✿ তাকবীরে তাশরীক সম্পর্কে কিছু মাসয়ালাঃ
{ সবাই শেয়ার ও কপি করুন }
(১) যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখের ফজর থেকে শুরু করে ১৩ তারিখের আছর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্তের ফরয নামাযের পর মসজিদে জামাআত সহকারে আদায়রত নামাযীদেরকে একবার উচ্চ আওয়াজে তাকবীর বলা ওয়াজীব এবং তিনবার বলা উত্তম। আর একেই তাকবীরে তাশরীক বলা হয় এবং সেটি হচ্ছে:
ﺍَﻟﻠﻪُ ﺍَﻛْﺒَﺮُ ﻁ ﺍﻟﻠﻪُ ﺍَﻛْﺒَﺮُ ﻁ ﻟَﺎۤ ﺍِﻟٰﻪَ ﺍِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠﻪُ ﻭَﺍﻟﻠﻪُ ﺍَﻛْﺒَﺮُ ﻁ ﺍَﻟﻠﻪُ ﺍَﻛْﺒَﺮُ ﻭَﻟِﻠّٰﻪِ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻁ
(তানবীরুল আবছার সম্বলিত, ৩য় খন্ড, ৭১ পৃষ্ঠা। বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৭৭৯-৭৮৫ পৃষ্ঠা)
(২) তাকবীরে তাশরীক সালাম ফেরানোর পরপরই বলা ওয়াজীব। অর্থাৎ- যতক্ষণ পর্যন্ত এমন কোন আমল না হয় যার কারণে (নামাযরত অবস্থায় হলে) নামায পুনরায় আদায় করতে হয়। যেমন-মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলো কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে ওযু ভেঙ্গে ফেলল, চাই ভুল করে কথা বলুক, তবে তাকবীর রহিত হয়ে গেলো। আর যদি বিনা ইচ্ছায় ওযু ভেঙ্গে যায় তবে (তাকবীর) বলে নিবে। (দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার, ৩য় খন্ড, ৭৩ পৃষ্ঠা)
(৩) শহরের মধ্যে অবস্থানরত মুকীম ব্যক্তির জন্য তাকবীরে তাশরীক ওয়াজীব, অথবা যে তার পেছনে ইকতিদা করল (তার জন্যও) । ঐ ইকতিদাকারী চাই মুসাফির হোক কিংবা গ্রামের অধিবাসী হোক এবং যদি সে ইকতিদা না করে তবে তার (অর্থাৎ মুসাফির ) উপর ওয়াজীব নয়। (দুররে মুখতার, ৩য় খন্ড, ৭৪ পৃষ্ঠা)
(৪) মুকিম যদি মুসাফিরের পিছনে ইকতিদা করে তবুও তার উপর (মুকিমের উপর) তাকবীরে তাশরীক আদায় করা ওয়াজীব, যদিও ঐ মুসাফির ইমামের জন্য
ওয়াজীব নয়। (দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার, ৩য় খন্ড, ৭৪ পৃষ্ঠা)
(৫) নফল, সুন্নাত এবং বিতরের তাকবীর ওয়াজীব নয়। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৭৮৫ পৃষ্ঠা। দুররে মুখতার, ৩য় খন্ড, ৭৩ পৃষ্ঠা)
(৬) জুমার পরও ওয়াজীব এবং ঈদের নামাযের (কুরবানীর ঈদ) পরও বলে নিন। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৭৮৫ পৃষ্ঠা। দুররে মুখতার, ৩য় খন্ড, ৭৩ পৃষ্ঠা)
(৭) মাসবুক (যার এক বা ততোধিক রাকাত ছুটে গেছে) এর উপরও তাকবীর ওয়াজীব। কিন্তু সালাম ফিরানোর পর বলবে। (রদ্দুল মুহতার, ৩য় খন্ড, ৭৬ পৃষ্ঠা)
(৮) মুনফারিদ (অর্থাৎ-একাকী নামায আদায়কারী) এর উপর ওয়াজীব নয়। (আলজাওহারাতুন নাইয়িরাহ্, ১২২ পৃষ্ঠা) কিন্তু এরপরও বলে নিন, কেননা সাহিবাইন (অর্থাৎ ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মদ ﺭَﺣِﻤَﮩُﻢُ ﺍﻟﻠﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ) এর মতে; তার উপরও ওয়াজীব। (বাহারে শরীয়াত, ১ম অংশ, ৭৭৬ পৃষ্ঠা)
<<< সবাই শেয়ার করে অন্যদের জানিয়ে দিন >>>
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে বোঝার এবং সেই অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুন। #আমিন
