বাতিলেরা নিজেদেরকে সুন্নী দাবি করে না। কিন্তু
বালাকোটিরা নিজেদেরকে সুন্নী দাবি করে মুনাফিক
হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যে সৈয়দ আহমাদ
বেরেলভি (১৭৮৬-১৮৩১) ভারতবর্ষে ওহাবী মতবাদ
আমদানি করেছিলেন, সেই বেরেলভি হল এদের ইমাম ও
মুজাদ্দিদ। অথচ তার মালফুজাত বা বাণী কুফরি আক্বীদায়
ভরপুর। যা আরেক বাতিল ইসমাইল দেহলভির
কলমে “সিরাতে মুস্তাকীম” নামে কুফরি পুস্তকে লিপিবদ্ধ
রয়েছে। তাদের ৭০টি বাতিল আক্বীদার একটি হলো,
“নামাজে নবী (দঃ) এর স্মরণ হলে তা গরু গাধার স্মরণের
চেয়েও খারাপ”। নাউজুবিল্লাহ! এ কথা কোন মুমিন
বলতে বা লিখতে পারে না। নামাজে “সূরা লাহাব”
পড়লে আবু লাহাবের কথা মনে আসবে। আর কেন আল্লাহ পাক
আবু লাহাবকে অভিশাপ দিলেন তা ভাবলেই নবী (দঃ) এর
কথা স্মরণে আসবে। এরকম অসংখ্য আয়াত রয়েছে, যার
মাধ্যমে নবীপাক (দঃ) এর স্মরণ আসা আবশ্যক।
বরং নামাজে নবী (দঃ) এর কথা স্মরণ না এলে নামাজই
হবে না। তাদের ফতুয়া অনুযায়ী এরূপ করা শিরক।
নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক।
বালাকোটিদের মিথ্যাচারের
জবাবে “আমি হুসাইনী সৈনিক” এর
পোস্টটি এখানে দেয়া হল।
ইমামে আহলে সুন্নত আলা হযরত শাহ আহমাদ রেজা খান
ফাযেলে বেরলভী (রাহমাতুল্লাহি ‘আনহু – ১৮৫৬-১৯২১) তাদের
কুফরিগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে প্রমাণ
করে দেন যে, ওরা শুধু যমের ঘরেই যায় নি, বরং জাহান্নামের
চৌরাস্তায় (কাফেরদের শেষ ঠিকানা) পৌঁছে গেছে। ওদেরই
উত্তরসূরিরা ঐ অপমান ও পরাজয়ের গ্লানি যুগ যুগ
ধরে বয়ে বেড়াচ্ছে! সে জ্বালা মিটাতে এখন
তারা আলা হযরত (রহঃ) কে বৃটিশের দালাল
বলে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আমরা ওদের পোস্টে যথাযথভাবে প্রশ্ন করলে-ওরা উত্তর
দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়ে নতুন ও বানোয়াট প্রশ্ন
ফেঁদে প্রতিপক্ষকে বিব্রত করার অপচেষ্টা করছে। আমাদের
দেওয়া ১৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়ে-
ওরা অবশেষে প্রমাণ করলো যে, আমাদের (সুন্নীদের)
কাছে ওদের (জনৈক জামান কাদিয়ানী ও তার
উকিলকে সাথে নিয়েও) পরাজয়ের
(ময়দানে তথা বালাকোটে ও টেবিলে তথা ফেসবুকে) ১৬
কলা পূর্ণ হয়েছে। এদের এসব তথাকথিত মিথ্যা আপত্তির
বিরুদ্ধে আমার ১নং প্রশ্নই যথেষ্ট ছিল; বাকী প্রশ্নগুলোও
এখানে আবার দেয়া হলোঃ
(১) কথিত “তালখীসু রিসালাতুল আমারাতুল জিহাদ”-
যে আলা হযরতের (রহঃ) রচিত কিতাব – এর প্রমাণ কী? অথচ এই
কিতাব আলা হযরত (রহঃ) ‘র নয়।
(২) আজাদী আখবার ১৯৩৬
খৃষ্টাব্দে দিল্লী থেকে ছাপা পত্রিকার প্রমাণ্য
পরিচিতি কোথায়?
(৩) আমরা যদি পর্যাপ্ত রেফারেন্সসহ প্রমাণ
করতে পারি যে, মিঃ জৌনপুরী বৃটিশ শাসিত (এমনকি ইস্ট
ইন্ডিয়া কোম্পানি শাসিত) ভারতবর্ষকে সত্যিই “দারুল
ইসলাম” বলেছেন এবং আপনারা যদি প্রমাণ করতে না পারেন
যে, তিনি সেটাকে “দারুল হরব” বলেছেন-তাহলে,
তিনি আপনাদের মতে, বৃটিশের দালাল হবেন কিনা?
অথবা বলুন: “মিঃ জৌনপুরী “দারুল ইসলাম”বললে বৃটিশের
দালাল হবেন না; কিন্তু আলা হযরত (রহঃ) “দারুল ইসলাম”
বললে বৃটিশের দালাল হবেন!”
(৪) মিঃ আশরাফ আলী থানবীর ব্যাপারেও একই প্রশ্ন করছি?
(৫) আমরা ও আপনারা কি “বহু মুজাহিদ আলিম বা বৃটিশ
বিরোধী আন্দোলনের
হাক্কানী উলামায়ে কেরামগণকে তিনি কাফের বলেছেন”
না বলে – “তিনি (আলা হযরত) সৈয়দ আহমদ বেরলভী, গোলাম
আহমদ কাদিয়ানী, রশীদ আহমদ গাংগুহী, খলীল আহমদ
আম্বুটি ও আশরাফ আলী থানবীকে কাফির বলেছেন” – এ
ব্যাপারে একমত হতে পারি না?
(৬)বৃটিশ শাসিত ভারতবর্ষ দারুল হরব হলে এবং ইংরেজদের
বিরুদ্ধে জিহাদ করার ফরজ বা ওয়াজিব হলে-১৮৫৭ সালের
প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বা সিপাহী যুদ্ধের পরে,
আপনারা (আপনাদের পূর্বসূরি মিঃ সৈয়দ আহমদ বেরলভীর
ভক্তরা) আর ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন নি কেনো?
কিংবা
(৭) যুদ্ধ করার সামর্থ্য না থাকলে-আরব দেশ বা তুরস্ক
কিংবা কোনো দারুল ইসলামে হিজরত করেন নি কেন? সঠিক
ইতিহাস বলছে, ইংরেজরা কখনো কোনো নির্দোষ
ব্যক্তিকে হিজরত করতে বাধা দেয় নি।
(৮) আপনারা কি বৃটিশ শাসিত ভারতবর্ষে বালোকোট যুদ্ধের
আগে ও পরে ঈদ ও জুমা আদায় করেছেন? আদায় করে থাকলে-
তা দারুল হরব হয় কী করে? কেননা, দারুল হরবে কাফেররা ঈদ ও
জুমা আদায় করতে দেবে না।
(৯) ১৪ই আগস্ট ১৯৪৭ সালে যে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়-
তা, কী দারুল হরব, নাকি দারুল ইসলাম?
(১০) যদি ঐ পাকিস্তান দারুল হরব হয়-তাহলে, বর্তমান
বাংলাদেশ দারুল ইসলাম কিনা?
(১১) আর যদি ঐ পাকিস্তান দারুল ইসলাম হয়-তাহলে, ১৯৭১
সালের স্বাধীনতার যুদ্ধ আমাদের জন্যে অন্যায় যুদ্ধ
ছিলো কিনা?
(১২) বৃটিশ শাসিত ভারতবর্ষে যেসব আইন-কানুন চালু ছিলো-
স্বাধীন পাকিস্তান ও বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থায়
সেগুলোর সিংহভাগ এখনো চালু রয়েছে। সুতরাং বৃটিশ ভারত
দারুল হরব হলে, বর্তমান পাকিস্তান ও বাংলাদেশ
নিঃসন্দেহে দারুল হরব অথবা বর্তমান পাকিস্তান ও
বাংলাদেশ দারুল ইসলাম হলে, বৃটিশ ভারত
নিঃসন্দেহে দারুল ইসলাম, তাই না?
