হযরত আবু বকর সিদ্দীক্ব রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুই হলেন একমাত্র “খলীফায়ে রাসূল” সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, অন্য কেহ নয়।
##########################################
হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু তাঁর ‘মুসনাদ’ এ বর্ণনা করেন:
حدثنا موسى بن داود، حدثنا نافع يعني ابن عمر، عن ابن أبي مليكة، قال قيل لأبي بكر رضي الله عنه يا خليفة الله فقال أنا خليفة رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم وأنا راض به وأنا راض به وأنا راض.
(مسند أحمد بن حنبل/المجلد الأول/مسند أبو بكر الصديق (২) رقم الحديث৫৬)
“যখন হযরত আবু বকর সিদ্দীক্ব রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুকে সম্বোধন করে বলা হলো, “হে আল্লাহর খলীফা” তখন তিনি উত্তরে বললেন, “আমি রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খলীফা, এতেই আমি খুশী, এতেই আমি খুশী, এতেই আমি খুশী” ।
(মুসনাদ এ আহমদ, খ-০২, মুসনাদে আবু বকর, হাদীস নং-৫৬
হযরত ওমর ও তাঁর পরবর্তীরা হলেন আমীর বা “আমীরুল মু’মিনীন”:
***************************************************************
أمير المؤمنين : كان هذا اللقب هو اللقب التالي للخليفة ، ذلك أن عمر بن الخطاب – منعا ” لتكرار لفظ خليفة بالنسبة إلى من يتولى أمور المسلمين من الخلفاء – أمر أن يستبدل لفظ خليفة رسول الله بعبارة أو لقب أمير المؤمنين .
আমীরুল মু’মিনীন উপাধীটি হল “খলীফায়ে রাসূল” সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরপরই। হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুই “খলীফায়ে রাসূল” শব্দটি বারবার ব্যবহার না করার জন্যই “আমীরুল মু’মিনীন” শব্দটির প্রয়োগ জারী করেছেন।
হযরত মুগীরাহ ইবনে শু’বাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনা:
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
روي أن المغيرة بن شعبة قال لعمر بن الخطاب ، رضي الله عنه : يا خليفة الله ، فقال عمر : ذاك نبي الله داود ، قال : يا خليفة رسول الله ، قال : ذاك صاحبكم المفقود ( أي أبو بكر ) ، قال : يا خليفة خليفة رسول الله ، قال : ذاك أمر يطول ، قال : يا عمر ، قال : لا تبخس مقامي شرفه ، أنتم المؤمنون وأنا أميركم ، فقال المغيرة : يا أمير المؤمنين
)أبو عثمان عمر وبن بحر الجاحظ : التاج في أخلاق الملوك – تحقيق أحمد زكي باشا ص ৮৬ – ৮৮ ( القاهرة ১৩৩৩ ه / ১৯১৪ م (
হযরত মুগীরাহ ইবনে শু’বাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলা হল ,يا خليفة الله ( “হে আল্লাহর খলীফা,) তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলার খলীফা হলেন- আল্লাহর নবী হযরত দাউদ আলাইহিস্ সালাম।
আবার যখন হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলা হল,يا خليفة رسول الله হে রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খলীফা! তখন তিনি উত্তরে বললেন, হযরত আবু বকর সিদ্দীক্ব রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুই (যিনি আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছেন) হলেন একমাত্র “খলীফায়ে রাসূল” সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, অন্য কেহ নয়।
আবার যখন হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলা হল,يا خليفة خليفة رسول الله হে রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খলীফার খলীফা! তখন তিনি উত্তরে বললেন, এভাবে বললে অনেক লম্বা হয়ে যাবে ( অর্থাৎ পরবর্তীদের জন্য ‘খলীফা’ শব্দটি অনেক বার বৃদ্ধি করতে হবে)
আবার যখন হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলা হল,يا عمر হে ওমর! তখন তিনি উত্তরে বললেন, আমাকে আল্লাহ তাআলা সে আসনে অধিষ্টিত করেছেন তা বলতে কার্পন্য কর না। বরং তোমরা হলে মু’মিন আর আমি হলাম তোমাদের আমীর, তখন হযরত মুগীরাহ ইবনে শু’বাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন,يا أمير المؤمنين “হে আমীরুল মু’মিনীন”।
(আবু ওসমান আমর ইবনে যাহেয: ‘আত্ তাজ’ ফি আখলাক্বিল মুলূক: তাহক্বীক¦: আহমদ যকী বাশা, পৃ-৮৬-৮৮, কায়রো, ১৩৩৩হি:, ১৯১৪ ইং)
এর জন্য আরও দেখুন:
وقيل : إن عمر قال : إن أبا بكر كان يقال له : يا خليفة رسول الله ، ويقال لي يا خليفة خليفة رسول الله ، وهذا يطول : أنتم المؤمنون ، وأنا أميركم .
وفي رواية ابن الجوزي عن محمد بن سعد قال : قالوا : لما مات أبو بكر ، وكان يدعى خليفة رسول الله ، قيل لعمر : خليفة خليفة رسول الله ، فقال المسلمون : فمن جاء بعدك سمي ، خليفة خليفة رسول الله ، فيطول هذا ، ولكن اجتمعوا على اسم يدعى به الخليفة ، ويدعى به من بعده فدعي أمير المؤمنين ، فهو أول من سمي بذلك
) الإمامة وأهل البيت : المستبصر الدكتور : محمد بيومي مهران – ج১ : ص ১২৮ -(
খতীব বাগদাদীর অভিমত:
““““““““““““““““““““““““““““““
فقد روى الخطيب البغدادي بإسناده إلى أبي محمد عبد الله بن محمد بن عثمان الحافظ أنه قال: (أجمع المهاجرون والأنصار على خلافة أبي بكر قالوا له: يا خليفة رسول الله ولم يسم أحد بعده خليفة، وقيل: إنه قبض النبي صلى الله عليه وسلم عن ثلاثين ألف مسلم كل قال لأبي بكر: يا خليفة رسول الله ورضوا به من بعده رضي الله عنهم) تاريخ بغداد ১০/১৩০)
খতীব বাগদাদী তাঁর “তারীখ এ বাগদাদ” কিতাবে লিখেন:
————————————————————–
“সকল মুহাজির ও আনসার সাহাবী এ মর্মে ঐক্যমত প্রকাশ করেছেন হযরত আবু বকরের খেলাফতের উপর, আর তাঁরা হযরত আবু বকর সিদ্দীক্ব রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুকে সম্বোধন করে বলতেন, হে রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খলীফা!। তাঁর পরে আর কাউকে ‘খলীফায়ে রাসূল’ বলে সম্বোধন করা হয়নি। বলা বাহুল্য যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তিকালের সময় প্রায় ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) সাহারী ছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই হযরত আবু বকর সিদ্দীক্ব রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুকে يا خليفة رسول الله হে “খলীফায়ে রাসূল” সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে সম্বোধন করেছেন, আর তাঁরা সকলেই হযরত আবু বকর সিদ্দীক্ব রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুর উপর সন্তুষ্ট ছিলেন।”
(খতীব বাগদাদী: তারীখ এ বাগদাদ, ১০/১৩০)
##########################################
হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু তাঁর ‘মুসনাদ’ এ বর্ণনা করেন:
حدثنا موسى بن داود، حدثنا نافع يعني ابن عمر، عن ابن أبي مليكة، قال قيل لأبي بكر رضي الله عنه يا خليفة الله فقال أنا خليفة رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم وأنا راض به وأنا راض به وأنا راض.
(مسند أحمد بن حنبل/المجلد الأول/مسند أبو بكر الصديق (২) رقم الحديث৫৬)
“যখন হযরত আবু বকর সিদ্দীক্ব রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুকে সম্বোধন করে বলা হলো, “হে আল্লাহর খলীফা” তখন তিনি উত্তরে বললেন, “আমি রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খলীফা, এতেই আমি খুশী, এতেই আমি খুশী, এতেই আমি খুশী” ।
(মুসনাদ এ আহমদ, খ-০২, মুসনাদে আবু বকর, হাদীস নং-৫৬
হযরত ওমর ও তাঁর পরবর্তীরা হলেন আমীর বা “আমীরুল মু’মিনীন”:
***************************************************************
أمير المؤمنين : كان هذا اللقب هو اللقب التالي للخليفة ، ذلك أن عمر بن الخطاب – منعا ” لتكرار لفظ خليفة بالنسبة إلى من يتولى أمور المسلمين من الخلفاء – أمر أن يستبدل لفظ خليفة رسول الله بعبارة أو لقب أمير المؤمنين .
আমীরুল মু’মিনীন উপাধীটি হল “খলীফায়ে রাসূল” সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরপরই। হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুই “খলীফায়ে রাসূল” শব্দটি বারবার ব্যবহার না করার জন্যই “আমীরুল মু’মিনীন” শব্দটির প্রয়োগ জারী করেছেন।
হযরত মুগীরাহ ইবনে শু’বাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনা:
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
روي أن المغيرة بن شعبة قال لعمر بن الخطاب ، رضي الله عنه : يا خليفة الله ، فقال عمر : ذاك نبي الله داود ، قال : يا خليفة رسول الله ، قال : ذاك صاحبكم المفقود ( أي أبو بكر ) ، قال : يا خليفة خليفة رسول الله ، قال : ذاك أمر يطول ، قال : يا عمر ، قال : لا تبخس مقامي شرفه ، أنتم المؤمنون وأنا أميركم ، فقال المغيرة : يا أمير المؤمنين
)أبو عثمان عمر وبن بحر الجاحظ : التاج في أخلاق الملوك – تحقيق أحمد زكي باشا ص ৮৬ – ৮৮ ( القاهرة ১৩৩৩ ه / ১৯১৪ م (
হযরত মুগীরাহ ইবনে শু’বাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলা হল ,يا خليفة الله ( “হে আল্লাহর খলীফা,) তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলার খলীফা হলেন- আল্লাহর নবী হযরত দাউদ আলাইহিস্ সালাম।
আবার যখন হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলা হল,يا خليفة رسول الله হে রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খলীফা! তখন তিনি উত্তরে বললেন, হযরত আবু বকর সিদ্দীক্ব রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুই (যিনি আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছেন) হলেন একমাত্র “খলীফায়ে রাসূল” সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, অন্য কেহ নয়।
আবার যখন হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলা হল,يا خليفة خليفة رسول الله হে রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খলীফার খলীফা! তখন তিনি উত্তরে বললেন, এভাবে বললে অনেক লম্বা হয়ে যাবে ( অর্থাৎ পরবর্তীদের জন্য ‘খলীফা’ শব্দটি অনেক বার বৃদ্ধি করতে হবে)
আবার যখন হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলা হল,يا عمر হে ওমর! তখন তিনি উত্তরে বললেন, আমাকে আল্লাহ তাআলা সে আসনে অধিষ্টিত করেছেন তা বলতে কার্পন্য কর না। বরং তোমরা হলে মু’মিন আর আমি হলাম তোমাদের আমীর, তখন হযরত মুগীরাহ ইবনে শু’বাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন,يا أمير المؤمنين “হে আমীরুল মু’মিনীন”।
(আবু ওসমান আমর ইবনে যাহেয: ‘আত্ তাজ’ ফি আখলাক্বিল মুলূক: তাহক্বীক¦: আহমদ যকী বাশা, পৃ-৮৬-৮৮, কায়রো, ১৩৩৩হি:, ১৯১৪ ইং)
এর জন্য আরও দেখুন:
وقيل : إن عمر قال : إن أبا بكر كان يقال له : يا خليفة رسول الله ، ويقال لي يا خليفة خليفة رسول الله ، وهذا يطول : أنتم المؤمنون ، وأنا أميركم .
وفي رواية ابن الجوزي عن محمد بن سعد قال : قالوا : لما مات أبو بكر ، وكان يدعى خليفة رسول الله ، قيل لعمر : خليفة خليفة رسول الله ، فقال المسلمون : فمن جاء بعدك سمي ، خليفة خليفة رسول الله ، فيطول هذا ، ولكن اجتمعوا على اسم يدعى به الخليفة ، ويدعى به من بعده فدعي أمير المؤمنين ، فهو أول من سمي بذلك
) الإمامة وأهل البيت : المستبصر الدكتور : محمد بيومي مهران – ج১ : ص ১২৮ -(
খতীব বাগদাদীর অভিমত:
““““““““““““““““““““““““““““““
فقد روى الخطيب البغدادي بإسناده إلى أبي محمد عبد الله بن محمد بن عثمان الحافظ أنه قال: (أجمع المهاجرون والأنصار على خلافة أبي بكر قالوا له: يا خليفة رسول الله ولم يسم أحد بعده خليفة، وقيل: إنه قبض النبي صلى الله عليه وسلم عن ثلاثين ألف مسلم كل قال لأبي بكر: يا خليفة رسول الله ورضوا به من بعده رضي الله عنهم) تاريخ بغداد ১০/১৩০)
খতীব বাগদাদী তাঁর “তারীখ এ বাগদাদ” কিতাবে লিখেন:
————————————————————–
“সকল মুহাজির ও আনসার সাহাবী এ মর্মে ঐক্যমত প্রকাশ করেছেন হযরত আবু বকরের খেলাফতের উপর, আর তাঁরা হযরত আবু বকর সিদ্দীক্ব রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুকে সম্বোধন করে বলতেন, হে রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খলীফা!। তাঁর পরে আর কাউকে ‘খলীফায়ে রাসূল’ বলে সম্বোধন করা হয়নি। বলা বাহুল্য যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তিকালের সময় প্রায় ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) সাহারী ছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই হযরত আবু বকর সিদ্দীক্ব রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুকে يا خليفة رسول الله হে “খলীফায়ে রাসূল” সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে সম্বোধন করেছেন, আর তাঁরা সকলেই হযরত আবু বকর সিদ্দীক্ব রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহুর উপর সন্তুষ্ট ছিলেন।”
(খতীব বাগদাদী: তারীখ এ বাগদাদ, ১০/১৩০)