সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমের আমল :

ইমাম তিরমিযী র. হযরত ওয়াইল রা. এর হাদীসটি উল্লেখপূর্বক বলেন,

والعمل عليه عند أكثر أهل العلم يرون أن يضع الرجل ركبتيه قبل يديه وإذا نهض رفع يديه قبل ركبتيه.

অর্থাৎ এ হাদীস অনুসারে অধিকাংশ আলেমের আমল। তারা মনে করেন হাত রাখার পূর্বে হাঁটু রাখবে। এবং হাঁটুর পূর্বে হাত ওঠাবে।

ইবনে হিব্বানও এটাকে মুস্তাহাব বলেছেন। তিনি হাদীসটির উপর এই অনুচ্ছেদ-শিরোনাম দিয়েছেন,

باب ذكر ما يستحب للمصلي وضع الركبتين على الأرض عند السجود قبل الكفين

অর্থাৎ অনুচ্ছেদ-মুসল্লির জন্য সেজদার সময় যমীনে হাত রাখার আগে হাঁটু রাখা মুস্তাহাব হওয়ার আলোচনা সম্পর্কে। এমনিভাবে তার উস্তাদ ইবনে খুযায়মা র.ও এই হাদীস অনুসারে আমল করাকে সুন্নত বলেছেন। তিনি এই হাদীসকে রহিতকারী (ناسخ) এবং হাত আগে রাখার হাদীসকে রহিত (منسوخ) আখ্যা দিয়েছেন।

ইবনুল মুনযির র. ‘আলআওসাত’ গ্রন্থে লিখেছেন,

وقد تكلم في حديث ابن عمر ، قيل إن الذي يصح من حديث ابن عمر موقوف وحديث وائل بن حجر ثابت وبه نقول (٣/٣٢٧)

অর্থাৎ ইবনে উমরের হাদীসটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, সহীহ কথা হলো এটি ইবনে উমরের নিজস্ব আমল। আর ওয়াইল ইবনে হুজর রা. এর হাদীসটি প্রমাণিত। আমাদের মতও অনুরূপ।

ইবনে বাযের ফতোয়া

সৌদি আরবের প্রধান মুফতী শায়খ আব্দুল আযীয ইবনে বায রহ. বলেছেন,

والأفضل أن يقدم ركبتيه قبل يديه عند انحطاطه للسجود هذا هو الأفضل ،

অর্থাৎ সেজদায় যাওয়ার সময় হাত রাখার পূর্বে হাঁটু রাখাই উত্তম। (মাজমুউ ফাতাওয়া ইবনে বায)

ইবনে উছায়মীনের ফতোয়া

আরবের আরেকজন খ্যাতনামা আলেম শায়খ মুহাম্মদ ইবনে সালেহ ইবনে উছায়মীন রহ.ও একই কথা বলেছেন। তার ফতোয়াটি উদ্ধৃত হয়েছে তৎপ্রণীত ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম গ্রন্থে। (নং ২৪১) এটির বাংলা অনুবাদও প্রকাশিত হয়েছে।

Top