হাদিসের ১ম সূত্রঃ

👉 আনাস বিন মালেক (রাঃ) হতে বর্নিত, 

عَنْ أَنَسٍ قَالَ أُقِيْمَتِ الصَّلَاةُ فَأَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُوْلُ اللهِ   بِوَجْهِهِ فَقَالَ أَقِيْمُوْا صُفُوْفَكُمْ وَتَرَاصُّوْا فَإِنِّىْ أَرَاكُمْ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِىْ.

একদা ছালাতের ইক্বামত দেওয়া হল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ  (ﷺ) আমাদের দিকে মুখ ফিরালেন এবং বললেন, তোমরা কাতার সোজা কর এবং
পরস্পরে মিলে দাঁড়াও। নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে আমার পিছন থেকেও দেখতে পাই

Reference :

★ ছহীহ বুখারী হা/৭২৫, ১ম খন্ড, পৃঃ ১০০, (ইফাবা হা/৬৮৯, ২/৯৫ পৃঃ)।
★ ছহীহ বুখারী হা/৭১৯, ১ম খন্ড, পৃঃ ১০০, (ইফাবা হা/৬৮৪, ২/৯৩ পৃঃ), ‘আযান’ অধ্যায়, অনচ্ছেদ-৪৩;
★ মিশকাত হা/১০৮৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১০১৮, ৩য় খন্ড, পৃঃ ৫৬।

👉 পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৪/ কিতাবুস স্বলাত ( كتاب الصلاة)
হাদিস নম্বরঃ ৮৪৫ | 845 | ۸٤۵

পরিচ্ছদঃ ২৫. ইমামের পূর্বে রুকু সিজদা করা নিষেধ (ইফাঃ)
পরিচ্ছদঃ ২৪. সুন্দরভাবে বিনয় ও ভীতি সহকারে সালাত আদায়ের নির্দেশ (হাদিস একাডেমী)

৮৪৫। মুহাম্মাদ ইবনু আল মুসান্নাফ, ইবনু বাশশার (রহঃ), আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ও আলী ইবনু হুজর (রহঃ) … আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ  (ﷺ) একদিন সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ের পর আমাদের দিকে লক্ষ্য করে বললেন, হে লোক সকল! আমি তোমাদের ইমাম। সুতরাং রুকু, সিজদা, কিয়াম ও সালামে আমার আগে চলে যেও না। কারণ আমি সম্মুখ ও পাশ্চাৎ হতে তোমাদেরকে দেখতে পাই। অতঃপর বললেন, যার হাতে আমার প্রাণ, সেই সত্তার শপথ, আমি যা দেখছি, তোমরা তা দেখতে পেলে হাসতে কম, কাঁদতে বেশী। সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কী দেখেছেন? তিনি বললেন, আমি জান্নাত ও জাহান্নাম দেখেছি।

Reference :
★ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ হাদিস নং ৮৪১,
★ ইসলামিক সেন্টারঃ হাদিস নং ৮৫৪

হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)

হাদিসের ২য় সূত্রঃ

👉 হযরত আনাস রাঃ বলেন-

692 – حدثنا عمرو بن خالد قال حدثنا زهير عن حميد عن أنس عن النبي صلى الله عليه و سلم قال : ( أقيموا صفوفكم فإني أراكم من وراء ظهري ) . وكان أحدنا يلزق منكبه بمنكب صاحبه وقدمه بقدمه (صحيح البخارى-كتاب الجماعة والإمامة ، باب إلزاق المنكب بالمنكب والقدم بالقدم في الصف، رقم الحديث-692)

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন-“তোমরা কাতার সোজা কর। নিশ্চয় আমি তোমাদের পিছন থেকেও দেখি”।

Reference :
★ সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৯২

হাদিসের ৩য় সূত্রঃ

👉 আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিতঃ

গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ১০/ আযান (كتاب الأذان)

হাদিস নম্বরঃ [705]
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন

باب الْخُشُوعِ فِي الصَّلاَةِ

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ هَلْ تَرَوْنَ قِبْلَتِي هَا هُنَا وَاللَّهِ مَا يَخْفَى عَلَىَّ رُكُوعُكُمْ وَلاَ خُشُوعُكُمْ، وَإِنِّي لأَرَاكُمْ وَرَاءَ ظَهْرِي ‏"‏‏.‏
পরিচ্ছদঃ ৪৮০. সালাতে খুশু’ (বিনয়, নম্রতা, একাগ্রতা, নিষ্ঠা ও তন্ময়তা)।

৭০৫। ইসমায়ীল (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা কি মনে কর যে, আমার কিবলা শুধুমাত্র এ দিকে? আল্লাহর শপথ, তোমাদের রুকূ’ তোমাদের বিনম্রতা’, কোন কিছুই আমার কাছে গোপন থাকে না। আর নিঃসন্দেহে আমি তোমাদের দেখি আমার পিছন দিক থেকেও।

Reference :
★ সহিহ বুখারী, হাদিস ৭০৫
★ সহিহ মুসলিম, হাদিস ৪২৩
★ মুসনাদে আহমদ, হাদিস ৯৫০৪
★ মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস ৮১১
★ ইমাম ইউসুফ নাবহানী (রহঃ) : হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামীন, খন্ড ২ : ৩৬৯ পৃঃ

মানঃ সহিহ

হাদিসের ৪র্থ সূত্রঃ

👉 আবূ হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের জোহরের নামাজ পড়ালেন। একেবারে শেষ কাতারে একজন মুসল্লী নামাজে খারাপ কিছু করল। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) সালাম ফিরিয়ে তাকে ডাক দিয়ে বললেন,
হে অমুক ব্যক্তি! তুমি কি আল্লাহকে ভয় করো না? তুমি কিভাবে নামাজ পড়তেছ তা দেখবেনা?
"তোমরা মনে কর যে, তোমাদের আমাল আমার অগোচরে থাকে। খোদার শপথ আমি সাম্মুখে যেমন দেখি পশ্চাতেও অনুরূপ দেখি।

Reference :
★ সহিহ বুখারী হাদিস নং ৭৪১
★ সহিহ মুসলিম হাদিস নং ৪২৪
★ ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) এর রেওয়াতে মিশকাত শরীফ ৭৭ পৃঃ

হাদিসের ৫ম সূত্রঃ

👉 হযরত আনাস (রাঃ) ও আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত,
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) নামাজে দন্ডায়মান হলে বলতেন, তোমরা কাতার সোজা কর এবং সবাই সমান হয়ে দাঁড়াও। কেননা,
আমি তোমাদের পেছন থেকেও দেখি যেমনটা সামনে থেকে দেখি।

Reference :

★ আবু নঈম ইস্পাহানী (রহঃ) এর থেকে দালায়েলুন নবুওয়াত পৃ: ৩৯০ পৃ নেয়া হয়েছে।

হাদিসের ৬ষ্ঠ সূত্রঃ

👉 হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) থেকে বর্নিত,

كان رسول الله صلى الله صلى عليه وسلم يرى فى الظلماء كما يرى فى الضوء

অর্থাৎঃ- “রাসুলুল্লাহ (ﷺ)  যেমনি ভাবে আলোতে দেখতে পান, তেমনিই ঘোর অন্ধকারেও দেখতে পান।”

Reference :

★ ইমাম বায়হাকী স্বীয় বায়হাকী শরীফে
★ ইমাম সুয়ূতী (রহঃ) : খাসায়েসে কুবরা ১ম খন্ড ৬১ পৃঃ

হাদিসের ৭ম সূত্রঃ

👉 হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিত,
“রাসুলুল্লাহ (ﷺ) দিনের আলোয় যেভাবে দেখতেন, ঘোর অন্ধকারেও অনুরুপ দেখতেন।”

Reference :

★ ইমাম বায়হাকী স্বীয় বায়হাকী শরীফে

ইমামগণের ব্যাখ্যাঃ

👉 ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) বলেন:

ظاهر الحديث إن ذلك يختص بحالة الصلاة ويحتمل أن يكون ذلك واقعا في جميع أحواله وأغرب الداودي الشارح فحمل البعدية هنا على ما بعد الوفاة يعني أن أعمال الأمة تعرض عليه وكأنه لم يتأمل سياق حديث أبي هريرة حيث بين فيه سبب هذه المقالة

“হাদীসের বাহ্যিক বা স্পষ্ট অর্থ থেকে বুঝা যায় যে, পিছন থেকে দেখতে পাওয়ার এ অবস্থাটি শুধুমাত্র সালাতের জন্য খাস। অর্থাৎ তিনি শুধু সালাতের মধ্যেই এইরূপ পিছন থেকে দেখতে পেতেন। এমনও হতে পারে যে, সর্বাবস্থাতেই তিনি এইরূপ দেখতে পেতেন।

★  ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) : ফতহুল বারী শরহে বুখারী (1/515)

👉 ইমাম সুয়ূতী (রহঃ) ও
👉 ইমাম আবু নঈম (রহঃ) বর্ননা করেন,
নবীজীর চোখের মু’জিযা সম্পর্কে স্বয়ং তিনি ইরশাদ করেছেন-

إنى لأنظر ٳلى ما ورائى كما أنظر ٳلى ما بين يدى

অর্থাৎঃ- “নিশ্চয়ই আমি আমার পিছনেও সেরূপ দেখি, যেরূপ আমার সম্মুখে দেখি।” (দালায়িলুন নবুওয়াহ-আবু নঈম, খাসায়েসে কুবরা ১ম খন্ড ৬১ পৃঃ)

👉 Al-Haafiz Ibn Rajab (Rah) said: 

This does not mean that he used to turn around and look behind him whilst he was praying, so that he could see how they were praying, as some people think. Imam Ahmad refuted those who claimed that, and affirmed that this was one of his unique characteristics, and one of his signs and miracles.

★ Fath al-Baari by Ibn Rajab (4/341)

👉 """ইমাম নববী (রহঃ) - An-Nawawi (Rah) said, commenting on this hadeeth: The scholars said: What this means is that Allah, may He be exalted, created for the

Prophet (ﷺ) (had) the ability in the back of his head to see what was behind him, and he (ﷺ) was granted more extraordinary abilities than this. This is not contrary

to reason or textual evidence; rather the texts confirm this, so we must believe in it.

👉 ইমাম কাজী আয়াজ (রহঃ)- Al-Qazi Ayaz said: Ahmad ibn Hanbal (Rah) and the majority of the scholars said that this seeing was in a literal and real sense.""""""

★ Sharh Muslim by an-Nawawi (4/149)

👉 হুজ্জাতুল ইসলাম ইবনে হাজর আসকালানী (রহঃ) Al-Haafiz Ibn Hajar (Rah) said: There was a difference of scholarly opinion as to the meaning of this. It was said that what was meant is knowledge, either by means of Revelation so that he knew thereby how people really performed the prayer, or by means of inspiration. But this is subject to further discussion, because if what is meant is mere knowledge,

he would not have specified by saying “behind my back.”

And it was suggested that

what is meant is that he could see whoever was on his right and on his left,

of those on whom his gaze fell if he turned slightly sometimes, and he described those who were standing there as being behind his back. But this appears to be stretching the meaning and it is turning away from the apparent meaning when there is no need to do so.

The correct view is that it is to be interpreted as it appears to mean, and

that this “seeing” was in a real and literal sense that was unique to the Prophet (ﷺ)

and was an extraordinary feat. Based on that, the author narrated this hadeeth under the heading of the signs of Prophethood; it was also narrated under a similar heading from Imam Ahmad and others.

★ Fath al-Baari by Ibn Hajar (1/514)

👉 ইমাম সুলতান মোল্লা আলী কারী (রহঃ) - Mullah ‘Ali al-Qaari said:

The words “I can see you behind my back” do not necessarily mean that this occurred all the time.

★ Mirqaat al-Mafaateeh Sharh Mishkaat al-Masaabeeh (4/197)

Top