ইকামতের সময় দাঁড়ানো নিয়ে চার মাযহাবের মতামত পর্যালোচনাঃ পর্ব-৬
——————
চার মাযহাবের মতামত পর্যালোচনা করলে দেখা যায়-
১। হানাফী মাযহাব মতে “হাইয়্যা আলাছ ছালাহ” বা “হাইয়্যা আলাল ফালাহ” বলার সময় ইমাম ও মুসল্লীগণের দাঁড়ানো সুন্নাত। এর পূর্বে দাঁড়ানো – মাকরুহ।
২। হাম্বলী মাযহাব মতে “ক্বাদ ক্বামাতিছ ছালাহ” এর সময় দাঁড়ানো সুন্নাত। [মুসলিম শরীফ ১ম খন্ড ২২১ পৃ.]
৩। শাফেয়ী মাযহাব মতে ইকামত শেষ হওয়ার পর দাঁড়ানো সুন্নাত।
৪। মালেকী মাযহাব মতে শারীরিক শক্তিভেদে ইকামত সমাপ্তির পর দাঁড়ানো সুন্নাত। অথবা ইকামত শেষ হলে দাঁড়ানো সুন্নাত। কোন মাযহাব মতেই ইকামত শুরুর পূর্বে বা “হাইয়্যা আলাছ ছালাহ” এর পূর্বে দাঁড়িয়ে থাকার কোন প্রমাণ বা বিধান নেই। যারা কাতার সোজা করার দোহাই দিয়ে মুসল্লীদেরকে পূর্বে দাঁড় করিয়ে রাখেন – তাদেরকে সুন্নাত তরকের দায়দায়িত্ব নিতে হবে। অপরদিকে যারা লোপ পেয়ে যাওয়া এই সুন্নাতকে পুনর্জীবিত করবেন- তারা একশত শহীদের সওয়াব পাবেন। [মিশকাত শরীফ, ৩০ পৃষ্ঠা, বায়হাকী শরীফ ‘কিতাবুল জিহাদে’ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে]
কাতার কখন সোজা করবেন?
পর্ব-৭(শেষ পর্ব)
_________________________
কাতার সোজা করা ওয়াজিব। ওয়াজিব কখন আদায় করবেন? এর দুটি পদ্ধতি রয়েছে।
একঃ হযরত ওমর [ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ] কাতার সোজা করতেন ইকামতের পরে। তিনি হযরত আলী [ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ] কে দিয়ে কাতার সোজা করে তারপর তাকবীরে তাহরীমা বাঁধতেন (মিশকাত)। মদিনা শরীফের মসজিদে নববীতে এই প্রথাই বর্তমানে চালু আছে।
দুইঃ বর্তমানে প্রায় সকল মসজিদেই কাতার চিহ্ন দেয়া থাকে। কোন গাফেল মুসল্লী যদি কাতার ভঙ্গ করে বসে থাকেন- তাহলে ইমাম সাহেব ইকামতের পূর্বে সকল মুসল্লীকে দাঁড় করিয়ে কাতার সোজা করে বসিয়ে দিয়ে মুয়াজ্জিনকে ইকামতের নির্দেশ দিলে ওয়াজিব এবং সুন্নাত উভয়টিই পালন করা সহজ হয়। এটা ইমামের সতর্কতার উপর নির্ভরশীল। তিনি জেনে শুনে মুসল্লীগণকে দিয়ে মাকরুহ’ কাজ করালে সেজন্য তিনিই দায়ী থাকবেন। [কৃত- প্রিন্সিপাল হাফেয এম এ জলীল [ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ]