♦️অযু শুরু করার পূর্বে অবশ্যই কমপক্ষে بسم الله والحمد لله পড়ুন। তাহলে যতক্ষণ আপনি অযু অবস্থায় থাকবেন ততক্ষন আপনার জন্য ছাওয়াব লিপিবদ্ধ হতেই থাকবে।
[মাজমাউয যাওয়ায়েদ-হাদিস নং-১১১২]
♦️প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ صلى الله عليه وآله وسلم ইরশাদ ফরমান-
أَلَا أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللهُ بِهِ الْخَطَايَا، وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ؟» قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: «إِسْبَاغُ الْوُضُوءِ عَلَى الْمَكَارِهِ، وَكَثْرَةُ الْخُطَا إِلَى الْمَسَاجِدِ، وَانْتِظَارُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الصَّلَاةِ، فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ»
“আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছু বিষয়ের কথা বলব না! যা দ্বারা আল্লাহ তোমাদের গুনাহ সমূহ মিটিয়ে দেন এবং মর্যাদা বুলন্দ করেন। সাহাবারা আরজ করলেন জ্বি হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ صلى الله عليه وآله وسلم আমাদেরকে বলুন। রাসূলে পুর নূর صلى الله عليه وآله وسلم ইরশাদ ফরমান, সেই বিষয়গুলো হল-
১)→ কষ্টের সময়ও (প্রচন্ড শীত বা শারিরীক অসুস্থতায়) পরিপূর্ণভাবে অযু করা।
২)→ বেশি বেশি মসজিদে গমণ করা।
৩)→ এক সালাতের পর পরবর্তী ওয়াক্তের সালাতের জন্য অপেক্ষা করা।
এগুলোই তোমাদের জন্য (গুনাহ ও শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে) প্রহরীর মত।
[ সহিহ মুসলিম- হাদিস নং- ৬১০]
♦️রাসূলুল্লাহ صلى الله عليه وآله وسلم এর প্রিয় জামাতা যু-ন্নূরাইন হযরত উসমান বিন আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, আঁক্বা ও মাওলা صلى الله عليه وآله وسلم ইরশাদ করেন-
مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ جَسَدِهِ، حَتَّى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِه
ِ
“যে ব্যক্তি অযু করার ক্ষেত্রে সুন্দরভাবে অযু করল তার দেহ থেকে (অযুর পানির সাথে) গুনাহ সমূহে বের হয়ে যায়; এমনকি তার নোখের নিচ থেকেও গুনাহ সমূহ বের হয়ে যায়।” সুবহানাল্লাহ!
[সহিহ মুসলিম- হাদিস নং-৬০১]
♦️রাসূলুল্লাহ صلى الله عليه وآله وسلم এর প্রিয় জামাতা, তাঁর দুই নূরের (কণ্যার) পতি, যু-ন্নূরাইন হযরত উসমান বিন আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, আঁক্বা ও মাওলা صلى الله عليه وآله وسلم আরও ইরশাদ করেন-
مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ قَامَ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ لَا يُحَدِّثُ فِيهِمَا نَفْسَهُ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
“যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত অনুযায়ী অযু করল, অত:পর দাঁড়িয়ে দুই রাকাত সালাত আদায় করল এর মধ্যে সে অন্য কোন কথা বলে নি বা কাজ করে নি তার পূর্বের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।”
[মুত্তাফাকুন আ’লাইহি]