠাৎ মাথার উপর মেঘমালা থেকে একটি শব্দ শুনল যে, অমুকের বাগানে বর্ষণ কর। লোকটি মেঘমালাকে অনুসরণ করে পথ চলতে থাকল। অবশেষে একটি যমিনে বৃষ্টি বর্ষণ হল। সে খানে দেখতে পেল একজন লোক কোদাল হাতে নিয়ে বাগানে কাজ করছে। লোকটি বাগান ওয়ালাকে জিজ্ঞাসা করল তোমার নাম কি? সে বললঃ আমার নাম অমুক। যে নামটি সে মেঘ থেকে শুনেছিল। তারপর বাগানের মালিক জিজ্ঞাসা করল, তুমি কেন আমার নাম জিজ্ঞাসা করছ? উত্তরে সে বললঃ যে মেঘ থেকে এই বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে, আমি তোমার নামটি সেই মেঘের ভিতরে শুনতে পেয়েছি। তাই আমি তোমার নাম জিজ্ঞেস করছি। তোমার কাছে আমার আরো একটি প্রশ্ন হল, তুমি কিভাবে এই বাগানের ফসল ব্যয় কর, তাও আমি জানতে চাই। </p> <p dir="ltr">সে বললঃ আমার যমিনে উৎপাদিত ফসলকে তিনভাগে বিভক্ত করি। একভাগ আমার পরিবার-পরিজনের জন্য ব্যয় করি। একভাগ পুনরায় ফসল আবাদের কাজে ব্যয় করি। আর এক ভাগ ফকীর, মিসকীন এবং মুসাফিরদের মাঝে বন্টন করে দেই। (মুসলিম, তাফসীরে ইবনে কাছীর)</p>

কারামতে আউলিয়া বা আউলিয়া কেরামের কারামত : (একজন বৃদ্ধ কৃষকের কারামত)

আউলিয়ায়ে কেরামের শান ও কারামতঃ এক বৃদ্ধ কৃষকের কারামত অতীত কালে একজন লোক রাস্তা দিয়ে চলছিল। হঠাৎ মাথার উপর মেঘমালা থেকে একটি শব্দ শুনল যে,...

Read more »

দ্বীন থেকে পশ্চাঁদমুখী ও ফিতনাবাজদের জন্য কাউসার এর পানি পান করার সুযোগ হবে না :

<p dir="ltr">সাঈদ ইবনু আবূ মারিয়াম (রহঃ) আসমা বিনত আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আমি হাউযের ধারে থাকব। তোমাদের মাঝ থেকে যারা আমার কাছে আসবে আমি তাদেরকে দেখতে পাব। কিছু লোককে আমার সামনে থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হবে। তখন আমি বলব, হে প্রভু! এরা আমার লোক, এরা আমার উম্মত। তখন বলা হবে, তুমি কি জানো তোমার পরে এরা কি সব করেছে? আল্লাহর কসম! এরা দ্বীন থেকে সর্বদাই পশ্চাঁদমুখী হয়েছিল। তখন ইবনু আবূ মুলায়কা বললেনঃ হে আল্লাহ, দ্বীন থেকে প্রদর্শন করা থেকে অথরা দ্বীনের ব্যাপারে ফিতনায় পতিত হওয়া থেকে আমরা তোমার কাছে আশ্রয় চাই। আবূ আবদুল্লাহ বুখারী (রহঃ) বলেনঃ অর্থাৎ তোমরা পিছনের দিকে ফিরে যাবে।<br> —————বুখারী:৬১৪১——————————</p>

দ্বীন থেকে পশ্চাঁদমুখী ও ফিতনাবাজদের জন্য কাউসার এর পানি পান করার সুযোগ হবে না :

সাঈদ ইবনু আবূ মারিয়াম (রহঃ) আসমা বিনত আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আমি হাউযের ধ...

Read more »

৫০ রাকাত নামাজ থেকে কমাতে কমাতে ৫ রাকাত নামাজ আনা হয়েছে :

