ঈদ-এ-মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিয়ে- মিঃ নুরুল ইসলাম
ওলীপুরী সাহেবের বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী বক্তব্য
সম্বলিত পুস্তক “সীরাতুন্নবী ও মীলাদুন্নবী”র
দাঁতভাঙ্গা জবাব- ০১
আল্লাহপাকের প্রিয়
হাবীব (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ১২ই
রবিউল আউয়াল
সোমবার সুবহে সাদিকে এ
দুনিয়ায় তাশরীফ আনেন।নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আগমন নিঃসন্দেহে সৃষ্টির
শ্রেষ্ট নেয়ামত।আর
নেয়ামত প্রাপ্তিতে খুশি উদযাপন করা অন্যতম ইবাদত।
জশনে জুলুছে ঈদে মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
পালনের মধ্য দিয়ে আশেকে রাসূলগণ
নবী প্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
সারা বিশ্বেই ঈদে মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
মহাসমারোহে পালিত
হয়ে আসছে।
বাংলাদেশেও এই মহান
দিবসটি জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় উদযাপিত
হয়ে থাকে।
রাহমাতুল্লীল আলামীন (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর শুভাগমনের মাস
সারা রবিউল আউয়াল
মাস জুড়েই-জশনে জুলুছ, ওয়াজ মাহফিল,সেমিনার
ইত্যাদিতে নবী প্রেমিকরা প্রান উজাড় করে দেয়।
কিন্তু আশ্চার্যের বিষয় মুসলমানদেরই একটি ক্ষুদ্র
অংশ ঈদে মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)উদযাপনকে বিদআত,শিরক
এবং নাজায়েজ ফতোয়া দিয়ে কুটতর্কের
সৃষ্টি করতঃ মুসলিম মিল্লাতের
মধ্যে অনৈক্য এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায়’রত
ব্যস্ত
থাকা একজন বিতর্কিত
উলামায়ে ‘ছূঁ’ নাম তাঁর
নুরুল ইসলাম ওলীপুরী।
সে ওয়াজ ও ভ্রান্ত তাফসীর মাহফিল
নামে আয়োজিত সভায় যে সব বক্তব্য
উপস্থাপন করে থাকে,তা পুস্তক আকারে এবং অডিও ও
ভিডিও ক্যাসেটের মাধ্যমে তাঁর দলীয়
লোকেরা প্রচার
করে থাকে।
ইদানিং ফেজবুকেও তাদের দলের লোকদের
মধ্যে মিঃ ওলীপুরীর বক্তব্য প্রচার
করতে দেখতে পেরেছি।
ওলীপুরী সাহেবের
বক্তব্য সম্বলিত একটি বই
“সীরাতুন্নবী ও মীলাদুন্নবী”
এ বইটিতে অসংখ্য
ভ্রান্ত ও উদ্ভট যুক্তিতে ভরপুর
এবং ঈদে মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বিরুদ্ধে ঈমান
নষ্টকারী বর্ণনা রয়েছে,.তাঁর
আগে বলতে চাই,মিঃ ওলীপুরী সাহেবের বক্তব্য
সম্বলিত
পুস্তকে কোরআন-সুন্নাহর দলিলের চেয়ে,
খোঁড়া যুক্তিই বেশী প্রাধান্য
পেয়েছে।
সে কারণে যুক্তিকে যুক্তি দিয়েই খন্ডন করতে হবে।
“ওলীপুরী সাহেব তাঁর
উক্ত বক্তব্যে বলেছেন
আমাদের মহানবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর
জীবন ইতিহাস
হলো ৬৩ বছরের
পবিত্রতম জিন্দেগী” (সীরাতুন্নবী ও
মীলাদুন্নবী পৃঃ-১১)
উক্ত পুস্তকের ১৭ পৃষ্টায় লেখা হয়েছে…. “ওহী পাওয়ার
আগের চল্লিশ
বছরে মহানবী মুহাম্মাদুর
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যত
কাজ করেছেন,যত
কথা বলেছেন এগুলি উম্মতের জন্য শরীয়তের দলীল নয়
ততক্ষণ পর্যন্ত,যতক্ষণ পর্যন্ত ওহী পাওয়ার
পরে পরবর্তী চল্লিশ বছরের
জিন্দেগীতে তিনি কালেমার দাওয়াত…
এমনকি ইসলাম প্রচারের কোন কাজই করেননি।”
আমার সংক্ষিপ্ত জবাব:
দেখলেন তো কতো বড়
বেয়াদবীমূলক উক্তি।
অথচ আমাদের প্রিয় নূর নবী দুজাহানের
বাদশা নাবিউল আম্বিয়া শাফিউল
মুযনিবীন রাহমাতুল্লিল
আলামীন হযরত
মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
হলেন সর্বশেষ্ট নবী এবং সর্বশেষ রাসূল। মানবজাতির
আদি পিতা হযরত আদম (আলাইহিস সালাম)কে সৃষ্টির
হাজার হাজার বছর পূর্বে আল্লাহপাক আমাদের
নবীজিকে (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়ালিহী ওয়াস্সালাম) সৃষ্টি করে নবুয়ত
দান করেন।এই নশ্বর পৃথিবীতে শুভাগমনের ৪০ বছর পর
নবীজীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
ওহী অবতরণ হয়।
জানা আবশ্যক
যে,নবুয়ত প্রদান আর
ওহী অবতরণ এক
জিনিষ নয়।নবুয়ত দান
করা হয়েছে পৃথিবীতে আগমনের
পূর্বে এবং ওহী নাজিল হয়েছে পৃথিবীতে আগমনের ৪০
বছর পরে।
সুতরাং আমাদের প্রিয়
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
ওহী নাজিল
হওয়ার পূর্বেও তিনি নবী ছিলেন।এটাই আহলে সুন্নাত
ওয়াল জামায়াতের আক্বিদা।
উনি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হয়েই
দুনিয়াতে এসেছেন
তাহলে ওহীর আসার
আগে শরীয়তের দলিল
হবেনা কেনো?
মিঃ ওলীপুরী এর অল্প
পরেই স্ববিরোধী বক্তব্য
দেওয়া হয়েছে।লেখা হয়েছে “প্রথম চল্লিশ বছর
নবীর জন্য নবী হওয়ার
দলিল”
ওলীপুরী সাহেবের বক্তব্য:
“নবী (সাঃ) মায়ের গর্ভ থেকে খতনা অবস্থায়
ভূমিষ্ঠ হওয়া,ভূমিষ্ঠ
হওয়ার সাথে সাথে আল্লাহ তায়ালার
শুকরিয়া আদায়
করে দু’আ পড়া ইত্যাদি নবী (সাঃ) জন্য নবী (সাঃ)
হওয়ার দলিল” (প্রাগুক্ত-
পৃঃ-১৮)।
এখন ওলীপুরী সাহেবের
কাছে জিজ্ঞাস হলো নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জন্মকালীন
মু’জেজা সমূহ নবীর
জন্য নবী হওয়ার দলিল
হিসেবে যদি যথেষ্ট
হয়; এবং উনার ভাষ্য
অনুযায়ী নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
জন্মকালীন যে সমস্ত
ঘটনা ঘটেছে তা অন্য
মানুষের বেলায় সম্ভবপর নয়।
তাহলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
মীলাদুন্নবীর এই দিনে,স্বয়ং নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যে দিন ভূমিষ্ঠকালীন
শুকরিয়া স্বরুপ দু’আ পড়েছিলেন। সেই
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উম্মত
হিসেবে নবী করীম
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে পাওয়ার
শুকরিয়া স্বরূপ দু’আ
দুরূদ, আনন্দ (ঈদ)
উদযাপন করা নাজায়েজ
হবে কেনো?
নাকি বিরোধীতার
খাতিরেই বিরোধীতা?

ঈদ-এ-মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিয়ে- মিঃ নুরুল ইসলাম
ওলীপুরী সাহেবের বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী বক্তব্য
সম্বলিত পুস্তক “সীরাতুন্নবী ও
মীলাদুন্নবী”র দাঁতভাঙ্গা জবাব- ০২
গত পোস্টে বলেছিলাম মিঃ ওলীপুরী সাহেবের
বক্তব্য সম্বলিত পুস্তকে দলিলের
চেয়ে যুক্তিই প্রাধান্য পেয়েছে,তাই আমি তাঁর
কিতাবকে খন্ডন করতে যুক্তিটাই বেঁচে নিয়েছি।কারণ
ঈদে মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
কে না-জায়েজ প্রমান করতে হলে অবশ্যই কোরআন-
সুন্নাহর দলিল লাগবে।কিন্তু
তাঁর কিতাবে ঐইসব লেশমাত্রই নাই, সব
বানোয়াট মনগড়া উক্তি।
সীরাতুন্নবী ও মীলাদুন্নবী’র পার্থক্য
শিরোনামে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন
সেখানে যৌক্তিক কারণে, এই শিরোনাম
এমনকি বইয়ের নামকরণ ভুল হয়েছে।
কেননা, জীবনের আগে অবশ্যই জন্ম।
সুতরাং সীরাতুন্নবী’র আগে অবশ্যই
মীলাদুন্নবীকে লিখতে হবে,জানতে হবে এবং মানতে হবে।
বইয়ের শিরোনাম হওয়া উচিত ছিলো “মীলাদুন্নবী ও
সীরাতুন্নবী”।
অথচ উক্ত বইয়ের কভার পৃষ্টায়
লেখা হয়েছে “সীরাতুন্নবী ও মীলাদুন্নবী” করণীয় ও
বর্জনীয়।
এখানে অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে মিঃ ওলীপুরী সাহেব
নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
শানে অভদ্রতা দেখিয়েছেন।
অথচ এ দুটির একটিকেও অস্বীকার
কিংবা কম গুরুত্ব দেওয়ার সুযোগ নেই।এ দুটির যে কোন
একটিকে অস্বীকার
করলে ঈমান চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সীরাতুন্নবী ও মীলাদুন্নবী’র পার্থক্য নির্দেশ
করতে গিয়ে মিঃ ওলীপুরী সাহেব:
দ্বিতীয় পার্থক্য বর্ণনায় বলেছেন যেমনঃ…
“জন্মের ভেতর সারা জীবনের ইতিহাস পাওয়া যায়
না।সারা জীবনের ইতিহাসের ভিতরে জন্মের কথাও
আছে।”
মিঃ ওলীপুরীর কথাটির মধ্যে উদ্দেশ্য কিন্তু খারাপ।
বিশ্বের যে জ্ঞানের ধারা প্রবাহমান সেটির
ব্যতিক্রম কিছু আমরা করতে পারিনা।
আমি উদাহরণ স্বরূপ বাংলাদেশের কথাই
যদি বলি এভাবে বলা যেতে পারে ২৬শে মার্চ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা বা জন্ম
দিবস এবং ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের
বিজয় দিবস।
২৬শে মার্চ কিংবা ১৬ই ডিসেম্বর
উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় কেবল ঐ দিন
কি ঘটেছিল তা আলোচিত হয়
না বরং বাংলাদেশের সৃষ্টি,উন্নয়ন, ইতিহাস,ঐতিহ্য
ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রভূতিও আলোচনা হয়।
যেমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
জন্ম বার্ষিকী কিংবা জিয়াউর রহমানের জন্ম
বার্ষিকী কিংবা অন্য কোন রাজনীতিবিদ
কিংবা মনীষীগণের
জন্ম বার্ষিকীতে কেবল তিনি কিভাবে জন্মগ্রহণ
করেছেন তা নিয়েই
আলোচনা হয় না বরং তাঁর সম্পূর্ণ
জীবনেতিহাস আলোচিত হয়।
ঠিক তেমনি মীলাদুন্নবী কথাটির অর্থ যদিও
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জন্ম কিন্তু
এ কথাটির
দ্বারা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
সম্পূর্ণ জীবনেতিহাসকেই বুঝায়।
তাই মিঃ ওলীপুরী সাহেবের একথাটি না বুঝার ভান
করা,আর না হয় শিশু
সুলভ আচরণ।নতুবা নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাথে বেয়াদবী মূলক আচরণ।
সুতরাং মীলাদুন্নবী মানার মধ্য দিয়েই
সীরাতুন্নবী প্রতিষ্ঠিত হয়।মীলাদুন্নবী আগে এর
পরে ধারাবাহিকভাবে ৬৩ বছরের
জিন্দেগী সীরাতুন্নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)।

ঈদ-এ-মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিয়ে- মিঃ ওলীপুরীর
বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী বক্তব্য সম্বলিত পুস্তক,
“সীরাতুন্নবী ও মীলাদুন্নবীর” দাঁতভাঙ্গা জবাব- ০৩
মিঃ কাজ্জাব ওলীপুরী উক্ত বইয়ের সীরাতুন্নবী ও
মীলাদুন্নবীর তৃতীয় পার্থক্যে বলা হয়েছে,
“মহানবী মুহাম্মাদুর
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর
জন্ম অর্থ মীলাদুন্নবী হলো একদিনের ঘটনা আর
সীরাতুন্নবী হলো ৬৩
বছরের ঘটনা একদিনে আর ৬৩ বছরে যে ব্যবধান,মীলাদুন
্নবী আর
সীরাতুন্নবীতেও সেই ব্যবধান”
মিঃ ওলীপুরী এই ব্যবধান
বুঝাতে গিয়ে উনি যে খোঁড়া যুক্তি দিয়েছেন
এবং সীরাতুন্নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে ৬৩ বছরের
ঘটনা বলে বক্তা নবীজির (আলাইহিমুস সালাম) নবুয়ত
প্রকাশের চল্লিশ বছর পূর্বেও নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছিলেন এ
সত্য কথাটি মেনে নিলেন
(আলহামদুলিল্লাহ)।
এখানে উল্লেখ্য যে মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদিনের ঘটনা নয়,আল্লাহর
সৃষ্টিতে যতদিন আছে সকল দিনেরই মূল উত্স হলেন
নবীজী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)।
সুতরাং সকল দিনই
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সৃষ্টির
কারণে ধন্য।এজন্যই তাঁর পবিত্র জন্ম শুক্রবার দিন
হয়নি,কেননা শুক্রবার
তো ইসলামের একটি পবিত্র দিন।বরঞ্চ সোমবারে তাঁর
জন্ম হয়েছে,যাতে এ
দিনটি তাঁর দ্বারা মর্যাদামন্ডিত হয়।
একইভাবে রমদ্বান
কিংবা কোন প্রসিদ্ধ
মাসে নবী করীম (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জন্ম হয়নি।
বরঞ্চ রবিউল আউয়াল
মাসে হয়েছে,যাতে করে এই মাস হুজুরপাক
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর দ্বারা ইজ্জত
প্রাপ্ত হয়।আর কোন সবুজ শ্যামল অঞ্চলেও
তিনি তাশরীফ আনেন নি, যেথায় কেউ
কমপক্ষে ভ্রমণের জন্য হলেও বেড়াতে যাবে। এরপর
মক্কা শরীফেও তাঁকে রাখা হয়নি,যেন
কেউ হজ্জের উসিলায় তাঁর জিয়ারত না করে,বরঞ্চ
তাঁকে মদীনা মুনাওয়ারায় রাখা হয়েছে। তাঁর
মানে মাহবুবে খোদা (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের) জন্য সম্পূর্ণ পৃথক সফর করো।
কাবা শরীফের দিকে নামাজ এজন্য
যে,নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
এটিকে কিবলা বানিয়েছেন।
এ জন্যই প্রথমত বায়তুল
মুকাদ্দাসকে কিবলা বানানো হয়েছিলো এবং তাঁরপর
কাবা শরীফকে, কেননা প্রথম হতেই
যদি কাবা মুয়াজ্জামা কিবলা হতো,তাহলে মাহবুবে খোদা (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
এর এই শান প্রকাশ হতো না।মোট কথা নবী করীম
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) আগমনের
দিন,মাস কিংবা বছরের সাথে সম্পর্কিত
করা যাবে না।সবকিছুই উনার উসিলায় পয়দা হয়েছে।
মিঃ কাজ্জাব ওলীপুরী তাঁর কিতাব “সীরাতুন্নবী ও
মীলাদুন্নবী” চতুর্থ পার্থক্য
বুঝাতে গিয়ে বলেছেন…….
“মীলাদুন্নবীর আলোচনা করা নফল” অন্যদিকে,
মাওলানা আব্দুর রহীম
“মীলাদুন্নবীর” অনুষ্ঠানকে বিদয়াত বলেছেন।(আব্দুল
রহীম, সুন্নাত ও বিদয়াত, পৃঃ-২২৬)। “রাহবার” নামক
তাবলীগ জামাতের
কিতাবের ২৫ পৃষ্টায়
“মীলাদ শরীফ” প্রসঙ্গে মন্তব্য
করতে গিয়ে লেখা হয়েছে,ইহা ধর্মের
মাঝে ইবাদাতের নামে নতুন আবিস্কার বিধায় সম্পূর্ণ
বিদায়াত এবং নাজায়েজ।
যদি কেউ সওয়াব মনে করে আমল
করেন,যা শরীয়তে কোন ভিত্তি নেই,বিদয়াত করার
জন্য নিশ্চয়ই তিনি গুনাহগার হবে”
এখন প্রশ্ন হলো মিঃ ওলীপুরী মীলাদুন্নবীকে নফল
বলেছেন,আর তাঁর আকাবিরিগণ এটাকে বিদয়াত ও
নাজায়েজ বলেছেন।নিশ্চয় মিঃ ওলীপুরী বিরাট
গুনাহগার
সেজেছেন অথবা তাঁর কথা ঠিক হলে তাঁর
আকাবিরগণ ভুলের মধ্যে রয়েছেন।
পরিশেষে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের
দরবারে ফরিয়াদ।
হে আল্লাহ সুবহানাহুতা’লা তোমার প্রিয় হাবীবের
(আলাইহিমুস সালাম) শান
ও মান প্রচারের ক্ষেত্রে কবুল করো এবং বাতিল
ফেরকা ওলীপুরীর প্রতারণা থেকে সরলপ্রান
মুসলমানদের ঈমান ও আমলকে হেফাজত করো,
আমীন!

