জাকির নায়েক তার লেকচার সমগ্র ৫/৭৪-৭৫পৃষ্টায় বললো আমিন আস্তে বলা এটা তাঁর (আবু হানিফার) ভুল সিদ্ধান্ত।
আমরা দেখবো আমি আস্তে বলা সম্পর্কে নবিজীর কোন সিদ্ধান্ত সহীহ হাদীসে পাওয়া যায় কিনা-
সাহাবী হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর রাঃ বলেন-
اَنَّهُ صلّى مع البيِّ صلى اللّٰه عليه وسلم فلما قَرَأَ غيرِ المغضوب عليهم ولا الضالّين،قال آمين،خفَضَ بها صَوْتَهُ
তিনি নবিজীর সাথে নামাজ আদায় করেন।এবং তিনি ‘গাইরিল মাগদূবি আলাইহীম ওয়ালাদ দোয়াল্লীন’পাঠান্তে ‘আমিন’ বললেন।আমিন বলার সময় আওয়াজটি অনেক নিচু করলেন।
- হাদীসের মান : সহীহ
- সুত্র: আবু দাউদ তায়লসী-আল মুসনাদ, ২/৩৬০পৃ. হাদীস নং ১১১৭;
- তাবরানী-মুজামুল কাবীর ২২/৯পৃ.হাদীস নং ৩;
এ বিষয়ে আরেকটা হাদীস হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে সহীহ মুসলিমেও আনা হয়েছে।
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ((إِذَا أَمَّنَ الإِمَامُ فَأَمِّنُوا فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ))
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লাম বলেছেন-যখন ইমাম আমীন বলবে, তখন তোমরাও আমীন বলো।কেননা যার আমীন বলা ফেরেস্তাদের আমীন এর মিলে যাবে তার পুর্বের গুনাহ সমুহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
সহীহ মুসলিম-কিতাবুস সালাত,বাবুত তাসমিহে ওয়াত তাহমীদে ওয়াত তা’মীনে,হাদীস নং ৯৪২
সম্মানীত পাঠকদের এটা আশা বুঝাতে হবেনা যে, ফেরেস্তার আমীন যেমন আমরা শুনিনা, ঠিক তেমনিভাবে আমাদের আমিন যেন অন্য কেউ না শুনে।ফেরেস্তার আমিন বলা যেমন সে নিজে শুনে ও আল্লাহ তাআলা শুনে, তেমনিভাবে আমাদের আমীন বলাটা আমরা নিজে শুনবো আর আল্লাহ তাআলা শুনবে।