"কারবালার সম্পূর্ণ করুণ কাহিনী-১"
----কারবালার সম্মুখে----
একদিন হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর কোলে ছিলেন। হযরত উম্মুল ফজল হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর দিকে তাকালে দেখতে পান যে তার চক্ষুদ্বয় থেকে অঝোরে প্রবাহিত হচ্ছে। উম্মুল ফজল আরজ করলেন,ইয়া রসূলাল্লাহ্! হঠাৎ চোখে পানি কেন? হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) ফরমালেন, এ মাত্র জিব্রাইল এসে আমাকে খবর দিয়েছে যে আমার এ শিশুক আমার উম্মত হত্যা করে ফেলবে। জিব্রাইল আমাকে সেই জমীনের মাটি এনে দিয়েছেন যেখানে আমার এ শিশু শহীদ হবে।
হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) সেই মাটি শুঁকে দেখলেন এবং বললেন,এ মাটি থেকে আমি কারবালার সুঘ্রান পাচ্ছি। অতঃপর সেই মাটি উম্মুল মুমেনীন হযরত উম্মে সালমা (রাদি আল্লাহু আনহু) কে দিলেন এবং বললেন, হে উম্মে সালমা, এ মাটি তোর কাছে রেখো। যখন এ মাটি রক্ত হয়ে যাবে তখন বুঝিও যে আমার এ নানু শহীদ হয়ে গেছে। হযরত উম্মে সালমা (রাদি আল্লাহু আনহু) এ মাটি একটি শিশিতে ভরে যত্ন সহকারে রেখে ছিলেন। যে দিন হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) কারবালা ময়দানে শহীদ হন, সেই দিন এ মাটি মুখবন্ধ শিশিতে রক্তে রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছিল।
---(মিশকাত শরীফঃ- ৫৬৪ পৃষ্টা)।
সবকঃ- হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর কাছে উনার কলিজার টুকরা হয়রত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর শাহাদাতের কথা জানা ছিল।শাহাদাতের স্থানের কথাও জানা ছিল। মোট কথা তাঁর কাছে কোন কিছু অজানা ছিলনা। হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর এটাও জানা ছিল যে হযরত উম্মে সালমা হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) এর শাহাদাতের পরও জীবিত থাকবেন। সে জন্যই সেই মাটি ওনার হেফাজতে দিয়েছিলেন। এ কিছুর পরও কেউ যদি হুজুরের অদৃশ্য জ্ঞানের ব্যাপারে সন্দেহ করে, ওর থেকে বড় জাহিল আর কে হতে পারে?