প্রশ্নঃ-জনাব,ইমাম আহমদ বিন হাম্বল নাকি মাসআলা অনুসরনে ইমাম না থাকলে, সে মাসআলা থেকে নাকি বিরত থাকার জন্য বলেছেন,এটা কতটুকু সত্য?
জাওয়াবদাতাঃ-হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী।
জাওয়াবঃ-জি,এই কথাটা প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ হাদীসের হাফিজ ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহমাতুল্লাহি আলাইহী) বলেছেন,কারন ইমামকে অনুসরনের গুরুত্ব অপরিসীম ।এমনকি আল্লাহ তাআলা কোরআন শরীফের মধ্যে বলেছেন-يَوْمَ نَدْعُو كُلَّ أُنَاسٍ بِإِمَامِهِمْ অর্থাৎ আমি (আল্লাহ) হাশরের ময়দানে প্রত্যেক মানুষকে তাদের ইমামের নামে ডাক দিবো।তাই ইমাম আহমদ বিন হাম্বল এই গুরুত্বেের অপরিহার্যতা বুঝে এই কথাটি বলেছেন।
হযরত মাইমুনী রহঃ বর্ণনা করেছেন, ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহঃ বলেছেন-
يا اَبَا الْحَسَنْ إِيَّاكَ أَنْ تَتَكَلَّمَ فِي مَسْأَلَةٍ لَيْسَ لَكَ فِيْهَا إِمَامٌ
হে আবুল হাসান!যে মাসআলায় তোমার কোন ইমাম নেই,সে মাসআলা সম্পর্কে কিছু বলা থেকে বিরত থাকো।
সুত্রঃ-যাহাবী-সিয়ারুল আলামিন নুবালা ১১/২৯৬পৃ. ক্রমিক নং ৭৮;
ইমাম আহমদ বিন হাম্বল অন্য বর্ণনায় বলেছেন-
যে ব্যক্তি এমন কোন বিষয়ে কথা বললো,যে বিষয়ে তার কোন ইমাম,তবে আমি তার ভুল করার ব্যপারে ভয় করছি,অর্থাৎ সে ভুলের মধ্যে নিপতিত হবে।
সুত্রঃ-ইবনে মুফলিহ-আল ফুরু ৬/৩৮০পৃষ্ঠা।
বুঝার বিষয়ঃ-যেখানে একটি মাসআলা বর্ণনায় কোন ইমামের অনুসরণ যদি না পাওয়া গেলে,মাসআলা বর্ণনা করতে ইমাম আহমদ নিষেধ করে দিয়েছে। সেখানে নামদারী আহলে হাদীসের লোকেরা সহীহ হাদীসের লেভেল লাগিয়ে, ইমাম বিহীন কিভাবে ফতোওয়াবাজি করে বেড়ায় আমাদের বুঝে আসেনা!যেখানে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল সাড়ে সাত লক্ষ হাদীসের হাফিজ হয়েও এই কথাটা বলছেন,সেখানে যারা মাজহাবের ইমামদের অনুসরণ অস্বীকার করতে চায়,তারা কয়টি হাদীসের হাফিজ! আল্লাহ তাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন,আমিন।