بسم الله الرحمن الرحيم
قل لااقول لكم عندى حزائن الله ولااعلم الغيب ولااقول لكم انى ملك- ان اتبع الامايوحى الى- قل هل يستوى الاعمى والبصير افلاتتفكرون-
তরজমা: আপনি বলে দিন, আমি তোমাদেরকে একথা বলিনি যে, আমার নিকট আল্লাহর ধনভাণ্ডার আছে এবং না একথা বলছি যে, আমি নিজে নিজেই গায়েব জানি আর না তোমাদেরকে এটা বলছি যে, আমি ফেরেশতা। আমি তো সেটারই অনুসারি, যা আমার নিকট ওহী আসে। আপনি বলুন তবে কি সমান হয়ে যাবে অন্ধ ও চক্ষুষ্মান? তবে কি তোমরা গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করছো না? (পারা-৭, সূরা আনআম, আয়াত নং ৫০)
শানে নুজুল: কাফেরদের প্রথা ছিল যে, তারা রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করতো। কখনো বলতো, ‘যদি আপনি রাসূল হন, তবে আমাদেরকে প্রচুর ধন-সম্পদ দিন, যাতে আমরা কখনো পরমুখাপেক্ষী না হই। আমাদের জন্য পাহাড়গুলোকে স্বর্ণ করে দিন।
কখনো বলত, অতীত ও ভবিষ্যতের সংবাদসমূহ শুনিয়ে দিন এবং আমাদেরকে ভবিষ্যতের সংবাদ দিন যে কখন কি কি ঘটবে? যাতে আমরা কল্যাণাদি লাভ করতে পারি এবং সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য পূর্ব থেকে ব্যবস্থা করে নিতে পারি।’
কখনও বলত, আমাদেরকে কিয়ামত সংঘটিত হবার সময়টা বলে দিন যে, তা কবে সংঘটিত হবে।’
কখনও বলতো, আপনি কেমন নবী, পানাহারও করেন, বিবাহ-শাদিও করেন?
তাদের এসব অযৌক্তিক ও মূর্খতাসুলভ কথার পরিপ্রেক্ষিতে এ আয়াতে কারীমা নাজিল হয়ছে। (তাফসিরে কবীর ৬ষ্ঠ খণ্ড ২৪২ পৃষ্ঠা)
তাফসির: তাফসির বিশারদগণ এ আয়াতের চার ধরনের ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।
(১) এ আয়াতে কারীমায় বিজ্জাত বা সত্ত্বাগত ইলমে গায়েবের অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা হয়েছে।
(২) আল্লাহর অসীম গায়েবের জ্ঞান অস্বীকার করা হয়েছে, কারণ আল্লাহ তাঁর হাবীবকে কতেক গায়েবের জ্ঞান দান করেছেন।
(৩) تواضع (তাওয়াজু) বা বিনয় ও নম্রতা প্রকাশের জন্য এ রকম বলা হয়েছে।
(৪) এ আয়াতের মর্মার্থ হল আমি দাবি করছি না যে, আমি গায়েব জানি। অর্থাৎ ইলমে গায়েবের দাবিদার হওয়ার ব্যাপারটিই অস্বীকার করা হয়েছে, স্বয়ং ইলমে গায়েবের অস্বীকৃতি নয়।
আল্লামা নাছির উদ্দিন আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ বিন ওমর বিন মোহাম্মদ শিরাজী শাফেয়ী বায়জাভী রাদিয়াল্লাহু আনহু ওফাত ৬৯১ হিজরি তদীয় ‘তাফসিরে বায়জাভী’ শরীফে জুজে সানী ১৬৩ পৃষ্ঠায় উপরোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেন-
(ولا اعلم الغيب) مالم يوح الى اولم ينصب عليه دليل-
অর্থাৎ আমি গায়েব জানি না যতক্ষণ পর্যন্ত আমার প্রতি গায়েব সংক্রান্ত বিষয়ের ওহী নাজিল না হয় অথবা এ ব্যাপারে কোন দলিল প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত না হয়। অর্থাৎ আমি রাসূল নিজে নিজে গায়েব জানি না।
আল্লামা আলাউদ্দিন আলী বিন মোহাম্মদ বিন ইব্রাহিম বাগদাদী আল মা’রূফ বিল খাজিন রাদিয়াল্লাহু আনহু তদীয় ‘তাফসিরে খাজিন’ নামক কিতাবের (২য় জুজ) ১১১ পৃষ্ঠায় আয়াতের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেন-
وانما نفى عن نفسه الشريفة هذه الاشياء تواضعا لله تعالى واعترافا له بالعبودية
অর্থাৎ ‘হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের পবিত্র সত্ত্বা থেকে এ সকল বিষয়াদি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার নিকট খোদার ধনভাণ্ডার রয়ছে এবং তিনি খোদাপ্রদত্ত গায়েব জানেন) সম্পর্কে আল্লাহর দরবারে তাঁর তাওয়াজু বা নম্রতা প্রকাশ এবং স্বীয় বন্দেগীর স্বীকারোক্তির জন্য অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছেন।
আল্লামা ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী রাদিয়াল্লাহু আনহু তদীয় ‘তাফসিরে কবীর’ নামক কিতাবের ৬ষ্ঠ খণ্ড ২৪২ পৃষ্ঠায় উপরোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন-
ان المراد من قوله (لا اقول لكم عندى خزائن الله) معناه انى لاادعى كونى موصوفا بالقدرة اللائقة بالاله تعالى وقوله (ولااعلم الغيب) اى ولاادعى كونى موصوفا بعلم الله تعالى وبمجموع هذين الكلامين حصل انه لايدعى الالهية-
অর্থাৎ ‘নিশ্চয় আল্লাহর বাণী-لااقول لكم عندى خزائن الله এর মুরাদ বা মর্মার্থ হল, নিশ্চয় আমি রাসূল এমন সর্বময় ক্ষমতার দাবি করি না যে, যা একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত এবং আমি এমন সত্ত্বাগত কুল বা আল্লাহর সমূহ জ্ঞানের অধিকারী বলেও দাবি করি না, যে গুণে একমাত্র আল্লাহই গুণান্বিত। আয়াতের দুটি অংশ একত্রিত করলে এ মর্মার্থ হয় যে, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খোদা হওয়ার দাবি করেন না।
পক্ষান্তরে আল্লাহপাক তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ধনভাণ্ডারের মালিক বানিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ধনভাণ্ডারের মজাজী মালিক।
মিশকাতশরীফে ৫১২ পৃষ্ঠায় রয়েছে। আল্লাহর হাবীব নিজেই এরশাদ করেছেন-
اتيت بمفاتيح خزائن الارض فوضعت فى يدى متفق عليه
অর্থাৎ ‘আমাকে জমিনের ধনভাণ্ডারের চাবিসমূহ দান করা হয়েছে। অতঃপর ইহা আমার হাতে রাখা হয়েছে। (বোখারী-মুসলিম) উপরোক্ত হাদীসশরীফ দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হল যে, আল্লাহ তা’য়ালা জমিনের সমস্ত সম্পদের চাবি রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাত মোবারকে সোপর্দ করে তাঁকে মালিক বানিয়ে দিয়েছেন। কারণ যে মালিক তাঁকে চাবি দেওয়া হয়।
লক্ষ্য করুন, জমিনের সম্পদের কি সীমা আছে? মানুষ, জীব-জন্তু, উৎপন্ন খাদ্য দ্রব্যাদি, ফলমূল, স্বর্ণ-রৌপ্য, মনিমুক্তা, হীরা-জওহর ইত্যাদি জমিনের সম্পদ এবং আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই সমূহ সম্পদের খোদা প্রদত্ত মালিক।
হযরত সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত এক হাদীসে রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন-اعطيت الكنزين الاحمر والابيض অর্থাৎ আমাকে দু’টি সম্পদের ভাণ্ডার দেওয়া হয়েছে, একটি লাল, অপরটি সাদা। (মিশকাতশরীফ ৫১২ পৃষ্ঠা দ্র.)