(১৩) আলা হযরত (রহঃ) কি শুধু বালাকোটের যুদ্ধে অংশ
নেওয়ার কারণে কাউকে কাফের বলেছেন?
বলে থাকলে প্রমাণ দিন?
(১৪) শাহ আব্দুল আজীজ সাহেব (’আলাইহির রাহমাহ)
মিঃ সৈয়দ আহমদ বেরলভীকে খেলাফত দিয়েছেন
মর্মে ইতিহাসে কোনো প্রত্যক্ষদর্শী সুন্নী আলেমের সাক্ষ্য
আপনাদের কাছে রয়েছে কি?
(১৫) মিঃ সৈয়দ আহমদ বেরলভী সূফী নূর মুহম্মদ
নিজামপুরীকে খেলাফত দিয়েছেন
মর্মে ইতিহাসে কোনো প্রত্যক্ষদর্শী সুন্নী আলেমের সাক্ষ্য
আপনাদের কাছে রয়েছে কি?
(১৬) সূফী নূর মুহম্মদ নিজামপুরী সাহেব আজিমপুর
দায়রা শরীফের শাহ সূফী সায়্যিদ দায়েম সাহেবের
(’আলাইহির রাহমাহ) ছোট ছেলে শাহ সূফী সায়্যিদ
লাক্বীতুল্লাহর (’আলাইহির রাহমাহ) কাছে বায়াত ও মুরীদ
হন-এ ব্যাপারটি কি আপনারা অস্বীকার করেন?
প্রান প্রিয় সুন্নী জনতা এই ১৬টি প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য
তাদেরকে আমরা সময় দিয়েছি, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো,
ওরা (বালাকোটিরা) ১৬টি প্রশ্ন উত্তর দিতে চরমভাবে ব্যর্থ
হয়ে, ১৬টি প্রশ্নের প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে অন্য প্রসঙ্গ
নিয়ে গালাগালি করে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের মূল্যবান
কমেন্ট ডিলিট করছে। এই হলো বালাকোটিদের দৌরাত্ম্য।
আল্লাহপাক তাদের হেদায়াত দান করুক।
বালাকোটিরা নিজেদেরকে সুন্নী দাবি করে মুনাফিক
হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যে সৈয়দ আহমাদ
বেরেলভি (১৭৮৬-১৮৩১) ভারতবর্ষে ওহাবী মতবাদ
আমদানি করেছিলেন, সেই বেরেলভি হল এদের ইমাম ও
মুজাদ্দিদ। অথচ তার মালফুজাত বা বাণী কুফরি আক্বীদায়
ভরপুর। যা আরেক বাতিল ইসমাইল দেহলভির
কলমে “সিরাতে মুস্তাকীম” নামে কুফরি পুস্তকে লিপিবদ্ধ
রয়েছে। তাদের ৭০টি বাতিল আক্বীদার একটি হলো,
“নামাজে নবী (দঃ) এর স্মরণ হলে তা গরু গাধার স্মরণের
চেয়েও খারাপ”। নাউজুবিল্লাহ! এ কথা কোন মুমিন
বলতে বা লিখতে পারে না। নামাজে “সূরা লাহাব”
পড়লে আবু লাহাবের কথা মনে আসবে। আর কেন আল্লাহ পাক
আবু লাহাবকে অভিশাপ দিলেন তা ভাবলেই নবী (দঃ) এর
কথা স্মরণে আসবে। এরকম অসংখ্য আয়াত রয়েছে, যার
মাধ্যমে নবীপাক (দঃ) এর স্মরণ আসা আবশ্যক।
বরং নামাজে নবী (দঃ) এর কথা স্মরণ না এলে নামাজই
হবে না। তাদের ফতুয়া অনুযায়ী এরূপ করা শিরক।
নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক।
বালাকোটিদের মিথ্যাচারের
জবাবে “আমি হুসাইনী সৈনিক” এর
পোস্টটি এখানে দেয়া হল।
ইমামে আহলে সুন্নত আলা হযরত শাহ আহমাদ রেজা খান
ফাযেলে বেরলভী (রাহমাতুল্লাহি ‘আনহু – ১৮৫৬-১৯২১) তাদের
কুফরিগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে প্রমাণ
করে দেন যে, ওরা শুধু যমের ঘরেই যায় নি, বরং জাহান্নামের
চৌরাস্তায় (কাফেরদের শেষ ঠিকানা) পৌঁছে গেছে। ওদেরই
উত্তরসূরিরা ঐ অপমান ও পরাজয়ের গ্লানি যুগ যুগ
ধরে বয়ে বেড়াচ্ছে! সে জ্বালা মিটাতে এখন
তারা আলা হযরত (রহঃ) কে বৃটিশের দালাল
বলে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আমরা ওদের পোস্টে যথাযথভাবে প্রশ্ন করলে-ওরা উত্তর
দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়ে নতুন ও বানোয়াট প্রশ্ন
ফেঁদে প্রতিপক্ষকে বিব্রত করার অপচেষ্টা করছে। আমাদের
দেওয়া ১৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়ে-
ওরা অবশেষে প্রমাণ করলো যে, আমাদের (সুন্নীদের)
কাছে ওদের (জনৈক জামান কাদিয়ানী ও তার
উকিলকে সাথে নিয়েও) পরাজয়ের
(ময়দানে তথা বালাকোটে ও টেবিলে তথা ফেসবুকে) ১৬
কলা পূর্ণ হয়েছে। এদের এসব তথাকথিত মিথ্যা আপত্তির
বিরুদ্ধে আমার ১নং প্রশ্নই যথেষ্ট ছিল; বাকী প্রশ্নগুলোও
এখানে আবার দেয়া হলোঃ
(১) কথিত “তালখীসু রিসালাতুল আমারাতুল জিহাদ”-
যে আলা হযরতের (রহঃ) রচিত কিতাব – এর প্রমাণ কী? অথচ এই
কিতাব আলা হযরত (রহঃ) ‘র নয়।
(২) আজাদী আখবার ১৯৩৬
খৃষ্টাব্দে দিল্লী থেকে ছাপা পত্রিকার প্রমাণ্য
পরিচিতি কোথায়?
(৩) আমরা যদি পর্যাপ্ত রেফারেন্সসহ প্রমাণ
করতে পারি যে, মিঃ জৌনপুরী বৃটিশ শাসিত (এমনকি ইস্ট
ইন্ডিয়া কোম্পানি শাসিত) ভারতবর্ষকে সত্যিই “দারুল
ইসলাম” বলেছেন এবং আপনারা যদি প্রমাণ করতে না পারেন
যে, তিনি সেটাকে “দারুল হরব” বলেছেন-তাহলে,
তিনি আপনাদের মতে, বৃটিশের দালাল হবেন কিনা?
অথবা বলুন: “মিঃ জৌনপুরী “দারুল ইসলাম”বললে বৃটিশের
দালাল হবেন না; কিন্তু আলা হযরত (রহঃ) “দারুল ইসলাম”
বললে বৃটিশের দালাল হবেন!”
(৪) মিঃ আশরাফ আলী থানবীর ব্যাপারেও একই প্রশ্ন করছি?
(৫) আমরা ও আপনারা কি “বহু মুজাহিদ আলিম বা বৃটিশ
বিরোধী আন্দোলনের
হাক্কানী উলামায়ে কেরামগণকে তিনি কাফের বলেছেন”
না বলে – “তিনি (আলা হযরত) সৈয়দ আহমদ বেরলভী, গোলাম
আহমদ কাদিয়ানী, রশীদ আহমদ গাংগুহী, খলীল আহমদ
আম্বুটি ও আশরাফ আলী থানবীকে কাফির বলেছেন” – এ
ব্যাপারে একমত হতে পারি না?
(৬)বৃটিশ শাসিত ভারতবর্ষ দারুল হরব হলে এবং ইংরেজদের
বিরুদ্ধে জিহাদ করার ফরজ বা ওয়াজিব হলে-১৮৫৭ সালের
প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বা সিপাহী যুদ্ধের পরে,
আপনারা (আপনাদের পূর্বসূরি মিঃ সৈয়দ আহমদ বেরলভীর
ভক্তরা) আর ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন নি কেনো?
