★লেখক:হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী★
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লাম বলছেন।
إِذا ذُكِرَ أَصحابي فأَمْكِسُوا
তোমরা আমার সাহাবাগনের আলোচনা (মতানৈক্যের) ব্যপারে নীরবতা অবলম্বন করবে,আর তাদের সম্পর্কে অমূলক ধারনা ও অভিমত প্রকাশ করবেনা।
সুত্র:-মু’জামুল কাবীর ২:১১৬
আবু নুআইম ইস্পাহানী-মারিফাতুস সাহাবা,বাবু মিন ইসমিহি উবাইদ ১৩:৩৬৬পৃষ্টা।
এর কারনও নবিজী সুন্দরভাবে বলে দিয়েছেন-
اختلاف أصحابي لكم رحمة
আমার সাহাবাদের ইখতিলাফও তোমাদের জন্য রহমত।
সুত্র:-বায়হাকী-আল মাদখাল আলাস সুনানিল কুবরা ১/১৬২ হাদীস নং ১৫২;
আল কুযায়ী-মুসনাদুশ শিহাব,হাদীস নং ১৩৪৬;
ইবনে আব্দিল বার-আত তামহীদ ৪/২৬৩;
খতিবে বাগদাদী-আল কিফায়া ফি ইলমির রাওয়াইয়াহ ১/৪৮;
দায়লমী-মুসনাদুল ফিরদাউস, হাদীস নং৬৪৯৭;
দ্র:-আজকে তারা কারা যারা সাহাবীদের ইজতহাদী মতানৈক্যকে পুজি করে তাদের বিরুদ্ধে কটুক্তি করছে! নিশ্চয়ই এরা মুমিন নয়।
তাই নবিজী ঐ সমস্ত জাহেল অতিরিক্ত উগ্রপন্হী চিন্তাভূতদের ভুল ভাঙ্গানের জন্য বলে গিয়েছেন-
عن ﺃﺑﻰ ﺑﺮﺩﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ – ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ﺍﻟﻨﺠﻮﻡ ﺃﻣﻨﺔ ﻟﻠﺴﻤﺎﺀ ﻓﺈﺫﺍ ﺫﻫﺒﺖ ﺍﻟﻨﺠﻮﻡ ﺃﺗﻰ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﻣﺎ ﺗﻮﻋﺪ ، ﻭﺃﻧﺎ ﺃﻣﻨﺔ ﻷﺻﺤﺎﺑﻲ ﻓﺈﺫﺍ ﺫﻫﺒﺖ ﺃﺗﻰ ﺃﺻﺤﺎﺑﻲ ﻣﺎ ﻳﻮﻋﺪﻭﻥ ، ﻭﺃﺻﺤﺎﺑﻲ ﺃﻣﻨﺔ ﻷﻣﺘﻲ ﻓﺈﺫﺍ ﺫﻫﺐ ﺃﺻﺤﺎﺑﻲ ﺃﺗﻰ ﺃﻣﺘﻲ ﻣﺎ ﻳﻮﻋﺪﻭﻥ .
হযরত আবু বুরদাহ(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে,রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন যে,নক্ষত্র সমুহ আসমানের জন্য আমানত স্বরুপ।যখন নক্ষত্রগুলি বিলুপ্ত হয়ে যাবে,তখন আসমানকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কেয়ামত চলে আসবে।আমি আমার সাহাবীদের জন্য আমানত স্বরুপ।অতএব যখন আমি ইহকাল ত্যাগ করব তখন তাঁদেরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাঁদের(সাহাবাদের) মধ্যে ইজতেহাদি মতানৈক্য দেখা দিবে।( মনে রাখবে) আমার সাহাবীরা উম্মতের জন্য আমানত স্বরুপ।অতএব যখন তাঁদের যুগের অবসান ঘটবে তখন আমার উম্মতের মধ্যে বিভিন্ন রকমের ফেতনা-ফাসাদের সুত্রপাত ঘটবে।
মুসলিম শরীফ-কিতাবু ফাদ্বায়েলুস সাহাবাহ, باب بَيَانِ أَنَّ بَقَاءَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَانٌ لأَصْحَابِهِ وَبَقَاءَ أَصْحَابِهِ أَمَانٌ لِلأُمَّةِ হাদীস নং ৬৬২৯;
مَنْ سبَّ أَصْحابي فَعليهِ لعنةُ اللّٰهِ،والملائكةِ،والناسِ أجمعينَ،لا يُقْبَلُ اللّٰهُ مِنْهُ صَرْفًا ولا عَدْلًا
যে আমার সাহাবীদের গালী দিবে তার উপর আল্লাহ তাআলা ও ফেরেস্তাগনের গজব রয়েছে।আল্লাহ তাআলা তার ফরজ,নফল কোন ইবাদতই কবুল করবেন না।
সুত্র:-মাসনাদু আহমদ-ফাদ্বায়েলুস সাহাবা,বাবু ফাদ্বায়িলি আব্দিল্লাহ ইবনে আব্বাস ১:৫২ হা:৮;
তাবরানী-মুজামুল কাবীর, বাবু আব্দিল্লাহ ইবনে আবীল হুযাইল ১২:১৪২,হাদীস নং ১২৭০৯;
তাই আজ এই সময় থেকে খবর নিয়ে দেখুন এরা কারা, যারা নবিজীর সাহাবীদের নিয়ে খারাপ মন্তব্য করে থাকে! মনে রাখবেন এরা কখনো ঈমানদার হতে পারেনা।যদি এরা ঈমানদার হতো তাহলেতো তাদের নামাজ কবুল হতো কিন্তু নবিজীতো বলেই দিলেন এরা যেহেতু আমার সাহাবীদের মন্দ বলে, সেহেতু এদের কোন ইবাদত কবুল হবেনা এবং এদের উপর আল্লাহ গজব অবধারিত রয়েছে।
পাঠকদের প্রতি:-আপনারা সতর্ক দৃষ্টি রাখুন এরা যেন আমাদের কোন সুন্নী ভাইয়ের ঈমান হরন করতে না পারে।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লাম বলছেন।
إِذا ذُكِرَ أَصحابي فأَمْكِسُوا
তোমরা আমার সাহাবাগনের আলোচনা (মতানৈক্যের) ব্যপারে নীরবতা অবলম্বন করবে,আর তাদের সম্পর্কে অমূলক ধারনা ও অভিমত প্রকাশ করবেনা।
সুত্র:-মু’জামুল কাবীর ২:১১৬
আবু নুআইম ইস্পাহানী-মারিফাতুস সাহাবা,বাবু মিন ইসমিহি উবাইদ ১৩:৩৬৬পৃষ্টা।
এর কারনও নবিজী সুন্দরভাবে বলে দিয়েছেন-
اختلاف أصحابي لكم رحمة
আমার সাহাবাদের ইখতিলাফও তোমাদের জন্য রহমত।
সুত্র:-বায়হাকী-আল মাদখাল আলাস সুনানিল কুবরা ১/১৬২ হাদীস নং ১৫২;
আল কুযায়ী-মুসনাদুশ শিহাব,হাদীস নং ১৩৪৬;
ইবনে আব্দিল বার-আত তামহীদ ৪/২৬৩;
খতিবে বাগদাদী-আল কিফায়া ফি ইলমির রাওয়াইয়াহ ১/৪৮;
দায়লমী-মুসনাদুল ফিরদাউস, হাদীস নং৬৪৯৭;
দ্র:-আজকে তারা কারা যারা সাহাবীদের ইজতহাদী মতানৈক্যকে পুজি করে তাদের বিরুদ্ধে কটুক্তি করছে! নিশ্চয়ই এরা মুমিন নয়।
তাই নবিজী ঐ সমস্ত জাহেল অতিরিক্ত উগ্রপন্হী চিন্তাভূতদের ভুল ভাঙ্গানের জন্য বলে গিয়েছেন-
عن ﺃﺑﻰ ﺑﺮﺩﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ – ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ﺍﻟﻨﺠﻮﻡ ﺃﻣﻨﺔ ﻟﻠﺴﻤﺎﺀ ﻓﺈﺫﺍ ﺫﻫﺒﺖ ﺍﻟﻨﺠﻮﻡ ﺃﺗﻰ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﻣﺎ ﺗﻮﻋﺪ ، ﻭﺃﻧﺎ ﺃﻣﻨﺔ ﻷﺻﺤﺎﺑﻲ ﻓﺈﺫﺍ ﺫﻫﺒﺖ ﺃﺗﻰ ﺃﺻﺤﺎﺑﻲ ﻣﺎ ﻳﻮﻋﺪﻭﻥ ، ﻭﺃﺻﺤﺎﺑﻲ ﺃﻣﻨﺔ ﻷﻣﺘﻲ ﻓﺈﺫﺍ ﺫﻫﺐ ﺃﺻﺤﺎﺑﻲ ﺃﺗﻰ ﺃﻣﺘﻲ ﻣﺎ ﻳﻮﻋﺪﻭﻥ .
হযরত আবু বুরদাহ(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে,রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন যে,নক্ষত্র সমুহ আসমানের জন্য আমানত স্বরুপ।যখন নক্ষত্রগুলি বিলুপ্ত হয়ে যাবে,তখন আসমানকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কেয়ামত চলে আসবে।আমি আমার সাহাবীদের জন্য আমানত স্বরুপ।অতএব যখন আমি ইহকাল ত্যাগ করব তখন তাঁদেরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাঁদের(সাহাবাদের) মধ্যে ইজতেহাদি মতানৈক্য দেখা দিবে।( মনে রাখবে) আমার সাহাবীরা উম্মতের জন্য আমানত স্বরুপ।অতএব যখন তাঁদের যুগের অবসান ঘটবে তখন আমার উম্মতের মধ্যে বিভিন্ন রকমের ফেতনা-ফাসাদের সুত্রপাত ঘটবে।
মুসলিম শরীফ-কিতাবু ফাদ্বায়েলুস সাহাবাহ, باب بَيَانِ أَنَّ بَقَاءَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَانٌ لأَصْحَابِهِ وَبَقَاءَ أَصْحَابِهِ أَمَانٌ لِلأُمَّةِ হাদীস নং ৬৬২৯;
مَنْ سبَّ أَصْحابي فَعليهِ لعنةُ اللّٰهِ،والملائكةِ،والناسِ أجمعينَ،لا يُقْبَلُ اللّٰهُ مِنْهُ صَرْفًا ولا عَدْلًا
যে আমার সাহাবীদের গালী দিবে তার উপর আল্লাহ তাআলা ও ফেরেস্তাগনের গজব রয়েছে।আল্লাহ তাআলা তার ফরজ,নফল কোন ইবাদতই কবুল করবেন না।
সুত্র:-মাসনাদু আহমদ-ফাদ্বায়েলুস সাহাবা,বাবু ফাদ্বায়িলি আব্দিল্লাহ ইবনে আব্বাস ১:৫২ হা:৮;
তাবরানী-মুজামুল কাবীর, বাবু আব্দিল্লাহ ইবনে আবীল হুযাইল ১২:১৪২,হাদীস নং ১২৭০৯;
তাই আজ এই সময় থেকে খবর নিয়ে দেখুন এরা কারা, যারা নবিজীর সাহাবীদের নিয়ে খারাপ মন্তব্য করে থাকে! মনে রাখবেন এরা কখনো ঈমানদার হতে পারেনা।যদি এরা ঈমানদার হতো তাহলেতো তাদের নামাজ কবুল হতো কিন্তু নবিজীতো বলেই দিলেন এরা যেহেতু আমার সাহাবীদের মন্দ বলে, সেহেতু এদের কোন ইবাদত কবুল হবেনা এবং এদের উপর আল্লাহ গজব অবধারিত রয়েছে।
পাঠকদের প্রতি:-আপনারা সতর্ক দৃষ্টি রাখুন এরা যেন আমাদের কোন সুন্নী ভাইয়ের ঈমান হরন করতে না পারে।