রসুলে পাক সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,” যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ শরীফ পড়বে,আল্লাহ তা’আলা তার উপর দশটি রহমত বর্ষণ করবেন এবং তাকে দশটি সওয়াব দেওয়া হবে।অর্থাৎ- দশটি দরজা বুলন্দ করা হবে।( নাসাঈ শরীফ, মিশকাত শরীফ-৮৬পৃঃ)
আবু হুরায়রা(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণনা করেন। তিনি করীম সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন-
“আমার উপর দরুদ শরীফ পাঠের কারণে পুলছিরাত আলোকিত হবে।যে ব্যক্তি শুক্রবারে আমার উপর ৮০ বার দরুদ পাঠ করবে তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।(দারে কুতনী, জাওয়াহেরুল বিহার,৪র্থ খন্ড, পৃঃ ১৬৩)
কাহিনীঃ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত,হাশরের দিনে খুবই গরম হবে,মিযান আদল কায়েম হবে।মানুষের জীবনের আমল সমূহের হিসাব নিকাশের ব্যবস্থা করা হবে।প্রত্যেক ব্যক্তি প্রকম্পিত থাকবে।চক্ষু থেকে পানি বের হবে।রোযে আযল থেকে আরম্ভ করে কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষকে ভিড়ের মধ্যে একটি ময়দানে একত্রিত করা হবে।মানুষেরা এই ভিড়ে হযরত আদম আলাইহিস সালামকে খোজাখুজি করবে।তিনি সবুজ রঙ্গের পোশাক পড়ে আরশের নীচে তাশরীফ রাখবেন।তিনি দেখবেন যে তার সন্তানের মধ্যে কে কে জান্নাতে প্রবেশ করছে।কোন কোন লোক জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হচ্ছে। এমতাবস্থায় হযরত আদম আলাইহিস সালাম স্বচক্ষে দেখবেন যে,নবী করীম সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এক উম্মতকে ফেরেশতাগণ টেনে টেনে জাহান্নামেরর দিকে নিয়ে যাচ্ছে।এটা দেখে হযরত আদম আলাইহিস সালাম আহবান করবেন,হে আহমদ,হে আহমদ,তিনি জবাব দেবেন লব্বাইক ইয়া আবাল বশর,সৈয়ুদুনা আদম আলাইহিস সালাম বলবেন- দেখ দেখ আপনার এক উম্মতকে ফেরেশতাগণ জাহান্নামের দিকে নিয় যাচ্ছে। হযরত আদম আলাইহিস সালামের এই কথা শুনে হযরত মুহাম্মদ সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের উম্মতের দিতে দৌড়ে গিয়ে ফেরেশতাদেরকে বলবেন- হে আল্লাহ তা’আলার দূত! একটু দাঁড়ান।এ ব্যক্তিকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন। ফেরেশতাগণ আরজ করবেন- আমরা কঠরোতা অবলম্বনকারী ফেরেশতা।আমরা আল্লাহ তা’আলার হুকুম থেকে বিন্দুমাত্র নড়ি না।আমরা তার হুকুম থেকে মুখ ফিরায় না।সেই সময় সৈয়দে দো’আলম সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের দু’হাত মোবারক তুলে আল্লাহ তা’আলার নিকট আরজ করবেন- হে আল্লাহ! আপনি আমার সাথে ওয়াদা করেছিলেন যে,আমাকে আমার উম্মতের ব্যাপারে মাথা ঘামাতে হবে না।
এখন ওয়াদা পূরণ করার সময় এসেছে।খুব তড়িৎ আরশে ইলাহী থেকে আহবান করা আসল- আমার হাবিবের আনূগত্য কর।ফেরেশতারা পুনরায় তাকে মিযান আদলের নিকটে নিয়ে আসবেন।সেখানে তার আমলসমূহ দ্বিতীয় বার মেফে দেখানো হল।হযরত সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি সাদা কাগজ তার নেকীর পাল্লায় দিয়ে দিলেন।মিযান মুহুর্তের মধ্যে ভারী হয়ে গেল।পাপের পাল্লা হালকা হয়ে গেল এবং নেকীর পাল্লা ভারী হয়ে গেল।বদী নেকীর মোকাবেলায় অনেক কমে গেল।সাথে সাথে সেই ব্যক্তির ভাগ্য বদলে গেল।তারপর একটি আহবান এলো। এখন এ বান্দার গণনা নেকী লোকদের মধ্যে হয়ে গেল।এখন তাকে জান্নাতে নিয়ে যাও।যখন ফেরেশতারা সেই ব্যক্তিকে জান্নাতে যাওয়ার জন্য বলবে, তখন সে তাদেরকে বলবে-কিছুক্ষণ থাম।আমি ওই সম্মানিত ব্যক্তির কাছে আরজ করি।সে ব্যক্তি তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে আরজ করবে- আমার পিতা -মাতা আপনার কদমে উৎসর্গ হোক;আপনি কতই সুন্দর এবং দয়ালু।বলবেন- জনাব! আপনি কোন সম্মানিত জাত? আপনি আমাকে জাহান্নামের সেই মহাবিপদ থেকে রক্ষা করছেন।উত্তরে তিনি এরশাদ করবেন- আমি তোমার নবী হযরত মুহাম্মদ(দঃ)।আর সাদা কাগজটি হল সেই দরুদ শরীফ যেটা তুমি আমার উপর একবার পড়েছিলে।আমি তা সংরক্ষণ করেছিলাম।যেন প্রয়োজনের সময় তোমার কাজে আসে।আজ প্রয়োজন মিটাতে ব্যবহৃত হয়েছে।
