*বর্তমানে এই “এস এম এস” টি অনেক ঘুরপাক খায়,যাতে একটি বাণী প্রিয় নবী صلي الله تعالي عليه وآله وسلم এর দিকে নিসবত করে বলা হয় যে,হুযুর صلي الله تعالي عليه وآله وسلم ইরশাদ করেছেন যে,*



*”রমযান শরীফ / ঈদে মিলাদ উন নবী صلي الله تعالي عليه وآله وسلم / অন্য কোনো ইসলামী মাস অথবা ইসলামী উৎসব এর আগমন এর শুভেচ্ছা/সংবাদ যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম দিবে তার উপর জান্নাত ওয়াজিব /জাহান্নাম হারাম হয়ে যাবে”*







*এটি কি হাদীস শরীফ? এবং এ ধরণের এস এম এস অন্যকে পাঠানো/ফরওয়ার্ড করা কেমন?*



*উত্তর*



*এমন কোনো রেওয়ায়ত পাওয়া যায়নি যাতে কোনো ইসলামী মাস বা উৎসব এর আগমনের শুভেচ্ছা/সংবাদ দেওয়ার ফলে জান্নাত ওয়াজিব বা জাহান্নাম হারাম হওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।বরং সাধারণত এ ধরণের কথা সম্পূর্ণভাবে বানোয়াটি ও মনগড়া হয়ে থাকে।আর স্মরণ থাকুক যে,জেনে বুঝে মিথ্যা কথা প্রিয় নবী صلي الله تعالي عليه وآله وسلم এর দিকে নিসবত করা না জায়েজ ও গুনাহ্।হাদীস শরীফ এ এই ব্যাপারে কঠোর শাস্তির বর্ণনা রয়েছে।*



*বুখারী ও মুসলিম শরীফ এর একই রেওয়ায়ত এর সারাংশ কিছুটা এরুপ যে,*



*হুযুর صلي الله تعالي عليه وآله وسلم ইরশাদ করেছেন,*



*”যে ব্যক্তি আমার উপর জেনে বুঝে মিথ্যা বাঁধল,তার উচিত সে যেন নিজের ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নিক।*



*(সহীহ্ বুখারী,খন্ড – ০১, পৃষ্ঠা নং – ২১)*



*আর সত্যতা যাচাই করা ছাড়া যে কোনো কথা প্রচার করাও সঠিক নয়।হাদীস শরীফ এ এমন ব্যক্তিকে মিথ্যুক বলা হয়েছে।*



*মুসলিম শরীফ এর হাদীস এর সারাংশ হচ্ছে কিছুটা এরুপ যে,*



*হযরত আবু হুরায়রাহ্ رضي الله تعالي عنه হতে বর্ণিত যে, হুযুর صلي الله تعالي عليه وآله وسلم ইরশাদ করেছেন,*



*”কোনো ব্যক্তির মিথ্যুক হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, সে প্রত্যেক গুজবকে আগে প্রচার করে দেয়।*



*(সহীহ্ মুসলিম, খন্ড – ০১, পৃষ্ঠা নং – ০৯)*



*সুতরাং এমন “এস এম এস” তাৎখনিক ভাবে ডিলিট করে দেওয়া উচিত।অন্যকে পাঠানো/ফরওয়ার্ড করার কোনোভাবেই অনুমতি নেই।*



والله اعلم ورسوله اعلم عزوجل و صلي الله تعالي عليه وآله وسلم




Top