১/ – হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা:) উদ্ধৃত

করেন রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর হাদীস, যিনি এরশাদ

ফরমান: “নিশ্চয়

আল্লাহতা’লা কোনো প্রতিবেশী পুণ্যবান

মুসলমানের জন্যে ১০০ জন প্রতিবেশীর

দুঃখকষ্ট দূর করেন।” [ইমাম তাবারানী কৃত ‘আল-

মো’জাম আল-কবীর’; ইমাম বাগাভী রচিত

‘মো’য়াল্লিম’]







২ / – হুযূর পূর নূর (দ:) এরশাদ করেন, “সালাত (নামায)

আদায়কারী আল্লাহর বান্দাগণ, দুধ

পানকারী শিশুরা এবং তৃণভোজী চারপায়া জন্তুরা না

হলে আল্লাহ পাক অবশ্যই তোমাদের

শাস্তি দিতেন এবং এই শাস্তি খুবই কঠোর

হতো।” [সুনানে বায়হাকী; তাবারানী]



৩ / – হযরত সা’আদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা:)

বর্ণনা করেন মহানবী (দ:)-এর হাদীস,

যিনি ফরমান: “তোমাদের মরুব্বি বা গুরুজনের

কারণেই তোমরা সাহায্য ও রিযিক

পেয়ে থাকো।” [আল-বোখারী]



৪ / – হযরত উবায়দা (রা:) উদ্ধৃত করেন

নবী করীম (দ:)-এর বাণী: “আমার উম্মতের

মধ্যে ৩০ জন ‘আবদাল’ রয়েছেন। তাঁদের

অসিলাতেই পৃথিবী বহাল আছে। একমাত্র

তাঁদের কারণেই তোমাদের জন্যে বৃষ্টিপাত

হয় এবং তোমরা সাহায্য পেয়ে থাকো।” [ইমাম

তাবারানী কৃত ‘আল-কবীর’]



৫/ – হযরত আলী (ক:) রওয়ায়াত করেন

সাইয়্যেদুল মোরসালীন (দ:)-এর কথা,

যিনি বলেন: “শাম (সিরিয়া) দেশে ৪০ জন ‘আবদাল’

আছেন। তাঁদের কেউ একজন বেসালপ্রাপ্ত

হলে আল্লাহতা’লা অন্যজনকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত

করেন। একমাত্র তাঁদের কারণেই বৃষ্টিপাত হয়

এবং শত্রুপক্ষ পরাভূত হয়। সিরিয়াবাসীর শাস্তিও

মওকুফ হয় কেবল তাঁদেরই অসিলায়।” [ইমাম

আহমদ]



৬ / – হযরত আউফ বিন মালেক (রা:) বর্ণনা করেন

যে মহানবী (দ:) এরশাদ ফরমান: “আবদালবৃন্দ

সিরিয়ায় আছেন। তাঁদের

বরকতে মানূষেরা (খোদায়ী) সাহায্য পায়

এবং একমাত্র তাঁদের কারণেই রিযক মঞ্জুর

হয়।” [ইমাম তাবারানী প্রণীত ‘আল-কবীর’]



৭/ – হযরত আনাস বিন মালেক (রা:) উদ্ধৃত করেন

হুযূর পাক (দ:)-এর বাণী: “হযরত ইব্রাহীম

খলিলউল্লাহ (আ:)-এর মতো (অাধ্যাত্মিক

ক্ষমতাধর) ৪০ জন আউলিয়া কেরাম

পৃথিবীতে সবসময় থাকবেন। তাঁদের কারণেই

কেবল তোমরা বৃষ্টি এবং খোদায়ী মদদ

পাবে।” [ইমাম তাবারানী কৃত ‘আল-আওসাত’]



৮/ – হযরত আবূ হোরায়রা (রা:) রওয়ায়াত করেন

রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর হাদীস, যিনি বলেন: “ত্রিশজন

(আউলিয়া) হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালামের

মতো (আধ্যাত্মিক ক্ষমতাবান) হবেন এবং সবসময়

পৃথিবীতে থাকবেন। একমাত্র তাঁদের ব-

দৌলতেই তোমাদের আরযি কবুল

হবে এবং তাঁদের বরকতেই বারিপাত

হবে।” [ইবনে হিব্বান ফী তারিখ]



৯ / – হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা:) উদ্ধৃত

করেন রাসূলে খোদা (দ:)-কে, যিনি বলেন:

“আমার উম্মতের মধ্যে সব সময়ই ৪০ জন বিরাজ

করবেন, যাঁদের অন্তর হযরত ইব্রাহীম

আলাইহিস সালামের মতো। তাঁদের

বরকতে মানুষের দুঃখকষ্ট আল্লাহতা’লা দূর

করবেন। তাঁদের খেতাব হবে ‘আবদাল’।“ [আবূ

নুয়াইম ফী হিলইয়া]



১০ / – হযরত আনাস (রা:) বর্ণনা করেন

মহানবী (দ:)-এর হাদীস: “আল্লাহ যখন তাঁর

কোনো বান্দার ভালাই চান, তখন তিনি তাঁর

মাধ্যমে মানুষের দুঃখকষ্ট দূর করেন।” [ইমাম

বায়হাকী কৃত ‘শুয়াব আল-ঈমান’]



১১ / – হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা:) উদ্ধৃত

করেন রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর হাদীস, যিনি এরশাদ

ফরমান: “আল্লাহ পাক তাঁর এমন কিছু

বান্দাকে বেছে নিয়েছেন যাঁদের

মাধ্যমে সৃষ্টিকুলের দুঃখ-দুর্দশা দূর হয়।

দুর্দশাগ্রস্ত মানুষেরা নিজেদের প্রয়োজন

মেটাতে তাঁদের শরণাপন্ন হবে। এই সকল

বান্দা আল্লাহর শাস্তি থেকে সুরক্ষিত।” [ইমাম

তাবারানী কৃত ‘আল-কবীর’]



১২/ – হযরত আনাস (রা:) বর্ণনা হুযূর পাক (দ:)-এর কথা, যিনি বলেন: “আল্লাহ যখন তাঁর

কোনো বান্দার মঙ্গল চান, তখন সকল

মানুষকে তাঁর কাছে প্রয়োজন পূরণের

জন্যে প্রেরণ করেন।” [‘মুসনদ আল-

ফেরদৌস’]



১৩ / – হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (দ:) উদ্ধৃত

করেন মহানবী (দ:)-এর হাদীস, যিনি এরশাদ

ফরমান: “সৃষ্টিকুলে আল্লাহর ৩০০ জন

আউলিয়া কেরাম আছেন, যাঁদের অন্তর হযরত

আদম আলাইহিস সালামের মতো। চল্লিশজন

আছেন যাঁদের অন্তর হযরত মূসা আলাইহিস্

সালামের মতো। সাতজন আছেন যাঁদের অন্তর

হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালামের মতো।

পাঁচজন আছেন যাঁদের অন্তর হযরত জিবরীল

আমীন (আ:)-এর মতো। তিনজন আছেন

যাঁদের অন্তর হযরত মিকাঈল ফেরেশতার

মতো; আর একজন আছেন যাঁর অন্তর হযরত

ইসরাফিল ফেরেশতার মতো। যখন ওই একজন

(ইসরাফিলের অন্তরের মতো অন্তরবিশিষ্ট

জন) বেসালপ্রাপ্ত হন, তখন মিকাইলের

মতো অন্তরবিশিষ্ট তিনজনের মধ্য

থেকে একজন তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। আর জিবরাইল

আমীনের মতো অন্তরবিশিষ্ট পাঁচজনের

মধ্য থেকে একজন (পদোন্নতি লাভ করে) ওই

তিনজনের স্তরে উন্নীত হন।

একইভাবে সাতজনের স্তর থেকে পাঁচজনের

স্তরে পদোন্নতি হয়, এবং চল্লিশজনের মধ্য

থেকে কেউ একজন সাতজনের

স্তরে উন্নীত হন; আর তিন’শ জনের

থেকে কেউ একজন ৪০জনের

স্তরে উন্নীত হন। অতঃপর সাধারণ

মুসলমানদের মধ্য হতে কাউকে ৩০০জনের

স্তরে উন্নীত করা হয়। এই ৩৫৬ জন আউলিয়ার

জন্যেই সৃষ্টিকুলের হায়াত-মওত নির্ধারিত হয়,

ধরণীতে বৃষ্টিপাত হয়, জমিতে ফসল জন্মায়

এবং দুঃখকষ্ট দূর হয়।” [আবূ নুয়াইম কৃত ‘হিলইয়া’;

ইবনে আসাকির]

সমাপ্ত

Top