<p dir="ltr">আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) হতে বর্নিত,</p> <p dir="ltr">রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমার সামনে এমন একটি জন্তু আনা হলো যা আকারে গাধা থেকে বড় এবং খচ্চর থেকে ছোট এবং যার কদম পড়ত দৃষ্টির শেষ সীমায়। আমি তার উপর আরোহণ করলাম। জিব্রাঈল (আঃ) আমার সঙ্গে ছিলেন। আমরা সফর করলাম (মদীনা পর্যন্ত)। জিব্রাঈল (আঃ) বললেন, আপনি নেমে সালাত আদায় করুন। আমি সালাত আদায় করলাম। জিব্রাঈল (আঃ) বললেন, আপনি কোথায় সালাত আদায় করেছেন তা কি জানেন? আপনি সালাত আদায় করেছেন তায়বায়। এ শহরেই আপনি হিজরত করবেন। </p> <p dir="ltr">আবার জিব্রাঈল (আঃ) বললেন, আপনি অবতরণ করে সালাত আদায় করুন। আমি তখন নেমে সালাত আদায় করলাম। জিব্রাঈল (আঃ) বললেন, আপনি কি জানেন কোন জায়গায় সালাত আদায় করেছেন? আপনি ‘তূরে সায়ন’ নামক স্থানে সালাত আদায় করেছেন। যেখানে আল্লাহ পাক মূসা (আঃ) -এর সাথে কথা বলেছিলেন। তারপর আবার এক স্থানে গিয়ে জিব্রাঈল (আঃ) বললেন, অবতরণ করে সালাত আদায় করুন। আমি তা-ই করলাম। জিব্রাঈল (আঃ) বললেন, আপনি কি জানেন, আপনি কোথায় সালাত আদায় করেছেন? আপনি ‘বায়ত লাহম’ নামক স্থানে সালাত আদায় করেছেন। যেখানে হয়রত ঈসা (আঃ) জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তারপর আমি ‘বায়তুল মাকদিস’-এ প্রবেশ করলাম এবং সমস্ত নবীকে আমার নিকট একত্র করা হলো এবং জিব্রাঈল (আঃ) আমাকে সম্মুখে এগিয়ে দিলেন আমি সকলের ইমামতি করলাম।</p> <p dir="ltr">তারপর আমাকে নিয়ে প্রথম আসমানে উঠলেন। সেখানে আদম (আঃ) -এর সাক্ষাত লাভ করলাম। পরে আমাকে নিয়ে দ্বিতীয় আসমানে উঠলেন। সেখানে পরপর দু’খালাত ভাই ঈসা (আঃ) ও ইয়াহইয়া (আঃ) -এর সাথে সাক্ষাত হলো। তারপর আমাকে নিয়ে তৃতীয় আসমানে উঠলেন, সেখানে ইউসুফ (আঃ) -এর সাথে দেখা হলো। এরপর আমাকে নিয়ে চতুর্থ আসমানে উঠলেন এবং সেখানে হারুন (আঃ) -এর সাথে সাক্ষাত হলো। তারপর আমাকে নিয়ে পঞ্চম আসমানে উঠলেন সেখানে ইদ্রিস (আঃ) -এর সাথে সাক্ষাত হলো। তারপর আমাকে নিয়ে ষষ্ঠ আসমানে উঠলেন। সেখানে মূসা (আঃ) -এর সাক্ষাত হলো। </p> <p dir="ltr">তারপর আমাকে সপ্তম আসমানে নিয়ে গেলেন এবং সেখানে ইবরাহীম (আঃ) -এর সাথে সাক্ষাত হলো। এরপর আমাকে নিয়ে সপ্তম আসমানের উপরে উঠলেন। তখন আমরা সিদরাতুল মুনতাহায় উপনীত হলাম। সেখানে একখন্ড ধুঁয়াশা আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলল-আমি সিজদায় পড়ে গেলাম। তখন আমাকে বলা হলো-যেদিন আমি এ আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছি, সেদিন আপনার উপর ও আপনার উম্মতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছি। সুতরাং আপনি এবং আপনার উম্মত এই সালাত কায়েম করুন। তখন আমি ইবরাহীম (আঃ) -এর নিকট প্রত্যাবর্তন করলাম। তিনি আমাকে কিছুই জিজ্ঞাসা করলেন না। পরে মূসা (আঃ) -এর নিকট আসলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, আপনার এবং আপনার উম্মতের উপর আল্লাহ কি ফরয করেছেন? আমি বললাম পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। তখন মূসা (আঃ) বললেন, নিশ্চয়ই আপনি এবং আপনার উম্মত পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত যথাযথ আদায় করতে সক্ষম হবেন না। আপনি আপনার প্রতিপালকের নিকট ফিরে যান এবং কমানোর জন্য আরয করুন। আমি প্রতিপালকের নিকট ফিরে গেলাম। তিনি আমার থেকে দশ ওয়াক্ত কমিয়ে দিলেন। তারপর আবার মূসা (আঃ) -এর নিকট আসলাম। তিনি আমাকে পুনরায় ফিরে যেতে বললেন। আমি ফিরে গেলাম। তখন তিনি আরো দশ ওয়াক্ত কমিয়ে দিলেন। </p> <p dir="ltr">তারপর মূসা (আঃ) -এর নিকট আসার পর তিনি আমাকে পুনরায় ফিরে যেতে বললেন, আমি আবার ফিরে গেলাম। তিনি দশ ওয়াক্ত কমিয়ে দিলেন। তারপর সর্বশেষ সালাতকে পাঁচ ওয়াক্তে পরিণত করা হলো। মূসা (আঃ) বললেন, আপনি পুনরায় প্রতিপালকের নিকট ফিরে যান এবং সালাত আরও কমানোর আবেদন করুন। কেননা আল্লাহ বনী ইসরাঈলের উপর শুধু দুই ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছিলেন। তারা এই দুই ওয়াক্তও আদায় করেনি। তখন আমি আবার আল্লাহর নিকট ফিরে গিয়ে সালাত কমিয়ে দেয়ার জন্য আরয করলাম। তখন তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আমি যেদিন এই আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছি সেদিন আপনার এবং আপনার উম্মতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছি। আর এই পাঁচ ওয়াক্ত পঞ্চাশ ওয়াক্তের সমান বলে গণ্য হবে। আপনি ও আপনার উম্মত এটা আদায় করুন। তখন আমি বুঝতে পারলাম যে, এই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আল্লাহ পাকে পক্ষ হতে অবশ্য পালনীয়। এরপর আমি মূসা (আঃ) -এর নিকট ফিরে আসলাম। এবারও তিনি আমাকে ফিরে যেতে বললেন। কিন্তু আমি বুঝতে পারলাম যে পাঁচ ওয়াক্ত আল্লাহ্‌র পক্ষ হতে অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। তাই আমি আর ফিরে গেলাম না।</p> <p dir="ltr">সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৪৫০<br> </p>

৫০ রাকাত নামাজ থেকে কমাতে কমাতে ৫ রাকাত নামাজ আনা হয়েছে :

আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) হতে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমার সামনে এমন একটি জন্তু আনা হলো যা আকারে গাধা ...

Read more »

হে আল্লাহ্‌ আমাদের দুনিয়ায় ও আখেরাতে কল্যাণ দাও :

<p dir="ltr">🌹মহান আল্লাহ্‌ বলেন<br> 'যখন জাহান্নামকে সামনে আনা হবে' সে বলিবে হায়! আমার এ জীবনের জন্য আমি যদি সৎকাজ করিয়া কিছু অগ্রিম নেকী প্রেরণ করিতাম!<br> [সূরা ফজর ২৪]</p> <p dir="ltr">🌹'যিনি মৃত্যু ও জীবন তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য সৃষ্টি করেছেন-কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম-? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।<br> (সুরা মুলক আয়াত ২)</p> <p dir="ltr">🌹"রাব্বানা আতীনা ফিদ-দুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াকিনা আযাবান-নার।<br> 🌹হে আল্লাহ্‌ আমাদের দুনিয়ায় কল্যাণ দাও<br> ও আখেরাতে কল্যাণ দাও এবং<br> আগুনের আযাব থেকে আমাদের বাঁচাও। <br> [সূর বাকারাঃ ২০১]</p> <p dir="ltr">🌹"হে আল্লাহ্‌ আমাদের গুনাহসমূহ মাফ করে দাও, আমাদের থেকে সকল মন্দ দূর করে দাও এবং আমাদের নেক লোকদের সাহচার্য দান কর।"<br> সূরা আল ইমরান ১৯৩।  🌹</p>

হে আল্লাহ্‌ আমাদের দুনিয়ায় ও আখেরাতে কল্যাণ দাও :

&#127801;মহান আল্লাহ্‌ বলেন 'যখন জাহান্নামকে সামনে আনা হবে' সে বলিবে হায়! আমার এ জীবনের জন্য আমি যদি সৎকাজ করিয়া কিছু অগ্রিম নে...

Read more »

কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও উপদেশমূলক আয়াত ও হাদিস :

<p dir="ltr"><b><i>মহান অাল্লাহ তায়ালা বলেন—</i></b></p> <p dir="ltr">তিনিই সে সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমীনে রয়েছে সে সমস্ত। তারপর তিনি মনোসংযোগ করেছেন আকাশের প্রতি। বস্তুতঃ তিনি তৈরী করেছেন সাত আসমান। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত।<br> " আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদিগকে বললেনঃ আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেশতাগণ বলল, তুমি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা নিয়ত তোমার গুণকীর্তন করছি এবং তোমার পবিত্র সত্তাকে স্মরণ করছি। তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা জান না।<br> ________অাল বাকারা:২৯,৩০___________</p> <p dir="ltr"><b><i>মহান অাল্লাহ তায়ালা বলেন—</i></b></p> <p dir="ltr">সর্ববিধ প্রশংসা আল্লাহরই জন্য যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন এবং অন্ধকার ও আলোর উদ্ভব করেছেন। তথাপি কাফেররা স্বীয় পালনকর্তার সাথে অন্যান্যকে সমতুল্য স্থির করে।<br> " তিনিই তোমাদেরকে মাটির দ্বারা সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর নির্দিষ্টকাল নির্ধারণ করেছেন। আর অপর নির্দিষ্টকাল আল্লাহর কাছে আছে। তথাপি তোমরা সন্দেহ কর।<br> ----------[সূরা অাল অান—অাম:১,২]---------</p> <p dir="ltr"><b><i>রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-</i></b></p> <p dir="ltr">সূওয়ায়দ ইবনু সাঈদ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বান্দাগণ বলে, আমার মাল আমার মাল। অথচ তিনটই হল তার মাল, যা সে ভক্ষণ করল এবং শেষ করে দিল। অথবা যা সে পরিধান করল এবং পূরাতন করে দিল। কিংবা যা সে দান করল এবং সঞ্চয় করল। এ ছাড়া বাকীগুলো শেষ হয়ে যাবে এবং মানুষের জন্য রেখে যেতে হবে। আবূ বাকর ইবনু ইসহাক (রহঃ) আলা ইবনু আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে এ সনদে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।</p> <p dir="ltr">—————মুসলিম:৭১৫৪——————————</p>

কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও উপদেশমূলক আয়াত ও হাদিস :

মহান অাল্লাহ তায়ালা বলেন— তিনিই সে সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমীনে রয়েছে সে সমস্ত। তারপর তিনি মনোসংযোগ করেছেন আকাশ...

Read more »

তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, প্রসঙ্গ- শানে রিসালাত, মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr" id="docs-internal-guid-f2f2cd27-7fff-8053-e0c3-135028dd2b50" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাফসীরঃ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, প্রসঙ্গঃ শানে রিসালাত, মীলাদুন্নবী (ﷺ)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: cyan; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মূলঃ মাওলানা মুহাম্মদ শফী (তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় নেতা) </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অনূবাদকঃ মাওলানা মুহাম্মদ মহিউদ্দীন খান (তাবলিগ)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থায়ন ও অনুমোদনঃ সউদি বাদশাহ</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: yellow; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নবী করিম (ﷺ)-এর নুর</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুরা আন্ নুরের তাফসীর প্রসঙ্গে পৃষ্ঠা ৯৪৪-৯৪৫-এ</span><span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> "নবী করিম (ﷺ)-এর নুর" শিরোনামের আলোচনায় রয়েছেঃ</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"ইমাম বগাভী বর্ণিত এক রেওয়ায়েতে আছে, একবার হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) কা'ব আহবারকে জিজ্ঞেস করলেনঃ এই আয়াতের তাফসীরে আপনি কি বলেন? কা'ব অাহবার তাওরাত ও ইঞ্জিলে সুপণ্ডিত মুসলমান ছিলেন। তিনি বললেনঃ </span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এটা রসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পবিত্র অন্তরের দৃষ্টান্ত।</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> মিশ্কাত তথা তাক মানে তাঁর বক্ষস্থল, زُجَاجَةٍ তথা কাঁচপাত্র মানে তাঁর পুতঃপবিত্র অন্তর এবং مِصْبَاحٌ তথা প্রদীপ মানে নুবুয়্যাত। এই </span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নুবুয়্যাতরুপি </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নুরের</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বৈশিষ্ট্য</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> এই যে, প্রকাশিত ও ঘোষিত হওয়ার পূর্বেই এতে মানবমণ্ডলীর জন্যে আলো ও ঔজ্জল্য ছিল। এরপর ওহী ও ঘোষণা এর সাথে সংযুক্ত হলে এটা এমন </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নুরে</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> পর্যবসিত হয়, যা সমগ্র বিশ্বকে আলোকজ্জল করে দেয়।</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নুবুওয়াত প্রকাশ বরং তাঁর জন্মেরও পূর্বে তাঁর নুবুওয়াতের সুসংবাদবাহী অনেক অত্যাশ্চর্য ঘটনা পৃথিবীতে সংঘটিত হয়েছে। হাদীসবিদগণের পরিভাষায় এসব ঘটনাকে 'এরহাসাত' বলা হয়। কেননা, 'মুজেযা' শব্দটি বিশেষভাবে এমন ঘটনাবলী বোঝাবার জন্যে প্রয়োগ করা হয়, যেগুলো নবুওয়তের দাবীর সত্যতা প্রকাশ করার জন্যে আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন পয়গম্বরের হাতে প্রকাশিত হয়। পক্ষান্তরে নবুওয়ত দাবীর পূর্বে এ ধরনের অনেক অত্যাশ্চর্য ঘটনা প্রকাশ পেলে তার নাম দেয়া হয় 'এরহাসাত'। এ ধরনের অনেক অত্যাশ্চর্য ঘটনা সহীহ্ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আছে। শায়খ জালালুদ্দীন সুয়ূতি (رحمة الله) 'খাসায়েসে কোবরা' গ্রন্থে, অাবু নায়ীম 'দালায়েল-নবুওয়াত' গ্রন্থে এবং অন্যান্য আলেমগণও স্বতন্ত্র গ্রন্থাদিতে এসব ঘটনা সন্নিবেশিত করেছেন। তাফসীরে মাযহারীতেও অনেক তথ্য বর্ণিত হয়েছে।"</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #980000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-style: italic; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূত্রঃ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, সুরা আন্ নুরের তাফসীর প্রসঙ্গে পৃষ্ঠা ৯৪৪-৯৪৫-এ "নবী করিম (ﷺ)-এর নুর" শিরোনামের আলোচনা।]</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আয়াত ৭-এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে পৃষ্ঠা ১০৭২</span><span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-এ ডান কলামে লাইন ২৩ থেকে লাইন ২৯-এ রয়েছেঃ</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">" وَمِنكَ وَمِن نُّوح- </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সাধারণভাবে সমস্ত নবীগণের কথা উল্লেখের পর পাঁচ জনের নাম বিশেষভাবে এজন্য উল্লেখ করা হয়েছে যে, নবীকূলের মধ্যে তাঁরা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও উচ্চ মর্যাদার অধিকারী। এঁদের মধ্যে রসুলে মকবুল (ﷺ)-এর আবির্ভাব সকলের শেষে হয়ে থাকলেও وَمِنك শব্দের মাধ্যমে নবীজীকে সর্বাগ্রে উল্লেখ করা হয়েছে। যার কারণ হাদীসে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছেঃ </span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আমি (নবীকূলের মাঝে) সৃষ্টিগত দিক দিয়ে আগে, কিন্তু আবির্ভাব ও নবুওয়াত প্রাপ্তির দিক দিয়ে সকলের পরে।-</span><span style="color: #980000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(মাযহারী)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #980000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-style: italic; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূত্রঃ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, আয়াত ৭-এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে পৃষ্ঠা ১০৭২-এ ডান কলামে লাইন ২৩ থেকে লাইন ২৯।]</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুরা আল-আনআম, পৃষ্ঠা ৪২৮,</span><span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> ডান কলামে লাইন ৮ থেকে লাইন ১৫-এ রয়েছেঃ</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"আর আমি সর্বপ্রথম মুসলমান। উদ্দেশ্য এই যে, এ উম্মতের মধ্যে সর্বপ্রথম মুসলমান আমি। কেননা, প্রত্যেক উম্মতের প্রথম মুসলমান স্বয়ং ঐ পয়গম্বরই হন যাঁর প্রতি ওহী অবতরণ করা হয়। প্রথম মুসলমান হওয়া দ্বারা এদিকেও ইঙ্গিত হতে পারে যে, সৃষ্টজগতের মধ্যে সর্বপ্রথম </span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নুর</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> সৃষ্টি করা হয়েছে।</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> এরপর সমস্ত নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল ও অন্যান্য সৃষ্টজগত অস্থিত্ব লাভ করেছে। </span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এক হাদীসে বলা হয়েছেঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লাহ্ তাআলা সর্বপ্রথম আমার </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নূর</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> সৃষ্টি করেছেন।</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">- </span><span style="color: #980000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-style: italic; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(রুহুল-মা'আনী)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #980000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-style: italic; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূত্রঃ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, সুরা আল-আনআম, পৃষ্ঠা ৪২৮, ডান কলামে লাইন ৮ থেকে লাইন ১৫।]