জিন্দা অলীর জীবন্ত কারামত।
আওলাদে রাসুল হযরত সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী) ওনার একটি কারামত।
👉 আওলাদে রাসুল আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ হুজুরের নিকট বায়াত হওয়া সম্পর্কিত একটি ঘটনা জানতে চেয়ে আবদার করেছিলেনঃ
(মুহাম্মদ আতিকুল ইসলাম)
👉 উক্ত ঘটনাটির বর্ননাকারী/সংকলকঃ
(মাসুম বিল্লাহ সানি)
[ব্লগার, Sunni-Encyclopedia]
[স্বপ্নদ্রষ্টা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক]

_________________________

👉 স্বপ্নদ্রষ্টা মুরিদের বক্তব্যঃ


  • একদল মানুষ আছে যারা মিথ্যা কাহিনী বর্ণনা করে নিজেদের পীরের প্রশংসায় রত থাকে। তাদের উপর লানত।
  • অপর দল মানুষ আছে যারা সত্যিকে মিথ্যা বলে প্রচার করে। তাদের উপরও লানত।
  • নিজেদেরকে মহৎ প্রমাণ করতে কিংবা রিয়া করার উদ্দেশ্যে কিংবা নিজেকে কামেল প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে যারা স্বপ্নের ঘটনা বর্ননা করে তাদের উপর লানত।
  • আর যারা ভুল কাহিনী দ্বারা ইচ্ছাকৃত ভাবে স্বপ্নের ভুল বিবৃতি করে। তাদের উপরও আল্লাহর লানত।
  • আমি আল্লাহর কসম করে উক্ত ঘটনার স্বীকৃতি জানাচ্ছি। যদি আমার বর্ণিত স্বপ্নটি মিথ্যা হয়ে থাকে তবে আমার উপরও আল্লাহর লানত হোক।
  • (সুতরাং আমি সত্যি বলছি এতে বিশ্বাস রাখতে পারেন। আস্তাগফিরুল্লাহ। ইয়া আল্লাহ অজ্ঞাতবশত ভুল ত্রুটি ক্ষমা করুন)

👉 স্বপ্নের পূর্বের ঘটনাঃ


[স্বপ্নদ্রষ্টার বক্তব্য হুবুহু]
  • আমি তখনও হুজুর কেবলার নিকট বায়াত হইনি।
  • → এক বছর চিন্তা করেছি কার কাছে বায়াত হব?
  • → পরের বছর নিজেকে নির্দিষ্ট করলাম হুজুরের নিকট বায়াত হয়ে যাব কিন্তু হতে পারলাম না।
  • → এর পরের বছর হুজুর রবিউল আওয়াল মাসে জশনে জুলুশের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে আসলেন। আসার পরও হুজুর কেবলার সাথে দেখা করতে যাওয়া হয়নি। আমি বায়াত হব এটা ইতিমধ্যে মন থেকে নিশ্চিত করে ফেলেছি কিন্তু তাও কয়েকজনের সাথে এমনিতেই এ ব্যাপারে কথা বলছিলাম।
  • তখন একজন পীরের সাথে কথা বলার সময় : [তার নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছি না, হয়ত রাগান্বিত মনোভাব প্রকাশ করবে তাই]
  • উক্ত পীর সাহেব বললেন,তোমার এমন কারো নিকট বায়াত হওয়া উচিত যাকে তুমি চাইলেই দেখে মনের যন্ত্রনা মিটাতে পারবে, যার সংস্পর্শে তুমি থাকতে পারবে। কারণ প্রত্যেক মুরিদ তার পীরের সংষ্পর্শে থাকতে চায় তাকে এক নজর দেখতে চায়। আল্লামা তাহের শাহ হুজুর প্রতি বছরে একবার আসেন তুমি ওনাকে চাইলেও ইচ্ছামত দেখতে পারবে না, সংষ্পর্শে থাকতে পারবে না। সুতরাং পীরের সংষ্পর্শে থাকার যে ফয়েজ ও সুযোগ তা আর পাবে না।
  • তিনি আরো বললেন,তিনি নিজেও হুজুর কেবলার সাথে এক নজর দেখা করার জন্য অনেক চেষ্টা করছেন কিন্তু সুযোগ হয় নি।
  • আমি একটু চিন্তিত হয়ে পরলাম কিন্তু মনের ইচ্ছা বদল করি নি।