কিংবা
(৭) যুদ্ধ করার সামর্থ্য না থাকলে-আরব দেশ বা তুরস্ক
কিংবা কোনো দারুল ইসলামে হিজরত করেন নি কেন? সঠিক
ইতিহাস বলছে, ইংরেজরা কখনো কোনো নির্দোষ
ব্যক্তিকে হিজরত করতে বাধা দেয় নি।
(৮) আপনারা কি বৃটিশ শাসিত ভারতবর্ষে বালোকোট যুদ্ধের
আগে ও পরে ঈদ ও জুমা আদায় করেছেন? আদায় করে থাকলে-
তা দারুল হরব হয় কী করে? কেননা, দারুল হরবে কাফেররা ঈদ ও
জুমা আদায় করতে দেবে না।
(৯) ১৪ই আগস্ট ১৯৪৭ সালে যে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়-
তা, কী দারুল হরব, নাকি দারুল ইসলাম?
(১০) যদি ঐ পাকিস্তান দারুল হরব হয়-তাহলে, বর্তমান
বাংলাদেশ দারুল ইসলাম কিনা?
(১১) আর যদি ঐ পাকিস্তান দারুল ইসলাম হয়-তাহলে, ১৯৭১
সালের স্বাধীনতার যুদ্ধ আমাদের জন্যে অন্যায় যুদ্ধ
ছিলো কিনা?
(১২) বৃটিশ শাসিত ভারতবর্ষে যেসব আইন-কানুন চালু ছিলো-
স্বাধীন পাকিস্তান ও বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থায়
সেগুলোর সিংহভাগ এখনো চালু রয়েছে। সুতরাং বৃটিশ ভারত
দারুল হরব হলে, বর্তমান পাকিস্তান ও বাংলাদেশ
নিঃসন্দেহে দারুল হরব অথবা বর্তমান পাকিস্তান ও
বাংলাদেশ দারুল ইসলাম হলে, বৃটিশ ভারত
নিঃসন্দেহে দারুল ইসলাম, তাই না?
(১৩) আলা হযরত (রহঃ) কি শুধু বালাকোটের যুদ্ধে অংশ
নেওয়ার কারণে কাউকে কাফের বলেছেন?
বলে থাকলে প্রমাণ দিন?
(১৪) শাহ আব্দুল আজীজ সাহেব (’আলাইহির রাহমাহ)
মিঃ সৈয়দ আহমদ বেরলভীকে খেলাফত দিয়েছেন
মর্মে ইতিহাসে কোনো প্রত্যক্ষদর্শী সুন্নী আলেমের সাক্ষ্য
আপনাদের কাছে রয়েছে কি?
(১৫) মিঃ সৈয়দ আহমদ বেরলভী সূফী নূর মুহম্মদ
নিজামপুরীকে খেলাফত দিয়েছেন
মর্মে ইতিহাসে কোনো প্রত্যক্ষদর্শী সুন্নী আলেমের সাক্ষ্য
আপনাদের কাছে রয়েছে কি?
(১৬) সূফী নূর মুহম্মদ নিজামপুরী সাহেব আজিমপুর
দায়রা শরীফের শাহ সূফী সায়্যিদ দায়েম সাহেবের
(’আলাইহির রাহমাহ) ছোট ছেলে শাহ সূফী সায়্যিদ
লাক্বীতুল্লাহর (’আলাইহির রাহমাহ) কাছে বায়াত ও মুরীদ
হন-এ ব্যাপারটি কি আপনারা অস্বীকার করেন?
প্রান প্রিয় সুন্নী জনতা এই ১৬টি প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য
তাদেরকে আমরা সময় দিয়েছি, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো,
ওরা (বালাকোটিরা) ১৬টি প্রশ্ন উত্তর দিতে চরমভাবে ব্যর্থ
হয়ে, ১৬টি প্রশ্নের প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে অন্য প্রসঙ্গ
নিয়ে গালাগালি করে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের মূল্যবান
কমেন্ট ডিলিট করছে। এই হলো বালাকোটিদের দৌরাত্ম্য।
আল্লাহপাক তাদের হেদায়াত দান করুক।