খাওয়ার পূর্বে এবং পরে দো‘আ

১. ইফতারের সময় রোযাদারের দো‘আ

(1) «ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ العُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ».

(যাহাবায-যামাউ ওয়াবতাল্লাতিল ‘উরূকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশা-আল্লা-হু)।

(১) “পিপাসা মিটেছে, শিরাগুলো সিক্ত হয়েছে এবং আল্লাহ্‌ চান তো সওয়াব সাব্যস্ত হয়েছে।”[1]

(2) «اللَّهُمَّ  إِنِّي أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ أَنْ تَغْفِرَ لِي».

(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিরহ্‌মাতিকাল্লাতী ওয়াসি‘আত কুল্লা শাই’ইন আন তাগফিরা লী)।

(২) “হে আল্লাহ! আপনার যে রহমত সকল কিছু পরিব্যাপ্ত করে রেখেছে তার উসীলায় আবেদন করি, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।”[2]

 

২. খাওয়ার পূর্বে দো‘আ

(১) “যখন তোমাদের কেউ আহার শুরু করে তখন সে যেনো বলে,

«بِسْمِ اللَّهِ»

(বিসমিল্লাহ)

“আল্লাহর নামে।” আর শুরুতে বলতে ভুলে গেলে যেন বলে,

«بسمِ اللَّهِ فِي أَوَّلِهِ وَآخِرِهِ»

(বিস্‌মিল্লাহি ফী আওওয়ালিহী ওয়া আখিরিহী)

“এর শুরু ও শেষ আল্লাহ্‌র নামে।”[3]

(২) “যাকে আল্লাহ কোনো খাবার খাওয়ায় সে যেন বলে,

« اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَأَطْعِمْنَا خَيْراً مِنْهُ».

(আল্লা-হুম্মা বারিক লানা ফীহি ওয়া আত‘ইমনা খাইরাম-মিনহু)।

“হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে এই খাদ্যে বরকত দিন এবং এর চেয়েও উত্তম খাদ্য আহার করান।”

আর আল্লাহ্‌ কাউকে দুধ পান করালে সে যেন বলে:

«اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهِ وَزِدْنَا مِنْهُ».

(আল্লা-হুম্মা বারিক লানা ফীহি ওয়াযিদনা মিনহু)।

“হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে এই খাদ্যে বরকত দিন এবং আমাদেরকে তা থেকে আরও বেশি দিন।”[4]

 

৩. আহার শেষ করার পর দো‘আ

(1) «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي هَذَا، وَرَزَقَنِيهِ، مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّةٍ».

(আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত‘আমানী হা-যা ওয়া রাযাকানীহি মিন গাইরি হাউলিম মিন্নী ওয়ালা কুওয়াতিন)।

(১) “সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, যিনি আমাকে এ আহার করালেন এবং এ রিযিক দিলেন যাতে ছিল না আমার পক্ষ থেকে কোনো উপায়, ছিল না কোনো শক্তি-সামর্থ্য।”[5]

(2) «الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْداً كَثِيراً طَيِّباً مُبَارَكاً فِيهِ، غَيْرَ [مَكْفِيٍّ وَلاَ ] مُوَدَّعٍ، وَلاَ مُسْتَغْنَىً عَنْهُ رَبَّنَا».

(আলহামদু লিল্লা-হি হামদান কাসীরান তায়্যিবান মুবা-রাকান ফীহি, গাইরা মাকফিয়্যিন ওয়ালা মুয়াদ্দা‘ইন, ওয়ালা মুসতাগনান ‘আনহু রব্বানা)।

(২) “আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা; এমন প্রশংসা যা অঢেল, পবিত্র ও যাতে রয়েছে বরকত; [যা যথেষ্ট করা হয় নি], যা বিদায় দিতে পারব না, আর যা থেকে বিমুখ হতে পারব না, হে আমাদের রব্ব!”[6]

 

৪. হাঁচির দো‘আ

(১) তোমাদের কেউ হাঁচি দিলে বলবে,

«الْحَمْدُ لِلَّهِ»

(আলহামদু লিল্লা-হি)

“সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র” এবং তার মুসলিম ভাই বা সাথী যেন অবশ্যই বলে,

« يَرْحَمُكَ اللَّهُ »

(ইয়ারহামুকাল্লা-হ)

“আল্লাহ আপনাকে রহমত করুন”। যখন তাকে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা হয়, তখন হাঁচিদাতা যেন তার উত্তরে বলে,

« يَهْدِيكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ».

(ইয়াহ্‌দীকুমুল্লা-হু ওয়া ইউসলিহু বা-লাকুম)

“আল্লাহ আপনাদেরকে সৎপথ প্রদর্শন করুন এবং আপনাদের অবস্থা উন্নত করুন।”[7]

 

৫. কাফের ব্যক্তি হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বললে তার জবাবে যা বলা হবে

(2) «يَهْدِيكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ».

(ইয়াহদীকুমুল্লাহু ওয়া ইউসলিহু বা-লাকুম)।

“আল্লাহ আপনাদেরকে সৎপথ প্রদর্শন করুন এবং আপনাদের অবস্থা উন্নত করুন।”[8]

 

ফুটনোট

হাদীসটি সংকলন করেছেন আবূ দাউদ ২/৩০৬, নং ২৩৫৯ ও অন্যান্য। আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৪/২০৯।হাদীসটি সংকলন করেছেন, ইবন মাজাহ্‌ ১/৫৫৭, নং ১৭৫৩; যা মূলত আবদুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমার দো‘আ। আর হাফেয ইবন হাজার তাঁর তাখরীজুল আযকারে এটার সনদকে হাসান বলেছেন। শরহুল আযকার, ৪/৩৪২।হাদীসটি সংকলন করেছেন আবূ দাঊদ ৩/৩৪৭, নং ৩৭৬৭; তিরমিযী, ৪/২৮৮, নং ১৮৫৮। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ২/১৬৭।তিরমিযী ৫/৫০৬, নং ৩৪৫৫। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৫৮।হাদীসটি নাসাঈ ব্যতীত সকল সুনান গ্রন্থকারগণ সংকলন করেছেন। আবূ দাউদ, নং ৪০২৫; তিরমিযী, নং ৩৪৫৮; ইবন মাজাহ, নং ৩২৮৫। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ৩/১৫৯।বুখারী ৬/২১৪, হাদীস নং ৫৪৫৮; তিরমিযী, আর শব্দটি তাঁরই, ৫/৫০৭, নং ৩৪৫৬।বুখারী ৭/১২৫, নং ৫৮৭০।তিরমিযী ৫/৮২, নং ২৭৪১; আহমাদ ৪/৪০০, নং ১৯৫৮৬; আবু দাউদ, ৪/৩০৮, নং ৫০৪০। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ২/৩৫৪।

Top