★★★জাওয়াহিরুল বিহার, ৪র্থ খন্ড, ১৬৭পৃঃ।
আল্লাহুম্মা সাল্লেআলা সায়িদিনা মুহাম্মাদিন ওয়াআলা আলী সাইয়িদিনা মুহাম্মাদিন ওয়াবারিক ওয়া সাল্লিম।
আবু হুরায়রা(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণনা করেন। তিনি করীম সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন-
“আমার উপর দরুদ শরীফ পাঠের কারণে পুলছিরাত আলোকিত হবে।যে ব্যক্তি শুক্রবারে আমার উপর ৮০ বার দরুদ পাঠ করবে তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।(দারে কুতনী, জাওয়াহেরুল বিহার,৪র্থ খন্ড, পৃঃ ১৬৩)
কাহিনীঃ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত,হাশরের দিনে খুবই গরম হবে,মিযান আদল কায়েম হবে।মানুষের জীবনের আমল সমূহের হিসাব নিকাশের ব্যবস্থা করা হবে।প্রত্যেক ব্যক্তি প্রকম্পিত থাকবে।চক্ষু থেকে পানি বের হবে।রোযে আযল থেকে আরম্ভ করে কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষকে ভিড়ের মধ্যে একটি ময়দানে একত্রিত করা হবে।মানুষেরা এই ভিড়ে হযরত আদম আলাইহিস সালামকে খোজাখুজি করবে।তিনি সবুজ রঙ্গের পোশাক পড়ে আরশের নীচে তাশরীফ রাখবেন।তিনি দেখবেন যে তার সন্তানের মধ্যে কে কে জান্নাতে প্রবেশ করছে।কোন কোন লোক জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হচ্ছে। এমতাবস্থায় হযরত আদম আলাইহিস সালাম স্বচক্ষে দেখবেন যে,নবী করীম সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এক উম্মতকে ফেরেশতাগণ টেনে টেনে জাহান্নামেরর দিকে নিয়ে যাচ্ছে।এটা দেখে হযরত আদম আলাইহিস সালাম আহবান করবেন,হে আহমদ,হে আহমদ,তিনি জবাব দেবেন লব্বাইক ইয়া আবাল বশর,সৈয়ুদুনা আদম আলাইহিস সালাম বলবেন- দেখ দেখ আপনার এক উম্মতকে ফেরেশতাগণ জাহান্নামের দিকে নিয় যাচ্ছে। হযরত আদম আলাইহিস সালামের এই কথা শুনে হযরত মুহাম্মদ সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের উম্মতের দিতে দৌড়ে গিয়ে ফেরেশতাদেরকে বলবেন- হে আল্লাহ তা’আলার দূত! একটু দাঁড়ান।এ ব্যক্তিকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন। ফেরেশতাগণ আরজ করবেন- আমরা কঠরোতা অবলম্বনকারী ফেরেশতা।আমরা আল্লাহ তা’আলার হুকুম থেকে বিন্দুমাত্র নড়ি না।আমরা তার হুকুম থেকে মুখ ফিরায় না।সেই সময় সৈয়দে দো’আলম সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের দু’হাত মোবারক তুলে আল্লাহ তা’আলার নিকট আরজ করবেন- হে আল্লাহ! আপনি আমার সাথে ওয়াদা করেছিলেন যে,আমাকে আমার উম্মতের ব্যাপারে মাথা ঘামাতে হবে না।
এখন ওয়াদা পূরণ করার সময় এসেছে।খুব তড়িৎ আরশে ইলাহী থেকে আহবান করা আসল- আমার হাবিবের আনূগত্য কর।ফেরেশতারা পুনরায় তাকে মিযান আদলের নিকটে নিয়ে আসবেন।সেখানে তার আমলসমূহ দ্বিতীয় বার মেফে দেখানো হল।হযরত সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি সাদা কাগজ তার নেকীর পাল্লায় দিয়ে দিলেন।মিযান মুহুর্তের মধ্যে ভারী হয়ে গেল।পাপের পাল্লা হালকা হয়ে গেল এবং নেকীর পাল্লা ভারী হয়ে গেল।বদী নেকীর মোকাবেলায় অনেক কমে গেল।সাথে সাথে সেই ব্যক্তির ভাগ্য বদলে গেল।তারপর একটি আহবান এলো। এখন এ বান্দার গণনা নেকী লোকদের মধ্যে হয়ে গেল।এখন তাকে জান্নাতে নিয়ে যাও।যখন ফেরেশতারা সেই ব্যক্তিকে জান্নাতে যাওয়ার জন্য বলবে, তখন সে তাদেরকে বলবে-কিছুক্ষণ থাম।আমি ওই সম্মানিত ব্যক্তির কাছে আরজ করি।সে ব্যক্তি তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে আরজ করবে- আমার পিতা -মাতা আপনার কদমে উৎসর্গ হোক;আপনি কতই সুন্দর এবং দয়ালু।বলবেন- জনাব! আপনি কোন সম্মানিত জাত? আপনি আমাকে জাহান্নামের সেই মহাবিপদ থেকে রক্ষা করছেন।উত্তরে তিনি এরশাদ করবেন- আমি তোমার নবী হযরত মুহাম্মদ(দঃ)।আর সাদা কাগজটি হল সেই দরুদ শরীফ যেটা তুমি আমার উপর একবার পড়েছিলে।আমি তা সংরক্ষণ করেছিলাম।যেন প্রয়োজনের সময় তোমার কাজে আসে।আজ প্রয়োজন মিটাতে ব্যবহৃত হয়েছে।
★★★জাওয়াহিরুল বিহার, ৪র্থ খন্ড, ১৬৭পৃঃ।
আল্লাহুম্মা সাল্লেআলা সায়িদিনা মুহাম্মাদিন ওয়াআলা আলী সাইয়িদিনা মুহাম্মাদিন ওয়াবারিক ওয়া সাল্লিম।