ঈদ-এ-মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিয়ে – মিঃ নুরুল ইসলাম
ওলীপুরীর বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী বক্তব্য সম্বলিত
পুস্তক “সীরাতুন্নবী ও মীলাদুন্নবী’র”
দাঁতভাঙ্গা জবাব- ০৪
পঞ্চম পার্থক্য বর্ণনায়
মিঃ ওলীপুরী খোড়া যুক্তিতে বলেছেন……
“মীলাদুন্নবী আলোচনার
বিষয়,পালনীয় নয়,আর
সীরাতুন্নবী পালনীয়।”
এখনে আমি কয়েকটি বিষয় বলতে চাই:
প্রথমত, মীলাদুন্নবী হোক
কিংবা সীরাতুন্নবী হোক
কোনটিই সম্পূর্ণ পালন
করা উম্মতের পক্ষে সম্ভব নয়।
নবী করীম(আলাইহিমুস সালাম)কে অনুসরণ করা সম্ভব
কিন্তু অনুকরণ করা সম্ভব নয়।যেমন দরুণ “সাওমে বেছাল”
বা ধারাবাহিক রোজা,এটা নবীপাক (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
একটা গুণ।যেমন হাদীস
শরীফে এসেছে…হযরত আবু হুরায়রা (রাদ্বিয়াল্লাহু
আনহু) হতে বর্ণিত।
তিনি বলেন:-
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
“সাওমে বেছাল”করতে নিষেধ করেছেন।তখন এক
ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
আপনিতো বেছাল করেন।তখন
তিনি বললেন,তোমাদের
মধ্যে কে আছো আমার
মত?
আমি রাত্রি যাপন করি তখন আমার পরওয়ারদিগার
আমাকে খাওয়ান এবং পান করান।
এই হাদীস থেকে বুঝা গেলো “সাওমে বেছাল”
সীরাতুন্নবীর অংশ,মীলাদুন্নবী র
নয়।
সুতরাং সীরাতুন্নবী হলেই
পালনীয় হয় না।
ওলীপুরী ও তাঁর অনুসারীরা ধারবাহিক
বিনা সেহরী ও ইফতারীতে ত্রিশ-চল্লিশ দিন
রোজা রেখে সীরাতুন্নবী পালন
করে দেখাতে পারবে কি?
তোমাদেরকে আল্লাহপাক
খানা খাওয়ান কিনা?
এবং পানাহার করান কিনা?
দ্বিতীয়ত, তিনি বলেছেন
মীলাদুন্নবী পালনীয় নয় আলোচনার বিষয়।
আলোচনা কোথায় হবে?
মীলাদুন্নবীর আলোচনার জন্য কোন মাহফিল,
স্টেজ,পোষ্টার করলেই
মিঃ ওলীপুরীর
এতো গাত্রদাহ কেনো?
আসল কথা হচ্ছে তিনি বা তাঁর অনুসারীরা পালন আর
আলোচনার যুক্তির
খেলা তৈরী করেছেন, মীলাদুন্নবীর
বিরোধীতা করার
জন্যেই।মূলত তিনিও
আলোচনার পক্ষে নয়।
তৃতীয়ত, মিঃ ওলীপুরী বলেছেন….
“সুতরাং কথায় আর কাজে যে ব্যবধান,মীলাদুন্নবী ও
সীরাতুন্নবীতে সেই
ব্যবধান।”
এখানে আমি বলতে চাই
কথা ও কাজে সুন্নী ওলামায়ে কেরামগণের
ব্যবধান নাই।ব্যবধান
আছে ওলীপুরী অনুসারীদের।
মিঃ কাজ্জাব ওলীপুরী অনুসারীদের
আক্বিদা হচ্ছে নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)মাটির তৈরী,আর মাদ্রাসার
নামকরণ করেছে নূরে মদীনা, এ থেকে কথায় আর
কাজে ব্যবধান
বুঝতে কারো বাকী নেই।
সাধারণ মানুষদের
ধোঁকা দিয়ে চাঁদা সংগ্রহের
জন্যই এ দ্বিমুখী স্বভাব।
অন্তরে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
মাটির তৈরী আর মাদ্রাসার নাম নূরে মদিনা কেনো?
মদিনা শরীফ যদি নূর
হয়,তাহলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
মাটির তৈরী হন কিভাবে?
চতুর্থত,তিনি আরো বলেছেন….
“মীলাদুন্নবী পালন করা যায় না,মীলাদুন্নবী পালনের
কথা বললে তা মিথ্যা হবে।কারণ আমাদের
মহানবী (সাঃ) এর মু’জেজাপূর্ণ জন্ম জগতের অন্য কোন
মানুষের হতে পারে না।”
এক্ষেত্রে এতোটুকুই বলতে চাই নবী (আলাইহিমুস
সালাম) এর জন্ম পৃথিবীর অপরাপর মানুষের মতো নয়
বলেই এবং মু’জেজাপূর্ণ হওয়ার কারণেই মীলাদুন্নবীর
অনুষ্ঠান এবং মীলাদুন্নবীর
সময়কালীন মু’জেজা বিশ্বমানবের
কাছে পৌঁছাতে হবে।
নবীজীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
মু’জেজাপূর্ণ জন্ম নবীজীর (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জন্ম
বা মীলাদ অনুষ্ঠানের
দলিল হিসেবে যথেষ্ট
নয় কি?
মিঃ ওলীপুরী এখানে স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।
মীলাদুন্নবী ও সীরাতুন্নবী দুটোই পালনী ও
আলোচনার বিষয়।এটাই প্রকৃত আহলে সুন্নাত ওয়াল
জামায়াতের আক্বিদা।

ঈদ-এ-মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)নিয়ে- মিঃ ওলীপুরীর
খোড়া যুক্তির
দাঁতভাঙ্গা জবাব- ০৫
আমি গতপর্বের কয়েকটি পোস্টে বলেছিলাম
মিঃ ওলীপুরী মীলাদুন্নবীকে নাজায়েজ প্রমাণ
করতে খোড়া যুক্তিই
দিয়েছে, কোরআন -হাদীসের দলিল তাঁর
কিতাবে লেষমাত্র নেই। তাই
আমি যুক্তিকে যুক্তি দিয়ে জবাব দেওয়ার
চেষ্টা করতেছি।
“মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পালনীয় নয়,আলোচনার
বিষয়” এই অধ্যায়ে মিঃ কাজ্জাব
ওলীপুরী অকপটে আল্লাহর হাবীবের
মীলাদুন্নবীর সময়ে সংঘটিত কতগুলো মহান
মু’জেজার কথা স্বীকার
করে নিয়েছে, (আলহামদুলিল্লাহ )
সে যা লিখেছিলো তাঁর সারসংক্ষেপ হলো:
(১) রাসূলেপাক (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
আপন মা আমেনা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা)’র গর্ভ
থেকে খতনাকৃত
অবস্থায় এবং নাড়কাটা অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন।
(২) নবীজী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মায়ের গর্ত থেকে ভূমিষ্ঠ
হওয়ার ব্যাপারে তাঁর
মা আমেনা (রাদ্বিয়াল্লাহু
আনহা) বলেন,”আমি প্রসবকালে কোন রকমের কষ্ট অনুভব
করেননি”।
(৩) নবীজী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ভূমিষ্ট হওয়ার
সাথে সাথে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায়
করে দু’আ পড়েছিলেন।
(৪) নবীজী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
মা আমেনা (রাদ্বিয়াল্লাহু
আনহা) এর গর্ভ থেকে যখন ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন
তখন মক্কার কুরাইশ
বংশের মূর্তি পূজারীরা যে সমস্ত
মূর্তিকে কাবা ঘরের
ভিতরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন এসব মুর্তিও তখন
আল্লাহকে সেজদা করেছিলো।
(৫) নবীজী যে মূহুর্তে মা আমেনা (রাদ্বিয়াল্লাহু
আনহা) এর গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন তখন
পারস্যবাসী অগ্নিপূজারীদের হাজার বছরের
প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকুন্ড,যার পূজা তারা করত,তা সেই
মূহুর্তে নিভে গিয়েছিলো।
প্রিয় পাঠকবৃন্ধ মিঃ ওলীপুরীর
খোঁড়াযুক্তি হলো মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
এর অলৌকিক ঘটনাগুলো অন্য কারো জন্মের বেলায়
ঘটা মোটেও সম্ভব নয়
বলে মীলাদুন্নবী পালনীয়
নয়,আলোচনার বিষয়।
তাঁর এ ধরেনের অজ্ঞতাপূর্ণ বক্তব্য এবং বলদ
মার্কা জ্ঞানের পরিধি দেখে আমি হতবাক!
আসলে পালনীয় ও আলোচনার বিষয়
বলে শ্রোতা এবং পাঠকদেরকে বিভ্রান্ত করা তাঁর
উদ্দেশ্য।এ ছাড়া অন্য কিছুই নয়।তাঁর
মনে যে শয়তানী খোড়াযুক্তি ছিলো তা দিবালোকেই
পরিস্কার।
কারণ নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
আগমন মূহুর্তে যে সব
অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে সেগুলো অন্য কারো বেলায়
সম্ভব নয় বলেই
যদি মীলাদুন্নবী পালন
করা এবং কায়েম করার
বিষয়ে না হয় তাহলে মিঃ ওলীপুরী ও তাঁর
অনুসারীদের কাছে অনুরোধ নবী (আলাইহিমুস সালাম)
এর সীরাত মোবারকে দাঁত
মোবারক ওহুদের যুদ্ধে শহীদ করা হয়েছিল তুমি ও
তোমার অনুসারী কাদিয়ানীসহ এটা পালন বা কায়েম
করো?
*নবী (আলাইহিমুস
সালাম) এগারটি বিয়ে করেছিলেন এটা নবীপাকের
(আলাইহিমুস সালাম)জন্য জায়েজ ছিলো।
তুমি নবীজীর
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এই
সীরাতুন্নবী কায়েম
করে দেখাতে পারবে কী?
*নবী (আলাইহিমুস সালাম) ঘুমালে অজু ভাঙ্গতো না।
তুমি বা তোমার অনুসারীরা ঘুম
থেকে উঠে বিনা অজুতে নামাজ,এবাদত-বন্
দেগী করে এ সীরাতুন্নবী কায়েম
করতে পারবে কী?
*নবী (আলাইহিমুস সালাম) এর ডাকে বৃক্ষ তাঁর স্থান
ছেড়ে চলে আসতো,তুমি বা তোমার
দেওবন্দী অনুসারীরা তাই
করে দেখাতে পারবে কী?
যদি তুমি সীরাতুন্নবী কায়েম করতে চাও।এ রকম
হাজার হাজার
ঘটনা আছে বলা যাবে,
যা সীরাতুন্নবী সংশ্লিষ্ট,
তোমাদের দেওবন্দী ওহাবীদের পক্ষে পালন
কিংবা কায়েম করা সম্ভব নয়।তাই পালন ও আলোচনার
বিষয়টি সম্পূর্ণই তাঁর ধোঁকা ছাড়া আর কিছুই নয়।
তাছাড়া নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
এর মীলাদুন্নবীর সময়ে যে সব অলৌকিক
ঘটনা ঘটেছিলো সেগুলোই
প্রমাণ করে তিনি নবীজী (আলাইহিমুস সালাম) আর-
দশজন মানুষের মত মানুষ নন,তিনি মাটির
তৈরী মানুষও নন,তিনি নূরের তৈরী।আমরা এ
ক্ষেত্রে পালনীয় ও আলোচনার বিষয়ের
সমাধান এভাবে দেই যে নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর
মীলাদুন্নবী কিংবা সীরাতুন্নবী কোনটিই
যথাযথভাবে পালন করা কোন উম্মতের
পক্ষে সম্ভব নয়।
আমরা কেবল চেষ্টা করছি মাত্র।
আমরা নবীজী (আলাইহিমুস সালাম) এর
মীলাদুন্নবী কায়েম করা বলতে মীলাদুন্নবীর
সময়ে অলৌকিক
ঘটনা সম্পাদনকে বুঝিনা বরং মীলাদুন্নবীতে খুশি বা ঈদ
উদযাপন,মীলাদুন্নবীতে জুলুছ,আলোচনা অনুষ্টান
কায়েম করাকে বুঝি।
এই সহজ সত্যটুকু
বুঝেও না বুঝার ভান
করা গোঁড়ামী নয় কী?