এ হাদীসশরীফ দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হল যে, সমস্ত স্বর্ণ-রৌপ্য মাহবুবে খোদাকে দান করা হয়েছে এবং তা তাঁর অধিকারে দেওয়া হয়েছে। এতে তাঁর মালিকানা সুপ্রমাণিত।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এরশাদ করেন-
وما نقموا الا ان اغنهم الله ورسوله من فضله
অর্থাৎ ‘আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ অনুগ্রহে তাঁদেরকে (মুমিনদেরকে) ধনশালী করেছেন। (সূরা তাওবা, আয়াত নং ৭৪)
এ আয়াতে কারীমা থেকে প্রমাণিত হল যে, আল্লাহর হাবীবও মানুষকে ধনশালী করেন। যিনি নিজে ধন-সম্পদের মালিক, তিনিই তো অপরকে ধনশালী করতে পারেন।
উল্লেখ্য যে, উক্ত আয়াতে কারীমার মধ্যে فضله এর ه (হু) জমির বা সর্বনামটি রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়েছে। কেন না জমির বা সর্বনাম সাধারণত নিকটতম ইসিম বা বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আল্লামা শেখ আব্দুল হক মোহাদ্দিসে দেহলভী রাদিয়াল্লাহু আনহু তদীয় ‘আশিয়াতুল লুমআত’ নামক কিতাবের ১ম খণ্ড ৪৩২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন-
قدرت وسلطنت وی صلی اللہ علیہ وسلم زیادہ بران بود وملک وملکوت جن وانس وتمامہ عوالم بتقدیر وتصرف الہی عز وعلادرمحیطہ قدرت وتصرف وے بود-
অর্থাৎ ‘নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রাজত্ব ইহা অপেক্ষা (হযরত সোলাইমান আলাইহিস সালাম এর রাজত্ব অপেক্ষাও) অধিক। ফেরেশতা, জিন ও ইনসান রাজ্য এমনকি সমগ্র বিশ্বজগত আল্লাহর অনুগ্রহে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইচ্ছাধীন ও অধিকারভূক্ত।’
ইমাম আল্লামা মুহাম্মদ বিন আব্দুল বাকী জুরকানী মালেকী রাদিয়াল্লাহু আনহু তদীয় ‘জারকানী আলাল মাওয়াহেবে লাদুনিয়া’ নামক কিতাবের ৭ম খণ্ড ১৯৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন যার সারসংক্ষেপ হল নবীগণ খোদাপ্রদত্ত ক্ষমতা বলে গায়েব জানেন এবং ওলিগণ আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নূর দ্বারা কিছু কিছু গায়েব জানেন ও দেখেন-
وقد تواترت الاخبار واتفقت معانيها على اطلاعه صلى الله عليه وسلم على الغيب كما قال عياض ولاينافى الايات الدالة على انه لايعلم الغيب الا الله وقوله ولم كنت اعلم الغيب لاستكثرت من الخير لان المنفى علمه من غير واسطة كما افاده المتن اما اطلاعه عليه باعلام الله فمحقق لقوله الا من ارتضى من ارتضى من رسول قال فى لطائف المنن اطلاع العبد على غيب من غيوب الله بنور منه بدليل خبر اتقوا فراسة المؤمن فانه ينظر بنور الله لايستغرب وهو معنى كنت بصره الذى يبصربه فمن كان الحق بصره اطلعه على غيبه فلايستغرب وقال بعض العارفين قوله الا من ارتضى من رسول لاينافى فى قول العارف المرسى فى تفسيرها اوصديق اوولى ولازيادة فيه على النص فان السلطان اذا قال لايدخل على اليوم الا الوزير لاينافى دخول اتباع الوزير معه فكذالك الولى اذا اطلعه الله على غيبه لم يره بنور نفسه وانما راه بنور متبوعه-
ভাবার্থ: আল্লাহর হাবীব আল্লাহ প্রদত্ত গায়েব জানেন এ ব্যাপারে অধিক সংখ্যাক বা মুতাওয়াতির পর্যায়ে গণ্য হাদীসমূহ রয়েছে এবং সকল মুহাদ্দিসীনে কেরাম এ হাদীসসমূহের ভাবার্থ আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর হাবীবকে গায়েবের ইলিম দান করেছেন, এর উপর ঐকমত্য পোষণ করেছেন যেমন আল্লামা আয়াজ রাদিয়াল্লাহু উল্লেখ করেছেন।
আল্লাহ তা’য়ালার কালাম কোরআন মজীদে একখানা আয়াতে কারীমা রয়েছে-لايعلم الغيب الا الله (আল্লাহ ছাড়া কেউ গায়েব জানে না।) অন্য আয়াতে কারীমায় রয়েছে-لو كنت اعلم الغيب لايستكثرت من الخير (যদি আমি গায়েব জানতাম তবে অনেক কল্যাণ অর্জন করতে পারতাম। এই উভয় আয়াতে কারীমা, আল্লাহর হাবীবের ইলমে গায়েবকে নিষেধ করে না, কারণ এ উভয় আয়াতের মধ্যে প্রথম আয়াতের অর্থ হল, আল্লাহ না জানিয়ে দিলে আমি নিজে নিজে গায়েব জানি না।’ দ্বিতীয় আয়াতের অর্থ হল- যদি আমি নিজে নিজে গায়েব জানতাম, তবে নিজে নিজে অনেক কল্যাণ অর্জন করতে পারতাম। অর্থাৎ আমি আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে গায়েব জানি এবং আল্লাহ তা’য়ালার সাহায্যে অনেক ভালই অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।
আল্লাহ তা’য়ালা যে, তাঁর হাবীবেকে গায়েব জানিয়ে দিয়েছেন, তার দলিল হচ্ছে, আল্লাহর কালাম-الا من ارتضى من رسول আল্লাহ তা’য়ালা যাঁদেরকে নবুয়ত ও রিসালত দ্বারা সম্মান দান করেছেন, তাঁদেরকে কতেক গায়েবের ইলিম দান করেছেন।
‘লাতাইফুল মেনান’ কিতাবে উল্লেখ রয়েছে, আল্লাহর কোন কামিল বান্দা, আল্লাহ তায়ালার গায়েব সংক্রান্ত বিষয়সমূহ থেকে কতেক গায়েব লাভ করা আশ্চর্যের বিষয় নয়, এই দলিলের মাধ্যমে-
اتقوا فراسة المؤمن فانه ينظر بنور الله لايستغرب
মুমিনের ফেরাসাত বা দূরদর্শীতাসূচক জ্ঞানকে ভয় কর কেন না তিনি আল্লাহর নূরের সাহায্যে দেখেন, এটাই অপর হাদীসে কুদসীর অর্থ জ্ঞাপন করে, আল্লাহ তা’য়ালা বলেন-كنت بصره الذى يبصربه আমি তার চোখ হয়ে যাই, যা দ্বারা সে দেখে, সুতরাং তার দেখা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত অসাধারণ শক্তির বলেই সম্পন্ন হয়ে থাকে, তাই তাঁর গায়েব সম্পর্কে অবগত হওয়াটা আশ্চর্যের বিষয় নয়।
কামেল বান্দা যা আল্লাহর ওলি গায়েব সম্পর্কে অবগত হতে পারেন এবং আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে বহু দূর-দূরান্তে দেখতে পারেন বরং ইহা উপরে উল্লেখিত আয়াতে কারীমা বা অকাট্য দলিলের বিরোধী নয়। আয়াতে কারীমা হচ্ছে-الا من ارتضى من رسول একমাত্র আল্লাহ তা’য়ালা যাকে নবুয়ত ও রিসালত দ্বারা সম্মানিত করেছেন তাঁদেরকে আল্লাহ তাঁর নিজস্ব গায়েব জানিয়ে দিয়েছেন।
একদল আরেফীন এ আয়াতে কারীমা ও হাদীসশরীফের মর্মার্থের পারস্পারিক দ্বন্দ্ব নিরসনের ব্যাপারে একটি উদাহরণের মাধ্যমে যে অভিমত প্রকাশ করেছেন তা উসূল বা মূলনীতির অনুকুলে। কারণ আকিদার ব্যাপারে খবরে ওয়াহিদ কোরআনের মোকাবেলায় অগ্রহণযোগ্য যদি তাতবীক বা সামঞ্জস্য দেওয়া সম্ভব না হয়।
আয়াতে কারীমা ও হাদীসশরীফের মধ্যে যে পারস্পারিক কোন বিরোধ নেই তা নিম্নের উদাহরণ দ্বারা নিরসন হয়ে যাবে। উদাহরণ নিম্নরূপ-
‘কোন বাদশাহ যদি এ নির্দেশ জারি করে যে, আজকের দিনে উজির ছাড়া অন্য কেহ প্রবেশ করতে পারবে না। এ নির্দেশ দ্বারা উজিরের আপন লোক তার সাথে প্রবেশ করতে পারবে না এ কথা বুঝায় না। এভাবে আল্লাহর ওলিগণকে যখন আল্লাহ তা’য়ালার গায়েব সম্পর্কে অবহিত করেন তখন ওলিগণ-لم يره بنور نفسه وانما راه بنور متبوعه নিজের নূর দ্বারা দেখেন না বা গায়েব জানেন না। বরং তাঁরা নিশ্চয়ই তার মাতবুর (আল্লাহর নবীর) নূর দ্বারা দেখেন বা জ্ঞান লাভ করে থাকেন।