❏ প্রশ্নঃ আউলিয়া কেরামের কবরের পার্শ্বে শিশুদের মাথা মুন্ডানো হারাম। এ সম্পর্কে অভিমত কি� #MustShAre
✍ উত্তরঃ নবজাতক শিশুকে গোসল করানোর পর আউলিয়া কেরামের মাযারে হাজির করা হয়। এতে বরকত নিহিত রয়েছে। রাসূলের যমানায় শিশুদেরকে তাঁর নূরানী খেদমতে হাজির করা হতো। এখনো মদীনা শরীফে রাওযায়ে আকদাসে নিয়ে যাওয়া হয়। হযরত আবু নাঈম [رحمه الله عليه] 'দালায়েলুন নবুয়ত' কিতাবে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস [رضى الله عنهما] থেকে বর্ণনা করেছেনঃ সম্মাণিতা হযরত মা আমেনা [رضي الله ﺗﻌﺎﻟﯽٰ عنها] ফরমায়েছেন যে- "রাসূল [ﷺ] জন্মগ্রহণ করলে এক টুকরা মেঘমালা; যা থেকে ঘোড়া ও পাখির আওয়াজ আসছিল। তা আমার থেকে হুযূর আকদাস [ﷺ] কে নিয়ে যায়। আমি এক আহবানকারীকে ডাক দিতে শুনলাম- [ طوفو بمحمد على موالد النبيين ] 'মুহাম্মদ [ﷺ] কে নবীগণ [عليهم السلام]'র জন্মস্থানে নিয়ে যাও'।"
চুল মুন্ডানো দ্বারা যদি আক্বীকার দিনের চুল হয় তাহলে তা কদার্য বস্তুকে দূর করা। এগুলো পবিত্র স্থান মাযারে নিয়ে যাওয়া অনর্থক। বরং চুল ঘরে মুন্ডানোর পর শিশুকে নিয়ে যাবে। তারপরও উহাকে হারাম বলা মনগড়া শরীয়ত।
কতেক মূর্খ মহিলাদের প্রথা হল তারা শিশুর মাথার উপর একেক অলীর নামে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঝুঁটি রাখে। মেয়াদকাল অতিক্রম হওয়া পর্যন্ত বহুবার চুল মুন্ডালেও ঐ ঝুঁটি (অক্ষত) রাখে। মেয়াদ শেষ হলে মাযারে নিয়ে ঝুঁটিসহ চুল মুন্ডানোর প্রথা অবশ্যই দলীলবিহীন ও বিদআত। [ والله تعالى أعلم ]
।।।
[সূত্রঃ আস্ সানিয়াতুল আনীকা ফী ফাতাওয়া-ই আফ্রিকা; প্রশ্ন নং-৫৬, পৃ. ৭৩]
মূলঃ ইমামে আহলে সুন্নাত আ'লা হযরত ইমাম শাহ আহমদ রেযা খান ফাযেলে বেরলভী [رحمه الله عليه]
প্রচারেঃ facebook.com/SunniAqidah
বঙ্গানুবাদঃ মাওলানা মুহাম্মদ ইছমাইল
www.anjumantrust.org