শানে আউলিয়াকেরাম
তাসাউফ ও সুফীদের গুরুত্ব বুঝতে লেখাটি পডুন এবং অন্যকেও লেখাটি শেয়ার করুন।
♣ হযরত সুফিয়ানে সাওরী রাঃ বলেন,যে পর্যন্ত আমি আবুল হাশেম সুফীকে দেখিনি ততদিন সুফী কাকে বলে আমি জানতামনা।তাছাডা সুফীদের জন্য সিরিয়ায় তিনিই প্রথম খানকাহ তৈরী করেছেন।
এই খানকাহ প্রতিষ্ঠা হওয়ার একটা কারন এই ছিলো যে,এক মুর্তিপুজক সর্দার এক সময় শিকারে বের হয়েছিলেন। পথে তিনি দুজন বন্ধু পরস্পর বাহু জডিয়ে হাঁটছিলো এবং এক জায়গায় বসে একজনের খাবার দুজনে ভাগ বাটোয়ারা করে খেলো।তাদের ভালোবাসা দেখে সর্দার জানতে চাইলো ‘তেমার অপর বন্ধুটি কে? তিনি জবাব দিলেন জানিনা।আচ্ছা লোকটি কেনদিক থেকে এসেছিলো? জবাবে লোকটি বললো তাও জানিনা।সর্দার আবারও জানতে চাইলো, তাহলে তোমাদের মাঝে এতো ভালোবাসা এটা কি করে সম্ভব?
দরবেশটি জবাব দিলেন,এটাই সুফীদের আদর্শ।সর্দার বললেন, তোমাদের পরস্পর মিলিত হওয়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট ঠিকানা আছে? তিনি জবাব দিলেন, না।সর্দার বললেন, তোমাদের পরস্পরে জামায়েত হবার জন্য আমি একটা জায়গা তৈরী করে দিবো।এভাবেই সিরিয়াতে একটি খানকাহ নির্মানে গোডাপত্তন তৈরী হয়।
★ নাফখাতুল ইনস ২২পৃষ্টা (মুল),১৭৭ পৃ (অনূদিত গ্রন্হ)।
সুফীদের আদর্শ অমুসলমিদেরকে ইসলামের প্রতি আগ্রহী করে তোলে, কারন তাদের আদর্শ ইসলামের প্র্যাকটিক্যাল আদর্শের আভ্যন্তরীন ও বাহ্যিক উভয়টি বাস্তব বহিঃপ্রকাশ।
তাছাডা সুফীয়ানে সাওরীর মত একজন তাবেয়ী স্বীকৃতি দিচ্ছেন, যদি শায়েখ আবুল হাশেম না হতেন তাহলে অলৌকিকতার অনেক সুক্ষ ও জটিল বিষয় সম্পর্কে আমি জানতামনা।
♣ এজন্য ইমাম মালেক রহঃ বলেন-
من تفقّهَ ولم يتَصَوَّف فقد تفسَّقَ ومن تصوَّفَ ولم
يتفقَّه فقد تزندقَ ومن جمع بينهما فقد تحقَّقَ
যে ব্যক্তি শরীয়ত (ফিকহ) মানে ও পালন করে, অথচ তাসাউফ অস্বীকার করে, সে ফাসিক।
পক্ষান্তরে যে শুধু তাসাউফ মানে ও পালন করে এবং শরীয়ত (ফিকহ) অস্বীকার করে সে জিন্দিক।কিন্তু যে উভয়টি মেনে চলে সে প্রকৃত মুমিন।
★ ইমাম সুলতান মোল্লা আলী কারী-
মিরকাতুল মাফাতীহ,কিতাবুল ইলম, ৩য় অনুচ্ছেদ ২/১৮০;
♣ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
اِستكثَروا من الاِخوانِ فإنّ لكلِّ مؤمنٍ شفاعةٌ يَومَ القيامةِ
আল্লাহর অগনিত নেক-বান্দাদের সাথে আত্বীয়তা ও ভালোবাসার যোগসসুত্র স্হাপন করো,কারন কিয়ামত দিবসে প্রত্যেক কামিল মুসলমানকে শাফা’আতের মর্যাদা দান করা হবে।যেন তার সাথে সম্পর্ক স্হাপনকারীদের সুপারীশ করা হয়।
★ ইমাম হিন্দিঃ কানজুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফ’আল,حرف الصاد،كتاب الصحبة من قسم الاقوال فى الترغيب فيها ،প্রথম অধ্যায়, হাদীস নং ২৪৬২৪২;
দ্র:প্রকৃত ঈমানদার হতে হলে তাসাউফের দিক্ষার জন্য আল্লাহর ওলীদের সংস্পর্শে আসতে হবে, কারন তারা শরীয়ত ও তরীকত,মা’রিফত, হাকীকতের পরিপূর্ন সন্ধান দানকারী।
দ্রঃ-ছারপোকার জন্য কম্বল ফেলে দেয়া যেমন মুর্খতা, তেমনিভাবে ভন্ডের কারনে সত্যিকারে সুফীদের বিরুদ্ধাচরন করাও মুর্খতা।বিশ্বের প্রতিটা সেক্টরে ভন্ড রয়েছে,কিন্তু দু একজনের জন্য সবাইকে ভন্ড বলা মুলত ইসলামের মৌলিক আদর্শ থেকে মুসলমানদেরকে দুরে রাখার একটা ভ্রান্হ প্রয়াস।
নিবেদক: (হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী)