কখন গোসল করা সুন্নাত
জুমার দিন, ঈদুল ফিতরের দিন, ঈদুল আযহার দিন, ৯ই জিলহজ্জ আরাফার দিন এবং ইহরাম বাধার সময় গোসল করা সুন্নাত। (ফতোওয়ায়ে আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১৬ পৃষ্ঠা)
কখন গোসল করা মুস্তাহাব
(১) আরাফায় অবস্থানের জন্য, (২) মুযদালিফায় অবস্থানের জন্য, (৩) হেরম শরীফে প্রবেশ করার জন্য, (৪) নবী করীম, রউফুর রহীম, রাসূলে আমীন صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর রওজা মোবারক যিয়ারতের জন্য, (৫) তাওয়াফ করার জন্য, (৬) মিনাতে প্রবেশ করার জন্য, (৭) (১০, ১১ ও ১২ই জিলহজ্জ) জমরাতে কংকর নিক্ষেপের জন্য, (৮) কদরের রাতে, (৯) বরাতের রাতে, (১০) আরাফার রাতে, (১১) , মীলাদ শরীফের মাহফিলে অংশগ্রহণ করার জন্য, (১২) অন্যান্য মাহফিলে অংশগ্রহণ করার জন্য, (১৩) মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেয়ার পর, (১৪) পাগল ব্যক্তি পাগলামী মুক্ত হওয়ার পর, (১৫) অজ্ঞান অবস্থা থেকে জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর, (১৬) মাতলামী থেকে মুক্তি লাভের পর, (১৭) গুনাহ থেকে তাওবা করার জন্য, (১৮) নতুন কাপড় পরিধান করার জন্য, (১৯) সফর থেকে ফিরে আসার পর, (২০) ইস্তিহাজার রক্ত বন্ধ হওয়ার পর, (২১) চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণের নামাযের জন্য, (২২) ইস্তিস্কা বা বৃষ্টি প্রার্থনার নামায আদায়ের জন্য, (২৩) ভয়ভীতি, ভীষণ অন্ধকার ও তীব্র বাতাস প্রবাহ থেকে মুক্তি লাভের উদ্দেশ্যে নামায আদায়ের জন্য, (২৪) শরীরে কোন স্থানে নাপাকী লেগেছে তা সঠিক জানা না থাকলে।
(দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার, ১ম খন্ড, ৩৪১-৩৪৩ পৃষ্ঠা। বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৩২৪-৩২৫ পৃষ্ঠা)
একটি গোসলে কয়েকটি নিয়্যত
যার উপর কয়েকটি গোসল সম্পাদন করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে, যেমন-কারো স্বপ্নদোষ হলো, আবার ঈদ ও জুমার দিনও, তাহলে সে তিনটি গোসলের নিয়্যত করে একটি গোসল সম্পাদন করলে তার তিনটি গোসলই আদায় হয়ে যাবে এবং তিনটি গোসলেরই সাওয়াব পাবে। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৩২৫ পৃষ্ঠা)
বৃষ্টির পানিতে গোসল
মানুষের সামনে সতর খুলে গোসল করা হারাম। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া (সংগ্রহীত) , ৩য় খন্ড, ৩০৬ পৃষ্ঠা) বৃষ্টির পানিতে গোসল করলে পায়জামা বা সালওয়ারের উপর অতিরিক্ত একটি মোটা চাঁদর জড়িয়ে নিন, যাতে পায়জামা বা সালওয়ার পানিতে ভিজে শরীরের সাথে লেগে গেলেও উরু ইত্যাদির আকৃতি যেন স্পষ্ট না হয়ে ওঠে।
চিপচিপে পোষাক পরিহিত ব্যক্তির প্রতি দৃষ্টিপাত করা কেমন?
পোশাক চিপচিপে হওয়ার কারণে বা তীব্র বাতাস প্রবাহের কারণে বা বৃষ্টির পানিতে গোসল করার কারণে বা নদী বা সমুদ্রে গোসল করার সময় নদী বা সমুদ্রের প্রবল ঢেউয়ের কারণে যদিও সে মোটা কাপড় পরিধান করে গোসল করে থাকুক না কেন কাপড় যদি শরীরের সাথে লেগে গিয়ে সতরের কোন একটি পূর্ণ অঙ্গ যেমন উরুর সম্পূর্ণ গোলাকার অংশের আকৃতি স্পষ্ট হয়ে ওঠে, তাহলে সে অঙ্গের দিকে অন্যান্য লোকদের দৃষ্টিপাত করা জায়িয নেই। অনুরূপ চিপচিপে পোশাক পরিধানকারী ব্যক্তির সতরের স্পষ্ট হয়ে ওঠা পূর্ণ অঙ্গের প্রতিও দৃষ্টিপাত করা (জায়িয নেই) ।
উলঙ্গ অবস্থায় গোসল করার সময় খুব সাবধানতা
গোসলখানায় উলঙ্গ অবস্থায় একাকী গোসল করার সময় বা এমন পায়জামা পরিধান করে গোসল করার সময় যা শরীরের সাথে লেগে যাওয়ার কারণে উরু ইত্যাদির আকৃতি ও লাবন্যতা স্পষ্ট হয়ে উঠে, এরূপ অবস্থায় কিবলার দিকে মুখ বা পিঠ দিবেন না।
গোসলের কারণে সর্দি বা কাশি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তখন?
