দ্বিতীয় বিষয়:
আলোচ্য মসলকের স্বপক্ষে আয়াত ও রেওয়ায়েত
উল্লেখিত মসলক বা মতানুসারীদের স্বপে অনেকগুলো আয়াত এবং রেওয়ায়েত রয়েছে, যা ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এর বংশধরদের ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে।
প্রথম আয়াত
=======
আল্লাহতায়ালা বলেন-
واذ قال ابرهيم لابيه وقومه اننى براء مماتعبدون- الا الذى فطرنى فانه سيهدين- وجعلها كلمة باقية فى عقبه لعلهم يرجعون-
অর্থ: যখন ইব্রাহিম তাঁর পিতা ও সম্প্রদায়কে বলল- তোমরা যাদের পূজা কর তাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই। তবে আমার সম্পর্ক তার সাথে যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। অতএব তিনিই আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করবেন। এ কথাটিকে সে অয় বাণীরূপে তার সন্তানদের মধ্যে রেখে গেছে। যাতে তারা প্রবত্যাবর্তন করে। (যুখরুফ- ২৬-২৮)
এ আয়াতের তাফসিরে আব্দ বিন হুমাইদ সনদসহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন-
قال لا اله الا الله باقية فى عقب ابراهيم
অর্থ: ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এর বংশধরদের মধ্যে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ কালিমাটি অবশিষ্ট ছিল।
এমনিভাবে আব্দ বিন হুমাইদ ইবনে জারির এবং ইবনে মুনজির প্রত্যেকে হযরত মুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেছেন। এখানে কালিমা দ্বারা মুরাদ হল ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’।
আব্দ বিন হুমাইদ বলেন- আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন ইউনুস। তিনি শাইবান থেকে। তিনি কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে-
قال شهادة ان لا اله الا الله فا لتوحيد لا يزال فى ذريته من يقولها من بعده-
অর্থ: কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এর বংশধরদের মধ্যে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর শাহাদত এবং তাওহীদ সর্বদা বিদ্যমান ছিল।
ইমাম আব্দুর রাজ্জাক তাঁর তাফসির গ্রন্থে মা’য়মার থেকে তিনি কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন।
قال الاخلاص والتوحيد لايزال فى ذريته من يوحد الله ويعبده
অর্থ: কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- ইখলাস এবং তাওহীদ ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এর সন্তানদের মধ্যে সবসময় বিদ্যমান ছিল। তারা আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী ছিল এবং আল্লাহর ইবাদত করত।
দ্বিতীয় আয়াত
=====
আল্লাহ বলেন-
واذ قال ابرهيم رب اجعل هذا البلد امنا واجنبنى وبنى ان نعبد الاصنام-
অর্থ: যখন ইব্রাহিম বলল- হে প্রভু এ শহরকে নিরাপদ করে দিন এবং আমাকে ও আমার সন্তান সন্ততিকে মূর্তিপূজা থেকে দূরে রাখুন। (ইব্রাহিম- ৩৫)
ইবনে জারির স্বীয় তাফসির গ্রন্থে মুজাহিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন-
قال فاسجاب الله لابراهيم دعوته فى ولده فلن يعبد احد من ولده صنما بعد دعوته- واستجاب الله له وجعل هذا البلد أمنا ورزق اهله من الثمرات وجعله اماما وجعل من ذريته من يقيم الصلوة-