👉 স্বপ্নের ঘটনাঃ

[স্বপ্নদ্রষ্টার বক্তব্য হুবুহু]
তারিখ : ২০১৬ সালের রবিউল আউয়াল মাস [পবিত্র মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর মাস]


  • সেই মুরিদ বললঃ "আলহামদুলিল্লাহ্‌ ঐদিন রাতে যা দেখলাম চক্ষু ও অন্তর দুইটাই শীতল হয়ে গেল।
  • হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) এর পবিত্র নাম মুবারক আসমানে ধবধবে সাদা মেঘের আকৃতিতে দেখলাম। [মেঘ দিয়ে আরবিতে মুহাম্মদ নাম লিখা]
  • যার সংখ্যা একটা নয় ১০/১২টা হবে আরবিতে সবগুলো নাম"[মুহাম্মদ - محمد‎]"লিখা ছিল যা সাদা মেঘের দ্বারা উদ্ভাসিত। [ﷺ]
  • নামগুলো সাদা মেঘের তৈরি ছিল সেই সাথে মেঘের আড়াল থেকে সূর্যের আলো পড়ায় সেগুলো সব ঝলমল করছিল।
  • আমি এই দৃশ্য দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলাম আলহামদুলিল্লাহ্‌ বলতে বলতে এক লাফ মেরে ঘুম থেকে উঠে বসে পড়লাম।"(যা মনের অজান্তেই এত আনন্দে আত্মহারা) 
  • অতঃপর অত্যন্ত আফসোস করলাম এই ভেবে যে, যদি না জেগে আরেকটু সময় স্বপ্নটা দেখতাম! :'(


[স্বপ্নের ঘটনা শেষ]

👉 স্বপ্ন পরবর্তী ঘটনাঃ

[স্বপ্নদ্রষ্টা আরো বলল]
  • সেই স্বপ্নটা দেখার পর ঘুম থেকে উঠে তা হুবুহু ডাইরীতে লিখে রাখি। ঐ দিন জুমার নামাজের পর খতিব সাহেবের নিকট ঘটনাটা জানালাম। তিনি বললেন খুবই উত্তম স্বপ্ন দেখেছেন। ঐ পীরের সাথে আবার ফোনে কথা হল (যিনি মানা করেছিলেন) তিনি জানালেন তিনি স্বয়ং নিজেই হুজুর কেবলাকে দেখেছেন। আর তিনি পরবর্তীতে হুজুরের সঙ্গে সাক্ষাত করার অনুমতিও পেয়েছিলেন। এরপর জানা নেই কি করেছেন।
  • আর এর কিছুদিনের মধ্যেই আমি হুজুর কেবলার নিকট বায়াত হয়েছিলাম। এই স্বপ্নের পর জাগ্রত অবস্থায় বহুদিন পর্যন্ত আসমানের দিকে তাকালেই মেঘের মধ্যে কখনো আল্লাহ, কখনো মুহাম্মদ (ﷺ) নাম আবার কখনো বা আল্লাহ ও মুহাম্মদ (ﷺ) নাম মুবারক একত্রে দেখেছি। আর এমনটা মনে হত যে আসমানে তাকালেই কোন না কোন জায়গায় মুহাম্মদ (ﷺ) এর নাম মুবারক দেখতে পাব সেইজন্য প্রতিদিনই বহুবার আসমানের পানে তাকিয়ে থাকতাম আর মুহাম্মদ (ﷺ) এর নাম মুবারক দেখতে পেতাম।
  • প্রতিদিন এমন দৃশ্য দেখতে পেতাম আর মনে প্রশান্তি লাভ করতাম।
  • আমার আমল ও আখলাকে, চিন্তা-ভাবনায় তখন অনেক পরিবর্তন এসেছিল। দীর্ঘদিন যাবৎ এমন অবস্থা বিরাজমান ছিল।
  • সব মূলত আমার মুর্শিদ কেবলা হযরত সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী) এর উসীলায় আমি পেয়েছিলাম। (আলহামদুলিল্লাহ্‌)

[স্বপ্ন দ্রষ্টার স্বপ্ন দেখার পরবর্তী অবস্থা বর্ণনা শেষ হল]

বুঝানোর জন্যঃ
স্বপ্নে দেখা মুহাম্মদ (ﷺ) নামের (ধরণ) আকৃতি ছিল নিম্নে ছবিটার মত লেখার ধরণ।

Top