রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন জাহান্নামে ঐ ব্যক্তির শাস্তিই হবে সবচেয়ে কম যার দুটি জুতা ও জুতার ফিতা হবে আগুনের। সে তা পরিধান করবে ফলে তার মস্তক পানির মত টগবগ করতে থাকবে।
[বুখারীঃ- 8/144 (৬৫৬২), মুসলিমঃ- 1/135 (২১৩) (363) ও (364)]
ওরে বাবারে কি ভয়ংকর জায়গা জাহান্নাম। যেখানে সর্বনিম্ন শাস্তি হবে আগুনে মাথার মগজ সেদ্ধ করা সেখানে বড় শাস্তি কি হতে পারে ভাবলেই গা শিউরে উঠে।
“(জাহান্নামের) আগুন তাদের মুখমন্ডল জ্বালিয়ে দেবে, তাতে তাদের শরীর জ্বলে বীভৎস হয়ে যাবে” [সূরা আল মোমেনুন, আয়াত-১০৪]
তাদের চেহারা অগ্নিদগ্ধ হবে, উপরের ঠোটটি কুকড়ে মাথার মাঝ বরাবর চলে যাবে, আর নিচের ঠোটটি ঝুলে পড়ে নাভিতে গিয়ে বাড়ি খাবে। [তিরমিযী, ২৫৮৮]
ধরো এবং গলায় ফাঁস পরিয়ে দাও তারপর জাহান্নামে নিক্ষেপ করো, আর সত্তর হাত দীর্ঘ শিকল দিয়ে ভালোভাবে বেঁধে দাও। (আল- হাক্কাহ্-৩০-৩২)
যখন তাদের গলায় শিকল ও জিঞ্জির লাগানো হবে, তখন তা ধরে টগবগ করে ফুটন্ত পানির দিকে টানা হবে এবং পরে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। (সূরা মুমিন)
‘নিশ্চয়ই (জাহান্নামে) কাফেরদের চামড়া বিয়াল্লিশ গজ পুরু হবে এবং এক একটি দাঁত উহুদ পাহাড়ের সমান হবে। জাহান্নামে একজন জাহান্নামী যে স্থান জুড়ে অবস্থান করবে তা মক্কা হতে মদীনার দুরত্বের সমান। (তিরমিজী)
জাহান্নামীগণ জান্নাতীদেরকে ডেকে বলবে, আমাদেরকে সামান্য পানি দাও কিংবা আল্লাহ তোমাদের যে রিজিক দিয়েছেন তা হতে কিছু আমাদের দিকে নিক্ষপ করে দাও। জবাবে জান্নাতীগণ বলবে, আল্লাহ তা‘য়ালা এ দুটি বস্তুই কাফেরদের জন্য হারাম করে দিয়েছেন। (সূরা আ‘রাফ- ৫০)
যাক্কুম গাছ জাহান্নামীদের খাদ্য হবে; তিলের তেলচিটের মতো। পেটে এমনভাবে উথলিয়ে উঠবে যেমন টগবগ করে পানি উথলিয়ে উঠে। (দোখান- ৪৩-৪৬)
টগবগ করে ফুটন্ত কূপের পানি তাদেরকে পান করানো হবে। কাঁটাযুক্ত শুস্ক ঘাস ছাড়া অন্য কোন খাদ্য তাদের জন্য থাকবেনা। তা দেহের পুষ্টি সাধনও করবেনা এবং ক্ষুধার উপশমও হবে না । (গাশিয়া- ৫-৭)