অর্থ: মুজাহিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- আল্লাহতায়ালা ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এর দোয়ার জবাব দিয়েছিলেন তাঁর সন্তানদের মাধ্যমে। এজন্য তাঁর দোয়ার পর তাঁর সন্তানদের মধ্যে কেউ কখনো মূর্তিপূজা করেনি। আল্লাহ ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এর দোয়ার কারণে এ শহরকে নিরাপদ রাখেন এবং এর অধিবাসীদেরকে বিভিন্ন ফলমূল দ্বারা খাবারের ব্যবস্থা করেন। আল্লাহ তাকে ইমাম মনোনীত করেন এবং তাঁর সন্তানদেরকে নামায প্রতিষ্ঠাকারী করেন।
এতে কোন সন্দেহ নাই যে বাইতুল্লাহ শরীফের অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিতৃপুরুষদের মধ্যেই নির্দিষ্ট ছিল। ইব্রাহিম আলাইহিসসালাম এর অন্যান্য বংশধরগণ এ দায়িত্ব পায়নি।
অবশেষে আমর আল খাযায়ী তাদের কাছ থেকে এ দায়িত্ব জোরপূর্বক নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আবার তাদের কাছে এ দায়িত্ব ফিরে আসে-
فان اولى الناس به سلسة الاجداد الشريفة الذين خصوا بالاصطفاء وانتقل اليهم نور النبوة واحدا بعد واحد- فهم اولى بان يكونواهم البعض المشار اليهم- فى قوله- رب اجعلنى مقيم الصلوة ومن ذريتى-
অর্থ: অতএব সর্বোত্তম লোক হলেন রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পূর্বপুরুষদের নসবনামা। তাদেরকেই নবীজীর জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এবং তাদের মাধ্যমেই নবুয়তের নূর মোবারক ক্রমান্বয়ে স্থানান্তরিত হয়েছে। সুতরাং আল্লাহর বাণীর মধ্যে যে বংশধরদের কথা বলা হয়েছে তাদের অধিক হকদার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পূর্বপুরুষগণ। আল্লাহর বাণী- হে প্রভু আমাকে নামায প্রতিষ্ঠাকারী কর এবং আমার বংশধরদের থেকে। (ইব্রাহিম-৪০)
ইবনে আবি হাতিম সুফিয়ান বিন উয়াইনা থেকে বর্ণনা করেছেন-তাকে প্রশ্ন করা হল ‘ইসমাইল আলাইহিস সালাম এর সন্তানদের মধ্যে কি কেউ মূর্তিপূজা করেছে? তিনি বলেন- ‘না’ তুমি কি শুননাই আল্লাহর বাণী- واجنبنى وبنى ان نعبد الاصنام অর্থ: আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে মূর্তিপূজা থেকে দূরে রাখুন। (ইব্রাহিম- ৩৫)
প্রশ্ন করা হল ‘ইসহাক আলাইহিস সালামের সন্তান এবং ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এর অন্যান্য সন্তানগণ কিভাবে এর অন্তর্ভুক্ত হলেন না?
তিনি বললেন- কারণ ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম শুধুমাত্র এ শহরের অধিবাসীদের জন্য দোয়া করেছিলেন তারা যেন মূর্তিপূজা না করে। তিনি অন্যান্য শহরের জন্য দোয়া করেননি। যেমন বলেছিলেন- আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে মূর্তিপূজা থেকে দূরে রাখুন। এখানে তিনি শুধুমাত্র তাঁর পরিবারকে নির্দিষ্ট করেছিলেন। যেমন আল্লাহর বাণী-
ربنا انى اسكنت من ذريتى بواد غير ذى زرع عند بيتك المحرم ربنا ليقيموا الصلوة-
অর্থ: হে আমাদের প্রভূ আমি আমার এক সন্তানকে তোমার পবিত্র ঘরের সন্নিকটে চাষাবাদহীন উপত্যকায় অবস্থান করিয়েছি। তারা যেন নামায কায়েম করে।
ইমাম সূয়ুতি বলেন- সুফিয়ান ইবনে উয়াইনার জবাবটি ল্য করুন। তিনি ছিলেন একজন মুজতাহিদ ইমাম এবং আমাদের শায়খ ইমাম শাফেয়ী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর শায়খ বা উস্তাদ।
তৃতীয় আয়াত
=====
