কিতাবঃ হায়াতুল আম্বিয়া [মূল : ইমাম বায়হাক্বী (রহঃ)]
👉 কিতাবঃ হায়াতুল আম্বিয়া
👉 মূল : ইমাম বায়হাক্বী (রহঃ)
👉 বঙ্গানুবাদ : অধ্যাপক মাওলানা সৈয়দ
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আল-আযহারী
👉 সম্পাদনা : মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান
👉 Text Ready by : মাসুম বিল্লাহ সানি
_________________________
👉 Text Ready by : মাসুম বিল্লাহ সানি
_________________________
পরিচিতি
_________________________
কিতাবঃ হায়াতুল আম্বিয়া
[حَیاَة َََِِالْانبیِآَءِ علَیَھْمِ الس َُُّلامَُ فىِْ قبُوُْرِھِمْ]
[নবীগণ আলায়হিমুস্ সালাম জীবিত তাঁদের রওযাসমূহে]
👉 মূল : ইমাম আবূ বকর আহমদ খোরাসানী বায়হাক্বী ইবনে হোসাঈন ইবনে আলী ইবনে মূসা [রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি]
👉 বঙ্গানুবাদ : অধ্যাপক মাওলানা সৈয়দ
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আল-আযহারী
👉 সম্পাদনা : মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান [মহাপরিচালক, আনজুমান রিসার্চ সেন্টার ,আলমগীর খানকাহ্ শরীফ, ষোলশহর, চট্টগ্রাম ]
👉 প্রকাশনায় : আন্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট
[প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ]
৩২১, দিদার মার্কেট (৩য় তলা দেওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম-৪০০০, বাংলাদেশ।
👉 প্রকাশকাল :
০১ যিলহজ্ব, ১৪৩৬ হিজরী
০১ আশ্বিন, ১৪২২ বাংলা
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বস্বত্ত প্রকাশকের হাদিয়া: ٢٥/- (পঁচিশ) টাকা
মুখবন্ধ
_________________________
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
নাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লী ওয়া নুসাল্লিমু ‘আলা হাবীবিহিল করীম ওয়া ‘আলা- আ-লিহী ওয়া সাহবিহী আজমা‘ঈন
আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর নবী ও রসূলগণকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে সৃষ্টি করেছেন। তাঁদের কোন বৈশিষ্ট্য কোন সাধারণ মানুষের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়; বিশেষত নবী ও রসূলকুল সরদার হুযূর-ই আক্রাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম একেবারে অনুপম, অনন্য ও অতুলনীয়। তিনি হলেন নূরের তৈরী। বশরিয়াত তথা বাহ্যিকভাবে মানবীয় আকৃতিতে পৃথিবীতে আবিভর্‚ত হয়েছেন, যাতে পার্থিব সৃষ্টিকুল তাঁর সান্নিধ্যে গিয়ে ফয়ূয ও বরকাত হাসিল করতে পারে এবং তাঁকে সম্ভাব্য সব বিষয়ে মডেল বা আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ও অন্যান্য নবীগণ আলায়হিমুস্ সালাম-এর ‘হায়াত’ বা ‘জীবন’ও অনন্য-অতুলনীয়। তাঁরা পার্থিব জীবদ্দশা এ ধরাবুকে অতিবাহিত করে ওফাত বা ইন্তিক্বাল বরণের পরও তাঁদের পার্থিব জীবদ্দশার মতো, বরং আরো বেশী শক্তি ও শান-শওকত সহকারে জীবিত। তাঁরা আপন আপন রওযা শরীফে তাঁদের হায়াত বা শানদার জীবন নিয়ে অবস্থান করেন, কিংবা আল্লাহর ইচ্ছানুসারে তাঁর একান্ত সান্নিধ্যে ইবাদত-বন্দেগী পালন করেন ও আল্লাহ্র বান্দাদের সাহায্য করেন ইত্যাদি। এসব বিষয় পবিত্র ক্বোরআন মজীদ ও বিশুদ্ধ হাদীস শরীফ এবং ইসলামের চর্তুদলীল দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত। বিশুদ্ধ হাদীস শরীফে খোদ্ আল্লাহর হাবীব এরশাদ করেছেন, নবীগণ তাঁদের রওযা শরীফে জীবিত। তাঁদের নূরানী শরীর মুবারককে গ্রাস করা মাটির উপর আল্লাহ্ তা‘আলা হারাম করে দিয়েছেন। তাঁদেরকে রিয্ক্ব দেওয়া হয়। তাঁরা ইন্তিক্বালের পর নামায পড়েন, হজ্বের মৌসুমে হজ্ব করেন ইত্যাদি। আল্লাহ্ তা‘আলার বিশেষ অনুগ্রহ ও ক্ষমতায় তাঁরা ওফাতের পরও প্রয়োজনে তাঁদের ক্ষমতা প্রয়োগ করেন। ইত্যাদি।
অতি আনন্দের বিষয় যে, আহলে সুন্নাতের এ বিষয়ে অনুসৃত পাক-পবিত্র আক্বীদার সপক্ষে বিশ্ববিখ্যাত ইমাম ও মুহাদ্দিস ইমাম বায়হাক্বী ‘হায়াতুল আম্বিয়া’ (নবীগণের হায়াত বা জীবিত থাকা) -এর পক্ষে যথেষ্ট সংখ্যক বিশুদ্ধ (সহীহ্) হাদীস শরীফ সম্বলিত একটি পুস্তক ( حَ یاَةُ الْانَْبِیاَءِعَلیَْھِمُ َّ السلامَُ فىِْ قبُُوْرِھِمْ) ‘হায়াতুল আম্বিয়া-ই আলায়হিমুস্ সালাম ফী-ক্বুবূরিহিম’ (নবীগণ আলায়হিমুস্ সালাম তাঁদের কবরসমূহে জীবিত) শিরোনামে প্রণয়ন করেছেন। এ পুস্তকে তিনি নবীগণের হায়াত সম্পর্কিত যে সহীহ্ হাদীসগুলো সন্নিবিষ্ট করেছেন, সেগুলো যথাযথভাবে অধ্যয়ন ও হৃদয়ঙ্গম করলে এ সম্পর্কে একেবারে স্বচ্ছ ধারণা এবং আক্বীদায় অধিকতর দৃঢ়তা, পরিপক্কতা ও ঈমানী তৃপ্তি অর্জন করা যাবে- এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। পুস্তকখানা, সাদার্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, দক্ষ আলিম-ই দ্বীন মাওলানা সৈয়্যদ মুহাম্মদ জালাল উদ্দীন আল-আযহারী সরল বাংলায় অনুবাদ করেছেন এবং সেটা হৃদয়গ্রাহী অবয়বে প্রকাশ করেছেন ‘আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট’, চট্টগ্রাম।
মোটকথা, পুস্তকখানা বর্তমানকার আক্বীদাগত ও আমলগত এ ফিৎনার যুগে একটি অতি জরুরী বিষয়ে সঠিক দিক-নির্দেশনা ও জ্ঞানগত তত্ব ও তথ্য পরিবেশনে ফলপ্রসূ ও উপকারী ভ‚মিকা পালন করবে। আল্লাহ্ তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সম্মানিত নবীগণ আলায়হিমুস্ সালাম-এর ওসীলায় আমাদের এ প্রয়াসকে কবূল করুন। আ-মী-ন।
(মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান) মহাপরিচালক, আনজুমান রিসার্চ সেন্টার
আলমগীর খানকাহ্ শরীফ, ষোলশহর, চট্টগ্রাম।
ইমাম বায়হাক্বী (রহঃ) সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
_________________________
ইমামুল মুহাদ্দিসীন, হাফেযুল হাদীস, শায়খুল ফুক্বাহা ইমাম আবূ বকর বায়হাক্বী রাহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি বিভিন্ন ভলিয়ম সম্বলিত অনেক অনবদ্য গ্রন্থের রচয়িতা এবং ইলমে হাদীস ও ইলমে ফিক্বহ্ এর পথিকৃৎ। তাঁর পূর্ণনাম হলো- আহমদ ইবনে হোসাঈন ইবনে আলী ইবনে মূসা। তাঁর কুনিয়াত (উপনাম) আবূ বকর। উপাধি খোরাসানী ও বায়হাক্বী।
👉 জন্ম:
তিনি নিশাপুরের ‘বায়হাক্ব’ অঞ্চলের খুসরাওযিরদ নামক স্থানে ৩৮৪ হিজরীর শা’বান মাসে জন্ম গ্রহণ করেন। ইসলামের তৃতীয় খলীফা হযরত ওসমান ইবনে আফ্ফান রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর খেলাফতকালে নিশাপুর ইসলামী খেলাফতের করায়ত্ব হয়েছিলো।
👉 শিক্ষাজীবন:
জীবনী গ্রন্থাবলীতে ইমাম বায়হাক্বীর পরিবার সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়না। যতটুকু জানা যায়, তাহলো- তিনি শৈশবকাল থেকে জ্ঞানার্জনে আত্মনিয়োগ করেন এবং পনের বছর বয়স থেকেই হাদীস শরীফ শিক্ষা ও গবেষণায় ব্রতী হন।
👉 শিক্ষা অর্জন:
ইমাম বায়হাক্বী জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিখ্যাত জ্ঞানকেন্দ্রগুলোতে সফর করে যুগশ্রেষ্ঠ ফক্বীহ্, মুহাদ্দিস, দার্শনিক ও সূফীগণের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে খোরাসান, ত্বূস, হামদান ও নুক্বানসহ নিজ মাতৃভ‚মির পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে সফর করে যুগশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদদের সান্নিধ্যে এসে নিজেকে আলোকিত করেন। অতঃপর তিনি পবিত্র হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে মক্কা মুর্কারামাহ্ ও মদীনা মুনাওয়ারায় সফর করেন এবং এ দু’টি বরকতময় নগরীর প্রসিদ্ধ আলিমগণের নিকট থেকে ইল্মে দ্বীন অর্জন করেন। হজ্ব ও যিয়ারত শেষে তিনি জ্ঞানের রাজধানী বলে খ্যাত বাগদাদ ও কুফা এবং এ দু’-এর পার্শ্ববর্তী নগরীগুলোতে ইল্ম অর্জনে আত্মনিয়োগ করেন। জ্ঞানার্জনের এ দীর্ঘ পরিক্রমা শেষে তিনি নিজ জন্মভ‚মি বায়হাক্বে ফিরে আসেন এবং কিতাব রচনায় রত হন।
👉 শিক্ষকমন্ডলী:
ইমাম বায়হাক্বীর শিক্ষকমন্ডলীর সংখ্যা প্রচুর। কারণ তিনি খুব অল্প বয়স থেকে জ্ঞানার্জনের সূচনা করেন। ইমাম সুব্কীর ভাষ্য মতে তাঁর শিক্ষকগণের সংখ্যা শতাধিক। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেনঃ
১. আবূ আবদুল্লাহ্ হাকিম আন-নিশাপুরী (ওফাত-৪০৫হি.)। তাঁর সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে বায়হাক্বীর শিক্ষার্জনের প্রাথমিক দিকে। তাঁর থেকে তিনি সর্বাধিক উপকৃত হয়েছিলেন। তিনি তাঁর রচিত ‘আস-সুনান আল-কুবরা’তে ৮,৪৯১টি হাদীস রেওয়ায়ত করেছেন।
২. আবুল ফাত্হ আল মারূযী আশ্ শাফে‘ঈ। তিনি ছিলেন শাফে‘ঈ মাযহাবের যুগশ্রেষ্ঠ ইমাম এবং ফাত্ওয়া ও মুনাযারায় প্রসিদ্ধ ব্যক্তিত্ব। তাঁর থেকে ইমাম বায়হাক্বী ইল্মে ফিক্বহ্ অর্জন করেন। তিনি ছিলেন তাঁর ফিক্বহ্-এর ওস্তাদ। তাঁর থেকে তিনি হাদীসও সংগ্রহ করেছেন এবং তাঁর ‘সুনানে কুবরা’য় তাঁর থেকে ৬৫টি হাদীসও বর্ণনা করেছেন।
৩. আবদুল ক্বাহের আল বাগদাদী। তিনি ছিলেন তাঁর যুগের একজন প্রসিদ্ধ আলেম এবং শাফে‘ঈ মাযহাবের দিকপাল। তিনি প্রসিদ্ধ কিতাব الفرق بین الفِرق -এর রচয়িতা।
৪. আবূ সা‘ঈদ ইবনুল ফদ্বল আস্-সায়রফী। তিনি ছিলেন একজন নির্ভরযোগ্য তথা সেক্বাহ্ রাভী। ইমাম বায়হাক্বী তাঁর সান্নিধ্যে দীর্ঘকাল অতিবাহিত করেন এবং অনেক হাদীস সংকলন করেন। ১১০৪টি হাদীস তিনি তাঁর থেকে ‘সুনানে কুবরা’য় বর্ণনা করেছেন।
৫. আবূ বকর ইবনে ফুরক। তাঁর থেকে তিনি ইলমে কালাম শিক্ষা করেন।
৬. আবু আলী আর রোযবারী। তিনি ছিলেন তাসাওফের একজন প্রসিদ্ধ শায়খ। তাঁরই হাতে তিনি বায়‘আত গ্রহণ করেন এবং ইলমে তরীক্বত ও তাসাওফের দীক্ষা লাভ করেন।
৭. ইবরাহীম ইবনে মুহাম্মদ ইবনে ইবরাহীম আবূ ইসহাক্ব আল ইস্ফারাঈনী (ইন্তিক্বাল: ১০ মুহাররম, ৪১৮হি)
৮. ইবরাহীম ইবনে মুহাম্মদ ইবনে ইব্রাহীম ইবনে ইয়ূসুফ আবূ ইসহাক্ব আল ফক্বীহ্। (ওফাত: রজব, ৪১১হি.)
৯. ইবরাহীম ইবনে মুহাম্মদ ইবনুল হাসান আবূ ইসহাক্ব আল আরমভী। (ওফাত: শাওয়াল, ৪১৮হি.)
১০. আহমদ ইবনে ইবরাহীম ইবনে আহমদ ইবনে জানজাল। আবুল আব্বাস আস্ র্সারাম আল-মা’দিল আল-হামদানী। (ওফাত: রবিউল আওয়াল, ৪১৬হি.)
এ ছাড়াও প্রায় শতাধিক যুগশ্রেষ্ঠ আলেমের তিনি শিষ্য।
👉 ছাত্রবৃন্দ:
তিনি তাঁর অসংখ্য রচনাবলীর পাশাপাশি গর্ব করার যোগ্য অসংখ্য শিষ্যও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উপহার দিয়ে গেছেন, যাঁরা তাঁর জ্ঞানের গভীর সাগর থেকে মুক্তা আহরণ করে মুসলিম সমাজে বিতরণ করেছেন অকাতরে। তাঁদের মধ্যে:
১. ইমাম আবূ আবদিল্লাহ্ আন্ নিশাপূরী আশ-শাফে‘ঈ (ওফাত: ৫৩০হি.), তিনি ইমাম বায়হাক্বীর অন্যতম শিষ্য এবং তাঁর কিতাব ‘দালা-ইলুন্ নুবূওয়ত’ ‘আদ্ দাওয়াত আল কাবীর’ ও ‘আল বা’স’-এর গ্রহণযোগ্য বর্ণনাকারী।
২. ইমাম আবুল মা‘আ’লী মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল আল ফারেসী সুম্মা আন্- নিশাপুরী। তিনিও ছিলেন ইমাম বায়হাক্বীর শিষ্যদের একজন। তিনি তাঁর থেকে ‘সুনানে কুবরা’ শ্রবণ করেন, তিনি ছিলেন যুগের একজন প্রসিদ্ধ সেক্বাহ্ মুহাদ্দিস। তাঁর থেকে ইমাম ইবনুল আসাকির শেখ আবূ সা‘ঈদ আস- সাম‘আনীসহ অনেক প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস হাদীস বর্ণনা করেন।
👉 রচনাবলী:
ইমাম বায়হাক্বী বাল্যকাল থেকেই ছিলেন জ্ঞান পিপাসু ও কঠোর পরিশ্রমী। জ্ঞান অন্বেষণের লক্ষ্যে পৃথিবীর প্রত্যন্ত অঞ্চল চষে বেড়ানোর পাশাপাশি তাঁর প্রখর মেধা ও ধী-শক্তি তাঁকে বিশ্ববরেণ্য লেখকদের প্রথম সারিতে অবস্থান করে নিতে সাহায্য করেছে। তাঁর রেখে যাওয়া বিভিন্ন ভলিয়মের সহস্রাধিক গ্রন্থ পুস্তক ভান্ডার আজ বিশ্ব মুসলমানের জন্য অমূল্য সম্পদ ও গ্রন্থাগারগুলোর গৌরবের উপাদান। তিনি তাঁর গবেষণামূলক ক্ষুরধার লেখনীর বিরাট সংখ্যক পুস্তক রচনা করে চিরকালের জন্য বিশ্ব মুসলিমকে ঋণী করে রেখেছেন।
👉 নিম্নে তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থের নাম উল্লেখ করা হলঃ
১. (السنن الكبرى) ‘আস-সুনান আল-কুবরা’। এটা ইমাম বায়হাক্বীর সর্ব বৃহদাকারের গ্রন্থাবলীর অন্যতম, যা হাদীস শরীফের কিতাবগুরোর মধ্যে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে রেখেছে। বিশ্ববিখ্যাত অনেক মুহাদ্দিস এ গ্রন্থটি নিজেও শ্রবণ করেছেন এবং অন্যদেরকেও পাঠ করে শুনিয়েছেন। বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিসগণ এ কিতাবটির ভ‚য়সী প্রশংসা করেছেন। ইমাম ইবনুস্ সালাহ্ (ইন্তেক্বাল: ৬৪৩হি.) কিতাবটিকে হাদীস শাস্ত্রে লিখিত কিতাবগুলোর ধারাবাহিকতায় ষষ্ঠ স্থানে রেখেছেন। এমনকি ‘সুনানে ইবনে মাজাহ্’-এর উপরে স্থান দিয়েছেন। যেমন- ১. বোখারী, ২. মুসলিম, ৩. আবূ দাঊদ, ৪. তিরমিযী ও ৫. নাসা‘ঈ শরীফ এরপর
‘সুনানে কুবরা’-এর স্থান।
ইমাম সুবকী (ওফাত: ৭৭১হি.) এ কিতাবের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন,
امَاَّ الس ُّننَُ الْكُبرْى فمََا صُنِّ فَ فىِْ عِلْمِ الْحَدِ ثِ َمَثْلَھ تَھْذِیْباً وَترَْتِیْباً وَجُوْدَةً অর্থাৎ হাদীস শাস্ত্রে, ঐতিহ্যগত, বিন্যাসগত ও মানগত দিক দিয়ে ‘সুনানে কুবরা’র মতো কিতাব প্রণয়ন করা হয়নি। মোটকথা, বিন্যাস, ধারাবাহিকতা ও গুণগতমানের দিক থেকে ইমাম বায়হাক্বীর ‘সুনানে কুবরা’ হাদীস শাস্ত্রে এক অতুলনীয় কিতাব। কিতাবটি
১০ (দশ) খন্ড সম্বলিত।
২. السنن والاثار (আস্সুনান ওয়াল আ-সা-র)। কিতাবটি ৪ (চার) খন্ডবিশিষ্ট।
৩. الاسماء والصفات (আল-আসমা ওয়াস্ সিফাত)। এটা ২ (দুই) খন্ড বিশিষ্ট।
৪. المعتقد (আল-মু’তাক্বাদ)। এটা ১ (এক) খণ্ডে লিখিত।
৫. البعث (আল-বা’স)। এটা ১ (এক) খণ্ডে প্রণীত।
৬. الترغیب والترھیب (আত-তারগীব ওয়াত্ তারহীব)। এটা ১ (এক) খণ্ডে লিখিত।
৭. الدعوات (আদ্দা’ওয়াত)। এটা ১ (এক) খণ্ডে লিখিত।
৮. الزھد (আয্ যুহ্দ)। এটা ১ (এক) খণ্ডে লিখিত ।
৯. الخلافیات (আল-খিলা-ফিয়াত)। এটা ৩ (তিন) খণ্ডে লিখিত ।
১০. نصوص الشافعى (নুসূসুশ্ শাফে‘ঈ)। এটা ২ (দুই) খণ্ডে লিখিত ।
১১. دلائل النبوة (দালা-ইলুল্ নুবূয়ত)। এটা ৪ (চার) খণ্ডে লিখিত ।
১২. السنن الصغیر (আস্ সুনানুস্ সগীর)। এটা ১ (এক) খণ্ডে লিখিত ।
১৩. شعب الایمان ( শু’আবুল ঈমান)। এটা ২ (দুই) খণ্ড বিশিষ্ট।
১৪. المدخل الى السنن (আল্-মাদ্খাল ইলাস্ সুনান)। এটা ১ (এক) খণ্ডবিশিষ্ট।
১৫. (আল-আদাব): এটা ১ (এক) খণ্ড বিশিষ্ট ) الاداب .
১৬. حَیاَةُ الأنَْبِیآَ ِء عَلیَْھِمُ َّ السلامَُ ِفىْ قبُوُْرِ ِھمْ (ফাদ্বা-ইলুল আওক্বাত)। এটা (দুই) খণ্ড সম্বলিত فضائل الاوقات .
১৭. الاربعین الاربعین الصغیرالكبیر (আল আরবা‘ঈনুল কবীর)। এটা ২ (দুই খন্ডে)।
১৮. এটা ১ (এক)) খণ্ডের কিতাব খণ্ডবিশিষ্ট لِلْإِمَامِ الْبَیْھَقِ ِّ ى رَحِمَھُ ﷲُ تَعَالى
১৯. الرؤیة ( আর রু’ইয়াহ্)। এটা ১ (এক) খণ্ডবিশিষ্ট।
২০. الاسراء (আল-ইসরা)। এটা ১ (এক) খণ্ড সম্বলিত।
২১. مناقب الشافعى ( মানাক্বিবুশ্ শাফে‘ঈ। ১ (এক) খণ্ড বিশিষ্ট।
২২. مناقب احمد ( মানাক্বিবে আহমদ)। এটা ১ (এক) খণ্ডে লিখিত।
২৩. فضائل الصحابة ( ফাদ্বা-ইলুস্ সাহাবা)। এটা (এক) খণ্ড বিশিষ্ট।
২৪. احادیث الشافعى (আহা-দী-সুশ্ শাফে‘ঈ)। এটা ১ (এক) খণ্ড বিশিষ্ট।
২৫. ألف مسألة (আলফু মাস্আলাহ্)। এটা ১ (এক) খণ্ডে লিখিত।
২৬. بیان خطأ من أخطأ على الشافعى (বয়ানু খাত্বাই মান্ আখত্বাআ আলাশ শাফে‘ঈ)। এটা ১ (এক) খণ্ড বিশিষ্ট ।
২৭. (তাখরীজু আহা-দী-সিল উম্ম্ تخریج احادیث الام (كتاب الام للشافعى)) (কিতাবুল উম্ম, ইমাম শাফে‘ঈ কৃত)। এটা ১ (এক) খণ্ড বিশিষ্ট
২৮. معالم السنن (মা‘আ-লিমুস্ সুনান) العقائد (আল-আক্বাইদ) اثبات عذاب القبر (ইসবাতু আযাবিল কবর) القراءة خلف الامام (আল-কিরাআতু খালফাল ইমাম)
( الاعتقاد والھدایة الى سبیل الرشاد (আল-কাদ্বা ওয়াল ক্বদর) القضاء والقدر .
২৯. ই’তিক্বাদু ওয়াল হিদায়াতু ইলা-সাবীলির রাশাদ) الایمان (আল-ঈমান)
حیاة الانبیاء فى قبورھم بعد وفاتھم আহকা-মুল করআন احكام القران
৩০. (হায়াতুল আম্বিয়া) ইত্যাদি।
---০---
ইমাম বাইহাক্বী প্রণীত হায়াতুল আম্বিয়া
[আলায়হিস্ সালাম]
حَیاَةُ الأنَْبِیآَءِ عَلیَْھِمُ َّ السلامَُ فِىْ قبُوُْرِھِمْ لِلْإِمَامِ الْبَیْھَقِ ِّ ى رَحِمَھُ ﷲُ تَعَالى
________________________________
بسم ﷲ الرحمن الرحیم
(বিসমিল্লাহহির রাহমানির রাহিম)
_________________________________
👉 হাদিস নং ১ :
رقم الحدیث: ١
أبأخْبَرَنَُاُو سَع دسعْدٍ أحْمَد بُنبْنُ مَََُحمَد بْنِ الْخَلیِلِ ُِِِّ ُّ َّ الصوفيِ ، رَحمَِھرحمھُ َّ ﷲُ ، قَالَ : أبأنبُأُو أَح مَدأحْمدَ عبْدَ ُ ﷲَّ بنبْنُ ٍّ عَدِي ََََِالْحَافِظُ , قَالَ : ثنا قسُقسْ نْطَینِطینُ بنبْنُ عبَْدِ َّ ﷲِ ُّ ُّ الرومِي , قَالَ : ثن الحسَْنَالحسنُ بنبْنُ عَرَفَةَ , قَالَ : َّ حَدثَنِي الحسْنَالحسنُ بنبْنُ قتیُْبةََ ََََالمْدَ ُّ َائِنِي , ثناالم سْالمُسْتلمْتلمَ بُنبْنُ ِِسعَیِدسعیدٍ َّ ُّ الثقَفِي , عَنِ َّ الحْجَاج بْنِ الأسَْوَدِ , عنَعنْ ثابَتِثابتٍ البُْناَنيِ ِّ , عنَعن ْ أنََسٍ
, رَضَِيَ َّ ﷲُ عَنھْعنھُ ، قَِالَ : قالَ رسَولرسُولُ ﷲ صلَى َّ َّ ﷲُ علَیَْھِ َََََََِّ َّ وَسَلمَ :
" الأنبَیْاِءَالأنبیاءُ أحَْیاَءٌ فيِ قبُُورِھِمْ ی ُّ ُصَلونَ " , ھَذَا حَدِیثٌ ی ُّ ُعَد فيِ
راد إفاِلْحَسِن بَْنَ قِتیْبةِ اَُلمَدََْْائْنيَِِِ ِّ ، ، وقد رَُْوي عَنعنْ یحَََََََََََْیىَ بْنِ ِِِِِأبَِي بكیبُكیْرْر ، عٍن (١)
হযরত সাবেত আল বুনানী রাদ্বিয়ালাহু তা‘আলা আনহু হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেন,
“নবীগণ তাঁদের কবর শরীফে জীবিত এবং তারা সেখানে নামায আদায় করেন।”
_________________________
المَسِالمُسْتلمْتْلم ََبَْنِِ سعِیدَسعیدٍِِ ، عن َّ الحِجْاَج ِ ، عنعنْ ثابَتِثابتٍ ، ََََََعنَعنْ أَنََسِ .
১- (الراوي : أنس أبي نعیم الإصبھاني - ذكر خبر إصبھان - الجزء : ( ٢ ) - رقم الصفحة : (
٨٣( . البزار: البحر الزخار المعروف بمسند البزار. الصفحة أو الرقم / ১৩/২৯৯ :. البیھقي / المصدر : حیاة الأنبیاء الصفحة أو الرقم: / ২৭ : الشوكاني - نیل الأوطار - الجزء : ( ٥ ) - رقم الصفحة : ( ١٧٨( . أبو یعلى الموصلي - مسند أبو یعلى الموصلي - الجزء : ( ٦ ) - رقم الصفحة : ( ١٤٧( . المناوي - فیض القدیر شرح الجامع الصغیر - الجزء : ( ٣ ) - رقم الصفحة : ( ٢٣٩( . الھیثمي - مجمع الزوائد - الجزء : ( ٨ ) - رقم الصفحة : ( ٢١٠( . السید إبن طاووس الحسني - سعد السعود - رقم الصفحة : ( ١٥١( . إبن منده الإصفھاني - الفوائد - رقم
الصفحة : ( ٧٤( . إبن عابدین - حاشیة رد المختار - الجزء : ( ٤ ) - رقم الصفحة : ( ٣٢٨( .
البكري الدمیاطي - إعانة الطالبیب - الجزء : ( ١ و ٢ ) - رقم الصفحة : ( ٢٢٧ و ٣١٣( . محمود سعید ممدوح - رفع المنارة - رقم الصفحة : ( ٦٢( . عبدﷲ بن عدي - الكامل - الجزء : ( ٢ ) - رقم الصفحة : ( ٣٢٧( . إبن عساكر - تاریخ مدینة دمشق - الجزء : ( ١٣ ) - رقم الصفحة
: ( ٣٢٦( . إبن النجار البغدادي - ذیل تاریخ بغداد - الجزء : ( ٥ ) - رقم الصفحة : ( ١٥٧( .
الذھبي - سیر أعلام النبلاء - الجزء : ( ٩ ) - رقم الصفحة : ( ١٦١( . الذھبي - میزان الإعتدال -الجزء : ( ١ ) - رقم الصفحة : ( ٤٦٠ و ٥١٨( . إبن حجر - لسان المیزان - الجزء : ( ٢ ) - رقم الصفحة : ( ١٧٥ و ٢٤٦( . الصالحي الشامي - سبل الھدى والرشاد - الجزء : ( ١٢ ) - رقم الصفحة : ( ٣٥٦ و ٣٦٧( . محمد بن الشربیني - الإقناع - الجزء - ( ১ ) : رقم الصفحة :
( ২০৩ ). السبكي - السیف الصقیل رد إبن زنجفیل - رقم الصفحة : ( ١٨٢( . حسن بن علي السقاف - الإغاثة - رقم الصفحة : ( ٤ و ٥( . الشرواني والعبادي - حواشي الشرواني - الجزء :
( ٢ ) - رقم الصفحة : ( ١٦٧( . موسى الحجاوي - الإقناع - الجزء : ( ٢ ) - رقم الصفحة : (
٢٣٧( . العظیم آبادي - عون المعبود - الجزء : ( ٣ ) - رقم الصفحة : ( ٢٦١( . جلال الدین السیوطي - شرح سنن النسائي - الجزء : ( ٤ ) - رقم الصفحة : ( ١١٠( . الذھبي / المصدر :میزان الاعتدال الصفحة أو الرقم / ১/৫১৮ :,. :الذھبي / المصدر : میزان الاعتدال, الصفحة أو الرقم / ১/৪৬০ :. ابن الملقن / المصدر : البدر المنیر, الصفحة أو الرقم/ ৫/২৮৪ :. الھیثمي / المصدر : مجمع الزوائد, الصفحة أو الرقم/ ৮/২১৪ :. ابن حجر العسقلاني / المصدر : فتح الباري لابن حجر, الصفحة أو الرقم/ ৫৬১/৬ : :الصنعاني / المصدر : الإنصاف في حقیقة الأولیاء, الصفحة أو الرقم / ৭৯ :. البزار / المصدر : البحر الزخار المعروف بمسند البزار, الصفحة أو الرقم / ৬২/১৩ :. ابن عدي / المصدر : الكامل في الضعفاء, الصفحة أو الرقم / ৩/১৭৩ :. ابن القیسراني / المصدر : ذخیرة الحفاظ, الصفحة أو الرقم / ২/১০৮৪ :
والحدیث رواه أبو یعلى ( ٦ / ١٤٧ ) وغیره وھو حدیث حسن ولھ شواھد لمعناه صحیحة . قال ابن حجر : وقد جمع البیھقي كتابا لطیفا في " حیاة الأنبیاء في قبورھم " أورد فیھ حدیث أنس " الأنبیاء أحیاء في قبورھم یصلون " أخرجھ من طریق یحیى بن أبي كثیر وھو من رجال الصحیح عن المستلم بن سعید وقد وثقھ أحمد وابن حبان عن الحجاج الأسود وھو ابن أبي زیاد البصري وقد وثقھ أحمد وابن معین عن ثابت عنھ ، وأخرجھ أیضا أبو یعلى في مسنده من ھذا الوجھ ، وأخرجھ البزار لكن وقع عنده عن حجاج الصواف وھو وھم والصواب الحجاج الأسود كما وقع التصریح بھ في روایة البیھقي ، وصححھ البیھقي ، وأخرجھ أیضا من طریق الحسن بن قتیبة عن المستلم ، وكذلك أخرجھ البزار وابن عدي . )
________________________
👉 হাদীস নং ২ :
٢ : رقم الحدیث
وَھُوَ فیِمَا أَخْبَرَنَا ِّ الثقَةُ , منمن ْ أھَْلِ ِِالْعِلْمِ ، قَالَ : أنبأ أبُو عمَْرِو بنبْنُ حمَ دحمْدَانَانَ , قَالَ : أنبأأب ُوَ یعْلىَ الموَْ ُّ ْ صِليِ , ثنا أبَُو الجْھَْمِ الأزَرْقَ ُ بنبْنُ عَل ٍّ يِ , ثنایح ْیىَ بنبْنُ أبَيِ بكیَبُكیْرْرٍ , ثنا المسْالمُسْتلمْتلمَِ بُنبْنُ سعَیِدسعیدٍ
, عَنِ َّ الْحَجاجِ , عنَعن ْ ثاَبتِثابتٍ , عنَعن ْ أنسََ بْن ماَلكِمالكٍ , رَضِيَ َّ ﷲُ عَنْھعنھُ
، قَالَ : قالَ رسَولرسُولُ ﷲ صلَى َّ َّ ﷲُ علَیَِْھِ َََََََِّ َّ وَِسَلمَ : " الأنبَیْاِءَالأنبیاءُ أحَْیَاءٌ فيِ قبُُورِھِمْ ی ُّ ُصَُلونَ " .قد ورَُوْي مِنَمنْ وجَْھ ِِآِخرَ ، ََََعنَعنْ أنَسَِ بْنِ مالكَمالكٍ ِِرضَيِ ﷲَ َّ عُنھَعنھُ موَُْْ قوُفًا ب. ْنِ ماَلكِمالكٍ. (٢)
হযরত সাবেত আল্ বুনানী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হযরত আনাস ইবনে মালেক রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলে করীম (ﷺ) এরশাদ করেন, “নবীগণ তাঁদের নিজ নিজ কবর শরীফে জীবিত, তাঁরা নামায আদায় করেন।”
২- (المرجع السابق)
________________________
👉 হাদীস নং ৩ :
رقم الحدیث: ٣
أخَْبَرَنَاهأخبرناهُ أبَُُو عُثْمَانَ الإمَِامُ , رَحمَِھرحمھُ َّ ﷲُ ، أنبأ زاھرَزاھرُ ِ بنبْنُ أحَ مدَأحْمدَ , ثنا
أبُُوَ جعْفَرَ مٍُحمدَ بُنبْنُ معاَذمُعاذٍ ُّ َّ الْمَالیِني ثنا, الحسْینَالحُسیْنُ بنبْنُ الْحَسَنِ , ثنا مُؤَ َّ ملٌ , عثناُ بیْد ﷲُ َّ بنِبْنُ أبيَِ حََِمیَدحُمیْدٍ الْھُ ُّ ُذَليِ , عنَعنْ أبَي الْمَلیِحِ , عنَعنْ
أنسََ بْنِِ ماَلكِمالكٍ , قَالَ : " الأنبَْیاِءَالأنبیاءُ فيِ قبُُورھِمِْ أحَْیَاءٌ یُ ُّ ُصَلونَ " (٣)
হযরত আবুল মালীহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হযরত আনাস ইবনে মালেক রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, “নবীগণ তাঁদের কবর শরীফে জীবিত, তাঁরা (সেখানে) নামায আদায় করেন।”
৩- (المرجع السابق)
________________________
👉 হাদীস নং : ৪
رقم الحدیث: ٤
وَرُوِيَ كَمَا , أَخْبَرَنَا أبَُو عبَْدِ َّ ﷲِ الْحَافظُِ , ثَنَاأب ُوَ حامَدِحامدٍ أحَْمَدُ بنبْنُ علَيِ الحْسَُّ ٍّ ْنَوِي ، إمِْلاءً , ثناأب ُوَ عبْدَ ﷲِ َّ مُِحمَد ُ بنبْنُ َّ َّ الْعَباسِ الحْمِ ُّ ْصِي ، بحِمِْصَ, ثنا أبُوَ الربیعِِ َّ الزھُّ َّ ْرَانِي , ثنا إسِماعَیلِإسْماعیلُ بنبْنُ طلحَْةَ بَْن یزَیِدیزیدَ , عنمَ ُحْمد بْنِ عِبْدَ َّ َّ اِلرحَََْمنَ بْن ِِِِأبَيِ لیَْلَى , عنَعنْ ثاَبتِثابتٍ , عنَِعنْ أَنََسٍ , رَضِيَ َّ ﷲُ عَنھْعنھُ , عنَ النبِيَّ ِ ِّ َّ صلَى َّ ﷲ ُ علَیَْھِ َّ وَسَلمَ ، قَالَ إن: " َّ اِلأنبیاَءِْ لاَ یُتركْوَنُ فيَ قِب ُِورُھم بِعْ دَبعْدَ أرََََََََِِِْبَعِینَ لیَْلَةً , ولكَنَھَِّ ُم ْ ی ُّ ُصُلوَن بیْن ََََََیدََي َّ ﷲ عَز َّ وَجَل َََََِّ َّ حَتى یُنْفَخَ فيِ ُّ الصورِ " . وھَذَا إنِإن ْ َّ صَح ََبِھَذَا َّ الِلفْظِ , فالَمُْراَدُ بھِ ِ ، َّ وﷲَ ُ أعَْلَمُ ، لا یُترْكَوُن لا ی ُّ ُصلَون إلِا ھذَاَ المْقِدَََََََْارَ , ثمَُّ یكَوُنوُنَ م ِّ ُصَلینَ فیِھَا بیْن یدََي َّ ﷲِ َّ عَز َََََِوَ َّ جَل , كماَ رُو ِّینَا فيِ الْحَدِیثِ َّ الأَولِ َََوَقَدْ یح تملیُحْتملَُ أَنأنْ یِكوَنُ الَمُرْادَ بھُ ِ رِفعَُْ أَجَْساَدھِمِ معَ َََأرَََََََََََْْْوَاحِھِمْ . (٤)
হযরত সাবেত আল্ বুনানী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হযরত আনাস ইবনে মালেক রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) এরশাদ করেন, “নিশ্চয় নবীগণ আলাইহিমুস্ সালামকে তাঁদের কবর শরীফে ৪০ রাত্রির পর আর রাখা হয় না, বরং তাঁরা মহান আল্লাহর কুদরতের সামনে নামায পড়তে থাকেন, যতক্ষণ না সিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে।”
এ হাদীস শরীফ যদি উপরোক্ত বাক্যে হুবহু সহীহ হয়, তা’হলে এর মর্মার্থ আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন। তবে হতে পারে শুধু এ যাবতকাল সময়ে তাঁরা তাঁদের কবর শরীফে নামায আদায় করতে পারেন না; কিন্তু এ নির্ধারিত সময়ের পর তাঁরা আল্লাহ আয্যা ওয়া জাল্লাহ’র মহান ক্বুদরতের সমীপে সদা-সর্বদা নামায পড়তে থাকেন, যা আমরা প্রথম হাদীসে উলেখ করেছি। আবার কখনও তার উদ্দেশ্য এও হতে পারে যে, তাঁদের রূহ সহ দেহ মুবারক ঊর্ধ্ব জগতে উত্তোলিত হয়।
৪- (وذكر الغزالي ثم الرافعي حدیثا مرفوعا " أنا أكرم على ربي من أن یتركني في قبري بعد ثلاث ولا أصلي لھ حدیث : روي } أنھ صلى ﷲ علیھ وسلم قال : أنا أكرم على ربي من أن یتركني في قبري بعد ثلاث {وكذا أورده إمام الحرمین في نھایتھ ، ثم قال : وروي أكثر من یومین ، لم أجده ھكذا ، لكن روى الثوري في جامعھ عن شیخ ، عن سعید بن المسیب قال } : ما یمكث نبي في قبره ، أكثر من أربعین لیلة حتى یرفع .{ورواه عبد الرزاق في مصنفھ عن الثوري ، عن أبي المقدام ، }عن سعید بن المسیب : أنھ رأى قوما یسلمون على النبي صلى ﷲ علیھ وسلم فقال : ما مكث نبي في الأرض أكثر من أربعین یوما .{وھذا ضعیف ، وقد روى عبد الرزاق عقبھ حدیث أنس مرفوعا} : مررت بموسى لیلة أسري بي ، وھو قائم یصلي ] ص ২৫৪ :
[في قبره .{وأراد بذلك رد ما روي عن ابن المسیب ، ومما یقدح في ھذه الأحادیث حدیث أوس بن أوس } : صلاتكم معروضة علي - {الحدیث - " . وحدیث أبي ھریرة } :أنا أول من تنشق عنھ الأرض .{وﷲ أعلم . وروى الطبراني، وابن حبان في الضعفاء وابن الجوزي في الموضوعات من حدیث أنس مرفوعا نحو الأول ، قال ابن حبان :ھذا باطل موضوع . [التلخیص الحبیر في تخریج أحادیث الرافعي الكبیر كتاب الصلاة كتاب الجنائز, - ( ৪৭ ) - ৭৭৭ ] وقال الامام السیوطي في اللآلئ المصنوعة فيِ الأحادیث الموضوعة للسیوطي رقم
الحدیث: ٦٤٨ وقال البیھقي فِيِ كتاب حیاة الأنبیاء : أَنْبَأنَا أبَُو عبَْد ﷲ الحافظ ، َّ حَدثَنَا أحَْمدَ بْن علي الحسنوي ، إملاء ، َّ حَدثَنَاأب ُوَ مُحمَ َّد بْن العَْب َّاس الحمصي ، َّ حَدثَنَا أبَُو الربیع الزھراني ، َّ حَدثَنَا إسْماعَیلِ بْن طلحة بْن یزید ، معَُنُحم َّ د بَْن عبْد اَلر َّحْمنَ عبََََْد ﷲ بْن أبي لیلى ، عَن ثابت ، عنَعن ْ أَنَسٍ ، عنَ اِلنبيَّ ِ ِّ صلَى ﷲَّ علَیَْھِ َّ َّ َُوَسَلمَ ، قَالَ : " إنِ َّ الأنبیاءَْ لاَ یُتركْوَنُ فيَ قبُورُھمِ بِعْ دَبعْدَ أرََََََََِِِْبَعِینَ لیْلةَ َ ً ، َولكنَھَُُمِ َّ ی ُّ ُصْلونَ بیَْنَ یَدَي ﷲَِّ عِزَ َّ وجَلَ َّ َّحتَىَّ یُنفْخَََ فيِ الصِ ُّورِ . " وروى الثوري فيِ جامعھ ،
___________
عَن شیخ ، عَن سعَیِد بْن المسیب ، قَالَ " ما یمَیمْكث نبي فيِ قبره أكثر من أربعین حتى یُرفع . ورواهُ عبَْد الرزاق فِيِ مصنفھ ، عَن الثوري ، عَن أبي المقدام ، عَن سعَیِد بْن المسیب ، قَالَ " ما مكث نبي ِفي قبره من الأرض أكثر من أربعین یومًا " . قَالَ الزركشي ِفي تَخریج أحادیث الرافعي : وأبو المقدام ھُوَ تثاب بْن ھرمز الكوْفُيالكوفيّ ، والد عُمرَ بْن أبي المقدام شیخ صالحِ .
وقال إمامالحرمین فِيِ النھایة ، َّ ثُم الرافعي فِيِ الشرح : روى أن النبيَّ ِالنبيّ صلَى ﷲ علَیَْھِ َّ َّ َُوَسَلمَ ، قَالَ :
" أنََا أكرمُ عَلَى ربي من أن یتركني فِيِ قبري بعد ثلاث . " زاد إمام الحرمین ، وروى : أكثر من یومین . قَالَ الزركشي : ولمَْ أجده . وقیل : إن الأزرقي رَوَاهُ . قَاَلَ الزركشي وذكر أبُوَ الحْسَنَ بْن الزاغوني الحنبلي فِيِ بعض كتبھ ، حدیثًا " إن ﷲ لا یترك نبیًا فِيِ قبره أكثر من نصف یوم " .
وقال الحافظ ابن حجر فيِ تَخریج الرافعي متعقبًاعَلَىَ ابن حبان ، وابن الجوزي فيِ حكمھما عَلىَ حدیث أنس بالبطلان : وقد أفرد البیھقي جزءًا من حیاة الأنبیاء وأورد فیِھِ عدة أحادیث تؤید ھذا ، فیراجع منھ . وقال فِيِ دلائل النبوة : الأنبیاء أحیاء عنِدِْعندَ رب ِّھم كالشھداء . وقال فِيِ كتاب الاعتقاد : الأنبیاء بعد ما قبضوا ردت إلیھم أرواحھم فھم أحیاء عنِدْعندَ رب ِّھم كالشھداء . انتھى ، وﷲ أعلم وراجع: فتح الباري شرح صحیح البخاري, أحمد بن علي بن حجر أبو الفضل العسقلاني الشافعي, الناشر : دار المعرفة - بیروت ، ١٣٧٩ تحقیق : أحمد بن علي بن حجر أبو الفضل العسقلاني الشافعي)
_________________________
👉 হাদীস নং ৫ :
رقم الحدیث: ٥
فقد ََرَْوىَ سَََفیانَْسُفیانُ َّ الثو ُّ ْ رِي , فيِ الْجَامِعِ ، قَالَ : قاَلَ شیَْخٌ لَنَا ,
عنَعنْ سعَیِدِِ بْنِ المْ َّ ُسَیبِ ، قَالَ : " ما مكثََ نَبيَِ ُّ فيِ قبْرَهِ أِكَثرََََْ منِمنْ أرْبعَینَ لیْلةَ حًَتىَ َّ یریُرْفعْفع ، فعلَىََ ھذاََ یصَیرُِون َََِِِكسَاَئرِِ الأحَََََََََََْیَاءِ , یكَوُنوُن حیَْثُ ینْزِلھُُمُیُنزلھُم َّ ﷲُ َّ عَز ََََََ َّ وَجَل " . كماَ رُو ِّینَا فيِ ََحَدِیثِ المْعِْراَج وَغیَْرِهِ ، أنَ النبَّ يَِّ َّ صلَى َّ ﷲُ علَیَْھِ َّ َّ وَسَلمَ " رَأىَ مُوسَى علیَْھ َّ السِلام ُ قاَئمِاً ی ِّ ُصُلَي فيِ قبَْرِهِ ، َّ ثم رَآهرآهُ مَعَ ِِِِِسَائِرِ الأنَْبِیَاءِ علَیَْھمِ َّ السلامُُ فيِ بیَْتِ الْمَقْدسِِ ، ثمَُّ رآھُمْ فيِ َّ السمَوَاتِ " , َّ وَﷲُ تَبَارَك وتَعاَلىََ فَعالََّ لماٌ یُِرَید ولُحَیاِة اَلأِنبیاءَْ بعِ دَبعْدَ موَ ْ تِھِمْ َََََََََََصَلَوَاتُ
َّ ﷲ علَیَْھِمْ شَوَاھِدُ مِنَ الأَحَاِدِیثِ َّ الصحِیحَةِِ ََََََِمِنْھَا (٥)
হযরত সা‘ঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বলেন, কোন নবী আলায়হিস্ সালাম নিজ কবর শরীফে চলিশ রাতের বেশী অবস্থান করেন না; বরং তাঁদেরকে উত্তোলন করা হয়। ফলে তাঁরা হয়ে যান অন্যান্য জীবিতদের ন্যায়। তাঁরা বিচরণ করতে থাকেন ওই সকল স্থানগুলোতে, যেখানে আল্লাহ তা‘আলা তাঁদেরকে অবতরণ করান।
যেভাবে আমরা মিরাজ ও অন্যান্য হাদীসে তার বর্ণনা পেয়েছি। যেমন নবী করীম (ﷺ) মি’রাজ রজনীতে দেখতে পেলেন যে, হযরত মূসা আলায়হিস্ সালাম তাঁর কবর শরীফে দাঁড়িয়ে নামায পড়ছেন। আবার কিছুক্ষণ পর তাঁকে অন্যান্য নবীগণের আলায়হিস্ সালাম সাথে ‘বাইতুল মুকাদ্দাস’ শরীফে সমবেতভাবে উপস্থিত দেখতে পেলেন। আবার ওই সকল নবী রাসূলগণকে বিভিন্ন আসমানেও দেখতে
পেলেন। আল্লাহ তা‘আলা যা চান তাই করেন। নিশ্চয় নবীগণ আলায়হিস্ সালাম যে তাঁদের নিজ নিজ কবর শরীফে জীবিত এ সম্পর্কে অসংখ্য দলীল ও প্রমাণ বিশুদ্ধ হাদীস শরীফ থেকে পাওয়া যায়। তৎমধ্যে:
৫- (بل قد جاء عنھ صلى ﷲ علیھ وآلھ وسلم ما ھو أعم مما ذكرنا ، وذلك في حدیث أبي ھریرة في سؤال الملكین للمؤمن في القبر : فیقال لھ : إجلس ، فیجلس قد مثلت لھ الشمس وقد أذنت للغروب ، فیقال لھ : أرأیتك ھذا الذي كان فیكم ما تقول فیھ ؟ وماذا تشھد علیھ ؟ فیقول : دعوني حتى أصلي ، فیقولان : إنك ستفعل ، أخرجھ إبن حبان في ( صحیحھ ) ( ٧٨١ ) والحاكم ( ١ / ٣٧٩ - ٣٨٠ ) وقال : صحیح على شرط مسلم ، ووافقھ الذھبي ! ، فھذا الحدیث صریح في أنالمؤمن أیضاً ً◌ یصلي في قبره ، فبطل بذلك القول بأن الموتى لا یصلون ، )
_________________________
👉 হাদীস নং-৬ :
رقم الحدیث: ٦
(حدیث مرفوع) مَا أبأخْبَرَنَُاُو اَلح سْیالحُسیْنْنَ عِليَ بنبْنُ مَّ ُّ ُحمَد بْنِِ عبَِِِْدِ
َّ ﷲ بْنِ ََِبِشْرَانَ ببغِدَْادببغدَادَ , إسأنبأ ماِعیَلإسْماعیلُِ بنبْنُ محمَدمُحمدٍ َّ َّ َّ الصفارالصفارُ , ثنا مُحمدَ بُنبْنُ عبَْدِ الْمَلكِِ َّ ُّ َّ الدقیِقيِ , ثنا یزیَدِ بُنبْنُ ھاَرُونَ , ثناس لیَماَنسُلیْمانُ َّ التی ُّ ْمِي , عنَعن ْ أنسََ بْن ماَلكِمالكٍ , رضَِي َّ ﷲُ َََعنَھْعنھُ ، َّ أنَ بعَْضَ أصَْحاَبِ النبَّ يِ ِّ َّ صَلىِ َّ ﷲُِ عَلیَْھِ وَسَلمَ ، أَخْبَرَهُ أنَ َّ َّ َّ النبِي َّ َّ صَلى َّ ﷲُ علَیَْھِ َّ وَسَلمَ لی: " ْلةَ أَسَْريِ بھِ مِرَ علىََ مُوسىَ علیَْھِِ َّ َّ السلامُ وَھَََََََُوَ ی ِّ ُصلَي فيِ قبَْرِهِ " . (٦)
হযরত সুলাইমান আত্ তাইমী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু সাহাবী হযরত আনাস ইবনে মালেক রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমাকে নবী করীম (ﷺ) এর কয়েকজন সম্মানিত সাহাবী সংবাদ দিয়েছেন যে, “যে রাতে নবী করীম (ﷺ) কে মি’রাজ করানো হল সে রাতে তিনি
হযরত মূসা আলায়হিস্ সালাম-এর পাশ দিয়ে গমন করার সময় দেখতে পেলেন তিনি (আলায়হিস্ সালাম) নিজ কবর শরীফে নামায পড়ছেন।”
৬- (وفي روایة صحیح مسلم بلفظ: عن أنس بن مالك : أن رسول ﷲ صلى ﷲ علیھ وآلھ وسلم قال : أتیت وفي روایة ھداب مررت على موسى لیلة أسري بي عند الكثیب الأحمر وھو قائم یصلي في قبره. (صحیح مسلم - الفضائل - من فضائل موسى - رقم الحدیث( ৪৩৭৯ ) : . وفي روایة عن أنس بن مالك : أن رسول ﷲ صلى ﷲ علیھ وآلھ وسلم قال : أتیت على موسى لیلة أسري بي عند الكثیب الأحمر وھو قائم یصلي في قبره. (مسند أحمد - باقي مسند.... - مسند أنس - ....رقم الحدیث( ১২০৪৬ ) : وفي روایة عن أنس بن مالك : أن رسول ﷲ صلى ﷲ علیھ وآلھ وسلم قال : أتیت لیلة أسري بي على موسى عند الكثیب الأحمر وھو قائم یصلي في قبره. (سنن النسائي - قیام اللیل.. - ذكر صلاة نبي - ...رقم الحدیث( ১৬১৩ ) : )
_________________________
👉 হাদীস নং-৭ :
رقم الحدیث: ٧
حدیث مرفوع (وَأخْبَرَنَاأب ُوَ الحْسیْنَالحُسیْن عليَِ ُّ بنبْنُ ِِبِشْرَانَ ,أنبأ إسِ مَاعِیلإسْماعیلُ ,أنبأأح ْمَد بُنبْنُ منَصُْور بْنِ سَیارٍ ََََُّ َّ َّ الرمَادِي ,ثنا یَزِیدُ بنبْنُ أبَِي حَكِیمٍ ,سثناُ فیانْسُفیانُ یعََْنيِ َّ الثِو َّ ْ رِي ، ثناس لیمَانَسُلیْمانُ َّ التی ُّ ْمِي ,عنَعنْ أنسََ بْن ماَلكِمالكٍ ,رَضَِيَ َّ ﷲُ عَنھْعنھُ قَالَ : قاَل رسَولرسُولُ َّ ﷲِ َََِصَلَّ ى
َّ ﷲُ علَیَْھِِ َّ وَسَِلمَ " : مرَرَْت علَىَ مُوسىَ وَھُوَ َُقاَئمٌِ ی ِّ ُصَلي فِي قبَْرِهِ (٧). "
হযরত আনাস ইবনে মালেক রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, আমি হযরত মূসা আলায়হিস্ সালাম-এর পাশ দিয়ে গমন করেছি, আর তিনি নিজ কবরে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছেন।
৭- (المرجع السابق)
___________________________
👉 হাদীস নং-৮ :
رقم الحدیث: ٨
(حدیث مرفوع) أَخْبَرَنَا أبَُو عبَْدِ َّ ﷲِ الْحَافظُِ , ثنا أبَُو َّ الْعَباسِ مُحمدَ َّ بُنبْنُ یعَْقوُبَ , ثنا م َّ بُحَمدْنُبْنُ عبیعُبیْدْد َّ ﷲَِ بْن المُِِْنَادِي , ثنا یونسیُونسُ ُ بنبْنُ محمدَمُحمدٍَّ المْ ِّ ؤدَبالمُؤدبُ , ثنا َّ حمَاد ُ بنبْنُ سَلَمَةَِ , ثناس لیَماَنسُلیْمانُ
َّ التی ُّ ْمِي , وَثَابتٌِ البْ ُّ ُنَانِي , عنَعنْ أنسََ بْن ماَلكِمالكٍ , رَضِيَ َّ ﷲُ عَنھْعنھُ ، أنَ ّ رسَُول ﷲ صلَى َّ َّ ﷲ ُ علَیَْھِ َّ َّ وَسَِلمَ َََََََِقَِالَ : " أتیََْتُ عَلىَ مُوسَى
لیْلة َََأسََْرُي بيَ ِ عندعندَ ْ الكثْیَبِ اِلأحَْمرَ وھَُوَ قاَئمٌِ ی ِّ ُصلَي فيِ قبَِِِِِِْرِهِ "
. أخرجَھْأخرجھُ أَبُوَِ الحَ سیْالحُسیْنْن مسِْلممُسْلم بُِنبْنُ الحْجَِاج ِ النیَّ ساَبُّ َّ ُورِيالنیْسابُوري َََََََرَحمَِھرحمھُ َّ ﷲُ ،
مَنمنْ ََََحدیَثِ ِِِالِثو َّ ْ ريِ ِّ وَعیِسىَ بْنِ یُونُسَ , وجَرَیِرِِ
بْنِ عبَْدِ الْحَمِیدِ , عنَ اِلتیَّ ْميِ ِّ . (٨)
হযরত সাবিত আল বুনানী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হযরত আনাস ইবনে মালেক রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, মি’রাজ রজনীতে আমি একটি লাল বালির টিলার নিকট আসলাম, যেখানে হযরত মূসা আলায়হিস্ সালাম এর কবর শরীফ অবস্থিত, আর দেখলাম- হযরত মুসা আলায়হিস্ সালাম তাঁর নিজ কবর শরীফে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছেন।
৮- (المرجع السابق)
___________________________
👉 হাদীস নং-৯ :
رقم الحدیث: ٩
حدیث مرفوع (أخَْبَرَنَا أحْمدَ ُ بنبْنُ أبَي عَليِ ُّ ٍّ الْحَرَشِي ,أنبا حاَجبِحاجبُ بنبْنُ أحَ مدَأحْمدَ ,ثنام ُحمدََّ بُنبْنُ یحَْیَى ,ثناأح ْمَد بُنبْنُ خالَدِخالدٍ ََالوْھَ ُّ ْبيِ ,ثنا عبْد ُ العْزَیِز بنبْنُ أبي سَلمََةَ ,عنَعنْ عبْد ﷲَّ بِْن الفْضَْلِ ِِِ ُّ الْھَاشِمِي ,عنَعنْ أبيَِ سلمَةَ بَْنِ عِبْدِ َّ الرحََََْمَنِ ,عنَعنْ أبَيِ ھریھُریْرةْرَِةَ ,رَضِيَ َّ ﷲُ عَنھْعنھُ قَالَ : قالَ رسَرسُولُولُ ﷲ صلَى َّ َّ ﷲُ علَیَْھِ َََََََِّ َّ وَسَلمَ : " لقدََ ْ رأیَْتَنُيِ فيِ الحْجِْرِ وأنا َ أَخبرُأخبرُ ُْقریُْشَا ً عنَعنْ مسَََََََْرَايَ، فسألَوَنيُ عنعنْ أشیاْءَ منِمنْ َََََبیَِِِْتِ المقدْسَْ لمِ أِثَبْتھُْاْْ ، فكربَْتفكرُبْت كُرْباً ماَََ كرَبكرُبْتْتُ ِِمِثْلھَمثلھُ َََََُُ ُّ قَط , فرََفعََھفرفعھُ َّ ﷲُ َّ عَز
وجلَ َّ لَي أنظرَأنظرُ إُِلیْھ َ ، ما یَسْأَلونَي عنعنْ شيَْءٍ إلِا ََََََُْْأنَْبَأتْھُُمْ ِِِِبھِِ , وَقَدْ
رأَیَْتُنيِ فيِ جَمَاعَِةجماعةٍ مِنَ الأنَْبِیَاءِ , فإَذَِا مُوسَى قَائِمٌ یُ َّ ُصَلى ، فَإذَا
رجُل ضَرٌْب جعٌٌْد كأنٌھكأنھُ َّ مَنمنْ رجُل ََشٍنوَءُة َ ، وإذَا َ ِِعیسِىَ بنبْنُ مرََََََََََْیَمَ قائم یَُُصٌِلي أَقِّ ربَأقربُْ الناسَّ بھِ شِبِھا عًَرعُرْوةْوة بنبْنُ مسَِ عودمسْعُودٍ َّ َََُ ُّ الثقَفيِ ََََََوَإذَِا إبرِْاھَیمِ قُائَم یٌُ ِّ ُصليَ أشَبھَْأشبھُ َّ الناس ِِبھِ صاَحبُُكِمُُْ ، یعَْنيِ نفَسْھَنفسھُ ، ِِِِِِفَحَانَتِ
الصلاة ، فأَمَمَ تُھُفأممْتھُمُمْ ، فَلمَا فَرَغْتُ مِنَ َّ َّ َّ الصلاةِ ، قَالَ ليِ َََََُُْقَائلٌ : یَا م َّ ُحمَد ُ ھذَاَ مالَكِ ٌ صاحبِصاحبُ الناَّ رِ فسَلَمِّ ْ علَیَْھِ ، ُّ فَالْتَفَت إلیَِْھ فبَدََِِأنَي
َّ بِالسلامِ" (٩)
হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, ইসরা ও মি’রাজ শেষে ফিরে এসে ক্বোরাইশদের নিকট এ ঘটনা বর্ণনার এক পর্যায়ে রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি আমাকে ‘হিজর’ (কা’বার অদূরে) নামক স্থানে দেখতে পেলাম যখন আমি ক্বোরাইশদের নিকট আমার ইসরা ও মি’রাজের ঘটনা বর্ণনা করছিলাম। তখন তারা আমাকে বায়তুল মুক্বাদ্দাস বিষয়ক এমন কিছু প্রশ্ন করলো যে সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। তাই আমি চিন্তিত হয়ে গেলাম। অত:পর আলাহ তা‘আলা বাইতুল মুক্বাদ্দাসকে আমার জন্য উন্মোচিত করে দিলেন, যাতে আমি তা দেখতে পাই। সুতরাং তারা বায়তুল মুক্বাদ্দাস নিয়ে যে কোন প্রশ্ন করল আমি তার যথাযথ উত্তর দিলাম।
এ রজনীতে আমি আমাকে নবীগণ আলায়হিস্ সালাম-এর একটি সমাবেশে দেখতে পেলাম। আবার দেখতে পেলাম যে, হযরত মূসা আলায়হিস্ সালাম দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছেন। তিনি কোঁকড়ানো চুলধারী উপমাযোগ্য সুদর্শন পুরুষ, যাঁকে দেখতে শানুয়া গোত্রের লোকদের মত মনে হয়।
ওদিকে হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম আলায়হিস্ সালামও দাঁড়িয়ে নামায পড়ছেন, যিনি আকৃতির দিক থেকে ওরওয়া ইবনে মাস‘ঊদ আস সাক্বাফীর সদৃশ।
৯- .أخرجھأخرجھُ مْسَمُسْلمْلم في اٌلصِ َّحیح مِنمن ْ حِدیثَِ عبِْد الِعزْیَزِ وِفيَ حدیثَِ سِعیَد بْن اِلمُسی ِّب وغَیَْرِه ََأنَھَّ أنھُ َََََََََََِِِِِِِِِِِِِِِلقیَِھُُمْ
فيِ مسَْجدِ بیَْتِ ِِِِالْمَقْدِسِ (صحیح مسلم برقم (١٧٢.( و صحیح البخاري برقم (٣٣٩٤) وصحیحمسلم برقم (١٦٨).
আবার দেখতে পেলাম, হযরত ইব্রাহীম আলায়হিস্ সালামকে, তিনিও দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছেন, যিনি দেখতে তোমাদের সাথে যিনি আছেন [অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)] তাঁর সদৃশ। অত:পর নামাযের সময় হলো, আমি তাঁদের ইমামতি করলাম। আমি যখন নামায থেকে অবসর হলাম তখন আমাকে কেউ বলল, হে হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা! উনি হলেন ‘মালেক’, জাহান্নামের দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতা। তাঁর সাথে সালাম আদান-প্রদান করুন। আমি যখন তার দিকে ফিরলাম তখন তিনি আমাকে প্রথমে সালাম দিলেন।
এ হাদীস ইমাম মুসলিম তাঁর ‘সহীহ মুসলিম’-এ আবদুল আযীয থেকে বর্ণনা করেন।
وفيَ حدیَثِ أبِيَ ذر وماَلكَ بِْن صِعَْصعَةََ فيِ َّ ٍّ قصِة َِِِِِِِِِْالمْعِْرَاجِ َّ أنَھأنھُ لقَیِھَُمْ فيِ جَمَاعَِةجماعةٍ منَِ الأنَبْیِاَءِ فيِ َّ السموََاتِِِ ، وَكلَمھَُمْ َّ َّ وَكلَموكلمُوهُوهُ ، وكلَ ُّ ذُلكَ صَِحیحَ لا یخالفَیُخالفُِِِ بع ضَھبعْضُھُ بعًٌَْضًا , فقَدَْ یرََى مُوسَى یعَلَْْھ َّ السلامُ قاَئمِاً ی ِّ ُصلَي فيِ قبَِِِِْرِهِ , ثم ُ َّ یسیُسْرىْرىَ بمُِوسىَ وَغیَْرِهِ إلىِ بیْتَ اِلمقْدَسِْ كِماَ أسُْريِ بنبِیَ ِّنِاَ صلَى ﷲَّ ُ ََعلَیَْھِِِ َّ َّ وَسلمَ ََََََََََفیَرََاھُمْ فیھ ، ثم ُ َّ یع رجَیُعْرجُ بھِمِْ إلىَِ َّ السموَاَتِِِ كمَاَ عُرِجَ بنِبَیِ ِّنَا َّ صَلى َّ ﷲُ علیْھ َ وِسلمَ َّ فیَراَھََُمَ فْیھاِ كما أخبرَْ ، وحََََََََََلولھُُمُوحُلولھُمْْ فيِِِ أوَََََقاَتأو ْ قاتٍ بموِاَضَع مَختلفْاَتَِمُختلفاتٍ جائَزِ فٌيِ العقْلَْ ِ ، كمَا ورَدوردَ بھِ َََََََََخبَرَخبرُ َّ ِِِِِِالصادِقِ
, وفَيِ كلُ ِّ ذلَكِ دَلالَةٌَ عَلَىَ َََََحَیَاتِھِِمْ , وَمِما ُّ َّ یَدُل عَلَى ذَلكَِ.
হযরত সা‘ঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব ও অন্যান্যদের বর্ণনা মতে- রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অন্যান্য নবীগণ আলায়হিস্ সালাম-এর সাথে বায়তুল মুক্বাদ্দাস-এর মসজিদে মিলিত হন। আর হযরত আবূ যার রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু ও মালেক ইবনে সা’সা‘আহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বর্ণিত মি’রাজ সংক্রান্ত হাদীস শরীফে উলেখ রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অন্যান্য নবীগণের সাথে আসমানগুলোতে সাক্ষাত করেন এবং তিনি (ﷺ) তাঁদের সাথে কথা বলেন তাঁরাও তাঁর সাথে কথাবার্তা বলেন।
উপরোলেখিত সব হাদীসই সহীহ ও বিশুদ্ধ।
এগুলোর পরস্পরের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত মূসা আলায়হিস্ সালামকে এদিকে নিজ কবর শরীফে দাঁড়িয়ে নামায পড়তে দেখেছেন, আবার আসমান ও বাইতুল মুক্বাদ্দাসেও। অর্থাৎ তিনি নিজ কবর শরীফে নামাজ আদায় করার পর তাঁকে অন্যান্য নবীগণের সাথে বায়তুল মুক্বাদ্দাস-এ পরিভ্রমণ করানো হয় যেভাবে আমাদের প্রিয় নবীকে রাতের সামান্য সময়ের মধ্যে বায়তুল মুক্বাদ্দাস শরীফে উপস্থিত করা হয়। তাই তিনি তাঁদেরকে সেখানে দেখতে পান। অত:পর তাঁদেরকে আসমানের দিকে ঊর্ধ্বগমন করানো হয় যেভাবে আমাদের প্রিয়নবীকে মি’রাজ বা ঊর্ধ্বগমন করানো হয়েছে। তাই তিনি তাঁদেরকে সেখানেও
দেখতে পান, যা বিশুদ্ধ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। সুতরাং তাঁদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে উপস্থিত হওয়াটা যুক্তি ও বিবেকের দিক থেকে স্বাভাবিক, কোন অবস্থাতে অসম্ভব নয়; যার সমর্থনে সর্বাধিক সত্যবাদী নবীর অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। উপরোক্ত সকল হাদীস ইন্তিক্বালের পর নবীগণ আলায়হিস্ সালাম-এর সশরীরে জীবিত থাকার অকাট্য প্রমাণবহ। এ বক্তব্যের সমর্থনে নিম্নের হাদীস শরীফও প্রমাণ স্বরূপ পেশ করা যায়-
___________________________
👉 হাদীস নং-১০:
رقم الحدیث: ١٠
مَا أخَْبَرَنامَ ُحمَدَّ بُنبْنُ عبَْدِ َّ ﷲِ الْحَافِظُ ,رَحمَِھرحمھُ َّ ﷲُ تَعَالَى ,ثنا أبَُُو َّ الْعَباسِ مُحمدَ َّ بُنبْنُ یعَْقوُبَ ، أبُثناُو جَعْفرَ أَحٍْمَد بُنبْنُ عبَْدِ الْحَمِیدِ َََََ ُّ الْحَارِثِي ,ثنا الح سیْنالحُسیْنُ بنبْنُ ََعليَِ الجْعُّ ٍّ الجُعْفيْفِي ,عبثنا ْد الرُح َّ ْمن بِنبْنُ یزَیِدیزیدَ بْنِ ََََجَابِرٍ ,عنَعنْ أبَِي الأشَْعَثِ َّ الصنعْاَنيِ ِّ ,عنَأوعنْ ْ سَ بِْن أِو ْ سٍ َّ الثقفَيِ ِّ قَالَ : قَاَلَ لِي رَسولُرسُولُ ﷲِ َّ صَلى َّ َّ ﷲُ عَلیَْھِ َّ وَسَلمَ : أفضَْلُ َّ أیامَكمِ یِوْ ْ مُْ الجْمَََُعَةِالجُمُعة : فِیھِ خُلقَ
২১آدَمُ ,وَفِیِھِ قبُِضَ , وَفِیِھِ َّ النفْخَةُ , وفیِھِِ َّ الصعْقَةُ , فأَكَثْرُِوا َّ عَلَي مِنَ الصلاة فِیھِ فِإنَ صلاَتكمَُ مْع رمعْرُوضةُوضَةٌ َََََّ َّ َّ عَلَي " ، قاَلوُا : وكَیْفَ تعَََُرضَتعْرضُ صلاَتناُ علیَْكَ وِقَدَْ أرَمَْتَ ؟ یَقوُلوُنَ بَلِیتَ ، ََََََََََََفَقََالَ : " إنِ َّ ﷲَ قَدْ َّ َّ حَرمَ على الَأرْضَ أِنأنْ تأكَلْ أَجََسادَأجْسادَ ُْالأنَبْیِاَءِِ َََََعلَیَْھِمُ َّ السلامُ " ، أخَْرَجَھأخرجھُ أبَُُو
(١٠)
د دَاوَ الس ِّجسِْتَانِي فِي كِتَابِ ُّ ُّ السنَنِ.
হযরত আওস ইবনে আওস আস-সাক্বাফী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বলেছেন, তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমার দিন, এ দিনে হযরত আদম আলায়হিস্ সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিনে তাঁর ইন্তিক্বাল হয়েছে, এ দিনেই (ক্বিয়ামতের) সিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে এবং এ দিনেই সকলে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়বে। তাই তোমরা এ দিনে আমার প্রতি অধিকহারে দুরূদ-সালাম পাঠ কর। কেননা তোমাদের সালাত-সালাম আমার নিকট পেশ করা হয়। তাঁরা বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ! কিভাবে আপনার প্রতি আমাদের সালাত-সালাম পেশ করা হবে, অথচ আপনি ইন্তিক্বাল করবেন এবং আপনার দেহ মুবারক ক্ষয়প্রাপ্ত ও জীর্ণ হয়ে যাবে? তখন উত্তরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা নবীগণ আলায়হিস্ সালাম-এর দেহ মোবারক গ্রাস করা (ভক্ষণ করা) জমিনের জন্য হারাম বা নিষেধ করে দিয়েছেন।
এ হাদীস ইমাম আবূ দাঊদ তাঁর সুনানে উদ্ধৃত করেছেন।
[১০- أخرجھ أحمد ٤/٨(١٦٢٦٢. َّ والدارِمِي (١٥٧٢) و\"أبو داود\" ١٠٤٧ و\"ابن ماجة\" ١٠٨٥وأخرجھ ابن ماجة (١٦٣٧مرقاة المفاتیح شرح مشكاة المصابیح গ্ধ كتاب الصلاة গ্ধ باب الجمعة.১৩৬১ وقال: رواه أبو داود ، والنسائي ، وابن ماجھ ،والدارمي ،حیاة الأنبیاء في قبورھم للبیھقي, رقم الحدیث-١٠ والبیھقي في " الدعوات الكبیر . "
. মানুষ মারা গেলে তার দেহ্ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে মাটির সাথে মিশে জীর্ণ শীর্ণ হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। তাই সাহাবায়ে কেরামের এ প্রশ্ন। কারণ নবীগণের ইন্তিকালের পর তাঁদের স্বশরীরে জীবিত থাকার — বিষয়ে কোন তথ্য তাঁদের কাছে তখনও ছিল না। আর আল্লাহ ও রাসূল কর্তৃক প্রদত্ত হুকুম ও দিকনির্দেশনাই হলো শরীয়ত। তাই সাহাবায়ে কেরামের এ বক্তব্য শরীয়ত বিরোধী নয়, কারণ তখনো এ বিষয়ে কোন বর্ণনা আসেনি। ]
___________________________
👉 হাদীস নং-১১:
رقم الحدیث: ١١
حدیث مرفوع (وَلھَولھُ شَوَاھِدُ مِنْھَا مَا ، أَخْبَرَنَا أبَُو عبَْدِ ﷲ الْحَافظُِ ,ثناأب ُوَ بكرَ ْ بِنبْنُ إسِْحاَقَ الفْقَیِھالفقیھُ ,أنا أحْمد ُ بنبْنُ ََ ٍّ عَليِ َّ الأبَارالأبارُ ,أحثنا ْمدَ بَنُبْنُ عبْدَ اِلرحْمنَ بْنِ َّ بَكارٍ ِّ ُّ َّ الدمَشْقِي ,ثنا الْوَلیِدُ بنبْنُ مسمُسْلمْلمٍِ ,َّ حَدثَنِي أبَُو رَافعٍِ ,عنَِعنْ سعَیدِسعیدٍ المْقَبُْريِ ِّ ,عنَعنْ أبَِي مس عودمسْعُودٍ ََالأنصَْاَريِ ِّ ,رَضِيَ َّ ﷲُ عَنھْعنھُ , عنَ النبيَّ ِ ِّ َّ صلَى َّ ﷲُ علَیَْھِ َّ وَسَلمَ َّ أنَھأنھُ قَالَ " : أكَثْرُِوا الصلاةَ َّ َّ عَلَي فيِِیو ْ م الجْمالجُمُعةُعَةِ , َّ فإَنِھفإنھُ لیْسَ یُصَُلي عِّ لي أَحدَ یَوٌ ْ مَ اَلجْمُعةَالجُمُعة ِ إلاِ عُرِضَتْ َّ َّ عَِليَ َََََََََصَلاتھُصلاتھُ. "
(١١)
হযরত আবূ মাস‘ঊদ আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেছেন, তোমরা আমার প্রতি জুমার দিন অধিক পরিমাণে সালাত-সালাম প্রেরণ করো, কেননা যে কেউ আমার প্রতি জুমার দিনে দুরূদ-সালাম পাঠ করবে তার ওই দুরূদ সালাম আমার প্রতি অবশ্যই পেশ করা হবে।
১১- أخرجھ أحمد ٤/٨(١٦٢٦٢. َّ والدارِمِي (١٥٧٢) و\"أبو داود\" ١٠٤٧ و\"ابن ماجة\"
١٠٨٥وأخرجھ ابن ماجة (١٦٣٧مرقاة المفاتیح شرح مشكاة المصابیح كتاب الصلاة باب الجمعة.১৩৬১ وقال: رواه أبو داود ، والنسائي ، وابن ماجھ ،والدارمي ،حیاة الأنبیاء في قبورھمللبیھقي, رقم الحدیث-١٠ والبیھقي في "
الدعوات الكبیر . "
___________________________
👉 হাদীস নং-১২:
رقم الحدیث: ١٢
حدیث مرفوع ( عليوَأخْبَرَنَا بنَِبْنُُّ أح مدَأحْمدَ بْن عِبدَعبْدَانَانََََ الكْاَتبِالكاتبُ ,ثنا أحْمدَ بنُبْنُ عبیََدَعُبیْدٍ َّ َّ الصفارالصفارُ ,ثنا الحسْنَالحسنُ بنبْنُ َََسعَیِدسعیدٍ ,ثناإب ْرِاھَیمِ ُ بنبْنُ َّ الْحَجاجِ ,ثنا َّ حمَاد بُنبْنُ سَلَمَةَ ,عنَبْ رْدبُرْد بْنِ ِِسِنَانٍ ,عنَعنْ مكَحُْولٍ
َّ الشاميِ ِّ ,عنَعنْ أبَِيِ أمَُامَةَ ,رَضِيَ َّ ﷲُ عَنھْعنھُ قَالَ : قاَل رسَولرسُولُ َّ ََِﷲِ صلَى َّ ﷲُ علَیَْھِ َّ َّ وَسَلمَ " : أكثرَُْوِا عليََ منِ َّ َّ اَلصلاة فِيِِِِ كلُْ ِّ یوَ ْ مِ جمعَةجُمُعةٍ ,فإٍن صَِلاة أَمتيَُ تعِ رضَُتعْرضُ عليَ َ َّ َّ َّ فيِِ كلُُ ِّ یو (ْ مِ جمعَةجُمُعةٍ , فمَنَفمنْ
(١٢
كاَنَ أكَثْرََھُمْ َّ عَلَي صَلاةً كَانَ أَقْرَبَھُمْ مِنِّ ي مَنْزِلَةً
হযরত আবূ উমামা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, আমার প্রতি প্রত্যেক জুমার দিনে অধিক পরিমাণে দুরূদ সালাম প্রেরণ করো, কেননা আমার উম্মতের সালাত-সালামসমূহ আমার নিকট প্রত্যেক জুমাবারে পেশ করা হয়। সুতরাং আমার উম্মতের মধ্যে যে আমার প্রতি সর্বাধিক সালাত-সালাম প্রেরণকারী হবে, সে ক্বিয়ামতের দিন আমার সর্বাধিক নিকটবর্তী হবে।
১২- . "( رواه الترمذي (٤٨٤) وقال : ھذا حدیث حسن غریب . وصححھ ابن حبان كما نقل عنھ الحافظ ابن حجر في " بلوغ المرام " (٤٥٥)، وحسنھ الحافظ ابن حجر في " نتائج الأفكار "
(،(٢٩٥/٣)
___________________________
👉 হাদীস নং ১৩ :
١٣ :رقم الحدیث
حدیث مرفوع (وَأخْبَرَنَاأب ُوَ الحسْنَ عِليَ بنبْنُ مُحمَد بْنِ ٍَََََِِِّ َّ ُّ عَليِ الس ِّقاءَقاءُ الإسِ ُّ ْفَرَائِینِي ، قَالَ : َّ حَدثَنِيِ وَالدِِي أبَُو ٍّ عَليِ ,ثنا أبَُو
رافعَ أِسٍامُةَ بَنُبْنُ عليَِ ِّ بْن سعَیِدسعیدٍ ُّ َّ الرازِي ، بمِصِْرَ , ثنام َّ ُحمَد ُ بنبْنُ إسِْماَعیِل بْنِ َََسَالمٍ َّ الصائِِغُ ,َّ حَدثَتْنَا َّ حكَامةَ ُ بنتِْ عُثمْاَنَ بْنِ َُدِینَارٍ
,أخَيِ ماَلكِ بْنِ ِِِِدِینَارٍ ، قَالَتْ : َّ حَدثَنِي أبَِيع ثماْنَعُثمانُ بنبْنُ دِینَارٍ ,
عنَعنْ أَخِیھِ ماَلكِ بْنِ ِِِدِینَارٍ ,عنَعنْ أنسََ بْنِِ ماَلكِمالكٍ ,خاَدمِ َّ النبيِ ِّ صلَى َّ ﷲُ علَیَْھِ َّ َّ وَسَلمَ ، قَالَ : قَالَ َّ النبيُِّ صلَِى َّ ﷲُ علَیَْھِ َّ َّ وَسَِلمَ : " إن أقِربكَْم مَنُيْ یِّ و ْ مَ الَقیاْمِةَ فيِ كلُ ِّ موِِِِِْ طنٍِ ْأكَثْرَ ُُكُمْ َّ َّ عَلَي ََََََََصَلاةً في الِدنیا ُّ ْ ، منمنْ صلى َّ عليَ مائةِ مََرةمرةٍ َّ َّ في یو ْ م ِ الجْمُعةَالجُمُعة ََََََََوَلیَََََِِِِِْلَةِ الجْمُعَةالجُمُعةِ قضََى َّ ﷲُ لھَمُائةَِ حَاجَةحاجةٍ ، سبْعَینِ منِمنْ حَوَائِجِ َََََََالآخِرَةِ وثَلَاثینِ منِمنْ حَوَائِجِ ُّ َََََالدنْیَا , ثمَُّ ی ِّ وَكلیُوكلُ َّ ﷲُ بذِلَكِ َََملَكَاً یدخلِھُیُدخلھُ فيِ قبْريَ كِما یََدخَلیُدخلُْ عِلیْكمَ الُھُدَاْیَا ، یخبرْیُخبرُنيُنِي منَمنْ َّ صلَى َََََََََعلَيََّ باِسِِِِْمِھِ وَنَسَبِھِ إلَِى عشَیِرتَھِ ، فأثَبُْتھُِفأثبتھُ عنِدْيِ فيِ ِِِِِِِصحَیِفةَصحیفةٍ بیَْضَاءَ. (١٣)
প্রিয়নবীর খাদিম হযরত আনাস ইবনে মালেক রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, ক্বিয়ামতের দিনের সকল স্থানে তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তিই আমার সর্বাধিক নিকটতম স্থানে থাকবে, যে ব্যক্তি দুনিয়াতে আমার প্রতি সর্বাধিক সালাত-সালাম প্রেরণকারী ছিল। আর যে ব্যক্তি আমার প্রতি প্রত্যেক জুমার দিনে ও জুমার রাতে একশত বার দুরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তা‘আলা ওই ব্যক্তির একশ’টি চাহিদা পূরণ করবেন- সত্তরটি আখিরাতের প্রয়োজন ও চাহিদা এবং ত্রিশটি দুনিয়ার চাহিদা ও প্রয়োজন। অত:পর আলাহ তা‘আলা ওই সালাত- সালাম সংরক্ষণ ও পৌঁছানোর জন্য এক ফেরেশতা নিয়োজিত করবেন, যিনি তা আমার কবর শরীফে ওইভাবে প্রবেশ করাবে, যেভাবে তোমাদের কারও নিকট হাদিয়া উপঢোকনসমূহ প্রবেশ করানো হয়। আর ওই ফেরেশতা আমাকে সংবাদ দেবেন যে ব্যক্তি আমার প্রতি সালাত-সালাম প্রেরণ করেছে তার নাম, তার পিতা, বংশ, গোত্র, অঞ্চলসহ সমুদয় বিষয়ে। অত:পর তা আমি আমার
নিকট রক্ষিত শ্বেত বালামে লিপিবদ্ধ করে রাখি।
১৩- ( رواه ابن منده في " الفوائد " (ص/٨٢)، والبیھقي في " شعب الإیمان " (٣/١١١) ، و"حیاة الأنبیاء" (٢٩) ، ومن طریق البیقھي : ابن عساكر في " تاریخ دمشق " (٥٤/٣٠١) ، وعزاه
السیوطي في" الحاوي " (٢/١٤٠) للأصبھاني في " الترغیب." )
___________________________
👉 হাদীস নং ১৪ :
رقم الحدیث: ١٤
حدیث مرفوع (وفَيِ ھذَاَ المْعَْنَى الْحَدِیثُ َّ الذِي أخَْبَرَنَا أبَُو ٍّ عَلِي الح سْینَالحُسیْنُ بنبْنُ محمَدمُحمدٍ ُّ ُّ َّ الروذْبَارِي ,أنبأأب ُوَ بكرَْ بِنبْنُ دَاسَةَ ,ثنا أبَُو دَاوددَ ,ثنا أحَ ْمَدُبنبْنُ صَالحٍِ ,قَالَ : قَرَأْتُ عَلَى عبَْد َّ ﷲَِ بْنِ ِِنَافعٍِ ، قَالَ : أخْبَرَنِيب اِنبْنُ أبَيِ ذئِبْذئبٍ ,عنَعنْ سعَیدِسعیدٍ المْقَبُْريِ ِّ ,عنَعنْ أبَِي ھریَھُریْرةْرَةَ ,رَضِيَ َّ ﷲُ عَنھْعنھُ قَالَ : قالَ رسَولرسُولُ ﷲ َّ صلَى َّ َّ ﷲ ُ ََََِعلَیَْھِ
َّ وَسَلمَ " : لا تجَْعَلوُا بیبُیُوتكمُوتَكُمْ قبُُورًا , ولَا تجَْعلَوُا قبَْرِي عِیدًا ، ُّ وصَلَوا علَيَ فإنََِّ َّ صلَاتكَمُ ْ تبَََُْلغُنُيِ حیَحیْثُ كُنْتُمْ. "
(١٤)
হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, তোমরা তোমাদের ঘরকে কবরে পরিণত করো না এবং আমার কবর শরীফকে ঈদে রূপান্তর করো না; বরং তোমরা আমার প্রতি সালাতসালাম প্রেরণ করো, কেননা তোমরা যেখানে হওনা কেন তোমাদের সালাত-সালাম আমার প্রতি প্রেরণ করা হয়।
১৪- ( أخرجھ أحمد في "مسنده" (٢/٣٦٧) ، وأبو داود في "السنن" (٢٠٤٢) – ومن طریقھ البیھقي في "شعب الایمان" (٤١٦٢) ، وفي "حیاة الأنبیاء بعد وفاتھم" (ص ٩٥) – ، وابن فیل البالسي في "جزئھ" (١١٣) ، والطبراني في "المعجم الأوسط" (٨٠٣٠. ( أخرجھ أبو نعیم في
"حلیة الأولیاء" (٦/٢٨٣: )
. “তোমরা তোমাদের ঘরকে কবর বানিওনা” মানে কবরে যেভাবে নামাজ পড়া হয় না সেভাবে তোমাদের ঘরকেও কবরের মত নামাযবিহীন করোনা, বরং তোমরা মসজিদের পাশাপাশি তোমাদের ঘরেও কিছু নফল নামায পড়।
আর “আমার কবরকে ঈদে পরিণত কর না” মানে যেভাবে বৎসরে মাত্র দু’বার সমবেত হয়, তোমরা আমার কবর শরীফকেও তেমন করোনা; বরং বৎসরের সব সময় আমার রওযা শরীফ যেয়ারতে আস। আর যাদের পক্ষে সম্ভব না হয়, আর যখন তোমরা অনুপস্থিত থাক, তাহলে তোমরা বিশ্বের যে প্রান্তেই — থাকনা কেন তোমরা আমার প্রতি দুরূদ ও সালাম প্রেরণ করতে থাকো। কারণ তোমাদের সালাত-সালাম পৌঁছানো হয়।
___________________________
👉 হাদীস নং-১৫ :
رقم الحدیث: ١٥
(حدیث مرفوع) وفَيِ ھذَاَ المْعَْنَى الْحَدِیثُ َّ الذِي أخْبَرَنَا أبَُو محمدمُحمدٍ عبْد ﷲُ بَّ نِبْنُ یحَْیىَ بْنِ عبَْدِ ََََََِالْجَبارِ َّ ُّ ُّ َّ َّ السكرِي , ببغِدَْ ادببغدَادَ ، ثنا إس ماعَیلِإسْماعیلُ بنبْنُ م َّ دُحَمدٍ َّ َّ الصفارالصفارُ , ثنا عباسَعباسُ بنبْنُ عبْد ﷲَّ ََِ َّ الترُِِّ َّ ْقُفِي , ثِناأب ُوَ عبْدَ َّ اِلرحْمنَ المْقرْئِالمُقرئُ , ثنا حیْوَة بُنبْنُ َََشرُیَْحٍ , عنَعن ْ أبَِي
صَخْرٍ , عن یَزْیدَیزیدَ ِ بْنِ عِبْدَ ﷲِ َّ بِْن قسُیَََِطقسیْطٍ , عنَعنْ أبيَِ ھریَھُریْرةْرَةَ , رضَيِ ﷲ عُنھَْعنھُ ، أن رسَُول ﷲ صلَِى َّ َّ َّ ﷲُُ علَیَْھِ َّ َّ وَسَلمَ ، ََََََََََِقَالَ : "
ما منَمنْ أحدَأحدٍ یُسلمَ ِّ عُليََ إلاِ رد ﷲ َّ رُُوحيِ حتىََّ أرَُدَّ َّ َََََََعلَیَِِِْھِ َّ َّ السلامَ " (١٥)، َّ وإَنمِاَ أرَاَدأرادَ وﷲَ أُعَْلمَ ُ إلِا وقَدَْ ردََّ َّ َّ ﷲُُ إليََِّ رُوحِي َّ حَتى أرَُدَّ علَیَْھِ َّ السلامَ .
হযরত আবূ হোরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, যে কেউ আমার প্রতি সালাম প্রেরণ করবে, আল্লাহ তা‘আলা তখন আমার রূহকে ফিরিয়ে দেন, যাতে আমি ওই ব্যক্তির সালামের জবাব দিতে পারি।"
এ হাদীসের মর্মার্থ (আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন): ‘‘আল্লাহ তা‘আলা এর অনেক পূর্বেই আমার দেহে আমার রূহকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, তাই আমি সালাম প্রদানকারীর সালামের উত্তর দিই।
১৫- رواه أحمد (١٦/٤٧٧) ط الرسالة ، وأبو داود ( ١ / ٣١٩ ) (٢٠٤١) وصححھ النووي في " الأذكار " (١٥٤. السلسلة الصحیحة " ٥ / ٣٣٨:
رواه أبو داود و البیھقي في " سننھ " ( ٥ / ٢٤٥ ) و أحمد ( ٢ / ٢٢٧ و الطبراني في " الأوسط " ( ٤٤٩ ) في "الفتح " ( ٦ / ٢٧٩ ) : " رجالھ ثقات " ! و قال الحافظ العراقي في " تخریج الإحیاء " ( ١ / ٢٧٩ ) : " سنده جید " . و أما النووي ، فقال في " الریاض : ( ১৪০৯) " إسناده صحیح " ! و
وافقھ المناوي في " التیسیر! "
___________________________
👉 হাদীস নং-১৬ :
١٦ :رقم الحدیث
حدیث مرفوع (وفَيِ ھذَاَ المْعَْنَى الْحَدِیثُ َّ الذِي أخْبَرَنَا أبَُوُ
القاسَْم عِليَ بنبْنُ الحْسَنَ بْنِِ علَيِ َّ الطھُِِِِّ ٍّ ُّ ْمَانِي ، ثنا أبَُو الْحَسَنِ
مُحمدَ بُنبْنُ محمَدمُحمدٍ ُّ َّ َّ الْكَارِزِي ، ثنا عليَِ ُّ بنبْنُ عبَْدِ الْعَزِیزِ ,ثنا أبَُو
نعُیَْمٍ ,ثنا سفُیْاَنفیانُ ,عنَعنْ عبَْد َّ ﷲَِ بْنِ َّ ِِِالسائِبِ ,عنَعنْ زَاذَانَ ,عنَعنْ عبْدَ ﷲِ َّ بْن ََِمِسَ عودمسْعُودٍ ,رَضَِيَ َّ ﷲُ عَنھْعنھُ ، قَالَ : قاَل رسَولرسُولُ َّ ََِﷲِ صلَى َّ ﷲ ُ علَیَْھِ َّ َّ وَسَلمَ : " إنِ َّ َّ عَز ََََِِّ َّ وَجَل مَلائِكَِةً َّ سَیاحِینَ فيِ الأرْضِ ی ِّ ُبلغَوُنيِ عنَعنْ أمُتِي َّ َّ السلامَ. " (١٦)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলার এমন কিছু ফেরেশতা আছে। যারা সর্বদা সারা বিশ্বে বিচরণ করে। তারা আমার প্রতি আমার উম্মতদের সালাত-সালামসমূহ পৌঁছিয়ে দেয় ।
১৬- ( مسند أحمد بن حنبل, سنن النسائى و سنن الدارمي الصغرى, صحیح ابن حبان, المستدرك على الصحیحین, المعجم الكبیر للطبراني, مصنف ابن أبي شیبة, مصنف عبد الرزاق, مسند أبي یعلى الموصلي, البحر الزخار بمسند البزار, مسند ابن أبي شیبة)
___________________________
👉 হাদীস নং-১৭ :
١٧ :رقم الحدیث
حدیث مرفوع (وَأخَْبرََناَ أبَوُ الْحُسَیْنِ بْنُ بشِْرَانَ ,وَأبَوُ الْقاَسِمِ عبَدْ الر َّحْمَنِ بْنُْ ُُُعُبیَْدِ َّ ﷲِ ,قاَلا : أنبأ حَمْزَةُ بْنُْ َّ مُحَمدِ بْنِْ الْعَباَّ سِ ,ثنا أحَْمَدُ بْنُ الْوَلیِدِ ,ثنا أبوَُ أحَمْدَ َ ُّ الزبیرَْيِ ُّ ,ثنا إسِْرَائیِلُ ,عَنْ أبَِي یحَْیىَ ,عَنْ مُجَاھِدٍ ,عَنِ ابْنِ عَباَّ سٍ ,رَضِيَ َّ ﷲُ عَنْھمَُا ، قاَلَ " : لیَْسَ أحََدٌ مِنْ أمُةِ َّ َّ مُحَمدٍ صَلى َّ َّ ﷲٍُ عَلیَْھِ َّ وَسَلمَ یصَُلِّ ى عَلیَْھِ صَلاةً إلا وَھِي تبَْلغُُھُ , یقَوُلُ لھَُُ الْمَْلكَُ : فلُانٌ یصَُلِّ ى عَلیَْكَ كَذَا وَكَذَا صَلاةً (١٧)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুমা বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যে কোন উম্মত তাঁর প্রতি সালাত-সালাম পেশ করবে, অবশ্যই তা তাঁর নিকট
প্রেরণ করা হবে। সালাত-সালামের জন্য নিয়োজিত ফেরেশতা তাঁকে (ﷺ) গিয়ে বলেন, ‘‘ইয়া রাসুলাল্লাহ (ﷺ)!
অমুক ব্যক্তি আপনার প্রতি এ এ পরিমাণ সালাত-সালাম প্রেরণ করেছে।’’
১৭- . " ( المطالب العالیة بزوائد المسانید الثمانیة لابن حجر: بن حجر العسقلاني. شعب الإیمان للبیھقي)
___________________________
👉 হাদীস নং-১৮ :
١٨ :رقم الحدیث
حدیث مرفوع (أخْبَرَنَا عليَ بنبْنُ مَّ ُّ ُحمَدِِ بْنِ بِشْرَانَ ,أنبأ أبَُو جعَْفَرٍ َّ َّ الرزازُ ,ثنا عیسِىَ بنبْنُ عبَْدِ َّ ﷲِ َّ ُّ الطیَالسِي ,ثنا العلْاَءالعلاءُ بنبْنُ عمَْرٍو ُّ الْحَنَفيِ ,ثنا أبُوَ عبْدِ َّ الرحََْمَنِ ,عَنِ الأعَْمَشِ ,عنَعنْ أبَِي صَالحٍِ ,عنَعنْ أبيَِ ھریَھُریْرةْرَةَ ,رضَيِ ﷲ عُنَھْعنھُ النبَّ يِ ِّ َّ صَلى َّ َّ ﷲُُ َََََعَلَیْھِ َّ وَسَلمَ قَالَ منمنْ " : صَلى علي َّ عَندعندَ قْبْرَيِ سمعَِِتھسمعْتھُُْ ، ومَنَومنْ ََََََََّ َّ صَلى عليََ َّ نائَیاًِ منھِْمنھُ أبُلغِتْھُأبْلغتھُ (١٨)
أبُو عَبْد اَلرِحْمن ھِذا ھَُو مَُحمدَ بُنبْنُ مرَْوَانَ ِّ ُّ ُّ َّ َّ السدي فیِمَا ََََََََََأَرَى وَفیِھِ نَظَرٌ , وَقدَْ مَضَى مَا ی ِّ ُؤَكدُهُ.
হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার রাওযা শরীফে উপস্থিত হয়ে আমার প্রতি সালাত-সালাম পেশ করে আমি তা শুনতে পাই। আর যখন কোন ব্যক্তি অনুপস্থিত থেকে আমার প্রতি সালাত-সালাম পেশ করে তা আমার নিকট পৌঁছানো হয়।
১৮- "،( أخرجھ الخطیب البغدادي في تاریخ بغداد ( ٤ / ٤٦٨ )، و ابن البختري ( ٧٣٥ )، و البیھقي في حیاة الأنبیاء في قبورھم ( ١٨ )، و السبكي في طبقات الشافعیة الكبرى ( ٩٣، ٢٨٠ ) من طرقٍ: عن العلاء بن عمرو عن محمد بن مروان السدي عن ( من صلى عند قبري وكل ﷲ بھ
ملكا یبلغني، و كُفى أمر دنیاه و آخرتھ، و كنت شھیدا لھ و شفیعاًًًُ لھ یوم القیامة( ) الأعمش عن أبي صالح عن أبي ھریرة، بلفظ ( من صلى على عند قبري سمعتھ، و من صلى علي نائیاً عنھ أبلغتھ( و أخرجھ البیھقي في شعب الإیمان ( ١٥٨٣ )، و ابن سمعون الواعظ في أمالیھ ( ٢٥٥ )، و ابن عساكر في تاریخ دمشق ( ٥٦ / ٣٠١ )، من طرقٍ: عن عبد الملك بن قریب الأصمعي، عن محمد بن مروان السدي عن الأعمش عن أبي صالح عن أبي ھریرة، بلفظ
___________________________
👉 হাদীস নং-১৯ :
رقم الحدیث: ١٩
وَأخَبْرَنَاَ أبَُو عبَْدِ َّ ﷲِ الْحَافظُِ ,أنبأ أبُوَ عبْدِ َّ ﷲَِ َّ َّ الصفارالصفارُ ,ثنا أبَُو بكَرْ بنبْنُ أبَِي ُّ الدنْیَا ,َّ حدثنَيَ سویسُویْدْدَ بُنبْنُ ِِسعَیِدسعیدٍ ,َّ حَدثَنِي باْنبْنُ أبَِي
الر ِّجَِالِ عن ,عنْ سلیسُلیْمانْمَانَ بْن ِ سََََحیَسُحیْمْمٍ ,قَالَ " : رأَیَْتُ َّ َّ النبِي َّ صَلى ﷲ َّ عُلیْھَ َََوِسَلمََّ فَيِ النوَّ ْ مِ ، فَقلُْتُ یا: رسَُول ﷲَّ ، ھؤَُلاءِ َّ َََََِالذِینَ یأتَوُْنكَ فیسَلمَِّ ُونفیُسلمُون علَیَْك ، أتَفَقْھَأتفقھُ سَلامَھُمْ ؟ َََََََََقَالَ : " نعَمَْ ، وأَرَ ُّ ُد علَیَْھِمْ. " (١٩)
হযরত সুলাইমান ইবনে সুহায়ম রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে স্বপ্নে দেখলাম, তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম ইয়া রাসূলাল্লাহ! যে সমস্ত লোক আপনার রওযা পাকে উপস্থিত হয়ে আপনাকে সালাম প্রদান করেন আপনি কি তাদের সালাম বুঝতে পারেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উত্তরে বললেন, হাঁ, আমি শুনতে পাই ও বুঝতে পারি এবং তাদের সালামের উত্তরও দিই।
১৯- ( كتاب الشفا بتعریف حقوق المصطفى, للقاضي عیاض بن موسى الیحصبي السبتي المغربي, دار الفكر, سنة النشر: ١٤٢٣ھـ / ٢٠٠٢م )
___________________________
👉 হাদীস নং-২০ :
٢٠ :رقم الحدیث
حدیث مرفوع (وَمِما ُّ َّ یَدُل عَلَى حَیَاتِھِِمْ مَا أَخْبَرَنَا أبَُو عبَْدِ َّ ﷲِ
مُحمدََّ بُنبْنُ عبَْدِ َّ ﷲِ الْحَافظُِ ,أخْبَرَنِي أبُوَ محمَدمُحمدٍ المُّْ َّ ُزَنِي ,ثنا عليَ بنبْنُ مَّ ُّ ُحمَد بْنِ ِِِعِیسَى ,ثنا أبَُو الْیَمَانِ ,أنبأ شعُیَْبٌ ,عَنِ
ُّ الزھْريِ ِّ ,قَالَ : أبأَخْبَرَنِي ُوَُ سلمةَ بََنبْنُ عبْد ِ َّ الرحََََْمَنِ ,وَسَعِیدُ
بنبْنُ المُْسَی ِّبِ ,َّ أنَ أباََ ھریَھُریْرةْرَةَ ,قَالَ : اسْتبَ َّ رجَُلان رجَُلٌ مِنَ
المسْالمُسْلمینْلمِیِن ورَجَُلٌ مِنَ َََََالیَْھُودِ , فقاَلَ َ المْسالمُسْلمْلمُِ : َّ واَلذيِِ اصْطَفَى مُحَمدًا عَلىَ العَْالمَِینَ فأَقَْسَمَ بقَِسَمٍ ، فَقاَلَ الیَْھُّ َّ ُودِي : َّ وَالذِي
اصْطفَىَ مُوسَى عَلَىَ الْعَالَمِینَ , فرفعََ اَلَمسْْلمالمُسْلم عُندِْعندَ ِِِذلَكِ ََََیدَ هیدَهُ فَلَطَمَ الیَْھ َّ ُودِي , فذَھَبَ الیَْھ ُّ ُودِي إلىَِ النبيَّ ِ ِّ صلَى َّ ﷲُ علَیَْھِ َّ َّ وَسَلمَ ،
فأخبرََهُْ بَاَلذيَِّ كِان مَنَمنْ أمْرَه وِأمَْر المْسِِِِالمُسْلمْلِمِِ , فَقَالَ َّ ُّ النبِي َّ صَلى َّ ﷲُ علَیَْھِ َّ وَسَلمَ لا " : تخیُ ِّرَُونيِِ علىََ مُِوسىَ ، فإنََِّ َّ الناس یصَََََْعَقوُنَیُصْعقون , فأَكَوُنفأكونُ َّ أَولمَنمن ْ یُفیِق ، فإَذِاَ مُوسىَ باَطِشٌ مََُ ِّ ُتَعَلقٌ َََََبِجَانِبِ العرْشَْ فلاِ أَدريَْ أِكانَ فیمَنِفیمنْ صُعقِ فَأفاَقََ قَبْليَِ ، أوََََأو ْ ََََََََََكَانَ َّ مِمنِ
اسْتَثْنَى َّ ﷲُ َّ عَز َّ وَجَل " روَاهَرواهُ البُخْارَيِ فيِ َّ ُّ الصحیحِ ِ عنَعن ْ أبَِي الْیَمَانِ , ورَوَاَهورواهُ ملمُسمُسْ ، عٌِنعنْ عبْد ﷲِ َّ بْنِ عِبْدَ َّ اِلرحْمنَِِ ، َََََِوَغیَْرِهِ ، عنَعنْ أبَِيِ الْیَمَانِ. (٢٠)
হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বলেন, একদা দু’ ব্যক্তির মধ্যে ঝগড়া লাগল- একজন মুসলমান আর অপরজন ইয়াহুদী। মুসলিম লোকটি বলল, ওই আল্লাহ তা‘আলার শপথ, যিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে সারা বিশ্ববাসীর জন্য চয়ন করে নিয়েছেন। এ কথার দৃঢ়তা প্রকাশের জন্য ওই ব্যক্তি নানা ধরনের ক্বসম ও শপথ করে বসেছে। অন্যদিকে ইয়াহুদী লোকটি বলল, ওই আল্লাহর শপথ, যিনি হযরত মূসা আলায়হিস্ সালামকে বিশ্ববাসীর জন্য চয়ন করে নিয়েছেন। একথা শুনে মুসলিম লোকটি ইয়াহুদী লোকটিকে একটি চড় মেরে দিল।
তখন ওই ইয়াহুদী রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট গিয়ে তার এবং ওই মুসলমানের মধ্যে যা ঘটেছিল তা বিস্তারিতভাবে বললো। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, তোমরা আমাকে হযরত মূসা আলায়হিস্ সালাম-এর উপর শ্রেষ্ঠত্ব বা প্রাধান্য দিওনা। কেননা, ক্বিয়ামত দিবসে মানুষদেরকে সংজ্ঞাহীন করে ফেলা হবে। তখন আমিই সর্বপ্রথম সংজ্ঞা ফিরে পাব, দেখবো হযরত মূসা আলায়হিস্ সালাম আরশের পায়া ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। আমি জানিনা, তিনি কি যারা সংজ্ঞাহীন হয়েছে তাদের সাথে সংজ্ঞাহীন হয়ে আমার পূর্বেই আবার সংজ্ঞা ফিরে পেয়েছেন, নাকি আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে এ সংজ্ঞাহীনতা থেকে মুক্ত রেখেছেন?
এ হাদীস ইমাম বোখারী তাঁর সহীহ্ বোখারীতে হযরত আবুল ইয়াশান ও ইমাম মুসলিম তাঁর সহীহ্তে হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আবদুর রহমান থেকে বর্ণনা করেছেন।
২০- ( صحیح البخاري كتاب أحادیث الأنبیاء ২২৪৫ ومسلم২৩৭৩ )
___________________________
👉 হাদীস নং-২১:
٢١ :رقم الحدیث
حدیث مرفوع وَفيِ الْحَدِیثِ َّ الثابِتِ عَنِ الأعَْرَجِ ,عنَعنْ أبَِي ھریَھُریْرةْرَةَ ,رضَيِ ﷲَ عُنھَعنھُْ ، عنَ اِلنبيَّ ِ ِّ صلَى َّ َّ ﷲُُ علَیَْھِِ َّ َّ وَسَلمَ َّ أنَھأنھُ قَالَ " : لا تفضَُ ِّلوُا بیَْنَ أنَْبِیَاءِ َّ ﷲِ تَعَالَى , َّ فإَنِھفإنھُ یُنْفَخُ فِي ُّ الصورِ فصَعَقَِ منَمنْ فِي َّ السماواتََ ومِنَومنْ فيِِ الأرْضِ إلاِ منَمن ْ ََََََشَاءَ َّ ﷲُ ، َّ ثُم نفخ فیُھِ أخِرِىُ ، ََفأكونَفأكونُُُْ أول منَمنْ بُعُث ، أوأو ْ فيِ َََََّ َّ أوَل ِ ََََمنَمنْ بََُِِِِِِعُِثَ فإذَا مُوسىَ آخذٌِ َْبالِعْرَْشِ فلا, أدريَِْ أحُوَسبِ بَصِعْقةََِِ یوَ ْ مِ
ُّ الطورِ أمَْ بُعثَِ قبَْليِ. " (٢١)
হযরত আবূ হোরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, তোমরা আল্লাহর নবীগণের মধ্যে কাউকে অন্য কারও উপর প্রাধান্য দিওনা। কেননা যখন শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে, তখন আসমান ও যমীনের সকলে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়বে, কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা যাদের চান তারা ছাড়া। অত:পর এতে পুনরায় ফুঁক দেয়া হবে। তখন আমিই সর্বপ্রথম সজাগ হবো, অথবা আমি সর্বপ্রথম যারা জাগ্রত হবে তাদের দলে থাকবো। হঠাৎ আমি দেখতে পাবো যে, হযরত মূসা আলায়হিস্ সালাম আরশে ‘আযীমকে ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। তাই আমি জানিনা তিনি কি তূর পাহাড়ে যে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেছিলেন তার কারণে এখানে সংজ্ঞাহীন হননি, নাকি তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে আমার আগেই জাগ্রত হয়ে গেছেন?
২১- ( صحیح البخاري كتاب أحادیث الأنبیاء ২২৪৫ ومسلم২৩৭৩ )
___________________________
وھَذاَ إنمِاَّ یصَحِ علىََ أنَ ﷲ َّ جَلَ َّ َّ ُّ ََثناَؤَ هثناؤُهُ ردََّ إلِىَ الأنَبْیِاَءِ َََََََََعلَیَْھِمُ
َّ السلام ُ أرَواحَْھُم فھُْم أحْْیَاءَ عٌندِعندَْ ربَ ِّھمِْْْ ََ ُّ َََََكاَلشھدََاءِ , فَإذَِا نُفخَِ فيِ ُّ الصور اِلنفخَّ ةَْ َالَأولىَُ صعقَوِا فیمنِفیمنْ صعَقَِ ، ثمُ َّ لا ُُْیكَوُنیكونُ َََََذَلكَِ مو ْ تاً فيِ جمَیِع معَاَنیِھ إلِا فيِ ذھَاَب الاسََََََِِِِِِِْتِشْعَارِ , َّ فَإنِ كَانَ مُوسىَ علَیَْھِ السلاِم مُمنِ اسِْتثنَىَْ ﷲَّ عُزَ َّ وجَلَ َّ َّ َّ بقوَِ ْ لِھِ : إلاِ منَمنْ شَاءَ َّ ﷲُ( سورة النمل آیة ٨٧ )، فإنَھِفإنھُ عزََّ َّ وجَلَ َّ لا یذَھْبَیذھبُ باسْتِشعِاِرْهَ فِيِ تِلك اْلحَالْة وَیِحَاسَبھویُحاسبُھُ بصِعْقَة ِِِِِِِیِو ْ مِ ُّ الطورِ ََََََََوَیََقاَلویُقالُ :
إنَِّ ُّ الشھدَمنَاءَْ جِمْلةجُمْلة َ مِا اَسْتثنَىَْ ﷲ َّ عُزَ َّ وجَلَ َّ بقوَِ ْ لِھِ : إلاِ منَمنْ شَاءَ َّ ﷲُ سورة النمل آیة ٨٧ ، ورُو ِّیناَ فیھِِِ خبَرَاً َََمرَْفوُعًا , وَھُوَ مذَكْوُر ٌ معَ ساَئرِ ماَ قیلِ فیھِ فيِ كتِاَب البْعَِِِِِِِِْثِ ََََََََ ُّ ِِوَالنشُورِ.
এ হাদীস শরীফ প্রমাণ করে যে, আল্লাহ তা‘আলা নবীগণ আলায়হিস্ সালাম এর নিকট তাঁদের রূহকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। ফলে তাঁরা মহান আল্লাহর নিকট জীবিত, শহীদগণের ন্যায়। অত:পর যখন শিঙ্গায় প্রথম ফুঁক দেয়া হবে তখন তাঁরাও অন্যান্যদের ন্যায় সংজ্ঞাহীন হয়ে যাবেন। অতএব, এটা কোন অবস্থাতেই মৃত্যু হতে পারে না; বরং তা হলো অনুভূতি শক্তি হারিয়ে ফেলা মাত্র। আর হযরত মূসা আলায়হিস্ সালামকে এ সংজ্ঞাহীনতা থেকে আল্লাহ তা‘আলা মুক্ত রেখেছেন। কেননা আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন, “কিন্তু আল্লাহ যাকে চান সে ছাড়া।”
[সূরা নামল, আয়াত-৮৭]
সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা এ অবস্থায় হযরত মূসা আলায়হিস্ সালাম-এর অনুভূতি শক্তি নিয়ে নেবেন না, বরং তূর পাহাড়ের ওই সংজ্ঞাহীনতাকে এখানে গণ্য করা হবে। বলা হয়ে থাকে যে, ‘সূরা নামল’-এর আয়াতের ভাষ্য মতে- শহীদগণও এ সংজ্ঞাহীনতা থেকে মুক্ত থাকবেন এবং যার সমর্থনে মরফূ’ পর্যায়ের হাদীস শরীফ বর্ণিত রয়েছে। যার পূর্ণ বর্ণনা كتاب البعث والنشور-এ বিবৃত হয়েছে। تَ َّ متْ بِالْخَیْرِ وَباِ َّ َِ َّ التوْفیِقُ
___________________________
সহায়ক গ্রন্থাবলী:
___________________________
১. সিয়ারু আ’লামিন নুবালা: যাহাবী খ-১৮, পৃ. ১৬৪-১৬৯
২. মা’রিফাতুস্ সুনান ওয়াল আ-সার: বায়হাক্বী খ-০১, পৃ.-২১২
৩. আল্ মাওসুয়া’ আশ্ শামিলা (ইমাম বায়হাক্বী পর্ব)
৪. ওয়াফাইয়াতুল আ’য়ান: ইবনে খাল্লিকান ১/৭৫
৫. ত্বাবাকাতুশ্ শাফে‘ইয়্যাহ্: ইমাম সুবকী ১/১২৪
৬. আল ওয়াফী বিল ওয়াফাইয়্যাত: সুফদী ২/৩১৬
৭. আল্ বিদায়াহ্ ওয়ান্ নিহায়াহ্: ইবনে আসীর ১২/১২-১৩
৮. তারীখুল ইসলাম: যাহাবী
৯. মুখতারুল ই’তিক্বাদ লিল ইমাম বায়হাক্বী: ইমাম আবদুল ওয়াহ্হাব আশ শারানী, পৃ. ১৭-১৮ ১০. আল্ জানিবুল আক্বদী ইনদাল ইমাম আল-বায়হাক্বী (পি.ইইচ.ডি গবেষণা পত্র): আবদুল্লাহ্ মুহাম্মদ আহমদ...
১১. মু’জামুল ভিলদান: ইয়াক্বুত আল হামুভভী।