কিতাবঃ প্রিয়নবী (ﷺ) এর ২৫০ হাদিস
রচনায়ঃ মাওলানা সৈয়্যদ শাহমীর সােহেল
Posted by (Masum Billah Sunny)

ঈমান

১। রাসূল (ﷺ)  বলেন, ঈমান হলাে অন্তরে বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি এবং ইসলামের বুনিয়াদ বা মূল বিষয়ের উপর আমল করা।
(ইবনে মাজাহ)

২। রাসূল (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ আন্তরিকতার সাথে আল্লাহকে রব, ইসলামকে দ্বীন এবং হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) কে রাসুল হিসাবে মেনে নিয়েছে, সে ব্যক্তি ঈমানের প্রকৃত স্বাদ লাভ করেছে। (মুসলিম)।

৩। হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) বলেন, ঈমান হল- আল্লাহ, ফেরেস্তাগণ, নবী ও রাসূলগণ
কিতাব সমূহ, আখেরাত এবং তাকদিরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। (মুসলিম)

৪। হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) বলেন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ।
(তিরমিজি)

৫। হযরত মুহাম্মদ (ﷺ)বলেন, যার ভেতর আমানত নেই সে ঈমানদার নয়। (মুসলিম)

৬। হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) বলেন, সেই ব্যক্তি পূর্ণ ঈমানদার যার হাত ও মুখ হতে মুসলমানগণ নিরাপদ থাকেন। (বুখারি ও মুসলিম)

৭। রাসুল (ﷺ) বলেন,আল্লাহ তায়ালা ঈমান ছাড়া কোন আমল গ্রহন করেন না।
(তিরমিজি)।

৮। রাসুল (ﷺ) বলেন, আল্লাহর প্রতি ঈমান হল- আল্লাহকে ভালবাসা। (মুসনাদুল ফেরদাউস)

নামাজ

৯। হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) বলেন, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় কাজ হল, সময় মত নামায আদায় করা। (বুখারি ও মুসলিম)।

১০। হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) বলেন, কিয়ামতের দিন সর্ব প্রথম হিসাব হবে নামাজের যার নামাজ ঠিকভাবে হবে সে কৃতকার্য হবে। (তিরমিজি)।

১১। রাসুল (ﷺ) বলেন, সবচেয়ে ভাল স্থান হল মসজিদ এবং খারাপ জায়গা হল বাজার। (বায়হাকী)।

১২। হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) বলেন, একাকী নামাজ পড়া থেকে জামাতে নামাজ পড়লে ২৭ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। (বুখারী)

১৩। রাসুল (ﷺ) বলেন, যে ব্যাক্তি নিয়মিত নামাজ আদায় করে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (বুখারী)

১৪। হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) বলেন, তােমাদের সন্তানের বয়স ৭ বছর হলে তাদের নামাজ পড়ার নির্দেশ দাও। ১০ বছর হলে নামাজের জন্য শাসন কর (আবু দাউদ)

১৫। হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) বলেন, সবচেয়ে উত্তম আমল হলাে ঠিক সময় নামাজ আদায় করা। (বুখারী)

১৬। রাসুল (ﷺ) বলেন, মুমিন ও মুনাফিকের মধ্যে পার্থক্যের চিহৃ হল নামাজ।
(বুখারী ও মুসলিম)

১৭। হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) বলেন, মসজিদের দিকে থুথু ফেলবেনা।(ইমাম বুখারীঃ আল আদব আল মুফরাদ)

১৮। রাসুল (ﷺ) বলেন, ফরজ নামাজের পর সর্বোত্তম হলাে তাহাজ্জুদ নামাজ।
(মাকবুল ঈমান)

১৯। রাসুল (ﷺ) বলেন, নামাজ হল বেহেশতের চাবি। আর নামাজের চাবি হল পবিত্রতা। (তিরমিজি)

রােজা

২০। হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) বলেন, জাহান্নাম থেকে মুক্তির ঢাল হলাে রােজা। (মিশকাত)

২১। হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) বলেন, রােজা মানুষের জন্য (পাপাচার থেকে বিরত থাকার জন্য) ঢালস্বরুপ। যতক্ষণ পর্যন্ত তা ভঙ্গ না করে। (নাসারী)

২২। রাসুল (ﷺ) বলেন, প্রত্যেক জিনিসের যাকাত রয়েছে। শরীরের যাকাত হলাে রােজা। (ইবনে মাজাহ)।

২৩। হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) বলেন, আল্লাহ পাক বলেছেন রােজা একমাত্র আমার জন্য এবং এর প্রতিদান আমি নিজ হাতে প্রদান করব।(হাদিসে কুদসি)।

২৪। হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) বলেন, রমজানে দোজখের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় এবং আসমানে আল্লাহর রহমতের দরজা খুলে দেন এবং শয়তানদিগকে (আগুনের শিকল দ্বারা) বন্দি করে রাখেন।
(নাসায়ী)

২৫। হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) বলেন, রমজান মাসের প্রত্যেক রাতে আল্লাহ আনেক ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন।
(ইবনে মাজাহ)

২৬। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেন, যে ব্যক্তি রােজাদারকে পানি পান করাবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তাকে হাউজে কাউসারের পানি পান করাবেন। (ইবনে মাজাহ)

২৭। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেন, বেহেশতের ৮টি দরজা আছে। তার একটি হল রাইয়ান। এ দরজা দিয়ে কেবলমাত্র রােজাদাররাই প্রবেশ করবে।
(বুখারী ও মুসলিম)

২৮। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও মিথ্যা আমল পরিত্যাগ করল না তার জন্যে পানাহার পরিত্যাগ করার প্রয়ােজন নেই।
(বুখারী)

যাকাত

২৯। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেন, ব্যভিচারের কারণে দেশে মহামারি দেখা দেয়, আর  যাকাত আদায় না করলে দেশে মহামারি ও দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। (ছোহাহ)।

৩০। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেন, যে ব্যক্তি তার পালন করা পশুর যাকাত আদায় না
করবে, কিয়ামতের দিন ঐ পশু তার মালিককে আঘাত করবে এবং পদদলিত করতে থাকবে। (ছোহাহ)

৩১। রাসুল (সঃ) বলেন, যে যাকাত আদায় করে না তার কোন ইবাদাত কবুল হয় না।(আবু দাওদ) (ছােহাহ্)

৩২। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেন, তােমাদের সঞ্চয়কৃত অতিরিক্ত অর্থ পবিত্র করার জন্যে আল্লাহ তােমাদের উপর যাকাত ফরজ করেছেন। | (ছহাহাহ)

৩৩। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেন, যে ব্যক্তি হজ্জের উদ্দেশ্যে এহরাম বাঁধে তার পূর্বের সকল পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। (আবু দাউদ)

পবিত্রতা

৩৪। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেন, যখন কোন মুমিন ব্যক্তি অজু করে তখন তার সমস্ত গুনাহ্ ঝরে যায়। (নাসায়ী)

৩৫। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেন, অজু ছাড়া নামাজ হয়না আর হারাম ভাবে উপার্জিত মালের দান গ্রহনযােগ্য নয়। (বুখারী ও মুসলিম)

৩৬। রাসুল (স:) বলেন, মেসওয়াক মুখ পরিষ্কার করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধান করে।
(নাসায়ী)

Top