আল্লাহতায়ালা ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এর ঘটনা সম্পর্কে বলেন-
رب اجعلنى مقيم الصلوة ومن ذريتى-
অর্থাৎ হে প্রভূ আমাকে নামায কায়েমকারী করুন এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। (ইব্রাহিম- ৪০)
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনুল মুনযির হযরত ইবনে জুরাইজ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন-
قال فلن يزال من ذرية ابراهيم نا س على الفطرة يعبدون الله-
অর্থ: তিনি বলেন- ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এর সন্তানদের মধ্যে সদাসর্বদা এমন কিছু লোক বিদ্যমান ছিল যারা ফিতরাতের উপর বিশ্বাসী ছিল এবং আল্লাহর ইবাদত করত।
চতুর্থ আয়াত
=====
আবু শায়খ তদীয় তাফসির গ্রন্থে যায়দ বিন আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন। যখন সারাকে একজন ফেরেশতা সুসংবাদ দিয়েছিলেন তখন সারা বলেছিলেন-
يويلتى ءالد وانا عجوز وهذا بعلى شيخا- ان هذا لشيئ عجيب-
অর্থ: কি দূর্ভাগ্য আমার, আমি সন্তান প্রসব করব? অথচ আমি বার্ধক্যে এসে পৌঁছেছি আর আমার স্বামীও বৃদ্ধ। এতো ভীষণ আশ্চর্য কথা। (হুদ- ৭২)
তখন সারার কথার জবাবে ফিরিশতা বললেন-
اتعجبين من امر الله رحمة الله وبركته عليكم اهل البيت انه حميد مجيد
অর্থ: তুমি আল্লাহর হুকুম সম্পর্কে বিস্ময়বোধ করছ? হে গৃহবাসীরা তোমাদের উপর আল্লাহর রহমত ও প্রভুর বরকত রয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ প্রশংসিত মহিমাময়। (হুদ- ৭৩)
বর্ণনাকারী বলেন- এ আয়াতটি আল্লাহর ঐ কথার মত- وجعلها كلمة باقية فىعقبه অর্থ: এবং এ কথাটিকে সে অয় বাণীরূপে তার সন্তানদের মধ্যে রেখে গেছে।
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর বংশীয় পূর্বপুরুষগণ ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এর সন্তানদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
আবুল হাসান মাওরিদির বক্তব্য
=====
অতঃপর দেখেছি ইমাম আবুল হাসান মওরিদি রাদিয়াল্লাহু আনহু সে দিকেই ইঙ্গিত করেছেন যা ইমাম ফখরুদ্দিন রাযী বর্ণনা করেছেন। তিনি স্বীয় اعلام النبوة গ্রন্থে বলেছেন- আম্বিয়ায়ে কিরামগণ হচ্ছেন আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও শ্রেষ্ঠ মাখলুকাত। আল্লাহ তাদেরকে তাঁর হক প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রতিনিধি নির্ধারণ করেছেন। তিনি তাদেরকে সম্মানিত বংশের মাধ্যমে মনোনীত করেছেন। অতএব তাদের নসবনামার কোন দোষত্রুটি কিংবা অশ্লীলতা ছিল না। যাতে করে মানুষের হৃদয়, প্রাণ তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। তাহলে তাদের আহ্বানে লোকজন দ্রুত সাঁড়া দিবে এবং তাদের নির্দেশ মান্য করবে। আল্লাহতায়ালা তাঁর প্রিয় রাসূলকে পবিত্র বৈবাহিকসূত্রে নির্বাচন করেছেন এবং তাঁকে বংশীয় ত্রুটি বিচ্যুতি থেকে হিফাজত রেখেছেন এবং তাকে পবিত্র পুরুষের পৃষ্ঠদেশ থেকে পবিত্র রেহেমের মাধ্যমে স্থানান্তরিত করেছেন। যেমন ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু আল্লাহর বাণী- وتقلبك فى السجدين আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন-
اى تقلبك من اصلاب طاهرة من اب بعد اب الى ان جعلك نبيا فكان نور النبوة ظاهرا فى أبائه-
