উত্তরঃ ওজু ব্যতীত দুরুদ শরীফ পড়া যায়।
(আল-কুরআনও গোসল ফরজ নয় এমন অবস্থায় ওযু না থাকলে কুরআন স্পর্শ না করে মনে মনে পড়া যায়)
(আল-কুরআনও গোসল ফরজ নয় এমন অবস্থায় ওযু না থাকলে কুরআন স্পর্শ না করে মনে মনে পড়া যায়)
দরুদ শরীফ পড়ার জন্য অজু প্রয়োজনীয় না।
আপনি যখন মুহাম্মাদ নামের পরে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পড়েন সেটাও কিন্তু একটি দরুদ। সেটার জন্য কিন্তু অজু করে বলতে হবে এমন কোন পূর্বশর্ত নেই। অন্যান্য যেকোনো দরূদের জন্যও একই কথা।
আপনি যখন মুহাম্মাদ নামের পরে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পড়েন সেটাও কিন্তু একটি দরুদ। সেটার জন্য কিন্তু অজু করে বলতে হবে এমন কোন পূর্বশর্ত নেই। অন্যান্য যেকোনো দরূদের জন্যও একই কথা।
কেবল দরুদ কেন, এমনকি কুরআনের আয়াতও অজু ছাড়া আপনি পড়তে পারেন (মেয়েদের ক্ষেত্রে হায়েজ নেফাস এর সময় বাদে)- এ ব্যাপারে প্রায় সব স্কলারই একমত।
আপনার অজু লাগবে কেবল তখনই যখন আপনি কুরআন স্পর্শ করবেন এবং স্পর্শ করে তিলাওয়াত করবেন। কিন্তু নিজের জ্ঞান থেকে থেকে কুরআন পাঠ বা স্পর্শ না করে পাঠ এর সময় অজু থাকা ফরজ না।
অনেকে মনে করেন, নবী করিম (সা.)-এর শানে দরুদ শরিফ পাঠ করতে হলে এর আগে অজু করে নেয়া জরুরি। অজুর অবস্থা ছাড়া দরুদ শরিফ পাঠ করলে গুনাহ হয়। এমন ধারণা সম্পূর্ণ ভুল ও ভিত্তিহীন।
অজু থাকা না-থাকার সঙ্গে দরুদ শরিফ পাঠের কোনো সম্পর্ক নেই। অজু না থাকার অজুহাতে দরুদ শরিফ পাঠ থেকে বিরত থাকা ঠিক নয়।
অজু থাকা না-থাকার সঙ্গে দরুদ শরিফ পাঠের কোনো সম্পর্ক নেই। অজু না থাকার অজুহাতে দরুদ শরিফ পাঠ থেকে বিরত থাকা ঠিক নয়।
বাসায়, অফিসে, পরিবহনে, অবসরে যেকোনো অবস্থায় বেশি বেশি দরুদ শরিফ পাঠ করলে অনেক কল্যাণের অধিকারী হওয়া যায়। অজু ছাড়া দরুদ শরিফ পাঠ করা যায়, এমনকি কোরআন শরিফও তেলাওয়াত করা যায়। তবে অজু ছাড়া কোরআন শরিফ ছোঁয়া যায় না। গোসল ফরজ হলে কোরআন শরিফ ছোঁয়া, তেলাওয়াত করা এবং অন্যের কণ্ঠে শোনাও বৈধ নয়। বড় ধরনের জটিলতা না থাকলে ফরজ গোসলে দেরি করা অনুচিত। গোসল ফরজ হলে খুব দ্রুত পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।