খুব গুরুত্বপূর্ণ পোস্টঃ #Must_Share
২০ মিনিটে ২০ খতম আল-কুরআন এর ছাওয়াব! আর শবে কদরে তা ৪২ কোটি বার খতমের সওয়াব! নিজের বন্ধু, পরিবার-পরিজনকে জানান।

(উক্ত পোস্টের সংকলক, লেখক ও গবেষকঃ Masum Billah Sunny)

Share কেন করবেন?
⛔ রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন,আমার পক্ষ থেকে একটি বাণী হলেও [মানুষের কাছে] পৌঁছে দাও।
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩২৭৪)

আর Share/ পোস্ট করে মানুষকে জানালে কি লাভ?

⛔ "যে ব্যক্তি কল্যাণ ও সৎকাজের সুপারিশ করবে, সে তা থেকে অংশ পাবে এবং যে ব্যক্তি অকল্যাণ ও অসৎকাজের সুপারিশ করবে, সে তা থেকেও অংশ পাবে। ‘আল্লাহ সব জিনিসের প্রতি নজর রাখেন।"
(আল-কুর'আন, সুরা নিসা : ৮৫)।

⛔ রাসুল (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি ইসলাম ধর্মে কোনো সুন্নাতুন্ হাসানা তথা উত্তম প্রথা/রীতি প্রবর্তন করে, সে তার সওয়াব পাবে এবং যারা তার পরে এতে আমল করবে, তাদের সওয়াবও সে পেতে থাকবে, আর তাদের (পরবর্তী আমলকারীদের) সওয়াবেরও এতে কোন কমতি হবে না। অনুরূপ ভাবে কেউ যদি ধর্মে খারাপ কিছু সংযোজন করে আর কেউ তা অনুসরণ করে, সে ওই মন্দের জন্য দায়ী থাকবে।” [সহীহ মুসলিম : ৬৪৬৬] (সুবাহান্নাল্লাহ, আল্লাহু আকবার)

70 - 700 গুণ সওয়াবঃ

⛔ রাসুল (ﷺ) বলেন ‘আল্লাহ তাআলা বলেন, আদম সন্তানের প্রত্যেক আমল তার নিজের জন্য; তাতে তার সওয়াব ১০ থেকে ৭০০ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু রোযা নয়। রোযা হল আমার জন্য। আর আমি নিজে তার প্রতিদান দেব।’’ (বুখারী ও মুসলিম)

⛔ Calculation :
তাহলে বুঝা গেল, রোজা ছাড়া প্রতিটা ভাল কাজের সওয়াব ৭০ থেকে ৭০০ গুন পর্যন্ত বর্ধিত হয়ে থাকে সেখানে রমজানে আরো বেশি সওয়াব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। দেখুন আল্লাহ যদি চান (ইনশাআল্লাহ)
রমজান ও রমজান ব্যতীতঃ
⛔ (২০ খতম (গুণ) সর্বোচ্চ ৭০০ গুন সওয়াব) = ১৪০০০ খতমের সওয়াব পেতে পারেন মাত্র ২০ মিনিটে।
⛔ আর সুরা ক্বদর এ আছেঃ
শবে কদরে তা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। তার মানে এ রাতে ইবাদত ১০০০ মাস অপেক্ষা উত্তম। গাণিতিক হিসাবে :
(১০০০ মাস*৩০=৩০০০০ দিন (৮২ বছর) এই ১৪০০০ খতম এর সওয়াব হবে মাত্র ২০ মিনিটে ইনশাআল্লাহ। যা আনুমানিক ৪২০,০০০,০০০ (৪২কোটি বার কুরআন খতমের সওয়াব) (সুবহানআল্লাহ)

⛔ আমলের সওয়াব কি বর্ধিত হয়?