</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="background-color: black; color: yellow; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর মিলাদ/জন্ম বৈশিষ্ট্য</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুরা বাকারাহ-এর তাফসীর প্রসঙ্গে পৃষ্ঠা ৬৪</span><span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> এর বাম কলামে </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"রসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্মের বৈশিষ্ট্য"</span><span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> শিরোনামের আলোচনায় রয়েছেঃ</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"রসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর জন্মের বৈশিষ্ট্যঃ মুসনাদে আহমদ গ্রন্থে উদ্ধৃত এক হাদীসে বর্ণিত আছে যে, মহানবী (ﷺ) বলেনঃ 'আমি আল্লাহর কাছে তখনও পয়গম্বর ছিলাম, যখন আদম (عليه السلام)-ও পয়দা হয়নি; বরং তাঁর সৃষ্টির জন্য উপাদান তৈরি হচ্ছিল মাত্র। আমি আমার সূচনা বলে দিচ্ছিঃ আমি পিতা হযরত ইবরাহীম (عليه السلام)-এর দোয়া, ঈসা (عليه السلام)-এর সুসংবাদ এবং স্বীয় জননীর স্বপ্নের প্রতীক। ঈসা (عليه السلام)-এর সুসংবাদের অর্থ তাঁর এ উক্তি وَمُبَشِّرًا بِرَسُولٍ يَأْتِي مِن بَعْدِي اسْمُهُ أَحْمَدُ (আমি এমন এক পয়গম্বরের সুসংবাদদাতা, যিনি আমার পরে আসবেন। তাঁর নাম আহমদ। ৬১/৬।) তাঁর জননী গর্ভাবস্থায় স্বপ্নে দেখেন যে, </span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাঁর পেট থেকে একটি </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নুর</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বের হয়ে সিরিয়ার প্রাসাদসমূহ আলোকোজ্জল করে তুলেছে।</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> কোরআনে হুযুর (ﷺ)-এর আবির্ভাবের আলোচনা প্রসঙ্গে দু'জায়গায় সুরা আলে-ইমরানের ১৬৪ তম আয়াতে এবং সুরা জুমু'আয় ইবরাহীমের দোয়ায় উল্লেখিত ভাষারই পূনরাবৃত্তি করা হয়েছে। এভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, হযরত ইবরাহীম (عليه السلام) যে পয়গম্বরের জন্যে দোয়া করেছিলেন, তিনি হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (ﷺ)।"</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #980000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-style: italic; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূত্রঃ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, সুরা বাকারাহ-এর তাফসীর প্রসঙ্গে পৃষ্ঠা ৬৪-এর বাম কলামে "রসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্মের বৈশিষ্ট্য" শিরোনামের আলোচনা।]</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুরা আল আহজাবের তাফসীর প্রসঙ্গে পৃষ্ঠা ১০৮৮</span><span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-এ বাম কলামের লাইন ২৬ থেকে লাইন ৩৮-এ রয়েছেঃ</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"سراج</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ প্রদীপ منير অর্থ জোতির্ময়। রসুলুল্লাহ্ (ﷺ) এর পঞ্চম গুণ ও বৈশিষ্ট্য এই বলা হয়েছে যে, তিনি জোতিষ্মান প্রদীপ বিশেষ। আবার কতক মনিষী سراج منير এর মর্মার্থ কোরআন পাক বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু কোরআন পাকের বর্ণনাধারা ও প্রকাশভংগী দ্বারা এই কথায় বোঝা যায় যে, ইহাও হযরত (ﷺ)-এরই বৈশিষ্ট্য ও গুণ বিশেষ।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কোরআনে বর্ণিত রসুলুল্লাহ্ (ﷺ) এর এই গুণাবলী তাওরাতেও উল্লেখ রয়েছে। যেমন, ইমাম বুখারী (رحمة الله) উদ্ধৃত করেছেন যে, হযরত আতা ইবনে ইয়াসার (رضي الله عنه) এরশাদ করেন যে, আমি একদিন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আসের (رضي الله عنه)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁকে অনুরোধ করলাম যে, তাওরাতে রসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর যেসব গুণাবলীর উল্লেখ রয়েছে মেহেরবাণী পূর্বক আমাকে সেগুলো বলে দিন। তিনি এরশাদ করলেন, আমি তা অবশ্যই বলবো। আল্লাহর কসম! রসুলুল্লাহ্ (ﷺ) এর যেসব গুণাবলীর বর্ণনা কোরআনে রয়েছে তা তাওরাতেও রয়েছে।"</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #980000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-style: italic; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূত্রঃ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, সুরা আল আহজাবের তাফসীর প্রসঙ্গে পৃষ্ঠা ১০৮৮-এ বাম কলামের লাইন ২৬ থেকে লাইন ৩৮।]</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুরা ইউনুস, আয়াত ৯৩ </span><span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এর তাফসীর প্রসঙ্গে </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পৃষ্ঠা ৬১৬-</span><span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ ডান কলামের লাইন ২০ থেকে শেষ লাইন পর্যন্ত রয়েছেঃ</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"বিস্ময়ের বিষয় যে, মহানবী (ﷺ)-এর আবির্ভাবের পূর্বে তো এরা শেষ নবীর উপর বিশ্বাস পোষণ করত, তার নিদর্শনসমূহ ও তাঁর আগমনের সময় নিকটবর্তী হওয়ার সংবাদ লোকদেরকে বলত, নিজেরাও দোয়া করতে গিয়ে শেষ যামানার নবীর ওসীলা দিয়ে দোয়া করত, কিন্তু যখন শেষ যমানার নবী (ﷺ) তাঁর যাবতীয় প্রমাণাদি এবং তওরাতের বাতলানো নিদর্শনসহ আগমন করলেন, তখন এরা পরষ্পর মতবিরোধ করতে লাগল এবং কিছু লোক ঈমান আনলেও অন্যান্য সবাই অস্বীকার করল। এ আয়াতে রাসুলে কারিম (ﷺ)-এর আগমনকে جَاءَهُمُ الْعِلْم শব্দে ব্যক্ত করা হয়েছে। এখানে ُ الْعِلْم বলতে 'নিশ্চিত বিশ্বাস'ও উদ্দেশ্য হতে পারে। তাহলে অর্থ হবে এই যে যখন প্রত্যক্ষ করার সাথে সাথে বিশ্বাসের উপকরণসমূহ সংযোজিত হয়ে গেল, তখন তারা মতবিরোধ করতে লাগল।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কোন কোন তাফসীরবিদ একথাও বলেছেন যে, এখানে الْعِلْم অর্থ যখন সে সত্তা সামনে এসে উপস্থিত হল, যা তওরাতে ভবিষ্যদ্বাণীর মাধ্যমে পূর্বাহ্নেই জানা ছিল, তখন তারা মতবিরোধ করতে আরম্ভ করল।"</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #980000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-style: italic; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূত্রঃ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, সুরা ইউনুস, আয়াত ৯৩ এর তাফসীর প্রসঙ্গে পৃষ্ঠা ৬১৬-এ ডান কলামের লাইন ২০ থেকে শেষ লাইন পর্যন্ত।]</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পৃষ্ঠা ৩০২-এ</span><span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> ডান কলামের লাইন ১ থেকে লাইন ৮ পর্যন্ত রয়েছেঃ</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"আলোচ্য আয়াত نور (নুর) শব্দ দ্বারা কোরআন শরীফকে বোঝানো হয়েছে।-(রুহুল-মা'আনী) যেমন, সুরা মায়েদার আয়াত قَدْ جَاءكُم مِّنَ اللّهِ نُورٌ وَكِتَابٌ مُّبِينٌ অর্থাৎ, তোমাদের কাছে আল্লাহ্ তাআলার পক্ষ থেকে এক উজ্জল আলো তথা এক প্রকৃষ্ট কিতাব অর্থাৎ, কোরআন এসেছে।- (বয়ানুল কোরআন)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আবার নুর অর্থ রসুলুল্লাহ্ (ﷺ) এবং কিতাব অর্থ আল-কোরআনও হতে পারে।- (রুহুল মা'আনী) তবে তার অর্থ এই নয় যে, রসুলুল্লাহ্ (ﷺ) মানবীয় দৈহিকতা থেকে পবিত্র শুধু নুর ছিলেন।"</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূত্রঃ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, পৃষ্ঠা ৩০২-এ ডান কলামের লাইন ১ থেকে লাইন ৮ পর্যন্ত।]</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুরা আত্ তাগাবুনের তাফসীর প্রসঙ্গে পৃষ্ঠা ১৩৭৭-এ</span><span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> ডান কলামের লাইন ২৩ থেকে লাইন ২৬ এ রয়েছেঃ</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"মানব হওয়া নবুওয়তেরও পরিপন্থী নয় এবং রেসালাতের উচ্চ মর্যাদারও প্রতিকূল নয়। রসুল (ﷺ) নুর হলেও মানব হতে পারেন। তিনি নুরও এবং মানবও। তাঁর নুরকে প্রদীপ, সূর্য ও চন্দ্রের নুরের নিরীখে বিচার করা ভুল।"</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #980000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-style: italic; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূত্রঃ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, সুরা আত্ তাগাবুনের তাফসীর প্রসঙ্গে পৃষ্ঠা ১৩৭৭-এ ডান কলামের লাইন ২৩ থেকে লাইন ২৬।]</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুরা বনী ইসরাঈলের তাফসীর প্রসঙ্গে পৃৃষ্ঠা ৭৯৩</span><span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-এ বাম কলামের লাইন ২ থেকে লাইন ৫-এ রয়েছেঃ</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"প্রশ্ন হয় যে, রসুল ও উম্মতের সমজাতি হওয়া যখন শর্ত, রসুলুল্লাহ্ (ﷺ) জ্বিন জাতির রসুল নিযুক্ত হলেন কিরুপে! জ্বিন তো মানুষের সমজাতি নয়। উত্তর এই যে, রসুল শুধু মানবই নন; বরং তিনি ফেরেশ্তাসূলভ ব্যক্তিত্ব এবং মর্যাদারও অধিকারী  এ কারণে তাঁর সাথে জ্বিনদেরও সম্পর্ক থাকতে পারে।"</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #980000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-style: italic; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূত্রঃ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, সুরা বনী ইসরাঈলের তাফসীর প্রসঙ্গে পৃৃষ্ঠা ৭৯৩-এ বাম কলামে লাইন ২ থেকে লাইন ৫।]</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুরা আল্ মুনাফিকুন</span><span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> এর তাফসীর প্রসঙ্গে </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পৃৃষ্ঠা ১৩৭১-এ</span><span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> রয়েছেঃ</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"কা'ব ইবনে লুবাই রসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পূর্বপুরুষদের অন্যতম। আল্লাহ্ তায়ালা মুর্খতাযুগেও তাঁকে প্রতিমা পুঁজা থেকে রক্ষা করেন এবং একত্ববাদের বিশ্বাস রাখার তৌফীক দান করেন। তিনি রসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর আবির্ভাবের সুসংবাদও মানুষকে শুনিয়েছিলেন। কোরাইশ গোত্র তাঁকে একজন মহান ব্যক্তি হিসেবে সম্মান করত। ফলে রসুলুল্লাহ্ (ﷺ) নবুওয়ত লাভের পাঁচশত ষাট বছর পূর্বে যেদিন তাঁর মৃত্যু হয়, সেদিন থেকেই কোরাইশরা তাদের বছর গণনা শুরু করে। শুরুতে কা'বা গৃহের ভিত্তি স্থাপন থেকে আরবদের বছর গণনা আরম্ভ করা হত। কা'ব ইবনে লুবাই- এর মৃত্যুর পর তাঁর মৃত্যুদিবস থেকেই বছর গণনা প্রচলিত হয়ে যায়। এরপর </span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; text-decoration-line: underline; text-decoration-skip-ink: none; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জন্মের বছর যখন হস্তিবাহিনীর ঘটনা সংঘটিত হয়</span><span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">, তখন এদিন থেকেই তারিখ গণনা আরম্ভ হয়। সারকথা এই যে, ইসলাম পূর্বকালেও কা'ব ইবনে লুবাই -এর আমলে শুক্রবার দিনকে গুরুত্ব দান করা হত। তিনিই এই দিনের নাম জুমুআর দিন রেখেছিলেন।- (মাযহারী)"</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #980000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-style: italic; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূত্রঃ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, সুরা আল্ মুনাফিকুন এর তাফসীর প্রসঙ্গে পৃৃষ্ঠা ১৩৭১।]</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পৃষ্ঠা ২১৫-এ</span><span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> </span><span style="color: red; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"মহানবী (ﷺ)-এর আগমন সমগ্র মানবতার জন্য সর্ববৃহৎ অনুগ্রহ"</span><span style="color: blue; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> শিরোনামের আলোচনায় রয়েছেঃ</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"মহানবী (ﷺ)-এর আগমন সমগ্র মানবতার জন্য সর্ববৃহৎ অনুগ্রহঃ  لَقَدْ مَنَّ اللَّهُ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ আয়াতে বর্ণিত বিষয়বস্তুর প্রায় অনুরূপ বিষয়েরই একটি আয়াত সূরা বাক্বারায় উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ আয়াতে একটি শব্দ অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয়েছে-</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">لَقَدْ مَنَّ اللَّهُ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: Arial; font-size: 11pt; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এ প্রসঙ্গে প্রথম লক্ষ্যণীয় বিষয় এই যে, কুরআন কারীমের বিশ্লেষণ অনুযায়ী মহানবী (ﷺ) হচ্ছেন সমগ্র বিশ্বের জন্য সবচাইতে বড় নেয়ামত ও মহা অনুগ্রহ। কিন্তু এখানে এই আয়াতে শুধুমাত্র মু’মিনেদের জন্য নির্দিষ্ট করাটা কুরআনের অন্যান্য আয়াতের মাধ্যমে কুরআন সমগ্র বিশ্বের জন্য হিদায়াত হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত থাকা সত্ত্বেও هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ বলারই অনুরূপ যে, কোন কোন ক্ষেত্রে তাকে মুত্তাকীনেদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। তার কারণ, উভয় ক্ষেত্রেই এক। তা হল এই যে, যদিও রসূলে মকবূল (ﷺ)-এর অস্তিত্ব মু’মিন-কাফের নির্বিশেষে সমগ্র বিশ্বের মহা নেয়ামত এবং বিরাট অনুগ্রহ, তেমনিভাবে কুরআন কারীমও সমগ্র বিশ্ব-মানবতার জন্য হিদায়াত, কিন্তু যেহেতু এই হিদায়াত ও নেয়ামতের ফল শুধু মু’মিন-মুত্তাকীরাই উপভোগ করছে, সেহেতু কোন কোন স্থানে একে তাঁদেরই সাথে সম্পৃক্ত করে বর্ণনা করা হয়েছে।"</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="color: #980000; font-family: Arial; font-size: 11pt; font-style: italic; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[সূত্রঃ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, পৃষ্ঠা ২১৫-এ "মহানবী (ﷺ)-এর আগমন সমগ্র মানবতার জন্য সর্ববৃহৎ অনুগ্রহ" শিরোনামের আলোচনা।]</span></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div dir="ltr"> <br /></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjspbNDsayvI-Q7rH_WKAK49C5XPJaYuGLS_ZhT3s6MzvyV3QgqFH5RtxPm46ctoUq-ml0i6AqJg8sSX2NlKFxKTHVWGKnLY8qNe6OqoDv3Ux1qQJpBkeDjN9u2C0AomJ3CibfDvODXUkw/s1600/_IMG_000000_000000.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjspbNDsayvI-Q7rH_WKAK49C5XPJaYuGLS_ZhT3s6MzvyV3QgqFH5RtxPm46ctoUq-ml0i6AqJg8sSX2NlKFxKTHVWGKnLY8qNe6OqoDv3Ux1qQJpBkeDjN9u2C0AomJ3CibfDvODXUkw/s640-rw/_IMG_000000_000000.jpg" /> </a> </div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhshpYQXiL5C1CFC83A5VFPETglzUUFXkPUW3xrXwMGPqHbgwgNML45xgr_9R1AntLGOM6K4WYiy_ZUieGMoD8gTIKtLtdgDXCcCka6xhdsEkK_SyKybL_wCEPJ5MIpnexbL7ILDyvBVlM/s1600/received_1914722082176561.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhshpYQXiL5C1CFC83A5VFPETglzUUFXkPUW3xrXwMGPqHbgwgNML45xgr_9R1AntLGOM6K4WYiy_ZUieGMoD8gTIKtLtdgDXCcCka6xhdsEkK_SyKybL_wCEPJ5MIpnexbL7ILDyvBVlM/s640-rw/received_1914722082176561.jpeg" /> </a> </div> </div>

তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, প্রসঙ্গ- শানে রিসালাত, মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)

তাফসীরঃ তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, প্রসঙ্গঃ শানে রিসালাত, মীলাদুন্নবী (ﷺ) মূলঃ মাওলানা মুহাম্মদ শফী (তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় নেতা)  অ...

Read more »

বাতিল ফির্কার বৈশিষ্ট্য ও আলামতঃ

<p dir="ltr">জামে' আত-তিরমিজি থেকে জাহান্নামী ৭২ দলের আলামতঃ<br> জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২১৮৮</p> <p dir="ltr">حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يَخْرُجُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ قَوْمٌ أَحْدَاثُ الأَسْنَانِ سُفَهَاءُ الأَحْلاَمِ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ يَقُولُونَ مِنْ قَوْلِ خَيْرِ الْبَرِيَّةِ يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَأَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي ذَرٍّ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ فِي غَيْرِ هَذَا الْحَدِيثِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَيْثُ وَصَفَ هَؤُلاَءِ الْقَوْمَ الَّذِينَ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ إِنَّمَا هُمُ الْخَوَارِجُ وَالْحَرُورِيَّةُ وَغَيْرُهُمْ مِنَ الْخَوَارِجِ ‏.‏</p> <p dir="rtl">আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ)</p> <p dir="ltr">তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)  বলেছেনঃ শেষ যুগে আবির্ভাব ঘটবে এক সম্প্রদায়ের, যারা বয়সে হবে নবীন, বুদ্ধিতে অপরিপক্ক ও নির্বোধ হবে। তারা কোরআন তিলাওয়াত করবে কিন্তু তা তাদের গলার নিচের হাড়ও অতিক্রম করবে না। তারা সৃষ্টির সেরা মানুষের কথাই বলবে, কিন্তু তারা এমনভাবে ধর্ম হতে বেরিয়ে যাবে, যেমনভাবে তীর ধনুক হতে বেরিয়ে যায়। </p> <p dir="ltr">হাসান, সহীহ্, ইবনু মা-জাহ (১৬৮), বুখারী, মুসলিম।</p> <p dir="ltr">জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২১৮৮<br> হাদিসের মান: হাসান সহিহ</p> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi02AwH-sS2TE2KPbIYjrV_HpCVAE_mVefwtnvMM3TdIBe602kpeH0N6dbPOD1Lq4uuklD56bKfnt1ab3FTmeUOvWAxGNBTI1VGGeCNa7nb859-TIdzZB1iYmzk6eKowvTNV326qwL2HG8/s1600/PicsArt_01-18-09.06.31.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi02AwH-sS2TE2KPbIYjrV_HpCVAE_mVefwtnvMM3TdIBe602kpeH0N6dbPOD1Lq4uuklD56bKfnt1ab3FTmeUOvWAxGNBTI1VGGeCNa7nb859-TIdzZB1iYmzk6eKowvTNV326qwL2HG8/s640-rw/PicsArt_01-18-09.06.31.jpg"> </a> </div>

বাতিল ফির্কার বৈশিষ্ট্য ও আলামতঃ

জামে' আত-তিরমিজি থেকে জাহান্নামী ৭২ দলের আলামতঃ জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২১৮৮ حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَ...