যদি কারো সর্দি, কাশি বা চোখের রোগ থাকে এবং তার প্রবল ধারণা হয় যে, মাথার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত করে বা ডুব দিয়ে গোসল করলে তার সে সমস্ত রোগ বেড়ে যেতে পারে বা অন্য কোন রোগে সে আক্রান্ত হতে পারে, তাহলে সে কুলি করে ও নাকে পানি দিয়ে ঘাড়ের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত করে গোসল করবে এবং সম্পূর্ণ মাথায় ভিজা হাত বুলিয়ে নিবে এরূপ করলে তার গোসল আদায় হয়ে যাবে। সুস্থ হওয়ার পর সে শুধুমাত্র মাথা ধৌত করলে চলবে। নতুনভাবে পুনরায় তাকে গোসল করতে হবে না। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৩১৮ পৃষ্ঠা)
বালতিতে পানি নিয়ে গোসল করার সময় সাবধানতা অবলম্বন
যদি বালতির মাধ্যমে গোসল করে তখন সতর্কতা মূলক বালতি টুল (STOOL) বা চৌকি ইত্যাদির উপর রাখবেন যাতে বালতিতে ব্যবহৃত পানির ছিটা না পড়ে, অনুরূপ গোসলের কাজে ব্যবহৃত মগও নিচে রাখবেন না।
চুলের জট
যদি চুলে জট পড়ে যায় তাহলে গোসল করার সময় তা খুলে তাতে পানি প্রবাহিত করা আবশ্যক নয়। (প্রাগুক্ত)
জুমার দিন, ঈদুল ফিতরের দিন, ঈদুল আযহার দিন, ৯ই জিলহজ্জ আরাফার দিন এবং ইহরাম বাধার সময় গোসল করা সুন্নাত। (ফতোওয়ায়ে আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১৬ পৃষ্ঠা)
কখন গোসল করা মুস্তাহাব
(১) আরাফায় অবস্থানের জন্য, (২) মুযদালিফায় অবস্থানের জন্য, (৩) হেরম শরীফে প্রবেশ করার জন্য, (৪) নবী করীম, রউফুর রহীম, রাসূলে আমীন صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর রওজা মোবারক যিয়ারতের জন্য, (৫) তাওয়াফ করার জন্য, (৬) মিনাতে প্রবেশ করার জন্য, (৭) (১০, ১১ ও ১২ই জিলহজ্জ) জমরাতে কংকর নিক্ষেপের জন্য, (৮) কদরের রাতে, (৯) বরাতের রাতে, (১০) আরাফার রাতে, (১১) , মীলাদ শরীফের মাহফিলে অংশগ্রহণ করার জন্য, (১২) অন্যান্য মাহফিলে অংশগ্রহণ করার জন্য, (১৩) মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেয়ার পর, (১৪) পাগল ব্যক্তি পাগলামী মুক্ত হওয়ার পর, (১৫) অজ্ঞান অবস্থা থেকে জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর, (১৬) মাতলামী থেকে মুক্তি লাভের পর, (১৭) গুনাহ থেকে তাওবা করার জন্য, (১৮) নতুন কাপড় পরিধান করার জন্য, (১৯) সফর থেকে ফিরে আসার পর, (২০) ইস্তিহাজার রক্ত বন্ধ হওয়ার পর, (২১) চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণের নামাযের জন্য, (২২) ইস্তিস্কা বা বৃষ্টি প্রার্থনার নামায আদায়ের জন্য, (২৩) ভয়ভীতি, ভীষণ অন্ধকার ও তীব্র বাতাস প্রবাহ থেকে মুক্তি লাভের উদ্দেশ্যে নামায আদায়ের জন্য, (২৪) শরীরে কোন স্থানে নাপাকী লেগেছে তা সঠিক জানা না থাকলে।
(দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার, ১ম খন্ড, ৩৪১-৩৪৩ পৃষ্ঠা। বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৩২৪-৩২৫ পৃষ্ঠা)
একটি গোসলে কয়েকটি নিয়্যত