"কাজেই কুরআন হতে যতটুকু সহজসাধ্য আবৃত্তি করো। আল্লাহ দাও উত্তম ঋণ। তোমরা তোমাদের আত্মার জন্য যা কিছু অগ্রে (মৃত্যুর পূর্বে) পাঠাবে তা আল্লাহর নিকট উৎকৃষ্টরূপে এবং পুরষ্কার হিসেবে বর্ধিতরূপে পাবে। (সূরা মুজাম্মিল ২০)

20 মিনিটে 20 খতম আল-কুরআনের সওয়াবঃ
যত বেশি পড়বেন, শেয়ার করে অন্যকে জানাবেন তত বেশি সওয়াব হবে।

⛔ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, সুরা ফাতিহা ৩ বার পড়লে আল-কুরআন ২ বার খতমের সওয়াব হয়। [ইমাম কাজী সানাউল্লাহ পানিপথী (রহঃ) : তফসীরে মাযহারী ১ম, পৃ ১৫]

⛔ আয়তুল কুরসী ৪ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব হয়। (আয়তুল কুরসী হল সূরা আল-বাকারার ২৫৫ নং আয়াত)
(আহমদ, তফসীরে মাওয়াহিবুর রহমানঃ খন্ড ১১, পৃষ্ঠা- ১১, তফসীরে মাযহারী ২য় খন্ড, পৃ ৩১)

⛔ সুরা ইখলাস ৩ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব হয়। (সহিহ বুখারী ২য়, পৃ ৬৫০, মুসলিম, খন্ড ১ম, পৃষ্ঠা ২৭১)

⛔ সুরা ইয়াসিন ১ বার পড়লে ১০ খতম এর সওয়াব হয়। (সহিহ তিরমিযি ২য়, পৃ ১১৬)

⛔ সুরা কাফিরুন ৪ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব হয়। (সহিহ তিরমিযি ২য়, পৃ ১১৭)

⛔ সুরা যিলযাল ২ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব হয়। (সহিহ তিরমিযি ২য়, পৃ ১১৭)
সূরা যিলযালঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
উচ্চারণঃ
1. ইযা-ঝুলঝিলাতিল আরদুঝিলঝা-লাহা-।
2. ওয়া আখরাজাতিল আরদুআছকা-লাহা-।
3. ওয়া কা-লাল ইনছা-নুমা-লাহা-।
4. ইয়াওমাইযিন তুহাদ্দিছু আখবা-রাহা-।
5. বিআন্না রাব্বাকা আওহা-লাহা-।
6. ইয়াওমাইযিইঁ ইয়াসদুরুন্না-ছুআশতা-তাল লিউউরাও আ‘মা-লাহুম।
7. ফামাইঁ ইয়া‘মাল মিছকা-লা যাররাতিন খাইরাইঁ ইয়ারাহ।
8. ওয়া মাইঁ ইয়া‘মাল মিছকা-লা যাররাতিন শাররাইঁ ইয়ারাহ।

⛔ সুরা ক্বদর ৪ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব হয়।
[হাফিজুল হাদিস ইমাম সুয়ূতী (রহঃ) : তফসীরে দুররে মনসুর ৬ষ্ট, পৃ ৬৮০, মুসনাদে আহমদ, হাশিয়া, খন্ড ১ম, পৃষ্ঠা-২৮২]

সূরা ক্বদরঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
উচ্চারণঃ
1. ইন্নাআনঝালনা-হু ফী লাইলাতিল কাদর।
2. ওয়ামাআদরা-কা-মা-লাইলাতুল কাদর।
3. লাইলাতুল কাদরি খাইরুম মিন আলফি শাহর।
4. তানাঝঝালুল মালাইকাতু ওয়াররুহু ফীহা-বিইযনি রাব্বিহিম মিন কুল্লি আমর।
5. ছালা-মুন হিয়া হাত্তা-মাতলা‘ইল ফাজর।

⛔ সুরা নাসর ৪ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব হয়। (সহিহ তিরমিযি ২য়, পৃ ১১৭)
সূরা আন-নাসরঃ বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
উচ্চারণঃ
1. ইযা-জাআ নাসরুল্লা-হি ওয়াল ফাতহ।
2. ওয়ারাআইতান্না-ছা ইয়াদখুলূনা ফী দীনিল্লা-হি আফওয়া-জা-।
3. ফাছাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা ওয়াছতাগফিরহু ইন্নাহূকা-না তাওওয়া-বা-।

⛔ হযরত উবায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
সুরা আদিয়াত ২ বার পাঠের সওয়াব ১ খতম আল-কুরআনের সমান। [ইমাম সূয়ূতী (রহঃ) : দুররে মনসুর ৬ষ্ট, পৃ ৬৯৫, তফসীরে মাওয়াহিবুর রহমান, খন্ড ১ম, পৃষ্ঠা - ১৩]
সূরা আল-আদিয়াতঃ বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
উচ্চারণঃ
1. ওয়াল ‘আ-দিয়া-তি দাবহা-।
2. ফাল মূরিয়া-তি কাদহা-।
3. ফাল মুগীরা-তি সুবহা-।
4. ফাআছারনা বিহী নাক‘আ-।
5. ফাওয়াছাতানা বিহী জাম‘আ-।
6. ইন্নাল ইনছা-না লিরাব্বিহী লাকানূদ।
7. ওয়া ইন্নাহূ‘আলা-যা-লিকা লাশাহীদ।
8. ওয়া ইন্নাহূলিহুব্বিল খাইরি লাশাদীদ।
9. আফালা-ইয়া‘লামুইযা-বু‘ছিরা মা-ফিল কুবূর।
10. ওয়া হুসসিলা মা-ফিসসুদূর,
11. ইন্না রাব্বাহুম বিহিম ইয়াওমাইযিল্লাখাবীর।

⛔ সুরা তাকাসুর ১ বার পাঠ করলে ১০০০ আয়াত পাঠের সমান সওয়াব হয়। (বায়হাকী, মিশকাত ১ম, পৃ ১৯০)
সূরা আত-তাকাছুরঃ বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
উচ্চারণঃ
1. আলহা-কুমুত্তাকা-ছু র।
2. হাত্তা-ঝুরতুমুল মাকা-বির।
3. কাল্লা-ছাওফা তা‘লামূন।
4. ছু ম্মা কাল্লা-ছাওফা তা‘লামূন।
5. কাল্লা-লাও তা‘লামূনা ‘ইলমাল ইয়াকীন।
6. লাতারাউন্নাল জাহীমা
7. ছু ম্মা লাতারাউন্নাহা-‘আইনাল ইয়াকীন।
8. ছু ম্মা লাতুছআলুন্না ইয়াওমাইযিন ‘আনিন্না‘ঈম।

তাছাড়াও অন্যান্য সওয়াবের ভান্ডারঃ

⛔ দুরুদে লাখী ফরজের নামাজের পর ১ বার পড়লে ১ লক্ষ বার দুরুদ পাঠের সমান সওয়াব হয়।

⛔ দুরুদে মুকাদ্দাস পাঠ করার অগণিত ফজিলত রয়েছে তার মধ্যে গোটা কয়েকটা দিলামঃ
১) যেই ব্যক্তি এই দুরুদে মুকাদ্দাস পড়বেন, তিনি ৪০ জন বুজুর্গ ব্যক্তি, গাউস, কুতুব, আবদাল, আউলিয়া কেরামের সমান সওয়াব পাবেন এবং তাঁর ছোট বড় সমস্ত গোনাহ এর উসীলায় মাফ  করে দেয়া হবে। তাঁর জানাজায় এত সংখ্যক ফেরেশতা শরীক হবেন যার সংখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ নির্ণয় করতে পারবে না।

⛔ লক্ষ-কোটি নেকী অর্জনের সহজ পন্থা।
উচ্চারণঃ
"আল্লা-হুম্মাগফিরলী ওয়া লিকুল্লি মু'মিনিওঁ ওয়া মু'মিনাহ্।"
ফযীলতঃ
নবী করীম (সল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি সমস্ত মু'মিন নর-নারীর জন্য গুনাহ মাফের দো'আ করবে, সে ব্যক্তির জন্য আল্লাহ্ তা'আলা প্রতিটি মু'মিন নর-নারীর পরিবর্তে একটি করে নেকী লিখে দেন।
(মুসনাদুশ শামিয়ীন লিত্ তাবরানী, খন্ড-২য়, পৃষ্ঠা-২৩৪)

