নবীর হাদিসকে দ্বঈফ হাদিস বললে ঈমান থাকবে না, হ্যাঁ, তবে রাবির কারণে সনদ সহিহ,হাসান,দ্বঈফ হতে পারে।তাই বলতে হবে সনদ দ্বঈফ ;হাদিস নয়।বর্তমানে আহলে হাদিসগন দ্বঈফ সনদের হাদিসকে হাদিস হিসেবে মানতেই চাইনা অথচ দ্বঈফও রাসুল ﷺ এর হাদিস।তবে রাবি শক্তিশালী, দুর্বল হওয়া নিয়ে মতানৈক্য থাকতে পারে।তাই দ্বঈফ সনদকে হাদিস নয় বলা যাবেনা।আর আমি নিম্নে সনদকে অবহেলার শাস্তির কিছু ঘটনা উল্লেখ করা হল।



এক হাদিসে বর্নিত- আছে,

“যে ব্যক্তি বুধবার কিংবা শনিবার নিজ শরীরে শিঙ্গা প্রয়োগ করে দুষিত রক্ত অপসারণ করবে, তার শরীরে কুষ্ট রোগ হবে।আর সে তখন নিজেকে দোষারোপ করবে।”



ইমাম ইবনে আসাকির রহঃ বর্ননা করেন,

“ইমাম ইবনে আসাকির রহঃ হাফিজ রাযী আলী ইবনে মিহরান ইবনে হারুন থেকে স্বীয় ‘তারিখে দামেস্ক ‘এ বর্ননা করেছেন।তিনি বলেন,আমি হযরত আবু মুঈন হুসাইন ইবনে হাসান তাবরীকে বলতে শুনেছি,তিনি বলেন-আমি একবার শনিবার শিঙ্গা লাগাতে মনস্থ করেছি।সুতারাং আমি আমার ক্রিতদাসকে হাজ্জাম(ক্ষৌরকার) কে শিঙ্গা লাগানোর জন্য ডাকতে নির্দশ দিলাম।ক্রিতদাস তাকে ডাকতে চলে যাবার এবং বুধবার আমার মনে পড়ল নবী করীমﷺ ওই হাদিস যাতে শনিবার শিঙ্গা লাগালে শ্বেত রোগ হবে বলে বর্নিত আছে।তারপর কিছু চিন্তা ভাবনা করলাম করে বললাম,এ হাদিসের সনদের মধ্যে তো কিছু দুর্বলতা আছে।শেষ পর্যন্ত আমি শিঙ্গা প্রয়োগ করলাম।ফলে আমার শ্বেত রোগ হয়ে গেল।অতঃপর স্বপ্নযোগে নবী করীম ﷺ এর সাথে সাক্ষাত হল।তখন আমি স্বীয় অবস্থা সম্পর্কে হুযুর( দঃ)এর মহান দরবারে ফরিয়াদ করলাম।রসুলে পাকﷺ   ইরশাদ করেন, সাবধান! আমার হাদিসকে তুচ্ছ জ্ঞান করবেনা।অতঃপর আমি আল্লাহর ওয়াস্তে মান্নত করলাম,আল্লাহ পাক যদি আমার শ্বেত রোগ থেকে মুক্তি দেন, তবে আমি আর কখনো নবী করীমﷺ এর হাদিসকে তুচ্ছ জ্ঞান করব না,ওই হাদিস অনুযায়ী সহিহ হোক, কিংবা দ্বঈফ হোক। সুতারাং আল্লাহ পাক আমার শ্বেত রোগ থেকে মুক্তি দান করলেন।[ইমাম ইবনে আসাকিরঃ তারিখে দামেস্ক, ১/৭৫পৃঃ ]





Top