দেওবন্দী কাজ্জাব
ওলীপুরী অনুসারীদের
কাছে এর জবাব আছে কী?

ঈদ-এ-মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিয়ে- মিঃ নুরুল ইসলাম
ওলীপুরীর
বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী কিতাব
“সীরাতুন্নবী ও মীলাদুন্নবী’র” দাঁতভাঙ্গা জবাব- ০৬
সীরাতুন্নবী ও মীলাদুন্নবী পার্থক্য
বুঝাতে গিয়ে মিঃ কাজ্জাব ওলীপুরী!
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর
শানে চরম
বেয়াদবীমূলক একটি উদাহরণ এনেছে- সে বলেছে,
পড়নের লুঙ্গি খুলে মাথায় পাগড়ী বাঁধলেন
সুন্নাত পালনের কারণে যেমন ফরজ তরক
হয়ে গেলো,সীরাতুন্নবী
বাদ দিয়ে মীলাদুন্নবী করলে সেই মীলাদুন্নবীর কোন
দাম নেই,ঘোড়ার ডিম ছাড়া”।(নাউজুবিল্লাহ)
এখানে সে নবী (আলাইহিমুস সালাম) এর
পাগড়ী মোবারক কে নিয়ে অবমাননা করেছে তাঁর
পাশাপাশি মীলাদুন্নবীর
প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে।মীলাদুন্ন
বীকে অবজ্ঞা করে সীরাতুন্নবী বলে অবজ্ঞা করার
কারণে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবার
সম্ভাবনা আছে।
অথচ আমরা এই দুটি একটিকেও অবজ্ঞা করিনা এই
আক্বিদা হুসাইনী সুন্নী মুসলিদেরও মধ্যে নেই।
কেননা,নবীপাকের
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জাত
এবং সিফাত যে কোন একটিকে অস্বীকার করা কুফরী।
হানাফী মাযহাবের গ্রহণযোগ্য ফতোয়ার
কিতাব “আল-আশবাহ
ওয়াননায়াইর” নামক
কিতাবে বর্ণিত হয়েছে – যদি কোন
ব্যক্তি রাসূলেপাকের (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
কোন সিফাত বা গুণ
তাঁর মনে সন্দেহ পোষণ
করে অথবা তাঁর সত্যতার উপর সন্দেহ
করে অথবা তাঁকে গালি দেয় অথবা তাঁর সম্মান
কমাতে চায় অথবা তাঁকে খাটো করে দেখে ঐ
ব্যক্তি কাফের হয়ে যাবে।
কারণ রাসুল (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া-সাল্লামের) প্রেমই হলো ঈমানের
পূর্বশর্ত।
আমাদের প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ ফরমান:
ﻻَ ﻳُﻮْﻣِﻦُ ﺍَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﺣَﺘَّﻰ ﺍَﻛُﻮْﻥَ
ﺍَﺣَﺐَّ ﺍِﻟَﻴْﻪِ ﻣِﻦْ ﻭَﺍﻟِﺪِﻩِ ﻭَﻭَﻟَﺪِﻩِ
ﻭَﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺍَﺟْﻤَﻌِﻯْﻦَ
তোমাদের কেউ ততক্ষন পর্যন্ত ইমানদার বলে গন্য
হবে না,যতক্ষন পর্যন্ত না আমি তার কাছে তার পিতা-
মাতা,সন্তান-সন্ততি এবং সমস্ত মানুষ থেকে অধিক
প্রিয় না হই (বুখারী ও মুসলিম)
নবীর সাথে বেয়াদবীর
পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ!! আবু লাহাব ও যখন কোরআন
মজিদের”
ﻭﺍﻧﺬﺭ
ﻋﺸﯿﺮﺗﮏ
ﺍﻻﻗﺮﺑﯿﻦ ”
আয়াত নাজিল হলো তখন একদিন নবী করীম
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোরাইশদের
ঢেকে মূর্তিপূজা ত্যাগ করে এক লা-শরীক আল্লাহর
ইবাদত করার আহ্বান
জানালেন।সকলে চুপ রইলো।কিন্তু চাচা আবু
লাহাব অগ্রসর হয়ে দুই হাত নেড়ে বললো:
ﺗﺒﺎﻟﮏ ﺍﻟﮭﺬﺍ
ﺩﻋﻮﺗﻨﺎ ﯾﺎ ﻣﺤﻤﺪ
অর্থ:- “হে মুহাম্মদ! তোমার সর্বনাশ হোক! এজন্যই
কি তুমি আমাদেরকে ডেকেছো”?
(নাউজুবিল্লাহ)
তার এই বেয়াদবীপূর্ণ
উক্তি আল্লাহর সহ্য হলোনা।তার বিরুদ্ধে সূরা লাহাব
নাযিল হলো।তার
স্ত্রী নবীজীকে গালাগাল
দিতো এবং নবীজীর
যাতায়াত পথে কাঁটা গেড়ে রাখতো।
সূরা লাহাবে আল্লাহ তায়ালা উভয়ের
বিরুদ্ধে নিম্নোক্ত শাস্তি ঘোষনা করলেন, “আবু
লাহাবের উভয় হাত ধ্বংস হোক
এবং সে নিজেও ধ্বংস
হোক।তার মালদৌলত ও
জনবল কোন উপকারে আসবেনা।সে লেলিহান
অগ্নিশিখায় অচিরেই
পৌছে যাবে এবং তার
স্ত্রীও তার সমগামিনী হবে।
লাকড়ী বহনকালে তার
গলায় রশি পড়বে ”(সূরা লাহাব)
মূলত: নবী করীম
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর
সাথে বেয়াদবী করে কেউ
রক্ষা পায়নি।আবু লাহাবের দুই ছেলে ওতবা ও
ওতায়বা এর নিকট নবীজী আলাইহিমুস সালাম এর
দু’কন্যা রোকাইয়া ও
উম্মে কুলসুম (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা)এর বাল্য বিবাহ
হয়েছিল ছোটকালে।
সূরা লাহাব নাযিল
হওয়ার পর তারা পিতার
নির্দেশে দু’বোনকে
বিবাহ বাসরের পূর্বেই
তালাক প্রদান করে।
এক পর্যায়ে ওতায়বা নবী
করীম (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এর জামা মুবারক ছিড়ে ফেলে।
নবী করীম
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এতে মনে বড়
আঘাত পেলেন এবং বদদোয়া করলেন, “হে আল্লাহ!
তুমি ওতায়বার ওপর তোমার পক্ষ থেকে একটি কুকুর
লেলিয়ে দাও”।
নবীজীর বদদোয়া অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেলো।
কোন এক বানিজ্য সফরে(সিরিয়া) একটি বাঘ
এসে বহুলোকের
মধ্যখান থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় ওতায়বার ঘাড়
মটকে রক্ত চুষে চলে গেলো।নবীজীর
সাথে বেয়াদবী করে আপন চাচা-চাচী ও চাচাতো
ভাইয়েরা বাঁচতে পারেনি।
আল্লাহর গজবে পতিত
হতে হয়েছে তাদের
উপর।যারা রাসূলেপাক (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আত্মীয় নয়-
তারা বেয়াদবী করলে আল্লাহ কি তাদের
ছেড়ে দেবেন? কখনই নয়।রশীদ আহমদ গাংগুহী,খলীল
আহমদ আম্বেটবি,আশ্রাফ
আলী থানবী,কাশেম
নানুতভী,ইলিয়াস
মেওয়াতী ও ইসমাঈল
দেহলভী গংরা তাদের
কিতাবে নবীজীর
শানে বেয়াদবীমূলক
যেসব উক্তি করেছে,তার
সাজা তারা দুনিয়াতেই
পেয়েছে এবং পরকালে পাবে।তাদের কেউ অন্ধ
হয়েছে,কেউ ল্যাংরা হয়েছে,বড় নেতা ইসমাঈল
দেহলভী নিকৃষ্টভাবে বালাকোটে সুন্নী মুসলমানদের
হাতে নিহত হয়েছে।
এটাই ছিলো ওদের পাপের সাজা।
সুতরাং পথভ্রষ্ট ওহাবী ঈমান হরণকারী তথাকথিত
নয়া জামানার
নামধারী মৌলভী মিঃ ওলীপুরী অপব্যাখ্যায়
বিভ্রান্ত না হয়ে রাসূল
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মহান
মর্যাদা সম্পর্কে গভীর
গবেষণা করেই উক্তি করা উচিত।

ঈদ-এ-মীলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিয়ে- মিঃ নুরুল ইসলাম
ওলীপুরীর বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী পুস্তক
সীরাতুন্নবী ও মীলাদুন্নবী’র দাঁতভাঙ্গা জবাব- ০৭
বর্তমান দেওবন্দী -ওহাবীদের অন্যতম উলামায়ে ছুঁ
মিঃ ওলীপুরী মীলাদুন্নবী নিয়ে বাড়াবাড়ী অধ্যায়ে মিঃ ওলীপুরী বলেছে:
“যারা মীলাদুন্নবী পালন
করে তারা বলে মীলাদুন্নবী করতে হবে সীরাতুন্নবী ছাড়তে হবে মীলাদুন্নবী কায়েম
করো সীরাতুন্নবী বন্ধ করো।
আরো আগে বাড়ীয়ে বলে থাকে মীলাদুন্নবী কায়েম
করো সীরাতুন্নবীতে লাথি মারো” (নাউজুবিল্লাহ)
প্রানপ্রিয় সুন্নী জনতা কতো বড় মিথ্যাচার
করলো মিঃ ওলীপুরী! অথচ এ রকম
শ্লোগান কেউ কোন দিন দেয়ও নি,দিতে পারেও না।
মীলাদুন্নবী কিংবা সীরাতুন্নবী কোন বিষয়ের
বিপক্ষেই এ জাতীয় শ্লোগান দেওয়া ঈমান
বিধবংসী।
এতোবড় মিথ্যাচার করে বক্তা নিজেই বড়
ধুষ্টতা দেখিয়েছে এবং পাপিষ্টদের দলভুক্ত হয়েছে।
কেননা, মিথ্যা সকল পাপের মূল।একজন
আলেমের পক্ষে এরূপ মিথ্যাচার কিভাবে সম্ভব হলো?
আসলে মিঃ ওলীপুরী আলেম নামে জালেম বৈকি!
ওলীপুরীর উক্ত বইয়ের ১৫পৃষ্টায় একখানা হাদীস নকল
করে উল্লেখ করেছে…
“হযরত আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)
কে সাহাবায়ে কেরামের পক্ষ
থেকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো যে,রাসূলেপাক
(সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর চরিত্র কেমন ছিলো?
সুতরাং আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,ত্রিশ
পারা কুরআন শরীফ আল্লাহপাক যাই নাযিল করেছেন
সবগুলোই রাসূলেপাক (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর চরিত্র
ছিলো”
এখানে আমি মিঃ ওলীপুরী ও তাঁর
দেওবন্দী অনুসারীদের নিকট প্রশ্ন রাখতে চাই যদি এই
হাদীস সত্য বলে ধরে নেন?
তাহলে যা কুরআন তাই রাসূল (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম), আর যা রাসূল তাই কুরআন
মেনে নিতে হবে।
তাহলে তাফসীর মাহফিলে কুরআন
ছাড়া অন্য কিছু মানিনা,মানিনা বলে যে শ্লোগান
দেওয়া হয় তা কী ঠিক?
যেখানে নারায়ে তাকবীর আছে কুরআন ছাড়া অন্য
কিছু মানিনা,মানিনা শ্লোগান
আছে সেখানে কুরআনের বাস্তব
নমুনা রাসূলেপাক (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর শানে রেসালাতের
শ্লোগান নারায়ে রিসালাত
ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
এর শ্লোগান তোমাদের কাছে নেই কেনো?
নাকি এটা বাদ দেওয়া মুনাফিকীর
লক্ষণ? যেমন মহান আল্লাহতা’লা আমাদের
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে রাসূলকুল- শ্রেষ্ঠ
করে বিশ্ব-জগতের জন্যে তাঁরই অনুপম করুণা-স্বরূপ
প্রেরণ করেছেন। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ
প্রতিনিধি হিসেবে তিনি তাঁকে যে সকল
বিশেষ গুণাবলীতে ভূষিত করেছেন, তাই
নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর
রেসালতের শানস্বরূপ বিবেচিত।
কলেমার দাবী মুসলমানদের কলেমা বা ঈমানের
বাক্যটি হলো, “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু
মুহাম্মাদুর-রাসূলুল্লাহ” (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
অর্থাৎ, আল্লাহ্ পাক ছাড়া আর কোনো উপাস্য প্রভু
নেই,মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
তাঁরই প্রেরিত
পয়গম্বর। যখন আমরা কলেমার প্রথম
অংশটি পাঠ করি,তখন বাক্যটি আমাদের
কাছে একটি দাবি পেশ করে থাকে।
আল্লাহপাকের উলুহিয়্যাত তথা প্রভুত্বে বিশ্বাস
করতে হলে তাঁর সিফাত(গুণাবলী)-এ বিশ্বাস স্থাপন
করাটা শর্ত।

অর্থাৎ, তিনি যে খালেক (স্রষ্টা),মালেক,
রিযিকদাতা,চিরঞ্জীবসত্তা,দয়ালু,দাতা,অনন্ত-
অসীম, কাহহার (রুদ্র রূপধারী)
ইত্যাদি গুণাবলী অধিকারী তা কলেমা
পাঠ করার সময় বিশ্বাস করে নেয়াটা কালেমারই
দাবি।
অতঃপর আরবী “ওয়াও” (এবং)
অক্ষরটি ব্যবহার ছাড়াই বাক্যের দ্বিতীয় অংশ
জুড়ে দেয়া হয়েছে। এর দ্বারা ওর
গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে।
দ্বিতীয় অংশটি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রেসালতে বিশ্বাস
সংক্রান্ত।এ ক্ষেত্রেও আমাদেরকে রাসূলে কারীম
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সিফাত
বা গুণাবলীতে বিশ্বাস করতে হবে।
অর্থাৎ,তিনি যে আল্লাহর পক্ষ হতে নূর
(জ্যোতি), শাহেদ (হাযের-নাযের), রউফুর
রহীম, শাফায়াতে কুবরার ও মাকামে মাহমুদের
অধিকারী, আল্লাহপাকের দান-ফযলের বণ্টনকারী,
সকল মানবীয় ত্রুটি-বিচ্যুতির উর্ধ্বে,তাতে বিশ্বাস
স্থাপন
করাটাও কলেমার দাবি।
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ সকল গুণে বিশ্বাস
না করলে কলেমা-বাক্য সার্থক হবে না।
ফলস্বরূপ, ঈমানও পূর্ণ হবে না। আরেক কথায়,কুফর
বা অবিশ্বাস অন্তরে বিরাজ করবে।
রাসূলে আকরাম-এর সুউচ্চ শান-মান মহান আল্লাহ পাক
কুরআন মজিদে এরশাদ ফরমান-
”নিশ্চয় তোমাদের কাছে এসেছে আল্লাহের পক্ষ
হতে একটি নূর (জ্যোতি) এবং স্পষ্ট কিতাব” (আল কুরআন,
৫:১৭)।
উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহপাক কোরআন
মজিদকে “কিতাব”বলেছেন এবং আরেকটি “নূরের”
কথা উল্লেখ করেছেন।
কেননা, আরবী ’ওয়া’ অক্ষরটি অর্থাৎ “এবং” শব্দটি উভয়
শব্দের মাঝখানে ব্যবহৃত হয়েছে। তাই “নূর”
বলতে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামকেই
বোঝানো হয়েছে (খোদার ভাষায় নবীর মর্যাদা ৩৩
পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য: ১৯৮৪ সংস্করণ)।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
স্বয়ং এ ব্যাপারে আরো খোলাসা বয়ান দিয়েছেন-
”আমি নূর আল্লাহর নূর হতে; আর আমার
নূর হতে সকল সৃষ্টির উৎপত্তি”(আল
হাদীস)।
মহান আল্লাহ তা’লা এরশাদ ফরমান-
”হে নবী! নিশ্চয় আমি আপনাকে সাক্ষী
(হাযের-নাযের), সুসংবাদদাতা,
(আখেরাতের) ভীতি প্রদর্শনকারী,আমারই
অনুমতিক্রমে আমার দিকে (মানুষদেরকে)
আহ্বানকারী ও প্রোজ্জ্বল
প্রদীপরূপে প্রেরণ করেছি।”(আল কোরআন, ৩৩:৪৫-৬)
এ আয়াতে সুস্পষ্টভাবে ঘোষিত
হয়েছে যে,রাসূলে করীম (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর
দরবারে সাক্ষ্যদাতা।সাক্ষ্য দেবার যোগ্যতা তাঁরই
আছে,যিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সকল বিষয়
প্রত্যক্ষ করেন এবং অবগত হন। রাসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যে হাজের-
নাযের তা এ
আয়াতে প্রতিভাত হয়।
তাই নারায়ে রিসালাত বাদ দেওয়া মানে ঈমানের এক
অংশকে বাদ দেওয়া, যেহেতু লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু,
মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যে কোন
একটা অংশ বাদ দিলেই ঈমান থাকবে না।
সেহেতু নারায়ে রিসালাতকে বাদ
দিলে মোনাফিক ছাড়া কিছু নয়।
মিঃ ওলীপুরী তাঁর দেওবন্দী ওহাবীদের হাত
থেকে আল্লাহ তায়ালা আমাদের ঈমান ও
আক্বিদা হেফাজত করুন আমীন!
Top