কদম শব্দের অর্থ হচ্ছে পা , এবং বুছি শব্দের অর্থ চুম্বন করা !

অর্থাৎ দ্বীনদ্বার পরহেজগার, সম্মানিত ব্যক্তি, পিতা-

মাতা ইত্যাদি উনাদের পায়ে চুম্বন

দেয়াকে শরীয়তে কদমবুছী বলে। এই কদমবুছী খাছ সুন্নতের

অন্তর্ভুক্ত। হযরত ছাহাবয়ে কি রাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম

উনারা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার

কদমবুছী করেছেন , আবার এক ছাহবী অন্য

ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার কদমবুছী করেছেন !! এ

প্রসঙ্গে অনেক হাদীস শরীফ বর্নিত আছে !

সহীহ হাদীস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়-

ﻋﻦ ﻭﺍﺯﻉ ﺑﻦ ﺯﺍﺭﻉ ﺭﺿﻴﺎﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻋﻦ ﺟﺪﻫﺎ ﻭﻛﺎﻥ ﻓﻲ ﻭﻓﺪ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻘﻴﺲ ﻗﺎﻝ ﻟﻤﺎ ﻗﺬﻣﻨﺎ ﺍﻟﻤﺪﻳﻨﺔ ﻓﺠﻌﻠﻨﺎ

ﻧﺘﺒﺎﺩﺭ ﻣﻦ ﺭﻭﺍﺣﻠﻨﺎ ﻓﻨﻘﺒﻞ ﻳﺪ ﺭﺳﻮﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻭ ﺭﺟﻠﻪ

অর্থ : হযরত ওয়াজে ইবনে যারে উনার

দাদা হতে বর্ননা করেন, আর তিনি ছিলেন আব্দুল কায়েস

গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। তিনি বলেন , আমরা যখন

মদীনা শরীফে আসতাম, তখন আমরা আমাদের

সাওয়ারী হতে তাড়াতাড়ি অবতরন করে হুজুর পাক

ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাত

এবং পা মুবারকে চুম্বন করতাম।”

দলীল —

√ আবু দাউদ শরীফ-কিতাবুস সালাম-২য় খন্ড-৭০৯পৃষ্ঠা-

হাদীস ৫২২৫ !

√ মিশকাত শরীফ- কিতাবুল আদব- মুছাফাহ ও

মুয়ানাকা অধ্যায়- হাদীস নম্বর ৪৬৮৮।

√ ফতহুল বারী ১১ খন্ড- ৫৭ পৃষ্ঠা !

√ মিরকাত শরীফ ৭ম খন্ড ৮০ পৃষ্ঠা।

√ মুছান্নাফে আবী শায়বা ।

√ বায়হাকী শরীফ।

√ কানযুল উম্মাল শরীফ।

√ তাফসীরে তাবারী।

√ বজলুল মাজহুদ ৬ ষ্ঠ খন্ড ৩২৮ পৃষ্ঠা।

√ মায়ালিমুস সুনান।

√ আইনুল মা’বুদ লি হল্লি মুশকালাতি সুনানী আবু দাউদ।

√ আশয়াতুল লুময়াত

√ এলাউস সুনান ১৭ তম খন্ড ৪২৬ পৃষ্ঠা।

কদমবুছী সম্পর্কে হাফিজে হাদীস আল্লামা কাজী আয়াজ

রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং হাফিজে হাদীস

আল্লামা নববী রহমাতুল্লাহি আলাইহি স্বস্ব

কিতাবে একখানা বিশুদ্ধ হাদীস শরীফ বর্ননা করেন–

ﻋﻦ ﺑﺮﻳﺪﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻓﺎﺀﺫﻥ ﻟﻲ ﺍﻗﺒﻞ ﻳﺪﻳﻚ ﻭﺭﺟﻠﻴﻚ – ﻓﺎﺫﻥ ﻟﻪ ﺍﻱ ﻓﻲ ﺗﻘﺒﻴﻞ ﻳﺪﻳﻪ ﻭﺭﺟﻠﻴﻪ-

ﻓﻘﺒﻠﻬﻤﺎ

অর্থ: হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত,

তিনি বলেন, (গাছের সিজদা দেয়ার ঘটনার পর) আমি হুজুর

পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললাম,

ইয়া রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম !

আমাকে আপনার উভয় হাত এবং পা মুবারক বুছা বা চুম্বন

দেয়ার অনুমতি দিন। তখন উনাকে উভয় হাত এবং পা মুবারক

চুম্বন দেয়ার অর্থাৎ কদমবুছী করার অনুমতি দেয়া হলে,

তিনি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার

হাত এবং কদম মুবারক চুম্বন করলেন।”

দলীল-

√ নাসীমুর রিয়াজ শরহে কাজী আয়াজ ৩য় খন্ড ৫০ পৃষ্ঠা ।

√ কিতাবুল আযকার লিন নববী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।





ছিয়াহ সিত্তার নির্ভরযোগ্য কিতাব

সমূহে আরো একটি হাদীস শরীফ বর্নিত আছে।

হযরত সাফওয়ান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত

একটি দীর্ঘ হাদীস শরীফ। একবার দুজন লোক হুজুর পাক

ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাক্ষাৎ

করার জন্য আসলো। তারা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে কিছু জানতে চাইলো,

হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সব

বিষয় সমূহের জবাব দান করলেন।

জবাব পাওয়ার পরের বিষয় সম্পর্কে সাফওয়ান রদ্বিয়াল্লাহু

আনহু বলেন–

ﻗﺎﻝ ﻓﻘﺒﻼ ﻳﺪﻳﻪ ﻭ ﺭﺟﻠﻴﻪ ﻭ ﻗﺎﻻ ﻧﺸﻬﺪ ﺍﻧﻚ ﻧﺒﻲ

অর্থ: হযরত সাফওয়ান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, অতঃপর

তারা উভয়ে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

উনার হাত মুবারক এবং কদম মুবারক চুম্বন করলো এবং বললো,

আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিশ্চয়ই আপনি আল্লাহ পাক উনার

নবী।”

দলীল-

√ মিশকাত শরীফ -কিতাবুল ঈমান- বাবুল কাবায়ের

ওয়া আলামাতুন নিফাক- দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ- ৫১ নং হাদীস

শরীফ।

√ তিরমীযি শরীফ ।

√ আবু দাউদ শরীফ।

√ সুনানু নাসায়ী শরীফ।

√ তুহফাতুল আহওয়াযী।

√ সুনানুন নাসায়ী বি শরহিস জালালুদ্দীন

সূয়ুতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

এছাড়া এক ছাহাবী অন্য ছাহবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার

কদমবুছী করেছেন তার দলীল–

ﻋﻦ ﺯﻳﺪﺑﻦ ﺛﺒﺖ ﺍﻧﻪ ﻗﺒﻞ ﻳﺪ ﺍﻧﺲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻭﺍﺧﺮﺝ ﺍﻳﻀﺎ ﺍﻥ ﻋﻠﻴﺎ ﻗﺒﻞ ﻳﺪ ﺍﻟﻌﺒﺎﺱ ﻭ ﺭﺟﻠﻪ

অর্থ : হযরত যায়েদ বিন সাবিত রদ্বিয়াল্লাহু আনহু

হতে বর্নিত,তিনি হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু

আনহু উনার হাত মুবারকে চুম্বন করেছেন। তিনি এটাও

বর্ননা করেছেন যে , হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হযরত

আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার হাত

এবং পা মুবারকে চুম্বন করেছেন !”

দলীল-

√ ফতহুল বারী- ১১খন্ড-৫৭পৃষ্ঠা !

√ তোহফাতুল আহওয়াযী শরহে তিরমীযি শরীফ ৭ম খন্ড ৫২৮

পৃষ্ঠা।

√ ফিকহুস সুন্নাহ ওয়াল আসার।

উল্লিখিত হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমানিত

হলো কদমবুছী করা খাছ সুন্নতে ছাহাবা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু

উনার অন্তর্ভুক্ত। আর সুন্নতে ছাহাবা অনুসরন

সম্পর্কে সহীহ হাদীস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে –

ﻋﻦ ﺍﻟﻌﺮﺑﺎﺽ ﺑﻦ ﺳﺎﺭﻳﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻋﻠﻴﻜﻢ ﺑﺴﻨﺘﻲ ﻭ ﺳﻨﺔ

ﺍﻟﺨﻠﻔﺎﺀ ﺍﻟﺮﺍﺷﺪﻳﻦ ﺍﻟﻤﻬﺪﻳﻦ ﺗﻤﺴﻜﻮﺍ ﺑﻬﺎ ﻭ ﻋﻀﻮﺍ ﻋﻠﻴﻬﺎ ﺑﺎﻟﻨﻮﺍﺟﺬ

অর্থ : হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহু

হতে বর্নিত, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের জন্য আমার সুন্নত

এবং আমার খুলাফায়ে রাশেদীন রদ্বিয়াল্লাহু আনহুন

উনাদের সুন্নত অবশ্যই পালনীয় ! তোমরা তা মাড়ির দাঁত

দিয়ে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরো !””

দলীল–

√ সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস শরীফ নং ৪২

√ তিরমিযী শরীফ, হাদীস শরীফ নং ২৬৭৬

√ আবু দাউদ শরীফ, হাদীস শরীফ নং ৪৬০৭

√ মুসনাদে আহমাদ শরীফ ৪/১২৬

নিজের মায়ের কদমবুছী সম্পর্কে হাদীস

শরীফে আরো এসেছে–

ﻣﻦ ﻗﺒﻞ ﺭﺟﻞ ﺍﻣﻪ ﻓﻜﺎﻧﻤﺎ ﻗﺒﻞ ﻋﺘﺒﺔ ﺍﻟﺠﻨﺔ

অর্থ : যে ব্যক্তি তার মায়ের পায়ে চুম্বন দিলো , সে যেন

জান্নাতের চৌকাঠে চুম্বন দিলো !”

দলীল–

√ মাবসূত লিল সারাখসী ১ম খন্ড ১৪৯ পৃষ্ঠা।

উক্ত দলীল আদিল্লা থেকে স্পষ্ট বোঝা গেল

কদমবুছী করা খাস সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত | সুবহানাল্লাহ্ !!

শুধু তাই নয়, বিখ্যাত ইমাম মুস্তাহিদ উনাদের জীবনীতেও

কদমবুছীর ঘটনা পাওয়া যায়।

যেটা কিতাবে বর্নিত হয়েছে-

ﺍﻣﺎﻡ ﻣﺴﻠﻢ ﺑﻦ ﺣﺠﺎﺝ ﻛﺎ ﻭﺍﻗﻐﻪ ﺟﻮ ﺍﻣﺎﻡ ﺑﺨﺎﺭﻱ ﮐﮯ ﺳﺎﺗﮫ ﭘﻴﺶ ﺍﻳﺎﻛﻪ ﺍﻣﺎﻡ ﻣﺴﻠﻢ ﻧﮯ ﺍﻣﺎﻡ ﺑﺨﺎﺭﻱ ﻛﯽ

ﭘﻴﺸﺎﻧﯽ ﻛﻮ ﺑﻮﺳﻪ ﺩﻳﺎ ﺍﻭﺭ ﻗﺪﻡ ﺑﻮﺳﻲ ﻛﺎ ﺍﺭﺍﺩﻩ ﻛﻴﺎ- ﻳﻪ ﻛﺘﺐ ﺣﺪﻳﺚ ﻭﺭﺟﺎﻝ ﻣﻴﻦ ﻣﻌﺮﻭﻑ ﻭ ﻣﺸﻬﻮﺭ

ﻫﮯ

অর্থ: ইমাম হযরত মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও ইমাম

বুখারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কিত ঘটনা। অর্থাৎ

ইমাম মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি ইমাম

বুখারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কপাল মুবারকে চুম্বন

দিয়েছেন এবং কদমবুছী করার ইচ্ছা পোষন করেছিলেন। এ

ঘটনা হাদীস শরীফের কিতাব ও রিজাল শাস্ত্রে পরিচিত

ও প্রসিদ্ধ।”

দলীল-

√ আল কিরামাতু ওয়াল তাক্ববীল।

√ মিযানুল আখবার ৪৯ পৃষ্ঠা ।

এখন দেখেন, কদমবুছী যদি জায়িয না হতো তাহলে ইমাম

মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনি কি কদমবুছী করার

অনুমতি চাইতেন ?