অর্থ: পবিত্র নসবনামার মাধ্যমে আপনার স্থানান্তর তথা এক পিতা থেকে অন্য পিতার মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়ে আপনি নবী হিসেবে আগমন করেছেন। অতএব নবীজীর নবুয়তের নূর মোবারক তাঁর প্রত্যেক পিতৃপুরুষদের মধ্যে প্রকাশিত ছিল।
অতঃপর আল্লাহতায়ালা নবীজীর পিতা-মাতা থেকে তাঁর অন্য কোন ভাই-বোন অংশিদার করেননি। যাতে করে তাদের বিশুদ্ধতা চুড়ান্তভাবে নবীজীর সাথে সম্পর্কযুক্ত হয় এবং তাঁর মাধ্যমে তাদের বংশ তালিকা সমাপ্তি ঘটে।
অতএব আল্লাহতায়ালা নবীর সাথে অন্যান্যদের অংশিদারত্ব ও সাদৃশ্যতাকে দূরীভূত করেছেন। এজন্য বাল্যকালেই তাঁর পিতা মাতা ইন্তেকাল করেন। তিনি মাতৃগর্ভে থাকাবস্থায় তাঁর পিতা ইন্তেকাল করেন এবং ছয় বছর বয়সে তার মাতা ইন্তেকাল করেন।
আপনি যখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নসবনামা সম্বন্ধে অবগত হলেন এবং তাঁর পবিত্র মিলাদশরীফ সম্বন্ধে জানতে পারলেন তখন আপনি তাঁর সম্মানিত পিতৃপুরুষদের মর্যাদা সম্বন্ধে অবগত হলেন। তাদের মধ্যে কেউ অসৎ ও মন্দ চরিত্রের লোক ছিলেন না। বরং তারা প্রত্যেকেই ছিলেন সম্মানিত ও নেতৃস্থানীয় লোক। তাঁর নসবনামা ও মিলাদশরীফ ছিল নবুয়তের শর্তানুযায়ী পূতঃপবিত্র। এ পর্যন্ত হচ্ছে ইমাম মাওরিদির হুবহু বক্তব্য।
এমনিভাবে আবু জাফর আননুহাস- معانى القران গ্রন্থে- وتقلبك فى السجدين আয়াতের ব্যাখ্যায় বর্ণনা করেছেন-
روى عن ابن عباس انه قال تقلبه فى الظهور حتى اخرجه نبيا-
অর্থ: ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- নবীজীর প্রকাশের ব্যাপারে তাঁর স্থানান্তর। অবশেষে তিনি নবী হিসেবে প্রকাশিত হন।
হাফিজ শামসুদ্দিন দামেস্কীর কাসিদা
==========
এ প্রসঙ্গে হাফিজ শামসুদ্দিন বিন নাসিরুদ্দিন দামেস্কী রাদিয়াল্লাহু আনহু চমৎকারভাবে বর্ণনা করেছেন-
تنقل احمد نورا عظيما – تلأ لأ فى جباه الساجدينا
تقلب فيهم قرنا فقرنا – الى ان جاء خير المرسلينا
حفظ الاله كرامة لمحمد – أباءه الامجاد صونا لاسمه
تركوا السفاح فلم يصبهم عاره- من ادم حتى ابيه وأمه
অর্থ: আহমদ এর মহান নূর স্থানান্তরিত হয়েছে। ইহা সিজদাকারীদের ললাটে চাকচিক্যময় ছিল। যুগে যুগে তাদের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়েছে। অবশেষে আগমন করেন সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল। আল্লাহতায়ালা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামের বরকতে তাঁর মহান পিতৃপুরুষদেরকে মন্দ কাজ থেকে নিরাপদ রেখেছেন। তারা সবাই অশ্লীল কাজ থেকে মুক্ত ছিলেন। আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে তাঁর পিতা-মাতা পর্যন্ত প্রত্যেকে ছিলেন পুতঃপবিত্র।
ফায়দা
===
ইবনে আবি হাতিম স্বীয় তাফসির গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন-
عن عثمان بن عطاء عن ابيه قال بين النبى صلى الله عليه وسلم وبين ادم تسعة واربعون أبا-
অর্থ: উসমান বিন আত্বা তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন- তিনি বলেন আদম আলাইহিস সালাম থেকে নিয়ে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত ঊনপঞ্চাশ জন পিতৃপুরুষ ছিলেন।
Home
»
কিতাবঃ মাসালিকুল হুনাফা ফি ওয়ালিদাইল মোস্তফা (ﷺ)
» কিতাবঃ (পর্ব ৮) মাসালিকুল হুনাফা ফি ওয়ালিদাইল মোস্তফা (ﷺ)