আয়াতুল কুরছির ফজিলত
=============
‘নুরুল আনোয়ার’ নামক কিতাবের মুসান্নিফ মাওলানা মৌলভী হাফিজ শায়খ আহমদ মোল্লা জিউন হানাফী সিদ্দিকী আমিটভী যিনি বাদশাহ গাজি  আলমগীর আলাইহির রহমত এর উস্তাদ (ওফাত ১১৩০ হিজরি) তদীয় تفسرات احمدية ‘তাফসিরাতে আহমদীয়া’ নামক কিতাবের (পূরাতন ছাপা ১০১ পৃষ্ঠায়) اية الكرسى ‘আয়াতুল কুরছি’  এর ফজিলত সম্পর্কে  উল্লেখ করেন,

ولهذا ورد فى حقها الاحادث الصحاح حيث قال عليه السلام من قرء اية الكرسى دبر كل صلوة مكتوبة لم يمنعه من دخول الجنة الا الموت ولا يواظب عليها الا صديق او عابد- ومن قرأها اذا اخذ مضجعه امنه الله على نفسه وجاره وجار جاره  والابيات حوله ... سيد الايام يوم الجمعة وسيد الكلام القران وسيد  القران البقرة وسيد البقرة اية الكرسى وقال ماقرأت هذه الاية فى دار الا ليهجرها الشيطان  ثلثين يوما ولايدخلها ساحر او ساحرة اربعين ليلة وقال من قرأ اية الكرسى عند منامه بعث الله اليه ملكا يحرسه حتى يصلح وقال من قرأهاتين الايتين حتى يمسى حفظ بهما حتى يصبح وان قرأهما حين يصبح حفظ  حتى يمسى اية الكرسى واول حم المؤمن الى واليه المصير وقال ان اعظم اية فى القران اية الكرسى  من قرأبها بعث اليه ملكا يكتب حسناته ويمحو من سياته الى الغد من تلك الساعة هذا كله فى التفاسير والاحاديث-

ভাবার্থ: ‘আয়াতুল কুরছি’ তেলাওয়াত এর ফজিলতের ব্যাপারে অনেক সহিহ আহাদিসে  কারীমা রয়েছে, ছরকারে কায়েনাত হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নূরানী  ফরমান, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামাযের পর ‘আয়াতুল  কুরছি’ পাঠ করতে থাকবে, সে মরণের সঙ্গে সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং যে ব্যক্তি সদা-সর্বদায় মাঝে কোন ফাঁক না দিয়ে নিয়মিতভাবে ‘আয়াতুল কুরছি’ পাঠ করতে থাকবে, সে  সিদ্দিক অথবা আবিদ এর দর্জা লাভ করতে সক্ষম হবে। যে ব্যক্তি বিশ্রামের উদ্দেশ্যে স্বীয় বিছানায়   গিয়ে ‘আয়াতুল  কুরছি’ পাঠ করবে আল্লাহতা’য়ালা  তাকে নিরাপদে রাখবেন এবং তার পাড়া-প্রতিবেশি এবং এর  নিকটস্থ লোকজনসহ আশে-পাশের ঘরগুলোকেও আল্লাহতা’য়ালা নিরাপদে রাখবেন।... সপ্তাহের মধ্যে জুমুয়ার দিন হলো সর্বোত্তম এবং আল্লাহ তা’য়ালার কালামের মধ্যে সর্বোত্তম হলো কোরআনে কারীম এবং কোরআনে কারীমের মধ্যে সর্বোত্তম হলো ‘সূরায়ে বাকারা’ এবং সূরায়ে বাকারার মধ্যে সর্বোত্তম হলো اية الكرسى ‘আয়াতুল কুরছি’।

নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এরশাদ হলো, কোন ঘরে যখন ‘আয়াতুল কুরছি’ তিলাওয়াত করা হয়, এ ঘর থেকে শয়তান তিনদিন পর্যন্ত  দূরে অবস্থান করতে বাধ্য থাকে। এ ঘরের মধ্যে যাদুগির পুরুষ ও মহিলা চল্লিশদিন ও রাত পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে না।

অন্য রেওয়ায়েতে রয়েছে, যে ব্যক্তি ‘আয়াতুল’ কুরছি পাঠ করে ঘুমিয়ে পড়বে, আল্লাহতা’য়ালা   তার হেফাযতের জন্য একজন ফেরেশতা পাঠিয়ে দিবেন। ঐ ফেরেশতা ফজর   পর্যন্ত তাকে খোদাপ্রদত্ত ক্ষমতাবলে হেফাযত করবেন।

আয়াতুল কুরছি
========
الله لا اله الا هو ج الحى القيوم ج لا تاخذه سنة ولا نوم ط له ما فى السموت وما فى الارض ط من ذاالذى يشفع عنده الا باذنه ط يعلم ما بين ايديهم وما خلفهم ج ولا يحيطون بشىء من  علمه الا بما شاء ج وسع كرسيه السموت والارض ج ولا يئده حفظهما ج وهو العلى العظيم ০

Top