অতএব প্রমান হলো বূজর্গ ব্যক্তিদের কদমবুছী করাটা সুন্নত

উনার অন্তর্ভুক্ত।

কদমবুছী সম্পর্কে ফতোয়ার কিতাবে আরো বর্নিত আছে–

ﺗﻤﺎﻡ ﺭﻭﺍﻳﺎﺕ ﺳﮯ ﺛﺎﺑﺖ ﻫﻮﺍ ﻛﻪ ﻋﻠﻤﺎﺀ ﻭﻣﺸﺎﺀﺥ ﺍﻭﺭ ﺩﻳﻨﻲ ﺷﺮﻑ ﺭﻛﻬﻨﮯ ﻭﺍﻟﮯ ﺣﻀﺮﺍﺕ ﻛﻲ ﺩﺳﺖ

ﺑﻮﺳﻲ ﺑﻠﻜﻪ ﻗﺪﻡ ﺑﻮﺳﻲ ﻧﻴﺰ ﭘﻴﺸﺎﻧﻲ ﻭﻏﻴﺮﻩ ﭘﺮ ﺑﻮﺳﻪ ﺩﻳﻨﺎ ﺳﻨﺖ ﺍﻭﺭ ﺗﻌﺎﻣﻞ ﺻﺤﺎﺑﻪ ﻭﺗﺎﺑﻌﻴﻦ ﺳﮯ ﺑﻼ

ﻛﺴﻲ ﻧﻜﻴﺮ ﻛﮯ ﺛﺎﺑﺖ ﻫﮯ

অর্থ: হাদীস শরীফ উনার সকল বর্ননা দ্বারা এটাই

প্রমানিত হয় যে, দ্বীনদার, আলেম,পীর ও বূজর্গ উনাদের

দস্তবুছী বা হাত চুম্বন, কদমবুছী বা পা চুম্বন

এমনকি কপালে চুম্বন দেওয়াও সুন্নত

এবং সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু এবং হযরত

তাবেয়িন রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাদের আমল

হিসাবে বিনা প্রশ্নে প্রমানিত।”

দলীল-

√ আল কিরামাতু ওয়াল তাক্ববীল লিশ শায়েখ আবেদ

সিন্ধি।

প্রমান হলো, কদমবুসী করা খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।

যেটা ছিহা সিত্তার হাদীস দ্বারা প্রমানিত ।

এছাড়া অসংখ্য হাদীস শরীফে আছে কদমবুসী করা সুন্নাত।

তারই ধারাবাহিকতায় দ্বীনদার, পরহেজগার , বূজুর্গ,

পিতা-মাতা উনাদের কদমবুসী বা পদ চুম্বন সুন্নত । আর কেউ

সুন্নতকে অবজ্ঞা করলে কাফির হবে।

মজার বিষয় লক্ষ্য করুন, এত দলীল থাকার পরও বর্তমান সকল

দেওবন্দী- কওমীদের বই-পুস্তক, পেপার-পত্রিকা, বিভিন্ন

লেখনিতে আমরা দেখি তারা কদমবুসীকে শিরক-হারাম-

নাজায়েজ বলে ফতোয়া প্রদান করে থাকে।

অথচ মজার বিষয় হচ্ছে তাদের সিলসিলার সকল মুরুব্বী এক

বাক্যে কদমবুছীকে সুন্নত ফতোয়া দিয়েছে।

আসুন আমরা দেখি এই শিরক-হারাম ফতোয়া দানকারীদের

দেওবন্দী মুরুব্বীরা কি ফতোয়া দিয়েছে—–

দেওবন্দী গুরু আশরাফ আলী থানবী তার ফতোয়ার

কিতাবে লিখেছে—

ﭘﺲ ﺻﺤﻴﺢ ﺟﻮﺍﺯ ﺗﻘﺒﻴﻞ ﻓﻲ ﻧﻔﺴﻪ ﻫﮯ

অর্থ– সুতরাং ছহীহ মত হলো, মূল কদমবুছী জায়িয !”

দলীল–

√ ইমদাদুল ফতোয়া ৫খন্ড, ৩৪৫ পৃষ্ঠা !

√ মাওয়ায়েজে আশরাফিয় !

আশরাফ আলী থানবী আরো ফতোয়া দিয়েছে —

ﻋﺎﻟﻢ ﻭ ﻭﺍﻟﺪﻳﻦ ﻛﻲ ﺗﻘﺒﻴﻞ ﻳﺪ ﻭﺭﺟﻞ ﺝﺀﺯ ﮬﮯ

অর্থ– আলিম, পিতা-মাতার দস্তবুছী ( হাত চুম্বন)

এবং কদমবুছী ( পা চুম্বন ) জায়িয !”