যার উপর কয়েকটি গোসল সম্পাদন করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে, যেমন-কারো স্বপ্নদোষ হলো, আবার ঈদ ও জুমার দিনও, তাহলে সে তিনটি গোসলের নিয়্যত করে একটি গোসল সম্পাদন করলে তার তিনটি গোসলই আদায় হয়ে যাবে এবং তিনটি গোসলেরই সাওয়াব পাবে। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৩২৫ পৃষ্ঠা)
বৃষ্টির পানিতে গোসল
মানুষের সামনে সতর খুলে গোসল করা হারাম। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া (সংগ্রহীত) , ৩য় খন্ড, ৩০৬ পৃষ্ঠা) বৃষ্টির পানিতে গোসল করলে পায়জামা বা সালওয়ারের উপর অতিরিক্ত একটি মোটা চাঁদর জড়িয়ে নিন, যাতে পায়জামা বা সালওয়ার পানিতে ভিজে শরীরের সাথে লেগে গেলেও উরু ইত্যাদির আকৃতি যেন স্পষ্ট না হয়ে ওঠে।
চিপচিপে পোষাক পরিহিত ব্যক্তির প্রতি দৃষ্টিপাত করা কেমন?
পোশাক চিপচিপে হওয়ার কারণে বা তীব্র বাতাস প্রবাহের কারণে বা বৃষ্টির পানিতে গোসল করার কারণে বা নদী বা সমুদ্রে গোসল করার সময় নদী বা সমুদ্রের প্রবল ঢেউয়ের কারণে যদিও সে মোটা কাপড় পরিধান করে গোসল করে থাকুক না কেন কাপড় যদি শরীরের সাথে লেগে গিয়ে সতরের কোন একটি পূর্ণ অঙ্গ যেমন উরুর সম্পূর্ণ গোলাকার অংশের আকৃতি স্পষ্ট হয়ে ওঠে, তাহলে সে অঙ্গের দিকে অন্যান্য লোকদের দৃষ্টিপাত করা জায়িয নেই। অনুরূপ চিপচিপে পোশাক পরিধানকারী ব্যক্তির সতরের স্পষ্ট হয়ে ওঠা পূর্ণ অঙ্গের প্রতিও দৃষ্টিপাত করা (জায়িয নেই) ।
উলঙ্গ অবস্থায় গোসল করার সময় খুব সাবধানতা
গোসলখানায় উলঙ্গ অবস্থায় একাকী গোসল করার সময় বা এমন পায়জামা পরিধান করে গোসল করার সময় যা শরীরের সাথে লেগে যাওয়ার কারণে উরু ইত্যাদির আকৃতি ও লাবন্যতা স্পষ্ট হয়ে উঠে, এরূপ অবস্থায় কিবলার দিকে মুখ বা পিঠ দিবেন না।
গোসলের কারণে সর্দি বা কাশি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তখন?
যদি কারো সর্দি, কাশি বা চোখের রোগ থাকে এবং তার প্রবল ধারণা হয় যে, মাথার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত করে বা ডুব দিয়ে গোসল করলে তার সে সমস্ত রোগ বেড়ে যেতে পারে বা অন্য কোন রোগে সে আক্রান্ত হতে পারে, তাহলে সে কুলি করে ও নাকে পানি দিয়ে ঘাড়ের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত করে গোসল করবে এবং সম্পূর্ণ মাথায় ভিজা হাত বুলিয়ে নিবে এরূপ করলে তার গোসল আদায় হয়ে যাবে। সুস্থ হওয়ার পর সে শুধুমাত্র মাথা ধৌত করলে চলবে। নতুনভাবে পুনরায় তাকে গোসল করতে হবে না। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৩১৮ পৃষ্ঠা)
বালতিতে পানি নিয়ে গোসল করার সময় সাবধানতা অবলম্বন
যদি বালতির মাধ্যমে গোসল করে তখন সতর্কতা মূলক বালতি টুল (STOOL) বা চৌকি ইত্যাদির উপর রাখবেন যাতে বালতিতে ব্যবহৃত পানির ছিটা না পড়ে, অনুরূপ গোসলের কাজে ব্যবহৃত মগও নিচে রাখবেন না।
চুলের জট
যদি চুলে জট পড়ে যায় তাহলে গোসল করার সময় তা খুলে তাতে পানি প্রবাহিত করা আবশ্যক নয়। (প্রাগুক্ত)