ইমাম হুসাইন (র) এর মুখে গোলাম ডাক শুনে খুশি হলেন,হযরত
ওমর ফারুক (র) হযরত ইমাম হুছাইন (রাঃ) ও হযরত ওমর (র:) এর ছেলে,
আবদুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) দ্বয়ের মধ্যে শৈশবকালে শৈশব সুলভ ঝগড়া বেঁধে যায়।
এক পর্যায়ে হযরত ইমাম হুছাইন (রাঃ) হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) কে বলে ফেললেন
“গোলামের বাচ্ছা গোলাম। একথাটি ইবনে ওমর (রাঃ) এর মনে খুব বাঁধলো, তাই
তিনি পিতা আমীরুল মো’মিনীন হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) কে জানালেন।
এতে আমীরুল মো’মিনীন রাষ্ট্রীয় বিচারের আয়োজন করলেন। সমস্ত সাহাবায়ে
কেরাম সবাই উপস্থিত। রাষ্ট্রী প্রধানের ছেলেকে এত বড় কথা বলে ফেলনে হযরত
ইমাম হুছাইন (রাঃ)! এটা বিনা বিচারে ছাড়া যায়না। তাই
তাঁর বিচার হতে হবে, কিন্তু এতে সবাই হতভস্ব। ইমাম হুসাইন
(র) বিচারের সম্মুখীন! এই বিচারে সবাই অবাক
নয়নে থঅকিয়ে রইলেন,কিজে হয় সেই অপেক্ষায়।
হযরত ইমাম হুছাইন (রাঃ) বিচার- আদালতে হাজির।
বিচারপতি স্বয়ং ওমর ফারুক (রাঃ)। হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) ;
হয়রত ইমাম হুসাইন (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন,
আপনি কি আমার ছেলে কে গোলামের বাচ্ছা গোলাম
বলেছেন। দৃঢ় কন্ঠে বললেন ইমাম, হাঁ আমি বলেছি, “।
হযরত ওমর ফারুক (র) জিজ্ঞেস করলেন,আপনি এই কথা কেন
বলেছেন, তখন হযরত ইমাম হুসাইন (র) বল্লেন,আমি ভূল কি বল্লাম,
আপনিতো,আমার নানাজানের গোলাম, তাই আপনার
ছেলে,গোলামের বাচ্ছা গোলাম। এই উত্তর শুনে হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) বল্লেন,
“আপনি কি এইটা লিখে দিতে পারবেন। হয়রত ইমাম হুসাইন
(রাঃ) বল্লেন হাঁ পারবো। হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) এ
লিখা নিয়ে উপস্থিত সকলকে স্বাক্ষি রেখে বললেন,
আপনারা সবাই স্বাক্ষি থাকুন রাসূলের নাতী, জান্নাতের
যুবকগনের সর্দার আমাকে “রাসূলের গোলাম” বলেছেন।
সুতরাং এটাই আমার নাজাতের উছিলা। অতএব
আপনারা আমার ইন্তিকালের পর কাফনের ভেতর এ
লেখাটি দিয়ে দেবেন। এটাই আমার আরজী।
( আল কউলুল বদী -৮৬৫ ) — সুবহানাল্লাহ