দলীল-

√ ইমদাদুল আহকাম ১ খন্ড ১৩৫।

দেওবন্দী গুরু রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী তার কিতাবে লিখেছে–

ﺗﻌﻈﻴﻢ ﺩﻧﺪﺍﺭ ﻛﻮ ﻛﻬﺮﺍ ﻫﻮﻧﺎ ﺩﺭﺳﺖ ﮬﮯ ﺍﻭﺭ ﭘﺆﯼ ﭼﻮﻣﻨﺎ ﺍﺳﮯ ﮨﯽ ﺷﺨﺺ ﻛﺎ ﺑﻬﻲ ﺩﺭﺳﺖ ﮬﮯ ﺣﺪﻳﺚ

ﺳﮯ ﺛﺎﺑﺖ ﮨﮯ

অর্থ– দ্বীনদার আলিমের সম্মানার্থে দাঁড়ানো জায়িয

এবং তাঁদের কদমবুছী করাও জায়িয | এটা হাদীস শরীফ

দ্বারা প্রমানিত |”

দলীল—

√ ফতোয়ায়ে রশীদিয়া কামেল ৪৫৯ পৃষ্ঠা !

দেওবন্দী মুফতী শফী তার কিতাবে লিখেছে-

ﭘﺴﻲ ﻣﺨﺘﺼﺮ ﺑﺎﺕ ﻳﻬﻲ ﻫﮯ ﮐﻪ ﺳﻨﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺍﻭﺭ ﺗﻌﺎﻣﻞ ﺻﺤﺎﺑﻪ ﻣﻴﻦ

ﺍﺳﻜﻲ ﺣﻮﺣﺪ ﻣﻨﻘﻮﻝ ﻫﮯ ﺍﺳﻜﻲ ﺍﺳﻲ ﺣﺪﭘﺮ ﺭﻛﻬﺎ ﺟﺎﺀﮮ – ﺗﻮ

ﺑﻼ ﺷﺒﻪ ﺩﺳﺖ ﺑﻮﺳﻲ ﻗﺪﻡ ﺑﻮﺳﻲ ﻣﻌﺎﻧﻘﻪ ﻣﺼﺎﻓﺤﻪ ﺳﺐ ﺝﺀﺯ ﺑﻠﻜﻪ ﺳﻨﺖ ﻭﻣﺴﺘﺤﺐ ﻫﻴﯽ

অর্থ — সূতরাং সংক্ষিপ্ত কথা হলো যে, হাদীস শরীফ ও

সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুগনের আমল

দ্বারা এর (কদমবুছীর) যেই সীমা বর্ননা করা হয়েছে,

আমাদের এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত।

নিঃসন্দেহে দস্তবুছী ( হাত চুম্বন) কদমবুছী ( পা চুম্বন) ,

মুয়ানিকা, মুছাহাফা, সবই জায়িয বরং সুন্নত ও

মুস্তাহাবের অন্তর্ভুক্ত।”

দলীল–

√ জাওয়াহিরুল ফিক্বাহ ১ম খন্ড ২০২ পৃষ্ঠা |

দেওবন্দী গুরু মাহমুদুল হাসান লিখেছে–

ﺟﻮ ﺷﺨﺺ ﻭﺍﺟﺐ ﺍﻻﻛﺮﺍﻡ ﻫﻮ ﺍﺳﻜﻲ ﻗﺪﻡ ﺑﻮﺳﻲ ﻛﻲ ﺍﺟﺎﺯﺕ ﻫﮯ

অর্থ– যিনি সম্মানের অধিকারী , তাঁর কদমবুছী করার

অনুমতি রয়েছে!”

দলীল–

√ ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া ১ম খন্ড ১৭৫ পৃষ্ঠা |

সম্মানিত মুসলমান ভাইয়েরা বিচার আপনারাই করুন !!

দেওবন্দী দের প্রধান মুরুব্বীরা কদমবুছীকে জায়িয সুন্নত

ফতোয়া দিয়ে গেছে অথচ তাদের সিলসিলার

কওমী এবং বর্তমান দেওবন্দীরা এটাকে শিরক-নাজায়েজ-

হারাম ফতোয়া দিচ্ছে। এর দ্বারা কি এটাই প্রমান হয় না

,এই দেওবন্দী কওমী ওহাবীরা এই পবিত্র সুন্নত

থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখছে এবং বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

এখন এইখানে স্ক্রিনশট সহ কিছু হাদিস আর প্রমান

আছে উর্দু আর আরবিতে দেখতে পারেন।





Top