Read more »

কে কে শাফায়াত করতে পারবে কুরআন-হাদিসের আলোকেঃ

<p dir="ltr">শাফায়াত : শাফায়াতের শাব্দিক অর্থ জোড়া ও যুগল; দোয়া, সুপারিশ, মধ্যস্থতা ইত্যাদি। সুপারিশকারীকে শাফি এবং এর বহুবচন শুফায়া বলা হয়।শাফায়াত সাধারণত দ্বীনি বিষয়। বিশেষ করে কেয়ামত প্রসঙ্গে হয়ে থাকে। এভাবেই কোরআন ও হাদিসে এর ব্যবহার পরিদৃষ্ট হয়।</p> <p dir="ltr">শাফায়াতের প্রকার :<br> এক. শাফায়াতে কুবরা বা মহাসুপারিশ।<br> কেয়ামতের ভয়াবহ ও সঙ্কটময়কালে সাধারণ মানুষ যখন আতঙ্কগ্রস্ত ও ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে, তখন কেবল নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলবেন, হে আল্লাহ পাক! আপনি আমার উম্মতকে মাফ করুন”। তিনিই সর্বপ্রথম শাফায়াত করার অনুমতিপ্রাপ্ত হবেন। এটাই শাফায়াতে কুবরা। যেমন মহান আল্লাহ পাক বলেন, “কে সে, যে তার অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে।” (২:২৫৫)।<br> আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কিয়ামতের দিন কোন্ ব্যক্তি আপনার শাফায়াতের বেশী হকদার হবে? হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! আপনার হাদীছ শেখার আগ্রহ দেখে আমার ধারণা ছিল যে, আপনার পূর্বে এ বিষয় সম্পর্কে কেউ জিজ্ঞাসা করবে না। যে ব্যক্তি অন্তর থেকে ইখলাসের সাথে “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ “পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন সে ব্যক্তি আমার শাফায়াতের সবচেয়ে বেশী হকদার হবে” ( বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ইলম।)</p> <p dir="ltr">দুই. আম্বিয়া, আউলিয়া, শুহাদা,বুযুর্গ,পীর দরবেশ, সাধারণ মোমিনদের শাফায়াত। উনারাও আল্লাহ পাক উনার কাছ থেকে শাফায়াত করার অনুমতিপ্রাপ্ত হবেন। এটাকে শাফায়াতে সুগরা বা শাফায়াতে আম্মা বলা হয়।<br> কুরআনে মহান আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ<br> “সেদিন শাফায়াত কার্যকর হবে না, অবশ্য স্বয়ং রহমান কাউকে উহার অনুমতি দিলে এবং তার কথা শুনতে পছন্দ করলে অন্য কথা।” (সূরা ত্বাহা, ২০-১০৯)<br> “সুপারিশ বা শাফায়াতকারী কেউ নেই, তবে যদি আল্লাহর অনুমতির পর শাফায়াত করে (তাহলে অন্য কথা)” (সূরা ইউনুস, ১০-৩)<br> “তিনি যার উপর সন্তুষ্ট তিনি ছাড়া আর কেউ তাঁর নিকট সুপারিশ করতে সক্ষম নয়। (সূরা, আম্বিয়া, ২১-২৮)<br> “যেদিন ‘রূহ’ ও ফিরিস্তারা কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়াবে, কেহই কোন কথা বলবে না- সে ব্যতীত, যাকে পরম দয়াময় অনুমতি দিবেন এবং যে যথাযথ কথা বলবে। “(সূরা, নাবা, ৭৮-৩৮)<br> “দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন এবং যার কথায় সন্তুষ্ট হবেন সে ছাড়া কারও সুপারিশ সেদিন কোন উপকারে আসবে না।” (সূরা ত্বো-হাঃ ১০৯)</p> <p dir="ltr">উবাদা বিন সামিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেছেন,হুযুর পাক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “একজন শহীদ আল্লাহর পক্ষ থেকে সাতটি পুরষ্কার লাভ করেন;<br> ১) তাঁর রক্তের প্রথম ফোটা পতনের সাথে সাথে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে<br> ২) তিনি জান্নাতে তাঁর মর্যাদা দেখতে পারেন<br> ৩) ঈমানের পোশাকে তাকে আচ্ছাদিত করা হয়ে থাকে<br> ৪) তাকে কবরের আযাব থেকে মুক্তি দেয়া হয়<br> ৫) হাশরের ময়দানের ভয়াবহ চিন্তা-উৎকন্ঠা থেকে তিনি নিরাপদে থাকবেন<br> ৬) তাঁর মাথায় একটি সম্মানের মুকুট স্থাপন করা হবে<br> ৭) তিনি তাঁর পরিবারের সত্তর জন সদস্যের জন্য শাফায়াত করার সুযোগ পাবেন”<br> (মুসনাদে আহমাদ, তাবারানী, আত তারগিব ওয়া তাহরিব, পৃ ৪৪৩, খন্ড ২)<br> আবার কুরআনে হাফিয, মাসুম বাচ্ছারাও সুপারিশ করতে পারবে।</p> <p dir="ltr">তবে শাফায়াতের জন্য ৩টি শর্ত রয়েছে।<br> ১- শাফায়াতকারীর উপর আল্লাহর সন্তুষ্টি থাকা।<br> ২- যার জন্য সুপারিশ করা হবে, তার উপরও আল্লাহর সন্তুষ্টি থাকা।<br> ৩- শাফায়াতকারীর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে শাফায়াত করার অনুমতি থাকা।<br> যা আল্লাহ পাক কুরয়ানে স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছেন।</p> <p dir="ltr">তাহলে যারা বলে ওলি আউলিয়া,পীর দরবেশ, বুযুর্গ,শহীদ,নেককার মুমিন বান্দাগন সুপারিশ করতে পারবেননা তারা গন্ডমুর্খ,জাহিল,বকলম,বাতিল ফিরকার অন্তর্ভুক্ত ।</p>

কে কে শাফায়াত করতে পারবে কুরআন-হাদিসের আলোকেঃ

শাফায়াত : শাফায়াতের শাব্দিক অর্থ জোড়া ও যুগল; দোয়া, সুপারিশ, মধ্যস্থতা ইত্যাদি। সুপারিশকারীকে শাফি এবং এর বহুবচন শুফায়া বলা হয়।শাফায়াত সাধার...

Read more »