⛔ ২০ লক্ষ নেকীর দোয়া :
" লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা'লাহু আহাদান সামাদান লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউ লাদ ওয়া লাম ইয়া কুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ।"
নবী করিম (ﷺ) ইরশাদ করেন, "যে ব্যক্তি ১ বার (এটা) পাঠ করবে তার আমল নামায় ২০ লক্ষ নেকী লিপিবদ্ধ হবে।"
[ইমাম ইবনে হাজর হায়সামী (রহঃ) : মাযমাউয যাওয়াইদঃ খন্ড ১০, পৃষ্ঠা ৮৫]

⛔ প্রতিরাতে কোরআন শরিফ থেকে ১০০ টি আয়াত পড়ুন, তাহলে সারারাত্রিতে টানা তাহায্যুদ নামায পড়ার সাওয়াব পাবেন। (সহিহুল জামে ৬৪৬৮) সূরা কদর থেকে সর্বশেষ সূরা নাস পর্যন্ত পড়তে পারেন। কম সময়ে অতি সহজে ১০০ আয়াত পূর্ন করতে পারবেন।

⛔ প্রতিরাতে কোরআন শরিফ থেকে ১০টি আয়াত পড়ুন। তাহলে আপনার আমলনামায় কিন্তার পরিমান সাওয়াব লিখা হবে। কিন্তার হল পৃথীবি ও তার মধ্যস্থ সকল কিছুর চেয়েও শ্রেষ্ঠ। ( সহিহ তারগিব ৬৩৮)

⛔ বেশি বেশি "সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি" জিকিরটি করবেন। একবার "সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি" পাঠ করা হলো আল্লাহর রাস্তায় পাহাড় পরিমান স্বর্ণ দান করার চেয়েও উত্তম। ( সহীহ আত তারগীব ১৫৪১, তাবারানি ফিল কাবির ৭৭৯৫)

⛔ উম্মু হানি (রা) রাসূল (ﷺ) এর নিকট এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি বৃদ্ধ ও দুর্বল হয়ে গিয়েছি, আমাকে এমন একটি আমল শিখিয়ে দিন যা আমি বসে বসে পালন করতে পারবো। তিনি বলেনঃ
-" তুমি ১০০ বার "সুব'হা-নাল্লাহ" বলবে তাহলে ১০০টি ক্রীতদাস মুক্ত করার সমপরিমাণ সাওয়াব তুমি পাবে।
- তুমি ১০০ বার "আল হামদু লিল্লাহ" বলবে, তাহলে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধের জন্য ১০০ টি সাজানো ঘোড়ায় মুজাহিদ প্রেরণের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে।
- তুমি ১০০ বার "আল্লাহু আকবার" বলবে, তাহলে ১০০টি মাকবুল উট কুরবানির সমপরিমাণ সাওয়াব তুমি পাবে।
- তুমি ১০০ বার "লা-ইলাহা ইল্লাহ" বলবে, তাহলে তোমার সাওয়াবে আসমান ও জমীন পূর্ণ হয়ে যাবে। [সূত্রঃ মুসনাদে আহমাদ ৬/৩৪৪, সুনানু ইবনু মাজাহ ২/১২৫২,নং ৩৮১০, নাসাঈ, কুবরা ৬/২১১, মুসতাদারাক হাকিম ১/৬৯৫, মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/৯২; আলবানী সহীহাহ ৩/৩০২,৩৯০,নং ১৩১৬]

⛔ মসজিদে ফরয নামায পড়তে গেলে বাড়ি থেকে ওযু করে যাবেন। তাহলে আপনার আমলনামায় একটি কবুল হজ্জের সাওয়াব লেখা হবে। (মিশকাত ৭২৮)


পরিশেষে,

প্লিজ শেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন। ইনশাআল্লাহ এতে করে কেউ শিখলে, আমল করলে কিয়ামতের আগ পর্যন্ত সকলের সওয়াব আপনার আমলনামায় পৌঁছাতে থাকবে।

Top