তালকীনের ফযীলত: নবী করীম, রউফুর রহীম, রাসূলে আমীন, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “যখন তোমাদের কোন মুসলমান ভাই মৃত্যু বরণ করে, আর তাকে কবরে সমাহিত করার পর তোমাদের মধ্যে একজন তার কবরের শিয়রে দাঁড়িয়ে বলবে: হে অমুকের ছেলে অমুক! তখন সে তা শুনতে পাবে, কিন্তু উত্তর দিবে না। অতঃপর যখন আবারো বলবে: হে অমুকের ছেলে অমুক! তখন মৃত ব্যক্তি সোজা হয়ে বসে পড়বে। আবার যখন বলবে: হে অমুকের ছেলে অমুক! তখন সে বলবে: আল্লাহ্ তাআলা তোমার উপর দয়া করুক। তুমি আমাকে শিখিয়ে দাও। কিন্তু মৃত ব্যক্তির একথা তোমরা শুনতে পাবে না। অতঃপর সে (অর্থাৎ- যিনি তালকীন করাবেন তিনি) বলবে:
اُذْكُرْ مَاخَرَجْتَ عَلَيْهِ مِنَ الدُّنْيَا: شَهَادَةَ اَنْ لَّا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ (صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم) وَاَنَّكَ رَضِيْتَ بِاللهِ رَبًّا وَّبِالْاِسْلَامِ دِيْنًا وَّ بِمُحَمَّدٍ (صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم) نَبِيًّا وَّ بِالْقُرْاٰنِ اِمَامًا ـ
অনুবাদ: “তুমি তা স্মরণ করো, যা বলে তুমি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছ অর্থাৎ একথা সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তাঁর বান্দা ও রাসূল এবং এটাও বলো যে, তুমি আল্লাহ্কে প্রতিপালক হিসেবে, ইসলামকে আল্লাহ্র মনোনীত ধর্ম হিসেবে, হযরত মুহাম্মদ صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে আল্লাহ্র প্রেরিত রাসূল হিসেবে এবং কুরআন মজীদকে ইমাম হিসেবে মনে-প্রাণে স্বীকৃতি দিয়েছ এবং এর উপর সন্তুষ্ট ছিলে।” তালকীনকারী এ কথা বলার পর মুনকার-নকীর ফিরিশতাদ্বয় একে অপরের হাত ধরে বলবেন: চলো আমরা চলে যাই। তার পাশে বসে থেকে আমাদের কোন লাভ নেই যাকে লোক দলীল শিখিয়ে দিয়েছে। এক ব্যক্তি রহমতে আলম صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নিকট আরয করল, যদি তার মায়ের নাম জানা না থাকে, তখন কিভাবে তালকীন করাবে? রাসূলুল্লাহ্ صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “হাওয়া رَضِیَ اللہُ تَعَالٰی عَنۡہَا এর দিকে সম্পর্কিত করবে।” (আল কবীর লিত তাবরানী, ৮ম খন্ড, ২৫০ পৃষ্ঠা, হাদীস-৭৯৭৯)
স্মরণ রাখবেন! অমুকের ছেলে অমুকের স্থলে মৃত ব্যক্তি ও তার মায়ের নাম নিবে, যেমন-হে মুহাম্মদ ইল্ইয়াস বিন আমেনা। আর মৃত ব্যক্তির মায়ের নাম জানা না থাকলে মায়ের নামের স্থলে হাওয়া رَضِیَ اللہُ تَعَالٰی عَنۡہَا এ নাম নিবে। তালকীন কেবলমাত্র আরবী ভাষায়ই পড়বেন।