{ সবাই শেয়ার ও কপি করুন }
(১) যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখের ফজর থেকে শুরু করে ১৩ তারিখের আছর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্তের ফরয নামাযের পর মসজিদে জামাআত সহকারে আদায়রত নামাযীদেরকে একবার উচ্চ আওয়াজে তাকবীর বলা ওয়াজীব এবং তিনবার বলা উত্তম। আর একেই তাকবীরে তাশরীক বলা হয় এবং সেটি হচ্ছে:
ﺍَﻟﻠﻪُ ﺍَﻛْﺒَﺮُ ﻁ ﺍﻟﻠﻪُ ﺍَﻛْﺒَﺮُ ﻁ ﻟَﺎۤ ﺍِﻟٰﻪَ ﺍِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠﻪُ ﻭَﺍﻟﻠﻪُ ﺍَﻛْﺒَﺮُ ﻁ ﺍَﻟﻠﻪُ ﺍَﻛْﺒَﺮُ ﻭَﻟِﻠّٰﻪِ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻁ
(তানবীরুল আবছার সম্বলিত, ৩য় খন্ড, ৭১ পৃষ্ঠা। বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৭৭৯-৭৮৫ পৃষ্ঠা)
(২) তাকবীরে তাশরীক সালাম ফেরানোর পরপরই বলা ওয়াজীব। অর্থাৎ- যতক্ষণ পর্যন্ত এমন কোন আমল না হয় যার কারণে (নামাযরত অবস্থায় হলে) নামায পুনরায় আদায় করতে হয়। যেমন-মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলো কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে ওযু ভেঙ্গে ফেলল, চাই ভুল করে কথা বলুক, তবে তাকবীর রহিত হয়ে গেলো। আর যদি বিনা ইচ্ছায় ওযু ভেঙ্গে যায় তবে (তাকবীর) বলে নিবে। (দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার, ৩য় খন্ড, ৭৩ পৃষ্ঠা)
(৩) শহরের মধ্যে অবস্থানরত মুকীম ব্যক্তির জন্য তাকবীরে তাশরীক ওয়াজীব, অথবা যে তার পেছনে ইকতিদা করল (তার জন্যও) । ঐ ইকতিদাকারী চাই মুসাফির হোক কিংবা গ্রামের অধিবাসী হোক এবং যদি সে ইকতিদা না করে তবে তার (অর্থাৎ মুসাফির ) উপর ওয়াজীব নয়। (দুররে মুখতার, ৩য় খন্ড, ৭৪ পৃষ্ঠা)
(৪) মুকিম যদি মুসাফিরের পিছনে ইকতিদা করে তবুও তার উপর (মুকিমের উপর) তাকবীরে তাশরীক আদায় করা ওয়াজীব, যদিও ঐ মুসাফির ইমামের জন্য
ওয়াজীব নয়। (দুররে মুখতার, রদ্দুল মুহতার, ৩য় খন্ড, ৭৪ পৃষ্ঠা)
(৫) নফল, সুন্নাত এবং বিতরের তাকবীর ওয়াজীব নয়। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৭৮৫ পৃষ্ঠা। দুররে মুখতার, ৩য় খন্ড, ৭৩ পৃষ্ঠা)
(৬) জুমার পরও ওয়াজীব এবং ঈদের নামাযের (কুরবানীর ঈদ) পরও বলে নিন। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৭৮৫ পৃষ্ঠা। দুররে মুখতার, ৩য় খন্ড, ৭৩ পৃষ্ঠা)
(৭) মাসবুক (যার এক বা ততোধিক রাকাত ছুটে গেছে) এর উপরও তাকবীর ওয়াজীব। কিন্তু সালাম ফিরানোর পর বলবে। (রদ্দুল মুহতার, ৩য় খন্ড, ৭৬ পৃষ্ঠা)
(৮) মুনফারিদ (অর্থাৎ-একাকী নামায আদায়কারী) এর উপর ওয়াজীব নয়। (আলজাওহারাতুন নাইয়িরাহ্, ১২২ পৃষ্ঠা) কিন্তু এরপরও বলে নিন, কেননা সাহিবাইন (অর্থাৎ ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মদ ﺭَﺣِﻤَﮩُﻢُ ﺍﻟﻠﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ) এর মতে; তার উপরও ওয়াজীব। (বাহারে শরীয়াত, ১ম অংশ, ৭৭৬ পৃষ্ঠা)
<<< সবাই শেয়ার করে অন্যদের জানিয়ে দিন >>>
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে বোঝার এবং সেই অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুন। #আমিন