১) হযরত আবূ হুরাইরা (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু)
বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান: আমার উম্মতের ভেতরে আমাকে সেসব লোকই বেশি ভালোবাসবে – যারা আমার (ওফাতের) পরে আসবে! তাঁদের কেউ এমন ইচ্ছেও পোষণ করবে যে, যদি সে আমাকে দেখতো – তাহলে, আমার জন্যে সে তার পরিবার-পরিজন ও ধন- সম্পদও কুরবান করে দিতো
▪ (মিশকাত: ৬০২৪ ও মুসলিম শরীফাঈন)।
(২) হযরত আমর ইবনে শুয়াইব (রাদ্বিআল্লাহু ’আনহু) তাঁর বাবা থেকে এবং তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন, একদিন আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাহাবায়ে কেরামকে) জিজ্ঞেস করলেন: ঈমানের দিক থেকে কোন সৃষ্টি তোমাদের কাছে বিস্ময়কর?তাঁরা বললেন: ফেরেশতারা। তিনি ফরমালেন: তারা কি আর ঈমান না এনে পারে? তারা যে তাদের
পালনকর্তার কাছেই রয়েছে? তাঁরা বললেন: তাহলে, নবীগণ। তিনি ফরমালেন: তাঁরা কি আর ঈমান না এনে পারেন? তাঁদের প্রতি যে ওহী নাযিল হয়? তাঁরা বললেন: তাহলে, আমরা। তিনি ফরমালেন: আমি যেহেতু তোমাদের মাঝে প্রকাশিত রয়েছি – সেহেতু, তোমরাও কি আর ঈমান না এনে পারো? বর্ণনাকারী বলেন, এরপরে আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমালেন: আমার কাছে ঈমানের দিক দিয়ে ঐ
সৃষ্টি বেশি বিস্ময়কর – যে জাতি আমার (ইন্তেকালের) পরে আসবে এবং তারা আসমানী কিতাব (আল-কুরআন) পেয়ে – তাতে বর্ণিত বিধিবিধানের প্রতি ঈমান আনবে
▪ (মিশকাত: ৬০২৮ ও ইমাম বায়হাকীর দালায়িলুন নবুয়ত)।
(৩) হযরত আব্দুর রহমান ইবনে ’আলা হাদ্বরামী (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বলেন, জনৈক ব্যক্তি আমাকে জানিয়েছেন, তিনি নবীজীকে (সল্লাল্লাহুতা’ লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতে শুনেছেন: এ উম্মতের শেষ পর্যায়ে এমন এক সম্প্রদায় আসবে – যাদের নেক- আমলের সওয়াব তাদের প্রথম যুগের লোকদের (সাহাবায়ে কেরামের) সমতুল্য হবে, তারা মানুষজনকে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ করতে নিষেধ করবে এবং ফেতনাবাজদের সঙ্গে লড়াই
করবে
▪ (মিশকাত: ৬০২৯ ও ইমাম বায়হাকীর দালায়িলুন নবুয়ত)।
(৪) হযরত আবূ উমামা (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহুতা’
লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান:
দ যারা আমাকে দেখেছে – তাদের জন্যে (একবার) সুখবর। আর যারা আমাকে না দেখে আমার প্রতি ঈমান এনেছে – তাদের জন্যে সাতটি সুখবর ।
▪ (মিশকাত: ৬০৩০ ও মুসনাদে আহমাদ)!
(৫) হযরত ইবনে মুহাইরিঝ (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বলেন, একদিন আমি অন্যতম সাহাবী আবূ
জুমুয়াকে (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বললাম:
আপনি আল্লাহর রাসূলের (সল্লাল্লাহুতা’
লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছ থেকে শুনেছেন – এমন একটি হাদীছ শরীফ আমাকে বলুন? তিনি বললেন: হাঁ; আমি তোমাকে চমৎকার একটি হাদীছ শরীফ বলবো! একদিন আমি আল্লাহর রাসূলের (সল্লাল্লাহুতা’ লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঙ্গে খাওয়া- দাওয়া করছিলাম। আবূ উবাইদা ইবনুল জাররাহও (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন: ওগো আল্লাহর রাসূল! আমাদের চেয়েও উত্তম কেউ আছে কি? কেননা, আমরা আপনার প্রতি ঈমান এনেছি এবং আপনার সঙ্গে থেকে জিহাদই করেছি। তিনি ফরমালেন: হাঁ; তোমাদের পরে এমনি এক সম্প্রদায় আসবে – যারা আমার প্রতি ঈমান আনবে; অথচ তারা আমাকে দেখি নি
▪ (মিশকাত: ৬০৩১, মুসনাদে আহমাদ ও সুনানে দারিমী)!
বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান: আমার উম্মতের ভেতরে আমাকে সেসব লোকই বেশি ভালোবাসবে – যারা আমার (ওফাতের) পরে আসবে! তাঁদের কেউ এমন ইচ্ছেও পোষণ করবে যে, যদি সে আমাকে দেখতো – তাহলে, আমার জন্যে সে তার পরিবার-পরিজন ও ধন- সম্পদও কুরবান করে দিতো
▪ (মিশকাত: ৬০২৪ ও মুসলিম শরীফাঈন)।
(২) হযরত আমর ইবনে শুয়াইব (রাদ্বিআল্লাহু ’আনহু) তাঁর বাবা থেকে এবং তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন, একদিন আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাহাবায়ে কেরামকে) জিজ্ঞেস করলেন: ঈমানের দিক থেকে কোন সৃষ্টি তোমাদের কাছে বিস্ময়কর?তাঁরা বললেন: ফেরেশতারা। তিনি ফরমালেন: তারা কি আর ঈমান না এনে পারে? তারা যে তাদের
পালনকর্তার কাছেই রয়েছে? তাঁরা বললেন: তাহলে, নবীগণ। তিনি ফরমালেন: তাঁরা কি আর ঈমান না এনে পারেন? তাঁদের প্রতি যে ওহী নাযিল হয়? তাঁরা বললেন: তাহলে, আমরা। তিনি ফরমালেন: আমি যেহেতু তোমাদের মাঝে প্রকাশিত রয়েছি – সেহেতু, তোমরাও কি আর ঈমান না এনে পারো? বর্ণনাকারী বলেন, এরপরে আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহুতা’লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমালেন: আমার কাছে ঈমানের দিক দিয়ে ঐ
সৃষ্টি বেশি বিস্ময়কর – যে জাতি আমার (ইন্তেকালের) পরে আসবে এবং তারা আসমানী কিতাব (আল-কুরআন) পেয়ে – তাতে বর্ণিত বিধিবিধানের প্রতি ঈমান আনবে
▪ (মিশকাত: ৬০২৮ ও ইমাম বায়হাকীর দালায়িলুন নবুয়ত)।
করবে
▪ (মিশকাত: ৬০২৯ ও ইমাম বায়হাকীর দালায়িলুন নবুয়ত)।
(৪) হযরত আবূ উমামা (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহুতা’
লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমান:
দ যারা আমাকে দেখেছে – তাদের জন্যে (একবার) সুখবর। আর যারা আমাকে না দেখে আমার প্রতি ঈমান এনেছে – তাদের জন্যে সাতটি সুখবর ।
▪ (মিশকাত: ৬০৩০ ও মুসনাদে আহমাদ)!
(৫) হযরত ইবনে মুহাইরিঝ (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বলেন, একদিন আমি অন্যতম সাহাবী আবূ
জুমুয়াকে (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) বললাম:
আপনি আল্লাহর রাসূলের (সল্লাল্লাহুতা’
লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছ থেকে শুনেছেন – এমন একটি হাদীছ শরীফ আমাকে বলুন? তিনি বললেন: হাঁ; আমি তোমাকে চমৎকার একটি হাদীছ শরীফ বলবো! একদিন আমি আল্লাহর রাসূলের (সল্লাল্লাহুতা’ লা ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সঙ্গে খাওয়া- দাওয়া করছিলাম। আবূ উবাইদা ইবনুল জাররাহও (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহু) আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন: ওগো আল্লাহর রাসূল! আমাদের চেয়েও উত্তম কেউ আছে কি? কেননা, আমরা আপনার প্রতি ঈমান এনেছি এবং আপনার সঙ্গে থেকে জিহাদই করেছি। তিনি ফরমালেন: হাঁ; তোমাদের পরে এমনি এক সম্প্রদায় আসবে – যারা আমার প্রতি ঈমান আনবে; অথচ তারা আমাকে দেখি নি
▪ (মিশকাত: ৬০৩১, মুসনাদে আহমাদ ও সুনানে দারিমী)!