ফতোয়ায়ে শামীর ফতোয়া।
খতমে কুরঅানের হাদিয়া গ্রহণের বিরুদ্ধে এদেশের দেওবন্দিরা কট্টরে শাদিদা। এটাকে তারা নাজায়েজ বলে। এমনকি হাদিয়া গ্রহণ করলে সওয়াব নষ্ট হয়ে যায় এই রকম কঠোর ফতোয়া দিয়ে থাকে।
কিন্তু মজার কথা হলো এই ফতোয়া সর্বাগ্রে তাদের হাফিযে কুরঅানই মানে না।
প্রতি বছর তাদের যে সকল হাজার হাজার হাফিযে কুরঅান তারাবীহের সালাত আদায় করে হাদিয়া নিয়ে থাকে প্রশ্ন হলো তাদের ১মাস তারাবীহের সালাত বাতিল হয়ে গেল এই ফতোয়া তারা দেয় না কেন?
আপনার নিকটস্থ কোন কওমী মাদ্রাসায় খতমের জন্য হাদিয়া দিয়ে যাচাই করুন দেখুন তারা কিভাবে এই লোভ সামলায়?
(লোভ বলি এই জন্য যে, তাদের ফতোয়া মুতাবেক এর হুকুম বাতিল।)
শুধু তাই নয়, খতমের পর যিয়াফতের দাওয়াত তারা বিনা সংকুচে গ্রহণ করে থাকে।
বিশ্বাস না হলে একবার যাচাই করে দেখুন।
আচ্ছা খতমে কুরঅানের হাদিয়া যদি সাধারণ মুসলমান বন্ধ করে দেন, তাহলে এদেশে হাফিযে কুরঅান পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে নিঃসন্দেহে। কোন হাফিযে কুরঅান তো আর চুক্তি করে নামাজ পড়ায় না।
দলীল হিসেবে তারা ফতোয়ায়ে শামীর মতন উল্লেখ করে।
দেওবন্দিরা নিজের পক্ষে গেলে ফতোয়ায়ে শামী মানে, বিপক্ষে গেলে এর পুরো বিরোধিতা করে। এটা ইনসাফ না আত্মপুঁজা?
এরাতো সুবিধাবাদী এর জলন্ত প্রমাণ এটা।
আযানে রাসূলে আরাবীর নাম শুনলে চুমু খাওয়া জায়েজ বরং মুস্তাহাব।
এই ফতোয়া তো ফতোয়ায়ে শামীতেই আছে। এটা মানেনা কেন?
ফতোয়ায়ে শামীর একটা মানে আরেকটার বিরোধিতা করে বেদাত বেদাত বলে চিল্লায়।
আযানে দয়াল নবীজির নাম মোবারক শুনলে চুমু খাওয়া সম্পর্কে হানাফিদের মূখপাত্র আল্লামা ইবনে আবেদিন শামীর ফতোয়া হলো--
يستحب ان يقال عند سماع الاولي من الشهادة صلي الله عليك يا رسول الله و عند الثانية منها قرة عيني يا رسول الله ثم يقول اللهم متعني بالسمع والبصر بعد وضع ظفري الابهامين علي العينين فانه صلي الله عليه و سلم يكون قائدا له الي الجنة كذافي كنز العباد ـ قهستني و نحوه في الفتوي الصوفية و في كتاب الفردوس من قبل ظفري ابهاميه عند سماع اشهد ان محمدا رسول الله في الاذان انا قائده و مدخله في صفوف الجنة ـ [رد المحتار ٢/٨٤
________
হযরত মুহাম্মাদ (صلى الله عليه و آله وسلم) এঁর নাম মুবারক পাঠ বা শ্রবণ করত: বৃদ্ধাঙ্গুলীদ্বয় চুম্বন করে চোখে লাগানোর হুকুম।
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1899822416999861
______________